মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৬

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার সম্পৃক্ততা না থাকলে তাহলে সহীহ সনদে কার কথা আছে, এ বর্ণনা সম্পর্কে হুকুমঃ<br />গতপর্বে মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সম্পর্কে হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে দলীল  দেয়ার পর আজকে এ বিষয়ে একটা সনদ দেখবো যা সম্পূর্ন ভিন্ন।  যেখানে হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন,<br /><br />حدثني المُثَنَّى، حدثنا الحجَّاج بن المِنْهال، حدثنا حَمَّاد، عن عطاء بن السائب، عن عبد الله بن حبيب -وهو أبو عبد الرحمن السَّلَمي؛ أن عبد الرحمن بن عَوْفٍ صنع طعامًا وشرابا، فدعا نفرا من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فصلى بهم المغرب، فقرأ: قل يا أيها الكافرون. أعبد ما تعبدون. وأنتم عابدون ما أعبد. وأنا عابد ما عبدتم. لكم دينكم ولي دين. فأنزل الله، عز وجل، هذه الآية: { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ }<br />একদিন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদিন খাদ্য ও পানীয়ের আয়োজন করে একদল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষ হলে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার ইমামতিতে সকলে মাগরিবের নামায আদায় করলেন। তিনি সূরা কাফিরুন পড়তে গিয়ে أعبد ما تعبدون. وأنتم عابدون ما أعبد. وأنا عابد ما عبدتم. لكم دينكم ولي دين পড়ে ফেললেন। তখন আল্লাহ পাক এই আয়াত শরীফ নাযিল করলেন, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। (তাফসীরে তাবারী ৭/৪৬: ৯৫৭৮, তাফসীরে ইবনে মুনজির ২/৭১৯ : ১৭৯৮, তাফসীরে ইবনে কাছীর ২/৩১০)<br /><br />উক্ত বর্ণনার সনদ দেখুন,<br />حدثني المُثَنَّى، حدثنا الحجَّاج بن المِنْهال، حدثنا حَمَّاد، عن عطاء بن السائب، عن عبد الله بن حبيب -وهو أبو عبد الرحمن السَّلَمي<br />হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করছেন। আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি যে বর্ণনা শুনেছেন শুধু সেগুলোই সহীহ। এই সনদে হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করছেন। সূতরাং এ বর্ণনাই সহীহ। আর এ বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার নাম পর্যন্ত উল্লেখ নেই।<br /><br />ইমাম হযরত হাকেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুস্তাদরাকে হাকেম কিতাবে বর্ণনা করেন, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম বলেন,<br />أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ دُحَيْمٍ الشَّيْبَانِيُّ ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ الْغِفَارِيُّ ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، وَقَبِيصَةُ ، قَالاَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ دَعَانَا رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ قَبْلَ تَحْرِيمِ الْخَمْرِ فَحَضَرَتْ صَلاَةُ الْمَغْرِبِ فَتَقَدَّمَ رَجُلٌ فَقَرَأَ: قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ فَأُلْبِسَ عَلَيْهِ، فَنَزَلَتْ لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ الآية- هذا حديث صحيح ولم يخرجاه- وقال الذهبي : صحيح-<br />‘মদ হারাম হওয়ার পূর্বে জনৈক আনসার ব্যক্তি খাবারের আয়োজন করে দাওয়াত দেন । এমন সময় মাগরিবের নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়। তখন জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে যায় ও সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে যোগ-বিয়োগ করে। তখন নাজিল হয় তখন নাযিল হয় হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না’।<br />ইমাম হাকেম বলেন, হাদিসটি সহীহ। যদিও ইমাম বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেননি’। ইমাম যাহাবীও হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন’। (আল মুস্তাদরাক ২/৩৬৬ : হাদীছ ৩২৫৯)<br /><br />উপরোক্ত বর্ণনা সমূহে থেকে বোঝা যায় মূলত উক্ত নামাযে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম ইমামতি করছিলেন না বরং আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমদের মধ্যে অন্য কোন ব্যক্তি সে নামাযের ইমামতি করেন।