কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী<br /> <br /> সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম  উনার শাহাদাতের ব্যাপারে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক” থেকে প্রমাণ করবো ইয়াযিদের নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক), শহীদ করার পর ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি খুশি প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। শুধু তাই না সম্মানিত মস্তক মুবারক উনার সাথেও চরম বেয়াদবী মূলক আচরন করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। যা ইতিহাসে পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে,<br /> <br /> دخل بعض بني أمية عَلَى يزيد ، فَقَالَ : أبشر يا أمير المؤمنين ، فقد أمكنك اللَّه من عدو اللَّه وعدوك ؛ يعني : الحسين بْن علي قد قتل ، ووجه برأسه إليك ، فلم يلبث إلا أياما حتى جيء برأس الحسين ، فوضع بين يدي يزيد فِي طشت ، فأمر الغلام فرفع الثوب الَّذِي كَانَ عليه ، فحين رآه خمر وجهه بكمه ، كأنه يشم منه رائحة ، وقال : الحمد لله الَّذِي كفانا المؤنة بغير مؤنة كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ سورة المائدة آية ৬৪ ، قالت ريا : فدنوت منه ، فنظرت إِلَيْهِ وبه ردع من حناء ، قَالَ حمزة : فقلت لها : اقرع ثناياه بالقضيب كما يقولون ؟ قالت : أي والذي ذهب بنفسه ، وهو قادر عَلَى أن يغفر لَهُ ، لقد رأيته يقرع ثناياه بقضيب فِي يده ،<br /> <br /> অর্থ: বনু উমাইয়ার কিছু লোক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির কাছে আসে এবং বলে, হে আমীরুল মু’মিনিন (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ) সুসংবাদ গ্রহন করো। আল্লাহ পাক তোমাকে বিজয় দান করেছেন আল্লাহর দুশমন আর তোমার দুশমনের বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে। উনার সম্মানিত শের মুবারক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মস্তক মুবরাক এসে পৌঁছালো। তখন একটা প্লেটে সম্মানিত মস্তক মুবারক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির সামনে আনা হলো। তখন সে তার গোলামকে সেই প্লেট থেকে কাপড় সরাতে হুকুম করলো, সে তখন কাপড় সরালো। এটা দেখে তার (ইয়াযিদের) চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, সে যেন সুগন্ধি নিচ্ছিলো (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। সে বললো, আলহামদুল্লিাহ! এত সহজেই আল্লাহ পাক আমাকে বিজয় দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এর পর সে কুরআন শরীফ থেকে كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ (সূরা মায়েদা ৬৪) এ আয়াত শরীফ পড়লো। রাইয়া বলছে, আমি তখন তার দিকে তাকালাম। হামজা রইয়াকে প্রশ্ন করলো ইয়াযিদ কি বেত দিয়ে আঘাত করেছিলো। সে বললো আল্লাহর পাক উনার জাতের কসম। অমি দেখেছি ইয়াযিদ বেত দিয়ে উনার দাঁত মুবারকে আঘাত করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।<br /> (তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক  ৬৯তম থন্ড ১৫৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; জন্ম ৪৯৯ হিজরী- ওফাত ৫৭১ হিজরী; প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-r3NVu-3SZL5AxZESyb-SgVAiEuw_gGi3Am4vF8SmbWszZJF9CgZ_oN-U5LI7SscHIU-_UBuGn8tW3qA_-rHO025HXjFgC8L4LNqJsgwzlEBR39dEHV41Bkzcset5w3XlW_kYxMS1LbAR/s1600/FB_IMG_1568136058041.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="720" height="224" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-r3NVu-3SZL5AxZESyb-SgVAiEuw_gGi3Am4vF8SmbWszZJF9CgZ_oN-U5LI7SscHIU-_UBuGn8tW3qA_-rHO025HXjFgC8L4LNqJsgwzlEBR39dEHV41Bkzcset5w3XlW_kYxMS1LbAR/s320-rw/FB_IMG_1568136058041.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> একটু অগ্রসর হয়ে ইমাম আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হামজার বরাতে লিখেন,<br /> أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br /> হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /> <br /> উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,<br /> হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি ভয়ানক বিদ্বেষ পোষন করতো। উনাকে দুশমন মনে করতো। সম্মানিত মস্তক মুবারক দেখে সে খুশি হয় এবং চরম বেয়াদবী করে বেত দিয়ে দাঁত মুবারকে আঘাত করতে থাকে। এখানেই শেষ নয় বরং এই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি সম্মানিত মস্তক মুবারক উনাকে ৩ দিন দামেষ্কের ফটকে ঝুলিয়ে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /> <br /> তাহলে কি করে বলা যায় যে কারবালার সেই নির্মম ঘটনার পিছনে সে দায়ী নয়? বরং এটাই প্রমাণ হলো তার আদেশেই কারবালার সেই নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। আজ যারা ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়, ইয়াযিদকে বিখ্যাত তাবেয়ী বলে প্রচার করতে চায় বুঝতে হবে এরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার পক্ষ ছেড়ে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ নিয়েছে। বুঝতে হবে এরাই বর্তমান ইয়াযিদের উত্তোসূরি। ইবলিশের চাইতেও এরা নিকৃষ্ট। অনন্তকালের জন্য এদের প্রতি লা’নত! লা’নত! লা’নত। মহান আল্লাহ পাক এদের ধ্বংস করুন, লাঞ্ছিত করুন, এদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। আমীন।<br /> <br /> <br /></div>

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমা...

Read more »

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী<br /><br /><br /><br />সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম  উনার শাহাদাতের ব্যাপারে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক” থেকে প্রমাণ করবো ইয়াযিদের নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক), শহীদ করার পর ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি খুশি প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। শুধু তাই না সম্মানিত মস্তক মুবারক উনার সাথেও চরম বেয়াদবী মূলক আচরন করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। যা ইতিহাসে পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে,<br /><br /><br /><br />دخل بعض بني أمية عَلَى يزيد ، فَقَالَ : أبشر يا أمير المؤمنين ، فقد أمكنك اللَّه من عدو اللَّه وعدوك ؛ يعني : الحسين بْن علي قد قتل ، ووجه برأسه إليك ، فلم يلبث إلا أياما حتى جيء برأس الحسين ، فوضع بين يدي يزيد فِي طشت ، فأمر الغلام فرفع الثوب الَّذِي كَانَ عليه ، فحين رآه خمر وجهه بكمه ، كأنه يشم منه رائحة ، وقال : الحمد لله الَّذِي كفانا المؤنة بغير مؤنة كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ سورة المائدة آية ৬৪ ، قالت ريا : فدنوت منه ، فنظرت إِلَيْهِ وبه ردع من حناء ، قَالَ حمزة : فقلت لها : اقرع ثناياه بالقضيب كما يقولون ؟ قالت : أي والذي ذهب بنفسه ، وهو قادر عَلَى أن يغفر لَهُ ، لقد رأيته يقرع ثناياه بقضيب فِي يده ،<br /><br /><br /><br />অর্থ: বনু উমাইয়ার কিছু লোক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির কাছে আসে এবং বলে, হে আমীরুল মু’মিনিন (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ) সুসংবাদ গ্রহন করো। আল্লাহ পাক তোমাকে বিজয় দান করেছেন আল্লাহর দুশমন আর তোমার দুশমনের বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে। উনার সম্মানিত শের মুবারক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মস্তক মুবরাক এসে পৌঁছালো। তখন একটা প্লেটে সম্মানিত মস্তক মুবারক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির সামনে আনা হলো। তখন সে তার গোলামকে সেই প্লেট থেকে কাপড় সরাতে হুকুম করলো, সে তখন কাপড় সরালো। এটা দেখে তার (ইয়াযিদের) চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, সে যেন সুগন্ধি নিচ্ছিলো (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। সে বললো, আলহামদুল্লিাহ! এত সহজেই আল্লাহ পাক আমাকে বিজয় দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এর পর সে কুরআন শরীফ থেকে كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ (সূরা মায়েদা ৬৪) এ আয়াত শরীফ পড়লো। রাইয়া বলছে, আমি তখন তার দিকে তাকালাম। হামজা রইয়াকে প্রশ্ন করলো ইয়াযিদ কি বেত দিয়ে আঘাত করেছিলো। সে বললো আল্লাহর পাক উনার জাতের কসম। অমি দেখেছি ইয়াযিদ বেত দিয়ে উনার দাঁত মুবারকে আঘাত করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।<br /><br />(তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক  ৬৯তম থন্ড ১৫৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; জন্ম ৪৯৯ হিজরী- ওফাত ৫৭১ হিজরী; প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRjvgq9q0cL8WjJSDp72RvwYMTdFv8QEor7VTj2phYeNr1BRTnj0Eoxt3CiFnu4UfCtb_xkVdTQ3wdwaUiDnfYsOv2XHvdumCA_2MwnLaRxj5dzRfoGB6cCuPf1RjW4Otd_zMc4tiR9qTV/s1600/FB_IMG_1568136058041.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="720" height="224" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRjvgq9q0cL8WjJSDp72RvwYMTdFv8QEor7VTj2phYeNr1BRTnj0Eoxt3CiFnu4UfCtb_xkVdTQ3wdwaUiDnfYsOv2XHvdumCA_2MwnLaRxj5dzRfoGB6cCuPf1RjW4Otd_zMc4tiR9qTV/s320-rw/FB_IMG_1568136058041.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />একটু অগ্রসর হয়ে ইমাম আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হামজার বরাতে লিখেন,<br /><br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br /><br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br /><br /><br />উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,<br /><br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি ভয়ানক বিদ্বেষ পোষন করতো। উনাকে দুশমন মনে করতো। সম্মানিত মস্তক মুবারক দেখে সে খুশি হয় এবং চরম বেয়াদবী করে বেত দিয়ে দাঁত মুবারকে আঘাত করতে থাকে। এখানেই শেষ নয় বরং এই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি সম্মানিত মস্তক মুবারক উনাকে ৩ দিন দামেষ্কের ফটকে ঝুলিয়ে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br /><br /><br />তাহলে কি করে বলা যায় যে কারবালার সেই নির্মম ঘটনার পিছনে সে দায়ী নয়? বরং এটাই প্রমাণ হলো তার আদেশেই কারবালার সেই নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। আজ যারা ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়, ইয়াযিদকে বিখ্যাত তাবেয়ী বলে প্রচার করতে চায় বুঝতে হবে এরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার পক্ষ ছেড়ে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ নিয়েছে। বুঝতে হবে এরাই বর্তমান ইয়াযিদের উত্তোসূরি। ইবলিশের চাইতেও এরা নিকৃষ্ট। অনন্তকালের জন্য এদের প্রতি লা’নত! লা’নত! লা’নত। মহান আল্লাহ পাক এদের ধ্বংস করুন, লাঞ্ছিত করুন, এদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। আমীন।<br /><br /><br /><br /><br /></div><br />

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হ...

Read more »

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী<br /><br />সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম  উনার শাহাদাতের ব্যাপারে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক” থেকে প্রমাণ করবো ইয়াযিদের নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক), শহীদ করার পর ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি খুশি প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। শুধু তাই না সম্মানিত মস্তক মুবারক উনার সাথেও চরম বেয়াদবী মূলক আচরন করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। যা ইতিহাসে পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে,<br /><br />دخل بعض بني أمية عَلَى يزيد ، فَقَالَ : أبشر يا أمير المؤمنين ، فقد أمكنك اللَّه من عدو اللَّه وعدوك ؛ يعني : الحسين بْن علي قد قتل ، ووجه برأسه إليك ، فلم يلبث إلا أياما حتى جيء برأس الحسين ، فوضع بين يدي يزيد فِي طشت ، فأمر الغلام فرفع الثوب الَّذِي كَانَ عليه ، فحين رآه خمر وجهه بكمه ، كأنه يشم منه رائحة ، وقال : الحمد لله الَّذِي كفانا المؤنة بغير مؤنة كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ سورة المائدة آية ৬৪ ، قالت ريا : فدنوت منه ، فنظرت إِلَيْهِ وبه ردع من حناء ، قَالَ حمزة : فقلت لها : اقرع ثناياه بالقضيب كما يقولون ؟ قالت : أي والذي ذهب بنفسه ، وهو قادر عَلَى أن يغفر لَهُ ، لقد رأيته يقرع ثناياه بقضيب فِي يده ،<br /><br />অর্থ: বনু উমাইয়ার কিছু লোক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির কাছে আসে এবং বলে, হে আমীরুল মু’মিনিন (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ) সুসংবাদ গ্রহন করো। আল্লাহ পাক তোমাকে বিজয় দান করেছেন আল্লাহর দুশমন আর তোমার দুশমনের বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে। উনার সম্মানিত শের মুবারক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মস্তক মুবরাক এসে পৌঁছালো। তখন একটা প্লেটে সম্মানিত মস্তক মুবারক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির সামনে আনা হলো। তখন সে তার গোলামকে সেই প্লেট থেকে কাপড় সরাতে হুকুম করলো, সে তখন কাপড় সরালো। এটা দেখে তার (ইয়াযিদের) চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, সে যেন সুগন্ধি নিচ্ছিলো (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। সে বললো, আলহামদুল্লিাহ! এত সহজেই আল্লাহ পাক আমাকে বিজয় দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এর পর সে কুরআন শরীফ থেকে كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ (সূরা মায়েদা ৬৪) এ আয়াত শরীফ পড়লো। রাইয়া বলছে, আমি তখন তার দিকে তাকালাম। হামজা রইয়াকে প্রশ্ন করলো ইয়াযিদ কি বেত দিয়ে আঘাত করেছিলো। সে বললো আল্লাহর পাক উনার জাতের কসম। অমি দেখেছি ইয়াযিদ বেত দিয়ে উনার দাঁত মুবারকে আঘাত করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।<br />(তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক  ৬৯তম থন্ড ১৫৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; জন্ম ৪৯৯ হিজরী- ওফাত ৫৭১ হিজরী; প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRjvgq9q0cL8WjJSDp72RvwYMTdFv8QEor7VTj2phYeNr1BRTnj0Eoxt3CiFnu4UfCtb_xkVdTQ3wdwaUiDnfYsOv2XHvdumCA_2MwnLaRxj5dzRfoGB6cCuPf1RjW4Otd_zMc4tiR9qTV/s1600/FB_IMG_1568136058041.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="720" height="224" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiRjvgq9q0cL8WjJSDp72RvwYMTdFv8QEor7VTj2phYeNr1BRTnj0Eoxt3CiFnu4UfCtb_xkVdTQ3wdwaUiDnfYsOv2XHvdumCA_2MwnLaRxj5dzRfoGB6cCuPf1RjW4Otd_zMc4tiR9qTV/s320-rw/FB_IMG_1568136058041.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />একটু অগ্রসর হয়ে ইমাম আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হামজার বরাতে লিখেন,<br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি ভয়ানক বিদ্বেষ পোষন করতো। উনাকে দুশমন মনে করতো। সম্মানিত মস্তক মুবারক দেখে সে খুশি হয় এবং চরম বেয়াদবী করে বেত দিয়ে দাঁত মুবারকে আঘাত করতে থাকে। এখানেই শেষ নয় বরং এই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি সম্মানিত মস্তক মুবারক উনাকে ৩ দিন দামেষ্কের ফটকে ঝুলিয়ে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />তাহলে কি করে বলা যায় যে কারবালার সেই নির্মম ঘটনার পিছনে সে দায়ী নয়? বরং এটাই প্রমাণ হলো তার আদেশেই কারবালার সেই নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। আজ যারা ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়, ইয়াযিদকে বিখ্যাত তাবেয়ী বলে প্রচার করতে চায় বুঝতে হবে এরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার পক্ষ ছেড়ে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ নিয়েছে। বুঝতে হবে এরাই বর্তমান ইয়াযিদের উত্তোসূরি। ইবলিশের চাইতেও এরা নিকৃষ্ট। অনন্তকালের জন্য এদের প্রতি লা’নত! লা’নত! লা’নত। মহান আল্লাহ পাক এদের ধ্বংস করুন, লাঞ্ছিত করুন, এদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। আমীন।<br /><br /><br /></div>

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হ...

