মালয়েশিয়ায়ও সর্বত্র নিষিদ্ধ ডা জাকির নায়েকের ভাষণ

<iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="270" src="https://www.youtube.com/embed/d0279mtCX9s" width="480"></iframe>

মালয়েশিয়ায়ও সর্বত্র নিষিদ্ধ ডা জাকির নায়েকের ভাষণ

Read more »

কুরআনে কেন হরকত দেয়া হলো?

<div><b><i>কুরআনে কেন হরকত দেয়া হলো?</i></b><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLNqAHm0my3LQgDhEoCdwvgte8sEyve7wNdE97ZQ9RsjXhy_Z3QeFZlQjPPcFU6tQP4gG0g9Wk23c6vMYBNAtDDaG-kOmMys94Lfz4glUuYFpaX8qrN2q2vfZVKi2IZoj7-rWy573QBkI/s1600/images.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" class=" imageResizeTarget" data-original-height="445" data-original-width="445" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjLNqAHm0my3LQgDhEoCdwvgte8sEyve7wNdE97ZQ9RsjXhy_Z3QeFZlQjPPcFU6tQP4gG0g9Wk23c6vMYBNAtDDaG-kOmMys94Lfz4glUuYFpaX8qrN2q2vfZVKi2IZoj7-rWy573QBkI/s1600-rw/images.jpg" width="320"></a></div></div><div><br></div><div><br></div><div><b>ডক্টর আব্দুল বাতেন মিয়াজী</b></div><div><br></div><div><br></div><div>======</div><div>শায়খ আবুল আসওয়াদ রহঃ (৬০৩ - ৬৮৯ খ্রিঃ) দেখলেন তার কন্যা ছাদে বসে আকাশের সৌন্দর্য উপভোগ করছে। মেঘমুক্ত খোলা আকাশে তখন লক্ষ-কোটি তারকার ঝাঁঝালো মেলা। অন্ধকার রাত। আরব্য রজনীতে তাই আকাশের সৌন্দর্য অন্যরকম উচ্চতায় পৌঁছে থাকে। একদিকে আদম সূরত তো অন্যদিকে সাতজালি মানে সাতটি উজ্জ্বল তারকার গোলটেবিল বৈঠক। একদিকে বড় ভল্লূক তো অন্যদিকে ছোট ভল্লূক। উত্তরাকাশে তখন সাতটি তারকার একটি প্রশ্নবোধক বলয়। কন্যা আকাশের দিকে তাকিয়ে এর অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করছে তো করছেই। সে অভিভূত, বিস্মিত এবং মুগ্ধ। পিতাকে দেখে মনের ভাব প্রকাশ করতে কন্যা বলে উঠলো, "মা আহছানু ছ-ছামা-ই?" (ما أحسنُ السماءِ) যার অর্থ হলো আকাশকে কিসে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে? কবি পিতা উত্তরে বললেন, আকাশের তারকারাজি একে এতো সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে। উত্তর শুনে কন্যা আরো অবাক হয়ে বলতে লাগলো, "বাবা, আমি তো উত্তর শোনার জন্য কিছু জানতে চাইনি। আকাশের এমন সৌন্দর্য দেখে আমি অবাক হয়েছি। তাই আকাশের এমন রূপ দেখে মনের ভাব প্রকাশ করেছি।" এবার পিতা বললেন, তাহলে তুমি এভাবে বলো, "মা আহছানা ছ-ছামা-আ?" (ما أحسنَ السماء) নুন এবং হামজার উপর জবর দিয়ে বলো। তুমি তো নুনের উপর পেশ এবং হামজার নিচে জের দিয়ে বলেছো। এতে তোমার মনের ভাব প্রকাশ না হয়ে প্রশ্ন হয়ে গিয়েছে যে, "কি সে আকাশকে এমন সুন্দর করেছে?" </div><div><br></div><div>অন্য আরেকদিন আবুল আসওয়াদ রহঃ লক্ষ্য করলেন এক ব্যক্তি কুরআনের সূরা তওবার তিন নম্বর আয়াতটি পড়ছে ভিন্ন ভাবে, (أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ) অর্থাৎ রাসূলাহু'র স্থলে রাসূলিহী পড়ছে। আয়াতের এই অংশের অর্থ হলো, "আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও"। মক্কা বিজয়ের পর মুসলমানগণ যখন প্রথম হজের দায়িত্ব হাতে নেন, তখন আল্লাহ্‌ পাক ঘোষণা করতে বলেন যেন এ বছরের পর থেকে কাফির ও মুশরিকগণ হজ করতে না আসে। তাদের দায়িত্ব আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিবেন না। কিন্তু ওই ব্যক্তির ভুল উচ্চারণের কারণে এর অর্থ উল্টে গিয়ে হয়েছে, আল্লাহ্‌ পাক মুশরিক ও রাসূল থেকে দায়িত্বমুক্ত। [নাউজুবিল্লাহ। এ কথা লেখার কারণে আল্লাহ্‌ পাক আমাকে ক্ষমা করুন। আমি কেবল অবস্থাটা বোঝানোর জন্য তা উল্লেখ করলাম।]</div><div><br></div><div>আবুল আসওয়াদ রহঃ পরদিন সকাল বেলাতেই সমস্ত মুমিনগণের মওলা আলী কারামুল্লাহ ওয়াজহুর দরবারে গেলেন এবং পরপর দুটো ঘটনা অবগত করলেন। মওলা আলী আলাইহিস সালাম এ কথা শুনে উত্তরে বললেন, ইসলামী খেলাফত দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অগণিত অনারব আরবদের সাথে মিশছে। আরব-অনারব একসাথে মেলামেশার কারণে আরবদের মাঝে আরবি ভাষার প্রতি মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। মওলা আলী ব্যাপারটি খুব গভীর মনোযোগ সহকারে গ্রহণ করলেন এবং এর সমাধানের জন্য আবুল আসওয়াদ রহঃকে আরবি গ্রামার গ্রন্থনা করার উদ্যোগ নিতে বলেন। মওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু শুরু করলেন, কালাম বা শব্দ তিন ধরণেরঃ ইছম (বিশেষ্য), ফি'ল (ক্রিয়া) এবং হরফ (অব্যয়)। আরবি গ্রামার লিখে শেষ করার পর অভিভূত হয়ে নিজেই বললেন, «ما أحسن هذا النحو الذي نحوت»، فمن ثم سُميّ النحو نحوًا - অর্থাৎ, নাহু কি চমৎকার যা আমাদেরকে নতুন জীবন দিয়েছে। এ থেকেই নাহুকে নাহু হিসেবে নামকরণ করা হয়। </div><div><br></div><div>আবুল আসওয়াদ রহঃ নবী করীম ﷺ এঁর জীবদ্দশাতেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তবে নবীজীর ﷺ সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেন নি বলে সাহাবী হবার গৌরব লাভে ব্যর্থ হন। আবুল আসওয়াদ আদ দুআল্লিকে আরবি গ্রামারের উদ্ভাবক বলা হয়। তবে তা করেছেন মওলা আলী কারামুল্লাহু ওয়াজহুর পরামর্শে। তিনি আরবি অক্ষরে নোকতা এবং হরকতের প্রবর্তন করেন। এর পূর্বে আরবিতে কোনও নোকতা ছিল না। পরবর্তীতে স্বৈরশাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফের নেতৃত্বে আবুল আসওয়াদ রহঃ দুজন ছাত্র কুরআনের হরকত অর্থাৎ জের-জবর-পেশ এসব যোগ করেন। </div><div><br></div><div>কাজেই কুরআনের নোকতা এবং হরকত এ সবই বড় বিদআত। তবে উত্তম বিদআত।</div>

কুরআনে কেন হরকত দেয়া হলো?

কুরআনে কেন হরকত দেয়া হলো? ডক্টর আব্দুল বাতেন মিয়াজী ====== শায়খ আবুল আসওয়াদ রহঃ (৬০৩ - ৬৮৯ খ্রিঃ) দেখলেন তার কন্যা ছাদে বসে আকাশের সৌন্দর্য ...

