মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৭

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">সূরা নিছা ৪৩ নং আয়াত শরীফ নাযিল হওয়া বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন সনদে সহীহ বর্ণনা:<br /><br />বিগত আলোচনা থেকে আমরা দেখেছি মদপান  করে নামায পড়ার বর্ণনা সনদ ও মতনগতভাবে পারষ্পারিক সংঘর্ষিক। আর এ ধরনেরন মুদ্বতারিব বর্ণনা দলীলযোগ্য নয়। উপরোক্ত বর্ণনা যেহেতু গ্রহনযোগ্য না তাই উক্ত ঘটনা অন্যকোন সনদে ও মতনে পাওয়া যায়কিনা সেটা দেখতে হবে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসনাদে তেমন একটি বর্ণনা উল্লেখ করেন,<br />حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ ، يَعْنِي ابْنَ النُّعْمَانِ ، حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : حُرِّمَتِ الْخَمْرُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ، ........... وَكَانُوا يَشْرَبُونَ الْخَمْرَ . حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمٌ مِنَ الأَيَّامِ ، صَلَّى رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ ، أَمَّ أَصْحَابَهُ فِي الْمَغْرِبِ ، خَلَطَ فِي قِرَاءَتِهِ ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِيهَا آيَةً أَغْلَظَ مِنْهَا : {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ}<br />হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনবার মদ পান হারাম হয়। ............. (মদ পান নিষিদ্ধ হওয়ার ২ টি ধাপের আলোচনা)  ততক্ষন পর্যন্ত মদ পান করতো যতক্ষন একদিন মুহাজিরদের মধ্যে একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মাগরিবের নামাযে কিরআত ব্যতিক্রম করে ফেললেন। তখন আল্লাহ পাক নাযিল করেন, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না যতক্ষনা তোমরা যা বলছো তা বুঝতে না পারো। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৫১: হাদীছ ৮৬০৫)<br /><br />উপরোক্ত বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার কোন কথাই নাই বরং মদ পানেরও কথা নেই। আর এ বর্ণনা আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে ভিন্ন সনদে বর্ণিত।<br />সূতারং প্রমাণ হলো আমীরুল মু’মিনিন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম সর্ম্পকে যে অভিযোগ তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLmedhsQ5-a2IGxgOjB3HcFL9wn6iBMmO725E2_S-YvEHrq1cPAYOcTaazluLlEytw2U9kHZ-YD8ekZHDjI9VIIoLIQvjqvnlsYk02Shb_s4ftOjof-sj-3KuBWYwiUvOsf-ldqSLeO1s9/s1600/FB_IMG_1576505994339.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="820" data-original-width="1080" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLmedhsQ5-a2IGxgOjB3HcFL9wn6iBMmO725E2_S-YvEHrq1cPAYOcTaazluLlEytw2U9kHZ-YD8ekZHDjI9VIIoLIQvjqvnlsYk02Shb_s4ftOjof-sj-3KuBWYwiUvOsf-ldqSLeO1s9/s320-rw/FB_IMG_1576505994339.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সর্বোপরি আলোচন্য সূরা নিছা ৪৩ নং আয়াত শরীফের শানে নুযুল উল্লেখ করতে গিয়ে ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি সনদসহ একটা দলীল নিয়ে এসেছেন,<br /><br />حدثنا يونس بن حبيب، حدثنا أبو داود، حدثنا شُعْبَة، أخبرني سِمَاكُ بن حَرْبٍ قال: سمعت مُصْعَبَ بنَ سَعْدٍ يحدث عن سعد قال: نزلت في أربعُ آيات: صنع رجل من الأنصار طعاما، فدعا أناسا من المهاجرين وأناسا من الأنصار، فأكلنا وشربنا حتى سَكرْنا، ثم افتخرنا فرفع رجل لَحْي بعير فَفَزَر  بها أنف سعد، فكان سعد مَفْزور  الأنف، وذلك قبل أن تحرم الخمر، فنزلت: { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى } الآية<br />মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বার বরাতে একটা বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। হযরত ইউনুছ ইবনে হাবীব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত শুবা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত সিমাক ইবনে হারব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত মুসআব ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে তিনি হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণণা করেন, আমাকে উদ্দেশ্য করে পবিত্র কুরআন শরীফে চারটি আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। একদিন একজন আনছার ছাহাবী উনার বাসায় খাবারের আয়োজন করলেন। তিনি উক্ত উক্ত খাবারের অনুষ্ঠানে মুহাজির ও আনছার ছাহাবী থেকে কিছু ছাহাবী দাওয়াত করলেন। খাবারে পর শরাব পান কররাম যতক্ষন না তন্দ্রাচ্ছন্ন হলাম। অতপর পরষ্পরের নিকট গর্বকরে বিভিন্ন উক্তি আওড়ালাম। তখন জনৈক ব্যক্তি উটের চোয়াল দিয়ে আমার নাকে আঘাত করলেন। আমার নাক যখম হয়ে গেলো। মদপান হারাম হওয়ার পূর্বে এটা ঘটেছিলো। অতপর আয়াত নাযিল হলো, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। (তাফসীরে ইবনে কাছীর  ২/৩০৯, মুসনাদে তায়লাসী ১/১৬৮: হাদীছ ২০৫)<br /><br />গ্রহনযোগ্য ভিন্ন সনদে আমরা সূরা নিছার ৪৩ নং আয়াতের শানে নযূল জানতে পারলাম। যেখানে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার কোন কথাই উল্লেখ নেই।<br />অথচ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বাতিল ফির্কারা একটা সাংঘর্ষিক বর্ণনা যা কখনোই দলীল হিসাবে উপস্থাপনযোগ্য নয় তা দিয়ে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার  শানমান খাটো করার অপচেষ্ট  করছে। অথচ এর বিপরীতে শানে নযূলে আরো ঘটনা আছে যা বেমালুম চেপে যাচ্ছে।  সেই সাথে খারেজীদের দ্বারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার দিকে সমন্ধ করা একটা বর্ণনা দিয়ে দলীল দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা কি মনে করে তাদের এসব দুই নম্বরীর জবাব দেয়ার মানুষ দুনিয়ায় নেই? (চলবে....)</div>

