যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয়

<p dir="ltr">রোজা ভঙ্গের কারণঃ-</p> <p dir="ltr">১. পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়; যদি রোযাদার হবার কথা স্মরণ থাকে। <br> (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৫)</p> <p dir="ltr">২. হুক্কা, সিগারেট, চুরুট ইত্যাদি পান করলেও রোযা ভেঙ্গে যায়, যদিও নিজের ধারণায় কণ্ঠনালী পর্যন্ত ধোঁয়া পৌছেনি। <br> (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)</p> <p dir="ltr">৩. পান কিংবা নিছক তামাক খেলেও রোযা ভেঙ্গে যায়। যদিও আপনি সেটার পিক বারংবার ফেলে দিয়ে থাকেন। কারণ, কণ্ঠনালীতে সেগুলোর হালকা অংশ অবশ্যই পৌছে থাকে। <br> (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)</p> <p dir="ltr">৪. চিনি ইত্যাদি, এমন জিনিষ, যা মুখে রাখলে গলে যায়, মুখে রাখলো আর থুুথু  গিলে ফেললো এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে গেল। <br> (বাহারে শরীআত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৭)</p> <p dir="ltr">৫. দাঁতগুলোর মধ্যভাগে কোন জিনিষ ছোলা বুটের সমান কিংবা তদপেক্ষা বেশি ছিল। তা খেয়ে ফেললো। কিংবা কম ছিলো; কিন্তু মুখ থেকে বের করে পুনরায় খেয়ে ফেললো। এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে যাবে।<br> (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৪)</p> <p dir="ltr">৬. দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে তা কণ্ঠনালীর নিচে নেমে গেলো। আর রক্ত থুুথু অপেক্ষা বেশি কিংবা সমান অথবা কম ছিলো, কিন্তু সেটার স্বাদ কণ্ঠে অনুভুত হলো। এমতাবস্থায় রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং যদি কম ছিলো আর স্বাদও কণ্ঠে অনুভুত হয়নি, তাহলে এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গবে না। <br> (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৮)</p> <p dir="ltr">৭. রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও ‘ঢুস’ (*) নিলো, কিংবা নাকের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালো, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। <br> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৪)</p> <p dir="ltr">(*) অর্থাৎ কোন ঔষধের ফিতা কিংবা সিরিঞ্জ পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালো, আর তা সেখানে স্থায়ীও হলো।</p> <p dir="ltr">৮. কুলি করছিলো। অনিচ্ছা সত্ত্বেও পানি কণ্ঠনালী বেয়ে নিচে নেমে গেলো। কিংবা নাকে পানি দিলো; কিন্তু তা মগজে পৌঁছে গেলো। তাহলে রোযা ভেঙ্গে  যাবে। কিন্তু ‍যদি রোযাদার হবার কথা ভুলে গিয়ে থাকে, তবে রোযা ভাঙ্গবে না। যদিও তা ইচ্ছাকৃত হয়। অনুরূপভাবে রোযাদারের দিকে কেউ কোন কিছু নিক্ষেপ করলো, আর তা তার কণ্ঠে পৌঁছে গেলো। তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। <br> (আল জাওয়াতুন নাইয়ারাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৭৮)</p> <p dir="ltr">৯. ঘুমন্ত অবস্থায় পানি পান করলে, কিছু খেয়ে ফেললো, অথবা মুখ খোলা ছিলো; পানির ফোঁটা কিংবা বৃষ্টি অথবা শিলাবৃষ্টি কণ্ঠে চলে গেলো, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। <br> (আল-জাওহারাতুন নাইয়ারাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৭৮)</p> <p dir="ltr">১০. অন্য কারো থুুথু গিলে ফেললো। কিংবা নিজেরই থুু হাতে নেয়ার পর গিলে ফেললো, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। <br> (আমলগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)</p> <p dir="ltr">১১. যতক্ষণ পর্যন্ত থুুথু কিংবা কফ মুখের ভিতর মওজুদ থাকে। তা গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয় না। বারংবার থুু থু ফেলতে থাকা জরুরী নয়।</p> <p dir="ltr">১২. মুখে রঙ্গিন সুতা ইত্যাদি রাখার ফলে থুুথু রঙ্গিন হয়ে গেলো। তারপর ওই রঙ্গিন থুথুু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। <br> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)</p> <p dir="ltr">১৩. চোখের পানি মুখের ভিতর চলে গেলে আর সেটা গিলে ফেললেন। যদি এক/দুই ফোটা হয় তবে রোযা ভাঙ্গবে না। আর যদি বেশি হয়। যারফলে সেটার লবণাক্ততা মুখে অনুভুত হয়। তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। ঘামেরও একই বিধান।<br> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)</p> <p dir="ltr">১৪. মলদ্বার বের হয়ে গেলো। এমতাবস্থায় বিধান হচ্ছে, তখন খুব ভাল করে কোন কাপড় ইত্যাদি দিয়ে তা মুছে ফেলার পর দাঁড়াবে যাতে সিক্ততা বাকী না থাকে। আর যদি কিছু পানি অবশিষ্ট ছিলো, আর দাঁড়িয়ে গেলো, যার কারণে পানি ভিতরে চলে গেলো, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এ কারণে সম্মানিত ফকীহগণ رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِمْ বলেন, “রোযাদার পানি ব্যবহারে সময় নিবে না।’ <br> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৪)</p> <p dir="ltr">১৫. ওযু অবস্থায় (জেনে বুঝে করুক কিংবা নিজে নিজে হয়ে যাক উভয় অবস্থায়) যদি মুখভর্তি বমি আসে, আর তাতে খাদ্য, পানীয় কিংবা হলদে বর্ণের তিক্ত পানি আসে তবে ওযু ভেঙ্গে যাবে। <br> (বাহারে শরীআত, খন্ড-২য়, পৃ-২৬)</p> <p dir="ltr">১৬. যদি রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় (জেনে বুঝে) বমি করলো, আর যদি তা মুখ ভর্তি করে আসে, (মুখ ভর্তির সংজ্ঞা সামনে আসছে), তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।<br> (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯২)</p>

যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয়

রোজা ভঙ্গের কারণঃ- ১. পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়; যদি রোযাদার হবার কথা স্মরণ থাকে।  (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৫) ২...

Read more »

বান্দা কাদেরী মান

"বান্দা কাদেরী মান"<br /> [লেখক:: আরিফ ওয়াকিজ]<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzlGp32vr1Zy1KY5Wqbtlw5vqEpG31cXikP1ENXyeuy5on1nxUZ0KMnsi9z7WQq0xuM5SN8l8Kg6-qLxsZrvE7g00M0s8HC_CF6hLtK_q9ZHDdP0gmlO8jhXt1NfjT-Ruxpgdwl6jIUjKC/s1600/FB_IMG_15572262214211829.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="291" data-original-width="712" height="130" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzlGp32vr1Zy1KY5Wqbtlw5vqEpG31cXikP1ENXyeuy5on1nxUZ0KMnsi9z7WQq0xuM5SN8l8Kg6-qLxsZrvE7g00M0s8HC_CF6hLtK_q9ZHDdP0gmlO8jhXt1NfjT-Ruxpgdwl6jIUjKC/s320-rw/FB_IMG_15572262214211829.jpg" width="320" /></a></div> <br /> সরকারে রাসুলের নূরী ছাঁয়া যার সুরতে হয়,<br /> হাসানী অার হোসাইনী সৈয়্যদ দুনিয়া তারে কয়।<br /> নায়েবে শেরে খোদা জাহারা খাতুন হয় দাদী,<br /> মাওলা মোর মালিক তুমি ইয়া গাউছে বাগদাদী।<br /> <br /> নববীর বাগে তুমি হও এমনি পুষ্প বেমেছাল,<br /> দেখিলো যো ভি বাহ্ কহিলো হুসনে জামাল।<br /> খুশবুতে মাতিলো তামাম ভূবন ইয়া সৈয়্যদী,<br /> মোর খায়েশ মালি হইবো বাগে গাউছে বাগদাদী।<br /> <br /> জাহানের কুল পেরেশানি দুওয়ারে দেয় হানা,<br /> তোমার নামের তছবি জোপে তবেই হয় পানা।<br /> তোমা ছাড়া কে তাড়াবে কোথা যাবো দরদী,<br /> মোর দুঃখের বানী স্রবণে লও গাউছে বাগদাদী।<br /> <br /> চার পায়ায় চড়ে মাটির তলে থাকিবো যেথা পড়ে,<br /> মালায়েক আসি সাওয়ালীর মন্ত্র দিবে পাঠ করে।<br /> জাওয়াব মোর আসিবে সেথা শুনো কানো দী,<br /> দেখো কাফনে লিখা নাহি কি গাউছে বাগদাদী?<br /> <br /> নফছির সুর চতুর দিকে হবে হাশরের শবে,<br /> বারাতি হয়ে কুল আওলিয়া পিছে পিছে রবে।<br /> শাফায়াতের পেয়ালা হাতে মাথায় সেহরা বান্ধী,<br /> গমন করিবে দুলহা বনিয়া মোর গাউছে বাগদাদী।<br /> <br /> সময় থাকিতে কাদেরী চাদর লও ধরিয়া হাতে,<br /> বিশ্বাস  রাখো শেষ দিনে নাজাত পাইবা তাতে।<br /> যেথায় থাকো সমাপ্তিতে গোছিবে টানো দি,<br /> সঙ্গী করে স্বর্গ পথে যাত্রাবে গাউছে বাগদাদী।<br /> <br /> পেরেশানির দরিয়াই বাজিয়া গিয়াছে সপ্নের ছফিনা,<br /> কে লাগাবে পার তুমি বিনা কাহাকে দেখিনা।<br /> বান্দা কাদেরী মান ওয়াকিজ কয় ইয়া ছনদী,<br /> পাল তুলিলাম নামে তোমার ইয়া গাউছে বাগদাদী।

বান্দা কাদেরী মান

"বান্দা কাদেরী মান" [লেখক:: আরিফ ওয়াকিজ] সরকারে রাসুলের নূরী ছাঁয়া যার সুরতে হয়, হাসানী অার হোসাইনী সৈয়্যদ দুনিয়া তারে কয়। ...

Read more »

রোজার নিয়ত করার বিধান

<p dir="ltr"><br>      রোজার নিয়ত করার বিধান                 <br></p> <p dir="ltr">রোজার নিয়ত করা জরুরি এতে কোন সন্দেহ নেই।  প্রতিটি ইবাদতে যেমন নিয়ত করা শর্ত তেমনি রোজাতেও নিয়ত করা ফরজ এবং রোজা সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত। নিয়ত ছাড়া রোজা সহীহ হবে না। </p> <p dir="ltr">◾রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন -</p> <p dir="ltr">‘إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل امرئ ما نوى’</p> <p dir="ltr">নিশ্চয় সমস্ত আমল নিয়তের উপরই নির্ভরশীল আর প্রতিটি ব্যক্তিই যা নিয়ত করে তাই সে পায়। (বুখারী)</p> <p dir="ltr">নিয়তের পদ্ধতি : রোজা আদায়ে ইচ্ছুক ব্যক্তি রোজা শুরু করার সময় অন্তরে উপস্থাপন করবে যে, আমি রমজানের রোজা রাখছি অথবা ক্বাজা রোজা রাখছি কিংবা মান্নত বা কাফ্ফারার রোজা রাখছি।</p> <p dir="ltr">নিয়ত করার সময়: যে প্রকারের রোজাই হোক না কেন নিয়ত রাত থেকেই করতে হবে। রাতের প্রথম অংশে হতে পারে, মাঝের অংশে হতে পারে অথবা শেষাংশেও হতে পারে। </p> <p dir="ltr">◾আয়েশা (রা.) হতে মারফু হাদিস বর্ণিত -<br> যে ব্যক্তি সুবহে সাদেক উদয় হওয়ার পূর্বে-রাতেই রোজার রাখা স্থির করে না, তার রোজা বিশুদ্ধ হয় না। <br> [দারা কুতনি : ১৭২/২, বায়হাকি ২০২/৪, তিনি বলেন হাদিসটির সকল বর্ণনা কারিই নির্ভরযোগ্য]</p> <p dir="ltr">◾ইবনে ওমর (রা.)➡ হাফসা (রা.) হতে তিনি➡ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,</p> <p dir="ltr">‘من لم يبت الصيام قبل الفجر فلا صيام له’</p> <p dir="ltr"> যে ব্যক্তি সুবহে সাদেক উদয় হওয়ার পূর্বে-রাতেই রোজা রাখা স্থির করে না তার রোজা বিশুদ্ধ হয় না।<br> (আহমাদ ২৮৭/৬, তিরমিজি ৭৩০ আবু দাউদ ২৪৫৪)</p> <p dir="ltr">নফল রোজার নিয়ত: নফল রোজার নিয়ত দিনের বেলায়ও করা জায়েয আছে। তবে শর্ত হচ্ছে সুবহে সাদেক থেকে নিয়ে নিয়তের সময় পর্যন্ত রোজার পরিপন্থি কোন কাজ যথা খাওয়া পান করা ইত্যাদি তার থেকে সংঘটিত হতে পারবে না। </p> <p dir="ltr">আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত,</p> <p dir="ltr">‘ دخل عليَّ النبي صلى الله عليه ذات يوم فقال “هل عندكم من شيء ؟” فقلنا: لا، قال “فإني إذاً صائم ‘ رواه الجماعة إلا البخاري، [أخرجه مسلم رقم 1154]. </p> <p dir="ltr">একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট প্রবেশ করে বললেন, তোমার নিকট খাওয়ার কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম: না,  তখন রাসূলুল্লাহ বললেন, তাহলে আমি রোজা রাখলাম।<br> হাদিসটি ইমাম বুখারি ছাড়া সবাই বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম, হাদিস নং – ১১৫২)</p> <p dir="ltr">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খাবার চাওয়া দ্বারা প্রমাণিত হয় তিনি ইতিপূর্ব হতে রোজা রাখার নিয়ত করেননি। আর তাঁর  “فإني إذا صائم”  বলা প্রমাণ করে, তিনি রোজা আরম্ভ করেছেন দিনের বেলা হতে। এতে বুঝা যায় নফল রোজার নিয়ত দিনের বেলা করলেও চলবে। সুতরাং এ হাদিসটি পূর্বে উল্লেখিত হাদিস-</p> <p dir="ltr"> ‘من لم يبت الصيام قبل طلوع الفجر فلا صيام له’</p> <p dir="ltr">জন্য খাসকারী। অর্থাৎ সে হাদিসটি ফরজ রোজার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে নফল রোজার ক্ষেত্রে নয়।</p> <p dir="ltr">নফল রোজার নিয়ত দিনের বেলায় করার বিষয়টি একাধিক সাহাবি হতে বর্ণিত হয়েছে, যেমনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, মুয়াজ বিন জাবাল, হুজাইফা, আবু তালহা, আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. প্রমুখ।</p> <p dir="ltr">                    <br> </p>

রোজার নিয়ত করার বিধান

     রোজার নিয়ত করার বিধান                 রোজার নিয়ত করা জরুরি এতে কোন সন্দেহ নেই।  প্রতিটি ইবাদতে যেমন নিয়ত করা শর্ত তেমনি রোজাতেও নি...

Read more »

