ঈমান কি?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ("ইসলামের চারটি মৌলিক বিষয়" কিতাব টির এ্যাপ আসছে। সবার দোয়া কামনা করি।) <br /> ঈমান শব্দটি আমন্ শব্দ থেকে নির্গত। এর অর্থ হচ্ছে, শান্তি দেয়া এটি মহান প্রভূর একটি গুনবাচক নামও। এ কারণে তার পবিত্র নাম মুমিনও। অর্থাৎ আপন বান্দাদেরকে স্বীয় কহ্হর ও আযাব থেকে শান্তি ও পরিত্রান দানকারী। আর এটা বান্দার গুণও বটে। এ কারণে কুরআন করীম মুসলমানদেরকে মুমিন নামে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থাৎ সঠিক আকিদা পােষণ করে নিজেকে আযাবে ইলাহী থেকে শান্তি বা মুক্তিদানকারী। শরীয়তের পরিভাষায় ঐ সব আকিদার নাম ঈমান, যা পােষণ করার কারণে মানুষ কুফরী থেকে রক্ষা পায় এবং মুমিনদের দলে অর্ন্তভুক্ত হয়ে যায়।<br /> ঈমানের প্রাণ পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর মধ্যে একটি অবয়ব ও একটি প্রাণ থাকে। আর প্রাণবিহীন অবয়ব মূল্যহীন। মানব দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে ততক্ষণ সে যাবতীয় সম্মানের যােগ্য থাকে। উন্নত খাবার, উত্তম পােষাক, মনােরম আট্টালিকা, মন্ত্রিত্ব, নেতৃত্ব, রাজস্ব ইত্যাদি প্রাণ বিশিষ্ট দেহেই শােভনীয়। প্রাণ ত্যাগ করা মাত্রই জমিনে সমাধিত করা ব্যতীত অন্য কোন কাজে আসে না। গাছপালা যতক্ষণ জীবিত থাকে; ততক্ষন তার মধ্যে তাজা ফল, ফুল সব কিছু থাকে। নির্জীব হওয়া মাত্রই চুলার ইন্দনে পরিণত হয়। বাল্ব, টিভি, ফ্যান ইত্যাদি সাজসরঞ্জাম বৈদ্যুতিক পাওয়ার (শক্তি) প্রাপ্তিতে স্বক্রিয়। পাওয়ার ব্যতিরেকে একেবারে নিঃস্ক্রিয়। অনুরূপ ভাবে, নামায রােযা, হজ যাকাত, ঈমান প্রভৃতির অবয়ব ও প্রাণ আছে। জীবন বিশিষ্ট ইবাদত ও ঈমান আল্লাহর দরবারে সম্মানিত ও মূল্যায়িত। জীবনহীন নামায ঈমান প্রভৃতির না আছে সম্মান, না আছে মূল্য।<br /> স্মরণ রাখুন, কলেমা পাঠ করা এবং ঈমানে মুজম্মাল ও মুফাচ্ছল, বর্ণিত বিষয়াদিকে মেনে নেয়া হলাে ঈমানের অবয়ব। কিন্তু ঈমানের প্রাণ অন্য জিনিস আর তা হচ্ছে নাবুয়াতকে উলুহিয়াতের সাথে, আর নবীকে আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত করা। আল্লাহ ও রসুলের মাঝে সম্পর্কহীনতা সৃষ্টি করলে মানুষ কাফের হয়। আর পক্ষান্তরে আল্লাহকে রাসুলের সাথে সম্পর্কিত করলে মুমিন হয়। কুরআন করীমের ফতুয়া পর্যালােচনা করুনঃ<br /> و يريدون أن يفرقوا بين الله ورسوله ويقولون نؤمن ببعض ونكفر ببعض ويريدون أن يتخذوا بين ذلك سبيلا. أولئك هم الكافرون حقا و اعتدنا للكفرين عذابا مهينة.<br /> (এবং তারা চায় যে, মহান আল্লাহ ও তার রসুলগণের মধ্যে পার্থক্য করে দিতে, আর বলে, আমরা কিয়দাংশের প্রতি ঈমান আনবাে এবং তারা চায় যে, এরই মাঝে অন্য একটি পন্থা অবলম্বন করতে। এ সমস্ত লােক জঘন্য কাফের আর আমি কাফেরদের জন্যে অপমান জনক আযাব প্রস্তুত করে রেখেছি।)<br /> কুরআনে করীমের ফতওয়া দ্বারা প্রমাণিত হলাে যে, আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর মধ্যে পার্থক্য মনে করা কুফর পক্ষান্তরে আল্লাহ ও রাসুলকে সম্পর্কিত করা ঈমান।<br /> সম্পর্কিত করার মর্মার্থ <br /> এ সম্পর্কিত করার মর্মার্থ এ নয় যে, রসুলকে খােদা মনে করা বা প্রভুকে রসুল ধারণা করা। আল্লাহ আল্লাহ, নবী নবীই। বরং সম্পর্কিত করার মর্মার্থ উদাহরণ স্বরূপ এভাবে বুঝে নিন যে, নােটের (টাকার) মধ্যে কাগজও আছে এবং সরকারী মােহরও আছে। কিন্তু মােহর কাগজ নয়, কাগজ মােহর নয়। অথচ মােহর কাগজের সাথে এমন ভাবে সম্পর্কিত হয়ে আছে যে, যদি কাগজ থেকে এটাকে পৃথক করা হয়; তাহলে কাগজ মূল্যহীন হয়ে পড়বে। হারিকেনের চিম্নি স্বচ্ছ। তাই চিনির রং বাতির আলাের সাথে এমনভাবে সম্পর্কিত হয়ে আছে যে, ঘরের যে কোনায় বাতির আলাে আছে তথায় চিনির রং আছে। এমন কোন স্থান পাওয়া যাবে না, যেখানে বাতির আলাে আছে কিন্তু চিনির রং নেই। কুরআন করীম বলেন- مثل نوره كمشكوة فيها مصباح المصباح فى الزجاجه (তার নূরের উদাহরণ হলাে, একটি তাক, তার মধ্যে একটি বাতি, যে বাতিটি চিনির মধ্যে অবস্থিত।) | উক্ত আয়াতে করীমার বিভিন্ন তফসীর রয়েছে। যার মধ্যে একটি তফসীর এও আছে যে, তৌহিদে ইলাহী যেন একটি আলাে। আর মুহাম্মদ মােস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) হলেন যেন একটি চিনি। ভেবে দেখুন, কলেমা তায়্যৈবা হলাে তৌহিদ। কিন্তু এতে তৌহিদের পরে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর রেছালতও উল্লেখ রয়েছে। শব্দ বিন্যাস দেখুন কলেমার প্রথমাংশ لا إله إلا الله (লাইলাহা ইল্লাল্লাহু) এর মধ্যে আল্লাহ শেষে রয়েছে এবং দ্বিতীয়াংশ محمد رسول الله , (মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ) এর মধ্যে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর নাম প্রথমে। কিন্তু প্রথমাংশে الله لا إله إلا هو (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া) না দ্বিতীয়াংশে رسول الله محمد(রসুলুল্লাহে মুহাম্মদুন) লিখা  হয়েছে। মুহাম্মদ, শব্দটি প্রথমে এসেছে। তা এ জন্য যে, যেন হুযুরের নাম আল্লাহর নামের সাথে মিলিত থাকে। যখন মহান আল্লাহ তার এবং তাঁর হাবীবের নামের পৃথকতা মেনে নেননি; তখন অন্যত্র তার এবং তাঁর হাবীবের মাঝে পার্থক্য কি করে পছন্দ করবেন? কুরআন করীমে অনেক স্থানে নিজের নামকে তাঁর হাবীবের নামের সাথে সংযােজন করেছেন। যেমন বলেন<br /> _ وأطيعوا الله وأطيعوا الرسول <br /> (আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য স্বীকার করাে) و من يطع الله و رسوله فقد فاز فوزا عظيما.(আল্লাহ ও তাঁর রসুলের যারা আনুগত্য স্বীকার করে; তারা বড় বিজয়ী ।<br /> و الله و رسوله احق ان يرضوه <br /> (আল্লাহ ও তাঁর রসুল অত্যধিক হকদার। যে, তাঁকে রাজী করার)<br /> اغناهم الله و رسوله من فضله<br /> (আল্লাহ ও তার রাসূল তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা ধনী করে দিয়েছেন। <br /> و من يخرج من بيته محاجرا إلى الله و رسوله <br /> (যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের প্রতি হিযরত করে নিজেদের ঘর-বাড়ী থেকে বের হয়েছেন)<br /> و يرى الله عملكم ورسوله <br /> (আল্লাহ ও তাঁর রসুল তােমাদের আমল দেখবেন।) <br /> لا تقدموا بين يدي الله ورسوله <br /> আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আগে এগিও না)।