<br /><br />পবিত্র কুরআন শরীফের কোন আয়াত শরীফ কেন নাযিল হয়েছে সে বিষয়ের উপর সর্বপ্রথম ও প্রাচীণ একখানা কিতাব “আসবাবুন নুযুল” । সে কিতাবে সূরা নিছা ৪৩ নং আয়াত শরীফ নাযিলের শানে নযূলে  সনদসহ একখানা হাদিছ শরীফে এসেছে,<br />أخبرنا أبو بكر الأصفهاني قال: أخبرنا أبو الشيخ الحافظ قال: حدثنا أبو يحيى قال: حدثنا سهل بن عثمان قال: حدثنا أبو عبد الرحمن الأفريقي قال: حدثنا عطاء، عن أبي عبد الرحمن قال: صنع عبد الرحمن بن عوف طعاما ودعا أناسا من أصحاب رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فطعموا وشربوا، وحضرت صلاة المغرب فتقدم بعض القوم فصلى بهم المغرب، فقرأ: { قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ } فلم يقمها، فأنزل الله تعالى: { يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَقْرَبُوا الصَّلاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ }<br />হযরত আবি আব্দুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খাবার তেরী করলেন এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের থেকে কয়েকজনকে দাওয়াত করলেন, উনারা খেলেন এবং পান করলেন। এসময় মাগরিবের নামাযের সময় হলো। কিছু লোক মাগরিবের নামাযের জন্য দাঁড়ালেন এবং পাঠ করলেন, (ক্বুল ইয়া আইয়ূহাল কাফিরুন) ব্যতিক্রম পড়ে ফেললেন। তখন আল্লাহ পাক নাযিল করেন, হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না যতক্ষনা তোমরা যা বলছো তা বুঝতে না পারো। [আসবাবুন নুযুল ১/১৪৬ ; লেখক: হযরত আবুল হাসান আলী ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ ইবনে আলী ওয়াহেদী নাইসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ৪৬৮ হিজরী) ]<br /><br />ভালো করে খেয়াল করে দেখেন, উক্ত হাদীছ শরীফে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক পর্যন্ত উল্লেখ নাই।<br /><br />এছাড়াও আরো কিছু সনদসহ বর্ণনা দেখবো যেখানে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার কথা মোটেও উল্লেখ করা হয়নি।<br />বিখ্যাত ইমাম হযরত হাকিম নাইসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুস্তাদরাকে অন্য স্থানে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি সনদ উল্লেখ করে এ বিষয়ে ফয়সালা দিয়েছেন। প্রথম সনদে বর্নিত আছে,<br />حدثنا أبو عبد الله محمد بن يعقوب الحافظ ثنا علي بن الحسن ثنا عبد الله بن الوليد ثنا سفيان<br /> و حدثنا أبو زكريا يحيى بن محمد العنبري ثنا أبو عبد الله البوشنجي ثنا أحمد بن حنبل ثنا وكيع ثنا سفيان عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن السلمي عن علي رضي الله عنه قال : دعانا رجل من الأنصار قبل أن تحرم الخمر فتقدم عبد الرحمن بن عوف و صلى بهم المغرب فقرأ { قل يا أيها الكافرون } فالتبس عليه فيها فنزلت : { لا تقربوا الصلاة و أنتم سكارى }<br /> هذا حديث صحيح الإسناد و لم يخرجاه وقد اختلف فيه على عطاء بن السائب من ثلاثة أوجه هذا أولها و أصحها<br />হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম বলেন, ‘জনৈক আনসার ব্যক্তি দাওয়াত দেন মদ হারাম হওয়ার পূর্বে। এমন সময় মাগরিবের সালাতের সময় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামায পড়ান এবং সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে আগ পিছ হয়ে যায়। তখন নাজিল হয় তখন নাযিল হয় হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না’।<br />ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এই হাদীছ শরীফখানার সনদ সহীহ । হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে মতবিরোধপূর্ণ তিনটি রেওয়ায়েতের সাথে এটা সম্পর্কযুক্ত নয়। বরং এটা উত্তম ও সহীহ। (মুস্তাদরাকে হাকেম : হাদীছ ৭২২০)<br /><br />প্রথম সনদে হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার সনদে বর্ণনা করেন। হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার থেকে বর্ণনা করবেন তখন বর্ণনা গ্রহনযোগ্য হবে তা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি যা ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় বলছেন।<br /><br />এরপর ২য় সনদে বর্ণিত হাদীছ শরীফে বোঝা যায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম তিনি ইমামতি করেননি। ৩য়  সনদে খালিদ ইবনে আবব্দুল্লাহ তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করছেন। অথচ ইমামগন স্পষ্ট করে দিয়েছেন হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যতীত হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করলে তা গ্রহনযোগ্যই হবে না। যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।