হে রাসুল (ﷺ) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> হে রাসুল (ﷺ) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনাঃ<br /> <br /> সংকলক : মাসুম বিল্লাহ সানি<br />  (প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন নামক কিতাব থেকে অধিকাংশ তথ্য সংগ্রহীত)<br /> <br /> হাদিস ১ :<br /> হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্নিত,<br /> <br /> عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك<br /> <br /> অনুবাদ-<br /> রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন,<br /> হে আল্লাহ! মুহাম্মদ ﷺ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (ﷺ) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে  কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে  আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।<br /> তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ ﷺ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই<br /> যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।<br /> তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে।<br /> যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।<br /> <br /> Reference :-<br /> <br /> হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে।<br /> (মানঃ সহিহ)<br /> ১. ইমাম বায়হাকী (রহঃ) : দালায়েলুন-নবুওয়াত : ৫/৪৮৯ পৃ<br /> ২. ইমাম হাকেম নিশাপুরী (রহঃ) : মুসতাদরাকে হাকেম : ২/৪৮৬ পৃ : হাদিস : ৪২২৮<br /> ৩. ইমাম হাকেম নিশাপুরী (রহঃ) : আল মাদখাল : ১/১৫৪<br /> ৪. ইমাম তাবরানী (রহঃ) : আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২<br /> ৫. ইমাম তাবরানী (রহঃ) : আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২ : হাদীস নং-৯৯২,<br /> ৬. ইমাম তাবরানী (রহঃ) : মুজমায়ে কবীর’<br /> ৭. ইমাম দায়লামী (রহঃ) : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭<br /> ৮. ইমাম আজলুনী (রহঃ) : কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪<br /> ৯. ইমাম আবূ নুয়াইম ইস্পাহানী (রহঃ) : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া।<br /> ১০. ইমাম তকিউদ্দীন সুবকী (রহঃ) : শিফাউস সিকাম, পৃ-১২০<br /> ১১. ইমাম ইবনে আসাকির (রহঃ) :  ‘তারিখে দামিষ্ক’: ৭/৪৩৭ পৃ<br /> ১২. ইমাম ইবনুল জাওজী (রহঃ) : আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা (ﷺ) : ৩৩<br /> ১৩. ইমাম ইবনুল জাওজী (রহঃ) : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (ﷺ) : ১৫৮<br /> ১৪. ইমাম ইবনে কাসীর (রহঃ) : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ<br /> ১৫. ইবনে হাজর হায়সামী (রহঃ) : মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩<br /> ১৬. শিহাবউদ্দীন খাফাজী (রহঃ) : ‘নাসীম আর-রিয়াদ’<br /> ১৭. ইমাম সুয়ুতী (রহঃ) : খাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২<br /> ১৮. ইমাম সুয়ুতী (রহঃ) : আদ দুররে মানসুর : ১/১৪২<br /> ১৯. আল্লামা কাসতাল্লানী (রহঃ) : আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫<br /> ২০. ইমাম যুরকানী (রহঃ) : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২<br /> ২১. ইমাম হালাবী (রহঃ) : সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫<br /> ২২. মুহাদ্দিসে শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভী (রহঃ) : তফসীরে আজিযী : ১/১৮৩<br /> ২৩. ইমাম নাবহানী (রহঃ) : শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭<br /> ২৪. ইমাম নাবহানী (রহঃ) : আনোয়ার-ই-মোহাম্মাদীয়া : ৯-১০<br /> ২৫. ইমাম নাবহানী (রহঃ) : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪<br /> ২৬. ইমাম নাবহানী (রহঃ) : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও ৭৯৫ পৃ<br /> (মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)<br /> ২৭. ইমাম তকী উদ্দীন (রহঃ) : দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২<br /> ২৮. ইমাম সামহুদী (রহঃ) : ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯<br /> ২৯. ইবনু তাইমিয়্যাহঃ মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯<br /> ৩০. ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) : আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫<br /> ৩১. ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (রহঃ) : আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫<br /> ৩২. আল্লামা শফী উকারবী (রহঃ) : যিকরে হাসীন : ৩৭<br /> ৩৩. আশরাফ আলী থানবীঃ নুশরাত্বীব ২৮<br /> ৩৪. আশরাফ আলী থানবী : শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) : প্রথম অধ্যায়।<br /> ৩৫. ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭, উর্দু এডিশন<br /> ৩৬. আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান: ২/৩৭০ পৃ. সূরা মায়েদা: আয়াত নং-১৫<br /> ৩৭. আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/১১৫ পৃ:<br /> <br /> হাদিসের মান পর্যালোচনা :<br /> <br /> যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস সহিহ বলেছেনঃ<br /> <br /> ১) ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।<br /> আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫<br /> ২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০<br /> ৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ। দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২<br /> ৪) ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬৫<br /> ৫) ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯<br /> ৬) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।আল খাসাইসঃ১/৮<br /> ৭) ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯<br /> ‘যদি মুহাম্মাদ না হতেন, তবে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,<br /> এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে কথাকে শক্তিশালী করেছে। মাজমু উল ফাতাওয়া- ২/১৫৯<br /> ৮) বাতিল দের জবাবে ইমাম ইবনু কাসীর পরিস্কার বলেছেন, এই হাদীসটি  বানোয়াট নয়।  