আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) সম্পর্কে আল্লামা ড. তাহেরুল কাদেরীর অভিমত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">শায়খুল ইসলাম ড. তাহেরুল কাদেরীকে নিজেদের মডেল হিসেবে গ্রহণ করেও কিছু লোক ইদানীং আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) কে নিয়ে গালিগালাজ করে। তাদের জন্য এই তুহফা।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVMcp9OHmvuXJFyVCJ2FikcdVDPXJX28-TPDdA2xlIjxT2a9JY8pLvD4w41f-71rRHu-209z8CCK31se01fLsJd4PnZSXlJzC7yGIM0WRkKfKqPLT3PnzslOtqb8lL3_2FxoTRp_i4vvQ/s1600/IMG_20200422_005417.webp" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: large;"><img border="0" data-original-height="1304" data-original-width="1027" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVMcp9OHmvuXJFyVCJ2FikcdVDPXJX28-TPDdA2xlIjxT2a9JY8pLvD4w41f-71rRHu-209z8CCK31se01fLsJd4PnZSXlJzC7yGIM0WRkKfKqPLT3PnzslOtqb8lL3_2FxoTRp_i4vvQ/s320-rw/IMG_20200422_005417.webp" width="252" /></span></a></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiNOpwZRSVqOE1_nKOZC0FofI_PmLoeK1RMusqup6JaHuePaBPZWlDSn_yuoTrRhEoq6NLQuJa0HNnWvnZ-PHycmA3komL7yPB3XULHJlb5HB96LG6t98-GP4hxoUx1IEnsaDtkkIrtsb0/s1600/IMG_20200422_005449.webp" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: large;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="956" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiNOpwZRSVqOE1_nKOZC0FofI_PmLoeK1RMusqup6JaHuePaBPZWlDSn_yuoTrRhEoq6NLQuJa0HNnWvnZ-PHycmA3komL7yPB3XULHJlb5HB96LG6t98-GP4hxoUx1IEnsaDtkkIrtsb0/s400-rw/IMG_20200422_005449.webp" width="238" /></span></a></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><b><i>আমীরে মুয়াবিয়া রঃ সম্পর্কে আহলে সুন্নাহর আক্বিদা সম্পর্কে ড. তাহেরুল কাদেরীর নিজেরই লিখা কিতাব 'শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রঃ দর্শন ও শিক্ষা'</i></b> বাংলায় অনুদিত কিতাবে উনার মতবাদ তুলে ধরলাম।</span></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">পৃষ্ঠা-৯০-৯১</span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রঃ সম্পর্কে আহলে সুন্নাহর মতবাদ: </span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">হযরত আমীরে মুয়াবিয়া অবশ্যই ইসলাম ও মুসলমানের হিতাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। তিনি খেলাফত প্রশ্নে আগেকার ন্যায় মুসলমানদের মাঝে খুনাখুনি ও রক্তপাত চান নি। বিগত অবস্থাদির প্রেক্ষাপটে তিনি এও বুঝতেন যে, তিনি যদি খেলাফত ও ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই বাদ দিয়ে দেন কিংবা কোন কমিশনকে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে দেন তাহলে লোকেরা কখনো কোন ব্যক্তি বিশেষের উপর একমত হবে না।  তখন বিভিন্ন এলাকা হতে খেলাফতের অনেক অনেক দাবিদার দাঁড়িয়ে যাবে এতে করে মস্ত এর অস্থির অস্থিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।  তিনি এও উপলব্ধি করতেন যে, খেলাফত যদি বনু হাশেমকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে বনু উমাইয়ার লোকেরা যারা জাতিগতভাবে অবিচ্ছিন্ন কখনো মেনে নেবে না।  ফলে যুদ্ধবিগ্রহের নির্ঘাত এক ক্রমবর্ধমান ধারার অবতারণা হবে অতএব তিনি বডনু উমাইয়ার উপর আপন পুত্র কে প্রাধান্য দিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে যে ছিল রাজনৈতিক বিষয়ে খুবই পারদর্শী ও সিদ্ধহস্ত। তিনি ভুল করুক আর শুদ্ধ করুক,  এ কথাটি অবশ্য সর্বজনবিদিত যে, এসব কিছু তিনি মুসলমানদের মাঝে খুনাখুনি ও রক্তারক্তি বন্ধ করার মানসেই করেছিলেন।  এ কথাটির সাক্ষী তাঁর এই দোয়াটি, যা তিনি এজিদকে দায়িত্বভার অর্পণ করার পরে করেছিলেন।</span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">اللهم ان كنت تعلم اني وليت لانه فيما اراه اهل لذالك فاتمم له ما وليته و ان كنت وليته لاني اخبه فلا تتمم له وليته</span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">"হে আল্লাহ তুমি যদি জানো যে, এজিদকে আমি তার যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্বভার অর্পণ করেছি তাহলে তুমি তাকে দিয়ে এই দায়িত্ব পূর্ণ করিয়ে নাও।  পক্ষান্তরে তুমি যদি একথা জানো যে, স্বজনপ্রীতির বশবর্তী হয়ে আমি তাকে এই দায়িত্ব অর্পণ করেছি, তাহলে তুমি তাকে দিয়ে এই দায়িত্ব পূর্ণ করিও না।"</span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৮:৮০)</span></b></div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> <b><span style="font-size: large;">হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার এই উদ্যোগকে শুদ্ধ বলুন আর ভুল বলুন, এ কথাটি কখনো অস্বীকার করা যায় না যে, তাঁর উদ্যোগের পিছনে কাজ করেছিল হিত ও মঙ্গল কামনা। ওলামায়ে আহলে সুন্নাতগণ এ উদ্যোগের কথা ভেবে এবং নবী দঃ এর সাথে সম্পৃক্ততার অর্থাৎ সাহাবা হওয়ার কথা বিবেচনা করে হযরত আমীরে মুয়াবিয়ার ব্যপারে উচ্চবাচ্য করা, তাঁর সমালোচনা করা, তাঁকে গালমন্দ করা এবং ভালমন্দ বলা হারাম ঘোষণা করে দিয়েছেন।</span></b></div> </div>

আমীরে মুয়াবিয়া (রাঃ) সম্পর্কে আল্লামা ড. তাহেরুল কাদেরীর অভিমত

শায়খুল ইসলাম ড. তাহেরুল কাদেরীকে নিজেদের মডেল হিসেবে গ্রহণ করেও কিছু লোক ইদানীং আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) কে নিয়ে গালিগালাজ করে। তাদের জন্য এই ...

Read more »

বিষয়ঃ- ইলম ও আলেমের মর্যাদা।

<div><b>বিষয়ঃ- ইলম ও আলেমের মর্যাদা।</b></div><div>==========================</div><div>✔ রাসূলে আরাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমানঃ- </div><div>عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ قَال أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ{رواه الترمذي</div><div><br></div><div>অর্থঃ- আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম (জ্ঞান) অর্জন করার উদ্দেশ্যে পথ চলবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম করে দিবেন। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-২৬৪৬, </div><div>২) ইবনু মাজাহ শরীফ, হাদীস নং- ২২৩,</div><div>৩) সহিহুল জামে‘ হাদীস নং- ৬২৯৮, সনদ সহিহ।</div><div><br></div><div>✔ আল্লাহ তাআলা বলেন,</div><div><br></div><div>يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ</div><div><br></div><div>অর্থঃ- তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহ যাদেরকে জ্ঞান দান করেছেন তাদেরকে উচ্চমর্যাদায় উন্নীত করবেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত।’ (মুজাদালাহ- ১১ নং আয়াত)।</div><div><br></div><div>✔ অন্য হাদিসে এসেছে,</div><div><br></div><div>عَنْ أَبِى أُمَامَةَ الْبَاهِلِىِّ قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا عَابِدٌ وَالآخَرُ عَالِمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِى عَلَى أَدْنَاكُمْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِى جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ.</div><div><br></div><div>অর্থঃ- আবু উমামা আল-বাহিলি (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে দু’জন লোকের কথা উল্লেখ করা হলো। যাদের একজন আলিম অপরজন আবিদ। তখন তিনি বলেন, আলিমের মর্যাদা আবিদের ওপর। যেমন আমার মর্যাদা তোমাদের সাধারণের উপর। তারপর রাসূলুল্লাহ (সাসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, নিশ্চয়ই তার প্রতি আল্লাহ রহমত করেন এবং তার ফেরেশতামন্ডলী, আসমান-জমিনের অধিবাসী, পিপীলিকা তার গর্তে থেকে এবং এমনকি মাছও কল্যাণের শিক্ষা দানকারী (আলেম) ব্যক্তির জন্য দোয়া করেন।</div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং-২৬৮৫,</div><div>২) মিশকাত শরীফ, হাদীস নং-২১৩, সনদ হাসান।</div><div><br></div><div>✔ অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,</div><div><br></div><div>مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِى السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِى الأَرْضِ وَالْحِيتَانُ فِى جَوْفِ الْمَاءِ .</div><div><br></div><div>‘যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করার উদ্দেশ্যে কোনো পথ অবলম্বন করে আল্লাহ তা‘আলা তা দ্বারা তাকে জান্নাতের কোন একটি পথে পৌঁছে দেন এবং ফেরেশতাগণ ইলম অন্বেষণকরীর উপর খুশি হয়ে নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। এ ছাড়া আলেমদের জন্য আসমান ও জমিনের সকল অধিবাসী আল্লাহর নিকট দোয়া ও প্রার্থনা করে। এমনকি পানির মধ্যে বসবাসকারী মাছও (তাদের জন্য দোয়া করে)। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং-৩৬৪১,</div><div>২) মিশকাত শরীফ, হাদীস নং-২১২,</div><div>৩) সহিহুল জামে‘ হাদীস নং-৬২৯৭, সনদ সহিহ।</div><div><br></div><div>✔ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,</div><div>طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ</div><div><br></div><div>‘প্রত্যেক মুসলিমের ওপরে জ্ঞান অন্বেষণ করা ফরজ। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) ইবনু মাজাহ শরীফ, হাদীস নং-২২৪,</div><div>২) মিশকাত শরীফ, হাদীস নং- ২১৮, সনদ হাসান।</div><div><br></div><div>✔ মহান আল্লাহ বলেন,</div><div><br></div><div>وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ.</div><div><br></div><div>‘সুতরাং এমন কেন হয় না যে, তাদের প্রত্যেকটি বড় দল হতে এক একটি ছোট দল বের হবে, যাতে তারা দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করতে পারে যখন তারা ওদের নিকট প্রত্যাবর্তন করে, যেন তারা সতর্ক হয়।’ (সূরা তওবা ৯/১২২)</div><div><br></div><div>✔ আল্লাহ বলেন,</div><div><br></div><div>عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ</div><div><br></div><div>‘আমি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছি, যা সে জানত না।’ (সূরা আলাক ৯৬/৫) </div><div><br></div><div> ✔ আল্লাহ তাআলা বলেন,</div><div><br></div><div>يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ</div><div><br></div><div>‘তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমত দান করেন এবং যাকে হিকমত দান করা হয় তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয় এবং কেবল বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই শিক্ষা গ্রহণ করে।’ (সূরা বাকারাহ ২/২৬৯) এ সম্পর্কে</div><div><br></div><div> ✔ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,</div><div><br></div><div>خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِى الدِّين مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ</div><div><br></div><div>আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন’। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) ইবনু মাজাহ শরীফ, হাদীস নং- ২২৩,</div><div>২) সহিহুল জামে‘ হাদীস নং-৬২৯৭, সনদ সহিহ।</div><div><br></div><div>‘আলিমগণই নবীদের প্রকৃত উত্তরাধিকারী : রক্ত সম্পর্ক কিংবা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে কোন ব্যক্তির ওয়ারিশ হওয়া যায়। কিন্তু ইলম এমন একটি মূল্যবান সম্পদ, যে ব্যক্তি তা অর্জন করবে আল্লাহ তাকে নবীদের ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী বানাবেন। সুতরাং আল্লাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা সম্পন্ন ব্যক্তিরা মূলত নবীদের উত্তরাধিকারী। আর উত্তরাধিকার জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।</div><div><br></div><div> ✔ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,</div><div><br></div><div>إِنَّ الْعُلَمَاءَ هُمْ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا إِنَّمَا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ.</div><div><br></div><div>‘আলেমরাই নবীগণের উত্তরাধিকারী। নবীগণ দিনার বা দিরহামের উত্তরাধিকারী করেন না। বরং তারা ইলমের উত্তরাধিকারী করেন। ফলে যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করল সে বৃহদাংশ গ্রহণ করল। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৭১।</div><div><br></div><div> অতএব দ্বীনি ইলম অর্জন করলে নবীদের উত্তরাধিকারী হওয়া যায়।</div><div><br></div><div> রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর নিকট উপকারী ইলমের প্রার্থনা করতেন। হাদিসের ভাষায় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি ফজর সালাতের পর প্রার্থনা করতেন এই বলে যে,</div><div><br></div><div>اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً</div><div><br></div><div>‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমল ও পবিত্র রুজি প্রার্থনা করছি।’ </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- ১) মুসনাদে আহমাদ,</div><div>২) ইবনে মাজাহ,</div><div>৩) তাবারানি, </div><div>৪) মিশকাত শরীফ, হাদীস নং-২৪৯৮। আলেমের দায়িত্ব ইলমের প্রচার প্রসার </div><div><br></div><div><br></div><div>✔ আল্লাহ বলেন,</div><div><br></div><div>يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ</div><div><br></div><div>‘হে রাসূল! পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন তবে আপনি তাঁর পয়গাম পৌঁছালেন না।’ (সূরা মায়েদা ৫/৬৭)</div><div><br></div><div>এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,</div><div><br></div><div>بَلِّغُوا عَنِّى وَلَوْ آيَةً</div><div><br></div><div><br></div><div>‘আমার পক্ষ হতে মানুষের নিকটে পৌঁছে দাও, যদি একটি আয়াতও হয়’। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- </div><div>১) বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৩৪৬১,</div><div>২) তিরমিজি শরীফ, হাদীস নং-২৬৬৯।</div><div><br></div><div>পক্ষান্তরে আলিমগণ দ্বীন প্রচারে অবহেলা করলে কিংবা বিরত থাকলে তাদের অবস্থা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। হাদিসে এসেছে,</div><div><br></div><div>عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمِ يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْقَى فِى النَّارِ فَتَنْدَلِقُ بِهِ أَقْتَابُهُ فَيَدُورُ بِهَا فِى النَّارِ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِرَحَاهُ فَيُطِيفُ بِهِ أَهْلُ النَّارِ فَيَقُولُونَ يَا فُلاَنُ مَا لَكَ مَا أَصَابَكَ أَلَمْ تَكُنْ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَانَا عَنِ الْمُنْكَرِ فَقَالَ كُنْتُ آمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَلاَ آتِيهِ وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَآتِيهِ.</div><div><br></div><div>ওসামা ইবনু যায়েদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক ব্যক্তিকে ক্বিয়ামতের দিন নিয়ে আসা হবে। তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এতে করে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। আর সে তা নিয়ে ঘুরতে থাকবে যেমনভাবে গাধা আটা পিষা জাঁতার সাথে ঘুরতে থাকে। জাহান্নামিরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করবে, আপনি কি আমাদের ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করতেন না? সে বলবে, হ্যাঁ। আমি তোমাদের ভালো কাজের আদেশ করতাম, কিন্তু নিজে করতাম না। আর খারাপ কাজের নিষেধ করতাম কিন্তু নিজেই তা করতাম। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ-</div><div>১) বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৩২৬৭; </div><div>২) মিশকাত শরীফ,  হাদীস নং- ৫১৩৯।</div><div><br></div><div>✔ মৃত্যুর পর মানুষের আমল বন্ধ হয়ে যায় অথচ দ্বীনি ইলম অর্জন করে শিক্ষা দিলে তা কবরে পৌঁছানোর অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,</div><div><br></div><div>إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ</div><div><br></div><div>‘যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল ব্যতীত। এই তিনটি আমল হলো, প্রবহমান ছাদাকা, এমন ইলম যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং এমন সুসন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।</div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-১৬৩১।</div><div><br></div><div><br></div><div>এ পর্যন্ত ইলম আলেম এবং ইলম প্রচারের গুরুত্ব ও ফজিলতের ব্যাপারে সামান্য আলোকপাত করা হলো ৷ </div><div><br></div><div>যারা ইলমে দ্বীনের পথে আসতে পারেননি তাদের দায়িত্ব হলো আলেমদের মুহাব্বত করা, সুহবতে থেকে প্রয়োজনীয় ইলম শিখে নেওয়া, তাদের সম্মান করা, মর্যাদা দান করা ৷ সাহায্য সহযোগিতা করা ৷ </div><div><br></div><div>যারা আলেমদের সম্মান দেবেন আল্লাহ তাদেরকেও সম্মান করবেন ৷ তবে নিয়্যাত ঠিক থাকতে হবে ৷ কোনো স্বার্থ ছাডাই সম্মান দিতে হবে ৷ তখন দেখা যাবে এক সময় স্বার্থও হাসিল হবে সম্মানও বাড়বে ৷</div><div><br></div><div>আলেমদেরকে দলীয় বিবেচনার উর্দ্ধে স্থান দিতে হবে ৷ রাজনীতির উর্দ্ধে রাখতে হবে ৷ কারণ আলেমরা সার্বজনিন ৷ কিছু দেখলেই অমুক আলেম এমন হয়েগেছে, অমুক দলের দালাল হয়েগেছে এমন বলা যাবে না ৷ বললে আলেমের ক্ষতি হবে না ক্ষতি হবে আপনার নিজের ৷ অনেক বাস্তবতা এর সাক্ষি ৷ </div><div><br></div><div>তাই সকলকে বলব আলেমদের নিঃস্বার্থ সম্মান করতে শিখেন ৷ স্বার্থও হাসিল হবে নিজের সম্মানও বৃদ্ধি পাবে। </div><div><br></div><div>আলমদের প্রতি যদি বিরূপ মনোভাব রাখেন, স্বার্থের বশবর্তি হয়ে দেখানোর জন্য সম্মান দেখান স্বার্থও হাসিল হবে না কাংখিত সম্মানও পাবেন না ৷ এরও দীর্ঘ বাস্তবতা এর প্রমাণ ৷</div><div><br></div><div>আলেমদেরও উচিত নিজেদের স্বকীয়তা সার্বজনীনতা, এবং গ্রহণযোগ্যতাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা ৷ আলেমরাতো কোরআন হাদীস তথা দ্বীনি ইলমের ফেরিওয়ালা ৷  এর চাইতে উত্তম মর্যাদা তাদের জন্য কি আছে ৷ সুতরাং তারা কেন দুনিয়াবী বিভিন্ন মত পথের হয়ে নিজেদের উপস্থাপন করতে যাবে ৷ বরং তাদেরকে তাদের সঠিক অবস্থানে অটল অবিচল থাকতে হবে ৷ দলে দলে উম্মতকে বিভক্ত করবে না ৷ সব দল মত এবং পথের হেদায়াতের  জন্য তারা হবে রাহবরের ভুমিকায় ৷ স্বার্থের দ্বন্ধে তারা জড়াতে পারবে না ৷ তখন স্বার্থ তাদের সালাম করবে ৷ সম্মান তাদের পিছু নেবে ৷ </div><div><br></div><div>ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাস এর প্রমাণ ৷</div><div><br></div>

বিষয়ঃ- ইলম ও আলেমের মর্যাদা।

বিষয়ঃ- ইলম ও আলেমের মর্যাদা। ========================== ✔ রাসূলে আরাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমানঃ-  عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَال...

