দাড়ি রাখা, আমাদের ধারণা ও ইসলামিক বিধান

<div><b><i><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtFpNairZ8zm99tUFAtsKHR99BPYHo5EBagbo1aUaMyfFLnNVmpBqR7uiNfM4I-w6kgfQyXUMS0aESwLAkl07hhQiG3lBhb9GQD_qNEbZ5exB_4e_NGGhu78g2Vht94eY32wLjlogeykw/s1600/IMG_20190903_190912.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="398" data-original-width="412" height="309" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtFpNairZ8zm99tUFAtsKHR99BPYHo5EBagbo1aUaMyfFLnNVmpBqR7uiNfM4I-w6kgfQyXUMS0aESwLAkl07hhQiG3lBhb9GQD_qNEbZ5exB_4e_NGGhu78g2Vht94eY32wLjlogeykw/s1600-rw/IMG_20190903_190912.jpg" width="320"></a></div><br></i></b></div><div><b><i>দাড়ি রাখা, আমাদের ধারণা ও ইসলামিক বিধান</i></b></div><div><br></div><div><br></div><div>দাড়ি রাখা সম্পর্কে আমাদের একটি ধারনা রয়েছে, সেটা হলো ”দাড়ি রাখা সুন্নাত, অতএব দাড়ি রাখলে ভালো আর না রাখলে তেমন কোনো সমস্যা নেই, একটা সুন্নাত পালন করা হলো না, এই আর কি।” জেনে রাখুন, এটা সম্পূর্ণই একটি ভুল ধারণা।</div><div><br></div><div>দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নাত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব, আগে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। ইসলামে শরীয়তের বিধানের প্রধান সূত্র হচ্ছে কুরআন ও রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ অর্থাৎ হাদীস। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যেসকল বিষয়ে আদেশ ও নিষেধসূচক শব্দমালা ব্যবহার করেছেন, তা পালন করা আমাদের জন্য ফরজ। আশা করি বিষয়টি সকলের কাছেই পরিষ্কার অর্থাৎ বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়। এবার আসুন, দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নাত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব, সেটা জানার ও বুঝার চেষ্টা করি।</div><div><br></div><div><br></div><div>আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে রাসূল ﷺ এর নির্দেশ মেনে চলার জন্য আমাদের বলেছেন। তার মানে হলো, রাসূল ﷺ যে সকল বিষয়ে আমাদেরআদেশ ও নিষেধ করেছেন, তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরয ওয়াজিব । কুরআনের আয়াতগুলো এখানে দেওয়া হলো-</div><div><br></div><div>”রাসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মতো গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।” [সূরাহ আন-নুর (২৪):৬৩]</div><div><br></div><div>”আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়।” [সূরাহ আল-ইমরান (৩):১৩২]</div><div><br></div><div>”যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তাহলে আমাকে (মুহাম্মাদ ﷺ) অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালোবাসেন।” [সূরাহ আল-ইমরান (৩):৩১]</div><div><br></div><div>”হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।” [সূরাহ আল-আনফাল (৪৮):২০]</div><div><br></div><div>”আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” [সূরাহ আল-আহযাব (৩৩):৩৬]</div><div><br></div><div>”বলুন আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রাসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেওয়া।” [সূরাহ আন-নূর (২৪):৫৪]</div><div><br></div><div>”রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সূরাহ আল-হাশর (৫৯): ৭]</div><div><br></div><div><b><i>দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসূল ﷺ এর নির্দেশ-</i></b></div><div><br></div><div>ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) সূত্রে নবী ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে। দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে।” (সহিহ বুখারী, নবম খণ্ড, হাদীস নং – ৫৪৭২, ইফা)</div><div>তাহলে বুঝা গেলো যে, শারি’আতের বিধানের দ্বিতীয় সূত্র যেহেতু হাদীস, কাজেই সেই অর্থে দাড়ি রাখা সুন্নাত। আর পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা রাসূল ﷺ এর আদেশ ও নিষেধ মেনে চলার জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই সেই অর্থে রাসূল ﷺ এর নির্দেশ মেনে চলা আমাদের জন্য ফরয। আরও একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন যে, রাসূল ﷺ জিবরাঈল (‘আলাইহিসসালাম) এর মাধ্যমে প্রাপ্ত আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নির্দেশ ব্যতিত কোনো কথা বা কাজের নির্দেশ বা নিষেধ করতেন না। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ভালো জানেন।</div><div><br></div><div>দাড়ি রাখা সম্পর্কে উলামাগনের কেউ বলেছেন যে, দাড়ি রাখা ফরয। কারণ রাসূল ﷺ আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নির্দেশ ব্যতিত কোনো কথা বলতেন না। আর তাই দাড়ি রাখার ব্যাপারে রাসূল ﷺ এর নির্দেশ মানে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলারই নির্দেশ। আবার কেউ বলেছেন যে, দাড়ি রাখা ওয়াজিব, আবার কেউ বলেছেন সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ভালো জানেন।</div><div><br></div><div>পবিত্র কুরআনে সরাসরি দাড়ি রাখার কথা বলা হয়নি। তবে হারুন (‘আলাইহিসসালাম) এর ঘটনায় দাড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। কুরআনে দাড়ি সম্পর্কিত আয়াতটি হলো – মূসা (‘আলাইহিসসালাম) তাঁর কওমের নিকট ফিরে এসে যখন দেখলেন তাঁর কওম গোমরা হয়ে গেছে, তখন তিনি হারুন (‘আলাইহিসসালাম)-কে প্রশ্ন করলেন এবং হারুন (‘আলাইহিসসালাম) জবাবে বলেন, “হে আমার মায়ের ছেলে! আমার দাড়ি ধরো না এবং আমার মাথার চুলও টেনো না।” [সূরাহ ত্বোয়া-হা (২০): ৯৪] এখানে বুঝা যাচ্ছে হারুন (‘আলাইহিসসালাম) এর দাড়ি ছিলো আর মূসা (‘আলাইহিসসালাম) তাঁর দাড়ি ধরেছিলেন।</div><div><br></div><div>আল্লাহর রাসূল ﷺ দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার, দাড়ির বিধানটি শারি’আতের একটি মৌলিক ও সাধারণ বিধান। একে নিছক আরবীয় রীতি বা বিশেষ স্থান-কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করা মারাত্মক ভ্রান্তি।</div><div><br></div><div>সব কিছু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন-</div><div><br></div><div>আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর। [সূরাহ আয-যারিয়াত (৫১): ৪৯]</div><div><br></div><div>পবিত্র তিনি, যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। [সূরাহ ইয়া সীন (৩৬): ৩৬]</div><div><br></div><div>আমি (আল্লাহ) তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি [সূরাহ আন-নাবা (৭৮): ৮]</div><div><br></div><div>উপরের আয়াতত্রয় অনুযায়ী দাড়ির মাধ্যমে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-</div><div><br></div><div><b>১) দাড়িযুক্ত মানুষ (পুরুষ) ও</b></div><div><b><br></b></div><div><b>২) দাড়িবিহীন মানুষ (মহিলা)</b></div><div><br></div><div><br></div><div><br></div><div>কোনো পুরুষকে যদি বলা হয় আপনি কি মহিলা হতে চান? কোনো বিবেকবান লোকই তা চাইবে না । তাহলে আমরা কেন আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশের বিপরীত কাজ করি অর্থাৎ দাড়ি ক্লিন করে মহিলাদের আকার ধারন করি!</div><div><br></div><div>আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই।” [সূরাহ আর-রুম (৩০): ৩০]</div><div><br></div><div>এ প্রসঙ্গে শয়তানের একটা উদ্ধত ঘোষণাও আল্লাহ তা’আলা বান্দাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, শয়তান বললো, “আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করবো। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো, তাদেরকে আশ্বাস দেবো; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলবো এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেবো। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। এবং তাদেরকে আদেশ করবো, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।” [সূরাহ আন-নিসা (৪): ১১৮-১১৯]</div><div><br></div><div>আয়াতের এ অংশের আলোচনায় শাববীর আহমদ উসমানী রাহ. বলেছেন, ‘দাড়ি মুণ্ডানোও এ আকৃতি পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে।’ [দেখুন: তাফসীরে উসমানী (মূল) পৃ. ১২৫; (অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১/৪৪৬)] আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার প্রসঙ্গে তাফসীরে বয়ানুল কুরআনে বলা হয়েছে, এটা ফাসেকী কাজকর্মের অন্তর্ভুক্ত। যেমন দাড়ি মুণ্ডানো, শরীরে উল্কি আঁকা ইত্যাদি। (তাফসীরে বয়ানুল কুরআন ১/২/১৫৭)</div><div><br></div><div>বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, জনৈক অগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর নিকট এসেছিল। তার দাড়ি মুণ্ডানো ছিলো ও মোচ লম্বা ছিলো। আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, “এটা কী?” সে বললো, “এটা আমাদের ধর্মের নিয়ম।” আল্লাহর রাসূল ﷺ বললেন, “কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটবো ও দাড়ি লম্বা রাখবো।” (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১৬-১১৭, হাদীস: ২৬০১৩)</div><div><br></div><div>পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। এদের দাড়ি ছিলো কামানো আর গোঁফ ছিলো বড় বড়। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে তাদের এই অবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিলো যে, তিনি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমাদের ধ্বংস হোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে?” তারা উত্তর দিলো, “আমাদের প্রভু কিসরা।” তিনি ﷺ তখন উত্তর দেন, “আমার রব্ব, যিনি পবিত্র ও সম্মানিত, আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়ি ছেড়ে দেই এবং গোঁফ ছোট রাখি।” (ইবনে জারির আত তাবারি, ইবন সা’দ ও ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত। আলবানি (রহঃ) একে হাসান বলেছেন। দেখুন আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা)</div><div><br></div><div>দাড়ি রাখা যা-ই হোক না কেন, প্রকৃত মুসলিম দাড়ি রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দাড়িতে ভালো লাগুক বা না লাগুক, আমরা আল্লাহ ও রাসূল ﷺ কে ভালবেসে দাড়ি রাখবো। এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কাটার সুযোগ শারি’আতে রয়েছে। হাদীসের কিতাবে পাওয়া যায়, আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) ও আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটেছেন। আবু যুরআ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) বলেন, “আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) তাঁর দাড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্টির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।” (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯২; ২৫৯৯৯) কিন্তু কোনো সহীহ বর্ণনায় এক মুষ্টির ভিতরে দাড়ি কাটার কোনো অবকাশ পাওয়া যায় না।</div><div><br></div><div>আশা করি, এবার সকলের দাড়ি রাখার বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, আপনি কী করবেন। আল্লাহ ও রাসূল ﷺ এর নির্দেশ মানবেন, নাকি সমাজের মানুষের অন্ধ অনুসরণ করবেন? আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে জীবন চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।</div>

দাড়ি রাখা, আমাদের ধারণা ও ইসলামিক বিধান

দাড়ি রাখা, আমাদের ধারণা ও ইসলামিক বিধান দাড়ি রাখা সম্পর্কে আমাদের একটি ধারনা রয়েছে, সেটা হলো ”দাড়ি রাখা সুন্নাত, অতএব দাড়ি রাখলে ভালো আর...

Read more »

জীব-যন্তুর উপর দয়া | জীবে দয়া করে যেইজন সেইজন সেবিছে ইশ্বর।

<p dir="ltr">▪ নবী (স.) বলেন -“যে ব্যক্তি একটি বৃক্ষ রোপন করল অথবা কোন ফসল উৎপাদন করল, আর উক্ত বৃক্ষের ফল বা ফসল কোন মানুষ বা কোন চতুষ্পদ জন্তু বা কোন হিংস্র জন্তু বা কোন পাখি ভক্ষণ করল তাহলে সে ব্যক্তির জন্য উহা সাদকাহ হিসেবে পরিগণিত হবে”। (সাহীহ আবি ‘আওয়ানা, হাদীছ নম্বর-৩৩২, মুসনাদু আহমাদ, হাদীছ নম্বর-১৫২৩৫ ও কানযুল ‘উম্মাল, হাদীছ নম্বর-৯০৭৭)।</p><p dir="ltr">▪ হযরত আবূ হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন- “একদা একটি কুকুর প্রচন্ড গরমের দিনে একটি কুয়ার পাড়ে পিপাসায় কাতর হয়ে জিহবা বের করে হাঁপাচ্ছিল এবং কুয়ার চারদিকে ঘুরছিল। এ অবস্থা দেখে বানী ইসরাইলের একজন স্ব-ঘোষিত বেশ্যা মহিলা নিজের ওড়না দ্বারা মোজা বেঁধে কুয়াতে নামিয়ে পানি উত্তোলন করে কুকুরটিকে পান করাল। এর ফলে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হল।” অপর এক বর্ণনায় হাদীছের শেষাংষে আছে- সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন-হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোকে পানি পান করালেও কি সাওয়াব পাব? নবী (স.) উত্তরে বলেন - প্রতিটি জীবকে পানি পান করালেই সাওয়াব পাওয়া যাবে”। (সাহীহুল বুখারি, হাদিছ নম্বর-২৫৫২, ৩৩২১, ও সাহীহ মুসলিম, হাদিছ নম্বর-৫৯৯৭, ৫৯৯৮)। </p><p dir="ltr">▪ নবী (স.) বলেন-“একজন স্ত্রীলোক একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। অতঃপর অনাহারে বিড়ালটি মারা যায়। এ অপরাধে স্ত্রীলোকটিকে শাস্তি দেয়া হয় এবং জাহান্নামী বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সে উহাকে বেধে রেখেছিল, অথচ তাকে আহারও করায়নি, পানও করায়নি। অপরপক্ষে তাকে ছেড়ে দেয়নি, যাতে সে জমিনের লতা-পাতা খেয়ে বাঁচত”। (সাহীহ মুসলিম, হাদীছ নং-৫৯৮৯)।<br>নবী (স.) এর যুগে ভ্রমণের জন্য একমাত্র যানবাহন ছিল জন্তু। জন্তুকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কষ্ট দেয়াও অমানবিক। তাই নবী (স.) কোন জন্তুর উপর আরোহন করতঃ কারো সাথে কথা বলে বা অন্য কোন প্রয়োজনে সময় নষ্ট করে জন্তুকে কষ্ট না দিতে ফরমান জারি করেন।<br>▪ তিনি (স.) বলেন-“তোমরা সুস্থ অবস্থায় এ সমস্ত পশুদের উপর আরোহন কর এবং অসুস্থ অবস্থায় এদেরকে ছেড়ে দাও। আর তোমরা সেগুলোকে চেয়ারে পরিণত কর না”। (মুসনাদু আহমাদ, হাদীছ নম্বর-১৫৬৭৯ ও মুস্তাদরাক আল হাকিম, হাদীছ নম্বর-১৬২৫)। </p><p dir="ltr">পশুদেরকে অভুক্ত রাখা এবং তাদেরকে দূর্বল ও কৃশকায় করে তোলাও সমীচীন নয়। এ ব্যাপারে </p><p dir="ltr">▪ সাহল ইবনুল হানযালিয়্যাহ আল আনসারী (রা.) কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদীছ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন- “একদা রাসূলুল্লাহ (স.) একটি উটের নিকট দিয়ে গমন করছিলেন। তিনি দেখলেন - ক্ষুধায় উটটির পেট পিঠের সাথে লেগে গেছে। এ অবস্থা দেখে তিনি (স.) বললেন-এসব নির্বাক পশুদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। এরা কথা বলতে পারে না এবং প্রয়োজন ব্যক্ত করতে পারে না, এরা যখন আরোহী বহনের যোগ্যতা রাখে তখন তাদের পিঠে আরোহন কর এবং অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে ছেড়ে দাও”। (সুনানু আবী দাউদ, হাদিছ নম্বর - ২৫৪৮, ২৫৪৯ ও ২৫৫০)।</p><p dir="ltr">কোন জন্তুর দ্বারা তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ নেয়া বৈধ নয়। </p><p dir="ltr">▪ ‘আবদুল্লাহ ইবন জা‘ফার বর্ণিত হাদীছে আছে- “একদা রাসুলুল্লাহ (স.) এক আনসারীর বাগানে গমন করেন। সেখানে তিনি (স.) একটি উট দেখতে পান। উটটি রাসুলুল্লাহ (স.)কে দেখে চেঁচিয়ে উঠল। তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। নবী (স.) উটটির কাছে গিয়ে চোখের পানি মুছে ফেললেন। ফলে সে শান্ত হল। অতঃপর নবী (স.) জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কার উট? মালিক এসে বললেন- আমি এর মালিক হে আল্লাহর রাসূল! রাসূল (স.) বললেন -এ পশুর ব্যাপারে তুমি কি আল্লাহকে ভয় কর না? আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিন এ পশুকে তোমার মালিকানায় দিয়েছেন। সে আমার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে যে, তুমি তার কাছ থেকে কাজ নাও ঠিকই কিন্তু তাকে ঠিকমত আহার করাও না”। (সুনানু আবী দাউদ, হাদীছ নম্বর-২৫৫১, সুনানুল বায়হাকী আল কুবরা, হাদীছ নম্বর-১৫৫৯২)। </p><p dir="ltr">▪ অনুরূপ একটি হাদীছ বর্ণনা করে সাহল ইবনুল হানযালিয়্যাহ আল আনসারী (রা.) বলেন- “রাসূলুল্লাহ (স.) কোন এক প্রয়োজনে বের হলেন। দিনের প্রথম ভাগে মসজিদের দরজার সামনে বাঁধা একটি উটের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলেন। দিনের অপর ভাগে সেই স্থান দিয়ে অতিক্রম করার সময় দেখলেন যে, উটটি একই অবস্থায় বাঁধা আছে। অতঃপর তিনি (স.) বললেন-এই উটের মালিক কোথায়? তাকে খুঁজা হল, কিন্তু পাওয়া গেল না। অতঃপর রাসূল (স.) বললেন-এই সমস্ত জন্তুর ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর সুস্থ্য অবস্থায় এদের পৃষ্ঠে আরোহন কর”। (মুসনাদু আহমাদ, হাদীছ নম্বর-১৭৬২৫)।</p>

জীব-যন্তুর উপর দয়া | জীবে দয়া করে যেইজন সেইজন সেবিছে ইশ্বর।

▪ নবী (স.) বলেন -“যে ব্যক্তি একটি বৃক্ষ রোপন করল অথবা কোন ফসল উৎপাদন করল, আর উক্ত বৃক্ষের ফল বা ফসল কোন মানুষ বা কোন চতুষ্পদ জন্তু বা কোন হি...

Read more »

মাযহাব কি এবং কেন? এবং মুহাদ্দিসগণ কে কোন মাযহাব মানতেন?

<p dir="ltr"><b>মাযহাব কি এবং কেন? এবং মুহাদ্দিসগণ কে কোন মাযহাব মানতেন?</b></p><p dir="ltr">❌ মাযহাব কি</p> <p dir="ltr">মুজতাহিদ হল কুরআন সুন্নাহ, সাহাবাদের ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তিদের ঐক্যমত্বে এবং যুক্তির নিরিখে কুরআন সুন্নাহ থেকে মাসআলা বেরকারী গবেষক দলের নাম। যারা নিষ্ঠার সাথে বিভিন্ন মূলনীতি নির্ধারণ করে কুরআন সুন্নাহর বাহ্যিক বিপরীতমুখী মাসআলার মাঝে সামাঞ্জস্যতা এনেছেন। কুরআন সুন্নাহর একাধিক অর্থবোধক শব্দের নির্ধারিত পালনীয় অর্থকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন উদ্ভূত মাসআলার শরয়ী মূলনীতির আলোকে সমাধান বরে করেছেন। সেই সাথে নতুন নতুন মাস'আলার কোন মূলনীতির আলোকে হুকুম আরোপিত হবে যার বিধান সরাসরি কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত নেই, সেই মূলনীতিও নির্ধারিত করেছেন। মূলত সেই গবেষক দলের নাম হল মুজতাহিদ। আর তাদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলোকে বের হওয়া মাসআলার নাম মাযহাব।</p> <p dir="ltr"> ❌ মাযহাব কেন?</p> <p dir="ltr">মাযহাব পালনের কথা এই জন্য বলা হয় যে, যেহেতু কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে আলেম খুবই নগণ্য। যারাও আছে তারা কুরআনে কারীমের কোন আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে, কোন আয়াতের হুকুম বহাল আছে, কোন আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে, কোন আয়াত কাদের উদ্দেশ্য করে নাজিল হয়েছে। কোন আয়াতাংশের প্রকৃত অর্থ কি? আরবী ব্যাকরণের কোন নীতিতে পড়েছে এই বাক্যটি? এই আয়াত বা হাদীসে কী কী অলংকারশাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে? ইত্যাদী সম্পর্কে বিজ্ঞ হন না। সেই সাথে কোনটি সহীহ হাদীস কোনটি দুর্বল হাদীস? কোন হাদীস কি কারণে দুর্বল? কোন হাদীস কী কারণে শক্তিশালী? হাদীসের বর্ণনাকারীদের জীবনী একদম নখদর্পনে থাকা আলেম এখন নাই। অথচ হাদীসের শক্তিশালী না হলে তার দ্বারা শরয়ী হুকুম প্রমাণিত হয়না।</p> <p dir="ltr">এই সকল বিষয়ে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি পাওয়া যাওয়া দুস্কর। যেহেতু অধিকাংশ মানুষই আলেম না। আর মুষ্টিমেয় যারা আলেম তারাও উল্লেখিত সকল বিষয় সম্পর্কে প্রাজ্ঞ নয়। তাই আমাদের পক্ষে কুরআন সুন্নাহ থেকে সঠিক মাসআলা বের করা অসম্ভব।</p> <p dir="ltr">একটি উদাহরণ</p> <p dir="ltr">এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-اقيموا الصلاة  তথা সালাত কায়েম কর। আরেক আয়াতে বলেছেন-</p> <p dir="ltr">إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ   </p> <p dir="ltr">তথা নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেস্তারা নবীজীর উপর সালাত পড়ে। এই আয়াতের শেষাংশে এসেছে-</p> <p dir="ltr">يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا</p> <p dir="ltr">তথা হে মুমিনরা তোমরাও তাঁর উপর সালাত পড় এবং তাঁকে সালাম জানাও। {সূরা আহযাব-৫৬}</p> <p dir="ltr">এই সকল স্থানে লক্ষ্য করুন-“সালাত” শব্দটির দিকে। তিনটি স্থানে সালাত এসেছে। এই তিন স্থানের সালাত শব্দের ৪টি অর্থ। প্রথম অংশে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য হল “নামায” অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা আমাদের নির্দেশ দিলেন যে, তোমরা নামায কায়েম কর।  {সূরা বাকারা-৪৩}</p> <p dir="ltr">আর দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ও তার ফেরেস্তারা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর সালাত পড়েন মানে হল-আল্লাহ তায়ালা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে  এর উপর রহমত পাঠান, আর ফেরেস্তারা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  এর জন্য মাগফিরাতের দুআ করেন।</p> <p dir="ltr">আর তৃতীয় আয়াতাংশে “সালাত” দ্বারা উদ্দেশ্য হল উম্মতরা যেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ পাঠ করেন।</p> <p dir="ltr">كتاب الكليات ـ لأبى البقاء الكفومى</p> <p dir="ltr"> একজন সাধারণ পাঠক বা সাধারণ আলেম এই পার্থক্যের কথা কিভাবে জানবে? সেতো নামাযের স্থানে বলবে রহমাতের কথা, রহমতের স্থানে বলবে দরূদের কথা, দরূদের স্থানে বলবে নামাযের কথা। এরকম করলে দ্বীন আর দ্বীন থাকবে না, হবে জগাখিচুরী।</p> <p dir="ltr">এরকম অসখ্যা স্থান আছে, যার অর্থ উদ্ধার করা কঠিন। তাই একজন বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ব্যক্তির শরাপন্ন হয়ে তার গবেষনা অনুযায়ী উক্ত বিষয়ের সমাধান নেয়াটাই হল যৌক্তিক। এই নির্দেশনাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন-</p> <p dir="ltr">فَاسْأَلوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ} النحل:43</p> <p dir="ltr">তথা তোমরা না জানলে বিজ্ঞদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। {সূরা নাহল-৪৩}</p> <p dir="ltr">বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কিরাম কুরআন সুন্নাহ, ইজমায়ে উম্মাত, এবং যুক্তির নিরিখে সকল সমস্যার সমাধান বের করেছেন। সেই সকল বিজ্ঞদের অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব অনুসরণ। যেই অনুসরণের নির্দেশ সরাসরি আল্লাহ তায়ালা দিলেন পবিত্র কুরআনে।</p> <p dir="ltr">❌ মাযহাব কি রাসূল,সাহাবী এবং তাবেঈ কারো মানার দলীল আছে?</p> <p dir="ltr">মাযহাব কি এটা নিশ্চয় আগের বক্তব্য দ্বারা স্পষ্ট হয়েছে। সেই হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুনিয়াতে কারো মাযহাব অনুসরণের দরকার নাই। কারণ তিনি নিজেইতো শরীয়ত প্রণেতাদের একজন। তিনি কার ব্যাখ্যা গ্রহণ করে অনুসরণ করবেন? তিনি কেবল আল্লাহ তায়ালার থেকেই সমাধান জেনে আমল করেছেন, এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।</p> <p dir="ltr">❌ সাহাবীদের মাযহাব কি?</p> <p dir="ltr">সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক। এছাড়া কারো ব্যাখ্যা নয়। কিন্তু যেই সকল সাহাবারা ছিলেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দূরে তারা সেই স্থানের বিজ্ঞ সাহাবীর মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন। যেমন ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ।</p> <p dir="ltr">রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। </p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ-<br> ১) সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪,<br> ২) সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭,<br> ৩) সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮,<br> ৪) মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২০৬১।</p> <p dir="ltr">এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় হযরত  মুয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। আর ইয়ামেনের লোকদের উপর হযরত মুয়াজের মত তথা মাযহাব অনুসরণ যে আবশ্যক এটাও কিন্তু হাদীস দ্বারা স্পষ্ট।</p> <p dir="ltr">এছাড়া সাহাবাদের যুগে যে সকল সাহাবাদের মাযহাব তথা মত অনুসরণীয় ছিল। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল-</p> <p dir="ltr">১) হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু),<br> ২) হযরত আলী বিন আবু তালিব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু),<br> ৩) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), <br> ৪) হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা),<br> ৫) হযরত জায়েদ বিন সাবেত (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), <br> ৬) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), <br> ৭) হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) প্রমূখ সাহাবাগণ।</p> <p dir="ltr">❌ তাবেয়ীদের মাযহাব</p> <p dir="ltr">তাবেয়ীরা যেই সকল এলাকায় থাকতেন, সেই সকল এলাকার বিজ্ঞ সাহাবীদের বা বিজ্ঞ মুজতাহিদের মত তথা মাযহাবের  অনুসরণ করতেন। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-</p> <p dir="ltr">১) হযরত সাঈদ বিন মুসায়্যিব রহঃ,<br> ২) হযরত আবু সালমা বিন আব্দির রহমান রহঃ, <br> ৩) হযরত ওরওয়া বিন জুবাইর রহঃ<br> ৪) হযরত কাসেম বিন মুহাম্মদ রহঃ,<br> ৫) হযরত সুলাইমান বিন ইয়াসার রহঃ,<br> ৬) হযরত খারেজা বিন জায়েদ রহঃ প্রমূখবৃন্দ।</p> <p dir="ltr">❌ তারপর মদীনায় যাদের মত তথা মাযহাবের অনুসরণ করা হত তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল-<br> ১) হযরত ইমাম জুহরী রহঃ, <br> ২) হযরত ইয়াহইয়া বিন সাঈদ রহঃ,<br> ৩) হযরত রাবিয়া বিন আব্দির রহমান রহঃ।</p> <p dir="ltr">❌ আর মক্কা মুকার্রমায় ছিলেন, <br> ১) আতা বিন আবি রাবাহ রহঃ, <br> ২) আলী বিন আবি তালহা রহঃ, <br> ৩) আব্দুল মালিক বিন জুরাইজ রহঃ প্রমূখ।</p> <p dir="ltr">❌ আর কুফায় ছিলেন,<br> ১) হযরত ইবরাহীম নাখয়ী, <br> ২) আমের বিন শুরাহবীল, <br> ৩) শা’বী, আলকামা, আল আসওয়াদ রহঃ।</p> <p dir="ltr">❌ আর বসরায় ছিলেন-<br> ১) হাসান বসরী রহঃ। <br> ২) ইয়ামানে হযরত তাওস বিন কায়সান রহঃ।<br> ৩) শামে হযরত মাকহুল রহঃ প্রমূখ।</p> <p dir="ltr">❌ যাদের ফাতওয়া বিধৃত হয়েছে-<br> ➡ মুয়াত্তাগুলোতে, <br> ➡ মুসনাদগুলোতে, <br> ➡ আর সুনানগুলোতে। যেমনঃ- <br> ১) মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, <br> ২) মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, <br> ৩) কিতাবুল আসার, <br> ৪) শরহু মায়ানিল আসার ইত্যাদী গ্রন্থে।</p> <p dir="ltr">❌ কুরআন ও হাদীস দেখে আমল করলে অসুবিধা কোথায়?</p> <p dir="ltr">কি কি অসুবিধা তা আশা করি মাযহাব কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পেয়ে গেছেন। সেই উত্তরটি আবার দেখে নিন।</p> <p dir="ltr">❌ মুহাদ্দিসগন কি মাযহাব মেনেছেন?</p> <p dir="ltr">এই কথাটি বুঝার আগে একটি কথা আগে বুঝে নিন। সেটা হল-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগ থেকেই দু’টি দল চলে আসছে, একটি দল হল যারা ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী। তারা ইজতিহাদ করতেন তথা মত দিতেন বিভিন্ন বিষয়ে। আর একদল ছিলেন যাদের এই ক্ষমতা ছিলনা, তারা সেই মুজতাহিদদের মতের তথা মাযহাবের অনুসরণ করতেন।</p> <p dir="ltr">ঠিক একই অবস্থা ছিল সাহাবাদের যুগে। একদল ছিল মুজতাহিদ, যাদের একটি তালিকা ইতোপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে। আর বিশাল এক জামাত ছিল যারা ইজতিহাদের ক্ষমতা রাখতেন না। তারা সেই সকল মুজতাহিদদের মাযহাব তথা মতের অনুসরণ করতেন। তেমনি তাবেয়ীদের একই অবস্থা ছিল, একদল মুজতাহিদ, আরেকদল মুকাল্লিদ তথা অনুসারী। এমনি মুহাদ্দিসীনদের মাঝেও দুই দল ছিল, একদল ছিল যারা ইজতিহাদের ক্ষমতা রাখতেন, আরেকদল ছিল যারা ইজতিহাদের ক্ষমতা রাখতেন না। তাই তাদের মাঝে কারো কারো মাযহাব রয়েছে কারো কারো নেই। কেউ কেউ নিজেই মাসআলা বের করেছেন, কেউ কেউ অন্য কোন ইমামের অনুসরণ করেছেন।</p> <p dir="ltr">যেমন ইমাম বুখারী মুজতাহিদ ছিলেন, তাই তার কারো অনুসরণের দরকার নাই। তবে কেউ কেই তাকে শাফেয়ী মাযহাবী বলে মত ব্যক্ত করেছেন। </p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ- <br> ১) আল ইনসাফ=৬৭, <br> ২) তাবাকাতুশ শাফেয়িয়্যাহ-২/২,<br> ৩) আবজাদুল উলুম—৮১০।</p> <p dir="ltr">এমনিভাবে ইমাম মুসলিম রহঃ ছিলেন শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারী। রেফারেন্সঃ- আল হিত্তাহ-১৮৬।</p> <p dir="ltr">নাসায়ী শরীফের সংকলক ইমাম নাসায়ী রহঃ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ এর মাযাহাবের অনুসারী ছিলেন।, </p> <p dir="ltr">ইমাম আবু দাউদ রহঃ, ও ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। <br> রেফারেন্সঃ-<br> ১) ফয়জুল বারী-১/৫৮, <br> ২) আবজাদুল উলুম-৮১০, <br> ৩) ইলাউল মুয়াক্কিয়ীন-১/২৩৬।</p> <p dir="ltr">১। ইমাম বুখারী রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।<br> সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসান খান লিখিত আবজাদুল উলুম পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।<br> শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৬৭।<br> আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী রহঃ লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।</p> <p dir="ltr">✿২। ইমাম মুসলিম রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।<br> সুত্রঃ ছিদ্দিক হাঃ খান লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।</p> <p dir="ltr">✿৩। ইমাম তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন। তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।<br> সুত্রঃ শা ওয়ালিউল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ পৃষ্ঠা নং ৭৯।</p> <p dir="ltr">✿৪। ইমাম নাসাঈ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।<br> সুত্রঃ নঃ ছিঃ হাঃ লিখিত আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।</p> <p dir="ltr">✿৫। ইমাম আবুদাউদ রহঃ শাফেয়ী।<br> সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।<br> আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ ইবনে তাইমিয়ার উদ্দৃতি দিয়ে ফয়জুল বারী ১/৫৮ তে ইমাম আবুদাউদ রহঃকে হাম্বলী বলে উল্যেখ করেছেন।</p> <p dir="ltr">✿৬। ইমাম ইবনে মাজাহ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।<br> সুত্রঃ ফয়জুলবারী ১/৫৮।</p> <p dir="ltr">এ গেল ছিহাহ ছিত্তার ইমামগণের মাজহাব।<br> অন্যান্য ইমামগণের মাজহাব নবাব ছিদ্দীক হাসান খান সাহেবের আল-হিত্তা থেকে।<br> ╚►৭। মিশকাত শরিফ প্রণেতা সাফেয়ী, পৃঃ১৩৫<br> ╚►৮। ইমাম খাত্তাবী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫<br> ╚►৯। ইমাম নববী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫<br> ╚►১০। ইমাম বাগভী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৮<br> ╚►১১। ইমাম ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫<br> ╚►১২। বড় পীর আঃ কাদের জিলানী রহঃ হাম্বলী, পৃঃ ৩০০<br> ╚►১৩। ইমাম ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী, পৃঃ ১৬৮<br> ╚►১৪। ইবনে কায়্যিম রহঃ হাম্বলী, পৃঃ১৬৮<br> ╚►১৫। ইমাম আঃ বার রহঃ মালেকী, পৃঃ১৩৫<br> ╚►১৬। ইমাম আঃ হক রহঃ হানাফী, পৃঃ১৬০<br> ╚►১৭। শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ হানাফী, পৃঃ <a href="tel:160163">১৬০-১৬৩</a><br> ╚►১৮। ইমাম ইবনে বাত্তাল মালেকী, পৃঃ২১৩<br> ╚►১৯। ইমাম হালাবী রহঃ হানাফী পৃঃ২১৩<br> ╚►২০। ইমাম শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুদদায়েম রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ২১৫<br> ╚►২১। ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী রহঃ হানাফী, পৃঃ২১৬<br> ╚►২২। ইমাম যারকানী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ২১৭<br> ╚►২৩। ইমাম ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন হাম্বলী, পৃঃ ২১৮<br> ╚►২৪। ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী, পৃঃ২১৯<br> ╚►২৫। ইমাম বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯<br> ╚►২৬। ইমাম মার‍্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০<br> ╚►২৭। ইমাম জালালুদ্দীন বকরী শাফেয়ী, পৃঃ২২০<br> ╚►২৮। ইমাম কুস্তলানী শাফেয়ী, পৃঃ২২২<br> ╚►২৯। ইমাম ইবনে আরাবী মালেকী, পৃঃ ২২৪<br> এমন কি তাদের মডেল আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদীকে ও হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন তার আল্-হিত্তাতু ফিস সিহাহিস সিত্তাহ’র ১৬৭ পৃষ্ঠায়।</p> <p dir="ltr">ইমাম তাহাবী রহঃ ছিলেন হানাফী রহঃ এর অনুসারী। যা তার সংকলিত তাহাবী শরীফ পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে। এছাড়াও বাকি সকল মুহাদ্দিস হয়ত মুজতাহিদ ছিলেন, নতুবা ছিলেন মুকাল্লিদ কোননা কোন ইমামের।</p> <p dir="ltr">কেন একটি মাযহাবই মানতে হবে?</p> <p dir="ltr">কুরআনে কারীম ৭টি কিরাতে নাজীল হয়েছে। কিন্তু একটি কিরাতে প্রচলন করেছেন হযরত উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) যেটা ছিল আবু আসেম কুফী রহঃ এর কিরাত। এর কারণ ছিল বিশৃংখলা রোধ করা। যেন দ্বীনকে কেউ ছেলেখেলা বানিয়ে না ফেলে। আর সবার জন্য এটা সহজলভ্য হয়।</p> <p dir="ltr">তেমনি একটি মাযহাবকে আবশ্যক বলা হয় এই জন্য যে, একাধিক মাযহাব অনুসরণের অনুমোদন থাকলে সবাই নিজের রিপু পূজারী হয়ে যেত। যেই বিধান যখন ইচ্ছে পালন করত, যেই বিধান যখন ইচেছ ছেড়ে দিত। এর মাধ্যমে মূলত দ্বীন পালন হতনা, বরং নিজের প্রবৃত্তির পূজা হত। তাই ৪র্থ শতাব্দীর উলামায়ে কিরাম একটি মাযহাবের অনুসরণকে বাধ্যতামূলক বলে এই প্রবৃত্তি পূজার পথকে বন্ধ করে দিয়েছেন। যা সেই কালের ওলামায়ে কিরামের সর্বসম্মত সীদ্ধান্ত ছিল। আর একবার উম্মতের মাঝে ইজমা হয়ে গেলে তা পরবর্তীদের মানা আবশ্যক হয়ে যায়।  ইবনে তাইমিয়াও লাগামহীনভাবে যে মাযহাব মনে চায় সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম ও অবৈধ ঘোষণা করেন। {ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}</p>

মাযহাব কি এবং কেন? এবং মুহাদ্দিসগণ কে কোন মাযহাব মানতেন?

মাযহাব কি এবং কেন? এবং মুহাদ্দিসগণ কে কোন মাযহাব মানতেন? ❌ মাযহাব কি মুজতাহিদ হল কুরআন সুন্নাহ, সাহাবাদের ফাতওয়া, কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে বি...

Read more »

মাথা দামী না হাত দামীঃ ইমাম আলি মাকাম হোসাইন (আলাইহিমুস সালাম)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div style="text-align: justify;"> মাথা দামী না হাত দামীঃ ইমাম আলি মাকাম হোসাইন (আলাইহিমুস সালাম) </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইয়াজিদ লানতি শর্ত দিল, হে হোসাইন! হয়ত হাত দাও (বায়াতের জন্য) আর না হয় শির দাও, মাথা দাও। </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> আমাদের কাছে যদি কেউ দুটো জিনিসের যেকোন একটা দাবী করে তখন আমরা তুলনা করে দেখব কোনটার মূল্য তুলনামূলক কম।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালাম চিন্তা করলেন, আমার মাথা একজন মুসলমানের মাথা, কিন্তু আমার এই হাত এক লাখ চব্বিশ হাজার নবী রাসুলের প্রতিনিধিত্ব করে। ইব্রাহিম আঃ যেই হাত নমরুদের হাতে দেন নাই, মুসা আঃ যেই হাত ফিরয়াউনের হাতে দেন নাই, হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই হাত আবু জাহলের হাতে দেন নাই, আমি ইমাম হোসাইন এই হাত কিভাবে অত্যাচারী ফাসিক শরাবী নারীলোভী লম্পট ইয়াজিদের হাতে দেব?</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> রে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ! নরাধম! তুই আমার শির নিয়ে যা, কিন্তু সেই  শিরও জিন্দা তোর সামনে ঝুকবে না, নিতে হলে কেটে নিতে হবে।</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> তো ইমাম শির দিয়ে দিলেন! </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> "শাহ আস্ত হোসাইন,  বাদশাহ আস্ত হোসাইন</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> দ্বীন আস্ত হোসাইন,  দ্বীনে পানাহ আস্ত হোসাইন </div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> সার দাদ না দাদ,  দাস্ত দার দাস্তে ইয়াজিদ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হাক্কাকে বেনা লা ইলাহা আস্ত হোসাইন।"</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হোসাইন শাহানশাহ, হোসাইন বাদশাহ</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> হোসাইন ধর্ম, হোসাইন দ্বীনের আশ্রয়স্থল</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> শির দিলেন তবু হাত দিলেন না ইয়াজিদের হাতে</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> লা ইলাহা কালিমার বুনিয়াদ ইমাম হোসাইন!"</div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div> <div style="text-align: justify;"> - খাজা এ আজমির হজরত সায়্যিদ মুইনুদ্দিন চিশতি রাহঃ</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiitsEaMvNZE4TTE2GRcdT_3FIozYyq_JBdgITgEZvSiqHDGYdNzSNZeRl6lEILk7ZsjPgHBuC3Udbp9SbfngX0fI2KSQRA7mHNee0pKY0L1ar26QbP5OPNZUWvUXJC12Ck9-2uo_4enbA0/s1600/FB_IMG_1567449435565.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="882" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiitsEaMvNZE4TTE2GRcdT_3FIozYyq_JBdgITgEZvSiqHDGYdNzSNZeRl6lEILk7ZsjPgHBuC3Udbp9SbfngX0fI2KSQRA7mHNee0pKY0L1ar26QbP5OPNZUWvUXJC12Ck9-2uo_4enbA0/s1600-rw/FB_IMG_1567449435565.jpg" width="261" /></a></div> </div> </div>

মাথা দামী না হাত দামীঃ ইমাম আলি মাকাম হোসাইন (আলাইহিমুস সালাম)

মাথা দামী না হাত দামীঃ ইমাম আলি মাকাম হোসাইন (আলাইহিমুস সালাম)  সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী  ইয়াজিদ লানতি শর্ত দিল, হে হোসাইন! ...

Read more »