ইসলামী বোনদের নামাযে কয়েকটি বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে
এতক্ষণ পর্যন্ত একাকী নামাযের যে পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো, তা শুধু ইমাম বা পুরুষদের জন্য। ইসলামী বোনেরা তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবেন তবে হাত চাদর ইত্যাদি থেকে বের করবেন না। (ফতহুল কদীর সম্বলিত হিদায়া, ১ম খন্ড, ২৪৬ পৃষ্ঠা) কিয়ামে বাম হাতের তালু বক্ষের (সীনা) উপর স্তনের নিচে রেখে এর উপর ডান হাতের তালু রাখুন। রুকূতে সামান্য ঝুকবেন অর্থাৎ এতটুকু হাঁটুতে হাত রাখবেন, ভর দিবেন না এবং হাঁটুকে আকড়েও ধরবেন না। আর আঙ্গুলগুলোকে মিলিয়ে রাখবেন এবং পা দুইটি ঝুকিয়ে রাখবেন। পুরুষদের মতো একেবারে সোজা করে রাখবেন না। সিজদা গুটিয়ে করবেন অর্থাৎ উভয় বাহু পাজরের সাথে, পেট উভয় উরুর (রানের) সাথে, উরু পায়ের গোড়ালীর সাথে, পায়ের গোড়ালী জমিনের সাথে লাগিয়ে রাখবেন। সিজদা ও কা’দাতে উভয় পা-কে ডান দিকে বের করে দেবেন। আর বাম পাছার উপর বসবেন এবং ডান উরুর মধ্যভাগে ডান হাত ও বাম উরুর মধ্যভাগে বাম হাত রাখবেন। অবশিষ্ট সব কাজ পূর্বে বর্ণিত নিয়মানুসারে করবেন। (রদ্দুল মুখতার, ২য় খন্ড, ২৫৯ পৃষ্ঠা। আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
উভয়েই মনোযোগ দিন!
ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের প্রদত্ত নামাযের নিয়মাবলীতে কিছু কাজ হচ্ছে ফরয, যেগুলো ব্যতীত নামাযই হবে না, কতিপয় বিষয় ওয়াজীব, যেগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করা গুনাহ্ এবং এর জন্য তাওবা করে নামাযকে পুনরায় আদায় করে দেয়া ওয়াজীব। আর ভূলবশতঃ ছুটে গেলে “সিজদায়ে সাহু” দেওয়া ওয়াজীব। আর কিছু রয়েছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সেগুলো ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস করলে গুনাহ্ হয়, আর কতিপয় মুস্তাহাব রয়েছে যেগুলো করলে সাওয়াব, না করলে গুনাহ্ নেই। (বাহারে শরীয়াত, ৩য় অংশ, ৬৬ পৃষ্ঠা)