এটা দ্বারা নির্দ্বিধায় দলীল প্রদান করা যাবে।<br /> আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫<br /> ৯) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী বলেন,  একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।রেফারেন্সঃ<br /> আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫<br /> <br /> হাদিস ২ :<br /> <br /> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আঃ)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (ﷺ)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।<br /> রাসূলুল্লাহ (ﷺ) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”<br /> <br /> Reference :<br /> <br /> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে।<br /> (মানঃ হাসান)<br /> ১. ইমাম হাকিম নিশাপুরী : আল মোসতাদরেক’ : ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭<br /> ২. ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২<br /> ৩. ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা<br /> ৪. ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫<br /> ৫. শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০<br /> ৬. ইবনে হাজর রচিত ‘আফদ্বালুল কোরা।<br /> ৭. আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,<br /> ৮. ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০<br /> ৯. ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া  : ১/২৯ পৃ<br /> ১০. ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ (ﷺ) ১/৩২০<br /> ১১. ইবনে কাসীর : মুজিজাতুন্নবী (ﷺ) : ১/৪৪১<br /> ১২. ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪<br /> ১৩. ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬<br /> ১৪. ইমাম শামী : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩<br /> ১৫. ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২<br /> ১৬. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০<br /> ১৭. আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫<br /> ১৮. ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১<br /> ১৯. ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭<br /> ২০. কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২<br /> ২১. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১<br /> ২২. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫<br /> <br /> হাদিসের মান পর্যালোচনা :<br /> <br /> ★ ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।<br /> আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২<br /> <br /> হাদিস ৩ :<br /> <br /> হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন,<br /> “আমি যদিও ইব্রাহীম (আঃ) কে খলিল বানিয়েছি কিন্তু আপনাকে বানিয়েছি হাবীব। আমি যদিও মুসা (আঃ) এর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে। আমি ঈসা (আঃ) কে রুহুল কুদ্দু্স থেকে সৃজন করলেও আপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টির দু'হাজার বছর পূর্বে। আপনার কদম আসমানের এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আপনার পূর্বে কারাে কদম পৌঁছেনি এবং ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না। আমি আদম (আঃ) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও। আপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তি। আপনার চেয়ে অধিক সম্মানী আর কাউকে আমি সৃষ্টি করেনি। কিয়ামত দিবসে আমার আরশের ছায়া আপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আপনার নূরানী মস্তকে শােভা পাবে। আমি আপনার নাম আমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি। যেখানে আমার যিকির চর্চা হবে সেখানে আপনার যিকিরও চর্চা হবে। আমি পৃথিবী এবং পৃথিবীবাসীকে সৃষ্টি করেছি,আমার নিকট আপনার মর্যাদা ও সম্মান কতটুকু তা দেখানাের জন্য জেনে রাখুন, "আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি দুনিয়া সৃষ্টি করতাম না।”<br /> <br /> রেফারেন্সঃ<br /> ১. ইমাম ইবনে আসাকীর ও তারীখে দামেস্ক ৩/৫১৭ পৃষ্ঠা।<br /> ২. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী হানাফী : মওদুআতুল কবীর : ১০১ পৃষ্ঠা<br /> ৩. আল্লামা ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেব : ১/১৮২ পৃ<br /> ৪. শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ১/২৮৯ পৃষ্ঠা<br /> ৫. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফঃ ১০৫ পৃ.<br /> <br /> হাদিস ৪ :<br /> <br /> হযরত আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবি করীম (ﷺ) হতে বর্ননা করেন, আল্লাহ বললেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আমার ইজ্জত ও জালালিয়াতের শপথ! যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আমি না যমিন সৃষ্টি করতাম, না আসমান সৃষ্টি করতাম, না কিছুই সৃষ্টি করতাম না আর আমি উঁচু করতাম না উর্ধ্বের ঐ নীল বর্ণের ছাদ এবং নিন্মের এ ধূসর বর্ণের পৃথিবী।"<br /> <br /> ১. ইমাম বুরহানুদ্দীন হালবী ও সিরাতে হালবিয়াঃ ১/৩৭৫ পৃ.<br /> ২. আল্লামা ফকীহ খতিব আবু রবীঈ : আল মুখতাসার : ১/১১৫<br /> ৩. আল্লামা ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/১১৫<br /> ৪. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন ইসমাঈল নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৫ পৃ:<br /> ৫. আল্লামা বুরহান উদ্দিন হালবী : ইনসানুল উয়ূন : ১/৩৭৫ পৃ:<br /> ৬. শিফাউস সুদূর<br /> <br /> হাদিস ৫ :<br /> <br /> তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,<br /> <br /> (বিশাল বর্ননার পর)....<br /> যদি তিনি [রাসুল (ﷺ)] না হতেন তাহলে আমি না তোমাকে [আদম (আঃ)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান, জমীন সৃষ্টি করতাম।<br /> <br /> Reference :<br /> <br /> ১. ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩<br /> ২. ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২<br /> ৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮<br /> ৪. আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১<br /> ৫. ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২<br /> <br /> হাদিস ৬ : এই হাদিসের ২টা সনদ সহকারে উল্লেখ্য করলাম :<br /> <br /> ১ম সনদ :<br /> <br />  হযরত ইমাম হাকিম নিসাপুরী<br /> ↓<br /> হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br /> ↓<br /> হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br /> ↓<br /> জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /> ↓<br /> হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,<br /> <br /> ২য় সনদ :<br /> <br /> ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /> ↓<br /> হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , তিনি<br /> ↓<br /> হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি,<br /> ↓<br /> সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি<br /> ↓<br /> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,<br /> <br /> -حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصاريحدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لامحمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت الجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب فكتبت عليه “لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم فسكن. هذا حديث صحيح الاسناد<br /> <br /> ” মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি হুজুর পাক ﷺ উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে উনাকে যারা পেতে চায় তাঁদের নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে।<br /> যদি মুহম্মদ ﷺ না হতেন হতেন তবে আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না, যদি মুহম্মদ ﷺ সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না।<br /> আর যখন আমি পানির উরর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের মধ্যেلا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم লিখে দেই তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে যায়।”<br /> এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।<br /> <br /> ‪‎Reference :<br /> <br /> ★ মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিশাপুরী (রহ),<br /> কিতাব : তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহিআলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিন<br /> খন্ড : ৪র্থ খন্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা<br /> ★ মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খন্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা<br /> <br /> <br /> মুহাদ্দিসে কেরাম থেকেঃ<br /> <br /> ১<br /> ইমাম সাইফুদ্দীন আবূ জা’ফর বিন উমর আল-হুমাইরী আল-হানাফী নিজ ‘আদ-দুররূল তানযীম ফী মওলিদিন্ নাবিই-ইল করীম’ শীর্ষক কেতাবে বলেন: আল্লাহতা’লা যখন হযরত বাবা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাঁর মনে এই ভাবের উদয় করেন যার দরুণ তিনি মহান প্রভুকে প্রশ্ন করেন, ”এয়া আল্লাহ! আপনি আমার কুনিয়া (বংশ-পরম্পরার নাম) কেন ’আবূ মোহাম্মদ’ (মোহাম্মদ ﷺ'র পিতা) করেছেন?” আল্লাহ উত্তরে বলেন, “ওহে আদম! তোমার মাথা তোলো।” তিনি শির উঠিয়ে আরশে মহানবী (ﷺ)-এর নূর (জ্যোতি) দেখতে পান। হযরত আদম (আঃ) জিজ্ঞেস করেন, “এয়া আল্লাহ! এই নূর কোন্ মহান সত্তার?” আল্লাহতা’লা জবাবে বলেন, “তোমার বংশেই এই মহান নবী (ﷺ)-এর জন্ম। আসমানে তাঁর নাম আহমদ (ﷺ) এবং জমিনে মোহাম্মদ (ﷺ)। আমি তাঁকে সৃষ্টি না করলে তোমাকে বা আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করতাম না।”<br /> <br /> ২<br /> সাইয়্যেদ আবূল হুসাইন হামদূনী শাযিলী তাঁর ‘কাসিদায়ে দা’লিয়া’তে লেখেন: “প্রিয়নবী (ﷺ) হলেন সারা বিশ্বজগতের মধ্যমণি এবং সকল সৃষ্টির কারণ (অসিলা)। তিনি না হলে কিছুই অস্তিত্ব পেতো না।”<br /> <br /> ৩<br /> ইমাম শরফউদ্দীন আবূ মোহাম্মদ বুসিরী তাঁর কৃত ‘কাসিদা-এ-বুরদা’ কাব্য-পুস্তকে লেখেন: “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) না হলে দুনিয়া অস্তিত্বশীল হতো না।”<br /> <br /> ৪<br /> ইমাম বুসিরী (রহ:)-এর কাব্যের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে ইমাম শায়খ ইবরাহীম বাইজুরী লেখেন: “হুযূর করীম (ﷺ) অস্তিত্বশীল না হলে বিশ্বজগত-ই অস্তিত্বশীল হতো না। হযরত আদম (আ:)-কে আল্লাহ বলেন, ‘মহানবী (ﷺ) অস্তিত্বশীল না হলে আমি তোমোকে সৃষ্টি করতাম না। হযরত আদম (আ:) হলেন মনুষ্যজাতির আদি পিতা, আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই মানুষের জন্যে সৃষ্ট। তাই হযরত আদম (আ:)-কে যেহেতু রাসূলে খোদা (ﷺ)-এর অস্তিত্বের কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু সমগ্র জগতই মহানবী (ﷺ)-এর কারণে সৃষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, সকল অস্তিত্বশীল সত্তার সৃষ্টির কারণ হলেন বিশ্বনবী (ﷺ)।”<br /> <br /> ৫<br /> কাসিদা-এ-বুরদা কাব্য সম্পর্কে আল্লামা খালেদ আযহারী মন্তব্য করেন: “রাসূলে পাক (ﷺ)-এর কারণেই দুনিয়া অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পেয়েছে।”<br /> <br /> ৬<br /> মোল্লা আলী কারী লেখেন: ”রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আশীর্বাদ ও মহত্ত্ব ছাড়া সমগ্র এই বিশ্বজগত অস্তিত্ব পেতো না এবং আল্লাহ ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল থাকতো না।”<br /> <br /> ৭<br /> ইমাম শেহাবউদ্দীন ইবনে হাজর আসকালানী বলেন, “এই সকল বর্ণনা ব্যক্ত করে যে মহানবী (ﷺ)-কে সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহতা’লা আসমান-জমিন, বেহেশ্ত-দোযখ, চন্দ্র-সূর্য কিছুই সৃষ্টি করতেন না।”<br /> <br /> ৮<br /> আল্লামা আবূল আয়াশ আবদুল আলী লাখনৌভী নিজ ‘ফাওয়াতিহ আর-রাহমূত শরহে মোসাল্লাম আস্ সুবূত’ পুস্তকে লেখেন: “রাসূলে খোদা (ﷺ) অস্তিত্বশীল না হলে সৃষ্টিকুল আল্লাহর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ)-ধন্য হতো না।”<br /> <div> <br /></div> </div>

