পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত ! পর্ব -১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <h1 style="text-align: justify;"> <strong>পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত পর্ব -১</strong></h1> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTesUQK_7ZG8iARyCINTMetJ1nGAPj7hbIVml7XxCNzJtn4M-f2qCW389V2eUYVR-rJKxLWju_oxGrLj9NXJfezskc_wxUSYp48zeZs4Sub6zU2OrI_5QnsexqzI6wSleQpmUW38b6KM8/s1600/images+%252813%2529.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="315" data-original-width="600" height="168" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTesUQK_7ZG8iARyCINTMetJ1nGAPj7hbIVml7XxCNzJtn4M-f2qCW389V2eUYVR-rJKxLWju_oxGrLj9NXJfezskc_wxUSYp48zeZs4Sub6zU2OrI_5QnsexqzI6wSleQpmUW38b6KM8/s320-rw/images+%252813%2529.png" width="320" /></a></div> <div> <strong><br /></strong></div> <div style="text-align: justify;"> সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের উপর নামাজ ফরজ করে বড় একটি নিয়ামত দান করেছেন। লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম পেশ করছি ইমামুল আম্বিয়া, নবী মুহাম্মদ মুজতবা আহমদ মুস্তফার উপর যার মাধ্যমে আমরা নামাজ পেয়েছি এবং তার সাহাবীদের ও পরিবার পরিজনের উপর যারা নামাজের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <h2 style="text-align: justify;"> <strong>নামাজের ফজিলত- </strong>অতীতের ইসলামী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মুসলমানরা তাদের আধ্যাত্বিকতার বলে ইহুদী, খ্রিষ্টান ও বেদ্বীনদের উপর রাজত্ব করেছিল। সে সময় ইহুদী, খ্রিষ্টান ও বেদ্বীনরা মুসসমানের সামনে কখনো দাঁড়াতে পারেনি।</h2> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div style="text-align: justify;"> কিন্তু বর্তমানে মুসলমানরা তাদের আধ্যাত্বিকতা তথা রুহানী শক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে , তাদের অন্তরকে শয়তানের সিংহাসন বানিয়ে ফেলেছে।এখন শয়তান তাদেরকে যেদিকে নির্দেশনা দিচ্ছে, মুসলমানরা তাই অনুসরণ করছে।</div> <div style="text-align: justify;"> শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে চায় কিভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করা যায়,কিভাবে ঈমান দুর্বল করে মুসলমানদের সর্বশ্রেষ্ট খোদা প্রদত্ত নিয়ামত নামাজ থেকে বিরত রাখা যায়। সে কিন্তু তার অভিযানে কামিয়াব হয়ে গেছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_41961" src="https://www.youtube.com/embed/wSY-Do4M-jY?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /></div> <div class="row"> <div class="right_title"> <h4 class="title mb10" style="text-align: justify;"> <a href="https://www.prothomalo.com/opinion/article/780541" rel="noopener" target="_blank"><strong><span style="font-size: large;">পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজের ফজিলত</span></strong></a></h4> </div> </div> <h3 style="text-align: justify;"> <strong>নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী</strong></h3> <div style="text-align: justify;"> বর্তমানে গোটা বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তারা আল্লাহর আদেশ ভুলে গিয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণে লিপ্ত । তাদের অন্তর থেকে খোদা ভীতি উঠে গেছে ।</div> <div style="text-align: justify;"> কারণ তারা তো সর্বাদাই শয়তানের আদেশ পালনের ব্রতে লিপ্ত। বর্তমানে গোটা বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। অথচ কুরআনে পাকে রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-</div> <hr style="text-align: justify;" /> <div style="text-align: justify;"> <strong>فويل للمصلين (٤) الذين هم عن صلاتهم ساهون (٥)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ সুতরাং ওই নামাজীদের জন্য দুর্ভোগ রয়েছে , যারা আপন নামাজকে ভুলে বসেছে । ( সুরা মাউন – ৪,৫)</div> <hr style="text-align: justify;" /> <h3 style="text-align: justify;"> <strong>নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী</strong></h3> <div style="text-align: justify;"> অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-</div> <hr style="text-align: justify;" /> <div style="text-align: justify;"> <strong>وما خلقت الجن والانس الا ليعبدون ( الذاريات ٥٦)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ নিশ্চয় আমি জ্বীন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।(সুরা যারিয়াত -৫৬ ) । আর আল্লাহর দরবারে সর্বশ্রেষ্ট ইবাদত হচ্ছে তার বান্দারা তার কাছে মাথা নত করা ।</div> <hr style="text-align: justify;" /> <h3 style="text-align: justify;"> <strong>নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বানী</strong></h3> <div style="text-align: justify;"> কুরআনে পাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রত্যক্ষভাবে ৮২বার ও পরোক্ষভাবে ৩০০ বারের ও বেশী নামাযের ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। সাথে সাথে আল্লাহর হাবীব রাসুলে কারীম (ﷺ) ও হাদিসে পাকে ব্যাপকভাবে তাগিদ দিয়েছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> কুরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন –</div> <hr style="text-align: justify;" /> <div style="text-align: justify;"> <strong>١. ان الصلواة كانت على المؤمنين كتبا موقوتا ) النساء ١٠٣ )</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ নামায মুমিনের উপর ওয়াক্ত মুতাবিক ফরজ করা হয়েছে। (সুরা নিসা – ১০৩)</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٢. ان الصلواة تنهى عن الفحشاء والمنكر (سورة العنكبوت ٤٥)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ নিশ্চয় সালাত মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে ( সুরা আনকাবুত – ৪৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٣. حافظوا على الصلوات والصلواة الوسطى وقوموالله قنتين (سورة البقرة ٢٣٨)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ তোমরা নামাযকে হেফাজত কর বিশেষ করে মধ্যবর্তীর নামাজ তথা আছরের নামায এবং আল্লাহর জন্য একনিষ্টতার মাধ্যমে দাঁড়িয়ে যাও। ( সুরা বাকারা- ২৩৮ )</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٤. فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلاة واتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا الامن تاب وامن وعمل صلحا فاولئك يدخلون الجنة ولا يظلمون شيا-</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ অতঃপর তাদের পরে এমন কতগুলো বান্দা হবে যারা নামাজকে বরবাদ করবে এবং কুপ্রবিত্তির তথা মনগড়া চলবে। অতিশ্রীঘ্রই তাদেরকে ‘গাই’ নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (গাই এমন এক জাহান্নাম যার আজাব থেকে অন্য জাহান্নামীরা রেহাই চাইবে) হ্যাঁ, যারা তওবা করে ঈমান আনবে এবং পূণ্যের কাজ করবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদেরকে সামান্যতম ও জুলুম করা হবে না।</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٥. يوم يكشف عن ساق ويدعون الى السجود فلا يستطيعون خاشعة ابصرهم ترهقهم ذلة وقد كانوا يدعون الى السخود وهم سلمون- (سورة القلم ٤٢،٤٣)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ স্মরণ কর গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা, সেদিন তাদেরকে সিজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, তারা লাঞ্ছনাগ্রস্ত হবে,এবং নিশ্চয় তাদেরকে দুনিয়ায় সিজদা করতে আহবান করা হতো , তারা যখন সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল ।( সুরা আল কলম -৪২,৪৩)</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ দুনিয়াতে সুস্থ থাকা সত্বেও যারা নামাজ আদায় করেনি, তাদেরকে কিয়ামতের দিন সিজদা দেওয়ার জন্য আহবান করা হলে ও তারা সেদিন সিজদা দিতে সক্ষম হবে না।</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٦. وامر اهلك بالصلوة واصطبر عليها- (سورة طه١٣٢)</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ এবং আপন পরিবারবর্গকে নামাজের আদেশ দাও এবং নিজেও সেটার উপর অবিচল থাকো।( সুরা ত্বোয়া – হা -১৩২) ।</div> <div style="text-align: justify;"> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_27789" src="https://www.youtube.com/embed/R_cUis1JjEE?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /></div> <hr style="text-align: justify;" /> <h3 style="text-align: justify;"> <strong>◀নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী ▶</strong></h3> <div style="text-align: justify;"> <strong>١. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الصلوات الخمس والجمعة الى الجمعة ورمضان الى رمضان مكفرات لما بيهن اذا اختنبت الكبائر ( مسلم )</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং এক জুমা থেকে অপর জুমা, এক রমজান শরীফ থেকে অপর রমজানের মধ্যখানে যত ছোট গুনাহ হবে সব কাফফারা তথা মুছন হয়ে যাবে, যদি বড় গুনাহ থেকে বেচেঁ থাকে।(মুসলিম শরীফ)</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٢. عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ارايتم لواننهرا بباب احد كم يغتسل فيه كل يوم خمسا هل يبقى من درنه شى قالوا لا يبقى من درنه شى قال فذالك مشل الصلوات الخمس يمحوالله بهن الخطايا ( بخارى- مسلم )</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কি ধারনা? একজন মানুষের ঘরের পাশে একটা নদী আছে, ঐ ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ঐ নদীতে পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে ? সাহাবারা উত্তর দেয় তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। রাসুলে পাক (ﷺ)বলেন, তেমনি ভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীর গুনাহ ও মুছে দেয়। (বুখারী ও মুসলিম)</div> <h4 style="text-align: justify;"> <strong>নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে পাকের বাণী</strong></h4> <div style="text-align: justify;"> <strong>٣. عن عبد الله بن عمر وبن العاص عن النبى (ﷺ) ان ذكر الصلوات يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة يوم القيامة ولم يحا فظ عليها لم تكن له نوراولابرهانا ولانجاة وكان يوم القيامة مع قارون و فرعون و هامان وابى بن خلف ( احمد- دارمى- طبرانى )</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলে পাক (ﷺ) একদিন নামাজের আলোচনা করছিলেন এবং বলেন, যে নামাজকে হেফাজত করবে কিয়ামতের ময়দানে তার জন্য ঐ নামাজ নুর,দলিল এবং নাজাত হবে। অপর দিকে যে নামাজকে হেফাজত করবে না তথা নামাজ ছেড়ে দিবে কিয়ামতের ময়দানে নামাজ তার জন্য নুর, দলিল এবং নাজাত হবে না। বরং কুখ্যাত কাফির কারূন,ফেরআউন,হামান ও উবাই ইবনে খলফের সাথে তাদের হাশর হবে। ( আহমদ, দারেমী, তাবরানী )</div> <div style="text-align: justify;"> <strong>٤. عن ابى ذران النبى (ﷺ) خرج زمن الشتاء والورق يتهافت فاخذ بغصنهن من شخوة قال فجعل ذالك الورق يتهافت قال فقال يااباذر قلت لبيك يا رسول الله قال ان العبد المسم ليصلى الصلوة يريد بها وجه الله فتها فت عنه ذنوبه كما تهافت هذا الورق عن هذه الشجرة ( احمد-مشكوة )</strong></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থঃ হযরত আবু যর গিফারী(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদিন রাসুলে কারীম (ﷺ) শীতকালে বের হলেন এবং গাছের পাতা ঝড়ছিল, রাসুলে কারীম (ﷺ) একটি ডাল ধরলেন এবং নাড়া দিতেই গাছের পাতা ঝড়তে লাগল। অতঃপর বললেন হে, আবু যর, আমি লাব্বায়েক ইয়া রাসুলাল্লাহ বলে সাড়া দিলাম, রাসুল (ﷺ) বললেন,যে মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনার্থে নামাজ পড়ে এভাবে তার গুনাহ ঝড়তে থাকে। যেমনি ভাবে গাছের পাতা ঝড়ছে। (আহমদ,মিশকাত)</div> <div style="text-align: justify;"> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_97802" src="https://www.youtube.com/embed/EscD4LYfiSY?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /></div> <h3 style="text-align: justify;"> </h3> </div>

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত ও হাকীক্বত ! পর্ব -১

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত পর্ব -১ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদের উপর নামাজ ফরজ করে বড় একটি নিয়ামত দান করেছেন। লক্ষ কোটি দরুদ...

Read more »

নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত (ভিডিও সহ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <h1 style="text-align: center;"> <strong>নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত</strong></h1> <div style="text-align: center;"> <strong>কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী</strong></div> <div style="text-align: center;"> <strong>(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম )</strong></div> <div style="text-align: center;"> <strong><br /></strong></div> <div style="text-align: center;"> <strong><br /></strong></div> সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আপন হাবীব (দ:) এর মুহাব্বতকে আপন বান্দাদের উপর আবশ্যক করেছেন এবং লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম তার প্রিয় রাসূলের উপর , যিনি কিয়ামতের দিবসে শাফায়াত করবেন তার আশিকদের জন্য এবং সালাত ও সালাম তার পরিবার , আসহাবদের উপর যারা নবীয়ে পাককে আপন জান থেকেও প্রিয় জানতেন আমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তার হাবীব (দ:) এর উম্মতের দাবিদার এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই।<br /> কিন্তু কিছু কিছু উম্মতের দাবীদার (যারা উম্মত নামের কলঙ্ক) তারা হাবীবে দুজাহানের প্রতি ভালবাসা , শ্রদ্ধা নিবেদন করাকে শিরিক মনে করে।যেমন, দাঁড়িয়ে নবীকে সালাম প্রদান করা, রাসূলে পাক (দ:) নাম শুনার পর মুহব্বতে বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মুখে মালিশ করা, রাসূলকে নূরের সৃষ্টি মানা, রাসূলকে এলমে গায়েবের অধিকারী মানা ইত্যাদি।<br /> তাই আমি অধম আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহ:) সুপ্রসিদ্ধ কিতাব منير العين فى حكم تقبيل الابهامين (মুনিরুল আইন ফী হুকমি তাক্ববিলুল ইবহামাইন) এবং মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁ নঈমী (রহ:) এর সুপ্রসিদ্ধ কিতাব جا الحق وزهق الباطل ( জা’আল হ্বক ওযাহাকাল বাতিল) ও অন্যান্য কিতাব সমূহ পড়ে মনস্থ করলাম যে, রাসূলে পাক(দ) এর নাম মোবারক আজানে শুনার পর দরূদ শরীফ পড়তঃ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ফজিলত দুনিয়া ও আখিরাতে কি রকম ?<br /> <br /> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_36403" src="https://www.youtube.com/embed/4WQCwO3GLko?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /> <div class="wHToNgQr"> <a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tenmm.myproject" rel="noopener" target="_blank"><img alt="" class="alignnone lazyloaded" data-lazy-src="https://www.bbcnews24.com.bd/en/wp-content/uploads/2019/05/10-Minute-Madrasah-Bannar-Ads-New.gif" data-was-processed="true" height="73" loading="lazy" src="https://www.bbcnews24.com.bd/en/wp-content/uploads/2019/05/10-Minute-Madrasah-Bannar-Ads-New.gif" width="640" /></a></div> <br /> এ বিষয়টি সাধারণ জনতার মাঝে বই আকারে দিতে পারলে সরল প্রাণ মুসলিম জনতা ও আমি নিজেও উপকৃত হব।সাথে সাথে এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে রাসূলে পাক(দ) এর নূরানী কদমে উৎসর্গ করলাম।হতে পারে এই বইয়ের দরূণ বহু বিভ্রান্ত জনতা হকের দিশা পাবে এবং হতে পারে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নাজাতের উছিলা হবে।<br /> আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রাসূলে পাক (দ) এর গোলাম হিসেবে কবুল এবং মন্জুর করুক ।আমিন।<br /> আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে এরশাদ করেন-<br /> <hr /> <h3> <strong>🔳اليوم نختم على أفواههم وتكلمناايديهم وتشهدارجلهم بماكانوايكسبون(سوره يس٦٥)</strong><br /><strong>🔳 অর্থ:-আজ (কিয়ামতের দিবসে) আমি তাদের মুখে তালা মেরে দেব এবং তাদের হাত কথা বলবে, তাদের পা সাক্ষ্য দেবে দুনিয়ার মধ্যে তারা যা অর্জন করেছিল।(সূরা ইয়াছিন-৬৫)</strong></h3> <hr /> উপরোক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় কিয়ামতের ময়দানে মানুষের হাত, পা কথা বলবে এবং তারা হাত, পা কে কোন কাজে ব্যবহার করেছিল, পক্ষে ও বিপক্ষে তথা পূণ্য করেছিল না গুনাহের কাজ করেছিল তা আল্লাহর সামনে বলে দিবে।<br /> আর যে উম্মত রাসুলে পাক(দঃ) এর নাম শুনে মহব্বতে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে অবশ্যই কিয়ামতের ময়দানে সেই আঙ্গুল ও সাক্ষ্য দেবে, হয়ত এটাই নাজাত তথা মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে ।<br /> কারণ মানুষ তার ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে জান্নাত পাবে এর কোন সিউরিটি নেই বরং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার দয়ার মাধ্যমেই জান্নাত পাওয়া যায়। আর কাজটি যেহেতু তার হাবীব (দঃ) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।সেহেতু আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপন হাবীবের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার গুনাহগার উম্মতের উপর রহমত ও দয়া করতে পারেন।<br /> যা আমাদের বিশ্বাস যাতে কোনো সন্দেহ নাই। তা ছাড়া রাসুলে পাক (দঃ) এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা যে মুস্তাহাব তার অসংখ্য দলিল ও প্রমাণাদি রয়েছে। অথচ অনেকে রাসুলের এই মহব্বতের কাজটাকে নাজায়েজ বলে । অথচ তারা জানে না যে, একটা কাজ নাজায়েজ বলার জন্য অকাট্য প্রমাণের প্রয়োজন হয়।<br /> <hr /> <h3> <strong>আরো পড়ুন</strong></h3> <h3> <strong><a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%b0/">সাদাকাতুল ফিতর কী এবং সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ : কিছু কথা (ভিডিও সহ)</a></strong></h3> <h3> <strong><a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be/">ইতিকাফের বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল জেনে নিন ( ভিডিও সহ )</a></strong></h3> <h3> <strong><a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8/">রূহের  অবস্থান-  কিতাবুর রূহ্  এর বর্ণনা</a></strong></h3> <h3> <strong><a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b2/">রোজার মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে নিন</a></strong></h3> <h3> <strong><a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a6%b0/">চল্লিশ হাদিস মুখস্ত করার ফযিলত পর্ব-২</a></strong></h3> <hr /> <h3>  </h3> আর এই কাজটি নাজায়েজ হওয়ার পক্ষে শরীয়তের কোন দলিল নাই।আর এমন একটি ভালো বা পূণ্যের কাজে কেউ যদি বাধা দেয় ধরে নিতে হবে তার অন্তরে হাবীবে খোদার প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে।বুঝে নিতে হবে সে রাসুলে পাকের শান ও মান সহ্য করতে পারেনা।<br /> কুরআনের ভাষায় তাদের অন্তরে বক্রতা , কপটতা , নিপাকতি রয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাব যারা না বুঝে এরকম ভালো কাজে মানুষকে বাধা দেয় আল্লাহ যেন তাদের বুঝার তাওফিক দান করেন।(আমিন)<br /> রাসুলে পাক(দঃ) এর নাম শুনে আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মাসেহ করা মুস্তাহাব তথা পুন্যের কাজ। রাসুলে পাক(দঃ) হাদীসে পাকে ইরশাদ করেন –<br /> <hr /> <h2> <div style="text-align: center;"> انما الاعمال بالنيات. 🔳</div> <div style="text-align: center;"> অর্থ:- সমস্ত কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল । (বুখারী শরীফ)।</div> </h2> <hr /> সুতরাং এই হাদীস থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে নিয়ত যদি ভালো হয় তাহলে আমলের উপর সাওয়াব পাওয়া যায়।আর নিয়ত খারাপ হলে আমলই গ্রহণযোগ্য হবেনা।এ থেকেই বুঝা যায় রাসুলে পাক(দঃ) নামে চুমু খেয়ে আঙ্গুলদ্বয় চোখে মালিশ করা এটা রাসুলের প্রতি মহব্বতের বহিঃপ্রকাশ যা পূণ্যোর কাজ।সুতরাং এটি নাজায়েজ বা বিদায়াত হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।<br /> বরং যারা এ কাজকে নাজায়েজ ও বিদায়াত বলে মানুষকে রাসুলে পাক সরওয়ারে কায়েনাত ,ইমামুল আম্বীয়ার মহব্বত থেকে বিরত রাখছে বুঝে নিতে হবে তাদের নিয়তে গরমিল রয়েছে বরং তা নবী বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।বরং যারা না বুঝে নবীর মহব্বত থেকে তার আশেকদের বিরত রেখে তারা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে।<br /> এছাড়া ও রাসুলের উম্মতের কিছু হাক্কানী আলেমগণ মিলে যখন কোন বিষয়ের উপর ঐক্যমত পোষন করে যে কাজটি ভালো।তখন কাজটির বিরোধীতা করা ও হারাম।<br /> রাসুলে পাক (দঃ) এর নাম শুনে মহব্বতে যারা আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে তাদের প্রতি রাসুলে পাক(দঃ) এর শুভ সংবাদ-<br /> <hr /> <h3> <div style="text-align: center;"> <strong>🔳روى عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال من سمع اسمى فى الاذان ووضع ابهامين على عينيه فانا طالبه فى صفوف القيامة وقئده الى الخنة (صلوة مسعودى ٢)</strong></div> <strong><div style="text-align: center;"> <strong>অর্থ:- রাসুল (দঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে উম্মত আজানে আমার নাম শুনবে অতঃপর আঙ্গুলদ্বয় চোখের মধ্যে রাখবে আমি তাকে কিয়ামতের কাতার থেকে তালাশ করে জান্নাতে নিয়ে যাব। (সালাতে মাসউদি ২য় খন্ড)</strong></div> </strong></h3> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_21625" src="https://www.youtube.com/embed/cDUNgQ6VUks?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /> <hr /> <br /> <hr /> <h4> <div style="text-align: center;"> <strong>قال السخاوى ذكره الدلمى فى الفردوس من حديث ابى بكر الصديق رضى الله عنه انه لما سمع قول المؤذن اشهد ان محمد الرسول الله قال مذا يعنى صلى الله عليك يا رسول الله وقرة عينى بك يا رسول الله وقبل باطن الانملتين السبابتين ومسح عينيه فقال صلى الله عليه وسلم من فعل مشل ما فعل حليلى فقد حلت له شفاعتى ولم يصح (مقاصد الحسنة فى الاحاديث الدائرة على السنة)</strong></div> <strong><div style="text-align: center;"> <strong>ইমাম ছাখাবী(রঃ)বলেন:- আল ফেরদৌস নামক কিতাবে ইমাম দায়লমী(রঃ) উল্লেখ করেন , হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রঃ) এর হাদিস থেকে । ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ) যখন মুয়াজ্জিন থেকে আজানে রাসুল (দঃ) এর নাম শুনলেন প্রথম বারে “সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” এবং দ্বিতীয় বারে “কুররাতু আইনি বিকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আপন আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলেন। রাসুল(দঃ) এটা দেখে খুশি হয়ে বলেন , আমার বন্ধু যে কাজটা করেছে এই কাজ আমার উম্মতের মধ্যে যারাই করবে কিয়ামতের দিবসে তার জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে যাবে। হাদিসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে সহীহ হওয়ার শর্তগুলো পাওয়া যায় নাই। ( মাকাছেদে হাসনা)</strong></div> </strong></h4> <hr /> <strong>উল্লেখ্য যে, হাদিসটির শেষ অংশ দেখে অনেকে বলে থাকে হাদিসটি সহীহ নয়, বিদায় আমল করা যাবে না। মূলত এগুলো বলে তারা প্রমাণ করে যে তাদের কাছে উসুলে হাদিসের জ্ঞান নেই ।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তাদেরকে উসুলে হাদিস বুঝার জ্ঞান দান করুক। আমিন।</strong><br /> <strong>🔳 অথচ حديث صحيح এর পরে হাদিসের বহু স্তর রয়েছে, তারপর حديث ضعيف তথা দূর্বল হাদিস।যেমন- صحيح لغيره ،حسن لغيره، حسن لذاته তারপর ضعيف হাদিস।</strong><br /> ইমাম মুহাম্মদ বিন আমীরুল হাজ্ব হালবী (রঃ) এর কিতাব حلية شرح منية (হুলিয়া শরহে মুনিয়া) তে উল্লেখ করেন-<br /> <hr /> <br /> <div style="text-align: center;"> 🔲 قول الترمذى لا يصح عن النبى ﷺ فى،مذاالباب شئ انتهى لا ينفى وجود الحسن ونحوه والمطلوب لا يتوقف ثبوته على الصحيح بل كما يثبت به يثبت بالحسن ايضا.</div> <div style="text-align: center;"> অর্থাৎ ইমাম তিরমিযীর কথা এটা নবী (ﷺ) থেকে ছহীহের শর্তে আসেনি। উনার কথা “ছহীহ নয়” দ্বারা হাদিসের অপর প্রকার “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করে না। অর্থাৎ সহীহ না হলে হাসান হতে পারে।প্রত্যেকটা মকসুদ হাদিসে সহীহের উপর নির্ভর নয়।বরং হাসান থেকেও হতে পারে।যা কিছু সহীহ দ্বারা প্রমাণ হয় তা “হাসান”দ্বারা ও প্রমাণ হতে পারে।</div> <br /> <hr /> <strong>বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উসুলবিদ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রঃ) বলেন-</strong><br /> <hr /> <strong>قول احمد انه حديث لايصح اى لذاته فلا ينفى كونه محسن لغيره والحسن لغيره يحتج به كما بين فى الحديث</strong><br /><strong>অর্থাৎ এই হাদিসকে ইমাম আহমদ(রঃ) “ছহীহ নয় ” বলেছেন , এর ব্যাখ্যাতে আল্লামা ইবনে হাজর (রঃ) বলেন “ছহীহ নয় “অর্থ হল লিজাতিহী নয় , আর এই কথাটি দ্বারা “হাসান লিগাইরিহি” হওয়াকে নিষেধ করেনা।” হাদিসে ছহীহ দ্বারা যা প্রমাণিত হয় “হাদিসে হাসান দ্বারা ও তা প্রমাণিত হতে পারে।</strong><br /> <hr /> <h3> <strong>🔲 বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী (রঃ) বলেন-</strong></h3> <hr /> <h3> <strong>من نفى الصحة لا ينتفى الحسن</strong><br />অর্থাৎ “ছহীহ নয়” দ্বারা “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করেনা।</h3> <hr /> <h4> <strong>🔲 বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত মুফতি মোল্লা আলী ক্বারী(রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব موضوعات كبير (মাউদোয়াতে কবির) এ উল্লেখ করেন-</strong></h4> <hr /> <h3> <strong>لايصح لا ينافى الحسن</strong><br /><strong>অর্থাৎ সহীহ নয় কথাটি হাসান হওয়াকে বারণ করেনা।</strong></h3> <hr /> <strong>🔲 আল্লামা নুরুদ্দীন আলী ছামহুদী(রঃ) তার কিতাব-</strong><br /> <strong>جواهر العقدين فى فضل الشريفين.(জাওয়াহিরূল আক্বদাইন ফী ফদলিশ শরীফাইন) নামক কিতাবে উল্লেখ করেন-</strong><br /> <hr /> <h3> <strong>قديكون غير صحيح وهم صالح للاحتجاج به اذاالحسن رتبة بين الصحيح والضعيف</strong><br />অর্থাৎ কখনো কখনো সহীহ ছাড়াও প্রমাণ দেওয়া যায় । কেননা “হাদিসে হাসান” হলো সহীহ ও দূর্বলের মধ্যখানে।</h3> <hr /> <strong>🔲 ইমাম কামাল উদ্দীন ইবনে হুমাম (রঃ) বলেন-</strong><br /> <hr /> <strong>وقول من يقول فى حديث انه لم يصح ان سلم لم يقدح لان الحجية لا تتوقف على الصحة بل الحسن كاف</strong><br />অর্থাৎ কেউ যদি কোন হাদিসের ব্যাপারে “সহীহ নয়” বলে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, দলিলের জন্য ” সহীহ ” হওয়ার উপর নির্ভর নয়। বরং,হাদিসে ” হাসান” যথেষ্ট।<br />উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল , কেউ যদি হাদিসটা” সহীহ ” নয় বলে তখন ও ঐ হাদিস দ্বারা দলিল দেওয়ার মধ্যে কোন আপত্তি নেই।<br /> <hr /> <strong>এই ব্যাপারে মোল্লা আলী ক্বারী (রঃ) তার কিতাব (موضوعات كبير ) এ উল্লেখ করেন –</strong><br /> <hr /> <h3> <strong>قلت واذاثبت رفعه الى الصديق رضى الله عنه فيكفى للعمل به لقوله عليه الصلاة والسلام عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين</strong><br />অর্থাৎ আমি (মোল্লা আলী) বলছি , যদি হাদিসটা হযরত ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ) পর্যন্ত পৌছে , আমল করার জন্য এটাই যথেষ্ট। কেননা রাসুলে কারীম (ﷺ) এরশাদ করেন তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত কে আকড়ে ধরা।</h3> <hr /> <strong>ফোকাহায়ে কিরামের অভিমতঃ</strong><br /><strong>ردالمحتار على در المختار (রদ্দুল মুখতার আলা দুরলিল মুখতার) তথা فتاوى شامى তে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রঃ) باب الاذان (বাবুল আযান) এ এবং شرح نقاية ( শরহে নিকায়া) তে উল্লেখ করেন –</strong><br /> <hr /> <h3> <strong>🔲 يسنتحت ان يقال عند سماع الاولى من الشهادة صلى الله عليك يارسول الله وعند الثانية منها قرة عينى بك يا رسول الله ثم يقول اللهم متعنى بااسمع والبصر بعد وضع ظفرى الابهامين على العنين فانه عليه الصلاة والسلام يكون قائداله الى الجنة</strong><br />অর্থাৎ মুয়াজ্জিন যখন আযানে রাসুলে আকরামের(ﷺ) নামে সাক্ষ্য দিবে তখন প্রথম বারে ” সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রেখে দোয়া করা ” আল্লাহুম্মা মাত্তিনি বিসসাময়ী ওয়াল বসরি ” বলা মুস্তাহাব।<br />একই ধরনের হাদিস সহীহ সূত্রে ইমাম তাহতাবী তার “মারাকিল ফালাহ” কিতাবে নকল করে বলেন , আমলের জন্য এটাই যথেষ্ট।</h3> <hr /> <strong>আরিফ বিল্লাহ ফজলুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন আইয়ুব সোহরাওর্য়াদী (রঃ) এবং তার ছাত্র ইমাম ইউসুফ বিন ওমর (রঃ) جامع المضمر ات شرح قدرى বা فتاوى صوفية (ফতোয়া-এ- সূফিয়াতে),ইমাম কুহাস্তানী كنزالعباد (কানজুল ইবাদ),ইমাম দাইলমী كتاب الفردوس ( কিতাবুল ফেরদৌস ), এবং ইমাম রমলী البحر الرائق ( বাহরূর রায়েক)এর হাশিয়াতে নকল করেন ,</strong><br /> <hr /> <strong>من قبل ظفرى ابهاميه عند سماع اشهدان محمداً الرسول الله فى الاذان انا قئدومدخله فى صفوف الجنة</strong><br />রাসুলে পাক (ﷺ)বলেন , যে উম্মত আযানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, আমি তাকে তালাশ করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব।<br /> <hr /> মাওলানা জামাল ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ওমর মক্কি তার ফতোয়ার কিতাবে উল্লেখ করেন –<br /> <hr /> <strong>تقبيل الابهامين ووضع هما على العنين عند ذكراسمه عليه السلام فى الاذان جائربل مستحب صرح به مشائخنا</strong><br />অর্থাৎ আযানে নবীর (ﷺ) নাম শুনার পর আঙ্গুলদ্বয়কে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রাখা জায়েজ বরং মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে আমাদের ইমামগণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।<br /> <hr /> ইমাম ত্বাউছি (রঃ) বর্ণনা করেন-<br /> <hr /> <strong>انه سمع من الشمس محمد بن ابى نصر البخرى هذا الحديث من قبل عند سماعه من الموذن كاملة الشهادة طفرى ابهاميه ومسهما على عينيه وقال عندالمس اللهم احفظ حدقتى ونورهما ببركة حدقتى محمد صلى الله عليه وسلم ونورهما لم يرمد</strong><br />অর্থাৎ ইমাম ত্বাউছি বিখ্যাত মুহাদ্দিস আশশামস মুহাম্মদ বিন আবি নছর আল বুখারী (রঃ) তথেকে এই হাদিস খানা বর্ণনা করেন, যে উম্মত মুয়াজ্জিনের আযানে নবী (ﷺ) ‘র নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে এই দোয়াটি পড়বে “আল্লাহুম্মা ইহফাজ হাদকাতাইয়া ওয়া নুরাহুমা বিবরকতে হাদকাতাই মুহাম্মদী (ﷺ)ওয়া নুরিহিমা ” তার চোখ কখনো দৃষ্টি হারা হবে না।<br /> <hr /> ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর সুফী(রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব<br />(موجبات الرحمة وعزائم المغفرة) (মওজিবাতুর রাহমাহ ওয়া আজাইমুল মাগফিরা) তে উল্লেখ করেন হযরত খিজির (আঃ)থেকে মধ্যখানে সূত্র মাজাহিল ও মুনকাতি রয়েছে। অতঃপর বর্ণনা করেছেন<br /> <hr /> <strong>عن الخضر عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد عبد الله صلى الله عليه وسلم ثم يقبل ابهاميه ويجعلها على عينيه لم يرمد ابدا (مقاصد حسنه)</strong><br />হযরত খিজির (আঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , যে ব্যক্তি আজানে নবীর নাম শুনে ” মারহাবান বিহাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহ ” (ﷺ) বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে রাখে ,তার দৃষ্টি শক্তি কখনো নষ্ট হবেনা। উল্লেখ্য হাদিসখানা বর্ণনার ক্ষেত্রে দূর্বল হলেও আমলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।<br /> <hr /> মদিনা শরীফের ইমাম ও খতিব আল্লামা আশশামস মুহাম্মদ বিন ছালেহ মাদানী (রঃ) তার “তারীখে” নকল করেন মিশরে বড় আলেমদের একজন আল্লামা মজদ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন –<br /> <hr /> <strong>من صلى على النبى صلى الله عليه وسلم اذا سمع ذكره فى الاذان وجمع اصبعيه المسجة والابهام وقبالها رمسح بهما عينيه لم يرمد ابدا</strong><br />অর্থাৎ যে আজানে নবীর নাম শুনে দরূদ শরীফ পড়ে, বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুল একত্রিত করে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, তার চোখের দৃষ্টি যাবে না বরং নিরাপদ থাকবে।<br /> <hr /> আল্লামা মুহাম্মদ ইবনুল বাবা (রঃ)তার নিজের ঘটনা বর্ণনা করেন<br /> <hr /> <strong>انه هبت ريح فو قعت منه حصاة فى عينيه وعياه خروجها والمته اشهد الا لم وانه لما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قال ذلك فخرجت الحصاة من فوره قال الرداد رحمه الله وهذا يسير فى جنب فضائل الرسول صلى ا لله عليه وسلم</strong><br /> অর্থাৎ একদিন ব্যাপকভাবে বাতাস হয়ে একটি কংকর আমার চোখে ঢুকে পড়ে, বের করা কষ্টকর হয়ে যায়।ব্যাথা ও অসহ্য হয়ে যায়,আর যখন মুয়াজ্জিন আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) নামে শাহদাতের কালিমা বলছিল আমি এই কাজটি করলাম অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে মালিশ করলাম সাথে সাথে কংকর টি বের হয়ে যায়।<br /> <hr /> ইমাম রদাদ (রঃ) বলেন এটা একটা রাসুল (ﷺ)এর ফজায়েল ও মুজিজা।ইরাক আজমের কিছু আলেম সমাজ বলেন<br />منذ فعلته لم ترمد عينى যে দিন থেকে এই কাজটা করলাম চোখের কোন অসুস্থতা দেখা যায়নি।<br /> <hr /> <strong>قال ابن صالح وانا والله الحمد والشكر منذ سمعته منها استعملته فلم ترمد عينى وارجوان عافيتها تدوم وانى اسلم من العمى انشاء الله تعالى (مقاصد حسنه )</strong><br />ইবনে সালেহ বলেন, আল্লাহর প্রসংশা ও শুকর,যে দিন থেকে আমি আজানে রাসুলে পাকের নাম শুনার পর আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করছি, সে দিন থেকে ও আমার চোখে কোন রোগ হয়নি এবং আশা রাখি অন্ধ হওয়া থেকে নিরাপদ থাকব ইনশাআল্লাহ।<br /><strong>روى عن الفقيه محمد بن سعيد الخولانى قال اخبرنى الفقيه العلم ابوالحسن على بن محمد بن جديد الحسينى اخبرني الفقيه الزاهد البلالى عن الحسن عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم ويقبل ابهاميه ويجعلهما على عينيه لم يعم ولم يرمد (مقاصد حسنه)</strong><br />অর্থাৎ ফকিহ মুহাম্মদ বিন সাঈদ খাওলানী বলেন, আমাকে ফকিহুল আলম আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ বিন হাদিদ আল হুসাইনী বলেছেন, আমাকে ফকিহ আজ জাহিদুল বিলালী হযরত ইমাম হাসান ্(রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে ” মারহাবান বি হাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ ও অসুস্থ হবেনা।<br /> <hr /> আল্লামা মুহাদ্দিস তাহের পটনি (রঃ) তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব مجمع بحار الانوار এর মধ্যে উল্লেখিত হাদিসকে সহীহ নয় বলে উল্লেখ করেন<br /><strong>وروى تجربة عن كثير</strong><br /><strong>অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে ফায়দা পেয়েছেন,তা অনেকের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত।</strong><br /> আল্লামা সদরুল আফাজিল নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী (রঃ) বলেন , ইন্জিল কিতাবের বড় একটা পান্ডুলিপি আমার কাছে আছে যার নাম انجيل بر نباس (ইন্জিল বরনিবাস ) ঐ কিতাবের অধিকাংশ আহকাম ইসলামী আহকামের সাথে মিলে যায়। ঐ কিতাবে লিখা আছে , হযরত আদম(আঃ) نور مصطفى ( তথা “আমাদের নবী (ﷺ) এর নূর ” যেটা সৃষ্টির মূল )দেখার জন্য ইচ্ছা পোষন করলেন ,তখন আল্লাহ তায়ালার কুদরতী ব্যবস্থাপনায় হযরত আদম (আঃ) এর বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখে নূর চমকে ওঠে তখন তিনি খুব মুহাব্বত সহকারে আপন নখে চুমু দিয়ে চোখে লাগালেন।<br /> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_89937" src="https://www.youtube.com/embed/qEXmmHhxmdU?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /> গাজীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত ইমামে আহলে সুন্নাহ আল্লামা আযিযুল হক আল কাদেরী (রঃ) তার প্রসিদ্ধ ফতোয়ার কিতাব<br />مجموعئه فتاوى عزيزيه (মজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে আযিযিয়া) এই কিতাবে دربيان تقبيل الابهامين عند الشهادتين فى الاذان والاقامة<br />নামে এই বিষয়ে অধ্যায় রচনা করে উল্লেখ করেন –<br /> <hr /> <strong>ذكر بعض الصالحين انه لقى الخضر عليه السلام فقال من قبل ظفر ابهاميه ويمسح بهما على عينه امن من وجع العين حين يقول المؤذن فى الاذان والاقامة اشهد ان محمد الرسول الله ويقول المستمع مع ذلك مرحبا بك يا حبيبى وقرة عينى يا رسول الله (خزينة الاسرار ،خواص القران)</strong><br />অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দাহ যার সাথে হযরত খিজির (আঃ) এর সাক্ষাত হয়েছে তিনি হযরত উজির (আঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে “মারহাবা ইয়া হাবীবী ও কুররাতু আইনি ইয়া রাসুলাল্লাহ ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ বিভিন্ন ব্যাথা থেকে রক্ষা পাবে।<br /> <hr /> আল্লামা শেরে বাংলা (রহঃ) আরোও উল্লেখ করেন –<br /> <hr /> <strong>فى قصص الانبياء وغيره ان ادم عليه السلام اشتاق الى لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاوحى الله تعالى اليه هومن صلبك ويظهر فى اخر الزمان فسال لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاو حى الله تعالى اليه فجعل الله النور المحمدى فى اصبعيه المسبحة من يده اليمنى فسبح زلك النور فلذلك سميت تلك الاصبع مسبحة كذا فى الروضة الفائق</strong><br />কাছাছুল আম্বিয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে , হযরত আদম(আঃ) জান্নাতে থাকাকালিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাত করার ইচ্ছা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বলেন, তিনি মুহাম্মদ (ﷺ) এখন তোমার পৃষ্টে রয়েছে এবং শেষ জামানায় পৃথিবীতে তশরীফ আনয়ন করবেন। অতঃপর হযরত আদম (আঃ) জান্নাতে অবস্থান রত সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করলেন (মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে)রাব্বুল আলামিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর নূর কে আদম (আঃ) এর ডান হাতের তাছবিহ পাঠকারী আঙ্গুলে প্রকাশ ঘটালেন, অতপর ঐ নূর তাছবিহ পাঠ করতে শুরু করে,এই কারণে সেই আঙ্গুলকে اصبع مسبحه বলা হয়।(রাউদাতুল ফায়েক)<br /> <hr /> আর ও উল্লেখ রয়েছে –<br /> <hr /> <strong>اظهر الله تعالى جمال حبيبه فى صفار ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه فصار اصلا لذيته فلما اخبر جبرائيل عليه السلام النبى صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال صلى الله عليه وسلم من سمع اسمى فى الاذان فقبل ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه لم يعم ابدا</strong><br />আল্লাহ তায়ালা যখন আদম (আঃ) এর আঙ্গুলে আপন হাবীব (ﷺ) এর সৌন্দর্য আয়নার মত প্রকাশ করলেন, আদম (আঃ) তার আঙ্গুলের পৃষ্ঠকে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে নিলেন।অতঃপর তার সন্তানদের জন্য এই কাজটা দলিল হয়ে যায়। হযরত জীব্রাইল (আঃ) যখন আদম (আঃ) এর এই ঘটনা নবী করিম (ﷺ) কে বললেন, রাসুল (ﷺ) বলে দিলেন , উম্মত আজানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে পৃষ্ঠে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ হবে না বা চোখের দৃষ্টি শক্তি কমবে না।<br /> <hr /> আল্লামা শেরে বাংলা (রঃ)এই মাসয়ালাটি কোন কোন কিতাবে রয়েছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,<br />১. তাফসীরে রুহুল বয়ান ,৮ম খন্ড। সুরা আহযাবের اذكر والله ذكرا كثيرا এর তাফসীরে ব্যাপক ভাবে আলোচনা করেন।<br />২. আল্লামা শেখ সাহরওয়ার্দী তার কিতাব عوارف المعارف এ ব্যাপক আলোচনা করেন ।<br />৩. মাওলানা আব্দুল হাই লক্ষোনভীর فتاوى مولانا عبد الحى لكهنوى ৩য় খন্ড ৪২ পৃষ্ঠায়।<br />৪. جامع الرموز( জামেউর রুমুজে)১ম খন্ড ৫৬পৃষ্ঠায়।<br />৫. হিদায়াতুল হারামাইনে ৪৬পৃষ্ঠায়।<br />৬. كتاب الفوائد مطبع مصر (কিতাবুল ফাওয়ায়েদে) ১৫পৃষ্ঠায়।<br />৭. فتح المبين ( ফতহুল মুবিনে) ৬৪ পৃষ্ঠায় ও ৪৯২ পৃষ্ঠায় ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে।<br />তাই উলামায়ে কিরাম বলেন, নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে শুধু বৃদ্ধ আঙ্গুলের পিঠে চুমু খাওয়া হযরত আদম (আঃ) সুন্নাত। আর শাহাদাত আঙ্গুলের পেটে চুমু খাওয়া হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ) সুন্নাত। তাই আমাদের উচিত উভয় আঙ্গুলে চুমু খেয়ে উভয়জনের সুন্নাত আদায় করা।<br />ইমাম শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর কিতাবের উদ্ধৃতিঃ<br />শাফেয়ী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব<br />اعانة الطالبين على حل الفاظ فتح المعين (ইয়ানাতুত তালিবীন আলা হিল্লে আলফাজি ফতহিল মুয়িন) এ উল্লেখ আছে –<br /> <hr /> <h3> <strong> يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</strong><br />অর্থাৎ নবী (ﷺ) নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</h3> <hr /> মালেকী মাযহাবের কিতাবের উদ্ধৃতিঃ<br />মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব<br />كفاية الطالب الربانى لرسالة ابن ابى زيد القيروانى ج ا صف ١٦٩ (কিফায়াতুত তালিবির রাব্বনী লিরিছালাতি ইবনে আবি যায়েদ আল কাইরুওয়ানী) এ উল্লেখ আছে –<br /> <hr /> <h4> <strong>ثم يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</strong><br />অর্থাৎ হুজুরে পাক (ﷺ) নাম শুনে মুহাব্বত সহকারে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</h4> <hr /> মালেকী মাযহাবের উল্লেখিত কিতাবের ব্যাখ্যাতে ১৭৭ পৃষ্ঠায় আল্লামা শেখ আলী আস স্বায়েদী আদবী (রঃ ) লিখেন-<br /> <hr /> <strong>لم يبين موضع التقبيل من ابهاميه الا انه نقل عن الشيخ العالم المفسرنور الدين الخراسانى قال بعضهم لقيته وقت الاذان فلما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قبل ابهامى نفسه ومسح بالظفرين اجفان عينيه من الماق الى نحية الصدع ثم فعل ذلك عند كل تشهد مرة فسالته عن ذلك فقال كنت افعله ثم تركته فمرضت عيناى فرءيته صلى الله عليه وسلم منا ما فقال لما تركت مسح عينيك عند الاذان ان اردت ان تبرء عيناك فعد فى المسح فاستيقظت ومسحت فبرءت ولم يعاود فى مرضها الى الان</strong><br />লিখক আঙ্গুলে চুমু খাওয়ার মাসআলা বর্ণনা করেননি, কিন্তু শায়েখুল আলম ও মুফাচ্ছির নুরুদ্দিন খোরাসানী (রঃ) থেকে বর্ণিত , কিছু মানুষ তাকে আজানের সময় তার সাথে সাক্ষাত করতে গিয়ে বলেন,তাকে দেখলাম আজানে নবী (ﷺ)এর নাম শুনতেই আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেন( আঙ্গুলের নখ চোখের এক কোণায় লাগালেন)। এভাবে প্রত্যেকবার শাহাদাতের সময় এরকম করেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনি বলেন, একাজটা আমি করতাম,পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। অতঃপর আমার চোখে রোগ হয়ে যায় , একদিন ঘুমে নবী(ﷺ)কে স্বপ্নে দেখলাম তিনি বললেন, তুমি আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার কাজ ছেড়ে দিয়েছ কেন?তুমি যদি ভাল হতে চাও ! কাজটা অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা আবার শুরু কর।আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার সাথে সাথেই ভাল হয়ে গেলাম,এখনো ভালো আছি।<br /> <hr /> রাসুল (ﷺ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার কারণে একশত বছরের পাপিষ্ট ব্যক্তির ক্ষমা ঘোষণাঃ<br /> <hr /> <strong>كان فى بنى اسرائيل رجل اخطى مائة سنة لما مات ارمى الناس الى مزبلة واوحى الله تبارك وتعالى الى موسى عليه الصلاة والسلام ان يغسله ويصلى عليه فقال موسى يارب العالمين كيف اصنع هذا بنو اسرائيل يغبضه قال تعالى انى غفرته لانه اذا راى فى التورات اسم محمد صلى الله عليه وسلم تقبل ظفر يه ومسح على عينيه وادخلته فى الخنة وتزوجته سبعين حور (روح البيان،تاريخ الخمسين ، خصائص الكبرى )</strong><br />বনী ইসরাঈলে এমন এক ব্যক্তি ছিল,যে একশত বছর পাপের কাজ করেছিল, সে যখন মারা যায় মানুষ তাকে ময়লাতে নিক্ষেপ করে দেয়। রাব্বুল আলামিন হযরত মুছা (আঃ) ওহীর মাধ্যমে জানালেন, তাকে গোসল, কাফন দিয়ে দাফন করে দিতে। হযরত মুছা (আঃ) বলেন, হে আল্লাহ ! তাকে আমি এগুলো কিভাবে করি? অথচ মানুষ তাকে ঘৃণা করে । আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কেননা সে ‘তওরাতে’ মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম দেখে আঙ্গুলের নখে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেছে,আমার মাহবুবের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করেছে, তাই আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে সত্তরটি হুরের সাথে শাদী করিয়ে দিয়েছি। উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে বুঝা যায়, কাজটা সম্পূর্ণ রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের উপর নির্ভর । যাদের অন্তরে ইশকে রাসুল (ﷺ) থাকবে , সে সহজেই কাজটা করবে।আর যার অন্তরে ভালবাসা থাকবে না। সে কাজটা করা তো দূরের কথা কেউ করতে চাইলে ও তার কাছে ভাল লাগবে না।<br /> <hr /> রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের একটি আলামত হলো , রাসুলের নামের সময় তাজিম- সম্মান করা এবং হুজুরের নাম শুনতেই নিজেকে ছোট মনে করে একেবারে নরম হয়ে যাওয়া।<br /> শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব مدارج النبوت (মাদারিজুন নাবুওয়াত) এ উল্লেখ করেন-<br />আবু ইব্রাহিম ইয়াহয়া (রঃ) বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের দরকার যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম মুবারক জিকির হবে , আদবের সাথে শুনা এবং শরীর নড়াচড়া না করা, এমন হয়ে যাওয়া, যেন তার সামনে রাসুল (ﷺ) আছেন।<br /> <iframe allowfullscreen="allowfullscreen" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-mce-fragment="1" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_21917" src="https://www.youtube.com/embed/CUFsyS_o_tY?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" title="YouTube player" width="100%"></iframe><br /> হযরত আবু আইয়ুব (রঃ) এর সামনে যখন রাসুল(ﷺ) এর নাম জিকির করা হতো, সাথে সাথে ক্রন্দন করে দিতেন।<br />হযরত জাফর বিন মুহাম্মদ অনেক ঠাট্টা করতেন, কিন্তু যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম জিকির হতো, তার চেহেরার রং পালটিয়ে যেত এবং খুব আদব সহকারে নিজেকে ছোট মনে করে বসে যেতেন।<br /> এভাবে আশেকে রাসুলগণ রাসুলে পাকের নামে তাজিম করতেন । তাই উল্লেখিত মাসয়ালার ব্যাপারে সমালোচনা না করে মাথা পেতে নেওয়াই আদব ও উত্তম।<br /> تفسير جلالين (তাফসীরে জালালাইন ৩৫৭ পৃষ্ঠা) এর হাশিয়াতে রাসুল(ﷺ)এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ব্যাপারে যথেষ্ট দলিল দিয়ে বলেন, যাদের কাছে কিতাবের দখল নাই এবং ব্যাপক গবেষণা করেনা তারাই মানে না এবং বুঝার চেষ্টাও করে না। পরিশেষে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ, আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক এবং উভয় জাহানের কল্যাণ সাধন করার সুযোগ দান করুক। আমিন।<br /> <br /></div>

নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত (ভিডিও সহ)

নবী করীম (ﷺ) নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী (বিসমিল্লাহির রাহমানির রা...

Read more »

নামাজে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য কোথাও রফয়ে ইয়াদাইন নেই নিষিদ্ধ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৪৮, } মূল কিতাবে স্ক্যান ফটো দেওয়া হলো ।</div> <div> _____ _____ _____ _____ _____ _____ _____ ____</div> <div> বিষয়ঃ নামাজে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য কোথাও রফয়ে ইয়াদাইন নেই নিষিদ্ধ , বিস্তারিত নিম্মে ।</div> <div> _____ _____ _____ _____ _____ _____ ____</div> <div> <br /></div> <div> প্রথমেই বুঝতে হবে বুখারী শরীফ মানেই পুরো ইসলাম নয়। আবার পুরো ইসলাম মনে শুধু মাত্র বুখারী শরীফ নয়। যারা শুধু বুখারী শরীফকে পুরো ইসলাম বলে ধারণা সৃষ্টি করতে চায় এরা ইসলামকে খাটো করার ষড়যন্ত্রে মত্ত। সুতরাং সব বিষয়েই শুধু বুখারী শরীফের কথা বলা, বুখারী শরীফের উদ্ধৃতি চাওয়া মুর্খতা ছাড়া কিছুই নয়। আবার বুখারী শরীফ বুঝার জন্যও ঘিলু প্রয়োজন। আজকে যারা শুধু বাংলা অনুবাদ পড়ে বুখারী শরীফের উদ্ধৃতি দেন তাদেরকে বুখারী শরীফ বুঝার সে মেধাও মনন আছে? যদি থাকে তাহলে অন্যের করা অনুবাদ কেন পড়েন। সরসরি বুখারী শরীফ পড়েন। অন্যের অনুবাদ দিয়ে উদ্ধৃতি দিতে হচ্ছে মানে তারা আদৌ বুখারী শরীফ বুঝার যোগ্যতা রখেন না। সুতরাং সেরূপ লোকের তো লজ্জা হওয়া চায়। আগে দুটি মনোমানষিকতা বাদ দিতে হবে। একটা হলো পুরো ইসলামকে বুখারী শরীফের সাথে সীমাবদ্ধ করণ। দ্বিতীয়টি হলো যে টুকু বুঝার যোগ্যতা নেই সে ক্ষেত্রেও নিজেকে অতি বুদ্ধা মনে করা।</div> <div> এর পর সঠিক বুঝার জন্য চেষ্টা করলে ইশআল্লাহ সঠিক মসআলা বুঝে আসবে।</div> <div> বুখারী শরীফে অনেক কিছুই নেই, তাই বলে অন্য হাদীসের কিতাব থেকে তা আমল করা যাবে না? বুখারীতে বসে প্রস্রাব করার কোন বিধান উল্লেখ নেই, আছে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার বিধান। তাই বলে বুখারীর কথা মেনে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার হুকুম দিতে হবে????????????????</div> <div> নামাযের তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি কিছু তাকবীরের মধ্যে রাফে ইয়াদাইন করা না করা উভয়টিই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো রাফে ইয়াদাইন করেছেন, কখনো করেননি। সাহাবা, তাবেয়ীন ও পরবর্তীদের মধ্যে উভয় পদ্ধতিরই অনুসারী ছিলেন। এরই সুত্র ধরে শাফেয়ী, হাম্বলী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইনের পদ্ধতি এসেছে। অপরদিকে হানাফী, মালেকী মাযহাবে রাফে ইয়াদাইন না করার মতটি গ্রহণ করা হয়েছে। স্ব স্ব স্থানে উভয় মতই শরীয়ত স্বীকৃত। কেননা দুটোরই উৎস সুন্নাহ। তবে বিভিন্ন আলামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদের আলোকে কোনো ফকীহ কোনো একটিকে উত্তম ও অগ্রগণ্য মনে করেন। আর অন্যটিকে মনে করেন বৈধ ও অনুত্তম। আবার অন্য ফকীহ এর বিপরীত মত পোষণ করেন। চার মাজহাবের ক্ষেত্রে এই পার্থক্যটুকু শুধু নফল নিয়ে । অর্থ্যাৎ চার মাজহাবই এ বিষয়ে একমত যে , রফে ইয়াদাইন করা হোক বা না হোক এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না । যেহেতু এটা নফল ।</div> <div> ফিক্বহে হানাফী মতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি সময় হাত উঠানো সুন্নাত নয়। এ বক্তব্যটি সহীহ হাদীস এবং সাহাবাদের ফাতওয়া এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমলের সূত্র পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাই এটি আমাদের নিকট উত্তম। সেই সাথে নামাযে অতিরিক্ত নড়াচড়া উত্তম নয় হিসেবেও আমরা তাহরীমা ছাড়া অন্য হাত উঠানোকে সুন্নাত মনে করি না। নিম্নে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য সময়ে হাত উঠানো বর্ণিত নয় মর্মে দলির উপস্থাপন করা হল।</div> <div> <b><u>নবী সাঃ এর নামায</u></b></div> <div> ১-</div> <div> ﻋَﻦْ ﻋَﻠْﻘَﻤَﺔَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ ﺃَﻻَ ﺃُﺻَﻠِّﻰ ﺑِﻜُﻢْ ﺻَﻼَﺓَ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻗَﺎﻝَ ﻓَﺼَﻠَّﻰ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺮْﻓَﻊْ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺇِﻻَّ ﻣَﺮَّﺓ ً ) ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻰ ﺩﺍﻭﺩ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮِ ﺍﻟﺮَّﻓْﻊَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﺮُّﻛُﻮﻉِ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 748 - )</div> <div> হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন আমি কি তোমাদের কে হুজুর সাঃ এর নামাজ সম্পর্কে অবগতি দেব না? এ কথা বলে তিনি নামাজ পড়ে দেখালেন এবং নামাজে তাকবীরে তাহরীমার সময় একবার রাফয়ে ইয়াদাইন করলেন। নামাজে আর কোথাও তিনি রফঈ ইয়াদিন করলেন না। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৪৮, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৫৭, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৩০৪, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৬৪৫, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৩৬৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৬৮১}</div> <div> ২-</div> <div> ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺒَﺮَﺍﺀِ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺍﻓْﺘَﺘَﺢَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺭَﻓَﻊَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺇِﻟَﻰ ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻣِﻦْ ﺃُﺫُﻧَﻴْﻪِ ﺛُﻢَّ ﻻَ ﻳَﻌُﻮﺩُ ) ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻰ ﺩﺍﻭﺩ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮِ ﺍﻟﺮَّﻓْﻊَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﺮُّﻛُﻮﻉِ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 750- )</div> <div> হযরত বারা ইবনে আযিব (রা) বলেন- রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) যখন নামাজ আরম্ভ করতেন তখন তার হস্তদ্বয় কর্ণদ্বয় পর্যন্ত উত্তোলন করতেন । অতঃপর আর তা করতেন না । [ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৫০, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-১৬৮৯, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৪৫৫ ]</div> <div> ৩-</div> <div> ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺗﺮﻓﻊ ﺍﻻﻳﺪﻯ ﻓﻰ ﺳﺒﻌﺔ ﻣﻮﺍﻃﻦ، ﺍﻓﺘﺘﺎﺡ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﻭﺍﺳﺘﻘﺒﺎﻝ ﺍﻟﺒﻴﺖ ﻭ ﺍﻟﺼﻔﺎ ﻭﺍﻟﻤﺮﻭﺓ ﻭﺍﻟﻤﻮﻗﻔﻴﻦ ﻭﻋﻨﺪ ﺍﻟﺤﺠﺮ، ) ﻣﺼﻨﻒ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻰ ﺷﻴﺒﺔ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 2465 - )</div> <div> হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ বলেছেন-সাতটি জায়গায় হাত তুলতে হবে, ১-নামাযের শুরুতে। ২-কাবা শরীফের সামনে আসলে। ৩-সাফা পাহাড়ে উঠলে। ৪-মারওয়া পাহাড়ে উঠলে। ৫-আরাফায়। ৬-মুযাদালিফায়। ৭-হাজরে আসওয়াদের সামনে। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৪৬৫, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-১২০৭২, সুনানে বায়হাকী-৫/৭২-৭৩}</div> <div> ৪-</div> <div> ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﺧَﺮَﺝَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻓَﻘَﺎﻝَ » ﻣَﺎ ﻟِﻰ ﺃَﺭَﺍﻛُﻢْ ﺭَﺍﻓِﻌِﻰ ﺃَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﻛَﺄَﻧَّﻬَﺎ ﺃَﺫْﻧَﺎﺏُ ﺧَﻴْﻞٍ ﺷُﻤْﺲٍ ﺍﺳْﻜُﻨُﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ) ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﺍﻷﻣﺮ ﺑﺎﻟﺴﻜﻮﻥ ﻓﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﻨﻬﻰ ﻋﻦ ﺍﻹﺷﺎﺭﺓ ﺑﺎﻟﻴﺪ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 996- )</div> <div> হজরত জাবির ইবনে সামুরাহ রাঃ বলেন ,নামাজের মুহুর্তে হুজুর সাঃ আমাদের নিকট আসলেন এবং বললেন, তোমাদের কি হল যে তোমাদের কে দেখতে পাচ্ছি তোমরা রাফয়ে ইয়াদাইন করছ বেয়াড়া ঘোড়ার লেজের ন্যায়? নামাজের মধ্যে শান্ত ধীর হও। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯৯৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১০০২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৮৭৮, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৫২, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৭৪৮০, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৯৯৮, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-৯১২, মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস নং-৭৮৬, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-২৪২৮}</div> <div> এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ স. স্থিরতার সঙ্গে নামায পড়ার আদেশ দিয়েছেন। আর হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ীই যেহেতু রফইয়ে ঈয়াদিন স্থিরতা পরিপন্থী তাই আমাদের কর্তব্য হল, নবী সাঃ-এর নির্দেশমতো স্থিরতার সঙ্গে নামায পড়া।</div> <div> ৫-</div> <div> ﻗﺎﻝ ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻗﺎﻝ : ﺭﺃﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺃﻓﺘﺘﺢ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺬﻭ ﻣﻨﻜﺒﻴﻪ ﻭﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﺮﻛﻊ ﻭﺑﻌﺪ ﻣﺎ ﻳﺮﻓﻊ ﺭﺃﺳﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ﻓﻼ ﻳﺮﻓﻊ ﻭﻻ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺴﺠﺪﺗﻴﻦ ) ﻣﺴﻨﺪ ﺍﻟﺤﻤﻴﺪﻯ، ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 614 - )</div> <div> অনুবাদ-হযরত সালেম বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে দেখেখি, তিনি যখন নামায শুরু করতেন তখন কাঁধ বরাবর হাত উঠাতেন। আর যখন রুকু করতে চাইতেন এবং রুকু থেকে উঠতেন, তখন হাত উঠাতেন না। দুই সেজদার মাঝেও না। {মুসনাদুল হুমায়দী, হাদীস নং-৬১৪}</div> <div> হযরত উমর রাঃ- এর আমল</div> <div> আসওয়াদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-</div> <div> আমি হযরত ওমর রাঃ-কে দেখেছি, তিনি শুধু প্রথম তাকবীরের সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন, পরে করতেন না।’ (তাহাবী: ১/১৬৪)</div> <div> আল্লামা যায়লায়ী রহঃ এই হাদীসকে সহীহ বলেছেন। সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহ. এই বর্ণনার সকল রাবীকে ছিকাহ (নির্ভরযোগ্য) বলেছেন। আলজাওহারুন নাকী গ্রন্থে বলা হয়েছে এই হাদীসের সনদ সহীহ মুসলিমের সনদের মতো শক্তিশালী।</div> <div> ইমাম তাহাবী রহঃ বলেন, হযরত ওমর রাঃ এর আমল এবং এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম রা.-এর কোনরূপ বিরোধিতা না থাকায় প্রমাণ করে যে, সেই সঠিক পদ্ধতি এবং এ পদ্ধতির বিরোধিতা করা কারও জন্য উচিত নয়।’</div> <div> (তাহাবী : ১/১৬৪)</div> <div> হযরত আলী (রা) এর আমল</div> <div> হযরত আলী (রা) নামাযে প্রথম তাকবীরে হাত উঠাতেন এরপর আর হাত উঠাতেন না। (সুনানে বায়হাকী : ২/৮০)</div> <div> আল্লামা যায়লায়ী রহ. বর্ণনাটিকে সহীহ বলেছেন। সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহ. এই বর্ণনার সকল রাবীকে ছিকাহ (নির্ভরযোগ্য) বলেছেন। সহীহ বুখারীর অপর ভাষ্যকার আল্লামা আইনী রহ. বলেন, “এ সনদটি সহীহ মুসলিমের সনদের সমমানের।</div> <div> (নাসবুর রায়াহ : ১/৪০৬, উমদাতুল কারী :৫/২৭৪, দিরায়াহ : ১/১১৩)</div> <div> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ-এর আমল</div> <div> মুজাহিদ রহ. বলেন-</div> <div> আমি আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর পিছনে নামায পড়েছি। তিনি প্রথম তাকবীর ছাড়া অন্য সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন না।</div> <div> (তাহাবী : ১/১৬৩, ইবনে আবী শাইবা : ২/৪১৮ হাদীছ নং ২৪৬৭ [শায়খ আওয়ামা দা.বা. তাহক্বীকৃত নুসখা)</div> <div> আল্লামা তুরকুমানী রহ. বলেছেন, এ বর্ণনার সনদ সহীহ</div> <div> (আল-জাওহারুন নাকী)</div> <div> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ-এর আমল</div> <div> আসওয়াদ রহ. বলেছেন-</div> <div> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. শুধু প্রথম তাকবীরের সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন, এরপর আর করতেন না।</div> <div> (জামউল মাসানীদ)</div> <div> খুলাফায়ে রাশেদীন ও রাফয়ে ইয়াদাইন</div> <div> প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আল্লামা নামাভী রহ. খুলাফায়ে রাশেদীনের কর্মধারা বিষয়ক বর্ণনাগুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌছেছেন যে-</div> <div> খুলাফায়ে রাশেদীন শুধু প্রথম তাকবীরের সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন। অন্য সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন বলে প্রমান পাওয়া যায় না।</div> <div> (আছারুস সুনান)</div> <div> খুলাফায়ে রাশেদীন হলেন রাসূল সাঃ এর পর মানবজাতির মধ্যে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী। তাঁরা ছিলেন রাসূলুল্লাহর সত্যিকারের অনুসারী। রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের সুন্নাহকেও নিজের সুন্নাহর মতো অনুসরণীয় ঘোষনা করেছেন। কেননা, তাদের সুন্নাহ ছিল নবীর সুন্নাহ থেকেই গৃহীত। তাই তারা যখন নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য কোন স্থানে হাত উঠাতেন না তখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, তাদের কাছেও নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য কোন স্থানে রাফয়ে ইয়াদাইন না করা উত্তম। আর এটি নবী সাঃ-এর সুন্নাহ।</div> <div> সাহাবায়ে কেরামের কর্মধারা</div> <div> ইমাম তিরমিযী রহঃ বলেন-</div> <div> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর (রাফয়ে ইয়াদাইন না করা সংক্রান্ত) হাদীস ‘হাসান’ পর্যায়ে উত্তীর্ণ এবং অনেক আহলে ইলম সাহাবা-তাবেয়ীন এই মত পোষন করতেন। ইমাম সুফিয়ান ছাওরী রহ. ও কুফাবাসী ফকীহগণ এই ফতোয়া দিয়েছেন।</div> <div> (জামে তিরমিযী : ১/৩৫)</div> <div> আল্লামা ইবনে আবদুল বার রহ. রাফয়ে ইয়াদাইন সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের অবস্থান বর্ণনা করেছেন-</div> <div> হযরত হাসান রা. সাহাবায়ে কেরামের কর্মনীতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘তাদের মধ্যে যারা রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন তারা রাফয়ে ইয়াদাইন পরিত্যাগকারীদের উপর আপত্তি করতেন না।</div> <div> এ থেকে বোঝা যায়, রাফয়ে ইয়াদাইন জরুরি কিছু নয়।</div> <div> (আত-তামহীদ : ৯/২২৬)</div> <div> এ উদ্বৃতি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকেই একাধিক কর্মধারা ছিল। কেউ নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য কিছু স্থানেও রাফয়ে ইয়াদাইন করা উত্তম মনে করতেন। কেউ তা মনে করতেন না। তবে এ বিষয়ে তাদের অভিন্ন কর্মনীতি এই ছিল যে, যারা রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন তারা অন্যদের সম্পর্কে আপত্তি করতেন না।</div> <div> এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা এবং যারা রাফয়ে ইয়াদাইন করেন না তাদেরকে আপত্তি ও সমালোচনার নিশানা বানানো প্রকারান্তরে সাহাবীদেরই নিন্দা ও সমালোচনা করা।</div> <div> বলাবাহুল্য, এ শ্রেণীর মানুষ সাহাবায়ে কেরামের নীতি ও পথ থেকে বিচ্যুত।</div> <div> মদীনাবাসী ও রাফয়ে ইয়াদাইন</div> <div> উস্তাযুল মুহাদ্দিসীন ইমাম মালিক রহঃ জন্মগ্রহন করেন ৯৩ হিজরীতে। ইলমের অন্যতম কেন্দ্রভূমি মদীনা মুনাওয়ারায় তাঁর জীবন কেটেছে। সাহাবায়ে কেরামের আমল এবং হাদীস শরীফের বিশাল ভান্ডার তার সামনে ছিল। তিনি শরীয়তের বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে মদীনাবাসীর কর্মকে বুনিয়াদী বিষয় বলে মনে করতেন।</div> <div> তাঁর প্রসিদ্ধ সাগরিত আল্লামা ইবনুল কাসিম রহ. রাফয়ে ইয়াদাইন প্রসঙ্গে তাঁর যে সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেছেন তা এই-</div> <div> ইমাম মালিক রহ. বলেছেন,নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য তাকবীরের সময়, নামায়ে ঝুঁকার সময় কিংবা সোজা হওয়ার সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করার নিয়ম আমার জানা নাই।</div> <div> ইবনুল কাসিম রহ. আরো বলেন,</div> <div> ইমাম মলিক নামাযের প্রথম তাকবীর ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে রাফয়ে ইয়াদাইন করার পদ্ধতিকে (দলীলের বিবেচনায়) দুর্বল মনে করতেন।</div> <div> (আল-মুদাওয়ানাতুল কুবরা)</div> <div> ইবরাহীম নাখায়ী রহঃ-এর ফতোয়া</div> <div> ইবরাহীম নাখায়ী রহঃ বলেন-</div> <div> নামাযের শুরু রাফয়ে ইয়াদাইন করার পর অন্য কোথায় রাফয়ে ইয়াদাইন করো না</div> <div> (জামিউস মাসানীদ : ১/৩৫৩)</div> <div> সারকথা</div> <div> উপরোক্ত দালীলিক আলোচনা থেকে যে বিষয়গুলো প্রমাণিত হচ্ছে তা নিন্মরূপ:</div> <div> ১-নবী সাঃ-এর শিক্ষা ও নির্দেশনা সম্বলিত হাদীস থেকে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, নামাযে রাফয়ে ইয়াদাইন না করা উত্তম।</div> <div> ২-রাসূলুল্লাহ সাঃ স্ববাস-প্রবাসের সার্বক্ষণিক সহচর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউস রাঃ-এর সূত্রে বর্ণিত সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, নবী সাঃ নামাযের শুরুতে রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন, এরপর আর করতেন না।</div> <div> ৩-হযরত জাবির রাঃ-এর হাদীস থেকে জানা যায়, স্বয়ং নবী স. নামাযে রাফয়ে ইয়াদাইন করতে নিষেধ করেছিলেন।</div> <div> ৪-দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর রা. এবং চতুর্থ খলীফা হযরত আলী রা. সম্পর্কে বিশুদ্ধ বর্ণনায় রয়েছে যে, তাদের কাছেও রাফয়ে ইয়াদাইন না করাই অধিক শুদ্ধ ও অগ্রগণ্য। আর এ সম্পর্কে অন্যান্য সাহাবীদের দ্বিমত বর্ণিত না হওয়া থেকে প্রমান হয় যে, অধিকাংশ সাহাবী এ নিয়ম অনুসরণ করতেন।</div> <div> ৫-খুলাফায়ে রাশেদীন নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য কোথাও রাফয়ে ইয়াদাইন করেছেন এমন প্রমান নেই।</div> <div> ৬-নবী সঃ-এর পুণ্যযুগের অব্যবহিত পরেই ছিল খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগ। তাদের রাফয়ে ইয়াদাইন না করা প্রমান করে যে, তাদের মতেও নামাযে রাফফে ইয়াদাইন না করাই ছিল হুজুর সাঃ-এর সর্বশেষ আমল।</div> <div> ৭-নামাযের ভিতরে রাফয়ে ইয়াদাইন প্রসঙ্গে সাহাবায়ে কেরামের যুগেও একাধিক নিয়ম ছিল। তবে দলীল-প্রমানের আলোকে তাদের নিয়মই অগ্রগণ্য যারা রাফয়ে ইয়াদাইন না করা উত্তম মনে করতেন।</div> <div> ৮-সহীহ সনদে এসেছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ নামাযের সূচনা ছাড়া অন্য সময় রাফয়ে ইয়াদাইন করতেন না। তিনি রাফয়ে ইয়াদাইন প্রসঙ্গ ও তার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত ছিলেন।</div> <div> অতএব রাফয়ে ইয়াদাইন করণীয় প্রমানের জন্য আবদুল্লাহ ইবনে উপর রাঃ ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের সূত্র বর্ণিত রেওয়ায়েত উপস্থাপন করা উচিত নয়।</div> <div> আল্লাহ সুবানুহু তাআলা আমার কুরআন ও হাদীস মোতাবেক সহী আমল করার</div> <div> এবং যারা বিভ্রান্তমূলক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিভ্রান্তির হাতে থেকে তাদের এবং আমাদের বাঁচার তৌফিক দান করুন।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhplMiynYfFXnG-mWV2cpRHkyPYDFmbaIfA2gfsOlIZF1Y5zhXW-u0WOohLqeuB-SFdg8DYUzfNq_zQhJobt4ORxv5pWXzlkxB840H82KK2zSNDYi0-M7lp_ROuIbQ4EJ9zqDlCdkv056Bg/s1600/FB_IMG_1561992889524.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="463" data-original-width="480" height="308" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhplMiynYfFXnG-mWV2cpRHkyPYDFmbaIfA2gfsOlIZF1Y5zhXW-u0WOohLqeuB-SFdg8DYUzfNq_zQhJobt4ORxv5pWXzlkxB840H82KK2zSNDYi0-M7lp_ROuIbQ4EJ9zqDlCdkv056Bg/s1600-rw/FB_IMG_1561992889524.jpg" width="320" /></a></div> </div> </div>

নামাজে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্য কোথাও রফয়ে ইয়াদাইন নেই নিষিদ্ধ

{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৭৪৮, } মূল কিতাবে স্ক্যান ফটো দেওয়া হলো । _____ _____ _____ _____ _____ _____ _____ ____ বিষয়ঃ নামাজে তাকবী...

