আদব

<p dir="ltr">"সাক্ষাত করতে যাওয়ার আদাব"<br> --------------------------------<br> কার্টেসিঃ মাদ্রাসা আজাদভিল, দক্ষিণ আফ্রিকা।<br> অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী </p> <p dir="ltr">কুরআন মাজিদ নির্দেশ দিচ্ছে, "অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া।" (সূরা নুর, আয়াত নং-৬১) </p> <p dir="ltr">অতিথি হয়ে আসলে আদাবসমূহঃ  <br> -------------------------------------<br> ১.কারো ঘরে অথবা কক্ষে অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করবেন না। আপনার ওপর আবশ্যক যে তাদের অনুমতি প্রার্থনা করবেন।</p> <p dir="ltr">২.অনুমতি প্রার্থনা করার ইসলামী শরিয়তের হুকুম হচ্ছে যে, একজন দরজার খুব কাছে দাঁড়াবে এবং দরজায় নক করবে এবং বলবে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি কী ভেতরে আসতে পারি? </p> <p dir="ltr">৩.যদি তার কোন প্রতিউত্তর না আসে তবে অনুরুপভাবে সালাম দিতে হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার। তৃতীয়বারের পর আপনি যদি প্রতিউত্তর না পান এবং আপনার যদি মনে হয় যে এটা সাক্ষাতের উপযুক্ত মূহুর্ত না, হতে পারে কোন যৌক্তিক কারণ আছে। তাই আপনি ফিরে আসুন এবং এজন্য মনে কিছু নেবেন না।</p> <p dir="ltr">৪.যখন আপনি অনুমতি প্রার্থনা করবেন তখন যেকোন এক পার্শ্বে দাঁড়ান। এমনভাবে দাঁড়াবেন না যেন ভেতরের সব দেখা যায়। যাইহোক, যদি মেজবান আপনার সামনেই হয় তবে সালাম দিন ও অনুমতি প্রার্থনা করুন।</p> <p dir="ltr">৫.এটা একদম অনুচিত যে আপনি ভেতরে উঁকি দেবেন। হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা নিষেধ করেছেন শক্তভাবে।</p> <p dir="ltr">৬.উচ্চ আওয়াজে সালাম দিন, এমনকি যখন আপনি আপনার ঘরে প্রবেশ করেন এবং আপনি আপনার উপস্থিতি ঘরের বাসিন্দাদের জানান দিন। </p> <p dir="ltr">৭.যদি কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস করে, "কে?" আপনার নাম বলুন। বলবেন না যে "আমি"। কারন ঘরের বাসিন্দা জানে না যে এই আমি কে?</p> <p dir="ltr">৮.হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন সাহাবিকে উপদেশ দিলেন যে, "আমার সাথে এসে একদিন পর পর দেখা কর (প্রতিদিন না) এতে আমাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।"</p> <p dir="ltr">৯. রাতের বেলা অথবা খাওয়ার সময় কারো সাক্ষাৎ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যদি একান্ত বাধ্য হন এসব সময়ে কারো সংগে সাক্ষাৎ করতে যেতে, তাহলে আগে খেয়ে নিন পরে যান। যাইহোক আপনি যদি না খেয়ে গিয়েই থাকেন তবে মেজবানের কাছে মিথ্যা বলবেন না যে আপনি খেয়ে এসেছেন। হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "ক্ষুধা ও মিথ্যা একসাথে নিয়ে উপস্থিত হইও না"। আপনি অন্য কোন অজুহাত দিতে পারেন। </p> <p dir="ltr">১০.আপনি যদি অন্য কোন শহর বন্দরে কারো সাক্ষাতে যান তবে যাওয়ার আগে তাকে অবগত করুন।</p> <p dir="ltr">১১. হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শক্তভাবে নিষেধ করেছেন রাতের বেলা কারো ঘরে যেতে। এমনকি সে তার নিজের পরিবারকে অবগত না করে নিজের ঘরেও ফিরতে নিষেধ করেছেন। </p> <p dir="ltr">১২. যখন আপনি কারো ঘরে প্রবেশ করবেন তখন সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন। ঘরের বাসিন্দার প্রথমে এগিয়ে আসা উচিত মুসাফাহা বা মুয়ানাকা করার জন্য। যদি ঘরের মেজবান কোন কারনে এগিয়ে না আসে বা ব্যস্ত হয় তবে তাকে বিরক্ত করবেন না।</p> <p dir="ltr">১৩. যখন আপনি কোথাও যাবেন আর সেখানে পড়ানো হচ্ছে বা নসিহত চলছে তখন সালাম দেবেন না। ঠিক একইভাবে আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন সালাম দেবেন না যদি মানুষ নামাজ অথবা অন্য কোনপ্রকার জিকিরে ব্যস্ত থাকে। তবে যদি কেউ আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তবে আপনি তাকে সালাম দিন। </p> <p dir="ltr">১৪. আপনি যখন কারো ঘরে প্রবেশ করবেন তখন সবচাইতে ভাল আসনটিতে বসবেন না, ঘরের মালিকের জন্য নির্ধারিত আসনেও বসবেন না। এটা নির্ভর করে ঘরের মালিকের ওপর যে সে আপনাকে তার আসনে বসাবে নাকি অন্য কোন জায়গায় বসাবে।</p> <p dir="ltr">১৫.কুরআন মাজিদ এই নির্দেশ দেয় সকল নারী ও পুরুষকে তাদের দৃষ্টি অবনত রাখতে। এই বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকুন। যখন আপনি কারো ঘরে যান তখন চারদিকে তাকাবেন না। </p> <p dir="ltr">১৬. হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নরম মেজাজের ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন হতে বলেছেন। এই উপদেশ সদা মাথায় রাখুন। আপনি যদি কোথাও যান তবে নম্রভাবে কথা বলুন এবং সম্মান দিয়ে কথা বলুন। অনুমতি ছাড়া কোনকিছু স্পর্শ করবেন না। কোনকিছুর দিকে লোভাতুরভাবে তাকাবেন না যেন মনে হয় যে আপনি খুবই মুগ্ধ এটার ওপর এবং চকিত নয়নে মেজবানের জাকজমকের দিকে তাকাবেন না, যার ফলশ্রুতিতে আপনি হীনমন্যতায় ভোগবেন। </p> <p dir="ltr">১৭.দীর্ঘসময় বসবেন না, অথবা দীর্ঘসময় কথা বলবেন না, আপনার কাজ শেষ হওয়া মাত্র অনুমতি নিজ ফিরে আসার জন্য। তবে মেজবানের অনুরোধে আপনি থাকতে পারেন আপনার যতক্ষণ ভাল লাগে।</p> <p dir="ltr">আর যখন আপনার ঘরে কেউ আসবেঃ<br> -----------------------------------------------------<br> "আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়ে উত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে বল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী।"- সূরা নিসা, আয়াত নং ৮৬</p> <p dir="ltr">যখন কেউ আপনার ঘরে বেড়াতে আসে তখন আপনি ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকেন তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে। হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "মুমিন হচ্ছে সে যে তার মেহমানের সম্মান করে এবং আতিথেয়তা করে।" </p> <p dir="ltr">মেজবানের আদাবসমূহঃ<br> -------------------------------------<br> ১. এটা আবশ্যক যে, কেউ যদি আপনাকে সালাম দেয় তাহলে আপনি সালামের জবাব দেবেন। কুরআন মাজিদের আদেশ যে আপনি আরো সুন্দর ভাষায় প্রতিউত্তর দেবেন, আরো সংস্কৃতবান, আরো শক্তিশালী ভাষা হবে যিনি সালাম দিয়েছেন তার থেকে। উদাহরণ স্বরুপঃ কেউ যদি বলে "আসসালামু আলাইকুম" আপনি "ওয়ালাইকুমুস সালাম" এর সাথে "ওয়া রাহমাতুল্লাহ" যোগ করে উত্তর  দিন।  </p> <p dir="ltr">২.এই শব্দগুলো যোগ করা যায় সালাম অথবা তার জবাবের সাথে। "ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ"। হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিটি বাড়তি শব্দের জন্য আরো দশটি করে নেকির ওয়াদা করেছেন। </p> <p dir="ltr">৩.আপনি যখন স্বাগত জানাবেন তখন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান। মুসাফাহা করুন যদি অনেক দিন পর দেখা হয়। আলিংগন করুন। অতঃপর বসুন তার সাথে সম্মানের সাথে।</p> <p dir="ltr">৪. কোন অভদ্রের অভদ্রতা আপনার প্রতি অবশ্যই বাজে বিষয় যখন সে আপনার ঘরে আসে, নীতি বলে যে আপনি ভদ্রতার সাথে তা মুকাবেলা করবেন। বদমেজাজীর আচরণ করবেন না। তাদের সাথে আনন্দঘন ব্যবহার করুন। রুচিসম্মত ও সম্মান দিয়ে আচরণ করুন। </p> <p dir="ltr">৫.আরবদের খুব আকর্ষণীয় একটা বাক্য আছে যা দিয়ে তারা অতিথিদের স্বাগত জানায়, আহলান সাহলান ওয়া মারহাবান। যার মর্মার্থ দাঁড়ায় আপনি নিজের ঘর মনে করুন, আপনি যা চান সব পাবেন এবং আপনাকে স্বাগতম। </p> <p dir="ltr">৬.স্বাগত জানাতে আপনি বিচক্ষণতার পরিচয় দিন। আপনি তাদের প্রয়োজন তখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী বুঝার চেষ্টা করুন ইত্যাদি।  চেষ্টা করুন তাদের প্রয়োজন মেটাতে এমনকি তারা চাওয়ার আগেই। </p> <p dir="ltr">৭.তাদের খাদ্যাভ্যাস, নাশতা ও গোসলের অভ্যাস জেনে নিতে চেষ্টা করুন। তার শখ ও অভ্যাস অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করুন। এটা তার জন্য আরামদায়ক হবে এবং আপনার জন্য অশেষ সওয়াব বয়ে আনবে ইন শা আল্লাহ। </p> <p dir="ltr">৮.বিদায়ের সময় অতিথির সাথে কিছু দূর হাটুন এবং বিদায় জানান। তাকে আপনার কাছ থেকে বিদায় নিতে দিন, আপনি তাকে আগে বিদায় দেওয়ার চাইতে।</p> <p dir="ltr">৯.আপনার কাছে যদি কিছু পথখরচ থাকে তবে তা অফার করুন অতিথিকে।</p> <p dir="ltr">১০.যখনই কেউ হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার কাছ থেকে বিদায় নিত তিনি ঐ ব্যক্তির হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন ভালবাসা ও মায়া থেকে এবং তিনি ঐ ব্যক্তির হাত নিজের হাতে ধরে রাখতেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি তার হাত ছাড়িয়ে নেন। যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তিনি পড়তেন, "আস্তাওদিউ'ল্লাহা দিনাকা আমানাতাকা ওয়া খাওয়াতিমা আমালিক"। "আমি আল্লাহর কাছে সপে দিলাম আপনার দ্বীন, আপনার আমানত এবং আপনার শেষ আমলসমূহকে।"</p>

