মিসওয়াক ব্যবহারের ফজিলত ও রোজাদারের জন্য মিসওয়াক সুন্নত।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <img align="left" alt="রোজাদারের মিসওয়াক সুন্নত" border="0px" loading="lazy" src="https://www.shomoyeralo.com/2019/05/18/salo_1558118799.jpeg" style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 19px; margin: 0px 15px 7px 0px; max-width: 100%; padding: 0px; text-align: justify;" title="রোজাদারের মিসওয়াক সুন্নত" /><br /> <br /> <br /> <br /> <figcaption class="figcaption" style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: SolaimanLipi; font-size: 19px; margin: 0px; padding: 0px; text-align: justify;"><div style="background-attachment: initial; background-clip: initial; background-image: initial; background-origin: initial; background-position: initial; background-repeat: initial; background-size: initial; border-bottom: 1px solid rgb(221, 221, 221); box-sizing: border-box; color: #3e3e3e; cursor: pointer; float: left; font-size: 18px; margin-bottom: 20px; padding: 0px 0px 5px; position: relative; text-align: left; width: 363px;"> রোজাদারের মিসওয়াক সুন্নত</div> </figcaption><br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /> <span style="color: red;"><b>মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে ৭০ গুণ বেশি সওয়াবঃ</b></span><br /> <br /> ◾রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তর গুণ বেশি ফজিলত রয়েছে।’ (শুয়াবুল ঈমান, বাইহাকী : হাদিস ২৫১৯)<br /> <br /> <b><span style="color: red;">মিসওয়াকের অন্যান্য ফজিলতঃ</span></b><br /> <br /> ◾রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেন, ‘এমনটি কখনও হয়নি, জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এসেছেন আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ করেননি। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, (বেশি বেশি মিসওয়াক ব্যবহারের ফলে) আমার মুখের অগ্রভাগ ক্ষয় না করে ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ : ২২২৬৯)।<br /> <br /> ◾ হজরত আয়েশা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।’ (নাসায়ি : ৫)।<br /> <br /> ◾অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘যদি আমি আমার উম্মতের ওপর কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা না করতাম, তাহলে তাদের প্রত্যেক নামাজেরসময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (বুখারি : ৮৮৭)।<br /> <br /> ◾আল্লামা ইবনে আবেদীন (রহ.) বলেন, ‘মিসওয়াকের সত্তরটির অধিক উপকারিতা রয়েছে। যার সর্বোচ্চ হলো মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হওয়া, আর সর্বনিম্নটি হলো মুখের দুর্গন্ধ দূর করা।’ (ফাতাওয়া শামি)।<br /> <br /> ◾মিসওয়াক কাঁচা বৃক্ষের ডাল হলেও দিনের যেকোনো সময় মিসওয়াক করা সুন্নত। যদি রোজাদার মিসওয়াক করে এবং মিসওয়াক করার সময় ঝাঁঝ অনুভব করে বা এ জাতীয় কোনো স্বাদ অনুভব করে এবং সেটা গিলে ফেলে অথবা থুথুসহ মুখ থেকে মিসওয়াক বের করে আবার মুখে দেয় এবং থুথু গিলে ফেলে এতে করে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।’ (আল ফাতাওয়া আস সাদিয়া : পৃষ্ঠা-২৪৫)<br /> <br /> মিসওয়াকের ডাল কাঁচা ও শুকনো হওয়ার মধ্যে কোনো তফাত নেই। যেকোনো ডালই ব্যবহার করা যায়। তবে কাঁচা হলে উপকার বেশি পাওয়া যায়। মিসওয়াক ব্যবহারে পরকালীন উপকারের পাশাপাশি দুনিয়াবী উপকারও রয়েছে। মিসওয়াক ব্যবহার করলে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। শয়তান হয় অসন্তুষ্ট। দাঁতের মাড়ি মজবুত ও শক্ত হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। মিসওয়াক করলে মেধা ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।<br /> সুতরাং পার্থিব ও পরকালীন উপকার লাভের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে মেসওয়াক করা চাই।<br /> <div> <br /></div> </div>

মিসওয়াক ব্যবহারের ফজিলত ও রোজাদারের জন্য মিসওয়াক সুন্নত।

রোজাদারের মিসওয়াক সুন্নত মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে ৭০ গুণ বেশি সওয়াবঃ ◾রাসুল (ﷺ.) বলেছেন, ‘মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হ...

Read more »