Read more »

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা:<br /> -------------------------------------------------------------------------------<br /> কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম শয়তান  ইবনে যিয়াদ নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছে,<br /> <br /> أما قتلي الحسين فإنه أشار إلي يزيد بقتله أو قتلي فاخترت قتله<br /> <br /> আমি (ইবনে যিয়াদ) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছি (নাউযুবিল্লাহ) ইয়াজিদের কথায়। সেটা না করলে সে (ইয়াযিদ) আমাকে হত্যা করে ফেলতো। সুতরাং আমি  হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার বিষয়টিকে বেছে নিয়েছি। (নাউযুবিল্লাহ)<br /> (দলীল: আল কামিল ফিত তারীখ ২য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনুল আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত: ৬৩০ হিজরী)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgT2YOfpF1cygAT22I_Vd2mE4LjugH-SqhRn2r3LSOCoVqbW_ZTu0tXQNgujdXus1UNkmU6bHw9hogs_LxKePDv_qWHaeszU_6XsV6ww4THQ_TwGAD8agcqYTNVnXVF8kC4Igkw0qEoIBcm/s1600/FB_IMG_1568134362739.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1040" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgT2YOfpF1cygAT22I_Vd2mE4LjugH-SqhRn2r3LSOCoVqbW_ZTu0tXQNgujdXus1UNkmU6bHw9hogs_LxKePDv_qWHaeszU_6XsV6ww4THQ_TwGAD8agcqYTNVnXVF8kC4Igkw0qEoIBcm/s320-rw/FB_IMG_1568134362739.jpg" width="180" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiV0_NosLgUhubYnki1Ts6P38DHyHKEOFnLqHwQTvGutQNgZ09CmCllAV3Tl8J7wXVrERyVL320VQ_jx1mbF6w8zUDTJfM3nmpb9_XWXk1vdSjfG_npFwevg5Qbf73oJLr4HyJ_1cejormv/s1600/FB_IMG_1568134366409.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="972" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiV0_NosLgUhubYnki1Ts6P38DHyHKEOFnLqHwQTvGutQNgZ09CmCllAV3Tl8J7wXVrERyVL320VQ_jx1mbF6w8zUDTJfM3nmpb9_XWXk1vdSjfG_npFwevg5Qbf73oJLr4HyJ_1cejormv/s320-rw/FB_IMG_1568134366409.jpg" width="192" /></a></div> <br /> <br /> আর যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, শহীদ করতে আদেশ করেছে তাদের ব্যাপারে ইমাম ইয়াফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br /> وأمّا حكم من قتل الحسين, أو أمر بقتله, ممّن استحلّ ذلك فهو كافر<br /> "যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, অথবা শহীদ করতে আদেশ করেছে, এটা যারা বৈধ মনে করেছে সবাই কাফির।"<br /> (শাযরাতুয যাহাবী ১ম খন্ড ১২৪ পৃষ্ঠা)<br /> <br /> সুতরাং এ থেকে প্রমাণ হলো ইয়াযিদ, ইবনে যিয়াদ ও এদের সমর্থনকারী সবাই কাফির।</div>

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা: ----------------------------------------------------------------------------...

Read more »

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা:<br /><br />-------------------------------------------------------------------------------<br /><br />কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম শয়তান  ইবনে যিয়াদ নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছে,<br /><br /><br /><br />أما قتلي الحسين فإنه أشار إلي يزيد بقتله أو قتلي فاخترت قتله<br /><br /><br /><br />আমি (ইবনে যিয়াদ) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছি (নাউযুবিল্লাহ) ইয়াজিদের কথায়। সেটা না করলে সে (ইয়াযিদ) আমাকে হত্যা করে ফেলতো। সুতরাং আমি  হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার বিষয়টিকে বেছে নিয়েছি। (নাউযুবিল্লাহ)<br /><br />(দলীল: আল কামিল ফিত তারীখ ২য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনুল আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত: ৬৩০ হিজরী)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqZ2UA6LGosxLIo8Ng2MTb0PZzcJTjjzo2u7B9Fy3JGwisrhGSRTxviAFtEK7gBmmEsb8AgTXw3OLjM67CaXOglG5tYBjEsRP1TCNBzFPiLgOEWp_lqovdtrJ1bHKUP7pYrVp7MSspdTvO/s1600/FB_IMG_1568134362739.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1040" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqZ2UA6LGosxLIo8Ng2MTb0PZzcJTjjzo2u7B9Fy3JGwisrhGSRTxviAFtEK7gBmmEsb8AgTXw3OLjM67CaXOglG5tYBjEsRP1TCNBzFPiLgOEWp_lqovdtrJ1bHKUP7pYrVp7MSspdTvO/s320-rw/FB_IMG_1568134362739.jpg" width="180" /></a></div><br /><br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><br /></div><br /><br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZYfwUAb88NInYdTo8FqMme0eTLWMstVANByeQBIsU_GqPh_0X0iTVj7D-ZhzpdCFCzOFJMYUz4DVmtdGkWkVAvhf1XhcCqFEQYMkn-7DijL80VrUdcgvgcxwC2bKtMTe8fNE5M6CiJ0R3/s1600/FB_IMG_1568134366409.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="972" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZYfwUAb88NInYdTo8FqMme0eTLWMstVANByeQBIsU_GqPh_0X0iTVj7D-ZhzpdCFCzOFJMYUz4DVmtdGkWkVAvhf1XhcCqFEQYMkn-7DijL80VrUdcgvgcxwC2bKtMTe8fNE5M6CiJ0R3/s320-rw/FB_IMG_1568134366409.jpg" width="192" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />আর যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, শহীদ করতে আদেশ করেছে তাদের ব্যাপারে ইমাম ইয়াফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br /><br />وأمّا حكم من قتل الحسين, أو أمر بقتله, ممّن استحلّ ذلك فهو كافر<br /><br />"যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, অথবা শহীদ করতে আদেশ করেছে, এটা যারা বৈধ মনে করেছে সবাই কাফির।"<br /><br />(শাযরাতুয যাহাবী ১ম খন্ড ১২৪ পৃষ্ঠা)<br /><br /><br /><br />সুতরাং এ থেকে প্রমাণ হলো ইয়াযিদ, ইবনে যিয়াদ ও এদের সমর্থনকারী সবাই কাফির।</div><br />

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা: ------------------------------------------------------------------------------...

Read more »

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা:<br />-------------------------------------------------------------------------------<br />কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম শয়তান  ইবনে যিয়াদ নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছে,<br /><br />أما قتلي الحسين فإنه أشار إلي يزيد بقتله أو قتلي فاخترت قتله<br /><br />আমি (ইবনে যিয়াদ) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছি (নাউযুবিল্লাহ) ইয়াজিদের কথায়। সেটা না করলে সে (ইয়াযিদ) আমাকে হত্যা করে ফেলতো। সুতরাং আমি  হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার বিষয়টিকে বেছে নিয়েছি। (নাউযুবিল্লাহ)<br />(দলীল: আল কামিল ফিত তারীখ ২য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনুল আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত: ৬৩০ হিজরী)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqZ2UA6LGosxLIo8Ng2MTb0PZzcJTjjzo2u7B9Fy3JGwisrhGSRTxviAFtEK7gBmmEsb8AgTXw3OLjM67CaXOglG5tYBjEsRP1TCNBzFPiLgOEWp_lqovdtrJ1bHKUP7pYrVp7MSspdTvO/s1600/FB_IMG_1568134362739.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1040" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjqZ2UA6LGosxLIo8Ng2MTb0PZzcJTjjzo2u7B9Fy3JGwisrhGSRTxviAFtEK7gBmmEsb8AgTXw3OLjM67CaXOglG5tYBjEsRP1TCNBzFPiLgOEWp_lqovdtrJ1bHKUP7pYrVp7MSspdTvO/s320-rw/FB_IMG_1568134362739.jpg" width="180" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZYfwUAb88NInYdTo8FqMme0eTLWMstVANByeQBIsU_GqPh_0X0iTVj7D-ZhzpdCFCzOFJMYUz4DVmtdGkWkVAvhf1XhcCqFEQYMkn-7DijL80VrUdcgvgcxwC2bKtMTe8fNE5M6CiJ0R3/s1600/FB_IMG_1568134366409.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="972" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZYfwUAb88NInYdTo8FqMme0eTLWMstVANByeQBIsU_GqPh_0X0iTVj7D-ZhzpdCFCzOFJMYUz4DVmtdGkWkVAvhf1XhcCqFEQYMkn-7DijL80VrUdcgvgcxwC2bKtMTe8fNE5M6CiJ0R3/s320-rw/FB_IMG_1568134366409.jpg" width="192" /></a></div><br /><br />আর যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, শহীদ করতে আদেশ করেছে তাদের ব্যাপারে ইমাম ইয়াফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br />وأمّا حكم من قتل الحسين, أو أمر بقتله, ممّن استحلّ ذلك فهو كافر<br />"যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, অথবা শহীদ করতে আদেশ করেছে, এটা যারা বৈধ মনে করেছে সবাই কাফির।"<br />(শাযরাতুয যাহাবী ১ম খন্ড ১২৪ পৃষ্ঠা)<br /><br />সুতরাং এ থেকে প্রমাণ হলো ইয়াযিদ, ইবনে যিয়াদ ও এদের সমর্থনকারী সবাই কাফির।</div>

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা: ------------------------------------------------------------------------------...

Read more »

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক্তা। হাজমের দাদা এবং বাবা উভয়ই উমাইয়া খলিফার দরবারে উপদেষ্টার পদে নিয়োজিত ছিলো। সে হিসাবে ইয়াযিদের ইতিহাস ইবনে হাজমের ভালোই জানা আছে।<br /> এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদের চরিত্র উল্লেখ করেছে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইবনে হাজম তার লিখিত বই “জামহারাত আনসাব আল আরবে” যেখানে ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সেখানে ইয়াযিদকে আমিরুল মুমিনিনও বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে এক ব্যক্তি ইয়াযিদকে “আমিরুল মু’মিনিন” বলায় ২০ বেত মারার ইতিহাস ইবনে হাজমের জানা ছিলো কিনা জানি না।<br /> যাইহোক এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদ সর্ম্পকে লিখেছে,<br /> <br /> ويزيد أمير المؤمنين؛ وكان قبيح الآثار في الإسلام؛ قتل أهل المدينة، وأفاضل الناس، وبقية الصحابة -رضي الله عنهم- يوم الحرة، في آخر دولته؛ وقتل الحسين -رضي الله عنه- وأهل بيته في أول دولته؛ وحاصر ابن الزبير -رضي الله عنه- في المسجد الحرام، واستخف بحرمة الكعبة والإسلام؛ فأماته الله في تلك الأيام<br /> <br /> “ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। সে তার রাজত্ব্যের শেষ দিকে হাররার দিনে সম্মানিত মদীনা শরীফের অধিবাসী, সম্মনিত ব্যক্তিবর্গ, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে অবশিষ্টদের শহীদ করে। তার রাজত্ব্যের প্রথম দিকে সে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করে। পবিত্র মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ঘেরাও করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ইসলামের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করে। আর এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ পাক তার মৃত্যু দেয়।”<br /> <br /> (জামহারাত আনসাব আল আরব ১১২ পৃষ্ঠা; লেখক: ইবনে হাজম; প্রকাশনা : দারুল মা’রিফা, মিশর)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiZjub5boQJxXTQIngujwld7Oc6njyoJVoFLoQqGPwZfkZRbStUYr-yEOTXwB37tpXIlx3vUAj1bHHwgK15-DwNX6MdV_nXpPzsm9Lr0qfi1NSq4otZRqyW7N-aCcY8Dxw6nnp2N9oXyYj4/s1600/FB_IMG_1568134212575.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1470" data-original-width="1600" height="294" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiZjub5boQJxXTQIngujwld7Oc6njyoJVoFLoQqGPwZfkZRbStUYr-yEOTXwB37tpXIlx3vUAj1bHHwgK15-DwNX6MdV_nXpPzsm9Lr0qfi1NSq4otZRqyW7N-aCcY8Dxw6nnp2N9oXyYj4/s320-rw/FB_IMG_1568134212575.jpg" width="320" /></a></div> <br /> ইবনে হাজমের উক্তি থেকেই ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে সেই দায়ী এটাও প্রমাণিত হয়েছে। আর যার চরিত্রে এই পরিমান ইসলাম বিদ্বেষ সে নিঃসন্দেহে কাফির।</div>

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রব...

Read more »

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক্তা। হাজমের দাদা এবং বাবা উভয়ই উমাইয়া খলিফার দরবারে উপদেষ্টার পদে নিয়োজিত ছিলো। সে হিসাবে ইয়াযিদের ইতিহাস ইবনে হাজমের ভালোই জানা আছে।<br /><br />এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদের চরিত্র উল্লেখ করেছে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইবনে হাজম তার লিখিত বই “জামহারাত আনসাব আল আরবে” যেখানে ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সেখানে ইয়াযিদকে আমিরুল মুমিনিনও বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে এক ব্যক্তি ইয়াযিদকে “আমিরুল মু’মিনিন” বলায় ২০ বেত মারার ইতিহাস ইবনে হাজমের জানা ছিলো কিনা জানি না।<br /><br />যাইহোক এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদ সর্ম্পকে লিখেছে,<br /><br /><br /><br />ويزيد أمير المؤمنين؛ وكان قبيح الآثار في الإسلام؛ قتل أهل المدينة، وأفاضل الناس، وبقية الصحابة -رضي الله عنهم- يوم الحرة، في آخر دولته؛ وقتل الحسين -رضي الله عنه- وأهل بيته في أول دولته؛ وحاصر ابن الزبير -رضي الله عنه- في المسجد الحرام، واستخف بحرمة الكعبة والإسلام؛ فأماته الله في تلك الأيام<br /><br /><br /><br />“ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। সে তার রাজত্ব্যের শেষ দিকে হাররার দিনে সম্মানিত মদীনা শরীফের অধিবাসী, সম্মনিত ব্যক্তিবর্গ, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে অবশিষ্টদের শহীদ করে। তার রাজত্ব্যের প্রথম দিকে সে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করে। পবিত্র মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ঘেরাও করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ইসলামের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করে। আর এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ পাক তার মৃত্যু দেয়।”<br /><br /><br /><br />(জামহারাত আনসাব আল আরব ১১২ পৃষ্ঠা; লেখক: ইবনে হাজম; প্রকাশনা : দারুল মা’রিফা, মিশর)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjagCnvJ6U7THdJkPhQ14qsQpu-vRR1LAMmXwgvs-Fey5Um-nkP6IWXpbaWz7Nd-2CAdk6rL_WeOv_UajvSk_J9MPsRb65TU2U0QK8vOddJYG6CcBjtK3JQsPH8raVdqYT-wrIWmCl0MNfR/s1600/FB_IMG_1568134212575.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1470" data-original-width="1600" height="294" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjagCnvJ6U7THdJkPhQ14qsQpu-vRR1LAMmXwgvs-Fey5Um-nkP6IWXpbaWz7Nd-2CAdk6rL_WeOv_UajvSk_J9MPsRb65TU2U0QK8vOddJYG6CcBjtK3JQsPH8raVdqYT-wrIWmCl0MNfR/s320-rw/FB_IMG_1568134212575.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />ইবনে হাজমের উক্তি থেকেই ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে সেই দায়ী এটাও প্রমাণিত হয়েছে। আর যার চরিত্রে এই পরিমান ইসলাম বিদ্বেষ সে নিঃসন্দেহে কাফির।</div><br />

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক...