<br />আর সে বিষয়টাই এই তৃতীয় সনদে বর্ণনা করার পর ইমাম হযরত হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br />هذه الأسانيد كلها صحيحة و الحكم لحديث سفيان الثوري فإنه أحفظ من كل من رواه عن عطاء بن السائب<br />হাদীছের প্রতিটা সনদই সহীহ কিন্তু হাদীছ সমূহের হুকুম হচ্ছে হযরত ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যা হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি থেকে বর্ণনা করেছেন তা নিরাপদ বা সংরক্ষিত। (মুস্তাদরাকে হাকেম : হাদীছ ৭২২২)<br />আর এ বিষেয়ে হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আল ইজাবু ফি বায়ানিল আসবাব” কিতাবের ২/৮৭৩ পৃষ্ঠায় বলেন,<br />أصح طرقه لأن الثوري سمع من عطاء قبل اختلاطه<br />অর্থ: ঐ সূত্র বা সনদই সহীহ যেখানে ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট হওয়ার পূর্বে শ্রবন করেছেন।”<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjW75MQc1RQPgBKUwtyJPuX-UftxqumogwARyLXZMgm0Da-yT-rZlN8g_lo01W0Vfw3rT_fHW1KapeeAqM5cAZMyceqHfGwTQ6qunhy51qDNVgO1m7DumU7P4BeslZVNRc14LJLmd1du6qL/s1600/FB_IMG_1576427303178.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="820" data-original-width="1080" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjW75MQc1RQPgBKUwtyJPuX-UftxqumogwARyLXZMgm0Da-yT-rZlN8g_lo01W0Vfw3rT_fHW1KapeeAqM5cAZMyceqHfGwTQ6qunhy51qDNVgO1m7DumU7P4BeslZVNRc14LJLmd1du6qL/s320-rw/FB_IMG_1576427303178.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সূতরাং  এ আলোচনা থেকে প্রমাণ হলো, নির্ভর যোগ্য রাবী হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা যেখান থেকে প্রমাণ হয় মদপান এবং নামায কোনটাতেই হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার বিন্দুমাত্র উপস্থিতি নেই।  হযরত সুফিয়ার ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে মুত্তাছিল সনদে যে হাদীছ এসেছে তাতে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। বরং যেসকল হাদীছ শরীফ সমূহে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে তা হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি উনার স্মরনশক্তি বিনষ্ট হওয়ার পরে বছরী রাবীদের দ্বারা বর্ণিত। তা মোটেও গ্রহনযোগ্য নয়।<br /><br />উক্ত বর্ণনার সম্পর্কে চুড়ান্ত ফয়সালা: আলোচ্য বর্ণনার সকল মতন ও সনদ সম্পর্কে বিস্তর গবেষনা করে যেটা প্রমাণ হয়েছে,<br />কোন বর্ণনায় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দাওয়াতকারী বলা হয়েছে। কোন বর্ণনায় এসেছে আনছার ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন দাওয়াত দিয়েছেন । কোন বর্ণনায় এসেছে মুহাজির ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন দাওয়াত দিয়েছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে জনৈক এক ব্যক্তি দাওয়াত দিয়েছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামাযে ইমামতি করেছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে মুহাজির ছাহাবীদের মধ্যে কেউ একজন ইমামতি করেছেন। কোন বর্ণনায় এসেছে কোন ব্যক্তিকে নামাযে এগিয়ে দেয়া হলো। কোন বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আবার কোন বর্ণনায় উনার নাম পর্যন্ত উল্লেখ নাই। অর্থাৎ মতনে বা বর্ণনাটির বক্তব্যে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে।<br /><br />একারনে সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সর্ম্পকে আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ কিতাবে ইমাম মুনজিরির বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন,<br />وَقَدْ اُخْتُلِفَ فِي إِسْنَاده وَمَتْنه<br />এর সনদ ও মতনে মতবিরোধ রয়েছে। (আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ ১০/১০৮)<br /><br />হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন    <br />قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ : لَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ ،<br />হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ দলীলযোগ্য নয়।  (তুহফাতুল আহওয়াজী শরহে জামিউত তিরমিযী ৭/৩৪৭: হাদীছ ২৯৫২)<br />এ ধরনের বর্ণনাকে মুদ্বতারিব বর্ণনা বলে। যা আক্বীদার ক্ষেত্রেতো দূরের কথা আমলের বেলায়ও দলীলযোগ্য হয়না। তাই এ বর্ণনা সমূহ কোন রেফারেন্স হিসাবেই ব্যবহার করা যাবে না। (চলবে.....)</div>