Read more »

প্রশ্নঃ- নামাজে নারী/পুরুষের তাকবীরে তাহরিমায় কতটুকু পর্যন্ত হাত উঠানোর বিধান❓

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;" id="docs-internal-guid-7d56b926-7fff-90f9-e869-a4d17e099202"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>নামাজে তাকবীরে তাহরিমায় (পুরুষ) কানের উপর পর্যন্ত হাত উঠানোর বিধানঃ-</b></span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">=====================================================</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১) হাদীস শরীফঃ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدّثَنَا أبُو الْعبّاسِ بْنُ محمّدٍ الدوري الْعَلَاءِ بْنِ إسْمَاعِيلَ الْعَطَّارِ ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: رَأَيْت رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ فَحَاذَى بِإِبْهَامَيْهِ أُذُنَيْهِ، ثُمَّ رَكَعَ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ مَفْصِلٍ مِنْهُ، وَانْحَطَّ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى سَبَقَتْ رُكْبَتَاهُ يَدَيْهِ هذَا إسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ وَلَا أَعْلَمُ لَهُ عِلَّةً وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখেছি তিনি তাকবীর বলার সময়ে উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কান বরাবর উঠিয়েছেন। অতঃপর তিনি এমনভাবে রুকু করলেন যে, তাঁর প্রতিটি জোড়া স্থির হয়ে গেলো। আর তাকবীর বলে (সিজদার জন্য) নীচু হলেন এবং সিজদায় যাওয়ার সময় উভয় হাঁটু  হাতের আগে রাখলেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ হাদীসটির স্তর : সহীহ। হাকেম বলেন: صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ “এ হাদীসের সনদ বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ”। ইমাম জাহাবী রহ. তাঁর তালখীস কিতাবেও অনুরূপ মন্তব্য করেছেন। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৮২২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২) হাদীস শরীফঃ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ (عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ) أَنَّهُ رَأَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ (كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ) حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ (رَوَاه مُسْلِمٌ فِىْ بَابِ اسْتِحْبَابِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ حَذْوَ الْمَنْكِبَيْنِ مَعَ تَكْبِيرَةِ الْإِحْرَامِ)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত মালেক বিন হুওয়াইরিস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামাযের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন: তিনি যখন তাকবীর দিতেন তখন উভয় হাত কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতেন। (মুসলিম: ৭৫২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উল্লেখ্য : ইমাম মুসলিম রহ. بهذا الإسناد বলে যে সনদ বুঝাতে চেয়েছেন তা বন্ধনির মাঝে দেয়া হয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✅ হাদীসটির স্তর : সহীহ। শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসাঈ এবং ইবনে মাজাহ শরীফেও শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। (জামিউল উসূল: ৩৩৯২)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡ সারসংক্ষেপ : উপরোক্ত হাদীসদু’টি দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, তাকবীরে তাহরিমার সময়ে উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠাতে হবে। তবে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানোর কথাও অন্যান্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আমরা এসব হাদীসের সমন্বয়ে এভাবে আমল করে থাকি যে, উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌঁছাবে যেন হাতের অনান্য আঙ্গুলের মাথা কানের উপর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর হাতের পাঞ্জা কান বরাবর এবং কব্জি কাঁধ বরাবর থাকে। এ নিয়ম অনুসরণ করলে এ বিষয়ক সবগুলো হাদীসের ওপরই একত্রে আমল হয়ে যায়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ফাতহুল কদীর: সিফাতুস সলাত অধ্যায়)</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✔ নারীগণ তাহরিমার সময়ে কাঁধ পর্যন্ত হাত উঁচু করবে:</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:0pt;"><span style="font-size: 11pt; font-family: Arial; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">=====================================================</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩) হাদীস শরীফঃ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، قَالَ : قُلْتُ لِعَطَاءٍ تُشِيرُ الْمَرْأَةُ بِيَدَيْهَا بِالتَّكْبِيرِ كَالرَّجُلِ ؟ قَالَ : لاَ تَرْفَعُ بِذَلِكَ يَدَيْهَا كَالرَّجُلِ ، وَأَشَارَ فَخَفَضَ يَدَيْهِ جِدًّا ، وَجَمَعَهُمَا إلَيْهِ جِدًّا وَقَالَ: إنَّ لِلْمَرْأَةِ هَيْئَةً لَيْسَتْ لِلرَّجُلِ ، وَإِنْ تَرَكَتْ ذَلِكَ فَلاَ حَرَجَ</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুবাদ : হযরত ইবনে জুরাইয বলেন: আমি হযরত আতা বিন আবী রবাহকে জিজ্ঞেস করলাম: নারীগণ তাকবীরের সময়ে কি পুরুষের মতো হাত ইশারা করবে? তিনি বললেন: না, পুরুষের মতো করবে না। অতঃপর তিনি নিজে হাত ইশারা করে দেখালেন আর দুই হাত খুব নীচু করলেন এবং শরীরের সাথে মিলিয়ে রাখলেন। অতঃপর বললেন: মহিলাদের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে যা পুরুষের মতো নয়। তবে এটা পরিত্যাগ করলেও সমস্যা নেই। (ইবনে আবী শাইবা: ২৪৮৯)</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসটির স্তর : সহীহ, মাকতু’। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই ثقة “নির্ভরযোগ্য” ও বুখারী-মুসলিমের রাবী। অতএব, সনদের বিবেচনায় হাদীসটি সহীহ।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদীসের নীতিমালা অনুযায়ী এটা মাকতু’ হাদীস বা ‘আছারে তাবিঈ’।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> যুক্তিগ্রাহ্য নয় এমন সব কথা বা কাজ তাবিঈদের থেকে বর্ণিত হলে তা সাহাবায়ে কিরামকে করতে দেখে বা তাদের থেকে শুনে বলে থাকেন। আর সাহাবায়ে কিরামের ভিত্তি হলো রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লা)। এ হিসেবে বর্ণনাটি শরীআতের দলীল; যদিও অবশ্য পালনীয় নয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> হাদীসের কিতাবের লেখকগণ সবাই-ই নিজ নিজ কিতাবে প্রয়োজন অনুসারে তাবিঈদের এ জাতীয় উক্তি বর্ণনা করেছেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0pt;margin-bottom:16pt;"><span style="font-size: 15pt; font-family: Arial; color: rgb(102, 102, 102); font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যেমন ইমাম বুখারী রহ. ‘আমীন’ বলার অধ্যায়ে হযরত আতা রহ থেকেই এ উক্তি উল্লেখ করেছেন যে, قَالَ عَطَاءٌ: «آمِينَ دُعَاءٌ» “হযরত আতা রহ. বলেন: ‘আমীন’ একটি দুআ। হযরত আতা বিন আবী রবাহ রহ. থেকে বর্ণিত এ আমলকে আমরা মহিলাদের জন্য উত্তম মনে করি। আর সহীহ মারফু’ হাদীসেও কাঁধ পর্যন্ত হাত উত্তোলনের আমল বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী: ৭০০) সুতরাং হযরত আতা রহ.-এর মন্তব্য দ্বারা হাত উত্তোলনের ব্যাপারে বর্ণিত একাধিক সহীহ হাদীসের মধ্যে কেবল একটি হাদীসকে মহিলাদের জন্য প্রাধান্য দেয়া হলো মাত্র। নতুন কোন বিধান প্রমাণিত হলো না। উপরন্তু, এ পদ্ধতির অনুসরণ মহিলাদের রূপ-সৌন্দর্য অন্যের দৃষ্টি থেকে আড়াল করার বেশী উপযোগী। সুতরাং পর্দার প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের জন্য এ আমলটিকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি।</span></p><br>

প্রশ্নঃ- নামাজে নারী/পুরুষের তাকবীরে তাহরিমায় কতটুকু পর্যন্ত হাত উঠানোর বিধান❓

নামাজে তাকবীরে তাহরিমায় (পুরুষ) কানের উপর পর্যন্ত হাত উঠানোর বিধানঃ- ===================================================== ১) হাদীস শরীফঃ- ح...

Read more »