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৭

সূরা নিছা ৪৩ নং আয়াত শরীফ নাযিল হওয়া বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন সনদে সহীহ বর্ণনা: বিগত আলোচনা থেকে আমরা দেখেছি মদপান  করে নামায পড়ার বর্ণনা সনদ ও ...

Read more »

জান্নাত-জাহান্নাম

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh79jMsK-Qil9-edJo6Cd8jcpOi3lufIul33Jg8hzBA98QjSjxP-JIFwBrGQx9gBTN70FsrKMEvRTTHPC7mtwq16x8SwmaLT3MY3tgy2TnZw_Yj6HNtz1805U-kc4Y8Yk2dk9-MS3S9u4k/s1600/FB_IMG_1576468112877.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="668" data-original-width="718" height="371" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh79jMsK-Qil9-edJo6Cd8jcpOi3lufIul33Jg8hzBA98QjSjxP-JIFwBrGQx9gBTN70FsrKMEvRTTHPC7mtwq16x8SwmaLT3MY3tgy2TnZw_Yj6HNtz1805U-kc4Y8Yk2dk9-MS3S9u4k/s400-rw/FB_IMG_1576468112877.jpg" width="400" /></a></div> <br /> <br /> <br id="docs-internal-guid-13917386-7fff-d054-d59e-8fa8497f2a2e" /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #990000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"জান্নাত-জাহান্নামঃ সুফি দৃষ্টিকোণ বনাম মোল্লাতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ"</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #1155cc; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><a href="https://www.facebook.com/syed.g.kibria.7">সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারি</a></span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মাঝে মাঝে আমরা মাওলানা সাহেবদের কাছ থেকে জান্নাত জাহান্নামের এমন সব রগরগে বর্ণনা শুনি যে, রুচিশীল মানুষদের অন্তরে অনেক নেতিবাচক প্রশ্নের উদয় হয়। তাই বেহেশত ও দোজখ, দয়া করে এই কনসেপ্টটা মোল্লার দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে সুফিগণের দৃষ্টিকোণ থেকে জানার চেষ্টা করুন, ইন শা আল্লাহ আপনার সকল প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। নারীবাদী (? এই নারীবাদী বা ফেমিনিস্ট নারীস্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে যদিও নিন্দুকেরা মজার একটি কথা বলেন। তাদের অনেকেই বলেন, "সব শেয়ালই মুরগীর স্বাধীনতা চায়। মুরগী যদি স্বাধীন না হয় তবে শেয়াল তার স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে না"। যাইহোক, নিন্দুকের কথায় আমরা কান না দিই 😀) অনেকে মানুষ প্রশ্ন তুলেন, "জান্নাতে পুরুষদের জন্য এত কিছুর ওয়াদা দেয়া হয়েছে, অথচ নারীদের জন্য সেই তুলনায় কিছু বলা হয়নি।" "এই দুনিয়াতে আমাদেরকে মদপান থেকে নিষেধ করা হয়েছে, অথচ জান্নাতে মদের নহরের ওয়াদা দেয়া হচ্ছে। এটা কেমন হয়ে গেলো না?" "অনন্ত জীবনের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, মানুষ তো বোরিং ফিল করবে একসময়"। ইত্যাদি ইত্যাদি।