<br /> فامنو بالله و رسوله <br /> (আল্লাহ ও তাঁর রসুলের উপর ঈমান আন)।<br /> و لو أنهم رضوا ما اتاهم الله و رسوله<br /> (যদি তারা এর উপর রাজী হয়, যা তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রসুল দান করেছেন।)<br /> اذ تقول للذي انعم الله عليه و أنعمت عليه<br /> (যখন আপনি তার সাথে বলতেন; যার প্রতি আল্লাহ ও আপনি পুরস্কার দান করেছেন)।<br /> হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর বিশিষ্ট কবি হযরত হাচ্ছান ইবনে সাবিত (রাঃ) বলেনঃ<br /> ضم الاله اسم النبى باسمه - اذ قال في الخمس المؤذن أشهد<br /> (মহান আল্লাহ তার নবীর নামকে তাঁর নামের সাথে সংযােজিত করেছেন; - পাঞ্জেগানা নামাজের তকবীর ও আযানে মুয়াজ্জিন ও মুকাব্বির আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলতেই আশাহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহও বলেন।)<br /> . উল্লেখ্য যে, হযরত হাচ্ছান সেই ভাগ্যবান নাত পাঠকারী সাহাবী, যার এক একটি শের’ এর উপর হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বার বার দোয়া করেছিলেন। তাঁর শের সমূহ নবী পাকের দরবার থেকে স্বীকৃতি ও প্রশংসার সনদ পত্র লাভ  করেছেন। ইসলামিয়াত নিয়ে চিন্তা করলে সহজে অনুমেয় যে, মহান আল্লাহ তার হাবীবের সুন্নাতকে আপন ফরয সমূহের সাথে এমন ভাবে সংশিষ্ট করে দিয়েছেন যে, কোন এবাদত সুন্নাত থেকে খালি নয়। পঞ্জেগানা নামাজে- জোহরের ফরয চার রাকাত, আগে পিছে 'সুন্নাত ছয় ছয় রাকাত। মগরীবের নামাজে ফরয তিন রাকাত, আর সুন্নাত ও নফল চার রাকাত, অতপর ফরয আদায় করতে গেলেও ছােবহানাকা আল্লাহুম্মা  পাঠ করা সুন্নাত, আউজুবিল্লা ও বিসমিল্লাহ পাঠ সুন্নাত, তারপর তেলাওয়াতে কুরআন করীম হচ্ছে ফরয, রুকু সিজদা ফরয, তার তাসবীহগুলাে সুন্নাত। রমজানের রােযা ফরয, সেহরী, ইফতার, তারাবীহ সুন্নাত।<br /> নিজ জীবনের দিকে দেখুন, শিশু ভূমিষ্ট হতেই কানে আযান দেয়া সুন্নাত, -আকীকা সুন্নাত, খতনা সুন্নাত, শিশু প্রতিপালন সুন্নাত। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর ফরয জিম্মা শুরু হয়। আমরা সুন্নাতের ছত্রছায়ায় লালিত হই। যেমন জীবিকার্জন, বিয়ে-শাদী, স্ত্রীর বরণপােষণ সবই হচ্ছে সুন্নাত। মৃত্যু মুহূর্তে কলেমা পাঠ করানাে, কেবলা মুখী করা সুন্নাত, গােসল ও দাফনের তরিকা সুন্নাত। বস্তুতঃ সর্বক্ষেত্রে ফরয সুন্নাত সমূহের সাথে মিলেই রয়েছে। একারণেই আমাদের নাম আহলে ফরয বা আহলে ওয়াজিব কিংবা আহলে মুস্তাহাব নয় বরং আহলে সুন্নাত। অর্থাৎ আজীবন সুন্নাতের ছত্র ছায়ায় জীবন অতিবাহিতকারী এবং কিয়ামত দিবসে সুন্নাতের ছত্রছায়ায় অবস্থানকারী। বস্তুতঃ রূহে ঈমান হচ্ছে আল্লাহ রসুলকে সম্পর্কিত করা। শয়তান তথা হাজার রকমের কাফেরেরা আল্লাহর জাত (সত্ত্বা ছিফাত (গুণাবলী) ফিরিস্তাকুল, জান্নাত দোযখ ইত্যাদি বিশ্বাস করে, কিন্তু তারপরও তারা কাফির। কেননা তারা আল্লাহ রসুলকে সম্পর্কিত করে না। " জনৈক আনছারী ফসলে পানি দেয়া নিয়ে এক মামলা নবী পাকের আদালতে পেশ করেন কিন্তু তিনি নবীর দেয়া রায়ের উপর সন্তুষ্ট হননি। তাই তার প্রসঙ্গে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ<br /> فلا وربك لايؤمنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا في أنفسهم محرجا مما قضيت ويسلموا تسليما<br /> (হে মাহবুব! আপনার প্রতিপালকের কসম, এ ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না; যতক্ষণ না সে তাদের মতানৈক্য বিষয়ে আপনাকে হাকিম স্বীকার করে এবং আপনার ফয়সালায় মনক্ষুন্ন হয় এবং অবনত মস্তকে গ্রহণ করে।)<br /> কোন কোন সম্মানীত সাহাবীর আওয়াজ নবী পাকের দরবারে বড় হয়ে যেত।<br /> তাঁদের প্রসঙ্গে এরশাদ হলাে<br /> يا أيها الين امنوا لاترفعوا أصواتكم فوق صوت البين ولاتجهوا له بالقول كجهر بعضكم لبعض أن تحبط أعمالكم و انتم لا تشعرون. <br /> হে মুমিনগণ! নবী পাকের আওয়াজের উপর তােমাদের আওয়াজকে বুলন্দ করােনা ।<span style="color: #2b3000; font-family: "arial"; font-size: 10pt; vertical-align: baseline;">আর তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) দরবারে এরূপ আওয়াজ বড় করাে না, যেরূপ তােমারা পরস্পরের মধ্যে করে থাক। অন্যথায় তােমাদের নেক আমল সমূহ বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে, যাতে তােমাদের (সে ব্যাপারে) খবরও থাকবে না।</span><br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #545400; font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">দেখুন, ঐ আনছারী আর উপরােক্ত আওয়াজ বুলন্দকারী সাহাবীদ্বয় কোন ঈমান আকীদার অস্বীকার করেন নি। তৌহিদ, কেয়ামত, ফিরিস্তা, বেহেস্ত-দোযখ ইত্যাদি স্বীকার করতেন। এমনকি তারা নবুয়তেরও কোন অস্বীকার করেননি। তবে নবুয়তের সম্মানে আবশ্যিক পালনীয় একটি বিষয়ে ক্রটি করে ফেলেছিলেন মাত্র। মহান প্রভু একেও কুফুরী ঘােষণা দিয়ে দিলেন। কেননা কুফরীর কারণেই নেকী বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সার কথা হলাে, এ সমস্ত আকীদা হচ্ছে, ঈমানের আদর্শ আর উভয় জাহানের সরদার হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) প্রতি আদব ও সম্মান নিবেদন হলাে ঈমানের রূহ বা প্রাণ।</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #4e5300; font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">একান্ত তাড়া হুড়ার সাথে এ সামান্য লিখা আল্লাহ ও রসুলের দরবারে উৎসর্গ। | করলাম। মহান মহিমাময় প্রভূ কবুল করুন-আমিন৷</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #444700; font-size: 14pt; vertical-align: baseline;">ওয়াসাল্লাল্লাহু তায়ালা আলা খায়রে খাকিহি ওয়া নূরে আরশিহি মুহাম্মদিন ওয়ালিহি ওয়া সাল্লিম।</span></div> সূত্র <br /> ইসলামের চারটি মৌলিক বিষয় <br /> হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী রহ।<br /> <br /></div>

