আবুল আলা মওদুদি ও তার ঈমান বিধ্বংসী কুফরি আক্বিদা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="font-family: sans-serif; text-align: center;"> <ul> <li><b style="font-size: 1.25em; line-height: 1.15;"><span style="color: red;">আবুল আলা মওদুদি ও তার ঈমান বিধ্বংসী কুফরি আক্বিদা সমূহ ।</span></b></li><li><b style="font-size: 1.25em; line-height: 1.15;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRWsuA10-GlGGFOvZ4tGrXwOcVFD_tyzmM9Sr5h9yTgWcrxwxYw_AQq1jwNK1lIDqabgtj6HXW375IRKPJ7ZfbFYyTsIqiNFReol2PfgYcayEgZ56d4LIULXtVQ2uLKMbY2Brm2cG8S-c/s1600/images%25281%2529.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="625" data-original-width="490" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRWsuA10-GlGGFOvZ4tGrXwOcVFD_tyzmM9Sr5h9yTgWcrxwxYw_AQq1jwNK1lIDqabgtj6HXW375IRKPJ7ZfbFYyTsIqiNFReol2PfgYcayEgZ56d4LIULXtVQ2uLKMbY2Brm2cG8S-c/s1600-rw/images%25281%2529.jpg" width="250"></a></div><br></b></li> </ul> </div> <div style="font-family: sans-serif;"> জীবন বৃত্তান্তঃ আবুল আ’লা মওদুদী (২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ – ২২শে সেপ্টেম্বের, ১৯৭৯), সে মালানা মওদুদী বা শাইখ আবুল আ’লা মওদুদী নামেও পরিচিত, ছিলো। নিজেকে একজন মুসলিম গবেষক, সাংবাদিক, মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ও বিংশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দিতো। সে তার নিজ দেশ পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলো। মওদুদী জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ভ্রান্ত ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা। যা বর্তমানে বাংলাদেশে এবং পাকিস্তানে বিদ্যমান</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> <span style="color: red;"><b>আবু আলা মওদুদির কুফরি আক্বিদার কয়েকটি প্রমান নিছে বর্ণনা করা হলোঃ</b></span></div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ১। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লা সম্পর্কে কুফরি আক্বিদাঃ “যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলা মেশা, সে ক্ষেত্রে যেনার কারনে (আল্লাহ পাকে আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাউযুবিল্লাহ) (তাফহীমাদ ২য় খন্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ২।ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “ফেরেশতা প্রায় ঔ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী দেবতা স্থির করেছে।” (নাউযুবিল্লাহ) (তাজদীদ ও ইহইয়ায় দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৩। আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “নবীগন মাছুম নন।প্রত্যেক নবী গুনাহ করেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ) (তাফহীমাত, ২য় খন্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৪। হুযুরে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বিদাঃ “মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না।” (নাউযুবিল্লাহ) (তরজমানুস সুন্নাহ, ৩য় খন্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৫। সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগনের সম্পর্কে কুফরী আক্বিদাঃ “সাহাদিগকে সত্যের মাপকাঠি জানবেন।” (নাউযুবিল্লাহ) (দস্তরে জামাতে ইসলামী, ৭ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> আরও উল্লেখ্য যে, মওদুদি মৃত্যুর পর শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মুখপাত্রে বলা হয়েছিল, “মরহুম (মওদুদী) তার ভিন্ন আঙ্গিকে শিয়া মতবাদ প্রচলনেও সহায়তা করেছেন।” (সাপ্তাহিক শিয়া, লাহোর,১৯৭৯ ইং, ৫৭ সংখ্যা ৪০/৪১; খোনেনী ও মওদুদী দুই ভাই, পৃষ্ঠা ১২)।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> আসুন দেখি সে আরো কি কি মন্তব্য করেছে যা খুব ঘৃণিত এবং সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়ত বিরোধী।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> (ক) পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে বক্তব্যঃ মালানা মওদুদী পবিত্র কুরআন শরীফ এর মুল্যায়ন প্রসঙ্গে লিখেছে, “কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।” [তাফহিমাত, ১ম খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা]</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> (খ) পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বক্তব্যঃ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র হাদীছ সম্পর্কে মালানা মওদুদী বলেছে, “হাদীস কিছু লোক থেকে কিছু লোক পর্যন্ত অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে বর্ণিত হয়ে আসছে। এসব বড়জোর সঠিক বলে ধারণা করা যায়, কিন্তু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা যায় না। আর একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহর ধর্মের যেসব বিষয় এতো গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোর দ্বারা ঈমান ও কাফেরের পার্থক্য পরিস্কার হয়ে যায়, সেগুলো কয়েকজন লোকের বর্ণনা নির্ভর করে মানুষকে বিপদাপন্ন করা আল্লাহ তায়ালা কখনো পছন্দ করতে পারেন না।” [রাসায়েল ও মাসায়েল, ৬৭ পৃষ্ঠা]</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> সাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগনের সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদাঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা হল-সাহাবায়ে কেরাম সমলোচনার উর্দ্ধে। তাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম ও কবিরা গুনাহ”। (শরহুল আকায়েদ পৃষ্ঠা ৩৫২)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন যেঃ “আমি [সাহাবাদের] তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আমার অনুগত”। {সূরা তাওবা-১০০}</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগনের সম্পর্কে বলেন-আমার সাহাবীরা তারকাতুল্য। তোমরা যারই অনুসরণ করবে(তাদের) হেদায়েত পেয়ে যাবে। {কানুযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০০২, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫}</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> অথচ দেখুন মওদুদী কিভাবে সাহাবায়ে কিরামকে আক্রমণ করেছে নোংরা উক্তিতে-</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ১) “সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগন সমলোচনার বাহিরে নন।তাদের দোষ বর্ণনা করা যায়। সাহাবাদের সম্মান করার জন্য যদি ইহা জরুরী মনে করা হয় যে, কোনভাবেই তাদের দোষ বর্ণনা করা যাবে না তবে আমার (মওদুদী) দৃষ্টিতে ইহা সম্মান নয় বরং মূর্তি পূজা। যার মূলোৎপাটন এর লক্ষ্যেই জামাতে ইসলামীর জন্ম”।{নাউযুবিল্লাহ্} (তরজুমানুল কুরআন ৩৫শ’ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩২৭)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ২) “সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগন অনেকে মনগড়া হাদিস বর্ণনা করেছেন।” {নাউযুবিল্লাহ্} (তরজমানুল কোরআন ৩৫ সংখ্যা) ঙ/৩)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৩) “সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগনের মধ্যে জাহেলিয়াতের বদ-স্বভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটে।” {নাউযুবিল্লাহ্} (তাফহীমাত ২য় খণ্ড, ১৫৫ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৪) “হযরত আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পুর্ণ অযোগ্য ছিলেন”।{নাউযুবিল্লাহ্} (তাজদীদ ও ইয়াহইয়ায়ে দীন: পৃষ্ঠা ২২)।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৫) “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওফাতের সময় ব্যাক্তি সম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু কে পরাভূত করেছিল।{নাউযুবিল্লাহ্} (তরজুমানুল কুরআন, রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৬) “হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এর মাঝে সজন-প্রীতির বদগুণ বিদ্যমান ছিল।{নাউযুবিল্লাহ্} (খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৭) “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু স্বীয় খেলাফত কালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই।{নাউযুবিল্লাহ্} (খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬/১৪৩)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> ৮) “হযরত মুয়াবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু স্বার্থবাদী, গনিমতের মাল আত্মসাৎকারী, মিথ্যা সাক্ষ্যগ্রহকারী ও অত্যাচারী ছিলেন”।{নাউযুবিল্লাহ্} (খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৭৩)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> পবিত্র কোরআন উল কারিম উনার সম্পর্কে তার মন্তব্য।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্য: কোরআন করিম হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু নাজাত বা মুক্তির জন্য নয়।”{নাউযুবিল্লাহ্} (তাফহিমাত, ১ম খণ্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি যেন আপনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মানবজাতিকে অন্ধকারের অতল গহবর থেকে উদ্ধার করে আলোর পথ দেখাতে পারেন। {সূরা ইবরাহীম, আয়াতঃ ১} মুফাসসিরীনে কেরামের ব্যাখ্যানুযায়ী আলোর পথই হচ্ছে মুক্তির পথ। কে সত্যবাদী? মহান মালিক নাকি মাওদূদী?</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস সম্পর্কে ঔদ্ধত্বপূর্ণ বক্তব্য: “হাদীস কিছু লোক থেকে কিছু লোক পর্যন্ত অর্থাৎ মানুষের মুখে মুখে বর্ণিত হয়ে আসছে।এসবকে বড়জোর সঠিক বলে ধারণা করা যেতে পারে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করার কোন অবকাশ নেই। আর একথা স্পষ্ট যে, আল্লাহর দীনের যে সকল বিষয় এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এগুলোর দ্বারা ঈমান ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য নির্ণীত হয় সেগুলো গুটিকয়েক লোকের বর্ণনার উপর নির্ভর করে মানুষকে বিপদগ্রস্ত করা আল্লাহ তায়ালা কখনো পছন্দ করতে পারেন না।” {নাউযুবিল্লাহ্} (রাসায়েল ও মাসায়েল, ৬৭ পৃষ্ঠা) কী কুখ্যাত মন্তব্য!!! একটু বিবেচনা করুন।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> মওদূদীর আরো কিছু ভ্রান্ত মতবাদ-ইসলামি রীতিনীতি নিয়ে।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> “পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করতে কোন দোষ নেই”।{নাউযুবিল্লাহ্} (তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * ইসলাম বলে, ইসলামী পোশাক-পরিচ্ছদ-প্রকৃতি চাল-চলন ইত্যাদি গ্রহণ করবে। এসব ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করবে না।(এমদাদুল মুফতিয়ীন, ২য় খণ্ড, ১৫৪ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> প্রসঙ্গঃ দাড়ি কাটা ও রাখা</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহু উনার হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা গোফ খাট কর আর দাড়ি লম্বা কর।(তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং-২৭৬৩)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * এছাড়া অন্য হাদিসে এসেছে-পুরুষদের স্বাভাবিক প্রকৃতি হল সে তার দাড়ি লম্বা রাখবে। (আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৫৩)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> দাড়ি লম্বা করার কথা হয়েছে হাদিসে। কাটার কথা কোথাও নেই। তাই সাহাবায়ে কিরামের আমলই আমাদের একমাত্র ভরসা এই ক্ষেত্রে যে, দাড়ি কতটুকু বড় রাখতে হবে?</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> মুসান্নাফে ইবনে শাইবাতে এসেছে-হযরত ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহু এর আমল ছিল-তিনি দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ রাখতেন। সুতরাং দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ রাখা ওয়াজিব। এর চে’ কম দাড়ি রাখা আর চেছে ফেলার মাঝে কোন পার্থক্য নাই। যেমন জোহরের ফরজ নামায চার রাকাত। দুই রাকাত সারা জীবন পড়লেও যেমন জোহর কোনদিনও আদায় হবেনা। তেমনি এক মুষ্টির কম দাড়ি রাখলে তা কোনদিনও দাড়ি রাখা বলে সাব্যস্ত হবেনা।</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> অথচ মওদুদী সাহেবের আক্বিদা দেখুন কী বলে?</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> “দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়”।{নাউযুবিল্লাহ্} (রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> প্রসঙ্গঃ সুন্নতে রাসূল “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঊনার আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিকৃতি। {নাউযুবিল্লাহ্} (রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * ইসলাম বলে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদত, আখলাক ও স্বভাব-চরিত্র আমাদের অনুকরণের জন্য উত্তম নমুনা বা সুন্নত। মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-তোমাদের জন্য নবীজীর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। {সূরা আহযাব, আয়াতঃ ২১, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৫৪৪}</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> প্রসঙ্গঃ দ্বীনের আসল উদ্দেশ্য “দ্বীনের আসল মকছুদ হলো ইসলামী হুকুমত। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি সমস্ত ইবাদত হলো উক্ত মকছুদ অর্জনের মাধ্যম”।(আকাবেরে উম্মত কী নজরমে, ৬৪ পৃষ্ঠা)</div> <div style="font-family: sans-serif;"> <br></div> <div style="font-family: sans-serif;"> * ইসলাম বলে, দ্বীনের আসল মকছুদ নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি কায়েম করা। ইসলামী হুকমত উক্ত মকছুদ অর্জনে সহায়ক। (শরহুল আকায়েদ, ৩০৪ পৃষ্ঠা) এত সব ভ্রান্ত আক্বিদা পোষণ করার পরও যদি কেউ তাকে আল্লাহ ওয়ালা বলে সম্বোধন করে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে আমাদের কী’বা বলার আছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মওদুদী ফিতনা এবং কথিত আহলে হাদীস ফিতনা, এবং বেদআতি ভন্ড পীর যেমন দেওয়ানবাগি ফিতনা থেকে আমাদের দেশে সাধারণ মুসলমানদের হিফাযত করুন এবং আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন উনার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনার সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহুমগনের পথে যে সমস্থ তবে-তাবেঈন, আইম্মে মুস্তাহিদিন সালফে সালেহিন ও আওলিয়ায়ে কেরাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম গন ছিলেন তিনাদের দেখানো সরল এবং সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন আমীন।</div> </div>

আবুল আলা মওদুদি ও তার ঈমান বিধ্বংসী কুফরি আক্বিদা

আবুল আলা মওদুদি ও তার ঈমান বিধ্বংসী কুফরি আক্বিদা সমূহ । জীবন বৃত্তান্তঃ আবুল আ’লা মওদুদী (২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ – ২২শে সেপ্টেম্বের, ...

Read more »

কিতাবঃ আল-ফাতহুর রাব্বানী [মূলঃ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ)]

<header class="entry-header" style="box-sizing: border-box; text-align: center; color: rgb(95, 109, 128); font-family: "Exo 2", sans-serif; font-size: 20.8px;"><h1 class="entry-title" style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: Alegreya, serif; font-size: 1.625em; font-style: italic; font-weight: 400; margin-top: 0px; margin-bottom: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline; clear: both;">আলফাতহুর রাব্বানীকিতাবঃ আল-ফাতহুর রাব্বানী ওয়া আল ফায়জুর রাহমানী</h1><br></header><div class="entry-content" style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: "Exo 2", sans-serif; font-size: 20.8px; margin: 1.5em 0px 0px; outline: 0px; padding: 0px 0px 1.5em; vertical-align: baseline; color: rgb(95, 109, 128);"><p style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline; text-align: center;"><img alt="https://mashikmadina.files.wordpress.com/2014/04/bismillahf.jpeg" class="decoded" height="57" loading="lazy" scale="3" src="https://mashikmadina.files.wordpress.com/2014/04/bismillahf.jpeg?w=345" src-orig="https://mashikmadina.files.wordpress.com/2014/04/bismillahf.jpeg?w=1200" srcset="https://mashikmadina.files.wordpress.com/2014/04/bismillahf.jpeg?w=345&zoom=2 3x" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%;" width="345"></p><p style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"><img alt="alfatur-1" class="aligncenter wp-image-542 size-large" data-attachment-id="542" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="alfatur-1" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=656" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=192" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg" data-orig-size="913,1426" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/alfatur-1-2/" height="1024" loading="lazy" sizes="(max-width: 656px) 100vw, 656px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=656&h=1024" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=656&h=1024 656w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=96&h=150 96w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=192&h=300 192w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg?w=768&h=1200 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-11.jpg 913w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;" width="656"><img alt="alfatur-2" class="aligncenter size-full wp-image-543" data-attachment-id="543" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="alfatur-2" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg?w=603" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg?w=177" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg" data-orig-size="727,1235" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/alfatur-2/" loading="lazy" sizes="(max-width: 727px) 100vw, 727px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg 727w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg?w=88 88w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-2.jpg?w=177 177w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="alfatur-3" class="aligncenter size-full wp-image-544" data-attachment-id="544" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="alfatur-3" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=672" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=197" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg" data-orig-size="822,1252" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/alfatur-3/" loading="lazy" sizes="(max-width: 822px) 100vw, 822px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg 822w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=98 98w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=197 197w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-3.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="alfatur-4" class="aligncenter size-full wp-image-545" data-attachment-id="545" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="alfatur-4" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=748" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=219" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg" data-orig-size="798,1093" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/alfatur-4/" loading="lazy" sizes="(max-width: 798px) 100vw, 798px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg 798w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=110 110w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=219 219w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/alfatur-4.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"></p><p style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;">আলফাতুর রাব্বানী থেকে কিছু নির্বাচিত অংশ নিন্মে দেয়া হলো আরও কিছু অংশ দেখুন এখানে  <a href="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select.pdf" target="_blank" style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline; color: rgb(243, 131, 93); text-decoration-line: none;">আলফাতুর রাব্বানী নির্বাচিত অংশ</a></p><p style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;">বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) সংক্ষিপ্ত জীবনী দেখুন এখানে   <a href="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/life.pdf" target="_blank" style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline; color: rgb(243, 131, 93); text-decoration-line: none;">জীবনী</a></p><p style="box-sizing: border-box; border: 0px; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"><img alt="select-06" class="aligncenter size-full wp-image-546" data-attachment-id="546" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-06" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=647" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=190" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg" data-orig-size="844,1336" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-06/" loading="lazy" sizes="(max-width: 844px) 100vw, 844px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg 844w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=95 95w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=190 190w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-06.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-07" class="aligncenter size-full wp-image-547" data-attachment-id="547" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-07" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=641" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=188" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg" data-orig-size="832,1330" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-07/" loading="lazy" sizes="(max-width: 832px) 100vw, 832px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg 832w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=94 94w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=188 188w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-07.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-08" class="aligncenter size-full wp-image-548" data-attachment-id="548" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-08" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=644" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=189" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg" data-orig-size="827,1314" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-08/" loading="lazy" sizes="(max-width: 827px) 100vw, 827px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg 827w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=94 94w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=189 189w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-08.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-09" class="aligncenter size-full wp-image-549" data-attachment-id="549" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-09" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=630" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=185" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg" data-orig-size="832,1352" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-09/" loading="lazy" sizes="(max-width: 832px) 100vw, 832px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg 832w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=92 92w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=185 185w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-09.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-14" class="aligncenter size-full wp-image-550" data-attachment-id="550" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-14" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=641" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=188" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg" data-orig-size="832,1330" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-14/" loading="lazy" sizes="(max-width: 832px) 100vw, 832px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg 832w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=94 94w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=188 188w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-14.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-18" class="aligncenter size-full wp-image-551" data-attachment-id="551" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-18" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=657" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=192" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg" data-orig-size="845,1317" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-18/" loading="lazy" sizes="(max-width: 845px) 100vw, 845px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg 845w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=96 96w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=192 192w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-18.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-23" class="aligncenter size-full wp-image-552" data-attachment-id="552" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-23" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=652" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=191" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg" data-orig-size="846,1328" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-23/" loading="lazy" sizes="(max-width: 846px) 100vw, 846px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg 846w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=96 96w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=191 191w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-23.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-30" class="aligncenter size-full wp-image-553" data-attachment-id="553" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-30" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=645" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=189" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg" data-orig-size="836,1328" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-30/" loading="lazy" sizes="(max-width: 836px) 100vw, 836px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg 836w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=94 94w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=189 189w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-30.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"><img alt="select-38" class="aligncenter size-full wp-image-554" data-attachment-id="554" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{"aperture":"0","credit":"","camera":"","caption":"","created_timestamp":"0","copyright":"","focal_length":"0","iso":"0","shutter_speed":"0","title":"","orientation":"0"}" data-image-title="select-38" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=651" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=191" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg" data-orig-size="849,1336" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/17/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80/select-38/" loading="lazy" sizes="(max-width: 849px) 100vw, 849px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=1200" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg 849w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=95 95w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=191 191w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/select-38.jpg?w=768 768w" style="box-sizing: border-box; max-width: 100%; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto;"></p></div>

কিতাবঃ আল-ফাতহুর রাব্বানী [মূলঃ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ)]

আলফাতহুর রাব্বানীকিতাবঃ আল-ফাতহুর রাব্বানী ওয়া আল ফায়জুর রাহমানী আলফাতুর রাব্বানী থেকে কিছু নির্বাচিত অংশ নিন্মে দেয়া হলো আরও কিছু অংশ দেখুন...