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৬

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার সম্পৃক্ততা না থাকলে তাহলে সহীহ সনদে কার কথা আছে, এ বর্ণনা সম্পর্কে হুকুমঃ গতপর্বে মদপান ...

Read more »

আওলাদে রসূল, গাউসে জমান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) থেকে দোয়া নিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZcQYNpk9qQofZzcKlXboUswLrmtqCCRRLhFs2vxl495bEUb68_MIUBbLfXpgLYwNl28Kj3qXow5Y4LyNeyYVp95IM1sgfg4ts9NWdbUHJ3PKap__3b58CycrDf2A9VIL_4fy0RAfqwrKv/s1600/safe_image.php_.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="281" data-original-width="540" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZcQYNpk9qQofZzcKlXboUswLrmtqCCRRLhFs2vxl495bEUb68_MIUBbLfXpgLYwNl28Kj3qXow5Y4LyNeyYVp95IM1sgfg4ts9NWdbUHJ3PKap__3b58CycrDf2A9VIL_4fy0RAfqwrKv/s1600-rw/safe_image.php_.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 24px 0px 14px; font-size: 19px; line-height: 29px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">আওলাদে রসূল, গাউসে জমান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)’র </strong><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল ></strong></h4><h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 24px 0px 14px; font-size: 19px; line-height: 29px; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: justify;">আওলাদে রাসূল, গাউসে জামান, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ.) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গত ১২ নভেম্বর রাত ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরে অবস্থিত আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল হুজুর কেবলার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।</h4><h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 24px 0px 14px; font-size: 19px; line-height: 29px; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: justify;">সাক্ষাতকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল হুজুর কেবলার  শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।</h4><h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 24px 0px 14px; font-size: 19px; line-height: 29px; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: justify;">এ সময় আল্লামা তাহের শাহ (মঃজিআঃ) মরহুম এ. বি. এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীও সুন্নীয়তের আদর্শ প্রচার প্রসারে এ অঞ্চলে একজন নির্ভীক কর্মী ছিলেন এবং মেয়র থাকাকালীন সময়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জলুস মাহফিলে নিরলস খেদমত করতেন বলেও মন্তব্য করেন হুজুর কেবলা।</h4><h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 24px 0px 14px; font-size: 19px; line-height: 29px; background-color: rgb(255, 255, 255); text-align: justify;">এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মঃজিঃআঃ)। সৈয়দ মুহাম্মদ হামিদ শাহ (মঃজিঃআঃ), মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, আনজুমান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন, আনজুমান ট্রাস্ট নেতৃবৃন্দ এবং পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সূফী মিজানুর রহমান প্রমুখ।</h4></div>

আওলাদে রসূল, গাউসে জমান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) থেকে দোয়া নিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

আওলাদে রসূল, গাউসে জমান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)’র  সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল > আওলাদে রাসূল, গ...

Read more »

