আন নবী আল উম্মী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div align="left"> <div dir="ltr"> </div> <ol> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/08/blog-post_66.html">'উম্মী' শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য</a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/05/blog-post_947.html">আমাদের নবী কি অক্ষর জ্ঞান হীন ছিলেন?</a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/05/blog-post_979.html">উম্মী শব্দের অর্থ কি? উম্মি মানে সৃষ্টিকুলের সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস: অক্ষরজ্ঞানহীন নয়।</a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/03/blog-post_30.html">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি সত্যি নিরক্ষর ছিলেন?</a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/03/blog-post_87.html">নাবিয়্যুল উম্মী</a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/04/by-mufti-abul-kashem-faz.html">আন নবী আল উম্মী (ﷺ) শব্দের দলিলভিত্তিক ব্যাখ্যা </a></b></b></li> <li><b style="font-size: 1.25em;"><b><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/02/nabi-al-ummi.html">নবী আল-উম্মী (ﷺ) এর ব্যাখ্যা। (Nabi Al-Ummi)</a></b></b></li> </ol> <div dir="ltr"> </div> </div> <div align="left"> <div dir="ltr"> </div> </div> </div>

আন নবী আল উম্মী

'উম্মী' শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য আমাদের নবী কি অক্ষর জ্ঞান হীন ছিলেন? উম্মী শব্দের অর্থ কি? উম্মি মানে সৃষ্টিকুলের সকল জ্ঞান-বিজ...

Read more »

কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা [মাসায়েল ও প্রশ্নোত্তর]

<p dir="ltr">প্রশ্নঃ <b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_37.html">রাসূল (ﷺ) সৃষ্টির প্রথম হলেও অন্যান্য নবীগণের পরে পাঠানো হলো কেন?</a></b></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_13.html">মুসলিম মৃত ব্যক্তির কাযা/অনাদায়ী ফরয নামাযের ও ফরয রোযার বিধান কি? </a></b></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_15.html"><b>সন্তানকে তিনটি বিষয় শিক্ষা দেয়ার কথা শুনেছি, তবে কোন্ তিনটি বিষয়ের কথা নবীজি বলেছেন?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_39.html"><b>সুন্নী আক্বিদায় বিশ্বাসী পীরের হাতে বায়আত হয়ে অন্য পীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া যাবে কিনা</b></a>?</p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_98.html"><b>যদি কোন ছেলে ও মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোর্ট-এ গিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ্ করে তখন এ বিবাহ শুদ্ধ হবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_51.html"><b>প্রশ্নঃ স্বামী-স্ত্রীকে রাগ করে বা মাদক নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য সেবন করে তালাক দিলে তালাক হবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_67.html"><b>পূর্বের স্বামীর তালাক ব্যতীত বিবাহ করলে এই বিবাহ কতটুকু শরীয়ত সম্মত?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_66.html"><b>প্রশ্নঃ বিধর্মীদের পূজা পর্বসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া মুসলমানের জন্য জায়েয কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_82.html"><b>প্রশ্নঃ আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_26.html"><b>প্রশ্নঃ রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_28.html"><b>প্রশ্নঃ মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_24.html"><b>কেয়ামতের পূর্বে বড় বড় আলামত সমূহ কি? পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_9.html"><b>প্রশ্নঃ স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা কতটুকু এবং স্বামীর নিকট স্ত্রীর মর্যাদা কতটুকু?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_67.html"><b>পূর্বের স্বামীর তালাক ব্যতীত বিবাহ করলে এই বিবাহ কতটুকু শরীয়ত সম্মত?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_66.html"><b>প্রশ্নঃ বিধর্মীদের পূজা পর্বসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া মুসলমানের জন্য জায়েয কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_82.html"><b>প্রশ্নঃ আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_26.html"><b>প্রশ্নঃ রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_28.html"><b>প্রশ্নঃ মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_24.html"><b>কেয়ামতের পূর্বে বড় বড় আলামত সমূহ কি? পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি?</b></a></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_9.html">প্রশ্নঃ স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা কতটুকু এবং স্বামীর নিকট স্ত্রীর মর্যাদা কতটুকু?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_75.html">প্রশ্নঃ অমুসলিম মেয়েকে বিবাহ্ করা জায়েয কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_94.html">পাগড়ী পরে নামায আদায় করা কোন কোন নামাযের জন্য নির্দিষ্ট</a></b>? </p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_35.html">ইমাম সাহেব যদি সব সময় মাকরূহ সহকারে নামায আদায় করেন, তার নামায শুদ্ধ হবে কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_86.html">প্রশ্নঃ নামাযের কাতারে একে অপরের মধ্যে কতটুকু ফাঁকা রাখা দরকার?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_63.html">প্রশ্নঃ নারী-পুরুষ এক সাথে জামাআত আদায় করা যাবে কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_49.html"><b>প্রশ্নঃ মোবাইলে পবিত্র ক্বোরআন শরীফ, হাদীস শরীফ থাকলে সাথে নিয়ে পায়খানা-প্রস্রাবখানায় যাওয়া যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_20.html"><b>প্রশ্নঃ আপন-ভাতিজা ও ভাগিনার বউ এবং আপন চাচী/মামী- তারা কি মোহরেম না কি গায়রে মোহরেম?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_50.html"><b>প্রশ্নঃ একই ব্যক্তির একাধিকবার জানাযার নামায পড়া</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_40.html"><b>প্রশ্নঃ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর স্বামীর ঘরে থাকা যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_19.html"><b>প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির কবরে কলেমা বা দো’আ যা বরকতের আহাদনামা দেয়া যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_99.html"><b>প্রশ্নঃ ইল্লাল্লাহ্ জিকির করা যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_99.html">প্রশ্নঃ ইল্লাল্লাহ্ জিকির করা যাবে কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_65.html">প্রশ্নঃ ব্যাংকে ‘এফ.ডি.আর’ করেছে মসজিদ কমিটি। এফ.ডি.আর.’ হতে প্রতি মাসে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদের খাদেমদের মাসিক সম্মানি এবং মসজিদের অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা জায়েয হবে কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_11.html">প্রশ্নঃ জামাতের সময় মুসল্লিগণ কখন দাঁড়াবেন?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_57.html">প্রশ্নঃ ফরজ নামায জমাতসহকারে আদায হওয়ার পর ইমাম সাহেব মুসল্লিদেরকে সাথে নিয়ে মুনাজাত করা জায়েয কিনা?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_55.html">প্রশ্নঃ নাভীর নিচের লোম কাটার বা মুন্ডানোর সীমা কতটুকু ও মেয়াদ কতদিন</a></b>?</p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_93.html">প্রশ্নঃ জানাযা পড়ার জন্য লাশ নেয়ার সময় যে দরূদ শরীফ পাঠ করি তা কেউ সম্পূর্ণ পাঠ করি না। এ পদ্ধতি ঠিক আছে কি না?</a></b></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_27.html"><b>প্রশ্নঃ শয়তানের ফিতনা/বিভ্রান্ত হতে বাঁচার দো’আ</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_68.html"><b>আমাদের মসজিদের মেহরাবের বাম পাশে একটি দরজা করে ছোট একটি রুম করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির লাশ রাখার জন্য</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_46.html"><b>নিজের জীবদ্দশায় নিজের জন্য ‘ঈসালে সাওয়াব’ করা যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_33.html"><b>আমার এক সহপাঠির সাথে আক্বিদা সম্পর্কিত বিতর্কের এক পর্যায়ে সে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_79.html"><b>প্রায় শত বছর আগের মসজিদকে প্রতিষ্ঠাতার ওয়ারিশগণকে না জানিয়ে ও অনুমতি না নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে এবং মসজিদের তলাকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে</b></a></p> <p dir="ltr">প্রশ্নঃ <a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_17.html"><b>কবরের পাশে ক্বোরআন তেলাওয়াত ও জিয়ারতের হুকুম কি?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_87.html"><b>ইদানিং কিছু ইমামকে দেখা যায় নামাযে পাগড়ী না বেঁধে রুমালকে মহিলার ঘোমটার ন্যায় দুই পাশে ঝুলিয়ে দেয়।</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_32.html"><b>প্রশ্নঃ শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। বিভিন্ন পন্থায় শয়তান প্ররোচনা দেয়। শয়তানের প্ররোচনা হতে বাঁচার উপায় জানিয়ে ধন্য করবেন।</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_6.html"><b>প্রশ্নঃ নবী করীমের সঠিক ওফাত দিবস কত তারিখে?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_77.html"><b>প্রশ্নঃ শরীয়তের আলোকে মহিলাদের জন্য পুরুষদের সাথে জামাতে অংশগ্রহণ বৈধ কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_76.html"><b>প্রশ্নঃ পপুরাতন মসজিদের জায়গায় অযুখানা করা যাবে কিনা?</b></a></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_0.html">প্রশ্নঃ রাসূল (ﷺ)-এর বেলাদত শরীফ বা জন্ম মোবারক কি সাধারণ মানুষের মত ছিল?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_96.html">প্রশ্নঃ কবরবাসীরা কি সাধারণ মানুষের সালামের জবাব দিতে পারেন?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_53.html">প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতো না, এ হাদীসটি সত্য কি না?</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_91.html">প্রশ্নঃ রসূল (ﷺ) এর উসীলায় সবকিছু সৃষ্টি!</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_48.html">প্রশ্নঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পরিচিতি</a></b></p> <p dir="ltr"><b><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_70.html">প্রশ্নঃ মিলাদুন্নবী আর সিরাতুন্নবী এর মধ্যে পার্থক্য কী?</a></b></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_29.html"><b>প্রশ্নঃ মাদরসার নামে যাকাত ফিতরা এবং কোরবানির চামড়ার টাকা সংগ্রহ</b></a></p> <p dir="ltr"><a href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2019/12/blog-post_84.html"><b>প্রশ্নঃ নামাযে দু’পায়ের মাঝখানে কতটুকু ফাঁকা রেখে দাঁড়াতে হবে?</b></a></p>

কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা [মাসায়েল ও প্রশ্নোত্তর]

প্রশ্নঃ রাসূল (ﷺ) সৃষ্টির প্রথম হলেও অন্যান্য নবীগণের পরে পাঠানো হলো কেন? প্রশ্নঃ মুসলিম মৃত ব্যক্তির কাযা/অনাদায়ী ফরয নামাযের ও ফরয রোযার ...

Read more »

রাসূল (ﷺ) সৃষ্টির প্রথম হলেও অন্যান্য নবীগণের পরে পাঠানো হলো কেন?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-b0621cc9-7fff-c1a3-eff0-cfc8b38cfa03"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-b0621cc9-7fff-c1a3-eff0-cfc8b38cfa03"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-b0621cc9-7fff-c1a3-eff0-cfc8b38cfa03"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ রায়হান উদ্দীন</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🔴প্রশ্নঃ🔴 আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) সৃষ্টির প্রথম হলে হযরত আদম (عليه السلام) এবং অন্যান্য নবীগণের পরে পাঠানো হলো কেন?</span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> রহস্যটা জানালে উপকৃত হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন প্রিয়নবী আকা ও মাওলা সরকারে দু‘আলম হুযূর পুরনূর রাহমাতুল্লিল আলামীন (ﷺ)কে অসংখ্য-অগণিত সম্মান ও পবিত্র গুণাবলী দ্বারা সম্মানীত করেছেন। তন্মধ্যে তাঁর মহান একটি শান হল তিনি খাতামুন্নবীয়্যীন অর্থাৎ সর্বশেষ নবী যাঁর পরে কিয়ামতের পূর্ব মহূর্ত পর্যন্ত আর কোন নবী- নতুন কোন দ্বীন বা শরীয়ত নিয়ে আসবেন না। এ ব্যাপারে আবু দাউদ শরীফে উল্লেখ রয়েছে। প্রিয়নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انا خَاتَمُ النبيين لا نبىَّ بعدى- (ابوداؤد شريف- كتاب الفتن)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোন নবী আসবেন না। [আবু দাউদ শরীফ, কিতাবুল ফেতান] সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, প্রিয়নবী হুযূর পুরনুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انا اول النبيين فى الخلقِ واخِرُهُمْ فى البعث-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি সৃষ্টির দিক থেকে সমস্ত নবীর মধ্যে প্রথম এবং পৃথিবীতে আগমনের দিক থেকে (তাঁদের মধ্যে) সর্বশেষ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কৃত : ইমাম জালাল উদ্দীন সূয়ুতী (رحمة الله) (খাসায়েসে কুবরা ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩] অপর এক হাদিসে রাসূলে মাকবুল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انا اخِرُ الاَنْبِيَاءِ واَنتُمْ اَخِرُ الاُمَمِ- (ابن ماجة)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমি শেষ নবী এবং তোমরা (উম্মতে মুহাম্মদী) শেষ উম্মত। [ইবনে মাজাহ্ শরীফ] আলিমকুল শিরোমণি শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) তাঁর বিখ্যাত ‘মাদারিজুন নবুয়্যত’ কিতাবের ভূমিকায় পবিত্র কুরআনের সূরা হাদীদ’র এই আয়াত উল্লেখ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هو الاولُ والاخرُ والظاهِرُ والباطنُ وهو بكل شئ عليم-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনি প্রকাশ্য, তিনিই গোপন এবং তিনিই সব কিছু জানেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা হাদীদ: আয়াত -৩] এতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের হামদ্ এবং সাথে সাথে মাহবুবে খোদা হুযূর পুরনুর মুহাম্মদ মুস্তাফা আহমদ মোজতবা (ﷺ)-এর না’ত বা প্রশংসা বিদ্যমান তথা এই পাঁচটি গুণ হুযূরের বেলায়ও প্রযোজ্য।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তিনি (রাসুলে পাক (ﷺ) প্রথম সৃষ্টি আর পৃথিবীতে আগমনের দিক দিয়ে সর্বশেষ নবী। তাঁর অনেক মুজেজাত ও আল্লাহ্ প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতা সমূহ সকলের সামনে প্রকাশ্য ও অনেক মুজেজাত ও শান-মান গোপনীয় এবং তিনি (আঁ হযরত দ.) আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা বলে সৃষ্টির সব কিছু সম্পর্কে জ্ঞাত। আর মহান আল্লাহ্ এ সবগুণে গুণান্বীত নিজস্ব ও জাতী ক্ষমতা বলে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত আয়াতে করীমা ও হাদিসে পাক হতে প্রতীয়মান যে প্রিয়নবী হুযূর পাক (ﷺ)-এর সৃষ্টি সবার পূর্বে/প্রথম এবং দুুনিয়ায় আগমন সবার শেষে। তাই কিয়ামত পর্যন্ত একমাত্র আমাদের প্রিয়নবীর কলেমা, দ্বীন ও শরীয়ত বলবৎ থাকবে। প্রিয়নবী (ﷺ)কে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে মহান রাব্বুল আলামীনের মর্জি মোতাবেক সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে সকল নবীর পরে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর সকল নবী-রাসূল যুগে যুগে পৃথিবীবাসীর নিকট আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ)-এর আগমনী বার্তা এবং আমাদের নবীর শান-মান ও মহান মর্যাদা স্বীয় উম্মতের মাঝে প্রচার করেছেন। তদুপরি আমরা শেষ জমানার গুনাহগার</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উম্মতের কিসমত/ভাগ্যকে বুলন্দ ও মূল্যবান করার জন্য এবং আমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে মর্যাদাবান করার জন্য আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা প্রিয়নবী আক্বা ও মাওলা হযরত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে সকল সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টি করে সমস্ত নবীর পরে প্রেরণ করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ে অনেক রহস্য রয়েছে- যা মাসিক তরজুমান ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) তথা রবিউল আউয়ালের বিগত সংখ্যা সমূহে প্রশ্নোত্তর বিভাগ ও বিভিন্ন প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[খাসায়েসে কুবরা ও খাসায়েসে সুগরা কৃত: ইমাম সূয়ুতী (রাহ.) ও শেখ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাহ.): কতৃক রচিত মাদারিজুন্নবুয়্যত ইত্যাদি]</span></p>

রাসূল (ﷺ) সৃষ্টির প্রথম হলেও অন্যান্য নবীগণের পরে পাঠানো হলো কেন?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ রায়হান উদ্দীন অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ...