</span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয় ভাই ও বোনেরা! বেহেশতের সবচাইতে বড় পুরস্কার হচ্ছে,  আল্লাহ পাকের দীদার, প্রিয় নবিজির ﷺ সঙ্গ, নবির আহলে বায়ত পরিবারবর্গ, খুলাফায়ে রাশিদিন, সাহাবাগণ, নেককার আওলিয়াগনের সোহবত তাঁদের সংস্পর্শ। এটা সবচাইতে বড় পুরস্কার।  এজন্য বুখারি মুসলিমের সহিহ হাদিসে বার বার এসেছে , "যার সাথে যার ভালবাসা তার সাথে তার হাশর নাশর।" তারপর কথা হচ্ছে, প্রত্যেক বেহেশত বাসীর উপর আল্লাহ রাজি থাকবেন, রাসুল ﷺ রাজি থাকবেন, সকল পূন্যবানগন রাজি খুশি সন্তুষ্ট থাকবেন। জান্নাতবাসীরাও রাজি থাকবেন আল্লাহ পাক ও সকল বেহেশতবাসীর ওপর।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #1155cc; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হে প্রশান্ত মন,</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #1155cc; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ارْجِعِي إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #1155cc; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فَادْخُلِي فِي عِبَادِي</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #1155cc; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَادْخُلِي جَنَّتِي</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আল কুরআন ৮৯ঃ ২৭-৩০)</span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #5b0f00; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সেখানে কারো কোন অভিযোগ থাকবে না, পুরুষেরও না, নারীরও না। রুহানি ও শারিরীক, মেটেরিয়াল ইম্মেটেরিয়াল সকল চাহিদা পরিপূর্ণ থাকবে, কোন দুঃখ, আফসোস, হতাশা, ক্লান্তি, একঘেয়েমি  কিছুই থাকবে না।</span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: #45818e; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পুরুষদেরকে তো আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, তাই না? তিনি জানেন এই জাতিটার জৈবিক চাহিদার লালসা অনেক বেশি। তাই এর লোভ দেখিয়েই তিনি এই পুরুষ জাতিকে একটু ট্রেকে রাখতে চেয়েছেন। এটা মহা প্রজ্ঞাময় আল্লাহর হিকমত। কোন নারীও অভিযোগ, হতাশা ও আফসোস, ইচ্ছা অপূরণ আছে বলার সুযোগ পাবে না। </span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #741b47; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর জাহান্নামবাসী এই সকল কিছু থেকে বঞ্চিত থাকবে। তাদের জন্য সবচাইতে বড় শাস্তি হবে তারা আল্লাহ পাক, প্রিয় নবিজির ﷺ সঙ্গ, নবির আহলে বায়ত পরিবারবর্গ, খুলাফায়ে রাশিদিন, সাহাবাগণ, নেককার আওলিয়াগনের সোহবত তাঁদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবে। শারীরিক বিভিন্ন শাস্তি তো থাকবেই। </span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #351c75; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু আমাদের উলামায়ে কেরাম জান্নাত জাহান্নামের স্পিরিচুয়াল পুরস্কারের (ইম্মেটেরিয়াল পুরস্কারের) দিকটি বর্ণনা না করে,  শুধুমাত্র মেটেরিয়ালিস্টিক পুরস্কারের দিকগুলোর রগরগে বর্ণনা দেন। হুর, গেলমান, শরাবের নহর, দুধের নহর, মধুর নহর, সুমিষ্ট পানির নহর, আপেল আংগুর ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব বর্ণনা কুরআন হাদিসেই এসেছে। কিন্তু সকল গুরুত্ব এসবের উপরে দিয়ে দিলেই সমস্যা দাঁড়িয়ে যায়।