আদব

"সাক্ষাত করতে যাওয়ার আদাব" -------------------------------- কার্টেসিঃ মাদ্রাসা আজাদভিল, দক্ষিণ আফ্রিকা। অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবর...

Read more »

বিষয়ঃ- নামাজে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নাভির নীচে রাখা সুন্নত।

<div><b>বিষয়ঃ- নামাজে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নাভির নীচে রাখা সুন্নত। </b></div><div><br></div><div>১) হাদীস শরীফঃ- </div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.</div><div><br></div><div>অনুবাদ : হযরত ওয়াইল বিন হুজর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নামাযের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের ওপর নাভির নীচে রাখতে দেখেছি।</div><div> </div><div>রেফারেন্সঃ- ইবনে আবী শাইবা: ৩৯৫৯</div><div><br></div><div>✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। মুসা বিন উমাইর ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী। আর মুসা বিন উমাইর ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব: ৭৮৭৪)</div><div>☑ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নাভির নীচে রাখতেন।</div><div><br></div><div>✔ ফায়দা : হাদীসে উল্লিখিত تحت السرةশব্দটি ইবনে আবী শাইবার মূল পান্ডুলিপিতে নেই বলে কোন কোন মুহাদ্দিস মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আরবের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়খ মুহাম্মাদ আউয়ামার অনুসন্ধান অনুযায়ী উক্ত শব্দটি মূল পান্ডুলিপিতে বিদ্যমান রয়েছে এবং প্রমাণ হিসেবে তিনি মূল পান্ডুলিপির ফটোকপি কিতাবের শুরুতে পেশ করেছেন। (শায়খ মুহাম্মাদ আউয়ামার তাহকীকসহ ইবনে আবী শাইবার টিকায় বিস্তারিত দেখুন)</div><div>নামাযে হাত কোথায় বাঁধতে হবে- এ ব্যাপারে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে একটি মারফু’ হাদীস আবু দাউদ শরীফে বিদ্যমান আছে। হাদীসটি নিম্নরূপ:</div><div><br></div><div>২) হাদীস শরীফঃ-</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُغِيَاثٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ زِيَادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْأَبِي جُحَيْفَةَ أَنَّ عَلِيًّارضى الله عنه قَالَ السُّنَّةُ وَضْعُالْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ ‏(رَوَاه ابُوْ دَاود فِىْ بَابِ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ)‏</div><div><br></div><div>অনুবাদ : হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন: নামাযে নাভির নীচে বাম হাতের পাতার ওপর ডান হাতের তালু রাখা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং- ৭৫৬।</div><div><br></div><div>✔ হাদীসটির স্তর : হাসান লিগইরিহী তবে এই সনদটি জঈফ। এ হাদীসের মধ্যে আব্দুর রহমান বিন ইসহাক নামক রাবী জঈফ আর যিয়াদ বিন যায়েদ অপরিচিত হওয়ার কারণে অনেক মুহাদ্দিস হাদীসটিকে জঈফ বলেছেন। তবে ইমাম তিরমিজী রহ. আব্দুর রহমান বিন ইসহাকের বর্ণিত হাদীসকে হাসান বলেছেন। (তিরমিজী: ৭৩৯) উপরন্তু, হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর নিজের আমল নাভির নীচে হাত বাঁধা বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। </div><div><br></div><div>যেমন,</div><div>১)  ইবনে আবী শাইবা: ৩৯৬১, </div><div>২) মুসনাদে আহমাদ: ৮৭৫, </div><div>৩) দারাকুতনী: ১১০২ ও ১১০৩, </div><div>৪) সুনানুল কুবরা লিলবাইহাকী: ২৩৪০, ২৩৪১ ও ২৩৪২। </div><div><br></div><div>তন্মধ্যে ইবনে আবী শাইবার হাদীসটি হাসান। সব মিলে একটি সম্মিলিত শক্তি সৃষ্টি হয়। আর দ্বীনদার জঈফ রাবীর বর্ণিত হাদীসের পক্ষে সমর্থক বর্ণনা পাওয়া গেলে সেটাকে হাসান লিগইরিহী হিসেবে গণ্য হয়। (মুকাদ্দামায়ে মিশকাত: তাদরীবুর রাবী)</div><div><br></div><div>উল্লেখ্য : আবু দাউদ শরীফের চারটি সংকলন রয়েছে। তন্মধ্যে হিন্দুস্তানী মুদ্রণে আবুল কাসেম লুলুঈর সংকলনের অনুসরণ করা হয়েছে। আবু দাউদ শরীফের উক্ত সংকলনে এ হাদীসটি নেই। তবে হযরত ইবনে আরাবী, ইবনে দাসা এবং অন্যদের সংকলনে এ হাদীসটি বিদ্যমান রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক অনুদিত আবু দাউদ শরীফেও হাদীসটি রয়েছে। ইমাম মিজ্জী বলেন: هذا الحديث في رواية أبي سعيد بن الأعرابي وابن داسه وغير واحد عن أبي داود , ولم يذكره أبو القاسم.“এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ রহ. থেকে আবু সাঈদ ইবনে আরাবী, ইবনে দাসা এবং অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন। তবে আবুল কাসেম এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি”। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- তুহফাতুল আশরাফ: হাদীস নম্বর- ১০৩১৪।</div><div><br></div><div>৩) হাদীস শরীফঃ-</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ رَبِيعٍ ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ ، عَنْ إبْرَاهِيمَ ، قَالَ : يَضَعُ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ.</div><div><br></div><div>অনুবাদ : হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. বলেন: নামাযে ডান হাত বাম হাতের ওপর রেখে নাভির নীচে রাখবে। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ- ইবনে আবী শাইবা: ৩৯৬০।</div><div><br></div><div>✔ হাদীসটির স্তর : হাসান, মাকতু’। রবী’ ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর রবী’র ব্যাপারে হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: صدوق سىء الحفظ ، و كان عابدا مجاهدا“তিনি সত্যনিষ্ঠ, আবেদ এবং মুজাহিদ; তবে স্মৃতিশক্তি খারাপ”। (তাকরীব: ২০৭৩) </div><div><br></div><div>৪) হাদীস শরীফঃ-</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ أَخْبَرَنَا الحَجَّاجُ بْنُ حَسَّانَ ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ أَوْ سَأَلْتُهُ ، قَالَ : قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ ؟ قَالَ يَضَعُ بَاطِنَ كَفِّ يَمِينِهِ عَلَى ظَاهِرِ كَفِّ شِمَالِهِ ، وَيَجْعَلُهَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ.</div><div><br></div><div>অনুবাদ : হাজ্জাজ বিন হাসসান রহ. বলেন: আমি হযরত আবু মিজলায রহ.কে বলতে শুনেছি যে, অথবা আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি যে, আমি কীভাবে  করব? তিনি বললেন: ডান হাতের পাঞ্জা বাম হাতের পাঞ্জার ওপর রেখে নাভির নীচে রাখবে। </div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ-  ইবনে আবী শাইবা: ৩৯৬৩।<br></div><div><br></div><div>✔ হাদীসটির স্তর : হাসান, মাকতু’। এ হাদীসের রাবীদ্বয়ের মধ্যে ইয়াযীদ বিন হারুন বুখারী-মুসলিমের রাবী। আর হাজ্জাজ বিন হাসসান صدوق“সত্যনিষ্ঠ”। (আল কাশেফ: ৯৩২)</div><div><br></div><div>☑ সারসংক্ষেপ : বিশিষ্ট দু’জন তাবিঈ এবং মুহাদ্দিস ও ফকীহ হযরত ইবরাহীম নাখঈ এবং হযরত আবু মিজলায রহ.-এর সিদ্ধান্ত থেকে জানা গেলো যে, নামাযে হাত রাখতে হবে নাভির নীচে।</div><div><br></div><div>❌ উল্লেখ্য, নামাযের মধ্যে হাত কোথায় বাঁধতে হবে, এ ব্যাপারে বিভিন্ন রকম আমল বর্ণিত আছে। নাভি বরাবর, নাভির উপরে ও নাভির নীচে। বুকের ওপরে হাত বাঁধার স্পষ্ট কোন সহীহ হাদীস সিহাহ সিত্তার ভিতরে বা বাইরে কোন কিতাবে নেই। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক অনুদিত আবু দাউদ শরীফের ৭৫৯ নম্বর হাদীসে হযরত তাউস রহ. বুকের ওপর হাত বাঁধাকে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আমল বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সাহাবার মাধ্যম না থাকায় হাদীসটি মুরসাল। আমরা মুরসাল হাদীসকে দলীল হিসেবে স্বীকার করি। তবে ইবনে আবী শাইবার ৩৯৫৯ নম্বরে সহীহ সনদে বর্ণিত হযরত ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)-এর হাদীসের বিপরীত হওয়ায় আমরা তাউস রহ.-এর বর্ণিত হাদীসটিকে অপ্রবল মনে করি। কিন্তু যারা এর দ্বারা দলীল দেয় তারা মুরসাল হাদীসকে দলীলযোগ্য মনে করে না। সহীহ ইবনে খুযাইমার ৪৭৯ নম্বরে বুকের ওপর হাত বাঁধার একটি স্পষ্ট হাদীস বর্ণিত থাকলেও হাদীসটি জঈফ। উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী মুআম্মাল বিন ইসমাঈল রিজাল শাস্ত্রের ইমামগণের নিকটে বিতর্কিত। ইমাম বুখারী রহ. তাঁকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন। শায়খ শুআইব আরনাউত হাদীসটিকে জঈফ বলেছেন। (মুসনাদে আহমাদ: ১৮৮৭১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আলবানীও হাদীসটিকে জঈফ বলেছেন। (ইবনে খুযাইমা: ৪৭৯ নম্বর হাদীসের তাহকীকে) মুসনাদে আহমাদের ২১৯৬৮ নম্বর হাদীসে হযরত হুলাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বুকের ওপর হাত বাঁধার একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীসের সনদে কবীসা নামক রাবীকে শায়খ শুআইব আরনাউত অপরিচিত মন্তব্য করে হাদীসটির সনদ জঈফ বলেছেন। আর উক্ত হাদীসের অন্নান্য বর্ণনা পেশ করে বুকের ওপর হাত রাখার অংশটিকে জঈফ বলেছেন। তিনি আরও বলেন:وقول الألباني رحمه الله في صفة الصلاة: وضعهما على الصدر هو الذي ثبت في السنة، تعنُّت لا وجه له،“ আলবানী ‘সিফাতুস সলাত’ কিতাবে বুকের ওপর হাত বাঁধাকে বহাল সুন্নাত বলে যে মন্তব্য করেছেন সেটা নিছক একগুঁয়েমী”। (মুসনাদে আহমাদ: ২১৯৬৮ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) </div><div><br></div><div>এ কারণে হয়তো চার ইমামসহ কোন বিজ্ঞ ফকীহ বা মুহাদ্দিস বুকের ওপর হাত বাঁধার আমল গ্রহণও করেননি। ইবনুল কাইয়িম বলেন: নামাযে হাত বেঁধে কোথায় রাখতে হবে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আহমাদ রহ. থেকে নাভি বরাবর, নাভির উপরে এবং নাভির নীচে তিনটি মতই বর্ণিত হয়েছে। (বাদায়েউল ফাওয়ায়েদ: ৩/৯১)</div><div> </div><div>ইমাম আহমাদের মতো জগতবিখ্যাত মুহাদ্দিসও বুকের ওপর হাত বাঁধার কোন মত পেশ করেননি। অবশ্য সতর সংরক্ষণে বেশী কার্যকর হওয়ায় নারীদেরকে আমরা উক্ত আমলের প্রতি উৎসাহ করে থাকি।</div><div><br></div>