Read more »

মুসলিম মৃত ব্যক্তির কাযা/অনাদায়ী ফরয নামাযের ও ফরয রোযার বিধান কি? জানালে উপকৃত হব।

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-91ae6364-7fff-550f-5d31-94d333085e72"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-91ae6364-7fff-550f-5d31-94d333085e72"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-91ae6364-7fff-550f-5d31-94d333085e72"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ মিযানুর রহমান ও মাহবুব এলাহী</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হালিশহর, বন্দর, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 আমরা জানি, পঞ্জেগানা নামায ও রমজানের ফরয রোযা এমন ইবাদত যা প্রত্যেক বালেগ-বালেগা নারী-পুরুষের আদায় করা অপরিহার্য বিষয়। অনেক মুসলিম নর-নারী ফরয নামায-রোযা আদায় না করে মারা যায়। সুতরাং </span><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুসলিম মৃত ব্যক্তির কাযা/অনাদায়ী ফরয নামাযের ও ফরয রোযার বিধান কি? জানালে উপকৃত হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: পঞ্জেগানা নামায ও রমজানের ফরয রোযা এমন ইবাদত যা প্রাপ্ত বয়স্ক সকল মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয। যদি কারো জিম্মায় ফরয নামায ও ফরয রোযা অনাদায়ী থাকে এবং এমতাবস্থায় সে মৃত্যু বরণ করে, অসিয়ত করে থাকলে এবং সম্পদ রেখে গেলে পরিত্যক্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দ্বারা গরীব-মিসকিন, অসহায় ব্যক্তিকে বিতিরের নামায সহ দৈনিক ছয় ওয়াক্ত নামায হিসাব করে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অর্ধ ‘সা’ তথা ২ কেজি ৫০ গ্রাম পরিমাণ গম বা তার মূল্য সদকা তথা নামাযের ফিদয়া বা কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক ফরয রোযার ফিদয়া বা কাফফারাও প্রতি ওয়াক্ত নামাযের অনুরূপ। মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ যদি নামায রোযার ফিদয়ার জন্য যথেষ্ট না হয় বা ওয়ারিশগণের পক্ষে অসম্ভব হয় তবে কমপক্ষে এক ওয়াক্ত নামায বা একটি ফরয রোযার ফিদয়া অথবা যতটুকু সম্ভব তা নির্ধারণ ও হিসেব করে ফকির-মিসকিনকে মৃত ব্যক্তির পক্ষে প্রদান করবে এবং ফকির-মিসকিন তা গ্রহণ করে ফিদয়া/কাফ্ফারা দাতাকে হেবা করবে তারপর মিসকিনকে পুনরায় দেবে- ফকির/মিসকিন তা গ্রহণ পূর্বক পুনরায় ফিদয়া/কাফ্ফারা দাতাকে হেবা করবে। এভাবে একে অপরের মধ্যে আদান-প্রদান করতে থাকবে যতক্ষণ না সব কাফ্ফারা বা ফিদয়া আদায় হয়। যেমন হানাফী মাজহাবের বিখ্যাত ফিকহের কিতাব ‘দুররে মুখতারে’ উল্লেখ রয়েছে-</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لومات وعليه صلواة فائتة واوصى بالكفارة يعطى لكل صلواة نصف صاع من بر كالفطرة كذا حكم الوترو الصوم وانما يعطى من ثلاث ماله ولو لم يترك مالا يستفرض وارثه نصف صاع مثلا ويدفعه للفقير ثم يدفعه الفقير للوارث ثم وثم حتى يتم- الخ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আর মৃত ব্যক্তি যদি ধন-সম্পদ রেখে যায় এবং নামায ও রোযার কাফ্ফারা/ফিদয়া আদায়ের জন্য অসিয়ত করে তখন অলি ও ওয়ারিশের উপর একান্ত কর্তব্য মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হতে তার অনাদায়ী ফরয নামায ও রোযা সমূহের হিসাব করে বিতরসহ প্রতি ওয়াক্ত নামায ও ফরয রোযার জন্য এক ফিতরা সমতুল্য গম বা গমের মূল্য ফিদয়া মিসকিনকে সদকা করবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কোন সম্পদ রেখে না যায় এবং অলি ওয়ারেছের সামর্থও না থাকে তখন এক ওয়াক্ত বা একটি রোযার ফিদয়া কর্জ নিয়ে ফকিরকে উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে আদান-প্রদান করবে যেন অনাদায়ী সব ফরয নামায ও রোযার ফিদয়া/কাফ্ফারা আদায় হয়ে যায়। এবং পরওয়ার দিগার আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে ঐ ব্যক্তির মাগফিরাত-এর জন্য দু‘আ-ফরিয়াদ করবে। এটা ইসলামী শরীয়তের বিধান মৃত ব্যক্তির অনাদায়ী ফরয নামায ও রোযার কাফ্ফারা আদায়ের। এভাবে আদায় করলে এবং মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ-ফরিয়াদ করলে আশা করি তার গুনাহ আল্লাহ্ তা‘আলা মাফ করে দেবেন। যেহেতু আল্লাহ্ পরম দয়াবান, ক্ষমাশীল এবং অতিব মেহেরবান। (এটাই শুদ্ধ নিয়ম।)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আদ্ দুররে মুখতার ইমাম আলাউদ্দীন খাসকাপি হানাফী (رحمة الله) ইত্যাদি]</span></p>

মুসলিম মৃত ব্যক্তির কাযা/অনাদায়ী ফরয নামাযের ও ফরয রোযার বিধান কি? জানালে উপকৃত হব।

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ মিযানুর রহমান ও মাহবুব এলাহী হালিশহর, বন্দর, চট্টগ...

Read more »

সন্তানকে তিনটি বিষয় শিক্ষা দেয়ার কথা শুনেছি, তবে কোন্ তিনটি বিষয়ের কথা নবীজি বলেছেন?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ef650f87-7fff-dde0-a5d0-a407602e608c"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ef650f87-7fff-dde0-a5d0-a407602e608c"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-ef650f87-7fff-dde0-a5d0-a407602e608c"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ মিযানুর রহমান</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ছাত্র- জামেযা আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 সন্তানকে তিনটি বিষয় শিক্ষা দেয়ার কথা শুনেছি, তবে কোন্ তিনটি বিষয়ের কথা নবীজি বলেছেন? হাদীসের উদ্ধৃত সহকারে জানালে কৃতজ্ঞ হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: প্রতিটি হাদিসের কিতাবে শিষ্ঠাচারের একটি অধ্যায় বিদ্যমান। প্রিয়নবী রাসূলে পাক (ﷺ) তাঁর উম্মতের জীবন-যাপন, আখলাক ও চলা-ফেরা ইত্যাদি যাতে সুন্দর হয় সে লক্ষ্যে অসংখ্য শিষ্ঠাচার ও আদব কায়দা শিক্ষা দিয়েছেন। প্রিয়নবী (ﷺ) স্বীয় উম্মতদেরকে নিজ নিজ সন্তানদের ব্যাপারে তালিম তথা শিক্ষা/শিষ্ঠাচার সংক্রান্ত বহু হাদিসে পাকে তিনটি বিষয়ে শিক্ষাদানের কথা উল্লেখ করেছেন। বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ দায়লামী শরীফে রাসূলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اُدِبُوا اولادكم على ثلاث خصال حب نبيكم وحب اهل بيته وعلى قراة القران اوكما قال عليه الصلوة والسلام-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্র্থাৎ প্রিয়নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে তিনটি বিষয়ে আদব শিক্ষা দাও। তোমাদের প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসা, তাঁর (নবীজির) আহলে বায়ত তথা পরিবার ও বংশধরের প্রতি ভালোবাসা এবং ক্বোরআন মজীদ তেলাওয়াত শিক্ষা দাও।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[দায়লামী শরীফ] উপরোক্ত হাদিস প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম জালাল উদ্দীন সূয়ুতী (رحمة الله) তাঁর রচিত ‘আল জামেঊস সগীরে’ও বর্ণনা করেছেন।</span></p>

সন্তানকে তিনটি বিষয় শিক্ষা দেয়ার কথা শুনেছি, তবে কোন্ তিনটি বিষয়ের কথা নবীজি বলেছেন?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ মিযানুর রহমান ছাত্র- জামেযা আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া...