Read more »

কিতাবঃ ইমাম আহমদ রযা (রহঃ)'র জীবনী [দাওয়াতে ইসলামী]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কিতাবঃ <b>ইমাম আহমদ রযা (রহঃ)'র জীবনী</b></div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, ওলীয়ে নেয়ামত, আযিমুল বারকাত, আযিমুল মারতাবাত, পারওয়ানায়ে শময়ে রিসালাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, হামিয়ে সুন্নাত, মাহিয়ে বিদ্আত, আলিমে শরীয়াত, পীরে তরীকত, বায়িছে খাইর ও বরকত, হযরত আল্লামা মাওলানা আল হাজ্ব, আল হাফিজ, আল ক্বারী, শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খান ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ১০ ই শাওয়াল ১২৭২ হিজরী, ১৪ই জুন ১৮৫৬ ইং রোজ শনিবার যোহরের সময় বেরেলী শহরের যাচুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম বৎসরের হিসাবে তাঁর ঐতিহাসিক নাম ‘আল মুখতার’ (১২৭২ হিঃ) (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৫৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ নিজের জন্ম সাল ২৮ পারার সূরাতুল মুজাদালার ২২ নং আয়াত থেকে বের করেন। এই আয়াতে করীমার ‘ইলমে আবজাদ’ মোতাবেক সংখ্যা ১২৭২ আর হিজরী সাল মোতাবেক এটাই তাঁর জন্ম সাল। যেমন: মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত “মলফুজাতে আ’লা হযরত” এর ৪১০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে: জন্মের তারিখ সমূহের আলোচনা ছিল এবং এর উপর (সায়্যিদী আ’লা হযরত বলেন: আল্লাহ তাআলার জন্য সকল প্রশংসা আমার জন্ম তারিখ এই আয়াতে করীমায় বিদ্যমান:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺃُﻭﻟَٰﺌِﻚَ ﻛَﺘَﺐَ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥَ ﻭَﺃَﻳَّﺪَﻫُﻢ ﺑِﺮُﻭﺡٍ ﻣِّﻨْﻪُ আয়াত:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ- “ এরা ঐসব লোক যাদের অন্তরগুলোতে আল্লাহ ঈমান অংকিত করে দিয়েছেন এবং তাঁর নিকট থেকে রূহ দ্বারা তাঁদের সাহায্য করেছেন ।”</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তাঁর নাম মোবারক ছিল মুহাম্মদ। কিন্তু তাঁর পিতামহ তাঁকে আহমদ রযা বলে ডাকতেন বিধায় তিনি ঐ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> সাধারণত প্রত্যেক যুগের বাচ্চাদের অবস্থা আজকাল বাচ্চাদের অবস্থার মত যে, সাত আট বৎসর পর্যন্ত তাদের কোন কথার হুশ থাকেনা এবং তারা কোন বিষয়ের চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। তবে আলা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর শৈশবকাল খুবই গুরুত্ব বহনকারী ছিল। শৈশবকাল এবং কম বয়সের বুদ্ধিমত্তা ও স্মরণশক্তির অবস্থা এরকম ছিল যে, মাত্র সাড়ে ৪ বছরের ছোট্ট বয়সে কুরআন শরীফ সম্পূর্ণ নাযেরা পড়ার নেয়ামত লাভে ধন্য হন, ৬ বছর বয়সে রবিউল আওয়ালের পবিত্র মাসে মিম্বরে আরোহণ করে মিলাদুন্নবী ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ বিষয়বস্তুর উপর এক বড় ইজতিমাতে চমৎকার বয়ান করে ওলামায়ে কেরাম এবং মাশায়েখে ইজামদের প্রশংসা এবং বাহবাহ অর্জন করেন। এই বয়সে তিনি বাগদাদ শরীফের ব্যাপারে দিক নির্ধারণ করে নেন, আর সারা জীবন হুযুর গাওসে আযম ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ (অর্থাৎ গাওসে আযমের মোবারক শহরের) দিকে কখনো পাদ্বয়কে প্রসারিত করেননি। নামাযের প্রতি তাঁর খুবই ভালবাসা ছিল। এমনকি পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআত সহকারে তাকবিরে উলাকে সংরক্ষণ করে মসজিদে গিয়ে আদায় করতেন। যখনই কোন মহিলা সামনে পড়ে যেত তবে তৎক্ষণাৎদৃষ্টিকে নত করে মাথা ঝুঁকিয়ে নিতেন। যেন সুন্নাতে মুস্তফা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, যেটার বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে হুযুর পুরনূর ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর মহান খেদমতে এভাবে সালাম পেশ করেন:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> “নিচি আখো কি শরম ও হায়া পর দরূদ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> উঁচি বিনি কি রিফআত পে লাখো সালাম।”</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ছোটবেলায় এমন তাকওয়া অর্জন করেছিলেন যে, চলার সময় পাদ্বয়ের আওয়াজও শুনা যেতনা। সাত বছর বয়স থেকেই রমজানুল মোবারক মাসের রোযা রাখা শুরু করেন। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৩০তম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> জনাব সায়্যিদ আইয়ুব আলী শাহ সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: শৈশব কালে তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কে পবিত্র কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য জনৈক মাওলানা সাহেব তার ঘরে আসতেন। একদিনের বর্ণনা: মাওলানা সাহেব পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতে করীমার কোন এক শব্দের হরকত তাঁকে বারবার বলার পরও তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ মুখ থেকে তা বের করতে পারলেন না, বরং তাঁর মুখ মোবারক থেকে মাওলানা সাহেব যেরূপ বলেছিলেন তার বিপরীতই বের হল। মাওলানা সাহেব শব্দটিতে ‘যবর’ উচ্চারণ করলেন কিন্তু। আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাতে “যের” উচ্চারণ করলেন। এ অবস্থা দেখে আ’লা হযরতের ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ পিতামহ হযরত মাওলানা রযা আলী খান সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁকে (আ’লা হযরত) ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁর নিকট ডাকলেন এবং কুরআন শরীফ আনার জন্য বললেন। তিনি কুরআন শরীফ খুলে দেখলেন যে, উক্ত শব্দে কোন লিখক ভুলে যেরের স্থানে যবর লিখে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আ’লা হযরতের পবিত্র জবানে যা উচ্চারিত হয়েছিল, তাই সঠিক ছিল। তাঁর পিতামহ তাঁকে (আ’লা হযরতকে) জিজ্ঞাসা করলেন: “বৎস! মাওলানা সাহেব তোমাকে যেরূপ বলেছিলেন তুমি সেরূপ বলনি কেন? আরজ করলেন: “আমি মাওলানা সাহেবের মত উচ্চারণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমি আমার জবানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ নিজেই বলেছেন যে: আমার উস্তাদ যার থেকে আমি ইবতেদায়ী কিতাব সমূহ পড়তাম। যখন আমাকে সবক পড়ানো হত। আমি এক দু’বার দেখে কিতাব বন্ধ করে দিতাম। যখন সবক শুনতেন তখন অক্ষরে অক্ষরে শব্দে শব্দে শুনিয়ে দিতাম। প্রতিদিন এই অবস্থা দেখে তিনি খুবই আশ্চর্য হতেন। তিনি একদিন আমাকে বললেন: “প্রিয় বৎস আহমদ! তুমি বল, তুমি কি মানুষ না জ্বিন? আমার পড়াতে দেরী হয় কিন্তু তোমার মুখস্থ করতে দেরী হয় না!” তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বললেন: “আল্লাহর তাআলার জন্য সকল প্রশংসা, আমি মানুষ। তবে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয়েছি।” (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৬৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তা‘আলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক এবং তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর বয়স যখন মাত্র তের বৎসর দশ মাস চারদিন হয়েছিল, তখন তিনি তাঁর পিতা বিখ্যাত তর্কশাস্ত্রবিদ মাওলানা নকী আলী খান ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর নিকট দুনিয়ার যাবতীয় প্রচলিত জ্ঞানের শিক্ষা সম্পন্ন করে তাঁর নিকট থেকে শিক্ষা সমাপনী সনদ গ্রহণ করেন। যেদিন সনদ গ্রহণ করেন, সে দিনই তিনি একটি প্রশ্নের জবাবে ফতোয়া লিখে জীবনে প্রথম ফতোয়া দানের কৃতিত্ব অর্জন করেন। তাঁর লিখিত ফতোয়াটি সঠিক ও নির্ভূল দেখে তাঁর পিতা তাঁকে মসনাদে ইফতা তথা ফতোয়া দানের আসনে সমাসীন করান এবং তাঁকে ফতোয়া দানের ক্ষমতা অর্পন করেন। অতঃপর তিনি তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ শেষ জীবন পর্যন্ত ফতোয়া দিতে থাকেন। (হায়াতে আলা হযরত, ১ম খন্ড, ২৭৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী) আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলা তাঁকে অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী করেছিলেন। তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কমবেশি পঞ্চাটির বিষয়ে কলমধারণ করেছেন এবং অনেক নামীদামী কিতাব রচনা করেছেন। প্রত্যেক শাস্ত্রে তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ প্রচুর পারদর্শিতা ছিল। সময় নির্ণয় বিদ্যায় তিনি এতই পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন যে, দিনের বেলায় সূর্য এবং রাত্রি বেলায় নক্ষত্র দেখে তিনি নির্ভূলভাবে সময় নিরূপণ করতে পারতেন। এতে কখনও এক মিনিটেরও কমবেশী হত না। গণিত শাস্ত্রে তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কথিত আছে যে, আলিগড় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর জিয়া উদ্দিন, যিনি গণিত শাস্ত্রে বিদেশী ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং স্বর্ণ পদকও লাভ করেছিলেন। একদা কোন এক গাণিতিক সমস্যার সমাধানের জন্য আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর দরবারে হাজির হন। আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁকে বললেন: “আপনার প্রশ্নটা বলুন।” তিনি বললেন: “প্রশ্নটা এতই জটিল যে, এ অবস্থায় সহজভাবে তা বলা যাবে না।” আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তখন বললেন: “তাহলে বিস্তারিতভাবেই বলুন।” ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কে প্রশ্নটা বিস্তারিত বললেন। প্রশ্নটা শুনে আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> সাথে সাথেই তার সন্তোষ জনক উত্তর দিয়ে দিলেন। তাঁর উত্তর শুনে ভাইস চ্যান্সেলর সাহেব কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন। তারপর তাঁকে বললেন: “হযরত! আমি এ প্রশ্নের সমাধানের জন্য জার্মান যেতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সায়্যিদ সুলায়মান আশরাফ সাহেব আমাকে সমস্যাটার সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার নিকট আসতে বলায় আমি এখানে আসলাম। আপনার উত্তর শুনে মনে হচ্ছে, আপনি সমস্যাটার সমাধান যেন বইতে নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন।” আ’লা হযরতের এমন একটি জটিল প্রশ্নের জবাবে ডক্টর সাহেব আনন্দিত হয়ে গেলেন। আলাপ শেষে তিনি তাঁর নিকট থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যক্তিত্বে তিনি এতই মুগ্ধ হয়ে গেলেন যে, মুখে দাড়ি রেখে দিলেন এবং নামায রোযার অনুসারী হয়ে যান। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২২৩, ২২৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> গণিত শাস্ত্র ছাড়াও আমার আক্বা আ’লা হযরত</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাকছীর বিদ্যা, জ্যোতি বিদ্যা ও জুফার বিদ্যা ইত্যাদিতেও অনেক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবু হামিদ সায়্যিদ মুহাম্মদ মুহাদ্দিস কচুচবী ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: যখন দারুল ইফ্তায় কাজ করার ধারাবাহিকতায় আমি বেরেলী শরীফে অবস্থান করছিলাম। তখন রাতদিন এমন ঘটনাবলী সামনে আসত যে, আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর হাজির জবাব প্রদানে লোকেরা অবাক হয়ে যেত। ঐ সব হাজির জবাব সমূহের মধ্যে অবাক করার মত ঘটনাবলী বিখ্যাত হাজির জবাব ছিল। যার উদাহরণ শুনা যায় না। যেমন: প্রশ্ন আসল, দারুল ইফতায় কর্মরত ইসলামী ভাইয়েরা পড়ল, আর তাদের এমন মনে হল যে, নতুন ধরণের ঘটনা সামনে এসেছে এবং উত্তর জুয্ইয়া আকৃতিতে মিলবেনা। ফোকাহায়ে কেরামদের সাধারণ নিয়মাবলী থেকে তার সমাধান বের করতে হবে। (অর্থাৎ ফোকাহায়ে কেরামদের বর্ণিত নিয়মাবলী থেকে মাসআলা বের করতে হবে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর খিদমতে হাজির হয়ে আরজ করল: নতুন নতুন অদ্ভুত ধরণের প্রশ্নাবলী আসছে! এখন আমরা কোন পদ্ধতি অবলম্বণ করব? তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বলেন: এটা তো অনেক পুরাতন প্রশ্ন! ইবনে হুমাম “ফাতহুল ক্বদিরের” অমুক পৃষ্ঠায়, ইবনে আবেদীন “রদ্দুল মুহতারের” অমুক খন্ডে এবং অমুক পৃষ্ঠায় লিখেছেন। “ফতোওয়ায়ে হিন্দিয়ায়” “খাইরিয়াতে” এই ইবারত পরিস্কারভাবে বিদ্যমান আছে। আর যখনই কিতাব সমূহ খুলে দেখা হল, তখন পৃষ্ঠা, লাইন এবং বর্ণিত ইবারতে এক নুকতাতেও পার্থক্য ছিল না। এই খোদা প্রদত্ত অসাধারণ মেধা ও প্রতিভা, পারদর্শীতা ওলামায়ে কেরামদের সর্বদা হতবাক করত। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২১০ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> “কিছ্ তরেহ ইত্নে ইলম কে দরয়া বাহা দিয়ে</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> উলামায়ে হক্ব কি আকল তো হায়রান হে আজ ভি।”</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> হযরত সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহিব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বর্ণনা করেন: “একদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> বলেন: “আমার সম্পর্কে কিছু অনবহিত লোক আমার নামের আগে হাফেজ লিখে থাকেন, অথচ আমি পবিত্র কুরআনের হাফেজ নই।” সায়্যিদ আইয়ুব আলী সাহেব ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ আরও বর্ণনা করেন, “যেদিন আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এ কথা বলেছেন, সেদিন থেকে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করা শুরু করে দেন এবং ইশার নামাযের জন্য অযু করার পর থেকে জামাআত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কুরআন শরীফ মুখস্থ করার জন্য সময় নির্ধারণ করে নেন। এভাবে তিনি দৈনিক এক পারা করে মাত্র ত্রিশ দিনে ত্রিশ পারা কুরআন শরীফ হিফজ করা শেষ করেন। এক জায়গায় তিনি</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বলেন যে, আমি কুরআন শরীফ ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুখস্থ করি আর তা এজন্য যে, ঐসব আল্লাহর বান্দার কথা (যারা আমার নামের আগে হাফেজ লিখে দেয়) যেন ভূল প্রমাণিত না হয়। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে মাগফিরাত হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর আপাদমস্তক রাসূল প্রেমের বাস্তব নমুনা ছিল। রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর প্রশংসায় লিখিত তাঁর বিখ্যাত কাব্য গ্রন্থ “হাদায়েকে বখশিশ শরীফ” প্রিয় নবী, হুযুর করীম ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসার সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কলমের নিব নয় বরং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নির্গত উক্ত কাব্য গ্রন্থের প্রতিটি চরণ আক্বা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর প্রতি তাঁর নজিরবিহীন ভালবাসার প্রমাণ দেয়। তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কখনও দুনিয়ার রাজা বাদশাহ, আমীর ওমরাহ ও সম্রাটের সম্মানে বা প্রশংসায় কোন কবিতা রচনা করেন নি। কেননা তিনি রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর আনুগত্য ও দাসত্বকে মনে প্রাণে কবুল করে নিয়েছিলেন। এতে উচ্চ পর্যায়ে পৌছেছিলেন। তিনি তাঁর এক কবিতায় রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর প্রতি তাঁর আনুগত্য ও দাসত্বকে এভাবে বর্ণনা করেছেন:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> উনহে জানা উনহে মানা ন রাখা গাইর ছে কাম,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> লিল্লাহিল হামদ মে দুনিয়া ছে মুসলমান গেয়া।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> একদা “নানপারা” (জিলা বেহরাইচ, ইউপি, হিন্দ) প্রশাসনের নবাবের প্রশংসা ও গুন কীর্তনে তৎকালীন কবি সাহিত্যিকগণ অনেক কবিতা রচনা করে। কিছু লোক এসে আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ কেও নবাবের প্রশংসায় কোন কবিতা লিখার জন্য আবেদন জানায় যে, হযরত! আপনিও নবাব সাহেবের প্রশংসায় কোন কবিতা লিখে দিন। তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাদের এ আবেদনের জবাবে একটি না’ত শরীফ লিখেন, যার প্রথম চরণ (মাত্লা*) নিম্নরূপ-</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ওহ কামালে হুসনে হুযুর হে কে গুমানে নকছে জাহা নেহী,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> য়েহী ফুল খার ছে দূর হে য়েহী শামআ হে কে ধোঁয়া নেহী।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কঠিন শব্দাবলীর অর্থ: কামাল= পরিপূর্ণ হওয়া, নকছ= অপূর্ণতা, ত্রুটি, খার= কাটা</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কালামে রযার ব্যাখ্যা: আমার আক্বা ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর সৌন্দর্য পরিপূর্ণতার স্তর পর্যন্ত পৌছেছে। অর্থাৎ প্রত্যেক দিক থেকে পরিপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। এতে কোন ত্রুটি হওয়া তো দূরের কথা, ত্রুটির কল্পনাও করা যায় না। প্রত্যেক ফুলের ডালে কাটা থাকে কিন্তু আমেনার বাগানের এটি একটিই সুবাসিত ফুল হুযুর ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এমন যে, যেটা কাঁটা থেকে পবিত্র। প্রত্যেক মোমবাতি এটা ত্রুটি যে, সেটা ধোয়া বের করে তবে তিনি বাজমে রিসালাতের এমন আলোকিত প্রদীপ যে, ধোঁয়া সমূহ অর্থাৎ প্রত্যেক প্রকারের দোষত্রুটি থেকে পবিত্র।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> --------------------</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> *গজল বা কসিদার শুরুর শের যাতে উভয় মিসরার/পংক্তির মধ্যে মিল রয়েছে, তাকে মাত্লা বলা হয়।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> --------------------------</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> অতঃপর কবিতার শেষ চরণে (মাক্তায়*) তিনি অতি সূক্ষ্মভাবে “নানপারা” প্রশাসনের নবাবের সমালোচনা করেন। চরণটি নিম্নরূপ:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> করো মদহে আহলে দুওয়াল রযা পড়ে ইস বালা মে মেরী বালা,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> মে গদা হো আপনে করীম কা মেরা দ্বীন পারায়ে না নেহী।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কঠিন শব্দাবলীর অর্থ: মদ্হা= প্রশংসা, দুওয়াল= সম্পদ জমা করা, পারায়ে না= রুটির টুকরা।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কালামে রযার ব্যাখ্যা: তিনি এ চরণে বুঝাতে চেয়েছেন, আমি রাজা বাদশাহ, আমীর ওমরাহদের প্রশংসা কেন করব! আমিতো উভয় জাহানের সুলতান, রহমাতুল্লিল আলামিন ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর দরবারের ভিখারী। আমার ধর্ম পারায়ে নান নয়। উর্দূতে ‘নান’ শব্দের অর্থ রুটি এবং ‘পারা’ শব্দের অর্থ টুকরা। অর্থাৎ আমার ধর্ম রুটির টুকরা নয় যে, সে জন্য সম্পদশালীদের তোষামোদ করতে থাকব।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> --------------------</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> *কালামের শেষের শের যাতে কবির কবিত্বমূলক নাম থাকে, তাকে মাকতা বলা হয়।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> --------------------------</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ যখন দ্বিতীয়বার হজ্ব পালন করতে মদীনা শরীফ গিয়েছিলেন, তখন মদীনা শরীফে তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভের আশায় দীর্ঘক্ষণ যাবৎ রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর রওজা মোবারকের সামনে সালাত ও সালাম পাঠ করতে থাকেন। কিন্তু প্রথম রাতে রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভের সৌভাগ্য ছিল না। তাই তিনি সেখানে বসে রাসূলে আকরাম ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর শানে প্রশংসামূলক গজল লিখেছিলেন; যার প্রথম চরণে তিনি রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভের আকাঙ্খা করেছিলেন। চরণটি নিম্নরূপ:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ওহ ছুয়ে লালা যার পিরতে হে,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তেরে দিন এ বাহার পিরতে হে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কালামে রযার ব্যাখ্যা: হে (বাহার) বসন্ত আন্দোলিত হও! এজন্য যে, তোমার বসন্তের উপর বসন্ত আগমণ কারী। ঐ দেখ! মদীনার তাজেদার ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ লালা যারের দিকে অর্থাৎ বাগানের দিকে তাশরীফ আনছেন!