বিষয়ঃ- নামাজে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নাভির নীচে রাখা সুন্নত।

বিষয়ঃ- নামাজে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নাভির নীচে রাখা সুন্নত।  ১) হাদীস শরীফঃ-  حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ ، ...

Read more »

বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামের আমল। (দ্বিতীয় পর্ব)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-b3c9369a-7fff-7bea-038b-44f0cae222fb" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ <b>বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামের আমল।</b></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর আমলঃ- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ حَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، قَالَ: «صَلَّيْتُ مَعَ عُمَرَ، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ إِلَّا حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ : وَرَأَيْت الشَّعْبِيَّ ، وَإِبْرَاهِيمَ ، وَأَبَا إِسْحَاقَ ، لاَ يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلاَّ حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلاَةَ.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আসওয়াদ রহ. বলেন: আমি হযরত উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর সাথে নামায পড়েছি। তিনি নামায শুরু করার সময় ব্যতীত নামাযে আর কোথাও হাত উঠাননি। আব্দুল মালেক বলেন: আমি শা’বী, ইবরাহীম ও আবু ইসহাককে দেখেছি; তাঁদের কেউ নামাযের শুরু ব্যতীত হাত উঠাননি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রেফারেন্সঃ- ১)  ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং- ২৪৬৯, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) ত্বহাবী: ১৩৬৪।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের ثقة “নির্ভরযোগ্য”  রাবী। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَهَذَا رِجَاله ثِقَات “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ، “হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✴ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। আর বিশিষ্ট তাবিঈ হযরত ইমাম শা’বী, ইবরাহীম নাখঈ এবং আবু ইসহাক রহ.ও নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قِطَافٍ النَّهْشَلِيِّ،عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ«أَنَّ عَلِيًّا كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ ثُمَّ لَا يَعُودُ» قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: «وَرَأَيْتُ الشَّعْبِيَّ، وَإِبْرَاهِيمَ، وَأَبَا إِسْحَاقَ، لَا يَرْفَعُونَ أَيْدِيَهُمْ إِلَّا حِينَ يَفْتَتِحُونَ الصَّلَاةَ»</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আছেম বিন কুলাইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন: হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) শুধু নামাযের শুরুতে হাত উঠাতেন পরবর্তীতে আর উঠাতেন না। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রেফারেন্সঃ- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং- ২৪৫৭, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) ত্বহাবী: ১৩৫৩ ও ১৩৫৪</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। হযরত আছেমের পিতা কুলাইব ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর কুলাইব ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৪৬৭১) হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন: وَرِجَاله ثِقَات وَهُوَ مَوْقُوف “এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য আর হাদীসটি মাউকুফ”। (আদ দিরায়াহ: ১৮১ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা যাইলাঈ রহ. বলেন: وَهُوَ أَثَرٌ صَحِيحٌ، “এ হাদীসটি সহীহ”। (নাসবুর রায়াহ: সিফাতুস সলাত অধ্যায়, ৩৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✴ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী বিন আবী তালিব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ عَبْدِ الرحمن بْنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ ، قَالَ : أَلاَ أُرِيكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) (উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)   -এর নামাযের মতো নামায দেখাব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে মাত্র একবার হাত তুললেন। (অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমার সময়ে)। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রেফারেন্সঃ-  </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৬, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) আব্দুর রযযাক: ২৫৩৩ ও ২৫৩৪, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) ত্বহাবী: ১৩৪৯।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✴ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَّا فِي أَوَّلِ مَا يَفْتَتِحُ»</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত মুজাহিদ রহ. বলেন: আমি ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত হাত উঠাতে দেখিনি। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রেফারেন্সঃ- ১)  ইবনে আবী শাইবা: ২৪৬৭, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) ত্বহাবী: ১৩৫৭)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাউকুফ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য” রাবী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✴ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) নামাযের শুরুতে শুধু একবার হাত উঠাতেন। রফউল ইয়াদাইনের হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবাগণের মধ্যে হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) অন্যতম। অথচ তিনি নিজে নামায পড়েছেন রফউল ইয়াদাইন করা ব্যতীত। হযরত ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর এ আমল দেখে বলা যেতে পারে যে, হয়তো তিনি রফউল ইয়াদাইনের আমলকে রহিত মনে করতেন অথবা কমপক্ষে রফউল ইয়াদাইন না করার আমলকে তুলনামূলক উত্তম মনে করতেন। অন্যথায় তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম) কে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়তে দেখে নিজে তা ছেড়ে দিবেন এটা হতে পারে না।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">☑ ফায়দা : হযরত ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে রফউল ইয়াদাইন করে নামায পড়ার হাদীসও বর্ণিত রয়েছে। (বুখারী: ৭০৩) কিন্তু এ হাদীসের ব্যাপক বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এটা মূলতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলের বর্ণনা; ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিজের আমল নয়। কারণ, এ হাদীসটি হযরত ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে তাঁর ছেলে সালেমও বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এটাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা) -এর আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেখুন, বুখারী: ৭০২, ৭০০ ও ৬৯৯। এমনকি এ হাদীসটি বর্ণনা শেষে ইমাম বুখারী রহ. নিজেও মন্তব্য করেছেন যে, এ হাদীসটি হাম্মাদ বিন সালামা আইয়ূব সূত্রে নাফে’ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আমল। এ বর্ণনাটি ইমাম বাইহাকী রহ. তাঁর সুনানে কুবরাতেও সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। (২৫১০) এ হাদীসের ব্যাপারে হযরত ইবনে আব্দুল বার রহ. বলেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هَذَا الْحَدِيثُ أَحَدُ الْأَحَادِيثِ الْأَرْبَعَةِ الَّتِي رَفَعَهَا سَالِمٌ عَنِ أبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَوْقَفَهَا نَافِعٌ عَلَى ابْنِ عُمَرَ فَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عُمَرَ وَفِعْلِهِ وَمِنْهَا مَا جَعَلَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ وَالْقَوْلُ فِيهَا قَوْلُ سَالِمٍ وَلَمْ يَلْتَفِتِ النَّاسُ فِيهَا إِلَى نَافِعٍ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> “এ হাদীসটি ওই চার হাদীসের একটি যা হযরত সালেম তাঁর পিতার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। আর হযরত নাফে’ এটাকে ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিজের আমল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি কখনও এটাকে বনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল বর্ণনা করেন, আবার কখনও ইবনে উমার সূত্রে হযরত উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল বর্ণনা করেন। এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য কথা হলো সেটা যেটা সালেম বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমল আর নাফে’র বর্ণনার দিকে মানুষ ভ্রুক্ষেপ করেনি। (আত তামহীদ: ইমাম যুহরীর ২৪ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়) প্রথমে ইমাম বুখারীর মন্তব্য থেকে প্রমাণিত হলো যে, হযরত নাফে’ থেকেই এ ব্যাপারে ভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। আর ইবনে আব্দুল বার রহ.-এর বিশ্লেষণ থেকে প্রমাণিত হলো যে, এটা হযরত ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর আমল না হওয়ার বিষয়টিই সঠিক।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 16pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: rgb(102 , 102 , 102); font-family: "arial"; font-size: 15pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❌ হযরত ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইদাইন করতেন মর্মে ইমাম বাইহাকী যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন সে হাদীসের একজন রাবী হলেন ইসমা বিন মুহাম্মাদ। ইমামগণ তাঁকে পরিত্যাক্ত, মিথ্যাবাদী, জঈফসহ বহু মারাত্মক দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। (মীযানুল ই’তিদাল: ৫৬৩১) অপর বর্ণনায় আরও একজন রাবী রয়েছেন যার নাম আব্দুর রহমান বিন কুরাইশ। তিনি হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত। হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: اتهمه السليماني بوضع الحديث،  “আল্লামা সুলাইমানী তাকে হাদীস জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন”। (লিসানুল মীযান: ৪৬৬৯) সুতরাং ইবনে উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) মৃত্যু পর্যন্ত রফউল ইয়াদাইন করতেন তা প্রমাণিত নয়।</span></div> </div>

বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামের আমল। (দ্বিতীয় পর্ব)

✔ বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর ব্যাপারে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কিরামের আমল। ১) আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর আমলঃ-  حَدَّثَنَ...

Read more »

বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর বিধান। (প্রথম পর্ব)

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;" id="docs-internal-guid-e02ac861-7fff-6546-38d3-41f311413129"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>✔ রফউল ইয়াদাইন-এর বিধান</b></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাকবীরে তাহরিমার সময়ে হাত উঠানো সুন্নাত। এ ব্যাপারে হাদীসে ভিন্ন কোন হুকুম নেই এবং উম্মাতের মধ্যেও এ নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই। তবে তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত বাকী অন্যান্য ক্ষেত্রে হাত উঠানো নিয়ে সাহাবায়ে কিরামের যুগ থেকে অদ্যাবধি দুটি আমলই চলে আসছে। আমলগত এ পার্থক্যের প্রতি ইঙ্গিত করে ইমাম তিরমিজী রহ. ‘রফউল ইয়াদাইন’-এর পক্ষে বর্ণিত হযরত ইবনে উমার রা.-এর হাদীস পেশ করে বলেন: সাহাবা ও তাবিঈদের মধ্যে কেউ কেউ (রুকু-সিজদাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে) হাত উঠানোর পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আবার ‘রফউল ইয়াদাইন’ না করার পক্ষে বর্ণিত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর হাদীস পেশ করে বলেন: সাহাবা ও তাবিঈদের মধ্যে কেউ কেউ হাত না উঠানোর</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ পক্ষেও মতামত দিয়েছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লিখিত দুটি মতের মধ্যে হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ) ও অন্যান্য সাহাবায়ে কিরাম হাত না উঠানোর যে আমল গ্রহণ করেছেন, হানাফী মাজহাবের উলামায়ে কিরাম তদানুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম     কর্তৃক হাত না উঠানোর আমলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। হাদীসের বিভিন্ন কিতাব থেকে উক্ত আমলের দালীলিক ভিত্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) তিরমিজী শরীফ থেকে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا هَنَّادٌ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: «أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَصَلَّى، فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلَّا فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ». وَفِي البَابِ عَنْ البَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ. حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ، وَبِهِ يَقُولُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ العِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالتَّابِعِينَ، وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الكُوفَةِ (رَوَاه التِّرمٍذِىْ فِىْ بَابِ ما جاء أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يرفع إلا في أول مرة)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)  (উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামাযের মতো নামায পড়াব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে প্রথমবার (অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমা) ব্যতীত আর কোথাও হাত তুললেন না। এ সম্পর্কে বারা বিন আযেব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর হাদীসটি হাসান। সাহাবা এবং তাবিঈদের একাধিক আলিম এভাবেই আমলের কথা বলেছেন। এটা সুফিয়ান সাওরী এবং কুফাবাসীদেরও মত রেফারেন্সঃ-  তিরমিজী শরীফ, হাদীস নং-২৫৭।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী। ইমাম তিরমিজী রহ. এটাকে হাসান বললেও শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন: صححه غير واحد من الأئمة، “বহু সংখ্যক ইমাম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন”। (সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৮৭৪ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা আবুল হাসান ইবনুল কত্তান রহ. বলেন: وَذكر التِّرْمِذِيّ عَن ابْن الْمُبَارك أَنه قَالَ: لَا يَصح.وَقَالَ الْآخرُونَ: إِنَّه صَحِيح. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِك الدَّارَقُطْنِيّ، قَالَ: إِنَّه حَدِيث صَحِيح “ইমাম তিরমিজী রহ. ইবনুল মুবারকের বরাত দিয়ে বলেন যে, হাদীসটি সহীহ নয়। আর অন্যান্যরা বলেন: এটা সহীহ। যারা সহীহ বলেন তাদের একজন ইমাম দারাকুতনী। তিনি বলেন: হাদীসটি সহীহ”। (আল ওয়াহাম ওয়াল ঈহাম: ১১০৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়) তিরমিজী, আবু দাউদ এবং নাসাঈ শরীফের তাহকীকে আলবানীও এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। মুসনাদে আবু ইয়া’লার তাহকীকে শায়খ হুসাইনও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুসনাদে আবু ইয়া’লা: ৫০৪০ নম্বর হাদীসের তাহকীকে) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং- ৭৪৮ ও ৭৪৯,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) সুনানে নাসাঈ শরীফ, হাদীস নং- ১০২৯ ও ১০৬১, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) মুসনাদে আহমাদ: ৩৬৮১ ও ৪২১১, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) আব্দুর রযযাক: ২৫৩৩ ও ২৫৩৪, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৬ ও ২৪৫৮ এবং </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) আবু ইয়া’লা: ৫০৪০ ও ৫৩০২ নম্বরে বর্ণিত হয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✴ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু নামাযের শুরুতে একবার হাত উঠাতেন। ইমাম তিরমিজী রহ. আরও উল্লেখ করেন যে, এটা কুফাবাসীদের আমল। আর কুফাবাসীদের আমল হওয়ার অর্থ হলো আশারায়ে মুবাশশারাহ এবং বদরী সাহাবাগণের একাংশসহ দেড় হাজার সাহাবায়ে কিরামের আমল। কারণ কুফা নগরীতে বসবাস করতেন দেড় হাজার সাহাবায়ে কিরাম। আল্লামা আবুল হাসান আহমাদ বিন আব্দুল্লাহ আল ইযলী (মৃত্যু- ২৬১) বলেন: نَزَلَ الْكُوفَةَ أَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ مِنْ أصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (بَابٌ فِيْمَنْ نَزَلَ الْكُوْفَةَ وَغَيْرِهَا مِنَ الصَّحَابَةِ) “কুফা নগরীতে বসবাস করতেন এক হাজার পাঁচশত সাহাবায়ে কিরাম”। (মা’রিফাতুছ ছিকাত: ‘কুফা ও অন্যান্য শহরে বসবাসকারী সাহাবাগণ’ অধ্যায়) সুতরাং সাহাবা, তাবিঈন এবং তাবে তাবিঈনের যুগে কুফায় কোন আমল বিস্তার লাভ করে থাকলে নিশ্চিত বলা যায় যে, এটা রাসূলুল্লাহ  (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমল। কারণ, দেড় হাজার সাহাবায়ে কিরাম ও তাঁদের সংশ্রবপ্রাপ্ত ছাত্রগণের নগরীতে কোন ভিত্তিহীন আমলের ওপর সবাই একমত হবেন তা কল্পনাতীত। আরও লক্ষণীয় বিষয় এই যে, ইসলামের দলীল হিসেবে সনদের বিশুদ্ধতার চেয়ে আমলের বিস্তৃতির মান কোনক্রমে কম নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) নাসাঈ শরীফ থেকে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَامَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ لَمْ يُعِدْ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)  বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নামায সম্পর্কে বলব না? রাবী বলেন: অতঃপর তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে প্রথমবার উভয় হাত উঠালেন; তারপর আর উঠালেন না। রেফারেন্সঃ- সূনানে নাসাঈ: ১০২৯।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। সুআইদ বিন নাসর ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী। আর সুআইদ ثقةٌ “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব: ২৯৯০) আলবানীও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ-জঈফ নাসাঈ: ১০২৯) এ হাদীসটি ইমাম নাসাঈ রহ. ভিন্ন আরেকটি সনদেও বর্ণনা করেছেন। (নাসাঈ: ১০৬১)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❇ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু নামাযের শুরুতে একবার হাত উঠাতেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফায়দা : হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু -এর এ হাদীসটি প্রমাণিত নয় বলে তিরমিজী শরীফে আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহ.-এর যে মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, এ হাদীসের সনদ দ্বারা তারও অবসান ঘটে। কারণ, ‘রফউল ইয়াদাইন’ না করার ব্যাপারে বর্ণিত এ সহীহ হাদীসটি হযরত ইবনুল মুবারক রহ. নিজেই বর্ণনা করেছেন। অতএব, তাঁর নিকটে এ হাদীস অজানা নয়; বরং ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  -এর অপর একটি কওলী হাদীস বর্ণিত আছে। হয়তো সে হাদীসটির ব্যাপারে ইবনুল মুবারক রহ. উক্ত মন্তব্য করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) আবু দাউদ শরীফ থেকে</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، يَعْنِي ابْنَ كُلَيْبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّي بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّةً ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ وَلَيْسَ هُوَ بِصَحِيحٍ عَلَى هَذَا اللَّفْظِ (رَوَاه ابُوْ دَاود فِىْ بَابِ مَنْ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ عِنْدَ الرُّكُوعِ)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‏ অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু   (উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন: আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামাযের মতো নামায পড়াব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে মাত্র একবার হাত উঠালেন। (অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমার সময়ে) ইমাম আবু দাউদ রহ. বলেন: এটা একটি দীর্ঘ হাদীসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। আর এ হাদীসটি এই শব্দে সহীহ নয়। রেফারেন্সঃ-  আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং-৭৪৮।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের ثقة “নির্ভরযোগ্য”  রাবী। সুতরাং সনদের বিবেচনায় হাদীসটি সহীহ। আলবানীও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ-জঈফ  আবু দাউদ: ৭৪৮) এ কারণেই হযরত আবুল হাসান ইবনুল কত্তান রহ. হাদীসটিকে أقرب إِلَى الصِّحَّة “সহীহ’র সাথে ঘনিষ্ঠ” বলে মন্তব্য করেছেন। (আল ওয়াহাম ওয়াল ঈহাম: হাদীস নম্বর- ১১০৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফায়দা : ইমাম আবু দাউদ রহ. এ হাদীসটি বর্ণনান্তে এ মন্তব্য করেছেন যে, “হাদীসটি এই শব্দে সহীহ নয়”। তিনি এ হাদীসের কোন রাবীকে জঈফ বলতে পারেননি; আর তা সম্ভবও নয়। যেহেতু এ সব রাবীর নির্ভরযোগ্যতা উম্মাতের নিকটে স্বীকৃত। এর পরেও উক্ত মন্তব্যটি কেন করলেন তার কোন কারণ তিনি উল্লেখ করেননি। অবশ্য আবু দাউদ শরীফের মূল পা-ুলিপি তাহকীককারী বিজ্ঞ আলিমগণের মন্তব্য হলো: উক্ত কথাটি ইমাম আবু দাউদ রহ.-এর নয়। ভারবর্ষের মুদ্রণেও এ কথাটি লেখা নেই। বিস্তারিত দেখুন বজলুল মাযহুদ, ৪র্থ খন্ড, ৩১৩ পৃষ্ঠায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু -এর এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ রহ. আরও একটি সনদে উল্লেখ করেছেন। (হাদীস নং-৭৪৯) সে সনদে হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ. থেকে বর্ণনাকারী তিনজন রাবীর মধ্যে মুআবীয়া মুসলিমের রাবী আর আবু হুজাইফা বুখারীর রাবী। আলবানী উক্ত সনদটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ-জঈফ আবু দাউদ: ৭৪৯) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) হাদীস শরীফঃ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَكِيلُ , ثنا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ , ثنا هُشَيْمٌ , عَنْ حُصَيْنٍ , وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , وَعُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ , قَالَا: نا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى , نا جَرِيرٌ , عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى إِبْرَاهِيمَ فَحَدَّثَهُ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ , قَالَ: صَلَّيْنَا فِي مَسْجِدِ الْحَضْرَمِيِّينَ , فَحَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  «يَرْفَعُ يَدَيْهِ حِينَ يَفْتَتِحُ الصَّلَاةَ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا سَجَدَ». فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: مَا أَرَى أَبَاكَ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا ذَلِكَ الْيَوْمَ الْوَاحِدَ فَحَفِظَ ذَلِكَ , وَعَبْدُ اللَّهِ لَمْ يَحْفَظْ ذَلِكَ مِنْهُ , ثُمَّ قَالَ إِبْرَاهِيمُ: إِنَّمَا رَفْعُ الْيَدَيْنِ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ  : হযরত হুসাইন বিন আব্দুর রহমান বলেন: আমি হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ.-এর নিকটে গেলাম। তখন হযরত আমর বিন মুররাহ তাঁকে হাদীস শুনালেন যে, আমরা হাযরামীদের মসজিদে নামায পড়লাম। অতঃপর আলকামা বিন ওয়ায়েল আমাদেরকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হাত উঠাতে দেখেছেন নামাযের শুরুতে এবং রুকু-সিজদার সময়ে। এ কথা শুনে হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. বললেন, তোমার পিতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ওই একদিন দেখে স্মরণ রাখলেন আর ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  তা স্মরণ রাখতে পালেন না? অতঃপর তিনি বললেন: রফউল ইয়াদাইন শুধু নামাযের শুরুতে হবে। রেফারেন্সঃ- দারাকুতনী: ১১২১।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। ইমাম দারাকুতনী এ হাদীসটিকে দু’টি সনদে বর্ণনা করেছেন। প্রথম সনদে হাসান বিন আরাফা এবং আহমাদ বিন আব্দুল্লাহ ব্যতীত সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের রাবী। আর হাসান বিন আরাফার ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ১০৪২) আহমাদ বিন আব্দুল্লাহও ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (তারীখে বাগদাদ: ২২০৬) সুতরাং এ সনদটি সহীহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ আর দ্বিতীয় সনদে ইমাম দারাকুতনীর উসতাদ দু’জন তথা হুসাইন ও উসমান। এ দু’জনই বুখারীর/মুসলিমের রাবী। আর দারাকুতনীর উক্ত দুই উসতাদের মধ্যে হুসাইন বিন ইসমাঈলের ব্যপারে আল্লামা খতীবে বাগদাদী বলেন: وكان فاضلا، صادقا، دينا، “তিনি ছিলেন মর্যাদাসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ এবং দ্বীনদার”। (তারীখে বাদাদ: ৪০১৮) সুতরাং এ সনদটিও সহীহ। ইবরাহীম নাখঈ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদকে না পেলেও তাঁর মুরসাল সহীহ। (তাহজীবুত তাহজীব)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✳ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বহুবার দেখেছেন যে, তিনি কেবল নামাযের শুরুতে একবার হাত উঠাতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) হাদীস শরীফঃ- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، حَدَّثَنَا سَالِمٌ الْبَرَّادُ قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ فَسَأَلْنَاهُ عَنِ الصَّلَاةِ فَقَالَ: " أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي؟ " قَالَ: " فَقَامَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ، ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ، وَجَافَى بَيْنَ إِبْطَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ قَامَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ سَجَدَ فَوَضَعَ كَفَّيْهِ وَجَافَى بَيْنَ إِبِطَيْهِ. ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ، ثُمَّ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ هَكَذَا</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ  : হযরত সালেম রহ. বলেন: আমরা হযরত আবু মাসউদ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  -এর নিকটে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নামায সম্পর্কে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন নামায পড়তেন আমি কি তোমাদেরকে অনুরূপ নামায পড়াব না? হযরত সালেম বলেন: অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর দিলেন এবং উভয় হাত উঁচু করলেন। এরপর রুকু করলেন এবং উভয় পাঞ্জা হাঁটুর ওপর রাখলেন। আর হাত দু’টি বগল থেকে ফাঁকা রাখলেন। হযরত সালেম বলেন: তারপর এমনভাবে দাঁড়ালেন যে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে স্থির হলো। এরপর সিজদা করলেন এবং সিজদায় উভয় হাতের পাঞ্জা যমীনে রাখলেন। আর হাত দু’টি বগল থেকে ফাঁকা রাখলেন। অতঃপর সিজদা থেকে মাথা উঠালেন (এবং বসলেন) এমনকি শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যথাস্থানে স্থির হলো। এভাবে তিনি চার রাকাত নামায আদায় করলেন। রেফারেন্সঃ- মুসনাদে আহমাদ: হাদীস নং- ২২৩৫৯।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ লিগইরিহী। সালেম বাররাদ ব্যতীত সবাই-ই বুখারীর রাবী। আর সালেম ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব: ২৪০৫) শায়খ শুআইব আরনাউত বলেন: إسناده حسن “হাদীসটির সনদ হাসান”। (মুসনাদে আহমাদ: ২২৩৫৯ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) হযরত ইবনে মাসউদ এবং বারা বিন আযেব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারাও এ পদ্ধতির সমর্থন রয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✳ সারসংক্ষেপ : এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু নামাযের শুরুতে একবার হাত উঠাতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) হাদীস শরীফঃ- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ أُذُنَيْهِ، ثُمَّ لَا يَعُودُ (رَوَاه ابُوْ دَاود فِىْ بَابِ مَنْ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ عِنْدَ الرُّكُوع</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত বারা বিন আযেব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন উভয় কানের কাছাকাছি হাত উঠাতেন। এর পরে আর উঠাতেন না। রেফারেন্সঃ-  আবু দাউদ শরীফ, হাদীস নং- ৭৫০</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : হাসান। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। তবে ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের ব্যাপারে প্রসিদ্ধি আছে যে, বার্ধক্যে তাঁর স্মৃতিশক্তির বিকৃতি ঘটেছিলো। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়ে থাকে যে, ثُمَّ لَا يَعُودُ (তাকবীরে তাহরিমার পরে তিনি আর হাত উঠাননি) এ বাক্যটি হাদীসের অংশ নয়; বরং এটা কারও শিখিয়ে দেয়া। কিন্তু একাধিক কারণে এ অভিযোগ সঠিক নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❌ প্রথম কারণ: ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের উসতাদ হযরত আব্দুর রহমান বিন আবী লাইলা। তাঁর থেকে এ বাক্যটি হযরত ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদ একাই বর্ণনা করেননি; বরং আরও একাধিক মুহাদ্দিস অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। যেমন- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) ঈসা বিন আব্দুর রহমান ➡ ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৫,</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡ ত্বহাবী: ১৩৪৮, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡ জুযউ রফইল ইয়াদাইন লিলবুখারী: ৩৪। ও</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) হাকাম বিন উতাইবা ➡ ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৫, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡ ত্বহাবী: ১৩৪৮, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡ জুযউ রফইল ইয়াদাইন: ৩৪।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের একার স্মৃতিশক্তি বিকৃত হলেও সবার স্মৃতিশক্তি তো আর বিকৃত হয়নি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❌ দ্বিতীয় কারণ: হযরত ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো: তাঁর বার্ধক্যে স্মৃতিশক্তির বিকৃতি ঘটেছিলো; কিন্তু উক্ত বাক্যটি হযরত ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের বৃদ্ধ বয়সের বর্ণনা নয়। কারণ, ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের যুবক বয়সের ছাত্রদের মধ্যে বড় বড় মুহাদ্দিসগণ হাদীসটি অনুরূপ শব্দে বা অনুরূপ অর্থে বর্ণনা করেছেন। যেমন- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) সুফিয়ান সাওরী (ত্বহাবী: ১৩৪৬), </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) শু’বা বিন হাজ্জাজ (দারাকুতনী: ১১২৭), </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) ইসমাঈল বিন যাকারিয়া (দারাকুতনী: ১১২৯), </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) মুহাম্মাদ বিন আবী লাইলা (দারাকুতনী: ১১৩২), </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) হামযা আয যাইয়াত (তবারানী আওসাত: ১৩২৫), </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) শারীক বিন আব্দুল্লাহ (আবু দাউদ: ৭৫০) ও </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইসরাঈল বিন ইউনুস (খিলাফিয়্যাত লিল বাইহাকী)। এ ছাড়াও ইবনে আদী তাঁর ‘কামিল’ কিতাবে বলেন: وَرَوَاهُ هُشَيْمٌ وشَرِيك وَجَمَاعَةٌ مَعَهُمَا عَنْ يَزِيدَ بِإِسْنَادِهِ وَقَالُوا فيه ثم لم يعد “হুশাইম, শারীক ও তাঁদের সাথে একদল মুহাদ্দিস ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদ থেকে হাদীসটি উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁরা সবাই ثُمَّ لم يعد বাক্যটি বলেছেন”। (কামিল: ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের জীবনী আলোচনায়)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতএব, মুসলিম শরীফের রাবী ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদের স্মৃতিশক্তির আংশিক দুর্বলতার কারণে বিখ্যাত মুহাদ্দিসীনে কিরামের সমর্থিত বর্ণনাকে উপেক্ষা করে হাদীসটিকে জঈফ বলা উসূলে হাদীসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোক্ত সমর্থন ছাড়াও হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ এবং আবু মাসউদ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা  থেকে বর্ণিত সহীহ মারফু’ হাদীস, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ , হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সহ একদল সাহাবায়ে কিরাম আর সেই সাথে বিশিষ্ট তাবিঈগণের আমল হযরত বারা বিন আযেব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) -এর বর্ণিত হাদীসকে আরও শক্তিশালী করে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭) হাদীস শরীফঃ- </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إسْحَاقَ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى عَنْ عَبَّادِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَ إذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ فِي أَوَّلِ الصَّلَاةِ، ثُمَّ لَمْ يَرْفَعْهَا فِي شَيْءٍ حَتَّى يَفْرُغَ،</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আব্বাদ বিন যুবাইর রহ. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন নামাযের শুরুতে হাত উঠাতেন। অতঃপর নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত আর উঠাতেন না। (ইমাম বাইহাকীর খিলাফিয়্যাতের বরাতে নাসবুর রায়াহ)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ, মুরসাল। এ সনদের রাবীগণ সবাই-ই উঁচু মানের মুহাদ্দিস। ১)  ইমাম বাইহাকীর উসতাদ হাকেম আবু আব্দুল্লাহ নিশাপুরী প্রসিদ্ধ হাফেজ এবং মুসতাদরাকের লেখক। মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব হাফেজে হাদীস (তারীখুল ইসলাম: ৭/৬১৮) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) মুহাম্মাদ বিন ইসহাক ছগানী মুসলিমের রাবী। (তাকরীব: ৬৪২০) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) হাসান বিন রবী’ বুখারী-মুসলিমের রাবী। (তাকরীব: ১৩৬৭) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪) হাফস বিন গিয়াছ বুখারী-মুসলিমের রাবী। (তাকরীব: ১৫৫৯) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫) মুহাম্মাদ বিন আবী ইয়াহইয়া ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৫২১৯) </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬) আর আব্বাদ বিন যুবাইর হলেন হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  -এর ছেলে। তিনি ছিলেন মক্কার কাযী এবং বুখারী-মুসলিমের প্রসিদ্ধ ثقة “নির্ভরযোগ্য”  রাবী। (তাকরীব: ৩৪৬৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ ফায়দা : হযরত আব্বাদ বিন যুবাইর রহ. তাবিঈ হওয়ায় হাদীসটি মুরসাল। আর নির্ভরযোগ্য রাবীর বর্ণিত মুরসাল হাদীসের পক্ষে কোন সমর্থক হাদীস থাকলে চার ইমামসহ হাদীসের অনেক নীতিনির্ধারক ইমামের নিকটে সেটা গ্রহণযোগ্য। (শরহে নুখবা: মুরসাল অধ্যায়) আর এ মুরসাল হাদীসের সমর্থনে পূর্ববর্ণিত মারফু’ হাদীসও রয়েছে। আর নিন্মে বর্ণিত আকাবির সাহাবায়ে কিরামের আমলও রয়েছে। সুতরাং এ মুরসাল হাদীসটি গ্রহণযোগ্য। সাহাবায়ে কিরামের সত্যবাদিতা স্বীকৃত হওয়ায় যখন তাঁদের মুরসাল সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণযোগ্য, তখন অন্য রাবীদের সত্যবাদিতা স্বীকৃত হলে তাদের মুরসাল গ্রহণযোগ্য না হওয়ার কী কারণ থাকতে পারে? আর আব্বাদ বিন যুবাইর-এর ব্যাপারে এ স্বীকৃতি রয়েছে যে, أصدق الناس لهجة و كان “তিনি ছিলেন সর্বাধিক সত্যভাষী”। (তাহজীবুত তাহজীব: ৩১৩৫) সুতরাং যিনি মানুষের সাথে মিথ্যা কথা বলেন না তিনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যাপারে কোন কথা বলবেন তা কী করে হতে পারে? উপরন্তু, তাহজীবুত তাহজীবে হযরত আব্বাদ রহ.-এর উসতাদগণের নামের যে তালিকা পেশ করা হয়েছে তাঁরা সবাই-ই সাহাবা। তিনি সাধারণতঃ তাঁদের থেকেই হাদীস বর্ণনা করে থাকেন। সুতরাং সর্বাধিক সম্ভাবনাময় কথা এটাই যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উক্ত আমলটি যার মাধ্যমে শুনেছেন তিনি কোন সাহাবা হবেন। আর হাদীস গ্রহণের নীতিমালা অনুযায়ী সাহাবার নাম উল্লেখ না করলেও হাদীস সহীহ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাকবীরে তাহরিমা ব্যতীত নামাযের অন্যান্য জায়গায় হাত উত্তোলন না করার আমল উল্লিখিত মারফু’ হাদীস ব্যতীত আরও বহু আকাবির সাহাবা ও তাবিঈ থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হলো।</span></p>

