আল্লাহ নিরাকার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই”।<br /><br />সূত্রঃ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং২৭১৩।<br /><br />আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)।<br /><br />আল্লাহ্ ক্বুরআনে সুরা ইখলাস এ ২ নং আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।”<br /><br />আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে। তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতীত  কোনো কিছুই ছিলনা।<br /><br />বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক ( ﷺ ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ ব্যতীত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEir-3FTZrd83Tw3CLs3ii3OPTfgcLzp8RnaTC_cPCIv1YX8nd-d6CBxOIRMyOpja9bt-WDhEtlEcCd6QiVpe3lRwsVLWnW9_WhcUKLxMrG3CAcqFN6TsLPPSUixWHOyiJbWUxOhnJbrdMrW/s1600/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="988" data-original-width="1600" height="197" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEir-3FTZrd83Tw3CLs3ii3OPTfgcLzp8RnaTC_cPCIv1YX8nd-d6CBxOIRMyOpja9bt-WDhEtlEcCd6QiVpe3lRwsVLWnW9_WhcUKLxMrG3CAcqFN6TsLPPSUixWHOyiJbWUxOhnJbrdMrW/s320-rw/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“: ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ”<br /><br />অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা”<br /><br />[সূত্রঃ আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]।<br /><br />স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে?<br /><br />ইমাম বায়হাক্বী রহঃ বলেন, নিশ্চয়ই আমাদের ও সকল মুসলমানদের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ববিশিষ্ট নহেন| কেননা, আকৃতি 'কেমন' এর চাহিদা রাখে| অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়| কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃত্রি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলি|<br /><br />সূত্রঃ  ইমাম বায়হাকী, কিতাবুল<br />আসমা ওয়াল সিফাত, ২/৬৬ পৃঃ, হাদীস নং<br />৬৪১, সৌদিয়া, জেদ্দা<br /><br />ইমাম আবুল মানসুর মাতুরীদি (রহঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা দেহ, কোন সৃষ্টির সাদৃশ্য, দেহ বা শরীর, আকার, আকৃতি, মাংসবহুশ, রং, বড় দেহবিশিষ্ট, বস্তু বা পদার্থ<br />এগুলো থেকে পবিত্র| ইমাম বুখারী রহঃ এর উস্তাদ বলেন,<br /> যে মহান আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করবে সে কাফির|<br /><br />তাফসীরে ইবনে কাসির বলা আছে, যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারা পথাভ্রষ্ট| বর্তমানে লা মাযহাবীরা বলেন,<br />আল্লাহ আরশে বসে আছেন| এটা ভ্রান্ত এবং কুফরী | তাদের কথামত আল্লাহ যদি আরশে বসে থাকেন, এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যখন আরশ ছিল না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আহলে হাদিসদের শায়খ ইবনে তাইমিয়ারও পক্ষে সম্ভব নয়|<br />কারণ আরশ হলো আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি| আরশ যখন ছিলনা তখনও আল্লাহ ছিলেন, এখনও আছেন এবং থাকবেন|<br /><br />আরশে বসার জন্য দৈহিক আকৃতি তথা পাছা,পিঠ প্রয়োজন এবং বসার জন্য আরশের মুখাপেক্ষী হতে হয় অর্থাৎ আরশের উপর হেলান দিতে হয়| কিন্তু আল্লাহ সূরা<br />ইখলাসের ২ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী| অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন| তার বসা, হেলান দেয়ার,<br />নিদ্রার প্রয়োজন নেই|<br /><br />অন্যভাবে বলা যায়, যদি কুরসিতে বসা মানে, তাহলে হয়তো কুরসী বড় হবে নাহলে আল্লাহ? অথচ আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, **কেউ তার সমকক্ষ নয়**|<br />★সূরা ইখলাস<br /><br />আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি, বস্তুর তূলনা হয় না| তিনি তাঁর বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র| ইমাম আহলে সুন্নাত আবু মানসুর মাতুরীদি<br />বলেন, *মুতাযিলা ও কাদিয়ানীগণ বলেন, আল্লাহ সব স্থানে উপস্থিত| কিন্তু আল্লাহ স্থানের মুখাপেক্ষী নন| আল্লাহ হলেন সেই সত্ত্বা, যখন স্থান, কাল, সময় কিছুই ছিলনা তখনও তিনি ছিলেন| দেওয়ানবাগীসহ কিছু ভণ্ড আল্লাহকে নূরের আকৃতি মানে, এরাও পথভ্রষ্ট|<br /><br />ফানা ফিল্লাহ কথাটি রুপক অর্থে ব্যবহৃত| এর সঠিক অর্থ করতে গেলে, অর্থ হবে শরীয়তের প্রত্যেক টি বিধান মেনে নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (দরুদ) খুশী করার নিমিত্তে দুনিয়ার সামগ্রিক চাহিদা ভুলে নিজেকে আল্লাহর ধ্যানে হারিয়ে ফেলা| অর্থাৎ দুনীয়াকে প্রাধাণ্য না দিয়ে আখিরাত<br />কে প্রাধাণ্য দেয়া<br /><br />ইমাম তাহাভী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুনাবলি হতে কনো গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির|<br /><br />সূত্রঃ আকিদাতুত তাহাভী,<br />৪১ পৃঃ, মাকতাবাতুল ইসলামী, লেবানন|<br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির কোনো বস্তুর মতো নন|<br /><br />সূত্রঃ আল ফিকহুল আকবার, পৃঃ ১৪<br /><br />আল্লাহ বলেন, তার কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা কিছুই নেই|<br />সূরাঃ সূরা শু'রা আয়াতঃ ১১<br />*<br />*<br />আমরা জানি, পদার্থ তিন প্রকার| কঠিন, তরল ও বায়বীয়| তিনটা পদার্থই সৃষ্টি| আল্লাহ তায়ালা এই তিনটা পদার্থ থেকে পবিত্র| কারণ সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার কোনো সাদৃশ্য নেই|<br /><br />পঞ্চ ইন্দ্রিয় (নাক, কান, জিহ্বা, চোখ এবং ত্বক)।<br />১. চোখঃ কালো, সাদা, লাল, নীল, স্ত্রী, পুরুষ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে চোখ।<br />২. কানঃ পুরুষ, স্ত্রীর কণ্ঠ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৩. নাকঃ দুর্গন্ধ, সুগন্ধ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৪. জিহ্বাঃ ঝাল, টক, মিষ্টি, তেতো, টকমিষ্টি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৫. ত্বকঃ  নরম, শক্ত, ঠাণ্ডা, গরম ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br />চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক প্রত্যেক টি ইন্দ্রিয় মস্তিষ্ক / জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত।<br /><br />যার চোখে দৃশ্যমান তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, কানে যা শ্রবণ হয় তা মস্তিষ্কে অনুভূত, নাকে যে ঘ্রাণ আসে তা মস্তিষ্কে অনুভূত, জিহ্বা'য় যে স্বাদ অনুভূত হয় তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, স্পর্শে যে অনুভূতি হয় সেটাও মস্তিশষ্কে অনুভূত।  অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়সহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মস্তিষ্কের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত।<br /><br />কিছুদিন হলো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, মানুষের চামড়ায় 'পেইন রিসেপ্টর' আছে, ফলে হাতে চিমটি দিলে, শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা পেলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভূত হয়।<br /><br />কিন্তু আল্লাহ হাতের স্পর্শে আসেন না, কানে শ্রবণ হন না, চোখে দৃশ্যমান হন না, জিহ্বা দ্বারা আল্লাহ কে টেস্ট (স্বাদ গ্রহণ) করা যায় না, আল্লাহর ঘ্রাণ নেয়া যায় না, তিনি (আল্লাহ) মানুষের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে, চিন্তায় আসেন না। কারণ তিনি অনন্ত, অসীম, নিরাকার, আলিমুল গায়েব ->(অদৃশ্য)।  আল্লাহ কে না দেখেই তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ঠিক এমন আক্বিদা ছিল সিদ্দিকে আকবর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র।<br /><br />আল্লাহ নিরাকার। কিছু মানুষের প্রশ্ন হতে পারে, এমন অনেক কিছুই আছে যার আকার নেই কিন্তু অস্তিত্ব আছে। যেমনঃ বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, ইলম (জ্ঞান) ইত্যাদি। আল্লাহ নিরাকার' রাগ, বাতাস, ক্ষুধা, জ্ঞান নিরাকার, পার্থক্য কি?<br /><br />প্রথমেই বলি, বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান ইত্যাদি হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার তুলনা হয় না। এছাড়াও বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান এসবের শুরু আছে, শেষও আছে, এদের অস্তিত্ব কোন একদিন বিলিন হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।<br /><br /></div>

