মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব-৯

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইতিপূর্বে ৮ পর্বে প্রমাণ করে দেখিয়েছি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মদ পান করে নামাযে ভুল করে ফেলার যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও দলীল হওয়ার অযোগ্য । মূলত যারা এ অভিযোগ করে তারা হয় খারেজী ফির্কার লোক অথবা কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ সম্পর্কে পরিপূর্ণ অজ্ঞ । হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে আর সবার সাথে এক পাল্লায় মাপার সুযোগ নেই। তিনি শুধু ছাহাবীই নন বরং আহলে বাইত বা নবী পরিবারের সদস্য। বিষয়টি বুঝার জন্য উনার শান সম্পর্কে কিছুটা জানা প্রয়োজন তাহলে আপনা নিজেরাই বিষয়টা বুঝতে পারবেন।<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেন,<br />عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.<br />মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো হযরত হযরত আলী ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম উনার ভালোবাসা। (মানাকিবে হযরত আলী আলাইহিস সালাম  ১/৩১১, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪/৪১০)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ بَابُهَا.<br />আমি হিকমতের গৃহ আর হযরত হযরত আলী আলাইহিস সালাম  আলাইহিস সালাম তার দরজা।<br />(সুনানে তিরমিযী ৫/৬৩৭: হাদীছ ৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১/৬৪,আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ.<br />কেয়ামতের দিন আমি এবং হযরত আলী আলাইহিস সালাম  আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী। (তারীখে বাগদাদ ২/৮৮)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي، بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.<br />আমি হলাম সাবধানকারী। আর হে হযরত আলী আলাইহিস সালাম ! আপনার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে। (তাফসীরে তাবারী ১৩/৭২,  ইবনে আসাকির ২/৪১৭: ৯২৩)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.<br />নিশ্চয় হযরত আলী আলাইহিস সালাম  আমা থেকে আর আমি হযরত আলী আলাইহিস সালাম  থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনের অভিভাবক। (মুসনাদে আহমাদ ৪/ ৪৩৮, আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১৮/ ১২৮: ২৬৫)<br />যিনি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তিনি কি করে মদ পানের মত কাজ কখনো করবেন?<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.<br />আল্লাহ হযরত আলী আলাইহিস সালামের ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! হযরত আলী আলাইহিস সালাম  যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরান। (আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩/১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫/৬৩৩ : ৩৭১৪)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSJUAJiihyphenhyphenUTL0dA9zqdk_gUdBMDwWVQ7gDAcAGV-1BjaULzo3TkgAMQkrd4hAmvdM0hVEWWgpe6XQcVj7yJibq-bIW-xWP6Z3wdEtWJUhG1xHGcIUczjQGRCNh1CxTxXcH5ICkpQ14tSm/s1600/FB_IMG_1577202081731.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="820" data-original-width="1080" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSJUAJiihyphenhyphenUTL0dA9zqdk_gUdBMDwWVQ7gDAcAGV-1BjaULzo3TkgAMQkrd4hAmvdM0hVEWWgpe6XQcVj7yJibq-bIW-xWP6Z3wdEtWJUhG1xHGcIUczjQGRCNh1CxTxXcH5ICkpQ14tSm/s320-rw/FB_IMG_1577202081731.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ  الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.<br />হযরত আলী আলাইহিস সালাম  কুরআনের সাথে আর কুরআন হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার সাথে। (আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩/১২৪,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২)<br /><br />পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত হযরত আলী আলাইহিস সালাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলেন। আর পবিত্র কুরআন শরীফও হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার সাথে ছিলো তাহলে উনার পক্ষে কি করে মদ পানের মত কাজ সম্ভব হতে পারে?<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَ لَهُ نَظِيرٌ فِي اُمَّتِهِ وَ عَلِيٌّ نَظِيرِي.<br />এমন কোনো নবী নেই যার উম্মতের মধ্যে তাঁর দৃষ্টান্ত কেউ ছিল না। আর আমার দৃষ্টান্ত হলো হযরত আলী আলাইহিস সালাম  ইবনে আবি তালিব। (তারিখে মদীনা ৬৬/১৯০)<br /><br />হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি যদি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দৃষ্টান্ত হন তবে উনার পক্ষে কখনো কি মদ পান করা সম্ভব?<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.<br />কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং হযরত আলী আলাইহিস সালাম র ওপর দরূদ পাঠাতো। (কানযুল উম্মাল ৩২৯৮৯, তারীখে দামেস্ক ৫৬/৩৬)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />عَلِيٌّ مَعَ  الْحَقِّ وَ  الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.<br />হযরত আলী আলাইহিস সালাম  সত্যের সাথে আর সত্য হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে। (তারীখে বাগদাদ ১৪/৩২১,  ইবনে আসাকির ৩/১৫৩ : ১১৭২)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />إِنَّ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ عَهِدَ إِلَيَّ عَهْداً فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، فَقَالَ: إنَّهُ رَايَةُ الْهُدَي، وَ مَنارُ الْاِيْمَانِ، وَ اِمَامُ أَوْلِيَائِي، وَ نُورُ جَمِيعِ مَنْ أَطَاعَنِي.<br />বিশ্ব প্রতিপালক হযরত আলী আলাইহিস সালাম র ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেন: নিশ্চয় হযরত আলী আলাইহিস সালাম  হলো হেদায়েতের পতাকা ,ঈমানের শীর্ষচূড়া, ওলীগণের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরূপ। (হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ২/৯৬ , তারীখে মদীনাতু দিমাষ্ক ৪২/ ৩৩০)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />أولكم ورودا على الحوض أولكم إسلاما علي ابن أبى طالب<br /><br />তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাওসারে প্রবেশ করবে সেই ব্যক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আর সে হলো হযরত আলী আলাইহিস সালাম  ইবনে আবি তালিব।<br />(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩/১৩৬, আল ইস্তিয়াব ৩/২৭,২৮,উসুদুল গাবাহ ৪/১৮,তারীখে বাগদাদ ২/৮১)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />وَ لَقَدْ صَلَّتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَيَّ وَ عَلَي عَلِيٍّ ، لِأََنَّا كُنََّا نُصَلِّي وَ لَيْسَ مَعَنَا أَحَدٌ يُصَلِّي غَيْرُنَا.<br />ফেরেশতারা আমার এবং হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার ওপর অসংখ্য সালাম পড়তো। কারণ,শুধু আমরাই নামায পড়তাম আর আমাদের সাথে নামায পড়ায় কেউ ছিল না। (উসুদুল গবাহ ৪:১৮,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২১, যাখায়িরুল উকবা :৬৪, ইবনে আসাকির ১:৮০/১১২-১১৩)<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সর্বপ্রথম নামায আদায়কারীর বিরুদ্ধে মদ পানের অভিযোগ কতটা মিথ্যা ভেবে দেখেন।<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />مَنْ أَحَبَّ‌أَنْ يَحْيَا‌حَيَاتِي‌وَ‌يَمُوتَ مَوْتِي‌فَلْيَتَولَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ.<br />যে ব্যক্তি আমার মতো জীবন যাপন করতে এবং আমার মতো বিছাল শরীফ করতে পছন্দ করে সে যেন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব আলাইহিস সালাম  উনার বেলায়েতকে মেনে চলে।<br />(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬১১/৩২৯৫৯)<br />আর এ হাদীছ শরীফতো স্পষ্ট প্রমানই করে দেয় হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার জীবন যাপন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মত আর সেখানে মদের কোন স্থান থাকতেই পারে না।<br /><br />হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন<br />يَا عَلِيُّ، إِنَّ اللهَ قَدْ زَيَّنَكَ بِزِينَةٍ لَمْ يُزَيِّنُهُ الْعِبَادَ بِزِينَةٍ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْهَا، هِيَ زِينَةُ الْأَبْرَارِ عِنْدَ اللهِ تَعَالي، الزُّهْدُ فِي الدُُّنْيَا، فَجَعَلَكَ لَا تَرْزَأَ مِنَ الدُُّنْيَا شَيْئًا وَ لَا تَرْزَأ الدُُّنْيَا مِنْكَ شَيْئاً وَ وَهَبَ لَكَ حُبَّ الْمَسَاكيِنَ فَجَعَلَكَ تَرْضَي بِهِمْ أَتْبَاعاً وَ يَرْضَوُنَ بِكَ إِمَاماً.<br />হে হযরত আলী আলাইহিস সালাম ! আল্লাহ তোমাকে এমন গুণে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন যার চেয়ে পছন্দনীয় গুণ মানুষের জন্য আর নেই। আল্লাহর দরবারে সৎকর্মশীলদের সেই গুণবৈশিষ্ট্যের নাম হলো দুনিয়ার জীবনে পরহেযগারী। আল্লাহ এমন করেছেন যে তুমি দুনিয়া থেকে কিছুই গ্রহণ করোনি আর দুনিয়াও তোমার থেকে কিছুই গ্রহণ করেনি। এর বিনিময়ে আল্লাহ অসহায়দের ভালোবাসা তোমাকে দান করেছেন। তুমিও খুশী হয়েছ যে তারা তোমার অনুসারী হয়েছে আর তারাও এই জন্য খুশী যে তুমি তাদের ইমাম! (হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১/৭১)<br /><br />সর্বপোরি হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন আহলে বাইত। আহলে বাইত সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেছেন,<br />إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا<br />অর্থ : হে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক উনার ইরাদা মুবারক হলো যে, আপনাদেরকে সকল অপবিত্রতা থেকে হিফাযত করে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করা। (সূরা আহযাব ৩৩)<br />উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে পবিত্র হাদীছ শরীফে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-<br />عن حضرة بن عمر الفاروق الاعظم عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا واهل بيتى مطهرون من الذنوب<br />অর্থ : হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি এবং আমার পবিত্রতম আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই সকল অপবিত্রতা থেকে পবিত্র ।” সুবহানাল্লাহ (কিতাবু আমালি ১/১৯৮, দররুল মানছূর ১২/৪৩, রূহুল মায়ানী ১১/১৯৪, ফাতহুল কাদীর লি শাওকানী ২/৪১৩, মা’য়রিফাত  ওয়াত তারিখ ১/৪১০)<br /><br />قال النبى صلى الله عليه وسلم نـحن اهل البيت لايقاس بنا احد<br />অর্থ : হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমরা, পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আমাদের সাথে সৃষ্ঠির মাঝে কোন তুলনাই করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! (তারীখে মদীনা ৩০/ ৩৬১, যাখায়িরুল উকবা/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১১/৭)<br /><br />সূতরাং অন্য কারো পক্ষে মদ হারাম হওয়ার পূর্বে মদ পান করা সম্ভব হলেও আহলে বাইত হওয়ার কারনে উনার দ্বারা এ কাজ কখনোই হওয়া সম্ভব না। কারন আল্লাহ পাক উনাকে পবিত্র করেই নবী পরিবারের সদস্য করেছেন।<br /><br />সূতরাং প্রমাণ হলো, যেসকল জামাতী, খারেজী, লা মাযহাবী ওহাবীরা হযরত আলী আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মদ পান করে নামাযের ইমামতি করার যে অভিযোগ দিচ্ছে তা স্পষ্ট মিথ্যা এবং খারেজী ফির্কার আক্বীদা। আল্লাহ পাক এসব খারেজীদের ফিতনা থেকে আমাদের হিফাজত করুন। আমীণ।</div>

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব-৯

ইতিপূর্বে ৮ পর্বে প্রমাণ করে দেখিয়েছি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মদ পান করে নামাযে ভুল করে ফেলার যে অভিযোগ তা ...