</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কবিতার শেষ চরণে নিজের বিনয় ও নম্রতা এবং অসহায়ত্বের চিত্র এভাবে তুলে ধরেন:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কুয়ী কিউ পুছে তেরী বাত রযা,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তুজ ছে শায়দা হাজার পিরতে হে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (এ চরণের ২য় লাইনে আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বিনয় প্রকাশ করে নিজের জন্য কুকুর শব্দ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু লিখক আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে কুকুরের জায়গায় শায়দা বা ‘আশিক’ লিখে দিয়েছেন।)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কালামে রযার ব্যাখ্যা: এই শেষ চরণে নবী প্রেমিক ছরকারে আ’লা হযরত চরম বিনয় প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেকে নিজে বলতে লাগলেন: হে আহমদ রযা! তুমি কে! আর তোমার বাস্তবতায় বা কি! তোমার মত তো হাজার হাজার মদীনার কুকুর গলী সমূহে এদিক সেদিক ঘুরাফেরা করছে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> এ গজল আরজ করার পর তিনি ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভের অপেক্ষায় আদবের সাথে বসে রইলেন। হঠাৎ তাঁর ভাগ্য প্রসশ্ত হয়ে গেল। জাগ্রত অবস্থায় নিজ চোখে রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভের সৌভাগ্য তাঁর নসীব হয়ে গেল।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺳُﺒْﺤٰﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّﻭَﺟَﻞ ! সে মহান চোখগুলোর জন্য আমাদের জীবন উৎসর্গ, যে দুই চোখ জাগ্রত অবস্থায় রাসূল ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দীদার লাভে ধন্য হয়েছিল। কেনই বা ধন্য হবে না? তাঁর ভিতর তো নবী করীম, রউফুর রহীম ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর ভালবাসায় পরিপূর্ণ ছিল। তিনি নবী প্রেমে এতই নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, যা দুনিয়ার ইতিহাসে খুবই বিরল। এজন্যই তো তিনি ‘ফানা ফির রাসূল’ এর উচ্চস্থানে সমাসীন ছিলেন। তিনি যে রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর ভালবাসায় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, রাসূলে আকরাম ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর শানে লিখিত কবিতাই তার বাস্তব প্রমাণ।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ বলতেন: “কেউ যদি আমার কলিজাকে দুই টুকরো করে দেয়, তাহলে এক টুকরোতে ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ এবং অপর টুকরোতে ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ লিখিত পাবেন।” (সাওয়ানেহে ইমাম আহমদ রযা, ৯৬ পৃষ্ঠা, মাকতাবায়ে নূরীয়া রযবীয়া, সক্কর)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তাজেদারে আহলে সুন্নাত, শাহজাদায়ে আ’লা হযরত, মুফতিয়ে আজম মাওলানা মুস্তফা রযা খান ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ তাঁর রচিত ‘সামানে বখশিশে’ উল্লেখ করেছেন যে:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> খোদা এক পর হো তো এক পর মুহাম্মদ,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আগর কলব আপনা দু পারা করো মে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> সমসাময়িক আলিমদের মতে, তিনি বাস্তবিকই একজন ‘ফানা ফির রাসূল’ তথা রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর ভালবাসায় উৎসর্গীত ছিলেন। তিনি অধিকাংশ সময়ই রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর থাকতেন এবং কান্না করতেন। রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর শানে পেশাদার বেয়াদবদের বেয়াদবীমূলক লিখা দেখলে তাঁর দু’চোখ থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হত। সাথে সাথে তিনি দাঁতভাঙ্গা জাওয়াবের মাধ্যমে প্রিয় নবী, হুযুর ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর শানে বেয়াদবদের লিখাকে দৃঢ়ভাবে খন্ডন করতেন। তাঁর সমুচিত জবাবে বেয়াদবরা রাগের আগুনে দগ্ধ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বেয়াদবীপূর্ণ ও ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি করতে থাকত এবং তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ লিখা লিখত। তিনি ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ অধিকাংশ সময়ই এর উপর গর্ব করতেন যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে এ যুগে রহমাতুল্লিল আলামীন ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর মান সম্মান রক্ষার জন্য ঢাল স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। আমি সে ঢাল এভাবেই প্রয়োগ করতাম যে, আমি বেয়াদবদের লিখার সমুচিত জবাব দিতাম এবং রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর শানে তাদের বেয়াদবীপূর্ণ উক্তিগুলো দৃঢ়ভাবে খন্ডন করতাম, যাতে এর জবাবে বেয়াদবরা রাগান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে লেখালেখী ও সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে যায় আর তারা ঐ সময় পর্যন্ত রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর শানে বেয়াদবী ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ থেকে বেঁচে থাকবে। তিনি তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘হাদায়েকে বখশিশ শরীফে বর্ণনা করেছেন:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> করো তেরে নাম পে জা ফিদা না বস এক জা দু জাহা ফিদা,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> দু জাহা ছে ভি নেহী জি ভরা করোঁ কিয়া করোড়ো জাহা নেহী।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তিনি গরীব ও নিঃস্বদের কখনও খালি হাতে ফেরত দিতেন না। সর্বদা তিনি গরীব ও অভাবীদেরকে সহযোগীতা করতেন এবং তাদেরকে অকাতরে দান করতেন। এমনকি তিনি তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তেও তাঁর বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনকে ওসিয়ত করেন যে, “অভাবীদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবে, গরীবদের সন্তুষ্টির জন্য তাদেরকে নিজের ঘর থেকে উন্নত ও সুস্বাদু খাবার খাওয়াবে, কোন ফকীরকে কখনও কটু কথা বলবে না এবং তাদেরকে কখনও ধমক দিবে না।” তিনি অধিকাংশ সময়ই লিখনীর কাজে নিয়োজিত থাকতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সময় মসজিদে হাজির হতেন। সর্বদা তিনি জামাআতের সাথে নামায আদায় করেন। তিনি</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ খুবই স্বল্প আহার করতেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ মিলাদ শরীফের মাহফিলে জিকরে বিলাদত শরীফের সময় শুধুমাত্র সালাত ও সালাম পড়ার জন্য দাঁড়াতেন বাকী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আদব সহকারে দু’জানু হয়ে বসে থাকতেন। এভাবে ওয়াজ করতেন। চার, পাঁচ ঘন্টা দু’জানু হয়েই মিম্বর শরীফেই বসা থাকতেন। (সাওয়ানেহে ইমাম আহমদ রযা, ১১৯ পৃষ্ঠা। হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৯৮ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> হায়! আমরা আ’লা হযরতের গোলামদেরও যদি কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা ও শুনার সময় এমনকি ইজতিমায়ে জিকর ও না’ত, সুন্নাতে ভরা ইজতিমা সমূহ, মাদানী মুযাকারা সমূহ, দরস ও মাদানী হালকা সমূহ ইত্যাদিতে আদব সহকারে দু’জানু হয়ে বসার সৌভাগ্য নছীব হত!</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তিনি ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ঘুমানোর সময় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলকে শাহাদাত আঙ্গুলের সাথে মিলিয়ে ঘুমাতেন, যাতে আঙ্গুল দ্বারা ‘আল্লাহ’ শব্দ গঠিত হয়। তিনি ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ কখনও পা প্রসারিত করে ঘুমাননি বরং ডান কাত হয়ে শুয়ে উভয় হাতকে যুক্ত করে মাথার নিচে রাখতেন আর পা মোবারক গুলোকে জড়ো করে ঘুমাতেন, যাতে ঘুমানোর সময় তাঁর শরীর দ্বারা ‘মুহাম্মদ’ শব্দ গঠিত হয়। (হায়াতে আ’লা হযরত, ১ম খন্ড, ৯৯ পৃষ্ঠা, মাকতাবাতুল মদীনা, বাবুল মদীনা, করাচী) এ রকমই ছিল আল্লাহকে তালাশকারী ও মক্কী মাদানী আক্বা ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর প্রকৃত প্রেমিকদের চালচলনের ধরণ।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> নামে খোদা হে হাত মে নামে নবী হে জাত মে</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> মোহরে গুলামি হে পড়ী, লিখে হুয়ী হে নামে দু।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> জনাব সায়্যিদ আইয়ুব আলী শাহ্ সাহেব ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ বলেন: একদা আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ রেলযোগে ‘ফিলিবেত’ থেকে বেরেলী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নওয়াবগঞ্জ স্টেশনে শুধু দুই মিনিটের জন্য ট্রেন থামে। তখন মাগরিবের সময় হয়ে গিয়েছিল। তিনি ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ট্রেন থামতেই তাকবীর ইকামত দিয়ে ট্রেনের মধ্যেই নিয়্যত বেঁধে নিলেন। প্রায় পাঁচজন লোক ইকতিদা করেন, তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম কিন্তু এখনও জামাআতে অংশ নিতে পারিনি, আমার দৃষ্টি অমুসলিম গার্ডের উপর পড়ল, যে ফ্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নাড়াচ্ছিল। আমি জানালা থেকে উকি মেরে দেখলাম যে, লাইন পরিস্কার ছিল আর ট্রেনও যেতে চাচ্ছে, কিন্তু ট্রেন চলতে সক্ষম হচ্ছিল না, আর হুযুর আ’লা হযরত পরিপূর্ণ শান্তভাবে কোন অস্থিরতা ছাড়া তিন রাকাত ফরয নামায আদায় করলেন এবং যখনই ডানদিকে সালাম ফিরালেন ট্রেন চলতে লাগল। মুকতাদিদের মুখ থেকে এমিনিতেই ﺳُﺒْﺤٰﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ! ﺳُﺒْﺤٰﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ! উচ্চারিত হতে লাগল।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> এই কারামাতে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করার মত কথা এটাই ছিল যে, যদি জামাআত ফ্লাটফর্মের উপর দাঁড়াত তবে এটা বলা যেত যে, গার্ড একজন বুজুর্গ হাস্তীকে দেখে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখেছে, আর তা এ রকম ছিলনা বরং নামায ট্রেনের ভিতরেই আদায় করছিলেন। এই সামান্য সময়ে গার্ডের কিভাবে জানা থাকতে পারে যে, এক আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা ট্রেনের ভিতর ফরয নামায আদায় করছেন। (হায়াতে আ’লা হযরত, ৩য় খন্ড, ১৮৯-১৯০ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ওহ কেহ উছ্ দরকা হুয়া খলকে খোদা উছ্ কি হুয়ী,</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ওহ কেহ উছ দরছে ফিরা আল্লাহ উছ্ ছে ফির গেয়া।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (হাদায়িকে বখশিশ শরীফ)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কালামে রযার ব্যাখ্যা: যে কেউ ছরকারে নামদার, মদীনার তাজেদার, নবী করীম ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর অনুগত ও বাধ্যগত হল পরওয়ারদিগারের সমস্ত মাখলুক তার অনুগত হয়ে যায়, আর যে কেউ হুযুর পুরনূর ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর দরবার থেকে দূরে সরে গেল, সে ক্ষমাশীল আল্লাহ তাআলার দরবার থেকেও দূরে সরে গেল।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আলা হযরত ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশী কিতাব রচনা করেছেন। তিনি ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ হিজরী ১২৮৬ থেকে ১৩৪০ হিজরী পর্যন্ত লাখো ফতোয়া দিয়েছেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কিন্তু আফসোস! তাঁর লিখিত সমস্ত ফতোয়া গ্রন্থাকারে এখনো ছাপা হয়নি। আর যেগুলো গ্রন্থাকারে ছাপা হয়েছে, তার নামকরণ করা হয়েছে: “ ﺍﻟْﻌَﻄَﺎﻳَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒَﻮِﻳَّﻪ ﻓِﻰ ﺍﻟﻔَﺘَﻮَﻯ ﺍﻟﺮَّﺿَﻮِﻳَّﻪ ” তাঁর লিখিত ফতোওয়ায়ে রযবীয়া (নতুন সংস্করণ) ৩০ খন্ড, যার সর্বমোট পৃষ্ঠা ২১৬৫৬, সর্বমোট প্রশ্ন উত্তর ৬৮৪৭ টি এবং সর্বমোট রিসালা হল ২০৬টি। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া নতুন সংস্করণ, ৩০ খন্ড, ১০ পৃষ্ঠা, রেযা ফাউন্ডেশন, মারকাযুল আউলিয়া, লাহোর) তিনি তাঁর লিখিত প্রতিটি ফতোয়াকে কুরআন হাদীসের অগণিত দলিল দ্বারা প্রমাণ করেছেন। কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, মানতিক ও ইলমে কালাম ইত্যাদিতে তিনি যে অসীম জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন, তা তাঁর ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ লিখিত ফতোয়া পড়লে সহজেই অনুধাবন করা যায়। তাঁর ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ সাতটি রিসালার নাম উল্লেখ করা হল:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (১) “ ﺳُﺒْﺤٰﻦ ﺍﻟﺴُّﺒُّﻮﺡ ﻋَﻦ ﻋَﻴﺐِ ﻛِﺬﺏِِ ﻣَﻘْﺒُﻮﺡ ” যারা সত্য আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অপবাদ দিয়েছে তাদের এ কথা খন্ডন করে তিনি এ রিসালাটি লিখেছেন। যা বিরুদ্ধবাদীদের নিঃশ্বাস বন্ধ করে দিয়েছে এবং লিখনী শক্তির হাড় চুরমার করে দিয়েছে।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (২) ﻣَﻘَﺎﻣِﻊ ﺍﻟﺤَﺪِﻳْﺪ (৩) ﺍﻻَﻣْﻦُ ﻭَﺍﻟﻌُﻠﻰ (৪) ﺗَﺠَﻠِّﻰ ﺍﻟﻴَﻘِﻴْﻦ (৫) ﺍﻟْﻜَﻮْﻛَﺒَﺔُ ﺍﻟﺸَّﻬَﺎ ﺑِﻴﻪ (৬) ﺳِﻞِّ ﺍﻟﺴُّﻴُﻮﻑ ﺍﻟﻬِﻨﺪِﻳﻪ (৭) ﺣَﻴَﺎﺕ ﺍﻟﻤَﻮَﺍﺕ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ইলম কা চশমা হুয়া হে মওজ যান তেহরীর মে</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> জব কলম তু নে উঠায়া আয় ইমাম আহমদ রযা।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৫৩৬ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আমার আক্বা আ’লা হযরত ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ পবিত্র কুরআন শরীফের যে অনুবাদ করেছেন, তা বর্তমানে উর্দূ ভাষায় অনুদিত কুরআন শরীফের সকল অনুবাদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। তাঁর উর্দূ ভাষায় অনুদিত কুরআন শরীফের নাম ‘কানযুল ঈমান’। তাঁর বিশিষ্ট খলিফা, সদরুল আফাযিল মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবাদী ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ‘খাযায়েনুল ইরফান’ নামে এবং প্রসিদ্ধ মুফাসসির হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ‘নূরুল ইরফান’ নামে প্রান্ত টিকা লিখেছেন।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আ’লা হযরত ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ তাঁর ইন্তিকালের চার মাস বাইশদিন পূর্বে তাঁর ইন্তিকালের সংবাদ দিয়ে পবিত্র কুরআনের ২৯ পারার সূরা দাহরের ১৫নং আয়াত থেকে তাঁর ইন্তিকালের বছর বের করেন। সে</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> আয়াতটির ইলমে আবজদ অনুসারে সংখ্যা হয় ১৩৪০। আর এটাই হিজরী সাল মোতাবেক ইন্তিকালের সাল এই আয়াতটি হল:</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﻭَﻳُﻄَﺎﻑُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﺑِﺂﻧِﻴَﺔٍ ﻣِّﻦ ﻓِﻀَّﺔٍ ﻭَﺃَﻛْﻮَﺍﺏٍ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং তাদের সামনে রূপার পাত্র সমূহ ও পান পত্রাদি পরিবেশনের জন্য ঘুরানো ফিরানো হবে । (সূরা-আদ দাহর, পারা-২৯, আয়াত-১৫)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (সাওয়ানেহে ইমাম আহমদ রযা, ৩৮৪ পৃষ্ঠা)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> *২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরী মোতাবেক ২৮শে অক্টোবর ১৯২১ ইং রোজ জুমাবার ভারতীয় সময় বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে (আর পাকিস্তানের সময় ২টা ৮ মিনিট) ঠিক জুমার আযানের সময়, ইমামে আহলে সুন্নাত, শাহ্ ইমাম আহমদ রযা খান ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ এ নশ্বর জগত ত্যাগ করে মহান আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভে ধন্য হন। ﺍِﻧَّﺎ ﻟِﻠّٰﻪِ ﻭَﺍِﻧَّﺎ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﺭَﺍﺟِﻌُﻮْﻥ তাঁর নূরানী মাজার শরীফ বর্তমানে (মদীনাতুল মুরশিদ) বেরেলী শরীফে অবস্থিত। যা এখনও পর্যন্ত তাঁর ভক্ত অনুরক্তদের জেয়ারত গাহ ও সমাগমে পরিণত হয়ে আছে। আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> তুম কিয়া গেয়ে কেহ রওনকে মাহফিল চলী গেয়ী</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> শের ও আদব কি জুলফ পেরেশান হে আজ ভি।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ২৫ শে সফর ১৩৪০ হিজরী বায়তুল মুকাদ্দাসে একজন সিরীয় বুজুর্গ স্বপ্নে নিজেকে রাসূলুল্লাহ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর দরবারে উপস্থিত দেখতে পেলেন। তিনি সমস্ত সাহাবায়ে কিরামদেরকেও ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻢْ রাসূল</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর দরবারে উপস্থিত দেখতে পেলেন। মজলিশে কারও কোন সাড়া শব্দ নেই, সকলেই নিরব নিস্তব্ধ ছিল। মনে হল সবাই যেন কারো আগমণের অপেক্ষায় আছেন। সিরীয় বুজুর্গ বিনীতভাবে হুযুর ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ এর দরবারে আরয করলেন, “হে আল্লাহর রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ ! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা উৎসর্গিত হোক। আমাকে একটু বলুন: “কার অপেক্ষা করা হচ্ছে?” আল্লাহর নবী, রাসূলে আরবী ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ ইরশাদ করলেন: “আমরা আহমদ রযার জন্য অপেক্ষা করছি।”</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> সিরীয় বুজুর্গ আরজ করলেন: “হুজুর! আহমদ রযা কে?” রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ ইরশাদ করলেন: “তিনি হলেন হিন্দুস্থানের বেরেলীর অধিবাসী।” ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর সে সিরীয় বুজুর্গ মাওলানা আহমদ রযার ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ খোঁজে হিন্দুস্থানের দিকে রওয়ানা হয়ে গেলেন। যখন তিনি বেরেলী শরীফ পৌঁছলেন, তখন তিনি জানতে পারলেন, সেদিনই (অর্থাৎ ২৫ শে সফর, ১৩৪০ হিজরী) সেই সত্যিকার নবী প্রেমিক এ পৃথিবী ত্যাগ করে পরপারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। এটি ছিল ঐ দিন, যেদিন তিনি স্বপ্নে রাসূল ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠّٰﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ কে ইরশাদ করতে শুনেছেন: “আমরা আহমদ রযার অপেক্ষায় আছি।” (সাওয়ানেহে ইমাম আহমদ রযা, ৩৯১ পৃষ্ঠা) আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হোক, আর তাঁর সদকায় আমাদের বিনা হিসাবে ক্ষমা হোক।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ইয়া ইলাহী! জব রযা খাওয়াবে গিরা ছে ছর উঠায়ে</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> দৌলতে বেদার ইশ্কে মুস্তফা কা সাথ হো।</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> (হাদায়িকে বখশিশ শরীফ)</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺍٰﻣِﻴﻦ ﺑِﺠﺎ ﻩِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺍﻟْﺎَﻣﻴﻦ ﺻَﻠَّﯽ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻠَﯿْﮧِ ﻭَﺍٰﻟِﮧٖ ﻭَﺳَﻠَّﻢ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺤَﺒِﻴﺐ ! ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪ</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> --------</div> </div> <div dir="ltr"> <div style="text-align: justify;"> লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত ২৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত “ ইমাম আহমদ রযার জীবনী “ নামক রিসালার ৩-২৩ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত।</div> </div> </div>