Read more »

সুন্নী আক্বিদায় বিশ্বাসী পীরের হাতে বায়আত হয়ে অন্য পীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া যাবে কিনা

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-4be164b6-7fff-4f44-3328-1378c5fb43d4"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-4be164b6-7fff-4f44-3328-1378c5fb43d4"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-4be164b6-7fff-4f44-3328-1378c5fb43d4"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 সুন্নী আক্বিদায় বিশ্বাসী পীরের হাতে বায়আত হয়ে অন্য পীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া যাবে কিনা এবং ওই পীরের সবক আদায় করা যাবে কিনা- জানালে উপকৃত হব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: সুন্নী আক্বিদায় বিশ্বাসী যোগ্য পীরের হাতে মুরীদ হয়ে স্বীয় পীরের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা ও অনুগত্য ঠিক রেখে অন্য সুন্নী পীরের সংস্পর্শে যাওয়া এবং ওই হক্কানী পীরের যে কোন ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে অসুবিধা নেই। কিন্তু নিজ পীর-মুর্শিদ যোগ্য ও কামিল হওয়া সত্ত্বেও স্বীয় পীরের জীবদ্দশায় অন্য পীরের কাছে বায়আত হওয়া বা নিজ পীরের সবক বাদ দিয়ে অন্য পীরের সবক আদায় করা পীর বা তরীকা নিয়ে খেল-তামাশা করার নামান্তর। এতে তরীকতের প্রকৃত বরকত অর্জন করা সম্ভব হয় না। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ হযরত শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) তাঁর ‘আল্ ক্বাওলুল জামীল’ গ্রন্থে লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">واما بلاعذر فانّه يشبه المتلاعب ويذهب بالبركة ويصرف قلوب الشيوخ عن تَعَهِده-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ (শরীয়ত ও তরীকতের কোন যৌক্তিক) কারণ ব্যতীত নিজ পীর-মুর্শিদ ব্যতীত অন্য পীরের হাতে বায়আত হওয়া খেলা-তামাশার নামান্তর। এতে বায়আতের প্রকৃত বরকত লোপ পায় এবং স্বীয় পীর মুর্শিদের রূহানী শিক্ষা-দীক্ষা বা সুনজর মুরীদের উপর থাকে না। [আল্ ক্বাওলুল জমীল] হ্যাঁ যদি পীর বাতিল মতাদর্শী হয় বা পীর হওয়ার অযোগ্য এবং ইলম-আমলের দিক দিয়ে ভণ্ড হয় তখন অবগত হওয়ার পর এরকম ভণ্ড পীর তৎক্ষণাৎ বর্জন করে হক্কানী রব্বানী সুন্নী পীর মুর্শিদের হাতে বায়আত গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নতুবা ভণ্ড পীর মুরিদকেও জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। আর স্বীয় সুন্নী হক্কানী পীরের ইন্তিকালের পরে বরকত লাভের আশায় অন্য হক্কানী মুর্শিদের নিকট বায়আত গ্রহণে অসুবিধা নেই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ক্বাওলুল জামীল কৃত: শাহ্ অলিউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভী রাহ. ও ফতোয়ায়ে আফ্রিকা কৃত: ইমাম আলা হযরত শাহ্ আহমদ রেযা রাহ. পৃ. ৩১] সাবধান! বর্তমান ফিতনা ফ্যাসাদের যুগে ভণ্ডামী ও প্রতারণার শেষ নেই। শরীয়ত-তরীকত নিয়ে ফিতনা-ফ্যাসাদ আরো বেশী। প্রতারক ও ভণ্ডদের খপ্পর ও চক্রান্ত হতে রক্ষা পাওয়া বড়ই মুশকিল। বদ আক্বিদা মার্কা নামধারী পীর যারা নবী-অলির শান-মানে বেয়াদবী ও কটূক্তি করে এবং ফাসিক মার্কা নামধারী পীর যারা নামায-রোযার তোয়াক্কা করে না ও ইসলামী শরিয়তের বিধি-বিধান অনুসরণ করে না-তাদের হাতে মুরিদ হওয়ার অর্থ ইবলিস শয়তানের হাতে মুরিদ হওয়া।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর কামিল পীরের বৈশিষ্ট্য হল আক্বিদাও সহীহ। আমল তথা নামায রোযা ও ইসলামী শরীয়তের বিধি বিধান পালনে নিজেও মজবুত স্বীয় মুরিদানের প্রতি ও এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ প্রদান করেন আর স্বীয় তরীকতের সাজরা ও সিলসিলাও সহীহ। বাতিলপন্থি মাঝখানে কেউ নেই। এ ধরনের মজবুত কামিল সুন্নি পীরের হাতে মুরিদ হওয়া সুন্নাত ও নেজাতের উসিলা আর ভণ্ড পীরের হাতে মুরিদ হওয়া হারাম।</span></p>

সুন্নী আক্বিদায় বিশ্বাসী পীরের হাতে বায়আত হয়ে অন্য পীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়া যাবে কিনা

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।  🔴প্রশ্নঃ...

Read more »

যদি কোন ছেলে ও মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোর্ট-এ গিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ্ করে তখন এ বিবাহ শুদ্ধ হবে কিনা?

<br id="docs-internal-guid-8fd96936-7fff-da5b-9e91-d2b9268fd5e0"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: rgb(255, 0, 0); font-family: Arial; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ আবু তাহের</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শিবের হাট, সন্দীপ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🔴প্রশ্নঃ🔴 যদি কোন ছেলে ও মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোর্ট-এ গিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ্ করে তখন এ বিবাহ শুদ্ধ হবে কিনা? এমতাবস্থায় উকিলগণ শুধু স্বাক্ষীর মাধ্যমে বিবাহ্ দিয়ে থাকেন। কোন মাওলানা/হুজুরকে আনা হয় না। তখন কি বিবাহ্ শুদ্ধ হবে? নাকি হুযূর এর মাধ্যমে পুনরায় বিবাহ্ দিতে হবে। বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: ছেলে মেয়ে যদি বালেগ-বালেগা (প্রাপ্ত বয়স্ক) হয় তখন মা-বাবা অথবা অভিভাবকের অনুমতি ও সম্মতি ছাড়া উভয়ের সম্মতিতে কোর্ট-এ গিয়ে উকিল কর্তৃক রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে আকদ/বিবাহের আয়োজন করে এবং সেখানে যদি কমপক্ষে দু’জন মুসলিম বালেগ ও সুস্থমস্তিস্কের অধিকারী পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দু’জন মুসলিম সুস্থ বালেগা মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকে তখন ইজাব-কবুলের মাধ্যমে উভয়ের বিবাহ্/নেকাহ্ ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী শুদ্ধ/সহীহ হয়ে যাবে। তবে মা-বাবা ও অভিভাবকের অন্তরে কষ্ট দেয়া হারাম ও অশোভনীয়। সুতরাং তাদের সম্মতিতে বিবাহ্ করা অতীব উত্তম ও মঙ্গলময়। আক্বদ/বিবাহ্ েবুজর্গ আলেম ও হুযূরের উপস্থিতি অনেক উত্তম। যেহেতু অনেকেই বিবাহের খোতবা পাঠ, ইজাব-কবুলের শুদ্ধ নিয়ম ও দু‘আ মুনাজাত ভালোভাবে জানে না। তবে হুজুরের উপস্থিতি শর্ত নয়। অবশ্যই সাক্ষীদের উপস্থিতি বিবাহ্ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[শরহে বেকায়া ও হেদায়া-নেকাহ্/বিবাহ অধ্যায়]</span></p>

যদি কোন ছেলে ও মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোর্ট-এ গিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহ্ করে তখন এ বিবাহ শুদ্ধ হবে কিনা?