বিষয়ঃ- রফউল ইয়াদাইন-এর বিধান। (প্রথম পর্ব)

✔ রফউল ইয়াদাইন-এর বিধান তাকবীরে তাহরিমার সময়ে হাত উঠানো সুন্নাত। এ ব্যাপারে হাদীসে ভিন্ন কোন হুকুম নেই এবং উম্মাতের মধ্যেও এ নিয়ে কোন মতবিরো...

Read more »

হাদিস পর্যালোচনাঃ মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-b0cfdf8f-7fff-9980-1dac-3df9986b3e2e" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত- এই কথা সঠিক কিনা এবং কোরআন-হাদিসের আলোকে মাতা-পিতার মর্যাদাঃ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الجنَّةُ تحتَ أقدامِ الأمَّهاتِ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘‘মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেশত’’ উক্ত বাক্যে হাদীসটি কি সহীহ? বা উক্ত শব্দে হাদিসটি সহীহ কি না? যদি উক্ত হাদীস সহীহ না হয়, তাহলে উক্ত মর্মে অন্য কোন হাদিস রয়েছে কি? এখন সে বিষয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো মূলত তিনটি ধাপে:</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">****১ম ধাপ****</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶১. উক্ত শব্দে হাদিসটি সহীহ না বরং এটি যয়ীফ ও মুনকার। নিম্মে হাদীসটি সনদসহ দেখুন:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الكامل في ضعفاء الرجال (8/ 64)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالَ الشَّيْخُ: وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ بِهَذَا الإِسْنَادِ يرويه، عَن أَبِي المليح مُوسَى بْن مُحَمد، وأَبُو المليح لا بأس به.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا عُمَر بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنا عباس بن الوليد الخلال، حَدَّثَنا مُوسَى بْنُ مُحَمد بْنِ عطاء، حَدَّثَنا أَبُو الْمُلَيْحِ عَنْ مَيْمُونَ بْنِ مَهْرَانَ، عنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَال: قَال رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَنَّةُ تَحْتَ أَقْدَامِ الأمهات من شئن أدخلن، ومَنْ شئن أخرجن</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,মায়ের পায়ের নিচে (সন্তানের) বেহেস্ত।যে চায়,সে যেন তাতে প্রবেশ করে আর না চাইলে যেন বের হয়ে যায়। [আল কামেল লি ইবনে আদী-৮/৬৪]</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◾হাদিসের মান যাচাই</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶(ক.) ‘‘আল্লামা ইবনু আদী (রহ:) উক্ত হাদীসটিকে উল্লেখ করে বলেন-وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ উক্ত হাদীসটি মুনকার তথা অস্বীকৃত।’’ [আল কামেল লি ইবনে আদী-৮/৬৪]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶ হাদিসটি যয়ীফ হওয়ার কারণ হলো, উক্ত হাদীস এর একজন বর্ণনাকারী হলেন ‘‘মুসা ইবনে মুহাম্মদ’’ তিনি অধিক দুর্বল বর্ণনাকারী।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶(খ.) তার সম্পর্কে হাফেস যাহাবী (রহ:) বলেন-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ميزان الاعتدال (4/ 219)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">8915 – موسى بن محمد بن عطاء الدمياطي البلقاوى المقدسي الواعظ، أبو طاهر، أحد التلفى.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">روى عن مالك، وشريك، وأبي المليح.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وعنه الربيع بن محمد اللاذقى، وعثمان بن سعيد الدارمي، وبكر بن سهل الدمياطي، وأبو الاخوص العكبري.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كذبه أبو زرعة، وأبو حاتم.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال النسائي: ليس بثقة.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الدارقطني وغيره: متروك.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">….জারাহ ও তাদীলের বিখ্যাত ইমাম আবূ জুরাআ (রহ:) ও আবূ হাতেম (রহ:) তাকে মিথ্যুক বলেছেন এবং ইমাম নাসায়ী (রহ:) বলেন,তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম দারা কুতনীসহ অন্যান্য ইমামগণ বলেন, তিনি পরিত্যাক্ত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মিযানুল ইতেদাল-৪/২১৯, জীবনী নং-৮৯১৫]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶(গ.) ইমাম ইবনে হিব্বান ও ইবনে আদী (রহ.) তার সম্পর্কে আরো বলেন-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ميزان الاعتدال (4/ 219)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال ابن حبان: لا تحل الرواية عنه، كان يضع الحديث.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال ابن عدي: كان يسرق الحديث.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার থেকে বর্ণনা করা বৈধ নয়,সে হাদীস জাল করে থাকে-ইবনে হিব্বান (রহ.) তিনি হাদীসের মাঝে কারচুপি করেন। ইমাম ইবনু আদী (রহ.)।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মিযানুল ইতেদাল-৪/২১৯]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶(ঘ.) আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لسان الميزان ت أبي غدة (8/ 218)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولما ذكره العقيلي في الضعفاء قال: يحدث عن الثقات بالبواطيل والموضوعات وقال: منكر الحديث. وأخرج حديثي ابن عباس وقال في كل منهما: منكر وأخرج له غيرهما.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال ابن يونس: روى عن مالك موضوعات وهو متروك الحديث.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال عبد الغني بن سعيد: ضعيف.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال أبو نعيم الأصبهاني: لا شيء.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال منصور بن إسماعيل بن أبي قرة: كان يضع الحديث على مالك والموقري.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">লিসানুল মিযান,লি ইবনে হাজার-৮/২১৪, জীবনি নং-৮০৩০।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶ইমাম ইবনে হিব্বান আরো বলেন-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">المجروحين لابن حبان (2/ 242)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">919 – مُوسَى بن مُحَمَّد أَبُو طَاهِر الدمياطي الْبُلْقَاوِيُّ يروي عَن مَالك والموقري وذويهما روى عَنهُ أهل الشَّام والعراقيون أَصله من الْمَدِينَة سكن نَاحيَة من الشَّام يُقَال لَهَا بلقاء وَكَانَ يَدُور بِالشَّام وَيَضَع الحَدِيث على الثِّقَات ويروي مَا لَا أصل لَهُ عَن الْأَثْبَات لَا تحل الرِّوَايَة عَنْهُ وَلَا كِتَابَة حَدِيثه إِلَّا عَلَى سَبِيل الِاعْتِبَار للخواص</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">…..তিনি শাম দেশে ঘুরাফেরা করতেন এবং নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের নামে জাল হাদীস রচনা করতেন। তিনি এমন হাদীস বর্ণনা করেন, যার প্রকৃত পক্ষে কোন ভিত্তি নেই। তার থেকে বর্ণনা করাও হালাল নয় এবং তার হাদীস লিখাও উচিৎ নয়…..।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল মাজরুহীন লি ইবনে হিব্বান-২/২৪২, জীবনি-৯১৯]</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">******২য় ধাপ******</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">* উক্ত হাদিসের সনদে দূর্বল বর্ণনাকারী থাকা সত্তেও আমরা কি উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করবো?</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*তাহলে প্রশ্ন হলো উক্ত কথাটি কি ভুল তথা ভিত্তিহীন…? আমি বলবো না!!!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*কেননা, কোরআন ও সহীহ হাদিসের মাঝে পিতা-মাতার ফযীলত এর ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*এখন এমন প্রমান পেশ করবো যা উক্ত যয়ীফ হাদীসটির কাছাকাছি অর্থ অন্য একটি সহীহ হাদীসের মাঝেও পাওয়া যায় তথা প্রকাশ করে। আর তা হলো:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶১. হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসুল ﷺ ইরশাদ করেন, “আল জান্নাতু তাহতা আকদামুল উম্মুহাত” মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. এ সুত্রটি ইমাম কদ্বায়ী তার ” মুসনাদে শিহাব” গ্রন্থের প্রথম খন্ডের ১০২ পৃ. হাদিসঃ১১৯, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.মুসলিম আনসারী, আল-কুনী ওয়াল আসমা, ৩/১০৯১পৃ. হাদিস: ১৯১২- দারুল ইবনে হাযম,বৈয়রুত।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶এ হাদিসটি এ মতন বা শব্দ পরিবর্তন হয়ে হযরত মুয়াবিয়া বিন জাহিমাতা আস্- সালামী (রা:) হতে বর্নিত রাসুল ﷺ এখানে “আকদাম” এর স্থানে “রিজলিহা” অর্থাৎ তাদের পা মূলত একই অর্থ বহন করে। হাদিসখানা দেখুনঃ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">3104 – أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ، فَقَالَ: «هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَالْزَمْهَا، فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا»</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত মুআবীয়া ইবনে জাহিমা সালামী (রা.) বলেন, আমার পিতা জাহিমা একদা রাসূল ﷺ এঁর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছে করেছি। তাই আঁপনার নিকট পরামর্শ করতে এসেছি। রাসূল ﷺ বললেন, তোমার মা (জীবিত) আছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূল ﷺ বললেন,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">«فَالْزَمْهَا، فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا»</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার খেদমতে লেগে থাকো। কেননা জান্নাত তার দু’পায়ের নিচে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*১. সুনানে নাসাঈ শরিফ,৬/১১ পৃ: হাদিসঃ৩১০৪</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*২. বায়হাকী,শুয়াবুল ঈমান,১০/২৪৮ পৃ:, হাদিসঃ৭৪৪৯</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*৩. হাকিম,আল- মুস্তাদরাক,২/১১৪ পৃ. হাদিসঃ ২৫০২ ও ৪/১৬৭ পৃ. হাদিস: ৭২৪৮।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*৪. আবি শায়বাহ,মুসান্নাফ,৫/২১৯ পৃ. হাদিসঃ ২৫৪১১ ও ৬/৫১৮ পৃ: হাদিসঃ ৩৩৪৬০</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*৫. নাসাঈ,আস্-সুনানিল কোবরা,৪/২৭২ পৃ. হাদিসঃ৪২৯৭</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*৬. মুসনাদে আহমদ, ২৪/২৯৯ পৃ. হাদিসঃ ১৫৫৩৮</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">◾হাদিসের মান যাচাই</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ক.) অসংখ্য ইমামগণ হাদীসটিকে সহীহ তথা প্রমাণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। ইমাম হাকেম ও হাফেজ যাহাবী (রহ.) বলেন:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">المستدرك على الصحيحين للحاكم (2/ 114)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ ”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[التعليق – من تلخيص الذهبي] 2502 – صحيح</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসটি সহীহ, যদিও সহীহ বুখারী ও মুসলিম এর মাঝে সংকলন করা হয় নি👉ইমাম হাকেম। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসটি সহীহ👉হাফেয যাহাবী। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মুসতাদরাকে হাকেম-২/১১৪, হাদীস-২৫০২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আরেকটি কথা হল বুখারী ও মুসলিম শরীফে থাকবে না বলে সহিহ হবে না এমন তো হতে পারে না। আর ইমাম হাকেম ও ইমাম যাহাবীর পরিচয় নিশ্চয়ই কম বেশী সবারই জানা রয়েছে]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*(খ.) নাসায়ী,তাবারানী,হাদীসের সনদ হাসান,আর মুনযিরী (রহ:) স্বীকৃতি দিয়েছেন।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*(গ.) আহলে হাদিসদের গুরু নাসীর উদ্দীন আলবানীও উক্ত হাদীসটিকে সুনানে নাসাঈ এর তাহক্বীকে হাসান,সহিহ বলেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সুত্রঃ সুনানে নাসাঈ,হাদিসঃ৩১০৪]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আহলে হাদীসদের গুরু শায়খ নাসীর উদ্দীন আলবানীও উক্ত হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন,নিন্মে তা দেখুন:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إرواء الغليل في تخريج أحاديث منار السبيل (5/ 21)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أما حديث معاوية , فيرويه ابن جريج , قال: أخبرنى محمد بن طلحة وهو ابن عبد الله بن عبد الرحمن عن أبيه طلحة عنه بلفظ: ” أن جاهمة جاء إلى النبى صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله أردت أن أغزو , وقد جئت أستشيرك؟ فقال: هل لك من أم؟ قال: نعم , قال: فالزمها , فإن الجنة تحت رجليها “.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرجه النسائى والحاكم (2/104 و4/151) وأحمد (3/429) وابن أبى شيبة أيضا فى ” مسنده ” (2/7/2) .</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الحاكم: ” صحيح الإسناد “.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ووافقه الذهبى.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قلت: كذا قالا , وطلحة بن عبد الله لم يوثقه غير ابن حبان , لكن روى عنه جماعة , فهو حسن الحديث إن شاء الله وفى ” التقريب “: ” مقبول “…….</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইরওয়াউল গালীল-৫/২১।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং উক্ত হাদিস নিয়ে ফেৎনা সৃষ্টি করার কোনরুপ প্রয়োজন থাকতে পারে না।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সবার নিকট অনুরোধ থাকলো সবগুলো পর্ব দেখবেন ইনশাআল্লাহ মনের সন্দেহ দূর হয়ে যাবে]</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">*****৩য় ধাপ******</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶২. জাহেমাহ আস-সুলামী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নিকটে এসেছিলাম জিহাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পরামর্শ করার জন্য। তিঁনি আমাকে বললেন,তোমার কি পিতা-মাতা আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিঁনি বললেন,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الْزَمْهُمَا فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ أَرْجُلِهِمَا</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তুমি তাদের নিকটে থাক।কেননা জান্নাত রয়েছে তাদের পায়ের নীচে’।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ত্বাবারাণী কাবীর হা/২২০২; সহীহ আত-তারগীব হা/২০৮৫]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶অন্য বর্ণনায় এসেছে, জাহেমাহ আস-সুলামী রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর ডান দিক থেকে ও বাম দিক থেকে দু’বার এসে বলেন,আমি আঁপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাত কামনা করি। জবাবে রাসূল ﷺ বলেন, তোমার মা কি বেঁচে আছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ। রাসূল ﷺ বললেন, ارْجِعْ فَبَرَّهَا ‘ফিরে যাও। তার সাথে সদাচরণ কর’। অবশেষে তৃতীয় বার সম্মুখ থেকে এসে একই আবেদন করেন। তখন রাসূল ﷺ তাকে জিজ্ঞেস করেন তোমার মা কি জীবিত আছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূল ﷺ বললেন,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَيْحَكَ الْزَمْ رِجْلَهَا فَثَمَّ الْجَنَّةُ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘তোমার ধ্বংস হৌক! তার পায়ের কাছে থাক।সেখানেই জান্নাত।' [ইবনু মাজাহ হা/২৭৮১]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶৩. আবার অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, তুমি তোমার মায়ের সেবা কর। فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا ‘কেননা জান্নাত তার দু’পায়ের নীচে’ [নাসাঈ হা/৩১০৪]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶"আবার অন্য হাদিসে এসেছে “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।” [জামে সগির : ৩৬৪৩]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶আবার এরকম বর্ননাও রয়েছে।রাসূলে খোদা ﷺ বলেছেনঃ বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কানযুল উম্মালঃ ৪৫৪৩৯, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ ]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶৪. রাসূল ﷺ বলেছেন,“তার নাক ধূলায় মলিন হোক (৩ বার) সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন,হে আল্লাহর রসূল! সেই হতভাগ্য ব্যক্তিটি কে? রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন,সে হলো ঐ ব্যক্তি,যে তার পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেল অথচ তাদের সেবা করে জান্নাত হাছিল করতে পারলো না।" [মুসলিম-৪/১৯৭৮,হা-২৫৫১]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করলে সে জান্নাতে যেত।সে জান্নাত পেয়েও জান্নাতে গেল না,সে বড় হতভাগ্য।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶আবার মিশকাত শরীফেও উক্ত হাদিসখানা বর্নিত হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূল ﷺ বলেন, তার নাক ধূলি ধূসরিত হৌক (৩ বার)। বলা হ’ল,তিনি কে হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতা উভয়কে কিংবা একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল, অথচ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারলো না’। [মিশকাত হা/৪৯১২ ‘সৎকাজ ও সদ্ব্যবহার’ অনুচ্ছেদ।]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶৫. অপর বর্ননায় এসেছে,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال الله – عليه الصلاة والسلام -: مَن أصْبحَ مُطيعًا لله في والِدَيه أصْبحَ له بابانِ مَفتوحانِ مِن الجنَّة، وإنْ أمسى فمِثْل ذلك، ومَن أصْبحَ عاصيًا لله في والِدَيه أصْبحَ له بابانِ مَفتوحانِ إلى النَّار، وإنْ أمْسى فمِثْل ذلك، وإنْ كان واحدًا فواحدٌ، قال رجل: وإنْ ظَلَماه؟ قال: وإنْ ظَلَماه، وإنْ ظَلَماه، وإنْ ظَلَماهما( رواه البيهقي في “شعب الإيمان” (১০/৩০৬) . تخريج الإحياء” (২/২১৬) . ورواه البخاري في “الأدب المفرد” (১৬)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, পিতা-মাতার হকের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার অনুগত হয়ে যে ব্যক্তি ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠে, প্রভাতে তার জন্যে জান্নাতের দুটি দরজা খুলে যায়। আর যদি কেবল একজন বেঁচে থাকেন তখন তার জন্যে শুধু একটি দরজা খুলে দেয়া হয়।যে ব্যক্তি পিতা-মাতার হকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয় তার জন্যে জাহান্নামের দুটি দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। আর যদি কেবল একজন বেঁচে থাকেন তবে শুধু একটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি জানতে চাইল,যদি পিতা-মাতা তার প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তবুও কি এরূপ হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, যদিও পিতা-মাতা তার প্রতি নিষ্ঠুর হয়। যদিও পিতা-মাতা তার প্রতি নিষ্ঠুর হয়। যদিও পিতা-মাতা তার প্রতি নিষ্ঠুর হয়।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বায়হাকি: শুয়াবুল ঈমান- ১০/৩০৬। বুখারী: আদাবুল মুফরাদ-১৬]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ فَقَالَ : إِنَّ لِيَ امْرَأَةً وَإِنَّ أُمِّي تَأْمُرُنِي بِطَلاقِهَا ، قَالَ : أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : الْوَالِدُ أَوْسَطُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ فَإِنْ شِئْتَ فَأَضِعْ ذَلِكَ الْبَابَ أَوْ احْفَظْهُ) ] وعزاه إلى أبي داود الطيالسي ، وأحمد ، وابن ماجه ، والحاكم وصححه ، ( ووافقه الذهبي ) . ا هـ .وقد رمز له السيوطي في الجامع الصغير بالصحة ؛ كما في الفيض ( ৬ / ৩৭১ ) .قال المناوي في فيض القدير ( ৬ / ৩৭১ ) : ” الوالد أوسط أبواب الجنة ” أي : طاعته ، وعدم عقوقه مؤدٍ إلى دخول الجنة من أوسط أبوابها ، ذكره العراقي .وقال البيضاوي : أي خير الأبواب وأعلاها ، والمعنى : أنَّ أحسن ما يتوصل به إلى دخول الجنة ، ويتوصل به إلى الوصول إليها مطاوعة الوالد ، ورعاية جنابه .وقال المباركفوري في تحفة الأحوذي ( ৬ / ২৫ ) : …وقال غيره : إنَّ للجنة أبواباً ، وأحسنها دخولاً أوسطها ، وإنَّ سبب دخول ذلك الباب الأوسط هو محافظةً على حقوق الوالدين ؛ فالمراد بالوالد : الجنس ، أو إذا كان حكم الوالد هذا فحكم الوالدة أقوى . اهـ .(</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পিতা মাতা জান্নাতের মাঝের দরজা। যদি চাও,দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো, নতুবা তা রক্ষা করতে পারো।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[তিরমিযী, তুহফাতুল আহওয়াযী, ৬/২৫]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▶৭. পিতা-মাতা আমাদের বেহেশত ও দোযখ:</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَقُّ الْوَالِدَيْنِ عَلَى وَلَدِهِمَا؟ قَالَ: هُمَا جَنَّتُكَ وَنَارُكَ(رواه ابن ماجه. [৪৯৪১]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“হযরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আরয করলো, হে আল্লাহর রাসূল! সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক কি আছে? তিঁনি বললেন, তারা তোমার বেহেশত ও দোযখ” [ইবনে মাজাহ-৪৯৪১]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসটির মূল কথা হচ্ছে, সন্তান পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করলে বেহেশতের অধিকারী হবে এবং পিতা-মাতার অধিকার সমূহকে পদদলিত করলে, পিতা-মাতার চেয়ে অন্য কোন মানুষকে, আত্নীয়-স্বজনকে অগ্রাধিকার দিলে দোযখের অধিকারী হবে।</span></div> </div> </div>

হাদিস পর্যালোচনাঃ মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত- এই কথা সঠিক কিনা এবং কোরআন-হাদিসের আলোকে মাতা-পিতার মর্যাদাঃ الجنَّةُ تحتَ أقدامِ الأمَّهاتِ ‘‘...

Read more »