আশুরার দিনে খাবার খাওয়ানো!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আশুরার দিন পরিবর্গকে সাধ্যমতো ভালো খাবার খাওয়ালে আগামী এক বছরের জন্য সচ্ছলতা লাভ হবে<br /><br />عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ ، أَوْسَعَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَنَتَهُ<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguJgL3r8luh2DboCPVJTDMMu_78AYepQbmFdiZQp3QN7aIZTTLDo0c6HyOBD9SEYrvTG-mvo8yfgPw2PL3rpY2tmDQ_vpfBPEikahzN6iCw89hSo0ZXl_or8BTX4gsE3m4UZgl9QExOemX/s1600/FB_IMG_1567774950380.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1584" data-original-width="1600" height="316" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEguJgL3r8luh2DboCPVJTDMMu_78AYepQbmFdiZQp3QN7aIZTTLDo0c6HyOBD9SEYrvTG-mvo8yfgPw2PL3rpY2tmDQ_vpfBPEikahzN6iCw89hSo0ZXl_or8BTX4gsE3m4UZgl9QExOemX/s320-rw/FB_IMG_1567774950380.jpg" width="320" /></a></div><br />"আশুরা দিবসে যে ব্যক্তি তার পরিবার  পরিজনের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, আল্লাহ পাক সারা বছর তার স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করে থাকেন।" সুবহানাল্লাহ<br /><br />(মু’জামু ইবনে আ’রাবী ১ম খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠা- হাদীছ ২২৫, মু’জামুল কবীর তাবরানী ৯৮৬৫, শুয়াবুল ঈমান ৩৫১৬, ফাদ্বয়েলু আওকাত ২৪৪)</div>

আশুরার দিনে খাবার খাওয়ানো!

আশুরার দিন পরিবর্গকে সাধ্যমতো ভালো খাবার খাওয়ালে আগামী এক বছরের জন্য সচ্ছলতা লাভ হবে عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ...

Read more »

