ঈমানের কালেমা

<div><b>কালেমায় আল্লাহ রাসুলের নাম পাশাপাশি লেখা বা বলার প্রমানঃ-</b></div><div>______________________________________________</div><div>✔ আল্লাহ তায়ালা ফরমানঃ-</div><div><br></div><div> اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یُّفَرِّقُوۡا بَیۡنَ اللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یَقُوۡلُوۡنَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٍ وَّ نَکۡفُرُ بِبَعۡضٍ ۙ وَّ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّتَّخِذُوۡا بَیۡنَ ذٰلِکَ  سَبِیۡلًا ﴿۱۵۰﴾ۙ </div><div><br></div><div>অনুবাদ কানযুল ঈমানঃ- এবং        (নিশ্চয়)       যারা      আল্লাহ্‌      ও      তার রসূলগণকে    অমান্য    করে    এবং    চায়    যে,    আল্লাহ্‌  থেকে    তার   রসূলগণকে    পৃথক    করে    নেবে,   এবং বলে,    ‘আমরা   কতেকের   উপর   ঈমান    আনি   এবং কতেককে অস্বীকার করি’, আর এটা চায় যে, ঈমান ও  কুফরের  মাঝখানে  অন্য   একটা  পথ    বের   করে নেবে; (সূরা নিসা-৫০)</div><div><br></div><div>اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکٰفِرُوۡنَ حَقًّا ۚ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابًا مُّہِیۡنًا ﴿۱۵۱﴾ </div><div><br></div><div>অনুবাদ কানযুল ঈমানঃ-  এরাই    হচ্ছে    সত্যি    সত্যি    কাফির;    এবং  আমি   কাফিরদের  জন্য  লাঞ্ছনার   শাস্তি  প্রস্তুত  করে রেখেছি। (সূরা নিসা-৫১)</div><div><br></div><div>وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ لَمۡ یُفَرِّقُوۡا بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡہُمۡ اُولٰٓئِکَ سَوۡفَ یُؤۡتِیۡہِمۡ اُجُوۡرَہُمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۵۲﴾ </div><div><br></div><div>অনুবাদ কানযুল ঈমানঃ-   এবং    ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌ ও    তার রসূলগণের উপর  ঈমান এনেছে আর তাদের মধ্যে  কারো উপর ঈমান আনার  ক্ষেত্রে   পার্থক্য  করে  না, অবিলম্বে        আল্লাহ্‌       তাদেরকে       তাদের       প্রতিদান  দেবেন; এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল দয়ালু। (সূরা নিসা- ৫২)</div><div><br></div><div>✔ আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ- </div><div>اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ </div><div>“প্রকৃত মুমিনতো তারাই- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে।“ (নূর-৬২)।</div><div><br></div><div>☑ উপরের আয়াতগুলো থেকে একথা প্রমাণ হয় যে, ঈমান আনতে হলে এবং ঈমান গ্রহন করে মুমিন হতে হলে আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয়ের উপর ঈমান আনতে হবে। আল্লাহ'র একাত্ববাদের স্বীকৃতি দেওয়ার সাথে সাথে রাসুলে আরাবীর রিসালাতের স্বীকৃতি দিতে হবে। এজন্যই মুমিন মুসলমানগণ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ার সাথে সাথেই মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়তে হয়। এবং এ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ একসাথে পড়া এবং লিখা হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত। </div><div><br></div><div>✔ হাদীসঃ-</div><div>نُعَيْمُ الْغِفَارِيُّ بْنُ عَمِّ أبِيْ ذَرٍّ لَه صُحْبَةٌ ذَكَرَه يُوْنُسُ بْنُ بُكَيْرٍ فِيْ زِيَادَاتِ الْمَغَازِيْ وَأخْرَجَه الْحَاكِمُ مِنْ طَرِيْقِ يُوْنُسَ عَنْ يُوْسُفَ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أبِيْهِ قَالَ إنْطَلَقَ أبُوْ ذَرٍّ وَنُعَيْمُ بْنُ عَمِّ أبِيْ ذَرٍّ وَأنَا مَعَهُمْ يَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُسْتَتِرٌ بِالْجَبَلِ فَقَالَ بِه أبُوْ ذَرٍّ يَا مُحَمَّدُ أتَيْنَاكَ لِنَسْمَعَ مَا تَقُوْلُ قَالَ أقُوْلُ لَا إلهَ إلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ فَآمَنَ بِه أبُوْ ذَرٍّ وَصَاحبُه- الاصابة ٦/٤٦۳</div><div><br></div><div>অনুবাদ: হযরত বুরাইদা বিন হুসাইব (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত, হযরত আবু জার (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) ও তার চাচাতো ভাই নুআইম (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) কে তালাশ করছিলেন আর আমি তাদের সাথে