শানে রিসালাত

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7Nm_aR1RU5pKh5qiELZsWmRU6PmL778dN-kmO5aEqW_N133H1THJBGOHbdq-f4Qn60tuRPRVMQ-fp4yHwvccvr_pypPGonFQ-Q2ZN1cB-vzw2483RoiQhU4EudqRshQHwdpzvOZOoNBM/s1600/FB_IMG_1567443604276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="949" data-original-width="712" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7Nm_aR1RU5pKh5qiELZsWmRU6PmL778dN-kmO5aEqW_N133H1THJBGOHbdq-f4Qn60tuRPRVMQ-fp4yHwvccvr_pypPGonFQ-Q2ZN1cB-vzw2483RoiQhU4EudqRshQHwdpzvOZOoNBM/s400-rw/FB_IMG_1567443604276.jpg" width="300" /></a></div> <br /> <br /> <br /> নারায়ে রিসালাত – ইয়া রাসুলাল্লাহ!<br /> ===================<br /> <br /> মদিনা শহর। মধ্য দুপুর। খাঁখাঁ রোদ্দুর। দুপুর আরামের সময়। ঘরেই থাকে সবাই। আজ ব্যতিক্রম। সবাই বাহিরে। রাস্তায়-মোড়ে দাঁড়িয়ে। তাকিয়ে দূরে-বহুদূরে। ধূধূ মরুপ্রান্তরে। তিঁনি আসছেন! তিঁনি আসছেন! আরো আগেই আসার কথা। দেরী হয়ে গেছে। সবাই উৎকণ্ঠিত।  মহাপ্রেমাস্পদের পবিত্র পদচিহ্ন পড়বে পথে পথে আজ মদিনায়। তাঁরই বিরহে ব্যাকুল জনতা বিপুল।<br />    <br /> তিঁনি আসছে! তিঁনি আসছেন! আসছেন মদিনা-মুনিব!আসছেন আঁখির আশ্রয় চিরঞ্জীব!আসছেন প্রেমাস্পদ পথের প্রদীপ!<br /> <br /> বালকেরা, যেন দিচ্ছে পাহারা- খেজুর গাছে উঠে। চেয়ে দ্যাখে- সেই সুদূরে, তাঁর আসার, কোনো চিহ্ন কী ফুটে! নেই কিছু নেই একেবারি। শুধু মরুধূধূ- বেখেয়াল বালিয়াড়ি।  হঠাৎ! আচমকা! কী যেন যায় দেখা! তিনটি বিন্দু যেন মরুর ক্যানভাসে। বিন্দুর উপরে উপরে মেঘ ছায়া হয়ে ছুটে আসে।<br /> <br /> এগিয়ে আসছে তাঁরা। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে চেহারা। বালকেরা চেঁচিয়ে উঠে। যেন বেলালের আরশ অবধি আযান ছুটে। তিঁনি এসেছেন! তিনি এসেছেন! মদিনাবাসী! তিঁনি এসেছেন! তিঁনি এসেছেন!<br /> <br /> নারীপুরুষ, ফিরে পায় হুঁশ। ছুটে ঘরের ছাদে উঠে। পরম প্রেমাস্পদের দর্শন একটু যেন জুটে! ঐ তিঁনি এলেন! ঐ এলেন! এক রাজসিক সত্তা- যিঁনি সাজেন নি কোনো মুকুটে।<br /> <br /> থেমে যায় হৃদয়, সাথে সময়। হৃদয়ের হয়ে চিৎকার করে কণ্ঠনালী, গলা- ইয়া মুহাম্মাদ! ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইয়া মুহাম্মাদ! ইয়া রাসুলাল্লাহ!<br /> <br /> সাল্লালাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম।<br /> _______<br /> হাদিসটি সহিহ মুসলিমের। খণ্ড ১৯। ৭৭০৭ নং হাদিস। সহিহ হাদিস। সাহাবীগণ “ইয়া রাসুলাল্লাহ” শ্লোগানে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ঘটনাটা হিজরতের সময়কার। অর্থাৎ- সাহাবীগণও “ইয়া রাসুলাল্লাহ” ডাকতেন। আসুন আরেকটি হাদিস দেখি। এক অন্ধ সাহাবীর গল্প।  হাদিসটি অস্বীকারের সুযোগ নেই।