Read more »

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক্তা। হাজমের দাদা এবং বাবা উভয়ই উমাইয়া খলিফার দরবারে উপদেষ্টার পদে নিয়োজিত ছিলো। সে হিসাবে ইয়াযিদের ইতিহাস ইবনে হাজমের ভালোই জানা আছে।<br />এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদের চরিত্র উল্লেখ করেছে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইবনে হাজম তার লিখিত বই “জামহারাত আনসাব আল আরবে” যেখানে ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সেখানে ইয়াযিদকে আমিরুল মুমিনিনও বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে এক ব্যক্তি ইয়াযিদকে “আমিরুল মু’মিনিন” বলায় ২০ বেত মারার ইতিহাস ইবনে হাজমের জানা ছিলো কিনা জানি না।<br />যাইহোক এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদ সর্ম্পকে লিখেছে,<br /><br />ويزيد أمير المؤمنين؛ وكان قبيح الآثار في الإسلام؛ قتل أهل المدينة، وأفاضل الناس، وبقية الصحابة -رضي الله عنهم- يوم الحرة، في آخر دولته؛ وقتل الحسين -رضي الله عنه- وأهل بيته في أول دولته؛ وحاصر ابن الزبير -رضي الله عنه- في المسجد الحرام، واستخف بحرمة الكعبة والإسلام؛ فأماته الله في تلك الأيام<br /><br />“ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। সে তার রাজত্ব্যের শেষ দিকে হাররার দিনে সম্মানিত মদীনা শরীফের অধিবাসী, সম্মনিত ব্যক্তিবর্গ, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে অবশিষ্টদের শহীদ করে। তার রাজত্ব্যের প্রথম দিকে সে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করে। পবিত্র মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ঘেরাও করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ইসলামের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করে। আর এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ পাক তার মৃত্যু দেয়।”<br /><br />(জামহারাত আনসাব আল আরব ১১২ পৃষ্ঠা; লেখক: ইবনে হাজম; প্রকাশনা : দারুল মা’রিফা, মিশর)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjagCnvJ6U7THdJkPhQ14qsQpu-vRR1LAMmXwgvs-Fey5Um-nkP6IWXpbaWz7Nd-2CAdk6rL_WeOv_UajvSk_J9MPsRb65TU2U0QK8vOddJYG6CcBjtK3JQsPH8raVdqYT-wrIWmCl0MNfR/s1600/FB_IMG_1568134212575.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1470" data-original-width="1600" height="294" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjagCnvJ6U7THdJkPhQ14qsQpu-vRR1LAMmXwgvs-Fey5Um-nkP6IWXpbaWz7Nd-2CAdk6rL_WeOv_UajvSk_J9MPsRb65TU2U0QK8vOddJYG6CcBjtK3JQsPH8raVdqYT-wrIWmCl0MNfR/s320-rw/FB_IMG_1568134212575.jpg" width="320" /></a></div><br />ইবনে হাজমের উক্তি থেকেই ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে সেই দায়ী এটাও প্রমাণিত হয়েছে। আর যার চরিত্রে এই পরিমান ইসলাম বিদ্বেষ সে নিঃসন্দেহে কাফির।</div>

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক...

Read more »

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না<br /> এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,<br /> عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ اكْتَحَلَ بالْإِثْمَدِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَرْمَدْ أَبَدًا<br /> “যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না।”<br /> (শুয়াবুল ঈমান বায়হাকী ৩য় খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা- হাদীছ ৩৭৯৭, প্রকাশনা : দারু কুতুব ইলমিয়া; ফাদ্বায়িলে আওকাত বায়হাকী হাদীছ ২৪৬, উমদাতুল কারী ১৬/৩৮৭, জামিউল ওসায়েল ফি শরহে শামায়েল   ২/১০৬ , ফয়জুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর, কানযুল উম্মাল ৩৫১৯৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১২/১৮০)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZdo69YBklvAxnyiwp4jXOUI8OhKareAUbFKP5I79oqmEWYdB5dKXVb2Ntx7gQn7vXyrFwjKAbD4S1hnJ3c45rsoBF07deaWj74pHV8_CRVRGSKGMtBUKPa6_-7I0t5LY0lsAf09bw_Gbm/s1600/FB_IMG_1568134065624.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="865" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZdo69YBklvAxnyiwp4jXOUI8OhKareAUbFKP5I79oqmEWYdB5dKXVb2Ntx7gQn7vXyrFwjKAbD4S1hnJ3c45rsoBF07deaWj74pHV8_CRVRGSKGMtBUKPa6_-7I0t5LY0lsAf09bw_Gbm/s320-rw/FB_IMG_1568134065624.jpg" width="216" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-9SmB9a8wsg_cuipPVTmOyCPu75w6g3Vs8d4f61gHhokRIbvr_SbjfR-2USe17OUDt6GF65MrtsBLi_A1-XtfBWnj8rpdSFeycKhF8j8ACSTbZNT7S3zoO4iTS7d7ahkoSGveNhdt6b56/s1600/FB_IMG_1568134069925.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="950" data-original-width="571" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-9SmB9a8wsg_cuipPVTmOyCPu75w6g3Vs8d4f61gHhokRIbvr_SbjfR-2USe17OUDt6GF65MrtsBLi_A1-XtfBWnj8rpdSFeycKhF8j8ACSTbZNT7S3zoO4iTS7d7ahkoSGveNhdt6b56/s320-rw/FB_IMG_1568134069925.jpg" width="192" /></a></div> <br /> উক্ত হাদীছ শরীফের সনদ নিয়ে বিভিন্ন কথা বর্তা আছে, অনেকে দ্বয়ীফ বলেছেন। তবে এর একাধিক সনদও রয়েছে। সর্বপোরি ফযিলতের জন্য দ্বয়ীফ বর্ণনার উপর আমল করা গ্রহনযোগ্য।<br /> সূতরাং চোখের রোগ থেকে শেফা পাওয়ার নিয়তে পবিত্র আশুরার দিনে এই হাদীছ শরীফের উপর আমল করতেই পারেন।</div>

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়...

Read more »

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না<br /><br />এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,<br /><br />عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ اكْتَحَلَ بالْإِثْمَدِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَرْمَدْ أَبَدًا<br /><br />“যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না।”<br /><br />(শুয়াবুল ঈমান বায়হাকী ৩য় খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা- হাদীছ ৩৭৯৭, প্রকাশনা : দারু কুতুব ইলমিয়া; ফাদ্বায়িলে আওকাত বায়হাকী হাদীছ ২৪৬, উমদাতুল কারী ১৬/৩৮৭, জামিউল ওসায়েল ফি শরহে শামায়েল   ২/১০৬ , ফয়জুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর, কানযুল উম্মাল ৩৫১৯৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১২/১৮০)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjd3zvyDXUXXGEs8C4mVX620b47XLbaLCmZ65xhTWtl09dYRyLSF3RmEyYWarAhJe4dbpT51PFZcpLNzM56WdIEKzqNejpT-p70moXDAuzUBA9WjqPkL14fB2BSTrM8ncgpdfuEgx_dgAkY/s1600/FB_IMG_1568134065624.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="865" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjd3zvyDXUXXGEs8C4mVX620b47XLbaLCmZ65xhTWtl09dYRyLSF3RmEyYWarAhJe4dbpT51PFZcpLNzM56WdIEKzqNejpT-p70moXDAuzUBA9WjqPkL14fB2BSTrM8ncgpdfuEgx_dgAkY/s320-rw/FB_IMG_1568134065624.jpg" width="216" /></a></div><br /><br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhqUl9fxg7GrasXpzcfp6Kd2gnLJNeY0xXr4Pn9S0D2voSJZnJXichOulvs3IpHWLKbWUJ2ExjliNH4032jmiyY-ZQrRQVVqINEt4hkvUV35ADpr0DbSMgPdz4IhDCqOKhVSV-EvdoPrORu/s1600/FB_IMG_1568134069925.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="950" data-original-width="571" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhqUl9fxg7GrasXpzcfp6Kd2gnLJNeY0xXr4Pn9S0D2voSJZnJXichOulvs3IpHWLKbWUJ2ExjliNH4032jmiyY-ZQrRQVVqINEt4hkvUV35ADpr0DbSMgPdz4IhDCqOKhVSV-EvdoPrORu/s320-rw/FB_IMG_1568134069925.jpg" width="192" /></a></div><br /><br /><br />উক্ত হাদীছ শরীফের সনদ নিয়ে বিভিন্ন কথা বর্তা আছে, অনেকে দ্বয়ীফ বলেছেন। তবে এর একাধিক সনদও রয়েছে। সর্বপোরি ফযিলতের জন্য দ্বয়ীফ বর্ণনার উপর আমল করা গ্রহনযোগ্য।<br /><br />সূতরাং চোখের রোগ থেকে শেফা পাওয়ার নিয়তে পবিত্র আশুরার দিনে এই হাদীছ শরীফের উপর আমল করতেই পারেন।</div><br />

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল...

Read more »

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না<br />এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,<br />عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ اكْتَحَلَ بالْإِثْمَدِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَرْمَدْ أَبَدًا<br />“যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না।”<br />(শুয়াবুল ঈমান বায়হাকী ৩য় খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা- হাদীছ ৩৭৯৭, প্রকাশনা : দারু কুতুব ইলমিয়া; ফাদ্বায়িলে আওকাত বায়হাকী হাদীছ ২৪৬, উমদাতুল কারী ১৬/৩৮৭, জামিউল ওসায়েল ফি শরহে শামায়েল   ২/১০৬ , ফয়জুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর, কানযুল উম্মাল ৩৫১৯৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১২/১৮০)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjd3zvyDXUXXGEs8C4mVX620b47XLbaLCmZ65xhTWtl09dYRyLSF3RmEyYWarAhJe4dbpT51PFZcpLNzM56WdIEKzqNejpT-p70moXDAuzUBA9WjqPkL14fB2BSTrM8ncgpdfuEgx_dgAkY/s1600/FB_IMG_1568134065624.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="865" data-original-width="585" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjd3zvyDXUXXGEs8C4mVX620b47XLbaLCmZ65xhTWtl09dYRyLSF3RmEyYWarAhJe4dbpT51PFZcpLNzM56WdIEKzqNejpT-p70moXDAuzUBA9WjqPkL14fB2BSTrM8ncgpdfuEgx_dgAkY/s320-rw/FB_IMG_1568134065624.jpg" width="216" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhqUl9fxg7GrasXpzcfp6Kd2gnLJNeY0xXr4Pn9S0D2voSJZnJXichOulvs3IpHWLKbWUJ2ExjliNH4032jmiyY-ZQrRQVVqINEt4hkvUV35ADpr0DbSMgPdz4IhDCqOKhVSV-EvdoPrORu/s1600/FB_IMG_1568134069925.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="950" data-original-width="571" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhqUl9fxg7GrasXpzcfp6Kd2gnLJNeY0xXr4Pn9S0D2voSJZnJXichOulvs3IpHWLKbWUJ2ExjliNH4032jmiyY-ZQrRQVVqINEt4hkvUV35ADpr0DbSMgPdz4IhDCqOKhVSV-EvdoPrORu/s320-rw/FB_IMG_1568134069925.jpg" width="192" /></a></div><br />উক্ত হাদীছ শরীফের সনদ নিয়ে বিভিন্ন কথা বর্তা আছে, অনেকে দ্বয়ীফ বলেছেন। তবে এর একাধিক সনদও রয়েছে। সর্বপোরি ফযিলতের জন্য দ্বয়ীফ বর্ণনার উপর আমল করা গ্রহনযোগ্য।<br />সূতরাং চোখের রোগ থেকে শেফা পাওয়ার নিয়তে পবিত্র আশুরার দিনে এই হাদীছ শরীফের উপর আমল করতেই পারেন।</div>

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল...

Read more »

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাকের লা’নত)<br /> <br /> যদি তাই হবে এ প্রশ্নে জবাব ইয়াযিদ ভক্তরা কি দিবে? যখন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মস্তক মুবারক ইয়াযিদের সামনে আনা হলো তখন সে অনেক নোংরা আচরন করলো, হাতের ছড়ি দিয়ে আঘাতও করলো (https://bit.ly/2kd2rUb) .......... এরপর যা করলো তা ইতিহাসে বর্ণিত আছে,<br /> <br /> أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br /> হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /> <br /> (সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা : মুওয়াসাতুর রিসালা, বৈরুত লেবানন)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyMyzmS81S7JadsTE3tWTazLCuGRP0axG1UT7mfixx9izHIw_iaiozOIDjyuuH3DEGIl5cDqMWpNxjzbCl9r9p8G9FT-sEncoXEKy4LJwY4fq4D2yUWENZv5RUiZtrJ5qfT5cJfKZlGuAf/s1600/FB_IMG_1568129077562.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1527" data-original-width="1600" height="305" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyMyzmS81S7JadsTE3tWTazLCuGRP0axG1UT7mfixx9izHIw_iaiozOIDjyuuH3DEGIl5cDqMWpNxjzbCl9r9p8G9FT-sEncoXEKy4LJwY4fq4D2yUWENZv5RUiZtrJ5qfT5cJfKZlGuAf/s320-rw/FB_IMG_1568129077562.jpg" width="320" /></a></div> <br /> এছাড়া এ ঘটনা হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক, ইমাম যাহাবী উনার তারিখুল ইসলাম সহ আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।<br /> <br /> ইয়াযিদ যদি দুঃখই পাবে তাহলে সম্মানিত মস্তক মুবারক ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার মত চরম বেয়াদবি করলো কেন?</div>

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদে...

Read more »

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাকের লা’নত)<br /><br /><br /><br />যদি তাই হবে এ প্রশ্নে জবাব ইয়াযিদ ভক্তরা কি দিবে? যখন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মস্তক মুবারক ইয়াযিদের সামনে আনা হলো তখন সে অনেক নোংরা আচরন করলো, হাতের ছড়ি দিয়ে আঘাতও করলো (https://bit.ly/2kd2rUb) .......... এরপর যা করলো তা ইতিহাসে বর্ণিত আছে,<br /><br /><br /><br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br /><br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br /><br /><br />(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা : মুওয়াসাতুর রিসালা, বৈরুত লেবানন)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgi2ssW0elb9qBUMz9fL8Ra_oKbFhf-KAxdkrxJk0BiZft_YqiGtXHRBnUaNlpHaPEAdl29SaIfzcCJKzLmuykRoi9qbsIj0GRRsdIN3RAk3vKw-R2vTIBSGcExwP-5H54eAihX1N43NGWr/s1600/FB_IMG_1568129077562.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1527" data-original-width="1600" height="305" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgi2ssW0elb9qBUMz9fL8Ra_oKbFhf-KAxdkrxJk0BiZft_YqiGtXHRBnUaNlpHaPEAdl29SaIfzcCJKzLmuykRoi9qbsIj0GRRsdIN3RAk3vKw-R2vTIBSGcExwP-5H54eAihX1N43NGWr/s320-rw/FB_IMG_1568129077562.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />এছাড়া এ ঘটনা হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক, ইমাম যাহাবী উনার তারিখুল ইসলাম সহ আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।<br /><br /><br /><br />ইয়াযিদ যদি দুঃখই পাবে তাহলে সম্মানিত মস্তক মুবারক ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার মত চরম বেয়াদবি করলো কেন?</div><br />

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের...

Read more »

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাকের লা’নত)<br /><br />যদি তাই হবে এ প্রশ্নে জবাব ইয়াযিদ ভক্তরা কি দিবে? যখন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মস্তক মুবারক ইয়াযিদের সামনে আনা হলো তখন সে অনেক নোংরা আচরন করলো, হাতের ছড়ি দিয়ে আঘাতও করলো (https://bit.ly/2kd2rUb) .......... এরপর যা করলো তা ইতিহাসে বর্ণিত আছে,<br /><br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা : মুওয়াসাতুর রিসালা, বৈরুত লেবানন)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgi2ssW0elb9qBUMz9fL8Ra_oKbFhf-KAxdkrxJk0BiZft_YqiGtXHRBnUaNlpHaPEAdl29SaIfzcCJKzLmuykRoi9qbsIj0GRRsdIN3RAk3vKw-R2vTIBSGcExwP-5H54eAihX1N43NGWr/s1600/FB_IMG_1568129077562.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1527" data-original-width="1600" height="305" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgi2ssW0elb9qBUMz9fL8Ra_oKbFhf-KAxdkrxJk0BiZft_YqiGtXHRBnUaNlpHaPEAdl29SaIfzcCJKzLmuykRoi9qbsIj0GRRsdIN3RAk3vKw-R2vTIBSGcExwP-5H54eAihX1N43NGWr/s320-rw/FB_IMG_1568129077562.jpg" width="320" /></a></div><br />এছাড়া এ ঘটনা হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক, ইমাম যাহাবী উনার তারিখুল ইসলাম সহ আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।<br /><br />ইয়াযিদ যদি দুঃখই পাবে তাহলে সম্মানিত মস্তক মুবারক ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার মত চরম বেয়াদবি করলো কেন?</div>

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের...