রমজান ও তার বৈশিষ্ট্য

<p dir="ltr"><br>         রমজান ও তার বৈশিষ্ট্য                 </p> <p dir="ltr">▪ এক রেওয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, <br> রোজাদারের পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ পাক প্রদান করবেন। <br> ▪ অন্য এক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে, রোজা মুমিনের জন্য ঢাল স্বরূপ।</p> <p dir="ltr">▪ সাহাবী ক্কাআব বিন ঊজাইর (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুমার খুৎবা দেওয়ার জন্য  যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখেন, তখন বলেন আমীন, দ্বিতীয় সিঁড়িতে যখন পা রাখেন, তখন বলেন আমীন, একইভাবে তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখেও বলেন, আমীন।<br> নামায শেষে সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তিনবার অস্বাভাবিকভাবে আমীন বলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখি, তখন জিব্রাইল আলাইহিসসাল্লাম (আ.) ওহী নিয়ে আসেন এবং বলেন, ধ্বংস হয়ে যাক, সেই ব্যক্তি, যে রমজান মাসের রোজা পেল অথচ গুনাহ মাফ করাতে পারল না, এর জবাবে আমি বললাম আমীন।<br> দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখার সময় জিব্রাইল (আ.) বললেন, ধ্বংস হয়ে যাক, সে যার সামনে আমার নাম নেওয়া হলো অথচ দরুদ শরীফ পড়ল না, জবাবে বলেছি আমীন।<br> তৃতীয় সিঁড়িতে যখন পা রাখলাম, জিব্রাইল (আ.) বললেন, ধ্বংস হয়ে যাক, সে যে বা যারা তার মা-বাবা কিংবা উভয়ের যে কোনো একজনকে পেল অথচ তাদের খেদমত করে জান্নাত হাসিল করতে পারল না, জবাবে বলেছি আমীন।</p> <p dir="ltr">[সহীহ বোখারী, সহীহ তিরমিযি, ইমাম হাম্বলী, ইবনে কাসীর, প্রভৃতি]</p> <p dir="ltr">▪ সাহাবী হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, যে বা যারা পূর্ণ আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সঙ্গে রমজান মাসে দিনের বেলা যাবতীয় পানাহার থেকে বিরত থাকবে (*) আল্লাহ পাক সে বান্দার পেছনের সব গূনাহ মাফ করে দেবেন।</p> <p dir="ltr">(*) রোজা রাখবে ও রাতে পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে নামায পড়বে, এবাদত-বন্দেগী করবে, লাইলাতুল কদরের রাতে জেগে এবাদত করবে, <br> সহীহ বোখারী ও মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে এই হাদীসের সত্যতা নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়।</p> <p dir="ltr">⚛ হযরত আবু হুরাইরা (রা.) আরো বর্ণনা করেছেন, রমজান মাসে বেহেশতের দরজা খুলে দিয়ে দোজখের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তালাবদ্ধ করে রাখা হয় শয়তান ও জিনদের। রমজানের প্রতিটি দিন ও রাতে অগণিত বান্দাকে আল্লাহ পাক দোজখের আজাব থেকে মাফ করে দিতে থাকেন।<br> এই রমজান মাসে কেউ রোজাদারকে এক ফোঁটা দুধ, পানি বা খেজুর অথবা যেকোনো খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ইফতার করালে আল্লাহ পাক তাকে দোজখের আযাব থেকে মাফ করে দেবেন, আল্লাহ পাক তাকে রোজাদারের সমান সওয়াব দেবেন। তবে রোজাদারের সওয়াব থেকে সামান্যও কমানো হবে না।</p> <p dir="ltr">⚛ আবু হুরাইরা (রা.) থেকে আরো বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মাগফেরাতের দোয়া রমজানের শেষ রাতে কবুল হয়েছে, সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলে ওই রাত লাইলাতুল কদরের রাত কিনা জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, না, কারণ আল্লাহ পাক তার বান্দার মজুরি রমজান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দেন। </p> <p dir="ltr">রমজানে যে সমস্ত আমল বেশি বেশি করা যেতে পারে।</p> <p dir="ltr">⚛ সূরা ইয়াসিনকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র কোরআনের সারাংশ বলেছেন এবং তা তেলাওয়াতে মাগফিরাত লাভ হয়ে থাকে বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। (মসনূদ ইমান,পৃষ্টা নং ২৮৬, ভলিউম-৭, হাদীস ২০৩২২- এ)</p> <p dir="ltr">⚛ সূরা মূলক পাঠে যথেষ্ট ফজিলত রয়েছে। আবূ হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কুরআনের তিরিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সূরা এমন রয়েছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, সেটা হচ্ছে ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মূলক’ (সূরা মূলক)। (আবূ দাউদ ১৪০০)</p> <p dir="ltr">⚛ সূরা দোখান রাতের বেলা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ পাক বান্দার পেছনের গোনাহ মাফ করে দেন। <br> [জামে তিরমিযির পৃষ্টা নম্বর ৪০৬, খন্ড ০৪ এর ২৮৯৭ নম্বর হাদীস]</p> <p dir="ltr">⚛ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে কেউ সূরা দোখান যে কোনো রাতে পড়লে ৭০,০০০ ফেরেশতা অনবরত তার মুক্তির জন্য দোয়া করতে থাকেন। একই কিতাবের ৪০৭ নম্বর পাতায় ২৮৯৮ নম্বর হাদীস থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে অর্থাৎ সোবে জুমা বারে এই সূরা তেলাওয়াত করলে আল্লাহ পাক বান্দার গোনাহ মাফ করে দেন।</p> <p dir="ltr">⚛ পবিত্র তিরমিয শরীফে সাহাবী হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে রোজাদারের দোয়া আল্লাহ পাক কবুল করে থাকেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রমজান মাস এলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারার রঙ পরিবর্তন হয়ে যেত, রমজান মাসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেশি বেশি দোয়া করতেন, নামায পড়তেন, কোরান তেলাওয়াত করতেন।<br>                </p>

রমজান ও তার বৈশিষ্ট্য            

        রমজান ও তার বৈশিষ্ট্য                 ▪ এক রেওয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে, রোজাদারের পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ পাক প্রদান করবেন। ▪ অন্য...

Read more »

জাকির নায়েক মালয়েশিয়া থেকে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <b style="font-family: sans-serif;">জাকির নায়েক মালয়েশিয়া থেকে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন।</b><br /> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> <span style="font-size: 1.1em;"><b><a href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2019/05/03/765283">কালের কণ্ঠ অনলাইন</a> (চেক)</b></span></div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> <span style="font-size: 1.1em;"><b>শুক্রবার, ০৩ মে ২০১৯ ১১:৪৮</b></span></div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> <img loading="lazy" src="https://www.kalerkantho.com/assets/news_images/2019/05/03/thumbnails/114856zakir-1556812173.jpg" style="max-width: 90%; padding: 4px;" /></div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> <br /></div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> ধর্ম-প্রচারক জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পেশ করা প্রথম ডাইরেক্ট চার্জশিটে ১৯৩.০৬ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ এনেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালতে পলাতক জাকির নায়েক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রসিকিউশন অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি।</div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবেদনে সাড়া দিয়ে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করে মুম্বাইয়ের আদালত। এরপরই জাকিরকে দেশে ফেরত আনতে তৎপরতা শুরু হয়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চারবার তাকে সমন পাঠানো সত্ত্বেও তিনি ভারতে এসে জেরার মুখোমুখি হননি বা সমনের জবাব দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, জাকির নায়েক মালেশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদদ জোগাচ্ছেন।</div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: left;"> এর আগে জাকির নায়েক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইডির মুখোমুখি হবে বলে দাবি করেছিলেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, সেহেতু এনআইএ ও ইডি জাকিরের আবেদন খারিজ করে তাকে সরাসরি জেরায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ'র দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে জাকিরকে একবার গ্রেপ্তারও করেছিল ইডি।</div> <div dir="ltr" style="font-family: sans-serif; text-align: -webkit-center;"> </div> <div style="text-align: left;"> অভিযুক্তের ৫০.৪৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।</div> <div style="text-align: left;"> সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া </div> </div>

জাকির নায়েক মালয়েশিয়া থেকে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন।

জাকির নায়েক মালয়েশিয়া থেকে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন। কালের কণ্ঠ অনলাইন  (চেক) শুক্রবার, ০৩ মে ২০১৯ ১১:৪৮ ধর্ম-প্রচারক জাকির নায়েকের ব...

Read more »