ছিলাম। নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) তখন পাহাড়ে লুকিয়েছিলেন। হযরত আবু জার (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বললেন: হে মুহাম্মাদ! (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) আমরা আপনার কাছে আপনার কথা শুনতে এসেছি। তখন নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করলেন: আমি তোমাদেরকে لَا إلهَ إلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ বলি অর্র্থাৎ, আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তাআলার রসূল। অতঃপর আবু জার (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) ও তার সাথী এ কথার ওপর ঈমান আনলেন। (আল ইসাবা: ৬/৪৬৩, সাহাবী নম্বর- ৮৭৯২) </div><div><br></div><div>☑ হাদীসটির স্তর : সহীহ। ইউসুফ বিন সুহাইব ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর ইউসুফ বিন সুহাইব ثقة “নির্ভরযোগ্য”। (তাকরীব: ৮৮৭৬)</div><div><br></div><div>✔ হাদীসঃ-</div><div>عَنْ أنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلْتُ الجَنَّةَ فَرَأيْتُ في عارِضَتِي الجَنَّةِ مَكْتُوباً ثَلاَثَةَ أسْطُرٍ بالذَّهَبِ السَّطْرُ الأوَّل لاَإلهَ إلا الله محمَّدٌ رَسوُلُ الله والسَّطرُ الثَّانِي ماقَدَّمْنا وَجَدْنا وما أكَلْنا رَبِحْنا وما خَلَّفْنا خَسِرْنا والسَّطْرُ الثَّالِثُ أُمَّةٌ مُذْنِبَةٌ وَرَبٌّ غَفُورٌ. ( رواه ابن النجار في تاريخ بغداد والرافعي في تاريخ قزوين)</div><div><br></div><div>অনুবাদঃ- হযরত আনাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন: আমি জান্নাতে প্রবেশ করে জান্নাতের উভয় পাশে স্বর্ণাক্ষরে ৩টি লাইন লেখা দেখলাম।</div><div><br></div><div>১ম লাইন :  لَا إلهَ إلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ অর্থাৎ আল্লাহ  ব্যতীত কোন মা’বুদ নেই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তাআলার রসূল। ২য় লাইন : যা আমরা আগে পাঠিয়েছি তার প্রতিদান পেয়েছি, যা দুনিয়াতে পানাহার করেছি তা দ্বারা লাভবান হয়েছি। আর যা দুনিয়াতে ছেড়ে এসেছি তাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ৩য় লাইন : উম্মাত গুনাহগার এবং রব ক্ষমাকারী। (জামে’ সগীর: হাদীস নম্বর- ৪১৮৬)</div><div><br></div><div>☑ হাদীসটির স্তর : হাসান লিগইরিহী। আল্লাহ  তাআলার একত্ববাদ এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া আলীহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাস প্রকাশের একটি বাক্য হলো لَا إلهَ إلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ উক্ত বিশ্বাস প্রকাশের আরও অনেক বাক্য রয়েছে। তন্মধ্যে এ বাক্যটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হওয়ার সাথে সাথে উম্মাতের মধ্যে এর ব্যাপক প্রসিদ্ধিও রয়েছে। তাই আমরা এটাকে ঈমানের কালিমা হিসেবে পড়ে থাকি। পূর্ববর্ণিত সহীহ হাদীস ছাড়াও এ কালিমা বর্ণিত হয়েছে:</div><div><br></div><div>✔ হযরত হারেস বিন খঝরায (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে #রেফারেন্সঃ-</div><div>১) মু’জামে কাবীর লিত তবারানী:৪১৮৮, </div><div>২) মু’জামে আওসাত লিত তবারানী:২১৯, </div><div>৩) মু’জামে ছগীর লিত তবারানী:৯৪৮,৯৯২)</div><div><br></div><div>✔ হযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু)  থেকে- #রেফারেন্সঃ- মু’জামে আওসাত লিত তবারানী:৫৯৯৬ ও ৬৫০২।</div><div><br></div><div>✔ হযরত আবু যর (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে #রেফারেন্সঃ- মুসনাদে বাযযার:৪০৬৫ নং হাদীসে। এবং</div><div><br></div><div>✔ হযরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে #রেফারেন্সঃ- মু’জামে কাবীর-১১০৯৩ নং হাদীসে।</div><div><br></div><div>✔ হযরত আনাস বিন মালেক (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে- #রেফারেন্সঃ- জামে’ সগীর: হাদীস নম্বর- ৪১৮৬।</div><div><br></div><div>তারপরেও যদি কেউ কালেমায় আল্লাহ রাসুলের নাম পাশাপাশি পড়া যাবেনা লিখা যাবেনা বলে ফাতাওয়া দেয় তারা কোরআন হাদীস অস্বীকারকারী কাফের হয়ে যাবে। কারন, সূরা নিসার-৫০ ও ৫১ নং আয়াতে আল্লাহ নিজে তাদেরকে কাফের বলেছেন যারা আল্লাহ থেকে রাসুলগণকে আলাদা করতে চায়।</div><div><br></div><div>আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাহকে বুঝার তাওফিক দান করুক।(আমিন)</div>