<br /> <br /> হযরত ওসমান গনি এঁর যুগ। ৩য় খলিফা। এক ব্যক্তি বিপদে পরেছে। এলো খলিফার কাছে। খলিফা ব্যস্ত ছিলেন। সময় দিতে পারছিলেন না। সে ব্যক্তি গেল ওসমান বিন হানিফ এঁর কাছে। যিনি একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী। দুই ওসমানকে এক করিয়েন না আবার। যাহোক, বিন হানিফ ব্যক্তিকে বললে- দু’রাকাত নামায পড়ুন। এরপর রওজার সামনে যান। এবং এ দো’আ করুন- <br /> <br /> “ইয়া আল্লাহ্‌! রাসুল (দ) এঁর বদৌলতে (ওয়াসিলায়) আপনার সাহায্য মাগি, যিনি রহমতের নবী। ইয়া মুহাম্মাদ! আমি আল্লাহ্‌র দিকে ফিরেছি আপনার বদৌলতে। আপনার মাধ্যমে তার সাহায্য চাই। যাতে আমার প্রয়োজন পূরণ হয়”।<br /> <br /> এরপর ওসমান বিন হানিফ সে ব্যক্তিকে খলিফার দরবারে যেতে বলল। তিনি গেলেন। এবার পুরাই উলটা কারবার। খলিফা তাঁকে কাছে বসালেন। আপ্যায়ন করলেন। এও বললেন- আগামীতে সরাসরি তাঁর কাছে যেতে।<br /> <br /> সে ব্যক্তি ওসমান বিন হানিফকে ধন্যবাদ দিলেন। তিনি ভেবেছিলেন বিন হানিফ হয়ত খলিফাকে সুপারিশ করেছেন তাঁর জন্য। বিন হানিফ বললেন- সুপারিশ করি নি। যে দো’আ করেছেন- সে দো’আর ফসল পেয়েছেন মাত্র।  এক অন্ধ সাহাবীকে খোদ রাসুল-অতুল (দ) এ দো’আ শিক্ষা দিয়েছিলেন।  সে অন্ধ সাহাবী দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে চাইত। এ দো’আ করার পর সে দৃষ্টি ফিরে পায়।<br /> <br /> সূত্র- মুজাম আল কাবির লিল তিবরানি, ৭ম খণ্ড, হাদিস ৮২৩২। মুজাম আল সাগির লিল তাবরানি, ২য় খণ্ড, হাদিস ৫০৭। আল-তাঘিব ওয়াল তাহযিব, মুস্তাফা আল বাবি, ১ম খণ্ড, ২৭৪ পৃষ্ঠা। মাজমা’আয যাওয়া’ইদ, ২য় খণ্ড, ২৭৯ পৃষ্ঠা। <br /> <br /> খেয়াল করুন- মদিনা-মুনিব (দ) নিজে ‘ইয়া মুহাম্মাদ’ বলে সাহায্য চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। এটা প্রমাণিত ‘ইয়া’ যোগ করে রাসুলকে ডাকা যাবে। এখন বলবেন- ‘ইয়া মুহাম্মাদ’ জায়েজ, কিন্তু ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ’ জায়েজ না। আরেকটা যুক্তি হচ্ছে- মদিনা-মুনিব (দ) তখন উপস্থিত ছিলেন। সামনা সামনি ছিলেন। তাই হয়ত ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ/হে আল্লাহ্‌র রাসুল’ বলে ডাকা যেত। তিঁনি এখন চোখের আড়ালে। সামনে নেই। তাই ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ’ হয়ত বলা যাবে না!<br /> <br /> আসুন, ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী এঁর কাছে যাই। যিনি ‘তাফসীরে কাবির’ লিখেছেন। এটি কোর’আনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ।  তিনি ১২১০ সালে ইন্তেকাল করেন। ৮০৯ বছর আগের। তাঁকে অস্বীকার কোনো মোল্লা করতে পারবে না।  এঁনার কাছে দুটির উত্তরই পাব।<br /> <br /> তাফসীরে কাবিরের ৫ম খণ্ড। ৪৭৫ পৃষ্ঠা।  