Read more »

কিতাবঃ স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <header 20.8px="" 2="" class="entry-header" exo="" font-size:="" sans-serif="" style="box-sizing: border-box; color: rgb(95 , 109 , 128); text-align: center;"><h1 class="entry-title" style="border: 0px; box-sizing: border-box; clear: both; font-family: "alegreya" , serif; font-size: 1.625em; font-style: italic; font-weight: 400; margin-bottom: 0px; margin-top: 0px; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম</h1> </header><br /> <div 0px="" 1.5em="" 109="" 128="" 20.8px="" 2="" baseline="" class="entry-content" color:="" exo="" font-size:="" margin:="" outline:="" padding:="" rgb="" sans-serif="" style="border: 0px; box-sizing: border-box;" vertical-align:=""> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <img alt="shopno-1w" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter wp-image-700 size-large" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="700" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="shopno-1w" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=659" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=193" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg" data-orig-size="1656,2574" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/shopno-1w/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 659px) 100vw, 659px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=659&h=1024" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=659&h=1024 659w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=1318&h=2048 1318w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=97&h=150 97w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=193&h=300 193w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-1w.jpg?w=768&h=1194 768w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="shopno-2w" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter wp-image-701 size-large" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="701" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="shopno-2w" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=615" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=180" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg" data-orig-size="1331,2216" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/shopno-2w/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 615px) 100vw, 615px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=615&h=1024" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=615&h=1024 615w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=1230&h=2048 1230w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=90&h=150 90w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=180&h=300 180w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-2w.jpg?w=768&h=1279 768w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="shopno-3w" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter wp-image-702 size-large" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="702" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="shopno-3w" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=696" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=204" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg" data-orig-size="1447,2129" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/shopno-3w/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 696px) 100vw, 696px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=696&h=1024" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=696&h=1024 696w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=1392&h=2048 1392w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=102&h=150 102w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=204&h=300 204w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-3w.jpg?w=768&h=1130 768w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="shopno-4w" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter wp-image-703 size-large" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="703" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="shopno-4w" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg" data-orig-size="1407,1160" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/shopno-4w/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1024px) 100vw, 1024px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=1024&h=844" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=1024&h=844 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=150&h=124 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=300&h=247 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg?w=768&h=633 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/shopno-4w.jpg 1407w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; font-family: inherit; font-style: inherit; font-weight: inherit; margin: 0px 0px 1.5em; outline: 0px; padding: 0px; vertical-align: baseline;"> <img alt="sopna-1" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-704" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="704" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopna-1" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg" data-orig-size="1504,1145" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopna-1/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=1200&h=914" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=1200&h=914 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=150&h=114 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=300&h=228 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=768&h=585 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg?w=1024&h=780 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-1.jpg 1504w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopna-2" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-705" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="705" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopna-2" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg" data-orig-size="1504,1145" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopna-2/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=1200&h=914" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=1200&h=914 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=150&h=114 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=300&h=228 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=768&h=585 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg?w=1024&h=780 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-2.jpg 1504w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopna-3" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-706" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="706" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopna-3" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg" data-orig-size="1504,1145" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopna-3/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=1200&h=914" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=1200&h=914 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=150&h=114 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=300&h=228 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=768&h=585 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg?w=1024&h=780 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-3.jpg 1504w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopna-4" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-707" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="707" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopna-4" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg" data-orig-size="1504,1145" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopna-4/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=1200&h=914" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=1200&h=914 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=150&h=114 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=300&h=228 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=768&h=585 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg?w=1024&h=780 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopna-4.jpg 1504w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-01" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-708" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="708" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-01" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg" data-orig-size="1490,1113" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-01/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=1200&h=896" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=1200&h=896 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=150&h=112 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=300&h=224 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=768&h=574 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg?w=1024&h=765 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-01.jpg 1490w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-02" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-709" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="709" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-02" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg" data-orig-size="1482,1111" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-02/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=1200&h=900" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=1200&h=900 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=150&h=112 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=300&h=225 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=768&h=576 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg?w=1024&h=768 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-02.jpg 1482w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-03" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-710" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="710" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-03" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg" data-orig-size="1469,1144" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-03/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=1200&h=935" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=1200&h=935 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=150&h=117 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=300&h=234 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=768&h=598 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg?w=1024&h=797 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-03.jpg 1469w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-04" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-711" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="711" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-04" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg" data-orig-size="1478,1140" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-04/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=1200&h=926" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=1200&h=926 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=150&h=116 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=300&h=231 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=768&h=592 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg?w=1024&h=790 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-04.jpg 1478w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-05" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-712" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="712" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-05" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg" data-orig-size="1482,1103" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-05/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=1200&h=893" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=1200&h=893 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=150&h=112 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=300&h=223 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=768&h=572 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg?w=1024&h=762 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-05.jpg 1482w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-06" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-713" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="713" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-06" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg" data-orig-size="1482,1138" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-06/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=1200&h=921" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=1200&h=921 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=150&h=115 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=300&h=230 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=768&h=590 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg?w=1024&h=786 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-06.jpg 1482w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-07" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-714" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="714" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-07" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg" data-orig-size="1505,1136" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-07/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=1200&h=906" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=1200&h=906 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=150&h=113 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=300&h=226 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=768&h=580 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg?w=1024&h=773 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-07.jpg 1505w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-08" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-715" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="715" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-08" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg" data-orig-size="1463,1113" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-08/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=1200&h=913" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=1200&h=913 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=150&h=114 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=300&h=228 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=768&h=584 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg?w=1024&h=779 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-08.jpg 1463w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-09" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-716" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="716" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-09" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg" data-orig-size="1478,1157" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-09/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=1200&h=939" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=1200&h=939 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=150&h=117 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=300&h=235 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=768&h=601 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg?w=1024&h=802 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-09.jpg 1478w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-10" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-717" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="717" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-10" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg" data-orig-size="1482,1103" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-10/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=1200&h=893" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=1200&h=893 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=150&h=112 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=300&h=223 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=768&h=572 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg?w=1024&h=762 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-10.jpg 1482w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /><img alt="sopnad-11" aperture="" camera="" caption="" class="aligncenter size-full wp-image-718" copyright="" created_timestamp="" credit="" data-attachment-id="718" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" data-image-title="sopnad-11" data-large-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=1024" data-medium-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=300" data-orig-file="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg" data-orig-size="1463,1126" data-permalink="https://easywaytoislam.wordpress.com/2016/05/20/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b8/sopnad-11/" focal_length="" iso="" loading="lazy" orientation="" shutter_speed="" sizes="(max-width: 1200px) 100vw, 1200px" src="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=1200&h=924" srcset="https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=1200&h=924 1200w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=150&h=115 150w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=300&h=231 300w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=768&h=591 768w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg?w=1024&h=788 1024w, https://easywaytoislam.files.wordpress.com/2016/05/sopnad-11.jpg 1463w" style="box-sizing: border-box; clear: both; display: block; margin: 0.75em auto; max-width: 100%;" title="" /></div> </div> </div>

কিতাবঃ স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

Read more »

যাদের জন্য জান্নাতে বাড়ি বরাদ্দ

<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <b><i><span style="color: #4c1130;">নাহমাদুহু নুসাল্লি ওয়া নুসাল্লিম আ'লা ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন।।আম্মা বা'দঃ-</span></i></b></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <b><i><span style="color: #4c1130;"><br /></span></i></b></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> আবু উমামা আল বাহেলী রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">“আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের তৃতীয় শ্রেণিতে একটি বাড়ির জিম্মাদার যে কলহ বিবাদ পরিত্যাগ করে; যদিও সত্য তার পক্ষেই হয়। আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের দ্বিতীয় শ্রেণিতে একটি বাড়ির জিম্মাদার, যে মিথ্যাকে পরিত্যাগ করে; যদিও তা হাসি-তামাশাচ্ছলে হয়। আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রথম শ্রেণিতে একটি বাড়ির জিম্মাদার, যে উত্তম চরিত্রের ধারক।”</span>(আবু দাউদ: ৪৮০০, সনদটি হাসান।)</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <strong style="box-sizing: border-box;">হাদিস বর্ণনাকারী—: </strong>বর্ণনাকারী রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিশিষ্ট সাহাবি। নাম সাদি বিন আজলান আল-বাহেলি। উপাধি, আবু উমামা। পিতার নাম আজলান, বাহেল নামক স্থানের অধিবাসী হওয়ার ফলে তাকে বাহেলী বলা হয়। তিনি রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে জ্ঞানের এক বিশাল ভাণ্ডার সংগ্রহ করেছিলেন। ৮১ মতান্তরে ৮৬ হিজরিতে তিনি ইন্তেকাল করেন।</div> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">আভিধানিক ব্যাখ্যা</strong></span></h3> <ul style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 26px; padding: 0px;"> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;">زَعِيْمٌ জিম্মাদার, দায়িত্বভার বহনকারী। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَأَنَا بِهِ زَعِيمٌ <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">এবং আমি তার জিম্মাদার।</span><span style="box-sizing: border-box; color: green;"> (সুরা ইউসুফ ৭২)</span></li> </ul> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> بِبَيْتٍ বালাখানা, জান্নাতের প্রাসাদ।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> رَبَضِ الْجَنَّةِ – ر ও ب বর্ণে জবর হবে। অর্থ : নীচের স্তরের বা তৃতীয় শ্রেণির।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> الْمِرَاءَ – م বর্ণে যের হবে। অর্থ কলহ বিবাদ।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> مُحِقًّا – অর্থ, তার ধারণা সে হকের উপর রয়েছে।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> الْكِذْبَ – মিথ্যা, তথা বাস্তবের বিপরীত।</div> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;">হাদিসের শিক্ষণীয় বিষয়:</span></h3> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(১) </strong></span>সফল আহবায়ক ও অভিভাবক সেই ব্যক্তি যে তার কথাগুলো এমন কৌশলে শ্রোতাদের নিকট উপস্থাপন করে যে, শ্রোতাবৃন্দ তার প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে গ্রহণ করে। যেমন এখানে রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু গুণের প্রতি এ বলে অনুপ্রাণিত করেছেন যে আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(২)</strong></span> জান্নাত হল প্রত্যাশীদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা এবং প্রতিযোগীদের সর্বাধিক প্রতিযোগিতার বিষয়। সফলকাম সে যে জান্নাত লাভের জন্য সচেষ্ট হয়। ভাগ্যবান সে যে তা অর্জনের জন্য অধিক পরিমাণে নেক আমল করে। জান্নাত অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ, তা অর্জন করা শুধু তার জন্যই সহজ হয়, যার জন্য ঐশীভাবে বিষয়টি সহজ করা হয়।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(৩)</strong></span> জান্নাত—যা আল্লাহ তাআলা মোমিন বান্দাদের জন্য তৈরি করেছেন—বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত। বর্ণিত হাদিসে সে সব লোকদের জন্য জান্নাতের শুভ সংবাদ দেয়া হয়েছে, যারা তিনটি গুণের যে কোন একটি দ্বারা অলংকৃত হয়েছে।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; padding-left: 30px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(ক)</strong></span> অনর্থক কলহ বিবাদ থেকে দূরে থাকা। এরূপ ব্যক্তির জন্য জান্নাতের তৃতীয় শ্রেণি বরাদ্দ। কেননা কলহ বিবাদ মানুষকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে বাধ্য করে ও পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। ফলে তাকে মূল লক্ষ্যে পৌঁছতে অক্ষম করে দেয়। সুতরাং, প্রকৃত মুসলমান সব ধরনের কলহ বিবাদ পরিহার করে চলে।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px; padding-left: 30px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(খ)</strong></span> মিথ্যা থেকে দূরে থাকা—হোক তা উপহাস মূলক। এ গুণে অলংকৃত ব্যক্তির জন্য জান্নাতের দ্বিতীয় শ্রেণির বাড়ির শুভ সংবাদ রয়েছে। এ ব্যক্তি এহেন সম্মানে ভূষিত হওয়ার কারণ এই যে, সে কথা ও কাজে মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সর্বদা সত্য ও বাস্তবের উপর স্থির থাকে। যখন কথা বলে তখন সত্যই বলে। আর যখন কোন সংবাদ প্রচার করে তখন সত্য সংবাদই প্রচার করে। মিথ্যা একটি জঘন্য অপরাধ। তাই মিথ্যা কপটতার লক্ষণসমূহের মাঝে অন্যতম। যেমন আবু হুরাইরা রা. বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">মুনাফিকের লক্ষণ</span><span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;"> তিনটি:</span><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(১)</strong></span> <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">মিথ্যা বলা</span><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(২) </strong></span><span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">অঙ্গীকার ভঙ্গ করা ও</span><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(৩)</strong></span> <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">আমানতের খেয়ানত করা বা গচ্ছিত বস্তুতে অনধিকার হস্তক্ষেপ করা।</span> (সহীহ বুখারী ৩৩, মুসলিম ৫৯)</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> মিথ্যা বড় বড় গোনাহ সমূহের অন্যতম। মিথ্যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও বিরাট ক্ষতির উদ্রেককারী। রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাক। কেননা মিথ্যা অপকর্মের উদগাতা। আর অপকর্মের পরিণাম ফল জাহান্নাম। পৃথিবীতে কিছু লোক আছে, যারা খুব মিথ্যা বলে। মিথ্যা বলায় সদা সচেষ্ট থাকে। পরিশেষে আল্লাহর নিকট মিথ্যুক বলে লিখিত হয়ে যায়।</span>(মুসলিমঃ ৪৭২১, আবু দাঊদঃ ৩৯৭১)</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> এ মস্ত বড় সতর্ক বাণী, যা প্রতিটি মিথ্যুকের জন্য প্রযোজ্য। যদিও এ মিথ্যা শুধু মজা করার জন্য বলা হয়। রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">ধ্বংস সে ব্যক্তির জন্য, লোক হাসানোর জন্য যে মিথ্যা বলে, তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস ।</span>(আবু দাঊদঃ ৩/৪৯৭২, শাইখ আলবানি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)সবচেয়ে জঘন্য মিথ্যা কথা হল, আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের উপর মিথ্যা বলা। এমনিভাবে সম্পদের জন্য মিথ্যা কথা বলা।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;">(গ)</span> </strong>সৎ চরিত্র ও উত্তম আদর্শ ব্যক্তির জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ গুণে অলংকৃত ব্যক্তির জন্য রয়েছে জান্নাতের প্রথম শ্রেণির বাড়ির শুভ সংবাদ। যেহেতু এই ব্যক্তি এক মহৎ গুণের অধিকারী, আর তা হল সৎ চরিত্র ও উত্তম আদর্শ, যা ছিল নবীকুল শিরোমণি মোহাম্মদ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বিশেষ গুণ। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন— <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“…আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।”</span><span style="box-sizing: border-box; color: green;">(সূরা কলম : ৪)</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> এই মহান চরিত্রই হল সর্ব উৎকৃষ্ট গুণ, যা মুসলমানদের জন্য জগতবাসীর কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ও পরকালে আল্লাহর নৈকট্য লাভের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম উপায়।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— <span style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">“কেয়ামতের দিন যে সব আমল ওজন করা হবে তার মাঝে সবচেয়ে বেশি ওজনী আমল হবে সৎ চরিত্র বা উত্তম আদর্শ। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির উপর অসন্তুষ্ট যে অশালীন ও অসৎ চরিত্রবান।”</span> (তিরমিজিঃ ১৯২৫)</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(৪) </strong></span>ইসলামের দাবি হল মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে বিরাজ করবে মায়া-মমতা, আন্তরিকতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যরে সুসম্পর্ক। যেখানে থাকবে না কোন প্রকার হিংসা বিদ্বেষ ও কুরুচিকর কর্মকাণ্ড।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">(৫) </strong></span>ইসলামের মূলনীতির অন্যতম হল ভাল বস্তুর উপকার দ্বারা উপকৃত হওয়ার চেয়ে মন্দের অপকারিতা থেকে বাঁচার প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা। সুতরাং যে কলহ বিবাদ মানুষকে সমস্যার সম্মুখীন করবে, তা হতে দূরে থাকাই উচিত।</div>

যাদের জন্য জান্নাতে বাড়ি বরাদ্দ

নাহমাদুহু নুসাল্লি ওয়া নুসাল্লিম আ'লা ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালিন।।আম্মা বা'দঃ- আবু উমামা আল বাহেলী রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলু...

Read more »

দুয়া করছেন কিন্তু সাড়া পাচ্ছেন না!!

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZvSoUXvYJDL7ht4F7s1Od5lg-fFHoYG8elYaLJRbWNLRCrjT5ekH4rVgv08mNv0_otzVErfny5nvHbs0I2_eI6JQnRtutojBiOQkLyiuiPqHaxswcI8UjMarcOIXolNc834pXtYEKYoI/s1600/196.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="333" data-original-width="500" height="266" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZvSoUXvYJDL7ht4F7s1Od5lg-fFHoYG8elYaLJRbWNLRCrjT5ekH4rVgv08mNv0_otzVErfny5nvHbs0I2_eI6JQnRtutojBiOQkLyiuiPqHaxswcI8UjMarcOIXolNc834pXtYEKYoI/s400-rw/196.jpg" width="400" /></a></div> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><br /></span></strong></h3> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><br /></span></strong></h3> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;">প্রশ্ন:</span></strong></h3> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> দো‘আ করলে তার উত্তর পেতে দেরি হয় কেন? কিছুলোক অনেক দো‘আ করেন কিন্তু কোনো সাড়া পান না; তারা দীর্ঘকাল ধরে চাইতে থাকেন। কিন্তু কোনো ফল পান না। এমন ক্ষেত্রগুলোতে আপনি দেখবেন শয়তান এমন লোকের কানে ফিসফিসানি শুরু করছে এবং স্রষ্টা সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক চিন্তা করতে জন্য শিক্ষা দিচ্ছে।</div> <h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;">উত্তর:</span></strong></h3> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> প্রশংসা মাত্রই আল্লাহ্‌র জন্য।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">প্রথমত: </strong></span>যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটা ঘটে তার বিশ্বাস করা উচিৎ যে, দো‘আ করার পরও সাড়া না পাওয়ার মাঝে একটি কারণ ও বিশাল এক প্রজ্ঞা লুকিয়া আছে। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সার্বভৌমত্বের মালিক এবং কেউই তাঁর দয়াকে থামিয়ে দিতে বা ক্ষমতাকে নস্যাৎ করতে পারে না। তিনি দয়া করে কাউকে কিছু দিতে চাইলে বা ন্যায় বিচার করে কাউকে দিতে না চাইলে তার ইচ্ছেকে প্রভাবিত করে এমন কোনো শক্তি বা সত্ত্বা নেই। আমরা তাঁর বান্দা আর আমাদের সাথে তাই করেন যা তিনি ইচ্ছে করেন। “<span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">আর তোমাদের প্রভু যা ইচ্ছা ও পছন্দ তা-ই সৃষ্টি করেন, এতে তাদের কোনো পছন্দের অবকাশ নেই।</span>” [<span style="box-sizing: border-box; color: green;">আল-কাসাস ২৮:৬৮</span>]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> কোন যুক্তিতে একজন কর্মচারী মালিককে তাঁর প্রাপ্য সম্মান না করেই নিজের পাওনা পুরোটাই দাবী করতে পারে?<b style="box-sizing: border-box;"></b></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> অবাধ্যতা নয় আনুগত্য, বিস্মরণ নয় স্মরণ, অকৃতজ্ঞতা নয় ধন্যবাদ পাওয়াটাই তাঁর অধিকার। আপনি যদি নিজের দিকে তাকান আর দেখেন কিভাবে নিজ দ্বায়িত্ব পালন করছেন, তবে নিজেকে খুবই নগন্য মনে হবে। আপনি অপমান বোধ করবেন আর উপলব্ধি করবেন যে, তাঁর ক্ষমা ও দয়া ছাড়া কোনো মুক্তিই নেই। তাই সৃষ্টিকর্তা ও নিয়ন্তা আল্লাহ্‌র দাস হিসেবেই নিজেকে দেখুন।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <strong style="box-sizing: border-box;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;">দ্বিতীয়ত: </span></strong>আল্লাহ মহাজ্ঞানী, তিনি কারণ ছাড়া কাউকে কিছু দেন না বা দেওয়া ফেরান না। আপনি কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে সেটাকে খুব ভালো ভাবতে পারেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞানে এটা আবশ্যক নয়। একজন ডাক্তার এমন কিছু করতে পারেন যা আপনার কাছে যন্ত্রণা দায়ক মনে হবে যদিও তা রোগীর সর্বোচ্চ স্বার্থেই করা হয়ে থাকে। “<span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">আর আল্লাহ্‌ই সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী।</span>” [<span style="box-sizing: border-box; color: green;">আল-নাহল ১৬:৬০</span>]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">তৃতীয়ত: </strong></span>ব্যক্তি<b style="box-sizing: border-box;"> </b>যা চায় তার প্রত্যেকটিই তাকে দেয়া হলে তা তার জন্য অমঙ্গলজনকও হতে পারে। একজন সালাফের বর্ণনানুযায়ী তিনি কোনো সামরিক অভিযানে যাওয়ার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দো‘আ করতেন। কিন্তু তিনি একটি কণ্ঠ শুনতে পান: “তুমি সামরিক অভিযানে গেলে বন্দী হবে। আর বন্দী হলে তুমি খ্রীস্টান হয়ে যাবে।” [সায়িদ আল-খাতির, ১/১০৯] ইবনুল কায়্যিম বলেন: ‘<span style="box-sizing: border-box; color: blue;">আল্লাহ তাঁর বিশ্বাসী বান্দাদের জন্য যা নির্ধারণ করেছেন তা রহমত স্বরূপ। যদিও তা প্রদাণ বন্ধ করে হতে পারে; পরীক্ষা হলেও সেটি কল্যাণকর। আর তাঁর নির্ধারিত দূর্যোগও মঙ্গলজনক। যদিও তা পীড়াদায়ক হয়।</span>‘ [মাদারিজ আল-সালেকীন, ৪/২১৫]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> কেউ জানেনা তার বিষয়গুলো কিভাবে শেষ হবে। সে এমন কিছু চাইতে পারে যা তাকে পরিচালিত করবে কুফলের দিকে যাতে তার ক্ষতি হয়ে যাবে। তার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো তা অদৃশ্যের মালিক আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন। “<span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">আর এমন হতে পারে তুমি যা অপছন্দ করছো তা তোমার জন্য মঙ্গলকর।</span>” [<span style="box-sizing: border-box; color: green;">আল-বাকারা ২:২১৬</span>]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> এ আয়াতের একটি অর্থ হতে পারে যে, আমাদের এমন ভাবা উচিৎ নয় যে বিধাতার বিধান অন্যরূপ অথবা তাঁর কাছে এমন কিছু চাওয়া উচিৎ নয় যে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান নেই এজন্য যে তা আমাদের অজান্তেই আমাদের ক্ষতি করবে। তাই আমাদের জন্য আমাদের প্রভু যা পছন্দ করেছেন তা ভিন্ন অন্য কিছু আমাদের পছন্দ অরা উচিৎ নয়। বরং তাঁর কাছে আমাদের কোনো শুভ পরিণতি কামনা করা উচিৎ। আর এটা এজন্য যে, এছাড়া অধিকতর উপকারী আমাদের জন্য কিছুই আর নেই।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">চতুর্থত: </strong></span>বান্দা নিজের জন্য যা পছন্দ করে তার চেয়ে আল্লাহ্‌ তার জন্য যা পছন্দ করেন তা-ই শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাকে এতোটাই ভালোবাসেন যতোটা বান্দা নিজেকেই ভালবাসতে পারে না। যদি তার এমন কিছু হয় যা সে অপছন্দ করে, তাহলে সেটা না ঘটার চেয়ে ঘটাই উত্তম; তাই তাঁর বিধান দয়া ও মমতায় ভরপুর। বান্দা যদি আল্লাহ্‌র নিকট আত্মসমর্পণ করে আর বিশ্বাস করে যে, সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ্‌ এবং সবকিছুই তাঁর নিয়ন্ত্রানাধীন, এবং তার প্রতি তিনি নিজ অপেক্ষা অধিক দয়াশীল, তবেই সে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি না পেলেও তার মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে না। [দেখুন: মাদারিজ আল-সালিকীন, ২/২১৫]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><b style="box-sizing: border-box;">পঞ্চমত: </b></span>এমন হতে পারে যে, ব্যক্তি এমন কিছু করেছেন যার জন্য তার দো‘আ কবুল হচ্ছে না বা বিলম্ব হচ্ছে। হতে পারে তার খাদ্য হারাম; হতে পারে তিনি যখন দো‘আ করেছেন তার মনে ঐকান্তিকতার অভাব ছিল; হতে পারে তিনি কোনো পাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দো‘আ করেছেন। তাই দো‘আর সাড়া পেতে দেরি হওয়াটা ব্যক্তির নিজেকে সামলে নিতে, প্রভুর সম্মুখে কিভাবে দাঁড়াতে হবে তা শুধরে নিতে তাগিদ দেয়। যাতে করে সে নিজে সংশোধিত ও অনুতপ্ত হয়; যদি সে দো‘আর সাড়া দ্রুত পেত হয়ত সে বে-খেয়াল হয়ে যেত। যাকিছু করছে তা ঠিক বলে মনে  করে তা করেই যেতো। তারপর তার ভেতর আত্ম-তুষ্টির মনোভাব তৈরি হতো যা তাকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যেতো।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> দো‘আর সাড়া পেতে দেরি হওয়া বা কোনো সাড়া পাওয়ার কারণ হতে পারে আল্লাহ্‌ চাচ্ছেন বান্দার পুরষ্কার কিয়ামত পর্যন্ত দেরি করে দিতে। হয়তো তিনি চাচ্ছেন সমপরিমাণ কোনো পাপ মার্জনা করতে যা বান্দা বুঝতে পারে না।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> ঘটনা যেটাই হোক, দো‘আর ফল অনিবার্য। যদিও হতে পারে আপনার চোখে আপনি তা দেখেন না। তাই স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ হোন এবং বলুন: সম্ভবত তিনি আমার দো‘আয় এমনভাবে সাড়া দিয়েছেন যা আমি বুঝি না। সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “<span style="box-sizing: border-box; color: blue;">এমন কোনো মুসলিম নেই যে আল্লাহর কাছে দো<b style="box-sizing: border-box;">‘</b>আ করে আর তার কোনো পাপ নেই বা পরিবারের বন্ধন ছিন্ন করেনি, অথচ আল্লাহ্‌ তাকে তিন পদ্ধতির যে কোনোভাবে পুরষ্কার দেবেন: হয়তো আল্লাহ্‌ তার দো‘আয় তাৎক্ষনিকভাবে সাড়া দেবেন, বা তিনি পরকালে প্রতিদান দেয়ার জন্য জমা রাখবেন, অথবা এই কারণে তার সমপরিমান পাপ মোচন করে দেবেন।</span>” সাহাবাগণ (রা:) জানতে চাইলেন: “<span style="box-sizing: border-box; color: blue;">আমরা যদি অনেক বেশি দো<b style="box-sizing: border-box;">‘</b>আ করি?” তিনি বললেন, “আল্লাহ্‌ ততোধিক মহান।</span>” [হাদীসটি আহ্‌মাদ সংকলন করেছেন। সহীহুল তারগীব ওয়াত্তারহীব (১০৭৪৯) গ্রন্থে আল-আলবানী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলে রায় দিয়েছেন]</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <strong style="box-sizing: border-box;">পরিশেষে,</strong> দো‘আ করে ফল লাভ না করার বা দেরিতে করার অনেক কারণ রয়েছে; এটা আমাদের অবশ্যই মানতে হবে এবং দো‘আ করা থামিয়ে দিলে চলবে না। কেননা দো‘আ সবসময়ই আমাদের জন্য কল্যাণ এবং মঙ্গল বয়ে আনে।</div>

দুয়া করছেন কিন্তু সাড়া পাচ্ছেন না!!

প্রশ্ন: দো‘আ করলে তার উত্তর পেতে দেরি হয় কেন? কিছুলোক অনেক দো‘আ করেন কিন্তু কোনো সাড়া পান না; তারা দীর্ঘকাল ধরে চাইতে থাকেন। কিন্...

Read more »

কিতাবঃ নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত [কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="td-post-featured-image" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif; font-size: 15px; position: relative;"> <br /> <figure style="box-sizing: border-box; margin: 0px;"><div dir="ltr" id="docs-internal-guid-f8c91773-7fff-f31f-db9c-71664d2483bf" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিতাবঃ নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম )</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আপন হাবীব (ﷺ) এর মুহাব্বতকে আপন বান্দাদের উপর আবশ্যক করেছেন এবং লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম তার প্রিয় রাসূলের উপর , যিনি কিয়ামতের দিবসে শাফায়াত করবেন তার আশিকদের জন্য এবং সালাত ও সালাম তার পরিবার , আসহাবদের উপর যারা নবীয়ে পাককে আপন জান থেকেও প্রিয় জানতেন আমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তার হাবীব (ﷺ) এর উম্মতের দাবিদার এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু কিছু কিছু উম্মতের দাবীদার (যারা উম্মত নামের কলঙ্ক) তারা হাবীবে দুজাহানের প্রতি ভালবাসা , শ্রদ্ধা নিবেদন করাকে শিরিক মনে করে।যেমন, দাঁড়িয়ে নবীকে সালাম প্রদান করা, রাসূলে পাক (ﷺ) নাম শুনার পর মুহব্বতে বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মুখে মালিশ করা, রাসূলকে নূরের সৃষ্টি মানা, রাসূলকে এলমে গায়েবের অধিকারী মানা ইত্যাদি।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাই আমি অধম আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন (رحمة الله) সুপ্রসিদ্ধ কিতাব منير العين فى حكم تقبيل الابهامين (মুনিরুল আইন ফী হুকমি তাক্ববিলুল ইবহামাইন) এবং মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁ নঈমী (رحمة الله) এর সুপ্রসিদ্ধ কিতাব جا الحق وزهق الباطل (জা’আল হ্বক ওযাহাকাল বাতিল) ও অন্যান্য কিতাব সমূহ পড়ে মনস্থ করলাম যে, রাসূলে পাক (ﷺ) এর নাম মোবারক আজানে শুনার পর দরূদ শরীফ পড়তঃ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ফজিলত দুনিয়া ও আখিরাতে কি রকম ?</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়টি সাধারণ জনতার মাঝে বই আকারে দিতে পারলে সরল প্রাণ মুসলিম জনতা ও আমি নিজেও উপকৃত হব।সাথে সাথে এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে রাসূলে পাক(ﷺ) এর নূরানী কদমে উৎসর্গ করলাম।হতে পারে এই বইয়ের দরূণ বহু বিভ্রান্ত জনতা হকের দিশা পাবে এবং হতে পারে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নাজাতের উছিলা হবে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রাসূলে পাক (ﷺ) এর গোলাম হিসেবে কবুল এবং মন্জুর করুক ।আমিন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে এরশাদ করেন-</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اليوم نختم على أفواههم وتكلمناايديهم وتشهدارجلهم بماكانوايكسبون(سوره يس٦٥)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ:-আজ (কিয়ামতের দিবসে) আমি তাদের মুখে তালা মেরে দেব এবং তাদের হাত কথা বলবে, তাদের পা সাক্ষ্য দেবে দুনিয়ার মধ্যে তারা যা অর্জন করেছিল। (সূরা ইয়াছিন-৬৫)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় কিয়ামতের ময়দানে মানুষের হাত, পা কথা বলবে এবং তারা হাত, পা কে কোন কাজে ব্যবহার করেছিল, পক্ষে ও বিপক্ষে তথা পূণ্য করেছিল না গুনাহের কাজ করেছিল তা আল্লাহর সামনে বলে দিবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর যে উম্মত রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে মহব্বতে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে অবশ্যই কিয়ামতের ময়দানে সেই আঙ্গুল ও সাক্ষ্য দেবে, হয়ত এটাই নাজাত তথা মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কারণ মানুষ তার ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে জান্নাত পাবে এর কোন সিউরিটি নেই বরং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার দয়ার মাধ্যমেই জান্নাত পাওয়া যায়। আর কাজটি যেহেতু তার হাবীব (ﷺ) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।সেহেতু আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপন হাবীবের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার গুনাহগার উম্মতের উপর রহমত ও দয়া করতে পারেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যা আমাদের বিশ্বাস যাতে কোনো সন্দেহ নাই। তা ছাড়া রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা যে মুস্তাহাব তার অসংখ্য দলিল ও প্রমাণাদি রয়েছে। অথচ অনেকে রাসুলের এই মহব্বতের কাজটাকে নাজায়েজ বলে । অথচ তারা জানে না যে, একটা কাজ নাজায়েজ বলার জন্য অকাট্য প্রমাণের প্রয়োজন হয়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর এই কাজটি নাজায়েজ হওয়ার পক্ষে শরীয়তের কোন দলিল নাই।আর এমন একটি ভালো বা পূণ্যের কাজে কেউ যদি বাধা দেয় ধরে নিতে হবে তার অন্তরে হাবীবে খোদার প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে। বুঝে নিতে হবে সে রাসুলে পাকের শান ও মান সহ্য করতে পারেনা।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কুরআনের ভাষায় তাদের অন্তরে বক্রতা , কপটতা , নিপাকতি রয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাব যারা না বুঝে এরকম ভালো কাজে মানুষকে বাধা দেয় আল্লাহ যেন তাদের বুঝার তাওফিক দান করেন। (আমিন)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মাসেহ করা মুস্তাহাব তথা পুন্যের কাজ। </span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ রাসুলে পাক (ﷺ) হাদীসে পাকে ইরশাদ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انما الاعمال بالنيات. </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ:- সমস্ত কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। (বুখারী শরীফ)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং এই হাদীস থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে নিয়ত যদি ভালো হয় তাহলে আমলের উপর সাওয়াব পাওয়া যায়।আর নিয়ত খারাপ হলে আমলই গ্রহণযোগ্য হবেনা। এ থেকেই বুঝা যায় রাসুলে পাক(ﷺ) নামে চুমু খেয়ে আঙ্গুলদ্বয় চোখে মালিশ করা এটা রাসুলের প্রতি মহব্বতের বহিঃপ্রকাশ যা পূণ্যোর কাজ।সুতরাং এটি নাজায়েজ বা বিদায়াত হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বরং যারা এ কাজকে নাজায়েজ ও বিদায়াত বলে মানুষকে রাসুলে পাক সরওয়ারে কায়েনাত ,ইমামুল আম্বীয়ার মহব্বত থেকে বিরত রাখছে বুঝে নিতে হবে তাদের নিয়তে গরমিল রয়েছে বরং তা নবী বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।বরং যারা না বুঝে নবীর মহব্বত থেকে তার আশেকদের বিরত রেখে তারা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এছাড়া ও রাসুলের উম্মতের কিছু হাক্কানী আলেমগণ মিলে যখন কোন বিষয়ের উপর ঐক্যমত পোষন করে যে কাজটি ভালো।তখন কাজটির বিরোধীতা করা ও হারাম।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস থেকে প্রমাণ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে মহব্বতে যারা আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে তাদের প্রতি রাসুলে পাক(ﷺ) এর শুভ সংবাদ-</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ১ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">روى عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال من سمع اسمى فى الاذان ووضع ابهامين على عينيه فانا طالبه فى صفوف القيامة وقئده الى الخنة (صلوة مسعودى ٢)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ:- যে উম্মত আজানে আমার নাম শুনবে অতঃপর আঙ্গুলদ্বয় চোখের মধ্যে রাখবে আমি তাকে কিয়ামতের কাতার থেকে তালাশ করে জান্নাতে নিয়ে যাব। (সালাতে মাসউদি ২য় খন্ড)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ২ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ছাখাবী (رحمة الله)বলেন, আল ফেরদৌস নামক কিতাবে ইমাম দায়লমী (رحمة الله) উল্লেখ করেন, হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (رحمة الله) এর হাদিস থেকেঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال السخاوى ذكره الدلمى فى الفردوس من حديث ابى بكر الصديق رضى الله عنه انه لما سمع قول المؤذن اشهد ان محمد الرسول الله قال مذا يعنى صلى الله عليك يا رسول الله وقرة عينى بك يا رسول الله وقبل باطن الانملتين السبابتين ومسح عينيه فقال صلى الله عليه وسلم من فعل مشل ما فعل حليلى فقد حلت له شفاعتى ولم يصح (مقاصد الحسنة فى الاحاديث الدائرة على السنة)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ছিদ্দিকে আকবর (رضي الله عنه) যখন মুয়াজ্জিন থেকে আজানে রাসুল (ﷺ) এর নাম শুনলেন প্রথম বারে “সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” এবং দ্বিতীয় বারে “কুররাতু আইনি বিকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আপন আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলেন। রাসুল(ﷺ) এটা দেখে খুশি হয়ে বলেন , আমার বন্ধু যে কাজটা করেছে এই কাজ আমার উম্মতের মধ্যে যারাই করবে কিয়ামতের দিবসে তার জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে যাবে। হাদিসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে সহীহ হওয়ার শর্তগুলো পাওয়া যায় নাই। (মাকাছেদে হাসনা)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যারা বলে হাদিসটি সহিহ নয় তাদের জবাব</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লেখ্য যে, হাদিসটির শেষ অংশ দেখে অনেকে বলে থাকে হাদিসটি সহীহ নয়, বিদায় আমল করা যাবে না। মূলত এগুলো বলে তারা প্রমাণ করে যে তাদের কাছে উসুলে হাদিসের জ্ঞান নেই ।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তাদেরকে উসুলে হাদিস বুঝার জ্ঞান দান করুক। আমিন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ অথচ حديث صحيح এর পরে হাদিসের বহু স্তর রয়েছে, তারপর حديث ضعيف তথা দূর্বল হাদিস।যেমন- صحيح لغيره ،حسن لغيره، حسن لذاته তারপর ضعيف হাদিস।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম মুহাম্মদ বিন আমীরুল হাজ্ব হালবী (رحمة الله) এর কিতাব حلية شرح منية (হুলিয়া শরহে মুনিয়া) তে উল্লেখ করেন-</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> قول الترمذى لا يصح عن النبى ﷺ فى،مذاالباب شئ انتهى لا ينفى وجود الحسن ونحوه والمطلوب لا يتوقف ثبوته على الصحيح بل كما يثبت به يثبت بالحسن ايضا.</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ইমাম তিরমিযীর কথা এটা নবী (ﷺ) থেকে ছহীহের শর্তে আসেনি। উনার কথা “ছহীহ নয়” দ্বারা হাদিসের অপর প্রকার “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করে না। অর্থাৎ সহীহ না হলে হাসান হতে পারে।প্রত্যেকটা মকসুদ হাদিসে সহীহের উপর নির্ভর নয়।বরং হাসান থেকেও হতে পারে।যা কিছু সহীহ দ্বারা প্রমাণ হয় তা “হাসান”দ্বারা ও প্রমাণ হতে পারে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উসুলবিদ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (رحمة الله) বলেন-</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قول احمد انه حديث لايصح اى لذاته فلا ينفى كونه محسن لغيره والحسن لغيره يحتج به كما بين فى الحديث</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ এই হাদিসকে ইমাম আহমদ(رحمة الله) “ছহীহ নয় ” বলেছেন , এর ব্যাখ্যাতে আল্লামা ইবনে হাজর (رحمة الله) বলেন “ছহীহ নয় “অর্থ হল লিজাতিহী নয় , আর এই কথাটি দ্বারা “হাসান লিগাইরিহি” হওয়াকে নিষেধ করেনা।” হাদিসে ছহীহ দ্বারা যা প্রমাণিত হয় “হাদিসে হাসান দ্বারা ও তা প্রমাণিত হতে পারে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী (رحمة الله) বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من نفى الصحة لا ينتفى الحسن</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ “ছহীহ নয়” দ্বারা “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করেনা।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত মুফতি মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ কিতাব</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> موضوعات كبير </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাউদোয়াতে কবির) এ উল্লেখ করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لايصح لا ينافى الحسن</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ সহীহ নয় কথাটি হাসান হওয়াকে বারণ করেনা।