কিতাবঃ ইমাম আহমদ রযা (রহঃ)'র জীবনী [দাওয়াতে ইসলামী]

কিতাবঃ ইমাম আহমদ রযা (রহঃ)'র জীবনী আমার আক্বা আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, ওলীয়ে নেয়ামত, আযিমুল বারকাত, আযিমুল মারতাবাত, পারওয়া...

Read more »

কিতাবঃ নারায়ে রেসালাতের বৈধতা [মূলঃ আলা হযরত রহ.]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-65dc7e45-7fff-2475-3e26-29e1281268d1" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিতাবঃ নারায়ে রেসালাতের বৈধতা </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আনােয়ারুল ইনতিবাহু ফি হল্লে নিদায়ে ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)-এর বাংলা রূপ) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মূলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহঃ) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদঃ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ইউসুফ জিলানী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রকাশকঃ মােহাম্মদ সরােয়ার হােসাইন আজীজ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Text Ready: Sirajum Munir Tanvir </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বাড়ী নং - ১ ডি, রােড নং - ২, সেক্টর - ৩, উত্তরা, ঢাকা। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর '৯৬ইং, জুমাদিউল আউয়াল ১৪১৭ হিঃ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কম্পিউটার কম্পােজ ও আল-আরব কম্পিউটার এন্ড প্রিন্টার্স </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রচ্ছদঃ এট্যাচু এ্যাড়, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(সত্ব সংরক্ষিত) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শুভেচ্ছা মূল্যঃ আট টাকা মাত্র। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উৎসর্গঃ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রম শ্রদ্ধেয়ী নানীজানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় নিবেদিত। যার আদর-সােহাগ, স্নেহ-ভালােবাসা হৃদয়ের মণিকোঠায় চির ভাস্বর।</span></div> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-330ab6e7-7fff-7c5d-9370-c45285db6f33" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদকের কথাঃ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (رحمة الله) শুধুমাত্র ভারতবর্ষে নয়, বরং বিশ্বের সর্বত্রে যিনি ব্যাপকভাবে আলাে চিত ব্যক্তিত্ব। তাঁরই লিখিত “আনােয়ারুল ইনতিবাহ্ ফি হল্লে নেদায়ে ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)” পুস্তিকাটি অনুবাদের সৌভাগ্য হওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। রাসুলে সৈয়দে আলম হুজুর নবীয়ে আকরম (ﷺ) কে ইয়া’ সম্বােধন সূচক শব্দ দ্বারা আহবান করা, তাঁর থেকে নিজ হাজত ও অভাব পূরণের প্রার্থনা করা, তাঁর কাছে শাফায়াত প্রার্থনা ইত্যাদি শরীয়তে কতটুকু বৈধ এবং এতে উপকারিতাও লাভ কি অত্র পুস্তিকায় এর বৈধতা এবং যারা নারায়ে রেসালাত ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ) বলাকে ভ্রান্ত, অবৈধ এবং শিরক বলে বক্তব্য করেন, তাদের ঐ উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্য খন্ডন করা হয়েছে। পবিত্র হাদীস,সাহাবী, তাবেয়ী, তবে তাবেয়ীন, এবং শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কিরাম অসংখ্য ফিকহ গ্রন্থের উদ্ধৃতি উপস্থাপন করে তিনি তাথ্যিক এবং যৌক্তিকভাবে ভ্রান্ত মতবাদীদের মূর্খতা ও বােকা সূলভ মনগড় বক্তব্য খন্ডন করেন। আমাদের দেশের নারায়ে রেসালাত’ নিয়ে যে তুলকাম কান্ড ঘটতে যাচ্ছে এবং সত্যপন্থী মুসলমানদের মুশরিক বানানাের যে ষড়যন্ত্র চলছে, পুস্তিকাটি পাঠ করে এ ধরনের ভ্রান্তি নিরসন হবে বলে আমি আশা রাখি এবং এ উদ্দেশ্যেই এ পুস্তিকা অনুদিত। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম প্রকাশনায় মুদ্রন জনিত কিছু বিভ্রাট থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই সম্মানিত আলিম এবং পাঠক-পাঠিকাদের এ ধরনের কিছু অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে আমাদের জানিয়ে ধন্য করবেন। এ প্রকাশনায় সবচেয়ে যার বেশী অবদান এবং যার আর্থিক, শারিরিক, কায়িক ও মানসিক পরিশ্রমে বইখানি প্রকাশিত, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, জনাব মুহাম্মদ সরওয়ার হােসাইন (আজিজ) (আল্লাহ তাঁকে যথাযােগ্য বিনিময় প্রদান করুন।) এ ছাড়া যারা আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযােগিতা প্রদান করেছেন তাঁদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মােবারকবাদ। আল্লাহ পাক আমাদের রাসুলে পাক (ﷺ), তাঁর বংশধর এবং সাহাবায়ে কেরামের মতাদর্শমতে চলার তৌফিক দান করুন। বেহুরমতে সৈয়দুল মুরসালীন। আমীন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিনীত, আবু সাঈদ মুহাম্মদ ইউসুফ জিলানী </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এক নজরে ইমাম আহমদ রেযা (رحمة الله)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জন্মঃ (বেরলী শরীফ) ১৪ই জুন, ১৮৫৬ ইং, ১০ই সাওয়াল ১২৭২ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুরআন করীম পাঠ শেষঃ ১৮৬০ ইং, ১২৭৬ হিজরী (মাত্র ৪ বছর বয়সে)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম বক্তৃতাঃ ১৮৬২ ইং, ১২ই রবিউল আওয়াল, ১২৭৮ হিজরী, (৬ বছর বয়সে)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সর্বপ্রথম পুস্তক রচনাঃ শরহে হিদায়াতুন্নাহু আরবী (আরবী ব্যাকরণ) ১৮৬৪ ইং, ১২৮০ হিজরী, (৮ বছর বয়সে)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সবচেয়ে জটিলতর কিতাব মুসাল্লেমুস সবুতের ব্যাখ্যাগ্রন্থ রচনা ১৮৬৬ ইং, ১২৮৬ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দস্তারে ফজীলত (শেষবর্ষ সনদ লাভ)ঃ ১৮৬৯ ইং, ১২৮৬ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতােয়া প্রদানের গুরুভারঃ ১৮৬৯ ইং, ১২৮৬ হিজরী। দাম্পত্য জীবনের সূচনাঃ ১৮৭৪ ইং, ১২৯১ হিজরী। প্রথম সাহেবজাদার জন্মঃ ১৮৭৫ ইং, ১২৯২ হিজরী, রবিউল আওয়াল। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম হজ্জব্রত পালনঃ ১৮৭৬ ইং, ১২৯৬ হিজরী। জিয়াউদ্দিন আহমদের উপাধি (মক্কায়)ঃ ১৮৭৬ ইং, ১২৯৬ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">খেলাফত লাভঃ ১৮৭৭ ইং, জুমাদিউল আওয়াল, ১২৯৪ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম ফার্সী গ্রন্থ রচনাঃ ১২৯৯ হিজরী, ১৮৮১ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয় সাহেবজাদার জন্ম (মুফতী আযম হিন্দ)ঃ ১৮৯২ ইং, ২২ জিলহজ্জ, ১৩১০ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নদওয়াতুল ওলামা বিরােধী সম্মেলনে অংশগ্রহণঃ ১৯০০ ইং, ১৩১৮ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলে খােদা (ﷺ)-এর পিতামাতার মুসলমান হওয়া বিষয়ক গ্রন্থ রচনা ১৩১৫ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওলামা হিন্দের পক্ষ হতে মুজাদ্দিদ উপাধি লাভঃ ১৯০০ ইং, ১৩১৮ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুরআন করীমের বিশুদ্ধতম অনুবাদ প্রকাশঃ ১৩৩০ হিজরী, ১৯১১ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল মু'তামিদুল মুসতানাদ রচনাঃ ১৯০২ ইং, ১৩২০ হিজরী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ফতােয়া-ই রেভিয়া ১২ খন্ডে সমাপ্ত প্রতি খন্ড ১০০০ পৃঃ ব্যাপী জাহাজী সাইজে শ্রেষ্ঠতম ফতােয়া সংকলন ১৯০৪ ইং, ১৩২২ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয়নবী (ﷺ)-এর ‘ইলমে গায়র’ সম্পর্কিত বিশ্ব আলােড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ ‘আদদৈালাতুল মক্কীয়াহ (অনুবাদক কর্তৃক তা বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে) রচনা ১৩২৩ হিজরী ১৯০৫ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয়বার হজ্জব্রত পালনঃ ১৯০৫ ইংরেজী, জিলকদ ১৩২৩ হিজরী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হুসসামুল হারামাঈন রচনাঃ ১৩২৪ হিজরী, ১৯০৬ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ছােট সাহেবজাদার জন্মঃ ১৩২৫ হিজরী, ১৯০৭ ইং।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ভাওয়ালপুর সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রায়ের বিশ্লেষণধর্মী জবাব ১৩৩১ হিজরী, ১৯১৩ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাজনীতি বিষয়ক আলােড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ রচনা ১৯১২ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কানফুর মসজিদ চত্বরে বৃটিশ প্রশাসনের সাথে চুক্তি সম্পাদনকারীদের সমালােচনা মূলক গ্রন্থ রচনা ১৩৩১ হিজরী, ১৯১৩ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাজিমী সিজদা হারাম সম্পর্কিত গ্রন্থ রচনাঃ ১৯১৮ ইং, ১৩৩৭ হিজরী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">গ্রীক ও বস্তুবাদী দর্শনের খন্ডন ১৩৩৮ হিজরী। দ্বিজাতি তত্বের উপর কলমধারণ ১৩৩৯হিঃ, ১৯২১ ইং। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওফাতঃ ২৮শে অক্টেবর ১৯২১ ইং, ২৫শে সফর ১৩৪০ হিজরী। উল্লেখ্য যে, ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (رحمة الله)-এর বয়স ইংরেজী হিসেব মতে ৬৫ বছর, আর হিজরী সন মতে ৬৮ বছর হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সংগ্রহ করুনঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপমহাদেশের শ্রেষ্টতম কলমের সিপাহসালার, আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (رحمة الله)-এর বিশ্ব আলােড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ সুদূর মক্কা শরীফে তীব্র রােদ্রের উপর দাঁড়িয়ে মাত্র ৮ ঘন্টায় লিখিত “আদ দৌলাতুল মক্কীয়াহ বিল মাদ্দাতিল গায়বিয়াহ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ইউসুফ জিলানী কর্তৃক বাংলায় অনুদিত ও এ. এম. জামেউল আখতার চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত হয়ে বের হয়েছে। আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরীতে খোঁজ করুন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতােয়ার আবেদন</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহামান্য ও সম্মানিত ওলামায়ে দ্বীনের এ মাসয়ালা সম্পর্কে অভিমত কি যে, জায়েদ নামক এক ব্যক্তি যিনি একত্ববাদে বিশ্বাসী, মুসলমান, আল্লাহ ও রাসুলকে ভালভাবে চিনেন ও জানেন। নামাজের পর অন্যান্য সময়ে রাসুলে পাক (ﷺ) কে (ইয়া) আহবান সূচক শব্দ দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اشل الشاقة يا  الصلوة الشم عليك يارسول الله </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উপর দরুদ ও সালাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি) ইত্যাদি বলে থাকেন। এটা বলা বৈধ কিনা? কোন ব্যক্তি যদি তাকে ঐ বাক্য বলার কারণে কাফের ও মুশরিক বলে, তাহলে তার হুকুম কি? কিতাবের দলীল সহকারে বর্ণনা করুন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الحمد لله وكفى والصلوة والسلام على حبيبه المصطفى </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأله وأصحابه أولى الدق والشقاء . </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">জবাবঃ উপরােক্ত বাক্যাবলী অবশ্যই বৈধ। যার বৈধতার ব্যাপারে নির্বোধ, মুখ অথবা পথভ্রষ্ট ও পথভ্রষ্টকারী ব্যতিত কেউ মুখ খুলবেনা। তাদের জন্যই এ মাসয়ালা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনার প্রয়াস। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শিফাউস সিকাম কৃতঃ ইমাম তত্ত্বীউদ্দীন আবুল হাসান আলী সুবকী (رحمة الله) মাওয়াহেবে লাদুনিয়া কৃতঃ ইমাম আহমদ কুস্তলানী (رحمة الله) বুখারী শরীফ ভাষ্যকার, শরহে মাওয়াহিব কৃতঃ আল্লামা জুরক্বানী (رحمة الله), মুতালিউল মুসাররাত কৃতঃ আল্লামা ফারেসী (رحمة الله), মিরকাত শরহে মিশকাত কৃতঃ মােল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله), লুমআত, আশয়াতুল লুমআত, মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থাবলী, জযবুল কুলুব ইলা দিয়ারিল মাহবুব ও মাদারেজুন্নবুয়ত ইত্যাদির গ্রন্থকার শেখ মােহাক্কেক আবদুল হক মােহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله),আফজালুল কুরা শরহে ইমামুল কুরা ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (رحمة الله) ইত্যাদি আকায়েদ ও কালাম শাস্ত্রের ইমাম, আলিম ও মুজতাহিদদের গ্রন্থাদি ফিরিয়ে নিন।