নামাজ না পড়ার শাস্তি
দরূদ শরীফের ফযীলত
দো’জাহানের সুলতান, সারওয়ারে যীশান, মাহবুবে রহমান, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ পুলসিরাতের উপর তোমাদের জন্য নূর হবে। যে (ব্যক্তি) জুমার দিন আমার উপর ৮০ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তার ৮০ বছরের গুনাহ্ ক্ষমা হয়ে যাবে।” (আল ফিরদৌস বিমাছুরিল খাত্তাব, ২য় খন্ড, ৪০৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৩৮১৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
৩০ পারায় (সুরাতুল মাঊন) এর আয়াত নং ৪ ও ৫ এ ইরশাদ হচ্ছে:
فَوَیۡلٌ لِّلۡمُصَلِّیۡنَ ۙ﴿۴﴾ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنۡ صَلَاتِہِمۡ سَاہُوۡنَ ۙ﴿۵﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং ঐ সকল নামাযীদের জন্য অনিষ্ট রয়েছে, যারা আপন নামায থেকে ভুলে বসেছে।
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ সূরা মাঊন এর ৫নং আয়াতের টীকায় বলেন: নামায থেকে ভুলে বসার কিছু ধরণ রয়েছে: কখনো না পড়া, নিয়মিত ভাবে নামায না পড়া, নির্ধারিত সময়ে নামায না পড়া, শুদ্ধভাবে নামায না পড়া, আগ্রহ ভরে না পড়া, বুঝে-শুনে নামায আদায় না করা, অলসতা ও বেপরোয়া ভাবে নামায আদায় করা। (নূরুল ইরফান, ৯৫৮ পৃষ্ঠা)
জাহান্নামের ভয়ানক উপত্যকা
সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরীকা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: জাহান্নামে “ওয়াইল” নামের একটি ভয়ানক উপত্যকা রয়েছে, যার ভয়াবহতা থেকে স্বয়ং জাহান্নামও আশ্রয় প্রার্থনা করে। আর জেনে বুঝে নামায কাযা কারীরাই ঐ স্থানের যোগ্য। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩৪৮ পৃষ্ঠা)
পাহাড় উত্তপ্ততায় গলে যাবে
হযরত ইমাম মুহাম্মদ বিন আহমদ যাহবী رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেছেন: জাহান্নামে একটি উপত্যকা আছে, যার নাম হলো وَیْل (ওয়াইল) । যদি তাতে দুনিয়াবী পাহাড় নিক্ষেপ করা হয়, তবে তাও তার উত্তপ্ততায় গলে যাবে। আর এটা ঐ লোকদেরই ঠিকানা হবে যারা নামাযে অলসতা করে আর নির্ধারিত সময়ের পরে কাযা করে আদায় করে। তবে যদি তারা নিজ অলসতার জন্য লজ্জিত হয় এবং আল্লাহ্ তাআলার দরবারে তাওবা করে (তবে হয়তঃ তারা মুক্তি পেতে পারে) । (কিতাবুল কাবাইর, ১৯ পৃষ্ঠা, দারু মাকতাবাতুল হায়াত, বৈরুত)
মাথা দ্বিখন্ডিত করার শাস্তি
নবী করীম, রউফুর রহীম, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সাহাবায়ে কিরামদেরকে عَلَیۡہِمُ الرِّضۡوَان ইরশাদ করেন: “আজ রাতে দুইজন ব্যক্তি (অর্থাৎ হযরত জিব্রাঈল عَلَیۡہِ السَّلَام ও হযরত মিকাঈল عَلَیۡہِ السَّلَام) আমার নিকট আসলেন। আমাকে তারা আরদে মুকাদ্দাসায় (পবিত্র ভুমিতে) নিয়ে গেলেন। আমি দেখতে পেলাম যে, এক ব্যক্তি শুয়ে আছে আর তার মাথার নিকট আরেক ব্যক্তি একটি পাথর উঠিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং একের পর এক পাথর দিয়ে তার মাথাকে দ্বিখন্ডিত করছে। প্রত্যেক বার দ্বিখন্ডিত হওয়ার