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা নুরুদ্দীন আলী ছামহুদী(رحمة الله) তার কিতাব-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">جواهر العقدين فى فضل الشريفين.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(জাওয়াহিরূল আক্বদাইন ফী ফদলিশ শরীফাইন) নামক কিতাবে উল্লেখ করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قديكون غير صحيح وهم صالح للاحتجاج به اذاالحسن رتبة بين الصحيح والضعيف</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ কখনো কখনো সহীহ ছাড়াও প্রমাণ দেওয়া যায় । কেননা “হাদিসে হাসান” হলো সহীহ ও দূর্বলের মধ্যখানে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম কামাল উদ্দীন ইবনে হুমাম (رحمة الله) বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقول من يقول فى حديث انه لم يصح ان سلم لم يقدح لان الحجية لا تتوقف على الصحة بل الحسن كاف</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ কেউ যদি কোন হাদিসের ব্যাপারে “সহীহ নয়” বলে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, দলিলের জন্য ” সহীহ ” হওয়ার উপর নির্ভর নয়। বরং,হাদিসে ” হাসান” যথেষ্ট।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল , কেউ যদি হাদিসটা” সহীহ ” নয় বলে তখন ও ঐ হাদিস দ্বারা দলিল দেওয়ার মধ্যে কোন আপত্তি নেই।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ এই ব্যাপারে মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) তার কিতাব (موضوعات كبير ) এ উল্লেখ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قلت واذاثبت رفعه الى الصديق رضى الله عنه فيكفى للعمل به لقوله عليه الصلاة والسلام عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমি (মোল্লা আলী) বলছি, যদি হাদিসটা হযরত ছিদ্দিকে আকবর (رضي الله عنه) পর্যন্ত পৌছে , আমল করার জন্য এটাই যথেষ্ট। কেননা রাসুলে কারীম (ﷺ) এরশাদ করেন তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত কে আকড়ে ধরা।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ফোকাহায়ে কিরামের অভিমতঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হানাফী মাযহাবের অনুসারীর কিতাবের উদ্ধৃতিঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ (রদ্দুল মুখতার আলা দুরলিল মুখতার- ردالمحتار على در المختار) তথা فتاوى شامى তে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) باب الاذان (বাবুল আযান) এ এবং شرح نقاية ( শরহে নিকায়া) তে উল্লেখ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> يسنتحت ان يقال عند سماع الاولى من الشهادة صلى الله عليك يارسول الله وعند الثانية منها قرة عينى بك يا رسول الله ثم يقول اللهم متعنى بااسمع والبصر بعد وضع ظفرى الابهامين على العنين فانه عليه الصلاة والسلام يكون قائداله الى الجنة</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ মুয়াজ্জিন যখন আযানে রাসুলে আকরামের (ﷺ) নামে সাক্ষ্য দিবে তখন প্রথম বারে ” সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রেখে দোয়া করা ” আল্লাহুম্মা মাত্তিনি বিসসাময়ী ওয়াল বসরি ” বলা মুস্তাহাব।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৩ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ একই ধরনের হাদিস সহীহ সূত্রে ইমাম তাহতাবী (رحمة الله) তার “মারাকিল ফালাহ” কিতাবে নকল করে বলেন , আমলের জন্য এটাই যথেষ্ট।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আরিফ বিল্লাহ ফজলুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন আইয়ুব সোহরাওর্য়াদী (رحمة الله) এবং </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তার ছাত্র ইমাম ইউসুফ বিন ওমর (رحمة الله) جامع المضمر ات شرح قدرى বা فتاوى صوفية (ফতোয়া-এ- সূফিয়াতে), </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম কুহাস্তানী كنزالعباد (কানজুল ইবাদ), </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম দাইলমী كتاب الفردوس (কিতাবুল ফেরদৌস), এবং </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম রমলী البحر الرائق (বাহরূর রায়েক) এর হাশিয়াতে নকল করেন ,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من قبل ظفرى ابهاميه عند سماع اشهدان محمداً الرسول الله فى الاذان انا قئدومدخله فى صفوف الجنة</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলে পাক (ﷺ) বলেন, "যে উম্মত আযানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, আমি তাকে তালাশ করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব।"</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মাওলানা জামাল ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ওমর মক্কি তার ফতোয়ার কিতাবে উল্লেখ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">تقبيل الابهامين ووضع هما على العنين عند ذكراسمه عليه السلام فى الاذان جائربل مستحب صرح به مشائخنا</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আযানে নবীর (ﷺ) নাম শুনার পর আঙ্গুলদ্বয়কে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রাখা জায়েজ বরং মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে আমাদের ইমামগণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম ত্বাউছি (رحمة الله) বর্ণনা করেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انه سمع من الشمس محمد بن ابى نصر البخرى هذا الحديث من قبل عند سماعه من الموذن كاملة الشهادة طفرى ابهاميه ومسهما على عينيه وقال عندالمس اللهم احفظ حدقتى ونورهما ببركة حدقتى محمد صلى الله عليه وسلم ونورهما لم يرمد</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ ইমাম ত্বাউছি বিখ্যাত মুহাদ্দিস আশশামস মুহাম্মদ বিন আবি নছর আল বুখারী (رحمة الله) তথেকে এই হাদিস খানা বর্ণনা করেন, যে উম্মত মুয়াজ্জিনের আযানে নবী (ﷺ) ‘র নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে এই দোয়াটি পড়বে “আল্লাহুম্মা ইহফাজ হাদকাতাইয়া ওয়া নুরাহুমা বিবরকতে হাদকাতাই মুহাম্মদী (ﷺ)ওয়া নুরিহিমা ” তার চোখ কখনো দৃষ্টি হারা হবে না।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৪ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর সুফী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ কিতাব (موجبات الرحمة وعزائم المغفرة) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মওজিবাতুর রাহমাহ ওয়া আজাইমুল মাগফিরা) তে উল্লেখ করেন হযরত খিজির (عليه السلام) থেকে মধ্যখানে সূত্র মাজাহিল ও মুনকাতি রয়েছে। অতঃপর বর্ণনা করেছেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن الخضر عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد عبد الله صلى الله عليه وسلم ثم يقبل ابهاميه ويجعلها على عينيه لم يرمد ابدا (مقاصد حسنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত খিজির (عليه السلام) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , যে ব্যক্তি আজানে নবীর নাম শুনে ” মারহাবান বিহাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহ ” (ﷺ) বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে রাখে ,তার দৃষ্টি শক্তি কখনো নষ্ট হবেনা। উল্লেখ্য হাদিসখানা বর্ণনার ক্ষেত্রে দূর্বল হলেও আমলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মদিনা শরীফের ইমাম ও খতিব আল্লামা আশশামস মুহাম্মদ বিন ছালেহ মাদানী (رحمة الله) তার “তারীখে” নকল করেন মিশরে বড় আলেমদের একজন আল্লামা মজদ (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">من صلى على النبى صلى الله عليه وسلم اذا سمع ذكره فى الاذان وجمع اصبعيه المسجة والابهام وقبالها رمسح بهما عينيه لم يرمد ابدا</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ, যে আজানে নবীর নাম শুনে দরূদ শরীফ পড়ে, বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুল একত্রিত করে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, তার চোখের দৃষ্টি যাবে না বরং নিরাপদ থাকবে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা মুহাম্মদ ইবনুল বাবা (رحمة الله) তার নিজের ঘটনা বর্ণনা করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">انه هبت ريح فو قعت منه حصاة فى عينيه وعياه خروجها والمته اشهد الا لم وانه لما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قال ذلك فخرجت الحصاة من فوره قال الرداد رحمه الله وهذا يسير فى جنب فضائل الرسول صلى ا لله عليه وسلم</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ একদিন ব্যাপকভাবে বাতাস হয়ে একটি কংকর আমার চোখে ঢুকে পড়ে, বের করা কষ্টকর হয়ে যায়।ব্যাথা ও অসহ্য হয়ে যায়,আর যখন মুয়াজ্জিন আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) নামে শাহদাতের কালিমা বলছিল আমি এই কাজটি করলাম অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে মালিশ করলাম সাথে সাথে কংকর টি বের হয়ে যায়।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম রদাদ (رحمة الله) বলেন, এটা একটা রাসুল (ﷺ)এর ফজায়েল ও মুজিজা। </span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইরাক আজমের কিছু আলেম সমাজ বলেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">منذ فعلته لم ترمد عينى </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে দিন থেকে এই কাজটা করলাম চোখের কোন অসুস্থতা দেখা যায়নি।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال ابن صالح وانا والله الحمد والشكر منذ سمعته منها استعملته فلم ترمد عينى وارجوان عافيتها تدوم وانى اسلم من العمى انشاء الله تعالى (مقاصد حسنه )</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইবনে সালেহ বলেন, আল্লাহর প্রসংশা ও শুকর,যে দিন থেকে আমি আজানে রাসুলে পাকের নাম শুনার পর আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করছি, সে দিন থেকে ও আমার চোখে কোন রোগ হয়নি এবং আশা রাখি অন্ধ হওয়া থেকে নিরাপদ থাকব ইনশাআল্লাহ।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৫ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">روى عن الفقيه محمد بن سعيد الخولانى قال اخبرنى الفقيه العلم ابوالحسن على بن محمد بن جديد الحسينى اخبرني الفقيه الزاهد البلالى عن الحسن عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم ويقبل ابهاميه ويجعلهما على عينيه لم يعم ولم يرمد (مقاصد حسنه)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ অর্থাৎ ফকিহ মুহাম্মদ বিন সাঈদ খাওলানী (رحمة الله) বলেন, আমাকে➡ ফকিহুল আলম আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ বিন হাদিদ আল হুসাইনী (رحمة الله) বলেছেন, আমাকে ➡ ফকিহ আজ জাহিদুল বিলালী (رحمة الله) ➡ হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে ” মারহাবান বি হাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ ও অসুস্থ হবেনা।