ঈমানের কালেমা

কালেমায় আল্লাহ রাসুলের নাম পাশাপাশি লেখা বা বলার প্রমানঃ- ______________________________________________ ✔ আল্লাহ তায়ালা ফরমানঃ-  اِنَّ الَّ...

Read more »

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ওনাকে গাছ ও পাথরের সালাম।

<p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;"><b><i>রাসুলুল্লাহ </i></b><b><i>(ﷺ)</i></b><b><i> ওনাকে গাছ ও পাথরের সালাম</i></b></span></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"><span style="font-size: large;"><span style="color: #38761d;">★ নবুওয়াতপ্রাপ্তির প্রাক্কালে মুহাম্মদ (সা)-এর অবস্থা কিছু ভিন্ন হয়ে গেল। নির্জনতা ভাল লাগত। লোক-কোলাহলে অস্থিরতা বোধ করতেন। অন্তরে এক ধরনের শূন্যতা ও অপূর্ণতাবোধ তাঁকে আকুল করে রাখতো । তাই মাঝে মাঝে লোকালয় ছেড়ে দূরে মক্কার উপকন্ঠে জনবিরল পার্বত্য উপত্যকায় বা বিস্তীর্ণ সমভূমির দিকে তিনি চলে যেতেন। কোন গাছ বা পাথরের পাশ দিয়ে যখন তিনি অতিক্রম করতেন, সেগুলো তাঁকে সালাম দিত। আওয়াজ হতো- আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রাসূলাল্লাহ। কোথা থেকে এ আওয়াজ ও সালাম আসে, কে দেয় দেখার জন্য তিনি চারদিকে চোখ ফেরাতেন, খুঁজতেন। কিন্তু শুধু গাছ বা পাথর ব্যতীত কিছুই তাঁর চোখে পড়ত না।</span></span></div><span style="color: #38761d; font-size: medium;"><div style="text-align: justify;">এভাবে যতক্ষণ আল্লাহর ইচ্ছা হতো তিনি দাঁড়িয়ে থাকতেন। চারদিকে দেখতেন এবং শুনতেন। তারপর এক রমযান মাসে যখন তিনি হেরার গুহায় ধ্যানে মগ্ন ছিলেন, আল্লাহ্ তা’আলার তরফ থেকে সম্মান ও মর্যদার বাণী ওহী নিয়ে জিবরাঈল আমীন (আ) আসলেন তাঁর কাছে। (ইব্ন ইসহাক)</div></span><p></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;">★ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনা মতে- রাসূল (সা) নিজেই ইরশাদ করেনঃ মক্কায় একটি পাথরকে আমার চেনা আছে, ওহী আসার আগে সেটি আমায় সালাম দিত। হাদীসের কোন গ্রন্থে এরুপ আছে যে, সেই পাথরটি ছিল হাজারে আসওয়াদ। (সীরাতে ইব্ন ইসহাক)</span></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;">★ রাসূল (সা)-এর ক্ষেত্রে আল্লাহ্ পাক যেমন একটি খেজুর গাছের কান্ডকে ক্রন্দন করার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন তেমনি গাছ ও পাথরকে কথা বলার ক্ষমতা দান করেছিলেন। তাতে বোঝা যায়, জিন ও ইনসানের উপর তখনও তাঁর নবুওয়াত ও রেসালাত প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু সৃষ্টি জগতের অন্য সকল কিছুর উপরই তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। তারা সবাই রাসূল (সা)-এর উপর ঈমান এনেছিল এবং তাকে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছিল। (ইব্ন ইসহাক)</span></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;">রাসূল (সা)-এর নবুওয়াতের জীবনে পরবর্তীকালে এরুপ আরও বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।</span></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;">★ হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে যখন মক্কায় ছিলাম, তখন একদিন তিনি আমাদের নিয়ে শহরের একদিকে গেলেন। তাঁর সামনে যে বৃক্ষ, টিলা বা পাথর পড়ত সেই তাঁকে ‘আস্সাললামু আলাইকুম ইয়া রাসূলুল্লাহ্’ বলত। আমি নিজে তা শুনতাম। (বায়হাকী ও তিবরানী)</span></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;"><span style="color: #38761d; font-size: medium;">★ আবূ নায়ীম কর্তৃক বণিত অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে- রাসূল (সা) ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ বলে জওয়াব দিতেন। জিবরাঈল (আঃ) তাঁকে এ সালাম শিক্ষা দিয়েছিলেন। (খাসায়েসুল কোবরা)</span></p> <p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;"><span style="font-size: large;"><span style="color: #38761d;">তথ্যসূত্র</span></span></div><span style="color: #38761d; font-size: medium;"><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর জীবনে আল্লাহর কুদরত ও রুহানিয়াত (লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল গফুর হামিদী, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)</div></span><p></p>

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ওনাকে গাছ ও পাথরের সালাম।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ওনাকে গাছ ও পাথরের সালাম ★ নবুওয়াতপ্রাপ্তির প্রাক্কালে মুহাম্মদ (সা)-এর অবস্থা কিছু ভিন্ন হয়ে গেল। নির্জনতা ভাল লাগত। লো...