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্লোগান দেওয়া পর্ব-২

ব্যক্তিগত আহবানে "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ" বলে সমস্বরে আওয়াজ তোলা অথবা মিছিলে স্লোগান দেয়া- পর্ব-২<br /> --------------------------------------------------------------------<br /> (বিদেশী লেখা থেকে অনূদিত)<br /> <br /> <b><i>অনুবাদঃ</i></b> <b><i><span style="color: #4c1130;">সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী </span></i></b><br /> <br /> ২.من طريق أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ مَالِكِ الدَّارِ، قَالَ:<br /> أَصَابَ النَّاسَ قَحْطٌ فِي زَمَنِ عُمَرَ ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اسْتَسْقِ لِأُمَّتِكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا ، فَأَتَى الرَّجُلَ فِي الْمَنَامِ فَقِيلَ لَهُ : " ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ، وَأَخْبِرْهُ أَنَّكُمْ مسْقِيُّونَ وَقُلْ لَهُ : عَلَيْكَ الْكَيْسُ ، عَلَيْكَ الْكَيْسُ "، فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ فَبَكَى عُمَرُ ثُمَّ قَالَ : يَا رَبِّ لَا آلُو إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ .<br /> <br /> আবু সালিহ থেকে বর্ণিত, মালিক আদ দার (রাহঃ) বলেন, যখন ওমর রাঃ এঁর জমানাতে দুর্ভিক্ষ হলো (খড়া) এক ব্যক্তি হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার কবর শরীফের কাছে আসলেন এবং বললেন, "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ!" আপনার উম্মতের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করুন, তারা নিশ্চয়ই ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে গেছে। অতঃপর হুজুর রাসুলুল্লাহ ﷺ ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে আসলে এবং ঐ ব্যক্তিকে বলা হলো, তুমি ওমরের কাছে যাও, তাকে সালাম দাও এবং তাকে খবর দাও যে তোমরা অচিরেই বৃষ্টিপ্রাপ্ত হবে এবং তাকে বল তাকে আরো চতুর হতে হবে, তাকে আরো চতুর হতে হবে। ঐ ব্যক্তি ওমর রাঃ এর কাছে আসলেন এবং ঐ বিষয়ে অবহিত করলেন অতঃপ ওমর রাঃ কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন, হে আমার প্রভূ! আমার সামর্থ্যের বাহিরে যা আছে তা ছাড়া আমি কোন কিছু ত্যাগ করি না।<br /> <br /> তথ্যসূত্রঃ ১.মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, ৬/৩৫৬, হাদিস নং-৩২০০২,<br /> ২.ইমাম বোখারী সংক্ষেপে তার তারিখুল কাবিরে এনেছেন, ৭/৩০৪,<br /> ৩.ইমাম বাইহাকি, দালায়েলুন নুবুয়্যাহ, ৭/৪৭,<br /> ৪.ইবনু আসাকির, তারিখ, ৪৪/৩৪৫<br /> <br /> প্রসঙ্গতঃ ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শাইবাহ যিনি ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম এবং ইমাম আবু দাউদসহ আরো বহু বিখ্যাত মুহাদ্দিসের সরাসরি ওস্তাদ তাঁর বিখ্যাত হাদিসের কিতাব এই মুসান্নাফ। এতে আমাদের আকিদা ও হানাফি মাজহাবের আমলের বহু সহিহ ও হাসান হাদিস রয়েছে।<br /> <br /> শায়খ আলবানি এই হাদিসখানার ওপরেও জুলুম করেছেন। যেমনটা তিনি আরো অনেক সহিহ হাদিসের ওপরে করেছেন।<br /> <br />  তিনি বলেছেন, যেহেতু মালিক আদ দার মজহুল বা অপরিচিত তাই এই হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ ফতহুল বারিতে ইমাম ইবনে হাজর রাহঃ মালিক আদ দার রাহঃ এঁর পরিচয় দিয়েছেন তিনি ওমর রাঃ এঁর  বায়তুল মালের উজির বলে, যেই লোক প্রিয় নবিজির ﷺ রউজা শরিফে গিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছিলেন উনার নাম উল্লেখ করেছেন হজরত বিলাল ইবনে হারিস আল মুজনি রাঃ বলে। এই হাদিসের সনদের কেউই মজহুল বা অপরিচিত নন।