Read more »

ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি

<p style="text-align: center; box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); background-color: rgb(255, 255, 255);"><span style="box-sizing: border-box; color: rgb(255, 0, 255);"><b><i>ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি</i></b></span></p><p style="text-align: center; box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; background-color: rgb(255, 255, 255);"><font color="#ff00ff"><b><br></b></font></p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><font color="#ff00ff"><b><br style="box-sizing: border-box;"></b></font>এখানে উল্লেখ্য যে, ক্ষেত্র বিশেষে আহলে সুন্নাতও ‘ইমাম’ এবং ‘ইমামত’ শব্দ দু’টি ব্যবহার করে থাকেন। তাঁরা অবশ্য এগুলো এ অর্থে ব্যবহার করেন যে, ‘ইমাম’ হলেন ধর্মীয় ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। আর ইমামত হচ্ছে ইমামের বিশেষ যোগ্যতা বা পদবী। ধর্মীয় বিষয়াদিতে অগাধ দক্ষতা ও পান্ডিত্যের অধিকারী ব্যক্তি, যিনি আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল এবং সাহাবা কেরামের নির্দেশিত পথের দিশারী হন এবং ধর্মীয় জটিল বিষয়াদির সমাধান দিতে যিনি সক্ষম হন- তাঁকেই আহলে সুন্নাতের পরিভাষায় ‘ইমাম’ বলে। এহেন অর্থের ভিত্তিতে ‘ইমাম’ শব্দটি আপন অর্থে যথার্থ। এটা ‘নবী’, ‘সাহাবী’ অথবা ‘খলীফা’ কোনটার মর্যাদার সাথে আদর্শগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাই সেটার ব্যবহার এ অর্থে আপত্তিকরও নয়। <br style="box-sizing: border-box;">কিন্তু ‘ইমামত’ বা ‘ইমাম’ শব্দ দু’টু নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে গিয়ে শিয়া সম্প্রদায় যে সুন্নী মতাদর্শের গন্ডী থেকে বেরিয়ে বহুদূরে এক মারাত্মক ও ভ্রান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। তাই, ইমামত সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গী নিম্নে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস পেলামঃ<br style="box-sizing: border-box;">‘ইমামত’ সম্পর্কে তাদের (মনগড়া ও ভ্রান্ত) আক্বীদা বা বিশ্বাসকে শিয়া ধর্মের মৌলিক বিষয় বলা যায়। তাদের মতে, যেভাবে আল্লাহ্র তরফ থেকে নবীগণ (আলায়হিমুস্ সালাম) প্রেরিত হতেন, অনুরূপভাবে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পর ইমামদেরকেও নাকি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হয়। তাঁর শিয়াদের আক্বীদা বা ধর্ম বিশ্বাসানুসারে, ওই ইমামগণও নাকি শরীয়তের বিধি-বিধান প্রবর্তন করতে পারেন। সর্বোপরি, তাঁরা নাকি ক্বোরআন করীমেরও যেকোন নির্দেশকে তাদের ইচ্ছানুসারে রহিত কিংবা অকার্যকর করতে পারেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ্)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">মোটকথা, শিয়াদের মতে, ইসলামী আক্বীদায় যেই অর্থ, যেই গুরুত্ব ও মর্যাদা একজন স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত প্রবর্তক নবী ও রসূলের রয়েছে, একই অর্থ, তাৎপর্য ও মর্যাদা তাদের ‘ইমামে মা’সূম’ (নিষ্পাপ ইমাম)-এরও রয়েছে। (সুম্মা না‘ঊযুবিল্লাহ্)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">বলাবাহুল্য যে, এ অর্থেই শিয়ারা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও তাঁর বংশধরগণকে ‘ইমাম’ বলে থাকে, যা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক ও কুফরী আক্বীদা বৈ আর কিছুই নয়। আরো উল্লেখ থাকে যে, শিয়ারা এমনি বাতিল ও ঈমান বিধ্বংসী ‘আক্বীদা’র (!) জন্ম দিয়েছে ‘গদীর-ই খোম’-এর ঘটনার অপব্যাখ্যা দিয়ে। সুতরাং শিয়াদের সাথে সুর মিলিয়ে যারা এ দেশে ওই দিবসটি উদ্যাপন করে তাদের স্বরূপ অতি সহজে উম্মোচিত ও স্পষ্ট।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">================================================================================</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">ঐতিহাসিক বিদায় হজ্ব সমাপন করে আমাদের আক্বা ও মাওলা হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মদীনা তৈয়্যবায় পুনরায় তাশরীফ নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে ‘গদীর-ই খোম’ নামক স্থানে যাত্রাবিরতি করেন। এখানে হুযূর আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবা কেরামের উদ্দেশ্যে যেসব ঐতিহাসিক বরকতময় নসীহত করেছিলেন তন্মধ্যে আহলে বায়ত, বিশেষ করে, হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সম্পর্কে কৃত বিশেষ নসীহত ছিলো অন্যতম। বস্তুতঃ এ নসীহত ছিলো হযরত রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিশেষ মর্যাদার প্রতি সাহাবা কেরাম তথা বিশ্ববাসীকে সজাগ করা এবং তাঁর প্রতি ভালবাসাকে সর্বদা অটুট রাখার গুরুত্বকে বিশেষভাবে প্রকাশ করা, যেভাবে অন্যান্য স্থানে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব, হযরত ওমর ফারুক্ব, হযরত ওসমান এবং অন্যান্য সাহাবা কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু)-এর মর্যাদার কথা এরশাদ ফরমায়েছেন। তাছাড়া, ওই নসীহতের পেছনে বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটও রয়েছে। ওই নসীহত নিঃসন্দেহে এ জন্যই ছিলো না যে, হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে সেদিন ‘ইমাম’ হিসেবে ঘোষণা করবেন। কারণ, যেই প্রেক্ষাপটে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর প্রতি সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করেন এবং যেই বরকতময় শব্দগুলো তিনি এরশাদ ফরমায়েছেন- তার কোনটা থেকে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)কে ‘ইমাম’ বলে ঘোষণা করার অর্থ প্রকাশ পায়না। কিন্তু এতদ্সত্ত্বেও মনগড়াভাবে, হঠকারিতা করে একটি সম্প্রদায় সেই ‘গদীর-ই খোম’-এর ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এমন সব ভ্রান্ত আক্বীদা বা বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে, যেগুলোকে ইসলামের কোন মুহাদ্দিস বা ফক্বীহ্ কিংবা ইমামই গ্রহণ করেননি; বরং প্রত্যাখ্যানই করেছেন। কারণ, উক্ত সম্প্রদায়ের উক্ত অপব্যাখ্যা বস্তুতঃ ইসলামের মূলনীতিতে কুঠারাঘাত করেছে এবং ইসলামের ইস্পাত কঠিন ঐক্যে চির ধরিয়ে নতুন এক ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের জন্ম দিয়ে তাদেরকে পথভ্রান্ত ও ঈমানহারা করার প্রয়াস পেয়েছে।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">দুঃখের হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশেও উক্ত সম্প্রদায়টি তাদের অন্ধ অনুসারীদের মাধ্যমে এদেশেও ওই ভ্রান্ত আক্বীদা প্রচারের প্রয়াস চালাচ্ছে। এ দেশের পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি-সংবাদ দিয়ে ‘গদীর-ই খোম’ দিবস পালন করে আসছে। তাই, ‘গদীর-ই খোম-এর সঠিক ঘটনা ও সেটার প্রেক্ষাপটও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এ লেখা।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">সুতরাং আমি আমার এ পুস্তিকায় ঐতিহাসিক ‘গদীর-ই খোম’-এর সঠিক ঘটনা তুলে ধরে সেটার আসল তাৎপর্য বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পেলাম, যাতে একদিকে সুন্নী মুসলমানগণ আসল ব্যাপার জানতে ও বুঝতে পারেন, আর অন্যদিকে চিহ্ণিত হয় ওই সম্প্রদায় ও তাদের দোসরদের আসল স্বরূপ।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">ঘটনা</strong><br style="box-sizing: border-box;"><div style="text-align: left;"> হযরত সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন বিদায় হজ্ব থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন পথিমধ্যে ‘গদীর-ই খোম’ নামক স্থানে এসে যাত্রাবিরতি করলেন। এটা মক্কা ও মদীনা শরীফের মধ্যভাগে জোহ্ফার আশেপাশেই অবস্থিত। এখান থেকে তিন মাইল দূরে ঐ ‘গদীর’ (জলাশয় বিশেষ) অবস্থিত।</div></p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">এখানে এসে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবা কেরামের দিকে মনোনিবেশ করলেন। আর এরশাদ ফরমালেন-اَلَسْتُمْ تَعْلَمُوْنَ اَنِّىْ اَوْلى بِالْمُؤْمِنِىْنَ؟ (আলাস্তুম্ তা’লামূনা আন্নী আওলা-বিল্ মু’মিনী-ন) (তোমরা কি জাননা যে, আমি মুসলমানদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক নিকটে?) অন্য এক বর্ণনানুসারে, হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু’র হাত উপরের দিকে তুলে ধরে এ কথাটি তিন বার বলেছিলেন। তদুত্তরে, সবাই বললেন, ‘‘হ্যা, নিশ্চয় আপনি সমস্ত মুসলমানের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও নিকটে ও প্রিয়।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">অতঃপর এরশাদ ফরমালেন, ‘‘আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিষ রেখে যাচ্ছি- তন্মধ্যে একটা অপরটা অপেক্ষা মহান। সে দু’টি হচ্ছে-১. ক্বোরআন করীম এবং ২. আমার আহলে বায়ত (পরিবার-পরিজন)। আমার পর ওই দু’টি সম্পর্কে এ মর্মে সতর্ক থাকবে যে, সে দু’টির সাথে কিরূপ আচরণ করছো? সে দু’টির প্রতি তোমাদের কর্তব্য কীভাবে পালন করছো? আমি চলে যাবার পর এ দু’টির একটা অপরটা থেকে পৃথক হবেনা; শেষ পর্যন্ত তোমরা ‘হাওয-ই কাওসার’-এর কিনারায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">অতঃপর এরশাদ ফরমালেন, ‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা আমার ‘মাওলা’ (مولى) আর আমি হলাম সমস্ত মুসলমানের মাওলা (مولى)। তারপর বললেন, اَللهُمَّ مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ ‘আল্লা-হুম্মা মান্ কুন্তু মাওলা-হু ফা‘আলিয়্যুন মাওলা-হু’। (হে আল্লাহ! আমি যার ‘মাওলা’ আলীও তার ‘মাওলা’।) اَللهُمَّ وَالِ مَنْ وَالاَهُ ‘আল্লা-হুম্মা ওয়া-লে মান্ ওয়া-লা-হু হুয়া’ (হে আল্লাহ্! তুমিও তাকেই ভালবাসো, যে আলীকে ভালবাসে।) وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ‘ওয়া-আদে মান্ ‘আ-দা-হু’ (এবং তাকে শত্রু হিসেবে গণ্য করো, যে তার সাথে শত্রুতা পোষণ করে।) অন্য বর্ণনায় এটাও এরশাদ হয়েছে- وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ ‘ওয়ান্সুর মান নাসারাহু ওয়াখযুল মান আযাল্লাহু’। [হে আল্লাহ! তাকে সাহায্য করো, যে তাকে (আলীকে) সাহায্য করে। আর তাকে অপমানিত করো, যে আলীকে ছেড়ে দেয়।] আর যেদিকে আলী মনোনিবেশ করে, সত্যকেও সেদিকে নিশ্চিত করো।’’<br style="box-sizing: border-box;">এ ঘটনার পর সাহাবা কেরামের মধ্যে হযরত ওমর ফারূক্ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহুর সাথে সাক্ষাৎ হলে, তাঁকে মুবারকবাদ দিয়ে বললেন-<br style="box-sizing: border-box;">هَنِيْئًا يَا اِبْنَ اَبِىْ طَالِبٍ اَصْحَبْتَ وَاَمْسَيْتَ مَوْلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ<br style="box-sizing: border-box;">‘হানী-আন্ ইয়া ইব্না আবী- তা-লিবিন আসবাহ্তা ওয়া আমসায়তা মাওলা- কুল্লি মু’মিনিন ওয়া মু’মিনাতিন।<br style="box-sizing: border-box;">অর্থাৎ ‘‘আবূ তালিব- তনয়কে ধন্যবাদ! আপনার সকাল ও সন্ধ্যাতো এমতাবস্থায় হচ্ছে যে, আপনি প্রত্যেক মু’মিন নরনারীর ‘মাওলা’।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">এ হাদীসখানা ইমাম আহমদ হযরত বারা ইবনে আযিব এবং হযরত যায়দ ইবনে আরক্বাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন, যেমন- মিশকাত শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। [মাদারিজুন্নবূয়ত ও আসাহ্হুস্ সিয়র ইত্যাদি দ্রষ্টব্য।]</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">এখন দেখুন, এ হাদীসের প্রেক্ষাপট কি? মুহাদ্দেসীন কেরাম ও নির্ভরযোগ্য ইমামগণ এই হাদীসের মর্মার্থ কি বর্ণনা করেছেন? পক্ষান্তরে, কথিত সম্প্রদায়টি কিতাবে এ হাদীসের অপব্যাখ্যা করে তাদের জঘন্য আক্বীদার জন্ম দিয়েছে?</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">হাদীসের প্রেক্ষাপট</strong><br style="box-sizing: border-box;">‘গদীর-ই খোম’-এর খোৎবায় (ভাষণ) হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বিশেষ করে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সম্পর্কে উক্ত হাদীস শরীফ এরশাদ করার প্রয়োজনীয়তাটা কি ছিলো? কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ওই নসীহত করেছেন? এ প্রসঙ্গে ইবনে হাজর মক্কী (রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি) তাঁর ‘সাওয়াইক্বে মুহ্রিক্বাহ্’ নামক কিতাবে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন- হাফেয শাসমুদ্দীন জাযারী ইবনে ইসহাক্ব থেকে বর্ণনা করেন, যেসব লোক হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু)-এর সাথে ইয়ামেন গিয়েছিলেন তাঁদের থেকে কেউ কেউ হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু)-এর কোন সিদ্ধান্তের কারণে তাঁর সাথে বিরোধ করেন। এ বিরোধিতা পরবর্তীতে শত্রুতায় পরিণত হয়েছিলো। হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ওফাত শরীফের পূর্বে উক্ত খোৎবা বা ভাষণে সেটার খন্ডন করে ওই শত্রুতার অবসান ঘটিয়েছিলেন। (কারণ, এর মাত্র দু’মাস পরই হুযূর আক্রাম এ পৃথিবী থেকে পর্দা করে অন্তরালে তশরীফ নিয়ে যান।) সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়া-আলিহী ওয়া আস্হাবিহী ওয়াসাল্লাম।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">ইমাম যাহাবী হাদীসের উক্ত প্রেক্ষাপটই বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য পেশ করেন। কারণ, হযরত বোরায়দাহ্ রসূলে আক্রামের সামনে অভিযোগ করলে হুযূরের চেহারা আন্ওয়ারের রং পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ হুযূর খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে খোদ্ হযরত বোরায়দাহ্ বলেছেন- হুযূর এরশাদ ফরমান-<br style="box-sizing: border-box;">يَا بُرَيْدَةُ اَلَسْتُ اَوْلى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ؟ قُلْتُ بَلى يَا رَسُوْلَ اللهِ، قَالَ مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ<br style="box-sizing: border-box;">‘এয়া বুরায়দাতু আলাস্তু আওলা- বিল্ মু’মিনী-না মিন্ আন্ফুসিহিম? ক্বুল্তু বালা- ইয়া রসূ-লাল্লাহ্! ক্বা-লা মান্ কুন্তু মাওলা-হু ফা‘আলিয়্যুন মাওলা-হু।’ অর্থাৎ (‘‘হে বোরায়দাহ! আমি কি মু’মিনদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও নিকটে নই?’’ আমি আরয করলাম, ‘‘হাঁ, হে আল্লাহর রসূল!’’ এরশাদ ফরমালেন, ‘‘আমি যার ‘মাওলা’ আলীও তার ‘মাওলা’।’’ আবূ দাঊদ সাজিস্তানী ও আবূ হাতিম রাযী প্রমুখ এই বর্ণনার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে আপত্তি করলেও ইবনে হাজর মক্কী লিখেছেন যে, ষোলজন সাহাবী এই ঘটনা এভাবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ (রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি)-এর এক বর্ণনায়, ত্রিশজন সাহাবী এটা বর্ণনা করেছেন, ‘‘আমি রসূল করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে তা এরশাদ করতে শুনেছি।