নবীজি (ﷺ) কি মুয়াবিয়া (রাঃ) কে বদদোয়া দিয়েছেন?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiuQON2xa5C19OkXGY53nmd4NJXVmdk2FnZFKIjtUAP9ta45RXSoZDy8U2FGKQZJ5JyNkWL7uIKvQ_hA-tR8VPEuQA6rB0e6H7V-X7H7SJlzV5pOonsvARDj2mu5HhG5tmY60bydry-vEPF/s1600/FB_IMG_1569332092575.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="537" data-original-width="720" height="238" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiuQON2xa5C19OkXGY53nmd4NJXVmdk2FnZFKIjtUAP9ta45RXSoZDy8U2FGKQZJ5JyNkWL7uIKvQ_hA-tR8VPEuQA6rB0e6H7V-X7H7SJlzV5pOonsvARDj2mu5HhG5tmY60bydry-vEPF/s1600-rw/FB_IMG_1569332092575.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> "নবীজি (ﷺ) কি মুয়াবীয়া (রাঃ) কে বদদোয়া দিয়েছেন?"</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> __________________________________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> শিয়া, রাফেদ্বীরা সাহাবা ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ এর বিরোধীতায় এতটাই সীমা অতিক্রম করেছে যে, সাহাবাদের ফাজায়েল সম্পর্কিত হাদীসগুলোকে খুদ সাহাবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এবং তাদের মতানুসারে এমন একটি হাদীস সহীহ মুসলিমেও বর্ণিত হয়েছে। কষ্ট লাগে তখন, যখন দেখা যায় এসব দলিল আমাদের জাম'আতের ( আহলুস সুন্নাহ) কিছু নামধারী সুন্নি শিয়া, রাফেদ্বীদের অনুসরণ, অনুকরণে সাহাবীদের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করছে। এবং তাঁরা এটা প্রমাণ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালায় যে, সহীহ মুসলিমের ঐ হাদীসে রাসুলুল্লাহ ﷺ ক্বাতীবে ওহী, উম্মাতের মামা সাইয়্যিদুনা আমীরে মুয়াবীয়া ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ কে বদ'দোয়া তথা অভিশাপ দিয়েছেন। (মাআ'জাল্লাহ)। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> এই হাদীসের অপব্যাখ্যা করে শিয়া, রাফেদ্বীরা মুহাদ্দীসদের বিরুদ্ধেও ঘৃণ্য মিথ্যাচার করেছেও বটে। যে সব ব্যক্তিরা ঐ হাদীসটি পেশ করে হজরতে মুয়াবীয়া ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ এর সমালোচনা বা তাকে গালমন্দ করছে! ওদের হেদায়াত কামনা এবং যারা এটা নিয়ে ভ্রান্তিজনক পরিস্থিতির স্বীকার, তাদের ভ্রান্ততা দূর করার সুবাদে আজকের এই লিখা। আল্লাহ সুবহানা ওয়াতআ'লা আমাদের সত্য গ্রহণে কবুল করুন। আমীন। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> তাদের দেয়া হাদীস এবং তাঁর অনুবাদ নিম্নরূপ - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> حدثنا : ‏ ‏محمد بن المثنى العنزي ‏ ‏ح ‏ ‏، وحدثنا : ‏ ‏إبن بشار ‏ ‏واللفظ ‏ ‏لإبن* المثنى ‏ ‏قالا ، حدثنا : ‏ ‏أمية بن خالد ‏ ، حدثنا : ‏ ‏شعبة ‏ ‏، عن ‏ ‏أبي حمزة القصاب ‏ ‏، عن ‏ ‏إبن عباس ، قال : ‏ كنت ألعب مع الصبيان فجاء رسول الله ‏ صلي الله عليه و سلم ‏ ‏فتواريت خلف باب قال : فجاء ‏ ‏فحطأني ‏ ‏حطأة وقال : ‏‏ أذهب وإدع لي ‏ ‏معاوية ‏ ‏قال : فجئت فقلت : هو يأكل قال : ثم قال : ‏ ‏لي أذهب فإدع لي ‏ ‏معاوية ‏ ‏قال : فجئت فقلت : هو يأكل فقال : لا أشبع الله بطنه ‏قال : ‏ ‏إبن المثنى ‏ ‏قلت ‏ ‏لأمية ‏ :‏ما حطأني قال : ‏قفدني ‏ ‏قفدة ‏ ‏، حدثني : ‏ ‏إسحق بن منصور ‏ ، أخبرنا : ‏ ‏النضر بن شميل ‏ ، حدثنا : ‏ ‏شعبة ‏ ، أخبرنا : ‏ ‏أبو حمزة ‏ ‏سمعت ‏ ‏إبن عباس ‏ ‏يقولا ‏: ‏كنت ألعب مع الصبيان فجاء رسول الله ‏صلي الله عليه و سلم ‏ ‏فإختبأت منه فذكر ‏ ‏بمثله. </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হযরত ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে হাদিস শরীফটি বর্ণিত তিনি বলেন আমি বাচ্চাদের নিয়ে খেলছিলাম প্রিয়নবী এসে আমাকে বললেন তুমি গিয়ে মুয়াবিয়াকে ডেকে আনো তখন আমি ডাকতে গেলাম এবং বললাম প্রিয়নবী আপনাকে ডাকছেন তখন তিনি জবাব দিলেন- আমি খাচ্ছি এখন যেতে পারবোনা। প্রিয়নবীকে এটা বলাতে আবারো আমাকে পাঠালেন তখনও তিনি বললেন আমি খাচ্ছি এখন যেতে পারবোনা অবশেষে প্রিয়নবী তাকে অভিশাপ দিয়ে বললেন "আল্লাহ তার পেট কখনো ভরাবেন না"।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( সহীহ মুসলিম -২৬০৪) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * হাদীসটির তাহকীক - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> _____________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * প্রথমত, উপরের হাদীসটি সহীহ তথা যথাযোগ্য  সঠিক, কিন্তু এর অনুবাদে ঘৃণ্য মিথ্যাচার করা হয়েছে। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * দ্বিতীয়ত, শিয়া, রাফেদ্বীদের মূল বক্তব্য হল যে, রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাললাম এই হাদীসে হজরতে আমীরে মুয়াবীয়া রাযি: কে " لا أشبع الله بطنه " বলে লা'নত তথা অভিশাপ দিয়েছেন। ( লানাতুল্লাহে আ'লাল কাযেবীন) মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * হাদীসটির অনুবাদে মিথ্যাচার - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ________________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> শিয়া, রাফেদ্বীরা হাদীসটিকে বানোয়াট এবং নিজেদের মত করে অনুবাদের মাধ্যমে মানুষের সামনে উপস্থাপন করে। মূলত, মুসলিম শরীফের এই হাদীসটির মূল অনুবাদের সাথে শিয়া, রাফেদ্বীদের অনুবাদের আকাশ'পাতাল বিস্তর পার্থক্য। চলুন প্রকৃত