হে রাসুল (ﷺ) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনাঃ

হে রাসুল (ﷺ) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনাঃ সংকলক : মাসুম বিল্লাহ সানি  (প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানো...

Read more »

সাধারন মানুষ কি মাটির তৈরি? সৃষ্টিতত্ত্ব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাধারন মানুষ কে মা বাবার বীর্য থেকে তৈরি করেছেন<br /> আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-<br /> <br /> ▪ আত-তারিক ৮৬:৫<br /> <br /> সুতরাং মানুষের ভেবে দেখা উচিত যে, তাকে কি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে?<br /> <br /> ▪ আত-তারিক ৮৬:৬<br /> <br /> তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। [১]<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, বীর্য থেকে; যা চরম কাম-উত্তেজনার শেষে সবেগে নির্গত হয়। এই বীর্য-বিন্দু নারীর গর্ভাশয়ে পৌঁছনোর পর আল্লাহর আদেশ হলে গর্ভ সঞ্চারের কারণ হয়।<br /> <br /> ▪ আল-ইনসান ৭৬:২<br /> <br /> নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে,[১] যাতে আমি তাকে পরীক্ষা করি, এই জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। [২]<br /> <br /> [১] মিলিত শুক্র বা বীর্যবিন্দু বলতে নর-নারী উভয়ের মিশ্রিত বীর্য এবং তার বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অবস্থা। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হল, তাকে পরীক্ষা করা। যেমন তিনি বলেছেন, "যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষা করবার জন্য; কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম?" <em>(সূরা মুলক ৬৭:২ আয়াত)</em><br /> <br /> [২] অর্থাৎ, তাকে শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তি দান করেছি। যাতে সে সব কিছু দেখতে ও শুনতে পারে এবং তারপর আনুগত্যের অথবা অবাধ্যতার উভয় রাস্তার মধ্যে কোন এক রাস্তা অবলম্বন করতে পারে।<br /> <br /> ▪ আল-মুরসালাত ৭৭:২০<br /> আমি কি তোমাদেরকে এক ঘৃণিত পানি (বীর্য) থেকে সৃষ্টি করিনি?<br /> <br /> আস-সিজদাহ ৩২:৭<br /> <br /> যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে উত্তমরূপে সৃজন করেছেন[১] এবং মাটি হতে মানব-সৃষ্টির সূচনা করেছেন।[২]<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, যা কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তা যেহেতু আল্লাহর হিকমত ও ইচ্ছা অনুযায়ী সেহেতু প্রতিটি বস্তুতেই এক বিশেষ সৌন্দর্য ও উৎকৃষ্টতা আছে। বলা বাহুল্য, তাঁর সৃষ্টির সকল জিনিসই সুন্দর। অনেকে أَحسَنَ শব্দটিকে أَتقَنَ ও أحكَمَ এর অর্থে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ তিনি যাবতীয় বস্তুকে সুনিপুণ ও মজবুত করে সৃষ্টি করেছেন। অনেকে তাকে أَلهَمَ এর অর্থে মনে করেছেন। অর্থাৎ যাবতীয় সৃষ্টিকে তার প্রয়োজনীয় জিনিসের ইলহাম (জ্ঞানসঞ্চার) করেছেন।<br /> <br /> [২] অর্থাৎ, সর্বপ্রথম মানুষ আদম (আঃ)-কে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যাঁর নিকট থেকে মানব জন্মের সূচনা হয়েছে এবং তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে তাঁর বাম পার্শেবর অস্থি থেকে সৃষ্টি করেছেন; তা হাদীস দ্বারা বুঝা যায়।<br /> <br /> ▪ আস-সিজদাহ ৩২:৮<br /> অতঃপর তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস হতে[১] তার বংশ উৎপন্ন করেছেন।<br /> <br /> [১] অর্থাৎ বীর্য হতে। উদ্দেশ্য হল যে, মানুষের জোড়া তৈরী করার পর তার বংশ বৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ এই নিয়ম নির্ধারণ করেছেন যে, পুরুষ ও নারী উভয়ে বিবাহ করবে, অতঃপর তাদের মিলনের ফলে পুরুষের বীর্যের যে ফোঁটা নারীর গর্ভাশয়ে প্রবেশ করবে তার দ্বারা তিনি সুন্দর অবয়বে মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠাতে থাকবেন<br /> <br /> ▪ ইয়াসীন ৩৬:৭৭ <br /> <br /> মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে (নাপাক) বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি? আর সে কিনা হয়ে যায় প্রকাশ্য ঝগড়াটে।<br /> <br /> ▪ আল-ফুরকান ২৫:৫৪<br /> <br /> তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তার জন্য বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্ক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তোমার প্রভু অত্যন্ত ক্ষমতাবান।<br /> <br /> ▪ আন-নাজ্‌ম ৫৩:৪৫<br /> <br /> তিনিই নারী-পুরুষ জোড়া সৃষ্টি করেন<br /> <br /> ▪ আন-নাজ্‌ম ৫৩:৪৬ ۪<br /> <br /> বীর্য থেকে, যখন তা নির্গত করা হয়;<br /> <br /> ▪‘আবাসা ৮০:১৮<br /> <br /> আল্লাহ তাকে কোন্‌ বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?<br /> <br /> ▪‘আবাসা ৮০:১৯<br /> <br /> বীর্য থেকে; তিনি তাকে সৃষ্টি করেন ও পরিমিতভাবে গঠন করেন।<br /> <br /> ▪ আল-‘আলাক ৯৬:২<br /> <br /> তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত থেকে।<br /> <br /> ▪ আন-নাহ্‌ল ১৬:৪<br /> <br /> তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন এক ফোঁটা শুক্র থেকে। অথচ এই মানুষই প্রকাশ্য বিরোধী হয়ে যায়।<br /> <br /> ▪ আল-কিয়ামাহ ৭৫:৩৬<br /> <br /> মানুষ কি মনে করে যে, তাকে বৃথাই ছেড়ে দেওয়া হবে?<br /> <br /> ▪ আল-কিয়ামাহ ৭৫:৩৭<br /> <br /> সে কি (মায়ের গর্ভাশয়ে) নিক্ষিপ্ত একফোঁটা বীর্য ছিল না?<br /> <br /> ▪ আল-কিয়ামাহ ৭৫:৩৮<br /> <br /> অতঃপর সে ছিল (মাতৃগর্ভে) একটি ঝুলন্ত রক্তপিণ্ড, তারপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুন্দর আকার দিয়েছেন।<br /> <br /> ▪ আল-হাজ্জ ২২:৫<br /> <br /> হে মানুষ! পুনরুত্থান সম্বন্ধে তোমাদের যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে (ভেবে দেখ,) আমিই তো তোমাদেরকে (প্রথম মানুষ আদমকে) মাটি থেকে, তারপর (অন্যান্যদেরকে) বীর্য থেকে, তারপর জমাট রক্তপিণ্ড থেকে, তারপর সুগঠিত ও সুগঠিত নয় এমন মাংসখণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছি; তোমাদের কাছে (আমার ক্ষমতা) প্রকাশ করার জন্য। আমি যা (সৃষ্টি করতে) চাই তা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত মাতৃগর্ভে রেখে দেই; তারপর তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করে আনি; পরে যাতে তোমরা পূর্ণ শক্তির বয়সে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কতক (অল্প বয়সে) মারা যায়, আবার তোমাদের মধ্যে কতককে নিকৃষ্টতম বয়সে (জরাজীর্ণ বার্ধক্যে) উপনীত করা হয়, যাতে তারা জানার পরে আবার কিছুই না জানে (সবকিছু ভুলে যায়)। আর তুমি জমিনকে দেখতে পাও মৃত, তারপর আমি যখন তাতে পানি (বৃষ্টি) বর্ষণ করি তখন তা নড়ে (জীবিত হয়ে) ওঠে, বেড়ে ওঠে আর সবরকম সুন্দর উদ্ভিদ উদ্‌গত করে।<br /> <br /> [১] আয়াতটিকে আল্লাহ তা'আলা পুনরুত্থানের উপর প্রথম প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন। প্রথম সৃষ্টি যার পক্ষে করা সম্ভব তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় সৃষ্টি কিভাবে কঠিন হবে? প্রথম সৃষ্টিই প্রমাণ করছে যে, তিনি দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে সক্ষম। [ইবন কাসীর] আয়াতে মাতৃগর্ভে মানব সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর বর্ণিত হয়েছে।<br /> <br /> ▪ রাসূলুল্লাহ বলেনঃ মানুষের বীর্য চল্লিশ দিন পর্যন্ত গর্ভাশয়ে সঞ্চিত থাকে। চল্লিশ দিন পর তা জমাট রক্তে পরিণত হয়। এরপর আরো চল্লিশ দিন অতিবাহিত হলে তা মাংসপিণ্ড হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে একজন ফিরিশতা প্রেরিত হয়। সে তাতে রূহ ফুঁকে দেয়। এ সময়েই তার সম্পর্কে চারটি বিষয় লিখে দেয়া হয়ঃ [১] তার বয়স কত হবে, [২] সে কি পরিমাণ রিযিক পাবে, [৩] সে কি কি কাজ করবে এবং [৪] পরিণামে সে ভাগ্যবান হবে, না হতভাগা হবে। [বুখারীঃ ২৯৬৯, মুসলিমঃ ২৬৪৩]<br /> <br /> [২] এর অর্থ হচ্ছে মানুষ নামের প্রজাতির সূচনা হয়েছে আদম আলাইহিস সালাম থেকে। তাঁকে সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তারপর পরবর্তী পর্যায়ে শুক্র থেকেই মানব বংশের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “মানুষের সৃষ্টি শুরু করেন মাটি থেকে তারপর তার বংশ-ধারা চালান একটি নির্যাস থেকে যা বের হয় তুচ্ছ পানির আকারে।” [সূরা আস সাজদাহ, ৭-৮] </div>