ঈমান কি?

("ইসলামের চারটি মৌলিক বিষয়" কিতাব টির এ্যাপ আসছে। সবার দোয়া কামনা করি।) ঈমান শব্দটি আমন্ শব্দ থেকে নির্গত। এর অর্থ হচ্ছে, শান্...

Read more »

কিয়াম সম্পর্কিত সহিহ হাদিস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>সহিহ হাদিছের মানদন্ডে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সম্মানার্থে ক্বিয়ামের বিধান/কিয়ামে তাজিমীঃ</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>✌দলিল নং-০১</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৫২১৭</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>১৫৬. কারো সম্মানার্থে দাঁড়ানো</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৫২১৭। উম্মুল মু‘মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র, (বর্ণনাকারী হাসানের মতে) আলাপচারিতা ও কথাবার্তায় ফাতিমাহ (রাঃ)-এর চাইতে এতখানি মিল আর কাউকে আমি দেখিনি। বর্ণনাকারী হাসান শারীরিক গঠন, চাল-চলন, চরিত্র ও বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেননি। ফাতিমাহ (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসলেন, তিনি উঠে তাঁর দিকে এগিয়ে যেতেন, তার হাত ধরে চুমু খেতেন এবং তাঁর আসনে তাকে বসাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন ফাতিমাহর নিকট যেতেন, তখন তিনিও তাঁর জন্য উঠে আসতেন, তাঁর হাত ধরে তাতে চুমু খেতেন এবং তার আসনে তাকে বসাতেন।[1]</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <b> সহীহ</b></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>[1]. তিরমিযী, হাকিম। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>✌দলিল নং-০২</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৩৭৮৫</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৬৩/৫. আনসারদের লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উক্তিঃ মানুষের মাঝে তোমরা আমার কাছে সব চেয়ে প্রিয়।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৩৭৮৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আনসারের) কতিপয় বালক-বালিকা ও নারীকে রাবী (বর্ণনাকারী) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, কোন বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসতে দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  তাঁদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ জানেন, তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (৫১৮০, মুসলিম ৪৪/৪৩, হাঃ নং ২৫০৭, আহমাদ ১২৭৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫১১)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)</b></span></blockquote> </blockquote> <h2 0.25em="" 0px="" 1.3="" 1em="" font-weight:="" georgia="" hidden="" libertine="" line-height:="" linux="" margin:="" normal="" overflow:="" padding:="" serif="" style="background: none rgb(255 , 255 , 255); border-bottom: 1px solid rgb(170 , 170 , 170);" times=""> </h2> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <b> ✌দলিল নং-০৩</b></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৪৭৭৫</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>১. নবী (ﷺ)-এর সহনশীলতা ও চরিত্র সম্পর্কে</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৪৭৭৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সঙ্গে মাসজিদে বসে কথাবার্তা বলতেন। অতঃপর তিনি উঠে গেলে আমরাও দাঁড়াতাম এবং তিনি তাঁর কোনো স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতাম। একদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং তিনি দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম। দেখলাম যে, জনৈক বেদুঈন তাকে নাগালে পেয়ে তাঁর চাদর ধরে এমন জোরে টান দিলো যে, তার ঘাড় লাল হয়ে গেলো। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, তাঁর চাদরটা ছিলো খসখসে। তিনি ফিরে তাকালেন। বেদুঈন তাঁকে বললো, এই দু’ উটের বোঝা পরিমাণ খাদ্য আমাকে দাও। কারণ তুমি তো তোমার নিজের সম্পদ থেকেও দিচ্ছ না আর তোমার বাবার সম্পদ থেকেও দিচ্ছ না।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি আমাকে যে জোরে টান দিয়েছ তুমি তোমার উপর আমাকে তার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ না দেয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে কিছুই দিবো না। বেদুঈনও বারবার বলছিল, আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে তার প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দিবো না। অতঃপর বর্ণনাকারী এ হাদীস বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি একটি লোককে ডেকে এনে বললেনঃ তার এ দু’ উটের একটিকে যব এবং অপরটিতে খেজুর বোঝাই করে দিয়ে দাও। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর কল্যাণ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করো।[1]</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>☆হিলাল এর পরিচয়ঃ-ইমাম যাহাবী তার আল কাশেফ গ্রন্থের ৬০০৯ নং রাবীর বর্ণনায় ছিকাহ বলেছেন।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>ইবনে হাজার আসকালানী,ইবনে হিব্বানও তাকে সিকাহ বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।{তাহযীবুল কামালঃ৬৬৩৬/লিছানুল মিযানঃ৫১২৬}</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিসের মানঃ সহিহ।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>✌দলিল নং-০৪</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার (كتاب الجهاد والسير)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৩</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৫৬/১৬৮. মীমাংসা মান্য করতঃ শত্রুগণ দূর্গ ত্যাগ করলে।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>৩০৪৩. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বনী কুরায়যার ইয়াহূদীরা সা‘দ ইবনু মা‘আয (রাঃ)-এর ফায়সালা মুতাবিক দূর্গ থেকে বেরিয়ে আসে, তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তাঁকে ডেকে পাঠান। আর তিনি তখন ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) একটি গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি কাছে আসলেন, </b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>তখন আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা ‘তোমাদের নেতার দিকে দন্ডায়মান হও।’ </b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>তিনি এসে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর নিকট বসলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘এগিয়ে যাও এরা তোমার ফায়সালায় রাজী হয়েছে। সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘আমি এই রায় ঘোষণা করছি যে, তাদের মধ্য হতে যারা যুদ্ধ করতে পারে তাদেরকে হত্যা করা হবে এবং নারী ও শিশুদের বন্দী করা হবে।’ আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তা‘আলার ফয়সালার মত ফয়সালাই করেছ।’ </b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>(৩৮০৪, ৪১২১, ৬২৬২) (মুসলিম ৩২/২২ হাঃ ১৭৬৮, আহমাদ ১১১৬৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮২৬)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background-color: rgb(255 , 255 , 255); background-image: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent); background-position: 0px 0px , 0px 100%; background-repeat: no-repeat; background-size: 50% 2px; border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: #252525; font-family: sans-serif;"><b>হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) </b></span></blockquote> <div style="color: #252525; font-family: sans-serif; font-size: 14px;"> <b><br /></b></div> </blockquote> <h2 0.25em="" 0px="" 1.3="" 1em="" font-weight:="" georgia="" hidden="" libertine="" line-height:="" linux="" margin:="" normal="" overflow:="" padding:="" serif="" style="background: none rgb(255 , 255 , 255); border-bottom: 1px solid rgb(170 , 170 , 170);" times=""> </h2> <div> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>✌দলিল নং-০৫</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>মসজিদে প্রবেশের সময় নবী করিম (ﷺ) কে সালাম জানানোঃ যারা কিয়াম বিরোধী তারা প্রবেশের সময় বসে যাবেন তারপর সালাম দেবেন যেহেতু আপনারা কিয়াম মানেননা ….</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৪/ মাসজিদ ও জামাআত (كتاب المساجد والجماعات)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৭৭১</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>৪/১৩. মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>১/৭৭১। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্যা ফাতিমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে প্রবেশকালে বলতেনঃ আল্লাহ্‌র নামে (প্রবেশ) এবং আল্লাহ্‌র রাসূলকে সালাম। হে আল্লাহ্! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন। তিনি (মাসজিদ থেকে) বের হওয়ার সময় বলতেনঃ আল্লাহ্‌র নামে (প্রস্থান) এবং সালাম আল্লাহ্‌র রাসূলকে। হে আল্লাহ্! আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৩১৪, আহমাদ ২৫৮৭৭-৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) </b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>✌দলিল নং-০৬</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>□ গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>অধ্যায়ঃ ৪/ মাসজিদ ও জামাআত (كتاب المساجد والجماعات)</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>হাদিস নম্বরঃ ৭৭২</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>৪/১৩. মাসজিদে প্রবেশের দু‘আ।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>২/৭৭২। আবূ হুমাইদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের যে কেউ মসজিদে প্রবেশকালে যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  -এর প্রতি সালাম পেশ করে, তারপর যেন বলেঃ হে আল্লাহ্! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দিন এবং বের হওয়ার সময় যেন বলেঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করি।</b></span></blockquote> <blockquote class="quote-border" style="background: linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 0px / 50% 2px no-repeat , linear-gradient(90deg , rgb(0 , 0 , 0) , transparent) 0px 100% rgb(255 , 255 , 255); border-left-color: rgb(0 , 0 , 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <span style="color: cyan; font-family: sans-serif;"><b>তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: মুসলিম ৭১৩, নাসায়ী ৭২৯, আবূ দাঊদ ৪৬৫, আহমাদ ১৫৬২৭, ২৩০৯৬; দারিমী ১৩৯৪, ২৬৯১। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৪৮৪। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল ওয়াহহাব বিন দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, তার নিকট আশ্চর্য হাদিস শ্রবন করা যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিসে অনেক মিথ্যা পাওয়া যায়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেছেন। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী, ইবনু আবু শায়বাহ, আমর ইবনুল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) </b></span></blockquote> </blockquote> <h2 0.25em="" 0px="" 1.3="" 1em="" font-weight:="" georgia="" hidden="" libertine="" line-height:="" linux="" margin:="" normal="" overflow:="" padding:="" serif="" style="background: none rgb(255 , 255 , 255); border-bottom: 1px solid rgb(170 , 170 , 170);" times=""> </h2> <div> <blockquote class="quote-border" style="background-attachment: initial, initial; background-clip: initial, initial; background-image: linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent), linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent); background-origin: initial, initial; background-position: 0px 0px, 0px 100%; background-repeat: no-repeat, repeat; background-size: 50% 2px, initial; border-left-color: rgb(0, 0, 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <blockquote class="quote-border" style="background-color: white; background-image: linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent), linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent); background-position: 0px 0px, 0px 100%; background-repeat: no-repeat, repeat; border-left-color: rgb(0, 0, 0); border-left-width: 2px; float: none; padding: 10px 15px;"> <b><span style="color: cyan;">✌দলিল নং-০৭</span></b><br /> <br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">□ গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">অধ্যায়ঃ ৪৫/ অনুমতি প্রার্থনা (كتاب الاستئذان والآداب عن رسول الله ﷺ)</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">হাদিস নম্বরঃ ২৭৩২</span></b><br /> <br /> <b><span style="color: cyan;">মুআনাকা ও চুম্বন।</span></b><b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">২৭৩২. মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ……. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, যায়দ ইবন হারিছা (কোন এক সফর থেকে) মদীনায় এলেন। (ﷺ) তখন আমার ঘরে ছিলেন। তিনি এসে দরজার কড়া নাড়লেন। (ﷺ) গায়ের কাপড় টানতে টানতে খালি গায়েই তাঁর দিকে এগিয়ে গেলেন, আল্লাহর কসম, আমি এর আগে বা পরে কখনও আর তাঁকে খালি গায়ে দেখিনি। তিনি যায়দকে বুকে চেপে ধরলেন এবং তাকে চুমু দিলেন।</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">মিশকাত ৪৬৮২, রিয়াযুস সালিহিন এর মুকাদ্দামা (ওয়ও/৫), নাকদুল কাত্তানী ১৬,</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]</span></b><br /> <br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">✌দলিল নং-০৮</span></b><br /> <br /> <br /> <b><span style="color: cyan;">গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ </span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">হাদিস নম্বরঃ ৫১৪৫</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">১৩০. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">৫১৪৫। উমার ইবনুস সাইব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি জানতে পেরেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বসা ছিলেন। এমন সময় তাঁর দুধ পিতা এলে তিনি তার জন্য তাঁর কাপড়ের একাংশ বিছিয়ে দিলেন এবং তিনি তার উপর বসলেন। অতঃপর তাঁর দুধ মাতা আসলে তিনি তাঁর জন্যও অন্য পাশে তাঁর টুকরো কাপড় বিছিয়ে দিলেন এবং তাতে তিনি বসলেন। তারপর আসলেন তাঁর দুধ ভাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য উঠে দাঁড়ান এবং তাকে তাঁর সামনে বসান।</span></b><br /> <br /> <br /> <b><span style="color: cyan;">✌দলিল নং-০৯</span></b><br /> <br /> <br /> <b><span style="color: cyan;">□ গ্রন্থঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ)</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">অধ্যায়ঃ ৪৬/ কিতাবুল আদব (كتاب الأدب عن رسول الله ﷺ)</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">হাদিস নম্বরঃ ২৮৪৬</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">কবিতা আবৃত্তি।</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">২৮৪৬. ইসমাঈল ইবন মূসা ফাযারী ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) …. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  মসজিদে নববীতে হাসসান-এর জন্য মিম্বর স্থাপন করতেন। এতে তিনি দাঁড়িয়ে (ﷺ) এর গৌরব গাঁথা পাঠ করতেন (বা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন) (ﷺ) এর পক্ষ থেকে (মুশরিকদের) প্রতিবাদ করতেন।</span></b><br /> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">হাসান, সহীহাহ ১৬৫৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]</span></b><b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">ইসমাঈল ইবন মূসা ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) … আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও বারা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এটি হল ইবন আবুয যিনাদ (রহঃ) বরাতে বর্ণিত রিওয়ায়ত।</span></b><b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;"><br /></span></b> <b><span style="color: cyan;">হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)</span></b></blockquote> </blockquote> </div> </div> </div>

কিয়াম সম্পর্কিত সহিহ হাদিস

সহিহ হাদিছের মানদন্ডে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সম্মানার্থে ক্বিয়ামের বিধান/কিয়ামে তাজিমীঃ ✌দলিল নং-০১ □ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকি...

Read more »

কিয়ামে তাজিমী / মিলাদ-ক্বিয়াম

<h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" align="left" dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 1em 0px; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; line-height: 1.417; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span dir="ltr" tabindex="-1" style="box-sizing: border-box;">কিয়াম</span></h3><h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" id="sites-page-title-header" align="left" style="font-size: 2.5em; margin: 0px; padding-left: 10px; padding-right: 10px; color: rgb(176, 179, 102); font-family: Impact, fantasy; padding-bottom: 10px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিয়াম</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আরবী শব্দ । যার অর্থ সোজা হয়ে দাঁড়ানো । যেন হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌছতে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">না পারে । প্রচলিত অর্থে রাসূলে আকরাম (সঃ) এর বেলাদাত তথা জন্মদিবস স্মরনে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলোচনা সভা</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সেমিনার</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সেম্পেজিয়াম</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">জন্মের আগমনী বার্তার অলৌকিক ঘটনাবলী</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বর্ননাকালে মীলাদ মাহফিলের কোন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে বলবে-</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ইয়া নবী সালাম আলাইকা + ইয়া রাসূল সালাম আলাইকা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা + সালাওয়াতুল্লাহি আলাইকা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বলে কবিতা হামদ-নাত</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দরুদ ও সালাম সমবেত কন্ঠে পাঠ করাকে মীলাদের কিয়াম বলা হয় ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">এ সম্পর্কে আল্লামা ইবনে আবেদীন (রহঃ) </span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">“</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ফাতোয়ায়ে শামী</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">”</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তে লিখেন-</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নিশ্চয়ই কিয়াম সেজদায় যাওয়ার জন্য অবনত হওয়ার একমাত্র অসীলা ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সিজদা হলো মূল । কেননা কিয়াম ব্যতিত সেজদা ইবাদত হিসেবে গন্য নয় । যেমনঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সিজদায়ে তেলাওয়াত উহা আদায়ের জন্য কিয়াম প্রয়োজন হয় না । শুধুমাত্র</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিয়াম ইবাদতের পর্যায়ভূক্ত করা হয় নি । এমন কি আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">করলে কাফির বলা যাবে</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য কিয়াম করলে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কাফির বলা যাবে না ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p align="right" dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">— </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ফতোয়ায়ে শামী ২য় খন্ড ১৩২ পৃঃ</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আমরা কিয়ামের পরিচয় থেকে বুঝতে পারলাম যে</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিয়াম আলাদা কোন ইবাদত নয় যা অন্যের জন্য করলে কাফির হয়ে যায় ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><b style="box-sizing: border-box;"><span lang="BN" style="box-sizing: border-box;">কিয়ামের প্রকারভেদ</span></b></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">মীলাদ শরীফের কিয়ামের দলিল পর্যালোচনার আগে কিয়ামের প্রকার জানা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">একান্ত প্রয়োজন মনে করছি । ইসলামি শরীয়াতে স্থান</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কাল ও পাত্রভেদে কিয়াম</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বিভিন্ন প্রকার হতে পারে । যেমন-</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">১) ফরজঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- নামাযের ফরয সমূহের মধ্যে কিয়াম করা ফরয ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">২) হারামঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- আরব অনারব ক্ষমতাশীল রাজা বাদশাগণের সম্মানার্থে মূর্তির মত ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে কিয়াম করা ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৩) সুন্নাতঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- যমযমের পানি পান করার সময়</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সিজদায়ে তেলাওয়াতের সময়</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">অযুর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা ও কবর যিয়ারতের সময় ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৪) মাকরুহঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- পার্থিব লালসায় বিনা কারনে দুনিয়াদারী লোকের সম্মানে দাঁড়ানো মাকরুহ ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৫) মুবাহ্‌ বা বৈধ কিয়ামঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- দুনিয়াবী প্রয়োজনে দাঁড়ানো মুবাহ্‌ । যেমন দাঁড়িয়ে দালান</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নির্মান করা । দাঁড়িয়ে অন্যান্য দুনিয়াবী কাজ কর্ম সম্পাদন করা</span><span lang="HI" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> ।</span><span lang="HI" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৬) মুস্তাহাবঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- শুভ সংবাদ শুনার পর দাঁড়িয়ে যাওয়া ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৭) কিয়ামুল মুহাব্বাতঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের জন্য কোন সম্মানীত ব্যক্তি</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ধর্মীয় নেতা</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পীর মাশায়েখ ও কোন অতিথির অভ্যর্থনার জন্য দাঁড়ানো ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৮) কিয়ামে যিকিরঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- দাঁড়ানোর বিভিন্ন প্রকার হতে কিয়াম এক প্রকার যিকির । যেমন-</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকের দাঁড়ানো</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">খুৎবার জন্য দাঁড়ানো । আর আল্লাহ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পাকের হাবীব নবী মুহাম্মাদ (সঃ) এর স্মরণও আল্লাহর স্মরণের অন্তর্ভূক্ত ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">রাসূলের</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যিকিরই আল্লাহর যিকির ।</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৯) কিয়ামে ফারহাতঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- মক্কা বিজয়ের সময় ইকরামা ইবনে আবূ জাহেলের জন্য</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">মহানবী (সঃ) এর বসা থেকে আনন্দ চিত্তে দাঁড়িয়ে যাওয়া ।</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">হযরত জাফর বিন আবু তালেব (রাঃ) যখন হাবশা থেকে মদীনা শরীফে হুজুর</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> (</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সঃ) এর দরবারে হাজির হলেন । তাকে দেখে নবীজি (সঃ) বললেন</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">জানিনা আজ আমি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">জাফরকে পেয়ে আনন্দিত নাকি খায়বর বিজয় করে আনন্দিত । অতঃপর তিনি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দাঁড়িয়ে জাফর (রাঃ) এর সাথে মোয়ানাকা করলেন এবং তাঁর কপালে চুমু খেলেন ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">১০) কিয়ামুল ইস্তিকবালঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- মানবতার সম্মানে দাঁড়ানো</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">জানাযার লাশ দেখে দাঁড়ানো</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">শ্রদ্ধাবোধের কারণে হয় । এ সম্পর্কে নবীজী (সঃ) থেকে অসঙ্খ্য হাদীস বর্নিত</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আছে-</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যখন তোমরা কোন জানাযা দেখতে তাঁর সম্মানার্থে তোমরা দাঁড়িয়ে যাও । যতক্ষণ যা সে তোমাদের অতিক্রম করে ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p align="right" dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">— </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বুখারী শরীফ ৬৩০৬</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">; </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নাসায়ী শরীফ ২১২৫</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বায়হাকী শরীফ ৬৬৬০</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ইবনে হিব্বান ৩০৫১</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">১১) কিয়াম লিত্‌তাযীমঃ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">যেমন- সাহাবায়ে কেরাম নবীর সম্মানার্থে দাঁড়াতেন</span><span dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">, </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নবী (সঃ) তাঁর দুধ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বাবার জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন । আমরা দেখলাম কিয়াম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">মীলাদ শরীফের কিয়াম সে প্রকারেরই অন্তর্ভূক্ত ।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span></p></h3><h1 style="box-sizing: border-box; margin-top: 1em; margin-bottom: 1em; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; line-height: 1.417; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" style="box-sizing: border-box;">হাদিসের আলোকে ক্বিয়াম</span></h1><h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" align="left" style="font-size: 2.5em; margin: 0px; padding-left: 10px; padding-right: 10px; color: rgb(176, 179, 102); font-family: Impact, fantasy; padding-bottom: 10px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">হযরত আবূ সা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহু বর্ণনা করেন</span>, <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">মদীনার</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">একটি ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাইযা হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে চুক্তি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধের সময় মদীনা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আক্রমন করার অপরাধে মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলো। তারা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে যখন হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ ইবনে মু</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আনহুর বিচার মেনে নিতে রাজী হলো</span>, <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আলায়হি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ওয়াসাল্লাম হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ ইবনে মু</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আয</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহু হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আলায়হি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী স্থানে তাঁবুতে ছিলেন। হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ রাদ্বিয়াল্লাহু</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহু গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি মসজিদের নিকটবর্তী</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">হলেন</span>, <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">উপস্থিত মদীনাবাসী আনসারের উদ্দেশ্যে বললেন-</span>‘‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তোমরা তোমাদের সর্দারের</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও।</span>’’</p><p align="right" dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);">— <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বুখারী ও মুসলিম এবং মিশকাত বাবুল ক্বিয়াম</span>, <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পৃষ্ঠা-৪০৩</span></p></h3><h2 style="box-sizing: border-box; margin: 1em 0px; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; line-height: 1.417; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span style="box-sizing: border-box;"><span lang="BN" style="box-sizing: border-box;">বর্ণিত হাদীসে নিম্নলিখিত বিষয়াদি লক্ষণীয়</span></span></h2><h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" align="left" style="font-size: 2.5em; margin: 0px; padding-left: 10px; padding-right: 10px; color: rgb(176, 179, 102); font-family: Impact, fantasy; padding-bottom: 10px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">১. ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাযাহ্ ৪র্থ কিংবা ৫ম হিজরীতে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">খন্দক্বের যুদ্ধের সময় হুযূরের সাথে কৃত পূর্বচুক্তি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ভঙ্গ করে মুসলমানদের</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">অনুপস্থিতিতে মদীনা মুনাওয়ারা আক্রমণ করে বসে</span>; <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিন্তু হুযূরের ফুফু হযরত</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">সফিয়্যাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহার অসম সাহসিকতায় কয়েকজন ইহুদী</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নিহত হয়ে তাদের মৃতদেহ প্রাচীরের বাহিরে নিক্ষিপ্ত হলে বনূ ক্বোরাইযাহ্</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পলায়ন করে।</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">২. খন্দকের যুদ্ধ শেষে হুযূরে করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আলায়হি</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ওয়াসাল্লাম অবিলম্বে মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত বনূ ক্বোরাইযার দূর্গ ঘেরাও</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">করেন। দীর্ঘ ২৫ দিনের অবরোধের পর নিরুপায় হয়ে তারা আত্মসমর্পণে রাজী হয়</span>; <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কিন্তু বিচারকার্যের জন্য তারা নবী করীমকে না মেনে তাদেরই এককালীন আত্মীয়</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">মদীনা মুনাওয়ারার গোত্রের সর্দার হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ ইবনে মু</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আয রাদ্বিয়াল্লাহু</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহুকে বিচারক করার দাবী জানায়। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলায়হি ওয়াসাল্লাম এতে রাজী হন। ওই বিচারে তাদের যুদ্ধক্ষম ৭০০ পুরুষকে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">হত্যা করা হয় এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করা হয় আর তাদের</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">ধন-সম্পদ সরকারী </span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">বাইতুল মাল</span>’-<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">এ জমা করা হয়।</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৩. মসজিদে নবভীতে বিচারকার্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর হুযূর</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">করীম সাল্লাল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দের কাছে সংবাদ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পাঠান।</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৪. অসুস্থ সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ ইবনে মু</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহু তাঁবু হতে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">গাধার পিঠে আরোহণ করে হুযূরের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁর অবস্থান ছিলো মসজিদে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">নবভী শরীফের অতি নিকটে। তিনি খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তাই গাধার</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">পিঠে করে আসলেন।</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"></span><a href="http://www.sunnipediabd.com/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AE_1#cite_note-1" rel="nofollow" dir="ltr" style="box-sizing: border-box; color: rgb(144, 34, 144);">[1]</a></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">৫. যখন হযরত সা</span>’<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দ ইবনে মু</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা</span>‘<span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">আলা আনহু মসজিদে নবভীর</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">কাছাকাছি পৌঁছলেন</span>, <span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তখন তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁকে সভাস্থলে</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসার জন্য মদীনাবাসী আনসারকে হুযূর করীম নির্দেশ</span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> </span><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">দিলেন এবং বললেন</span>,</p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><span lang="BN" dir="ltr" style="box-sizing: border-box;">তোমরা আনসারীগণ তোমাদের সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়াও এবং তাঁকে অবতরণ করতে সহযোগিতা করো।</span></p><p dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 1.143rem; padding: 0px; overflow-wrap: break-word; color: rgb(66, 66, 66); font-family: Roboto, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(250, 250, 250);"><br></p><blockquote class="quote-border" style="border-left-width: 2px; border-left-color: rgb(0, 0, 0); background-image: linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent), linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent); background-size: 50% 2px; background-position: 0px 0px, 0px 100%; background-repeat: no-repeat; color: rgb(37, 37, 37); font-family: sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(255, 255, 255); float: none; padding: 10px 15px;"><p style="margin: 0.5em 0px; line-height: inherit;">হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, মদীনার একটি ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাইযা হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধের সময় মদীনা আক্রমন করার অপরাধে মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়েছিলো। তারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিচার মেনে নিতে রাজী হলো, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী স্থানে তাঁবুতে ছিলেন। হযরত সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু গাধার পিঠে আরোহণ করে আসলেন। যখন তিনি মসজিদের নিকটবর্তী হলেন, তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে উপস্থিত মদীনাবাসী আনসারের উদ্দেশ্যে বললেন-‘‘তোমরা তোমাদের সর্দারের সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও।’’</p><p style="margin: 0.5em 0px; line-height: inherit; text-align: right;">— বুখারী ও মুসলিম এবং মিশকাত বাবুল ক্বিয়াম, পৃষ্ঠা-৪০৩</p></blockquote></h3><h2 style="background: none rgb(255, 255, 255); font-weight: normal; margin: 1em 0px 0.25em; overflow: hidden; padding: 0px; border-bottom: 1px solid rgb(170, 170, 170); font-family: "Linux Libertine", Georgia, Times, serif; line-height: 1.3;"><span class="mw-headline" id=".E0.A6.AC.E0.A6.B0.E0.A7.8D.E0.A6.A3.E0.A6.BF.E0.A6.A4_.E0.A6.B9.E0.A6.BE.E0.A6.A6.E0.A7.80.E0.A6.B8.E0.A7.87_.E0.A6.A8.E0.A6.BF.E0.A6.AE.E0.A7.8D.E0.A6.A8.E0.A6.B2.E0.A6.BF.E0.A6.96.E0.A6.BF.E0.A6.A4_.E0.A6.AC.E0.A6.BF.E0.A6.B7.E0.A6.AF.E0.A6.BC.E0.A6.BE.E0.A6.A6.E0.A6.BF_.E0.A6.B2.E0.A6.95.E0.A7.8D.E0.A6.B7.E0.A6.A3.E0.A7.80.E0.A6.AF.E0.A6.BC">বর্ণিত হাদীসে নিম্নলিখিত বিষয়াদি লক্ষণীয়</span></h2><h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" align="left" style="font-size: 2.5em; margin: 0px; padding-left: 10px; padding-right: 10px; color: rgb(176, 179, 102); font-family: Impact, fantasy; padding-bottom: 10px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><dl style="margin-top: 0.2em; margin-bottom: 0.5em; color: rgb(37, 37, 37); font-family: sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400;"><dd style="margin-left: 1.6em; margin-bottom: 0.1em; margin-right: 0px;">১. ইহুদী সম্প্রদায় বনূ ক্বোরাযাহ্ ৪র্থ কিংবা ৫ম হিজরীতে খন্দক্বের যুদ্ধের সময় হুযূরের সাথে কৃত পূর্বচুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের অনুপস্থিতিতে মদীনা মুনাওয়ারা আক্রমণ করে বসে; কিন্তু হুযূরের ফুফু হযরত সফিয়্যাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার অসম সাহসিকতায় কয়েকজন ইহুদী নিহত হয়ে তাদের মৃতদেহ প্রাচীরের বাহিরে নিক্ষিপ্ত হলে বনূ ক্বোরাইযাহ্ পলায়ন করে।</dd><dd style="margin-left: 1.6em; margin-bottom: 0.1em; margin-right: 0px;">২. খন্দকের যুদ্ধ শেষে হুযূরে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অবিলম্বে মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত বনূ ক্বোরাইযার দূর্গ ঘেরাও করেন। দীর্ঘ ২৫ দিনের অবরোধের পর নিরুপায় হয়ে তারা আত্মসমর্পণে রাজী হয়; কিন্তু বিচারকার্যের জন্য তারা নবী করীমকে না মেনে তাদেরই এককালীন আত্মীয় মদীনা মুনাওয়ারার গোত্রের সর্দার হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে বিচারক করার দাবী জানায়। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এতে রাজী হন। ওই বিচারে তাদের যুদ্ধক্ষম ৭০০ পুরুষকে হত্যা করা হয় এবং নারী ও শিশুদেরকে দাস-দাসীতে পরিণত করা হয় আর তাদের ধন-সম্পদ সরকারী ‘বাইতুল মাল’-এ জমা করা হয়।</dd><dd style="margin-left: 1.6em; margin-bottom: 0.1em; margin-right: 0px;">৩. মসজিদে নবভীতে বিচারকার্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’দের কাছে সংবাদ পাঠান।</dd><dd style="margin-left: 1.6em; margin-bottom: 0.1em; margin-right: 0px;">৪. অসুস্থ সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁবু হতে গাধার পিঠে আরোহণ করে হুযূরের খিদমতে উপস্থিত হন। তাঁর অবস্থান ছিলো মসজিদে নবভী শরীফের অতি নিকটে। তিনি খন্দকের যুদ্ধে আহত হয়েছিলেন। তাই গাধার পিঠে করে আসলেন। <sup id="cite_ref-1" class="reference" style="line-height: 1; unicode-bidi: isolate;"><a href="http://www.sunnipediabd.com/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AE_1#cite_note-1" style="text-decoration-line: none; color: rgb(11, 0, 128); background-image: none; background-position: initial; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial;">[1]</a></sup></dd><dd style="margin-left: 1.6em; margin-bottom: 0.1em; margin-right: 0px;">৫. যখন হযরত সা’দ ইবনে মু‘আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু মসজিদে নবভীর কাছাকাছি পৌঁছলেন, তখন তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁকে সভাস্থলে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে আসার জন্য মদীনাবাসী আনসারকে হুযূর করীম নির্দেশ দিলেন এবং বললেন,</dd></dl><blockquote class="quote-border" style="border-left-width: 2px; border-left-color: rgb(0, 0, 0); background-image: linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent), linear-gradient(90deg, rgb(0, 0, 0), transparent); background-size: 50% 2px; background-position: 0px 0px, 0px 100%; background-repeat: no-repeat; color: rgb(37, 37, 37); font-family: sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400; background-color: rgb(255, 255, 255); float: none; padding: 10px 15px;"><p style="margin: 0.5em 0px; line-height: inherit;">তোমরা আনসারীগণ তোমাদের সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দাঁড়াও এবং তাঁকে অবতরণ করতে সহযোগিতা করো।</p></blockquote></h3><h2 style="background: none rgb(255, 255, 255); font-weight: normal; margin: 1em 0px 0.25em; overflow: hidden; padding: 0px; border-bottom: 1px solid rgb(170, 170, 170); font-family: "Linux Libertine", Georgia, Times, serif; line-height: 1.3;"><span class="mw-headline" id=".E0.A6.A4.E0.A6.A5.E0.A7.8D.E0.A6.AF.E0.A6.B8.E0.A7.82.E0.A6.A4.E0.A7.8D.E0.A6.B0">তথ্যসূত্র</span></h2><h3 xmlns="http://www.w3.org/1999/xhtml" align="left" style="font-size: 2.5em; margin: 0px; padding-left: 10px; padding-right: 10px; color: rgb(176, 179, 102); font-family: Impact, fantasy; padding-bottom: 10px; background-color: rgb(255, 255, 255);"><ol class="references" style="margin: 0.3em 0px 0px 3.2em; padding: 0px; list-style-image: none; color: rgb(37, 37, 37); font-family: sans-serif; font-size: 14px; font-weight: 400;"><li id="cite_note-1" style="margin-bottom: 0.1em;"><span class="mw-cite-backlink" style="user-select: none;"><a href="http://www.sunnipediabd.com/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AE_1#cite_ref-1" style="text-decoration-line: none; color: rgb(11, 0, 128); background-image: none; background-position: initial; background-size: initial; background-repeat: initial; background-attachment: initial; background-origin: initial; background-clip: initial;"><span class="cite-accessibility-label" style="top: -99999px; clip: rect(1px, 1px, 1px, 1px); overflow: hidden; position: absolute !important; padding: 0px !important; border: 0px !important; height: 1px !important; width: 1px !important; user-select: none;">Jump up</span>↑</a></span> <span class="reference-text">মিশকাত শরীফের হাশিয়া বা পার্শ্ব টীকা</span></li></ol></h3><div class="sites-canvas-main" style="color: rgb(68, 68, 68); font-family: Arial, Verdana, sans-serif; font-size: 13.3333px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: none !important;"></div>