অনুবাদ দেখে নিই - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ ﺍﻟْﻌَﻨَﺰِﻱُّ، ﺡ ﻭَﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﺑَﺸَّﺎﺭٍ، – ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻻِﺑْﻦِ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ – ﻗَﺎﻻَ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃُﻣَﻴَّﺔُ ﺑْﻦُ ﺧَﺎﻟِﺪٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺷُﻌْﺒَﺔُ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﻤْﺰَﺓَ ﺍﻟْﻘَﺼَّﺎﺏِ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﻗَﺎﻝَ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻟْﻌَﺐُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼِّﺒْﻴَﺎﻥِ ﻓَﺠَﺎﺀَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﺘَﻮَﺍﺭَﻳْﺖُ ﺧَﻠْﻒَ ﺑَﺎﺏٍ – ﻗَﺎﻝَ – ﻓَﺠَﺎﺀَ ﻓَﺤَﻄَﺄَﻧِﻲ ﺣَﻄْﺄَﺓً ﻭَﻗَﺎﻝَ ” ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ – ﻗَﺎﻝَ – ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻲَ ” ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ” . ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺍﻟْﻤُﺜَﻨَّﻰ ﻗُﻠْﺖُ ﻷُﻣَﻴَّﺔَ ﻣَﺎ ﺣَﻄَﺄَﻧِﻲ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﻔَﺪَﻧِﻲ ﻗَﻔْﺪَﺓً </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> অনুবাদ - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে আব্বাস রাযি: থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন , একবার আমি শিশুদের সাথে খেলছিলাম । এ সময় রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম সেখানে এসে উপস্থিত হলেন । আমি তখন দরজার আড়ালে লুকিয়ে রইলাম । অতঃপর নবীজি সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে স্নেহভরে চাপড় দিয়ে বললেন , যাও , মুয়াবীয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো । ইবনে আব্বাস রাযি: গিয়ে দেখেন যে, মুয়াবীয়া রাযি: খাচ্ছেন। ইবনে আব্বাস রাযি: বলেন , অতঃপর আমি নবীজী সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে এসে বললাম , তিনি ( মূয়াবীয়া রাযি:) খাচ্ছেন । তখন নবীজি সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আবার আমাকে বললেন , আবার যাও, মূয়াবীয়াকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। এবারও মুয়াবীয়া রাযি:কে তিনি খেতে দেখলেন, ইবনে আব্বাস রাযি: বলেন, এবারও আমি গিয়ে ফিরে এসে বললাম , তিনি খাচ্ছেন । এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বললেন , “আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক ।   </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( 2604 صحيح مسلم) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * হাদীসটির অনুবাদে ঘৃণ্য মিথ্যাচার -</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> _______________________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উল্লেখ্য যে, এই হাদীসের ( আরবী মতনানুসারে)  কোথাও লিখা নেই যে, ইবনে আব্বাস রাযি: হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:কে এটি বলেছেন যে, আল্লাহর রাসূল আপনাকে ডাকছেন এবং এর উত্তরে মুয়াবীয়া রাযি: নাকি জবাব দিলেন যে,  আমি খাচ্ছি এখন যেতে পারবোনা..! লানাতুল্লাহে আলাল কাযেবীন, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত। কতবড় মুনাফিক হলে অনুবাদে খেয়ানত করতে পারে তাঁর উপর ইবনে আব্বাস রাযি: এবং হজরতে আমীরে মুয়াবীয়া রাযি: এর উপর এতবড় তোহমৎ লাগাতে পারে। বরংচ, এই হাদীসে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ওয়াসাল্লাম বলেন -</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞ " </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> যাও মুয়াবীয়াকে ডেকে নিয়ে আসো। ইবনে আব্বাস রাযি: গিয়ে দেখেন যে, মুয়াবীয়া রাযি: খাচ্ছেন, তাই তিনি ফিরে এসে বল্লেন যে, তিনি খাচ্ছেন। আবারও আল্লাহর রাসূল বলেন, </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻲَ ” ﺍﺫْﻫَﺐْ ﻭَﺍﺩْﻉُ ﻟِﻲ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ” . ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺠِﺌْﺖُ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻫُﻮَ ﻳَﺄْﻛُﻞ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> যাও আবারও ডেকে আসো... এবারও ইবনে আব্বাস রাযি: দেখেন যে, মুয়াবীয়া রাযি: খাচ্ছেন। তাই তিনি ফিরে এসে বল্লেন, তিনি খাচ্ছেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ বল্লেন, ﻓَﻘَﺎﻝَ ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ” আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> অতএব, এই হাদীসে কোথাও প্রমাণ হয়না যে, হজরতে ইবনে আব্বাস রাযি: মুয়াবীয়া রাযি:কে গিয়ে এই খবর দিলেন, রাসূলুল্লাহ তাকে ডাকছেন বা এটাও প্রমাণ হয়না যে, মুয়াবীয়া রাযি: উত্তরে, " আমি খাচ্ছি, এখন যেতে পারবোনা " বলেছেন। এমন কোন বক্তব্যও হাদীসে উল্লেখ নেই। মূর্খরা হাদীস বুঝেনা ওরা এটাও দেখেনা যে, ইবনে আব্বাস রাযি: মুয়াবীয়া রাযি:কে ডাকেনি বরং তিনি হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:কে খেতে দেখে ফিরে আসেন। যদি হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:কে ইবনে আব্বাস রাযি: রাসূলুল্লাহ ডাকার ব্যাপারটা জানাতেন তবেঁ অবশ্যই হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর বক্তব্যটাও ইমাম মুসলিম রহ: এই হাদীসে আনতেন বরং কথা হয়েছে রাসূলুল্লাহ সালল্লহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এবং ইবনে আব্বাস রাযি: এর মাঝে। যেমনটা আমি তাহকীক করে দেখালাম। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> অতএব হাদীসটিতে স্পষ্টতরভাবে বুঝা গেলো, হজরতে আমীরে মুয়াবীয়া রাযি: রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকার ব্যাপারটা জানতেন না। কারণ ইবনে আব্বাস রাযি: মুয়াবীয়া রাযি:কে খেতে দেখে ফিরে আসেন। এবার হয়তোবা কৌতূহলজনক প্রশ্ন জাগতে পারে আপনাদের..! যদি আমীরে মুয়াবীয়া রাযি: নাই বা জানতেন যে, রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকছেন! তবেঁ কেনইবা আল্লাহর রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম মুয়াবীয়া রাযি:কে  ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ”  তথা " আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক " বল্লেন কেন? </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাললল্লাহু আলাইহে  মুয়াবীয়া রাযি:কে " ” ﻻَ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑَﻄْﻨَﻪُ ” তথা " আল্লাহ তাঁর পেট না ভরাক " বলার কারণ - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> _____________________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * ইমাম নববী রহ: এই সম্পর্কে লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﺃَﻥَّ ﻣَﺎ ﻭَﻗَﻊَ ﻣِﻦْ ﺳَﺒِّﻪِ ﻭَﺩُﻋَﺎﺋِﻪِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻩِ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻤَﻘْﺼُﻮﺩٍ ﺑَﻞْ ﻫُﻮَ ﻣِﻤَّﺎ ﺟَﺮَﺕْ ﺑِﻪِ ﻋَﺎﺩَﺓُ ﺍﻟْﻌَﺮَﺏِ ﻓِﻲ ﻭَﺻْﻞِ ﻛَﻠَﺎﻣِﻬَﺎ ﺑِﻠَﺎ ﻧِﻴَّﺔٍ ﻛَﻘَﻮْﻟِﻪِ ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﻤِﻴﻨُﻚَ ﻭﻋَﻘْﺮَﻯ ﺣَﻠْﻘَﻰ ﻭَﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻟَﺎ ﻛَﺒِﺮَﺕْ ﺳِﻨُّﻚِ ﻭَﻓِﻲ ﺣَﺪِﻳﺚِ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ﻟَﺎ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑﻄﻨﻪ ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻳﻘﺼﺪﻭﻥ ﺑﺸﺊ ﻣِﻦْ ﺫَﻟِﻚَ ﺣَﻘِﻴﻘَﺔَ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀِ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> যেসব হাদীসে ( সাহাবাদের ব্যাপারে) রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার যে " বদ'দোয়া " বুঝা যায়, মূলত সেগুলো ঐ'রকম বাক্য যা আরব লোকেরা অনর্থকতা বা রসিকতাছলে বলতো। যেমন, একটা হাদীসে কোন একজন সাহাবী রাযি:কে তালিম দিতে গিয়ে রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল বল্লেন,  ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﻤِﻴﻨُﻚَ তোমার ডান হাতের অমঙ্গল হোক বা একবার উম্মুলমুমীনিনা আম্মাজান আয়েশা রাযি: এর উদ্দিশ্যে রাসূলুল্লাহ বলেন,  ﻭﻋَﻘْﺮَﻯ ﺣَﻠْﻘَﻰ বা ﻟَﺎ ﻛَﺒِﺮَﺕْ ﺳِﻨُّﻚِ তোমার বয়স বেশি না হোক এবং সাইয়্যিদুনা মুয়াবীয়া রাযি: এর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাললাম বলেন “ ﻟَﺎ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑﻄﻨﻪ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাঁর পেট না ভরাক, মূলত এসব ঐরকম পর্যায়ের যে, আহলে আরবগণ যা " বদদোয়া " হিসেবে মুরাদ নিতো না। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( শরহে সহীহ মুসলিম ১৬/১৫২) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * ইমাম নববী রহ: আরও লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﻬِﻢَ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﺭَﺣِﻤَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﺃَﻥَّ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻣُﺴْﺘَﺤِﻘًّﺎ ﻟِﻠﺪُّﻋَﺎﺀِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻠِﻬَﺬَﺍ ﺃَﺩْﺧَﻠَﻪُ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺒﺎﺏ ﻭﺟﻌﻠﻪ ﻏﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﻣﻨﺎﻗﺐ ﻣﻌﺎﻭﻳﺔﻻﻧﻪ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﻘِﻴﻘَﺔِ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﺩُﻋَﺎﺀً ﻟَﻪُ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম মুসলিম রহ: এই হাদীস থেকে এটাই বের করেছেন যে, হজরত মুয়াবীয়া রাযি: " বদদোয়া " এর মুখাপেক্ষী ছিলেন না। এটার একমাত্র কারণ হতে পারে যে,  ইমাম মুসলিম রহ: এই হাদীসকে ঐ বা'বে উল্লেখ করেছেন। তবেঁ ইমাম মুসলিম রহ: ছাড়া অধিকাংশ আহলে ইলমগণ এই হাদীসকে মুয়াবীয়া রাযি: এর মানাকেব বা ফজিলত অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কারণ আল্লাহ রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার এই বাক্যটি সত্যিকারে মুয়াবীয়া রাযি:র জন্য দোয়া হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলো। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( শরহে সহীহ মুসলিম ১৬/১৫৬) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * আল্লামা হাাফিজ ইবনে কাছীর রহ: মুসলিম শরীফের এই হাদীসটির ব্যাপারে লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻓَﺮَﻛَّﺐَ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﺍﻟْﺄَﻭَّﻝِ ﻭَﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ ﻓَﻀِﻴﻠَﺔً ﻟِﻤُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ،</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম মুসলিম রহ: এই হাদীসকে প্রথম হাদীসের তুলনায় পরে এনেছেন। এবং এই হাদীস থেকে সায়্যিদুনা মুয়াবীয়া রাযি: এর ফজিলত প্রমাণিত হয়।