<br /> <br /> এক সনদে হাদিসখানা আ'মাশ রাহঃ থেকে আন আনা দ্বারা তাদলিস হয়েছে। কিন্তু ইমাম আমাশ রাহঃ দ্বিতীয় পর্যায়ের মুদাল্লিস ছিলেন তাই উনার আন আনাতে কোন সমস্যা নেই। উনার তাদলিস বর্ননা গ্রহনযোগ্য এতে ইমামগন একমত।<br /> <br /> ৩.<br /> حديث ابن عمر أنه خَدِرَت رِجْله، فقيل له: ما لِرِجْلِك؟ قال: اجتمعَ عَصَبُها. قيل له: اذْكُر أحَبَّ النَّاسِ إليك قال: يا محمدُ، فَبَسَطَها<br /> ইমাম বোখারী (রাহঃ) তার আদাবুল মুফরাদে একখানা হাদিস এনেছেন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে,  যখন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃর পায়ে ঝিঝি ধরল তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে আপনার পায়ে কী হয়েছে। তিনি বললেন, রগগুলো সব এক হয়ে গেছে (রগে টান পড়েছে), তখন তাকে বলা হলো, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ!" অতঃপর পা বিছিয়ে দিলেন। (আদাবুল মুফরাদ,  ইমাম বোখারী, হাদিস নংঃ ৯৬৪ অথবা ৯৭৫ এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খেয়ানত করেছে। আদাবুল মুফরাদের মূল কয়েকটি আরবি নুসখাতে ইয়া মুহাম্মাদ বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে ইয়া কেটে দিয়ে শুধু মুহাম্মদ বলা হয়েছে। এটা ইলমি আমানতের খেয়ানত)<br /> <br /> ৪. ইমাম নববী রাহঃ তার বিখ্যাত সহিহ মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাতে এবং কিতাবুল আজকারেও  বর্ননা করেছেন, সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃর সামনে কিছু মানুষ বসেছিলেন। হঠাৎ একজনের পায়ে ঝি ঝি ধরলে,  একজন সাহাবি বললেন, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মাদﷺ! সাথে সাথে ভাল হয়ে গেলেন। এরকম আরো বহু আসার সাহাবাগন থেকে বর্ণিত হয়েছে। (আল আজকার,  দারুল কিতাব আল আরাবি, বৈরুত লেবানন, পৃষ্ঠা নং-২৭১)<br /> <br /> ৫. আল্লামা শাহাবুদ্দিন খাফজি মিসরি রাহঃ তার বিখ্যাত শিফা শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাসিমুর রিয়াদে উল্লেখ করেন, এটা মদীনাবাসীদের একটা সাধারণ চর্চিত রীতি ছিল। মদীনাবাসীরা বিপদে ও দুঃখ কষ্টে  ইয়া মুহাম্মাদ বলে আহবান করতেন। (নাসিমুর রিয়াদ, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-৫৫)<br /> <br /> ৬.উম্মুল মুমিনিন সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন,  হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন জিবরিল আলাইহিস সালাম প্রথম ওহী নিয়ে আসলেন, গাছ-বৃক্ষ পাথর সকলেই বলতে লাগল আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।<br /> (মাজমাউজ জাওয়াইদ, খন্ড নং-৮, পৃষ্ঠা নং-২৬০)<br /> <br /> ৭.মুসলিম শরিফের সহিহ হাদিসে এসেছে যে, হিজরতের দীর্ঘ হাদিসে বলা হচ্ছে, হজরত বারা ইবনে আজিব রাঃ বর্ননা করেছেন, যখন হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতুল মুনাওয়ারাতে প্রবেশ করলেন তখন,<br /> <br /> فصعد الرجال والنساء فوق البيوت وتفرق الغلمان والخدم فى الطرق ينادون يا محمد يا رسول الله يا محمد يا رسول الله<br /> নারী পুরুষ সবাই ছাদের ওপরে ওঠে গেল, শিশু ও দাসদাদীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে লাগল, ইয়া মুহাম্মাদﷺ ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সহিহ মুসলিম,  খন্ড, ১৯, পৃষ্ঠা নং-১১২, হাদিস নং ৭৭০৭)<br /> <br /> (চলবে ইন শা আল্লাহ)

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্লোগান দেওয়া পর্ব-২

ব্যক্তিগত আহবানে "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ" বলে সমস্বরে আওয়াজ তোলা অথবা মিছিলে স্লোগান দেয়া- পর্ব-২ ------------------------------------...

Read more »

বিষয়ঃ- আশুরার দিনের আমল ও আশুরার দিনের বদরুছম

<p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">💠 </span><span style="font-size:1.00em;"><b>বিষয়ঃ-</b></span><span style="font-size:1.00em;"> </span><span style="font-size:1.00em;"><b>আশুরার দিনের আমল</b></span><b> ও </b><span style="font-size:1.00em;"><b>আশুরার দিনের বদরুছম</b></span><br> <span style="font-size:1.00em;">সংগ্রহঃ- পারের তরী।</span><br> <span style="font-size:1.00em;">✍ লেখকঃ- আবদে রাসুল (ﷺ) আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী, ক্বদেরী। খলিফায়ে, খানদানে আলা হযরত ইউ.পি ভারত। </span><br> প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকঃ- জামি'আ-এ ইলমে মদিনা। <br> <span style="font-size:1.00em;">রেজভীয়া দরগাহ শরীফ, সতরশ্রী, নেত্রকোনা। </span><br></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">✔ এ দিনের আমল অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা আশুরার দিনে রোযা রাখ এবং এতে ইয়াহুদীদের বিপরীত করতে এ দিনের পূর্বে এবং পরেও একদিন রোযা রাখ। (বায়হাক্বী)</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">অর্থাৎ ৯, ১০ ও ১১ মুহাররম রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে।</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">🔲 হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ফরমান- আল্লাহ'র নিকট আমি আশা করি যে, আশুরার রোযা বিগত বছরের গুনাহকে মিটিয়ে দিবে। (মুসলিম শরীফ)</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">🔳 হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, জাহেলী যুগে কুরাইশরা আশুরার রোযা রাখত এবং রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নবুওয়্যাত ঘোষনা করার পূর্বে এ দিনে রোযা রাখতেন। এমনকি হিজরতের পরেও মদিনা মুনাওয়ারায় তিনি আশুরার রোযা রাখতেন এবং অন্যদের রাখতে বলতেন। আর এটা এমন দিন ছিল যাতে খানায়ে কা'বায় গিলাপ চড়ানো হত। কিন্তু যখন রমদ্বানের রোযা ফরজ করা হয়েছে তখন তিনি আশুরার রোযা (ফরজ হিসাবে) রাখা ছেড়ে দিলেন। আর তা ইচ্ছাধীন করে দিলেন যে, - যে চাইবে রাখবে, যে চাইবে না রাখবে না। (বুখারী ও মুসলিম)</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">🔳 নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আশুরার দিন স্বীয় পরিবারের জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করবে, আল্লাহ তাঁকে পূর্ণ বছর সচ্ছলতা দান করবেন। (বায়হাক্বী) </span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">আল্লাহ পাক আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুক।(আমিন)</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">✔ আশুরার দিনের বদরুছম</span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এ যে, এ মুবারক মাসে প্রত্যেক মুসলমান বিদ'আত, বদরুছম, গুনাহ ও অন্যায় কাজে সচরাচর নিমজ্জিত রয়েছে। শহরে বন্দরে, গ্রাম-গঞ্জে মহিলারা সুসজ্জিত হয়ে স্বীয় ঘর থেকে বের হচ্ছে, আর বেগানা ব্যক্তিদেরকে দর্শনের আমন্ত্রণ করছে এবং নিজেও বেগানা পুরুষদেরকে দেখছে- এগুলো কিন্তু সাধারণ গুনাহ নয়। এতে দুঃখের বিষয় এটাও যে, এর দ্বারা তাদের স্বীয় সতীত্বের আচল উন্মোক্ত করা হয় এবং এতে অমুসলিমদের কাছে ইসলামকে উপহাস পরিণত করা হয়।(নাউজুবিল্লাহ) </span></p> <p dir="ltr"><span style="font-size:1.00em;">মুসলমানদের উচিৎ হচ্ছে যে, শিয়া-রাফেযীদের অনুসরণ থেকে নিজেরা বাঁচবে এবং স্বীয় স্ত্রী সন্তানদেরকে রক্ষা করবে। শিয়াদের আলম বা বিশেষ পতাকা তখত ও তাজিয়ার সাথে ইসলামের তথা আহলুস সুন্নাতের কোন সম্পর্ক নেই। আর না আছে দ্বীনের মধ্যে এর কোন আছল বা ভিত্তি। এতে বাজনাসহ যাবতীয় কর্মসমূহ ইয়াযীদী কর্ম এবং কবীরা গুনাহ। তবে হ্যাঁ, নজর ও নিয়ায আল্লাহ তা'আলার দরবারে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয়। খুব ভাল ভাবে "ঈসালে ছাওয়াব" করবে, মৃত আপনজন বিশেষত শুহাদায়ে কারবালা এবং অন্যান্য বুযুর্গানে দ্বীনকে এর ছাওয়াব হাদিয়া করবে। কেননা এতে অধিক পরিমানে ছাওয়াব রয়েছে। যে ব্যক্তি ঈসালে ছাওয়াব করবে, সে দশগুণ বেশি ছাওয়াব পাবে। (সূফী ইকবাল আহমদ নূরী)</span></p>

বিষয়ঃ- আশুরার দিনের আমল ও আশুরার দিনের বদরুছম

💠 বিষয়ঃ- আশুরার দিনের আমল ও আশুরার দিনের বদরুছম সংগ্রহঃ- পারের তরী। ✍ লেখকঃ- আবদে রাসুল (ﷺ) আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী, ক্...

Read more »

কারবালার সেই হত্যাকাণ্ডে কি ইয়াজিদ দায়ী নয়? আহলে বাইত কারা?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> ▪কারবালার সেই হত্যাকাণ্ডে কি ইয়াজিদ দায়ী নয়? </div> <div style="text-align: justify;"> ▪জেনে রাখুন আহলে বাইত কারা? </div> <div style="text-align: justify;"> ➖➖➖➖ ✍️ ইমরান বিন বদরী</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহপাক রব্বুল আ’লামীনের দরবারে, যিনি অসংখ্য মাখলূকাতের মধ্যে একমাত্র মানব জাতিকে তথা মানুষকে “আশরাফুল মাখলূকাত” অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দান করেছেন। সালাত ও সালাম  হাবীবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ইয়াজিদের পরিচয় আশাকরি সবার যানা আছে। নতুন করে পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনেহয় না। ইতিহাসে নির্মম কালো অধ্যায় রচনাকারী এই কুখ্যাত ইয়াজিদ। পৃথিবীতে কুখ্যাতি জন্য যে সকল লোক ধিকৃত, ইয়াজিদ তাদের অন্যতম। 'ইয়াজিদ' এমনই একটি কলঙ্কিত নাম যাকে আজো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অভিসম্পাত করে থাকেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজও আমাদের মাঝে তার কিছু অনুসারীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। তারা হয়তো জানেওনা যে তাদের ভালবাসার মানুষটির সাথেই কাল হাশর হবেন। আমরা জান্নাতের সরদার ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর সাথে হাশরের মাঠে উপস্থিত হতে চাই বলেই আমার এই লেখা। ইয়াজিদকে ভালোবেসে তার সাথে হাশর হোক তা আমি চাইনা। </div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> মহররম মাস আসলেই আমাদের মাঝে স্পষ্ট হয় ইয়াজিদী আর হোসাইনিদের পার্থক্য। ইসলামে দুটি গোত্রের স্পষ্টতা রয়েছে শিয়া আর সুন্নি। অনেকে মডার্ন মুসলিম সেজে অস্বীকার করেন যে  ইসলামে এসব আবার কি? বিষয়টি খুবি কঠিন এবং গভীর চিন্তাভাবনার দাবী রাখেন। কথার উপর শিয়া সুন্নি এসব ইসলামকে ভাগ করার পায়তারামাত্র বলে উড়িয়ে দিলে সত্য মিথ্যার পার্থক্য কিন্তু আপনার নজরে স্পষ্ট হবেনা কোনদিন। </div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> আমি শিয়াদের ব্যপারে বলতে চাইনা, শিয়া তো শিয়াই যারা আহলে বাইতকে ভালোবাসার নামে খলিফাতুর রাসুলদেরও গালি দিতে কুণ্ঠাবোধ করেনা। সেটা ভিন্ন বিষয়। আমি আজ সেই সব ইয়াজিদি মুসলমানদের কথাই বলবো যারা আহলে বাইতকে বেশুমার ভালোবাসার মাফকাঠিকে সীমাবদ্ধতায় নিয়ে এসে ইয়াজিদকে রাহিমাহুল্লাহ বলতে মরিয়া। যারা আজ ইয়াজিদের ভালবাসায় বিভোর।</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> আসুন মুল কথায় আসি। ইয়াজিদ সম্পর্কে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে আহলে বাইত কারা এবং তাদের মর্যাদা কি, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা চাই। অন্যথায় এসব সুক্ষ বিষয়টি সহজে কারো বোধগম্য হবেনা। সেদিন সপরিবারে কারবালার প্রান্তে যার পরোক্ষ নির্দেশে আহলে বাইতদেরকে শহীদ করা হয় তার প্রতি এতো দরদ দেখে কি মনে  প্রশ্ন জাগেনা! এখনো ইয়াজিদীরা অর্থাৎ ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর বিপক্ষে তলোয়ার চালানো লোকের অনুসারীরা আমাদের সমাজে বিদ্যমান!</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ইয়াজিদের সমস্ত অপরাধকে ভালোবাসাযুক্ত দেখে কারবালারমত এতোবড় ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকরণ কেন?  ইয়াজিদের প্রতি এতো ভালোবাসার উৎপত্তির কারণ কি? ১০ ই মহররম কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার সময় সে কি সিরিয়ার মসনদে আসীন ছিলোনা! কুফার তথা বর্তমান ইরাকের ইবনে জিয়াদ কার হুকুমে কারবালার প্রান্তরে গিয়েছিল? এতোবড় মর্মান্তিক একটা ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা মনে করার কারণ কি? এসব প্রশ্নগুলি আজ আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে।</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> কোন মুমিন বান্দা ইয়াজিদকে ভালো বাসতে পারেনা। ভালোবাসার তো কোন প্রশ্নেই আসেনা। সেতো ঘৃণির। তার প্রতি যে ঘৃণার কারণে আজ পর্যন্ত কোন মুসলমান ইয়াজিদ নামটিও তার সন্তানের জন্য উপযুক্ত মনে করেনাই। যে ব্যক্তি মুহাম্মদি ধর্মকে অবজ্ঞা করে ইসাঈ চিন্তা চেতনায় মদ এর মত নিষিদ্ধ পানীয়কে হালাম মনে করে তার প্রতি এতো দরদ কি মুসলমান হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ নয়!? </div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ইয়াজিদ যদি অপরাধের নির্দেশনা না দিতেন তো হজরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর মস্তকহীন দেহ রেখে মস্তক মুবারক কেন সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ইয়াজিদ যদি আহলে বাইতের প্রতি এতোই দরদি ছিলো তো লাঠি আঘাত কেন শহীদ হওয়া ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মুখের উপর করেছিলো। ইয়াজিদ যদি এতো আহলে বাইতের হত্যার নির্দেশ না দিতেন তো কারবালার নির্মম ঘটনার পরবর্তীতে এমন অমানুষিক কর্মকাণ্ডের কেসাস কেন নেয়নি। কারবালার ঘটনার প্রত্যক্ষ নায়ক ইবনে জিয়াদ আর শিমার তো কারবালার পরবর্তীতে বহাল তবিয়তে ছিলো। ইয়াজিদ যদি এতোই ধার্মিক হতো তো মদিনার মতো পবিত্র স্থানে এভাবে সাহাবীদের অর্থাৎ মদিনাবাসীদের নির্যাতন কিভাবে করেছে? মদিনা শরীফে তিনদিন মসজিদে নববীতে আজান পর্যন্ত হয়নি ইয়াজিদিদের আক্রমণে। মক্কায় হামলা করে কাবা শরীফের গিলাফে আগুন লাগাতে পারতোনা।</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> এর পরেও অনেকে ইয়াজিদকে জান্নাতি বানানোর জন্য তার পিতা হজরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সময়ে ইয়াজিদও নাকি বর্তমান তুর্কীতে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো। বেশ ভালোকথা, হাদিস শরীফ অনুযায়ী সে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা জান্নাতি। ইয়াজিদ ভক্তদের যুক্তি হচ্ছে সে হিসেবে ইয়াজিদও জান্নাতি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ব্যক্তি যদি লাইলাতুলকদর রাতে ইবাদত করে বা আশুরার রোজা রাখে বা আরাফার দিন রোজা রেখে মানুষ হত্যা করেন, তবে কি সে হত্যাকারী ব্যক্তিও আল্লাহ দরবারে তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা পাবেন? কারণ কদর রাতে ইবাদত করা মানে তো হাজার বছরের ইবাদতের সমান, আশুরা রোজা, আরাফার দিনের রোজার ফজিলত কিন্তু আগে পরের একটি বছরের গুনাহ মাফের কথা বলা হয়েছে। </div> <div style="text-align: justify;"> তাই যদি হয় তো ইসলামে হত্যার বদলে হত্যার হুকুমের কি হবে? ইয়াজিদের ব্যাপারটিও কি ঠিক সে রকম নয়? যে একদিকে জান্নাতি দলের সাথে যুদ্ধে গমন অন্যদিকে জান্নাতের সরদারকে সপরিবারে কারবালার প্রান্তরে শহীদ করে দেওয়া!! এটা কিভাবে সম্ভব? ইয়াজিদের রাষ্ট্রে এতোবড় হত্যাকাণ্ড আর ইয়াজিদ অবগত নয় এটাও কি বিশ্বাস করতে হবে আমাদের? </div> <div style="text-align: justify;"> অল্প বয়সে মারা যাওয়া ইয়াজিদেই ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক।</div> <br /> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  এবার আসুন ইয়াজিদের অপরাধ বুঝতে হলে আহলে বাইতের প্রতি একজন মুসলমানের কতটুকু ভালোবাসা থাকা চাই সে বিষয়ে আলোকপাত করি।</div> <div style="text-align: justify;"> যে ভালোবাসার ঘাটতি থাকায় আজ ইয়াজিদের প্রেমে বিভোর আমাদের কিছু ভাই! ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছে কারবালার ঘটনায় ইয়াজিদের কোন হাত ছিলনা।অথচ যার নেতৃত্বে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড হয়েছিল সেই ইবনে জিয়াদকে কুফায় গভর্নর হিসেবে ইয়াজিদেই নিযুক্ত করেছিল। ইমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু আনহুর চাচাত ভাই হজরত মুসলিম বিন আকিলকে হত্যাকরা  থেকে শুরু করে কারবালা পর্যন্ত সমস্ত কাজ ইয়াজিদ সুক্ষভাবে তাকে দিয়েই সমাধান করিয়েছিলো। ইয়াজিদ নাকি ইবনে জিয়াদকে ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে তার উপর বায়াতের জন্য হুকুম দিয়েছিল হত্যার জন্য নয়! দেখুন কিভাবে ইতিহাস বিকৃত করে ইয়াজিদকে রক্ষার মিশনে নেমেছে আজ মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা। আশ্চর্য!!</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ➡ আসুন সূরা আশ-শুরার ২৩ নং আয়াত নিয়ে একটু আলোচনা করি আহলে বাইতের মর্যাদা নিয়ে। পূর্ববর্তী আয়াতে অর্থাৎ ২২ নং আয়াতে কাফিরদের ভয় দেখিয়ে আল্লাহপাক মুমিনদের সুসংবাদ স্বরূপ বলেন,</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> قُل لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى</div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> অর্থাৎ: হে হাবীব আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট দাওয়াত পালনের (নবুয়ত) জন্য কোনো প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজনদের (তথা আহলে বাইত) প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” </div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;"> উপরোক্ত আয়াতটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাফসীরে এসেছে ঠিক এভাবে - </div> <div style="text-align: justify;"> لا اسئلكم اجرا الا ان تودوا اقربائى واهل بيتى وعترتى وذلك لانه صلى الله عليه وسلم كان خاتم النبين لا نبى بعده.