  [কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ আবু তাহের শিবের হাট, সন্দীপ 🔴প্রশ্নঃ🔴 যদি কোন ...

Read more »

প্রশ্নঃ স্বামী-স্ত্রীকে রাগ করে বা মাদক নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য সেবন করে তালাক দিলে তালাক হবে কিনা?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-6c013951-7fff-889d-8e4a-e1082e188c85"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-6c013951-7fff-889d-8e4a-e1082e188c85"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রুয়া, কুমিল্লা।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-b7a72d9e-7fff-1f1c-af54-3773009f6d78"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🔴প্রশ্নঃ🔴 স্বামী-স্ত্রীকে রাগ করে বা মাদক নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য সেবন করে তালাক দিলে তালাক হবে কিনা? ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক উত্তর দানে বাধিত করার নিবেদন রইল।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে তর্কের এক পর্যায়ে স্বামী রাগান্বিত হয়ে রাগের প্রথম স্তরে এবং শরাব-মদ-নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে নেশার প্রাথমিক অবস্থায় যখন স্বামীর হুশ-বুদ্ধি ও আকল বিবেক সব ঠিক থাকে তখন স্ত্রীকে তালাক প্রদান করলে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। শরহে বেকায়া ও আদ্দুররুল মোখতারসহ প্রায় ফিকহের কিতাবে তালাক অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে- طلق الغضبان يقع অর্থাৎ রাগান্বিত ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয়ে যায়। আরো উল্লেখ করা হয়েছে- طلق السكران يقع অর্থাৎ নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয়ে যায়। তবে রাগান্বিত ব্যক্তির রাগ এবং নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির নেশা ও মাতলামী যদি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় যখন হুশ বুদ্ধি স্থির থাকে না লোপ পায়, কি বলতে কি বলেছে? কিছুই জানে না এবং তাঁর থেকে অস্বাভাবিক অবস্থা পরিলক্ষিত হয় তখন ফোকাহায়ে কেরামের মতে উক্ত ব্যক্তির তালাক ও অন্যান্য লেনদেন ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক গ্রহণযোগ্য হয় না। এটাই ইসলামী শরীয়তের ফতোয়া ও ফায়সালা। উল্লেখ্য, চরম রাগ ও শরাব-মদ-নেশা পান করা হারাম- বিধায় উক্ত স্বামীকে অবশ্যই খালেস নিয়তে আল্লাহর দরবারে তাওবা করতে হবে এসব গুনাহ হতে বিরত থাকতে হবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الله ورسوله اعلم بالصواب</span></p><br>

প্রশ্নঃ স্বামী-স্ত্রীকে রাগ করে বা মাদক নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য সেবন করে তালাক দিলে তালাক হবে কিনা?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা রুয়া, কুমিল্লা। 🔴প্রশ্নঃ🔴 স্বামী-স...

Read more »

পূর্বের স্বামীর তালাক ব্যতীত বিবাহ করলে এই বিবাহ কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-27d331d6-7fff-285b-ad25-5168daeaf590"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-27d331d6-7fff-285b-ad25-5168daeaf590"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-27d331d6-7fff-285b-ad25-5168daeaf590"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফুলগাজী, ফেনী।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 কিছুদিন পূর্বে আমাদের এলাকায় এক যুবক তার আপন চাচাতো ভাইয়ের বৌকে নিয়ে পালিয়ে যায় অতঃপর কাজি অফিসে গিয়ে তারা বিবাহ্ করে। পূর্বের স্বামীর তালাক ব্যতীত তাদের এই বিবাহ কতটুকু শরীয়ত সম্মত? অতঃপর ওই যুবক ৪/৫ দিন থেকে আবার মেয়েটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঐ মেয়েটিকে পূর্বের স্বামী পুনরায় গ্রহণ করতে চায়। এমতাবস্থায় শরীয়তের বিধি মোতাবেক তাদের করণীয় কি? আর উক্ত যুবক আর মেয়েটির এই অবৈধ মেলামেশার শাস্তি কি?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: তাদের উক্ত বিবাহ্ শরীয়ত সম্মত নয়। তাদের কুকর্ম সম্পূর্ণ জেনা ও ব্যভিচার। হদ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়েছে বিধায় খালেস নিয়তে লজ্জিত হয়ে উভয়ে মহান আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে তাওবা করতে হবে। জেনা ও ব্যভিচারের শাস্তি কঠিন। অবিবাহিত পুরুষ হলে একশত বেত্রাঘাত করা আর বিবাহিত অবস্থায় কোন নারী-পুরুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে রজম তথা পাথর মারা। তবে শরীয়তের এ শাস্ত শুধু আদালতই কার্যকর করার ক্ষমতা রাখে আর কেউ না। পূর্বের স্বামীর নিকট উক্ত মহিলা ফিরে যেতে পারবে যেহেতু পূর্বের স্বামীর বৈধ স্ত্রী হিসেবে উক্ত মহিলা বিদ্যমান আছে। তবে অবশ্যই উক্ত স্ত্রী স্বীয় স্বামীর নিকট ক্ষমা চাইবে এবং আল্লাহ্র দরবারে তাওবা করবে। আর উক্ত ছেলেকে সামাজিকভাবে শাস্তি দেবে এবং তাওবা করাবে।</span></p>

পূর্বের স্বামীর তালাক ব্যতীত বিবাহ করলে এই বিবাহ কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ফুলগাজী, ফেনী।  🔴প্রশ্নঃ🔴 কিছুদিন পূ...

Read more »

প্রশ্নঃ বিধর্মীদের পূজা পর্বসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া মুসলমানের জন্য জায়েয কিনা?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-8db22637-7fff-bf3c-8eb7-03751805d169"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-8db22637-7fff-bf3c-8eb7-03751805d169"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-8db22637-7fff-bf3c-8eb7-03751805d169"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আহমদ রেযা</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শীতল ঝর্ণা আবাসিক এলাকা, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 বিধর্মীদের পূজা পর্বসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া মুসলমানের জন্য জায়েয কিনা? আর বিধর্মীদের পূজা পরবে খানা-পিনা গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য বৈধ কিনা? জানালে উপকৃত হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: বিধর্মী (হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি ও খ্রিস্টান) ও বদ মাযহাবী (ওহাবী, মওদুদী, খারেজী, রাফেজী, শিয়া, কাদিয়ানী, লা-মাযহাবী) ইত্যাদি ব্যক্তিদেরকে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মুসলমানদের চাঁদা বা দান-অনুদান প্রদান করা হারাম ও নাজায়েয। তাদের ধর্মীয়</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুষ্ঠানে চাঁদা দেয়া মানে তাদের কুফরী ও ভ্রান্ত মতবাদকে সমর্থন করা ও তাদের কুফরী ও ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার-প্রসারে সহযোগিতা করা। মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">تعاونوا على البر والتقوى ولاتعانوا على الاثم والعدوان-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তোমরা পরস্পর কল্যাণ ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা কর এবং (আল্লাহর) নাফরমানী ও পাপ কাজে পরস্পর সাহায্য-সহযোগিতা করো না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল ক্বোরআন] তদুপরি কুফরী প্রচার-প্রসারে সহযোগিতা করাও কুফরী। তদ্রুপ বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুসলিম নর-নারীর আসা-যাওয়া, আর্থিক চাঁদা দেয়া সাহায্য ও সমর্থন করার নামান্তর, যা কোন মুসলমানের আদর্শ হতে পারে না। একান্ত বিশেষ প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনের দায়িত্বের খাতিরে যদি নিরুপায় অবস্থায় বিধর্মীদের অনুষ্ঠানে যেতেই হয়, তারপরও পরওয়ার দিগারে আলম রাব্বুল আলামীনের দরবারে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অথচ এসব বিষয়ে বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান বিশেষ করে উঠতি বয়সী মুসলিম যুবক-যুবতী ছেলে-মেয়ে ও তরুণ-তরুণীরা একেবারে গাফেল ও বেখবর।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তারা বিধর্মীদের পূজা পর্ব ও তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের সাথে হৈ হুল্লা ও রং তামাশায় লিপ্ত হয়ে যায়। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। ঈমানী চেতনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চিহ্ন। আল্লাহ্ তা‘আলার দরবারে অবশ্যই তাদেরকে খালিস নিয়তে তাওবা করতে হবে। উল্লেখ্য, তাদের পূজা পরবে তাদের জবাই কৃত মুরগী ছাগল ইত্যাদির রান্নাকৃত খানা/গোশত মুসলমানদের জন্য হারাম। আর ফল, বিস্কুট, চা-নাস্তা খেতে পারবে। তবে বিরত থাকা উত্তম ও তাক্বওয়া। আল্লাহ্ তা‘আলা মুসলিম যুবক-যুবতী ও ছেলে-মেয়েদেরকে ইসলামী মূল্যবোধ এবং তাহজীব-তামাদ্দুন বুঝার তাওফীক দান করুন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দু’টির বেশি প্রশ্ন গৃহীত হবেনা  একটি কাগজের পূর্ণপৃষ্ঠায় প্রশ্ন লিখে নিচে প্রশ্নকারীর নাম, ঠিকানা লিখতে হবে  প্রশ্নের উত্তর প্রকাশের জন্য উত্তর দাতার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাঞ্ছনীয় নয়। প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা: প্রশ্নোত্তর বিভাগ, মাসিক তরজুমান, ৩২১, দিদার মার্কেট (৩য় তলা), দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম-৪০০০।</span></p>

প্রশ্নঃ বিধর্মীদের পূজা পর্বসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা দেয়া মুসলমানের জন্য জায়েয কিনা?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] আহমদ রেযা শীতল ঝর্ণা আবাসিক এলাকা, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।  🔴প...

Read more »

প্রশ্নঃ আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-bf1f99be-7fff-5d13-b2f5-57c67dd4c786"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-bf1f99be-7fff-5d13-b2f5-57c67dd4c786"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-bf1f99be-7fff-5d13-b2f5-57c67dd4c786"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ খোরশেদ আলম</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(দুবাই প্রাবাসী) গহিরা, রাউজান, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক? ক্বোরআন ও হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হবো।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: হ্যাঁ- প্রিয়নবী আক্বা ও মাওলা হুযূর পাক (ﷺ)-এর পবিত্র বংশধর ও আহলে বায়তে রাসূল (ﷺ) একই। এটা অধিকাংশ ইমামগণের অভিমত। আহলে বায়তে বলতে প্রিয়নবী হুযূর পুরনূর (ﷺ)-এর প্রিয়ভাজন তথা নিকটাত্মীয়গণকে বুঝানো হয়। নবীয়ে দোজাঁহা রাহমাতুল্লিল আলামীনের নিকটাত্মীয় প্রসঙ্গে পবিত্র ক্বোরআনুল হাকীমে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قُل لااسئلكم عليه اجرا الّا المودَّة فى القربٰى-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ- (হে নবী) আপনি বলে দিন যে, আমি (রাসূল) তোমাদের নিকট কোন বিনিময় চাইনা, আমার বংশধরগণের ও নিকটাত্মীয়দের ভালোবাসা ব্যতীত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল্ ক্বোরআন: সূরা শু’রা, আয়াত ২৩] প্রিয়নবী ইমামুল মুরসালিন রাসূলে আকরাম (ﷺ)-এর নিকটাত্মীয় প্রসঙ্গে এই আয়াতে পাক নাজিল হলে সাহাবীদের অন্তরে এ প্রসঙ্গে জানতে প্রবল ইচ্ছা জাগে। ফলে সাহাবায়ে কেরাম হুযূর পুরনূর রাহমাতুল্লিল আলামীনের দরবারে আরয করে জানতে চাইলেন- হে আল্লাহ্র রাসূল আপনার নিকটাত্মীয় কারা? এর জবাবে প্রিয়নবী সরওকারে কায়েনাত (ﷺ) এরশাদ করেন- (আহলে বায়ত হলেন) হযরত আলী, হযরত ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং তাদের উভয়ের বংশধর তথা আউলাদ। আহলে বাইতের পরিচয় প্রদানে বহু হাদিস শরীফ রয়েছে। যেমন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن اُمِّ سَلْمَةَ رضى الله عنها انَّ رسول الله صلى الله عليه وسلم جَمَعَ فاطمة وَحسَنًا وحيسنًا رضى الله تعالى عنهم ثُمَّ اَدْخَلَهُمْ تَحْتَ ثوبه- ثُمَّ قَالَ اللُهُّمَّ هَؤُلَاءِ اَهْلُ بَيْتِىْ- (طبرانى)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ- হযরত উম্মে সালমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, একদিন নবী করীম (ﷺ) হযরত ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান-হোসাইন (رضي الله عنه)কে একত্রিত করেছেন এবং তাদেরকে একটি কাপড়ে আবৃত করে নিলেন। অতঃপর বললেন- হে আল্লাহ্ এরা আমার আহলে বায়ত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তাবারানী: আল্ মুজামুল কবির, হাদীস- ২৬৬৩] অপর হাদীসে উল্লেখ আছে-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن سعدبن ابى وقاص رضى الله عنه قال لمَّا اَنزل الله هذه الاية تعالو ندع ابناءنا وابناءكم ونساءنا ونساءكم الاية- دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وفَاطمةَ وَحسنًا وحُسينًا فقال اللهُمَّ هَؤُلاءِ اَهْلِىْ- (رواه مسلم)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ- হযরত সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) বলেন, যখন ‘মুবাহালা (একে অপরকে অভিসম্পাৎ করা) এর আয়াত ‘‘আপনি বলে দিন, এসো! আমরা আমাদের সন্তানদের ডাকছি, আর তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ডাক।’’ তখন নবী করীম (ﷺ) আলী, ফাতিমা, হাসান-হেসাইন (رضي الله عنه)কে ডাকলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্ এরা আমার পরিবারবর্গ তথা আহলে বায়ত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এভাবে অসংখ্য হাদীসে পাকে আহলে বায়তে রাসূল (ﷺ)-এর পরিচয় বর্ণনা রয়েছে। যাদের পবিত্রতার ব্যাপারে ক্বোরআনে পাকে বর্ণিত রয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে একই ভাবে একটি হাদীসে পাকেও বর্ণনা পাওয়া যায়-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه فى قوله اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهَبُ عَنْكُمْ الرجس اَهْلَ البيتِ ويطهركم تطهيرًا- قال نزلت فى خمسةٍ فِى رَسولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلِىُّ وفَاطمةَ والحسنُ والْحسينُ- (طبرانى)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ- হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) আল্লাহর বাণী ‘হে নবী পরিবার! নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পাক-পবিত্র করতে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা আহযাব] এ সম্পর্কে বলেন আয়তটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ), হযরত আলী, ফাতিমা, হাসান-হোসাইন (رضي الله عنه) এই পাঁচ মনীষী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তাবরানী আল্ মু’জামুস্ সগীর, হাদীস নং ৩২৫] প্রতীয়মান হলো যে, আহলে বায়ত হলেন, শেরে খোদা হযরত আলী, হযরত মা-ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান-হোসাইন (رضي الله عنه) ও তাঁদের সন্তানগণ। তাই আহলে বায়ত তথা নবী বংশধরদের ভালবাসা, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, অন্তরে ভক্তি শ্রদ্ধা রাখা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। কোন কোন তাফসীর ও হাদীস বিশারদ প্রিয়নবীর বিবিগণকেও আহলে বায়তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।</span></p>

প্রশ্নঃ আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ খোরশেদ আলম (দুবাই প্রাবাসী) গহিরা, রাউজান, চট্টগ্র...

Read more »

প্রশ্নঃ রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-409bfc0a-7fff-c839-ff72-2ab937f46fbe"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-409bfc0a-7fff-c839-ff72-2ab937f46fbe"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-409bfc0a-7fff-c839-ff72-2ab937f46fbe"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">খায়রুন নিসা রোজী</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পটিয়া, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। একজন মুসলমানের জন্য ভোরে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়া থেকে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ইসলামী অনুশাসন মেনে দিবারাত্র যাপন করা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। রাতে শয়ন পূর্ব ও শয়নকালে বিভিন্ন বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ দু’আ রয়েছে। আর ইসলাম দু’আকে স্বতন্ত্র ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে। দোয়া বিপর্যন্ত হৃদয়ের আশ্রয়স্থল ও আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। রাতে বিছানায় শয়নকালে বিশেষ কিছু মাসনুন দোয়া রয়েছে। শয়নকালে দোয়া পাঠ করা সুন্নাতে নববী। হাদীসে বর্ণিত রয়েছে- হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন নিদ্রা যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন পাঠ করতেন ‘‘বিইস্মিকা আল্লা-হুম্মা আমু-তু ওয়া আহ্য়া।’’ [বুখারী শরীফ, আদাবুল মুফরদ- হাদীস নং ৫৯৫৩] অপর হাদীসে উল্লেখ রয়েছে- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাবির (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ‘‘আলিফ লাম মীম তানযীল ও তাবারাকাল্লাযী বি-ইয়দিহিল মুল্ক ( তথা সূরা মুলক) না পড়া পর্যন্ত শয়ন করতেন না।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল্ আদাবুল মুফরাদ: হাদীস নং ১২২৪] সাহাবী হযরত আবু যুবায়র (رضي الله عنه) বলেন, উক্ত দুই সূরা ক্বোরআন শরীফের অন্যান্য সূরার তুলনায় সত্তর (৭০)গুণ বেশি ফজিলতময়। যে ব্যক্তি উক্ত দুইটি সূরা তিলাওয়াত করবে, তার জন্য সত্তরটি দরজা বুলন্দ হয় এবং এই সূরার দ্বারা তার সত্তর (৭০)টি গুনাহ্ ক্ষমা করা হয়। [আল্ আদাবুল মুফরাদ] প্রখ্যাত সাহাবী হযরত বারা ইবনে আযেব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা শয়ন করতে যাও, তখন নামাযের ন্যায় অযু করো। অতঃপর নীচের দু’আটি পড়বে। রাসূল করীম (ﷺ) শয়নের সময় প্রায় পড়তেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَللَّهُمَّ اَسْلَمْتُ وَجْهِىَ اِلَيْكَ وَفَوَضْتُ اَمْرِىْ اِلَيْكَ والجاتُ ظهرى اليْكَ رغيْةً ورهبةً اِليِكَ لاملجأَ وَلا منجا منك اِلَّا اِلَيْكَ اللهُمَّ اَمَنْتُ بكتابك الذِى اَنْزَلْتَ وَبِنَبِيَّكَ الَّذِىْ أَرْسَلْتَ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সহীহ মুসলিম শরীফ, বাবু মা ইয়াকুলু ইনদান নাওম, ক্রমিক নং ২৭১০] নিদ্রা আসার পূর্বে এ দু’আ পাঠ করা যায়-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَااِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ القَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উচ্চারণ: আস্ তাগফিরুল্লা-হাল্লাযি লা-ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া-আতু-বু ইলায়হি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসে পাকে উল্লেখ রয়েছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেছেন, প্রিয়নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বিছানায় শয়নকালে উপরোল্লিখিত দু’আটি পাঠ করবে আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বা মরুভূমির বালু সমপরিমাণ হয়। [তিরমিযি শরীফ] তদ্রুপ রাত্রে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরছি, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ার বর্ণনা ও ফজিলত সহীহ বোখারী সহ হাদীসের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে বর্ণিত আছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এছাড়াও হাদীসে পাকে ঘুমানোর পূর্বে বেশ কয়েকটি সুন্নাতের কথা উল্লেখ রয়েছে যথা ক. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া, খ. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা, গ. ঘুমানোর দু’আ পাঠ করা, ঘ. পুরুষেরা ডান কাত হয়ে শোয়া, ঙ. স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে ওযু করে নেয়া, চ. সতর খোলা বা উলঙ্গ অবস্থায় না শোয়া, ছ. বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া, জ. ঘুমানোর সময় বাতি বন্ধ করা, ঝ. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করা এবং দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থু থু ছিটা ইত্যাদি। (এ সমস্ত আমল সমূহ সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে এবং সুনানে তিরমিযি শরীফের বিভিন্ন অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে)। সুতরাং যতটুকু সম্ভব উপরোক্ত বিষয়াদির উপর আমল করার চেষ্টা করবে। এর মধ্যে অনেক ফজিলত ও বরকত নিহিত আছে। এ সমস্ত নেক আমল বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিরাট সহায়ক ও ওসিলা।</span></p>

প্রশ্নঃ রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] খায়রুন নিসা রোজী পটিয়া, চট্টগ্রাম।  🔴প্রশ্নঃ🔴 রাত্রে ঘুমা...

Read more »

প্রশ্নঃ মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-aa7bd01b-7fff-2408-76b0-b489913522b8"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-aa7bd01b-7fff-2408-76b0-b489913522b8"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-aa7bd01b-7fff-2408-76b0-b489913522b8"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> 🔴প্রশ্নঃ🔴 মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন? ইসলামী শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উত্তর: হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম মাস। ইসলামের ইতিহাসে বহু ঘটনা এ মাসে সংঘটিত হয়েছে। শরিয়তের পরিভাষায় এ মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলে। আশুরা শব্দটি আরবী, শব্দটি আশেরুন বা আশারুন হতে নির্গত। আদি পিতা হযরত আদম (عليه السلام)-এর সময়কাল তথা পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে বিভিন্ন কারণে এই বরকতমণ্ডিত, সম্মানিত ও ঘটনাবহুল মহররমের দশম দিবস তথা পবিত্র আশুরা। তাই দিবসটি অতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে পালন করে আসছে মুসলিম বিশ্ব। প্রিয়নবী রসূলে দোজাহাঁ, আক্বা মাওলা হুযূর পুরনূর (ﷺ) হিজরতের পূর্বে এবং ক্বোরাইশগণ জাহেলী যুগেও এ দিবসে রোজা পালন করতেন। আর হিজরতের পর হতে রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ দিবসে রোজা পালন ফরজ ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার বিধান অবতীর্ণ হলে আশুরা দিবসের রোজা রাখার ফরজিয়্যাতের হুকুম রহিত হয়ে যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বীনের জন্যে শাহাদাতের বিরল দৃষ্টান্ত ৬১ হিজরিতে ইমামুশ্শুহাদা হযরত ইমাম হোসাইন (رضي الله عنه) ৭২/৮২ জন আহলে বায়তে রাসূল (ﷺ) এবং তাঁদের একান্ত অনুসারীদেরকে কুখ্যাত ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে নিমর্মভাবে শাহাদাতের ঘটনা সহ পৃথিবী সৃষ্টিলগ্ন থেকে বহু ঘটনাবলীর সাক্ষী মহররম মাসের এ দিবসটি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পবিত্র আশুরার তাৎপর্য বর্ণনায় আরো দেখা যায়, হযরত মুসা (عليه السلام)কে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন জালিম ও কুখ্যাত ফেরআউন ও তার সৈন্যদের জালুম নির্যাতনের হাত থেকে নাজাত দিয়ে ফেরআউন ও তার দলবলকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করেছিলেন এবং হযরত নূহ (عليه السلام) এবং তাঁর নৌকায় যারা আরোহন করেছিলেন তাদেরকে মহা তুফান ও পৃথিবী ব্যাপী প্লাবন হতে পরম করুণাময় স্বীয় অনুগ্রহে নাজাত দান করেছিলেন এ আশুরা দিবসে। সুতরাং ইসলামে এ দিবস অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময়। কোন কোন বর্ণনায় দেখা যায় যে, পৃথিবীর সূচনা লগ্ন হতে দশটি বড় বড় ঘটনা মুহররমের দশম দিবসে সংগটিত হয়েছে বিধায় উক্ত দিবসকে আশুরা বলা হয়।</span></p>

প্রশ্নঃ মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।  🔴প্রশ্নঃ🔴 মহ...