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( ﺍﻟﺒﺪﺍﻳﺔ ﻭﺍﻟﻨﻬﺎﻳﺔ 8/120 )</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * ইবনে বাত্তাল রহ; এমন একটি রেওয়ায়েতের ব্যাখ্যার লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻫﻰ ﻛﻠﻤﺔ ﻻ ﻳﺮﺍﺩ ﺑﻬﺎ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺗﺴﺘﻌﻤﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺪﺡ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻟﻠﺸﺎﻋﺮ ﺇﺫﺍ ﺃﺟﺎﺩ : ﻗﺎﺗﻠﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻘﺪ ﺃﺟﺎﺩ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মূলত, এসব এমন বাক্য যা দ্বারা " বদ'দোয়া " মুরাদ নই। এগুলো শুধু মাত্র সুনাম করার অর্থে ব্যবহার করা হয়। যেমন, কোন শায়ের যখন সুন্দর করে শে'র পড়ে তখন আরবীয়রা বলে যে, আল্লাহ তাকে মারুক! সে কত সুন্দর শে'র পড়লো।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( শরহে সহীহ বুখারী ৯/ ৩২৯)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * আবু মানসুর মুহাম্মদ বিন আহমদ রহ: এই সম্পর্কে লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﮬﺬﺍ ﻋﻠﯽ ﻣﺬﮬﺐ ﺍﻟﻌﺮﺏ ﻓﯽ ﺍﻟﺪﻋﺎ ﻋﻠﯽ ﺍﻟﺸﯽﺀ ﻣﻦ ﻏﯿﺮ ﺍﺭﺍﺩۃﻟﻮﻗﻮﻋﮧ , ﻻ ﯾﺮﺍﺩ ﺑﮧ ﺍﻟﻮﻗﻮﻉ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> এমন বাক্যগুলো আরবীয়দের মাঝে এভাবে প্রচলিত যে, যেখানে তাঁরা কারো ব্যাপারে বদদোয়ার মত শব্দ করে কিন্তু এখানে সেই ইচ্ছে ( বদদোয়া)  থাকতো না অর্থাৎ বদদোয়া কবুল হওয়ার চিন্তা আনতো না।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( ﺗﻬﺬﻳﺐ ﺍﻟﻠﻐﺔ ১/১৪৫ )</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * লা'মাজহাবীদের শায়খুল মুহাদ্দীস জনাব আলবানী সাহেবও এই হাদীসের মূল রহস্য বুঝেছিলেন। শুধু বুঝলো না শিয়া খবিসরা। আলবানী এ সম্পর্কে লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻭﻗﺪ ﻳﺴﺘﻐﻞ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻔﺮﻕ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻟﻴﺘﺨﺬﻭﺍ ﻣﻨﻪ ﻣﻄﻌﻨﺎ ﻓﻲ ﻣﻌﺎﻭﻳﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ،ﻭﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﻣﺎ ﻳﺴﺎﻋﺪﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ، ﻛﻴﻒ ﻭﻓﻴﻪ ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻛﺎﺗﺐ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> কিছু গুমরাহ ফেরকারা এই হাদীসকে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে হজরত মুয়াবীয়া রাযি:র নিকৃষ্টতা প্রমাণ করার চেষ্টা করে। যদিওবা এই হাদীসে এমন কোন কথা নেই যা ওনার সমালোচনার সৃষ্টি করবে। এই হাদীস থেকে মুয়াবীয়া রাযি: এর মন্দতা কিভাবে প্রমাণিত হবে..! যেখানে এটাই উল্লেখ্য যে মুয়াবীয়া রাযি: রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার কাতীবে ওহী ছিলেন।  </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( ﺳﻠﺴﻠﺔ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ﻭﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﻓﻘﻬﻬﺎ ﻭﻓﻮﺍﺋﺪﻫﺎ পৃষ্ঠা ৮২)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * সহীহ মুসলিমের আরেকটি হাদীস দেখলে বুঝতে আরেকটু সহজ হবে - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺯُﻫَﻴْﺮُ ﺑْﻦُ ﺣَﺮْﺏٍ، ﻭَﺃَﺑُﻮ ﻣَﻌْﻦٍ ﺍﻟﺮَّﻗَﺎﺷِﻲُّ – ﻭَﺍﻟﻠَّﻔْﻆُ ﻟِﺰُﻫَﻴْﺮٍ – ﻗَﺎﻻَ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋُﻤَﺮُ، ﺑْﻦُ ﻳُﻮﻧُﺲَ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋِﻜْﺮِﻣَﺔُ ﺑْﻦُ ﻋَﻤَّﺎﺭٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﻠْﺤَﺔَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﺃَﻧَﺲُ ﺑْﻦُ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻋِﻨْﺪَ ﺃُﻡِّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ﻳَﺘِﻴﻤَﺔٌ ﻭَﻫِﻲَ ﺃُﻡُّ ﺃَﻧَﺲٍ ﻓَﺮَﺃَﻯ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟْﻴَﺘِﻴﻤَﺔَ ﻓَﻘَﺎﻝَ ” ﺁﻧْﺖِ ﻫِﻴَﻪْ ﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺒِﺮْﺕِ ﻻَ ﻛَﺒِﺮَ ﺳِﻨُّﻚِ ” . ﻓَﺮَﺟَﻌَﺖِ ﺍﻟْﻴَﺘِﻴﻤَﺔُ ﺇِﻟَﻰ ﺃُﻡِّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ﺗَﺒْﻜِﻲ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ ﺃُﻡُّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ﻣَﺎ ﻟَﻚِ ﻳَﺎ ﺑُﻨَﻴَّﺔُ ﻗَﺎﻟَﺖِ ﺍﻟْﺠَﺎﺭِﻳَﺔُ ﺩَﻋَﺎ ﻋَﻠَﻰَّ ﻧَﺒِﻲُّ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃَﻥْ ﻻَ ﻳَﻜْﺒَﺮَ ﺳِﻨِّﻲ ﻓَﺎﻵﻥَ ﻻَ ﻳَﻜْﺒَﺮُ ﺳِﻨِّﻲ ﺃَﺑَﺪًﺍ – ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻗَﺮْﻧِﻲ – ﻓَﺨَﺮَﺟَﺖْ ﺃُﻡُّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ﻣُﺴْﺘَﻌْﺠِﻠَﺔً ﺗَﻠُﻮﺙُ ﺧِﻤَﺎﺭَﻫَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﻟَﻘِﻴَﺖْ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻬَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﻣَﺎ ﻟَﻚِ ﻳَﺎ ﺃُﻡَّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ” . ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ ﻳَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺩَﻋَﻮْﺕَ ﻋَﻠَﻰ ﻳَﺘِﻴﻤَﺘِﻲ ﻗَﺎﻝَ ” ﻭَﻣَﺎ ﺫَﺍﻙِ ﻳَﺎ ﺃُﻡَّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ” . ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺯَﻋَﻤَﺖْ ﺃَﻧَّﻚَ ﺩَﻋَﻮْﺕَ ﺃَﻥْ ﻻَ ﻳَﻜْﺒَﺮَ ﺳِﻨُّﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻳَﻜْﺒَﺮَ ﻗَﺮْﻧُﻬَﺎ – ﻗَﺎﻝَ – ﻓَﻀَﺤِﻚَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ” ﻳَﺎ ﺃُﻡَّ ﺳُﻠَﻴْﻢٍ ﺃَﻣَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻤِﻴﻦَ ﺃَﻥَّ ﺷَﺮْﻃِﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺑِّﻲ ﺃَﻧِّﻲ ﺍﺷْﺘَﺮَﻃْﺖُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺑِّﻲ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﺑَﺸَﺮٌ ﺃَﺭْﺿَﻰ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﺮْﺿَﻰ ﺍﻟْﺒَﺸَﺮُ ﻭَﺃَﻏْﻀَﺐُ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻐْﻀَﺐُ ﺍﻟْﺒَﺸَﺮُ ﻓَﺄَﻳُّﻤَﺎ ﺃَﺣَﺪٍ ﺩَﻋَﻮْﺕُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺑِﺪَﻋْﻮَﺓٍ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻬَﺎ ﺑِﺄَﻫْﻞٍ ﺃَﻥْ ﺗَﺠْﻌَﻠَﻬَﺎ ﻟَﻪُ ﻃَﻬُﻮﺭًﺍ ﻭَﺯَﻛَﺎﺓً ﻭَﻗُﺮْﺑَﺔً ﻳُﻘَﺮِّﺑُﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> সাইয়্যিদুনা আনাস রাযি: হতে বর্ণিত, </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উম্মে সুলাঈম রাযি:আনহা যিনি হজরত আনাস রাযি: এর মাতা ছিলেন। ওনার ঘরে একটা মেয়ে ছিলো। রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ঐ মেয়েটাকে দেখে বল্লেন, এটাকি তুই ? তুই তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছিস..! তোর বয়স না বাড়ুক। এটা শোনামাত্র ঐ মেয়েটি কান্না করতে করতে উম্মে সুলাঈম রাযি:আনহার কাছে গেলো। উম্মে সুলাঈম রাযি:আনহা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলেন, বেটি কি হয়েছে? মেয়েটি বল্লো আমার ব্যাপারে রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসলল্লাম বদদোয়া করেছেন যে, আমার বয়স যাতে না বাড়ে..! এখন তো আমার বয়স আর কখনই বাড়বেনা। তা শুনে উম্মে সুলাঈম রাযি:আনহা তাড়াতাড়ি নিজের চাদর মাটির সাথে লাগাতে লাগাতে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার সামনে হাজির। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন..উম্মে সুলাঈম.! কি হলো? </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উম্মে সুলাঈম রাযি:আনহা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলআল্লাহ.! আপনি কি ঐ মেয়েটিকে বদদোয়া দিয়েছেন যে, যাতে তাঁর বয়স না বাড়ুক? তখন রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম মুচকি হেঁসে উত্তর দিলেন, হে উম্মে সুলাঈম.! আপনি কি জানেন? আমি আমার আল্লাহর কাছ হতে এই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি এবং দোয়া করেছি যে, আমি একজন মানুষ এবং মানুষেরই মত খুশি হই আবার অখুশি। যদিওবা, যে কারোই জন্য বদদোয়া করবো, যেটার সে মুখাপেক্ষী নই তবেঁ ঐ বদদোয়াটি তাঁর জন্য গুনাহ মাফের ওসীলা হিসেবে সাব্যস্ত হবে। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> এবং ঐ বদদোয়াটি রোজ কেয়ামতের দিন নিজেদের মুক্তি লাভের ওসীলা হিসেবেও সাব্যস্ত হবে।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( সহীহ মুসলিম / হাদীস ২৬০৩) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * সহীহ মুসলিম শরীফের আরেকটি হাদীস লক্ষ করা যায় - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺯُﻫَﻴْﺮُ ﺑْﻦُ ﺣَﺮْﺏٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﺮِﻳﺮٌ، ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻋْﻤَﺶِ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ، ﻋَﻦْ ﻣَﺴْﺮُﻭﻕٍ، ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺩَﺧَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭَﺟُﻼَﻥِ ﻓَﻜَﻠَّﻤَﺎﻩُ ﺑِﺸَﻰْﺀٍ ﻻَ ﺃَﺩْﺭِﻱ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﻓَﺄَﻏْﻀَﺒَﺎﻩُ ﻓَﻠَﻌَﻨَﻬُﻤَﺎ ﻭَﺳَﺒَّﻬُﻤَﺎ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺧَﺮَﺟَﺎ ﻗُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﻦْ ﺃَﺻَﺎﺏَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻣَﺎ ﺃَﺻَﺎﺑَﻪُ ﻫَﺬَﺍﻥِ ﻗَﺎﻝَ ” ﻭَﻣَﺎ ﺫَﺍﻙِ ” . ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻗُﻠْﺖُ ﻟَﻌَﻨْﺘَﻬُﻤَﺎ ﻭَﺳَﺒَﺒْﺘَﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ ” ﺃَﻭَﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖِ ﻣَﺎ ﺷَﺎﺭَﻃْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺭَﺑِّﻲ ﻗُﻠْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﺑَﺸَﺮٌ ﻓَﺄَﻯُّ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﻟَﻌَﻨْﺘُﻪُ ﺃَﻭْ ﺳَﺒَﺒْﺘُﻪُ ﻓَﺎﺟْﻌَﻠْﻪُ ﻟَﻪُ ﺯَﻛَﺎﺓً ﻭَﺃَﺟْﺮًﺍ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উম্মুল মুমীনিনা হজরত আয়শা রাযি:আনহা হতে বর্ণিত যে, দু'জন ব্যক্তি রাসূল সাললাল্লাহু আলাইহে ওয়াসালল্লামের দরবারে উপস্থিত হলেন, এবং রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার সাথে কি জেন আলাপ করলেন( রাবীর মতে)। আমি ওসব কথা বুঝতে পারিনি। ঐ'দুজন ব্যক্তির কথাগুলোর কারণে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার রাগ আসলো এবং তিনি ঐ ব্যক্তিদের বদদোয়া দিলেন। যখন ঐ দু'জন ব্যক্তি রাসূল সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার দরবার হতে চলে গেলেন তখন আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলআল্লাহ..! এতটা কষ্টও কি কেও পায়, যতটা সে পেয়েছে? রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বল্লেন, কি বুঝাতে চাও? আমি ( রাবী) আরজ করলাম, আপনি ওনাদের বদদোয়া করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বল্লেন, তোমার কি ঐ অঙ্গীকার মনে নেই.! যেটা আমি আমার আল্লাহর সাথে করেছি? আমি আমার আল্লাহর সাথে এই অঙ্গীকারের আবদ্ধ হয়েছি যে, হে আল্লাহ..! আমি একজন মানুষ.! যদি আমি কোন মুসলমানের জন্য বদদোয়া করি তবেঁ সেটা তাঁর জন্য গুনাহ মাফের ওসীলা হয়ে যায়। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( সহীহ মুসলিম / হাদীস ২৬০০)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * অতএব.! প্রমাণিত হল যে, যদি রাসূল সাললল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম রেগে গিয়ে কোন সাহাবীর জন্য বদদোয়া করেন তবেঁ ঐ বদদোয়াটি ঐ সাহাবীর জন্য মাঘফেরাতের ওসীলা হয়ে দাঁড়াবে। ( সুবহানআল্লাহ) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আর এটাও স্পষ্টতর যে, হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার রাগ বা নারাজ হওয়ার কোণ দলিলও নেই। আচ্ছা, যদি এটা কিছুক্ষণের জন্য মানাও হয় যে, রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম রেগে গিয়ে হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:কে বদদোয়া করেছেন.! তবুও উপরে উল্লেখিত সহীহ হাদীসগুলোর ভিত্তিতে হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর মানাকেব তথা ফজিলতও প্রমাণিত হয়। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালীসিতে তেও ঐ হাদীসের বর্ণনাও ঠিক এমনই এসেছে। ( মুসনাদ ২৮৬৯ নং হাদীস) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * দেখুন মুসনাদে আবি দাউদে লিখা আছে - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻳُﻮﻧُﺲُ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺃَﺑُﻮ ﺩَﺍﻭُﺩَ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻫِﺸَﺎﻡٌ، ﻭَﺃَﺑُﻮ ﻋَﻮَﺍﻧَﺔَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺣَﻤْﺰَﺓَ ﺍﻟْﻘَﺼَّﺎﺏِ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺑَﻌَﺚَ ﺇِﻟَﻰ ﻣُﻌَﺎﻭِﻳَﺔَ ﻳَﻜْﺘُﺐُ ﻟَﻪُ ………</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর প্রতি এই বার্তা পাঠালেন যে, রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামাকে যাতে মুয়াবীয়া রাযি: ওহী লিখতে সহযোগীতা করে। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( ﻣﺴﻨﺪ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ ﺍﻟﻄﻴﺎﻟﺴﻲ হাদীস ২৮৬৯)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ, ঐ হাদীস হতে হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর " কাতীবে ওহী " হওয়া প্রমাণিত হয়। এটি ওনার জন্য একটি বড় ফজিলত বা মানাকেবের দিকে নির্দেশ করে। এজন্য.... </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * ইমাম ইবনে আসাকীর রহ: এই হাদীসের ব্যাপারে লিখেন - </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ﻭﺃﺻﺢ ﻣﺎ ﺭﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻀﻞ ﻣﻌﺎﻭﻳﺔ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হজরতে মুয়াবীয়া রাযি: এর মানাকেব বা ফজিলত সম্পর্কে সবচেয়ে সহীহ হাদীস হল এটিই। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ( তারিখে দামেস্ক, ইবনে আসাকীর, ৫৯/১০৬)</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> * পরিশেষে, মোদ্দাকথা এটাই যে, হজরতে ইবনে আব্বাস রাযি: কর্তৃক হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:কে রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ডাকার কারণ তিনি " ﻳَﻜْﺘُﺐُ ﻟَﻪُ " ওহী লিখক। এবং এই কাজের জন্যই তিনি হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:এর খোজ নেন। এবং হাদীসে উল্লেখ্য</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  “ ﻟَﺎ ﺃَﺷْﺒَﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑﻄﻨﻪ  " </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> বাক্য দ্বারা আমীরে মুয়াবিয়া রাযি: এর প্রতি বদদোয়াও প্রমাণ হয়না বরং এসব এমন বাক্য যা ইমাম নববী রহ:, ইবনে বাত্তাল রহ:, ইবনে কাসীর, ইবনে আসাকীর প্রমুখ ইমামগণ এটাকে আহলে আরবদের রসিকতা বা কৌতুকপূর্ণ বাক্যের সাথে নিসবত করেছেন যেরুপ উপরে উল্লেখিত দলিলগুলোতে পরিলক্ষিত হয়। এত স্পষ্টতর প্রমাণ থাকার পরও যদি কেও এই হাদীসকে হজরতে মুয়াবীয়া রাযি:এর মানাকেব এবং ফাজায়েলের দলিল না মানে, তবেঁ তাঁর চাইতে বড় জালেম আর মূর্খ দুনিয়াতে নেই। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলা আমাদের শিয়া, রাফেদ্বীদের মিথ্যাচার হতে হেফাজত করুন। আমীন। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ______________________</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> Sifat Sultan Alif.</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> Researcher - Ala Hazrat Research Academy.</div> </div> </div>