সাধারন মানুষ কি মাটির তৈরি? সৃষ্টিতত্ত্ব

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাধারন মানুষ কে মা বাবার বীর্য থেকে তৈরি করেছেন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ- ▪ আত-তারিক ৮৬:৫ সুতরাং মানুষের ভেবে দেখা উচি...

Read more »

হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সৃষ্টিতত্ত্বঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহ তায়ালা শুধু হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন<br /> <br /> এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ<br /> আর-রহমান ৫৫:১৪<br /> <br /> خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِن صَلْصَٰلٍ كَٱلْفَخَّارِ<br /> <br /> মানুষকে (আদমকে) তিনি সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মত শুষ্ক মাটি থেকে। [১]<br /> <br /> [১] صَلْصَالٍ শুকনো মাটি যাতে শব্দ হয়। فَخَّارٌ আগুনে পোড়ানো মাটি যাকে খোলামকুচি বলে। এখানে মানুষ বলতে আদম (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। যাঁর প্রথমে মাটি থেকে (মানুষের) আকার তৈরী করা হয়। অতঃপর আল্লাহ তাতে 'রূহ' ফুঁকেন (আত্মাদান করেন)। তারপর আদম (আঃ)-এর বাম পাঁজরের হাড় থেকে হাওয়াকে সৃষ্টি করেন এবং এর পর থেকে তাঁদের উভয়ের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টির ধারাবাহিকতা চলতে থাকে।<br /> আস-সিজদাহ ৩২:৭<br /> <br /> ٱلَّذِىٓ أَحْسَنَ كُلَّ شَىْءٍ خَلَقَهُۥۖ وَبَدَأَ خَلْقَ ٱلْإِنسَٰنِ مِن طِينٍ<br /> <br /> যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে উত্তমরূপে সৃজন করেছেন[১] এবং মাটি হতে মানব-সৃষ্টির সূচনা করেছেন।[২]<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, যা কিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তা যেহেতু আল্লাহর হিকমত ও ইচ্ছা অনুযায়ী সেহেতু প্রতিটি বস্তুতেই এক বিশেষ সৌন্দর্য ও উৎকৃষ্টতা আছে। বলা বাহুল্য, তাঁর সৃষ্টির সকল জিনিসই সুন্দর। অনেকে أَحسَنَ শব্দটিকে أَتقَنَ ও أحكَمَ এর অর্থে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ তিনি যাবতীয় বস্তুকে সুনিপুণ ও মজবুত করে সৃষ্টি করেছেন। অনেকে তাকে أَلهَمَ এর অর্থে মনে করেছেন। অর্থাৎ যাবতীয় সৃষ্টিকে তার প্রয়োজনীয় জিনিসের ইলহাম (জ্ঞানসঞ্চার) করেছেন।<br /> <br /> [২] অর্থাৎ, সর্বপ্রথম মানুষ আদম (আঃ)-কে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যাঁর নিকট থেকে মানব জন্মের সূচনা হয়েছে এবং তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে তাঁর বাম পার্শেবর অস্থি থেকে সৃষ্টি করেছেন; তা হাদীস দ্বারা বুঝা যায়।<br /> আল-হিজ্‌র ১৫:২৬<br /> <br /> وَلَقَدْ خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن صَلْصَٰلٍ مِّنْ حَمَإٍ مَّسْنُونٍ<br /> <br /> নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কালো পচা শুষ্ক ঠনঠনে মাটি হতে।[১]<br /> <br /> [১] মাটির বিভিন্ন অবস্থার কারণে বিভিন্ন নামে নামকরণ হয়ে থাকে। শুকনো মাটিকে تراب, ভিজে মাটিকে طين, দুর্গন্ধযুক্ত পচা কাদা মাটিকে حمأ مسنون বলা হয়। যেমন তা শুকিয়ে গিয়ে তা থেকে ঠনঠন্ শব্দ বের হলে তাকে صلصال এবং আগুনে পোড়ালে فخَّار বলা হয়। এখানে মহান আল্লাহ মানুষের সৃষ্টির কথা যেভাবে বর্ণনা করেছেন তাতে মনে হয় যে, আদমের দেহ প্রথমে দুর্গন্ধযুক্ত কাদামাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং যখন তা শুকিয়ে তা থেকে ঠনঠন্ শব্দ বের হতে শুরু করল, তখন তার মধ্যে জীবন দান করেছিলেন। এই صلصال কে কুরআনের অন্যত্র كالفخّار বলা হয়েছে।<> (সূরা রাহমান ৫৫:১৪ আয়াত)<br /> <br /> <br /> আস-সাফফাত ৩৭:১১<br /> <br /> فَٱسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَآۚ إِنَّا خَلَقْنَٰهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍۭ<br /> <br /> অবিশ্বাসীদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ওদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, নাকি আমি অবশিষ্ট যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা সৃষ্টি করা কঠিনতর? [১] ওদেরকে আমি আঠাল মাটি হতে সৃষ্টি করেছি। [২]<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, আমি যে পৃথিবী, ফিরিশতা এবং আকাশের মত বস্তু সৃষ্টি করেছি যা আকার ও আয়তনের দিক দিয়ে একেবারে অসাধারণ। সুতরাং মানুষ সৃষ্টি করা এবং মৃত্যুর পর তাদেরকে পুনর্জীবিত করা, সেই সকল বস্তু সৃষ্টি করার চাইতেও বেশী শক্ত ও কষ্টকর? কক্ষনই না।