রোযার নিয়তের মাসয়ালা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> রোযার নিয়তের মাসয়ালা<br /> <br /> ১. নিয়ত করার অর্থ মনে মনে এরাদা করা, মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা জরুরী নয়, শুধু মনের মধ্যে ইচ্ছা করাই যথেষ্ট। বরঞ্চ সেহরি খাওয়াটাই নিয়তের স্থলাভিষিক্ত। এজন্যে যে রোজার জন্যই সেহরি খাওয়া হয়। অবশ্যই যারা ঐ সময় খেতে সাধারণত অভ্যস্ত অথবা যেসব নাদান নিয়মিত সেহরি খায় কিন্তু রোজা রাখে না, তাদের জন্য নিয়ত করা জরুরী।<br /> <br /> ২. রমজানের প্রত্যেক রোজার জন্য আলাদা নিয়ত করা জরুরী। গোটা রমজানের জন্য একবার নিয়ত করা যথেষ্ট নয়।<br /> <br /> ৩. রমজানের চলতি রোজার জন্য ফরজ বলে নিয়ত করা জরুরী নয়। শুধু রোজার নিয়ত করাই যথেষ্ট। কিন্তু কোন রোগী রমজানের রোজা রাখলে সে ফরজের নিয়ত করবে। কারণ তার উপর রমজানের রোজা ফরজ নয়। যদি শুধু রোজার নিয়ত করে অথবা নফল রোজার নিয়ত করে তাহলে তার রোজা রমজানের রোজা হবে না।<br /> <br /> ৪. মুসাফিরের জন্য জরুরী যে রমজানে সে যেন অন্য কোন ওয়াজিব রোজার নিয়ত না করে।<br /> <br /> ৫. রমজানের কাযা রোজার জন্য নির্দিষ্ট করে ফরজের নিয়ত করা জরুরী।<br /> <br /> ৬. রোজায় দুপুরের পূর্বে নিয়ত করলে দুরস্ত (জায়েজ) হবে।<br /> <br /> ৭. রাতে রোজা রাখার নিয়ত ছিল না। সকালেও রোজা রাখার খেয়াল ছিল না, তারপর দুপুরের আগে হঠাৎ মনে পড়লো যে, রমজানের রোজা ছাড়া ঠিক নয় এবং তড়িঘড়ি করে নিয়ত করে ফেলল, তাহলে রোজা দুরস্ত (জায়েজ) হবে। কিন্তু সকালে যদি কিছু খেয়ে থাকে তাহলে তো নিয়ত করার কোনো অবকাশই রইলো না।<br /> <br /> ৯. রমযান মাসে কেউ ফরয রোযার পরিবর্তে নফল রোযার নিয়ত করলো এবং মনে করলো যে পরে ফরয রোযার কাযা করে নেবে। তথাপি সে রোযা রমযানের রোযাই হবে। নফল রোযা হবে না। এমনি নফল রোযার পরিবর্তে ওয়াজিব রোযার যদি নিয়ত করে,তথাপি রমযানের রোযা হবে। নীতিগত এক এই যে, রমযানে শুধু রমযানের ফরয রোযাই হবে,অন্য রোযা হবে না।<br /> <br /> ১০. রোযা সুবেহ সাদেক থেকে শুরু হয়। অতএব সুবেহ সাদেকের পূর্বে এ সকল কাজ জায়েয যার থেকে বিরত থাকা রোযার মধ্যে ফরয। কেউ মনে করে যে, রোযার নিয়ত করার পর কিছু খাওয়া দাওয়া করা জায়েয নয়। একথা ঠিক নয়। সুবেহ সাদেকের পূর্বে খাওয়া দাওয়া প্রভৃতি জায়েয-যদিও সূর্যাস্তের পরই পরের দিনের রোযার নিয়ত করা হয়ে থাকে।<br /> <br /> ১২. কেউ রাতে ইচ্ছা করলো যে, পরদিন রোযা রাখবে। কিন্তু সকাল হওয়ার পূর্বেই ইচ্ছা পরিবর্তন করলো এবং রোযা রাখলো না। এ অবস্থায় কাফফারা ওয়াজিব হবে না।<br /> <br /> ১৩. রাতে নিয়ত করলে বলবে আমি আগামীকাল মাহে রমযানের রোযা রাখার নিয়ত করলাম। দিনে নিয়ত করলে বলবে মাহে রমযানের আজকের দিনের রোযার নিয়ত করছি। কিন্তু আরবীতে নিয়ত করা জরুরী (অত্যাবশ্যক) নয়, যে কোনো ভাষায় বলা যায়।</div>

রোযার নিয়তের মাসয়ালা

রোযার নিয়তের মাসয়ালা ১. নিয়ত করার অর্থ মনে মনে এরাদা করা, মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা জরুরী নয়, শুধু মনের মধ্যে ইচ্ছা করাই যথেষ্ট। বরঞ্চ সে...

