অযু ও বিজ্ঞান
অযুর রহস্য শুনার কারণে ইসলাম গ্রহণ
এক ব্যক্তির বর্ণনা: “আমি বেলজিয়ামে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অমুসলিম শিক্ষার্থীকে ইসলামের দাওয়াত দিলাম। সে জিজ্ঞাসা করলো: “অযুর মধ্যে কি কি বৈজ্ঞানিক রহস্য আছে?” আমি নির্বাক হয়ে যাই। তাকে একজন আলিমের নিকট নিয়ে গেলাম কিন্তু তাঁর কাছেও এর কোন জ্ঞান ছিল না। অবশেষে বিজ্ঞানের জ্ঞান রাখেন এমন এক ব্যক্তি তাকে অযুর যথেষ্ট সৌন্দর্য বর্ণনা করলো কিন্তু গর্দান মাসেহ করার রহস্য বর্ণনা করতে তিনিও অপারগ হলেন। এরপর সে অমুসলীম (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) চলে যায়। কিছু দিন পর এসে বলল, “আমাদের প্রফেসর লেকচারের মাঝখানে বলেছেন, “যদি গর্দানের পৃষ্ঠদেশে ও দু’পার্শ্বে দৈনিক কয়েক ফোটা পানি লাগিয়ে দেয়া হয় তাহলে মেরুদন্ডের হাড় ও দূষিত মজ্জার সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট ব্যাধি সমূহ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।” এটা শুনে অযুর মধ্যে গর্দান মাসেহ্ করার রহস্য আমার বুঝে এসে যায়। অতএব আমি মুসলমান হতে চাই এবং শেষ পর্যন্ত বাস্তবেই সে মুসলমান হয়ে গেলো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
পশ্চিম জার্মানীর সেমিনার
পশ্চিমা দেশ সমূহে হতাশা (DEPRESSION) রোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মস্তিস্ক অকেজো হয়ে যাচ্ছে। পাগলখানার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞদের নিকট রোগীদের ভীড় সবসময় লেগেই থাকে। পশ্চিম জার্মানীর ডিপ্লোমা হোল্ডার একজন পাকিস্তানী ফিজিওথেরাপিষ্ট এর বক্তব্য: “পশ্চিম জার্মানীতে একটি সেমিনার হয়েছে যার আলোচ্য বিষয় ছিল: “মানসিক (DEPRESSION) রোগের চিকিৎসা ওষুধাপত্র ছাড়া আর কোন কোন উপায়ে হতে পারে।”
একজন ডাক্তার তার প্রবন্ধে এই বিষ্ময়কর তথ্য খুলে বলেছেন যে, আমি ডিপ্রেশন (মানসিক রোগে) আক্রান্ত কতিপয় রোগীকে দৈনিক পাঁচবার মুখ ধৌত করিয়েছি। কিছুদিন পর তাদের রোগ কমে যায়। অতঃপর এইভাবে রোগীদের অপর দলকে দৈনিক পাঁচবার হাত, মুখ ও পা ধৌত করার ব্যবস্থা করেছি। এতে রোগ অনেকটা ভাল হয়ে যায়। এই ডাক্তার তার প্রবন্ধের উপসংহারে (শেষে) স্বীকার করেছেন;“মুসলমানদের মধ্যে মানসিক রোগ কম দেখা যায়। কেননা তারা দিনে কয়েকবার হাত, মুখ ও পা ধৌত করে (অর্থাৎ অযু করে) ।”
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
অযু ও উচ্চ রক্তচাপ
এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুবই জোর দিয়ে বলেছেন; “উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত রোগীকে প্রথমে অযু করান, তারপর ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করুন, অবশ্যই অবশ্যই তা কমে যাবে। এক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার বলেন: “মানসিক রোগের উত্তম চিকিৎসা হলো অযু।” পশ্চিমা দেশের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞগণ রোগীদের শরীরে অযুর ন্যায় দৈনিক কয়েকবার পানি ঢেলে দেন।
অযু ও অর্ধাঙ্গ
অযুতে ধারাবাহিকভাবে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা হয়, তাও রহস্য শূন্য নয়। প্রথমে উভয় হাতে পানি ঢালাতে শরীরে শিরার কার্যক্রম সচল হয়ে উঠে। অতঃপর ধীরে ধীরে চেহারা ও মস্তিষ্কের রগগুলোর দিকে তার প্রভাব পৌঁছতে থাকে। অযুর মধ্যে প্রথমে হাত ধোয়া তারপর কুলি করা তারপর নাকে পানি দেয়া তারপর চেহারা ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়ার ধারাবাহিকতা অর্ধাংগ রোগ প্রতিরোধের জন্য উপকারী। অযু যদি মুখমন্ডল ধৌত করা ও মাথা মাসেহ্ করা দ্বারা শুরু করা হতো তাহলে শরীর অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো।