শান্তির অপব্যাখা

<br /> <div dir="ltr"> সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছেন ইসলাম "শান্তির ধর্ম"। ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি,সম্প্রীতি,সহমর্মিতার প্রদর্শন<br /> <br /></div> <div dir="ltr"> হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,যদি কোন মুসলিম বিনা কারনে কোন অমুসলিমকে হত্যা করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। ইসলাম আমাদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর কঠোর হওয়া থেকে বারন করেন।নির্দিষ্ট সীমারেখায় তাদের সাথে সুব্যবহার,সমবেদনা ও সাহায্যের শিক্ষা দেয়।এটিই ইসলামের সৌন্দর্য।</div> <div dir="ltr"> <br /> কিন্তু " শান্তি" এই শব্দটায় তখনই অন্যদিকে মোড় নেয় যখন ইসলামের উপর আঘাত আসে।তাই সব ক্ষেত্রে যেমন একই শব্দের একই অর্থ খাটে না,ঠিক তেমনি "শান্তি" শব্দটার ও সবক্ষেত্রে একই অর্থ খাটে না।<br /> এখন আসুন ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলিয়ে নেয়।</div> <div dir="ltr"> <br /> মক্কা বিজয়ের দিন যখন রাসূলে করীম ﷺ সাহাবায়ে কেরাম رضي الله عنه কে সাথে নিয়ে বিশাল লস্কর নিয়ে মক্কা শরীফে প্রবেশ করছিলেন,একটি কুকুর তার বাচ্চাসহ রাস্তার পাশে অবস্থান করছিল।</div> <div dir="ltr"> <br /> নবী করিম ﷺ সবাইকে থামিয়ে দিলেন যাতে সেই বাচ্চার কোন ক্ষতি না হয়।পুরো সময় জুড়ে যতসময় পুরো লস্কর প্রস্থান না করেন ততক্ষন পর্যন্ত একজন সাহাবী رضي الله عنهকে দায়িত্ব দিলেন যাতে তিনি সেই বাচ্চার খেয়াল রাখেন।কুকুর ও তার বাচ্চা উভয়ই বেচে গিয়েছিল সেদিন।<br /> কিন্তু ৯ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলার জন্য নবী করিম ﷺ ঘোষনা দিলেন,তাদের যেখানেই পাওয়া যায় হত্যা করা হোক!</div> <div dir="ltr"> <br /> মক্কা বিজয়ের দিন নবী করিম ﷺ ঘোষনা দিলেন,তাদের ক্ষমা করে দেয়া হবে যারা আজ হাতিয়ার ফেলে দেবে,তাদের ও ক্ষমা করে দেয়া হবে যারা হযরত আবু সুফিয়ান رضي الله عنه'র ঘরে আশ্রয় নেবেন।ক্ষমার এক মহান দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেদিন।</div> <div dir="ltr"> <br /> কিন্তু একই দিনে আরো এক মহান দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।ইবনে খাতাল নামে এক ব্যক্তি ছিল।সে নবী করিম ﷺ শানে অবমাননা করে কবিতা লিখতো।সে জানতো আজ সবাই ক্ষমা পেলে ও সে পাবে না।লুকিয়ে গেলো কাবা শরীফের ভেতর।সে ভেবেছিল কাবা শরীফের ভেতর যেহেতু রক্তপাত হারাম তাই হয়তো সে বেঁচে যাবে।</div> <br /> <div dir="ltr"> নবী করিম ﷺ হুকুম দিলেন তাকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হত্যা করা হোক।সাহাবায়ে কেরাম رضي الله عنه অনেক খোজাখুজি করলেন।অবশেষে তাকে কাবা শরীফের ভেতর পেলেন। এখন যে বিষয় টা লিখতে যাচ্ছি তা খুব ভালভাবে পড়ুন।</div> <div dir="ltr"> নবী করিম ﷺ'র দরবারে যখন আরজ করলেন, সে কাবা শরীফের ভেতর লুকিয়ে আছে।এখন কি করা যায়?? যেহেতু কাবা শরীফের ভেতর রক্তপাত হারাম।একদিকে কাবা শরীফের গিলাফ অপরদিকে কাবা শরীফের পবিত্র দেয়াল। নবী করিম ﷺ হুকুম দিলেন তাকে সেখানেই কতল করো। </div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> একবার ভাবুন,কুকুরের বাচ্চা রাস্তায় থেকে বেঁচে গেলো,কিন্তু মানুষ কাবা শরীফের ভেতর থেকে ও কেনো বাঁচলো না??? কারন কি??যাদের ক্ষমা করা হয়েছিল সেদিন তারা ঈমান আনেন নি তখন ও কিন্তু তারা কেউ রাসূল ﷺ'র শানে অবমাননা করেন নি।কিন্তু ইবনে খাতাল সে নবী করিম ﷺ'র শানে অবমাননা করে কবিতা লিখতো তাই কাবা শরীফের গিলাফের ভেতর লুকিয়ে ও সে বাচতে পারেনি। </div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আফসোস এর বিষয় হলো,আর আজ বলা হচ্ছে শান্তির কথা বলো? সহমর্মিতা দেখাও!!! আরে এর চেয়ে বড় সহমর্মিতা আর কোথায় আছে যেখানে হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,যদি কোন মুসলিম বিনা কারনে কোন অমুসলিমকে হত্যা করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। </div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> শান্তির কথা অবশ্যই বলা হয়েছে।এর চেয়ে শান্তি ও সহমর্মিতার কথা আর কি হতে পারে যে কুকুর ও তার বাচ্চার দেখাশোনার জন্য সাহাবী رضي الله عنه দাঁড়িয়ে ছিলেন,সেই সকল সাহাবী رضي الله عنه যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি ও আপনি ইসলাম পেয়েছি।</div> <div dir="ltr"> শান্তির কথা বলছেন!!! যদি তাই হয়ে থাকে,বদরের ময়দান,উহুদের ময়দানে কি হয়েছিল???</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক رضي الله عنه'র সাথে একবার তাঁর পুত্রের কথা হচ্ছিল।তাঁর পুত্র বললেন,"বাবা,যখন আমি ইসলামের শীতল ছায়াতলে আসি নি,তখন এক যুদ্ধে আপনি ইসলামের পক্ষে লড়ছিলেন।সে সময় আপনি বহুবার আমার তরবারির নিচে এসেছিলেন।কিন্তু বাবা সেদিন আমি আপনাকে আঘাত করতে পারেনি কারন আপনি আমার বাবা ছিলেন। এ কথা শুনে হযরত আবু বকর সিদ্দিক رضي الله عنه'র বললেন,"যদি সেদিন তুমি আমার তরবারির নিচে আসতে তাহলে "ছেলে" ভেবে আমি তোমাকে ছেড়ে দিতাম না।অবশ্যই তরবারি চালিয়ে দিতাম"। </div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক رضي الله عنه নবীজি ﷺ'র শানে অবমাননা করায় নিজ বাবার মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দিয়েছিলেন।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি رضي الله عنه।একবার কাফিরদের পক্ষের এক পালোয়ান বড় তরবারি উঁচিয়ে হুংকার দিচ্ছিল,"এ মুসলমানেরা!! কে আছো?আমার সাথে লড়বে আজ? হযরত আলি رضي الله عنه তখন অল্প বয়সী ছিলেন।পবিত্র তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন তার সামনে।পালোয়ান তাঁকে দেখে বললো,"তুমি আমার বিপক্ষে লড়বে!! তোমার সাথে আমি লড়তে চাই না,কারন তুমি আমার চেনাজানা একজনের পুত্র।তুমি সরে যাও</div> <div dir="ltr"> হযরত আলি رضي الله عنه জবান দিলেন,"তুই আমার সাথে হয়তো লড়তে চাস না,কিন্তু আমি অবশ্যই তোকে হত্যা করতে চাই,কারন তুই আমার নবী করিম ﷺ'র দুশমন"।এ কথা শুনে সে গর্জে উঠে আঘাত করতে গেলেই তার মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দিলেন হযরত আলি رضي الله عنه</div> <div dir="ltr"> ইতিহাস থেকে তাহলে আমরা কি শিক্ষা পায়??? </div> <div dir="ltr"> ক্ষমা ও সহমর্মিতা তার জন্য যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ﷺ'র প্রেমিক</div> <div dir="ltr"> অবমাননাকারীর জন্য ক্ষমা নয়,হত্যায় নির্ধারিত</div> <div dir="ltr"> পরিশেষে কবি নজরুল রাহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহির সেই জগৎ বিখ্যাত উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই,</div> <div dir="ltr"> "রাসূল ﷺ'র অপমানে যদি কাঁদে না তোর মন</div> <div dir="ltr"> মুসলিম নয়,মুনাফিক তুই,</div> <div dir="ltr"> রাসূল ﷺ'র দুশমন"</div> <br />

শান্তির অপব্যাখা

সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছেন ইসলাম "শান্তির ধর্ম"। ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি,সম্প্রীতি,সহমর্মিতার প্রদর্শন হাদিস শরীফে ইরশাদ...

Read more »

ক্বারীন জ্বীন

👉ক্বারীন জ্বীন: আপনার নিত্যসঙ্গী এ ভয়ানক শয়তান সম্পর্কে আপনি কতটা সচেতন?<br /> <br /> 🔰প্রশ্ন: আমি শুনেছি, প্রত্যেক মানুষের সাথে একটি করে জ্বীন থাকে। তাকে না কি ‘কারীন জ্বীন’ বল হয়। আরও বলা হয়ে থাকে: ‘কোন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে সে সাথী হারা হয়ে পড়ে এবং মৃত ব্যক্তির রূপ নিয়ে মানুষকে ভয় দেখায়।” এটা কতটুকু সঠিক? আর যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাদের কারীন জ্বীন এর অবস্থান কোথায় থাকে?<br /> আর কারীন জ্বীন এর কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে কি সকাল সন্ধ্যার আমলেই যথেষ্ট?<br /> <br /> উত্তর:<br /> <br /> কারীন ((قرين)) আরবি শব্দ। এর অর্থ হল: সঙ্গী, সাথী ও সহচর।<br /> <br /> কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত যে, প্রতিটি মানুষের নিকট একজন করে জ্বীন-শয়তান নিযুক্ত করা আছে। তার কাজ মানুষকে পথভ্রষ্ট করা, অন্যায়, অশ্লীল ও কুকর্মে প্ররোচিত করা এবং ভালো কাজে নিরুৎসাহিত করা বা বাধা দেয়া। একেই কারীন বা সহচর শয়তান বলা হয়।<br /> <br /> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকটও এই জিন-শয়তান ছিল কিন্তু সে ইসলাম কবুল করেছিলো। যার কারণে সে নবী সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুমন্ত্রণা দিতে সক্ষম হত না। যেমন:<br /> ▪ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:<br /> ما مِنكُم مِن أحَدٍ، إلَّا وقدْ وُكِّلَ به قَرِينُهُ مِنَ الجِنِّ قالوا: وإيَّاكَ؟ يا رَسولَ اللهِ، قالَ: وإيَّايَ، إلَّا أنَّ اللَّهَ أعانَنِي عليه فأسْلَمَ، فلا يَأْمُرُنِي إلَّا بخَيْرٍ. غَيْرَ أنَّ في حَديثِ سُفْيانَ وقدْ وُكِّلَ به قَرِينُهُ مِنَ الجِنِّ وقَرِينُهُ مِنَ المَلائِكَةِ.<br /> “তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার সহচর জ্বীন (শয়তান) নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি।<br /> সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন: আপনার সাথেও কি হে আল্লাহর রাসূল?<br /> তিনি বললেন: আমার সাথেও তবে আল্লাহ তাআলা তার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছেন। ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে ( বা আমার অনুগত হয়ে গেছে)। ফলে সে আমাকে কেবল ভাল কাজেরই পরামর্শ দেয়।”<br /> সুফিয়ানের বর্ণনায় আছে:<br /> وقد وكِّل به قرينُه من الجنِّ وقرينُه من الملائكة<br /> “(তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে) তার সহচর জ্বীন (শয়তান) এবং সহচর ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেয়া হয় নি।” [সহিহ মুসলিম, হা/২৮২৪]<br /> <br /> ▪ কুরআনেও আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী<br /> এই শয়তান এবং মানুষের মাঝে বাক-বিতণ্ডার কথা উল্লেখ করেছেন:<br /> قَالَ قَرِينُهُ رَبَّنَا مَا أَطْغَيْتُهُ وَلَكِنْ كَانَ فِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ * قَالَ لَا تَخْتَصِمُوا لَدَيَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ إِلَيْكُمْ بِالْوَعِيدِ<br /> “তার কারীন বা সঙ্গী শয়তান বলবে: হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুত: সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত। আল্লাহ বলবেন: আমার সামনে বাকবিতণ্ডা করো না। আমি তো পূর্বেই তোমাদেরকে আজাব দ্বারা ভয় প্রদর্শন করেছিলাম।” (সূরা ক্বাফ: ২৭ ও ২৮)<br /> ইবনে আব্বাস রা. এর ব্যাখ্যায় বলেন:<br /> هو الشيطان الذي وُكِّل به<br /> ”এটাই হল, নিয়োগ কৃত শয়তান।”<br /> ইকরিমা, মুজাহিদ প্রমুখ তাফসীর কারকগণও একই কথা বলেছেন।<br /> <br /> ▪ আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:<br /> إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي فَلاَ يَدَعْ أَحَدًا يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّ مَعَهُ الْقَرِينَ<br /> “তোমাদের কেউ যখন সালাত পড়ে, তখন সে যেন তার সামনে দিয়ে কাউকে অতিক্রম করতে না দেয়। যদি সে অস্বীকার করে (বাধা মানতে না চায়) তবে সে যেন তার সাথে লড়াই করে। কেননা তার সাথে তার সঙ্গী শয়তান রয়েছে।” (সহিহ মুসলিম, হা/৫০৬)<br /> <br /> 💠 মানুষ মারা যাওয়ার পর তার কারীন (সহচর শয়তান) কি সঙ্গী হারা হয়ে উক্ত মৃত মানুষের রূপ ধরে অন্যদেরকে ভয় দেখায়? বা পরিণতি কী হয়?<br /> <br /> “মানুষ মারা যাওয়ার পর তার কারীন (সহচর শয়তান)<br /> উক্ত মৃত মানুষের রূপ ধরে অন্যদেরকে ভয় দেখায়”-এ কথা কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং হাদিস থেকে বুঝা যায়, মানুষের সাথে নিযুক্ত শয়তানের কাজ তাকে বিপথগামী করার জন্য প্ররোচিত করা এবং পাপাচার ও নানা অন্যায়-অপকর্মের রাস্তা দেখানো।<br /> সুতরাং সে ব্যক্তি যখন মারা যায় -চাই তার স্বাভাবিক মৃত্যু হোক অথবা অস্বাভাবিক অথবা আত্মহত্যা হোক- তখন তার কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে মানুষ মৃত্যুর পর তার সহচর শয়তান কোথায় থাকে বা তার পরিণতি কী হয় সে ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় কিছু বলা হয় নি। সুতরাং আমরা সে ব্যাপারে কিছু জানি না। অবশ্য মানুষ এটাও বলে থাকে যে, সে মানুষের কবর পর্যন্ত যায় কিন্তু এটাও ভিত্তিহীন কথা। এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নায় কোনো বক্তব্য আসে নি।<br /> তাই বলব, আল্লাহু আলাম-আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।<br /> <br /> 💠 কারীন বা সঙ্গী জ্বীন-শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে কী সকাল সন্ধ্যার আমলেই যথেষ্ট?<br /> <br /> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে সকাল-সন্ধ্যা ও দৈনন্দিন জীবনে যে সকল দুআ, জিকির ও আমল শিক্ষা দিয়েছেন (যেমন: টয়লেটে প্রবেশ ও টয়লেট থেকে বের হওয়ার দুআ, বাড়ি থেকে বের হওয়া, বাড়িতে প্রবেশ, কাপড় পরিধান, কাপড় খুলে রাখা, পানাহার করা, স্ত্রী সহবাস করা ইত্যাদি) সে সকল দুআ ও জিকির পাঠ করলে সর্বপ্রকার শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তাআলা হেফাজত করবেন।<br /> <br /> উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল, আমাদের চিরন্তন দুশমন একটি জ্বীন শয়তান (কারীন) আমাদের সাথে সাথে নিযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সে সার্বক্ষণিক আমাদের সাথে বসবাস করে এবং সর্বদা আমাদেরকে অন্যায়-অপকর্মের দিকে প্ররোচিত করে। আমরা যখন দুনিয়াবি কর্ম ব্যস্ততায় আল্লাহকে ভুলে থাকি তখন আমাদের এই অসচেতনতার সুযোগে আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দিতে পারে, টেনে নিয়ে যেতে পারে অন্যায়, অশ্লীলতা ও পাপাচারের অন্ধকার জগতে।<br /> সুতরাং আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনার পাশাপাশি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক শেখানো সকাল-সন্ধ্যার দুআ জিকির পাঠ ও নির্দেশনা মেনে চলা অপরিহার্য।<br /> আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।<br /> <br /> <br />

ক্বারীন জ্বীন

👉ক্বারীন জ্বীন: আপনার নিত্যসঙ্গী এ ভয়ানক শয়তান সম্পর্কে আপনি কতটা সচেতন? 🔰প্রশ্ন: আমি শুনেছি, প্রত্যেক মানুষের সাথে একটি করে জ্বীন থাকে।...

Read more »

সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা খোলা না কি বন্ধ রাখা উচিৎ?

<div> 🔰সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা খোলা না কি বন্ধ রাখা উচিৎ?</div> <div> <br /></div> <div> প্রশ্ন: অনেকেই বলে যে, সন্ধ্যার আযানের সময় ঘরের</div> <div> দরজা খোলা রাখতে হয়। কারণ তখন নাকি ঘরে ফেরেশতা</div> <div> প্রবেশ করে। কথাটি কি শরিয়ত সম্মত?</div> <div> <br /></div> <div> 💚উত্তর:</div> <div> “সন্ধ্যা (মাগরিব) এর আযানের সময় দরজা খোলা রাখলে ঘরে</div> <div> ফেরেশতা প্রবেশ করে।” এটি হাদিস বিরুদ্ধ বাতিল কথা। দরজা</div> <div> খোলা থাক আর বন্ধ থাক যে কোনো অবস্থায় নূরের তৈরি</div> <div> আল্লাহর ফেরেশতাগণ মানুষের ঘরে প্রবেশ করতে পারে।</div> <div> তবে সহিহ হাদিস অনুযায়ী, যে ঘরে ছবি, মূর্তি বা কুকুর থাকে সে</div> <div> ঘরে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতাগণ প্রবেশ করে না।</div> <div> অনুরূপভাবে নির্দিষ্টভাবে ‘সন্ধ্যার সময় ফেরেশতাগণ ঘরে</div> <div> প্রবেশ করে’ এমন কথাও ভিত্তিহীন।</div> <div> বরং হাদিসে শয়তানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সন্ধ্যা বা রাতে</div> <div> ঘরের দরজা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যেমন:</div> <div> ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮٍ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ</div> <div> ﺟِﻨْﺢُ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺃَﻭْ ﺃَﻣْﺴَﻴْﺘُﻢْ ﻓَﻜُﻔُّﻮﺍ ﺻِﺒْﻴَﺎﻧَﻜُﻢْ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻳَﻨْﺘَﺸِﺮُ ﺣِﻴﻨَﺌِﺬٍ ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺫَﻫَﺐَ</div> <div> ﺳَﺎﻋَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻓَﺨَﻠَّﻮﻫُﻢْ ﻭَﺃَﻏْﻠِﻘُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﺑْﻮَﺍﺏَ ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻟَﺎ ﻳَﻔْﺘَﺢُ</div> <div> ﺑَﺎﺑًﺎ ﻣُﻐْﻠَﻘًﺎ ، ﻭَﺃَﻭْﻛُﻮﺍ ﻗِﺮَﺑَﻜُﻢْ ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻭَﺧَﻤِّﺮُﻭﺍ ﺁﻧِﻴَﺘَﻜُﻢْ ، ﻭَﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﺳْﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ،</div> <div> ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻥْ ﺗَﻌْﺮِﺿُﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ، ﻭَﺃَﻃْﻔِﺌُﻮﺍ ﻣَﺼَﺎﺑِﻴﺤَﻜُﻢْ . ﻣُﺘَّﻔَﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ</div> <div> জাবির রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি</div> <div> ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রাতের আঁধার নেমে আসে অথবা</div> <div> বলেছেন:</div> <div> “যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমাদের শিশুদেরকে (বাইরে যাওয়া</div> <div> থেকে) আটকে রাখো। কেননা সে সময় শয়তান ছড়িয়ে</div> <div> পড়ে। তবে রাতের কিছু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলে</div> <div> তাদেরকে ছেড়ে দাও এবং বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজাসমূহ</div> <div> বন্ধ করো। কারণ শয়তান বদ্ধদ্বার খুলতে পারে না। আর বিসমিল্লাহ</div> <div> পড়ে তোমাদের মশকগুলো (চামড়ার তৈরি পানির পাত্র বিশেষ) এর</div> <div> মুখ বন্ধ করো এবং বিসমিল্লাহ বলে তোমাদের পাত্রগুলোও</div> <div> ঢেকে রাখো। (ঢাকার কিছু না পেলে) কোন কিছু</div> <div> আড়াআড়িভাবে হলেও পাত্রের উপর রেখে দাও। (আর ঘুমানোর সময়) বাতিগুলো নিভিয়ে দাও।” </div> <div> <b><i>(বুখারী ও মুসলিম)</i></b></div>

সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা খোলা না কি বন্ধ রাখা উচিৎ?

🔰সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা খোলা না কি বন্ধ রাখা উচিৎ? প্রশ্ন: অনেকেই বলে যে, সন্ধ্যার আযানের সময় ঘরের দরজা খোলা রাখতে হয়। কারণ তখন নাকি...

Read more »

দাঁড়ির বিধান সম্পর্কিত কিতাবসমূহ

<p dir="ltr"><i><b>দাঁড়ির বিধান :</b></i><br></p> <p dir="ltr"><b>1.📚 </b><a href="https://drive.google.com/file/d/186HF6WwGCoiD_vuOfXnnbdKsiiVnWSBG/view?usp=sharing"><b>ইসলামী শরীয়াতে দাড়ির পদমর্যাদা-সংকলন সরল পথ</b></a><br></p> <p dir="ltr"><b>2. 📚</b><a href="https://drive.google.com/file/d/1zGF7Lv-6d9PA6Q8f0C3a_l8r00iE3oOh/view?usp=sharing"><b>ইসলামে দাঁড়ির বিধান</b></a><br></p> <p dir="ltr"><b>3.📚</b><a href="https://drive.google.com/file/d/17nSPFe6ghGH-ly1_OpHv22Ez5u_Yoqza/view?usp=sharing"><b>দাড়ি রাখা ওয়াজিব</b></a><br></p> <p dir="ltr"><b>4.📚 </b><a href="https://drive.google.com/file/d/1m-sTqZdhpeJ_9po7tYOwyiaiL8XA2Uqi/view?usp=sharing"><b>হস্তক্ষেপ মুক্ত দাড়ি</b></a><br></p>

দাঁড়ির বিধান সম্পর্কিত কিতাবসমূহ

দাঁড়ির বিধান : 1.&#128218; ইসলামী শরীয়াতে দাড়ির পদমর্যাদা-সংকলন সরল পথ 2. &#128218; ইসলামে দাঁড়ির বিধান 3.&#128218; দাড়ি রা...

Read more »