Read more »

কিতাবঃ শায়খ আলবানীর স্ববিরোধিতা

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-7e090e16-7fff-b51a-1a54-363011cf150c"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মিসরীয় শায়খ আবদুল বা’সিত বিন ইঊসুফ আল-গারীব সাহেবের প্রণীত “আল-তাম্বীহাত আল-মালীহা ‘আলা মা’ তারা’জা’ আল-আল্লামা আল-মুহাদ্দীস আল-আলবানী মিন আল-আহা’দিস আল-দা’য়িফা ওয়াল-সাহিহা” শীর্ষক আরবী বইয়ের আংশিক ইংরেজি অনুবাদ। অনুবাদক: ড: সাআদী কোসে। বঙ্গানুবাদ: এডমিন]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[Bengali translation of Dr Sa’di Kose’s booklet “When Shaykh Albani disagrees with himself.” Translator: Admin]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূচিপত্র</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভূমিকা</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উদাহরণসমূহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১-১০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১১-২০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২১-৩০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩১-৪০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪১-৫০</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভূমিকা</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরম করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানীর বইপত্র যাঁরা আরবীতে পড়েছেন, তাঁদের মাঝে সার্বিক উপলব্ধি হলো তিনি অহরহ-ই স্ববিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছেন। একটি বইয়ে যদি তিনি কোনো হাদীসকে সহীহ বলেছেন, তবে অপরটিতে তিনি সেই হাদীসকে যয়িফ তথা দুর্বল বলে রায় দিয়েছেন। তাঁর সমালোচকবৃন্দ বলেন, তাঁর বইপত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতির পরিমাণ এতো বেশি যে তাকে সাধারণ মানবীয় ভুলত্রুটিরও অতীত বলা চলে, যে ধরনের মানবীয় (ছোটখাটো) ত্রুটি পূর্ববর্তী হাদীসের বিশারদদের বইয়ে পাওয়া যেতো [নোট: মিসরীয় সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী ড: আলী জুমুআ’ সাহেব বলেন, “শায়খ আলবানী তাঁর বইপত্রে প্রাপ্ত হাদীসসমূহের ৮৬% সম্পর্কেই নিজের মত পরিবর্তন করেন” (ভিডিও লিঙ্ক: </span><a href="http://youtu.be/D9oxpuOvsz8" style="text-decoration-line: none;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(17, 85, 204); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">http://youtu.be/D9oxpuOvsz8</span></a><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> দেখুন)। আরো দেখুন শায়খ হাসান বিন আলী আল-সাক্বক্বাফ রচিত ও ৩ খণ্ডে সমাপ্ত “তানাক্বুদা’ত আল-আলবানী আল-ওয়া’দিহা’ত…(আলবানীর স্পষ্ট অসঙ্গতিসমূহ)” শিরোনামের কিতাবটি। এছাড়াও দেখুন ভারতীয় হাদীসবেত্তা হাবীব আল-রহমান আল-আ’দযা’মী লিখিত “আল-আলবানী: শুযুশুযুহু ওয়া আখতা’উহু (আলবানীর একান্ত নিজস্ব মতামত ও ভ্রান্তি)” শীর্ষক চার খণ্ডবিশিষ্ট পুস্তিকা]। এমতাবস্থায় আলবানীর বিজ্ঞ সমালোচকমণ্ডলী বলেন, আহাদীস সম্পর্কে তাঁর এসব স্পষ্ট স্ববিরোধিতা ও বিচার-বিবেচনা নির্ভরযোগ্য বা আস্থাপূর্ণ নয়। [নোট: ড: মুহাম্মদ সাঈদ মামদূহ সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হয়: “আলবানী কর্তৃক সহীহ বা যয়ীফ হাদীস নির্ধারণ করা নির্ভরযোগ্য কি না?” তিনি উত্তর দেন: “আমি একটি বই লিখেছি যার শিরোনাম ‘আল-তা’আরীফ বি-আওহামি মান ক্বাসসামা আল-সুনান ইলা’ সহীহিন ওয়া দাঈফ’ (সুনানকে সহীহ ও দুর্বলে বিভক্তকারীর খামখেয়ালিপনার মুখোশ উন্মোচন); আর তাতে (৮ খণ্ডে) আলবানীর প্রতিটি হাদীসের বিশ্লেষণ অধ্যয়ন করেছি...বহু ক্ষেত্রে তিনি হাদীসকে কেন যয়ীফ/দুর্বল বলেছেন, তা ব্যাখ্যা করেননি; এমতাবস্থায় তাঁকে (অন্ধ) অনুসরণ করা ছাড়া কারো আর গত্যন্তর থাকে না (মানে তাঁর কথা-ই হয় দলিল)।…আমরা জানি তিনি অন্ধ অনুসরণ (তাক্বলীদ) করতে মানুষকে বারণ করে থাকেন, অথচ স্ববিরোধিতার পরিহাস, তিনি যদিও সুনানের অনেক হাদীসের ব্যাপারে গভীর বিশ্লেষণ পেশ করেন না, তথাপিও তিনি সবাইকে তাঁরই (অন্ধ) অনুকরণ-অনুসরণ করতে বলেন এবং তাঁর কথাকেই দলিল হিসেবে গ্রহণ করতে বলেন।...কিন্তু প্রশ্ন হলো: ‘হাদীস সহীহ না যয়ীফ, তা শ্রেণিকরণ করার বেলায় আলবানী যোগ্য/দক্ষ কি না?’ আমার সিদ্ধান্ত হলো: আল্লাহর কসম! আমি তাঁকে (গত) ত্রিশ বছর যাবৎ পর্যবেক্ষণ করেছি; আর (অতিরঞ্জন ছাড়াই) আমি সেসব মানুষের একজন, যে তাঁকে সবচেয়ে ভালোভাবে চিনি-জানি। আমি বলবো তাঁর হাদীস শ্রেণিকরণ মোটেও নির্ভরযোগ্য নয়। এটা এ কারণে যে তিনি ঘনঘন তাঁর মতামত পরিবর্তন করেন, প্রচুর ভুল করেন এবং তাঁর কাজে অনেক অসঙ্গতি বিরাজমান...” (ভিডিও দেখুন - </span><a href="http://www.youtube.com/watch?v=trY3n2Zswfo" style="text-decoration-line: none;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(17, 85, 204); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">www.youtube.com/watch?v=trY3n2Zswfo</span></a><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">)] </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বর্তমানে আরবী ভাষায় অন্ততঃ চারটি পুস্তক রচিত হয়েছে, যেগুলোতে আলবানীর বইপত্রে প্রাপ্ত অসামঞ্জস্য সম্পর্কে লেখালেখি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি তাঁর সমালোচকদের রচিত (ওপরের একটি নোটে উল্লেখিত), অপর দুটি তাঁরই পক্ষীয়দের লেখা। ইনশা’আল্লাহ, আমি ওই বইগুলোর একটি শায়খ আবদুল বা’সিত বিন ইঊসুফ আল-গারীব সাহেবের প্রণীত </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আল-তাম্বীহাত আল-মালীহা ‘আলা মা’ তারা’জা’ আল-আল্লামা আল-মুহাদ্দীস আল-আলবানী মিন আল-আহা’দিস আল-দা’য়িফা ওয়াল-সাহিহা” </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সহীহ ও যয়ীফ হাদীস সম্পর্কে আলবানীর মত পরিবর্তনের ব্যাপারে চরম সতর্কবাণী)</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পুস্তকটির কিয়দংশ এখানে অনুবাদ করবো। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই অনুবাদে দুটি উদ্দেশ্য নিহিত:</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১/ শায়খ আলবানীর অন্ধ ভক্তদের এ মর্মে জানতে দেয়া যে, তিনি আহাদীসকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণিকরণ করেছেন। ভক্তকুল তাঁর কথার ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট একটি হাদীসের দুর্বল হওয়া সম্পর্কে যখন কোনো বইয়ে পড়েন, তখন কিন্তু তা পুরো চিত্র না-ও হতে পারে। তিনি হয়তো তাঁরই অন্য আরেকটি বইয়ে ওই হাদীসকে সহীহ বলে থাকতে পারেন। অতএব, কোনো নির্দিষ্ট হাদীসের ব্যাপারে আলবানীর সিদ্ধান্ত বর্ণনা করার সময় সবাইকে সাবধান হতে হবে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২/ মাযহাব অনুসারীদের এ কথা জানাতে যে, কোনো মসজিদের প্রবেশ দ্বারে তাঁদেরকে যখন শায়খ আলবানীর অনুসারীরা বলেন নামাযে অমুক-অমুক কাজ করা যাবে না; কেননা শায়খ আলবানী এতদসংক্রান্ত অমুক-অমুক হাদীসকে সহীহ বা যয়ীফ বলেছেন, তখন যেনো তাঁরা উত্তর দেন: “আপনারা কি নিশ্চিত যে এই হাদীসটি সম্পর্কে শায়খ আলবানীর এটাই চূড়ান্ত ফায়সালা? আমরা তো আপনাদেরকে দেড় শতাধিক হাদীস দেখাতে পারবো, যেখানে তিনি স্ববিরোধী সাব্যস্ত হয়েছেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরন্তু, শায়খ আল-গারীব সাহেব আলবানীর যাবতীয় অসামঞ্জস্য ও স্ববিরোধিতার বেশ কয়েকটি শ্রেণিবিন্যাস করেন। এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ওই সমস্ত হাদীস, যেগুলো সম্পর্কে আলবানী স্পষ্ট বলেন যে তিনি কোনো নির্দিষ্ট একটি হাদীসকে (ইতিপূর্বে) দুর্বল বিবেচনা করতেন, কিন্তু এখন নানা কারণে তিনি তাঁর মত পাল্টেছেন এবং ওই হাদীসটিকে সহীহ ঘোষণা করছেন [নোট: আলবানী কর্তৃক হাদীসচর্চায় নেয়া যত্ন সম্পর্কে সহানুভূতির অবকাশ থাকে না তাঁরই প্রদর্শিত কিছু কারণ দেখে। যেমন - ‘মিশকা’ত আল-মাসা’বিহ’ গ্রন্থের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে তিনি নিম্নবর্ণিত হাদীসটি দুর্বল ঘোষণা করেন - হযরত মা আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি বলে প্রিয়নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতেন, তাকে বিশ্বাস কোরো না; কেননা তিনি বসা ছাড়া প্রস্রাব করতেন না।” এরপর আলবানী এই হাদীসটিকে সহীহ বিবেচনা করেন এবং তাঁর লিখিত ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাতে তিনি লেখেন: “আমি ‘মিশকা’তুল মাসা’বিহ’ সম্পাদনা করার সময় বিশেষ কিছু পরিস্থিতির কারণে তাড়াতাড়ি তা করেছিলাম; যার দরুন সম্পূর্ণ গবেষণা করা এবং হাদীসটির সমস্ত বিবরণ ও সংস্করণ সংগ্রহ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি, যেটা আমার স্বভাব” (আবূল হাসান মুহাম্মদ হাসান আল-শায়খ কৃত ‘আল-তারাজূ’, ১:১৮)। আলবানী কর্তৃক ওই ‘বিশেষ পরিস্থিতি’গুলো কী ছিলো তা উল্লেখ করলে ভালো হতো। গবেষণা শেষ না করা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেননি কেন? নির্দিষ্ট ওই হাদীসটি সম্পর্কে তিনি নিশ্চুপ থাকেননি কেন, যেমনটি পূর্ববর্তী হাদীসবেত্তাবৃন্দ নিশ্চুপ থাকতেন যখন-ই তাঁরা কোন্ পথ নেবেন সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পেতেন? হাদীসের শ্রেণিকরণ কি আমানাহ-এ-কুবরা তথা সবচেয়ে বড় আমানতগুলোর একটি নয়, যেখানে মুহাদ্দীসবৃন্দকে ফায়সালা দেয়ার আগে সর্বাত্মক চেষ্টা করা বাধ্যতামূলক?]  দ্বিতীয় যে ক্যাটাগরী শায়খ আল-গারীব উল্লেখ করেন তা হলো, আলবানী তাঁর কোনো একটি বইয়ে একটি হাদীসকে যেভাবে শ্রেণিকরণ করেন, তাঁরই পরবর্তী কোনো বইয়ে সেই হাদীসটিকেই ভিন্নভাবে শ্রেণিকরণ করে থাকেন। তবে তিনি ইতিপূর্বেকার শ্রেণিকরণের কোনো উল্লেখ (পরবর্তী বইটিতে) করেননি। শায়খ আল-গারীব দাবি করেন যে আলবানীর পরবর্তী ফায়সালা তাঁরই পূর্ববর্তী রায়কে রহিত করে দেয়; আর আমরা এটা দেখতে পাই আলবানীর বইগুলোর প্রকাশনা তারিখ যাচাই করে। দৃশ্যতঃ সবাই এই অপ্রকাশিত রহিতকরণের বিধান সম্পর্কে জানেন না [নোট: আলবানীভক্ত শায়খ আসিম সাহেব বেলাল ফিলিপসের সাথে আলোচনায় স্বীকার করেছিলেন: “হ্যাঁ, আমি (নির্দিষ্ট) হাদীসটি ’সহীহ আল-জা’মে’তে দেখেছি এবং শায়খ আলবানী এটাকে হাসান (নির্ভরযোগ্য) শ্রেণিভুক্ত করেছেন। আমি জানি না তিনি অন্যত্র এটাকে দুর্বল শ্রেণিভুক্ত করেছেন কি না, তবে ‘সহীহ আল-জা’মে’তে আমি এ-ই পেয়েছি।” এটা নিশ্চিত যে শায়খ আসিম রহিতকরণের এই গোপন বিধি সম্পর্কে অবগত নন। তাহলে সেসব সাধারণ লোকের কী অবস্থা হবে, যারা বগলের নিচে তাঁরই দুআ’র বই নিয়ে মানুষকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে দুনিয়া চষে বেড়ান?]। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আপনারা শায়খ আল-গারীবের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সাথে একমত হন বা না-ই হন, বাস্তবতা হলো শায়খ আলবানী অহরহ আহাদিসকে নিজের প্রস্ততকৃত বইগুলোতে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শ্রেণিভুক্ত করেন এবং তিনি তাঁর পাঠকমণ্ডলীকে সে সম্পর্কে সতর্ক-ও করেননি। তাই হাদীস বিষয়ে তাঁর বিচার-বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করার সময় সবাইকে অত্যন্ত সাবধান হতে হবে; আর এই পুস্তিকায় আমরা দুই শতাধিক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবো কেন সাবধান হতে হবে তা দেখাতে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- ড: সাআদী কোসে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২০১৭ সাল</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উদাহরণসমূহ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস সহীহ না যয়ীফ, সে সম্পর্কে শায়খ আলবানীর স্ববিরোধিতার কিছু দৃষ্টান্ত নিচে পেশ করা হলো।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১  </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">  </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ السَّمْنِ وَالْجُبْنِ وَالْفِرَاءِ. فَقَالَ " الحَلاَلُ مَا أَحَلَّ اللهُ فِي كِتَابِهِ  وَالْحَرَامُ مَا حَرَّمَ اللهُ فِي كِتَابِهِ وَمَا سَكَتَ عَنْهُ فَهُوَ مِمَّا عَفَا عَنْهُ ". قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ الْمُغِيرَةِ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ        </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: মহানবী (ﷺ)’কে চর্বি, পনির ও (প্রাণির) লোমশ চামড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। অতঃপর তিনি বলেন, “হালাল হচ্ছে তা-ই, যা আল্লাহতা’লা তাঁর ঐশীগ্রন্থে বৈধ করেছেন; হারাম হচ্ছে তা-ই যা তিনি তাঁরই পবিত্র কিতাবে অবৈধ করেছেন; আর যা সম্পর্কে তিনি নীরব থেকেছেন, তা তাঁরই ক্ষমাকৃত বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ “গায়্যাত আল-মারা’ম” পুস্তকে বলেন, “আল-তিরমিযী বর্ণিত এই হাদীসটি </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যয়ীফ/দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তিনি তাঁর প্রণীত “সহীহ সুনান আল-তিরমিযী” গ্রন্থে একই হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান/নির্ভরযোগ্য</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ قَائِمًا فَلاَ تُصَدِّقُوهُ مَا كَانَ يَبُولُ إِلاَّ جَالِسًا</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত মা আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি বলে প্রিয়নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতেন, তাকে বিশ্বাস কোরো না; কেননা তিনি বসা ছাড়া প্রস্রাব করতেন না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘আল-মিশকাহ’ পুস্তকে বলেন, “এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যয়ীফ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">/দুর্বল।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ কিতাবে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">/বিশুদ্ধ ঘোষণা করেন। [নোট: আমি (ড: সাআদী কোসে) </span><a href="https://sunnah.com/urn/1100290" style="text-decoration-line: none;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(17, 85, 204); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Hadith - The Book of Purification - Sunan an-Nasa'i - Sunnah.com </span></a><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওয়েবসাইটে এ হাদীসটি সম্পর্কে নিচের বক্তব্য পেয়েছি: “শ্রেণি: হাসান (দারুস্ সালাম)।” আমি নিশ্চিত নই দারুস্ সালাম কীভাবে এ হাদীসের ব্যাপারে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এটা হাসান (নির্ভরযোগ্য)। তারা হয় শায়খ আলবানীর ওপর নির্ভর করে না, নতুবা শায়খ আল-গারীবের গোপন রহিতকরণ বিধি হতে আলাদা অন্য কোনো নিয়ম তারা মেনে চলে]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">   </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ أُمَّ سَعْدٍ مَاتَتْ فَأَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: الْمَاءُ، قَالَ فَحَفَرَ بِئْرًا وَقَالَ هَذِهِ لأُمِّ سَعْدٍ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত সাআদ ইবনে উবাদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’কে বলেন: হে আল্লাহর নবী (ﷺ)! আমার মাতা ইনতেক্বাল করেছেন; (তাঁর জন্যে) কোন্ (ধরনের) সাদাক্বাহ সেরা হবে? প্রিয়নবী (ﷺ) উত্তর দেন: “পানি।” অতঃপর তিনি একটি কূপ খনন করেন এবং বলেন: “এটা সাআদের মায়ের জন্যে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলবানী নিজ ‘আল-মিশকাত’ কিতাবে বলেন, “এই হাদীসের সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পক্ষান্তরে, সহীহ সুনানে আবী দাউদ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مَهْدِيٍّ السُّلَمِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللهِ مَنْزِلَةٌ لَمْ يَبْلُغْهَا بِعَمَلِهِ ابْتَلاَهُ اللهُ فِي جَسَدِهِ أَوْ فِي مَالِهِ أَوْ فِي وَلَدِهِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ ابْنُ نُفَيْلٍ. ثُمَّ صَبَّرَهُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ اتَّفَقَا حَتَّى يُبُلِغَهُ الْمَنْزِلَةَ الَّتِي سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللهِ تَعَالَى   </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত মুহাম্মদ ইবনে খালিদ আস্ সুলামী (رضي الله عنه) কর্তৃক তাঁর পিতা হতে বর্ণিত; তিনি বর্ণনা করেন তাঁর পিতা হতে, যিনি রাসূলে পাক (ﷺ)’এর সাহাবী ছিলেন; তিনি বলেন: আমি প্রিয়নবী (ﷺ)’কে বলতে শুনেছি: “আল্লাহতা’লা তাঁর কোনো বান্দার জন্যে ইতিপূর্বে যদি কোনো মানযিল তথা উচ্চমর্যাদাপূর্ণ স্তর বিধান করেন, যা ওই বান্দা তাঁর আমল/পুণ্যদায়ক কর্মের অনুশীলন দ্বারা অর্জন করেননি, তবে তিনি তাঁকে তাঁর শরীর, অথবা তাঁর সম্পদ-সম্পত্তি কিংবা তাঁর আওলাদ-ফর্জন্দের ক্ষেত্রে আক্রান্ত করেন।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) বলেন: ইবনে নুফাইল (رحمة الله) তাঁর সংস্করণে যুক্ত করেন: “আল্লাহ এরপর তাঁকে তা সহ্য করার সামর্থ্য দান করেন।” সর্বসম্মত সংস্করণটিতে বর্ণিত হয়: “যাতে আল্লাহ পাক তাঁর ওই বান্দাকে ইতিপূর্বে তাঁরই বিধানকৃত উচ্চমর্যাদার স্তরে উন্নীত করতে পারেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-মিশকাত’ কিতাবে বলেন, “এর সনদ যয়ীফ/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতঃপর আলবানী তাঁর ‘সহীহ সুনানে আবী দাউদ’ গ্রন্থে এই হাদীসটিকে সহীহ/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলে ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৫</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن ابن عباس (رضى الله عنهما) ـ مرفوعا: شر البيوت الحمام، ترفع فيه الاصوات، وتكشف فيه العورات</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে মারফু’ (উন্নীত) হাদীস হিসেবে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন: “বসতঘরের মাঝে হাম্মা’ম তথা গোসলখানা হচ্ছে সবচেয়ে মন্দ স্থান। সেখানেই উচ্চস্বরে কথা বলা (মানে তর্কাতর্কি) হয় এবং (দেহের) গোপন অঙ্গ উন্মুক্ত করা হয়।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে এই হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘হাসান’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দয়ীফ আল-জামে’ কিতাবে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যয়ীফ’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (দুর্বল) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৬</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: ثَلَاثَتٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ الْمَلاَئِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأَ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, হযরত আম্মার ইবনে এয়াসির (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; প্রিয়নবী (ﷺ) ফরমান: “ফেরেশতাকুল তিন ধরনের মানুষের কাছে আসেন না - কাফেরের মৃতদেহ; সৃষ্টিকুল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যে লোক নিজেকে খাটো করে; এবং যে ব্যক্তি যৌনমিলনে অপবিত্র/নাপাক - যতোক্ষণ না সে অযূ করে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘আল-মিশকাত’ গ্রন্থে বলেন, “এর বর্ণনাকারীবৃন্দ নির্ভরযোগ্য, তবে হযরত আল-হাসান আল-বসরী (رحمة الله) ও হযরত আম্মার (رضي الله عنه)’এর মাঝে (সনদে) একটি বিঘ্ন (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুনক্বাতেঈ’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">) ঘটেছে; কেননা প্রথমোক্ত জন শেষোক্ত জনের কাছ থেকে এটা শোনেন নি, যেমনটি আল-মুনযিরী (رحمة الله) উল্লেখ করেছেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে তিনি এই হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘হাসান’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৭ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ حَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ (ﷺ): إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الشَّمْسِ. وَقَالَ مَخْلَدَ فِي الْفَىْءِ. فَقَلَصَ عَنْهُ الظِّلُّ وَصَارَ بَعْضُهُ فِي الشَّمْسِ وَبَعْضُهُ فِي الظِّلِّ فَلْيَقُمْ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; আবূল ক্বাসিম (মানে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন: “তোমাদের কেউ যখন সূর্যের (রশ্মির) মধ্যে থাকে (মাখলাদের সংস্করণে ‘ফায়ে’ বলা হয়েছে), তখন ছায়া তার কাছ থেকে সরে যায় আর সে আংশিক সূর্যে ও আংশিক ছায়াতে থাকে। এমতাবস্থায় তার উঠে পড়া উচিৎ।