Read more »

ওজুর ফরজ কয়টি ?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> ওজুর ফরজ কয়টি ?</div> <div> <br /></div> <div> ** <b>হানাফী মাযহাব মতে ৪টি।</b></div> <div> <br /></div> <div> ০১। সমস্ত মুখ ধৌত করা। (চুল গজানোর জায়গা হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধুয়া)।</div> <div> ০২। উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৩। মাথার চারভাগের একভাগ মাসেহ করা।</div> <div> ০৪। উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।</div> <div> <br /></div> <div> ** <b>মালেকী মাযহাব মতে ৭টি।</b></div> <div> <br /></div> <div> ০১। সমস্ত মুখ ধৌত করা। (চুল গজানোর জায়গা হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধুয়া)।</div> <div> ০২। উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৩। সমস্ত মাথা মাসেহ করা।</div> <div> ০৪। উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৫। নিয়ত করা।</div> <div> ০৬। তরতীব ঠিক রাখা।</div> <div> ০৭। এক অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।</div> <div> <br /></div> <div> ** <b>শাফেয়ী মাযহাব মতে ৬টি।</b></div> <div> <br /></div> <div> ০১। সমস্ত মুখ ধৌত করা। (চুল গজানোর জায়গা হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধুয়া)।</div> <div> ০২। উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৩। মাথার যে কোন অঙ্গ মাসেহ করা।</div> <div> ০৪। উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৫। নিয়ত করা।</div> <div> ০৬। তরতীব ঠিক রাখা।</div> <div> <br /></div> <div> ** <b>হাম্বলী মাযহাব মতে ৯টি।</b></div> <div> <br /></div> <div> ০১। সমস্ত মুখ ধৌত করা। (চুল গজানোর জায়গা হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত ভাল করে ধুয়া)।</div> <div> ০২। উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৩। সমস্ত মাথা মাসেহ করা।</div> <div> ০৪। উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।</div> <div> ০৫। নিয়ত করা।</div> <div> ০৬। তরতীব ঠিক রাখা।</div> <div> ০৭। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়া।</div> <div> ০৮। কুলি করা।</div> <div> ০৯। নাকে পানি দেয়া।</div> </div>

ওজুর ফরজ কয়টি ?

ওজুর ফরজ কয়টি ? ** হানাফী মাযহাব মতে ৪টি। ০১। সমস্ত মুখ ধৌত করা। (চুল গজানোর জায়গা হতে থুতনীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্...

Read more »

নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;"><br /></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম )</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আপন হাবীব (দ:) এর মুহাব্বতকে আপন বান্দাদের উপর আবশ্যক করেছেন এবং লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম তার প্রিয় রাসূলের উপর , যিনি কিয়ামতের দিবসে শাফায়াত করবেন তার আশিকদের জন্য এবং সালাত ও সালাম তার পরিবার , আসহাবদের উপর যারা নবীয়ে পাককে আপন জান থেকেও প্রিয় জানতেন আমরা সবাই আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তার হাবীব (দ:) এর উম্মতের দাবিদার এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> কিন্তু কিছু কিছু উম্মতের দাবীদার (যারা উম্মত নামের কলঙ্ক) তারা হাবীবে দুজাহানের প্রতি ভালবাসা , শ্রদ্ধা নিবেদন করাকে শিরিক মনে করে।যেমন, দাঁড়িয়ে নবীকে সালাম প্রদান করা, রাসূলে পাক (দ:) নাম শুনার পর মুহব্বতে বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মুখে মালিশ করা, রাসূলকে নূরের সৃষ্টি মানা, রাসূলকে এলমে গায়েবের অধিকারী মানা ইত্যাদি।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> তাই আমি অধম আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহ:) সুপ্রসিদ্ধ কিতাব منير العين فى حكم تقبيل الابهامين (মুনিরুল আইন ফী হুকমি তাক্ববিলুল ইবহামাইন) এবং মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁ নঈমী (রহ:) এর সুপ্রসিদ্ধ কিতাব جا الحق وزهق الباطل ( জা’আল হ্বক ওযাহাকাল বাতিল) ও অন্যান্য কিতাব সমূহ পড়ে মনস্থ করলাম যে, রাসূলে পাক(দ) এর নাম মোবারক আজানে শুনার পর দরূদ শরীফ পড়তঃ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ফজিলত দুনিয়া ও আখিরাতে কি রকম ?</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> <iframe allow="autoplay; encrypted-media" allowfullscreen="" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_46965" src="https://www.youtube.com/embed/4WQCwO3GLko?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" style="border-width: 0px; box-sizing: border-box; height: 198.562px; max-width: 100%;" title="YouTube player" width="100%"></iframe></div> <div 0px="" 17px="" 20px="" 26="" 353px="" background-color:="" both="" class="ICfhr5v0" clear:="" float:="" font-size:="" left="" margin:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" width:=""> <a href="https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tenmm.myproject" rel="noopener" style="box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;" target="_blank"><img alt="" class="alignnone lazyloaded" data-lazy-src="https://www.bbcnews24.com.bd/en/wp-content/uploads/2019/05/10-Minute-Madrasah-Bannar-Ads-New.gif" data-was-processed="true" height="90" loading="lazy" src="https://www.bbcnews24.com.bd/en/wp-content/uploads/2019/05/10-Minute-Madrasah-Bannar-Ads-New.gif" style="border: 0px; box-sizing: border-box; display: inline-block; height: auto; margin: 0px 10px 0px 0px; max-width: 100%; width: auto;" width="725" /></a></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> এ বিষয়টি সাধারণ জনতার মাঝে বই আকারে দিতে পারলে সরল প্রাণ মুসলিম জনতা ও আমি নিজেও উপকৃত হব।সাথে সাথে এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে রাসূলে পাক(দ) এর নূরানী কদমে উৎসর্গ করলাম।হতে পারে এই বইয়ের দরূণ বহু বিভ্রান্ত জনতা হকের দিশা পাবে এবং হতে পারে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নাজাতের উছিলা হবে।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আল্লাহ আমাদের সকলকে তার রাসূলে পাক (দ) এর গোলাম হিসেবে কবুল এবং মন্জুর করুক ।আমিন।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে এরশাদ করেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> 🔳اليوم نختم على أفواههم وتكلمناايديهم وتشهدارجلهم بماكانوايكسبون(سوره يس٦٥)</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> 🔳 অর্থ:-আজ (কিয়ামতের দিবসে) আমি তাদের মুখে তালা মেরে দেব এবং তাদের হাত কথা বলবে, তাদের পা সাক্ষ্য দেবে দুনিয়ার মধ্যে তারা যা অর্জন করেছিল।(সূরা ইয়াছিন-৬৫)</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> উপরোক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় কিয়ামতের ময়দানে মানুষের হাত, পা কথা বলবে এবং তারা হাত, পা কে কোন কাজে ব্যবহার করেছিল, পক্ষে ও বিপক্ষে তথা পূণ্য করেছিল না গুনাহের কাজ করেছিল তা আল্লাহর সামনে বলে দিবে।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আর যে উম্মত রাসুলে পাক(দঃ) এর নাম শুনে মহব্বতে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে অবশ্যই কিয়ামতের ময়দানে সেই আঙ্গুল ও সাক্ষ্য দেবে, হয়ত এটাই নাজাত তথা মুক্তির বড় মাধ্যম হতে পারে ।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> কারণ মানুষ তার ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে জান্নাত পাবে এর কোন সিউরিটি নেই বরং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার দয়ার মাধ্যমেই জান্নাত পাওয়া যায়। আর কাজটি যেহেতু তার হাবীব (দঃ) এর প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।সেহেতু আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপন হাবীবের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার গুনাহগার উম্মতের উপর রহমত ও দয়া করতে পারেন।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> যা আমাদের বিশ্বাস যাতে কোনো সন্দেহ নাই। তা ছাড়া রাসুলে পাক (দঃ) এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা যে মুস্তাহাব তার অসংখ্য দলিল ও প্রমাণাদি রয়েছে। অথচ অনেকে রাসুলের এই মহব্বতের কাজটাকে নাজায়েজ বলে । অথচ তারা জানে না যে, একটা কাজ নাজায়েজ বলার জন্য অকাট্য প্রমাণের প্রয়োজন হয়।</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> আরো পড়ুন</span></h3> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"> <a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%b0/" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;"><span style="font-size: small;">সাদাকাতুল ফিতর কী এবং সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ : কিছু কথা (ভিডিও সহ)</span></a></h3> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"> <a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be/" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;"><span style="font-size: small;">ইতিকাফের বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল জেনে নিন ( ভিডিও সহ )</span></a></h3> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"> <a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8/" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;"><span style="font-size: small;">রূহের  অবস্থান-  কিতাবুর রূহ্  এর বর্ণনা</span></a></h3> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"> <a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b2/" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;"><span style="font-size: small;">রোজার মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে নিন</span></a></h3> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"> <a href="https://www.10minutesmadrasah.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%b8-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a6%b0/" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #385c7b; text-decoration-line: none;"><span style="font-size: small;">চল্লিশ হাদিস মুখস্ত করার ফযিলত পর্ব-২</span></a></h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px;"> </h3> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আর এই কাজটি নাজায়েজ হওয়ার পক্ষে শরীয়তের কোন দলিল নাই।আর এমন একটি ভালো বা পূণ্যের কাজে কেউ যদি বাধা দেয় ধরে নিতে হবে তার অন্তরে হাবীবে খোদার প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে।বুঝে নিতে হবে সে রাসুলে পাকের শান ও মান সহ্য করতে পারেনা।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> কুরআনের ভাষায় তাদের অন্তরে বক্রতা , কপটতা , নিপাকতি রয়েছে। আমরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাব যারা না বুঝে এরকম ভালো কাজে মানুষকে বাধা দেয় আল্লাহ যেন তাদের বুঝার তাওফিক দান করেন।(আমিন)</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> রাসুলে পাক(দঃ) এর নাম শুনে আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মাসেহ করা মুস্তাহাব তথা পুন্যের কাজ। রাসুলে পাক(দঃ) হাদীসে পাকে ইরশাদ করেন –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h2 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 38px; margin: 30px 0px 20px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> انما الاعمال بالنيات. 🔳</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থ:- সমস্ত কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল । (বুখারী শরীফ)।</span></div> </h2> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> সুতরাং এই হাদীস থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে নিয়ত যদি ভালো হয় তাহলে আমলের উপর সাওয়াব পাওয়া যায়।আর নিয়ত খারাপ হলে আমলই গ্রহণযোগ্য হবেনা।এ থেকেই বুঝা যায় রাসুলে পাক(দঃ) নামে চুমু খেয়ে আঙ্গুলদ্বয় চোখে মালিশ করা এটা রাসুলের প্রতি মহব্বতের বহিঃপ্রকাশ যা পূণ্যোর কাজ।সুতরাং এটি নাজায়েজ বা বিদায়াত হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> বরং যারা এ কাজকে নাজায়েজ ও বিদায়াত বলে মানুষকে রাসুলে পাক সরওয়ারে কায়েনাত ,ইমামুল আম্বীয়ার মহব্বত থেকে বিরত রাখছে বুঝে নিতে হবে তাদের নিয়তে গরমিল রয়েছে বরং তা নবী বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ।বরং যারা না বুঝে নবীর মহব্বত থেকে তার আশেকদের বিরত রেখে তারা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> এছাড়া ও রাসুলের উম্মতের কিছু হাক্কানী আলেমগণ মিলে যখন কোন বিষয়ের উপর ঐক্যমত পোষন করে যে কাজটি ভালো।তখন কাজটির বিরোধীতা করা ও হারাম।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> রাসুলে পাক (দঃ) এর নাম শুনে মহব্বতে যারা আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে তাদের প্রতি রাসুলে পাক(দঃ) এর শুভ সংবাদ-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> 🔳روى عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال من سمع اسمى فى الاذان ووضع ابهامين على عينيه فانا طالبه فى صفوف القيامة وقئده الى الخنة (صلوة مسعودى ٢)</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থ:- রাসুল (দঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে উম্মত আজানে আমার নাম শুনবে অতঃপর আঙ্গুলদ্বয় চোখের মধ্যে রাখবে আমি তাকে কিয়ামতের কাতার থেকে তালাশ করে জান্নাতে নিয়ে যাব। (সালাতে মাসউদি ২য় খন্ড)</span></div> </h3> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> <iframe allow="autoplay; encrypted-media" allowfullscreen="" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_49512" src="https://www.youtube.com/embed/cDUNgQ6VUks?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" style="border-width: 0px; box-sizing: border-box; height: 198.562px; max-width: 100%;" title="YouTube player" width="100%"></iframe></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> <br /></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h4 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 29px; margin: 24px 0px 14px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"> قال السخاوى ذكره الدلمى فى الفردوس من حديث ابى بكر الصديق رضى الله عنه انه لما سمع قول المؤذن اشهد ان محمد الرسول الله قال مذا يعنى صلى الله عليك يا رسول الله وقرة عينى بك يا رسول الله وقبل باطن الانملتين السبابتين ومسح عينيه فقال صلى الله عليه وسلم من فعل مشل ما فعل حليلى فقد حلت له شفاعتى ولم يصح (مقاصد الحسنة فى الاحاديث الدائرة على السنة)</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম ছাখাবী(রঃ)বলেন:- আল ফেরদৌস নামক কিতাবে ইমাম দায়লমী(রঃ) উল্লেখ করেন , হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রঃ) এর হাদিস থেকে । ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ) যখন মুয়াজ্জিন থেকে আজানে রাসুল (দঃ) এর নাম শুনলেন প্রথম বারে “সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” এবং দ্বিতীয় বারে “কুররাতু আইনি বিকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আপন আঙ্গুলদ্বয় চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলেন। রাসুল(দঃ) এটা দেখে খুশি হয়ে বলেন , আমার বন্ধু যে কাজটা করেছে এই কাজ আমার উম্মতের মধ্যে যারাই করবে কিয়ামতের দিবসে তার জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে যাবে। হাদিসটি বর্ণনার ক্ষেত্রে সহীহ হওয়ার শর্তগুলো পাওয়া যায় নাই। ( মাকাছেদে হাসনা)</div> </h4> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> উল্লেখ্য যে, হাদিসটির শেষ অংশ দেখে অনেকে বলে থাকে হাদিসটি সহীহ নয়, বিদায় আমল করা যাবে না। মূলত এগুলো বলে তারা প্রমাণ করে যে তাদের কাছে উসুলে হাদিসের জ্ঞান নেই ।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তাদেরকে উসুলে হাদিস বুঝার জ্ঞান দান করুক। আমিন।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> 🔳 অথচ حديث صحيح এর পরে হাদিসের বহু স্তর রয়েছে, তারপর حديث ضعيف তথা দূর্বল হাদিস।যেমন- صحيح لغيره ،حسن لغيره، حسن لذاته তারপর ضعيف হাদিস।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> ইমাম মুহাম্মদ বিন আমীরুল হাজ্ব হালবী (রঃ) এর কিতাব حلية شرح منية (হুলিয়া শরহে মুনিয়া) তে উল্লেখ করেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">🔲 قول الترمذى لا يصح عن النبى ﷺ فى،مذاالباب شئ انتهى لا ينفى وجود الحسن ونحوه والمطلوب لا يتوقف ثبوته على الصحيح بل كما يثبت به يثبت بالحسن ايضا.