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">মূলতঃ হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহুর ফযীলতের পক্ষে এ ঘটনাটাকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এ বর্ণনা বিভিন্ন ‘সনদ’ (সূত্র) দ্বারা বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু কিছু হচ্ছে ‘সহীহ’ (বিশুদ্ধ) আর কিছু কিছু ‘হাসান’ (গ্রহণযোগ্য) পর্যায়ের। এ কারণে এ বর্ণনা নিঃসন্দেহে ‘সহীহ’। তবে এ হাদীসখানা (مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ) ‘মান্ কুনতু মাওলা-হু ফা ‘আলিয়্যুন মাওলা-হু’ (অর্থাৎ আমি যার মাওলা, আলীও তার মাওলা।) ‘খবর-ই ওয়াহিদ’ (خبر واحد)-এর ঊর্ধ্বে নয়। যেহেতু এ হাদীসের বিশুদ্ধতা নিয়ে হাদীসের কোন কোন ইমাম আপত্তিও উত্থাপন করেছেন, তবুও অন্যান্য সনদ সূত্রে তা বর্ণিত হয়েছে বিধায় সেটা বিশুদ্ধ হলেও ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হতে পারে না। যদিও কথিত সম্প্রদায়টি এ হাদীসকে ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের বলে প্রচার করে। বস্তুতঃ তাদের এ প্রচারণা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সর্বোপরি, এ প্রচারণা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এর অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে এটাও প্রণিধানযোগ্য যে, ইমাম বোখারী ওই ঘটনা বর্ণনাই করেননি। ইমাম মুসলিম অবশ্য তা বর্ণনা করেছেন; কিন্তু হুযূরের খোতবা বা ভাষণের যেই বচনগুলো তাতে এরশাদ হয়েছে (مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ) ‘মান্ কুন্তু মাওলা-হু ফা‘আলিয়্যুন মাওলা-হু’ সেগুলো দ্বারা বিরোধী সম্প্রদায়টির ওই উদ্দেশ্য হাসিল হয়না, যা তারা করতে চায়; বরং তা দ্বারা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ফযীলতই প্রকাশ পায় মাত্র।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">হাদীসের উদ্দেশ্য ও মর্মার্থ</strong><br style="box-sizing: border-box;">এ হাদীস শরীফ হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর চূড়ান্ত কারামত ও ফযীলতকে প্রকাশ করে। এটা দ্বারা হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদেরকে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে ভালবাসা রাখার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। পক্ষান্তরে, তাঁর প্রতি শত্রুতা পোষণ থেকে বিরত থাকার শিক্ষাই তাতে দেয়া হয়েছে। যেমন অন্য একটা বর্ণনায় এসেছে, ‘‘হযরত আলীর সাথে শুধু ওই ব্যক্তিই ভালবাসা রাখবে যে মু’মিন হবে। আর তাঁর প্রতি শত্রুতা সে-ই পোষণ করতে পারে, যে মুনাফিক্ব। তাছাড়া, হাদীসের ওই প্রেক্ষাপটও একথাই সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করে। এটাই হচ্ছে আহলে সুন্নাতের সর্বসম্মত অভিমত।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">বিরোধী সম্প্রদায়টির ভুল ধারণা</strong><br style="box-sizing: border-box;">উল্লেখ্য যে, ও বিরুদ্ধবাদী আর কেউ নয়, তা হচ্ছে- সম্প্রদায়। এ সম্প্রদায় সুন্নী মতাদর্শ থেকে বহু আগেই সম্পূর্ণরূপে বিচ্যুত হয়েছে এবং ইসলামের ইতিহাসে ‘শিয়া’ সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে আছে। সম্প্রদায়টি উক্ত হাদীস ও ঘটনাকে এ মর্মে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করাতে চায় যে, হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু)ই ‘ইমাম’ এবং হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর অব্যবহিত পরেই তিনি খলীফা তথা ‘ইমাম’। তারা এটা দ্বারা হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব ও হযরত ওমর ফারূক্ব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা)-এর খিলাফতকে (তথাকথিত) অবৈধ বলে অপপ্রচার চালায়। (নাঊযুবিল্লাহ্!)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">উল্লেখ্য, শিয়ারা তাদের পক্ষে নি¤œলিখিত যুক্তিগুলো উপস্থাপন করারও প্রয়াস পায়ঃ<br style="box-sizing: border-box;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">এক.</strong> হাদীসটা (নাকি) ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের। (কারণ, শিয়া সম্প্রদায়ের মতে, ‘ইমামত’-এর বিষয়টি শুধু ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও সাব্যস্ত হতে পারে।)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">দুই.</strong> তারা হুযূর পাকের এরশাদ (اَلَسْتُ اَوْلى بِكُمْ؟) ‘আলাস্তু আওলা বিকুম?’ অর্থাৎ আমি কি তোমাদের ‘আওলা’ নই?)-এর (اَولى) (মাওলা) পদটি এবং (مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ) ‘মান্ কুন্তু মাওলা-হু ফা‘আলিয়্যুন মাওলা-হু’ অর্থাৎ (আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা) (مَولى) এর (মাওলা) পদটি থেকে ‘ইমাম’ হবার অর্থ গ্রহণ করে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকেই একমাত্র ইমাম বা ‘খলীফা’ বলে প্রমাণ করতে চায়।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">জবাব</strong><br style="box-sizing: border-box;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">প্রথমতঃ</strong> শিয়াদের মতে ‘ইমাম’ সাব্যস্ত করার বিষয়টির জন্য ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের ‘রেওয়ায়ত’ (অর্থাৎ এমন বর্ণনা, যার বর্ণনাকারী প্রতিটি যুগে এতবেশী যে, তাদের মিথ্যার উপর ঐকমত্য অসম্ভব, যার ফলে বর্ণনাটিও এতই বিশুদ্ধ যে, তা দ্বারা পবিত্র ক্বোরআনের আয়াতকেও রহিত বলে ধরে নেয়া যায়) অপরিহার্য অথচ গদীর-ই খোমের ঘটনা বা বর্ণনাটি ওই পর্যায়ের নয়; যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর শিয়া সম্প্রদায় তাদের দাবীর সমর্থনে উক্ত বর্ণনাটিকে ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের বলে যেই ঘোষণা দেয় তা নিছক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেখানে উক্ত বর্ণনার বিশুদ্ধতা সম্পর্কে কারো কারো আপত্তি রয়েছে, সেখানে সেটা ‘মুতাওয়াতির’ হবে কোত্থেকে? বর্ণনার বিশুদ্ধতা ইমাম বোখারী (রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি)-এর শর্তানুরূপ নয় বিধায় তিনি সেটা বর্ণনাই করেননি। ইমাম মুসলিমের বর্ণিত ও হাদীসের বচনগুলোর অর্থ শিয়াদের গৃহীত অর্থের সম্পূর্ণ বিপরীত। তবুও হাদীস বিশুদ্ধ হলেও তা শিয়া সম্প্রদায়ের আক্বীদানুসারে, ‘ইমাম’ বানানোর পক্ষে দলীল হবার মতো নয়।<br style="box-sizing: border-box;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">দ্বিতীয়তঃ</strong> مولى (মাওলা) শব্দটি একাধিক অর্থবোধক। যেমন-<br style="box-sizing: border-box;">১. (مُعْتَق) (মু’তাক্ব,) ২. (عَتِيْق) (আতীক্ব) অর্থাৎ আযাদকৃত, ৩. (نَاصِرْ) (নাসির বা সাহায্যকারী), ৪. (مَحْبُوْبْ) (মাহ্বূব বা প্রিয়) এবং ৫. (مُتَصَرِّفُ فِى الْاَمْرِ) (অর্থাৎ নিজ খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতায় নির্দেশদাতা বা নির্দেশ দেয়ার উপযোগী। কিন্তু এগুলোর মধ্যে কোনটাই ‘ইমাম হওয়া’ কিংবা ‘খলিফা হওয়া’ (যথাক্রমে اِمَامَتْ ও خِلاَفَتْ ) -এর অর্থ এককও অনিবার্যরূপে প্রকাশ করে না।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">তৃতীয়তঃ</strong> হ্যাঁ, কিছুক্ষণের জন্য যদি ‘ইমামত’ (ইমাম হওয়া) বা ‘আনুগত্যের উপযোগী হওয়া’-এর অর্থ কল্পনাও করা হয়, তবুও তো তার এ অর্থ নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় না যে, ‘তাৎক্ষণিকভাবে, তখনই তিনি (হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু) মু’মিনদের খলীফা ছিলেন, এমনকি যখন হুযূর-ই করীম তা এরশাদ ফরমাচ্ছিলেন তখনও।’ কারণ, তখনতো হুযূর আপন প্রকাশ্য হায়াতে মওজুদ ছিলেন। হ্যাঁ, তখন অর্থ এই হতে পারে যে, ‘তাঁর হাতে যখন বায়‘আত গ্রহণ করা হবে তখন থেকে তিনি ‘ইমামে হক্ব’ (যথার্থ ইমাম) হবেন, যেমনটি তিনি যথাসময়ে হয়েছিলেন। কাজেই, এটাকে ‘শায়খাঈন’ (হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব ও হযরত ওমর ফারূক্ব)-এর খিলাফত ও ইমামতের মোকাবেলায় হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত শরীফের পরপরই বিরতি ছাড়া হযরত আলী খলীফা হবার পক্ষে দলীলরূপে স্থির করা কোন মতেই শুদ্ধ হবেনা। (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">চতুর্থতঃ</strong> আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- শিয়া সম্প্রদায় এই বর্ণনাকে এতই জোরেশোরে হযরত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াজ্হাহুল করীম)-এর ইমামতের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করায়, কিন্তু এটা দেখেনা যে, হুযূর আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত শরীফের পর যখন ‘খেলাফত’ ও ‘ইমামত’-এর বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিলো তখন না হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু) নিজেই ওই বর্ণনাকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, না হযরত আব্বাস, না বনূ হাশিম গোত্রের কেউ, না কোন একজন সাহাবীও।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">বলা বাহুল্য, হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত শরীফের পর ‘সক্বীফাহ্-ই বনী সা‘ইদাহ্’ নামক স্থানে খেলাফতের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শীর্ষস্থানীয় ‘মুহাজেরীন’ ও ‘আনসার’ সাহাবীগণ তাতে অংশ গ্রহণ করেন। সর্বোপরি, তাতে ওইসব সাহাবীও শরীক হন, যাঁরা খোদ্ ‘গদীর-ই খোম’-এর ‘খোৎবা’ বা ভাষণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই খোৎবার পর সময়ও অতিবাহিত হয়েছিলো মাত্র দু’মাস। কিন্তু কেউ এ ঘটনা ও বর্ণনাকে ইমামতের দলীল হিসেবে পেশ করলেন না, বরং তাঁরা সেটাকে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ফযীলত নিদের্শক বলেই অভিহিত করেন।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">পঞ্চমতঃ</strong> এ বর্ণনা সত্ত্বেও খোদ্ হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু) বারংবার সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন যে, হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কাউকেও ‘ইমাম’ বা ‘খলীফা’ নিয়োগ করেননি। কারো নামও ওই পদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেননি। খেলাফতের বিষয়টি উপস্থিত সাহাবা কেরামের পরামর্শনুসারেই হয়েছে। এ মর্মে অগণিত বর্ণনাই হযরত আলী র্কারামাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াজহাহু থেকে পাওয়া যায়। কয়েকটা উল্লেখ করা গেলোঃ</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">১.</strong> ইমাম যাহাবী উল্লেখ করেছেন যে, বায্যায ‘হাসান’ পর্যায়ের ‘সনদ’ সহকারে, আর ইমাম আহমদ ‘মজবুত’ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী র্কারামাল্লাহু তা‘আলা ওয়াজ্হাহু-এর নিকট লোকেরা তাঁকে খলীফা বানানোর দাবী জানালেন। তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহর রসূল যেভাবে ওই বিষয়টি তোমাদের মতামতের উপর ছেড়ে দিয়েছেন আমরাও অনুরূপভাবে সেটা তোমাদের মতামতের উপর ছেড়ে দিলাম।’’<br style="box-sizing: border-box;">বায্যায থেকে এমন একটি বর্ণনাও পাওয়া যায়, যার বর্ণনাকারীগণ হলেন বোখারী শরীফেরও বর্ণনাকারী। তাতে বর্ণিত হয় যে, হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, ‘‘আল্লাহর রসূল কাউকেও খলীফা নিয়োগ করেননি।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">২.</strong> দারু ক্বুতুনী, ইবনে আসাকির এবং ইমাম যাহাবী প্রমুখ হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বসরা নগরীতে বর্ণনাটি করেছেন, ‘‘আল্লাহরই শপথ! আল্লাহর রসূল আমাদের জন্য কারো খিলাফতের ব্যাপারে অঙ্গীকার গ্রহণ করেননি। যদি রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অঙ্গীকার নিতেন, তবে আমরা (তাকে বাদ দিয়ে) আমাদের ভাই বনী তাইয়্যেম ইবনে র্মুরাহ্কে এবং ওমর ইবনুল খাত্তাবকে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মিম্বর শরীফের উপর প্রতিনিধিত্ব (খিলাফত) করতে দিতামনা এবং (তাঁরা যদি বিরোধিতা করতেন, তবে) আমাদের এই হাতে তাঁদের সাথে মোকাবেলা করতাম।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">৩.</strong> আবূ নু‘আয়ম বর্ণনা করেন, হযরত হাসান-আল-মুসান্নাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىُّ مَوْلاَهُ (আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা) হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ইমামতের প্রমাণ কিনা! তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহর শপথ! যদি ‘মাওলা’ শব্দ দ্বারা রসূলুল্লাহ্র উদ্দেশ্য ‘আমীর’ কিংবা ‘সুলতান’ (খলীফা) বানানোই হতো, তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) তদপেক্ষা সুস্পষ্ট অর্থবোধক শব্দই ব্যবহার করতেন। কারণ, হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ছিলেন فَصِيْحُ الْبَيَانِ (‘ফসীহুল বয়ান’ বা অলংকার সমৃদ্ধ সুস্পষ্ট অর্থবোধক ও শব্দ প্রয়োগকারী)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">আর যদি ইমামতের জন্য রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী র্কারামাল্লাহু তা‘আলা ওয়াজ্হাহুকে নিয়োগ করে দিতেন, আর হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু)ও ওই সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও নীরব থাকতেন এবং রসূলুল্লাহর নির্দেশ বর্জিত হতে দেখে তাতে প্রতিবাদ করা থেকে বিরত থাকতেন, তবে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ্গার হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু)-ই হতেন; নতুবা তাতে তাঁর কাপুরুষত্বই প্রমাণিত হতো। (না‘ঊযুবিল্লাহ্) এটাতো কোন অবস্থাতেই হতে পারেনা।’’</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">মোটকথা, উপরোক্ত বর্ণনা (রেওয়ায়ত) থেকে হযরত আলীকে ইমাম নিযুক্ত করার অর্থ গ্রহণ করা এবং সেটাকে এ মর্মে দলীল হিসেবে পেশ করা কোন মতেই বিশুদ্ধ নয়। তা না আভিধানিকভাবে শুদ্ধ, না ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশুদ্ধ। যদি এটা শুদ্ধ হতো তবে সেটার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে দেখে সাহাবা কেরাম অবশ্যই আপত্তি উত্থাপন করতেন এবং তাঁরা ওই বিশুদ্ধ অর্থই তা থেকে গ্রহণ করতেন ও সেটাকে প্রমাণ হিসেবে স্থির করতেন। অবশ্যই এটা করতেন- বনী হাশেম ও হযরত আলী নিজেই। আরো করতেন- হযরত আব্বাস। কিন্তু কেউতো তা করেননি। আর তাও এমনই মুহূর্তে করেননি, যখন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ছিলো। (রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম)।</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">অতএব, ‘মাওলা’ (مولى) শব্দের অর্থ এখানে ‘সাহায্যকারী’ ও ‘প্রিয়’। বাস্তবিকপক্ষে, এ অর্থ গ্রহণ করলে কোন প্রকার অসুবিধারই সম্মুখীন হতে হয়না। (আস্সাওয়াইক্বুল মুহরিক্বাহ্, মাদারিজুন্নুবূয়ত ও আসাহ্হুসসিয়ার ইত্যাদি)</p><p style="box-sizing: border-box; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; word-wrap: break-word; color: rgb(34, 34, 34); text-align: justify; background-color: rgb(255, 255, 255);">সুতরাং এ প্রসঙ্গে আহলে সুন্নাতের এই বিশুদ্ধ অভিমতকে মনে প্রাণে গ্রহণ করে সত্য, সঠিক পথ ও মতটি গ্রহণে ব্রতী হবার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ‘গদীর-ই খোম’-এ নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র ভাষণ থেকে মনগড়া অর্থ গ্রহণ করে কিংবা অপব্যাখ্যা দিয়ে হযরত আলী (র্কারামাল্লাহু ওয়াজ্হাহু)-কে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পরপর ‘ইমাম’ (খলীফা) বলে বিশ্বাস করা, বরং আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে সেই ‘ইমামত’-কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নবূয়ত ও রিসালত অপেক্ষাও উত্তম বলা এমনকি তাদের কোন কোন বই-পুস্তকে হুযূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর উপরও সেই ‘ইমামত’-কে মেনে নেয়া জরুরী ছিলো বলে উল্লেখ করা ধৃষ্ঠতা দেখানো হয়েছে, যা শরীয়তের মধ্যে কুফরীর পর্যায়ে পড়ে। চরম ভ্রান্তি বৈ- কিছুই নয়। এমনটি করে থাকে শিয়া সম্প্রদায়</p>

ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি

ইমামত ও ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের দৃষ্টিভঙ্গি এখানে উল্লেখ্য যে, ক্ষেত্র বিশেষে আহলে সুন্নাতও ‘ইমাম’ এবং ‘ইমামত’ শব্দ দু’টি ব্যবহার করে থাকেন। ত...