কিয়ামে তাজিমী / মিলাদ-ক্বিয়াম

কিয়াম কিয়াম   আরবী শব্দ । যার অর্থ সোজা হয়ে দাঁড়ানো । যেন হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌছতে   না পারে । প্রচলিত অর্থে রাসূলে আকরাম (সঃ) এর বেলাদাত ...

Read more »

ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মিলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম

<div class="td-post-content" style="box-sizing: border-box; font-size: 15px; line-height: 26px; color: rgb(34, 34, 34); margin-top: 16px; padding-bottom: 16px; font-family: Verdana, Geneva, sans-serif;"><h3 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto, sans-serif; color: rgb(17, 17, 17); font-weight: 400; margin: 27px 0px 17px; font-size: 22px; line-height: 30px; text-align: center;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মিলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম-</strong></h3><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: center;">মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">===<br style="box-sizing: border-box;">আল-কুরআনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি আদব রক্ষা করার প্রসঙ্গটি অতি গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র সত্তা অত্যন্ত সম্মান,মর্যাদা ও ইজ্জতের অধিকারী। মিলাদ শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সালাম ও সম্মান প্রকাশার্থে কিয়ামের প্রচলন শুরু হয়। কিয়াম করে সম্মান প্রদর্শনের এ প্রথা অতি প্রাচীন কালের। কিয়াম শব্দের অর্থ দাঁড়ানো। মিলাদ ছাড়াও নামাজ কায়েম, জমজমের পানি পান ও অপরাপর ইবাদত বন্দেগী ও সামাজিক জীবন যাপনে সৌজন্যতাবোধ রক্ষায় আমাদের দাঁড়াতে হয়। শাব্দিকভাবে কিয়াম হলো দন্ডায়মান অবস্থার নাম। সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি ফরয বা অপরিহার্য রুকন। সালাতের ক্ষেত্র ছাড়াও কোন সম্মানিত ব্যক্তির আগমন নির্গমনে সম্মানার্থে দন্ডায়মান হবার প্রথা বিভিন্ন সমাজে প্রচলিত আছে। আমাদের আলোচ্য মিলাদের মজলিশে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শানে ‘কিয়াম-ই তা’জীম’ বহুল আলোচিত বিষয়।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">বলা আবশ্যক, বাংলাদেশ ছাড়াও উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান এবং তুরষ্ক, আফ্রিকা, মিশর, সোমালিয়া, সুদান ও অন্যান্য মুসলিম বিশ্বে মিলাদের কিয়াম এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ইসলামে কিয়ামের বিভিন্ন প্রকারভেদ, মাত্রা ও নীতিমালা রয়েছে। যেমন:</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">১. কিয়ামে তাকাব্বুর : অহংকার প্রদর্শনার্থে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা। যেমন: আজমী রাজা বাদশাহগণের সামনে লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এর দ্ধারা তারা নিজেদের গর্ব প্রকাশ করতো। ইসলাম এ ধরনের কিয়ামকে কঠোর ভাষায় নিষেধ করেছে।- [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, ২য় জিলদ,পৃ:৫৫৪]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">২. কিয়ামে শাফক্বত : কারো প্রতি আদর, ¯েœহ কিংবা ভালোবাসার তাগিদে এ ধরনের কিয়াম করা হয়। যেমন: রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম নিজের মেয়ে ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার আগমনে দাঁড়াতেন।- [মিশকাত শরীফ]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৩. কিয়ামে তা’জিমী: কারো প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এ কিয়াম করা হয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আপন দুধমাতা হালিমার আগমনে দাঁড়িয়েছিলেন।<br style="box-sizing: border-box;">-[হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, আশি’‘আতুল লুমু‘আত]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">এ ছাড়াও ইসলামী শরীয়তে কিয়ামকে তিনটি ধারায় বিভক্ত করা হয়েছে:<br style="box-sizing: border-box;">১. ফরয কিয়াম: ইবাদতের উদ্দেশ্যে আল্লাহপাকের সম্মানে বিনয় সহকারে আবশ্যিকভাবে দাঁড়ানোকে ফরয কিয়াম বলা হয়। যেমন- দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযে প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তিকে আল্লাহর সম্মানে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে হয়। নামাযে এ কিয়াম ফরয। রোগ ভোগের ওযর ব্যতিত এ কিয়াম তরক করা চলে না। পবিত্র কুরআনে এ দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে-‘ওয়াকু-মু লিল্লাহি ক্বা-নিতীন।’ অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে ও তাঁর সম্মানে বিনয় সহকারে দাঁড়িয়ে যাও।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">২. সুন্নত কিয়াম: ইবাদতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিয়াম করা সুন্নত সাব্যস্ত হয়েছে। যেমন-রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর রওযা মোবারক যিয়ারতে দাঁড়ানো সুন্নত।<br style="box-sizing: border-box;">[ফতোয়ায়ে আলমগীরি, ১ম খন্ড, কিতাবুল হজ্ব] অনুরুপভাবে, মু’মিন বান্দাদের কবর যিয়ারতের সময়, আবে যমযমের পানি পানের সময় কিংবা কোন ধর্মিয় ও সম্মানিত নেতার আগমনে দাঁড়ানো সুন্নত। [বুখারী ও মুসলিম শরীফ,বাবুল কিয়াম]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৩. মুবাহ কিয়াম: দুনিয়াবি প্রয়োজনে কিয়াম করা মুবাহ বা জায়েয। যেমন দাঁড়িয়ে কাজ করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,-‘যখন তোমরা নামায থেকে অবসর হবে -তখন জমীনে রিযিকের তালাশে ছড়িয়ে পডো।’ আলোচ্য আয়াতে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দাঁড়ানো পূর্বশর্ত। কারণ দাঁড়ানো ছাড়া ছড়িয়ে পড়া সম্ভব নয়। তাই দাঁড়ানোর নির্দেশটি হলো মুবাহ।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">পবিত্র কোরআনে কিয়ামের কথা</strong><br style="box-sizing: border-box;">কিয়াম আরবি শব্দ। এর অর্থ সোজা হয়ে দাঁড়ানো। আল্লাহ পাক কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে কিয়ামের বর্ননা দিয়ে বলেছেন:<br style="box-sizing: border-box;">১.<br style="box-sizing: border-box;">وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ<br style="box-sizing: border-box;">ওয়াক্বূ-মূ লিল্লাহি কা-নিতীন অর্থাৎ: আল্লাহরআনুগত্য প্রকাশের জন্য দন্ডায়মান হও। [সূরা বাক্বারা, আয়াত-২৩৮] ২.<br style="box-sizing: border-box;">يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ<br style="box-sizing: border-box;">ইয়াযকুরুল্লাহা কিয়ামান ওয়াক্বু‘ঊদান ওয়া আ’লা জুনুবিকুম। অর্থাৎ তোমরা দাঁড়িয়ে, বসে এবং করটের উপর ভর করে আল্লাহর জিকির কর। [আল-ই ইমরান, আয়াত- ১৯১] ৩.<br style="box-sizing: border-box;">وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا<br style="box-sizing: border-box;">ওয়াল্লাযীনা ইয়াবীতূনা লিরাব্বিহীম সুজ্জাদাঁও ওয়াকিয়ামা<br style="box-sizing: border-box;">অর্থাৎ এবং যারা রাত আতিবাহিত করে তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সাজদাবনত ও দন্ডায়মান অবস্থায়। [সূরা ফুরক্বান, আয়াত-৬৪]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৪. আল্লাহ পাক বলেছেন-<br style="box-sizing: border-box;">يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قِيلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوا فِي<br style="box-sizing: border-box;">الْمَجَالِسِ فَافْسَحُوا يَفْسَحِ اللَّهُ لَكُمْ ۖ وَإِذَا قِيلَ انْشُزُوافَانْشُزُوا يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ<br style="box-sizing: border-box;">آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍۚ<br style="box-sizing: border-box;">হে ইমানদারগণ! যখন তোমাদেরকে বলা হয়-“মজলিসের মধ্যে জায়গা প্রশস্ত করে দাও”, তখন তোমরা জায়গা (ছেড়ে দিয়ে) প্রশস্ত করে দেবে। আর যখন বলা হয়-“দাঁড়িয়ে যাও-তখন দাঁড়িয়ে যাবে”।<br style="box-sizing: border-box;">[সূরা মুজাদালাহ, আয়াত: ১১]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">শায়খ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী কুরআনে বর্ণিত উপরোক্ত ‘কিয়াম’ দ্ধারা নামাজের কিয়ামকেই বুঝিয়েছেন। কিন্তু আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি তাফসীরে জালালাঈন শরীফে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘মিনাল খাইরাত’ দ্বারা সর্ব প্রকার নেক কাজকে বুঝিয়েছেন এবং বলেছেন, কোন মজলিশ কিংবা যে কোন প্রকার নেক কাজের জন্য দাঁড়াতে বলা হলে দাঁড়ানো আবশ্যক। এ জন্য মিলাদ মাহফিলে ‘যিকরে বেলাদত’ বা হুজুর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর দুনিয়াতে আগমনের কথা শুনে সম্মানার্থে কিয়াম করা হয়। ফেকাহ ও ফতোয়া মোতাবেক এটি মোস্তাহাব। মুস্তাহাব হলেও একে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। সাহাবায়ে কেরামও নবীজীর প্রতি এরূপ সম্মান প্রদর্শনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। আবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া সাহাবীদেরকেও বিশেষভাবে সম্মান দিতেন।<br style="box-sizing: border-box;">একবার কতিপয় বদরী সাহাবী রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে হাযির হয়ে সালাম দিলেন এবং বসার সুযোগ না পেয়ে হুজুরের সম্মুখভাগে এবং আশেপাশে দাঁড়িয়ে রইলেন। অন্যান্য সাহাবীরা বদরী সাহাবীদের সালামের জবাব দিলেন সত্য, কিন্তু তাঁদের বসার ব্যবস্থা করে দিতে পারলেননা। হুজুরের আশেপাশে বসে থাকা অপরাপর সাহাবীরাও নিকটতম স্থান ত্যাগ করে দুরবর্তী স্থানে বসতে রাজী ছিলেন না। এ পরিস্থিতি হুজুরের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক মনে হলো। অত:পর নিকটে বসা সাহাবীদের নাম ধরে ধরে তিনি বদরী সাহাবীদের বসার জায়গা দেয়ার আহ্বান করলেন। সাহাবীরা রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আহ্বানে সাড়া দিলেন কিন্তু নিকটতম স্থান ত্যাগ করার জন্য মনে কষ্ট পেলেন। রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাদের মনোবেদনা টের পেলেন এবং বদরী সাহাবীদের প্রতি এরূপ সম্মান প্রদর্শনের জন্য কোরআনের উপরোক্ত আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন,–“তোমরা তোমাদের নবীর নির্দেশে বদরী সাহাবীদের সম্মানে জায়গা ছেড়ে দিয়েছো -আল্লাহ তোমাদের জন্য বেহেশতে এর চেয়েও প্রশস্ত জায়গা করে দিবেন।”