কেননা, এগুলােতে এর বৈধতা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে) অথবা অধমের পুস্তিকা “আল ইহলাল বিষয়যিল আওলিয়ায়ে বাদাল বেসাল” পাঠ করুন। | এ নগণ্য বান্দা এখানে সংক্ষিপ্তভাবে প্রয়ােজনীয় কতেক বর্ণনা উদ্ধৃত করছি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিম্নোক্ত হাদিসটি বিশুদ্ধ বলে অভিমত প্রকাশ করে ইমাম নসায়ী, ইমাম তিরমিজী, ইবনে মাজা, হাকেম, বায়হাক্বী, ইমামুল আয়িম্মাহ্ ইবনে খুযায়মাহ্ ও আবুল কাসেম এবং তাবরানী হযরত উসমান (رحمة الله)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন। আর তিরমিজী, হাসনে গরীবে সহীহ, তাবরানী ও বায়হাকী সহীহ এবং হাকেম বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ (বিশুদ্ধ) বলেছেন। আর ইমাম আবদুল আজীম মুনজেরী প্রমুখ অনুসন্ধানী ইমামগন এর বিশুদ্ধতা নির্ভরযােগ্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যাতে হুজুরে সৈয়দে আলম (ﷺ) একজন অন্ধকে দোয়া শিক্ষা ও দিয়েছেন যে, এ দোয়া নামাজের পরে পাঠ করবে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اللهم ان اسئلك واتوه إليك بنبيك محمد نبي الرحمة </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">يا محمد إني أتوجه بك الى ربى في حاجتي هذه ليقضي لي </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اللهم فقعه ف - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি। আর আপনার রহস্যপূর্ণ নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উসিলায় ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি হুজুরের উসিলায় আপনার দিকেই মনােনিবেশ করছি। স্বীয় রবের দিকে এ প্রয়ােজনে (হাজত) মনােনিবেশ করছি যে, আমার প্রয়ােজন এবং অভাব পুরণ হােক। হে আল্লাহ! তাঁর শাফায়াত আমার পক্ষে কবুল করুন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #980000; color: #4a86e8; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমঃ-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তাবরানীর মু’জাম গ্রন্থে এভাবেই রয়েছে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اين رجلا كان يختلف الى ثمان بن عفان رضى الله تعالی عنه في حاجته له وگان عثمان لا يلتفت إليه ولا ينظر في حاجه فلقى عثمان بن حنيني رضى الله تعالی عنه فشكي ذلك إليه فقال له عثمان بن حنیف رضى الله تعالی عنه إئت الميضاة فتوضاء ثم ائت المسجد فصلي فيه ركعتين ثم قال- "اللهم اى اشتالك واتوه اليك بنبينا محمد صلي الله تعالي عليه وسلم نبي الرحمة يا محمد اني اتوجه بك الي ربي</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ليقضى حاجتي وتذكر حاجتك مع مماثطلق الرجل صنع ما قال له ثم اتي باب ثمان بن عفان رضي الله عنه فجاء اليواب حتي أخذه بيده فادخله عثمان بن عفان رضی الله تعالى عنه فاجلسه معه على الثقة وقال ل  ما حاجتك فذكر حاجته فقضاها ثم قال ماذكرت حاجتك حتى كانت هذه الساقة وقال ماكان لك من حاجة فأتنا ثم أن الرجل خرج من عنده فلقى عثمان بن حنيف رضى الله تعالی عنه فقال له جزاك الله خيرا ماكان ينظر في حاجتي ولا يلتفت إلى حتى كلمته في تقال عثمان بن حنيف رضى الله تعالى عنة والله ماكلمته ولكن شهدت رسول الله صلی الله تعالى عليه وسلم وأتاه رجل ضريرفشكا اليه هاب بصره فقال له النبي صلى الله تعالى عليه وسم ائت الميضاة فتوضئا مع ركعتين ثم ادع بهذه الدعوات فقال عثمان بن حنيف رضى الله تعالى عنه فوالله مافرقنا وطال بنا الحديث حتی دخل علينا الرجل كانه لم يكن به ضر قط.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, একজন অভাবগ্রস্ত নিজ অভাব ও প্রয়ােজন দূরিভূত হওয়ার জন্য আমীরুল মুমেনীন হযরত ওসমান ইবনে আফফান (رضي الله عنه)-এর খেদমতে আসা যাওয়া করতেন। আমীরুল মুমেনীন না তার দিকে দৃষ্টিপাত করতেন, না তাঁর হাজতের দিকে দেখতেন। তিনি হযরত ওসমানের নিকট এর অভিযােগ উত্থাপন করেন। তিনি বললেন, ওযু করে মসজিদে দু'রাকাত নামাজ পড়াে; অতঃপর এভাবে দোয়া প্রার্থনা করাে -“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করছি। এবং আমাদের নবী মুহাম্মদ (ﷺ)-এর উসিলায় আপনার দিকে মনােনিবেশ করছি। ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (ﷺ) আমি হুজুরের প্রার্থনায় স্বীয় রবের দিকে মনােনিবেশ করছি যে, আমার অভাব পুরন করুন। আর নিজ হাজত বর্ননা পূর্বক পুনরায় আমার কাছে আসবে, আমিও তােমার সাথে গমন করবাে। হাজত প্রার্থী (তিনিও সাহাবী অথবা কতকের মতে শীর্ষস্থানীয় তাবেয়ী ছিলেন) এভাবেই করেন,অতঃপর খলিফার দ্বারে উপস্থিত হন। দারােয়ান আসলেন এবং হাত ধরে আমীরুল মুমেনীনের সম্মুখে নিয়ে গেলেন। আমীরুল মুমেনীন (رضي الله عنه) তাঁকে নিজের সাথে স্বীয় মসনদে বসালেন এবং উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করলেন। তিনি নিজ উদ্দেশ্য আরজ করলেন। অতঃপর তিনি তা পুরণ করলেন এবং ইরশাদ করলেন-এতদিন পরেই তুমি নিজের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছে। অতঃপর বললেন, তােমার যেই অভাবই হউক না কেন, আমার নিকট চলে আসবে। ঐ ব্যক্তি সেখান থেকে বের হয়ে হযরত উসমান ইবনে হুনাইফ-এর সাথে সাক্ষাৎ করলেন এবং বললেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। আমীরুল মুমেনীন আমার দিকে এবং আমার অভাবের দিকে এতদিন দৃষ্টিপাত করেননি, এমনকি শেষ পর্যন্ত আপনি তাঁর নিকট আমার জন্য সুপারিশ করেছেন। হযরত উসমান ইবনে হুনাইফ (رضي الله عنه) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তােমার সম্পর্কে আমীরুল মুমেনীনকে কোন কিছু বলিনি। কিন্তু ব্যাপার হলাে এ যে, আমি সৈয়দে আলম হুজুর পুরনুর (ﷺ) কে দেখেছি, তাঁর নিকট একজন অন্ধ উপস্থিত হলেন এবং তার অন্ধত্বের অভিযােগ করলেন। হুজুর (ﷺ) এভাবেই ইরশাদ করলেন যে, ওযু করে দু'রাকাত নামাজ আদায় করাে অতঃপর এ দোয়া করাে। আল্লাহর শপথ! আমরা এখনও উঠতেই পারেনি। সে কথা বলতে বলতে আমাদের নিকট এসে গেলাে।যেমন সে কখনাে অন্ধ ছিলাে না। | </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তাবরানী অতঃপর ইমাম মানজুরী (رحمة الله) বলেন -হাদীসটি বিশুদ্ধ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #980000; color: #4a86e8; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয়- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বুখারী (رحمة الله) কিতাব “আল-আদাবুল মুফরাদাত”, ইমাম ইবনে বিশকওয়াল বর্ণনা করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ان بر عمر رضي الله تعالي عنهما خدرت رجله فقيل له اذكر احب الناس اليك فصاح يا محمداه فانتشرت.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رحمة الله)-এর উভয় পা অবশ হয়ে গেলাে, কেউ জিজ্ঞেস করলেন, তাঁকে স্বরণ করুন, যিনি আপনার সবচেয়ে প্রিয় মাহবুব। হযরত ইবনে ওমর (رحمة الله)সমুস্বরে আহবান করলেন ‘ইয়া মুহাম্মদাহ' (হে মুহাম্মদ (ﷺ)) সাথে সাথে তাঁর পা খুলে গেলাে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম নববী (رحمة الله) মুসলিম শরীফ ভাষ্যকার ‘কিতাবুল আযকারে’, অনুরূপ হাদীস হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন-“তাঁর পায়ে কাঁটাবিদ্ধ হলাে, তিনি ইয়া মুহাম্মদাহ্ বললে তা ভালাে হয়ে গেলাে। এ কার্য এ দু’মহান সাহাবী ছাড়া আরাে অনেকের থেকে বর্ণিত হয়েছে। মদীনাবাসীদের মধ্যে প্রাচীন কাল থেকেই “ يا محمداه” (ইয়া মুহাম্মাদাহ) বলার প্রচলন চলে আসছিলাে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফাজী মিসরী (رحمة الله) নসীসুর রিয়াদ শরহে শিফা কৃতঃ ইমাম কাজী আয়াজ-এ বলেন- </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هذا مما تعاهده اهل المدينة.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ মদীনাবাসীরা (তাঁদের এ প্রাচীন) প্রচলন নবায়ন করলেন। | হযরত বেলাল ইবনে হারিছ মুনী (رحمة الله) থেকে ‘আমুর রুমাদাহ’ দুর্ভিক্ষে যা হযরত ফারুকে আযম (رحمة الله) -এর খেলাফতের পর ১৮ হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিলাে। তাঁর সম্প্রদায় বনু মুনিয়া আবেদন করেন, মরে যাচ্ছি, কেউ ছাগল জবেহ করুন। বললেন, ছাগলের মধ্যে কিছু নেই, তাঁরা স্বীকার করলেন। পরবর্তীতে জবেহ করলেন। খাল (চামড়া) পরিশােধন করা হলে লাল হাডিড বের হলাে। এটা দেখে হযরত বেলাল (رحمة الله) প্রার্থনা করেন, ‘ইয়া মুহাম্মদাহ'। অতঃপর হযরত হুজুর আকদাস (ﷺ) স্বপ্নে তশরীফ এনে সু-সংবাদ প্রদান করেন। এ ঘটনা কামিল’ গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম, মুজতাহিদ, ফকীহ্ আবদুর রহমান হুজালী কুফী মাসউদী, যিনি হযরত ইবনে মাসউদের প্রপৌত্র এবং শীর্ষস্থানীয় তবে-তাবেয়ীন ও মােজতাহিদের অন্যতম ছিলেন। মাথার উপর টুপী রাখতেন যাতে লিখা ছিলাে-</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">محمد يا منصور</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (মুহাম্মদ ইয়া মানসুরু’), আর প্রকাশ থাকে যে, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">القلم احد للسائلين</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আল কালামু আহাদুল লিসানাইন) ..</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হায়শম ইবনে জমীল ইনতাকী যিনি নির্ভরযােগ্য মুহাদ্দিস ওলামাদের অন্যতম। তিনি যুগের ইমাম সম্পর্কে বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ورأيته وعلى رأسه قلنسوة أطول من ذراع مكتوب فيها محمد یا منصور ذكره في تهذيب التهذيب وغيره </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমি তাকে এ অবস্থায় দেখেছি যে, তাঁর মাথার উপর এক গজ পরিমাণ টুপী ছিলাে। যাতে মুহাম্মদ ইয়া মানসুরু’ লিপিবদ্ধ ছিলাে। যা ‘তাহযীবুত তাহযীব ইত্যাদিতে উল্লেখ করেন। |</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: cyan; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফতোয়া-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ইমাম শায়খুল ইসলাম শিহাবুদ্দীন রামলী আনসারীর ফতােয়ায়’ রয়েছে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> سئل عما يقع من العامة من قولهم ثد الشدائد يافلان ونحو ذلك من الإستقائ بايد نبياء والمرسلين والإلحين وهل للمشائخ امائة بعد موتهم أم لا فأجاب بما له آ الاستغاثة بالأنبياء والمرسلين  والعلماء الصالحين جائزة للانبياء والمرسلين والأولياء والصالحين اغاثة بعد موتهم.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ তার থেকে ফতােয়া তলব করা হলাে যে, সর্ব সাধারণ লােকেরা কঠোর বিপদের মুহুর্তে নবী, রাসুল, ওলী ও সৎলোেকদের থেকে প্রার্থনা করেন আর “ইয়া রাসুলাল্লাহইয়া আলী;‘ইয়া শেখ আবদুল কাদের জিলানী এবং এ ধরণের বাক্য বলে থাকেন। এটা বৈধ কিনা? আর ওলীগণের ইনতিকালের পরও তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন। এটা কি বৈধ? তিনি জবাব দিলেন যে, নিশ্চয়ই নবী, ওলী, রাসুল ও ওলামাদের থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা বৈধ এবং তাঁরা ইনতিকালের পরও সাহায্য করে থাকেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা খায়রুদ্দীন রমলী ‘দুররে মােখতার' গ্রন্থকারের উস্তাদ ফতােয়ায়ে খায়রিয়ায় বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قولهم ياشيخ عبد القادر ندا فما الموجب لحرمته </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(লােকেরা বলে থাকেন যে, “ইয়া শেখ আব্দুল কাদের’,এটা একটা আহবান। অতঃপর এর অবৈধতার কারণ কি?) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সৈয়দী জামাল ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর মককী (رحمة الله) স্বীয় ফতােয়ায়’ বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">سئلت عمن يقولون في حال الشدائد يا رسول الله ويا على اشيخ عبد القادر مثلا هل جا ئز شرعا آم لا أحيت نعم الإشتقائه بالأولياء ونداء هم والتوسل بهم آمر مشروع وشي مرغوب لا ينكره الأمكابر ومعاند وقد حرم بركة الولياء الكرام</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করা হলাে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার অভিমত কি যে বিপদের সময় ইয়া রাসুলাল্লাহ’ ‘ইয়া আলী’ এবং ইয়া শেখ আবদুল কাদের ইত্যাদি বলে থাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এগুলাে বৈধ কিনা? আমি জবাব দিলাম হাঁ! আওলিয়ায়ে কিরাম থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা, তাঁদের আহবান করা এবং তাঁদের সাথে অন্যের জন্য প্রার্থনা করা, শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ ও পছন্দনীয়। যা অস্বীকার করা যায় না কিন্তু গোঁয়ার ও অবাধ্যরা। নিশ্চয়ই তারা আওলিয়ায়ে কেরামের বরকত থেকে বঞ্চিত। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ইবনে জুজী ‘উয়ুনুল হিকায়াত' গ্রন্থে তিনজন মহান ওলীর ঐতিহাসিক ঘটনা পরস্পর সনদ সহকারে রেওয়ায়েত করেন। তিনি বলেন, তাঁরা তিন ভাই শামের ‘দেলাওয়ার’ নামক স্থানে সওয়ার ছিলাে। তাঁরা সর্বক্ষণ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فاسر هم الروم مرة فقال لهم الملك اني اجعل فيكم الملك وازوجكم بناتي وتدخلون في نصرانية فابوا قالوا يا محمداه</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ একদা রােমের খৃষ্টানরা তাদের বন্দী করে নিয়ে যায়। বাদশাহ তাঁদের বললেন, আমি তােমাদের রাজত্ব প্রদান করবাে এবং আমার মেয়েদের তােমাদের নিকট বিবাহ প্রদান করবাে, তােমরা খৃষ্টান হয়ে যাও। তারা অস্বীকার করেন এবং আহবান করেন ‘ইয়া মুহাম্মাদাহ'। বাদশাহ তৈল গরম করে দু’জনকে তাতে নিক্ষেপ করেন। তৃতীয় ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা একটি কারণ সৃষ্টি করে বাঁচালেন। ঐ দু’জন ছয়মাস পর একদল ফেরেস্তা সহকারে জাগ্রতাবস্থায় তাঁর নিকট আসেন আর বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তােমার বিবাহানুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন। তিনি তাদের থেকে অবস্থা জিজ্ঞেস করেন, তারা বলেন </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ماکائث الا العظة التي رأيت حتى خرجنا في </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الفردوس - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ঐটা একটা তৈলের কুন্ড ছিলাে যা তুমি দেখেছিলে। এরপর আমরা জান্নাতুল ফেরদাউসে চলে গেলাম ) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ইবনে জুজী (رحمة الله) বলেন - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كانوا مشهورين بذالك معروفين بالشام في الزمن الأول </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(এ মহাত্মারা পূর্ববর্তী (সলফে সালেহীনের) পূণ্যবান লােকদের যুগে সিরিয়ায় প্রসিদ্ধ। ছিলাে আর তাঁদের এ ঘটনাও সাপী প্রসিদ্ধ ছিলাে।)