নামাযের প্রায় ১৪টি মুস্তাহাব


(১) নিয়্যতের শব্দ সমূহ মুখে উচ্চারণ করা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ১১৩ পৃষ্ঠা) (এটা অর্থবহ তখনই হবে যখন অন্তরে নিয়্যত থাকে অন্যথায় নামাযই হবে না।) 

(২) কিয়ামের মধ্যে উভয় পায়ের গোড়ালীর মধ্যভাগে চার আঙ্গুলের দূরত্ব থাকা। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা) 

(৩) কিয়াম অবস্থায় সিজদার স্থানে 

(৪) রুকূ অবস্থায় উভয় পায়ের পিঠের উপর 

(৫) সিজদাতে নাকের দিকে 

(৬) বৈঠকে কোলের উপর 

(৭) প্রথম সালামে ডান কাঁধের দিকে এবং 

(৮) দ্বিতীয় সালামে বাম কাঁধের দিকে দৃষ্টি রাখা। (রদ্দুল মুহতার সম্বলিত তানবীরুল আবছার, ২য় খন্ড, ২১৪ পৃষ্ঠা) 

(৯) একাকী নামায আদায়কারী রুকূ ও সিজদার মধ্যে বিজোড় সংখ্যায় তিনবারের বেশি (যেমন- ৫, ৭, ৯ ইত্যাদি) তাসবীহ বলা। (রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২৪২ পৃষ্ঠা) 

(১০) হিলইয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে, হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে মোবারক رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ প্রমুখ থেকে বর্ণিত আছে যে, ইমামের জন্য তাসবীহ পাঁচবার বলা মুস্তাহাব। 

(১১) যার কাঁশি আসে তার উচিত যতটুকু সম্ভব কাঁশি না দেওয়া। (তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ, ২৭৭ পৃষ্ঠা) 

(১২) হাই আসলে মুখ বন্ধ করে রাখা। আর না থামলে ঠোঁটকে দাঁতের নিচে চেপে ধরা। এভাবেও যদি না থামে, তবে দাঁড়ানো অবস্থায় ডান হাতের পিঠ এবং দাঁড়ানো ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় বাম হাতের পিঠ দিয়ে মুখ চেপে রাখুন। (‘হাই’ থামানোর উত্তম পন্থা হচ্ছে এ কল্পনা করা যে, তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনূর   صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও অন্যান্য নবীগণ عَلَیۡہِمُ الصَّلٰوۃُ وَ السَّلَام এর কখনো হাই আসতো না, اِنۡ شَآءَ اللہ عَزَّوَجَلَّ তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যাবে।) (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা) 

(১৩) যখন মুকাব্বির حَیَّ عَلَی الفَلَاح বলে তখন ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই দাঁড়িয়ে যাওয়া। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা) 

(১৪) কোন প্রতিবন্ধক ছাড়া জমিনে সিজদা করা। (তাহতাবীর পাদটিকা সম্বলিত মারাক্বিউল ফালাহ, ৩৭১ পৃষ্ঠা) 

Top