<br /> <br /> [২] অর্থাৎ, তাদের আদি পিতা আদম (আঃ)-কে তো আমি মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। উদ্দেশ্য এই যে মানুষ পরকালের জীবনকে এত অসম্ভব ভাবছে কেন অথচ তারা একটি অতি নগণ্য ও দুর্বল বস্তু থেকে সৃষ্টি হয়েছে? অথচ সৃষ্টির দিক দিয়ে তাদের থেকে সবল, বিশাল ও মজবুত বস্তুর সৃষ্টি হওয়ার কথা তারা অস্বীকার করে না। <>(ফাতহুল ক্বাদীর)<br /> <br /> সাদ ৩৮:৭৬<br /> <br /> قَالَ أَنَا۠ خَيْرٌ مِّنْهُۖ خَلَقْتَنِى مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُۥ مِن طِينٍ<br /> <br /> সে বলল, ‘আমি আদম হতে শ্রেষ্ঠ। তুমি আমাকে আগুন হতে সৃষ্টি করেছ, আর ওকে সৃষ্টি করেছ কাদামাটি হতে।’ [১]<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, শয়তান তার বিকৃত মস্তিষ্কে এই ধারণা করেছিল যে, তার সৃষ্টির মূল উপাদান আগুন আদমের সৃষ্টির মূল উপাদান মাটির চেয়ে শ্রেষ্ঠ। অথচ আগুন, মাটি ইত্যাদি সব একই শ্রেণীর উপাদান ও কাছাকাছি প্রায় সমপর্যায়ের বস্তু। এই সব বস্তুকে এক অপরের উপর তখনই প্রাধান্য দেওয়া যাবে, যখন বহিরাগত কোন অতিরিক্ত কারণ পাওয়া যাবে। আর এই বহিরাগত কারণ আগুনের পরিবর্তে মাটিই অর্জন করেছে। তা এইভাবে যে, আল্লাহ তাআলা মাটি থেকেই আদম (আঃ)-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে আপন রূহ ফুঁকেছেন। এই দিক দিয়ে মাটিই আগুনের চেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করেছে। এ ছাড়াও আগুনের কাজ হল পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া, আর মাটি হল তার বিপরীত; বিভিন্ন বস্তুর উৎপাদন ক্ষেত্র।<br /> <br /> আল-হাজ্জ ২২:৫<br /> <br /> يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِن كُنتُمْ فِى رَيْبٍ مِّنَ ٱلْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَٰكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْۚ وَنُقِرُّ فِى ٱلْأَرْحَامِ مَا نَشَآءُ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوٓا۟ أَشُدَّكُمْۖ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَىٰٓ أَرْذَلِ ٱلْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنۢ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْـًٔاۚ وَتَرَى ٱلْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَآ أَنزَلْنَا عَلَيْهَا ٱلْمَآءَ ٱهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنۢبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيجٍ<br /> <br /> হে মানুষ! পুনরুত্থান সম্পর্কে যদি তোমরা সন্দেহে থাক তবে অনুধাবন কর---আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি [১] মাটি হতে [২] , তারপর শুক্র [৩] হতে , তারপর ‘আলাকাহ’ [৪] হতে, তারপর পূর্ণাকৃতি অথবা অপূর্ণাকৃতি গোশতপিণ্ড হতে [৫]--- যাতে আমরা বিষয়টি তোমাদের কাছে সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ করি। আর আমরা যা ইচ্ছে তা এক নির্দিষ্ট কালের জন্য মাতৃগর্ভ স্থিত রাখি , তারপর আমরা তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করি [৬], পরে যাতে তোমরা পরিণত বয়সে উপনীত হও [৭]। তোমাদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যু ঘটান হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে কাউকে হিন্তম বয়সে [৮] প্রত্যাবৃত্ত করা হয় যার ফলে সে জানার পরেও যেন কিছুই (আর) জানে না। আর আপনি ভূমিকে দেখুন শুস্ক, অতঃপর তাতে আমরা পানি বর্ষণ করলে তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সব ধরনের সুদৃশ্য উদ্ভিদ [৯];<br /> <br /> [১] আয়াতটিকে আল্লাহ তা'আলা পুনরুত্থানের উপর প্রথম প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন। প্রথম সৃষ্টি যার পক্ষে করা সম্ভব তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় সৃষ্টি কিভাবে কঠিন হবে? প্রথম সৃষ্টিই প্রমাণ করছে যে, তিনি দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করতে সক্ষম। [ইবন কাসীর] আয়াতে মাতৃগর্ভে মানব সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ বলেনঃ মানুষের বীর্য চল্লিশ দিন পর্যন্ত গর্ভাশয়ে সঞ্চিত থাকে। চল্লিশ দিন পর তা জমাট রক্তে পরিণত হয়। এরপর আরো চল্লিশ দিন অতিবাহিত হলে তা মাংসপিণ্ড হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে একজন ফিরিশতা প্রেরিত হয়। সে তাতে রূহ ফুঁকে দেয়। এ সময়েই তার সম্পর্কে চারটি বিষয় লিখে দেয়া হয়ঃ [১] তার বয়স কত হবে, [২] সে কি পরিমাণ রিযিক পাবে, [৩] সে কি কি কাজ করবে এবং [৪] পরিণামে সে ভাগ্যবান হবে, না হতভাগা হবে। [বুখারীঃ ২৯৬৯, মুসলিমঃ ২৬৪৩]<br /> <br /> [২] এর অর্থ হচ্ছে মানুষ নামের প্রজাতির সূচনা হয়েছে আদম আলাইহিস সালাম থেকে। তাঁকে সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তারপর পরবর্তী পর্যায়ে শুক্র থেকেই মানব বংশের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছেঃ “মানুষের সৃষ্টি শুরু করেন মাটি থেকে তারপর তার বংশ-ধারা চালান একটি নির্যাস থেকে যা বের হয় তুচ্ছ পানির আকারে।” [সূরা আস সাজদাহ, ৭-৮]</div>

হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সৃষ্টিতত্ত্বঃ

আল্লাহ তায়ালা শুধু হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আর-রহমান ৫৫:১৪ خَلَقَ ٱلْإِن...

Read more »

হযরত হাওয়া (আঃ) এর সৃষ্টিতত্ত্বঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহ তায়ালা হযরত হাওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাম পাজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করেছেন<br /> আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন:<br /> <br /> আন নিসা ৪:১<br /> <br /> يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَآءًۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلْأَرْحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا<br /> <br /> হে মানবসম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন[১] ও তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নরনারী (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা কর এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।<br /> <br /> [১] 'একটি প্রাণ' বলতে মানবকুলের পিতা আদম (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আর خَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا এতে مِنْهَا থেকে উক্ত প্রাণ অর্থাৎ, আদম (আঃ)-কেই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকেই তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন। আদম (আঃ) থেকে হাওয়াকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়, এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাওয়া পুরুষ অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁর পাঁজরের হাড় থেকে। অপর একটি হাদীসে বলা হয়েছে যে, "নারীদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তবে তার মধ্যে বক্রতা অবশিষ্ট থাকা অবস্থাতেই উপকৃত হতে পারবে।" <em>(বুখারী ৩৩৩১, মুসলিম ১৪৬৮নং)</em> উলামাদের কেউ কেউ এই হাদীসের ভিত্তিতে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত উক্তিকেই সমর্থন করেছেন। কুরআনের শব্দ خَلَقَ مِنْهَا থেকেও এই মতের সমর্থন হয়। অর্থাৎ, মা হাওয়ার সৃষ্টি সেই একটি প্রাণ থেকেই হয়েছে, যাকে 'আদম' বলা হয়।<br /> আয-যুমার ৩৯:৬<br /> <br /> خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ ٱلْأَنْعَٰمِ ثَمَٰنِيَةَ أَزْوَٰجٍۚ يَخْلُقُكُمْ فِى بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمْ خَلْقًا مِّنۢ بَعْدِ خَلْقٍ فِى ظُلُمَٰتٍ ثَلَٰثٍۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ ٱلْمُلْكُۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ فَأَنَّىٰ تُصْرَفُونَ<br /> <br /> তিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন।[১] অতঃপর তিনি তা হতে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন। [২]তিনি তোমাদের জন্য আট প্রকার পশু অবতীর্ণ করেছেন। তিনি তোমাদের মাতৃগর্ভের তিন প্রকার অন্ধকারে[] পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি করেন। তিনিই আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক, সার্বভৌমত্ব তাঁরই, তিনি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। অতএব তোমরা মুখ ফিরিয়ে কোথায় চলেছ?<br /> <br /> [১] অর্থাৎ, আদম (আঃ) থেকে, তাঁকে আল্লাহ তাআলা নিজ হাত দ্বারা তৈরী করেছিলেন এবং তাঁর মধ্যে নিজ রূহ ফুঁকেছিলেন।<br /> <br /> [২] অর্থাৎ, হাওয়াকে আদম (আঃ)-এর বামপার্শ্বের অস্থি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং এটাও তাঁর কুদরতের বড় কৃতিত্ব। কারণ হাওয়া ছাড়া কোন নারীর সৃষ্টি কোন পুরুষের অস্থি থেকে হয়নি। ফলে হাওয়ার সৃষ্টি সাধারণ নিয়ম-বহির্ভূত এবং আল্লাহর মহাশক্তির একটি নিদর্শন।<br /> <br /> হাদিসে আছে<br /> <br /> নবী করীম ﷺ বলেনঃ “নারী জাতিকে<br /> পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে একেবারে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তা ছেড়ে দাও, তবে সব সময় বাকাই থাকবে। সূতরাং তোমরা নারীদের সাথে উত্তম আচরণ করবে।”<br /> [বুখারীঃ ৩০৮৫; মিশকাতঃ ৩২৩৮]</div>