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-মিশকাত’ গ্রন্থে বলেন: “এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।’</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ পুস্তকে তিনি এটাকে সহীহ/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৮</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلاَّ أَرْبَعَةً عَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَوِ امْرَأَةٌ أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَرِيضٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ طَارِقُ بْنُ شِهَابٍ قَدْ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ شَيْئًا</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত তা‘রিক্ব ইবনে শিহা’ব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান: “জুমুআ’র নামায প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অত্যাবশ্যক (ধর্মীয়) অনুশীলন, চারজন ব্যতিরেকে: গোলাম, নারী, ছেলে ও অসুস্থ ব্যক্তি।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) বলেন, সাহাবী তা’রিক্ব বিন শিহা’ব (رضي الله عنه) মহানবী (ﷺ)‘কে দেখেছিলেন, কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কিছু শোনেন নি।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-মিশকাত’ পুস্তকে বলেন, “এ হাদীসের বর্ণনাকারীবৃন্দ ‘সিক্বা’ত’ তথা আস্থাভাজন মুসলিম শরীফের বর্ণনাকারীদের হতে; ব্যতিক্রম এই যে আবূ দাউদ (رحمة الله) এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মুনক্বাতেঈ’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হাদীস বলে ইঙ্গিত করেছেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ শায়খ আলবানীর প্রণীত ‘সহীহ আল-জা’মে’ গ্রন্থে তিনি হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেছেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৯</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يُجَهِّزَ جَيْشًا فَنَفِدَتِ الإِبِلُ فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ فِي قِلاَصِ الصَّدَقَةِ فَكَانَ يَأْخُذُ الْبَعِيرَ بِالْبَعِيرَيْنِ إِلَى إِبِلِ الصَّدَقَةِ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আল-’আস্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত: নবী পাক (ﷺ) তাঁকে একটি (সৈন্য) বাহিনি প্রস্তুত করতে আদেশ করেন; কিন্তু তাতে উট অপর্যাপ্ত ছিলো। এমতাবস্থায় রাসূল (ﷺ) তাঁকে সাদাক্বাহ’র কম বয়সী উটগুলো রেখে দেয়ার নির্দেশ দেন; আর তিনি যখন একটি উটকে দুটি দ্বারা বদল করার জন্যে নিচ্ছিলেন, তৎক্ষণাৎ সাদাক্বার উটগুলো আগমন করে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ’আল-মিশকাত’ বইয়ে বলেন, ”এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘ইরওয়া আল-গালীল’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘হাসান’</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন এবং এই হাদীসটি যে দুটো ভিন্ন ভিন্ন সনদ তথা সূত্রে (তরীক্বাইন) বর্ণিত হয়েছে, তা প্রদর্শন করেন। [অনুবাদকের নোট: আমি </span><a href="https://sunnah.com/abudawud/23/32" style="text-decoration-line: none;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(17, 85, 204); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://sunnah.com/abudawud/23/32</span></a><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শীর্ষক ওয়েবসাইটে এ হাদীস সম্পর্কে নিচের উক্তিটি পাই: “শ্রেণি: যয়ীফ (আলবানী)। দৃশ্যতঃ সুন্নাহ-ডট-কম শায়খ আলবানীর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের বেলায় শায়খ আল-গারীবের গোপন রহিতকরণ নিয়ম মেনে চলে না]  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১০ </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত মা আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত: “সওয়ারীরা আমাদের অতিক্রম করতো যখন আমরা প্রিয়নবী (ﷺ)’র সাথে পবিত্র এহরাম বাঁধা অবস্থায় থাকতাম। তারা আমাদের সাথে চলতে থাকলে আমাদের (মানে হুজূরের বিবিবৃন্দের) মধ্যে কেউ একজন তাঁর বহিঃবস্ত্রাবরণ পবিত্র শির হতে মুখমণ্ডল অবধি নামিয়ে নিতেন, আর তারা অতিক্রম করে চলে গেলে আমরা আমাদের মুখ আবার অনাবৃত করতাম।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘ইরওয়া’ গ্রন্থে এই বর্ণনাকে যয়ীফ/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলে অভিহিত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘জিলবা’ব আল-মারাহ আল-মুসলিমা’ পুস্তকে তিনি এটাকে ‘হাসান’/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নির্ভরযোগ্য</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হিসেবে ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১১ </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ كُنَّا نَقُومُ فِي الصُّفُوفِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَوِيلاً قَبْلَ أَنْ يُكَبِّرَ قَالَ وَقَالَ ”إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِيْنَ يَلُونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَمَا مِنْ خَطْوَةٍ اَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ خَطْوَةٍ يَمْشِيهَا يَصِلُ بِهَا صَفًّا”.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত বারাআ ইবনে আযিব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “আল্লাহতা’লা ও তাঁর ফেরেশতাকুল তাদেরই প্রতি শান্তি বর্ষণ করেন, যারা (নামাযে) প্রথম সারির (সবচেয়ে) কাছে থাকে। (নামাযের) সারিতে যোগ দেয়ার জন্যে একটি পদক্ষেপের চেয়ে আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় আর কোনো পদক্ষেপই নেই।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী এই হাদীসটিকে শ্রেণিকরণ করা হতে (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাকাতা আনহু</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">) বিরত থাকেন নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘দয়ীফ আল-জা’মী’ বইয়ে তিনি এটাকে যয়ীফ তথা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে: ‘শ্রেণি হাসান (দারুস্ সালাম)’]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১২</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">  </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن جابر بن عبد الله رضي الله عنه قال: سألت النبي صلى الله عليه وسلم عن مسح الحصى في الصلاة؛ فقال: ”واحدة، ولو تمسك عنها خير لك من مائة ناقة، كلها سود الحدق”.هـ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত জাবের ইবনে আবদিল্লাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: আমি মহানবী (ﷺ)’কে নামাযে নুড়িপাথর অপসারণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, “স্রেফ একটি; আর যদি তুমি বিরত থাকো, তাহলে সেটা তোমার জন্যে ১০০টি মাদী উটের চেয়েও শ্রেয়তর হবে...।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ ইবনে খুযায়মা’ পুস্তকের সংস্করণে বলেন, “এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘তারগীব ওয়াল তারহীব’ গ্রন্থে তিনি এই হাদীসটিকে সহীহ/</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৩ </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ يَحْيَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ الْهُنَائِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنِ مَالِكٍ الرَّجُلً مِنَّا يُقْرِضُ أَخَاهُ الْمَالَ فَيُهْدِي لَهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ”إِذَا أَقْرَضَ أَحَدُكُمْ قَرْضًا فَأَهْدَى لَهُ أَوْ حَمَلَهُ عَلَى الدَّابَّةِ فَلاَ يَرْكَبْهَا وَلاَ يَقْبَلْهُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ جَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ قَبْلَ ذَلِكَ”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত ইয়াহইয়া বিন আবী ইসহাক্ব (رحمة الله) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: আমি হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه)’কে জিজ্ঞেস করি, ‘কোনো ব্যক্তি তাঁর ভাইকে কর্জ দিলে এবং গ্রহীতা (এর বিপরীতে) তাঁকে কোনো উপহার দিলে কী হবে?’ তিনি উত্তরে বলেন, প্রিয়নবী (সাল্লাল্লািহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কারো কাছ থেকে ধার-কর্জ নিয়ে কর্জদাতাকে কিছু উপহার দিলে বা নিজ সওয়ারের পশুর ওপর চড়তে দিলে কর্জদাতার উপহারটি গ্রহণ বা সওয়ারের পশুর ওপর চড়া উচিৎ হবে না, যদি না ইতিপূর্বে তাদের মধ্যে এ রকম আচার-আচরণ থেকে থাকে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-মিশকাত’ কিতাবে বলেন, “এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-style: italic; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জাইয়্যেদ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তথা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তম</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর কৃত ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এই হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৪</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّا نَصِيدُ الصَّيْدَ فَلاَ نَجِْدُ سِكِّينًا إِلاَّ الظِّرَارَ وَشِقًَةَ الْعَصَا. قَالَ ”أَمْرِرِ الدَّمَ بِمَا شِئْتَ وَاذْكُرِ اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ”.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আদী ইবনে হা’তিম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’এর কাছে আরয করি, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমরা পশু/পাখি শিকার করি, কিন্তু পাথরের ধারালো দিক বা লাঠি ছাড়া কিছু পাই না সেটাকে হত্যা/জবাই করার ক্ষেত্রে।’ তিনি উত্তরে বলেন, “যে কোনো কিছু দ্বারা তুমি সেটার রক্ত প্রবাহিত কোরো এবং (ওই সময়) আল্লাহর নামের যিকর কোরো।