কোন রাত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত নাকি ক্বদরের রাত?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> কোন রাত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত নাকি ক্বদরের রাত?<br /> <br /> 👉 হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন,<br /> <br /> ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد<br /> <br /> অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছেঃ<br /> - পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত,<br /> - অতঃপর লাইলাতুল কদরের রাত,<br /> - অতঃপর মিরাজ শরীফের রাত,<br /> - অতঃপর আরাফার রাত,<br /> - অতঃপর জুমুয়ার রাত,<br /> - অতঃপর ১৫ শাবানের রাত,<br /> - অতঃপর ঈদের রাত।”<br /> [তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে]<br /> <br /> 👉 ইমাম ইউসূফ নাবহানী (রহঃ) উল্লেখ করেন,<br /> বিশ্ব বিখ্যাত ফকীহ আল্লামা তাহাবী (রহঃ) ইমাম শাফেঈ (রহঃ) এর কওল নকল করে বলেন,<br /> “নিশ্চয়ই ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম রাত হলােঃ<br /> ১) রাসূল (ﷺ) এর জন্মদিনের রাত্র অর্থাৎ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্র (১২ই রবিউল আউয়াল)<br /> ২) তারপর হলাে শবে-ই-কদরের রাত্র।<br /> ৩) তারপর হলাে মিরাজের রাত্র (২৭ শে রযব)<br /> ৪) তারপর উত্তম রাত্র হলাে লাইলাতুল আরাফা (৯ই জিলহজ্জ)<br /> ৫) তারপর হলাে জুমার রাত্র<br /> ৬) তারপর হলাে ১৫ই শাবানের রাত্র (শবে বরাত) এবং<br /> ৭) তারপর দুই ঈদের রাত্র।<br /> [শায়খ ইউসুফ নাবহানীঃ জাওয়াহিরুল বিহারঃ ৩/৪২৬ পৃ]<br /> <br /> 👉 ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রহঃ) [১১৯৮-১২৫২ হিঃ] বর্ননা করেন,<br /> <br /> أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ<br /> অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছেঃ<br /> - পবিত্র মীলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত,<br /> - অতঃপর লাইলাতুল কদরের রাত,<br /> - অতঃপর মিরাজ শরীফের রাত,<br /> - অতঃপর আরাফার রাত,<br /> - অতঃপর জুমুয়ার রাত,<br /> - অতঃপর ১৫ শাবানের রাত,<br /> - অতঃপর ঈদের রাত।”<br /> [ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রহঃ) : রদ্দুল মুহতার আলা আল দুররুল মুখতার (হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব) : ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা]<br /> <br /> 👉 ইমাম শিহাবউদ্দীন কাসতলানী (রহঃ)  বলেন :<br /> <br /> احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০<br /> الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০<br /> الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০<br /> <br /> ”রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদত তথা এ ধরণীতে শুভাগমন রাতে হয়েছে বলা হলে প্রশ্ন দাঁড়ায় যে দুটো রাতের মধ্যে কোনটি বেশি মর্যাদাসম্পন্ন - কদরের রাত (যা’তে কুরআন অবতীর্ণ হয়), নাকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ধরাধামে শুভাগমনের রাত?<br /> রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর বেলাদতের রাত এ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠতর ৩টি কারণে তা হলঃ<br /> <br /> ১) নবী করীম (ﷺ) এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হন মওলিদের রাতে, অথচ কদরের রাত (পরবর্তীকালে) তাঁকে মন্ঞ্জুর করা হয়। অতএব, মহানবী (ﷺ)-এর আবির্ভাব, তাঁকে যা মন্ঞ্জুর করা হয়েছে তার চেয়েও শ্রেয়তর। তাই মওলিদের রাত অধিকতর মর্যাদাসম্পন্ন।<br /> <br /> ২) কদরের রাত যদি ফেরেশতাদের অবতীর্ণ হবার কারণে মর্যাদাসম্পন্ন হয়, তাহলে মওলিদের রাত মহানবী (ﷺ) এ ধরণীতে প্রেরিত হবার বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফেরেশতাদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, আর তাই মওলিদের রাতও শ্রেষ্ঠতর।<br /> <br /> ৩) কদরের রাতের বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদীকে বিশিষ্টতা দেয়া হয়েছে; অথচ মওলিদের রাতের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে ফযিলাহ দেয়া হয়েছে। কেননা, মহানবী (ﷺ)-কে সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্যে রহমত করে পাঠানো হয়েছে (আল-কুরআন ২১:১০৭)। অতএব, এই রহমত সমগ্র সৃষ্টিকুলের জন্যে সার্বিক।”<br /> ★ ইমাম কুস্তালানী : ‘আল-মাওয়াহিব আল-লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা,<br /> ★ ইমাম যুরকানী মালেকী : শরহে মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া’, ১ম খণ্ড, ২৫৫-২৫৬ পৃষ্ঠা।<br /> <br /> 👉 উস্তাদুল মুহাদ্দিসিন ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন,<br /> <br /> اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০<br /> <br /> অর্থাৎ মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত হল আল্লাহর হাবিব (ﷺ) এর দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি আর শবে ক্বদর হুজুর (ﷺ) কে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।<br /> ★ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মাসাবাতা বিস সুন্নাহঃ ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠা।<br /> <br /> <br /></div>

কোন রাত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত নাকি ক্বদরের রাত?

কোন রাত সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ? মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর রাত নাকি ক্বদরের রাত? 👉 হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯...

Read more »

ফয়যানে লাইলাতুল ক্বদর

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="post-header-inner" style="background-color: #171717; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Poppins; font-size: 13px; font-weight: 600; margin-bottom: 20px; margin-top: 0px; overflow: hidden; padding: 0px; position: relative;"> <div class="post-header-title" style="box-sizing: border-box;"> <h1 class="single-post-title" style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 24px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin: 10px 0px 5px; text-transform: capitalize;"> </h1> <div class="post-meta single-post-meta" style="box-sizing: border-box; font-family: "Open Sans"; font-size: 12px; font-style: inherit; font-weight: 400; margin: 0px 0px 10px; padding-top: 2px;"> <br /></div> </div> </div> <div class="entry-content clearfix single-post-content" style="background-color: #171717; box-sizing: border-box; font-family: "Open Sans"; font-size: 15px; line-height: 1.6; padding-bottom: 20px;"> <div dir="ltr" style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 0px;"> <div style="box-sizing: border-box; color: white; text-align: justify;"> প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! লাইলাতুল ক্বদর অত্যন্ত বরকতময় রাত। সেটাকে লাইলাতুল ক্বদর এজন্য বলা হয় যে, এতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ ফিরিশতাগণ রেজিষ্টারগুলোতে আগামী বছর সংগঠিত হবে এমন বিষয়াদি লিপিবদ্ধ করে নেন। যেমন তাফসীরে সাভী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৩৯৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ হয়েছে:    <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">اَيْ اِظْهَارُ هَافِى دَوَاوِيْنِ الْمَلَاءِ الْاَعْلٰى </span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> <span style="color: white;">তাছাড়া আরো অনেক মর্যাদা এ মুবারক রাতের রয়েছে। প্রসিদ্ধ মুফাসসির মুফতী আহমদ এয়ার খান নঈমী </span><span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span><span style="color: white;">বর্ণনা করেন, “এ রাতকে লাইলাতুর ক্বদর কয়েক কারণে বলা হয়:</span><br /> <div style="box-sizing: border-box; color: white; margin-bottom: 17px;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" style="background-color: transparent; border-collapse: collapse; border-spacing: 0px; border: 1px solid rgb(221, 221, 221); box-sizing: border-box; color: white; margin-bottom: 30px; margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody style="box-sizing: border-box;"> <tr style="box-sizing: border-box;"><td style="border: 1px solid rgb(68, 68, 68); box-sizing: border-box; padding: 7px 10px;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjhYcH3r9tLp2Mg8OsYoMc4vzjSAxCKr58YDCSlZ6qCyX78NX1OmsgwF_eXnrZ8xjkLfk90JpO8uTZnjxKAZK8eL1Y-3DjCuKq5olBNp0B2gNpUD4AWe1tOBlMvHIOD89TrPNF_kDDN8fZM/s1600/%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B2+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%252C+%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B2%252C+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%252C+%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%252C+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE.png" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; margin-left: auto; margin-right: auto; text-decoration-line: none; transition: all 0.4s ease 0s;"><img border="0" data-original-height="576" data-original-width="1024" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjhYcH3r9tLp2Mg8OsYoMc4vzjSAxCKr58YDCSlZ6qCyX78NX1OmsgwF_eXnrZ8xjkLfk90JpO8uTZnjxKAZK8eL1Y-3DjCuKq5olBNp0B2gNpUD4AWe1tOBlMvHIOD89TrPNF_kDDN8fZM/s320-rw/%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B2+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%252C+%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B2%252C+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%252C+%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%252C+%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BE.png" style="border: 0px; box-sizing: border-box; height: auto; max-width: 100%; vertical-align: middle;" width="320" /></a></td></tr> <tr style="box-sizing: border-box;"><td style="border: 1px solid rgb(68, 68, 68); box-sizing: border-box; padding: 7px 10px;">শবে ক্বদর, রমযান, কুরআন নাযিলের মাস</td></tr> </tbody></table> <div dir="ltr" style="box-sizing: border-box; color: white; text-align: left;"> ১। এতে আগামী বছরের ভালমন্দ নির্ধারিত করে ফিরিশতাদের হাতে অর্পন করা হয়। ক্বদর মানে তকদীর (নির্ধারণ করণ) অথবা ক্বদর মানে সম্মান অর্থাৎ সম্মানিত রাত।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> ২। এতে ক্বদর বা সম্মানিত কোরআন নাযিল হয়েছে।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> ৩। যে ইবাদত এ রাতে করা হয়, তাতে মর্যাদা রয়েছে।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> ৪। ক্বদর অর্থ সংকীর্ণতা, অর্থাৎ ফিরিশতা এ রাতে এতো বেশি পরিমাণে আসে যে, পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে যায়, জায়গা সংকুলান হয়না। এ সব কারণে সেটাকে শবে ক্বদর অর্থাৎ সম্মানিত রাত বলে। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(মাওয়াইযে নঈমিয়া, পৃষ্ঠা ৬২)</span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> বোখারী শরীফের হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি এ রাতে ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, তার সারা জীবনের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬০, হাদিস নং ২০১৪)</span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <a href="https://www.blogger.com/null" name="more" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; transition: all 0.4s ease 0s;"></a></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদাতের চেয়ে বেশি সাওয়াব</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> অতএব এ পবিত্র রাতকে কখনোই অলসতার মধ্যে অতিবাহিত করা উচিত হবেনা। এ রাতে ইবাদতকারীকে এক হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষা ও বেশি ইবাদতের সাওয়াব দান করা হয় এবং বেশি পরিমাণ কত তা আল্লাহ তাআলা ও তাঁর মাধ্যমে প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>জানেন। এই রাতে হযরত জিব্রাঈল ও ফিরিশতারা অবতীর্ণ হয়। অতঃপর ইবাদতকারীদের সাথে মোছাফাহা করেন। এই মোবারক রাতে প্রতিটি মুহুর্ত শান্তি আর শান্তি। এটা সুবহে সাদিক পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এটা আল্লাহ তাআলার বিশেষ দয়া। এ মহান রাত শুধু আপন প্রিয় হাবীব <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> এর ওসীলায় হুযূরের উম্মতকে দান করা হয়েছে।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <div style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 17px;"> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> আল্লাহ তাআলা কোরআনে পাকে ইরশাদ ফরমায়েছেন:</div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> </div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">إِنَّا أَنْزَلْنٰهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ </span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">وَمَا أَدْرٰكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">تَنَزَّلُ الْمَلٰئِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">سَلَامٌ هِيَ حَتَٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> </div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: right;"> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: <i style="box-sizing: border-box;">আল্লাহ তাআলার নামে আরম্ভ, যিনি পরম করুণাময়, দয়ালু নিশ্চয় আমি সেটাকে ক্বদর রাত্রিতে নাযিল করেছি। আপনি জেনেছেন ক্বদর রাত্রি কি? ক্বদর রাত হচ্ছে- হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এতে ফিরিশতাগণ ও জিব্রাঈল অবর্তীণ হয় আপন রবের নির্দেশে, প্রতিটি কাজের জন্য, তা হচ্ছে- শান্তি ভোর চমকিত হওয়া পর্যন্ত।</i> <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(পারা-৩০, সুরাতুল কদর)</span></div> <div style="box-sizing: border-box;"> <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span></div> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! শবে ক্বদর কতই গুরুত্বপূর্ণ রাত! এর বরকত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পূর্ণ একটা সূরা নাযিল করেছেন, যা আপনি এখন দেখলেন। এ বরকতময় সূরায় আল্লাহ তাআলা এ মুবারক রাতের কয়েকটা বিশেষত্ব ইরশাদ করেছেন।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> সম্মানিত মুফাসসিরগণ (আল্লাহ তা’আলা তাঁদের উপর দয়া করুন) এই সূরায়ে ক্বদর প্রসঙ্গে ইরশাদ ফরমান, “এ রাতে আল্লাহ তাআলা কোরআন মজীদকে লওহ-ই-মাহফুয থেকে প্রম আসমানে নাযিল করেছেন। তারপর প্রায় ২৩ বছর সময় ধরে আপন প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>এর উপর ক্রমান্বয়ে নাযিল করেছেন। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(তাফসীরে সাভী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-২৩৯৮)</span><br /> <div style="box-sizing: border-box;"> </div> </div> <h4 style="box-sizing: border-box; color: white; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">হুযুর  </span><span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span><span style="box-sizing: border-box; color: cyan;"> দুঃখিত হলেন</span></h4> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> তাফসীরে আযীযীতে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>পূর্ববর্তী সম্মানিত নবীগণ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">عَلَيْهِ السَّلَام </span>এর উম্মতদের দীর্ঘায়ূ ও আপন উম্মতের স্বল্পায়ু দেখলেন, তখন উম্মতের প্রতি দয়ালু তাজেদারে রিসালত হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>এর বরকতময় হৃদয়ে স্নেহের ঢেউ উঠলো। আর তিনি <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>দুঃখিত হলেন এ ভেবে “আমার উম্মত যদিও খুব বড় বড় ইবাদতও করে তবুও তো তাদের সমান করতে পারবে না। তাই আল্লাহ তাআলার রহমতের ঢেউ উঠল। তিনি আপন প্রিয় হাবীব <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span> কে লাইলাতুল ক্বদর দান করলেন। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(তাফসীরে আযীযী, খন্ড ৪র্থ, পৃষ্ঠা ৪৩৪)</span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">ঈমান তাজাকারী ঘটনা</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> সূরা ক্বদর এর শানে নুযূল (অবতরণের কারণ) বর্ণনা করতে গিয়ে কিছু সংখ্যক সম্মানিত মুফাসসির <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِمْ </span> অত্যন্ত ঈমান সজীবকারী ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সেটার বিষয়বস্তু কিছুটা এমন, হযরত শামউন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ </span>হাজার মাস ধরে এ ভাবে ইবাদত করেছেন যে, রাতে জেগে জেগে ইবাদত করতেন আর দিনের বেলায় রোযা রাখতেন এবং আল্লাহ তাআলার পথে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদও করতেন। তিনি এতো শক্তিশালী ছিলেন যে, লোহার ভারী, মজবুত শিকলগুলোকে নিজ হাতে ভেঙ্গে ফেলতেন। নিকৃষ্ট কাফিরগণ যখন দেখলো যে, হযরত শামউন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>এর বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত কাজে আসছেনা, তখন পরস্পর পরামর্শ করার পর অনেক ধন সম্পদের লোভ দেখিয়ে তাঁর  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ</span>  এর স্ত্রীকে এ কথায় কুপরামর্শ দিল, যেন সে কোন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সুযোগ পেলে তাঁকে অত্যন্ত মজবূত রশি দিয়ে ভালভাবে বেঁধে তাদের হাতে অর্পণ করে দেয়। অবিশ্বস্ত স্ত্রী তাই করল। যখন তিনি জাগ্রত হলেন এবং নিজেকে রশিতে বন্দী পেলেন, তখন সাথে সাথে নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে নাড়া দিলেন, তখন দেখতে না দেখতেই রশিগুলো ছিঁড়ে গেলো। আর তিনি  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>মুক্ত হয়ে গেলেন। তারপর আপন স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন আমাকে কে বেঁধেছে। অবিশ্বস্ত স্ত্রী বিশ্বস্তার  কৃত্রিম ভঙ্গিতে মিথ্যা বলে দিলো আমিতো আপনার শারীরিক শক্তির পরীক্ষা করছিলাম যে, আপনি নিজেকে এসব রশি থেকে মুক্ত করাতে পারেন কিনা। কথা শেষ হলো। একবার অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও অবিশ্বস্ত স্ত্রী সাহস হারায়নি। আর নিয়মিত এ সুযোগের অপেক্ষায় রইলো যে, কখন তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যাবে এবং তাঁকে বেঁধে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত পুনরায় সে সুযোগ পেয়ে গেলো। তাই তিনি যখন গভীর নিদ্রায় বিভোর হলেন, তখন ওই যালিম স্ত্রী অত্যন্ত চালাকীর সাথে তাঁকে লোহার শিকল দিয়ে ভালভাবে বেঁধে ফেললো। যখনই তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেলো, তখন তিনি শিকলের একেকটা কড়া ছিন্ন করে ফেললেন এবং সহজে মুক্ত হয়ে গেলেন। স্ত্রী এটা দেখে অবাক হয়ে গেলো। কিন্তু পুনরায় প্রতারণা করে একই কথা আবার বলতে লাগল, “আমি আপনাকে পরীক্ষা করছিলাম।” কথা প্রসঙ্গে (হযরত) শামঊন  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>তাঁর স্ত্রীর নিকট নিজের রহস্য খুলে দিলেন, “আমার উপর আল্লাহ তাআলা বড়ই অনুগ্রহ যে, তিনি আমাকে তাঁর বেলায়াত এর মর্যাদা দান করেছেন। আমার মাথার চুল ছাড়া আমার উপর দুনিয়ার কোন জিনিষ প্রভাব ফেলতে পারবেনা। চালাক স্ত্রী সমস্ত কথা বুঝতে পারলো। আহ! তাকে দুনিয়ার ভালবাসা অন্ধ করে ফেলেছিলো। শেষ পর্যন্ত সুযোগ পেয়ে সে তাঁকে তার আটটি বাবরী চুল<span style="box-sizing: border-box; color: red;">*</span> দিয়ে বেধেঁ নিলো, যেগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল মাটি পর্যন্ত। তিনি ঘুম ভাঙ্গতেই খুব শক্তি প্রয়োগ করলেন, কিন্তু সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হলো। দুনিয়ার ধন সম্পদের নেশায় অন্যায়ভাবে স্বামীকে শত্রুদের হাতে অর্পন করে দিলো। দুষ্ট কাফিরগণ হযরত শাম’উন  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>কে একটা খামের সাথে বেঁধে ফেললো, আর অত্যন্ত নির্মম ও হিংস্রতার সাথে তাঁর নাক ও কান কেটে ফেললো,চোখ দুটি বের করে ফেললো। নিজ কামিল ওলীর অসহায় অবস্থার উপর মহামহিম রব্বুল ইয্যাতের রাগের সাগরে ঢেউ খেললো। মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা ওই যালিমদেরকে জমিনের ভিতর ধসিয়ে দিলেন। আর দুনিয়ার লালসার শিকার অবিশ্বাসী হতভাগা স্ত্রীও আল্লাহ তায়ালার রাগের তাজাল্লীতে ধ্বংস প্রাপ্ত হলো। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(মুকাশাফাতুল কুলুব, ৩০৬ পৃষ্ঠা</span>)<br /> <div style="box-sizing: border-box;"> </div> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <span style="box-sizing: border-box; color: red;">*</span>ইমাম মুহাম্মদ গাযালী  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>এ দীর্ঘ চুলের কথা উল্লেখ করেছেন। ইনি পূর্ববর্তী উম্মতের বুযুর্গ ছিলেন। আমাদের আকা হযরত মুহাম্মদ  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span>  এর চুলের সুন্নত সর্বোচ্চ কাঁধ পর্যন্ত।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">আমাদের বয়সতো খুবই স্বল্প</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> সম্মানিত সাহাবা ই কেরাম <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ</span> যখন হযরত সায়্যিদুনা শামউন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>এর ইবাদত , জিহাদ এবং বিভিন্ন কষ্ট ও মুসীবতের বর্ণনা শুনলেন তখন হযরত শামউন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>উপর তাঁদের বড় ঈর্ষা হলো। আর নবুওয়তের চাঁদ, রেসালতের সূর্য. দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span>  এর বরকতময় দরবারে আরয করলেন, “হে আল্লাহর রসূল! আমরাতো অতি অল্প বয়সই পেয়েছি। তা থেকেও একটা অংশ ঘুমে চলে যায়। কিছুটা চলে যায় জীবিকার সন্ধানে, রান্না বান্না ও পানাহারে, আর অন্যান্য পার্থিব কাজকর্মে কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। তাই আমরাতো হযরত শামউন  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ </span>এর মতো ইবাদত করতে পারি না। এভাবে বনী ইস্রাঈল ইবাদতে আমাদের থেকে এগিয়ে যাবে। উম্মতের প্রতি দয়ালু আকা হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>এটা শুনে দূঃখিত হলেন। তখনই হযরত সায়্যিদুনা জিব্রাঈল আমীন  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">عَلَيْهِ السَّلَام </span>হুযূরের মহান দরবারে হাযির হলেন। আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সূরা ক্বদর পেশ করলেন। আর সান্ত্বনা দিয়ে ইরশাদ করলেন, “প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>আপনি দুঃখিত হবেন না। আপনার <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>উম্মতকে আমি প্রতি বছর এমন এক রাত দান করেছি যে, যদি তারা ওই রাতে আমার ইবাদত করে, তবে তা হযরত শামউন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>এর হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষাও বেশি হবে। (<span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">তাফসীরে আযীযী, খন্ড ৪র্থ, পৃষ্ঠা ৪৩৪)</span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">আহ! আমাদের নিকট গুরুত্ব কিসের?</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> আল্লাহু আকবার! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা আপন মাহবূব উভয় জগতের রহমত হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>এর উম্মতের উপর কি পরিমাণ দয়াবান! আর আল্লাহ আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>এর ওসীলায় কতোই মহান দয়া করেছেন! যদি গভীর মনোযোগ দিয়ে শবে ক্বদরের ইবাদত করে নেই, তবে এক হাজার বছরের ইবাদতের চেয়েও বেশি সাওয়াব পেয়ে যাব। কিন্তু আহ! আমাদের নিকট শবে ক্বদরের গুরুত্ব কোথায়? একজন সম্মানিত সাহাবী <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ</span> এর আফসোসের কারণে আমরা এতো বড় পুরস্কার কোনরূপ প্রার্থনা ছাড়াই পেয়ে গেলাম। তাঁরা এর প্রতি মর্যাদাও দিয়েছেন কিন্তু আমরা উদাসীনরা ইবাদতের সময়ও পাইনা। আহ! প্রতি বছরই পাই এমন মহান পুরস্কারকে আমরা অলসতার হাতে অর্পন করে দেই।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> </div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">সমস্ত কল্যাণ থেকে কে বঞ্চিত?</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> <span style="color: white;">হযরত সায়্যিদুনা আনাস ইবনে মালিক </span><span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ  </span><span style="color: white;">বলেন, “যখন একবার মাহে রমযান তাশরীফ আনলো তখন তাজেদারে মাদীনা, সুরুরে কলবো সীনা হযরত মুহাম্মদ </span><span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span><span style="color: white;">ইরশাদ ফরমান, “তোমাদের নিকট একটি মাস এসেছে, যাতে একটি রাত এমনও রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত রইলো, সে যেনো সব কিছু থেকে বঞ্চিত রইলো। আর এর কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত থাকে একমাত্র সেই প্রকৃতপক্ষে বঞ্চিত।” </span><span style="box-sizing: border-box; color: white; font-size: xx-small;">(সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৮, হাদীস নং ১৬৪৪)</span><br /> <div style="box-sizing: border-box; color: white; margin-bottom: 17px;"> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> <span style="color: yellow;">_______________________</span></div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত রযমান মাসের বিস্তারিত মাসাইল সম্পর্কিত “<a href="https://www.dawateislami.net/bookslibrary/498" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; text-decoration-line: none; transition: all 0.4s ease 0s;" target="_blank">রমযানের ফযিলত</a>” নামক কিতাবের ১৯৬-১৯৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।</div> <div style="box-sizing: border-box; color: white;"> যারা মোবাইলে (পিডিএফ) কিতাবটি পড়তে চান তারা ফ্রি <a href="https://www.dawateislami.net/bookslibrary/498" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; text-decoration-line: none; transition: all 0.4s ease 0s;" target="_blank">ডাউনলোড করুন</a></div> </div> </div> </div> </div> </div>