আল্লাহ নিরাকার

আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পর...

Read more »

আল্লাহ নিরাকার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই”।<br /> <br /> সূত্রঃ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং২৭১৩।<br /> <br /> আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)।<br /> <br /> আল্লাহ্ ক্বুরআনে সুরা ইখলাস এ ২ নং আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।”<br /> <br /> আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে। তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতীত  কোনো কিছুই ছিলনা।<br /> <br /> বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক ( ﷺ ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ ব্যতীত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3MhmnhIErWQzv7sDWRjZNmY6qB3Ye03D2ReG_goSxXHp2h44qIwQmV64jnZdaVE2uNwvxbX0pOLgyjJEn5OUufkN_mkUhCqmY1-7zFGl0SABu6rF5nZVpUSYFGYoQ5FbxdZbaaHPu0mEW/s1600/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="988" data-original-width="1600" height="197" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3MhmnhIErWQzv7sDWRjZNmY6qB3Ye03D2ReG_goSxXHp2h44qIwQmV64jnZdaVE2uNwvxbX0pOLgyjJEn5OUufkN_mkUhCqmY1-7zFGl0SABu6rF5nZVpUSYFGYoQ5FbxdZbaaHPu0mEW/s320-rw/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“: ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ”<br /> <br /> অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা”<br /> <br /> [সূত্রঃ আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]।<br /> <br /> স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে?<br /> <br /> ইমাম বায়হাক্বী রহঃ বলেন, নিশ্চয়ই আমাদের ও সকল মুসলমানদের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ববিশিষ্ট নহেন| কেননা, আকৃতি 'কেমন' এর চাহিদা রাখে| অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়| কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃত্রি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলি|<br /> <br /> সূত্রঃ  ইমাম বায়হাকী, কিতাবুল<br /> আসমা ওয়াল সিফাত, ২/৬৬ পৃঃ, হাদীস নং<br /> ৬৪১, সৌদিয়া, জেদ্দা<br /> <br /> ইমাম আবুল মানসুর মাতুরীদি (রহঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা দেহ, কোন সৃষ্টির সাদৃশ্য, দেহ বা শরীর, আকার, আকৃতি, মাংসবহুশ, রং, বড় দেহবিশিষ্ট, বস্তু বা পদার্থ<br /> এগুলো থেকে পবিত্র| ইমাম বুখারী রহঃ এর উস্তাদ বলেন,<br />  যে মহান আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করবে সে কাফির|<br /> <br /> তাফসীরে ইবনে কাসির বলা আছে, যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারা পথাভ্রষ্ট| বর্তমানে লা মাযহাবীরা বলেন,<br /> আল্লাহ আরশে বসে আছেন| এটা ভ্রান্ত এবং কুফরী | তাদের কথামত আল্লাহ যদি আরশে বসে থাকেন, এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যখন আরশ ছিল না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আহলে হাদিসদের শায়খ ইবনে তাইমিয়ারও পক্ষে সম্ভব নয়|<br /> কারণ আরশ হলো আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি| আরশ যখন ছিলনা তখনও আল্লাহ ছিলেন, এখনও আছেন এবং থাকবেন|<br /> <br /> আরশে বসার জন্য দৈহিক আকৃতি তথা পাছা,পিঠ প্রয়োজন এবং বসার জন্য আরশের মুখাপেক্ষী হতে হয় অর্থাৎ আরশের উপর হেলান দিতে হয়| কিন্তু আল্লাহ সূরা<br /> ইখলাসের ২ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী| অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন| তার বসা, হেলান দেয়ার,<br /> নিদ্রার প্রয়োজন নেই|<br /> <br /> অন্যভাবে বলা যায়, যদি কুরসিতে বসা মানে, তাহলে হয়তো কুরসী বড় হবে নাহলে আল্লাহ? অথচ আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, **কেউ তার সমকক্ষ নয়**|<br /> ★সূরা ইখলাস<br /> <br /> আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি, বস্তুর তূলনা হয় না| তিনি তাঁর বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র| ইমাম আহলে সুন্নাত আবু মানসুর মাতুরীদি<br /> বলেন, *মুতাযিলা ও কাদিয়ানীগণ বলেন, আল্লাহ সব স্থানে উপস্থিত| কিন্তু আল্লাহ স্থানের মুখাপেক্ষী নন| আল্লাহ হলেন সেই সত্ত্বা, যখন স্থান, কাল, সময় কিছুই ছিলনা তখনও তিনি ছিলেন| দেওয়ানবাগীসহ কিছু ভণ্ড আল্লাহকে নূরের আকৃতি মানে, এরাও পথভ্রষ্ট|<br /> <br /> ফানা ফিল্লাহ কথাটি রুপক অর্থে ব্যবহৃত| এর সঠিক অর্থ করতে গেলে, অর্থ হবে শরীয়তের প্রত্যেক টি বিধান মেনে নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (দরুদ) খুশী করার নিমিত্তে দুনিয়ার সামগ্রিক চাহিদা ভুলে নিজেকে আল্লাহর ধ্যানে হারিয়ে ফেলা| অর্থাৎ দুনীয়াকে প্রাধাণ্য না দিয়ে আখিরাত<br /> কে প্রাধাণ্য দেয়া<br /> <br /> ইমাম তাহাভী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুনাবলি হতে কনো গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির|<br /> <br /> সূত্রঃ আকিদাতুত তাহাভী,<br /> ৪১ পৃঃ, মাকতাবাতুল ইসলামী, লেবানন|<br /> <br /> ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির কোনো বস্তুর মতো নন|<br /> <br /> সূত্রঃ আল ফিকহুল আকবার, পৃঃ ১৪<br /> <br /> আল্লাহ বলেন, তার কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা কিছুই নেই|<br /> সূরাঃ সূরা শু'রা আয়াতঃ ১১<br /> *<br /> *<br /> আমরা জানি, পদার্থ তিন প্রকার| কঠিন, তরল ও বায়বীয়| তিনটা পদার্থই সৃষ্টি| আল্লাহ তায়ালা এই তিনটা পদার্থ থেকে পবিত্র| কারণ সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার কোনো সাদৃশ্য নেই|<br /> <br /> পঞ্চ ইন্দ্রিয় (নাক, কান, জিহ্বা, চোখ এবং ত্বক)।<br /> ১. চোখঃ কালো, সাদা, লাল, নীল, স্ত্রী, পুরুষ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে চোখ।<br /> ২. কানঃ পুরুষ, স্ত্রীর কণ্ঠ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /> ৩. নাকঃ দুর্গন্ধ, সুগন্ধ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /> ৪. জিহ্বাঃ ঝাল, টক, মিষ্টি, তেতো, টকমিষ্টি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /> ৫. ত্বকঃ  নরম, শক্ত, ঠাণ্ডা, গরম ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /> <br /> চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক প্রত্যেক টি ইন্দ্রিয় মস্তিষ্ক / জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত।<br /> <br /> যার চোখে দৃশ্যমান তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, কানে যা শ্রবণ হয় তা মস্তিষ্কে অনুভূত, নাকে যে ঘ্রাণ আসে তা মস্তিষ্কে অনুভূত, জিহ্বা'য় যে স্বাদ অনুভূত হয় তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, স্পর্শে যে অনুভূতি হয় সেটাও মস্তিশষ্কে অনুভূত।  অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়সহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মস্তিষ্কের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত।<br /> <br /> কিছুদিন হলো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, মানুষের চামড়ায় 'পেইন রিসেপ্টর' আছে, ফলে হাতে চিমটি দিলে, শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা পেলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভূত হয়।<br /> <br /> কিন্তু আল্লাহ হাতের স্পর্শে আসেন না, কানে শ্রবণ হন না, চোখে দৃশ্যমান হন না, জিহ্বা দ্বারা আল্লাহ কে টেস্ট (স্বাদ গ্রহণ) করা যায় না, আল্লাহর ঘ্রাণ নেয়া যায় না, তিনি (আল্লাহ) মানুষের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে, চিন্তায় আসেন না। কারণ তিনি অনন্ত, অসীম, নিরাকার, আলিমুল গায়েব ->(অদৃশ্য)।  আল্লাহ কে না দেখেই তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ঠিক এমন আক্বিদা ছিল সিদ্দিকে আকবর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র।<br /> <br /> আল্লাহ নিরাকার। কিছু মানুষের প্রশ্ন হতে পারে, এমন অনেক কিছুই আছে যার আকার নেই কিন্তু অস্তিত্ব আছে। যেমনঃ বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, ইলম (জ্ঞান) ইত্যাদি। আল্লাহ নিরাকার' রাগ, বাতাস, ক্ষুধা, জ্ঞান নিরাকার, পার্থক্য কি?<br /> <br /> প্রথমেই বলি, বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান ইত্যাদি হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার তুলনা হয় না। এছাড়াও বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান এসবের শুরু আছে, শেষও আছে, এদের অস্তিত্ব কোন একদিন বিলিন হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।<br /> <br /></div>