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৪

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রদি মদপানের বর্ণনার (নাউযুবিল্লাহ) সনদগতভাবে কোন গ্রহনযোগ্যতা নেইঃ<br /><br />গত পর্বে আমরা দেখেছি মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনার প্রথম রাবীর অগ্রহযোগ্যতার প্রমাণ ।  এ বর্ণনার দ্বিতীয় রাবী হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহির অবস্থা দেখবো ।<br />যত কিতাবেই এ বর্ণনা এসেছে সব সনদে আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে একজন রাবী আছে। এ রাবী শেষ বয়সে বছরা চলে যান এবং উনার ভয়াবহ স্মৃতিবিভ্রাট ঘটে। কোন কিছুই উনার মনে থাকতো না। যে কারনে উনার সর্ম্পকে ইমামগনের রায় হচ্ছে,<br />حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ زُهَيْرٍ قَالَ : سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ : كُلُّ شَيْءٍ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ ضَعِيفٌ ، إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ ، وَسُفْيَانَ ، وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ.<br />হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মাঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সকল বর্ণনা দ্বয়ীফ শুধুমাত্র যেসকল হাদীছ শরীফ ইমাম হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন সেগুলো ব্যতীত। (মুসনাদে ইবনে জা’দ ১/১৩২: বর্ণনা নং ৮৩৭)<br /><br />وقال أبو داود: قلت لأحمد: عطاء بن السائب ـ أعني كيف حديثه؟ قال: من سمع منه بالبصرة فسماعه مضطرب<br />হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত আতা ইবনে সায়িব রহমতুল্লাহি আলাইহির বর্ণনা  সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন, উনার থেকে বছরার যারা হাদীছ শুনেছেন তারা ভ্রান্তিযুক্ত বর্ণনা শুনেছেন। (মিনহাজুল ইমাম আহমদ ফি ইলালুল হাদীছ ১/৪০৯)<br /><br />ইমাম আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br />ثم بآخره تغير حفظه، في حديثه تخاليط كثيرة<br />শেষ বয়সে উনার স্মরন শক্তি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিলো। যেকারনে উনার বর্ণনায় অনেক সংমিশ্রন দেখা যায়। (জারহু ওয়াত তাদীল ৬/৩৩৪, তাহযিবুল কামাল ২০/৯২)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdqOqy1u59Yl3PgZwx2Z1_Hnad03G603JpvVnMhHBEPj6MyXDBwoDx1mzypmrWL1ruFJzCnjQN30_7CmiUUFlrTU9bjjkqTPym5jQe71ZPlc2yNI0UFDz36srzfFI_6KbOL9z8LxsNlR5b/s1600/FB_IMG_1576346947170.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="820" data-original-width="1080" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdqOqy1u59Yl3PgZwx2Z1_Hnad03G603JpvVnMhHBEPj6MyXDBwoDx1mzypmrWL1ruFJzCnjQN30_7CmiUUFlrTU9bjjkqTPym5jQe71ZPlc2yNI0UFDz36srzfFI_6KbOL9z8LxsNlR5b/s320-rw/FB_IMG_1576346947170.