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতঃপর বলেন, কবিগণ তাঁদের প্রশংসায় (কৃাসীদা) কবিতা লিখেছেন। যার একটি পংক্তি – </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">يغطى الضيقين بفضل صدق * نجاة في الحيات وفى الممات </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ অতিসত্তর আল্লাহ তায়ালা সত্যিকার ঈমানদারদেরকে তাঁদের সত্যের বরকত দ্বারা ইহজগত ও পরজগতে মুক্তি প্রদান করেন। এটা বিস্ময়কর, সুক্ষ্ম এবং রহস্যে পরিপূর্ণ ঘটনা। দীর্ঘ হওয়ার আশংকায় সংক্ষেপ করেছি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শরহুস সুদুর(ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী রহঃ)-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিপূর্ণ ঘটনা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতির (رحمة الله) শরহুস সুদুরে রয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা জানতে হলে ‘শরহুস সুদুর' পাঠ করুন। এখানে উদ্দেশ্য শুধু এটুকু যে, বিপদের সময় “ইয়া রাসুলাল্লাহ্” তথা নারায়ে রেসালতের বৈধতার প্রমান করা। যদি তা শিরক হয়, তাহলে মুশরিকের ক্ষমা ও শাহাদাত নসীব হলাে কিভাবে এবং জান্নাতুল ফেরদাউসে স্থান লাভ করার মর্মার্থ কি? আর তাঁদের বিবাহে ফেরেস্তা প্রেরণ কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? আর এ ইমামগণও কিভাবে তা গ্রহনযােগ্য এবং তাঁদের শাহাদাত ও বেলায়তের স্বীকৃতি প্রদান করলেন? আর ঐ মহাত্মারা স্বয়ংও সলফে সালেহীনের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। কেননা, এ ঘটনা তারতম-এর আবাদের পূর্বেকার ছিলাে। </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كما ذكر في الرواية نفسها</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যেমন মূল রেওয়ায়েতে উল্লেখ রয়েছে আর তারতােমে একটি নগর রয়েছে অর্থাৎ দারুস সালামের সীমান্ত নগর, যা খলীফা হারুনুর রশীদ আবাদ করেছেন। যেমন ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি (رحمة الله) তারীখুল খােলাফায় বর্ননা করেছেন। বাদশাহ্ হারুনুর রশীদের যুগ তাবেয়ীন ও তবেতাবেয়ীনের যুগ ছিলাে। সুতরাং এ শহীদদ্বয় তাবেয়ী ছিলেন না বলে ধরে নিলেও কমপক্ষেতাে তবেতাবেয়ীন অবশ্যই ছিলেন। আল্লাহ তায়ালাই পথ-প্রদর্শনকারী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">টীকা:- ১. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি (رحمة الله) “শরহুস সুদুরে পূর্ণাঙ্গ ঘটনাটি এভাবেই ব্যক্ত করেন। সম্মানিত পাঠক পাঠিকার সুবিধার্তে আমি নিম্নে তা উল্লেখ করছি। সিরিয়ায় তিন সহােদর ভাই উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন, প্রবল সাহসী যােদ্ধা, বাহাদুর এবং মুজাহিদ ছিলাে। রােম সৈনিকরা তাঁদের গ্রেফতার করে নিলাে। রােম সম্রাট ভ্রাতৃত্রয়ের যৌবন এবং সৌন্দর্য দর্শনে প্রভাবিত হয়ে বললাে, তােমরা যদি খৃষ্টান হয়ে যাও, তাহলে আমি নিজ শাহজাদীদের সাথে তােমাদের বিবাহ করিয়ে দিবাে এবং তােমাদের রাজত্বও প্রদান করবাে। ভ্রতত্রয় বাদশাহর এ প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখান করেন। তাদের আচরণে ক্রুদ্ধ হয়ে বাদশাহ তিনটি পাত্রে চর্বি ও সরিষার তৈল পাক করার নির্দেশ দেন। তিনদিন পর্যন্ত তৈলের পাত্র খােলা ছিলাে, আর ঐ। পাত্রগুলাে দৈনিক তাদের দেখানাে হতাে এবং বলা হতাে, হয়তঃ তােমরা খৃষ্টান হয়ে যাও, নয়তাে তােমাদের এ পাকানাে তৈলে দগ্ধ করা হবে। কিন্তু তাঁরা মজবুত, সুদৃঢ় ও পাহাড়সম। ঈমানের উপর স্থির থাকেন। ঐ জালেমরা প্রথমে বড় ভাইকে আগুনে নিক্ষেপ করেন, অতঃপর মেঝ ভাইকে। ভ্রাতৃদ্বয় يا محمداه (ইয়া মুহাম্মাদাহ) নারা ও আহবান করে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং শাহাদাতের মহান গৌরব অর্জন করেন। ছােট ভাইকে যখন পাত্রের নিকটে নেয়া হলাে, বাদশাহর এক রাজকর্মকর্তার তাঁর প্রতি করুণা হলাে। তিনি বললেন, হে সম্রাট! একে চল্লিশ দিনের জন্য অবকাশ প্রদান করুন। আমি তাকে যে কোন প্রকারে খৃষ্টান বানিয়ে ফেলবাে। রাজ কর্মচারী ঐ মুজাহিদকে নিজ গৃহে নিয়ে যান এবং নিজের যৌবনা ও অতিসুন্দরী মেয়েকে তাঁর পাশে রেখে দেন। যেন ঐ সুন্দরী মেয়ের প্রতি মুগ্ধ হয়ে মুজাহিদ খৃষ্টান হয়ে যায়। কিন্তু এ মুত্তাকী, পরহেজগার এবং আবেদ মুজাহিদ সারারাত্র নফল নামাজ ও ইবাদতে অতিবাহিত করেন, আর সারা দিন রােযায় কেটে দেন। রাজকর্মচারীর মেয়ে মুজাহিদের তাকওয়া ও ইবাদতে এমনভাবে মুগ্ধ হলাে যে, সে নিজেই তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাে এবং কলেমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলাে। আর রাত্রে দু’টি ঘােড়া নিয়ে মুজাহিদকে বললাে, চলাে আমরা উভয় এ নগর ত্যাগ করে চলে যাই এবং তথায় আমরা বিবাহ করে এক সাথে থাকবাে। এরপর তাঁরা সেখান থেকে এভাবেই বেরিয়ে গেলেন যে, সারারাত্র তাঁরা সফর করতেন আর দিনে লুকিয়ে থাকতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা একরাত্রে চলে যাচ্ছেন এমতাবস্থায় কতেক ঘােড়ার আওয়াজ তাঁদের কর্ণে প্রবেশ করলাে। মুজাহিদ সামনে এগেিয় দেখেন যে, এরা তাঁর ঐ দু’ভাই যাদের পাকানাে তৈলে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছিলাে এবং তাঁদের সাথে কতেক ঘােড়ার দৌড়ের আওয়াজ আসছিলাে। মুজাহিদ আরাে নিকটে গিয়ে দেখেন তাঁরা হলেন তাঁর ঐ দু’ভাই যাদের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিলাে। আর তাঁদের সাথে ঘােড়ায় আরােহীরা ফিরিস্তাদের একটি দল ছিলাে। মুজাহিদ তাঁর ঐ দু’ভাইকে সালাম করেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খােজ-খবর নেন। তাঁরা উভয় বলতে লাগলেন, আমাদের অবস্থা এ যে, আমরা তৈলে ডুব মেরেছি এরপর জান্নাতে পৌঁছে গেছি। এখন আমরা আল্লাহর নির্দেশে এখানে এসেছি যেন এ পবিত্র ও নেক মেয়ের বিবাহে শরীক হতে পারি। এরপর এ উভয় ভাই ফেরেস্তাদের সাথে তাঁদের বিবাহে শরীক হন অতঃপর রওয়ানা হয়ে যান। আর এ বর-কন্যা নিরাপত্তার সাথে সিরিয়ায় (নিজ বাড়ীতে) পৌঁছে যান। (অনুবাদক)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">গাউসুল অাযম হযরত অাব্দুল কাদের জিলানি (রহ:)এর বাণী:-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হুজুর সৈয়দুনা গাউসে আজম (رحمة الله) বলেন </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من استغاث بى فى كربة كشفت عنه ومن نادی باسمى   </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فى شدة فرجت عنه ومن توسل بي الي الله تعالي في حاجته قضيت له ومن صلى ركعتين يصلي على رسول الله صلى الله عليه وسلمابعد السلام ويسلم عليه ثم يخطؤا الي جهة العراق إحدى عشرة خطوة يذكر فيها اسمی ويذكر  في حاجته فانها تقضی ۔ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ যে ব্যক্তি কোন কষ্টের সময় আমার নিকট প্রার্থনা করবে, তার সে কষ্ট দূরিভূত হয়ে যাবে। আর যে কেউ কোন কঠিন বিপদের সময় আমার নাম নিয়ে আহবান করবে, তাহলে সে বিপদ দূর হবে, আর যে ব্যক্তি কোন হাজত ও প্রয়ােজন পুরােনার্থে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার নিকট প্রার্থনা করবে এবং সে প্রয়ােজন সমাধার জন্য আরাে দু'রাকাত নামাজ আদায় করবে, প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সুরা ইখলাস এগারবার করে পাঠ করে, অতঃপর সালাম ফিরানাের পর রাসুলে করীম (ﷺ) -এর উপর দরুদ শরীফ প্রেরণ করে, অতঃপর ইরাকের দিকে এগার কদম গমন করে এবং সে সময় আমার নাম স্বরণ করে এবং নিজ প্রয়ােজন স্মরণ করে, তার সে প্রয়ােজন পুরণ হয়। | উম্মতের শীর্ষস্থানীয় ওলামা কিরাম ও আওলিয়াইজাম যেমন ইমাম আবুল হাসন নুরুদ্দীন আলী ইবনে জরীর শাহমী সানতুফী, ইমাম আবদুল্লাহ্ ইবনে আসআদ ইয়াফেয়ী মককী, আল্লামা আলী ক্বারী মককী মিরক্বাত শরহে মিশকাত গ্রন্থকার, আল্লামা আবুল মায়ালী মুহাম্মদ সালমা কাদেরী এবং শেখ মােহাকে আবদুল হক মােহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) প্রমুখের স্বীয় গ্রন্থসমূহ যথাক্রমে বাহজাতুল আসরার, খুলাসাতুল মাফাখির, নুজহাতুল খাতির ওয়াল ফাতির, তােহফায়ে কাদেরী এবং জুবদাতুল আসার ইত্যাদিতে উপরােক্ত বক্তব্য হযরত সৈয়দুনা গাউসে আজম (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন। | ‘বাহজাতুল আসরার’ প্রণেতা ইমাম আবুল হাসন নুরুদ্দীন আলী (رحمة الله) শীর্ষস্থানীয় ওলামা, কিরাতের ইমাম ও আকাবিরে আউলিয়া এবং তরীকৃতের সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের অন্যতম ছিলেন। হুজুর গাউসুস সাল্কালাঈন ও তাঁর মধ্যকার শুধুমাত্র দু'টি মধ্যস্থতাই রয়েছে। ইমাম আজল হযরত আবু সালিহ (رحمة الله) থেকে ফয়েজ হাসিল করেছেন। তিনি স্বীয় সম্মানিত পিতা আবু বকর তাজুদ্দীন আবদুর রাজ্জাক (আল্লাহ তায়ালা তাঁর কবরকে নুরে রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ করুক) থেকে, তিনি তাঁর সম্মানিত পিতা হুজুর পুরনুর সৈয়দুস সাদাত গাউসে আজম (رحمة الله) থেকে শেখ মােহাক্কেক যুবদাতুল আসার’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন— “বাহজাতুল আসরার একটি মহান ও প্রসিদ্ধ কিতাব এর রচিয়তা </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওলামায়ে কিরাত -এর প্রসিদ্ধ ও শীর্ষস্থানীয় ইমাম, তাঁর জীবন চরিত (রেজাল শাস্ত্রীয় গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে। ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী (رحمة الله) ইলমে হাদীস ও রিজাল শাস্ত্রে যাঁর সুখ্যাতি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তিনিও তাঁর দরস লাভে গৌরবান্বিত হয়েছেন এবং তাঁর কিতাব ‘তাবাতুল মােকৃাররেয়ীন’-এ তাঁর প্রসংশা ও গুণাগুণ বর্ণনা করেন। | ইমামে মুহাদ্দিস, মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে জরী “হিসনে হাসীন” গ্রন্থকার তাঁর ছাত্রদের মধ্যে গণ্য। তিনি এ নির্ভরযােগ্য কিতাব ‘বাহজাতুল আসরার’ শরীফ তাঁর শেখ থেকে পড়েন এবং এর সনদ ও অনুমতি লাভ করেন। এসব উক্তির বিস্তারিত বিবরণ এবং এ নামাজ মােবারকের শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গি, প্রমাণাদি, উক্তি ও কর্মসমূহ সম্মানিত ও নির্ভরযােগ্য ওলামা কিরাম থেকে প্রমাণিত রয়েছে। এ নগণ্য বান্দার (আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করুক) লিখিত ‘আনহারুল আনােয়ার মান য়াম্মে সালাতুল আসরার’ (১৩০৫ হিজরী সনে লিখিত) গ্রন্থে এ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فعليك ما فيها ما يشفي الصدور ويكشف العمى والحمد لله رب العالمين.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(অতএব, তা সংগ্রহ করুন, তাতে দেখতে পাবেন আত্মার শান্তি এবং অন্ধদের স্বরূপ, সমগ্র জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আরিফ বিল্লাহ্ সৈয়দী আবদুল ওহাব শেরানী (رحمة الله) নির্ভরযােগ্য ও প্রসিদ্ধ “লাওয়াকিয়ুল আওয়ার ফি তাবাতিল আখইয়ার” গ্রন্থে বলেন- “সৈয়দী মুহাম্মদ গামরী (رحمة الله)-এর একজন মুরীদ বাজারে তশরীফ নিচ্ছিলেন। তাঁর সওয়ারীর পদস্খলন ঘটলাে, তিনি সমুস্বরে আহবান করলেন, “ইয়া সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়া গামরী।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“এ দিকে ইবনে ওমর হাকিম সাঈদকে সুলতান হাকীকের নির্দেশে শ্ৰী ঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলাে। ইবনে ওমর ফকীরের আহবান শুনেন, বলেন, সৈয়দী মুহাম্মদ ইনি কে? বলেন, তিনি হলেন আমার শেখ। আমি গুনাহগারও বলছি-</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ياسيدي محمد يا غمر الاحظني</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইয়া সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়া গামরী আল আহজনী) অর্থাৎ, হে আমার সরদার, হে মুহাম্মদ গামরী আমাকে সাহায্য করুন। তাঁর এটাই বলার ছিলাে যে, হযরত মুহাম্মদ গামরী (رحمة الله) আপনি তাশরীফ আনুন এবং সাহায্য করুন। বাদশাহ ও তার সৈন্যদের ভীতির সঞ্চার হলাে, বাধ্য হয়ে উপহার দিয়ে তাঁকে রুখসাত’ (মুক্তি) দিলেন”। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত কিতাবে আরাে উল্লেখ আছে - “সৈয়দ শামসুদ্দীন মুহাম্মদ হানফী (رحمة الله) নিজ গৃহে একাকীভাবে ওযু করছিলেন, অকস্মাৎ একটি খড়ম (কাষ্ঠ নির্মিত পাদুকা) আকাশে নিক্ষেপ করেন যা অদৃশ্য হয়ে গেলাে অথচ গৃহে তা আকাশে যাওয়ার কোন রাস্তা ছিলাে না। আর অন্য পাদুকাটি তাঁর খাদেমকে দান করেন এবং বলেন, “এটা তােমার নিকট রেখে দাও যতক্ষণ না অপরটি এসে যায়। কিছু দিন পর সিরিয়া থেকে এক ব্যক্তি তাঁর মুরীদ সহকারে ঐ পাদুকা নিয়ে হুজুরের সম্মুখে উপস্থিত হন এবং বলেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন, যখন চোর আমার বক্ষের উপর আমাকে হত্যা করতে বসেছিলাে, সে সময় আমি অন্তরে অন্তরে বলেছি “ইয়া সৈয়দী মুহাম্মদ ইয়া হানফী।” সে মুহুর্তে এ পাদুকা গায়ব থেকে এসে তার বক্ষের উপর এসে লাগলাে। সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেলাে। আপনার বরকতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে মুক্তি প্রদান করেন।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> উক্ত গ্রন্থে আরাে উল্লেখ আছে- “উপরােক্ত প্রশংসিত ঐ ওলীর বিবি ভীষণ রােগে মূত্যের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি এ ভাবে আহবান করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ياسيدي احمد يا بدوي خاطرك معي</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইয়া সৈয়দ আহমদ ইয়া বাদভী খাতিরুকা মায়ী) অর্থাৎ হে আমার সরদার, হে আহমদ বাদভী (رحمة الله) আপনার কৃপা দৃষ্টি আমার দিকে নিক্ষেপ করুন)। | একদিন তিনি সৈয়দী আহমদ কবীর বাদভী (رحمة الله) কে স্বপ্নে দেখেন, তিনি বলেন, আর কতকাল আমাকে আহবান করবে এবং আমার সাহায্য প্রার্থনা করবে, তুমিতাে একজন মহান বুজর্গের (স্বীয় স্বামীর) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আর যে কোন মহান অলীর তত্ববধানে থাকে আমি তার আহবানের জবাব প্রদান করিনা। বরং তুমি এভাবেই বলাে, ইয়া সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়া হানফী'। যদি এভাবে বলতে থাকো, আল্লাহ তায়ালা তােমাকে ক্ষমা ও সাহায্য করবেন। তিনি (ঐ বিবি) এভাবেই বললেন। সকালে হতেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন, যেন তার কোন রে গই হয়নি।