আল্লাহ নিরাকার

আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার প...

Read more »

আল্লাহ নিরাকার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই”।<br /><br /><br /><br />সূত্রঃ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং২৭১৩।<br /><br /><br /><br />আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)।<br /><br /><br /><br />আল্লাহ্ ক্বুরআনে সুরা ইখলাস এ ২ নং আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।”<br /><br /><br /><br />আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে। তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতীত  কোনো কিছুই ছিলনা।<br /><br /><br /><br />বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক ( ﷺ ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ ব্যতীত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQ4JfUcyAgzH-baIeK_w-Fh0L93eWgNlHA1amnYOh-gRVVeXAtDr4UzHJXDlzi9on9EHYblMVAeS8AYgh66I3ew7aRLIsyM6iD5RrZ0Dm4swbY7h5QuzOJPGuT1Tbbr7CynMj-9K_zVDCg/s1600/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="988" data-original-width="1600" height="197" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQ4JfUcyAgzH-baIeK_w-Fh0L93eWgNlHA1amnYOh-gRVVeXAtDr4UzHJXDlzi9on9EHYblMVAeS8AYgh66I3ew7aRLIsyM6iD5RrZ0Dm4swbY7h5QuzOJPGuT1Tbbr7CynMj-9K_zVDCg/s320-rw/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“: ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ”<br /><br /><br /><br />অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা”<br /><br /><br /><br />[সূত্রঃ আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]।<br /><br /><br /><br />স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে?<br /><br /><br /><br />ইমাম বায়হাক্বী রহঃ বলেন, নিশ্চয়ই আমাদের ও সকল মুসলমানদের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ববিশিষ্ট নহেন| কেননা, আকৃতি 'কেমন' এর চাহিদা রাখে| অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়| কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃত্রি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলি|<br /><br /><br /><br />সূত্রঃ  ইমাম বায়হাকী, কিতাবুল<br /><br />আসমা ওয়াল সিফাত, ২/৬৬ পৃঃ, হাদীস নং<br /><br />৬৪১, সৌদিয়া, জেদ্দা<br /><br /><br /><br />ইমাম আবুল মানসুর মাতুরীদি (রহঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা দেহ, কোন সৃষ্টির সাদৃশ্য, দেহ বা শরীর, আকার, আকৃতি, মাংসবহুশ, রং, বড় দেহবিশিষ্ট, বস্তু বা পদার্থ<br /><br />এগুলো থেকে পবিত্র| ইমাম বুখারী রহঃ এর উস্তাদ বলেন,<br /><br /> যে মহান আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করবে সে কাফির|<br /><br /><br /><br />তাফসীরে ইবনে কাসির বলা আছে, যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারা পথাভ্রষ্ট| বর্তমানে লা মাযহাবীরা বলেন,<br /><br />আল্লাহ আরশে বসে আছেন| এটা ভ্রান্ত এবং কুফরী | তাদের কথামত আল্লাহ যদি আরশে বসে থাকেন, এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যখন আরশ ছিল না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আহলে হাদিসদের শায়খ ইবনে তাইমিয়ারও পক্ষে সম্ভব নয়|<br /><br />কারণ আরশ হলো আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি| আরশ যখন ছিলনা তখনও আল্লাহ ছিলেন, এখনও আছেন এবং থাকবেন|<br /><br /><br /><br />আরশে বসার জন্য দৈহিক আকৃতি তথা পাছা,পিঠ প্রয়োজন এবং বসার জন্য আরশের মুখাপেক্ষী হতে হয় অর্থাৎ আরশের উপর হেলান দিতে হয়| কিন্তু আল্লাহ সূরা<br /><br />ইখলাসের ২ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী| অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন| তার বসা, হেলান দেয়ার,<br /><br />নিদ্রার প্রয়োজন নেই|<br /><br /><br /><br />অন্যভাবে বলা যায়, যদি কুরসিতে বসা মানে, তাহলে হয়তো কুরসী বড় হবে নাহলে আল্লাহ? অথচ আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, **কেউ তার সমকক্ষ নয়**|<br /><br />★সূরা ইখলাস<br /><br /><br /><br />আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি, বস্তুর তূলনা হয় না| তিনি তাঁর বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র| ইমাম আহলে সুন্নাত আবু মানসুর মাতুরীদি<br /><br />বলেন, *মুতাযিলা ও কাদিয়ানীগণ বলেন, আল্লাহ সব স্থানে উপস্থিত| কিন্তু আল্লাহ স্থানের মুখাপেক্ষী নন| আল্লাহ হলেন সেই সত্ত্বা, যখন স্থান, কাল, সময় কিছুই ছিলনা তখনও তিনি ছিলেন| দেওয়ানবাগীসহ কিছু ভণ্ড আল্লাহকে নূরের আকৃতি মানে, এরাও পথভ্রষ্ট|<br /><br /><br /><br />ফানা ফিল্লাহ কথাটি রুপক অর্থে ব্যবহৃত| এর সঠিক অর্থ করতে গেলে, অর্থ হবে শরীয়তের প্রত্যেক টি বিধান মেনে নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (দরুদ) খুশী করার নিমিত্তে দুনিয়ার সামগ্রিক চাহিদা ভুলে নিজেকে আল্লাহর ধ্যানে হারিয়ে ফেলা| অর্থাৎ দুনীয়াকে প্রাধাণ্য না দিয়ে আখিরাত<br /><br />কে প্রাধাণ্য দেয়া<br /><br /><br /><br />ইমাম তাহাভী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুনাবলি হতে কনো গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির|<br /><br /><br /><br />সূত্রঃ আকিদাতুত তাহাভী,<br /><br />৪১ পৃঃ, মাকতাবাতুল ইসলামী, লেবানন|<br /><br /><br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির কোনো বস্তুর মতো নন|<br /><br /><br /><br />সূত্রঃ আল ফিকহুল আকবার, পৃঃ ১৪<br /><br /><br /><br />আল্লাহ বলেন, তার কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা কিছুই নেই|<br /><br />সূরাঃ সূরা শু'রা আয়াতঃ ১১<br /><br />*<br /><br />*<br /><br />আমরা জানি, পদার্থ তিন প্রকার| কঠিন, তরল ও বায়বীয়| তিনটা পদার্থই সৃষ্টি| আল্লাহ তায়ালা এই তিনটা পদার্থ থেকে পবিত্র| কারণ সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার কোনো সাদৃশ্য নেই|<br /><br /><br /><br />পঞ্চ ইন্দ্রিয় (নাক, কান, জিহ্বা, চোখ এবং ত্বক)।<br /><br />১. চোখঃ কালো, সাদা, লাল, নীল, স্ত্রী, পুরুষ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে চোখ।<br /><br />২. কানঃ পুরুষ, স্ত্রীর কণ্ঠ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br />৩. নাকঃ দুর্গন্ধ, সুগন্ধ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br />৪. জিহ্বাঃ ঝাল, টক, মিষ্টি, তেতো, টকমিষ্টি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br />৫. ত্বকঃ  নরম, শক্ত, ঠাণ্ডা, গরম ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br /><br /><br />চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক প্রত্যেক টি ইন্দ্রিয় মস্তিষ্ক / জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত।<br /><br /><br /><br />যার চোখে দৃশ্যমান তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, কানে যা শ্রবণ হয় তা মস্তিষ্কে অনুভূত, নাকে যে ঘ্রাণ আসে তা মস্তিষ্কে অনুভূত, জিহ্বা'য় যে স্বাদ অনুভূত হয় তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, স্পর্শে যে অনুভূতি হয় সেটাও মস্তিশষ্কে অনুভূত।  অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়সহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মস্তিষ্কের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত।<br /><br /><br /><br />কিছুদিন হলো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, মানুষের চামড়ায় 'পেইন রিসেপ্টর' আছে, ফলে হাতে চিমটি দিলে, শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা পেলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভূত হয়।<br /><br /><br /><br />কিন্তু আল্লাহ হাতের স্পর্শে আসেন না, কানে শ্রবণ হন না, চোখে দৃশ্যমান হন না, জিহ্বা দ্বারা আল্লাহ কে টেস্ট (স্বাদ গ্রহণ) করা যায় না, আল্লাহর ঘ্রাণ নেয়া যায় না, তিনি (আল্লাহ) মানুষের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে, চিন্তায় আসেন না। কারণ তিনি অনন্ত, অসীম, নিরাকার, আলিমুল গায়েব ->(অদৃশ্য)।  আল্লাহ কে না দেখেই তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ঠিক এমন আক্বিদা ছিল সিদ্দিকে আকবর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র।<br /><br /><br /><br />আল্লাহ নিরাকার। কিছু মানুষের প্রশ্ন হতে পারে, এমন অনেক কিছুই আছে যার আকার নেই কিন্তু অস্তিত্ব আছে। যেমনঃ বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, ইলম (জ্ঞান) ইত্যাদি। আল্লাহ নিরাকার' রাগ, বাতাস, ক্ষুধা, জ্ঞান নিরাকার, পার্থক্য কি?<br /><br /><br /><br />প্রথমেই বলি, বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান ইত্যাদি হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার তুলনা হয় না। এছাড়াও বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান এসবের শুরু আছে, শেষও আছে, এদের অস্তিত্ব কোন একদিন বিলিন হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।<br /><br /><br /></div><br />

আল্লাহ নিরাকার

আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পর...