হযরত হাওয়া (আঃ) এর সৃষ্টিতত্ত্বঃ

আল্লাহ তায়ালা হযরত হাওয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হযরত আদম আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাম পাজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন...

Read more »

সমস্ত মানুষ মাটির তৈরী নয়

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> সমস্ত মানুষ মাটির তৈরী নয়<br /> --------------------------------------<br /> অনেক সাধারণ মানুষের ধারণা তারা মাটির তৈরী।অথচ এটি কোরআন বিরোধী কথা । কোরআন সুন্নাহে গবেষণা করে সমস্ত মানুষ পাঁচভাগে সৃষ্টি প্রমাণ পাওয়া যায় ।<br /> <br /> (ক)<br /> আদি পিতা আদম (আঃ) কে সরাসরি মাটি দিয়ে। (সুরা সোয়াদ, আয়াত, ৭১)<br /> <br /> (খ)<br /> মা হাওয়া (আঃ) কে তার স্বামী তথা আদম (আঃ)-এর পাজর থেকে। (প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন” ১ম খণ্ডের ২৪৬-২৪৭ পৃষ্ঠা)<br /> <br /> সূরা নিসায় আল্লাহ ইঙ্গিত করেছেন-<br /> <br /> وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا<br /> <br /> -‘‘তাঁর থেকে তার সঙ্গীনীকে বানানো হয়েছে। (সুরা নিসা, আয়াত, ১)<br /> <br /> তার কি থেকে বানানো হয়েছে তা কোরআনে স্পষ্ট নেই। তাই সহিহ বুখারী ও মুসলিমে আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে,<br /> <br /> হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-<br /> <br /> - فَإِنَّ المَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ، -<br /> <br /> “নিশ্চয় আদম (আঃ)-এর স্ত্রী হযরত হাওয়া (আঃ) কে তাঁর পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।”<br /> <br /> (বুখারী, আস-সহিহ, ৪/১৩৩, হাদিস নং ৩৩৩১, মুসলিম, আস-সহিহ, ২/১০৯১, হাদিস নং১৪৬৮, সুনানে দারেমী, ৩/১৪২৫পৃ. হাদিস নং ২২৬৭, হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক, ৪/১৯২, হাদিস নং ৭৩৩৩, ও ৭৩৩৪, ইবনে হিব্বান, আস্-সহিহ, হাদিস নং ৪১৭০)<br /> <br /> (গ)<br /> ঈসা (আঃ) কে শুধু মাত্র জিবরাঈল (আঃ) এর ফুঁক থেকে। (সুরা মারিয়াম , ৭-১৯)<br /> <br /> (ঘ)<br /> আমরা সাধারণ মানুষদেরকে পিতা-মাতার নুতফা বা বীর্য থেকে।<br /> <br /> এ বিষয়ে কোরআনের মোট ১১টি স্থানে মহান রব ইরশাদ করেছেন। তাকে কেউ হেয় করলে কাফির হয়ে যাবেন। যেমন দেখুন-<br /> সূরা ফোরকান, আয়াত, ৫৪,<br /> সূরা ত্বারেক, ৫,<br /> সূরা দাহর, ২,<br /> সূরা মুরছালাত, ২০-২১,<br /> সূরা সাজদা, আয়াত, ৭-৮,<br /> সূরা ইয়াছিন, ৭৭,<br /> সূরা নাজাম, ৪৫-৪৬,<br /> সূরা আবাসা, ১৮-১৯,<br /> সূরা আলাক্ব, ২,<br /> সূরা নাহল, ৪,<br /> সূরা কিয়ামা, আয়াত, ৩৬-৩৮,<br /> <br /> এ মোট ১১ স্থানে কোরআনে রয়েছে মানুষ নুতফার বা মা-বাবার বীর্যের তৈরী । আর আমাদের দেশের কাটমোল্লার কোরআনের বিরুদ্ধে ফাতওয়া দিচ্ছেন।<br /> <br /> (ঙ)<br /> রাসূল (ﷺ) কে আল্লাহর নূরের তাজাল্লী হতে। (সুরা মায়িদা ১৫, সূরা নূর ৩৫, সূরা তাওবা ৩২, সূরা ছাফ ৮)</div>

সমস্ত মানুষ মাটির তৈরী নয়

সমস্ত মানুষ মাটির তৈরী নয় -------------------------------------- অনেক সাধারণ মানুষের ধারণা তারা মাটির তৈরী।অথচ এটি কোরআন বিরোধী কথা । কো...

Read more »