নবীজি (ﷺ) কি মুয়াবিয়া (রাঃ) কে বদদোয়া দিয়েছেন?

"নবীজি (ﷺ) কি মুয়াবীয়া (রাঃ) কে বদদোয়া দিয়েছেন?" __________________________________________ শিয়া, রাফেদ্বীরা সা...

Read more »

আমীরে মুয়াবিয়া কি সরাবী ছিলেন? নাউযুবিল্লাহ..এই অপবাদের খন্ডন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi39YrEwWXT3IEEW65wp_cWBOYp1xeCz-k1oRwENKNifkGoNgDzREWl8Xro2BbNWD7eSyMUVQUABDkSn18I5wijB_vuoAVUmD9wkod6q3L2ZwUdGX48I8j7ZphZNBQZdMPwLS-Pb0N5uUJD/s1600/FB_IMG_1568961571957.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="475" data-original-width="720" height="211" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi39YrEwWXT3IEEW65wp_cWBOYp1xeCz-k1oRwENKNifkGoNgDzREWl8Xro2BbNWD7eSyMUVQUABDkSn18I5wijB_vuoAVUmD9wkod6q3L2ZwUdGX48I8j7ZphZNBQZdMPwLS-Pb0N5uUJD/s1600-rw/FB_IMG_1568961571957.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আমীরে মুয়াবিয়া কি  সরাবী ছিলেন নাউযুবিল্লাহ..? এই অপবাদ রাফজিরা দিয়ে থাকে। তাদের বক্তব্যের দলিল হলো নিম্নোক্ত মুসনাদে আহমাদের হাদীস। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">   حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَجْلَسَنَا عَلَى الْفُرُشِ، ثُمَّ أُتِينَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ " أُتِينَا بِالشَّرَابِ فَشَرِبَ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ: كُنْتُ أَجْمَلَ شَبَابِ قُرَيْشٍ وَأَجْوَدَهُ ثَغْرًا، وَمَا شَيْءٌ كُنْتُ أَجِدُ لَهُ لَذَّةً كَمَا كُنْتُ أَجِدُهُ وَأَنَا شَابٌّ غَيْرُ اللَّبَنِ، أَوْ إِنْسَانٍ حَسَنِ الْحَدِيثِ يُحَدِّثُنِي </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আমাকে হাদীস বয়ান করেছন যাইদ হাবাব, হুসাইন বিন ওয়াকদ হইতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্নণা করেছেন আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদাহ তিনি বলেন আমি এবং আমার পিতা আমীরে মুয়াবীয়ার দরবারে দাখিল হলাম... তারপর আমার পিতা সেখানে বিছানায় বসে,পড়লেন এবং তিনি (আমীরে মুয়াবীয়া)  কিছু খাবার পরিবেষন করলেন তারপর আমরা তা খেলাম।অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া  সারাব নিয়ে এলেন এবং তিনি তা পান করলেন এবং আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া ফরমালেন..... আমি যে জিনিশে স্বাদ পেয়েছি,  আমি যখন কিশোর ছিলাম সেই সময় শুধু লসসিতে পেতাম। আজ যেমন স্বাদ পেয়েছি তেমন পুর্বেও  স্বাদ পেয়েছিলাম।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদে আহমাদ, খন্ড-৩৮, হাদীস নং-২২৯৪২</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উপরি উক্ত হাদীসের উপর আমার জবাব। প্রথমে তো উক্ত হাদীসে শারাব বলতে পানীয় বোঝায় কারণ আরবী শারাব ( شرابٍ)অর্থ যে কোন ধরণের পানীয়। কিন্তু মুর্খ রাফজিরা পাণীয়কে মদ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে মাত্র। মুর্খ রাফজিদের জানা উচিৎ মদের আরবী হলো -الْخَمْر।যাইহোক উক্ত হাদীসে যেহেতু নিম্নোক্ত লাইন আছে </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  ثُمَّ نَاوَل َ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ অর্থ  অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া  শারাব নিয়ে এলেন এবং তিনি তা পান করলেন এবং আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। রাফজি -শিয়ারা  উক্ত লাইনটিই  দলিল হিসাবে নেয়।  তাই উক্ত লাইনের  জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করি ।জবাব হিসাবে বলা যায় উক্ত হাদীসের সনদ সহি  হলেও তা গরীব অর্থাৎ </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইহা খাবরে ওয়াহিদ থেকে প্রমাণিত।খাবরে ওয়াহিদের  মতন তেমন নিক্ষুঁত নাও হতে পারে গরীব হাদীসের কথা তো বাদই দিলাম । উপরিউক্ত মুসনাদে আহমাদের বর্ণনার মতন যে নিক্ষুঁত নয় বরং তাতে ক্ষুঁত আছে তা প্রমাণ করে নিম্নোক্ত মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবার বর্ণনা ।  </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> حدثنا زيد بن الحباب، عن حسين بن واقد، قال: حدثنا عبد الله بن بريدة، قال: قال: دخلتُ أنا وأبي على معاوية، فأجلس أبي على السرير وأُتيَ بالطعام فطعمنا، وأُتِيَ بشرابٍ فشرب، فقال معاوية: «ما شيء كنت أستلذه وأنا شباب فآخذه اليوم إلا اللبن – فإني آخذه كما كنت آخذه قبل اليوم – </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> والحديث الحسن</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আমাকে হাদীস বয়ান করেছন যাইদ হাবাব, হুসাইন বিন ওয়াকদ হইতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্নণা করেছেন আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদাহ তিনি বলেন আমি এবং আমার পিতা আমীরে মুয়াবীয়ার দরবারে দাখিল হলাম... তারপর আমার পিতা সেখানে বিছানায় বসে,পড়লেন এবং তিনি (আমীরে মুয়াবীয়া)  কিছু খাবার পরিবেষন করলেন তারপর আমরা তা খেলাম।এবং সঙ্গে পানীয় ( شرابٍ) নিয়ে এলেন তিনি তা পান করলেন আমরাও পান করলাম...অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া ফরমালেন..... আমি যে জিনিশে স্বাদ পেয়েছি,  আমি যখন কিশোর ছিলাম সেই সময় শুধু লসসিতে পেতাম। আজ যেমন স্বাদ পেয়েছি তেমন পুর্বেও  স্বাদ পেয়েছিলাম।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, খন্ড-১৬,পৃষ্ঠা-৩১২০১</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত কিতাব দ্বয়ের সনদ লক্ষ করলে বোঝা যায় উভয়ের হাদীসের সনদ একি। কিন্তু  দুটো হাদীসের মতন লক্ষ করলে বোঝা যায়  মুসানাদে আহমাদে অতিরিক্ত সংযোজন হিসাবে   নিম্নোক্ত অংশ যোগ করা আছে </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;">  ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ অর্থ  আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। কিন্তু উক্ত অংশটি মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাতে নেই ।  অতএব বলা যেতে পারে  উক্ত  উদ্ধৃতিটি মুসনাদে আহমাদে অতিরিক্ত সংযোজন করা হয়েছে। যেমন ইমাম হাইসামি নিজের কিতাব মাজমাউজ জাওয়াইদে বলেন মুসনাদে আহমাদের উক্ত লইনটি অতিরিক্ত সংযোজন এবং ইহার মতন মুনকার ।   নিচে তার দলিল</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> وهذه الزيادة المشكلة في المتن والتي نجدها في مسند أحمد لانجدها في مصنف ابن أبي شيبة وهي مروية عنده بنفس الطريق.ولهذا نجد الهيثمي استغرابه من هذه النكارة في المتن</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইহার মতনের মধ্যে অতরিক্ত বিভ্রান্তিকর সংযোজন  রয়েছে  যাহা মুসনাদে আহমাদে আমরা পেয়েছি কিন্তু  মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহতে  তাহা পাইনি। এবং তার নিকট একি তুরুক হইতে বর্ণিত হয়েছে।অতএব আমরা পেয়েছি, ইমাম হাইশামি ইহাকে গারিব মনে করেছেন  যাহার মতন  মুনকার । </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মাজমাউজ জাওয়ায়িদ, খন্ড-৫ পৃষ্ঠা -৪২</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> এইবার দেখা যাক আমীরে মুয়াবিয়ে মদ পান সম্পর্কে কি বলেন যাতে প্রমাণ হবে আমীরে মুয়াবীয়া উপর মদ্যপ হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা এবং অপবাদ মাত্র । </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَنَّهُ سَمِعَ عَاصِمَ بْنَ بَهْدَلَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا شَرِبُوا الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوهَا الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُمْ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন জাফার তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন সুয়েবাহ তিনি আসিম বিন বাহদালা থেকে শুনেছেন তিনি হাদীস বর্ণনা করেন আবু স্বলেহ থেকে তিনি বলেন আমীতে মুয়াবীয়া বর্ণনা করে বলেন নবীএ আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান যে কেও মদ পান করে  তো তাদের এক শত চাবুক মারো। এবং পুনরায় পান করলে পুনরায় তাদের চাবুক মারো এরপরও যদি এমনকি চুতুর্থবার পান করে তাদের কতল করে দাও।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৮</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত হাদীসে মদপানের বিরোধী মূলক বক্তব্য প্রমাণ করে রাফজিরা বিভিন্নভাবে আমীরে মুয়াবিয়ার উপর  অপবাদ দিতে চায় যা তাদের একটা কুকৌশল মাত্র।</div> </div> </div>