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘দয়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যয়ীফ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ, গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৫</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ”الْجُمُعًةُ عَلَى كُلِّ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ”. قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ جَمَاعَةٌ عَنْ سُفْيَانَ مَقْصُورًا عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو لَمْ يَرْفَعُوهُ وَإِنَّمَا أَسْنَدَهُ قَبِيصَةُ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন: প্রিয়নবী (ﷺ) বলেন, “(শুক্রবারের) জুমুআ’র নামায সে ব্যক্তির প্রতি বিধেয় হয়, যে আযান শ্রবণ করে।” ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) বলেন, এই হাদীসখানি সুফিয়ান হতে এক দল বর্ণনাকারী রওয়ায়াত করেছেন। তাঁরা এটাকে মহানবী (ﷺ)’র বাণী হিসেবে বর্ণনা করেননি; শুধু ক্বাবীসাহ-ই এটাকে হাদীসে নববী (ﷺ) বলে বর্ণনা করেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী আপন ‘আল-মিশকাত’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সনদে বর্ণিত হয়েছে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ আল-জামি’ বইয়ে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে: এটা দুর্বল এবং সঠিক মত হলো, এটা স্থগিতকৃত হাদীস এবং উন্নীত নয় (দায়ীফুন ওয়াল-সাহীহু ওয়াক্বফুহ)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৬</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عبادة بن الصامت رضي الله عنه قَالَ: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ”أن أول ما خلق الله القلم؛ فقال له اكتب، فقال ما اكتب؟ قال: اكتب القدر؛ فكتب ما كان وما هو كائن</span><span style="font-size: 10.5pt; font-family: Arial; color: rgb(84, 84, 84); background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> إلى </span><span style="font-size: 10.5pt; font-family: Arial; color: rgb(106, 106, 106); background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الأبد</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">”. هـ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উবাদাহ ইবনে আল-সা’মিত (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, “নিশ্চয় আল্লাহ প্রথমে সৃষ্টি করেন কলম। অতঃপর তিনি বলেন, ‘লেখো তাক্বদীর সম্পর্কে, </span><span style="font-size: 11.5pt; font-family: Arial; color: rgb(28, 30, 33); background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যা কিছু ঘটেছে</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এবং যা যা ঘটবে শেষ অবধি’।” </span><span style="font-size: 11.5pt; font-family: Arial; color: rgb(28, 30, 33); background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বঙ্গানুবাদকের নোট: এই হাদীসটি হযরত জাবের (رضي الله عنه)’এর বর্ণিত সৃষ্টির সূচনার বৃত্তান্তসম্বলিত মহানবী (ﷺ)’র নূর-বিষয়ক হাদীসটির আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে। নতুবা বিভ্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে]</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী বলেন, “এর এসনাদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">গরীব</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (বিরল)।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ আল-মিশকাত গ্রন্থে তিনি বলেন, “এই হাদীস নিঃসন্দেহে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (বিশুদ্ধ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৭</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن جابر رضي الله عنه قال: سألت رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم: أينام أهل الجنة؟ قال: ”النوم اخو الموت، ولا يموت أهل الجنة” رواه البيهقي في شعب الإيمان.هـ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত: জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’কে প্রশ্ন করেন, ‘বেহেশতবাসী মানুষ কি ঘুমোন?’ উত্তরে তিনি বলেন: “ঘুম হচ্ছে মৃত্যুর একটি আকার (আখ আল-মওত); আর বেহেশতবাসীরা মৃত্যু বরণ করে না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ গ্রন্থে বলেন, “এর সনদ দুর্বল (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দয়ীফ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (বিশুদ্ধ) ঘোষণা করেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৮</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اتَّبَعَ الْجَنَازَةَ لَمْ يَقْعُدْ حَتَّى تُوضَعَ فِي اللَّحْدِ فَعَرَضَ لَهُ حَبْرٌ فَقَالَ هَكَذَا نَصْنَعُ يَا مُحَمَّدُ. قَالَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ”خَالِفُوهُمْ”. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ. وَبِشْرُ بْنُ رَافِعٍ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ. </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উবাদাহ ইবনে সা’মিত (رضي الله عنه) বলেন: “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন জানাযায় (তথা মুসলিম প্রথাগত শবযাত্রায়) যেতেন, তখন তিনি বসতেন না, যতোক্ষণ না ’লাহদ’ স্থানে মুর্দাকে স্থাপন করা হতো। জনৈক আরব তাঁর কাছে এসে আরয করেন, ‘এটাই আমরা করে থাকি, হে মুহাম্মদ (ﷺ)’।” তিনি (হযরত উবাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: “অতঃপর মহানবী (ﷺ) উপবিষ্ট হন এবং বলেন, ‘তাদের সাথে মতপার্থক্য করো’(মানে যুক্তিতর্ক করে বোঝাও)।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তিরমিযী (رحمة الله) বলেন: “এটা গরীব (বিরল) হাদীস এবং বিশর ইবনে রা’ফি’ কোনো নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী নয় (লাইসা বি ক্বাওয়ী)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ গ্রন্থে বলেন, “তবে এটা ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) কর্তৃক একটি ভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে, যা’তে আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান তার পিতা হতে বর্ণনা করেন; আর এদের দু জন-ই </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(বর্ণনাকারী)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ পুস্তকে তিনি এর সনদকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, শ্রেণি: দঈফ (দারুস্ সালাম)] </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ১৯</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” كَفَى بِالْ مَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন রাসূলে করীম (ﷺ)’এর হাদীস, যিনি এরশাদ ফরমান: “কোনো ব্যক্তির জন্যে এটাই যথেষ্ট পাপ যে, সে যার দেখাশুনা করে তার প্রতি অবহেলা করে।” </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرجه أبو داود، كتاب الزكاة، باب في صلة الرحم، (3/ 118)، رقم: (1692)، وصححه الألباني في المشكاة، رقم: (3346)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘গায়্যাত আল-মারা’ম’ পুস্তকে বলেন, “এটা এর শব্দচয়নে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; background-color: rgb(255, 255, 255); font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; background-color: rgb(255, 255, 255); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে আবী দাউদ’ কিতাবে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২০</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> لا تجدون أولئك خياركم قاله في سائر من يضربون نسائهم</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: “তোমরা (এমন) পাবে না যে, (যারা আপন নারী/স্ত্রীদের আঘাত করে) তোমাদের মাঝে (তারা) সেরা....।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘গায়্যাত আল-মারা’ম’ বইয়ে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এবং সর্ব-হযরত আবূ দাউদ ও নাসাঈ (رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا) নিজ ‘আল-কুবরা’ গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে আবী দাউদ’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২১</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَالَ: إِنَّ لَهُ مُرْضِعًا فِي الْجَنَّةِ وَلَوْ عَاشَ لَكَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا. وَلَو عَشَا لَعَتَقَتْ أَخْوَالُهُ الْقِبْطُ وَمَا اسْتُرِقَّ قِبْطِيٌّ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’এর সাহেবজাদা হযরত ইবরাহীম (رضي الله عنه) বেসালপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি দুআ করে বলেন, “জান্নাতে তার জন্যে একজন দুগ্ধ-মাতা রয়েছে; আর যদি সে বাঁচতো, তাহলে সিদ্দীক্ব (সত্যনিষ্ঠ বুযর্গ) ও নবী হতো। যদি সে বাঁচতো, তাহলে তার মিসরীয় খালুদের মুক্ত করে দেয়া হতো এবং কোনো মিসরীয়কেই আর কখনো দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হতো না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘দায়ীফ আল-জামে’ কিতাবে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বলে ঘোষণা করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে: শ্রেণি - দয়ীফ (দারুস্ সালাম)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২২</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حديث نعيم الاشجعين ـ رضي الله عنه ـ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ”... فان الحرب خدعة” .هـ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত নাঈম আশজাঈন (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) বলেন: “নিশ্চয় যুদ্ধ হচ্ছে কৌশল।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দয়ীফ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">/দুর্বল।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">/নির্ভরযোগ্য ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৩</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ بِالْمَدِينَةِ رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا يَلْحَدُ وَالآخَرُ لاَ يَلْحَدُ فَقَالُوا أَيُّهُمَا جَاءَ أَوَّلُ عَمِلَ عَمَلَهُ . فَجَاءَ الَّذِي يَلْحَدُ فَلَحَدَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত হিশাম ইবনে উরওয়াহ (رضي الله عنه) বলেন: “মদীনা শরীফে দু জন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা কবর খুঁড়তেন। তাঁদের একজন কবরের পার্শ্ব-দেয়ালে মরদেহের জন্যে একটি যথাযোগ্য স্থান রাখতেন, অপরজন তা রাখতেন না। আর তাঁরা বলেন, ‘যারটা প্রথমে আসে, তিনি কাজটি করতে পারবেন।’ এমতাবস্থায় যিনি যথাযোগ্য স্থানসহ কবর খুঁড়তেন, তাঁরটা প্রথমে আসে এবং তিনি রাসূলে পাক (ﷺ)’এর রওযা শরীফের মাটি খনন করেন।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ কিতাবে বলেন: “এর সনদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">/নির্ভরযোগ্য ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৪  </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عائشة ـ رضي الله عنها ـ ، قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الدواوين ثلاثة، ديوان لا يغفر لله؛ الاشتراك بالله.. هـ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে মহানবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন: “গুনাহ-খাতা (যা লিপিবদ্ধ হয়) তিন ধরনের; প্রথমটি আল্লাহতা’লা ক্ষমা করেন না। তা হলো, আল্লাহতা’লার সাথে শরীক স্থাপন...।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ গ্রন্থে বলেন, “এটা</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সনদে ইমাম আহমদ (رحمة الله) বর্ণনা করেছেন।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহাহ’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৫  </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا اسْتَهَلَّ الصَّبِيُّ صُلِّيَ عَلَيْهِ وَوَرِثَ “</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত জাবের (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে মহানবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন: “শিশু যদি কেঁদে থাকে এবং (সে মারা গেলে) তার জন্যে (জানাযার) নামায পড়তে হবে; আর সে একজন ওয়ারিস্।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আহকাম আল-জানায়েয’ পুস্তকে এই হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) বলেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৬   </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِيْ جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) ফরমান: “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্যে জামাআতে চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীর ধরে নামায আদায় করবে, তার জন্যে দুটি পাপ মোচন করা হবে: পাপমুক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে এবং নেফাক্ব (মোনাফেক্বী) তথা কপটতা থেকেও।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ কিতাবে বলেন, “হাবীব বিন আবী সা’বেত, যিনি মুদাল্লিস তথা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মিথ্যে বর্ণনাকারী</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">, আর যিনি এই হাদীসকে ’আনআনা’ তথা পরোক্ষভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি না হলে আমরা এটাকে সহীহ হাদীস ঘোষণা করতাম।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ এবং ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ পুস্তক দুটোতে তিনি হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৭</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” مَنْ قَتَلَ مُعَاهِدًا لَهُ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنْ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ سَبْعِينَ عَامًا “. </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী পাক বলেন: “কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)’এর সুরক্ষাপ্রাপ্ত মু’আহিদকে হত্যা করলে বেহেশতের সুঘ্রাণ শুঁকতে পারবে না, যদিও এর সুগন্ধ সত্তর বছরের দূরত্ব হতে পাওয়া যেতে পারে।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।”</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৮</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ النَّاقِعِ “.  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; প্রিয়নবী (ﷺ) বলেন: “তোমাদের মধ্যে কেউই স্থির পানিতে প্রস্রাব করবে না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ’দায়ীফ আল-জামে’ কিতাবে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভীষণ দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(দায়ীফ জিদ্দান)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ২৯</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن أبي خراش حدرد بن أبي حدرد الأسلمي، ويقال السلمي الصحابي رضى الله عنه أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول: ” من هجر أخاه سنة فهو كسفك دمه “. هـ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ খিরাশ হাদরাদ বিন আবী হাদরাদ আল-আসলামী (رضي الله عنه) বলেন, আমি মহানবী (ﷺ)’কে শুনেছি এ কথা বলতে: “যে ব্যক্তি তার ভাইকে ছেড়ে এক বছর পর্যন্ত দূরে থাকলো, সে যেনো তারই রক্ত ঝরালো।” [আবূ দাউদ]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘আল-মিশকাত’ পুস্তকে বলেন, “এর সনদ ’লাইয়্যিন’ তথা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্নবিদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ বইয়ে তিনি এ হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ঘোষণা করেন। </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-style: italic; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বঙ্গানুবাদকের নোট: ইমাম আবূ দাউদ  (رحمة الله) এটা সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩০</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ ــ صلى الله عليه وسلم ــ فِي جِنَازَةٍ فَجَلَسَ عَلَى شَفِيرِ الْقَبْرِ فَبَكَى حَتَّى بَلَّ الثَّرى ثُمَّ قَالَ ” يَا إِخْوَانِي لِمِثْلِ هَذَا فَأَعِدُّوا “. </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত বারা’আ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’এর সাথে এক জানাযায় (উপস্থিত) ছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি কবরের ধারে বসেন এবং কান্নাকাটি করেন, যতোক্ষণ না মাটি ভিজে যায়। অতঃপর তিনি বলেন, “হে আমার ভাইয়েরা, এ রকম (দিনের মতো) কিছুর জন্যে তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী এ হাদীসকে প্রথমে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (দয়ীফ) বলেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ নিজ ‘আল-সিলসিলা আল-সহীহা’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩১</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنِ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ سَوَّارٍ الْمُزَنِيُّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَزَادَ ” وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ خَادِمَهُ عَبْدَهُ أَوْ أَجِيرَهُ فَلَا يَنْظُرْ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ “. قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهِمَ وَكِيعٌ فِي اسْمِهِ وَرَوَى عَنْهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ سَوَّارٌ الصَّيْرَفِيُّ   </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হযরত দাউদ বিন সাওয়ার আল-মুযানী (رضي الله عنه) বর্ণনাকারীদের ভিন্ন এক এসনাদ সহকারে, তবে একই অর্থে। এই সংস্করণে যোগ হয়েছে নিম্নের বাণী: “তোমাদের মধ্যে কেউ আপন জারিয়া দাসীকে নিজ গোলামের সাথে বিয়ে দিলে সে যেনো নিজের জারিয়া দাসীর শরীরের নাভি হতে হাঁটু পর্যন্ত অঙ্গের দিকে না তাকায়।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) বলেন: বর্ণনাকারী ওয়াকী’ (رحمة الله) হযরত দাউদ ইবনে সাওয়ার (رضي الله عنه)’র নামটিকে ভুল বুঝেছিলেন। আবূ দাউদ আল-তায়্যালিসী তাঁর কাছ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: এটা বর্ণনা করেন আবূ হামযাহ সাওয়ার আল-সায়রাফী (রা:)। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-ইরওয়া’ পুস্তকে এ হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন। [অনুবাদকের নোট: সুন্নাহ-ডট-কম বলে, শ্রেণি: ’হাসান’/নির্ভরযোগ্য (আলবানী)। দৃশ্যতঃ সাইটটি শায়খ আলবানীর ঘনঘন মত পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়েছে]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৩</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن علي ــ رضي الله عنه ــ قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” بادروا بالصدقة؛ فإن البلاء لا لا يتخطاها “. رواه آمين. هــ  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আলী (رضي الله عنه) বলেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান: “দান-সদক্বাহ করতে ত্বরা করো; বালা-মুসীবত ওর আগে বাড়তে পারবে না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী আপন ‘মিশকাত’ কিতাবে বলেন, “এই হাদীস আল-তাবারানী কর্তৃক বর্ণিত এবং এটার এসনাদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যয়ীফ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ’সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে তিনি বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ভীষণ দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (দায়ীফ জিদ্দান)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৪ </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن أبي هريرة ــ رضي الله عنه ــ مرفوعا انه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” ليس صدقة أعظم آخرا من ماء “. هــ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ হোরায়রাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন মরফু’ তথা উন্নীত হাদীস; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: “নেই কোনো খায়র (পুরস্কার)-সম্পন্ন দান-সদক্বাহ পানির চেয়ে বড়।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ কিতাবে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৫</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ رَبَّكُمْ يَقُولُ كُلُّ حَسَنَةٍ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَالصَّوْمُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيْحِ الْمِسْكِ وَإِنْ جَهِلَ عَلَى أَحَدِكُمْ جَاهِلٌ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّي صَائِمٌ ".