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #8e7cc3; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এসব হচ্ছে শরীয়তি বা মোল্লাতান্ত্রিক ব্যাখ্যা। কিন্তু সুফিগণ জান্নাত জাহান্নামের এমন একটা স্পিরিচুয়াল ডাইমেনশন আমাদেরকে দেখান যা প্রশ্নের উর্ধ্বে।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #bf9000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই  তো আমরা দেখি যে, বিখ্যাত সুফি ইমাম হাসান আল বাসরি রাহঃ বসরাতে দরস দিতেন। হজরতে রাবেয়া বসরি রাহঃ সেই দরসে নিয়মিত অংশ নিতেন পর্দার আড়ালে থেকে। নানান প্রশ্ন করতেন। আলোচনা হত দুজনের মাঝে দ্বীন ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে। একবার বেশ কিছুদিন ধরে হজরত রাবেয়া বসরি রাহঃ দরসে আসছেন না। তাঁর কী হলো জানার জন্য ইমাম হাসান বসরি রাহঃ রাবেয়া বসরি রাহঃর বাড়িতে গেলেন। গিয়ে দেখতে পেলেন তিনি খুব অসুস্থ। প্রচন্ড জ্বর। জিজ্ঞেস করলেন, "বিবি! এত জ্বর কী কারণে হঠাৎ করে?" হজরতে রাবেয়া বসরি রাহঃ জবাব দিলেন, "আমি কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করছিলাম। জান্নাতের নিয়ামতের বিবরণ পড়ে আমার  অন্তরে জান্নাতের প্রতি প্রচন্ড লোভ পয়দা হলো। সেসময় গায়েব থেকে আওয়াজ আসলো, " হে রাবেয়া! ভালোবাসার দাবি কর আল্লাহর, আর অন্তরে জান্নাতের লোভ? এ কেমন ভালোবাসা?"</span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #783f04; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এমনকী জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়াতে তিনি এক হাতে পানি এবং অপর হাতে আগুন নিয়ে দৌড়াতে লাগলেন। কারণ জিজ্ঞেস করলে হজরত রাবেয়া বসরি রাহঃ জবাব দেন, "আমি  আগুন দিয়ে জান্নাত জ্বালিয়ে দিতে চাই এবং পানি দিয়ে জাহান্নাম নিভিয়ে দিতে চাই। কারণ, অধিকাংশ মানুষ জান্নাতের লোভে এবং জাহান্নামের ভয়েই শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করে। আল্লাহর ভালোবাসা তাদের অন্তরে থাকে না।" আমাদের সমস্যাটা এখানেই। এই "ভালোবাসা" নামক মূল বিষয়টিতে আমরা জোর দিই না। এখানে এসেই মোল্লাতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা এবং সুফিগণের চিন্তাচেতনা আলাদা হয়ে যায়। </span></div> <br /><br /><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #5b0f00; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমরা সাধারণ মানুষ, তাই যখনই জান্নাতের বর্ণনা আমাদের সামনে আসবে তখনই জান্নাতের লোভ আমাদের অন্তরে পয়দা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদেরকে আল্লাহর ভালোবাসা, প্রিয় নবিজির ﷺ ভালবাসা, নেককার পরহেজগারগণের ভালবাসার ওপরে জোর বেশি দিতে হবে। প্রেমপ্রীতির ওপর জোর বেশি দিই, বস্তুবাদের ওপর জোর কম দিই।</span></div>

জান্নাত-জাহান্নাম

"জান্নাত-জাহান্নামঃ সুফি দৃষ্টিকোণ বনাম মোল্লাতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ" ------------------------------------------- সৈয়দ গো...

Read more »