ভিন্ন মুদ্রণে পাতা এদিক-সেদিক হয়। পাতাটা বিষয় না। খণ্ডটা খেয়াল রাখুন। সেখানে তিনি একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। <br /> <br /> হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু। প্রথম খলিফা। তিঁনি বিছানায় শুয়ে। কিছু বাদেই ইহধাম ত্যাগ করবেন। তিনি শেষ ইচ্ছে জানালেন- আমার জানাযা রাসুল-অতুল (দ) এঁর রওজার সামনে নিবে। এবং বলবে- আসসালাম আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আবু বকর আপনার দরজায় উপস্থিত হয়েছে। তাই করা হল। সে কথা বলার সাথে সাথে রওজার দরজা খুলল নিজে নিজে।  পবিত্র রওজা থেকে আওয়াজ এলো- প্রেমিককে প্রেমাস্পদের নিকটে নামাও।<br /> <br /> খেয়াল করুন- জানাযা রওজার সামনে নেয়া হয়েছিল। এবং বলা হল “... ইয়া রাসুলাল্লাহ”। তাহলে কী দাঁড়াল? বিষয়টা কী এমন না যে- মদিনা-মুনিব (দ) চোখের আড়াল হবার পরেও “ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলা সাহাবাগণের সুন্নাত। তাঁরা তো এটাকে ফালতু বলেন নি! {এখানে আরেকটা বিষয় প্রমাণিত- মদিনা-মুনিব (দ) চোখের আড়াল হবার পরেও জিন্দা, হায়াতুন্নাবী। }<br /> <br /> এবার আরেকটা কথা। অনেকেই বলবে- রওজার নিকটে ছিলেন তাঁরা। তাই হয়ত ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ” ডাকা যাবে।  দূর থেকে ডাকা যাবে না। আসলে কথা হচ্ছে, শয়তানের শর্তের অভাব নেই।  হাত কিন্তু তিনটা। ডান হাত, বাম হাত আর অজুহাত। না মানার অজুহাতের অভাব হবে না। যাহোক, আসুন আরেকটা ঘটনা জানি।<br /> <br /> কারবালা শেষ। পাপাত্মা এজিদ বাহিনী ফিরে যাচ্ছে। সাথে বন্দী করেছে আহলে বাইতের, নবীবংশের পবিত্র সদস্যাগণকে। আর একমাত্র জীবিত পুরুষ- ইমাম শাম্মে হুদা জয়নুল আবেদিন আলাইহিস সালামকে। এজিদিরা তাঁকে শহীদ করতে পারে নি। তাঁকে বন্দী করে নিচ্ছিল।  সে এক বিশাল ঘটনা।  আরেকদিন বলব।<br /> <br /> শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য ছিলেন ইমাম। এরপর পুরো পরিবার হারানোর শোক। সাথে এজিদিদের অত্যাচার। ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে গেয়ে উঠলেন এক অমর কাসিদা। কাসিদা অর্থ, গীতিকবিতা, শোকগাথা। যার প্রথম লাইন- ইন্নিল তিয়া রিহাস সাবা...।<br /> <br /> সেই কবিতার এক লাইন- ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন, আদ্রিকলি জাইনুল আবেদিন। মানে- হে রহমাতুল্লিল আলামিন, জয়নুল আবেদিনকে সাহায্য করুন।<br /> <br /> মদিনা থেকে কারবালা ১২৭৫ কিলোমিটার।  ইয়া রামাতুল্লিল আলামিন আর ইয়া রাসুলাল্লাহ একই ভাবার্থ। এতদূর থেকেও ডাকা যায়! সাহায্যও চাওয়া যায়!<br /> <br /> তবুও মানবে অনেকে। বলবে- একই ভাবার্থ মানি না, আর তাঁরা কাছাকাছি যুগের। তাঁরা হয় ডাকতে পারবে। এতবছর পর আমরা ডাকতে পারব না।  (সময় নিয়ে হাসুন)<br /> <br /> তো, এদের উদ্দেশ্যে শেষ দুটি দলীল। প্রথমটা ইবনে কাইয়্যুম জাওজির। সে ওহাবিতন্ত্রের বড় ইমাম।  ১৩৫০ সালে মৃত্যু। ৬৬৯ বছর আগে।  তার লেখা- জালাউল আফহাম। এখানে একটা ঘটনা লিখেছে। লিখেছে-<br /> <br /> জনৈক আবু বকর বিন মুজাহিদ একটি স্বপ্ন দেখলেন। সে দেখল- হযরত শিবলি নামে এক বুজুর্গকে রাসুল-অতুল (দ) এঁর সামনে নেয়া হল। মদিনা-মুনিব (দ) হযরত শিবলির দুচোখের মাঝে চুমু দিলেন। জনৈক আবু বকর জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কেন তাঁকে চুমু দিলেন? মদিনা-মুনিব (দ) বললেন- প্রত্যেক নামায বাদ শিবলি “লাকাদ জা’আকুম রাসুলুম মিন আনফুসিকুম...” পাঠ করে। শেষে সাল্লালাহু আলাইকা “ইয়া রাসুলাল্লাহ” তিনবার পড়ে।  <br /> <br /> খেয়াল করুন- ইয়া রাসুলাল্লাহ পড়ার কারণে কপালে চুমু নসিব হয়। আর এ কথা আমাদের না। গোঁয়ারগোবিন্দদের গুরুঠাকুরদের। আর কী বলার থাকে?<br /> <br /> শেষ কথা। ইবনে কাইয়্যুম জাওজি অনেক আগের। আশপাশের না। তাই ভূতনগরের আরেক গুরুঠাকুরের উক্তি দিচ্ছি। সে মাত্র এক-দেড় শতাব্দী আগের।  নাম- আশরাফ থানভি। তার বই- শুকুর আল-নিমাহ বি জিকির রাহমাত আল-রাহমাহ। সেটার আঠারো পৃষ্ঠা।  সে বলে- আজ আমার হৃদয়গহীন থেকে দরূদ পড়তে মন চাইছে। আর দরুদটি হচ্ছে- আসসালাতু ওয়াসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ!<br /> <br /> আর কিছু কওনের নাই। হেদায়াত শুধু খোদার হাতে। সীলগালা অন্তরে গরিব গালিবের চিৎকার পৌঁছাবে না।<br /> <br /> সব কথার এক কথা বলেছেন আ’লা হযরত। আমার ইমাম আহমাদ রেযা খান। তিনি বলেন-<br /> <br /> উঠতে ব্যায়েঠতে মাদদ কি ওয়াস্তে<br /> ইয়া রাসুলাল্লাহ পুকারা ফির তুঝকো ক্যেয়া<br /> <br /> - উঠতে-বসতে সাহায্যের নিমিত্তে<br /> ইয়া রাসুলাল্লাহ ডাকি, তাতে তোর কী!

শানে রিসালাত

নারায়ে রিসালাত – ইয়া রাসুলাল্লাহ! =================== মদিনা শহর। মধ্য দুপুর। খাঁখাঁ রোদ্দুর। দুপুর আরামের সময়। ঘরেই থাকে সবাই। আজ ব্...

Read more »

প্রশ্নঃ- মাযহাবের প্রয়োজন কেন?

<div><b>প্রশ্নঃ- মাযহাবের প্রয়োজন কেন?</b></div><div><br></div><div>উত্তরঃ- এখানে সহজে বুঝানোর জন্য বলছি- মাযহাব অর্থ পথ। কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত শরয়ী বিধানাবলী মানার পথের নাম হল মাযহাব। যেমন কুরআন ও হাদীসে অজুর কথা এসেছে। কিন্তু ওজুর ফরজ কয়টি? সুন্নত কয়টি? ওয়াজিব কয়টি? ইত্যাদি স্পষ্ট শব্দে আসেনি। তো মাযহাবের কিতাবে কুরআন ও হাদীসকে সামনে রেখে উক্ত বিষয়াবলীকে সাজিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।</div><div><br></div><div>মাযহাব কোন আলাদা বস্তুর নাম নয়। বরং কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিধানাবলীর সুবিন্যাস্ত রূপের নাম।</div><div><br></div><div>এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে হাদীস থাকতে মাযহাব কেন? তাহলে প্রশ্ন করুন-</div><div>১) ওজুর ফরজ কয়টা? </div><div>২) নামাযের ফরজ কয়টা? </div><div>৩) ওজুর মুস্তাহাব কয়টা? </div><div>৪) গোসলের ফরজ কয়টা? </div><div>৫) নামাযের শর্ত কয়টা? </div><div>৬) ওজু ভঙ্গের কারণ কয়টা? </div><div>৭) নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?</div><div><br></div><div>এভাবে নামায, রোজা, হজ্ব, ওজু, যাকাত, ইত্যাদির, ফরজ, সুন্নাত, মুস্তাহাব, ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট আকারে কেউ যদি হাদীস থেকে স্পষ্ট শব্দে দেখিয়ে দিতে পারে, তাহলে আসলে মাযহাবের কোন দরকারই নেই।</div><div><br></div><div>মাযহাবেরতো সৃষ্টিই হয়েছে কুরআন ও হাদীস বুঝার জন্য। এটির প্রয়োজনই হয়েছে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিষয়াবলী স্পষ্ট করার জন্য।</div><div><br></div><div>সুতরাং হাদীস থাকতে মাযহাব কেন এমন প্রশ্ন মুর্খ ব্যক্তি ছাড়া আর কে করতে পারে?</div><div><br></div><div>মাযহাব যদি আলাদা কিছু হতো, তাহলে এমন প্রশ্ন যৌক্তিক হতো। কিন্তু মাযহাবতো আলাদা কোন বিষয়ই নয়। বরং কুরআন ও হাদীসেরই বিন্যাস্ত রূপ। তাহলে হাদীস থাকতে মাযহাব কেন? এমন প্রশ্ন অসাড় প্রশ্ন নয়কি?</div><div><br></div><div>এলজামী জবাব</div><div><br></div><div>মাযহাব তথা কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞদের কথা না মেনে শুধু হাদীস অনুপাতে নামায পড়তে চাইলে প্রশ্ন হল-</div><div><br></div><div>১</div><div><br></div><div>নামাযের ফরজ কয়টি? সহীহ হাদীস দ্বারা নির্দিষ্ট আকারে জানতে চাই।</div><div><br></div><div>২</div><div><br></div><div>নামাযের ওয়াজিব কয়টি?</div><div><br></div><div>৩</div><div><br></div><div>নামাযের সুন্নত কয়টি?</div><div><br></div><div>৪</div><div><br></div><div>নামাযের শর্ত কয়টি?</div><div><br></div><div>৫</div><div><br></div><div>নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?</div><div><br></div><div>৬</div><div><br></div><div>নামাযের মুস্তাহাব কয়টি?</div><div><br></div><div>৭</div><div><br></div><div>নামাযের মাকরূহাত কয়টি?</div><div><br></div><div>৮</div><div><br></div><div>ফরজ কাকে বলে?</div><div><br></div><div>৯</div><div><br></div><div>সুন্নত কাকে বলে?</div><div><br></div><div>১০</div><div><br></div><div>মুস্তাহাব কাকে বলে?</div><div><br></div><div>উপরোক্ত বিষয়গুলো কুরআন ও সহীহ হাদীস দিয়ে পরিস্কার শব্দে দেখান! কোন মাযহাবী ব্যক্তির উক্তি নকল করা যাবে না! শুধুই হাদীস দিয়ে প্রমাণ করুন!</div><div><br></div>

প্রশ্নঃ- মাযহাবের প্রয়োজন কেন?

প্রশ্নঃ- মাযহাবের প্রয়োজন কেন? উত্তরঃ- এখানে সহজে বুঝানোর জন্য বলছি- মাযহাব অর্থ পথ। কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত শরয়ী বিধানাবলী মানার পথের নাম হল ...

Read more »

সুখ কোথায় পাব?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <b style="text-align: left;"><br /></b></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <b style="text-align: left;"><i>সুখ কোথায় পাব </i></b></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg5vz0Ys-rcFXiHcXysEBdv-OhOYA_-GnnI6B8_HRrpKIRf7yA9V2_RWdoHEV3RKhG3ISRemKIWGtxASHhL0z_wUQHbLFEt_tvVKGSUhe1D60JMEUYXYq817-m-YXN1yC21HyIqr-2Nw3c/s1600/how-to-find-happiness.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="700" data-original-width="1400" height="160" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg5vz0Ys-rcFXiHcXysEBdv-OhOYA_-GnnI6B8_HRrpKIRf7yA9V2_RWdoHEV3RKhG3ISRemKIWGtxASHhL0z_wUQHbLFEt_tvVKGSUhe1D60JMEUYXYq817-m-YXN1yC21HyIqr-2Nw3c/s320-rw/how-to-find-happiness.jpg" width="320" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <b style="text-align: left;"><i><br /></i></b></div> <br /> <br /> <br /> <br /> ঈমান যেমন পার্থিব সুখ লাভের অন্যতম কারণ, তেমনি আখিরাতে নাজাতপ্রাপ্তিরও এটিই পথ। আল্লাহর ইবাদাত আর ঈমানের মাধ্যমেই সুখ হাসিল হয়। আল্লাহর আনুগত্য এবং ধর্মীয় বিধানগুলো পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাঝেই সুখ নিহিত। নিজে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা লাভ না করলে এটি বোঝা অসম্ভব।<br /> <span style="color: red;"><br /></span> <b><span style="color: red;">১.ফরজ ও নফল ইবাদাতগুলোর মাধ্যমে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> <br /> আল্লাহ বলেন, “যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করবো এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেবো যা তারা করতো।” [সূরা আন-নাহল(১৬):৯৭]<br /> <br /> রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জানাচ্ছেন যে আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা যেসবের মাধ্যমে আমার নৈকট্য হাসিল করতে চায়, তার মাঝে আমার সবচেয়ে প্রিয় হলো ফরজ ইবাদাতগুলো। তারপর আমার বান্দা নফল ইবাদাতগুলোর মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করতে থাকে। এমনকি এর ফলে আমি তাকে আমার প্রিয়পাত্র বানিয়ে নেই।” (বুখারি)<br /> <br /> ইবাদাতের মাধ্যমে এভাবে আমরা আল্লাহর ভালেবাসা অর্জন করে নিতে পারি। আল্লাহ যদি আপনাকে ভালেবাসেন, আপনার ভয়ের কিছুই নেই।<br /> <b><br /></b> <b><span style="color: red;"> ২.আল্লাহর স্মরণ (যিকির) এর মাধ্যমে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> আল্লাহ বলেন, “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।” [সূরা আর-রাদ(১৩):২৮]<br /> <br /> ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ) লিখেছেন, “আমি একদিন ফজরের পর ইবনে তাইমিয়্যা (রহিমাহুল্লাহ) এর কাছে গেলাম। তিনি তখন থেকে নিয়ে সূর্য ওঠার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত যিকিরে ব্যস্ত ছিলেন। তারপর আমার দিকে ফিরে বললেন, ‘এ হলো আমার সকালের খাবার। আমি এটি গ্রহণ না করলে সারাদিন শক্তি পাবো না।’<br /> <br /> এ সময়টাতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে রবের নিকট সমর্পণ করতেন। তিনি খালেসভাবে আল্লাহকে চাইতেন, তাঁর কাছে দুআ করতেন, ইস্তিগফার করতেন, অনুনয় করে তাঁকে ডাকতেন, অনুশোচনার অশ্রুতে তাঁর চোখ ভরে যেতো। তারপর তাঁর ইবাদাতের ফলে তাঁর অন্তর পরিষ্কার হয়ে যেতো, আত্মা সজীব হয়ে উঠতো, তাঁর সত্ত্বার প্রতিটি রজ্জু শক্তিশালী হয়ে উঠতো। তাঁর মন-দিল সতেজ হয়ে যেতো।”<br /> <br /> <b><span style="color: red;">৩.কোরআনের মাধ্যমে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> আল্লাহ বলেন, “আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।” [সূরা বনী ইসরাইল(১৭):৮২]<br /> <br /> আসলেই কোরআন আত্মা ও হৃদয়ের দুর্দশার চিকিৎসা। এমনকি এটি দৈহিক আরোগ্যের উৎসও বটে।<br /> <br /> <b><span style="color: red;">৪.সব রকমের ভালো কাজের মাঝে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> আলাহ বলেন, “সৎকর্মশীলগণ থাকবেন নিআমাতের মাঝে। আর দুষ্কর্মকারীরা থাকবে জাহান্নামে।” [সূরা আল-ইনফিতার(৮২):১৩-১৪]<br /> <br /> কিছু মুফাসসির বলেন যে সৎকর্মশীলদের প্রতি আনন্দের এই ওয়াদা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। দুষ্কর্মাদের যন্ত্রণার ক্ষেত্রেও একই। দুনিয়ায় জান্নাতি সুখ লাভের কিছু লক্ষণ হলো ভালোত্ব, আত্মিক প্রশান্তি, আলো ও সুখ। তেমনি দুষ্টলোকদের যন্ত্রণার কিছু লক্ষণ হলো জীবন আঁধারে ভরে যাওয়া যার ফলে তারা তাদের সম্পদ, পরিবার, বিশ্রাম, যৌবন ও স্বাস্থ্য থেকে কোনো সুখ পায় না।<br /> <b><br /></b> <b><span style="color: red;">৫.সালাতের মাধ্যমে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একবার বিলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে বলল বললেন, “আমাদেরকে এর মাধ্যমে প্রশান্তি দাও, বিলাল।” (আবু দাউদ ও মুসনাদ আহমাদ)<br /> <br /> আরেক হাদীসে আছে, “সালাত হলো আমার চোখের প্রশান্তি।” (সুনানে নাসাঈ ও মুসনাদ আহমাদ)<br /> <br /> প্রিয় মানুষটির সাথে সামান্য বিষয়ে কথা বলাটাও কত শান্তির! তাহলে যখন আমরা আল্লাহর সাথে কথা বলতে দাঁড়াই তখন আমাদের অনুভূতি কেমন হওয়া উচিত?<br /> <br /> <b><span style="color: red;">৬.আল্লাহকে জানার মাধ্যমে সুখ লাভ</span></b><br /> <br /> বান্দা যখন রবকে চিনতে পারে, তখন সে শান্তি পায়। চারিদিকে আল্লাহর সৃষ্টিসমূহের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেগুলো কত অসাধারণ। প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে লুকিয়ে আছে কত জ্ঞান। আমরা আল্লাহকে দেখতে না পেলেও তাঁর সৃষ্টিসমূহ দেখতে পাই এবং তাঁর নাম ও গুণাবলী ঘোষণা করতে পারি।<br /> <br /> ইবাদাতের পূর্ণতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) বলেন, “ইহসান হলো এমনভাবে ইবাদাত করা যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো। তুমি যদি তাঁকে না-ও দেখতে পাও, তিনি তো তোমাকে দেখছেন।” (বুখারি ও মুসলিম)<br /> <br /> বান্দা যখন রবের সৃষ্টিশীলতা আর জ্ঞানের অসীমতা উপলব্ধি করে, তখন সে অন্তরে শান্তি পায়। রাসূল (সাঃ) বলেন, “আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদকে (সাঃ) রাসূল হিসেবে মেনে নিয়ে যে সন্তুষ্ট, সে ঈমানের মিষ্টতার স্বাদ পাবে।” (সহীহ মুসলিম)<br /> <br /> একটি বড় আমেরিকান কর্পোরেশনের সিইও’র ঘটনা। তাঁর ধনসম্পদের কোনো অভাব না থাকলেও তিনি ছিলেন অসুখী। রাতে তিনি বিছানায় এপাশ ওপাশ করতেন, ঘুম হতো না। কোম্পানিতে চাকুরিরত এক মুসলিম লোককে দেখে তিনি অবাক হতেন। লোকটি তেমন উচ্চপদস্থ নয়, বেতনও কম। কিন্তু সে শান্তি মতো খেতো, ঘুমাতো। হাসি মুখে অফিসে আসতো, হাসিমুখেই যেতো। কখনো তার চেহারায় দুচিন্তার ছাপ দেখা যায়নি।<br /> <br /> তিনি লোকটিকে ডাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “কোন সে কারণ যার ফলে সর্বদা তুমি হাসিখুশি থাকো?”<br /> <br /> লোকটি বললো, “আমি আমার রবকে চিনেছি এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে জানি। আমি আল্লাহতে বিশ্বাস করি, তাই আমি সুখী।”<br /> <br /> সিইও বললেন, “তুমি কি এমন কিছু জানো যা আমাকে পথ দেখাতে পারে?”<br /> <br /> লোকটি সিইও’র হাত ধরে তাঁকে সেই ইসলামিক সেন্টারে নিয়ে গেলো যেখানে সে দ্বীন সম্পর্কে শিখেছে। অবশেষে সেই সিইও ঘোষণা দিলেন, “আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।”<br /> <br /> বলা মাত্রই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন, “আজকের মত শান্তি আমি জীবনে কোনো দিন পাইনি।”<br /> <b><span style="color: red;"><br /></span></b> <b><span style="color: red;">৭.ঈমানের মাঝে সুখ</span></b><br /> <br /> আল্লাহ বলেন যে ঈমানের সদা সঙ্গী হলো সুখ, “যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শির্কের সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী।” [সূরা আল-আনআম(৬):৮২]<br /> <br /> দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন যে নিরাপত্তা বোধ করে, তার শিকড় হলো ঈমান। ঈমান যত মজবুত হবে, তার অন্তর তত প্রশান্ত হবে। আর যার ঈমান দুর্বল, তারা বিপদ আপদে পড়বে। “তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক পাপ ক্ষমা করে দেন।” [সূরা আশ-শুরা(৪২):৩০]<br /> <br /> এক পশ্চিমা লেখক আরবের মরুবাসীদের মাঝে বাস করতে গেলেন। তাদের মত পোশাক পরলেন, তাদের মত খাবার খেলেন এবং এক পাল মেষ পালন করতে লাগলেন। তিনি মুহাম্মাদকে (সাঃ) নিয়ে “The Messenger” শিরোনামে একটি বই লিখেন। পশ্চিমা জীবনের অভিজ্ঞতা লাভের পর তিনি সরলতম মুসলিমদের জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তিনি কোনো আলেম বা ইসলামী চিন্তাবিদদের মাঝে ছিলেন না। তারা ছিলো মরুবাসী পশুপালক।<br /> <br /> তিনি কী বললেন শেষে? বললেন, “আমি মরুবাসী আরবদের কাছে শিখেছি কী করে দুশ্চিন্তা দূর করতে হয়।”<br /> <br /> তারা আল্লাহর দেওয়া তাকদিরে বিশ্বাস করে। নিরাপত্তাবোধ নিয়ে তারা জীবনযাপন করে। বিপদ আসলে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তা-ও না।<br /> <br /> সেই লেখক লিখেন:<br /> <br /> “একবার এক বিশাল মরুঝড়ে অনেক পশু মারা গেলো। অনেকগুলো জীবিত বালুচাপা পড়লো। আমি অত্যন্ত হতাশ হয়ে গেলাম। কিন্তু আরবদের দেখলাম তারা একে অপরের কাছে ছুটোছুটি করছে, গান গাইছে আর বলছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের চল্লিশ শতাংশ ভেড়ার কোনো ক্ষতিই হয়নি।’<br /> <br /> যখন তারা দেখলো আমি চিন্তিত, তারা এসে বললো, ‘রাগ আর দুশ্চিন্তায় কোনো লাভ নেই। এ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ঘটনা।’ তা সত্ত্বেও তারা ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কোনো ত্রুটি করেনি।”<br /> <br /> তাকদিরে বিশ্বাস করা বলতে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকাকে বোঝে না। তিনি আরও লিখেন:<br /> <br /> “একবার গাড়িতে করে তাদের সাথে মরুভূমিতে যাত্রা করলাম। একটা টায়ার ফেটে গেলো। আমি রেগে গেলাম। তারা বললো, ‘রাগ করে লাভ নেই।’ গাড়িটা তিন চাকায় কিছুক্ষণ চললো। তারপর তেল শেষ হয়ে একেবারে থেমে গেলো।<br /> <br /> তারপর তারা নেমে পায়ে হেঁটেই হরিণের বেগে চলতে লাগলো। তারা ছিলো সুখী-সন্তুষ্ট, পরস্পরকে কবিতা আওড়ে শোনাচ্ছিলো, আমার সাথে কথা বলছিলো।<br /> <br /> তাদের সাথে সাত বছর থেকে আমি একটা জিনিস বুঝলাম। ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসরত যেসব মানুষ একাকিত্ব, মানসিক রোগ আর মাদকাসক্তিতে ভোগে, তারা আসলে পশ্চিমা শহুরে জীবনের দ্বারা আক্রান্ত। সেই জীবন যা তাড়াহুড়াকে জীবনের মূলনীতি বানিয়ে নিয়েছে।<br /> <div> <br /></div> </div>

সুখ কোথায় পাব?

সুখ কোথায় পাব  ঈমান যেমন পার্থিব সুখ লাভের অন্যতম কারণ, তেমনি আখিরাতে নাজাতপ্রাপ্তিরও এটিই পথ। আল্লাহর ইবাদাত আর ঈমানের মাধ্যম...

Read more »