</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয় তথা আহলে বাইত ও বংশধর উনাদের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব আদায় করবে। কেননা, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি হচ্ছেন শেষ নবী। উনার পরে কোনো নবী নেই। (তাফসীরে মাজহারী)</div> <br /> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  অন্যত্রে আল্লাহ পাকে এরশাদ করেন, </div> <div style="text-align: justify;"> اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّزْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًأ</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> অর্থাৎ; "হে নবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ! আল্লাহ্  তো এটাই চান যে, তিনি তোমাদের থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করে দিবেন এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরুপে পূতঃ পবিত্র রাখবেন।"  </div> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> সত্যিকার অর্থে আহলে বাইতের সম্মান অনেক ঊর্ধ্বে।</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  হজরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> لما نزلت هذه الاية فقل تعالوا ندع ابناءنا وابناءكم دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم عليا وفاطمة وحسنا وحسينا فقال اللهم هؤلاء اهل بيتى. যখন ندع ابناءنا وابناءكم الاية </div> <div style="text-align: justify;"> (আসো আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানগণকে ও তোমাদের সন্তানগণকে) আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন রাসুলেপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম ও হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদেরকে ডাকলেন এবং বললেন, আয় আল্লাহ পাক! এরা সকলে আমার আহলে বাইত।” (মুসলিম শরীফ)</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ⬇️ নিন্মে আরো কয়েকটি হাদিসে রাসুল (দরুদপাঠ) উল্লেখ করছি।</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  হজরত বারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> رايت النبى صلى الله عليه وسلم والحسن بن على على عاتقه يقول اللهم انى احبه فاحبه</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> অর্থাৎ ; আমি রাসুলেপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যে, তিনি হাসান ইবনে আলী'কে নিজের কাঁধের উপর রেখে বলছেন: হে আল্লাহ পাক! আমি একে মুহব্বত করি, আপনিও একে মুহব্বত করুন।” (মুত্তাফাকুন আলাইহি)</div> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, </div> <div style="text-align: justify;"> رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم فى حجته يوم عرفة وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول يا ايها الناس انى تركت فيكم ما ان اخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتى اهل بيتى</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ ; আমি নবীয়েপাক সল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজ্জের সময় আরাফাতের দিন ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার অবস্থায় খুতবা দান করছেন। আমি শুনেছি, তিনি খুতবায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্তভাবে ধরে রাখো, তবে কখনো গোমরাহ হবেনা। তা হলো আল্লাহ পাকের কিতাব ও আমার ইতরত বা আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম। (তিরমিযী শরীফ)</div> <br /> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  হযরত জায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لعلى رضى الله تعالى عنه وفاطمة عليها السلام والحسن عليه السلام والحسين عليه السلام انا حرب لـمن حاربهم وسلم لـمن سالـمهم.</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ ; নিশ্চয়ই রসূলেপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সম্পর্কে বলেছেন, যারা উনাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে, আমি তাদের শত্রু। পক্ষান্তরে যে উনাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে,আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করবো। (তিরমিযী শরীফ)</div> <br /> <div dir="ltr"> </div> <div style="text-align: justify;">  হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, </div> <div style="text-align: justify;"> قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحسن عليه السلام والحسين عليه السلام سيدا شباب اهل الجنة.</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ ; রাসুলেপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হাসান ও হুসাইন তারা দুজনই জান্নাতী যুবকগণের সাইয়্যিদ ( সরদার) । (তিরমিযী)</div> <br /> <div dir="ltr" style="text-align: justify;"> ➡ এবার আপনিই ভেবে দেখুন সেই আহলে বাইতের হত্যাকারীর প্রতি আপনার কেমন ধারণা হওয়া চাই।</div> </div>