</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ হোরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন: “নিশ্চয় তোমাদের প্রভু (আল্লাহতা’লা) এরশাদ করেছেন, ‘প্রতিটি নেক/পুণ্যদায়ক কাজের পুরস্কার হচ্ছে অনুরূপ দশটি নেকি হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত নেকি/সওয়াব। রোযা আমার জন্যেই (পালিত); আর আমি-ই তার পুরস্কার দেবো।’ রোযা (দোযখের) আগুন হতে রক্ষার একটি ঢাল। রোযাদার ব্যক্তির মুখ হতে বেরিয়ে আসা গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধির চেয়েও সুপ্রিয়। তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো অজ্ঞ লোকের দ্বারা নিগৃহীত হলে সে যেনো বলে: নিশ্চয় আমি রোযাদার।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে এ হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তিনি এটাকে তাঁর ‘দায়ীফ আল-জামে’ গ্রন্থে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হাদীসের সংকলনে অন্তর্ভুক্ত করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে: শ্রেণি: সহীহ (দারুস্ সালাম)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৬</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حديث أبي الدرداء ــ رضي الله عنه ــ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” الدنيا ملعونة ــ ملعون ما فيها، إلا ما ابتغينا به وجه الله ــ عز وجل ــ “. هــ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ দারদা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান: “এই দুনিয়া ও এর ধারণকৃত সমস্ত কিছুই লা’নতপ্রাপ্ত/অভিশপ্ত; ব্যতিক্রম শুধু সর্বশক্তিমান ও মহানতম আল্লাহতা’লার সন্তুষ্টিসহ যা কিছু কেউ অর্জন করে থাকে।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ কিতাবে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) বলেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৭</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وَسلم ”.. إِنَّ الْمَسْأَلَةُ نُكْتَةً فِي وَجْهِكَ يَومَ الْقِيَامَةِ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَصْلُحُ إِلاَّ لِثَلاَثَةٍ لِذِي فَقْرٍ مُدْقِعٍ أَوْ لِذِي غُرْمٍ مُفْظِعٍ أَوْ لِذِي دَمٍ مُوجِعٍ “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফরমান: “ভিক্ষাবৃত্তি শুধু তিন ধরনের ব্যক্তির জন্যে সঠিক; যে ব্যক্তি দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত, বা দায়-দেনাগ্রস্ত, বা ক্ষতিপূরণের দায়গ্রস্ত অথচ অর্থ পরিশোধে অপারগ।” হাদীসটি সর্ব-ইমাম আহমদ ও আবূ দাউদ (রহমতুল্লাহি আলাইহিমা) বর্ণনা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-ইরওয়া’ বইয়ে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যয়ীফ)।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ পুস্তকে তিনি এ হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৮</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قالَ ” مَا مِنْ إِنَْسَانٍ قَتَلَ عُصْفُورًا فَمَا فَوْقَهَا بِغَيْرِ حَقِّهَا إِلاَّ سَأَلَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهَا “ . قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا حَقُّهَا قَالَ ” يَذْبَحُهَا فَيَأْكُلُهَا وَلاَ يَقْطَعُ رَأْسَهَا يَرْمِي بِهَا “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, মহানবী (ﷺ) বলেন: “কোনো ন্যায্য কারণ ছাড়া কেউ ছোট পাখি বা তার চেয়ে বড়</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিছু হত্যা করলে সর্বশক্তিমান ও মহানতম আল্লাহতা’লা তাকে জবাবদিহি করতে বলবেন।” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, “এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! ন্যায্য কারণ বলতে কী বোঝায়?” তিনি উত্তর দেন: “তুমি তা জবাই করবে এবং খাবে, আর তার মাথা কেটে এক পাশে ফেলে দেবে না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ কিতাবে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য)।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘গায়্যাত আল-মারা’ম’ পুস্তকে তিনি এ হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (দয়ীফ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৩৯</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُبَالَ فِي الْجُحْرِ. قَالَ قَالُوا لِقَتَادَةَ مَا يُكْرَهُ مِنَ الْبَولِ فِي الْجُحْرِ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّهَا مَسَاكِنُ الْجِنِّ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">  </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবদৃল্লাহ ইবনে সারজিস্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলােইহে ওয়া সাল্লাম) গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছিলেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ক্বাতাদাহ (رضي الله عنه)’কে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন: কথিত আছে যে এসব (মানে গর্ত) হচ্ছে জ্বিনের আবাসস্থল।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-ইরওয়া’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ কিতাবে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সহীহ) ঘোষণা করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, যয়ীফ (আলবানী)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪০</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عمر بن الخطاب ــ رضي الله عنه ــ قال: ذكر لي أن قائل يقول: ” أن الأعمال تتباهى فتقول الصدقة: انا افضلكم “ . هــ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন: আমাকে বলা হয় যে কথিত আছে, “নেক আমল/পুণ্যদায়ক কর্মগুলো নিজেদের মধ্যে গর্ব করছিলো (এ মর্মে যে কে বড়)। এমতাবস্থায় দান-সদকাহ বলে, “আমি তোমাদের মধ্যে সেরা।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ কৃত ‘সহীহ ইবনে খুযায়মা’ গ্রন্থের সংস্করণে বলেন, “এর এসনাদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ), কেননা (রাবী/বর্ণনাকারীদের একজন) আবূ ফারওয়া হচ্ছেন মাজহূল তথা অপরিচিত; এবং আল-নাদর (নামে আরেকজন বর্ণনাকারী) দুর্বল (যয়ীফ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ পুস্তকে তিনি হাদীসটিকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪১  </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن جابر بن عبد الله ــ رضي الله عنهما ــ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” إذا أديت زكاة مالك؛ فقد اذهب عنك شره “. هــ  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত জাবের ইবনে আবদিল্লাহ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) ফরমান: “তুমি তোমার সম্পত্তি হতে (ফরয/বাধ্যতামূলক) যাকাত প্রদান করলে (সম্পত্তির) মন্দ দিকটি তোমার কাছ থেকে তিরোহিত হয়।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানীর রচিত ‘সহীহ ইবনে খুযায়মা’ গ্রন্থের সংস্করণে তিনি বলেন, “এর এসনাদ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">। ইবনে জুরায়জ ও আবূ যুবায়র হলেন মুদাল্লিস (বিকৃতকারী) এবং তাঁরা হাদীসটিকে পরোক্ষভাবে (’আন’আনা) বর্ণনা করেছেন। আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি আমার ‘আল-দায়ীফা’ কিতাবে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ বইটিতে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪২</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ السَّبَئِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. عَشْرَ مَرَّاتٍ عَلَى إِثْرِ الْمَغْرِبِ بَعَثَ اللهُ لَهُ مَسْلَحَةً يَحْفَظُونَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَتَبَ اللهُ لَهُ بِهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ مُوجِبَاتٍ وَمَحَا عَنْهُ عَشْرَ سَيِّئَاتٍ مُوبِقَاتٍ وَكَانَتْ لَهُ بِعَدْلِ عَشْرِ رِقَابٍ مُؤْمِنَاتٍ “. قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ. وَلاَ نَعْرِفُ لِعُمَارَةَ بْنِ شَبِيبٍ سَمَاعًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উমারাহ বিন শাবীব আস্ সাবাঈ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’এর হাদীস, যিনি এরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আল-মাগরেব শেষে ১০ বার বলে, ‘এক আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই; জগতের যাবতীয় অস্তিত্বশীল বস্তু তাঁরই মালিকানাধীন; আর সমস্ত প্রশংসা তাঁরই, তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন এবং সব বিষয় বা বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান’ (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল-মুলকু ওয়া লাহুল-হামদু, ইউহ্-য়ি ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর), আল্লাহতা’লা তার কাছে শয়তানের (ক্ষতি) থেকে বাঁচবার জন্যে রক্ষাকারীবর্গ প্রেরণ করবেন, যতোক্ষণ না সে সকাল বেলা অবধি পৌঁছোয়; আর আল্লাহ পাক তার জন্যে মূজিবাত ১০টি নেকী লেখেন এবং ১০টি ক্ষতিকর মন্দকর্ম মুছে দেন; আর এটা হবে তার জন্যে দশজন ঈমানদার গোলাম মুক্ত করে দেয়ার মতোই (সওয়াবদায়ক)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য)।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘দায়ীফ আল-জা’মে’ গ্রন্থে তিনি এ হাদীসকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যয়ীফ) ঘোষণা করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, শ্রেণি: হাসান (দারুস্ সালাম)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৩  </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">    </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الأَحْوَصِ، يُحَدِّثُنَا فِي مَجْلِسِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى عليه وسلم ” لاَ يَزَالُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مُقْبِلاً عَلَى الْعَبْدِ وَهُوَ فِي صَلاَتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ فَإِذَا الْتَفَتَ انْصَرَفَ عَنْهُ “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ যর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; প্রিয়নবী (ﷺ) বলেন: “মহানতম আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দা যতোক্ষণ নামাযে নিবিষ্ট থাকে এবং অন্যত্র না ফিরে তাকায়, ততোক্ষণ তার প্রতি দয়াপরবশ হন; কিন্তু সে তা করলে তিনিও তার থেকে ফিরে যান।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ পুস্তকে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ গ্রন্থে তিনি এটাকে</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, যয়ীফ (আলবানী)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৪</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ” ثَلَثةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ كُنْتُ خَصْمَهُ خَصَمْتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أَعْطَى بِي ثُمَّ غَدَرَ وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُوفِهِ أَجْرَهُ “.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত যে, প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেন: (আল্লাহ বলেন), “পুনরুত্থান দিবসে আমি তিন ধরনের লোকের প্রতিপক্ষ; আর আমি কারো প্রতিপক্ষ হলে তাকে আমি পরাভূত করবো-ই। ওরা হলো, যে ব্যক্তি আমার নামে অঙ্গীকার করে, কিন্তু (তা পূরণে) অবিশ্বস্ত প্রতিপন্ন হয়; যে ব্যক্তি মুক্ত/স্বাধীন কাউকে বিক্রি করে তার মূল্য হজম করে; আর যে ব্যক্তি কোনো কর্মীকে পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজে নিযুক্ত করে, কিন্তু কাজশেষে পারিশ্রমিক দেয় না।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-ইরওয়া’ গ্রন্থে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, সহীহ (দারুস্ সালাম)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৫</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ فُضِّلَتْ سُورَةُ الْحَخِّ بِأَنَّ فِيْهَا سَجْدَتَيْنِ قَالَ ” نَعَمْ . وَمَنْ لَمْ يَسْجُدْهُمَا فَلاَ يَقْرَأْهُمَا “ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ الْقَوِيِّ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উক্ববাহ বিন আমির (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত: আমি বল্লাম, এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! সূরাতুল হজ্জ্ব ফযীলত-মণ্ডিত এ কারণে যে এতে দুটো সেজদা রয়েছে? তিনি বল্লেন, “হ্যাঁ, আর যে ব্যক্তি সেগুলোর জন্যে সেজদা করে না, তার সেগুলো ক্বেরাত পড়া উচিৎ নয়।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সর্ব-ইমাম আবূ দাউদ ও তিরমিযী (رحمة الله عليهما)’এর বর্ণনায় আবূ ঈসা (رحمة الله) বলেন: এই হাদীসের এসনাদ শক্তিশালী নয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘আল-মিশকাত’ পুস্তকে বলেন, “হাদীসটি </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ গ্রন্থে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৬</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِسمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبدِ اللهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ــ صلى الله عليه وسلم ــ يَقُولُ ” مَن أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي قَد أُمِيتَتْ بَعْدِي فَإِنَّ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنَ النَّاسِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِ النَّاسِ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةً لاَ يَرْضَاهَا اللهُ وَرَسُولُهُ فَإِنَّ عَلَيْهِ مِثْلَ إِثْمِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنَ النَّاسِ لاَ يَنْقُصُ مِنْ آثَامِ النَّاسِ شَيْئًا “ .  </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত কাসির ইবনে আব্দিল্লাহ (رضي الله عنه) তাঁর পিতা হতে, তিনি পিতামহ হতে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি আমার এমন সুন্নাত (রীতি)’কে পুনরুজ্জীবিত করে যা আমার পরে মৃত (তথা বিস্মৃত) হয়ে গিয়েছিলো, সে এমন পুরস্কার লাভ করবে যা ওই (বিস্মৃত) সুন্নাতের আমলকারীদের সমপরিমাণ হবে; অথচ তা তাদের পুরস্কারের অংশ হতে ন্যূনতম ভাগও কমাবে না। (পক্ষান্তরে,) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)’এর অসন্তুষ্টি আছে এমন বেদআত (তথা ধর্মে নতুন প্রচলন)</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে ব্যক্তি পরিবেশন করবে, সে এমন পাপের ভাগী হবে যা ওই বেদআতের আমলকারীদের সমপরিমাণ হবে;</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তা তাদের পাপের অংশ হতে ন্যূনতম ভাগও কমাবে না।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘দায়ীফ আল-জামে’ কিতাবে বলেন, “এটা </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত্যন্ত দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ জিদ্দান)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (সহীহ) শ্রেণিভুক্ত করেন। [সুন্নাহ-ডট-কম বলে, শ্রেণি: যয়ীফ (দারুস্ সালাম)]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৭</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن ابن عمر ــ رضي الله عنهما ــ قال: ” ما صلت امرأة من صلاة، احب الى الله من أشد مكان في بيتها ظلمة “ . هــ </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত ইবনে উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন: “কোনো নারীর জন্যে সর্বোত্তম নামায সেটাই, যেটা সে নিজ ঘরের সবচেয়ে অন্ধকার কোণায় আদায় করে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘সহীহুল তারগীব ওয়াত্ তারহীব’ গ্রন্থে এ বর্ণনাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সহীহ) ঘোষণা করেন। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘দায়ীফ আল-জামে’ শীর্ষক </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসের সংকলনে তিনি এটাকে অন্তর্ভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৮</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن أنس بن مالك ــ رضي الله عنه ــ قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” أن لله ملكا ينادي عند كل صلاة: يا بني آدم؛ قوموا إلى نيرانك التي اوقدتموها؛ فاطفئوها “. هــ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “আল্লাহতা’লা এমন একজন ফেরেশতাকে নিযুক্ত করেছেন, যিনি প্রতি নামাযের সময় ডেকে বলেন - ‘ওহে আদম সন্তান সকল, ওঠো তোমাদের প্রজ্জ্বলিত আগুনের মুখোমুখি হতে, এবং তা নির্বাপিত করো’।” </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-তারগীব ওয়াল-তারহীব’ পুস্তকে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ ‘দায়ীফ আল-জামে’ বইয়ে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (যয়ীফ) শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৪৯</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عثمان ــ رضي الله عنه ــ أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ”من علم أن الصلاة حق مكتوب واجب دخل الجنة  “. هــ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত উসমান (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন:</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান, “যে ব্যক্তি জানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায বাধ্যতামূলকভাবে বিধান করা হয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী তাঁর ‘সহীহুত্ তারগীবি ওয়াত্ তারহীব’ গ্রন্থে এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাসান</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (নির্ভরযোগ্য) ঘোষণা করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘দয়ীফ আল-জামে’ পুস্তকে তিনি এটাকে </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দুর্বল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শ্রেণিভুক্ত করেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীস নং ৫০</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ مَحْمُودَ بْنِ لَبِيدٍ، قَالَ أُخْبِرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَجُلٍ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَثَ تَطْلِيقَاتٍ جَمِيعًا فَقَامَ غَضْبَانًا ثُمَّ قَالَ ” أَيُلْعَبُ بِكِتَابِا اللهِ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ “. حَتَّى قَامَ رَجُلٌ وَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَلاَ أَقْتُلُهُ . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: হযরত মাখরামা (رضي الله عنه) আপন পিতা হতে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমি মাহমূদ বিন লাবীদকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’কে জানানো হয় এমন ব্যক্তি সম্পর্কে, যে তার স্ত্রীকে তিনবার ‘তালাক্ব’ উচ্চারণ দ্বারা তালাক্ব দিয়েছিলো। প্রিয়নবী (ﷺ) রাগান্বিত হয়ে ওঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে প্রকাশ্যে থাকতে আল্লাহর কিতাব নিয়ে খেলা হচ্ছে কি?’ এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি ওঠে দাঁড়িয়ে বলেন: ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি কি তাকে হত্যা করবো’?”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শায়খ আলবানী নিজ ‘আল-মিশক্বাত’ পুস্তকে বলেন, “এর বর্ণনাকারীবৃন্দ সবাই বিশ্বস্ত/আস্থাভাজন (সিক্বা’ত), ব্যতিক্রম শুধু মাখরামার পিতা হতে প্রাপ্ত তাঁর বর্ণনাটি। (কেননা) তিনি তাঁর পিতা হতে (হাদীস) শুনেননি (</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জাল</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">)।”</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ তাঁর ‘গায়্যাতুল-মারা’ম’ গ্রন্থে তিনি এই হাদীসকে</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-weight: 700; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সহীহ</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (বিশুদ্ধ) বলে ঘোষণা করেন।    </span></p><br><br><br>

কিতাবঃ শায়খ আলবানীর স্ববিরোধিতা

[মিসরীয় শায়খ আবদুল বা’সিত বিন ইঊসুফ আল-গারীব সাহেবের প্রণীত “আল-তাম্বীহাত আল-মালীহা ‘আলা মা’ তারা’জা’ আল-আল্লামা আল-মুহাদ্দীস আল-আলবানী মিন ...

Read more »