প্রশ্নঃ কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে কিনা?

<p dir="ltr">কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।</p> <p dir="ltr">পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح)<br> হাদিস নম্বরঃ ১৯২৯ | 1929 | ۱۹۲۹</p> <p dir="ltr">পরিচ্ছদঃ ৯/৩১. কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।<br> ১/১৯২৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন মহিলাকে তার ফুফু বা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না। (সহিহ)</p> <p dir="ltr">সহীহুল বুখারী ৫১০৯, ৫১১১, মুসলিম ১৪০৮, তিরমিযী ১১২৬, নাসায়ী ৩২৮৮, ৩২৮৯, ৩২৯০, ৩২৯১, ৩২৯২, ৩২৯৩, ৩২৯৪, ৩২৯৫, ৩২৯৬, আবূ দাউদ ২০৬৫, ২০৬৬, আহমাদ ৭০৯৩, ৭৪১৩, ৮৮৭৬, ৮৯৫০, ৯১৮৪, ৯২১৬, ৯৩০৩, ৯৫২৪, ৯৬৩৫, ৯৬৮০, ৯৭৮৯, ৯৯৭৩, ১০২২৭, ১০৩১১, ১০৩৩৪, ১০৪৬৩, মুয়াত্তা মালেক ১১২৯, দারেমী ২১৭৮, ২১৭৯, ইরওয়াহ ৬/২৮৬, সহীহ আবী দাউদ ১৮০২, ১৮০৩, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ৭, রওদুন নাদীর ১১৭১, ১১৭৬। </p> <p dir="ltr">হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih) <br> পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح)<br> হাদিস নম্বরঃ ১৯৩০ | 1930 | ۱۹۳۰</p> <p dir="ltr">পরিচ্ছদঃ ৯/৩১. কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।<br> ২/১৯৩০। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দু’ ধরনের বিবাহ নিষিদ্ধ করতে শুনেছিঃ কোন স্ত্রীলোক ও তার খালাকে অথবা কোন স্ত্রীলোক ও তার ফুফুকে কোন ব্যক্তির বিবাহাধীনে একত্র করা (নিষিদ্ধ)। (সহিহ)</p> <p dir="ltr">হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়াহ ৬/২৯১। রাওদুন নাদীর ১১৭১, ১১৭৬। </p> <p dir="ltr">হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih) <br> পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح)<br> হাদিস নম্বরঃ ১৯৩১ | 1931 | ۱۹۳۱</p> <p dir="ltr">পরিচ্ছদঃ ৯/৩১. কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।<br> ৩/১৯৩১। আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না।</p> <p dir="ltr">হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদিসের রাবী </p> <p dir="ltr">১. জুবারাহ ইবনুল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ (আল্লাহ্‌ চায়তো) তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৯১, ৪/৪৮৯ নং পৃষ্ঠা) </p> <p dir="ltr">হাদিসটির ৭২৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৭ টি জাল, ৬১ টি অধিক দুর্বল, ৪২ টি দুর্বল, ১৬৪ টি হাসান, ৪৫০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫১০৮, ৫১০৯, মুসলিম ১৪০৮, ১৪০৯, তিরমিযি ১১২৫, ১১২৬, আবু দাউদ ২০৬৫, ২০৬৬, ২০৬৭, দারিমী ২১৭৮, ২১৭৯, আহমাদ ৫৭৮, ১৮৮১, ৩৫২০, ৬৬৪৩, ৬৭৩১, ৭০৯৩, ৭৪১৩, ৮৮৮০, ৮৯৫০, ১০৩১২, ১০৩৩৪, ১০৩৩৯, ১০৫০৫ ইত্যাদি।</p> <p dir="ltr">হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih) </p>

প্রশ্নঃ কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে কিনা?

কোন মহিলাকে তার ফুফু অথবা তার খালার সাথে একত্রে বিবাহ করা যাবে না। পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন / গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ / অধ্যায়ঃ ৯/ বিব...

Read more »

ইমাম আবু বকর আন-নাহশালী কি যইফ রাবী?