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />قال أبو حاتم: "وفي حديث البصريين الذين يحدثون عنه تخاليط كثيرة لأنه قدم عليهم في آخر عمره<br />বছরার অধিবাসীদের মধ্যে যারা উনার থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন সেগুলোর মধ্যে অনেক সংমিশ্রন রয়েছে কারন এটা ছিলো উনার শেষ জীবনের। (তাহযিবুল কামাল ২০/৯২)<br /><br />من سمع منه قديماً كان صحيحاً، ومن سمع منه حديثاً لم يكن بشيء<br />উনার থেকে পূর্বে যারা শ্রবন করেছে সেগুলো ছহীহ। পরবর্তীতে যারা শ্রবন করেছে সেগুলো কোন ভিত্তিই নাই। (তাহযীবুত তাহযীব ৩/১০৪)<br /><br />হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়ে ইমামগনের যে রায় তা হচ্ছে, উনার থেকে হযরত শোবা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম হযরত সুফিয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাম্মাদ বিন সালামা রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যাতীত কারো রেওয়ায়েত গ্রহনযোগ্য নয়। উনার শেষ জীবনে স্মরনশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো এ উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্য যেসকল বর্ণনাকারীর নাম পাওয়া যায় তারা শেষ জীবনে যখন তিনি বছরায় ছিলেন তখনকার বর্ণনাকারী।  উনার জীবনীতে আরো রয়েছে শেষ বয়সে তিনি বলতেন ওমুক থেকে বর্ণনা শুনেছেন অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে উনার থেকে কোন বর্ণনাই শুনেন নাই। এ কারনে হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শেষ জীবনের কোন বর্ণনা গ্রহনযোগ্য নয় এটাই ইমামদের ঐক্যমত। (তাহযীবুত তাহযীব)<br /><br />মজার বিষয় হচ্ছে যে তিরমিযী শরীফের বর্ণনা নিয়ে বাতিল ফির্কা দলীল দিচ্ছে এরা তিরমিযী শরীফ ভালো করে পড়েও দেখেনি। যদি দেখতো তাহলে জানতে পারতো হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী অন্য একটা বর্ণনার বিবরনে কি বলেছেন,<br />وَقَدْ اخْتَلَفَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ ، قَالَ عَلِيٌّ : قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ : مَنْ سَمِعَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَدِيمًا فَسَمَاعُهُ صَحِيحٌ ، .........<br />يُقَالُ : إِنَّ عَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ كَانَ فِي آخِرِ أَمْرِهِ قَدْ سَاءَ حِفْظُهُ.<br />এ হাদিসের সনদে আতা ইবনুস সাইব রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণনার ব্যপারে হাদিস বিশারদগন ইখতিলাফ করেছেন। হযরত আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, যারা পূর্বে (বছরা গমনের আগে) আতা ইবনুস সাইব এর নিকট হাদিস শুনেছেন তাদের উক্ত শ্রবণ যথার্থ। ................. বর্ণিত আছে যে, শেষ বয়সে আতার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। (তিরমিযী ২৮১৬)<br /><br />উল্লেখ্য, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার সর্ম্পকে মদ পানের মত জঘণ্য অভিযোগ যা সুনানে তিরমিযীতের বর্ণিত সে সনদটা খেয়াল করুন,<br />حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ<br /><br />হযরত আতা ইবনে সাঈব (عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ) রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত আবি জাফর রাজী বছরী (أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ) রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করছেন। হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি শেষ বয়সে স্মৃতি নষ্ট হওয়ার পর উনার থেকে বছরী একজন রাবী হযরত আবি জাফর রাজী বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি কৃত রেওয়ায়েত কি করে গ্রহনযোগ্য হবে?  এখন আপনারাই বলুন এ বর্ণনা দলীল হিসাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে কিনা?</div>