Read more »

হাদিসে পাকের মানদণ্ডে আহলে বায়তের মর্যাদা।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <ul> <li><b style="font-size: 1.25em; line-height: 1.15;"><i>হাদিসে পাকের মানদণ্ডে আহলে বাইয়াতের মর্যাদা! </i></b></li> </ul> </div> <div> <b><i><br /></i></b></div> <div> <b><i><br /></i></b></div> <div> <br /></div> <div> হযরত আবু যর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা ঘরের দরজা হাত দিয়ে ধরা অবস্থায় বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে আমার আহলে বায়তের দৃষ্টান্ত হযরত নূহ আলায়হিস্ সালামের কিস্তির মত। যে এতে আরোহণ করেছে, সে মুক্তি পেয়েছে। আর যে এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে। [মসনদে আহমদ]</div> <div> <br /></div> <div> রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আরো এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আহলে বায়তের মহব্বতের উপর এন্তেকাল করবে; সে শহীদী মর্যাদা লাভ করবে। যে ব্যক্তি আহলে বায়তের মহব্বতের উপর ইন্তেকাল করবে; সে ক্ষমাপ্তপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য হবে। যে ব্যক্তি আহলে বায়তের মহব্বতের উপর মারা যাবে; তাকে মালাকুল মাউত জান্নাতের শুভ সংবাদ দান করবে। [তাফসীরে কবীর, কাশ্শাফ]</div> <div> <br /></div> <div> অপর বর্ণনায় হযরত যায়েদ বিন আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন এমন এক জায়গায় যাতে পানি ছিল। ওই স্থানের নাম ছিল খাম। যার অবস্থান মক্কা মোকাররমা ও মদীনা মোনাওয়ারার মধ্যখানে। খুতবার প্রারম্ভে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করলেন। তিনি আমাদেরকে উপদেশ দিলেন এবং সওয়াব ও আযাবের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। অতঃপর এরশাদ ফরমালেন, হে মানব সকল! আমি সংবাদ দিচ্ছি। অতি সত্ত্বর আমার নিকট আমার প্রভুর দূত আসবে, আমি আল্লাহর নির্দেশ গ্রহণ করবো। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি মহামূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব। সেখানে হেদায়ত ও নূর রয়েছে। অতএব, তোমরা আল্লাহর কিতাবের উপর আমল কর এবং একে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর। তিনি কিতাবুল্লাহর উপর আমলের জন্য উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহিত করেছেন। দ্বিতীয়টি হল আমার আহলে বায়ত। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বায়তের ব্যাপারে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। [সহীহ্ মুসলিম শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> অনুরূপভাবে হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্বে আরাফাতের দিন রসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে ‘কাসওয়া’ নামক উস্ট্রের উপর আরোহিত অবস্থায় বলতে শুনেছি, নবীজি এরশাদ ফরমান- হে লোক সকল! আমি তোমাদের মধ্যে যা রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা দৃঢ়ভাবে ধারণ কর তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর তথা আহলে বায়ত।</div> <div> [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> এভাবে অসংখ্য হাদীস শরীফে আল্লাহ্ তা‘আলার প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আহলে বায়তের মর্যাদা বর্ণনা করেছেন, তন্মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি।</div> <div> <br /></div> <div> শানে মওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু</div> <div> হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, আল্লাহ্ তা‘আলা সকল নবীর বংশধর তাঁদের ঔরশজাত পুত্র সন্তানের মাধ্যমে বিদ্যমান রেখেছিলেন। আর আমার বংশধারা আলী ইবনে আবু তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ঔরশজাত সন্তানের মাধ্যমে জারী থাকবে। [আল মু’জামুল কবীর]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাবুকের যুদ্ধের মধ্যে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলীকে খলীফা (স্থলাভিষিক্ত) মনোনীত করেন। অতঃপর হযরত আলী বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের খলীফা মনোনীত করলেন? রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আলী! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি আমার এভাবে স্থলাভিষিক্ত হবে যেভাবে হারুন আলায়হিস্ সালাম মুসা আলায়হিস্ সালামের স্থলাভিষিক্ত ছিলেন। তবে আমার পরে আর কোন নবী হবে না। [সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে সম্বোধন করে বললেন, ‘হে আলী! আমি আর তুমি ব্যতীত অন্য কারো জন্য জানাবাত তথা অপবিত্র অবস্থায় এ মসজিদে (মসজিদে নববী শরীফ) অবস্থান কিংবা প্রবেশ বৈধ নয়। [আল মু’জামুল কবীর]</div> <div> <br /></div> <div> উল্লেখ্য, হযরত আলীর শান এত সুউচ্চ হওয়ার কারণ হলো, হযরত আলীর সাথে নবীজির পবিত্র শরীর আর রূহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক বিশেষ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল।</div> <div> মাওলা আলী শেরে খোদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ঐ সত্তার শপথ! যিনি বীজ উৎপন্ন করেছেন ও প্রাণীকুল সৃষ্টি করেছেন, নবীজি আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, আমার সাথে শুধু মু’মিনরাই ভালবাসা রাখবে। আর শুধু মুনাফিকরা আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করবে। [সহীহ্ মুসলিম শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত বারা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে আত্বহার সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আলীকে সম্বোধন করে এরশাদ ফরমান, তুমি আমি হতে আর আমি তুমি হতে। [সহীহ্ বোখারী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান আমি ইলমের শহর, আর আলী সেই শহরের দরজা। সুতরাং যে কেউ ইলম অর্জন করতে চাইলে; তাকে সে দরজায় আসতেই হবে। [মুসতাদরাক লিল হাকিম]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী এ দো জাঁহা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, আমি হিকমতের ঘর। আর আলী সে ঘরের দরজা। [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মসজিদে বসে আছেন।</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সেখানে আগমন করলেন এবং বসার জন্য জায়গা দেখতে লাগলেন। এদিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম দেখছিলেন যে, কে তাঁকে বসার জায়গা করিয়ে দেয়। হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবীজির ডান পাশে বসা ছিলেন, তিনি তাঁর জায়গা থেকে সরে গিয়ে মাওলা আলীকে ডেকে বসালেন। আহলে বায়তের প্রতি সিদ্দিকে আকবরের এ ভক্তি শ্রদ্ধা দেখে নবীজির নূরানী চেহারা মোবারক এ আনোয়ারা আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো এবং সিদ্দিকে আকবরের দিকে ফিরে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন, হে আবু বকর! সম্মানিত ব্যক্তি থেকেই সম্মান প্রকাশ পায়। [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের নিকট আরয করলাম, হে আল্লাহর রসূল! লোকেরা আমার সাথে হিংসা করছে, অতঃপর নবীজি ফরমান, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি চারজনের মধ্যে চতুর্থ হবে। অর্থাৎ খেলাফতের মধ্যে। সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে আমি, তুমি, হাসান-হোসাইন এবং আমাদের বিবিগণ। আমাদের বিবিগণ আমাদের ডানে ও বামে থাকবে এবং আমাদের অন্যান্য সন্তানগণ তথা আমার বংশধর আমাদের বিবিদের পেছনে থাকবে। [তাফসীরে রুহুল বয়ান]</div> <div> <br /></div> <div> শানে খাতুনে জান্নাত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা</div> <div> হযরত আনাস বিন মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, আমি আমার মেয়ের নাম রাখলাম ফাতেমা। কেননা, আল্লাহ্ তাকে ও তার প্রতি ভালবাসা পোষণকারীগনকে দোযখ থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন।</div> <div> [সাওয়াঈক্বে মুহরিকা]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, আমার উম্মতের নারীদের মধ্যে আমার মেয়ে ফাতেমাই হলো সর্বোত্তম।</div> <div> [আল মুস্তাদরিক-হাকেম]</div> <div> <br /></div> <div> উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, হে ফাতেমা! তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি সমগ্র বিশ্ব ও জান্নাতের রমণীদের সরদার হবে? [সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত হোযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি আমার আম্মাকে বললাম, আমাকে অনুমতি দিন, আমি গিয়ে রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সাথে মাগরিবের নামায আদায় করব। অতঃপর তাঁর খেদমতে আমার এবং আপনার ক্ষমার জন্য দো‘আর আবেদন করব। আম্মা অনুমতি দিলেন। আমি নবীজির খেদমতে হাযির হয়ে মাগরিবের নামায তাঁর সাথে আদায় করলাম। অতঃপর তিনি নফল নামায পড়লেন। তারপর ইশার নামায পড়লেন। যখন তিনি নামায থেকে অবসর হয়ে চলে যাচ্ছিলেন; তখন আমিও তাঁর পেছনে পেছনে চললাম। তিনি আমার পদধ্বনি শুনে বললেন, তুমি কি হোযাইফা? আমি আরয করলাম, হ্যাঁ, তিনি ফরমান, তোমার কী প্রয়োজন? আল্লাহ্ তোমাকে ও তোমার মাকে ক্ষমা করুন। ইনি একজন ফেরেশতা; যিনি এ রাতের পূর্বে কখনো পৃথিবীতে অবতীর্ণ হননি।</div> <div> <br /></div> <div> এ ফেরেশতা তাঁর প্রতিপালকের নিকট হতে আমাকে এসে সালাম করার অনুমতি নিয়েছেন এবং আমাকে এ সুসংবাদ দিচ্ছেন যে, ফাতেমা জান্নাতের রমণীদের সরদার এবং হাসান ও হোসাইন জান্নাতের যুবকদের সরদার।</div> <div> [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে হাশেমী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, বেহেশতের নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হল খাদীজা বিনতে খোয়ালিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ, মরিয়ম বিনতে ইমরান ও ফেরআউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুযাহিম। [আল ইস্তিহাব]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত জামী’ বিন ওমাইর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি আমার ফুফুর সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার খেদমতে হাজির হলাম।</div> <div> আমি জিজ্ঞেস করলাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নিকট সর্বাধিক প্রিয় কে ছিল? উত্তরে হযরত আয়েশা বললেন, ফাতেমা। অতঃপর আরয করা হলো, আর পুরুষদের মধ্যে? তিনি বললেন, তাঁর স্বামী (আলী)।</div> <div> [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই রাসূলে আনোয়ার সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে যেতেন তখন সবার পরে এবং যখন সফর থেকে আসতেন তখন সবার আগে হযরত ফাতেমার সাথে সাক্ষাৎ করতেন। [আল মুস্তাদরিক হাকেম]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত মিসোয়ার বিন মাখরামা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলে আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, ফাতেমা আমার শরীরের অংশ। যে ব্যক্তি তাকে অসন্তুষ্ট করে, সে আমাকে অসন্তুষ্ট করে। অপর বর্ণনায় রয়েছে, আমাকে অস্থির করে তুলে, যা তাকে অস্থির করে তুলে এবং আমাকে কষ্ট দেয় যা তাকে কষ্ট দেয়। [সহীহ্ বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> শানে হাসনাইনে করীমাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা</div> <div> হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আত্বহার সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি হাসান ও হোসাইনকে ভালবাসল, বস্তুত সে আমাকে ভালবাসলো এবং যে ব্যক্তি এ দু’জনের সাথে বিদ্বেষ রাখল, বস্তুত সে আমার সাথে বিদ্বেষ রাখল। [ইবনে মাজাহ্ শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন হুযূর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হোসাইনের হাত ধরে এরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসবে এবং এ দু’জন (হাসনাইন), তাদের পিতা (আলী) ও তাদের মাতা (ফাতেমা)কে ভালবাসবে সে কিয়ামত দিবসে আমার সাথে একই স্তরে থাকবে। [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত সালমান ফারসী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করতে শুনেছি, হাসান ও হোসাইন দু’জনই আমার পুত্র। যে ব্যক্তি এ দু’জনকে ভালবাসল সে আমাকে ভালবাসল, যে আমাকে ভালবাসল সে আল্লাহকে ভালবাসল এবং যে আল্লাহকে ভালবাসল আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ দু’জনের প্রতি বিদ্বেষ রাখল, সে আমার প্রতি বিদ্বেষ রাখল, যে আমার প্রতি বিদ্বেষ রাখল সে আল্লাহর প্রতি বিদ্বেষ রাখল এবং যে আল্লাহর প্রতি বিদ্বেষ রাখল আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। [আল মুস্তাদরিক হাকেম]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত উসামা বিন যায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি জানে দো আলম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যে, তিনি হাসান ও হোসাইন উভয়কে কোলে নিয়ে এরশাদ করেন, এ দু’জন আমার ও আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ্! আমি তাদেরকে ভালবাসি। তুমিও তাদেরকে ভালবাস এবং তাকেও ভালবাস যে তাদেরকে বালভাসবে। [তিরমিযী শরীফ] হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি হাসানকে নবীজির কোল মোবারকে দেখলাম যে, তিনি তাঁর আঙ্গুলসমূহ হুযূর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের দাড়ি মোবারকে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন এবং নবীজি নিজের জিহ্ববা মোবারক তাঁর মুখে ঢুকালেন। অতঃপর এরশাদ করলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তাকে ভালবাসি। তুমিও তাকে ভালবাস। [আল মুস্তাদরিক হাকিম]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত ইয়া’লা বিন মুররা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সরকারে দো আলম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, হোসাইন আমি হতে আর আমি হোসাইন থেকে। আল্লাহ্ তাকে ভালবাসুন যে হোসাইনকে বালভাসে। [তিরমিযী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> সাওয়ায়িকে মুহরিকা গ্রন্থের বর্ণনায় এসেছে, একদিন হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর খেলাফতকালে তাঁর দরবারে আগমন করেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর দরজায় দাঁড়িয়ে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করছেন। যে কোন কারণে তাঁকে অনুমতি দেয়া হয়নি। ইমাম হাসান এ মনে করে চলে গেলেন যে, তিনি যেখানে তাঁর পুত্রকে অনুমতি দেননি, সেখানে আমাকেও দেয়া হবে না।</div> <div> <br /></div> <div> পরবর্তীতে হযরত ওমর জানতে পারলেন যে, ইমাম হাসান প্রবেশ না করেই ফিরে গেছেন। তখন তিনি কালবিলম্ব না করে তাঁর নিকট গেলেন এবং বললেন আপনার আগমনের সংবাদ আমি পাইনি। ইমাম হাসান বললেন, যেখানে আপনি আপনার পুত্রকে অনুমতি দেননি, সেখানে কি আমাকে দেবেন? উত্তরে ওমর ফারুক বললেন, আপনি তার চাইতে অনুমতি লাভের অধিক যোগ্য। আল্লাহ্ তা‘আলার পর আপনারা ব্যতীত মাথায় ওই চুলকে উৎপন্ন করেছে? অর্থাৎ আপনাদের ওসীলায় সৎ পথ পেয়েছি এবং আপনাদের বরকতেই এ মর্যাদায় উপনীত হয়েছি। অপর বর্ণনায় হযরত ওমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, আপনি যখনই আসবেন, অনুমতি ছাড়াই আসবেন। [সাওয়ায়িক্বে মুহরিকা]</div> <div> <br /></div> <div> একদিন হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁর কাপড়ের আঁচল দ্বারা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর চরণযুগল হতে ধুলাবালি পরিস্কার করছিলেন। ইমাম হোসাইন বললেন, ‘হে আবু হুরায়রা! একি করছেন? আবু হুরায়রা আরয করলেন, হুযুর আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহর কসম! আপনার পদ মর্যাদা সম্পর্কে যতটুকু আমি জানি যদি লোকেরা তা জানতো তাহলে তারা আপনাকে কাঁধে নিয়ে ঘোরাফেরা করতো।</div> <div> [ইজহারুস্ সা’দাত]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, মহান প্রভু আল্লাহ তা‘আলার শপথ করে বলছি, যার কুদরতী হাতে আমার জান। নিশ্চয়ই আমার আত্মীয়-স্বজন অপেক্ষা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের আত্মীয়-স্বজন তথা নবীজির আহলে বায়ত (ইমাম হাসান-হোসাইন) আমার নিকট অধিক প্রিয়। [সহীহ্ বুখারী শরীফ]</div> <div> <br /></div> <div> হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন হাসান এবং হোসাইন উভয়কে নবীজির কাঁধ মোবারকের উপর আরোহী অবস্থায় দেখে বললাম, কতই না উত্তম সাওয়ারীতে তোমরা আরোহন করেছ। একথা শুনে নবীজি সাথে সাথে বলে উঠলেন, আরোহণকারীদ্বয় কি কম উত্তম? [মাজমুয্ যাওয়ায়িদ]</div> <div> <br /></div> <div> আহলে বায়তে রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামার শান, মান-মর্যাদার উপর প্রিয় নবীজির অনেক অনেক নূরানী বাণী রয়েছে। এ নিবন্ধে মহান রাব্বুল ইজ্জতের দরবারে ফরিয়াদ জানাই, তিনি যেন আমাদেরকে আহলে বায়তের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করার তাওফিক দান করেন। আমিন।</div> </div>