পর মাথা পুনরায় ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আমি ফিরিস্তাদের বললাম: سُبۡحٰنَ اللہ عَزَّوَجَلَّ এই ব্যক্তি কে? তারা আরয করল: আপনি আরো সামনে তাশরীফ নিন। (আরো অনেক দৃশ্যাবলী দেখানোর পর) ফিরিস্তারা আরয করল: ঐ প্রথম ব্যক্তি যাকে আপনি صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیۡہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দেখেছেন সে হলো ঐ ব্যক্তি, যে কুরআন শরীফ হিফজ করে ভুলে গিয়েছে এবং ফরয নামাযের সময় ঘুমিয়ে পড়তো। তার উপর এ শাস্তি কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।” (বুখারী, ১ম ও ৪র্থ খন্ড, ৪২৫ ও ৪৬৮ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৩৮৬, ৭০৪৭)
হাজার বছরের আযাবের হকদার
আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ ফতোওয়ায়ে রযবীয়ার ৯ম খন্ডের ১৫৮ থেকে ১৫৯ পৃষ্ঠায় বলেন: যে (ব্যক্তি) ইচ্ছাকৃতভাবে এক ওয়াক্ত (নামায) ছেড়ে দিয়েছে, সে হাজার বছর জাহান্নামে থাকার হকদার হলো। যতক্ষণ পর্যন্ত তাওবা না করে এবং এর কাযা আদায় না করে। মুসলমান যদি তার জীবনে একেবারে ছেড়ে দেয় তখন তার সাথে কথা না বলা, তার নিকটে না বসা চাই, তবে তা এটির (এই আচরণের) যোগ্য। আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন:
وَ اِمَّا یُنۡسِیَنَّکَ الشَّیۡطٰنُ فَلَا تَقۡعُدۡ بَعۡدَ الذِّکۡرٰی مَعَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۶۸﴾
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যখনই তোমাকে শয়তান ভুলিয়ে দেবে। অতঃপর স্বরণ আসতেই যালিমদের নিকটে বসো না। (পারা:৭, সূরা: আন‘আম, আয়াত: ৬৮)
কবরে আগুনের লেলিহান শিখা
এক ব্যক্তির বোন মারা গেলো। যখন সে তাকে দাফন করে ঘরে ফিরে এল, তখন তার মনে পড়ল যে, তার টাকার থলেটি কবরে পড়ে গেছে। তাই সে কবর থেকে থলে বের করে আনার জন্য কবরস্থানে গিয়ে তার বোনের কবর পুনরায় খনন করলো! কবর খনন করার পর তার সামনে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য প্রকাশ পেলো। সে দেখতে পেল, তার বোনের কবরে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে। অতঃপর সে কবরে তাড়াতাড়ি মাটি চাপা দিয়ে ব্যথা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মায়ের নিকট এসে মাকে জিজ্ঞাসা করলো: হে প্রিয় আম্মাজান! আমার বোনের আমল কেমন ছিলো? মা বললেন: বৎস! কেন জিজ্ঞাসা করছো? সে বললো: আমি আমার বোনের কবরে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেছি। এটা শুনে তার মাও কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন: আফসোস! তোমার বোন নামাযে অলসতা করত এবং যথাসময়ে নামায আদায় না করে কাযা করে আদায় করত। (কিতাবুল কাবায়ির, ২৬ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখন নামায কাযাকারীদের জন্য এরূপ কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে, তবে যে সমস্ত হতভাগা মোটেও নামায আদায় করে না তাদের পরিণাম কি হবে! (ভেবে দেখুন!)
যদি নামায আদায় করতে ভুলে যান, তবে...?
তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুওয়াত, মুস্তফা জানে রহমত, হুযুর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “যে নামায আদায় করতে ভুলে যায় কিংবা নামাযের সময় ঘুমিয়ে পড়ে, তখন স্মরণে আসতেই তা পড়ে নিবে। কেননা, ঐ সময়ই হলো তার জন্য নামাযের সময়। (মুসলিম, ৩৪৬ পৃষ্ঠা, হাদীস-৬৮৪) ফোকাহায়ে কিরামগণ رَحِمَہُمُ اللہُ تَعَالٰی বলেন: ঘুমন্ত অবস্থায় কিংবা ভুলে কারো নামায কাযা হয়ে গেলে তখন তার উপর ঐ নামায কাযা পড়ে নেয়া ফরয। অবশ্য কাযা হওয়ার গুনাহ্ তার জন্য হবে না। কিন্তু জাগ্রত হয়ে কিংবা স্মরণে আসতেই যদি মাকরূহ সময় না হয় তখন ঐ সময়েই নামায আদায় করে নিবে। দেরী করলে মাকরূহ হবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭০১ পৃষ্ঠা)
ঘটনাক্রমে চোখ না খুলে তবে...?
ফতোওয়ায়ে রযবীয়াতে বর্ণিত আছে: * যখন জানে যে, এখন শুয়ে গেলে নামায চলে যাবে ঐ সময় ঘুমানো বৈধ নয় কিন্তু যখন কোন জাগ্রতকারীর উপর ভরসা থাকে, * এমন সময়ে ঘুমাল যে, অভ্যাসগতভাবে নির্দিষ্ট সময়ে চোখ খুলে যায় হঠাৎ চোখ খুলে নি তবে (সে) গুনাহগার হবে না। (ফাওয়ায়েদে জলীলীয়া ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৪র্থ খন্ড, ৬৯৮ পৃষ্ঠা)
অপারগতায় “আদা”এর সাওয়াব পাবে কি না?
চোখ না খোলার কারণে ফযরের নামায কাযা হয়ে গেলে “আদা” এর সাওয়াব পাবে কি না? এ প্রসঙ্গে আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, ওলীয়ে নে’মাত, আজিমুল বারাকাত, আজিমুল মারতাবাত, পরওয়ানায়ে শময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীনো মিল্লাত, হামিয়ে সুন্নাত, মাহিয়ে বিদআত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরিকত, বা-ইসে খাইরো বারাকাত হযরত আল্লামা মাওলানা আলহাজ আল হাফিয আল ক্বারী আশ শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ ফতোওয়ায়ে রযবীয়া ৮ম খন্ডের, ১৬১ পৃষ্ঠায় বলেন:
উপরোক্ত অবস্থায় “আদা”এর সাওয়াব পাওয়া একমাত্র আল্লাহ্ তাআলার মর্জির অধিনেই থাকবে। যদি তিনি জানেন যে, সে নিজের পক্ষ থেকে কোন ত্রুটি করেনি। সকাল পর্যন্ত জাগ্রত থাকার ইচ্ছায় বসা ছিলো আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখে ঘুম চলে আসে তবে অবশ্য তার জন্য গুনাহ নেই। রাসুলুল্লাহ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “ঘুমন্ত অবস্থায় কোন অপরাধ নেই। অসতর্কতা ঐ ব্যক্তির যে (জাগ্রত অবস্থায়) নামায আদায় করে না এমনকি অপর নামাযের সময় চলে আসে।” (মুসলিম, ৩৪৪ পৃষ্ঠা, হাদীস-৬৮১)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
تُوْبُوْا اِلَی الله! اَسْتَغْفِرُ الله
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد
রাতে শেষাংশে শয়ন করা কেমন?