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা মুহাদ্দিস তাহের পটনি (رحمة الله) তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব مجمع بحار الانوار এর মধ্যে উল্লেখিত হাদিসকে সহীহ নয় বলে উল্লেখ করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وروى تجربة عن كثير</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে ফায়দা পেয়েছেন, তা অনেকের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা সদরুল আফাজিল নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী (رحمة الله) বলেন , ইন্জিল কিতাবের বড় একটা পান্ডুলিপি আমার কাছে আছে যার নাম انجيل بر نباس (ইন্জিল বরনিবাস ) ঐ কিতাবের অধিকাংশ আহকাম ইসলামী আহকামের সাথে মিলে যায়। ঐ কিতাবে লিখা আছে , হযরত আদম (عليه السلام) نور مصطفى ( তথা “আমাদের নবী (ﷺ) এর নূর ” যেটা সৃষ্টির মূল) দেখার জন্য ইচ্ছা পোষন করলেন ,তখন আল্লাহ তায়ালার কুদরতী ব্যবস্থাপনায় হযরত আদম (عليه السلام) এর বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখে নূর চমকে ওঠে তখন তিনি খুব মুহাব্বত সহকারে আপন নখে চুমু দিয়ে চোখে লাগালেন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৬ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ গাজীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত ইমামে আহলে সুন্নাহ আল্লামা আযিযুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ ফতোয়ার কিতাব,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">مجموعئه فتاوى عزيزيه (মজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে আযিযিয়া) এই কিতাবে دربيان تقبيل الابهامين عند الشهادتين فى الاذان والاقامة</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নামে এই বিষয়ে অধ্যায় রচনা করে উল্লেখ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ذكر بعض الصالحين انه لقى الخضر عليه السلام فقال من قبل ظفر ابهاميه ويمسح بهما على عينه امن من وجع العين حين يقول المؤذن فى الاذان والاقامة اشهد ان محمد الرسول الله ويقول المستمع مع ذلك مرحبا بك يا حبيبى وقرة عينى يا رسول الله (خزينة الاسرار ،خواص القران)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দাহ যার সাথে হযরত খিজির (عليه السلام) এর সাক্ষাত হয়েছে তিনি হযরত খিজির (عليه السلام) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে “মারহাবা ইয়া হাবীবী ও কুররাতু আইনি ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ বিভিন্ন ব্যাথা থেকে রক্ষা পাবে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা শেরে বাংলা (রহঃ) আরোও উল্লেখ করেন –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فى قصص الانبياء وغيره ان ادم عليه السلام اشتاق الى لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاوحى الله تعالى اليه هومن صلبك ويظهر فى اخر الزمان فسال لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاو حى الله تعالى اليه فجعل الله النور المحمدى فى اصبعيه المسبحة من يده اليمنى فسبح زلك النور فلذلك سميت تلك الاصبع مسبحة كذا فى الروضة الفائق</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কাছাছুল আম্বিয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে , হযরত আদম (عليه السلام) জান্নাতে থাকাকালিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাত করার ইচ্ছা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বলেন, তিনি মুহাম্মদ (ﷺ) এখন তোমার পৃষ্টে রয়েছে এবং শেষ জামানায় পৃথিবীতে তশরীফ আনয়ন করবেন। অতঃপর হযরত আদম (عليه السلام) জান্নাতে অবস্থান রত সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করলেন (মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে)রাব্বুল আলামিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর নূর কে আদম (عليه السلام) এর ডান হাতের তাছবিহ পাঠকারী আঙ্গুলে প্রকাশ ঘটালেন, অতপর ঐ নূর তাছবিহ পাঠ করতে শুরু করে,এই কারণে সেই আঙ্গুলকে اصبع مسبحه বলা হয়। (রাউদাতুল ফায়েক)</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আর ও উল্লেখ রয়েছে –</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اظهر الله تعالى جمال حبيبه فى صفار ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه فصار اصلا لذيته فلما اخبر جبرائيل عليه السلام النبى صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال صلى الله عليه وسلم من سمع اسمى فى الاذان فقبل ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه لم يعم ابدا</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তায়ালা যখন আদম (عليه السلام) এর আঙ্গুলে আপন হাবীব (ﷺ) এর সৌন্দর্য আয়নার মত প্রকাশ করলেন, আদম (عليه السلام) তার আঙ্গুলের পৃষ্ঠকে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে নিলেন।অতঃপর তার সন্তানদের জন্য এই কাজটা দলিল হয়ে যায়। হযরত জীব্রাইল (عليه السلام) যখন আদম (عليه السلام) এর এই ঘটনা নবী করিম (ﷺ) কে বললেন, রাসুল (ﷺ) বলে দিলেন , উম্মত আজানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে পৃষ্ঠে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ হবে না বা চোখের দৃষ্টি শক্তি কমবে না।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ আল্লামা শেরে বাংলা (رحمة الله) এই মাসয়ালাটি কোন কোন কিতাবে রয়েছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. তাফসীরে রুহুল বয়ান, ৮ম খন্ড। সুরা আহযাবের اذكر والله ذكرا كثيرا এর তাফসীরে ব্যাপক ভাবে আলোচনা করেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. আল্লামা শেখ সাহরওয়ার্দী তার কিতাব عوارف المعارف এ ব্যাপক আলোচনা করেন ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. মাওলানা আব্দুল হাই লক্ষোনভীর فتاوى مولانا عبد الحى لكهنوى ৩য় খন্ড ৪২ পৃষ্ঠায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. جامع الرموز( জামেউর রুমুজে)১ম খন্ড ৫৬পৃষ্ঠায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. হিদায়াতুল হারামাইনে ৪৬পৃষ্ঠায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. كتاب الفوائد مطبع مصر (কিতাবুল ফাওয়ায়েদে) ১৫পৃষ্ঠায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. فتح المبين ( ফতহুল মুবিনে) ৬৪ পৃষ্ঠায় ও ৪৯২ পৃষ্ঠায় ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই উলামায়ে কিরাম বলেন, নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে শুধু বৃদ্ধ আঙ্গুলের পিঠে চুমু খাওয়া হযরত আদম (عليه السلام) সুন্নাত। আর শাহাদাত আঙ্গুলের পেটে চুমু খাওয়া হযরত সিদ্দীকে আকবর (رضي الله عنه) সুন্নাত। তাই আমাদের উচিত উভয় আঙ্গুলে চুমু খেয়ে উভয়জনের সুন্নাত আদায় করা।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর কিতাবের উদ্ধৃতিঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ শাফেয়ী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اعانة الطالبين على حل الفاظ فتح المعين (ইয়ানাতুত তালিবীন আলা হিল্লে আলফাজি ফতহিল মুয়িন) এ উল্লেখ আছে,</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ নবী (ﷺ) নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মালেকী মাযহাবের কিতাবের উদ্ধৃতিঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব,</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كفاية الطالب الربانى لرسالة ابن ابى زيد القيروانى ج ا صف ١٦٩ </span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(কিফায়াতুত তালিবির রাব্বনী লিরিছালাতি ইবনে আবি যায়েদ আল কাইরুওয়ানী) এ উল্লেখ আছে –</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ হুজুরে পাক (ﷺ) নাম শুনে মুহাব্বত সহকারে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মালেকী মাযহাবের উল্লেখিত কিতাবের ব্যাখ্যাতে ১৭৭ পৃষ্ঠায় আল্লামা শেখ আলী আস স্বায়েদী আদবী (রঃ ) লিখেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لم يبين موضع التقبيل من ابهاميه الا انه نقل عن الشيخ العالم المفسرنور الدين الخراسانى قال بعضهم لقيته وقت الاذان فلما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قبل ابهامى نفسه ومسح بالظفرين اجفان عينيه من الماق الى نحية الصدع ثم فعل ذلك عند كل تشهد مرة فسالته عن ذلك فقال كنت افعله ثم تركته فمرضت عيناى فرءيته صلى الله عليه وسلم منا ما فقال لما تركت مسح عينيك عند الاذان ان اردت ان تبرء عيناك فعد فى المسح فاستيقظت ومسحت فبرءت ولم يعاود فى مرضها الى الان</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">লিখক আঙ্গুলে চুমু খাওয়ার মাসআলা বর্ণনা করেননি, কিন্তু শায়েখুল আলম ও মুফাচ্ছির নুরুদ্দিন খোরাসানী (رحمة الله) থেকে বর্ণিত , কিছু মানুষ তাকে আজানের সময় তার সাথে সাক্ষাত করতে গিয়ে বলেন,তাকে দেখলাম আজানে নবী (ﷺ) এর নাম শুনতেই আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেন( আঙ্গুলের নখ চোখের এক কোণায় লাগালেন)। এভাবে প্রত্যেকবার শাহাদাতের সময় এরকম করেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনি বলেন, একাজটা আমি করতাম,পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। অতঃপর আমার চোখে রোগ হয়ে যায় , একদিন ঘুমে নবী (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখলাম তিনি বললেন, তুমি আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার কাজ ছেড়ে দিয়েছ কেন?তুমি যদি ভাল হতে চাও ! কাজটা অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা আবার শুরু কর।আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার সাথে সাথেই ভাল হয়ে গেলাম,এখনো ভালো আছি।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হাদিস ৭ :</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুল (ﷺ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার কারণে একশত বছরের পাপিষ্ট ব্যক্তির ক্ষমা ঘোষণাঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كان فى بنى اسرائيل رجل اخطى مائة سنة لما مات ارمى الناس الى مزبلة واوحى الله تبارك وتعالى الى موسى عليه الصلاة والسلام ان يغسله ويصلى عليه فقال موسى يارب العالمين كيف اصنع هذا بنو اسرائيل يغبضه قال تعالى انى غفرته لانه اذا راى فى التورات اسم محمد صلى الله عليه وسلم تقبل ظفر يه ومسح على عينيه وادخلته فى الخنة وتزوجته سبعين حور (روح البيان،تاريخ الخمسين ، خصائص الكبرى )</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ বনী ইসরাঈলে এমন এক ব্যক্তি ছিল, যে একশত বছর পাপের কাজ করেছিল, সে যখন মারা যায় মানুষ তাকে ময়লাতে নিক্ষেপ করে দেয়। রাব্বুল আলামিন হযরত মুছা (عليه السلام) ওহীর মাধ্যমে জানালেন, তাকে গোসল, কাফন দিয়ে দাফন করে দিতে। হযরত মুছা (عليه السلام) বলেন, হে আল্লাহ ! তাকে আমি এগুলো কিভাবে করি? অথচ মানুষ তাকে ঘৃণা করে । আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কেননা সে ‘তওরাতে’ মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম দেখে আঙ্গুলের নখে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেছে,আমার মাহবুবের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করেছে, তাই আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে সত্তরটি হুরের সাথে শাদী করিয়ে দিয়েছি। উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে বুঝা যায়, কাজটা সম্পূর্ণ রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের উপর নির্ভর । যাদের অন্তরে ইশকে রাসুল (ﷺ) থাকবে , সে সহজেই কাজটা করবে।আর যার অন্তরে ভালবাসা থাকবে না। সে কাজটা করা তো দূরের কথা কেউ করতে চাইলে ও তার কাছে ভাল লাগবে না।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুল (ﷺ) এর তাজিম ও মুহাব্বতের কিছু দৃষ্টান্তঃ</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের একটি আলামত হলো , রাসুলের নামের সময় তাজিম- সম্মান করা এবং হুজুরের নাম শুনতেই নিজেকে ছোট মনে করে একেবারে নরম হয়ে যাওয়া।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ কিতাব مدارج النبوت (মাদারিজুন নাবুওয়াত) এ উল্লেখ করেন-আবু ইব্রাহিম ইয়াহয়া (رحمة الله) বলেন, </span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রত্যেক মুসলমানের দরকার যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম মুবারক জিকির হবে , আদবের সাথে শুনা এবং শরীর নড়াচড়া না করা, এমন হয়ে যাওয়া, যেন তার সামনে রাসুল (ﷺ) আছেন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত আবু আইয়ুব (رحمة الله) এর সামনে যখন রাসুল (ﷺ) এর নাম জিকির করা হতো, সাথে সাথে ক্রন্দন করে দিতেন।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত জাফর বিন মুহাম্মদ (رحمة الله) অনেক ঠাট্টা করতেন, কিন্তু যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম জিকির হতো, তার চেহেরার রং পালটিয়ে যেত এবং খুব আদব সহকারে নিজেকে ছোট মনে করে বসে যেতেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এভাবে আশেকে রাসুলগণ রাসুলে পাকের নামে তাজিম করতেন। </span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই উল্লেখিত মাসয়ালার ব্যাপারে সমালোচনা না করে মাথা পেতে নেওয়াই আদব ও উত্তম।</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে জালালাইন এর হাশিয়াতে রাসুল (ﷺ)এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ব্যাপারে যথেষ্ট দলিল দিয়ে বলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যাদের কাছে কিতাবের দখল নাই এবং ব্যাপক গবেষণা করেনা তারাই মানে না এবং বুঝার চেষ্টাও করে না।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তাফসীরে জালালাইন ৩৫৭ পৃষ্ঠা)تفسير جلالين</span></div> <br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিশেষে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ, আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক এবং উভয় জাহানের কল্যাণ সাধন করার সুযোগ দান করুক। আমিন।</span></div> </figure></div> </div>

কিতাবঃ নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত [কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী]

কিতাবঃ নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী (বিসমিল্লাহির রা...

Read more »