<p dir="ltr">নির্ভরযোগ্য রাবীদের প্রতি অবিচার <br> <b>ইমাম আবু বকর আন-নাহশালী কি যইফ রাবী?</b></p> <p dir="ltr"><b>আমাদের লা-মাযহাবী আলিম মুজাফফর বিন মুহসিন বলেন, "আবু বকর নাহশালী দুর্বল"। জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর ছালাত : ১৯৫ পৃষ্টা। </b></p> <p dir="ltr">▪ আবু বকর নাহশালী হলেন, ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক, ইয়াহইয়া ইবনে আদাম, সুলাইমান ইবনে দাউদ সহ অগণিত মুহাদ্দিসদের উস্তাদ। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর দাদা উস্তাদ। </p> <p dir="ltr">▪ তার সম্পর্কে আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী বলেছেন, من ثقات مشيخة الكوفة কুফার নির্ভরযোগ্য শায়েখদের একজন। আত-তাকমীল ফিল জারহি ওয়াত তাদীল লি ইবনে কাসীর: ৩/১০০।  </p> <p dir="ltr">▪ ইবনে মাঈন বলেন, ثقة (নির্ভরযোগ্য)। তারীখে ইবনে মাঈন রাওয়ায়াতুদ দূরী :৩/৩৩৪, ১৬১৩ নং রাবী;  ৪/৮৫, ৩২৬৩ নং রাবী। </p> <p dir="ltr">▪ ইবনে মাঈন আরও বলেন, أبو بكرالنهشلي كوفي ثقة (আবূ বকর আন-নাহশালী কুফি নির্ভরযোগ্য) তারীখে ইবনে মাঈন রাওয়ায়াতুদ দূরী: ৩/৪৮০, ২৩৪৮ নং রাবী।</p> <p dir="ltr">▪ ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান বলেন, هو ثقة (তিনি নির্ভরযোগ্য)। আল মারিফাতু ওয়াত তারীখ: ৩/১৮০।<br> <br> ▪ ইমাম আবু দাউদ বলেন, ثبت في الحديث (তিনি হাদীস শাস্ত্রে প্রমাণযোগ্য)। সাওয়ালাত আবী উবায়দুল্লাহ আল-আযরী: ১/২০৮।  </p> <p dir="ltr">▪ ইজলী বলেন,  وكان ثقة  (তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন)। আস সিকাত: ১৯১৬ নং রাবী। </p> <p dir="ltr">▪ ইবনে শাহীন বলেন, ثقة (নির্ভরযোগ্য)। তারীখু আসমাইস সিকাত: ১/১৩১। </p> <p dir="ltr">▪ আহমাদ ইবনে ইউসুফ বলেন, صالحا (সালেহ)। সিয়ার: ৭/৩২। </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম আহমাদ বলেন, ثقة (নির্ভরযোগ্য)। আল- জারাহ ওয়াত তাদীল: ৯/৩৪৪। </p> <p dir="ltr">▪ আবু হাতেম বলেন, شيخ صالح يكتب حديثه، তিনি শাইখ সালেহ, তার হাদীস লিখা যাবে। আল- জারহ ওয়াত তাদীল: ৯/৩৪৪। </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম দারাকুতনী বলেন, هو من الثقات ( তিনি নির্ভরযোগ্য রাবীদের একজন)। সুনানে দারাকুতনী : ২২৫৪ নং হাদীস।</p> <p dir="ltr">▪ ইমাম ত্বহাবী তার হাদীস দ্বারা দলিল পেশ করেছেন। শরহে মশকিলুল আসার: ৫৮২৫ নং হাদীস। </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম যাহাবী বলেন, ثقة (নির্ভরযোগ্য)। আল-কাশেফ: ৪/৪১৪। </p> <p dir="ltr">▪ যাহাবী আরও বলেন, من علماء الكوفة কুফার আলেমদের একজন। সিয়ার : ৭/৩২।  </p> <p dir="ltr">▪ ইবনে হিব্বান মাজরুহীন গ্রন্থে তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে এর প্রতিবাদে যাহাবী রহ. বলেছেন, دع عنك الخطابة فالرجل حجة قد وثقه إماما الفن واحتج به مسلم অর্থাৎ আপনার লেকচার ছাড়ুন, এই রাবী প্রমাণযোগ্য, তাকে শাস্ত্রের দুই ইমাম (ইবনে মাঈন ও আহমদ) নির্ভরযোগ্য বলেছেন, এবং ইমাম মুসলিম তার হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। তারীখুল ইসলাম: ৪/৫৫৬। </p> <p dir="ltr">▪ ইবনে হাজার বলেন, তিনি মুসলিমের রাবী, তার হাদীস সহীহ। ফাতহুল বারী : ১০/১৮১।  </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম যায়লাঈ তার হাদীসকে   صحيح (সহীহ) বলেছেন। নসবুর রায়া: ১/৪০৬। </p> <p dir="ltr">▪ আল্লামা মারদিনী তার হাদিসকে সহীহ বলেছেন। আল জাওহারুন নাকী: ২/৭৮-৭৯। </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম মুসলিম তার হাদিস সহীহ মুসলিমে বর্ণনা করেছেন। মুসলিম শরীফ : ৫৭২, ১১০৬ নং হাদীস। </p> <p dir="ltr">▪ তাই ইমাম বায়হাকী আবু বকর নাহশালীর একাধিক হাদীস সম্পর্কে বলেছেন, ইমাম মুসলিম তার সহীহ গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করেছেন। সুনানুল কুবরা বাযহাকী: ৩৮৪১, ৮০৯৯ নং হাদীস। </p> <p dir="ltr">▪ ইমাম আবু নুয়াইম আল-মুসনাদুল মুসতাখরাজ আলা সহীহ মুসলিম গ্রন্থে তার হাদীস উল্লেখ করেছেন: ১২৬২, ২৪৯৯ নং হাদীস। </p> <p dir="ltr">▪ সালাফীদের শায়েখ আলবানী বলেন, ثقة (নির্ভরযোগ্য), رجال مسلم  (মুসলিমের রাবী)। ইরওয়াউল গালীল: ৬/৭১। </p> <p dir="ltr">▪ তাছাড়া শায়েখ আলবানী আবু বকর আন নাহশালীর বহু হাদীসকে সহীহ বলেছেন। নাসাঈ: ১৭০৭, ৩৮৪৮ নং হাদীস। </p> <p dir="ltr">সুতরাং আবু বকর নাহশালী নির্ভরযোগ্য এবং সহীহ মুসলিমের নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।  তাই মুজাফফর বিন মুহসিন সাহেবের অভিযোগ বাতিল।</p>