আমীরে মুয়াবিয়া কি সরাবী ছিলেন? নাউযুবিল্লাহ..এই অপবাদের খন্ডন

আমীরে মুয়াবিয়া কি  সরাবী ছিলেন নাউযুবিল্লাহ..? এই অপবাদ রাফজিরা দিয়ে থাকে। তাদের বক্তব্যের দলিল হলো নিম্নোক্ত মুসনাদে আহমাদের হাদ...

Read more »

সুখবর!!! জেনে নিন সেরা ইসলামিক সাইট কোনটি? কিভাবে ইসলামিক বিশ্বকোষ এপ্স ডাউনলোড করবেন?

<div style="width: 480px; height: 270px; overflow: hidden; position: relative;"><iframe frameborder="0" scrolling="no" seamless="seamless" webkitallowfullscreen="webkitAllowFullScreen" mozallowfullscreen="mozallowfullscreen" allowfullscreen="allowfullscreen" id="okplayer" width="480" height="270" src="http://youtube.com/embed/lq877D80A50" style="position: absolute; top: 0px; left: 0px; width: 480px; height: 270px;" name="okplayer"></iframe></div> <br /> via <a href="https://ifttt.com/?ref=da&site=blogger">IFTTT</a>

সুখবর!!! জেনে নিন সেরা ইসলামিক সাইট কোনটি? কিভাবে ইসলামিক বিশ্বকোষ এপ্স ডাউনলোড করবেন?

via IFTTT

Read more »

About US

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> </div> <div dir="ltr"></div><div style="text-align: left;"><div style="text-align: justify;"><span style="background-color: white;">ই</span><span style="background-color: white; font-family: arial; font-size: 11pt; white-space-collapse: preserve;">সলামী</span><span style="background-color: #f3f3f3; font-family: arial; font-size: 11pt; white-space-collapse: preserve;"> বিশ্বকোষ সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ</span></div></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><span style="background-color: white; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসলামী বিশ্বকোষ ওয়েবসাইটে কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস অনুযায়ী ঈমান-আমল বিষয়ক লেখা, বই, এপ্স ও ভিডিও পাওয়া যায়। </span><span style="background-color: white; text-wrap: wrap; vertical-align: baseline;">এখানে রয়েছে-</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ বাংলা - ইংরেজী - উর্দু - ফার্সি আরবি ভাষায় রচিত প্রায় 4000-5000 বইয়ের পিডিএফ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ 9500 এর অধিক বিষয় নিয়ে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক পােস্ট। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ ইসলামিক এপ্স ও ওয়েবসাইটের সংকলন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ 2000 ইসলামিক ছবি+ভিডিও।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ সর্বমােট ব্লগ View 25000000।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ প্রতিদিন ব্লগ View 10-15 হাজার। </span></div> </div>

About US

ই সলামী বিশ্বকোষ সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ ইসলামী বিশ্বকোষ ওয়েবসাইটে কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস অনুযায়ী ঈমান-আমল বিষয়ক লেখা, বই, এপ্স ও ভি...

Read more »