Read more »

পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডারের চাবি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেওয়া হয়েছে

<p dir="ltr">"--- হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি ---"।<br> --- সূরা আহযাব / ৪৫</p> <p dir="ltr">সাঈদ ইবনে শুরাহবিল (রাঃ) ----- উকবা ইবনে আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূল (সাঃ) বের হয়ে মৃত ব্যক্তির সালাতে জানাযার ন্যায়, উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সাহাবীগণের কবরের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। তারপর তিঁনি ফিরে এসে মিম্বরে আরোহণ করে বললেন, আমি তোমাদের জন্য অগ্রগামী ব্যক্তি, আমি তোমাদের পক্ষে আল্লাহর দরবারে সাক্ষ্য প্রদান করব। আল্লাহর কসম, আমি এখানে বসে থেকেই আমার হাউযে কাওসার দেখতে পাচ্ছি। পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডারের চাবি আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কসম, আমার ওফাতের পর তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে এ আশংকা আমার নাই। কিন্তু  আমি তোমাদের সম্পর্কে এ ভয় করি যে, পার্থিব ধন-সম্পদ, প্রাচুর্য ও মোহ তোমাদেরকে আত্মকলহে লিপ্ত করে তুলবে❗।</p> <p dir="ltr">সূত্র : বুখারী - খঃ ৬ হাঃ ৩৩৪১ (ইফাঃ)।</p>

পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডারের চাবি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেওয়া হয়েছে

"--- হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি ---"। --- সূরা আহযাব / ৪৫ সাঈদ ইবনে শুরাহবিল (রাঃ) ---...

Read more »