হাদিসে পাকের মানদণ্ডে আহলে বায়তের মর্যাদা।

হাদিসে পাকের মানদণ্ডে আহলে বাইয়াতের মর্যাদা!  হযরত আবু যর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি পবিত্র কা’বা ঘরের দরজা হ...

Read more »

কিছু মূল্যবান কিতাবের PDF (Soft Copy)

<p dir="ltr"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXjl_cgmcplnX8ZAqvG7PMDTPHoXCJpjRKR_1e9b7Ka1TgIFgqv0totZTS0mnhyphenhyphenr4XmsR2XBA5Dqm2MqelmhM95NBgC48jt-XAYe55o1IiUa7RIDlEq4ViaqaY_y1q0zJMeoxhHH6iDpYT/s1600/FB_IMG_1568102867209.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="281" data-original-width="495" height="181" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXjl_cgmcplnX8ZAqvG7PMDTPHoXCJpjRKR_1e9b7Ka1TgIFgqv0totZTS0mnhyphenhyphenr4XmsR2XBA5Dqm2MqelmhM95NBgC48jt-XAYe55o1IiUa7RIDlEq4ViaqaY_y1q0zJMeoxhHH6iDpYT/s1600-rw/FB_IMG_1568102867209.jpg" width="320"></a></div>বেশি বেশি প্রচার করুনঃ অনেক পূর্বের কিছু কিতাব এর (Soft Copy) এগুলো সব সাইজ ছোট এবং clear ভার্সন।<br> ৪০০০+ বই পেতে ডাউনলোড করুন (সুন্নি-বিশ্বকোষ) <br> <a href="https://bit.ly/2D9rkb6">https://bit.ly/2D9rkb6</a><br> ➖➖➖➖➖➖➖<br> 📚মাযহাব ত্যাগের শেষ পরিণাম ইসলাম ত্যাগ.pdf<br> মূলঃ যাহিদ আল-কাওসারী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/1y4ah9j0oz1wmea">https://www.mediafire.com/download/1y4ah9j0oz1wmea</a><br> 📚কিতাবুল ফিতান<br> মূলঃ ইমাম নুয়াইম বিন হাম্মাদ<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/xarito62zo3bjr2">https://www.mediafire.com/download/xarito62zo3bjr2</a><br> 📚শুয়াবুল ইমানঃ ভাগ্য ও তাকদীর.pdf<br> মূলঃ ইমাম বায়হাকী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/xdzhg7skn3zdwmq">https://www.mediafire.com/download/xdzhg7skn3zdwmq</a><br> 📚শুয়াবুল ইমানঃ তাদবীর ওতাওয়াক্কুল.pdf<br> মূলঃ ইমাম বায়হাকী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/s8p1g8xd78agyax">https://www.mediafire.com/download/s8p1g8xd78agyax</a><br> 📚শুয়াবুল ইমান, ইমানের শাখা ১-৫.pdf<br> মূলঃ ইমাম বায়হাকী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/7cravrllrk8vxyf">https://www.mediafire.com/download/7cravrllrk8vxyf</a><br> 📚কাঞ্জুল উম্মালঃ অন্তর্দৃষ্টি.pdf<br> মূলঃ ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দী<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/lja15ug34o71l74">https://www.mediafire.com/download/lja15ug34o71l74</a></p> <p dir="ltr">📚কিতাবঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নূর.pdf<br> মূলঃ ইমাম কুস্তালানী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/ka1gxjq48lp5iia">https://www.mediafire.com/download/ka1gxjq48lp5iia</a></p> <p dir="ltr">📚কিতাবঃ বিশ্বনবীর ইলমে গায়েব.pdf<br> মূলঃ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/mt2uoz6zsitgq14">https://www.mediafire.com/download/mt2uoz6zsitgq14</a><br> 📚দুররে মনসুরঃ আল ফাতিহার তফসীর.pdf<br> মূলঃ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/lunhvavztuy3b2v">https://www.mediafire.com/download/lunhvavztuy3b2v</a><br> 📚রিজিক বৃদ্ধির আমল.pdf<br> মূলঃ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/8j13176nszg54w9">https://www.mediafire.com/download/8j13176nszg54w9</a></p> <p dir="ltr">📚কিতাবঃ বায়াত ও খিলাফতের বিধান.pdf<br> মূলঃ ইমাম আ'লা হযরত (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/245mvrs669sx9q4">https://www.mediafire.com/download/245mvrs669sx9q4</a><br> 📚কিতাবঃ শরীয়তের বিধি-বিধান নবীর হাতে.pdf<br> মূলঃ ইমাম আ'লা হযরত (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/qyyx8loql7h6owx">https://www.mediafire.com/download/qyyx8loql7h6owx</a><br> 📚আল ওয়াজিফাতুল কারিমা.pdf<br> মূলঃ ইমাম আ'লা হযরত (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/hra4mo43kvun9bn">https://www.mediafire.com/download/hra4mo43kvun9bn</a><br> 📚কিতাবঃ কালামে রেযা.pdf<br> মূলঃ ইমাম আ'লা হযরত (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/tvnsk1ro40p43ie">https://www.mediafire.com/download/tvnsk1ro40p43ie</a><br> 📚কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদা.pdf<br> মূলঃ ইমাম আ'লা হযরত (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/472iczh7q5dss6q">https://www.mediafire.com/download/472iczh7q5dss6q</a></p> <p dir="ltr">📚কিতাবঃ নবী বংশের পবিত্রতা.pdf<br> মূলঃ মুফতি ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/q9ikts6tlgtpn56">https://www.mediafire.com/download/q9ikts6tlgtpn56</a><br> 📚কিতাবঃ ইসলামের মৌলিক চারটি বিষয়.pdf<br> মূলঃ মুফতি ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/8qy0hny31wp6j1o">https://www.mediafire.com/download/8qy0hny31wp6j1o</a></p> <p dir="ltr">📚তিবুন নফস-অন্তরের প্রসন্নতা.pdf<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/nm8ruxvh9kicv8a">https://www.mediafire.com/download/nm8ruxvh9kicv8a</a><br> 📚কিতাবঃ হৃদয়ের আয়নায় নবী করিম (দুরুদ).pdf<br> লেখকঃ মাওলানা ডঃ আব্দুল হালিম<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/7xlvcydby5ku234">https://www.mediafire.com/download/7xlvcydby5ku234</a><br> 📚নূর তত্ত্ব.pdf<br> লেখকঃ মাওলানা ডঃ আব্দুল হালিম<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/3p2db8j186acvra">https://www.mediafire.com/download/3p2db8j186acvra</a><br> 📚কিতাবঃ হাজির নাজির.pdf<br> অনুবাদঃ কাজি সাইফুদ্দীন হোসাইন<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/ar5gikk714r5aas">https://www.mediafire.com/download/ar5gikk714r5aas</a><br> 📚কিতাবঃ মুফতী তকী উসমানীর মীলাদ বিরোধী ফতোওয়ার রদ.pdf<br> অনুবাদঃ কাজি সাইফুদ্দীন হোসাইন<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/odlqkfjzn9hbwa3">https://www.mediafire.com/download/odlqkfjzn9hbwa3</a><br> 📚কিতাবঃ দরূদ পাঠের উপকারিতা ও ফযিলত.pdf<br> লেখকঃ মুহাম্মদ হোসাইন আহমেদ আল কাদেরী<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/eqamdmygn60zk9l">https://www.mediafire.com/download/eqamdmygn60zk9l</a><br> 📚কিতাবঃ ঐতিহাসিক গদীর-ই-খোম এর ঘটনা.pdf<br> লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/vkamgiuujmohxfa">https://www.mediafire.com/download/vkamgiuujmohxfa</a><br> 📚ইরাদা ও মুহাব্বাত.pdf<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/5qucazlg80wxbka">https://www.mediafire.com/download/5qucazlg80wxbka</a><br> 📚আযানের আগে সালাত-সালাম<br> লেখকঃ হাফেজ মোহাম্মদ সোলায়মান আনসারী<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/we06ktufyk8rs9v">https://www.mediafire.com/download/we06ktufyk8rs9v</a><br> 📚ফরজ নামাজের পর দোয়া ও হাত তোলে প্রার্থনা.pdf<br> লেখকঃ মুফতি আমজাদ হোসাইন সিমনানী<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/vz1mqzka63g72la">https://www.mediafire.com/download/vz1mqzka63g72la</a><br> 📚প্রিয়নবীর পরকালীন জীবন সম্পর্কিত ৪০ হাদিস.pdf<br> লেখকঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী<br> <a href="https://www.mediafire.com/download/ekbb9hbafq3hwff">https://www.mediafire.com/download/ekbb9hbafq3hwff</a></p>

কিছু মূল্যবান কিতাবের PDF (Soft Copy)

বেশি বেশি প্রচার করুনঃ অনেক পূর্বের কিছু কিতাব এর (Soft Copy) এগুলো সব সাইজ ছোট এবং clear ভার্সন। ৪০০০+ বই পেতে ডাউনলোড করুন (সুন্নি-বিশ্বক...

Read more »