সুন্নাহর অনুসরণ হল আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনুগত্য আর আনুগত্যেই মুক্তিঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> সুন্নাহর অনুসরণ হল আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনুগত্য করাঃ<br /> <br /> আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ<br /> ◾“আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।” -[সূরা আলে-ইমরানঃ ১৩৩]<br /> <br /> ◾আল্লাহ তা'য়ালা আরো বলেন :<br /> <br /> وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا ০<br /> <br /> -আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রসুলের হুকুম মান্য করবে, সে তাদের সংগী হবে-যাদের প্রতি আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন, তারা হলেন নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ ও সলেহীনগণ আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। -(সূরা নিছা : ৬৯)<br /> <br /> ◾আল্লাহ তা’য়ালা বলেন : (হে রাসূল! আপনি) বলুন! যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ সমুহ মাফ করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। -(সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৩১)<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “রাসূল তোমাদের যা আদেশ দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে তোমরা বিরত থাক।” -[সূরা হাশরঃ আয়াত ৭]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে প্রকারান্তরে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, আমি আপনাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি”। -[সূরা নিসাঃ আয়াত ৮০]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।” -[সূরা আহযাবঃ আয়াত ২১]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম!সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে (নবী ﷺ কে) ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে তা কবুল করে নেবে”। -(সুরা নিসাঃ আয়াত ৬৫)<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়”।–[সূরা আল-আহযাবঃ আয়াত ৩৬]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “মু’মিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফায়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন মু’মিনদের জওয়াব তো এই হয় যে,তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর তারাই সফলকাম।”  -[সূরা নূরঃ আয়াত ৫১]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “রাসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একের প্রতি অন্যের আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জানেন যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌছার ভয় করে।” -[ সূরা নূরঃ আয়াত ৬৩]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এ গুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” -[সূরা আনআমঃ আয়াত ১৫৩]<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের, অতঃপর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপন কর আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান এনে থাক। এ পন্থাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টত্বর।” –(সূরা নিসাঃ আয়াত ৫৯)<br /> <br /> ◾তিনি আরও বলেন : “যারা আন নাবী আর উম্মী [হুজুর (ﷺ)] এর অনুসরণ করে, যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায় [তিনি (ﷺ)] মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অন্যায় করতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের জন্যে পবিত্র বস্তু সমূহ হালাল করে দেন এবং অপবিত্র বস্তু সমূহকে তাদের জন্যে হারাম করে দেন। আর তাদের উপর চাপানো বোঝা ও বন্ধন হতে তাদের মুক্ত করেন। অতএব যেসব লোক তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য লাভ করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সেই নূরের (কুরআনের) অনুসরণ করেছে যা তাঁর নিকট নাযিল হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই সফলতা লাভ করেছে। (সূরা আরাফ: আয়াত ১৫৭)<br /> <br /> ◾মুমিনের জীবন ও কামনা-বাসনা হবে সুন্নাতের নমুনাঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না,যতক্ষণ না তার কামনা-বাসনা আমার আনীত আদর্শের অনুবর্তী হবে -(শারহুস সুন্নাহ)<br /> <br /> ◾হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : ‘‘জান্নাত পেতে আগ্রহী নয় এমন ব্যক্তি ছাড়া আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে এমন ব্যক্তি আছে যে জান্নাতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে, আর যে আমার নাফরমানী করবে ও অবাধ্য হবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে’’। -[সহীহ বুখারী ]<br /> <br /> ◾হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন : “আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন, আমরা কিছুই জানতাম না। আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে যে রূপ করতে দেখি, আমরাও সেরূপ করি।” [ ইবনু মাযাহঃ হাদিস নং ১০৬৬ সহীহ]<br /> <br /> ◾হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু সংখ্যক ফিরিস্তা আসলেন, তাদের কেউ বললেন, তিনি ঘুমন্ত, আবার কেউ বললেন: তাঁর চক্ষু ঘুমন্ত কিন্তু অন্তর জাগ্রত। অতঃপর তারা বললেন,তাঁর একটি দৃষ্টান্ত রয়েছে তোমরা সে দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর, অতঃপর বললেন, তাঁর দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সুসজ্জিত করে একটি গৃহ নির্মাণ করল, অতঃপর সেখানে খাওয়ার আয়োজন করল এবং একজন আমন্ত্রণকারী প্রেরণ করল, অতঃপর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল, গৃহে প্রবেশ করল এবং আয়োজিত খানা খেল। আর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল না, গৃহেও প্রবেশ করল না এবং আয়োজিত খানাও খেল না। এ দৃষ্টান্ত বর্ণনার পর তারা বললেন: দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা করে দিন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারবেন, কারণ চক্ষু ঘুমন্ত হলেও অন্তর জাগ্রত, তখন তারা ব্যাখ্যায় বললেন, “নির্মিত গৃহটি হল জান্নাত, আর আমন্ত্রণকারী হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, অতএব যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য স্বীকার করে, সে যেন প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ তা’আলরই আনুগত্য স্বীকার করল। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমান্য করল, সে যেন প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা’আলাকেই অমান্য করল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে [ন্যায় ও অন্যায়ের] পার্থক্যকারী।” –[ বুখারিঃ হাদিস নং ৭২৮১]<br /> <br /> ◾সুন্নাহ অমান্য কারীর সঙ্গে সম্পর্ক কিরূপ হবেঃ হযরত উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : অচিরেই তোমাদের উপর এমন কতিপয় শাসক হবে যাদের কিছু কাজ (সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়ার কারণে) তোমরা পছন্দ করবে আর কিছু কাজ (সুন্নাহ বিরোধী হওয়ার কারণে) অপছন্দ করবে। যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি এগুলোকে ঘৃণা করবে সেও দায়িত্বমুক্ত হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি এরূপ কাজের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে এবং তার অনুসরণ করবে সে অন্যায়ের ভাগী হবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবো না? তিনি বললেন : না,যতক্ষন তারা তোমাদের মাঝে নামাজ কায়েম রাখে।”- (মুসলিমঃ ৪৬৪৯ ও তিরমিযীঃ ২২১১)<br /> <br /> ◾অনুরূপ বর্ণনাঃ হযরত কাব বিন উজরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ " জেনে রাখো অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায়গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তাঁদের দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না। আর যাঁরা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না তাঁরা আমার উম্মত এবং আমি তাঁদের দায়িত্ব নিবো এবং তাঁদেরকেই (কিয়ামতের দিন)  হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে।  -[ তিরমিযি, হাদিস নং ৬১৪, হাদীস সহিহ]<br /> <br /> ◾সুন্নাতের অবহেলাকারী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মাতভূক্ত নয়ঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)  তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ?আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। -[মুসনাদে আহমাদঃ হাদিস নং- ৬৪৪১]<br /> <br /> ◾হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহা হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : বিবাহ আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা বিবাহ করো, কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে গর্ব করবো। যার সামর্থ্য আছে সে অবশ্যই বিবাহ করবে আর যার সামর্থ্য নেই তার উপর কর্তব্য হলো রোজা রাখা। কারণ, রোজা তার জন্য প্রতিষেধক। -[ইবনে মাজাহ]<br /> <br /> সুন্নাত হল নাজাতের একমাত্র পথঃ<br /> <br /> ◾যারা অন্য জাতির কালচারের সাথে সামঞ্জস্য রাখেঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য বা মিল রাখে, সে তাদেরই দলভুক্ত এবং তার হাশর- নশর তাদের সাথেই হবে।” -(মুসনাদে আহমদ)</div>

সুন্নাহর অনুসরণ হল আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনুগত্য আর আনুগত্যেই মুক্তিঃ

সুন্নাহর অনুসরণ হল আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আনুগত্য করাঃ আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ ◾“আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেক...

Read more »

বিলুপ্ত সুন্নাত জিন্দা করার জন্য অবিরাম সাধনার গুরুত্ব ও ফজিলত।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">বিলুপ্ত সুন্নাত জিন্দা করার জন্য অবিরাম সাধনার গুরুত্ব ও ফজিলত।</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><span style="color: red;">যে আমার সুন্নাতকে যিন্দা করে সে আমাকে ভালবাসেঃ</span></b></div> </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ “বেটা! সকাল-সন্ধ্যায় যদি এমনভাবে থাকতে পার যে, তোমার মনে কারো প্রতি বিদ্বেষ নেই তাহলে এমনভাবেই থাক। বেটা! এটি আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নাতকে যিন্দা করে সে আমাকে ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” – (তিরমিযীঃ ২৬৭৮)</div> </span><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><span style="color: red;">ছুন্নাতকে আঁকড়ে ধরায় একশত শহীদের সওয়াবঃ </span></b></div> </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “আমার উম্মাতের বিপর্যয়ের সময় যে আমার ছুন্নাতকে আঁকড়ে থাকবে তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব।” – (বায়হাকী)</div> </span><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾অন্য বর্ণনাঃ হযরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে আমার কোন সুন্নাত জিন্দা করল সে যেন আমাকে জিন্দা করল। আর যে আমাকে জিন্দা করল সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।” – (তিরমিজীঃ ২খ.-৯৬ পৃ.)</div> </span><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><span style="color: red;">ভাল কাজের প্রতি আহবানকারী ঐ ব্যক্তির সওয়াব পাবেঃ </span></b></div> </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যে ব্যক্তি হিদায়াতের পথে ডাকে সে তার অনুসারীর সমপরিমান সওয়াব পাবে, তবে অনুসারীর সওয়াব থেকে মোটেও কমানো হবেনা। আর যে ব্যক্তি গোমরাহীর দিকে ডাকে সে তার অনুসারীদের সমপরিমান পাপের ভাগী হবে, তবে অনুসারীদের পাপ থেকে মোটেও কমানো হবে না।” – (মুসলিম, তিরমিজি-২৬১১ : হাসান ও সহীহ্)</div> </span><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><span style="color: red;">বিলুপ্ত প্রায় সুন্নাহ জীবিত করার তাগিদঃ </span></b></div> </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দ্বীন ইসলাম তো অপরিচিত অবস্থায় যাত্রা শুরু করেছিল এবং অচিরেই অপরিচিত অবস্থায় ফিরে আসবে। সুতরাং সুসংবাদ সেই অপরিচিতদের জন্য।”</div> </span><br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;">– (তিরমিযীঃ ২৫৬৬ : হাসান ও সহীহ)</span></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #38761d;"><br /></span></div> <span style="color: #38761d;"><div style="text-align: justify;"> ◾তাদের পরিচয় প্রসংগে বলা হয়েছে- “যারা আমার ছুন্নাহ মানুষের দ্বারা বিপর্যস্থ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় ইসলাহ বা পূণর্র্জীবিত করে।” – (তিরমিজীঃ হাদীস নং ২৫৬৭)</div> </span><br /> <div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> </div>

বিলুপ্ত সুন্নাত জিন্দা করার জন্য অবিরাম সাধনার গুরুত্ব ও ফজিলত।

বিলুপ্ত সুন্নাত জিন্দা করার জন্য অবিরাম সাধনার গুরুত্ব ও ফজিলত। যে আমার সুন্নাতকে যিন্দা করে সে আমাকে ভালবাসেঃ ◾হযরত আনাস রাদিয়...

Read more »

ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুন্নাতের গুরুত্ব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুন্নাতের গুরুত্ব</div> <div style="text-align: justify;"> কৃতঃ ডাঃ গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি, তার পরিবারবর্গ, বংশধর, সাহাবায়ে কিরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) ও সালেহীণ (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)-গণের প্রতি। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রসূল। নিশ্চয়ই শুভ পরিণতি কেবলমাত্র রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, খুলাফায়ে রাশিদীন এবং সাহাবা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-গণের অনুসৃত কল্যাণময় আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই নিহিত।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিসসালাম এর আদি নিবাস হল জান্নাত। তাই মুমীনগণের জীবনের চুড়ান্ত লক্ষ্য হল আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাত লাভ করা। আল্লাহ তা'য়ালা স্বয়ং মানব জাতিকে তাঁর পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন, আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ “আর তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও জান্নাতের দিকে, যার পরিধি আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।” -[সূরা আলে-ইমরানঃ ১৩৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তা'য়ালা ও তাঁর রসুলের হুকুম মান্যকারী আল্লাহ তা'য়ালার অনুগ্রহপ্রাপ্ত বান্দাগণই পরকালে রসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জান্নাতে অবস্থানের সৌভাগ্য অর্জন করবেন। এ প্রসংগে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন :</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا ০</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রসুলের হুকুম মান্য করবে, সে তাদের সংগী হবে-যাদের প্রতি আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন, তারা হলেন নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ ও সলেহীনগণ আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। -(সূরা নিছা : ৬৯)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাহ হল ইসলামী জীবন ব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তিঃ </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তা’য়ালা বলেন : (হে রাসূল! আপনি) বলুন! যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ সমুহ মাফ করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। -(সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৩১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “রাসূল তোমাদের যা আদেশ দেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে তোমরা বিরত থাক।” -[সূরা হাশরঃ আয়াত ৭]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে প্রকারান্তরে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, আমি আপনাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি”। -[সূরা নিসাঃ আয়াত ৮০]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।” -[সূরা আহযাবঃ আয়াত ২১]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম!সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে (নবী সাঃ কে) ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে তা কবুল করে নেবে”। -(সুরা নিসাঃ আয়াত ৬৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়”।–[সূরা আল-আহযাবঃ আয়াত ৩৬]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “মু’মিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফায়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন মু’মিনদের জওয়াব তো এই হয় যে,তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর তারাই সফলকাম।”  -[সূরা নূরঃ আয়াত ৫১]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “রাসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একের প্রতি অন্যের আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে জানেন যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌছার ভয় করে।” -[ সূরা নূরঃ আয়াত ৬৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। এ গুলো তিনি তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” -[সূরা আনআমঃ আয়াত ১৫৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের, অতঃপর কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপন কর আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান এনে থাক। এ পন্থাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টত্বর।” –(সূরা নিসাঃ আয়াত ৫৯)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আরও বলেন : “যারা আন নাবী আর উম্মী [হুজুর (ﷺ)] এর অনুসরণ করে, যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায় [তিনি (ﷺ)] মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেন ও অন্যায় করতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের জন্যে পবিত্র বস্তু সমূহ হালাল করে দেন এবং অপবিত্র বস্তু সমূহকে তাদের জন্যে হারাম করে দেন। আর তাদের উপর চাপানো বোঝা ও বন্ধন হতে তাদের মুক্ত করেন। অতএব যেসব লোক তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য লাভ করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সেই নূরের (কুরআনের) অনুসরণ করেছে যা তাঁর নিকট নাযিল হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই সফলতা লাভ করেছে। (সূরা আরাফ: আয়াত ১৫৭)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সূন্নাহ বা হাদিস হল ওহীয়ে গায়রে মাতলুঃ ওয়াহী দুই প্রকার: এক- ওহীয়ে মাতলু ও দুই- ওহীয়ে গাইরে মাতলু। ওহীয়ে মাতলু হল, কুরআন মাজীদ। আর ওহীয়ে গায়রে মাতলু হল, সুন্নাহ বা হাদিস। সূন্নাহ বা হাদিস ও আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে প্রেরিত ওহী। এ প্রসংগে আল্লাহ তা’আলা বলেন : “আর সে মনগড়া কথাও বলে না । তাতো ওয়াহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়।” -[সূরা নাজমঃ আয়াত ৩-৪]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তা’আলা তা’আলা কুরআনে সূন্নাহকে হিকমাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আয়াতে আল্লাহ তা’আলা যেমনিভাবে কুরআন নাযিল করার কথা বলেন, অনুরূপভাবে হিকমাহ অর্থাৎ সূন্নাহ নাযিল করার কথাও বলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, সূন্নাহও আল্লাহর পক্ষ হতে নাযিলকৃত অহী। সুতরাং কুরআন যেমন আল্লাহর ওহী অনুরূপভাবে সূন্নাহও আল্লাহর ওহী। আল্লাহ তা’আলা বলেন : “এবং আল্লাহ আপনার প্রতি গ্রন্থ ও হিকমাহ অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনি যা জানতে না, তিনি তাই আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।” -[ সূরা নিসাঃ আয়াত: ১১৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাহ হল কুরআনের ব্যাখ্যা ও বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ পদ্ধতিঃ  মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন : “নিশ্চয় আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত অনুকম্পা প্রদর্শন করেছেন যখন তাদের নিকট তাদের নিজস্ব একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন, সে তাদেরকে আল্লাহর আয়াত পড়ে শোনাচ্ছে, তাদেরকে পরিশোধন করছে, তাদেরকে কিতাব ও হিকমাহ (হাদিস) শিক্ষা দিচ্ছে।” -[সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত: ১৬৪]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুমিনের জীবনে সুন্নাহ-এর ব্যাপকতা ও অপরিহার্য্যতাঃ ইহ-পরকালীন নাজাত,কল্যাণ ও জান্নাতের পথ শুধুমাত্র কুরআন ও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং খুলাফায়ে রাশিদীন ও সাহাবায়ে কিরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম-গণের আদর্শ পর্যন্ত ব্যপৃত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ ঐভাবে অনুসরণ করতে হবে যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম বিশেষতঃ মুহাজীর ও আনসার (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)-গণ অনুসরণ করেছেন। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন :</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -“মুহাজীর ও আনসারদের অগ্রগামী দল আর যারা যথাযথভাবে তাদের অনুসারী,আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমন জান্নাত যার পাদদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত। তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে। এটা হল মহান সফলতা।” -(সূরা তওবাহঃ আয়াত ১০০)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত প্রসংগেঃ হযরত মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে থাকবে, পথভ্রষ্ট হবে না: আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ”। -[ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস: ৩৩৩৮]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত প্রসংগেঃ হযরত ইরবায বিন সারিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে বসলেন। অতঃপর আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী ভাষায় উপদেশ দিলেন যে, চক্ষু সমূহ অশ্রুসজল হয়ে গেল এবং হৃদয় সমূহ ভীত-বিহবল হয়ে পড়ল। এমন সময় একজন বলে উঠলো,হে আল্লাহর রাসূল! মনে হচ্ছে এটা যেন বিদায়ী উপদেশ। অতএব আপনি আমাদেরকে আরও বেশী উপদেশ দিন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতির উপদেশ দিচ্ছি। আমি তোমাদের আমীরের আদেশ শুনতে ও মান্য করতে উপদেশ দিচ্ছি যদিও তিনি একজন হাবশী গোলাম হন। কেননা আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা সত্বর বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাতকে এবং সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকড়ে ধরবে। তাকে কঠিনভাবে ধরবে এবং মাড়ির দাঁত সমূহ দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টিসমূহ হ’তে দূরে থাকবে। কেননা (দ্বীনের মধ্যে) যেকোন নতুন সৃষ্টি হ’ল বিদ‘আত। আর প্রত্যেক বিদ‘আত হ’ল পথভ্রষ্টতা।’ -[আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সাহাবাগণের সুন্নাত প্রসংগেঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “বানী-ইসরাইলীগণ বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর দলে, সকলেই জাহান্নামে যাবে, কিন্তু একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। সাহাবাগণ (রা) জিজ্ঞাসা করলেন- এই দল কারা? রসূলুলাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন : যারা আমার ও আমার সাহাবাগণের ছুন্নাতের উপর কায়েম থাকবে।” - (তিরমিযীঃ ২৫৭৮,আবু দাউদ, তারগীবঃ ৪৮)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অনুরূপ বর্ণনাঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত।রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “বনূ ইসরাঈলের যে অবস্থা এসেছিল অবশ্যই আমার উম্মাতের মধ্যে অনুরূপ অবস্থা আসবে। এমনকি তাদের কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে থাকে তবে আমার উম্মাতেরও কেউ তাতে লিপ্ত হবে। বনী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটি দল ব্যতীত সবাই হবে জাহান্নামী। বলা হল একটি দল (যারা জান্নাতী) কারা ? তিনি বললেন: আমি এবং আমার সাহাবীরা আজকের দিনে যে আদর্শের উপর (প্রতিষ্ঠিত)।” - [তিরমিযিঃ হাদিস নং ২৬৪১]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুমিনের জীবন ও কামনা-বাসনা হবে সুন্নাতের নমুনাঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:  তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না,যতক্ষণ না তার কামনা-বাসনা আমার আনীত আদর্শের অনুবর্তী হবে -(শারহুস সুন্নাহ)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : ‘‘জান্নাত পেতে আগ্রহী নয় এমন ব্যক্তি ছাড়া আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে এমন ব্যক্তি আছে যে জান্নাতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে, আর যে আমার নাফরমানী করবে ও অবাধ্য হবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে’’। -[সহীহ বুখারী ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন : “আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন, আমরা কিছুই জানতাম না। আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে যে রূপ করতে দেখি, আমরাও সেরূপ করি।” [ ইবনু মাযাহঃ হাদিস নং ১০৬৬ সহীহ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সোনার আংটি পরতেন। তখন লোকেরাও সোনার আংটি পড়তে লাগল। এরপর (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমি সোনার আংটি পরছিলাম-তারপর তিনি তা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন : আমি আর কোন দিনই তা পরব না। ফলে লোকেরাও তাদের আংটিগুলো ছুঁড়ে ফেলল।” -[বুখারীঃ হাদিস নং ৭২৯৮]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বিনা যুক্তিতে সুন্নাতের অনুসরণ করতে হবেঃ হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি হাজরে আসওয়াদের কাছে এসে তা চুম্বন করে বললেন, “আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একখানা পাথর মাত্র, তুমি কারও কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পার না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে কখনো আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।”-[ বুখারীঃ হাদিস নং ১৫৯৭]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘুমন্ত অবস্থায় কিছু সংখ্যক ফিরিস্তা আসলেন, তাদের কেউ বললেন, তিনি ঘুমন্ত, আবার কেউ বললেন: তাঁর চক্ষু ঘুমন্ত কিন্তু অন্তর জাগ্রত। অতঃপর তারা বললেন,তাঁর একটি দৃষ্টান্ত রয়েছে তোমরা সে দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর, অতঃপর বললেন, তাঁর দৃষ্টান্ত হল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সুসজ্জিত করে একটি গৃহ নির্মাণ করল, অতঃপর সেখানে খাওয়ার আয়োজন করল এবং একজন আমন্ত্রণকারী প্রেরণ করল, অতঃপর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল, গৃহে প্রবেশ করল এবং আয়োজিত খানা খেল। আর যে আমন্ত্রণ গ্রহণ করল না, গৃহেও প্রবেশ করল না এবং আয়োজিত খানাও খেল না। এ দৃষ্টান্ত বর্ণনার পর তারা বললেন: দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা করে দিন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারবেন, কারণ চক্ষু ঘুমন্ত হলেও অন্তর জাগ্রত, তখন তারা ব্যাখ্যায় বললেন, “নির্মিত গৃহটি হল জান্নাত, আর আমন্ত্রণকারী হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, অতএব যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য স্বীকার করে, সে যেন প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ তা’আলরই আনুগত্য স্বীকার করল। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমান্য করল, সে যেন প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা’আলাকেই অমান্য করল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে [ন্যায় ও অন্যায়ের] পার্থক্যকারী।” –[ বুখারিঃ হাদিস নং ৭২৮১]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাহ অমান্য কারীর সঙ্গে সম্পর্ক কিরূপ হবেঃ হযরত উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : অচিরেই তোমাদের উপর এমন কতিপয় শাসক হবে যাদের কিছু কাজ (সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়ার কারণে) তোমরা পছন্দ করবে আর কিছু কাজ (সুন্নাহ বিরোধী হওয়ার কারণে) অপছন্দ করবে। যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি এগুলোকে ঘৃণা করবে সেও দায়িত্বমুক্ত হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি এরূপ কাজের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে এবং তার অনুসরণ করবে সে অন্যায়ের ভাগী হবে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবো না? তিনি বললেন : না,যতক্ষন তারা তোমাদের মাঝে নামাজ কায়েম রাখে।”- (মুসলিমঃ ৪৬৪৯ ও তিরমিযীঃ ২২১১)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অনুরূপ বর্ণনাঃ হযরত কাব বিন উজরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ " জেনে রাখো অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায়গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তাঁদের দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না। আর যাঁরা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না তাঁরা আমার উম্মত এবং আমি তাঁদের দায়িত্ব নিবো এবং তাঁদেরকেই (কিয়ামতের দিন)  হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে।  -[ তিরমিযি, হাদিস নং ৬১৪, হাদীস সহিহ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তার কাছে তার এক ভাতিজা বসা ছিল। সে তখন কংকর নিক্ষেপ করছিল। তিনি তাকে তা থেকে নিষেধ করলেন এবং বললেন : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ থেকে নিষেধ করছেন। তিনি আরও বললেন : এতে না শিকার করা হয়, আর না শত্রু পরাভূত হয়, বরং তা দাঁত ভেঙ্গে দেয় অথবা চক্ষু নষ্ট করে দেয়। রাবী বলেন, তার ভাইপো পুনরায় পাথর নিক্ষেপ করলে তিনি [ইবনে মুগাফ্ফাল রা.] বলেন: আমি তোমাকে হাদিস শুনাচ্ছি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতে নিষেধ করেছেন। অথচ এরপরও তুমি কংকর নিক্ষেপ করছ? আমি তোমার সাথে আর কখনও কথা বলব না। -[মুসলিমঃ হাদিস নং ১৯৫৪]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা আল্লাহর বান্দীদের (মহিলাদের) মসজিদে সালাত আদায় করতে মানা করো না। তখন ইবনে উমারের এক পুত্র বললেন: আমরা অবশ্যই তাদের নিষেধ করব। রাবী বলেন: এতে তিনি (ইবনে উমার) ভয়ানক রাগান্বিত হয়ে বললেন: আমি তোমার নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস বর্ণনা করছি, অথচ তুমি বলছ যে, আমরা অবশ্যই তাদের নিষেধ করব? -[ ইবনু মাযাহঃ হাদিস: ১৬ হাদিসটি সহীহ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যারা সুন্নাহ পূণঃরোজ্জীবিত করে তাদের জন্য সুসংবাদঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনেমাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন : দ্বীন ইসলাম তো অপরিচিত অবস্থায় যাত্রা শুরু করেছিল এবং অচিরেই অপরিচিত অবস্থায় ফিরে আসবে। সুতরাং সুসংবাদ সেই অপরিচিতদের জন্য।(তিরমিযীঃ হাদীস নং ২৫৬৬) তাদের পরিচয় প্রসংগে বলা হয়েছে- যারা আমার ছুন্নাহমানুষের দ্বারা বিপর্যস্থ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় ইসলাহ বা পূণর্র্জীবিত করে। -[তিরমিযীঃ হাদীস নং ২৫৬৭]  </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাতকে আঁকড়ে থাকায় একশত শহীদের সওয়াবঃ হযরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু‘আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমার উম্মাতের বিপর্যয়ের সময় যে আমার ছুন্নাতকে আঁকড়ে থাকবে তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব -(বায়হাকী)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রসূলের সাথে জান্নাতে যাবেঃ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু‘আনহু থেকে বর্ণিত</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;">  তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ ‘বেটা! সকাল-সন্ধ্যায় যদি এমনভাবে থাকতে পার যে, তোমার মনে কারো প্রতি বিদ্বেষ নেই তাহলেএমনভাবেই থাক। বেটা! এটি আমার সুন্নত।যে আমার সুন্নাতকে যিন্দা করে সেআমাকে ভালবাসে।আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।’ -{জামে তিরমিযীঃ হাদীস নং ২৬৭৮}</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অনুরূপ বর্ণনাঃ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে আমার কোন সুন্নাত জিন্দা করল সে যেন আমাকেজিন্দা করল। আর যে আমাকে জিন্দা করল সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -(তিরমিজীঃ ২খ.-৯৬ পৃ)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাতের অবহেলাকারী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মাতভূক্ত নয়ঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত।  তিনি বলেন, আমার পিতা একজন কুরাইশি মেয়ের সাথে আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। উক্ত মেয়ে আমার ঘরে আসল। আমি নামায রোযা ইত্যাদি এবাদতের প্রতি আমার বিশেষ আসক্তির দরুণ তার প্রতি কোন প্রকার মনোযোগ দিলাম না। একদিন আমার পিতা- আমর ইবনে আস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)  তার পুত্রবধুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার স্বামীকে কেমন পেয়েছ? সে জবাব দিল, খুবই ভালো লোক অথবা বললো খুবই ভালো স্বামী। সে আমার মনের কোন খোঁজ নেয় না এবং আমার বিছানার কাছেও আসে না। এটা শুনে তিনি আমাকে খুবই গালাগাল দিলেন ও কঠোর কথা বললেন এবং বললেন, আমি তোমাকে একজন কুরাইশি উচ্চ বংশীয়া মেয়ে বিয়ে করিয়েছি আর তুমি তাকে এরূপ ঝুলিয়ে রাখলে? তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে গিয়ে আমার বিরূদ্ধে নালিশ করলেন। তিনি আমাকে ডাকালেন। আমি উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি দিনভর রোযা রাখ?আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাতভর নামায পড়? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, কিন্তু আমি রোযা রাখি ও রোযা ছাড়ি, নামায পড়ি ও ঘুমাই, স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করি। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের প্রতি আগ্রহ রাখে না সে আমার দলভুক্ত না। -[মুসনাদে আহমাদঃ হাদিস নং- ৬৪৪১]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আনাস  রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তি  রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের নিকট তার ইবাদতের অবস্থা জানার জন্যআসেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদতের খবর শুনে তারাযেন তার ইবাদতকে কম মনে করলেন। তারা পরস্পর আলাপ করলেন, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তুলনায় আমরা কী? আল্লাহ তা’আলা তারআগের-পিছের সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। তাদের একজন বললেন, আমিসারা রাত সালাত আদায় করবো। দ্বিতীয়জন বললেন, আমি দিনে সিয়াম পালনকরবো, আর কখনো তা ত্যাগ করবো না। তৃতীয় জন বললেন, আমি নারী থেকে দূরেথাকব, কখনো বিয়ে করবো না। তাদের এই পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার সময়রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে পড়লেন এবং বললেন, “তোমরা কি এধরনের কথাবার্তা বলেছিলে? খবরদার! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশী ভয়করি, তোমাদের চেয়ে বেশী তাকওয়া অবলম্বন করি। কিন্তু এরপরও আমি কোন দিনসিয়াম পালন করি আবার কোন দিন সিয়াম পালন ছেড়ে দিই। রাতে সালাত আদায়করি আবার ঘুমও যাই। নারীদেরকে  বিয়েও করি। এটাই আমার পথ। তাই যে ব্যক্তিআমার পথ ছেড়ে দিয়েছে সে আমার (উম্মতের মধ্যে) গণ্য হবে না”। -[ বুখারিঃ হাদিস নং ৫০৬৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহা হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : বিবাহ আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা বিবাহ করো, কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে গর্ব করবো। যার সামর্থ্য আছে সে অবশ্যই বিবাহ করবে আর যার সামর্থ্য নেই তার উপর কর্তব্য হলো রোজা রাখা। কারণ, রোজা তার জন্য প্রতিষেধক। -[ইবনে মাজাহ]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাত অবহেলার ব্যাপারে সতর্কতাঃ আবু রাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “আমি যেন তোমাদের মাঝে কাউকে এমন না পাই, সে তার খাটের উপর ঠেস দিয়ে বসে থাকবে। আর আমি যা আদেশ দিয়েছি অথবা যা থেকে নিষেধ করেছি, তা তার কাছে পৌছলে সে তখন বলবে: এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না,আমরা আল্লাহর কিতাবে যা পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব।” -[আহমদ, হাদিস: ২৩৮৭৬; আবুদ দাউদ, হাদিস: ৪৬০৫; ইবনু মাযা,হাদিস: ১৩; তিরমিযি, হাদিস: ২৬৬৩]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্নাত হল নাজাতের একমাত্র পথঃ ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় নাজাতের একমাত্র পথ হল রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ। সুন্নাত বাদ দিয়ে অন্য কোন আইন-কানুন, বিধি-বিধান,নীতিমালা, বিজাতীয় আদর্শ, রসম-রেওয়াজ, যাবতীয় পথ ও মত এবং নাফসানিয়াত সুস্পষ্ট গোমরাহী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে- যার পরিণতি হল জাহান্নাম। যেমন-</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শেষ জামানায় এমন সব দজ্জাল ও মিথ্যুকদের আর্বিভাব হবে, তারা তোমাদের নিকট এমন সব হাদিস নিয়ে আসবে, যা তোমরা ইতিপূর্বে কখনো শোননি এবং তোমাদের পূর্ব পুরুষরাও কখনো শুনেনি। তোমরা তাদের থেকে সতর্ক থাকবে, যাতে তারা তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে এবং তোমাদের বিপদে ফেলতে না পারে।” -[ মুসলিম, হাদিস: ৭]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যারা অন্য জাতির কালচারের সাথে সামঞ্জস্য রাখেঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য বা মিল রাখে, সে তাদেরই দলভুক্ত এবং তার হাশর- নশর তাদের সাথেই হবে।” -(মুসনাদে আহমদ)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবু উমামা বাহেলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের কৃষ্টিকালচারের অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য হবে এবং যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়কে মহব্বত করবে,তাদের সাথে তার হাশর হবে।” -(সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস নং ৩৫১৪)</div> </div>

ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুন্নাতের গুরুত্ব

ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুন্নাতের গুরুত্ব কৃতঃ ডাঃ গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি রব্বুল আলামীন। দুরুদ ও সালাম...

Read more »

যাকাত কে কতটুকু দিবেন ?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> যাকাত কে কতটুকু দিবেন ?<br /> (রমাদান অ্যাপ থেকে সংগৃহীত)<br /> যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তাবলীঃ<br /> স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে তার উপর যাকাত ফরয হয়ে থাকে। যেমন:<br /> ১. সম্পদের উপর পূর্ণ মালিকানাঃ<br /> সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য সম্পদের মালিকানা সুনির্দিষ্ট হওয়া আবশ্যক। অর্থাৎ সম্পদ, মালিকের অধিকারে থাকা, সম্পদের উপর অন্যের অধিকার বা মালিকানা না থাকা এবং নিজের ইচ্ছামতো সম্পদ ভোগ ও ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার থাকা। যেসকল সম্পদের মালিকানা সুস্পষ্ট নয়, সেসকল সম্পদের কোনো যাকাত নেই, যেমন: সরকারি মালিকানাধীন সম্পদ। অনুরূপভাবে জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ওয়াকফকৃত সম্পদের উপরেও যাকাত ধার্য হবে না। তবে ওয়াকফ যদি কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের জন্য হয়, তবে তার উপর যাকাত দিতে হবে।<br /> ২. সম্পদ উৎপাদনক্ষম হওয়াঃ<br /> যাকাতের জন্য সম্পদকে অবশ্যই উৎপাদনক্ষম, প্রবৃদ্ধিশীল হতে হবে, অর্থাৎ সম্পদ বৃদ্ধি পাবার যোগ্যতাই যথেষ্ট। যেমন: গরু, মহিষ, ব্যবসায়ের মাল, নগদ অর্থ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রীত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি মালামাল বর্ধনশীল।[৭]<br /> অর্থাৎ যেসকল মালামাল নিজের প্রবৃদ্ধি সাধনে সক্ষম নয়, সেসবের উপর যাকাত ধার্য হবে না, যেমন: ব্যক্তিগত ব্যবহারের মালামাল, চলাচলের বাহন ইত্যাদি।<br /> ৩. নিসাব পরিমাণ সম্পদঃ<br /> যাকাত ফরয হওয়ার তৃতীয় শর্ত হচ্ছে শরীয়ত নির্ধারিত সীমাতিরিক্ত সম্পদ থাকা। সাধারণ ৫২.৫ তোলা রূপা বা ৭.৫ তোলা স্বর্ণ বা উভয়টি মিলে ৫২.৫ তোলা রূপার সমমূল্যের সম্পদ থাকলে সে সম্পদের যাকাত দিতে হয়। পশুর ক্ষেত্রে এই পরিমাণ বিভিন্ন (বিস্তারিত: 'যাকাত প্রদানের নিয়ম' দ্রষ্টব্য)।<br /> ৪. মৌলিক প্রয়োজনাতিরিক্তঃ<br /> সম্পদ থাকা সারা বছরের মৌলিক প্রয়োজন মিটিয়ে যে সম্পদ উদ্ধৃত থাকবে, শুধুমাত্র তার উপরই যাকাত ফরয হবে। এপ্রসঙ্গে আল-কুরআনে উল্লেখ রয়েছে:<br /> লোকজন আপনার নিকট (মুহাম্মদের [স.] নিকট) জানতে চায়, তারা আল্লাহর পথে কী ব্যয় করবে? বলুন, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত। আল্লাহ এভাবেই তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিধান বলে দেন।[৮]<br /> মুহাম্মদের [স.] সহচর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস [রা.] বলেছেন,<br /> ‘অতিরিক্ত বলতে পরিবারের ব্যয় বহনের পর যা অতিরিক্ত বা অবশিষ্ট থাকে তাকে বুঝায়।[৯]’<br /> জনাব ইউসুফ আল কারযাভী'র মতে স্ত্রী, পুত্র, পরিজন, ও পিতামাতা এবং নিকটাত্মীয়দের ভরণ-পোষণও মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত।[১০]<br /> ৫. ঋণমুক্ততাঃ<br /> নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলেও ব্যক্তির ঋণমুক্ততা, যাকাত ওয়াজিব হওয়ার অন্যতম শর্ত। যদি সম্পদের মালিক এত পরিমাণ ঋণগ্রস্থ হন যা, নিসাব পরিমাণ সম্পদও মিটাতে অক্ষম বা নিসাব পরিমাণ সম্পদ তার চেয়ে কম হয়, তার উপর যাকাত ফরয হবে না। ঋণ পরিশোধের পর নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই কেবল যাকাত ওয়াজিব হয়। তবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় মতটি হলো: যে ঋণ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয় সে ঋণের ক্ষেত্রে যেবছর যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে হয়, সেবছর সে পরিমাণ ঋণ বাদ দিয়ে বাকিটুকুর উপর যাকাত দিতে হয়। কিন্তু ঋণ বাবদ যাকাত অব্যাহতি নেয়ার পর অবশ্যই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় সে সম্পদের উপর যাকাত দিতে হবে।<br /> ৬. সম্পদ এক বছর আয়ত্তাধীন থাকানিসাব পরিমাণ স্বীয় সম্পদ ১ বছর নিজ আয়ত্তাধীন থাকা যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পূর্বশর্ত।[১১] তবে কৃষিজাত ফসল, খনিজ সম্পদ ইত্যাদির যাকাত (উশর) প্রতিবার ফসল তোলার সময়ই দিতে হবে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ও কোম্পানীর ক্ষেত্রে বছর শেষে উদ্বর্তপত্রে (Balance Sheet) বর্ণিত সম্পদ ও দায়-দেনা অনুসারে যাকাতের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।<br /> বিশেষ ক্ষেত্রে যাকাত-<br /> ★অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগলের যাকাত:<br /> সম্পদের মালিক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা পাগল হলে, তার যাকাত তার আইনানুগ অভিভাবককে আদায় করতে হবে।<br /> ★যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তির যাকাত:<br /> কোনো সম্পদে যৌথ মালিকানা থাকলে সম্পদের প্রত্যেক অংশীদার তাঁর স্ব স্ব অংশের উপরে যাকাত দিবেন, যদি তা নিসাব পরিমাণ হয় বা তার অতিরিক্ত হয়। অর্থাৎ সম্পদের স্বীয় অংশের মূল্য অন্যান্য সম্পদের সাথে যোগ করে হিসাব করে যদি দেখা যায় তা নিসাব পরিমাণ হয়েছে বা অতিক্রম করেছে, তবে যাকাত দিতে হবে।<br /> ★নির্ধারিত যাকাত:<br /> যাকাত নির্ধারিত হওয়াসত্ত্বেয় পরিশোধের আগেই সম্পদের মালিকের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারগণ অথবা তার তত্ত্বাবধায়ক তার সম্পত্তি থেকে প্রথমে যাকাত বাবদ পাওনা ও কোনো ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করবেন। এরপর অবশিষ্ট সম্পত্তি, উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টিত হবে।<br /> ★তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ন্যস্ত সম্পদের যাকাত:<br /> মালিকের পক্ষ থেকে নিয়োগকৃত আইনানুগ তত্ত্বাবধায়কের কাছে সম্পত্তি ন্যস্ত থাকলে মালিকের পক্ষে উক্ত তত্ত্বাবধায়ক সে যাকাত পরিশোধ করবেন।<br /> ★বিদেশস্থ সম্পদের যাকাত:<br /> যাকাত ওয়াজিব হবার জন্য সম্পত্তি নিজ দেশে থাকা শর্ত নয়। বরং সম্পত্তি অন্য দেশে থাকলেও তার উপর যাকাত দিতে হবে। তবে উক্ত দেশ ইসলামী রাষ্ট্র হলে এবং দেশের সরকার যাবতীয় সম্পদের উপর যাকাত দিলে তা আর আলাদা করে দিতে হবে না।<br /> যাকাত গণনার নিয়মঃ<br /> ধর্মীয়ভাবে প্রতিজন মুসলমানকে তাঁর যাবতীয় আয়-ব্যয়-সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব সংরক্ষণ করতে হয়।হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাৎসরিক ভিত্তি একটি মৌলিক ধারণা। অর্থাৎ বছরের একটা নির্দিষ্ট দিন থেকে পরবর্তি বছরের একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত যাবতীয় আয়-ব্যয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখতে হয়। এই 'দিন' বাছাই করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, কোন মাসে দিন নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত কেউ কেউ হিসাব সংরক্ষণের সুবিধার্থে হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের কোনো দিন কিংবা অধিক পূণ্যের আশায় রমজান মাসের কোনো দিন বাছাই করে থাকেন। এই হিসাব সংরক্ষণ হতে হবে যথেষ্ট সূক্ষ্মতার সাথে। সংরক্ষিত হিসাবের প্রেক্ষিতে ইসলাম ধর্মের নিয়মানুযায়ী নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলে তবেই উক্ত ব্যক্তির উপর যাকাত দেয়া বাধ্যতামূলক (ফরয) হয়, অন্যথায় যাকাত দিতে হয় না।<br /> যাকাত প্রদানের নিয়মঃ<br /> যাকাতের 'নিসাব পরিমাণ' বিভিন্ন দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। নিচে এসংক্রান্ত বিস্তারিত দেয়া হলোঃ[১৫][১৭]<br /> (১) বিষয়ঃ<br /> নগদ অর্থ, ব্যাংক জমা এবং ব্যবসায়িক পণ্য।<br /> নিসাবঃ<br /> ৫২.৫ তোলারূপার মূল্যমান।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> সম্পূর্ণ মূল্যের ২.৫%।<br /> (২) বিষয়ঃ<br /> স্বর্ণ, রৌপ্য কিংবা সোনা-রূপার অলংকার।<br /> নিসাবঃ<br /> সোনা ৭.৫ তোলা এবং রূপা ৫২.৫ তোলা।<br /> যাকাতেএ হারঃ<br /> সম্পূর্ণ মূল্যের ২.৫%।<br /> (৩)বিষয়ঃ<br /> কৃষিজাত দ্রব্য।<br /> নিসাবঃ<br /> আবু হানিফারমতে, যেকোনো পরিমাণ;<br /> অন্যান্যদের মতে, ৫ ওয়াসাক বা ২৬ মণ ১০ সের;<br /> ইসলামিক ইকোলজিক্যাল রিসার্চ ব্যুরো'র মতে, ১৫৬৮ কেজি।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> বৃষ্টিতে উৎপাদিত দ্রব্যের ১০%<br /> (৪)বিষয়ঃ<br /> খনিজ দ্রব্য।<br /> নিসাবঃ<br /> যেকোনো পরিমাণ।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> দ্রব্যের ২০%।<br /> (৫)বিষয়ঃ<br /> ভেড়া-ছাগল।<br /> নিসাবঃ<br /> ৪০-১২০টি<br /> ১২১-২০০টি<br /> ২০১-৪০০টি<br /> ৪০০-৪৯৯টি<br /> ৫০০ বা ততোধিক।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> ১টি ভেড়া বা ছাগল<br /> ২টি ভেড়া বা ছাগল<br /> ৩টি ভেড়া বা ছাগল<br /> ৪টি ভেড়া বা ছাগল<br /> ৫টি ভেড়া বা প্রতি শ'তে ১টি।<br /> (৬)বিষয়ঃ<br /> গরু-মহিষ।<br /> নিসাবঃ<br /> ৩০-৩৯টি<br /> ৪০-৪৯টি<br /> ৫০-৫৯টি<br /> ৬০-৬৯টি<br /> ৭০-৭৯টি<br /> ৮০-৮৯টি<br /> ৯০-৯৯টি<br /> ১০০-১১৯টি।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> ১টি এক বছরের বাছুর<br /> ১টি দুই বছরের বাছুর<br /> ২টি দুই বছরের বাছুর<br /> ১টি তিন বছরের এবং ১টি দুই বছরের বাছুর<br /> ২টি তিন বছরের বাছুর<br /> ৩টি দুই বছরের বাছুর<br /> ১টি তিন বছরের এবং ২টি দুই বছরের বাছুর<br /> দুই বছরের বাছুর -এভাবে ঊর্ধ্বে হিসাব হবে।<br /> (৭)বিষয়ঃ<br /> উট<br /> নিসাবঃ<br /> ৫-৯টি<br /> ১০-১৪টি<br /> ১৫-১৯টি<br /> ২০-২৪টি<br /> ২৫-৩৫টি<br /> ৩৬-৪৫টি<br /> ৪৬-৬০টি<br /> ৬১-৭৫টি<br /> ৭৯-৯০টি<br /> ৯১-১২০টি<br /> ১২১-১২৯টি<br /> ১৩০-১৩৪টি<br /> ১৩৫-১৩৯টি<br /> ১৪০-১৪৪টি<br /> ১৪৫-১৪৯টি<br /> ১৫০ এবং তদুর্ধ্ব।<br /> যাকাতের হারঃ<br /> ১টি তিন বছরের খাশি অথবা ১টি এক বছরের বকরি<br /> ২টি এক বছরের বকরি<br /> ৩টি এক বছরের বকরি<br /> ৪টি এক বছরের বকরি<br /> ৪টি এক বছরের মাদী উট<br /> ২টি তিন বছরের মাদী উট<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট<br /> ১টি পাঁচ বছরের মাদী উট<br /> ২টি তিন বছরের মাদী উট<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট এবং ১টি ছাগল<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট এবং ২টি ছাগল<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট এবং ৩টি ছাগল<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট এবং ৪টি ছাগল<br /> ২টি চার বছরের মাদী উট এবং ১টি দুই বছরের উট<br /> ৩টি ৪ বছরের মাদী উট এবং প্রতি ৫টিতে ১টি ছাগল।<br /> (৮)বিষয়ঃ<br /> ঘোড়া<br /> নিসাবঃ<br /> (এক্ষেত্রে তিনটি মত পাওয়া যায়)<br /> যাকাতের হারঃ<br /> যাকাত নেই<br /> কিংবা সম্পূর্ণ মূল্যের ২.৫%<br /> কিংবা প্রতিটি ঘোড়ার জন্য ১ দিনার পরিমাণ অর্থ।<br /> (৯)বিষয়ঃ<br /> শেয়ার, ব্যাংক নোট, স্টক<br /> নিসাবঃ<br /> ৫২.৫ তোলা রূপার মূল্যমান<br /> যাকাতের হারঃ<br /> সম্পূর্ণ মূল্যের ২.৫%।।তবে কোম্পানী যাকাত দিলে ব্যক্তিগতভাবে যাকাত দিতে হবে না।<br /> (১০)বিষয়ঃ<br /> অংশীদারী কারবার ও মুদারাবা<br /> নিসাবঃ<br /> ৫২.৫ তোলা রূপার মূল্যমান<br /> যাকাতের হারঃ<br /> প্রথমে সম্পত্তির যাকাত দিতে হবে, মূলধনের নয়; এরপর লাভ বন্টিত হবে। যাকাত ব্যক্তিগতভাবে লাভের উপর হবে, একভাগ (২.৫%) দিবে মূলধন সরবরাহকারী এবং একভাগ (২.৫%) দিবে শ্রমদানকারী।<br /> <span style="background-color: white; color: #5e5853; font-family: "lora" , "baskerville" , "georgia" , "times" , serif; font-size: 16px;">(গুগলে প্লেতে যান,</span><br /> <span style="background-color: white; color: #5e5853; font-family: "lora" , "baskerville" , "georgia" , "times" , serif; font-size: 16px;">সার্চ করুন ” রমাদান Sunni pedia” আর ডাউনলোড করুন রমাদান অ্যাপটি। জানাবেন আপনার ভালো লাগা না লাগা।)</span><br /> <br /></div>

যাকাত কে কতটুকু দিবেন ?

যাকাত কে কতটুকু দিবেন ? (রমাদান অ্যাপ থেকে সংগৃহীত) যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তাবলীঃ স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নর-নারীর কাছে নিসাব পরিমাণ সম্...

Read more »