Read more »

রোজার নিয়ত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> রোজার নিয়ত<br /> <br /> نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم<br /> <br /> আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।<br /> <br /> বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।<br /> <br /> ইফতারের আগ মুহূর্তে বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া<br /> <br /> اَسْتَغْفِرُ اللهَ الْعَظِيْم – اَلَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ اَلْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْم<br /> <br /> আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম, ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।<br /> <br /> ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার করা<br /> <br /> اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن<br /> <br /> উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।<br /> <br /> অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।<br /> <br /> ইফতারের পর আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে দোয়া পড়া<br /> <br /> হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-<br /> <br /> ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ<br /> <br /> উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’<br /> <br /> অর্থ : ‘ (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)<br /> <br /> <br /></div>

রোজার নিয়ত

রোজার নিয়ত نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّ...

Read more »

যেইসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <span style="font-size: x-large;"><b><span style="color: red;">যেইসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ</span></b> </span><br /> <br /> ১) ভুলবশতঃ আহার করলে, পান করলে কিংবা স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভাঙ্গে না, চাই ওই রোযা ফরয হোক কিংবা নফল। (আদ-দুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৫)<br /> হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ থেকে বর্ণিত, তাজেদারে মদীনা হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেন, “যে রোযাদার ভুলবশতঃ পানাহার করেছে, সে যেন তার রোযা পূর্ণ করে। কারণ, তাকে আল্লাহ তাআলা পানাহার করিয়েছে। (সহীহ বোখারী, খন্ড-১ম, পৃ-৬৩৬, হাদীস নং-১৯৩৩)<br /> <br /> ২) কোন রোযাদারকে এসব কাজে করতে দেখলে স্মরণ করিয়ে দেয়া ওয়াজিব। যদি আপনি স্মরণ করিয়ে না দেন তবে গুনাহগার হবেন। হাঁ, যদি রোযাদার খুবই দুর্বল হয়, কিন্তু স্মরণ করিয়ে দিলে পানাহার ছেড়ে দেবে, যার ফলে তার দূর্বলতা এতোই বেড়ে যাবে যে, তার জন্য রোযা রাখা কঠিন হয়ে যাবে, আর পানাহার করে নিলে রোযাও ভালোমতে পূর্ণ করে নেবে এবং অন্যান্য ইবাদতও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবে, (যেহেতু সে ভুলে পানাহার করছে, এ কারণে তার রোযাও পূর্ণ হয়ে যাবে।)<br /> এমতাবস্থায়, স্মরণ করিয়ে না দেয়াই উত্তম। কোন কোন মাশাইখ কিরাম ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ বলেন, “যুবককে দেখলে স্মরণ করিয়ে দেবেন, আর বৃদ্ধকে দেখলে স্মরণ করিয়ে না দিলেও ক্ষতি নেই।” কারণ, যুবক বেশিরভাগই শক্তিশালী হয়ে থাকে। আর বুড়ো হয় বেশিরভাগ দুর্বল। সুতরাং বিধান হচ্ছে এ যে, যৌবন ও বার্ধক্যের কোন কথা এখানে নেই, বরং সক্ষম হওয়া ও দুর্বলতাই এখানে বিবেচ্য। অতএব যুবকও যদি এ পরিমাণ দূর্বল হয়,তবে স্মরণ করিয়ে না দেয়ার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই। আর বয়স্ক অথচ যদি শক্তিশালী হয় তবে স্মরণ করিয়ে দেয়া ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৫)<br /> <br /> ৩) রোযার কথা মনে থাকা সত্ত্বেও