ঈদের ২০টি সুন্নাত ও আদব
(১) ক্ষৌরকর্ম সম্পাদন করা (তবে ঈদের দিন এইসব কাজ (সুন্নাত) মুস্তাহাব, বাবরী চুল রাখবেন, ইংলিশ কাট নয়) , (২) নখ কাটা, (৩) গোসল করা, (৪) মিসওয়াক করা, (এটা ওযুর জন্য যে মিসওয়াক করা হয়, তা ব্যতীত) (৫) উত্তম কাপড় পরিধান করা, নতুন থাকলে নতুন, নতুবা ধোলাই করা) (৬) খুশবু লাগানো, (৭) আংটি পরা, (যখনই আংটি পরবেন, তখন এ কথার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন যে, শুধু সাড়ে চার মাশাহ্ (রত্তি) থেকে কম ওজন রূপার একটি মাত্র আংটি যেন হয়। একটির চেয়ে বেশি যেন না হয় এবং আংটিতে পাথরও যেন একটি হয়। একাধিক পাথর যাতে না হয়। পাথর ছাড়াও যেনো না পরা হয়। পাথরের ওজনের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। রূপার আংটি অথবা বর্ণিত পরিমাণ ওজনের রূপা ইত্যাদি ব্যতীত অন্য কোন ধাতব পদার্থের আংটি পুরুষ পরতে পারবে না) , (৮) ফজরের নামায মহল্লার মসজিদে আদায় করা, (৯) ঈদুল ফিতরের নামাযের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্বে কয়েকটা খেজুর খেয়ে নেয়া, তিন, পাঁচ, সাত কিংবা কম বেশি, কিন্তু বিজোড় হওয়া চাই; খেজুর না থাকলে কোন মিষ্টি জাতীয় জিনিস খেয়ে নেবে। যদি নামাযের পূর্বে কিছুই না খায়, তবুও গুনাহ হবে না; কিন্তু ইশা পর্যন্ত না খেলে ‘ইতাব’ (তিরস্কার) করা যাবে, (১০) ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, (১১) ঈদগাহে পায়ে হেটে যাওয়া, (১২) যানবাহনে করে গেলেও ক্ষতি নেই; কিন্তু যে পায়ে হেটে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে, তার জন্য পায়ে হেটে যাওয়া উত্তম। আর ফেরার পথে যানবাহন করে ফিরলেও ক্ষতি নেই, (১৩) ঈদের নামাযের জন্য এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা, (১৪) ঈদের নামাযের পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। (এটাই উত্তম, তবে ঈদের নামাযের পূর্বে দিতে না পারলে পরে দিয়ে দিবেন) (১৫) আনন্দ প্রকাশ করা, (১৬) বেশি পরিমাণে সদকা দেয়া, (১৭) ঈদগাহে প্রশান্ত মনে, হাসোউজ্জল ও দৃষ্টিকে নিচু করে যাওয়া, (১৮) ফিরার সময় পরস্পর পরস্পরকে মুবারকবাদ দেয়া, (১৯) ঈদের নামাযের পর মুসাহাফা অর্থাৎ হাত মিলানো ও মুয়ানাকা অর্থাৎ আলিঙ্গন করা, যেমন-সাধারণতঃ মুসলমানদের মধ্যে এটার প্রচলন রয়েছে, এরূপ করাটা উত্তম কাজ, কারণ এতে খুশী প্রকাশ পায়। কিন্তু ‘আমরাদ’ বা সুদর্শন বালকের সাথে গলা মিলানো ফিৎনার আশঙ্কা থাকে। (২০) ঈদুল ফিতরের নামাযের জন্য যাওয়ার সময় রাস্তায় নিম্নস্বরে তাকবীর বলবে আর ঈদুল আযহার নামাযের জন্য যাওয়ার পথে উচ্চরবে তাকবীর বলবে। তাকবীর হচ্ছে নিম্নরূপ:
اَللهُ اَكْبَرُ ط اللهُ اَكْبَرُ ط لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ ط اَللهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ ط
অনুবাদ: আল্লাহ্ তাআলা মহান, আল্লাহ্ তাআলা মহান, আল্লাহ্ তাআলা ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ্ তাআলা মহান, আল্লাহ্ তাআলা মহান, আল্লাহ্ তাআলার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৯-৭৮১ পৃষ্ঠা। আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৫২ পৃষ্ঠা, দারুল ফিক্র বৈরুত)
কুরবানী ঈদের একটি মুস্তাহাব
“ঈদুল আযহা (অর্থাৎ কুরবানীর ঈদ) সমস্ত হুকুম ঈদুল ফিতরের মতই। শুধু কিছু বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে, যেমন-কুরবানীর ঈদে মুস্তাহাব হচ্ছে; কুরবানী করুক বা না করুক নামাযের পূর্বে কিছু না খাওয়া আর যদি খেয়েও নেয় তাহলেও কোন মাকরূহও নয়।