কারবালার সেই হত্যাকাণ্ডে কি ইয়াজিদ দায়ী নয়? আহলে বাইত কারা?

▪কারবালার সেই হত্যাকাণ্ডে কি ইয়াজিদ দায়ী নয়?  ▪জেনে রাখুন আহলে বাইত কারা?  ➖➖➖➖ ✍️ ইমরান বিন বদরী সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহপাক র...

Read more »

আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী সাহেব হুজুরের, (লিখিত কিছু কিতাব)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div align="left"> <div dir="ltr"> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; font-size: 20px;"> <div 0px="" 14px="" 20px="" 700="" baseline="" class="entry-content clr" font-size:="" font-stretch:="" font-weight:="" inherit="" itemprop="text" line-height:="" margin:="" open="" outline:="" padding:="" sans-serif="" sans="" style="background-color: white; border: 0px; box-sizing: border-box; font-size: medium;" vertical-align:=""> <div class="elementor elementor-3656 elementor-bc-flex-widget" data-elementor-id="3656" data-elementor-settings="[]" data-elementor-type="post" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-inner" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-section-wrap" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <section class="elementor-element elementor-element-4d7ea513 elementor-section-boxed elementor-section-height-default elementor-section-height-default elementor-section elementor-top-section" data-element_type="section" data-id="4d7ea513" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"><div class="elementor-container elementor-column-gap-default" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px auto; max-width: 1140px; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-row" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"> <div class="elementor-element elementor-element-20070d30 elementor-column elementor-col-100 elementor-top-column" data-element_type="column" data-id="20070d30" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; min-height: 1px; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"> <div class="elementor-column-wrap elementor-element-populated" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: flex; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 10px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 353.688px;"> <div class="elementor-widget-wrap" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 333.688px;"> <div class="elementor-element elementor-element-7cfc6130 elementor-position-left elementor-vertical-align-middle elementor-widget elementor-widget-image-box" data-element_type="widget" data-id="7cfc6130" data-widget_type="image-box.default" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; width: 333.688px; z-index: 0;"> <div class="elementor-widget-container" style="border: 0px; box-shadow: rgba(0, 0, 0, 0.5) 0px 0px 16px 3px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; transition: all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s, all 0.3s ease 0s; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-image-box-wrapper" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; text-align: center; vertical-align: baseline;"> <div style="color: #020202; font-size: 14px; font-weight: inherit;"> <br /></div> <ul style="font-family: sans-serif; line-height: 1.4; margin: 0.5em 0px; padding: 0px 2.5em; text-align: start;"> <li><span style="font-size: large; font-style: inherit; font-variant-caps: inherit; font-variant-ligatures: inherit; font-weight: bolder;"><span style="color: red;"><span 0px="" 252="" arial="" background-color:="" baseline="" border:="" font-style:="" helvetica="" inherit="" margin:="" neue="" outline:="" padding:="" rgb="" sans-serif="" style="border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;" vertical-align:=""><span style="color: red; font-size: medium;"><a href="http://sdfile.esy.es/Saddam/Book/islahe%20%20bahisti%20jior%201.pdf" rel="nofollow" style="border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;" title="Link: http://sdfile.esy.es/Saddam/Book/islahe%20%20bahisti%20jior%201.pdf"><img alt="" loading="lazy" src="https://www.sunniduniya.in/uploads/editor/5d/ctq2euxwfo1i.gif" style="border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; height: auto; margin: 0px; max-width: 100%; outline: 0px; padding: 0px; position: relative; transition: all 0.2s ease-out 0s; vertical-align: baseline;" title="Image: http://www.sunniduniya.in/uploads/editor/5d/ctq2euxwfo1i.gif" /></a></span></span>ইসলামিক PDF লাইব্রেরী</span></span></li> <li style="font-weight: inherit; margin: 0px 0px 0.25em; padding: 0px;"><span style="font-weight: bolder;"><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/p/pdf-founded-by-masum-billah-sunny-click.html?m=1" style="background-color: transparent;"><span style="background-color: black; color: yellow; font-size: large;">লেখকভিত্তিক কিতাব</span></a></span></li> <li style="font-weight: inherit; margin: 0px 0px 0.25em; padding: 0px;"><a href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/p/blog-page_70.html?m=1" style="background-color: transparent;"><span style="font-weight: bolder;"><span style="background-color: black; color: yellow; font-size: large;">বিষয়ভিত্তিক কিতাব</span></span></a></li> </ul> <div style="color: #020202; font-size: 14px; font-weight: inherit;"> </div> <br /><div style="color: #020202; font-size: 14px; font-weight: inherit;"> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </section><div style="color: #020202; font-size: 14px; font-weight: inherit;"> </div> </div> </div> </div> </div> <div 0px="" 20px="" 700="" baseline="" class="entry-content clr" font-stretch:="" font-weight:="" inherit="" itemprop="text" line-height:="" margin:="" open="" outline:="" padding:="" sans-serif="" sans="" style="background-color: white; border: 0px; box-sizing: border-box; color: #020202; font-size: medium;" vertical-align:=""> <div class="elementor elementor-3656 elementor-bc-flex-widget" data-elementor-id="3656" data-elementor-settings="[]" data-elementor-type="post" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-inner" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <div class="elementor-section-wrap" style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-stretch: inherit; font-style: inherit; font-variant: inherit; font-weight: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <div style="font-size: 14px;"> </div> </div> </div> </div> </div> </div> <b>✍ লেখকঃ- আবদে রাসুল (ﷺ) মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী হানাফী, ক্বদেরী। খলিফায়ে, খানদানে আলা হযরত ইউ.পি ভারত। (লিখিত কিছু কিতাব) </b></div> </div> <div dir="ltr"> <b>প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকঃ- জামি'আ-এ ইলমে মদিনা। </b></div> <div dir="ltr"> <b>রেজভীয়া দরগাহ শরীফ, সতরশ্রী, নেত্রকোনা। </b></div> <div dir="ltr"> <b>১) <a href="https://www.mediafire.com/download/qhad2w5uvft5xxq">মানবরূপে নূর নবী (ﷺ).pdf</a></b></div> <div dir="ltr"> <b>২) <a href="https://www.mediafire.com/download/s4s4dafx5iaqmfw">ফাতাওয়ায়ে রাবিয়া ২য় ও ৩য় খন্ড (হিদায়াত ও কুফরিয়াত).pdf</a> </b></div> <div dir="ltr"> <b>৩) <a href="https://www.mediafire.com/download/aahgt1l3lcpb4iy">ফাতাওয়ায়ে রাবিয়া ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম খন্ড।(সুন্নাতের পরিচয় সহ টুপি পাগরীর বিধান).pdf</a> </b></div> <div dir="ltr"> <b>৪) <a href="https://www.mediafire.com/download/w95pqvslx0c2ppa">ফাতাওয়ায়ে  রাবিয়া ৯ম ও ১০ম খন্ড।(মিসওয়াক ও ব্রাশের বিধান) </a></b></div> <div dir="ltr"> <b>৫) <a href="https://www.mediafire.com/download/0g51tz3srdrh5f6">ফাতাওয়ায়ে রাবিয়া ১১ ও ১২ খন্ড।(মিহরাব ও মিম্বারের বিধান).pdf</a> </b></div> <div dir="ltr"> <b>৬) <a href="https://www.mediafire.com/download/azv5k64998459a6">ফাতাওয়ায়ে রাবিয়া ১৩ ও ১৪ খন্ড।(মাইকযোগে আজান ও নামাজ).pdf</a></b></div> <div dir="ltr"> <b>৭) <a href="https://www.mediafire.com/download/hvbi6crdn1ar6bv">রেজভী তাহক্বীকাত (রেজভীয়তের পরিচয়).pdf</a></b></div> <div dir="ltr"> <b>৮) <a href="https://www.mediafire.com/download/jy4lqmvvler7tc9">রিয়াদ্বুন নাজাত বা মুক্তি সাধনা.pdf</a></b></div> </div>

 আল্লামা মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী সাহেব হুজুরের, (লিখিত কিছু কিতাব) 

ইসলামিক PDF লাইব্রেরী লেখকভিত্তিক কিতাব বিষয়ভিত্তিক কিতাব ✍ লেখকঃ- আবদে রাসুল (ﷺ) মুফতী ...

Read more »