যদি মাছি কিংবা ধুলিবালি কিংবা ধোঁয়া কণ্ঠনালী দিয়ে ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ভঙ্গ হয় না, চাই ধুলি আটার হোক, যা চাক্কি পেষণ কিংবা আটা মেশিনে নেয়ার সময় উড়ে থাকে, চাই ফসলের ধুলি হোক, চাই বাতাসে মাটি উড়ে আসুক, কিংবা পশুর খুর ও পা থেকে আসুক। (আদ দুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, খন্ড-০৩, পৃ-৩৬৬)<br /> <br /> ৪) অনুরূপভাবে, বাস কিংবা গাড়ির ধোঁয়া অথবা সেগুলোর কারণে ধুলি ওড়ে কণ্ঠনালীতে পৌঁছে, যদিও রোযাদার হবার কথা স্মরণ ছিলো, তবুও রোযা ভাঙ্গবে না।<br /> <br /> ৫) যদি এমন হয় যে, বাতি জ্বলছে, আর সেটার ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করেছে, তবু রোযা ভাঙ্গবে না। হাঁ, যদি লোবান কিংবা আগর বাতি জ্বলতে থাকে আর রোযার কথা মনে থাকা সত্ত্বেও মুখ সেটার নিকটে নিয়ে গিয়ে নাক দ্বারা ধোঁয়া টানে, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (রদ্দুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৬)<br /> <br /> ৬) শিঙ্গা লাগালো (*) কিংবা তেল অথবা সুরমা লাগালো, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না; যদিও তেল কিংবা সুরমার স্বাদ কণ্ঠনালীতে অনুভুত হয়, এমনকি যদি থুথুুর মধ্যে সুরমার রঙও দেখা যায়, তবুও রোযা ভাঙ্গবে না। (আল-জাওহারাতুন্ নাইয়ারাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৭৯)<br /> <br /> * এটা ব্যথার চিকিৎসার একটা বিশেষ পদ্ধতি, যাতে ছিদ্র শিং ব্যথাগ্রস্ত স্থানে রেখে মুখ দিয়ে শরীরের দুষিত রক্ত টেনে বের করা হয়।<br /> <br /> ৭) গোসল করলে পানির শীতলতা, ঠান্ডা ভিতরে অনুভুত হলেও রোযা ভাঙ্গবে না।<br /> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২৩০)<br /> <br /> ৮) কুলি করে পানি ফেলে দিলো। শুধু কিছুটা আর্দ্রতা মুখে অবশিষ্ট রয়ে গেলো, থুথুুর সাথে তা গিলে ফেলল, রোযা ভাঙ্গবে না। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৭)<br /> <br /> ৯) ঔষধ দাঁতে কাটলো, কণ্ঠনালীতে সেটার স্বাদ অনুভুত হলেও রোযা ভাঙ্গবে না। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৭)<br /> <br /> ১০)  কানে পানি ঢুকে গেলে, রোযা ভঙ্গ হয় না, বরং খোদ্ পানি ঢাললেও রোযা ভাঙ্গবে না। (আদ দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৭)<br /> <br /> ১১) খড়কুটা দ্বারা কান চুলকালো, ফলে ওই খড়কুটার ময়লা লেগে গেলো, আর ওই খড়কুটাটি পুনরায় কানে দিলো। সে কয়েকবার এমন করলেও রোযা ভাঙ্গবে না। (আদ দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৭)<br /> <br /> ১২) দাঁত কিংবা মুখে হালকা এমন কোন জিনিষ অজানাবশতঃ রয়ে গেলো, যা থুথুর সাথে নিজে নিজেই নিচে নেমে যায়। বাস্তবেও তা নেমে গেছে। তবুও রোযা ভাঙ্গবে না। (আদ দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬৭)<br /> <br /> ১৩) দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে কণ্ঠনালী পর্যন্ত গেলে, কিন্তু কণ্ঠনালী অতিক্রম করে নিচে নামেনি। এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গেনি। (ফতহুল কদীর, খন্ড-২য়, পৃ-২৫৭)<br /> <br /> ১৪) মাছি কণ্ঠনালীতে চলে গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।<br /> (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)<br /> <br /> ১৫) ভুল করে খাবার খাচ্ছিলো। মনে হতেই লোকমা ফেলে দিলে কিংবা পানি পান করছিলো, স্মরণ হতেই মুখের পানি ফেলে দিলো। তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু যদি মুখের ভিতরের লোকমা কিংবা পানি স্মরণ হওয়া সত্ত্বেও গিলে ফেলে<br /> তবে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)<br /> <br /> ১৬) সুবহে সাদিকের পূর্বে আহার কিংবা পান করছিলো, আর ভোর হতেই (অর্থাৎ সাহারীর সময়সীমা শেষ হতেই) মুখের ভিতরের সবকিছু ফেলে দিল, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না, আর যদি গিলে ফেলে তবে ভেঙ্গে যাবে। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৩)<br /> <br /> ১৭) গীবত করলে রোযা ভাঙ্গবে না। (আদ দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৬২) যদিও গীবত জঘন্য কবীরা গুনাহ্। কুরআন মজীদে গীবত সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘তা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মতোই।’ আর হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, ‘গীবত যেনা থেকেও জঘন্যতর।’ (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৩১, হাদীস নং-২৬) অবশ্য, গীবতের কারণে রোযার নূরানিয়্যাত শেষ হয়ে যায়। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড-৫ম, পৃ-৬১১)<br /> <br /> ১৮) ‘জানাবত’ (অর্থাৎ গোসল ফরয হবার) অবস্থায় কারো ভোর হলো, বরং গোটা দিনই ‘জুনুব’ (অর্থাৎ গোসল বিহীন) রয়ে গেলো, তবুও রোযা ভাঙ্গেনি। (আদ দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৭২) কিন্তু এত দীর্ঘক্ষণ যাবত ইচ্ছাকৃতভাবে<br /> (অর্থাৎ জেনে বুঝে) গোসল না করা, যাতে নামায কাযা হয়ে যায়, গুনাহ ও হারাম। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে ঘরে ‘জুনুবী’ থাকে সে ঘরে রহমতের ফিরিশতা আসে না।” (বাহারে শরীয়ত, খন্ড-৫ম, পৃ-১১৬)<br /> <br /> ১৯) সরিষা কিংবা সরিষার সমান কোন জিনিষ চিবালে, আর থুথুর সাথে কণ্ঠনালী দিয়ে নিচে নেমে গেলে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু যদি সেটার স্বাদ কণ্ঠনালীতে অনুভূত হয়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (ফতহুল কাদীর, খন্ড-২য়, পৃ- ২৫৯)<br /> <br /> ২০) থুথুু কিংবা কফ মুখে আসলে সেটা গিলে ফেললো, রোযা ভাঙ্গবে না।<br /> (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৭৩)<br /> <br /> ২১) অনুরূপভাবে নাকে শ্লেষ্মা জমা হয়ে রইলো। তা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে টেনে গিলে ফেললেও রোযা ভাঙ্গবে না।<br /> (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৭৩)<br /> <br /> ২২) রোযা অবস্থায় যদি নিজে নিজে কয়েকবার বমি এসে যায়। (চাই বালতি ভরে হোক)- এর কারণে রোযা ভাঙ্গে না।<br /> (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯২)<br /> <br /> ২৩) যদি রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় (জেনে বুঝে) বমি করলো, আর যদি তা মুখ ভর্তি করে আসে, (মুখ ভর্তির সংজ্ঞা সামনে আসছে), তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯২)<br /> <br /> ২৪) ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভর্তি বমি হওয়ার ক্ষেত্রে ঐ সময় রোযা ভেঙ্গে যাবে যখন বমির সাথে খানা অথবা পানি বা হলুদ ধরনের তিক্ত ঝাঁঝালো পানি অথবা রক্ত আসে।<br /> <br /> ২৫) যদি বমিতে শুধু কফ বের হয়, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৪)<br /> <br /> ২৬) ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলো; কিন্তু সামান্য বমি আসলো, মুখ ভর্তি হয়ে আসেনি, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না।(দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৩)<br /> <br /> ২৭) মুখভর্তি অপেক্ষা কম বমি হলে মুখ থেকে ফিরে গেলো। কিংবা নিজেই ফিরিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায়ও রোযা ভাঙ্গবে না। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৩৯৩)<br /> <br /> ২৮) বিনা ইচ্ছায় মুখভর্তি বমি হয়ে গেলো রোযা ভাঙ্গবে না। অবশ্য, যদি তা থেকে একটা বুটের সমানও গিলে ফেলা হয়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর এক বুটের পরিমাণের চেয়ে কম হলে রোযা ভাঙ্গবে না। (দুররে মুখতার, খন্ড-২য়, পৃ-৩৯২)<br /> <br /> ২৯) মুখভর্তি বমির অর্থ হচ্ছে- সেটা অনায়াসে চলে আসে, যা চেপে রাখা যায় না। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৪)<br /> <br /> <br /></div>

যেইসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ

যেইসব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ   ১) ভুলবশতঃ আহার করলে, পান করলে কিংবা স্ত্রী সহবাস করলে রোযা ভাঙ্গে না, চাই ওই রোযা ফরয হোক কিংবা নফল। (আদ-...

Read more »

আকাঈদঃরওজায় আতহারে চাওয়া নিয়ে শির্ক ফতোয়ার পোস্টমর্টেম।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> "মে তো মালিক হী কাহুংগা<br /> কি ও মালিক কে হাবীব<br /> ইয়া'নী মাহবুব ওর মুহীব মে<br /> নেহী মেরা তেরা"।আলা হযরত (রহ)<br /> কোরআন বলে<a _0px="_0px" _216="_216" _24.48px="_24.48px" _240="_240" _2="_2" _700="_700" _="background-color:_" arabic="arabic" arial="arial" center="center" href="http://quran.ksu.edu.sa/tafseer/qortobi/sura27-aya38.html" none="none" normal="normal" rgb223="rgb223" style="color: #004a95; outline: 0px;" traditional="traditional">قَالَ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَيُّكُمْ يَأْتِينِي بِعَرْشِهَا قَبْلَ أَن يَأْتُونِي مُسْلِمِينَ</a><br /> অর্থাৎ: "সোলায়মান (আঃ) মুসলমানদের বলেন,কে আছো যে বিলকিসের সিংহাসন এখানে পোছে দেবে"।<br /> সোলায়মান (আঃ) নবী হয়ে উম্মতের কাছে চাইলেন? আল্লাহ কি উনাকে দিতেন না?এই চাওয়া দ্বারা তিনি শির্ক করলেন নাতো?<br /> কোন বেকুবও এমন প্রশ্ন উত্থাপন করার সাহস করে কি?<br /> তাহলে কি আমরা উম্মত হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চাইতে পারবোনা?আর যদি চাওয়া শির্ক হয় তবে সোলায়মান আঃ এর বিষয়ে কি বলবেন?<br /> দেখুন, আবে হালায় মিজানুর রহমান আযহারীর এক ভিডিওতে আমাদের রাসূল (দ) থেকে চাওয়া কেও শিরক বললো।সে কি শির্ক এর সংজ্ঞা জানেনা? নাকি ইলাহ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করে বসে আছে।আসুন আলোচনায় আসি।<br /> বোখারী শরীফ এ রাসূল (দ) বলেন:<br /> و أنى أعطيت بمفاتيح خزائن الأرض<br /> অর্থাৎ: এবং নিশ্চয়ই আমাকে যমীনের ধন-ভান্ভার সমূহের চাবি দেওয়া হয়েছে।<br /> এখন হুজুর (দ) কি ধন-ভান্ভার আত্মীয় স্বজন নিয়ে ভোগ করেন?কোন মোমেন এমন কথা বলার হিম্মত রাখেনা। সুতরাং আকা(দ) সর্বোদা উম্মতদের দান করে থাকেন।দাতা করতে পারলে গ্রহীতা চাইতে পারবেনা কেন।<br /> আচ্ছা,উজীর যখন প্রজাদের খাদ্য বিতরণ করেন তখন প্রজারা কি বাদশাহ কে ভুলে যায়? নাকি উজীর কেই বাদশাহ মনে করে? তাহলে মিজান সাব কিভাবে শির্কের গন্ধ পেল। আল্লাহর এ মালিকানায় রাসূল (দ) ই বাদশাহ আর আউলিয়া কেরাম উজীর।<br /> এখন কিছু শুকনো মোল্লা বলবে, যখন হায়াত ছিলো!?<br /> উত্তর:-<br /> <br /> <div _0px="_-webkit-text-stroke-width:_0px" _16.002px="font-size:_16.002px" _2="widows:_2" _2text-indent0px="orphans:_2text-indent0px" _700="font-weight:_700" droidarabicnaskharabesqueserif="droidarabicnaskharabesqueserif" initial="text-decoration-color:initial" left="text-align:left" none="text-transform:none" normal="white-space:normal" rgb255255255="background-color:rgb255255255" style="box-sizing: inherit; color: #303030; margin: 0px0px1em; padding: 0px;"> أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : الأنبياء أحياء في قبورهم يصلون</div> <div _0px="_-webkit-text-stroke-width:_0px" _16.002px="font-size:_16.002px" _2="widows:_2" _2text-indent0px="orphans:_2text-indent0px" _700="font-weight:_700" droidarabicnaskharabesqueserif="droidarabicnaskharabesqueserif" initial="text-decoration-color:initial" left="text-align:left" none="text-transform:none" normal="white-space:normal" rgb255255255="background-color:rgb255255255" style="box-sizing: inherit; color: #303030; margin: 0px0px1em; padding: 0px;"> رواه البزار (256)، وحسنه الألباني في السلسلة الصحيحة " (621)</div> অর্থাৎ:"নবীগন(আঃ) কবরে জীবিত এবং নামাজ পড়েন"।সুনান বায্যার (২৫৬) আলবানী হাদীস কে হাছান বলেছে।কেউ ঘাবড়াবেন না। আমাদের কাছে সহীহ সনদও আছে।<br /> একটি বিষয় লক্ষ্য করুন। দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের সব চেয়ে কল্যাণ কর বিষয় কোনটি ? অবশ্যই অবশ্যই গুনাহ মাফ হওয়া।<br /> আসুন একটা হাদীস দেখি<br /> <span _0px="_-webkit-text-stroke-width:_0px" _14px="font-size:_14px" _2="widows:_2" _2text-indent0px="orphans:_2text-indent0px" _400="font-weight:_400" droidarabicnaskharabesquesans-serif="droidarabicnaskharabesquesans-serif" initial="text-decoration-color:initial" inlineimportant="display:inlineimportant" left="text-align:left" none="float:none" normal="white-space:normal" rgb255255255="background-color:rgb255255255" style="color: #2a8853;">تعرض</span> علي<span _0px="_-webkit-text-stroke-width:_0px" _14px="font-size:_14px" _2="widows:_2" _2text-indent0px="orphans:_2text-indent0px" _400="font-weight:_400" droidarabicnaskharabesquesans-serif="droidarabicnaskharabesquesans-serif" initial="text-decoration-color:initial" inlineimportant="display:inlineimportant" left="text-align:left" none="float:none" normal="white-space:normal" rgb255255255="background-color:rgb255255255" style="color: #2a8853;"> أعمالكم فما وجدت من خير حمدت الله عليه، وما وجدت شر استغفرت لكم</span><br /> অর্থাৎ: তোমাদের আমল আমার কাছে পৌঁছে। যখন ভাল পাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।আর খারাপ দেখলে তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।(সুনান বায্যার)<br /> কোরআনুল হাকিম বলে:-<br /> ْ ﻭَﺳَﻴَﺮَﻯ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﻤَﻠَﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ ,<br /> “অতঃপর তোমাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল,( ﷺ )” [৯:৯৪]।<br /> সুতরাং, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য এবং কিছু চাওয়া যাবে। তবে, আল্লাহর সহীত কাউকে সমকক্ষ করা ব্যাতীত।আর হুজুরে আকরাম (দ) এর কাছে চাওয়া সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত।<br /> <br /></div>

আকাঈদঃরওজায় আতহারে চাওয়া নিয়ে শির্ক ফতোয়ার পোস্টমর্টেম।

"মে তো মালিক হী কাহুংগা কি ও মালিক কে হাবীব ইয়া'নী মাহবুব ওর মুহীব মে নেহী মেরা তেরা"।আলা হযরত (রহ) কোরআন বলে قَالَ يَا...