Read more »

আল্লাহ নিরাকার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই”।<br /><br />সূত্রঃ মুসলিম শরীফ, হাদীস নং২৭১৩।<br /><br />আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)।<br /><br />আল্লাহ্ ক্বুরআনে সুরা ইখলাস এ ২ নং আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।”<br /><br />আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে। তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতীত  কোনো কিছুই ছিলনা।<br /><br />বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক ( ﷺ ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ ব্যতীত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQ4JfUcyAgzH-baIeK_w-Fh0L93eWgNlHA1amnYOh-gRVVeXAtDr4UzHJXDlzi9on9EHYblMVAeS8AYgh66I3ew7aRLIsyM6iD5RrZ0Dm4swbY7h5QuzOJPGuT1Tbbr7CynMj-9K_zVDCg/s1600/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="988" data-original-width="1600" height="197" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQ4JfUcyAgzH-baIeK_w-Fh0L93eWgNlHA1amnYOh-gRVVeXAtDr4UzHJXDlzi9on9EHYblMVAeS8AYgh66I3ew7aRLIsyM6iD5RrZ0Dm4swbY7h5QuzOJPGuT1Tbbr7CynMj-9K_zVDCg/s320-rw/PicsArt_05-14-04.58.56.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“: ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ”<br /><br />অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা”<br /><br />[সূত্রঃ আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]।<br /><br />স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি। তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে?<br /><br />ইমাম বায়হাক্বী রহঃ বলেন, নিশ্চয়ই আমাদের ও সকল মুসলমানদের জানা অত্যাবশ্যক যে, আমাদের প্রভু আকৃতি ও অবয়ববিশিষ্ট নহেন| কেননা, আকৃতি 'কেমন' এর চাহিদা রাখে| অথচ কেমন প্রশ্নটি আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়| কোনো ক্ষেত্রে যদি আকৃত্রি প্রকাশের কথা আসে তা হবে তাঁর সিফাত বা গুণাবলি|<br /><br />সূত্রঃ  ইমাম বায়হাকী, কিতাবুল<br />আসমা ওয়াল সিফাত, ২/৬৬ পৃঃ, হাদীস নং<br />৬৪১, সৌদিয়া, জেদ্দা<br /><br />ইমাম আবুল মানসুর মাতুরীদি (রহঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা দেহ, কোন সৃষ্টির সাদৃশ্য, দেহ বা শরীর, আকার, আকৃতি, মাংসবহুশ, রং, বড় দেহবিশিষ্ট, বস্তু বা পদার্থ<br />এগুলো থেকে পবিত্র| ইমাম বুখারী রহঃ এর উস্তাদ বলেন,<br /> যে মহান আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করবে সে কাফির|<br /><br />তাফসীরে ইবনে কাসির বলা আছে, যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারা পথাভ্রষ্ট| বর্তমানে লা মাযহাবীরা বলেন,<br />আল্লাহ আরশে বসে আছেন| এটা ভ্রান্ত এবং কুফরী | তাদের কথামত আল্লাহ যদি আরশে বসে থাকেন, এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যখন আরশ ছিল না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আহলে হাদিসদের শায়খ ইবনে তাইমিয়ারও পক্ষে সম্ভব নয়|<br />কারণ আরশ হলো আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি| আরশ যখন ছিলনা তখনও আল্লাহ ছিলেন, এখনও আছেন এবং থাকবেন|<br /><br />আরশে বসার জন্য দৈহিক আকৃতি তথা পাছা,পিঠ প্রয়োজন এবং বসার জন্য আরশের মুখাপেক্ষী হতে হয় অর্থাৎ আরশের উপর হেলান দিতে হয়| কিন্তু আল্লাহ সূরা<br />ইখলাসের ২ নং আয়াতে বলেছেন, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী| অর্থাৎ তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন| তার বসা, হেলান দেয়ার,<br />নিদ্রার প্রয়োজন নেই|<br /><br />অন্যভাবে বলা যায়, যদি কুরসিতে বসা মানে, তাহলে হয়তো কুরসী বড় হবে নাহলে আল্লাহ? অথচ আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন, **কেউ তার সমকক্ষ নয়**|<br />★সূরা ইখলাস<br /><br />আল্লাহর সাথে কোনো ব্যক্তি, বস্তুর তূলনা হয় না| তিনি তাঁর বৈশিষ্টে স্বতন্ত্র| ইমাম আহলে সুন্নাত আবু মানসুর মাতুরীদি<br />বলেন, *মুতাযিলা ও কাদিয়ানীগণ বলেন, আল্লাহ সব স্থানে উপস্থিত| কিন্তু আল্লাহ স্থানের মুখাপেক্ষী নন| আল্লাহ হলেন সেই সত্ত্বা, যখন স্থান, কাল, সময় কিছুই ছিলনা তখনও তিনি ছিলেন| দেওয়ানবাগীসহ কিছু ভণ্ড আল্লাহকে নূরের আকৃতি মানে, এরাও পথভ্রষ্ট|<br /><br />ফানা ফিল্লাহ কথাটি রুপক অর্থে ব্যবহৃত| এর সঠিক অর্থ করতে গেলে, অর্থ হবে শরীয়তের প্রত্যেক টি বিধান মেনে নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (দরুদ) খুশী করার নিমিত্তে দুনিয়ার সামগ্রিক চাহিদা ভুলে নিজেকে আল্লাহর ধ্যানে হারিয়ে ফেলা| অর্থাৎ দুনীয়াকে প্রাধাণ্য না দিয়ে আখিরাত<br />কে প্রাধাণ্য দেয়া<br /><br />ইমাম তাহাভী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে মানবীয় গুনাবলি হতে কনো গুণের দ্বারা গুণান্বিত করবে সে কাফির|<br /><br />সূত্রঃ আকিদাতুত তাহাভী,<br />৪১ পৃঃ, মাকতাবাতুল ইসলামী, লেবানন|<br /><br />ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির কোনো বস্তুর মতো নন|<br /><br />সূত্রঃ আল ফিকহুল আকবার, পৃঃ ১৪<br /><br />আল্লাহ বলেন, তার কোন দৃষ্টান্ত তথা উপমা কিছুই নেই|<br />সূরাঃ সূরা শু'রা আয়াতঃ ১১<br />*<br />*<br />আমরা জানি, পদার্থ তিন প্রকার| কঠিন, তরল ও বায়বীয়| তিনটা পদার্থই সৃষ্টি| আল্লাহ তায়ালা এই তিনটা পদার্থ থেকে পবিত্র| কারণ সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার কোনো সাদৃশ্য নেই|<br /><br />পঞ্চ ইন্দ্রিয় (নাক, কান, জিহ্বা, চোখ এবং ত্বক)।<br />১. চোখঃ কালো, সাদা, লাল, নীল, স্ত্রী, পুরুষ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে চোখ।<br />২. কানঃ পুরুষ, স্ত্রীর কণ্ঠ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৩. নাকঃ দুর্গন্ধ, সুগন্ধ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৪. জিহ্বাঃ ঝাল, টক, মিষ্টি, তেতো, টকমিষ্টি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br />৫. ত্বকঃ  নরম, শক্ত, ঠাণ্ডা, গরম ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।<br /><br />চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক প্রত্যেক টি ইন্দ্রিয় মস্তিষ্ক / জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত।<br /><br />যার চোখে দৃশ্যমান তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, কানে যা শ্রবণ হয় তা মস্তিষ্কে অনুভূত, নাকে যে ঘ্রাণ আসে তা মস্তিষ্কে অনুভূত, জিহ্বা'য় যে স্বাদ অনুভূত হয় তা মস্তিষ্কেও অনুভূত, স্পর্শে যে অনুভূতি হয় সেটাও মস্তিশষ্কে অনুভূত।  অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়সহ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মস্তিষ্কের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত।<br /><br />কিছুদিন হলো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, মানুষের চামড়ায় 'পেইন রিসেপ্টর' আছে, ফলে হাতে চিমটি দিলে, শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা পেলে মস্তিষ্কে ব্যথা অনুভূত হয়।<br /><br />কিন্তু আল্লাহ হাতের স্পর্শে আসেন না, কানে শ্রবণ হন না, চোখে দৃশ্যমান হন না, জিহ্বা দ্বারা আল্লাহ কে টেস্ট (স্বাদ গ্রহণ) করা যায় না, আল্লাহর ঘ্রাণ নেয়া যায় না, তিনি (আল্লাহ) মানুষের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে, চিন্তায় আসেন না। কারণ তিনি অনন্ত, অসীম, নিরাকার, আলিমুল গায়েব ->(অদৃশ্য)।  আল্লাহ কে না দেখেই তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ঠিক এমন আক্বিদা ছিল সিদ্দিকে আকবর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু'র।<br /><br />আল্লাহ নিরাকার। কিছু মানুষের প্রশ্ন হতে পারে, এমন অনেক কিছুই আছে যার আকার নেই কিন্তু অস্তিত্ব আছে। যেমনঃ বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, ইলম (জ্ঞান) ইত্যাদি। আল্লাহ নিরাকার' রাগ, বাতাস, ক্ষুধা, জ্ঞান নিরাকার, পার্থক্য কি?<br /><br />প্রথমেই বলি, বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান ইত্যাদি হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টির সাথে স্রষ্টার তুলনা হয় না। এছাড়াও বাতাস, রাগ, ক্ষুধা, জ্ঞান এসবের শুরু আছে, শেষও আছে, এদের অস্তিত্ব কোন একদিন বিলিন হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।<br /><br /></div>

আল্লাহ নিরাকার

আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূলুল্লাহ স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পর...

Read more »

"যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকটও ভাল" - হাদিস পাক পর্যালোচনা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-55b80f6d-7fff-1e41-c644-c9558b03545e" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকটও ভাল" - হাদিস পাক পর্যালোচনা।</span><br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">🖋শহিদুল্লাহ বাহাদুর</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عاصم،  عن أبي وائل ، عن عبدالله، قال<<ان الله عز وجل نظر في قلوب العباد فاختار محمدا فبعثه برسالاته وانتخبه بعلمه ثم نظر في قلوب الناس بعده فاختار له اصحابه فجعلهم انصار دينه ووزراء نبيه صلى الله عليه وسلم فما رآه المؤمنون حسناً فهو عند الله حسن وما رآه المؤمنون قبيحا فهو عند الله قبيح>>--</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ্ তায়ালা বান্দাদের কলবগুলো দেখলেন, এতে তিনি হযরত মুহাম্মদ صلى الله عليه وسلم   এর কলবকে বান্দাগণের কলবের মধ্যে উত্তম কলব হিসেবে পেলেন, অতঃপর তাকে নিজের দ্বীন প্রচারের জন্য রিসালাত দিয়ে প্রেরণ করলেন, অতঃপর বাকী বান্দার কলবগুলোর দিকে আবার তাকালেন, তখন আল্লাহ্ নবীর সাহাবীগণের কলবগুলোকে বান্দাদের কলবের মধ্যে উত্তম কলব হিসেবে পেলেন, অতঃপর তাঁদেরকে নবীজী صلى الله عليه وسلم এঁর সঙ্গী বানালেন। তাঁরা আল্লাহর দ্বীনের উপর সাহায্যকারী হলেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং মুুসলমানগণ যা ভাল মনে করেন তা আল্লাহর নিকটও ভাল, আর যা মন্দ মনে করেন তা আল্লাহর নিকটও মন্দ।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১/ ইমাম আবু দাউদ তায়লসীঃ আল মুসনাদঃ ১/১৩০ হাদিস ২৪৬;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২/ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলঃ আল মুসনাদঃ ১/৩৭৯ হাদিস ৩৬০০ এবং ১৭০২;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩/ ইমাম আবু নুঈম ইস্ফাহানীঃ হুলিয়াতুল আউলিয়াঃ ১/৩৭৫ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪/ ইমাম তাবরানীঃ মুজামুল আওসাতঃ ৪/৫৮পৃঃ হাদিস ৩৬০২;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫/ ইবন হাযার হায়সামীঃ মাযমাউদ যাওয়াইদঃ ১/১৭৭-১৭৮ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬/ ইবনে কাসীরঃ বেদায়া ওয়ান নেহায়াঃ ১০/৩২৭, হাদিস ৪০২;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭/ আযলূনীঃ কাশফুল খাফাঃ ২/২৪৫ পৃঃ, হাদিস ২২১৪;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮/ বাযযারঃ আল মুসনাদঃ ৫/২১২ পৃঃ, হাদিস ১৮১৬;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯/ বায়হাক্কীঃ আল ই'তিক্বাদঃ ১/৩২২ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০/ খতীব বাগদাদীঃ তারিখে বাগদাদঃ ৪৪৬ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১/ বগভীঃ শরহে সুন্নাহ্ঃ ১/১০৫ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২/ ইমাম আহমদঃ আল মুসনাদঃ ১/৩৬৭ হাদিস ৫৪১;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩/ হাকেম নিশাপুরীঃ আল মুস্তাদরাকঃ ৩/৮৩ পৃঃ, হাদিস ৪৪৬৫, তিনি বলেন হাদিসের সনদটি সহীহ্, আর  তাঁর সাথে যাহাবী একমত পোষন করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৪/ তাবরানীঃ মু'জামুল কবীরঃ ৭/১১২-১১৫, হাদিস ৮৫৮২, ৮৫৯৩;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৫/ ইবন রযবঃ জামিউল উলূমঃ ১/২৫৪ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬/ সাখাভীঃ আল মাকাসিদুল হাসানাঃ ৪২২পৃঃ, হাদিস ৯৫৭।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৭/ মোল্লা আলী ক্বারীঃ মওদ্বুআতুল কাবীরঃ ৩২পৃঃ, নূর মুহাম্মদ কারখানা, করাচি;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৮/ মোল্লা আলী ক্বারীঃ মিরকাতঃ ৩/২৫৪পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৯/ ইমাম আহমদঃ ফাদ্বায়েলুল সাহাবাঃ ১/৩৬৭পৃঃ, হাদিস ৫৪১;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২০/ আবু সাঈদ ইবন আরাবী (ওফাত ৩৪০হি.) মু'জামে ইবনে আরাবীঃ ২/৪৪৩পৃঃ, হাদিস ৮৬১; তিনি হাদিসটি উক্ত সাহাবীর দুইজন ছাত্রের দ্বারা দু'টি সূত্রে বর্ণনা করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২১/ যায়লাঈঃ নাসবুর রায়্যাহঃ ৪/১৩৩পৃঃ, তিনি হাকেম নিশাপুরীর রায়কে গ্রহণ করেছেন, তিনি তাঁর কিতাবের অন্যত্র বাবুল ইসতিহাসানেও বর্ণনা করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২২/ ইবনে কাসীরঃ তুহফাতুল ত্বালেব বি মা'রিফাতু আহাদিস, ১/৩৯১পৃঃ, হাদিস ৩৩৪, তিনি বলেন, হাদিসটির সনদ শক্তিশালী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৩/ হায়সামীঃ গায়াতুল মাকসুদ ফি যাওয়াইদুল মুসনাদ, ১/১১১পৃঃ, হাদিস ২৪৬; বৈরুত, লেবানান।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৪/ ইবন হাজার আসকালানীঃ ইত্তেহাফুল মুহরাতঃ ১০/১৯৬পৃঃ, হাদিস ১২৫৬৮;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৫/ ইবন হাজারঃ দিরায়া ফী তাখরীজে হেদায়া, অধ্যায় কিতাবুল ইজারা: ২/১৮৭পৃঃ, হাদিস ৮৬৩; তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৬/ সুয়ূতিঃ আদ দুররুল মুনতাসিরা ফি আহাদিসুল মুসতাহিরাহ, ১/১৮৮পৃঃ, হাদিস ৪০১, জামিয়াতুল মুলকে সুউদ, রিয়াদ, সৌদিআরব।