Read more »

কেয়ামতের পূর্বে বড় বড় আলামত সমূহ কি? পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-2f7aa37a-7fff-6f95-2e13-980bddc643bd"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-cc4b2428-7fff-44fb-7df2-ae92be72bda7"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-2f7aa37a-7fff-6f95-2e13-980bddc643bd"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী]</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;" id="docs-internal-guid-2f7aa37a-7fff-6f95-2e13-980bddc643bd"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ কুতুব উদ্দীন সাদা (রোকন)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;">পাইরোল, পটিয়া, চট্টগ্রাম।</p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;">🔴প্রশ্নঃ🔴 ১. কেয়ামত সম্পর্কে ও কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাক্কালে বড় বড় আলামত সমূহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।<br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. ইসলামি পরিভাষায় পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি? ক্বোরআন-হাদীসের আলোকে জানতে চাই।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: কেয়ামত সংঘটিত হওয়া অনিবার্য। তবে কখন সংঘটিত হবে তা আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবীব (ﷺ) ভালো জানেন। ক্বোরআন ও হাদীস শরীফে তা সংঘটিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া না গেলেও কেয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে এ বিশ্বাস প্রত্যেক মুসলিমকে অবশ্যই রাখতে হবে এবং তা ঈমানের অপরিহার্য দাবী। কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না থাকলেও পবিত্র ক্বোরআন ও অসংখ্য হাদীস শরীফে এর বিভিন্ন আলামত বা নিদর্শনাবলী উল্লেখ রয়েছে। মুসলিম শরীফে হযরত হুযায়ফা ইবনে উসায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কেয়ামতের বড় বড় আলামত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন- একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের কাছে আগমন করলেন, আমরা তখন কেয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেন, যতদিন তোমরা দশটি আলামত দেখবে না, ততদিন কেয়ামত হবে না। আলামতগুলো হলো-১. ধোয়া বের হওয়া, ২. দজ্জালের আগমন, ৩. দাব্বা (ভূগর্ভ থেকে নির্গত অদ্ভুত এক জানোয়ারের প্রকাশ), ৪. পশ্চিমাকাশে সূর্যোদয়, ৫. হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ামের আসমান হতে আগমন, ৬. ইয়াজুয- মা’জুযের আবির্ভাব, ৭. তিনটি বড় ধরনের ভূমিধসের মধ্যে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে ভূমিধস, ৮. পশ্চিমে ভূমিধস, ৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস, ১০. সর্বশেষ ইয়ামেন থেকে একটি অগ্নিশিখা বের হয়ে মানুষকে সিরিয়া তথা মাহশরের ময়দানে দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সহীহ মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ফিতান অধ্যায়] এছাড়া কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার অন্যতম বড় আলামত হলো হযরত ইমাম মাহদী (عليه السلام)-এর আবির্ভাব, যিনি তখনকার মুসলিম মিল্লাতের একচ্ছত্র খলিফা হবেন এবং পৃথিবীর সব মানুষকে ইসলামের অধীনে আনায়ন করত: ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডয়ন করবেন। হাদীসে পাকে উল্লেখ রয়েছে প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">المَهْدِى مِنِّى أحلى الجبهة اَقْنَى اَلْاَنْفِ يَمَلَاُ الْاَرْضَ قِسْطًا وَعدَلًا كما مُلِئَتْ جُوْرًا وظُلْمًا يَمْلَكَ سَبعَ سِنِّيْنَ-(رواه ابو داؤد)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ- হযরত মাহদী আসবে আমার বংশধর হতে, তাঁর কপাল উজ্জ্বল হবে এবং নাক হবে উঁচু, পৃথিবী হতে যুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দেবেন আর সাত বছর পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করবেন। [আবু দাঊদ শরীফ, কিতাবুল মাহদী অধ্যায়] এছাড়া কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আরো বহু আলামাতে সুগরা বা ছোট ছোট আলামত রয়েছে। হাদীসে পাকে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের ইন্তেকালের মাধ্যমে ইলমে দ্বীন দুনিয়া হতে উঠিয়ে নেয়া হবে, মুর্খতা, ব্যভিচার ও মদ্যপান বৃদ্ধি পাবে, পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, মহিলার সংখ্যা বাড়বে, এমনকি একজন পুরুষের অধীনে বা ভাগে পড়বে ৪০ জন বা ৫০ জন নারী। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ] আর কেয়ামত তো অবশ্যই সংঘটিত হবে- এপ্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَاَنَّ الساعة اٰتِيَةُ لّارَيْبَ فِيْهَا وَاِنَّ الله يَبْعَثُ مَنْ فِى القبور- (سورة الحج)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ অবশ্যই কেয়ামত আগমনকারী এতে কোন সন্দেহ নেই এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা কবরবাসীদের সেদিন জিন্দা করে কবর হতে হাশরের ময়দানে উঠাবেন। [সূরা হজ্ব: আয়াত ৭]</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তর: ২. পুলসিরাতকে আরবী এবং ক্বোরাআন-সুন্নাহর পরিভাষায় বলা হয় صراط বা দীর্ঘ পথ/রাস্তা। বস্তুত পুলসিরাত বলা হয় জাহান্নামের উপর নির্ধারিত ত্রিশ হাজার বৎসরের রাস্তাকে যা চুলের চেয়ে অধিক চিকন ও তরবারির চেয়ে অধিকতর তীক্ষè, জাহান্নামীরা পুলসিরাতে উঠার সাথে সাথে টুকরা টুকরা হয়ে নীচে জাহান্নামের গর্তে পড়ে যাবে আর প্রকৃত মুমিন (অলি-গাউস-কুতুব-আবদাল, শহীদগণ) তথা আল্লাহ্র প্রিয়জনরা যাঁর যাঁর স্তর ও আল্লাহ্ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ও মর্যাদা অনুযায়ী দ্রুতবেগে চোখের পলকে খুবই সহজে পুলসিরাত অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। মূলত সিরাত (صراط) আরবী শব্দ যার অর্থ বাংলা ও উর্দুতে দীর্ঘ পুল /সেতু । আমাদের দেশে উভয় শব্দ (পুল ও সিরাত) একত্রে ব্যবহার হতে হতে এক শব্দের ন্যায় পুলসিরাত হয়ে গেছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[শরহে আকায়েদে নফসী, নিবরাস্ শরহে আকায়েদে নফসী ইত্যাদি]</span></p>

কেয়ামতের পূর্বে বড় বড় আলামত সমূহ কি? পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি?

[কিতাবঃ যুগ জিজ্ঞাসা,  ✍লেখকঃ অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আল-কাদেরী] মুহাম্মদ কুতুব উদ্দীন সাদা (রোকন) পাইরোল, পটিয়া, চট্টগ্রাম।...

Read more »