Read more »

চরিত্রে রমজানের প্রভাব

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaC2WmfXH8Z71boA9AtiYNf-4h6l_d2jqKIuUTGw0_lFcYYMnZw3aCPsxuvRW9X-dFK8RONBTbuQheixDmuWzxXhrBfDYDqDHMJMYuc2RImTjiZIOPPGD3bPyV_YHdhwqP44hTr5wRbXH4/s1600/wp1832118.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="249" data-original-width="442" height="225" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaC2WmfXH8Z71boA9AtiYNf-4h6l_d2jqKIuUTGw0_lFcYYMnZw3aCPsxuvRW9X-dFK8RONBTbuQheixDmuWzxXhrBfDYDqDHMJMYuc2RImTjiZIOPPGD3bPyV_YHdhwqP44hTr5wRbXH4/s400-rw/wp1832118.jpg" width="400" /></a></div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box;"> নাহমাদুহু লিল্লাহি আযযা ওয়া জাল্লা ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু সিরাজুম মুনির।। আম্মা বা'দঃ-</span></span> </h2> <div> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box;"><br /></span></span></div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px;"> রমযানের গুরুত্ব:</h2> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, <span style="box-sizing: border-box; color: blue;">“রমযানের আগমনে জান্নাতের দরজাগুলোকে খুলে দেয়া হয়”</span>। রমযানে অধিক পরিমাণে ভাল কাজ করে জান্নাতের নিকটবর্তী হওয়া যায়। রমযানে সিয়াম পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করিয়ে নেয়ার চমৎকার সুযোগ আসে। <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আবু হুরায়রা (রা)</span>রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন:<span style="box-sizing: border-box; color: blue;"> “যে রমযানে বিশুদ্ধ বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রতিদান লাভের আশায় সিয়াম পালন করবে, আল্লাহ তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।”</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> তেমনি তিনি (সা:) বলেছেন: ঈমান সহকারে রমযানে রাতে যে কিয়াম করবে (রাতে সালাত আদায় করবে), তার অতীতের সমস্ত গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেবেন। একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিম্বরে ওঠার সময় তিনবার আমিন বলেন। পরবর্তীতে তিনি ব্যাখ্যা করেন, জিবরীল (আঃ) এঁর তিনটি প্রার্থনার উত্তরে তিনি আমিন বলেন। তার মধ্যে একটি দুআ ছিল, যার ওপর রমযান আসে এবং চলে যায় অথচ তার গুনাহ মাফ হয় না, সে ক্ষতিগ্রস্ত/লাঞ্চিত হোক। বিশুদ্ধ নিয়তে সিয়াম পালন করলে মন্দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আত্মিক শক্তি অর্জিত হয়। <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">রাসূলুল্লাহ (সা:)</span> বলেছেন:<span style="box-sizing: border-box; color: blue;"> “রোযা ঢাল স্বরুপ”. একান্তভাবে আলল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য রোযা পালনকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কার রয়েছে।</span> একটি <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">হাদীসে</span> কুদসীতে এসেছে আল্লাহ বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: blue;">“আদম সন্তানের সকল কাজই তার নিজের জন্য, সিয়াম ব্যতীত। এটা শুধুই আমার জন্য, এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।”</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রমযানের এইরূপ মর্যাদার প্রধান কারণ হচ্ছে এই মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, যা স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ এবং পৃথিবীতে বিদ্যমান একমাত্র অপরিবর্তিত কিতাব। <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা</span> কুরআনে উল্লেখ করেছেন: <span style="box-sizing: border-box; color: maroon;"><span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“রমযান মাস সেই মাস, যে মাসে মানবজাতির জন্য পথনির্দেশ স্বরুপ কুরআন নাযিল করা হয়েছে। এতে রয়েছে সত্য পথ প্রদর্শনের জন্য বিশুদ্ধ শিক্ষা এবং (সত্য থেকে মিথ্যাকে পার্থক্য করার) মানদন্ড।”</span> <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা আল বাক্বারাহ, ২:১৮৫]</span></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> কুরআন নাযিল মানবজাতির প্রতি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সর্ববৃহৎ অনুগ্রহ, যে মানবজাতি এর পূর্ববর্তী ওহী নাযিল হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে নিয়ে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। তাঁর দয়া নিঃসৃত এই অনুপম অনুগ্রহ ছাড়া হেদায়েতের স্তিমিত-প্রায় আলোটুকুও হারিয়ে যেত এবং গোটা মানবসমাজে প্রতিষ্ঠা হত অন্যায়ের রাজত্ব।