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৭/ দরবেশ হুতঃ আস্ সুনানিল মুত্তালিব, ১/২৪৭পৃঃ, হাদিস ১২৫৭, বৈরুত, তিনি ইবনে আব্বাস থেকে হাদিসটির আরেকটি সূত্র আছে বলে উল্লেখ করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৮/ ছুহাইব আব্দুল জাব্বারঃ জামেউল সহিহ লিল সুনান ওয়াল মাসানিদ, ৩/১১২পৃঃ, ৩/৪৩৮পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৯/ দারে কুতনীঃ আল ইল্ললঃ ৫/৬৬পৃঃ, হাদিস ৭১১, তিনি তাঁর এ গ্রন্থে উক্ত সাহাবীর অনেক ছাত্রের সূত্রের দ্বারা হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩০/ তাহের পাটনীঃ তাযকিরাতুল মুওদ্বুআত, ১/৯১পৃঃ, তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩১/ মোল্লা আলী ক্বারীঃ আসরারুল মারফূআহঃ ১/১০৬পৃঃ, হাদিস ৫৫, তিনি এ সাহাবী থেকে মারফূ ও মওকুফ উভয় সূত্রে বর্ণনা করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩২/ হাসকাফীঃ দুররুল মুখতার ওয়া হাশিয়ায়ে ইবন আবেদীনঃ ২/২৩৭পৃঃ, মায়্যেতের দাফন অধ্যায়, ৪/৩৬৪পৃঃ, কিতাবুল ওয়াক্ফ অধ্যায়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসের মান নির্ণয়ঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">صح عن ابن مسعود مرفوعا وموقو فا ما رآه المُسلمون حسنا فهو عند الله حسن--</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">--"সহিহ সূত্রে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে দুইভাবে মারফূ এবং মওকুফ রেওয়ায়েত আছে, "যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকটও ভাল"।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[মোল্লা আলী ক্বারীঃ মওদ্বুআতুল কবীর, পৃঃ ৩২]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করে ইবন হাজার হায়সামী রঃ বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">رواه احمد والبزار والطبراني في الكبير ورجاله موثوق -</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- উক্ত হাদিসটি ইমাম আহমদ তার 'মুসনাদ', ইমাম তাবরানী তাঁর 'মুজামুল কবীর", ইমাম বাযযার তাঁর "মুসনাদ" গ্রন্থে বর্ণনা করেন, উক্ত হাদিসের সবগুলো রাবী বিশ্বস্ত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ইবন হাযার হায়সামীঃ মাযমাউদ যাওয়াইদঃ ১/১৭৭-১৭৮ পৃঃ]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ ইমাম সাখাভী রঃ ও আল্লামা আযলূনী (رحمة الله) বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">هذا حديث هو موقف حسن-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- উক্ত হাদিসটি এই সনদে মওক্বুফ ও "হাসান" হাদিস।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইবন হাযার হায়সামীঃ মাযমাউদ যাওয়াইদঃ ১/১৭৭-১৭৮ পৃঃ;</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.সাখাভীঃ আল মাকাসিদুল হাসানাঃ ৪২২পৃঃ, হাদিস ৯৫৭।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) আরও উল্লেখ করেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قد صح قال ابن مسعود ما رأه المسلمون حسنا فهو عند الله حسن-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-যেমন সহিহ সূত্রে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, যে কাজকে উত্তম মুসলমানগণ ভাল মনে করেন, তা আল্লাহর নিকট ভাল হিসেবে গণ্য।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মোল্লা আলী ক্বারীঃ মিরকাতুল মাফাতীহঃ ৩/২৫৪পৃঃ।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদিসটি বিভিন্ন বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাবেও বর্ণিত হয়েছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ মারফূ তথা রাসূল صلى الله عليه وسلم এর হাদিস হিসেবে ফতোয়ায়ে শামীতে আছে,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال-  صلى الله عليه وسلم - << ما رآه المسلمون حسناً فهو عند الله حسن >></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- রাসূলে কারিম صلى الله عليه وسلم ইরশাদ ফরমান, যে কাজকে মু'মিনগণ ভাল মনে করেন, তা আল্লাহ্ তায়ালার নিকট ভাল হিসেবে গণ্য।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবন আবেদীন শামীঃ ফতোয়ায়ে শামীঃ ২/২৩৭, কিতাবুয যানায়েয অধ্যায়, বাবুত দাফন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ শুধু তাই নয় মারফূ হাদিস হিসেবে ইমাম শামী (رحمة الله) ফতোয়ায়ে শামীতে বর্ণনা করেছেন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(ইবন আবেদীন শামীঃ ফতোয়ায়ে শামীঃ ৪/৩৬৪; কিতাবুয ওয়াকফ অধ্যায়)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ একই কিতাবের অন্যত্র তিনি বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال صلى الله عليه وسلم ما رأه المؤمنين حسنا فهو عند الله الحسن-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- রাসূলে কারিম صلى الله عليه وسلم বলেন, মু'মিনগণ যে কাজ ভাল মনে করেন সে কাজ আল্লাহর নিকটও ভাল।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবন আবেদীন শামীঃ ফতোয়ায়ে শামীঃ ২/২৩৭; কিতাবুল ওয়াকফ অধ্যায়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ "দুররুল মুখতার" প্রনেতা আল্লামা আলাউদ্দিন হাসকাফী (رحمة الله) উক্ত গ্রন্থের ৫ম খন্ডের কিতাবুল ইজারাতে উল্লেখ করেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وجاز إجارة الحمام لانه -  صلى الله عليه وسلم دخل حمام الجحفة << ولاعرف- وقال -  صلى الله عليه وسلم << ما رآه المُسلمون حسنًا فهو عند الله حسن-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- স্নানাগার ভাড়া দেয়া জায়েজ, কেননা হুজুর صلى الله عليه وسلم যুহফা শহরের স্নানাগারে তাশরীফ নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজন্য এটা প্রচলিত হয়ে গেছে। হুজুর صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেন, যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করেন, সেটা আল্লাহর কাছেও ভাল।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনে আবেদীন শামীঃ ফতোয়ায়ে শামীঃ ৫/৩৫ পৃঃ।