</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">আল্লামা সাভী মন্তব্য করেন-‘আয়াতখানা যদিও কতিপয় সাহাবীর শানে নাযিল হয়েছে, কিন্তু এটা দ্বারা সমস্ত উম্মতকেই শিক্ষা দেয়া হয়েছে। শানে নুযুল খাস হলেও হুকুম ছিল আ’ম বা ব্যাপক। সুতরাং ইলমের মজলিশ, যিকিরের মজলিশ, নামাযের জামাত, যুদ্ধক্ষেত্র ও অন্যান্য নেক কাজের সমস্ত মজলিশ অত্র আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। যে কোন উত্তম মজলিশে দাঁড়াতে বললে দাঁড়িয়ে যাবে।-এটাই কোরআনের নির্দেশ। কাজেই আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয়, হুজুরের মিলাদ একটি উত্তম অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে হুজুরের প্রতি তা’যীম ও সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া’ই কোরআনের দাবী।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">হাদীস শরীফে কিয়াম প্রসঙ্গ</strong><br style="box-sizing: border-box;">নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমনের পুর্বাপর অলৌকিক কাহিনী, তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত ও জীবন চরিত আলাপ-আলোচনা, তাঁর প্রতি আদব, তাঁর প্রশংসামূলক কবিতা, দুরুদ ও সালামের যুক্তিনির্ভর রেওয়ায়েত সাহাবীদের বরাতে বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। ইমাম আবু ঈসা আত তিরমিযি তাঁর কিতাব তিরমিযি শরীফে ‘মিলাদুন্নবী’ নামে একটি অধ্যায় আর “কিয়াম” নামে একটি পরিচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এসব হাদীস দ্ধারা বুঝা যায়, সম্মান প্রদর্শনের জন্য কিয়াম করা বা দন্ডায়মান হওয়ার দৃষ্টান্ত ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম জাতির মধ্যেও আছে।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাবুক যুদ্ধের সময় তওবা কবুলের ঘোষণা প্রসঙ্গে তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ দৌঁড়ে এসে দাঁড়িয়ে আমাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানালেন। আল্লাহর কসম! মুহাজিরদের মধ্যে তিনি ব্যতিত আর কেউ আমাকে এরূপ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন নি। আমি তালহার সম্মান প্রদর্শনের এমন বিরল দৃষ্টান্ত কোনদিন ভুলতে পারবো না।<br style="box-sizing: border-box;">[আল-আদাবুল মুফরাদ- সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসাঈ শরীফ]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">উল্লেখ্য, ঘটনাটি স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর উপস্থিতিতে তাঁর সম্মুখেই ঘটেছে। কিন্তু কিয়াম করে এরূপ সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে তিনি কোনরূপ আপত্তি করেননি।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">২. উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীক্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর প্রিয় কণ্যা ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা পরষ্পরের প্রতি সম্মান ও অনুরাগ প্রকাশের ক্ষেত্রে কিয়াম করতেন। হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা আরো বর্ণনা করেন, কথাবার্তায়, উঠাবসায় ফাতিমার চেয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যশীল আর কেউ ছিলেন না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁকে আসতে দেখতেন তখন তিনি তাঁকে খোশআমদেদ জানাতেন, তাঁর জন্য উঠে দাঁড়াতেন, তাঁকে চুম্বন করতেন। এমনকি হাত ধরে তাঁকে নিজের আসনে বসিয়ে দিতেন। অপর দিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গমন করলে তিনিও তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতেন এবং উঠে গিয়ে তাঁকে চুম্বন করতেন। [বুখারী, হাদীছ নং ৩৩৫৪, তিরমিযি, হাদীছ নং ৩৮০৯, প্রাগুপ্ত, পৃ:৪২২]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বর্ণনা করেন যে, মদিনার একটি ইহুদী সম্প্রদায়-বনূ কোরায়যা হুজুর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মদিনা সনদ/চুক্তি ভঙ্গ করে খন্দকের যুদ্ধের সময় মদিনা আক্রমন করার অপরাধে মুসলিম বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হয়ে আতœসমর্পণের উদ্দেশ্যে যখন হযরত সা’আদ ইবনে মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিচার মেনে নিতে রাজী হলো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত সা’আদকে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠালেন। হযরত সা’আদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যুদ্ধাহত হওয়া সত্বেও রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে তিনি যখন মসজিদে নববীর নিকটবর্ত্তি হলেন তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে উপস্থিত মদিনাবাসী আনসার সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন-‘ক্বু-মু ইলা সায়্যিদিকুম’ অর্থাৎ “তোমরা তোমাদের নেতার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও”। [বুখারী, মুসলিম ও মিশকাত-বাবুল কিয়াম,পৃ:৪০৩]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">ইবনে হিশামের বর্ননামতে, নির্দেশটি যদিও আনসার সাহাবীদের প্রতি ছিল কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আনসার-মুহাজীর নির্বিশেষে সকল সাহাবি সেদিন হযরত সাআ’দ কে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যান।<br style="box-sizing: border-box;">[সিরাতুন্নবী,৩য় খন্ড, পৃ:২৩০-২৩১]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৪. হযরত আবু হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে আমাদের মাঝে বসে পবিত্র হাদীস বর্ননা করতেন। যখন তিনি মজলিশ থেকে দাঁড়িয়ে যেতেন-তখন আমরাও তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে যেতাম যে পর্যন্ত না তিনি কোন বিবির ঘরে প্রবেশ করতেন-সে পর্যন্ত আমরা তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকতাম। [মিশকাত শরীফ: বাবুল কিয়াম]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">হযরত মাওলানা আব্দুল হাই লক্ষেèৗবী সাহেব এ হাদীস উদ্ধৃত করে লিখেছেন যে, সম্মান প্রদর্শনে কিয়াম যদি নিষিদ্ধ হতো তবে কোন অবস্থাতেই সাহাবায়ে কেরাম এমনটি করতেন না।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৫. ইমাম আবু দাউদ বর্ননা করেন যে- এক মজলিশে রাসুল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন। তখন তাঁর দুগ্ধ বাবা আসলেন। তিনি তার জন্য চাদর মুবারক বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করলেন। অত:পর তাঁর দুধ মা আসলেন। তিনি তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাঁর জন্য চাদরের অন্য অংশ বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করলেন। [আবু দাউদ]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৬. হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার জন্য মসজিদে নববীতে একটি মিম্বর স্থাপন করলেন। এ মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাসসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু আল্লাহর হাবীবের শান-মান ও গৌরবময় জীবনী বর্ননা করতেন কিংবা মুশরিকদের প্রতিবাদ বা খন্ডন করতেন। আল্লাহর হাবীব হাসসানের বক্তৃতা শুনে বলতেন, যতক্ষণ সে শানমান বয়ান করে কিংবা মুশরিকদের প্রতিবাদ করে ততক্ষন হযরত জীবরাঈল আলায়হিস্ সালামের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে সাহায্য করে থাকেন। [সহীহ আল বুখারী]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৭. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন সময়ে তাঁর জন্মবৃত্তান্ত বা মিলাদ সংক্রান্ত বর্ননা কিয়াম অবস্থায় বর্ননা করেছেন। একদা তিনি মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে সমবেত সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেন, বল, আমি কে? সাহাবায়ে কেরাম সমস্বরে বললেন, আপনি আল্লাহর রাসুল! রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আরো বাড়িয়ে বললেন, আমি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল মোত্তালিব এবং আমি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেছি। [মিশকাত শরীফ, তিরমিজি শরীফ]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">৮. হযরত হাসসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু মসজিদে নববীতে স্থাপিত মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতেন-<br style="box-sizing: border-box;">অর্থাৎ: রাসুলের সম্মানে দাঁড়ানো আমার উপর ফরয। আর ফরয তরককারী সঠিক পথের দাবীদার হতে পারে না। গুণী ও বিবেকবান ব্যক্তির উপর আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম! সে জামালে মোস্তফাকে দেখবে; অথচ তাঁর সম্মানে দাঁড়াবে না? [মুসলিম শরীফ]</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word; text-align: justify;">পরিশেষে, মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন যেমন বৈধ ও সাওয়াবের কাজ, তেমনি ভক্তি সহকারে দাঁড়িয়ে নবী করীমকে সালাম দেওয়াও বৈধ ও সাওয়াবের কাজ। আল্লাহ্ বুঝা ও আমল করার তাওফীক দিন। আমিন।</p><p style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-top: 0px; margin-bottom: 26px; overflow-wrap: break-word;"><strong style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">লেখক: সাবেক অধ্যাপক (অর্থনীতি), প্রাবন্ধিক ও ব্যাংকার।</strong></p><div class="heateorSssClear" style="box-sizing: border-box; clear: both;"></div><div class="heateor_sss_sharing_container heateor_sss_horizontal_sharing" heateor-sss-data-href="http://www.anjumantrust.org/2017/11/28/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%86%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ae/" style="box-sizing: border-box;"><div class="heateor_sss_sharing_title" style="box-sizing: border-box; font-weight: bold;">শেয়ার</div></div></div>

ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মিলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম

ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মিলাদ মাহফিলে ক্বিয়াম- মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন === আল-কুরআনের বিষয়বস্তুর মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ও...

Read more »