জিয়ারতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম।

<p dir="ltr"><b><<</b><b><i>জিয়ারতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম>></i></b><br></p> <p dir="ltr">চতুর্দশ  শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলা হজরত আহমদ রেজা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাজীদের উদ্দেশ্যে বলেন,<br> " হাজীও  আঁও শাহেন শাহ কা রওয়াজা দেখো, কাবা তো দেখ চুকে কাবে কা কাবা দেখো।"<br> অর্থঃ- "হাজী সাহেবগণ আসুন,শাহেন শাহর(রাসূলে পাকের) রওয়াজা দেখুন,কাবা তো দেখেছেন, এবার কাবার কাবাকে দেখুন।"<br> মক্কা বিজয়ের পর যখন বাইতুল্লাহ শরীফ তথা কাবা ঘর থেকে ৩৬০ মূর্তি অপসারণ করে কাবাকে পবিত্র করা হলো ধুয়ে মুছে তখন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম হযরত বিলাল রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু কে নির্দেশ দিলেন আজান দিতে।রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম বললেন, হে বিলাল তুমি কাবার ছাদে উঠে আজান দাও।হযরত বিলাল কাবার ছাদে উঠে গেলেন আজান দিতে।এবার হযরত বিলাল রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু   পড়লেন  আরেক সমস্যায়,কোন দিকে মুখ করে আজান দিবেন? এবার বিলাল রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লামকে বললেন,ইয়া রাসূল্লাল্লাহ যখন মদিনায় আজান দিয়েছি তখন তো কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে আজান দিয়েছি,এখন তো আমি কাবার ছাদে,এখন আমি কোন দিকে ফিরে আজান দিব?<br> রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম বললেন,ও বিলাল কেন তুমি কি তোমার নবীকে দেখো না?<br> তুমি তোমার নবীর দিকে ফিরে, মুখ করে আজান দাও।<br> সুবাহান্নাল্লাহ,আমার নবীজী হলেন কাবারও কাবা।            <br> হজ্জ ও ওমরা পালনকারীদের মদিনা আসার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করা, রওজায় সালাম পেশ করা।</p> <p dir="ltr">হাদিস ও ফিকাহের গ্রন্থগুলোতে এ বিষয়ে প্রচুর নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামি স্কলারদের মতে, মদিনায় আসা ইবাদতের অংশবিশেষ।<br> <br> হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে আমার রওজা জিয়ারত করলো, তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়েগেলো। -সহিহ মুসলিম<br> <br> নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেন, যে হজ করলো কিন্তু আমার রওজা জিয়ারত করলো না; সে আমার প্রতি জুলুম করলো। -তিরমিজি<br> ইসলামি স্কলারদের মতে, হাজির জন্য মদিনা শরিফ জিয়ারত করা সুন্নত। অনেকে ওয়াজিবও বলে থাকেন।<br> <br> এ কারণে হজ্ব পালনের আগে কিংবা পরে হাজিরা মদিনা শরিফ আসেন। মদিনায় অবস্থানকালে হাজিদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য হচ্ছে, মসজিদে নববিতে হাজিরা দেওয়া এবং সেখানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। মসজিদে নববিতে এক রাকাত নামাজের সওয়াব পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সমান। এছাড়া মসজিদে নববীতে বিরতিহীনভাবে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ  জামাতের সঙ্গে আদায়ের আলাদা ফজিলত রয়েছে।<br> <br> এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হয়রত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আমার মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে আর কোনো নামাজ কাজা করেনি, সে নিফাক (মোনাফিকি) আর দোজখের আজাব থেকে নাজাত পাবে।