</div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box;">সিয়ামের উদ্দেশ্য:</span></span></h2> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রোযার মূল লক্ষ্য তাকওয়া (আল্লহ-ভীতি এবং তাঁর সম্পর্কে সচেতনতা) অর্জন। যেমনটি <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা</span> কুরআনুল কারীমে উল্লেখ করেছেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা আল বাক্বারাহ, ২ : ১৮৩]</span></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> তাকওয়া সর্বোচ্চ নৈতিক গুণগুলোর একটি, তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর ক্রোধ এবং নিজের মাঝে একটি ঢাল তৈরী করতে পারে। তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর সমস্ত আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা, অর্থাৎ হারাম পরিহার করা, মাকরূহ পরিহার করা এবং এমনকি সন্দেহের অবস্থায় হালালও পরিত্যাগ করা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা এটাও পরীক্ষা করে দেখেছেন যে রোযা বহুভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। যেমন এ সময় শরীরে সঞ্চিত অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ব্যবহৃত হয়। এভাবে রোযা শরীরকে সবল রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।</div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box;">বর্তমান মুসলিম সংস্কৃতিতে রোযা:</span></span></h2> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> বর্তমান মুসলিম সংস্কৃতিতে রোযা ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা এবং সংযমের পরিবর্তে পরিণত হয়েছে উৎসবের মাসে! রমযানের রাতগুলি পরিণত হয় পার্টি এবং ভোজের রাত্রিতে যা কিনা কোন কোন দেশে ভোর পর্যন্ত চলে। সেখানে রাত পরিবর্তিত হয় দিনে, দিন পরিবর্তিত হয় রাতে (বহু মানুষই রোযার সময়টুকু ঘুমিয়ে কাটায়)। সাধারণতঃ সেহেরীতে মানুষ হালকা খাবারের বদলে পেট ভরে খায়। ফলে রোযা অবস্থায় খুব কম মানুষই প্রকৃত ক্ষুধার তাড়না বোধ করে। আবার ইফতারীতে আরেক দফা ভরপেট খাওয়া চলে, সেই সাথে রয়েছে রকমারী খাবারের আয়োজন। ফলে অনেকেই রমযান শেষে ওজন বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে!</div> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 27px; line-height: 34px; margin: 30px 0px 20px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box;">মুসলিম চরিত্রে সাওমের কাঙ্খিত প্রভাব: রমযানের শিক্ষাসমূহ</span></span></h2> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রমযানের সময়কাল অনেকটা বিদ্যালয়ের মত, যে সময়টিতে শেখার মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। কোন কারণে নামায ছুটে গেলে আমরা তা পরবর্তীতে আদায় করে নিতে পারি, কিংবা রোযাও পরবর্তীতে রাখতে পারি, কিন্তু রমযানের সময়টি সেরকম নয়, এ সময় যদি পার হয়ে যায় এমন অবস্থায় যে আমরা রমযানের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গুলো নিতে পারলাম না, তবে তা বিরাট ক্ষতি।</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> <span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">প্রথম শিক্ষা: আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা বা তাকওয়া সৃষ্টি</span></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> কুরআনের যে আয়াতে সিয়ামের আদেশ দেয়া হয়েছে, সে আয়াতেই এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে: <span style="box-sizing: border-box; color: maroon;"><span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“হে বিশ্বাসীগণ। তোমাদের জন্য সিয়াম পালনকে নির্ধারণ করা হল যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।”</span> <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা আল বাক্বারাহ, ২ : ১৮৩]</span></span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> এই তাকওয়া আল্লাহ সম্পর্কে সচেতনতা, তাঁর উপস্থিতির উপলব্ধি, এবং এটা জানা যে তিনি আমাদের দেখছেন – যা আমাদেরকে ব্যক্তিগত জীবনে উন্নততর মানুষ হতে সাহায্য করবে। এই তাকওয়াকে আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন “আল্লাহর প্রতি ভয়, অল্পে সন্তুষ্টি এবং (পরবর্তী জীবনের পানে) যাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে”। তাই ভয় তাকওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একদল লোক কেবল আল্লাহকে ভালবাসার কথা বলে থাকে এবং দাবী করে যে আল্লাহকে ভয় করে তাঁর ইবাদত করা ঠিক নয়, বরং তাঁকে শুধুমাত্র ভালবেসে ইবাদত করাটাই ঈমানের উন্নততর শর্ত । কিন্তু এ কথা ঠিক নয়। কুরআনের পাতায় পাতায় আল্লাহকে ভয় করার কথা বলা হয়েছে। এই ভয়ের অর্থ তাঁর অবাধ্যতার কারণে যে শাস্তি রয়েছে, সেই শাস্তিকে ভয় করা। মানুষ আল্লাহর আদেশ পালনের জন্য সাধনা করার মাধ্যমে তাকে ভালবাসবে, একই সাথে তাঁর শাস্তির ভয়ও অন্তের পোষণ করতে হবে। এ দুটো অবিচ্ছেদ্য এবং প্রকৃত ঈমানের মৌলিক দুটি উপাদান। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, “যে রোযাদার লাইলাতুল ক্বদর লাভ করবে, তার পূর্ববর্তী পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। এবং যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ঈমান সহকারে রমযানে সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহকেও ক্ষমা করে দেয়া হবে“। এজন্য সিয়াম হতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক প্রেরণার ভিত্তিতে। যেমনটি <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">রাসূলুল্লাহ (সাঃ)</span> বলেছেন: <span style="box-sizing: border-box; color: blue;">“যে রোযা অবস্থায় মিথ্যা বলা এবং মিথ্যার ওপর আচরণ করা থেকে বিরত হল না, তার ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।”</span></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;"> রোযা অবস্থায় আমাদের দিনগুলো রোযা না রাখা অবস্থায় আমাদের দিনগুলোর মত হওয়া উচিৎ নয় – এর মাঝে পার্থক্য থাকা উচিৎ। এই তাকওয়াই মানুষকে সর্বাবস্থায় অন্যায় থেকে বিরত রাখে, যদিও বা কেউ তাকে দেখতে না পায়। তাকওয়ার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। কুরআনের আলোকে তাকওয়ার কয়েকটি উপকারিতা হচ্ছে:</div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".sfnstext-regular", "san francisco", roboto, "segoe ui", "helvetica neue", "lucida grande", sans-serif; font-size: 15px;"> <ul style="box-sizing: border-box; margin-bottom: 26px; padding: 0px;"> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">সন্তান-সন্ততির কল্যাণ: </span></span><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“দেয়ালের ব্যাপারটি হল এই যে এটা শহরের দুজন এতিম বালকের। এর নিচে এদের কিছু সম্পদ প্রোথিত রয়েছে, আর তাদের বাবা ছিলেন একজন সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি। তাই তোমার রব চাইলেন যে তারা তাদের যৌবনে পৌঁছে যেন এই সম্পদ বের করে আনতে পারে, তাদের রবের পক্ষ থেকে করুণাস্বরুপ</span> (সূরা আল কাহফ, ১৮ : ৮২)</li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আসমান এবং জমীন থেকে কল্যাণ: </span></span><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span>পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“শহরগুলোর লোকেরা যদি কেবল ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, আমরা তাদের জন্য আসমান ও জমীন থেকে কল্যাণের দরজা উন্মুক্ত করে দিতাম।” <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[</span></span><span style="box-sizing: border-box; color: green;">সূরা আল আ’রাফ, ৭ : ৯৬]</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক এবং কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি:</span></span> <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“যেই তাকওয়া অবলম্বন করবে, আমি তার জন্য পথ বের করে দেব এবং এমন স্থান থেকে তাকে রিযিক দেব যা তার ধারণাতেই ছিল না।”</span> [সূরা আত তালাক্ব, ৬৫ : ২-৩]</li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">নিরাপত্তা:</span></span> <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“এবং আমি তাদেরকে রক্ষা করলাম যারা আমার প্রতি ঈমান এনেছিল ও মুত্তাকী ছিল।”</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">সার্বক্ষণিক আল্লাহর সাহায্যের উপস্থিতি:</span></span><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী এবং সর্বদা ইহসানকারী।”</span> <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা আন নাহল, ১৬ :১২৮]</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">বিজয়:</span></span> আল্লাহ পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“যারাই আল্লাহ এবং তার রাসূলের আনুগত্য করে এবং আল্লাহকে ভয়ের যোগ্য হিসেবে জানে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই বিজয়ী।”</span> [সূরা আন নূর, ২৪ : ৫২]</li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">জীবনের সুন্দর পরিসমাপ্তি:</span></span> <span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> পাক বলেন:<span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;"> “নিশ্চয়ই তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য রয়েছে সুন্দর পরিণতি।”</span> <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা সোয়াদ, ৩৮ : ৪৯]</span></li> <li style="box-sizing: border-box; line-height: 26px; margin-left: 21px;"><span style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">জান্নাত: </span></span><span style="box-sizing: border-box; font-weight: 700;">আল্লাহ</span> পাক বলেন: <span style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">“এই হচ্ছে সেই জান্নাত, যা আমি আমার দাসেদের মধ্য থেকে তাদেরকে দেব, যারা তাকওয়া অবলম্বন করত।”</span> <span style="box-sizing: border-box; color: green;">[সূরা মারইয়াম, ১৯ : ৬৩]</span></li> </ul> </div>

চরিত্রে রমজানের প্রভাব

 নাহমাদুহু লিল্লাহি আযযা ওয়া জাল্লা ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু সিরাজুম মুনির।। আম্মা বা'দঃ-   রমযানের গুরুত্ব: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ব...

Read more »