ফয়যানে লাইলাতুল ক্বদর

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! লাইলাতুল ক্বদর অত্যন্ত বরকতময় রাত। সেটাকে লাইলাতুল ক্বদর এজন্য বলা হয় যে, এতে সারা বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ ক...

Read more »

তারাবীহর জামাআত ‘বিদআতে হাসানা’ (নতুন প্রচলিত পূণ্যময় কাজ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="post-header-inner" style="background-color: #171717; box-sizing: border-box; color: white; font-family: Poppins; font-size: 13px; font-weight: 600; margin-bottom: 20px; margin-top: 0px; overflow: hidden; padding: 0px; position: relative;"> <div class="post-header-title" style="box-sizing: border-box;"> <h1 class="single-post-title" style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 24px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin: 0px 0px 13px; text-transform: capitalize;"> </h1> </div> </div> <div class="entry-content clearfix single-post-content" style="background-color: #171717; box-sizing: border-box; color: white; font-family: "Open Sans"; font-size: 15px; line-height: 1.6; padding-bottom: 20px;"> <div class="continue-reading-content" style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 0px; max-height: none;"> <div dir="ltr" style="box-sizing: border-box;"> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> মাদিনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>নিজেও তারাবীহ পড়েছেন এবং এটাকে খুব পছন্দও করেছেন। কোরআনের ধারক, মদীনার সুলতান হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>এর মহান বাণী, যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে রমযানে রাত্রি জাগরণ করে তার পূর্বাপর গুনাসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ উম্মতের উপর তারাবীহ ফরয করে দেয়া হয় কিনা এই আশঙ্কায় রসূল <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span> বাদ দিতেন, অতঃপর আমীরুল মু’মিনীন সায়্যিদুনা ওমর ফারূকে আযম  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ</span> <span style="box-sizing: border-box; color: lime;"> </span>তাঁর খিলাফতের সময় মাহে রমযানুল মুবারকের একরাতে মসজিদে দেখতে পেলেন যে, কেউ একাকী আবার কেউ জামাআতে (তারাবীহ) পড়ছেন। এটা দেখে তিনি বললেন, আমি চাচ্ছি, সবাইকে এক ইমামের সাথে একত্রিত করে দেয়াই উত্তম হবে। তাই তিনি হযরত সায়্যিদুনা উবাই ইবনে কা’ব  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ  </span>কে সবার ইমাম করে দিলেন। অতঃপর যখন দ্বিতীয় রাতে তাশরীফ আনলেন, তখন দেখলেন লোকেরা জামাআত সহকারে (তারাবীহ) আদায় করছেন। (তিনি খুব খুশী হলেন) আর বললেন <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">نِعْمَ الْبِدْعَةُ هٰذِه </span>অর্থাৎ <i style="box-sizing: border-box;">এটা উত্তম বিদআত</i>। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(বুখারী ১ম খন্ড , পৃঃ ৬৫৮, হাদিস নং -২০১০ )</span></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" style="background-color: transparent; border-collapse: collapse; border-spacing: 0px; border: 1px solid rgb(221, 221, 221); box-sizing: border-box; margin-bottom: 30px; margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody style="box-sizing: border-box;"> <tr style="box-sizing: border-box;"><td style="border: 1px solid rgb(68, 68, 68); box-sizing: border-box; padding: 7px 10px;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTZGQONgcXcikeUQ2qQl_OBPKyIrRpfdr4W0YJl1PcKl-MTI5QX6slPFu1VHV7Petvwsm0NwUnXZqb3kwuCkBS7Bi26tM6QjMfT0nZ-ulIj9kSfjKKal9wL5BsS_VFqm0IOxBffmjoCJgt/s1600/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BF%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B9.png" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; margin-left: auto; margin-right: auto; text-decoration-line: none; transition: all 0.4s ease 0s;"><img border="0" class=" b-loaded b-loaded" data-original-height="470" data-original-width="705" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTZGQONgcXcikeUQ2qQl_OBPKyIrRpfdr4W0YJl1PcKl-MTI5QX6slPFu1VHV7Petvwsm0NwUnXZqb3kwuCkBS7Bi26tM6QjMfT0nZ-ulIj9kSfjKKal9wL5BsS_VFqm0IOxBffmjoCJgt/s320-rw/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A4%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%252C+%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BF%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B9.png" style="border: 0px; box-sizing: border-box; height: auto; max-width: 100%; vertical-align: middle;" width="320" /></a></td></tr> <tr style="box-sizing: border-box;"><td style="border: 1px solid rgb(68, 68, 68); box-sizing: border-box; padding: 7px 10px;">বিদআত প্রসঙ্গ</td></tr> </tbody></table> <div style="box-sizing: border-box;"> প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা ! আল্লাহর প্রিয় রাসূল <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>আমাদের প্রতি কতোই খেয়াল রেখেছেন। শুধু এ আশঙ্কায় তারাবীহ সবসময় পড়েননি যে, তা আবার উম্মতের উপর ফরয হয়ে যায় কিনা। এ হাদিসে পাক থেকে কিছু সংখ্যক কুমন্ত্রণার চিকিৎসাও হয়ে গেলো। যেমন, তারাবীর নিয়ম মোতাবেক জামাআত হুযুর <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>ও জারী করতে পারতেন, কিন্তু করেন নি।</div> </div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> অনুরূপভাবে, ইসলামে ভাল পদ্ধতির প্রচলনের জন্য তাঁর গোলামদেরকে সুযোগ করে দিলেন যে কাজ সৃষ্টিকুল শ্রেষ্ঠ শাহে মদীনা <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>করেন নি, ওই কাজ সায়্যিদুনা ফারুকে আযম <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ </span>নিছক আপন ইচ্ছায় করেন নি, বরং শাহেনশাহে দো আলম হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>কিয়ামত পর্যন্ত ভালো ভালো কাজ চালু করার জন্য নিজের পবিত্র প্রকাশ্য জীবদ্দশায়ই অনুমতি দান করেছিলেন।</div> <div style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 17px;"> <a href="https://www.blogger.com/null" name="more" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; transition: all 0.4s ease 0s;"></a></div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> যেমন শাহেনশাহে মাদীনা হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span> এর সম্মানিত বাণী হচ্ছে, কেউ ইসলামে উত্তম পদ্ধতি আবিস্কার করে সে সেটার সাওয়াব পাবে এবং যারা এরপর সে অনুযায়ী আমল করবে, তাদের সাওয়াবও পাবে কিন্তু আমলকারীর সাওয়াব কিছুই কম হবেনা। আর যে ব্যক্তি ইসলামে খারাপ পন্থা আবিস্কার করবে, তজ্জন্য তার গুনাহ হবে এবং তাদের গুনাহ ও তার উপর বর্তাবে যারা এরপর তদনুযায়ী আমল করবে, কিন্তু তাদের গুনাহে কোনরূপ কম করা হবে না।” (সহীহ মুসলিম , ১১৪৩৮ পৃষ্ঠা, ১০১৭ নং হাদিস)</div> <div style="box-sizing: border-box; text-align: justify;"> <div style="box-sizing: border-box;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">১২ টি বিদআত ই হাসানা</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> এ হাদিসে মুবারক থেকে বুঝা গেলো যে, কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামে ভালো ভালো নতুন নতুন পন্থা আবিস্কার করার অনুমতি রয়েছে। আর <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ  </span>আবিস্কারও করা হচ্ছে। যেমন:</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ১। হযরত সায়্যিদুনা ফারুকে আযম  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ</span>  তারাবীহর জামা’আতের সাথে যথা নিয়মে গুরুত্বের সাথে ব্যবস্থা করেছেন। আর নিজেই সেটাকে ভাল বিদআত সাব্যস্ত করেছেন। এ থেকে একথাও বুঝা গেলো যে, হযরত মুহাম্মদ<span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>এর প্রকাশ্য বেসাল শরীফের পর সাহাবা -ই- কেরাম  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ </span>যে ভালো নতুন কাজ জারী করেছেন, সেটাকে বিদআতে হাসানা বলা হয়।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ২। মসজিদে ইমামের জন্য পৃখক মেহরাব ছিলোনা। সর্বপ্রম হযরত সায়্যিদুনা ওমর ইবনে আবদুল আযীয <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ </span>  মসজিদে নববী শরীফ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">زَادَهَا اللهُ شَرْفًاوَّتَعْظِيْمًا</span> এর মধ্যে মেহরাব বানানোর সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। এ নতুন আবিস্কার (বিদআত হাসানা) এর এতোটুকু গ্রহণযোগ্যতা অর্জিত হয়েছে যে, এখন সারা দুনিয়ার মসজিদের পরিচয় হয় এরই মাধ্যমে।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৩। অনুরূপভাবে মসজিদগুলোর উপর গম্বুজ ও মিনার নির্মাণ ও পরবর্তী সময়ের আবিস্কার, বরং কা’বার মিনারগুলোও শাহেনশাহে মদীনা হযরত মুহাম্মদ  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span>   ও সাহাবা ই কেরাম <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ</span> এর যুগে ছিলো না।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৪। ঈমানে মুফাসসাল।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৫। ঈমানে মুজমাল।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৬। ছয় কলেমা, সেগুলোর সংখ্যা ও সেগুলোর নাম।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৭। কোরআনে পাকের ত্রিশ পারা বানানো, যের যবর পেশ লাগানো, সেগুলোতে রুকূ বানানো, ওয়াকফ চিহ্ন লাগানো, এবং নোকতাগুলো লাগানোও পরবর্তীতে হয়েছে এবং সুন্দর সুন্দর কপি করে ছাপানো ইত্যাদিও।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৮। বরকতময় হাদিসগুলোর কিতাবাকারে ছাপানো, সেগুলোর সনদ বা সূত্রগুলো যাচাই বাছাই করা, সেগুলোর মধ্যে সহীহ, হাসান (সঠিক ও বিশুদ্ধ), যঈফ ও মওদ্বূ’ (দূর্বল ও বানোয়াট) ইত্যাদির প্রকারভেদ করা।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ৯। ফিকহ, উসূল ই ফিকহ ও ইলমে কালাম (ইসলামী যুক্তিশাস্ত্র)।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ১০। যাকাত ও ফিতরা প্রচলিত মূদ্রা (ফটো সম্বলিত টাকার নোট) দ্বারা পরিশোধ করা।