<br> <br> মসজিদে নববির সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূণ স্থান হলো- নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রওজা মোবারক। উম্মুল মুমিনিন হয়রত আয়েশা (রা.)-এর হুজরার মধ্যে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর পবিত্র রওজা মোবারক অবস্থিত। রাসূলের রওজার পাশে ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা.) ও ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর কবর। পাশে আরেকটি কবরের জায়গা খালি। এখানে হযরত ঈসা (আ.)-এর কবর হবে।<br> <br> হযরত রাসূলুল্লাহ (সাসল্লাল্লাহু আলাওহি ওয়া সাল্লাম.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের ফজিলত প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওফাতের পর তার রওজা মোবারক জিয়ারতে করলো, সে যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জীবদ্দশায় দর্শণ করলো।<br> <br> মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনেকগুলো দরজা রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম পাশে রাসূলের রওজা জিয়ারতের জন্য যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়, ওই দরজাকে ‘বাবুস সালাম’ বলা হয়। বাবুস সালাম দিয়ে প্রবেশ করে রাসূলের রওজায় সালাম শেষে ‘বাবুল বাকি’ দিয়ে বের হতে হয়।<br> <br> মদিনায় জিয়ারতে হাজীদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ মদিনায় এসে দুনিয়ায় জীবিত থাকতে জান্নাতে ভ্রমণের সুযোগ মেলে। কারণ নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম.)-এর রওজা শরিফ এবং এর থেকে পশ্চিম দিকে রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম.)-এর মিম্বর পযন্ত স্বল্প পরিসরের স্থানটুকুকে রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগিচা বলা হয়। এটি দুনিয়াতে একমাত্র জান্নাতের অংশ। এই স্থানে স্বতন্ত্র রঙয়ের কার্পেট বিছানো থাকে।<br> <br> এই স্থানটুকু সম্পর্কে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার রওজা ও মিম্বরের মধ্যবতী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান। এখানে প্রবেশকরা মানে জান্নাতে প্রবেশ করা।<br> <br> বস্তুত দুনিয়ার সব কবরের মধ্যে সর্বোত্তম ও সবচেয়ে বেশি জিয়ারতের উপযুক্ত স্থান হলো- রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রওজা মোবারক। তাই এর উদ্দেশে সফর করা উত্তম। এ কথার ওপর পূর্বাপর সব উলামায়ে কেরামের ঐকমত্য রয়েছে।<br> <br> হযরত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলে মসজিদে নববীর আয়তন ছিলো ২৫০০ বর্গ মিটারের মতো। কিন্তু যুগের পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে মসজিদে নববীর অনেক সংস্কার ও সম্প্রসারণ হয়েছে। এখন এর আয়তন প্রায় ২,৩৫,০০০ বর্গমিটার। একসঙ্গে প্রায় সাড়ে চার লাখ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদে নববীতে মহিলাদের জন্য স্থান একবারেই আলাদা।</p>

জিয়ারতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম।

<< জিয়ারতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম>> চতুর্দশ  শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলা হজরত আহমদ রেজা খান বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহ...

Read more »