</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ ইমাম তিরমিযীর কথা এটা নবী (ﷺ) থেকে ছহীহের শর্তে আসেনি। উনার কথা “ছহীহ নয়” দ্বারা হাদিসের অপর প্রকার “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করে না। অর্থাৎ সহীহ না হলে হাসান হতে পারে।প্রত্যেকটা মকসুদ হাদিসে সহীহের উপর নির্ভর নয়।বরং হাসান থেকেও হতে পারে।যা কিছু সহীহ দ্বারা প্রমাণ হয় তা “হাসান”দ্বারা ও প্রমাণ হতে পারে।</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও উসুলবিদ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রঃ) বলেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> قول احمد انه حديث لايصح اى لذاته فلا ينفى كونه محسن لغيره والحسن لغيره يحتج به كما بين فى الحديث</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ এই হাদিসকে ইমাম আহমদ(রঃ) “ছহীহ নয় ” বলেছেন , এর ব্যাখ্যাতে আল্লামা ইবনে হাজর (রঃ) বলেন “ছহীহ নয় “অর্থ হল লিজাতিহী নয় , আর এই কথাটি দ্বারা “হাসান লিগাইরিহি” হওয়াকে নিষেধ করেনা।” হাদিসে ছহীহ দ্বারা যা প্রমাণিত হয় “হাদিসে হাসান দ্বারা ও তা প্রমাণিত হতে পারে।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> 🔲 বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নববী (রঃ) বলেন-</span></h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> من نفى الصحة لا ينتفى الحسن</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ “ছহীহ নয়” দ্বারা “হাসান” হওয়াকে নিষেধ করেনা।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h4 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 29px; margin: 24px 0px 14px; text-align: justify;"> 🔲 বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত মুফতি মোল্লা আলী ক্বারী(রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব موضوعات كبير (মাউদোয়াতে কবির) এ উল্লেখ করেন-</h4> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> لايصح لا ينافى الحسن</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ সহীহ নয় কথাটি হাসান হওয়াকে বারণ করেনা।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> 🔲 আল্লামা নুরুদ্দীন আলী ছামহুদী(রঃ) তার কিতাব-</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> جواهر العقدين فى فضل الشريفين.(জাওয়াহিরূল আক্বদাইন ফী ফদলিশ শরীফাইন) নামক কিতাবে উল্লেখ করেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> قديكون غير صحيح وهم صالح للاحتجاج به اذاالحسن رتبة بين الصحيح والضعيف</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ কখনো কখনো সহীহ ছাড়াও প্রমাণ দেওয়া যায় । কেননা “হাদিসে হাসান” হলো সহীহ ও দূর্বলের মধ্যখানে।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> 🔲 ইমাম কামাল উদ্দীন ইবনে হুমাম (রঃ) বলেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> وقول من يقول فى حديث انه لم يصح ان سلم لم يقدح لان الحجية لا تتوقف على الصحة بل الحسن كاف</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ কেউ যদি কোন হাদিসের ব্যাপারে “সহীহ নয়” বলে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, দলিলের জন্য ” সহীহ ” হওয়ার উপর নির্ভর নয়। বরং,হাদিসে ” হাসান” যথেষ্ট।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়ে গেল , কেউ যদি হাদিসটা” সহীহ ” নয় বলে তখন ও ঐ হাদিস দ্বারা দলিল দেওয়ার মধ্যে কোন আপত্তি নেই।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> এই ব্যাপারে মোল্লা আলী ক্বারী (রঃ) তার কিতাব (موضوعات كبير ) এ উল্লেখ করেন –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> قلت واذاثبت رفعه الى الصديق رضى الله عنه فيكفى للعمل به لقوله عليه الصلاة والسلام عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ আমি (মোল্লা আলী) বলছি , যদি হাদিসটা হযরত ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ) পর্যন্ত পৌছে , আমল করার জন্য এটাই যথেষ্ট। কেননা রাসুলে কারীম (ﷺ) এরশাদ করেন তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত কে আকড়ে ধরা।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">ফোকাহায়ে কিরামের অভিমতঃ</div><div style="text-align: justify;">ردالمحتار على در المختار (রদ্দুল মুখতার আলা দুরলিল মুখতার) তথা فتاوى شامى তে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রঃ) باب الاذان (বাবুল আযান) এ এবং شرح نقاية ( শরহে নিকায়া) তে উল্লেখ করেন –</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> 🔲 يسنتحت ان يقال عند سماع الاولى من الشهادة صلى الله عليك يارسول الله وعند الثانية منها قرة عينى بك يا رسول الله ثم يقول اللهم متعنى بااسمع والبصر بعد وضع ظفرى الابهامين على العنين فانه عليه الصلاة والسلام يكون قائداله الى الجنة</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ মুয়াজ্জিন যখন আযানে রাসুলে আকরামের(ﷺ) নামে সাক্ষ্য দিবে তখন প্রথম বারে ” সাল্লাল্লাহু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রেখে দোয়া করা ” আল্লাহুম্মা মাত্তিনি বিসসাময়ী ওয়াল বসরি ” বলা মুস্তাহাব।</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> একই ধরনের হাদিস সহীহ সূত্রে ইমাম তাহতাবী তার “মারাকিল ফালাহ” কিতাবে নকল করে বলেন , আমলের জন্য এটাই যথেষ্ট।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আরিফ বিল্লাহ ফজলুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন আইয়ুব সোহরাওর্য়াদী (রঃ) এবং তার ছাত্র ইমাম ইউসুফ বিন ওমর (রঃ) جامع المضمر ات شرح قدرى বা فتاوى صوفية (ফতোয়া-এ- সূফিয়াতে),ইমাম কুহাস্তানী كنزالعباد (কানজুল ইবাদ),ইমাম দাইলমী كتاب الفردوس ( কিতাবুল ফেরদৌস ), এবং ইমাম রমলী البحر الرائق ( বাহরূর রায়েক)এর হাশিয়াতে নকল করেন ,</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> من قبل ظفرى ابهاميه عند سماع اشهدان محمداً الرسول الله فى الاذان انا قئدومدخله فى صفوف الجنة</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> রাসুলে পাক (ﷺ)বলেন , যে উম্মত আযানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, আমি তাকে তালাশ করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেব।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> মাওলানা জামাল ইবনে আব্দিল্লাহ ইবনে ওমর মক্কি তার ফতোয়ার কিতাবে উল্লেখ করেন –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> تقبيل الابهامين ووضع هما على العنين عند ذكراسمه عليه السلام فى الاذان جائربل مستحب صرح به مشائخنا</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ আযানে নবীর (ﷺ) নাম শুনার পর আঙ্গুলদ্বয়কে চুমু দিয়ে চোখের মধ্যে রাখা জায়েজ বরং মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে আমাদের ইমামগণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> ইমাম ত্বাউছি (রঃ) বর্ণনা করেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> انه سمع من الشمس محمد بن ابى نصر البخرى هذا الحديث من قبل عند سماعه من الموذن كاملة الشهادة طفرى ابهاميه ومسهما على عينيه وقال عندالمس اللهم احفظ حدقتى ونورهما ببركة حدقتى محمد صلى الله عليه وسلم ونورهما لم يرمد</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ ইমাম ত্বাউছি বিখ্যাত মুহাদ্দিস আশশামস মুহাম্মদ বিন আবি নছর আল বুখারী (রঃ) তথেকে এই হাদিস খানা বর্ণনা করেন, যে উম্মত মুয়াজ্জিনের আযানে নবী (ﷺ) ‘র নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে এই দোয়াটি পড়বে “আল্লাহুম্মা ইহফাজ হাদকাতাইয়া ওয়া নুরাহুমা বিবরকতে হাদকাতাই মুহাম্মদী (ﷺ)ওয়া নুরিহিমা ” তার চোখ কখনো দৃষ্টি হারা হবে না।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">ইমাম আবুল আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর সুফী(রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব</div><div style="text-align: justify;">(موجبات الرحمة وعزائم المغفرة) (মওজিবাতুর রাহমাহ ওয়া আজাইমুল মাগফিরা) তে উল্লেখ করেন হযরত খিজির (আঃ)থেকে মধ্যখানে সূত্র মাজাহিল ও মুনকাতি রয়েছে। অতঃপর বর্ণনা করেছেন</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> عن الخضر عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد عبد الله صلى الله عليه وسلم ثم يقبل ابهاميه ويجعلها على عينيه لم يرمد ابدا (مقاصد حسنه)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> হযরত খিজির (আঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , যে ব্যক্তি আজানে নবীর নাম শুনে ” মারহাবান বিহাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহ ” (ﷺ) বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে রাখে ,তার দৃষ্টি শক্তি কখনো নষ্ট হবেনা। উল্লেখ্য হাদিসখানা বর্ণনার ক্ষেত্রে দূর্বল হলেও আমলের ক্ষেত্রে গ্রহণীয় যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> মদিনা শরীফের ইমাম ও খতিব আল্লামা আশশামস মুহাম্মদ বিন ছালেহ মাদানী (রঃ) তার “তারীখে” নকল করেন মিশরে বড় আলেমদের একজন আল্লামা মজদ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> من صلى على النبى صلى الله عليه وسلم اذا سمع ذكره فى الاذان وجمع اصبعيه المسجة والابهام وقبالها رمسح بهما عينيه لم يرمد ابدا</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ যে আজানে নবীর নাম শুনে দরূদ শরীফ পড়ে, বৃদ্ধ ও শাহাদাত আঙ্গুল একত্রিত করে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে, তার চোখের দৃষ্টি যাবে না বরং নিরাপদ থাকবে।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আল্লামা মুহাম্মদ ইবনুল বাবা (রঃ)তার নিজের ঘটনা বর্ণনা করেন</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> انه هبت ريح فو قعت منه حصاة فى عينيه وعياه خروجها والمته اشهد الا لم وانه لما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قال ذلك فخرجت الحصاة من فوره قال الرداد رحمه الله وهذا يسير فى جنب فضائل الرسول صلى ا لله عليه وسلم</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> অর্থাৎ একদিন ব্যাপকভাবে বাতাস হয়ে একটি কংকর আমার চোখে ঢুকে পড়ে, বের করা কষ্টকর হয়ে যায়।ব্যাথা ও অসহ্য হয়ে যায়,আর যখন মুয়াজ্জিন আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) নামে শাহদাতের কালিমা বলছিল আমি এই কাজটি করলাম অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে মালিশ করলাম সাথে সাথে কংকর টি বের হয়ে যায়।</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">ইমাম রদাদ (রঃ) বলেন এটা একটা রাসুল (ﷺ)এর ফজায়েল ও মুজিজা।ইরাক আজমের কিছু আলেম সমাজ বলেন</div><div style="text-align: justify;">منذ فعلته لم ترمد عينى যে দিন থেকে এই কাজটা করলাম চোখের কোন অসুস্থতা দেখা যায়নি।</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> قال ابن صالح وانا والله الحمد والشكر منذ سمعته منها استعملته فلم ترمد عينى وارجوان عافيتها تدوم وانى اسلم من العمى انشاء الله تعالى (مقاصد حسنه )</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> ইবনে সালেহ বলেন, আল্লাহর প্রসংশা ও শুকর,যে দিন থেকে আমি আজানে রাসুলে পাকের নাম শুনার পর আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করছি, সে দিন থেকে ও আমার চোখে কোন রোগ হয়নি এবং আশা রাখি অন্ধ হওয়া থেকে নিরাপদ থাকব ইনশাআল্লাহ।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> روى عن الفقيه محمد بن سعيد الخولانى قال اخبرنى الفقيه العلم ابوالحسن على بن محمد بن جديد الحسينى اخبرني الفقيه الزاهد البلالى عن الحسن عليه السلام انه قال من قال حين يسمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله مرحبا بحبيبى وقرة عينى محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم ويقبل ابهاميه ويجعلهما على عينيه لم يعم ولم يرمد (مقاصد حسنه)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ ফকিহ মুহাম্মদ বিন সাঈদ খাওলানী বলেন, আমাকে ফকিহুল আলম আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ বিন হাদিদ আল হুসাইনী বলেছেন, আমাকে ফকিহ আজ জাহিদুল বিলালী হযরত ইমাম হাসান ্(রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে ” মারহাবান বি হাবীবি ওয়া কুররাতু আইনি মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ ও অসুস্থ হবেনা।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">আল্লামা মুহাদ্দিস তাহের পটনি (রঃ) তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব مجمع بحار الانوار এর মধ্যে উল্লেখিত হাদিসকে সহীহ নয় বলে উল্লেখ করেন</div><div style="text-align: justify;">وروى تجربة عن كثير</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে ফায়দা পেয়েছেন,তা অনেকের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত।</div></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আল্লামা সদরুল আফাজিল নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী (রঃ) বলেন , ইন্জিল কিতাবের বড় একটা পান্ডুলিপি আমার কাছে আছে যার নাম انجيل بر نباس (ইন্জিল বরনিবাস ) ঐ কিতাবের অধিকাংশ আহকাম ইসলামী আহকামের সাথে মিলে যায়। ঐ কিতাবে লিখা আছে , হযরত আদম(আঃ) نور مصطفى ( তথা “আমাদের নবী (ﷺ) এর নূর ” যেটা সৃষ্টির মূল )দেখার জন্য ইচ্ছা পোষন করলেন ,তখন আল্লাহ তায়ালার কুদরতী ব্যবস্থাপনায় হযরত আদম (আঃ) এর বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখে নূর চমকে ওঠে তখন তিনি খুব মুহাব্বত সহকারে আপন নখে চুমু দিয়ে চোখে লাগালেন।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> <iframe allow="autoplay; encrypted-media" allowfullscreen="" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_55832" src="https://www.youtube.com/embed/qEXmmHhxmdU?