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৪

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রদি মদপানের বর্ণনার (নাউযুবিল্লাহ) সনদগতভাবে কোন গ্রহনযোগ্যতা নেইঃ গত পর্বে আমরা দেখেছি...

Read more »

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৫

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইতিপূর্বের আলোচনা  থেকে প্রমাণ করেছি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রদি মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনার সনদ ও মতনগতভাবে কোন ভিত্তিই নাই।<br /><br />* এ পর্বে আমরা দেখবো, মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সম্পর্কে হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে দলীল:<br /><br />ইমাম হাকেম রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মদপান করে নামায পড়ার মিথ্যা অভিযোগ খন্ডন করে বিপরীতে মূল ঘটনার বিবরনে সহীহ হাদীছ (পরবর্তীতে আলোচনায় আসবে) উল্লেখ করে এ বিষয়ে সমাধান দিয়ে বলেন,<br />وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ فَائِدَةٌ كَبِيرَةٌ وَهِيَ أَنَّ الْخَوَارِجَ تَنْسُبُ هَذَا السُّكْرَ وَهَذِهِ الْقِرَاءَةَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ دُونَ غَيْرِهِ وَقَدْ بَرَّأَهُ اللهُ مِنْهَا فَإِنَّهُ رَاوِيُ الْحَدِيْثِ-<br />‘অত্র হাদিসে বহু ফায়েদা রয়েছে আর তা এই যে, খারেজীরা এই মাতলামি ও এই ক্বিরাআতে যোগ-বিয়োগ হওয়াকে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম এর দিকে সম্বন্ধ করে, অন্যের দিকে নয়। অথচ আল্লাহ তাকে এই দোষ থেকে মুক্ত করেছেন। কেননা তিনিই এই হাদিসের রাবী’। (আল মুস্তাদরাক ২/৩৬৬ : হাদীছ ৩২৫৯)<br /><br />ইলমে হাদীছ ও ইলমে উছূলে হাদীছের ইমাম হযরত ইমাম হাকেম নাঈসাবুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্য থেকে প্রমাণ হলো, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার দিকে মদপান করে নামাযে ভুল করার কথা খারেজীদের বানানো। তারা বিদ্বেষবশত অন্যের ঘটনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার দিকে সম্পর্কযুক্ত করে দেয়। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার সাথে এ ঘটনার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই তিনি শুধুমাত্র এ ঘটনার বর্ণনাকারী রাবী।<br /><br />মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনা সর্ম্পকে আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ কিতাবে ইমাম মুনজিরির বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন,<br /><br />وَقَالَ أَبُو بَكْر الْبَزَّار : وَهَذَا الْحَدِيث لَا نَعْلَمهُ يُرْوَى عَنْ عَلِيّ رَضِيَ اللَّه تَعَالَى عَنْهُ مُتَّصِل الْإِسْنَاد إِلَّا مِنْ حَدِيث عَطَاء بْن السَّائِب عَنْ أَبِي عَبْد الرَّحْمَن يَعْنِي السَّلَمِيّ ......... وَقَدْ اُخْتُلِفَ فِي إِسْنَاده وَمَتْنه ، فَأَمَّا الِاخْتِلَاف فِي إِسْنَاده فَرَوَاهُ سُفْيَان الثَّوْرِيّ وَأَبُو جَعْفَر الرَّازِيّ عَنْ عَطَاء بْن السَّائِب فَأَرْسَلُوهُ ، وَأَمَّا الِاخْتِلَاف فِي مَتْنه فَفِي كِتَاب أَبِي دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ مَا قَدَّمْنَاهُ ، وَفِي كِتَاب النَّسَائِيِّ وَأَبِي جَعْفَر النَّحَّاس أَنَّ الْمُصَلِّي بِهِمْ عَبْد الرَّحْمَن بْن عَوْف ، وَفِي كِتَاب أَبِي بَكْر الْبَزَّار أَمَرُوا رَجُلًا فَصَلَّى بِهِمْ وَلَمْ يُسَمِّهِ ، وَفِي حَدِيث غَيْره فَتَقَدَّمَ بَعْض الْقَوْم . اِنْتَهَى كَلَام الْمُنْذِرِيِّ<br />হযরত ইমাম আবু বকর বাযযার রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন এ হাদীছ হযরত আতা ইবনে সাঈব, আবু আব্দুর রহমান সুলামী ব্যতিত হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে মুত্তাছিল সনদে বর্ণিত আছে বলে আমরা জানি না। এর সনদ ও মতনে মতবিরোধ রয়েছে। আর সনদের মতবিরোধ হচ্ছে সুফিয়ান ছাওরী , আবু জাফর রাজী, আতা ইবনে সাঈব বিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণনা করেন। আর মতন বিষয়ে মতবিরোধ হচ্ছে আবু দাউদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফে যা উল্লেখ করেছি। কিতাবু নাসাঈতে হযরত আবু জাফর নাখখাস রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, নিশ্চয়ই নামায পড়িয়েছিলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু। হযরত আবু বকর বাযযার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তিকে নামায পড়তে আদেশ করা হয় কিন্তু তার নাম জানা যায় না। (আওনুল মা’বুদ শরহে সুনানে আবু দাউদ ১০/১০৮)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiCHhPooDroO99mIaORGtCV6cKOOpL0zHZTe1DRRYvM_IQZKwD3TivLD04yvrnqqw5ZXR9Kwa4bgiZRKX0OJBJx9wwUiGkpveM-uNB11mAN435lIR6ucdqWNfeQVKBBFq5sIpOObkB6q_U6/s1600/FB_IMG_1576347063386.