ইয়াযীদ সম্পর্কে মহানবী (ﷺ) এর ভবিষ্যৎবাণী ও ইয়াজিদের উপর লানতের বৈধ্যতা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-7eb964aa-7fff-7aa2-257c-bd3312115ae7" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ তৃতীয় শতাব্দীর এক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম আবু ইয়া’আল(রঃ) তাঁর মুসনাদ(ভলি. ২, পেজ ৭১) সহীহ চেইনে উল্লেখ করেনঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবু উবায়দাহ বিন জারাহ(রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন – </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(0 , 255 , 255); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“মুসলিম উম্মাহ এর যাবতীয় কাজ কারবারে ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়পরায়ণতা পরিলক্ষিত হবে যখন বনি উম্যায়াহ গোত্রের এক জন এসে দ্বীনের মধ্যে ফাটল ধরাবে। তার নাম হবে ইয়াজিদ”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসটির বর্ণনাকারীর সকলেই সৎ এবং নির্ভরযোগ্য।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ আরেক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম সাহাবুদ্দীন আহমেদ বিন হাজর হায়তামী(রঃ) তাঁর আস-সাবাক আল-মুহরিকা গ্রন্থের ১৩২ পৃঃ একই হাদীস উল্লেখ করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবু দারদা(রাঃ) বলেছেন, “আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন – </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(0 , 255 , 255); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমার সুন্নাহকে পরিবর্তনকারী প্রথম ব্যক্তি হবে বনি উম্যায়াহ গোত্রের ইয়াজিদ”।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ হাফিজ ইবন কাথীর(রঃ) একই হাদীস উল্লেখ করেছেন তাঁর সুবিখ্যাত আল-বিদ্যায়াহ আন-নিহ্যায়াহ গ্রন্থের ভলি. ৬, পেজ ২৫৬ তে হযরত আবুযার ঘিফারী(রাঃ) থেকে। এই বর্ণনায় ‘যার নাম ইয়াজিদ হবে’ এই কথাটি অনুপস্থিত।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ হাদীসটি এই গ্রন্থেও বর্ণীত আছে</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা- ভলি. ৮, পেজ ৩৪১, হাদীস নং ১৪৫; দালাইল উন নবুয়্যাত লিল বায়হাকী আবওয়াব ঘাজওয়া তাবুক- হাদীস নং ২৮০২; মাতালিব আল-আলিয়্যাহ- হাদীস নং ৪৫৮৪।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ আমর বিন ইয়াহিয়া সায়ে’দ বিন আমর বিন সায়ে’দ তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) এর সাথে মসজিদে নববীতে বসেছিলাম এবং মারওয়ান আমাদের সাথে ছিলেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেছিলেনঃ </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(0 , 255 , 255); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমি শুনেছিলাম রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের কিছু যুবকদের দ্বারা আমার উম্মত ধ্বংস প্রাপ্ত হবে”। </span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মারওয়ান বলেন, আল্লাহ এই ধরণের যুবকদের অভিশাপ দেন। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বলেন, আমি বলতে পারি অমুক, অমুকের পুত্র অমুক, তমুকের পুত্র তমুক যদি আমি চাই। হযরত আমর বিন ইয়াহিয়া বলেন, আমি আমার দাদার সাথে বনী মারওয়ানে গিয়েছিলাম যখন তারা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছিল এবং এক জন যুবককে দেখতে পেলাম। আমার দাদা বললেন তারাও তাদের একজন হবে। আমরা বললাম তা আপনি ভাল বলতে পারবেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সহীহ বুখারী ভলি. ২, কিতাবুল ফিতনা]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) সূত্রে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বলেছেন- </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা কর ৭০ দশক হতে এবং এক যুবকের রাজত্বকাল হতে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মুসনাদ ইমাম আহমদ, হাদীস নং ৩৮০০]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ সহীহ বুখারী শারীফের ব্যাখ্যাকারী এবং ফাতহুল বারীর লেখক হাফিজ আহমদ বিন হাজর আসকলানী(রঃ) মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বা সূত্রে বর্ণনা করে লিখেন, মুসান্নাফ ইবন আবি শায়বার হাদীসে বলা আছে, হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) বাজারে যাওয়ার সময় প্রার্থনা করত ‘ও আল্লাহ, আমাকে ৬০ A.H. এবং যুবকের রাজত্বকাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখ না’</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাফিজ ইবন হাজর আসকলানী(রঃ) এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই হাদীসে ৬০A.H. এ এক জন শাসকের কথা বলা হয়েছে। হাদীস অনুসারে তাই ঘটে। ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যা এই বছরেই শাসনে বসেন ৬৪A.H. পর্যন্ত এবং এই সময়ে মারা যান।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকারী ইমাম বদরুদ্দীন আইনি(রঃ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘প্রথম বালক যে শাসন করবে’ এই কথা দ্বারা ইয়াজিদকে বুঝানো হয়েছে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[উমদাত উল কাদরী ভলি. ১৬, পেজ ৩৩৩]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মূলত এই কারণে আগেরকার যুগের বড় বড় আলেমগণ ইয়াজিদ বিন মুয়্যাবিয়্যার নামের শেষে ‘আল্লাহ এর লানত বর্ষিত হোক’ কথাটি লিখতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েক জন হলেন -</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Imam Ibn Hajr (rah)</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> made the whole title in his book al-Imta bil al-Arb'ain as </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"SENDING LANAH ON YAZID (لعن يزيد)"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأما المحبة فيه والرفع من شأنه فلا تقع إلا من مبتدع فاسد الاعتقاد فإنه كان فيه من الصفات ما يقتضي سلب الإيمان عمن يحبه لأن الحب في الله والبغض في الله من الإيمان والله المستعان</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Translation:</span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> Loving and glorifying him (Yazid) is not done “EXCEPT BY A HERETIC” who has void belief because he (Yazid) had such characteristics that his lover deserves to be faithless, because to love and hate just for the sake of God is a sign of faith.</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[Publisher's name: Dar ul Kutb al iLmiyyah, Beirut, Lebanon, Book name: al-Imta bil al-Arba'in al-Matbainatus Samah (الإمتاع بالأربعين المتباينة السماع), Author: </span><span style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Imam Ibn Hajr al Asqalani</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (rah), Publication date: 1997, Page No. 96]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال يحيـى بن عبد الملك بن أبـي غنية أحد الثقات، ثنا نوفل بن أبـي عقرب ثقة قال: كنت عند عمر بن عبد العزيز فذكر رجل يزيد بن معاوية، فقال: قال أمير المؤمنين يزيد، فقال عمر: تقول أمير المؤمنين يزيد، وأمر به فضرب عشرين سوطاً</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Translation: Yahya bin Abdul Mulk bin Abi Ghania "WHO WAS AMONGST THIQA NARRATORS" he heard from Nawfl bin Abi Aqrab "WHO IS THIQA" he narrates: Once in the gathering of Umar Bin Abdul Aziz [R.A] people talked about Yazid bin Muawiya, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">someone among the people mentioned Yazid with the title of Ameer ul Momineen,</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 255); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">hearing this Hadrat Umar bin Abdul Aziz [ra] replied (in anger): You have called Yazeed Amir Ul Mominein? </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Then he gave order of 20 lashes to be given to the persion</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjR4-CM1nPTmnw4yysGfOi3e783aVwGGw-wVGXQ6sR6ujEE7gOqcmsRc8e9lS9ls9Q9D2ZyLa7ThHnyhSlmYpA2AIasq8-yFIvPPdhD0l2-dpvh7-U-srKpWtbncPo8xNf8jL6dPYvoXuPq/s1600/IMG_20190911_080711.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="606" data-original-width="750" height="258" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjR4-CM1nPTmnw4yysGfOi3e783aVwGGw-wVGXQ6sR6ujEE7gOqcmsRc8e9lS9ls9Q9D2ZyLa7ThHnyhSlmYpA2AIasq8-yFIvPPdhD0l2-dpvh7-U-srKpWtbncPo8xNf8jL6dPYvoXuPq/s1600-rw/IMG_20190911_080711.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[</span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Imam Ibn Hajr al Asqalani</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> in Tahdhib ut Tahdhib, Volume No. 6, Page No. 313].</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি(রঃ)</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> তাঁর সুবিখ্যাত ইতিহাসগ্রন্থ “তারিখ উল খুলাফা” গ্রন্থে ইয়াজীদ সম্পর্কে লিখেনঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“You (Imam Hussain - Radhi Allaho Anho) were martyred and your head was brought to Ibn Ziyad on a plate. </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"May Allah's Lanah (Curse) be upon the person who killed you, also Ibn Ziyad "AND UPON YAZID."</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[As-Suyuti in Tarikh ul Khulafa, Page No. 165]”</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">The Proof of sending Lanah upon Yazid is derived from this (ayah), as was mentioned by </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ Al-Barzanji (rah) in his Al-Ashaat and</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ Imam Haythami (rah) in As-Sawaiq from </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ Imam Ahmed (rah) that his son Abdullah</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">asked him about sending Lanah on Yazid, and how sending Lanah upon him is mentioned in the book of Allah (i.e. Quran). </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Imam Ahmed (rah) in proof of (sending Lanah upon Yazid) mentioned these verses:</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Would ye then, if ye were given the command, work corruption in the land and sever your ties of kinship? Such are the men whom Allah has cursed…(47:22-23), </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">So could there be a greater fitnah than the actions committed by Yazid?</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> [Ruh ul Ma’ani by Imam Al-Alusi, Volume 9 Under Surah Muhammad 22-23]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ </span><span style="background-color: rgb(0 , 0 , 0); color: rgb(255 , 255 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Allama Alusi said:</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> And I say what is prevalent over my mind that (Yazid) Khabith did not testify to the messengership of the Holy Prophet (Peace Be Upon Him). According to me it is correct to curse a person like Yazid, although one cannot imagine a Fasiq like him and apparently he never repented, the possibility of his repentance is weaker than the possibility of his faith (Iman). </span><span style="color: rgb(255 , 0 , 0); font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Along with Yazid, Ibn Ziyad, Ibn Sa'ad and his group shall also be included. Verily, may Allah's curse be upon all of them,</span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> their friends, their supporters, their group and upon everyone who inclines towards them until Qayamah and until an eye sheds a tear for Abu Abdullah Hussain (ra). [Tafsir Ruh al-Ma'ani, Volume 26, Page No. 73]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> অথচ এই শেষ যুগে এসে ওহাবী/সালাফী/আহলে হাদীস নামের দলটির নেতারা এই ব্যক্তির নামের শেষে ‘আল্লাহ এর রহমত বর্ষিত হোক’ কথাটি ব্যবহার করে চলেছে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের রক্ষা করুন এদের হাত থেকে। সুম্মা আমিন।</div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> </div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjmuHcZICXqBhVKIuG-Z6kIgZ7Cwr9u6nA0LywJN57_pjXKmIiQ0G6lFq7uuXTY4VijlLGTJPx3WdGIrx_H_D-mQd7QyWi5xTex7XEjicAJRfXyB52CdX3PfgVT-MTHtPSHmcAG4sGEpx1R/s1600/New+Doc+2019-09-09+15.28.18_1.jpg" imageanchor="1" style="font-size: 1.25em; margin-left: 1em; margin-right: 1em; text-align: center;"><img border="0" data-original-height="4296" data-original-width="2824" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjmuHcZICXqBhVKIuG-Z6kIgZ7Cwr9u6nA0LywJN57_pjXKmIiQ0G6lFq7uuXTY4VijlLGTJPx3WdGIrx_H_D-mQd7QyWi5xTex7XEjicAJRfXyB52CdX3PfgVT-MTHtPSHmcAG4sGEpx1R/s1600-rw/New+Doc+2019-09-09+15.28.18_1.jpg" width="210" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbpEmdkAJPjkE0uNoQ8fJY5VD41fMpye4aUAlSIwgqg0gsg8zWpwG15v2Mvv-Fokpo8-ufnZm_BMDXojiYWibzIN33L261_jms0owkgC444rnvGeTIaZTWmXCFjvaW890YkyFemm6YXx4I/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_7%25282%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1560" data-original-width="1816" height="274" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbpEmdkAJPjkE0uNoQ8fJY5VD41fMpye4aUAlSIwgqg0gsg8zWpwG15v2Mvv-Fokpo8-ufnZm_BMDXojiYWibzIN33L261_jms0owkgC444rnvGeTIaZTWmXCFjvaW890YkyFemm6YXx4I/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_7%25282%2529.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8Xl08DAq5qKvbmSLhuRlNT2ym3osnpWPaI_MyXhWxDSmdMGyzkCEuBNDsU8sIMEvMFs4K9BUIixgKI3kZGvULTKtTOIFSoC1f5P6bYQfVA7GaYDvsR4TmqbETTm2XSCbh3RGMT7yAm-C2/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_8.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" class=" imageResizeTarget" data-original-height="856" data-original-width="1472" height="186" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8Xl08DAq5qKvbmSLhuRlNT2ym3osnpWPaI_MyXhWxDSmdMGyzkCEuBNDsU8sIMEvMFs4K9BUIixgKI3kZGvULTKtTOIFSoC1f5P6bYQfVA7GaYDvsR4TmqbETTm2XSCbh3RGMT7yAm-C2/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_8.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi25cmaYAosGu96XifH3Zr6it216RsJOM9ZHyM1vyPQQ6GMPztdjQyMO0UNUAPmLmCw1z7WVhu7_FFKrTM1Ur96QMTcR46wX0_cs9n9IsR8Vg_psoL2-gdwXtmJAb-6He90pS2cZHJWH099/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_8%25282%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="828" data-original-width="1452" height="182" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi25cmaYAosGu96XifH3Zr6it216RsJOM9ZHyM1vyPQQ6GMPztdjQyMO0UNUAPmLmCw1z7WVhu7_FFKrTM1Ur96QMTcR46wX0_cs9n9IsR8Vg_psoL2-gdwXtmJAb-6He90pS2cZHJWH099/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_8%25282%2529.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmzMeE6m9f1KJL6BxhOVlI5RzfxxBxU8uAjOZc990_PN3DOlaJlHvhnohyphenhyphen8rFKjetLcZO0W3WXz__ckuczbo9ESBIdvIaxNW9sFBsg6F-k4H3dNpv8ojPwGy_0N5aVmt-YnQ1tb6vBAmJZ/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_9.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1232" data-original-width="1640" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhmzMeE6m9f1KJL6BxhOVlI5RzfxxBxU8uAjOZc990_PN3DOlaJlHvhnohyphenhyphen8rFKjetLcZO0W3WXz__ckuczbo9ESBIdvIaxNW9sFBsg6F-k4H3dNpv8ojPwGy_0N5aVmt-YnQ1tb6vBAmJZ/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_9.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMT6SqMdQNJ7yZPW8IiwK9bfuzu3KBtv31E2uHw_pL1IWTSH9ZZUfM4dnhcv4Rrd8dHo7n1tP0K62NkQcqvx0ZHwESJPuuVOnVWHZkJBmP-hwqc6SfypheIJedNxNQ5RFM-AdyRX1iEex7/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_9%25282%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1008" data-original-width="1564" height="206" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMT6SqMdQNJ7yZPW8IiwK9bfuzu3KBtv31E2uHw_pL1IWTSH9ZZUfM4dnhcv4Rrd8dHo7n1tP0K62NkQcqvx0ZHwESJPuuVOnVWHZkJBmP-hwqc6SfypheIJedNxNQ5RFM-AdyRX1iEex7/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_9%25282%2529.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEismg8sowjHQYV2bJ8RFJPyHcTob-W97I8b7mCOTPXceS1V0tJ5_UoOjUASPFTmXy84QpozZo0AKhDTkU1RflLSpiTphkdVxxH1LN8RjAzsKWwN6DENVxYKssYd9rB4hnqBOL4n4kg2HKif/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="576" data-original-width="1448" height="127" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEismg8sowjHQYV2bJ8RFJPyHcTob-W97I8b7mCOTPXceS1V0tJ5_UoOjUASPFTmXy84QpozZo0AKhDTkU1RflLSpiTphkdVxxH1LN8RjAzsKWwN6DENVxYKssYd9rB4hnqBOL4n4kg2HKif/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-wN9yymW3Xsv0aTfixrD8bz0_39igD78-Sf5jt-RXH6ih5bn1ZsXy6Xdbb4aXHxhmVry2fvLY4UddLyCA0yV4X39Kkw3sQ6MbAYqWjSi08o3SltKXbUobx6HRsgucQHivkK1mIJpfBYbL/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10%25282%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="736" data-original-width="1472" height="160" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-wN9yymW3Xsv0aTfixrD8bz0_39igD78-Sf5jt-RXH6ih5bn1ZsXy6Xdbb4aXHxhmVry2fvLY4UddLyCA0yV4X39Kkw3sQ6MbAYqWjSi08o3SltKXbUobx6HRsgucQHivkK1mIJpfBYbL/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10%25282%2529.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhVXwrARqmt7UHV2ipOwbrZLb0UKVHLjDY4LIWl6ofmSzAnKF8oPdZO5YFMeQuiaLSZBbnUlY3rXC8B-RH2t2GcceCFWzQXjpRsi2qGzc8wKM6QfDeoHkgEJDgc4jzp6lBGbxGgHF-1Ysbq/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10%25283%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="748" data-original-width="1500" height="159" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhVXwrARqmt7UHV2ipOwbrZLb0UKVHLjDY4LIWl6ofmSzAnKF8oPdZO5YFMeQuiaLSZBbnUlY3rXC8B-RH2t2GcceCFWzQXjpRsi2qGzc8wKM6QfDeoHkgEJDgc4jzp6lBGbxGgHF-1Ysbq/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_10%25283%2529.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgl-gOiq3eAS0GrznaK0eG3wB32e1C4sczhQyd0tMrA-MJqkMoBZHSiArZ3E27CeucRABHt5yioqKpLIxtlcjx_fQ2mMLBzCdsiMN3qVKXlhNt7yDwsdb3pB0Fz4fmtXQ05H2a4Qxc3aNwY/s1600/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_13.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1100" data-original-width="1944" height="181" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgl-gOiq3eAS0GrznaK0eG3wB32e1C4sczhQyd0tMrA-MJqkMoBZHSiArZ3E27CeucRABHt5yioqKpLIxtlcjx_fQ2mMLBzCdsiMN3qVKXlhNt7yDwsdb3pB0Fz4fmtXQ05H2a4Qxc3aNwY/s1600-rw/New+Doc+2019-08-26+10.47.28_13.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhW4_gIM_-ePwCs5-cmv4Foy2sbhIt4vmtycpzHBpe2KNFes4kuEqeFsB01fap-q6A9WHol_X8cTOQ0UCC4XnRad-vFhEX9Th17U8ePqxoCgL7uUojwh8xbiWHGEwyDCeHyhaj8X4oEZZcd/s1600/IMG_20190828_093316.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="732" data-original-width="1644" height="142" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhW4_gIM_-ePwCs5-cmv4Foy2sbhIt4vmtycpzHBpe2KNFes4kuEqeFsB01fap-q6A9WHol_X8cTOQ0UCC4XnRad-vFhEX9Th17U8ePqxoCgL7uUojwh8xbiWHGEwyDCeHyhaj8X4oEZZcd/s1600-rw/IMG_20190828_093316.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjI47S26Cv4kYeXwYZRbYbrDH1t-tZIfUDORF5OQviuYv16hyyQWmttSsoGhef0A2tl777aPfjG8JMj5rqKiggXR2Vjr9195MIjG1hYmoM4RYoNWq6JdliD434Qrny7VWIYd_cTV5teOAeJ/s1600/IMG_20190828_093439.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="914" data-original-width="1680" height="174" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjI47S26Cv4kYeXwYZRbYbrDH1t-tZIfUDORF5OQviuYv16hyyQWmttSsoGhef0A2tl777aPfjG8JMj5rqKiggXR2Vjr9195MIjG1hYmoM4RYoNWq6JdliD434Qrny7VWIYd_cTV5teOAeJ/s1600-rw/IMG_20190828_093439.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

ইয়াযীদ সম্পর্কে মহানবী (ﷺ) এর ভবিষ্যৎবাণী ও ইয়াজিদের উপর লানতের বৈধ্যতা

▪ তৃতীয় শতাব্দীর এক বিখ্যাত মুহাদ্দীস ইমাম আবু ইয়া’আল(রঃ) তাঁর মুসনাদ(ভলি. ২, পেজ ৭১) সহীহ চেইনে উল্লেখ করেনঃ হযরত আবু উবায়দাহ বিন জার...

Read more »