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" style="border-width: 0px; box-sizing: border-box; height: 198.562px; max-width: 100%;" title="YouTube player" width="100%"></iframe></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">গাজীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত ইমামে আহলে সুন্নাহ আল্লামা আযিযুল হক আল কাদেরী (রঃ) তার প্রসিদ্ধ ফতোয়ার কিতাব</div><div style="text-align: justify;">مجموعئه فتاوى عزيزيه (মজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে আযিযিয়া) এই কিতাবে دربيان تقبيل الابهامين عند الشهادتين فى الاذان والاقامة</div><div style="text-align: justify;">নামে এই বিষয়ে অধ্যায় রচনা করে উল্লেখ করেন –</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> ذكر بعض الصالحين انه لقى الخضر عليه السلام فقال من قبل ظفر ابهاميه ويمسح بهما على عينه امن من وجع العين حين يقول المؤذن فى الاذان والاقامة اشهد ان محمد الرسول الله ويقول المستمع مع ذلك مرحبا بك يا حبيبى وقرة عينى يا رسول الله (خزينة الاسرار ،خواص القران)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দাহ যার সাথে হযরত খিজির (আঃ) এর সাক্ষাত হয়েছে তিনি হযরত উজির (আঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি আজানে রাসুলে পাক (ﷺ) এর নাম শুনে “মারহাবা ইয়া হাবীবী ও কুররাতু আইনি ইয়া রাসুলাল্লাহ ” বলে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ বিভিন্ন ব্যাথা থেকে রক্ষা পাবে।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আল্লামা শেরে বাংলা (রহঃ) আরোও উল্লেখ করেন –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> فى قصص الانبياء وغيره ان ادم عليه السلام اشتاق الى لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاوحى الله تعالى اليه هومن صلبك ويظهر فى اخر الزمان فسال لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان فى الجنة فاو حى الله تعالى اليه فجعل الله النور المحمدى فى اصبعيه المسبحة من يده اليمنى فسبح زلك النور فلذلك سميت تلك الاصبع مسبحة كذا فى الروضة الفائق</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> কাছাছুল আম্বিয়া ও অন্যান্য কিতাবে রয়েছে , হযরত আদম(আঃ) জান্নাতে থাকাকালিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাত করার ইচ্ছা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে বলেন, তিনি মুহাম্মদ (ﷺ) এখন তোমার পৃষ্টে রয়েছে এবং শেষ জামানায় পৃথিবীতে তশরীফ আনয়ন করবেন। অতঃপর হযরত আদম (আঃ) জান্নাতে অবস্থান রত সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করলেন (মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে)রাব্বুল আলামিন মুহাম্মদ (ﷺ) এর নূর কে আদম (আঃ) এর ডান হাতের তাছবিহ পাঠকারী আঙ্গুলে প্রকাশ ঘটালেন, অতপর ঐ নূর তাছবিহ পাঠ করতে শুরু করে,এই কারণে সেই আঙ্গুলকে اصبع مسبحه বলা হয়।(রাউদাতুল ফায়েক)</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> আর ও উল্লেখ রয়েছে –</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> اظهر الله تعالى جمال حبيبه فى صفار ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه فصار اصلا لذيته فلما اخبر جبرائيل عليه السلام النبى صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال صلى الله عليه وسلم من سمع اسمى فى الاذان فقبل ظفرى ابهاميه ومسح على عينيه لم يعم ابدا</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা যখন আদম (আঃ) এর আঙ্গুলে আপন হাবীব (ﷺ) এর সৌন্দর্য আয়নার মত প্রকাশ করলেন, আদম (আঃ) তার আঙ্গুলের পৃষ্ঠকে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করে নিলেন।অতঃপর তার সন্তানদের জন্য এই কাজটা দলিল হয়ে যায়। হযরত জীব্রাইল (আঃ) যখন আদম (আঃ) এর এই ঘটনা নবী করিম (ﷺ) কে বললেন, রাসুল (ﷺ) বলে দিলেন , উম্মত আজানে আমার নাম শুনে আঙ্গুলে পৃষ্ঠে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করবে , তার চোখ কখনো অন্ধ হবে না বা চোখের দৃষ্টি শক্তি কমবে না।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">আল্লামা শেরে বাংলা (রঃ)এই মাসয়ালাটি কোন কোন কিতাবে রয়েছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">১. তাফসীরে রুহুল বয়ান ,৮ম খন্ড। সুরা আহযাবের اذكر والله ذكرا كثيرا এর তাফসীরে ব্যাপক ভাবে আলোচনা করেন।</div><div style="text-align: justify;">২. আল্লামা শেখ সাহরওয়ার্দী তার কিতাব عوارف المعارف এ ব্যাপক আলোচনা করেন ।</div><div style="text-align: justify;">৩. মাওলানা আব্দুল হাই লক্ষোনভীর فتاوى مولانا عبد الحى لكهنوى ৩য় খন্ড ৪২ পৃষ্ঠায়।</div><div style="text-align: justify;">৪. جامع الرموز( জামেউর রুমুজে)১ম খন্ড ৫৬পৃষ্ঠায়।</div><div style="text-align: justify;">৫. হিদায়াতুল হারামাইনে ৪৬পৃষ্ঠায়।</div><div style="text-align: justify;">৬. كتاب الفوائد مطبع مصر (কিতাবুল ফাওয়ায়েদে) ১৫পৃষ্ঠায়।</div><div style="text-align: justify;">৭. فتح المبين ( ফতহুল মুবিনে) ৬৪ পৃষ্ঠায় ও ৪৯২ পৃষ্ঠায় ব্যাপক বর্ণনা রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">তাই উলামায়ে কিরাম বলেন, নবী কারীম (ﷺ) এর নাম শুনে শুধু বৃদ্ধ আঙ্গুলের পিঠে চুমু খাওয়া হযরত আদম (আঃ) সুন্নাত। আর শাহাদাত আঙ্গুলের পেটে চুমু খাওয়া হযরত সিদ্দীকে আকবর (রাঃ) সুন্নাত। তাই আমাদের উচিত উভয় আঙ্গুলে চুমু খেয়ে উভয়জনের সুন্নাত আদায় করা।</div><div style="text-align: justify;">ইমাম শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর কিতাবের উদ্ধৃতিঃ</div><div style="text-align: justify;">শাফেয়ী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব</div><div style="text-align: justify;">اعانة الطالبين على حل الفاظ فتح المعين (ইয়ানাতুত তালিবীন আলা হিল্লে আলফাজি ফতহিল মুয়িন) এ উল্লেখ আছে –</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h3 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 30px; margin: 27px 0px 17px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;">  يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</span></div> <div style="text-align: justify;"><span style="font-size: small;"> অর্থাৎ নবী (ﷺ) নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</span></div> </h3> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">মালেকী মাযহাবের কিতাবের উদ্ধৃতিঃ</div><div style="text-align: justify;">মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব</div><div style="text-align: justify;">كفاية الطالب الربانى لرسالة ابن ابى زيد القيروانى ج ا صف ١٦٩ (কিফায়াতুত তালিবির রাব্বনী লিরিছালাতি ইবনে আবি যায়েদ আল কাইরুওয়ানী) এ উল্লেখ আছে –</div></div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <h4 style="background-color: #1a1a1a; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto, sans-serif; font-weight: 400; line-height: 29px; margin: 24px 0px 14px; text-align: center;"> <div style="text-align: justify;"> ثم يقبل ابهاميه ويجعل هما على عينيه لم يعم ولم يرمد ابدا</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ হুজুরে পাক (ﷺ) নাম শুনে মুহাব্বত সহকারে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করলে চোখ অন্ধ ও রুগ্ন হবে না।</div> </h4> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> মালেকী মাযহাবের উল্লেখিত কিতাবের ব্যাখ্যাতে ১৭৭ পৃষ্ঠায় আল্লামা শেখ আলী আস স্বায়েদী আদবী (রঃ ) লিখেন-</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> لم يبين موضع التقبيل من ابهاميه الا انه نقل عن الشيخ العالم المفسرنور الدين الخراسانى قال بعضهم لقيته وقت الاذان فلما سمع المؤذن يقول اشهد ان محمد الرسول الله قبل ابهامى نفسه ومسح بالظفرين اجفان عينيه من الماق الى نحية الصدع ثم فعل ذلك عند كل تشهد مرة فسالته عن ذلك فقال كنت افعله ثم تركته فمرضت عيناى فرءيته صلى الله عليه وسلم منا ما فقال لما تركت مسح عينيك عند الاذان ان اردت ان تبرء عيناك فعد فى المسح فاستيقظت ومسحت فبرءت ولم يعاود فى مرضها الى الان</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> লিখক আঙ্গুলে চুমু খাওয়ার মাসআলা বর্ণনা করেননি, কিন্তু শায়েখুল আলম ও মুফাচ্ছির নুরুদ্দিন খোরাসানী (রঃ) থেকে বর্ণিত , কিছু মানুষ তাকে আজানের সময় তার সাথে সাক্ষাত করতে গিয়ে বলেন,তাকে দেখলাম আজানে নবী (ﷺ)এর নাম শুনতেই আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেন( আঙ্গুলের নখ চোখের এক কোণায় লাগালেন)। এভাবে প্রত্যেকবার শাহাদাতের সময় এরকম করেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনি বলেন, একাজটা আমি করতাম,পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। অতঃপর আমার চোখে রোগ হয়ে যায় , একদিন ঘুমে নবী(ﷺ)কে স্বপ্নে দেখলাম তিনি বললেন, তুমি আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার কাজ ছেড়ে দিয়েছ কেন?তুমি যদি ভাল হতে চাও ! কাজটা অর্থাৎ আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করা আবার শুরু কর।আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার সাথে সাথেই ভাল হয়ে গেলাম,এখনো ভালো আছি।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> রাসুল (ﷺ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার কারণে একশত বছরের পাপিষ্ট ব্যক্তির ক্ষমা ঘোষণাঃ</div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" center="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" text-align:="" word-wrap:=""> </div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> كان فى بنى اسرائيل رجل اخطى مائة سنة لما مات ارمى الناس الى مزبلة واوحى الله تبارك وتعالى الى موسى عليه الصلاة والسلام ان يغسله ويصلى عليه فقال موسى يارب العالمين كيف اصنع هذا بنو اسرائيل يغبضه قال تعالى انى غفرته لانه اذا راى فى التورات اسم محمد صلى الله عليه وسلم تقبل ظفر يه ومسح على عينيه وادخلته فى الخنة وتزوجته سبعين حور (روح البيان،تاريخ الخمسين ، خصائص الكبرى )</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;"> বনী ইসরাঈলে এমন এক ব্যক্তি ছিল,যে একশত বছর পাপের কাজ করেছিল, সে যখন মারা যায় মানুষ তাকে ময়লাতে নিক্ষেপ করে দেয়। রাব্বুল আলামিন হযরত মুছা (আঃ) ওহীর মাধ্যমে জানালেন, তাকে গোসল, কাফন দিয়ে দাফন করে দিতে। হযরত মুছা (আঃ) বলেন, হে আল্লাহ ! তাকে আমি এগুলো কিভাবে করি? অথচ মানুষ তাকে ঘৃণা করে । আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কেননা সে ‘তওরাতে’ মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম দেখে আঙ্গুলের নখে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করেছে,আমার মাহবুবের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ করেছে, তাই আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে সত্তরটি হুরের সাথে শাদী করিয়ে দিয়েছি। উল্লেখিত বর্ণনার মাধ্যমে বুঝা যায়, কাজটা সম্পূর্ণ রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের উপর নির্ভর । যাদের অন্তরে ইশকে রাসুল (ﷺ) থাকবে , সে সহজেই কাজটা করবে।আর যার অন্তরে ভালবাসা থাকবে না। সে কাজটা করা তো দূরের কথা কেউ করতে চাইলে ও তার কাছে ভাল লাগবে না।</div> <div style="font-family: "Times New Roman", Times, serif;"> </div> <hr 17px="" 26="" background-color:="" font-size:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: content-box; color: #eeeeee; font-family: "Times New Roman", Times, serif; height: 0px; overflow: visible; text-align: justify;" /> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> রাসুল (ﷺ) এর মুহাব্বতের একটি আলামত হলো , রাসুলের নামের সময় তাজিম- সম্মান করা এবং হুজুরের নাম শুনতেই নিজেকে ছোট মনে করে একেবারে নরম হয়ে যাওয়া।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) তার প্রসিদ্ধ কিতাব مدارج النبوت (মাদারিজুন নাবুওয়াত) এ উল্লেখ করেন-</div><div style="text-align: justify;">আবু ইব্রাহিম ইয়াহয়া (রঃ) বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের দরকার যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম মুবারক জিকির হবে , আদবের সাথে শুনা এবং শরীর নড়াচড়া না করা, এমন হয়ে যাওয়া, যেন তার সামনে রাসুল (ﷺ) আছেন।</div></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> <iframe allow="autoplay; encrypted-media" allowfullscreen="" class="__youtube_prefs__ lazyloading" data-no-lazy="1" data-origheight="392" data-origwidth="696" data-skipgform_ajax_framebjll="" data-was-processed="true" height="392" id="_ytid_96516" src="https://www.youtube.com/embed/CUFsyS_o_tY?enablejsapi=1&autoplay=0&cc_load_policy=0&iv_load_policy=1&loop=0&modestbranding=0&showinfo=1&fs=1&playsinline=0&controls=2&color=red&rel=1&autohide=2&theme=dark&" style="border-width: 0px; box-sizing: border-box; height: 198.562px; max-width: 100%;" title="YouTube player" width="100%"></iframe></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif;" word-wrap:=""><div style="text-align: justify;">হযরত আবু আইয়ুব (রঃ) এর সামনে যখন রাসুল(ﷺ) এর নাম জিকির করা হতো, সাথে সাথে ক্রন্দন করে দিতেন।</div><div style="text-align: justify;">হযরত জাফর বিন মুহাম্মদ অনেক ঠাট্টা করতেন, কিন্তু যখনি তার সামনে রাসুল (ﷺ) এর নাম জিকির হতো, তার চেহেরার রং পালটিয়ে যেত এবং খুব আদব সহকারে নিজেকে ছোট মনে করে বসে যেতেন।</div></div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> এভাবে আশেকে রাসুলগণ রাসুলে পাকের নামে তাজিম করতেন । তাই উল্লেখিত মাসয়ালার ব্যাপারে সমালোচনা না করে মাথা পেতে নেওয়াই আদব ও উত্তম।</div> <div 0px="" 17px="" 255="" 26="" 26px="" 31px="" background-color:="" break-word="" color:="" font-size:="" line-height:="" margin-bottom:="" margin-top:="" open="" rgb="" sans="" style="box-sizing: border-box; font-family: "Times New Roman", Times, serif; text-align: justify;" word-wrap:=""> تفسير جلالين (তাফসীরে জালালাইন ৩৫৭ পৃষ্ঠা) এর হাশিয়াতে রাসুল(ﷺ)এর নাম শুনে আঙ্গুলে চুমু খেয়ে চোখে মালিশ করার ব্যাপারে যথেষ্ট দলিল দিয়ে বলেন, যাদের কাছে কিতাবের দখল নাই এবং ব্যাপক গবেষণা করেনা তারাই মানে না এবং বুঝার চেষ্টাও করে না। পরিশেষে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ, আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক এবং উভয় জাহানের কল্যাণ সাধন করার সুযোগ দান করুক। আমিন।</div> </div>

নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমা খেয়ে চোখে লাগানো সুন্নাত

কৃত: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আপন হাবীব (দ:) এর মুহ...

Read more »