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="820" data-original-width="1080" height="242" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiCHhPooDroO99mIaORGtCV6cKOOpL0zHZTe1DRRYvM_IQZKwD3TivLD04yvrnqqw5ZXR9Kwa4bgiZRKX0OJBJx9wwUiGkpveM-uNB11mAN435lIR6ucdqWNfeQVKBBFq5sIpOObkB6q_U6/s320-rw/FB_IMG_1576347063386.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />লা’মাযহাবী জামাতীদের অন্যতম মুরুব্বী আব্দুর রহমান মুবারকপুরী তার তিরমিযী শরীফের শরাহ তোহফাতুল আহওয়াযী কিতাবে উল্লেখ করেন,<br />قَالَ الْمُنْذِرِيُّ : وَفِي إِسْنَادِهِ عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ لَا يُعْرَفُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ وَقَدْ قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ : لَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ<br />ইমাম মুনজিরি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছের জন্য হযরত আতা ইবনে সাঈব রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যতিত অণ্য কোন সনদ দেখা যায় না। হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ হাদীছ দলীলযোগ্য নয়।  (তুহফাতুল আহওয়াজী শরহে জামিউত তিরমিযী ৭/৩৪৭: হাদীছ ২৯৫২)<br /><br />সকল লা’মাযহাবীদের ইমাম কাজী শাওকানী তার কিতাব নায়লুল আওতার কিতাবে অনেক কথাই উল্লেখ করেছে যা  আওনুল মাবুদ ও তুহফাতুল আহওয়াযী কিতাব থেকে ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি।  তাই কথাগুলোর পূনরাবিত্তী না করে মূল আকর্ষনটাই দেয়া হলো,<br /><br />وأخرج الحاكم في تفسير سورة النساء عن عطاء بن السائب عن أبي عبد الرحمن عن علي رضي الله عنه دعانا رجل من الأنصار قبل تحريم الخمر فحضرت صلاة المغرب فتقدم رجل فقرأ يا أيها الكافرون فالبس عليه فنزلت لا تقربوا الصلاة وأنتم سكارى ثم قال صحيح قال وفيهذا الحديث فائدة كبيرة وهي أن الخوارج تنسب هذا السكر وهذه القراءة إلى أمير المؤمنين علي بن أبي طالب دون غيره وقد برأه الله فإنه راوي الحديث<br />ইমাম হযরত হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে সূরা নিছার তাফসীরে হাদীছ বর্ণনা করেন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ইরশাদ করেন,  ‘জনৈক আনসার ব্যক্তি দাওয়াত দেন মদ হারাম হওয়ার পূর্বে। এমন সময় মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়। তখন জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে যায় ও সালাতে সূরা কাফিরূণ পাঠ করে। কিন্তু তাতে যোগ-বিয়োগ করে। তখন নাযিল হয় হে ঈমানদারগন তোমরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না। ইমাম হাকেম বলেন, হাদিসটি সহীহ।<br />(এরপার ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন) ‘অত্র হাদিসে বহু ফায়েদা রয়েছে। আর তা এই যে, খারেজীরা এই মাতলামি ও এই ক্বিরাআতে যোগ-বিয়োগ হওয়াকে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম এর দিকে সম্বন্ধ করে, অন্যের দিকে নয়। অথচ আল্লাহ পাক উনাকে এই দোষ থেকে মুক্ত করেছেন। আর তিনিই এই হাদিসের রাবী’ (অর্থাৎ হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম শুধুমাত্র এ হাদীছ শরীফ বর্ণনাই করেছেন তিনি না ওখানে উপস্থিত ছিলেন না নামায পড়িয়েছেন) । (নায়লুল আওতার মিন আহাদিছি সাইয়্যিদিল আখইয়ার ৯/৪২)<br /><br />কাজী শাওকানী ইমাম হাকিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উদৃতি দিয়ে স্পষ্ট বলে দিলেন, মদপান করে ভুল তেলাওয়াতের বিষয়টা খারেজিরা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার দিকে শত্রুতা ও বিদ্বেষবশত সম্বন্ধযুক্ত করে ।<br /><br />নায়লুল আওতাতের সারসংক্ষেপ বুস্তানুল আহবার মুখতাছারু নায়লুল আওতার কিতাবে ৫ম খন্ড ৩৯৯ পৃষ্ঠায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার প্রতি নিছবত করে তিরমিযী ও আবু দাউদ শরীফে যে বর্ণনা রয়েছে সে বিষয়ে বলা হয়েছে,<br />هَذَا الْحَدِيثُ وَقَدْ اُخْتُلِفَ فِي إسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ<br />ঐসকল হাদীছ শরীফে সনদ ও মতনে ইখতিলাফ রয়েছে।”<br /><br />উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণ হলো, তিরমিযী শরীফ ও আবু দাউদ শরীফের বর্ণনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার প্রতি যে তোহমত রয়েছে তা সনদ ও মতনগতভাবে অগ্রহনযোগ্য। এ বর্ণনা দলীল হিসাবে উপস্থপনযোগই না। বরং এ বর্ণনায় খারেজীরা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু  আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক যুক্ত করে শান মান খাটো করার জন্য উনার প্রতি অভিযোগ আরোপ করে। ( চলবে.....)</div>

মিজান আজহারীর হজরত আলীর মদ খাওয়ার ভিত্তিহীন বক্তব্যের জবাব -৫

ইতিপূর্বের আলোচনা  থেকে প্রমাণ করেছি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রদি মদপান সংশ্লিষ্ট বর্ণনার সনদ ও মতনগতভাবে কোন ভি...

Read more »