নামাযের সময় প্রবেশ করার পর কেউ ঘুমালে এমতাবস্থায় যদি নামাযের সময় চলে যায় এবং নামায কাযা হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সে গুনাহগার হবে, যখন জাগ্রত হওয়ার প্রতি তার পূর্ণ আস্থা না থাকে অথবা কোন জাগ্রতকারী ব্যক্তি উপস্থিত না থাকে। বরং ফযরের ওয়াক্ত প্রবেশের পূর্বে নিদ্রা যাওয়ার মোটেও অনুমতি নেই, যখন রাতের অধিকাংশ সময় বিনিদ্রা অবস্থায় কাটায় এবং ধারণা হয় যে, এখন ঘুমিয়ে পড়লে নামাযের সময়ের মধ্যে চোখ খুলবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭০১ পৃষ্ঠা)
রাতের বেশি সময় জাগ্রত থাকা
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নাত শরীফের মাহফিল, যিকির এর মাহফিল সমূহে কিংবা সুন্নাতে ভরা ইজতিমাইত্যাদিতে অংশগ্রহণকারীরা অধিক রাত জাগ্রত কাটিয়ে দেয়ার পর ঘুমের কারণে যদি ফযরের নামায কাযা হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে তখন ই’তিকাফের নিয়্যতে মসজিদের মধ্যে অবস্থান করবে, কিংবা এমন স্থানে ঘুমাবে যেখানে কোন বিশ্বস্থ ইসলামী ভাই জাগ্রতকারী বিদ্যমান থাকে কিংবা এলার্ম যুক্ত ঘড়ি থাকে, যার কারণে চোখ খুলে যায়। কিন্তু একটি ঘড়ির উপর নির্ভর করা যাবে না। হয়তঃ ঘুমন্ত অবস্থায় হাত লাগার কারণে কিংবা নিজে নিজে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুই কিংবা প্রয়োজন সংখ্যক অধিক ঘড়ি বিদ্যমান থাকলে ভাল কথা। ফোকাহায়ে কিরামগণ رَحِمَہُمُ اللہُ تَعَالٰی বলেছেন: “যদি ঘুমের কারণে ফযরের নামায ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া রাতের বেশি সময় পর্যন্ত জাগ্রত থাকা নিষেধ।” (রদ্দুল মুখতার২য় খন্ড৩৩ পৃষ্ঠা)
আদা, কাযা ও ওয়াজীবুল ইয়াদা এর সংজ্ঞা
যে সকল বিষয়ে বান্দাদেরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, যথাসময়ে তা পালন করার নামই হলো আদা। আর সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তা পালন করে নেয়ার নাম কাযা। আর যদি ঐ হুকুম (নির্দেশ) পালন করতে গিয়ে কোন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন ঐ সমস্যাকে দূরীভূত করার জন্য পুনরায় ঐ হুকুম পালন করে দেয়াকে ওয়াজীবুল ইয়াদা বলা হয়। ওয়াক্তের মধ্যে যদি কোন রকমে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে নিতে সক্ষম হয় তখন নামায কাযা হবে না বরং আদা হয়ে যাবে। (দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৬২৭ ও ৬৩২ পৃষ্ঠা) কিন্তু ফযর, জুমা ও দুই ঈদের নামাযে ওয়াক্তের ভিতরেই সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা আবশ্যক। অন্যথায় নামায হবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭০১ পৃষ্ঠা) শরয়ী কোন কারণ ছাড়া অহেতুক নামায কাযা করা খুবই কঠিন গুনাহ্। তার উপর ফরয হলো, কাযা আদায় করে দেয়া এবং সত্য মনে তাওবা করা। তাওবার মাধ্যমে কিংবা হজ্বে মকবুল দ্বারা اِنْ شَآءَ اللّٰہ عَزَّوَجَلَّ নামায কাযা করার গুনাহ ক্ষমা হয়ে যেতে পারে। (দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ৬২৬ পৃষ্ঠা) আর তাওবা তখন শুদ্ধ হবে যখন কাযা আদায় করে নিবে। কাযা আদায় করা ব্যতীত তাওবা করলে তাওবা হবে না। কেননা, যে নামায তার দায়িত্বে ছিলো তা আদায় না করার কারণে এখনো পর্যন্ত তার দায়িত্বে অবশিষ্ট রয়ে গেলো। সুতরাং সে যখন গুনাহ হতে ফিরে এলোনা, তখন তার তাওবাও হলো কোথায়?” (রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৬২৭পৃষ্ঠা) হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُمَا থেকে বর্ণিত; তাজেদারে রিসালাত, শাহিনশাহে নবুওয়াত, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “গুনাহের উপর অটল থেকে তাওবাকারী ব্যক্তি, আপন প্রতিপালক এর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী ব্যক্তির মতো। (শুয়াবুল ঈমান, ৫ম খন্ড, ৪৩৬ পৃষ্ঠা, হাদীস-৭১৭৮)