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুপ্রিয় পাঠক, উক্ত ফতোয়ার কিতাবটি সমগ্র বিশ্বে সকল আলেমদের নিকট পরিচিত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত ফতোয়ার কিতাব দ্বারা একটি বিষয় প্রমাণিত হল যে হাদিসটি মারফূ (যার সনদ রাসূল  صلى الله عليه وسلم পর্যন্ত পৌঁছেছে তথা প্রসারিত) তাতে কোন সন্দেহ নেই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই সর্বোপরি বলা যায় যে, মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) এর বক্তব্য সুস্পষ্ট করে দেয় যে হাদিসটি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে মওকুফ সূত্রে এবং মারফূ সূত্রে উভয় সূত্রে হাদিসটি এসেছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ এ সম্পর্কে আল্লামা আযলূনী (رحمة الله) বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الحافظ ابن عبد الهادي مرفوعا عن انس باسناد ساقط-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- আল্লামা হাফেজ ইবন আব্দুল হাদী (رحمة الله) তার "আস সারিম" গ্রন্থে হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে মারফূ (যার সনদ রাসূল  صلى الله عليه وسلم পর্যন্ত পৌঁছেছে তথা প্রসারিত) সূত্রে বর্ণনা করেছেন; তারপর উক্ত হাদিসের সনদের ব্যাপারে তিনি নীরব ছিলেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অপরদিকে মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) স্বীয় মিরকাত গ্রন্থে "কিতাবুল ই'তিসাম" অধ্যায়ে হাদিসটিকে মারফূ (যার সনদ রাসূল  صلى الله عليه وسلم পর্যন্ত পৌঁছেছে তথা প্রসারিত) রায় দিয়েছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সন্দেহ পোষণঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোন কোন লোক বলিয়া থাকেন মোহাদ্দেসগণ সমস্ত হাদিস লিপিবদ্ধ করে বলেছেন, لا يصح في المرفوع (সহীহ্ মারফূ নহে) সুতরাং জঈফ হাদীস দ্বারা কিরুপে একটি শরয়ী মাসয়ালা প্রমাণিত হতে পারে?</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অপনোদনঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই সন্দেহ অপনোদনের জন্য এতটুকু আরয করাই যথেষ্ট মনে করি যে, মোহাদ্দেসীনে কেরামের কোন হাদিস সম্পর্কে এরুপ উক্তি করা যে ''সহীহ্ নহে" ইহার মর্ম এই নহে যে, এই হাদিস ভ্রান্তিমূলক ও বাতিল বরং ইহার মর্ম কথা এই যে, এই হাদীস বিশুদ্ধতায় সেই উচ্চতম স্তরে পৌঁছে নাই যাহাকে মোহাদ্দেসীন আপন পরিভাষায় الصحيح বা বিশুদ্ধতায় উচ্চস্তর রুপে আখ্যায়িত করেছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মনে রাখবেন, মোহাদ্দেসগণের পরিভাষায় হাদিসের উচ্চতম স্তর হচ্ছে সহিহ এবং নিকৃষ্টতম স্তর হল মওজু। এই দুই স্তরের মাঝখানে হাদিসের বহু শ্রেণী বিভাগ রয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে 'সুবিন্যস্ত', "সহীহ্" এরপর হাসান এর মর্যাদা।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতএব কোন হাদীস সহীহ্ নহে বললে হাদিস "হাসান না হওয়া" প্রমাণিত হয় না। অথচ এজমায়ে উম্মতের সিদ্ধান্ত মতে হাদীস জঈফ হলেও আমলের ফজিলতের বেলায় উহা গ্রহণযোগ্য, আর মোহাদ্দেসীনে কেরাম যে ঐ সকল হাদীস সম্পর্কে বলেছেন যে, لا يصح في المرفوع অর্থাৎ এ সকল হাদিসের সূত্র হুজুর  صلى الله عليه وسلم পর্যন্ত মারফূ হিসেবে সহীহ্ প্রমাণিতত হয় নাই, তাদের এহেন উক্তিই প্রমাণ করছে যে, এইসব হাদিস মওকুফ হিসেবে সহীহ্।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহকুফ হাদীস সম্পর্কে অনুরুপ এক আলোচনায় যেমন "আযানে হুযুর পাকের নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করা" বিষয়ে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লহি 'আলাইহি তাঁর গ্রন্থে ঈমাম সাখাভী রহমাতুল্লহি 'আলাইহির রায় পেশ করে সমাধানের কথা বলেন যে-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎঃ "আমার কথা হলো হাদিসটির সনদ যেহেতু হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত প্রসারিত (তথা মারফূ হিসেবে প্রমানিত), সেহেতু আমলের জন্যে এতটুকুই যথেষ্ট। কেননা হুজুর (صلى الله عليه و آله وسلم ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার পর আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরো।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১/ ঈমাম আবু দাউদ : আস্ সুনান, হাদিস ৪৬০৭, হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২/ ঈমাম তিরমিযী : আস্ সুনান, হাদিস ২৬৭৬।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩/ ঈমাম ইবনে মাজাহ : আস্ সুনান, হাদিস ৪২।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪/ ঈমাম ইবনূল বার্ : জামিউল বায়ান ওয়াল ইলমে বি ফাদ্বলিহী, ২/৯০পৃ.।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫/ ঈমাম আহমদ : আল মুসনাদ, ৪/১২৭পৃ., হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬/ আল্লামা মোল্লা অালী ক্বারী : মওদ্বুআতুল কাবীর, ৩১৬পৃ., হাদিস ৪৫৩।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭/ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : আসারুল মারফূ অা, ২১০পৃ., হাদিস ৮২৯।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: #134f5c; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮/ আল্লামা আযলূনী : কাশফুল খাফা, ২/২৭০পৃ., হাদিস ২২৯৬।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয় পাঠক, দেখুন! আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লহি 'আলাইহি বলেছেন যে, এতটুকুই যথেষ্ট যেহেতু হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমলটি করেছেন এবং হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত সনদটি প্রসারিত, তাই বুঝা গেল মওকুফ হাদিসও সহীহ্; কাজেই যারা মওকুফ হাদিস আমল না করবে এবং আমলটি (আযানে হুযুর পাকের নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করা বিষয়ে) কে অস্বীকার করে তারা সাহাবীদের বিরোধী হাদিসে পাকে বর্ণিত বাতীল ৭২দলের সদস্য বাতীল ফির্কা হিসেবেই গণ্য।</span></div> </div>

"যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকটও ভাল" - হাদিস পাক পর্যালোচনা

যে কাজ মুসলমানগণ ভাল মনে করে তা আল্লাহর নিকটও ভাল" - হাদিস পাক পর্যালোচনা। 🖋শহিদুল্লাহ বাহাদুর ❏ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (ر...

Read more »