ইমাম আবু বকর আন-নাহশালী কি যইফ রাবী?

নির্ভরযোগ্য রাবীদের প্রতি অবিচার ইমাম আবু বকর আন-নাহশালী কি যইফ রাবী? আমাদের লা-মাযহাবী আলিম মুজাফফর বিন মুহসিন বলেন, "আবু বকর নাহশাল...

Read more »

জিলহজ্ব মাসের ১ম দশ দিনের আমলঃ

<br><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEixM-ET5maScCCXyjwtC30LcHMF3eDPHZSiK8CdYDTjC_tb5Pgu3XGGdv-vq8oqV1tdqIRkdlXgK3QOhr_PaVgQLBt51ID5_vRyGck_cLB97pq5Mp4IBY8K-wjg6z2yiXdUczC_oej_qsny/s1600/FB_IMG_1565077508070.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="475" data-original-width="720" height="211" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEixM-ET5maScCCXyjwtC30LcHMF3eDPHZSiK8CdYDTjC_tb5Pgu3XGGdv-vq8oqV1tdqIRkdlXgK3QOhr_PaVgQLBt51ID5_vRyGck_cLB97pq5Mp4IBY8K-wjg6z2yiXdUczC_oej_qsny/s1600-rw/FB_IMG_1565077508070.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">জিলহজ্ব মাসের ১ম দশ দিনের আমলঃ </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">১-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">প্রথম দশ দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করা</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দিন সম্ভব নফল রোযা রাখা আর রাতের বেলা বেশী  বেশী ইবাদত করা যথা নফল নামায,কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা-ইস্তিগফার ও রোনাজারী ইত্যাদি ইবাদতের মাধ্যমে রাত কাটানো।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফযীলত</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم : قال ما من أيام أحب إلى الله أن يتعبد له فيها من عشر ذي الحجة يعدل صيام كل يوم منها بصيام سنة وقيام كل ليلة منها بقيام ليلة القدر</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিলহজ্বের দশ দিনের  ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদত তুলনায় বেশী প্রিয়,প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায় ।{তিরমিজী শরীফ,হাদীস নং-৭৫৮, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৭৫৭, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২০৮৮}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال ما العمل في أيام العشر أفضل من العمل في هذه</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অন্য দিনের আমল প্রিয় নয়। {বুখারী শরীফ,হাদীস নং-৯২৬}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">২–</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">যারা কুরবানী করার ইচ্ছে পোষণ করছেন, তারা জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত চুল ইত্যাদি কাটবে না, যদি ৪০ দিন না হয়ে থাকে এগুলো না কাটার মেয়াদ। যদি ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কুরবানীর পর পরিস্কার করবে। এ কাজটি সুন্নাত।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن أم سلمة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا دخلت العشر فأراد أحدكم أن يضحي فلا يمس من شعره ولا من بشره شيئا</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-হযরত উম্মে সালমা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, যখন [জিলহজ্বের প্রথম] ১০ দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছে করে, সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে। {সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৪৫৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩১৪৯, সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-১৮৮০৬, মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-২৯৩, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৭৭৮৭, মুসনাদুশ শাফেয়ী, হাদীস নং-৮৪৬, মাশকিলুল আসার, হাদীস নং-৪৮১১}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">৩-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">যারা হজ্বে যায়নি, তাদের জন্য জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখ রোযা রাখা সুন্নাত।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফযীলত</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">صيام يوم عرفة أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله والسنة التي بعده</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-হযরত আবু কাতাদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোযা তার পূর্বের ও পরের বৎসরের গোনাহ মুছে ফেলবে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৪০}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">তবে যারা হজ্বে গিয়েছেন, তাদের জন্য এদিন রোযা না রাখা উচিত।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَةَ</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৪২, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৮১৭২, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-২৩৯২৩, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-২৫৫৬}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">. </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">أُمَّ الْفَضْلِ – رضى الله عنها – تَقُولُ شَكَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى صِيَامِ يَوْمِ عَرَفَةَ وَنَحْنُ بِهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ بِقَعْبٍ فِيهِ لَبَنٌ وَهُوَ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَهُ.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-হযরত উম্মুল ফযল রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-লোকেরা আরাফার দিন নবী কারীম সাঃ রোযা রেখেছেন কি না? তা নিয়ে সন্দেহে পতিত হলে আমি রাসূল সাঃ এর পানীয় প্রেরণ করলাম, আর নবীজী সাঃ তা পান করলেন। [ফলে সবাই নিশ্চিত হলেন যে, রাসূল সাঃ রোযা রাখেন নি। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫১}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">৪-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">তাকবীরে তাশরীক বলা।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর একবার তাকবীর বলা ওয়াজিব। পুরুষের জন্যআওয়াজ করে,আর মহিলাদের জন্য নীরবে।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">তাকবীর হল-আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">প্রমাণ-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফাতওয়া শামী-তৃতীয় খন্ড,৬১ পৃষ্ঠা,সালাত অধ্যায়,ঈদ পরিচ্ছেদ,</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ইলাউস সুনান, সালাত অধ্যায়, তাকবীরাতুত তাশরীক পরিচ্ছেদ, ৮ম খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফযীলত</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن بن عباس : أنه كان يكبر من غداة يوم عرفة إلى آخر أيام التشريق</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ আরাফার দিন তথা ৯ ই জিলহজ্বের ফজর থেকে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যন্ত তথা ১৩ ই জিলহজ্ব [আসর নামায] পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক পড়তেন। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৬০৭১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৬৮১}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">৫-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ঈদুল আজহার রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উত্তম।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফযীলত</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن أبي أمامة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( من قام ليلتي العيدين محتسبا لله لم يمت قلبه يوم تموت القلوب )</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাতে সওয়াবের নিয়তে জাগরিত থেকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবে, তাহলে যে দিন অন্যান্য দিল মরে যাবে সেদিন তার দিল মরবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৭৮২, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৭১১, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-২৪১০৫, জামিউল আহাদীস, হাদীস নং-২৩২৯৬}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">৫-</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ঈদের দিনের সবচে বড় আমল হল ঈদের নামায শেষে কুরবানী করা।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">১০, ১১ম ১২ যিলহজ্বের যে কোন একদিন,কোন ব্যক্তির মালিকানায় যদি নিত্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রোপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকে, {বর্তমান বাজার মূল্যে যা ৮৪,০০০/= প্রায়} তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">পুরুষ-মহিলা সকলের উপরই এ বিধান প্রযোজ্য।</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">প্রমাণ-ফাতওয়া শামী-৯/৪৫৩, ৪৫৭</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফাতওয়া আলমগীরী-৫/২৯২</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ফযীলত</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">. </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن عائشة : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال ما عمل آدمي من عمل يوم النحر أحب إلى الله من إهراق الدم إنها لتأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها وأن الدم ليقع من الله بمكان قبل أن يقع من الأرض فيطيبوا بها نفسا</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোন কাজ করতে পারে না, যা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করা তথা কুরবানী করার চেয়ে বেশি প্রিয়। কুরবানীর পশু সকল শিং, তাদের পশম ও তাদের খুরসহ কেয়ামতের দিন [কুরবানীদাতার পাল্লায়] এসে হাজির হবে। আর কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌছে যায়। সুতরাং তোমরা প্রফুল্ল চিত্তে কুরবানী করবে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৪৯৩, মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫২৩, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২১৫৩}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">عن زيد بن أرقم قال أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم يا رسول الله ماهذه الأضاحي  ؟ قال ( سنة أبيكم إبراهيم ) قالوا فما لنا فيها ؟ يا رسول الله  قال ( بكل شعرة حسنة ) قالوا فالصوف ؟ يا رسول الله : قال ( يكل شعرة من الصوف حسنة</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"> </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">যায়েদ বিন আরকাম রাঃ বলেন-রাসূল সা. এর সাহাবাগণ বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! এ সকল কুরবানীর ফযীলত কি? উত্তরে তিনি বললেন-তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম আ. এর সুন্নাত। তারা পুনরায় আবার বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! তাতে আমাদের জন্য কী সওয়াব রয়েছে? উত্তরে তিনি বললেন-কুরবানীর পশুর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে। তারা আবারো প্রশ্ন করলেন-হে আল্লাহর রাসূল! ভেড়ার লোমের কি হুকুম? [এটাতো গণনা করা সম্ভব নয়] তিনি বললেন-ভেড়ার লোমের প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি সওয়াব রয়েছে। {সুনানে ইবনে মাজাহ-হাদীস নং-৩১২৭}</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">.</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">আল্লাহ তায়ালা আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">والله اعلم بالصواب</div></div>

জিলহজ্ব মাসের ১ম দশ দিনের আমলঃ

জিলহজ্ব মাসের ১ম দশ দিনের আমলঃ  . ১- . প্রথম দশ দিনে নফল রোযা ও রাতে ইবাদত করা . জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যত দ...

Read more »

তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তিনবার বলা ফজিলতের কারণ

<p dir="ltr">তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তিনবার বলা ফজিলতের কারণ:</p> <p dir="ltr">জিলহজ্জ মাসের ৯ই তারিখ ইয়াউমে আরাফাহ।এদিন ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে ১৩ই জিলহজ্জ আসর পর্যন্ত এই ২৩ ওয়াক্তের ফরজ নামাযের সালাম ফিরিয়ে তাকবীরে তাশরিক পড়তে হয়। এটা নারী পুরুষ সকলের উপর ওয়াজিব। তাকবীরে তাশরীক নিম্নরূপ-</p> <p dir="ltr">اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ لَااِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ.<br> "আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু<br> ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ!"</p> <p dir="ltr">কিন্ত এ তাকবীর কয়বার পড়তে হবে তা নিয়ে আমাদের দেশে ঝগড়ার শেষ নেই। কেউ তিন বার পড়েন আর কেউ একবারের চেয়ে বেশী পড়তে নারাজ।আরেক দল আছেন উনারা একবারের বেশী পড়নে ওয়ালাদের বেদাতী বলে ফতওয়া দেন।</p> <p dir="ltr">** দলিল সহ বিস্তারিত আলোচনাঃ</p> <p dir="ltr">০১. দুররুল মুখতার ১১৪ নং পৃষ্ঠায় বর্নিত আছে,</p> <p dir="ltr">(ويجب تكبير التشريق) في الأصح للأمر به (مرة) وإن زاد عليها يكون فضلا. قاله العيني (الدر المختار صحفة ١١٤)</p> <p dir="ltr">অনুবাদঃ  তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব। ইমাম আইনী বলেন, কেউ যদি অতিরিক্ত বলে তবে তা ফজিলত বা সওয়াবের কারণ হবে।</p> <p dir="ltr">০২. ফতওয়া-ই শামী ০৩ জিলদ ৬২ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,</p> <p dir="ltr">  وقيل ثلاث مرات. (ردالمحتار ج٣ ص ٦٢ - دار الكتب)</p> <p dir="ltr">অনুবাদঃ কেউ কেউ বলেছেন তিনবার  (বলবে)।<br> এটা হলো- হানাফী মাযহাবের ফায়সালা। কিন্তু যারা এটা না মেনে বিবেধ সৃষ্টি করেছেন তারা বলছেন অন্য কথা। পাঠকেরা যাতে সত্য বুঝতে পারেন এজন্য নিম্নে কিছু আলোচনা উপস্থাপন করলাম।</p> <p dir="ltr">এ ব্যপারে ওলামায়ে দেওবন্দের আরেকটা ফতওয়া আমরা দেখে নেই।</p> <p dir="ltr">▪ ফতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ০৫ম জিলদ ১৫০ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে,</p> <p dir="ltr">تکبیر تشریق ایک دفعہ کہنا واجب ہے اس سے زیادہ واجب نہیں ہے اور در مختار میں عینی سے نقل کیا کہ زیادہ کہن میں فضیلت اور ثواب ہے کچہ حرج نہیں ہے۔<br> لکن  شامی میں ابوالسعود سے نقل کیا ہے کہ ایک مرتبہ سے زیادہ کہنا خلاف سنت ہے پس بہتر ہے کہ ایک دفع پر اکتفاء کیا جائے ۔</p> <p dir="ltr">অনুবাদঃ তাকবীরে তাশরীক এক বার বলা ওয়াজিব।এর থেকে বেশী ওয়াজিব নয়। দুররুল মোখতার কিতাবে আইনি থেকে বর্ণিত, এক বারের অধিক বলা সওয়াবের কারণ। কোন অসুবধা নেই।</p>

তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তিনবার বলা ফজিলতের কারণ

তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তিনবার বলা ফজিলতের কারণ: জিলহজ্জ মাসের ৯ই তারিখ ইয়াউমে আরাফাহ।এদিন ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে ১৩ই জিলহজ্জ আ...

Read more »

হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমাণকে দুর্বল মনে করার পরিণাম

<br><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLkcATQQhVCvoA_Sv-buC9sp8uAbmuHLyRxfMvKUjToeGFN2Vy5cox2sOTXDgXu1mpkBjLQwCm9ftrCDX3QJC9pT4w_SEvUuE1z4b3gmAFYh00hdeCZpkX0gwmR4NQk-tAh-d8SIFYxgLX/s1600/FB_IMG_1565076924745.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="480" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLkcATQQhVCvoA_Sv-buC9sp8uAbmuHLyRxfMvKUjToeGFN2Vy5cox2sOTXDgXu1mpkBjLQwCm9ftrCDX3QJC9pT4w_SEvUuE1z4b3gmAFYh00hdeCZpkX0gwmR4NQk-tAh-d8SIFYxgLX/s1600-rw/FB_IMG_1565076924745.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">ইমাম সশা'রানী আশ শাফেয়ীর মতে হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমাণকে দুর্বল বলা মানে দুনিয়া আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হওয়াঃ</div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><b><u>শাফেয়ী মাযহাবের প্রদিদ্ধ কিতাব 'আল-মিযানুল কুবরা'প্রণেতা আব্দুল ওহহাব শা'রানী আশ-শাফেয়ী (মৃ: ৯৭৩ হি:) বলেন-</u></b></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">وثم من العلماء من جعل الله تعالى على كالمه القبول، ومنهم من لم يجعل عليه قبولا فيطعن فيه الناس، وها أنا قد أبنت لك عن صحة أدلة مذهب الامام الاعظم أبي حنيفة (رضى الله عنه) وان جميع ما استدل به لمذهب أخذه عن خيار التابعين، انه لا يتصور في سنده شخص متهم بكذب أبدا- وان قيل بضعف شئ من ادلة مذهب فذالك الضعف انما هو بالنظر للرواة النازلين عن سنده بعد موته - وذلك لا يفدح فيما أخذبه الامام عند كل من استصحب النظر فى ادلة مذهب أصحابه : فلم بستدل أحد منهم بحديث ضعيف فرد لم يأت إلا من طريق واحدأ كما تتبعنا ذالك أنها يستدل أحدهم بحديث صحيح او حسن او ضعيف قد كثيرت طريق حتى ارتفع الدرجة الحسن وذلك أمر لا يختص بأصحاب الإمام ابي حنيفة - بل يشاركهم فيه جميع المذاهب كلها كما مر أيضاحه فاترك يأأخى التعصب على الامام أبي حنيفة وأصحابه رضى الله عنهم أجمعين- واياك وتقليد الجاهلين بأهو اله وماكان عليه من الورع والزهد والاحتياط في الدين - فتقول: أن أدلته ضعيفة بالتقليد فتحشر مع الخاسرين و تتبع أدلته كما تتبعناها- تعرف أن مذهبه - رضى الله عنه من الصح المذاهب- </div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;">অর্থঃ আল্লাহ পাক কারও সাধনা কবূল করেন আবার কারও সধনা বিফল করেন, তাই বিফলরা সফলদের উপর হিংসাত্মক আক্রমনে লিপ্ত হয়। আমি হানাফী মাযহাবের সত্যতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছি। ইমাম আযম আবূ হানিফা র. তার মাযহাবের সব দলীল-প্রমাণ সর্বশ্রেষ্ঠ তাবেয়ীগণ থেকে আহরণ করেছেন। এসব বর্ণনার সুত্রে কোন সন্দেহ জনক ব্যক্তি থাকার কল্পনা করাও অসম্ভব। যদি বলা হয় কিছু সুত্রে দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে।তবে জেনে রাখুন,তা ইমাম আবু হানিফা র. এর মৃত্যুর পরবর্তীতে কোন যুগে হয়েছে,আর আপনি এভাবে পেয়েছেন। এ কারণ ইমাম আবু হানিফা র. থেকে রাসুল সা. পর্যন্ত বিশুদ্ধ সুত্রের আক্রমন করা যাবে না। অনুরুপভাবে ইমাম আবু হানিফার অনুসারীগণও 'যয়ীফ হাদীস'দলীল হিসেবে গ্রহন করেননি। বরং সহীহ, হাসান ও একাধিক সুত্রে বর্ণিত যয়ীফ হাদীস যা হাসান পর্যায়ে পৌছে যায়, তা গ্রহন করে থাকেন। আর এ অবকাশ  তো সব মাযহাবেরই রয়েছে। অতএব হে আমার ভাই! আবু হানিফা ও তার সাথীবর্গের মাযহাবের প্রতি হঠকারীতা ও বিদ্ধেষ বর্জন কর এবং হানাফী বিদ্ধেষী মুর্খদের তাক্বলীদ (অনুসরণ)থেকে সতর্ক থাক। এদের অনুকরণে হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমাণকে দুর্বল বলা মানে দুনিয়া আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হওয়া। তাই এসব হঠকারীতা ও বিদ্ধেষ পরিত্যাগ করতঃ হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমান অন্বেষণ কর,তাহলে বুঝতে সক্ষম হবে যে, হানাফী মাযহাবই সর্বাপেক্ষা সহীহ মাযহাব।(আল-মিযানুল কুবরা পৃঃ১/২৩৭)</div></div>

হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমাণকে দুর্বল মনে করার পরিণাম

ইমাম সশা'রানী আশ শাফেয়ীর মতে হানাফী মাযহাবের দলিল প্রমাণকে দুর্বল বলা মানে দুনিয়া আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হওয়াঃ শাফেয়ী মাযহাব...