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ১১। উট ইত্যাদির পরিবর্তে জাহাজ ও বিমানযোগে হজ্জের সফর করা।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> ১২। শরীয়ত ও তরীকতের চার সিলসিলা, অর্থাৎ হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী, অনুরূপভাবে কাদেরী, নকশবন্দী, সোহরাওয়ার্দী ও চিশতী।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> <h3 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 25px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 20px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan; font-size: large;">প্রত্যেক বিদ’আত পথভ্রষ্টতা নয়</span></h3> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> কারো মনে এ প্রশ্ন আসা অস্বাভাবিক নয় যে, হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে,<span style="box-sizing: border-box; color: lime;"> كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَّكُلُّ ضَلَالَةٍ فِى النَّار</span> অর্থাৎ <i style="box-sizing: border-box;">“প্রত্যেক বিদ’আত (নতুন বিষয়) পথভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক পথভ্রষ্টতা জাহান্নামে (নিয়ে যাবে)।”</i> <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(সুনানে নাসায়ী, খন্ড-০২, পৃষ্টা-১৮৯)</span><br /> <span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: xx-small;"><br style="box-sizing: border-box;" /></span><span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: xx-small;">شَرُّ الْاُمُوْرِ مُحْدَثََا تُهَا وَكُلُّ بِدْعَةِِ ضَلَالَة </span>অর্থাৎ: <i style="box-sizing: border-box;">‘সবচেয়ে মন্দ কাজ হচ্ছে নতুন কাজ উদ্ভাবন করা, আর প্রত্যেক বিদ’আত (নতুন কাজ) ভ্রষ্টতা।’</i> <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(সহীহ মুসলিম শরীফ, পৃ: ৪৩০, হাদীস নং : ৮৬৭)</span></div> <div style="box-sizing: border-box;"> এই হাদিস শরীফের অর্থ কি? এর জবাব হচ্ছে- হাদিসে পাক সঠিক (সত্য)। এখানে বিদ’আত ই সাইয়্যেআহ অর্থাৎ মন্দ বিদ’আত। নিশ্চয়ই এমন প্রতিটি বিদ’আত মন্দ, যা কোন সুন্নতের পরিপন্থী কিংবা সুন্নতকে বিলীন করে।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> যেমন: অন্য হাদীস সমূহে এই মাসআলার আরো বেশি ব্যাখ্যা বিশেষণ রয়েছে। যেমন আমাদের প্রিয় আকা হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>ইরশাদ করেছেন, ‘ঐ সমস্ত গোমরাহকারী বিদআত, যাতে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রসূল হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ  </span>অসন্তুষ্ট । সে সমস্ত ভ্রান্ত বিদআত প্রচলনকারীর উপর সেই বিদআত আমলকারীর সমান গুনাহ অর্পিত হবে। আমলকারীর গুনাহে কোন কম হবে না।’ <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(জামে তিরমিযী, খন্ড-৪র্থ, পৃষ্ঠা-৩০৯, হাদীস নং-২৬৮৬)</span></div> <div style="box-sizing: border-box;"> অপর হাদীসে পাকে আরো স্পষ্টভাবে দেখুন। যেমন উম্মুল মু’মিনীন সায়্যিদাতুনা মা আয়িশা <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا</span> থেকে বর্ণিত, আল্লাহর মাহবুব, হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>ইরশাদ করেন, <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">مَنْ اَحْدَثَ فِى اَمْرِنَا هٰذَا مَا لَيْسَ فِيْهِ فَهُوَ رَدّ </span>অনুবাদ: <i style="box-sizing: border-box;">যে আমাদের ধর্মে এমন নতুন কথা বা কাজ সৃষ্টি করবে যা ধর্মের মূলে নেই তা বাতিল। </i><span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(সহীহে বুখারী শরীফ, খন্ড-৬ষ্ঠ, পৃষ্ঠা-২১১, হাদীস নং-২৬৯৭)</span></div> <div style="box-sizing: border-box;"> এই সমস্ত হাদীসে মুবারাকার মাধ্যমে বুঝা গেল, এমন নতুন কাজ যা সুন্নত থেকে দূরে সরিয়ে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যায়, যার ভিত্তি ধর্মে নেই তা “বিদআতে সায়্যিআ” তথা “মন্দ বিদআত”। যদি ধর্মে এমন নতুন কাজ যা সুন্নতের উপর আমল করার ক্ষেত্রে সহযোগীতা করে আর যার ভিত্তি ধর্মে আছে তা হচ্ছে “বিদআতে হাসানা” তথা ভাল বিদআত। যেমন সায়্যিদুনা শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>হাদিসে পাক <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">كُلُّ ضَلَالَةٍ فِى النَّار</span> এর ব্যাখ্যায় বলেন, যেই বিদআত সুন্নতের মূলনীতি ও মৌলিক নিয়মাবলীর এর অনুরূপ ও তদনুযায়ী অনুমান করা হয়েছে, (অর্থাৎ শরীআত ও সু্ন্নাতের পরিপন্থি নয়) তাকে ‘বিদআত-ই হাসানা’ বলা হয়।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> আর যা সুন্নাতের বিপরীত হয় তাকে পথভ্রষ্টকারী বিদ’আত (বিদআতই সায়্যিয়া) বলা হয়। <span style="box-sizing: border-box; font-size: xx-small;">(আশি’আতুল লোমআত, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৩৫)</span><br /> <div style="box-sizing: border-box;"> </div> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> <h4 style="box-sizing: border-box; font-family: Roboto; font-size: 20px; font-weight: 500; line-height: 1.3; margin-bottom: 10px; margin-top: 10px; text-transform: inherit;"> <span style="box-sizing: border-box; color: cyan;">বিদআতে হাসানা ব্যতীত মানুষ চলতে পারেনা</span></h4> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> যে কোন অবস্থায় ভাল ও মন্দ বিদআতগুলোর প্রকারভেদ করা জরুরী। অন্যথায় কিছু ভালো ভালো বিদ’আত এমনও রয়েছে যে, যদি সেগুলোকে শুধু এজন্য ছেড়ে দেয়া হয় যে, ‘কুরুনে ছালাছাহ’ অর্থাৎ সৃষ্টিকুল শ্রেষ্ঠ, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবে’ঈনে  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمْ</span>  এর নূরানী যুগগুলোতে ছিলোনা, তাহলে দ্বীনের বর্তমান জীবন ব্যবস্থাই চলতে পারেনা। যেমন দ্বীনী মাসআলাগুলো, সেগুলোর মধ্যে দরসে নেযামী, কোরআন ও হাদিসসমূহ এবং ইসলামী কিতাবগুলো প্রেসে ছাপানো ইত্যাদি। এসব কাজই বিদ’আত ই হাসানারই সামিল। যা হোক, মহামহিম প্রতিপালক এর দানক্রমে, তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>নিশ্চয় এসব ভালো ভালো কাজের আপন প্রকাশ্য জীবনেই প্রচলন করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আপন মাহবূব হযরত মুহাম্মদ <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ </span>এর গোলামদের জন্য সাওয়াবে জারিয়া (অব্যাহত সাওয়াব) অর্জনের জন্য অগণিত সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ তাআলার নেক বান্দাগণও সদকায়ে জারিয়ার খাতিরে, যা শরীয়তের পরিপন্থী নয়, এমন নতুন নতুন আবিস্কারকে অব্যাহত রেখেছেন।</div> <div style="box-sizing: border-box;"> কেউ আযানের আগে দুরুদ ও সালাম পড়ার প্রচলন করে দিয়েছেন, কেউ ঈদে মীলাদুন্নবী <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">ﷺ</span> উদযাপনের সুন্দর সুন্দর পন্থা বের করেছেন, তারপর তাতে আলোকসজ্জা করা, সবুজ সবুজ পতাকা সজ্জিত করে, ‘মারহাবা মারহাবা’ আকাশ বাতাস মুখরিতকারী শ্লোগান সহকারে, মাদানী জুলূস বের করার আমেজ শুরু করে দিয়েছেন, কেউ গেয়ারভী শরীফ, কেউ বুযুর্গানে দ্বীন  <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ  </span>এর ওরস শরীফের বুনিয়াদ রেখেছেন, আর এখনো এ সিলসিলা অব্যাহত রয়েছে। <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَزَّوَجَلّ</span>  দাওয়াতে ইসলামীর ইসলামী ভাইয়েরা ইজতিমাগুলোতে<span style="box-sizing: border-box; color: lime;"> اُذْكُرُوْا الله<span style="box-sizing: border-box; color: red;"> </span></span>(অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার যিকর করো) এবং <span style="box-sizing: border-box; color: lime;">صَلُّوا عَلٰى الحَبِيْب</span><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700; text-align: center;"><span style="box-sizing: border-box; color: lime; font-size: medium;">  </span></span>(অর্থাৎ হাবীবের উপর দুরুদ পাঠ করো।) এর নারা লাগানো (শ্লোগান দেয়া) এর একেবারে নতুন নিয়ম বের করে আল্লাহ আল্লাহ যিকির এবং দুরুদ ও সালামের মধুমাখা সুন্দর নিয়ম চালু করেছেন।<br /> <br /> <div style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 17px;"> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> <div style="box-sizing: border-box; color: black; margin: 0px 0px 17px; text-align: left;"> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: yellow;">__________________________</span></div> </div> <div style="box-sizing: border-box;"> লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত রযমান মাসের বিস্তারিত মাসাইল সম্পর্কিত “<a href="https://www.dawateislami.net/bookslibrary/498" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; text-decoration-line: none; transition: all 0.4s ease 0s;" target="_blank">রমযানের ফযিলত</a>” নামক কিতাবের ১৮১-১৮৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।</div> <br /> <div style="box-sizing: border-box; margin: 0px 0px 17px; text-align: left;"> </div> <br /> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; background-color: #171717; box-sizing: border-box; color: white; font-family: "open sans"; font-size: 15px; font-style: normal; font-variant-caps: normal; font-variant-ligatures: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: justify; text-decoration-color: initial; text-decoration-style: initial; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 2; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px;"> যারা মোবাইলে (পিডিএফ) কিতাবটি পড়তে চান তারা ফ্রি <a href="https://www.dawateislami.net/bookslibrary/498" style="background-color: transparent; box-sizing: border-box; color: #4ab3f4; text-decoration: none; transition: all 0.4s ease 0s;" target="_blank">ডাউনলোড করুন</a></div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div> </div>

তারাবীহর জামাআত ‘বিদআতে হাসানা’ (নতুন প্রচলিত পূণ্যময় কাজ)

মাদিনার তাজেদার, উভয় জগতের সরদার  ﷺ  নিজেও তারাবীহ পড়েছেন এবং এটাকে খুব পছন্দও করেছেন। কোরআনের ধারক, মদীনার সুলতান হযরত মুহাম্মদ ...

Read more »