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত কিতাবে আরাে আছে-“হযরত মামদুহ” (মুহাম্মদ গামরী (র)) তাঁর মৃত্য শয্যায় বলেছিলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من كانت له حاجة فليات التي قبري ويطلب حاجته </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اقضها له فان ما بيني وبينكم غير ذراع من تراب و رجل يجحبه عن أصحابه ذراع من تراب فليس برجل </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, যার কোন কিছুর প্রয়ােজন হয় সে আমার কবরে উপস্থিত হয়ে নিজ প্রয়ােজন (পূরণের জন্য প্রার্থনা করবে। আমি তা পুরণ করে দিবাে। কেননা, আমি ও তােমাদের মধ্যখানে মাটির কোন পর্দা নেই। আর যে ব্যক্তির এতটুকু সাধারণ মাটি তার সঙ্গীদের জন্য পর্দা হয়ে দাড়ায় সে পুরুষই নয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুরূপভাবে হযরত মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ফারগল (رحمة الله)-এর জীবন চরিত্রেই লিখা রয়েছে </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كان رضي الله تعالى عنه يقول أنا من المتصرفين في قبورهم فمن كانت له حاجة قليات الى قبالة وجهی </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ويذكرها إلى أفضها له - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, তিনি বলে থাকতেন আমি সে সকল ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য, যারা স্বীয় কবরে থেকেও সাহায্য করতে পারেন। কারাে কোন কিছুর প্রয়ােজন হলে আমার নিকট আমার মুখের সামনে উপস্থিত হয়ে আমার কাছ থেকে নিজ প্রয়ােজন পুরণার্থে আহবান করাে, আমি তা পূরণ করে দিবাে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত কিতাবে আরাে উল্লেখ আছে-“বর্ণিত আছে, একদা হযরত সৈয়দী মুদায়ন ইবনে আহমদ শামুলী (رحمة الله) ওযু করার সময় একটি পাদুকা প্রাচ্যের দিকে নিক্ষেপ করেন। এক বছর পর এক ব্যক্তি উপস্থিত হলাে, তার নিকট ঐ পাদুকটি ছিলাে। তিনি তার অবস্থার বর্ণনা এভাবেই দেন যে, এক লম্পট তার মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলাে। ঐ সময় মেয়ের কাছে তার পিতার পীরের নাম স্বরণ ছিলাে না, তাই সে এভাবেই আহবান করলাে-“ইয়া শেখু আবী লা হিজনী’ অর্থাৎ হে আমার পিতার পীর ও মুরশিদ আমাকে রক্ষা করুন। এ আহবান করার সাথে সাথেই এ পাদুকা এসে পড়লাে, মেয়ে ঐ লম্পটের হাত থেকে নিস্কৃতি পেলাে। ঐ পাদুকা তাঁর বংশধরদের নিকট এখনও বিদ্যমান রয়েছে।” | উক্ত কিতাবে সৈয়দী মুসা ইবনে ইমরান (رحمة الله)-এর বর্ণনায় লিপিবদ্ধ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> كان إذا ناداه مريدة اجابة من مسيرة سنة واكثر </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর মুরীদ যখনই যেখান থেকে আহবান করতেন, জবাব দিতেন। যদিও এক বছরের কিংবা তার চেয়ে অধিক দীর্ঘ পথও হয়ে থাকে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আখবারুল আখইয়ার(হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহঃ)-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত শেখ মােহাক্কেক আবদুল হক মােহাদ্দেস দেহলভী (رحمة الله) “আখবারুল আখইয়ার” গ্রন্থে হযরত সৈয়দে আজল শেখ বাহাউল হক ওয়াদ্দীন ইবনে ইব্রাহীম আতাউল্লাহ, আনসারী, কাদেরী, সাততারী, হােসাইনীর’ বর্ণনায় তার পুস্তিকা শারিয়া থেকে উদ্ধৃত করে বলেন- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ذکر کشف ارواح ياأحمد يامحمد درودوطريق است . يك طريق أنست و یا احمد را در راست بگوید و یا محمد در چپابگويد - ودر دل ضرب کند یارسول الله طريق ست دوم آنست که با احمد را در راست بگوید و چپا يا محمد و در دل هم کند یا مصطفے ودیگر ذكر يا أحمد يامحمد - يا علی یا حت يا حسين يا فاطمة شش طرفی ذکر کند کشف جميع ارواح شود و دیگر اسمائے ملائکه مقرب هميں دارند يا جبرئيل يا ميكائيل يا اسرافیل یا عزرائیل چهار ضربی دیگر ذكرهم شيخ يعني بگويد ياشيخ ياشيخ هزار بار بگويد که حرف ندارا ازدل بکشد طرف راستاهر دو لفظ شيخ را در دل ضرب کند - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ কশফে আরওয়াহ (আত্মাসমূহের কাশফ) ‘ইয়া আহমাদু ‘ইয়া মুহাম্মাদু’-এর জিকিরের দুটি পদ্ধতি রয়েছে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">একটি পদ্ধতি এ যে, ‘ইয়া আহমাদু' (ﷺ) ডানদিকে বলবে আর ‘ইয়া মুহাম্মদু’ (ﷺ) বামদিকে বলবে ।। অন্তরে ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)-এর জোর প্রদান করবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয় পদ্ধতি হলাে, ইয়া আহমাদু' (ﷺ) ডান দিকে আর ‘ইয়া মুহাম্মদু’ (ﷺ) বামদিকে বলবে এবং অন্তরে ‘ইয়া মুস্তফা (ﷺ), বলবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয় জিকির হলাে ‘ইয়া আহমাদু’, ইয়া মুহাম্মদু’, ‘ইয়া আলীয়ু, ইয়া হাসানু', ইয়া হােসাইনু’ এবং ‘ইয়া ফাতেমা'-এর জিকির ছয় দিকে করবে,সমস্ত আত্মার কাশ হয়ে যাবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর অন্যান্য নৈকট্যবান ফেরেস্তাদের নামও খুবই প্রভাব ফেলে। ইয়া জিব্রাঈলু’, ‘ইয়া মীকাঈলু’, ‘ইয়া ইসরাফীলু এবং “ইয়া আজরাঈলু’ চারটির উপর জোর দিবে। শেখের জিকিরও করবে অর্থাৎ ‘ইয়া শেখু’ ‘ইয়া শেখু’ একহাজার বার এভাবেই আদায় করবে যে, হরফে নিদা’ (আহবান সূচক শব্দ) অন্তর থেকে টেনে আনবে। ইয়া শেখ’ ইয়া শেখ’ শব্দদ্বয়কে জোর দিয়ে পড়বে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত সৈয়দী নুরুদ্দীন আবদুর রহমান জামী (رحمة الله) “নাফহাতুল ইনস” গ্রন্থে, হযরত মৌলভী মানবী'-এর বর্ণনায় লিখেছেন যে, মাওলানা রুহুল্লাহ রুহাহু ইনতিকালের নিকটবর্তী সময়ে বলেন </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قریب انتقال ارشاد فرمایا ۔ ازرفتن من غمناك مشويد که نور منصور رحمة الله بعد از صدو پنجاه سال برروح شیخ فرید الدین عطار رحمة الله تعالی تجلی کرده مرشداو شد اور فرمایا </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">در حاليكه باشيد مرا یاد کنید تامن شمار احمد باشم در هر لباسی که باشم به او فرمایا در عالم مارا دو تعلق ست یکے بابدن و یکے به شما وچوں بعنایت حق سبحانه و تعالی مجرم شوم و عالم تفريد وتجريد روئے نماید اں تعلق نیز از آن شما خواهد بود - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, আমার মূত্যুর কারণে বিষন্ন ও দুঃখিত হয়ােনা। কেননা, নুরে মানসুর (رحمة الله) একশত পঞ্চাশ বছর পর শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তার (رحمة الله)-এর রুহের উপর উজজ্বল্য (তাজাল্লী) প্রদান করেছেন এবং বলেছেন, তােমরা যে অবস্থায় আমাকে। আহবান করােনা কেন, আমি তােমাদের জন্য যে কোন বেশে উপস্থিত হয়ে যাবাে এবং এটাও বলেছেন যে, আমাদের জগতে দু'ধরণের সম্পর্ক রয়েছে। একটি শরীরের সাথে, আপরটি তােমাদের সাথে । আর আল্লাহর অনুগ্রহে যখন গুনাহগার হবাে আর আলমে তাফরীদ ও আলমে তাজরীদে (উপসনা ও নির্জন জগত) আগমন হবে, সে সম্পর্কও তােমাদের সাথে হবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী(রহ:)এর অভিমত:-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহ ওয়ালী মােহাদ্দেস দেহলভী (رحمة الله) “আতইয়াবুন নিয়াম ফি মাদহে সৈয়দিল আরবে ওয়াল আজম” গ্রন্থে বলেন- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وصلى عليك الله يا خير خلقه ويا خير ماهول ويا خير واهب ويا خير من يرجی لكشف رزية ومن جوده قد قاق جود السحائب وانت بخير من هجوم مصيبة إذا أنشبث في القلب شر المخاطب . </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর স্বয়ং এর ব্যাখ্যা ও অনুবাদ করতে গিয়ে বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فصل یازدهم در ابتهال بجناب آنحضرت صلی الله تعالیے عليه وسلم رحمت فرستد برتو خدایتالے ای بهترین خلق خدا وندی بهترین کسیكه امید داشته باشد ای بهترین عطا کنند وای بهترین کسیکه امید داشته باشد از وازالئه مصیبت وای بهترین کسیکه سخاوت اوزیاده است ازياران ابرهااگواهی میدهم که تو پناه دهنده منی از هجوم کردن مصيبتے وقتیکه بخلاند دردل بدترين چنگار با اه ماخصا. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, রাসুল সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর পবিত্র মহান দরবারে বিনীতভাবে প্রার্থনা করছি যে, হে আল্লাহর সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট মহান সত্তা। আপনার উপর আল্লাহ তায়ালার করুণা নাজিল হােক। হে বিশ্বজগতের সবচেয়ে সম্মানিত ও পরিপূর্ণ সত্তা! যে ব্যক্তি আপনার থেকে কোন বস্তুর আশা পােষণ করে, আপনি তা তাকে প্রদান করেন। হে সৃষ্টির সর্বোচ্ছ মর্যাদার অধিকারী সত্তা, যে ব্যক্তি (মুসিবতের সময়) আপনার থেকে নেজাত ও মুক্তির আশা করে, আপনি তাঁর মুসিবতসমূহ দূরিভূত করেন। হে মাখলুকের সর্বেকৃষ্ট সত্তা, যে আপনার নিকট বদান্যতার প্রার্থনা করে তাহলে বদান্যতার মেঘ সাক্ষ্য প্রদান করে। আপনি-মুসিবতের জনকোলাহল থেকে মুক্তি প্রদান করেন যখন নিকৃষ্ট লােকেরা হৃদয়ে মুসিবতের কাঁটা বিদ্ধ হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত কিতাবের সূচনায় রয়েছে :</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ذكر بعض حوادث زمان که درآن حوادث لابدست از استمراد بروح آنحضرت صلی الله تعالى عليه وسلم ... </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ কতেক এমন যুগের দুর্ঘটনাবলী, যা তাতে অবশ্যই সংঘটিত হবে। এমন আকস্মিক দুর্ঘটনাসমূহ রাসুলে সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর রুহানী সাহায্য দ্বারা দূরিভূত হয়ে যায়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ কিতাবের প্রথম পরিচ্ছেদে উল্লেখ আছে - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بنظرنمی اید مرا. مگر آنحضرت صلی الله تعالى عليه </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وسلم که جاءے دست زدن اندوهگین ست - در هر شد نے .</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহ্ সাহেব (رحمة الله) “মাদহিয়ায়ে হামজায়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেন - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ينايي ضارعا بخضوع قلب * وذل وابتهال والتجاء </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">رسول الله ياخيرالبرايا * نوالك ابتغى يوم القضايا </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                اذا ما حل خطب مدلهم * فانت الحصن من كل البلاء</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اليك توجهی وبك استنادي * وقيك مطامعي وبك ارتجائي </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">স্বয়ং এর ব্যখ্যা ও অনুবাদ এভাবে করেন - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فصل ششم در مخاطبه جناب عالی عليه افضل الصلوة, واكمل التحيات والتسلیمات نداکند زار وخوادشده بشکستگی دل واظهار بيقدری خود به اخلاص در مناجات وبه پناه گرفتن باین طریق که اے رسول خدا اے بهترين مخلوقات عطائے ترا می خوام روز فیصل کردن وقتيكه فرود آید وکار عظیم در غایت تاریکی پس توئی پناه ازهر بلا بسويئر تست رو آوردن من به تست پناه گرفتن من و در تست اميد داشتن من او ملحضا. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ্যাৎ-অনুনয়-বিনয়, নতি-বশ্যতা,দোয়া-প্রার্থনা,বিলাপ-কাতরতা,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আন্তরিকতা-অন্তরঙ্গতা এবং বিনয়-নম্রতা সহকারে হুজুর আলায়হি আফযালুস সালাত ওয়া আকমাতুত তাহিয়াত ওয়াত তাসলীমাত-কে আহবান করবে যে, হে আল্লাহর প্রিয় রাসুল (ﷺ), হে সর্বোৎকৃষ্ট-সর্বোত্তম সৃষ্টি, আমরা কিয়ামত দিবসে আপনার দান ও প্রাচুর্য প্রার্থনা করছি, যখন কঠোর ও শক্ত দুঃখ-দুর্দশা, বিপদ-আপদ এবং দুর্ঘটনা আমাদের চেষ্টন করবে, আপনার আশ্রয়েই থাকবাে। আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকটই নির্ভরতার আশ রাখছি।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহ্ সাহেব (رحمة الله) “ইনতিবাহ ফি সালাসিলে আওলিয়িল্লাহু” গ্রন্থে কাযায়ে হাজত (প্রয়ােজন পূরুণার্থে) একটি খতমের তরতীব এভাবেই বর্ণনা </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اول دو رکعت نفل بعد از ان يكصدو یازده بار ورود بعد ازان يكصد ویازدهبار کلمه تمجيد ويکصدویازده بار شيئا الله عبد القار جيلانی . </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, প্রথমে দু'রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে, এরপর একশত এগারবার দরুদ শরীফ, অতঃপর একশত এগারবার কলেমা তামজীদ এবং একশত এগারবার শাঈয়ান লিল্লাহ্ আবদুল কাদের জীলানী’ পাঠ করবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ‘ইনতিবাহ' গ্রন্থ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শাহ সাহেব (رحمة الله) এবং তাঁর শেখ ও উস্তাদ মাওলানা আবু তাহের মদনী, যার খেদমতে দীর্ঘদিন যাবত হাদীস পড়েছেন এবং তাঁর শেখ, উস্তাদ ও পিতা মাওলানা ইব্রাহীম কিরদী, তাঁর উস্তাদ মাওলানা কাশশাসী, তাঁর উস্তাদ মাওলানা আহমদ সানভী আর তাঁর উস্তাদুল উস্তাদ মাওলানা আহমদ খলী (رحمة الله) এ চারজনও শাহ্ সাহেবের আধিকাংশ হাদীসের পরম্পরায় অন্তর্ভূক্ত। আর শাহ্ সাহেব (رحمة الله)-এর পীর ও মুরশিদ শেখ মুহাম্মদ সাঈদ লাহুরী যাকে উল্লেখিত ‘ইনতিবাহ’ গ্রন্থে-নির্ভরযােগ্য ও সিল্কাহ্ বলে উল্লেখ করেন এবং সম্মানিত মাশায়েখে তরীকত-এর মধ্যে গণ্য করেছেন এবং এ পীরও তাঁর মুরশিদ শেখ মুহাম্মদ আশরাফ লাহুরী (رحمة الله), তাঁর শেখ মাওলানা আব্দুল মুলক, তাঁর মুরশিদ বায়েজীদ সানী এবং শেখ মানাবীর পীর হযরত সৈয়দ সিবগাতুল্লাহ বারুজী এবং তাঁদের উভয়ের পীর ও মুরশিদ মাওলানা ওয়াজীহুদ্দীন আলভী (رحمة الله) হিদায়া ও শরহে বেকায়া ভাষ্যকার, তাঁর শেখ হযরত শাহ্ মুহাম্মদ গিয়াস গাওয়ালিয়ারী (رحمة الله) এ সব শীর্ষস্থানীয় ওলামা কিয়াম ‘নাদে আলীর’সনদ গ্রহণ করতেন, আর স্বীয় শীর্ষদের অনুমতি দিতেন এবং ‘ইয়া আলীয়, “ইয়া আলীয়ু’-এর ওজীফা করতেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নাদে আলী নিম্নরূপঃ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بسم الله الرحمن الرجيم ناد علیا مظهرالعجائب تجده فؤا لك في التوائب يتجلى بنوتك يا رسول الله </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بولايتك يا علي ياعلي ياعلي . </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولله الجهة السامية এর বিস্তারিত বিবরণ দেখতে হলে অধমের রিসালাহ্ যথাক্রমে ‘আনােয়ারুল আনােয়ার’ ও ‘হায়াতুল মাওয়াত ফি বয়ানে সিমায়ে আমওয়াত’ দেখুন! </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাহ আব্দুল আজিজ (রহঃ) এর অভিমতঃ- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শাহ্ আবদুল আজীজ (رحمة الله) বুস্তানুল মােহাদ্দেসীন’ গ্রন্থে শীর্ষস্থানীয় ও সম্মানিত আলিম, ইমামুল ওলামা, নিজামুল আউলিয়া হযরত সৈয়দ আহমদ রাজুক মাগরবী (رحمة الله) (উস্তাদ ইমাম শামসুদ্দীন লিকানী ও ইমাম শিহাবুদ্দীন কুস্তুলানী সহীহ বুখারী ভাষ্যকার)-এর খুবই প্রশংসা লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি সাত আবদাল ও সুফী-মাহাক্কেকীনে কিরামের অন্তর্ভূক্ত, শরীয়ত ও তরীকৃতের জামে, উচ্ছ মর্যাদার বাতেনী জ্ঞান সম্পন্ন, তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলী জাহেরী জ্ঞানেও অধিক উপকারী। শীর্ষস্থানীয় ওলামা কিরাম গৌরব করতেন যে, আমরা এমন মহান, সম্মানিত আলিম ও আরিফ-এর শীর্ষ । এমনও পর্যন্ত লিখেছেন- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بالجمله مردے جلیل القدريست که مرتبه کمال او فوق </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الذكرست… </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ সারাংশ হলাে, তারা এমন জলীলুল কদর ব্যক্তিত্ব যে, তাদের উচ্চ মর্যদার পরিপূর্ণতা বর্ণনার বাইরে। এ মহান ব্যক্তিত্বের পবিত্র বাণী থেকে দুটি ছন্দ বর্ণনা করছি। তিনি বলেন- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انا لمريدي جامع لتشتاته * اذا ما سطا جور الزمان بنكبته.. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- অর্থাৎ, আমি স্বীয় মুরীদের বিষন্ন ও দুঃখ-দুর্দশাসমূহের (মুহুর্তে) মনের শান্তি এনে দিতে পারি যখন কালের দুর্ভোগ-দুর্দশা ও অত্যাচার দুর্ভাগ্যক্রমে এর উপর অতিক্রম করে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وان كنت في ضيق وكرب ووحشة : فتا بيارزي أي بسرعة </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, আর যদি তুমি কোন দুঃখ-কষ্ট এবং বিপদে পড়াে, তাহলে ‘ইয়া রাযুক’ বলে আহবান করাে। আমি অতিসত্তর সাহায্য নিয়ে চলে আসবাে।। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিজ্ঞ আলিমদের অভিমত-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা জিয়াদী, অতঃপর আল্লামা আজহুরী (অনেক গ্রন্থ রচিয়তা হিসেবে সু-প্রসিদ্ধ আল্লামা দাউদী ভাষ্যকার শরহে নাহজ, অতঃপর আল্লামা শামী (رحمة الله) ‘রাদুল মােহতার হাশিয়ায়ে দুররুল মােখতার' গ্রন্থকার, হারানাে বস্তু ফিরে পাওয়ার জন্য এ আমলের কথা উল্লেখ করেন-“উঁচু স্থানে গিয়ে ‘সৈয়দী আহমদ ইবনে আলওয়ান ইয়ামেনী (رحمة الله)-এর জন্য ফাতেহা পড়বে। অতঃপর তাঁকে আহবান করবে ইয়া সৈয়দ আহমদ ইয়া ইবনা আলওয়ান’।” </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রসিদ্ধ ও সর্বজন স্বীকৃত কিতাব শামী থেকে অধম তাঁর পাদটীকার বক্তব্য হায়াতুল মিরাত' নামক পুস্তিকার পরিশিষ্টে বর্ণনা করেছি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিসমাপ্তি</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">* মােট কথা, নারায়ে রিসালতের বৈধতা সম্পর্কে সাহাবায়ে কিরাম থেকে এ পর্যন্ত এমন অধিক সংখ্যক ওলামা ও আওলিয়া কিরাম বর্ণনা করেছেন, যাদের বক্তব্যসমূহ এ অধম (আহমদ রেযা) এক স্বল্প সময়ে একত্রিত করেছি। এখন মুশরিক ফতােয়া প্রদানকারীদের থেকে পরিস্কারভাবে জিজ্ঞেস করা হবে যে, হযরত ওসমান ইবনে হােনাইফ, আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رحمة الله) প্রমুখ সাহাবায়ে কিরাম থেকে আরম্ভ করে শাহ ওয়ালী উল্লাহ, শাহ আবদুল আজীজ সাহেব এবং তাদের উস্তাদ ও মাশায়েখ (رحمة الله) পর্যন্ত সবাইকে কাফের বলাে কিনা? যদি অস্বীকার করাে তাহলে আলহামদু লিল্লাহ্ মুক্তি ও হেদায়ত পেয়েছে এবং সত্য উদ্ভসিত হয়ে উঠেছে। আর (যদি বােকা, নির্লজ্জ ও যাদু গ্রস্থ ব্যক্তির ন্যায়) তাদের উপর কুফরের ফতােয়া জারী করাে, তাহলে তােমাদের এতটুকুই বলা যায় যে, আল্লাহ্ তায়ালা তােমাদের হিদায়ত করুক (হে স্বপ্নে বিভাের ব্যক্তিরা) একটু চোখ খুলে দেখাে যে, কাকে বলেছে, কি বলেছাে! ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলায়হি রাজেউন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">| আর আন্তরিকভাবে জেনে রেখাে যে, যে মাযহাবের ভিত্তিতে সাহাবাকিরাম থেকে এখনকার পর্যন্ত সকল আকাবির ও উম্মতের শীর্ষপর্যায়ের সম্মনিত, মহামান্য ব্যক্তিদের মায়াজাল্লাহ (আল্লাহর আশ্রয়) কাফির-মুশরিক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, সে মাযহাব আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কেমন শত্রু হিসেবে বিবেচ্য হবে? | বিশুদ্ধ হাদীসে বর্ণনা এসেছে, “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কাফির বলবে, সে নিজেই কাফির। আর অনেক ইমামও শর্তহীনভাবে এ ফতােয়া প্রদান করেছেন। যার বিস্তারিত বিবরণ আমি অধমের ‘আনাহ ইয়ুল আবীদ আনিস সালাতে দুররায়ে ই’দ্দীদ তাক্বলীদ’ নামক পুস্তিকায় বর্ণনা করেছি। আমরা যদিও সাবধানতা বশতঃ তাদের কুফরী ফতােয়া দিচ্ছিনা, তবুও এতটুকু কথাতে সকলই একমত এবং এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই যে, একদল ইমামগণের মতানুসারে এ মহাত্নগণ ইয়া রাসুলাল্লাহ,' ‘ইয়া আলী, ‘ইয়া হােসাইন’, ‘ইয়া গাউসুস সাকালাইন’ উক্তিকারী মুসলমানদের কাফের ও মুশরিক বললে তারা নিজেরাই কাফির ও মুশরিক। সুতরাং তাদের জন্য নতুন সত্ত্বে কলমা পড়ে মুসলমান হওয়া আবশ্যক এবং নিজ স্ত্রীদের সাথে নতুনভাবে বিবাহ পড়া জরুরী। দুররে মুখতারে’ উল্লেখ আছে - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">مافيه خلاف يؤمر بالاستغفار والتوبة وتجديد النكاح. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ যাতে মতবিরােধ হয় তাতে ইস্তিগফার, তাওবা ও নতুন বিবাহের হুকুম দেয়া হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপকারিতা-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হুজুর সৈয়দে আলম (ﷺ) কে উৎকৃষ্ট দলীলের ভিত্তিতে আহবান করবাে, তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) যা প্রত্যেক নামাজ পড়ুয়া ব্যক্তি নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে পড়ে থাকেন এবং স্থীয় নবীয়ে করীম আলায়হি অফজালুস সালাতে ওয়াত তাসলিমের সমীপে নিবেদন করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">السلام عليك ايها النبي ورحمة الله وبركا ته</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ও (সালাম আপনার উপস্থিতির উপর হে নবী(ﷺ) এবং আপনার উপর আল্লাহর রহমত, করুণা ও বরকত (অবতীর্ণ হােক)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি (নিদা) আহবান করা মােয়াজাল্লাহ্ (আল্লাহর আশ্রয়) শিরক হয়, তাহলে এটাতাে আজব ধরণের শিরক যা স্বয়ং নামাজের ভিতরেই শরীক ও অন্তর্ভুক্ত। ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। এ বােকামী ও মুখ ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত যে, ‘আত্তাহিয়্যাতু’ হুজুর সৈয়দে আলম (ﷺ) পবিত্র যুগ থেকে ঐ একই নিয়মেই চলে আসছে। এর উদ্দেশ্য ঐ শব্দসমূহ আদায় করা। না নবীয়ে করীম (ﷺ)-এর আহবান পবিত্র শরীয়ত নামাজে কোন জিকর এমন রেখেছে যাতে শুধুমাত্র মুখ থেকে শব্দটি বের করবে আর এর দ্বারা অর্থ উদ্দেশ্য হবে না। এমনি কখনাে হতে পারে না। এমনটি এখানে উদ্দেশ্যও নয়। বরং এখানে রাসুলে পাক (ﷺ)-এর নিদা (আহবান) মর্মার্থ সহকারেই অকাট্যভাবে আবশ্যক। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালা ওয়াতু ওয়াত তায়্যেবাতি’ দ্বারা আল্লাহ তায়ালার হামদই উদ্দেশ্য করছে আর ‘আস সালামু আলায়কা আয়ুহান নাবীয়া ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু' বাক্যে এ উদ্দেশ্য ও ইচ্ছে করতে হবে যে, এ সময় স্বীয় রাসুলে করীম (ﷺ) কে সালাম করছেন এবং হুজুরের নিকট স্বইচ্ছায় নিবেদন করছেন, সালাম, হে নবী (ﷺ) ! আপনার উপস্থিতির উপর। আর আল্লাহর রহমত এবং তার বরকতসমূহ আপনার প্রতি অবতীর্ণ হােক। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“ফতােয়ায়ে আলমগীরীতে” শরহে কুদরী থেকে বর্ণিত রয়েছে </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لابد ان يقصد بالفاظ التشهد معانيها التي وضعت لها من عنده كما قد يحي الله تعالى ويسلم على البي صلى الله تعالى عليه وسلم وعلى نفسه وعلي أولياء الله تعالى. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাশাহ হুদ’-এর শব্দসমূহের মধ্যে মর্মার্থ সহকারে ইচ্ছে করাই আবশ্যক। যেভাবে আল্লাহ্ তায়ালা নবীয়ে করীমের (ﷺ) পবিত্র জাত এবং আল্লাহর ওলীদের উপর তাহিয়্যাহ্ ও সালাম অবতীর্ণ করেন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“তানবীরুল আবসার” এবং এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ “দুররে মােখতারে” উল্লেখ আছে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ويقصد بالفاظ التشهد، معانيها مراد له على وجه (الإنشاء) كانه يحي الله تعلى ويسلم علي نبيه وعلى نفسه </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وعلى أوليائه (لا الاخبار)، عن ذالك ذكره في المجتبى. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ তাশাহুহুদ’-এর শব্দাবলীতে এর মর্মার্থই উদ্দেশ্য হতে হবে। আর তা ইনশা (আদেশ সূচক)-এর ভিত্তিতে, (খবরের ভিত্তিতে নয়). যেমনি ভাবে আল্লাহ তায়ালা রাসুলে করীম (ﷺ)-এর পবিত্র জাত এবং আউলিয়া কিরামদের উপর অভিবাদন ও সালাম নাজিল করেন। এটাই মুজতাবাতে উল্লেখ রয়েছে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা হাসন শরীফ লালী “মারাক্বীউল ফালাহ শরহে নুরুল ইজাহ” গ্রন্থে বলেন- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">يقصد معانيه مرادة له على انه ينشائها تحية وسلاما منه م</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">| অর্থাৎ এ সমার্থবােধক অর্থে এভাবেই ইচ্ছে করবে যে, নবীয়ে করীম (ﷺ)-এর এ পবিত্র জাতের উপর অভিনন্দন ও সালামের নির্দেশ সূচক হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুরূপ অনেক ওলামা কিরাম বর্ণনা করেছেন। এর উপর কতেক নির্বোধ ও নির্লজ্জ আস্বীকারকারীরা এ আপত্তি আবিষ্কার করে বসেছে যে, সালাত ও সালাম প্রেরণ করার জন্য ফিরিস্তা নির্ধারিত থাকে। সুতরাং তাতে আহবান জায়েজ, আর অন্যান্য সময় জায়েজ নেই। অথচ এটা কঠোরতম বিস্বাদ মুখতা। এ ছাড়াও আরাে যতগুলাে আপত্তি এর উপর উত্তাপিত হয়, এ সব অতিচালাকেরা এটুকুও তলিয়ে দেখেনি যে, শুধু মাত্র দরুদ সালাম কেন বরং উম্মতের সকল আমল, কর্ম দৈনিক দু’বার সরকারে আরশ ওকার হুজুর সৈয়দুল আবরার (ﷺ)-এর পবিত্রতম দরবারে পেশ করা হয়। অনেক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, শর্তহীনভাবে ভাল ও মন্দ আমলসমূহ হুজুর (ﷺ)-এর দরবারে পেশ করা হয়। অনুরূপ সকল আম্বিয়া কিরাম, পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয়, প্রিয় ব্যক্তিদের আমলও পেশ হয়। অধম ‘সালতানাতুল মােস্তফা ফি কুল্লে মালাকুতে কুল্লিল ওয়ারা’ পুস্তিাকায় ঐ সব হাদীস সমূহ একত্রিত করেছি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে এটুকুই যথেষ্ট যে, ইমাম আজল, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মােবারক, হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব-এর সূত্রে বর্ণনা করেন</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ليس ممن يوم إلا وتعرض على النبي صلى الله تعالى عليه وسلم اعمال امته غداة وعشيا فيعرجهم بسيماهم وأعمالهم </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ৪ এমন কোন দিন অতিবাহিত হয় না, যে দিন উম্মতের আমলসমূহ প্রত্যেক সকাল-সন্ধায় রাসুলে সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর পবিত্রতম দরবারে পেশ করা হয় না। সুতরাং হুজুর (ﷺ) স্বীয় উম্মতদের পরিচয় লাভ এরই নিদর্শন এবং তাদের আমলসমূহের কারণেই। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">صلى الله تعالى عليه وسلم وعلى اله وصحبه وشرف </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وكرم فقير غفر الله تعالى بتوفيق الله عز وجل. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ মাসয়ালায় একটি বিরাট ও বিস্তারিত গ্রন্থ লিখতে পারতাম কিন্তু গ্রন্থকারের জন্য এটাই যথার্থ মূল্য নিরূপনকারী এবং আল্লাহ হেদায়ত দান করলে একটি অক্ষরই যথেষ্ট। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اكفنا شر المضلين يا كافي وصل علي سيدنا ومولانا محمدن الشافي و اله وصحبه حماة الديني الصافي أمين - والحمد لله رب العالين - </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবদুল মােস্তফা আহমদ রেজা খান। মুহাম্মদী, সুন্নী, হানফী,কাদেরী। ১৩০১ হিজরীতে লিখিত। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা লিখেছি, অধম বান্দাহ আহমদ রেজা বেরলভী...রাসুলে সৈয়দে আলম হুজুর নবীয়্যল উম্মী (ﷺ) থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সমাপ্ত </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /><br /></div> </div>

কিতাবঃ নারায়ে রেসালাতের বৈধতা [মূলঃ আলা হযরত রহ.]

কিতাবঃ নারায়ে রেসালাতের বৈধতা  (আনােয়ারুল ইনতিবাহু ফি হল্লে নিদায়ে ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)-এর বাংলা রূপ)  মূলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেয...

Read more »