Read more »

কুরবানীর মাসায়েল

<p dir="ltr">কুরবানীর মাসায়েল<br> .<br> ණ মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া<br> .<br> কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব।<br> সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫<br> ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।<br> .<br> কার উপর কুরবানী ওয়াজিব<br> -------------------------<br> মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।<br> আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫<br> .<br> নেসাবের মেয়াদ<br> ---------------<br> মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২<br> .<br> কুরবানীর সময়<br> --------------<br> মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫<br> .<br> নাবালেগের কুরবানী<br> -------------------<br> মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬<br> .<br> মুসাফিরের জন্য কুরবানী<br> -----------------------<br> মাসআলা : ৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫<br> .<br> নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী<br> --------------------------<br> মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫<br> .<br> দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম<br> --------------------------<br> মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২<br> .<br> কুরবানী করতে না পারলে<br> -----------------------<br> মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫<br> .<br> প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে<br> ------------------------------<br> মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮<br> .<br> রাতে কুরবানী করা<br> -----------------<br> মাসআলা : ১০. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩<br> .<br> কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর যবাই করলে<br> ------------------------------<br> মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১<br> .<br> কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে<br> ----------------------------<br> মাসআলা : ১২. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫<br> .<br> নর ও মাদা পশুর কুরবানী<br> -----------------------<br> মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫<br> .<br> কুরবানীর পশুর বয়সসীমা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।<br> উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬<br> .<br> এক পশুতে শরীকের সংখ্যা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ১৫. একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮<br> .<br> সাত শরীকের কুরবানী<br> --------------------<br> মাসআলা : ১৬. সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানীই সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭<br> মাসআলা : ১৭. উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭<br> .<br> কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলে<br> -----------------------------<br> মাসআলা : ১৮. যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯<br> .<br> কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ<br> ----------------------------<br> মাসআলা : ১৯. কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।-তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২<br> মাসআলা : ২০. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।<br> মাসআলা : ২১. যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০<br> .<br> কুরবানীর উত্তম পশু<br> ------------------<br> মাসআলা : ২২. কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩<br> .<br> খোড়া পশুর কুরবানী<br> -------------------<br> মাসআলা : ২৩. যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭<br> .<br> রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী<br> -----------------------<br> মাসআলা : ২৪. এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪<br> .<br> দাঁত নেই এমন পশুর কুরবানী<br> --------------------------<br> মাসআলা : ২৫. যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আ লমগীরী ৫/২৯৮<br> .<br> যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে<br> ------------------------------<br> মাসআলা : ২৬. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে<br> মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭<br> .<br> কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী<br> ------------------------------<br> মাসআলা : ২৭. যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮<br> .<br> অন্ধ পশুর কুরবানী<br> -----------------<br> মাসআলা : ২৮. যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪<br> .<br> নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে<br> -------------------------------------<br> মাসআলা : ২৯. কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি আরেকটি কেনা হয় এবং পরে হারানোটিও পাওয়া যায় তাহলে কুরবানীদাতা গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) দুটি পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ধনী হলে কোনো একটি কুরবানী করলেই হবে। তবে দুটি কুরবানী করাই উত্তম। -সুনানে বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯, কাযীখান ৩/৩৪৭<br> .<br> গর্ভবতী পশুর কুরবানী<br> ---------------------<br> মাসআলা : ৩০. গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযীখান ৩/৩৫০<br> .<br> পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে<br> ----------------------------<br> মাসআলা : ৩১. কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫<br> .<br> পশুর বয়সের ব্যাপারে বিক্রেতার কথা<br> ---------------------------------<br> মাসআলা : ৩২. যদি বিক্রেতা কুরবানীর পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। -আহকামে ঈদুল আযহা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. ৫<br> .<br> বন্ধ্যা পশুর কুরবানী<br> ------------------<br> মাসআলা : ৩৩. বন্ধ্যা পশুর কুরবানী জায়েয। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫</p> <p dir="ltr">নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা<br> ----------------------------------<br> মাসআলা : ৩৪. কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। -মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪<br> .<br> জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে<br> --------------------------------<br> মাসআলা : ৩৫. অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪<br> .<br> কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া<br> -----------------------------------------<br> মাসআলা : ৩৬. কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০<br> .<br> কুরবানীর পশুর দুধ পান করা<br> --------------------------<br> মাসআলা : ৩৭. কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর<br> কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭,<br> রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১<br> .<br> কোনো শরীকের মৃত্যু ঘটলে<br> -------------------------<br> মা সআলা : ৩৮. কয়েকজন মিলে কুরবানী করার ক্ষেত্রে জবাইয়ের আগে কোনো শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার<br> স্থলে অন্যকে শরীক করা যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫১<br> .<br> কুরবানীর পশুর বাচ্চা হলে<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৩৯. কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।-কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩<br> .<br> মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪০. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েয। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানী হিসেবে গণ্য হবে। কুরবানীর স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানীর ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। -মুসনাদে আহমদ ১/১০৭, হাদীস ৮৪৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫২<br> .<br> কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪১. কুরবানীর গোশত তিনদিনেরও অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০<br> .<br> কুরবানীর গোশত বণ্টন<br> ----------------------<br> মাসআলা : ৪২. শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১<br> মাসআলা : ৪৩. কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০<br> .<br> গোশত, চর্বি বিক্রি করা<br> ---------------------<br> মাসআলা : ৪৪. কুরবানীর গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১<br> .<br> জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেওয়া<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারী দেওয়া যাবে।<br> .<br> জবাইয়ের অস্ত্র<br> -------------<br> মাসআলা : ৪৬. ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩<br> .<br> পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪৭. জবাইয়ের পর পশু<br> নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩<br> .<br> অন্য পশুর সামনে জবাই করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪৮. এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।<br> .<br> কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৪৯. কুরবানীর গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০<br> .<br> অন্য কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে চাইলে<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫০. অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।<br> .<br> কুরবানীর পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫১. কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মরে যায় আর কুরবানীদাতার উপর পূর্ব থেকে কুরবানী ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার জন্য আরেকটি পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯<br> .<br> পাগল পশুর কুরবানী<br> -------------------<br> মাসআলা : ৫২. পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যদি এমন পাগল হয় যে, ঘাস পানি দিলে খায় না এবং মাঠেও চরে না তাহলে সেটার কুরবানী জায়েয হবে না। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৫২<br> .<br> নিজের কুরবানীর গোশত খাওয়া<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৩. কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব। -সূরা হজ্ব ২৮, সহীহ মুসলিম ২২/১৫৯, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯০৭৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪<br> .<br> ঋণ করে কুরবানী করা<br> ---------------------<br> মাসআলা : ৫৪. কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণের টাকা দিয়ে কুরবানী করলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে না।<br> .<br> হাজীদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৫. যেসকল হাজী কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজী কুরবানীর কোনো দিন মুকীম থাকবে সামর্থ্যবান হলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানী করা জরুরি হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৬৬<br> .<br> নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৬. সামর্থ্যবান ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা.কে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানী দিতেন। -সুনানে আবু দাউদ ২/২৯, জামে তিরমিযী ১/২৭৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, মিশকাত ৩/৩০৯<br> .<br> কোন দিন কুরবানী করা উত্তম<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৭. ১০, ১১ ও ১২ এ তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬<br> .<br> খাসীকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৮. খাসিকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। -ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯৮, মাজমাউল আনহুর ৪/২২৪, ইলাউস সুনান ১৭/৪৫৩<br> .<br> জীবিত ব্যক্তির নামে কুরবানী<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৫৯. যেমনিভাবে মৃতের পক্ষ থেকে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা জায়েয তদ্রূপ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ইসালে সওয়াবের জন্য নফল কুরবানী করা জায়েয। এ কুরবানীর গোশত দাতা ও তার পরিবারও খেতে পারবে।<br> .<br> বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির কুরবানী অন্যত্রে করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬০. বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য নিজ দেশে বা অন্য কোথাও কুরবানী করা জায়েয।<br> .<br> কুরবানীদাতা ভিন্ন স্থানে থাকলে কখন জবাই করব<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬১. কুরবানীদাতা এক স্থানে আর কুরবানীর পশু ভিন্ন স্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়; বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করা যাবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮<br> .<br> কুরবানীর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬২. কুরবানীর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১<br> .<br> কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিয়ত<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৩. কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১, কাযীখান ৩/৩৫৪<br> .<br> কুরবানীর শেষ সময়ে মুকীম হলে<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৪. কুরবানীর সময়ের প্রথম দিকে মুসাফির থাকার পরে ৩য় দিন কুরবানীর সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না। অর্থাৎ সে কুরবানী না দিলে গুনাহগার হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯<br> .<br> কুরবানীর পশুতে ভিন্ন ইবাদতের নিয়তে শরীক হওয়া<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৫. এক কুরবানীর পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯<br> .<br> কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৬. ঈদুল আযহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। -জামে তিরমিযী ১/১২০, শরহুল মুনয়া ৫৬৬, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬, আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩<br> .<br> কুরবানীর পশুর হাড় বিক্রি<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৭. কুরবানীর মৌসুমে অনেক মহাজন কুরবানীর হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর কোনো কিছু এমনকিহাড্ডি ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১<br> .<br> রাতে কুরবানী করা<br> ------------------<br> মাসআলা : ৬৮. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে আলোস্বল্পতার দরুণ জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১০<br> .<br> কাজের লোককে কুরবানীর গোশত খাওয়ানো<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৬৯. কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।-আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলবাহরুর রায়েক ৮/৩২৬, ইমদাদুল মুফতীন<br> .<br> জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া<br> ------------------------<br> মাসআলা : ৭০. কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না। -কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫<br> .<br> মোরগ কুরবানী করা<br> -------------------<br> মাসআলা : ৭১. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০ <br> .</p>

কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর মাসায়েল . ණ মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া . কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব...

Read more »