প্রশ্নোত্তরে শবে বরাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> ♥<i><b>বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম</b></i>♥</div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <i><div style="text-align: justify;"> <i><b>শবে বরাত নিয়ে প্রশ্নোত্তরঃ-</b></i></div> </i><br /> <div style="text-align: justify;"> -------------মুহাম্মদ সাইফুল আযম আযহারি</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;">১| প্রশ্ন: </span><span style="color: #073763;">শবে বারাত নিয়ে একটা মহল হঠাৎ করে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। কী কারণ হতে পারে বলে মনে করেন?</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তর: </span></i></b>সাধামাটা ভাবে বলতে গেলে উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হচ্ছে উম্মতে মুসলিমার নতুন প্রজম্মকে কনফিউস্ড করা এবং ফ্রাসট্রেইটেড করে ধর্মবিমুখ করে তোলা। এই আইডিওলজির কারণে আমাদের যুবশ্রেণী হয়ত ধর্মান্ব্দ হচ্ছে, নয়ত ধর্মদ্রোহী। একটা সেটেল্ড বিষয় নিয়ে এই ধরনের নেগেটিভ প্রপাগান্ডা যুব সমাজের অন্তরে শুধু শবে বারাত নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করছেনা, বরং ইসলামের সামগ্রিক বিষয়ে তার বিশ্বাসের ভীতকে নড়েবড়ে করে দিচ্ছে। সময়টা ফিতনার এবং মুর্খতার। আমাদের উচিত আগের যুগের উলামায়ে উম্মতের পথ ও মতের অনুসরণ করা। মুসলিম শরিফে বর্ণিত সহিহ্ হাদীছে হুযুর (দঃ) এরশাদ করেনঃ</div> <div style="text-align: justify;"> নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তায়ালা জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন। তবে মানুষের অন্তর থেকে ছিনিয়ে নই, বরং বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামকে মৃত্যু দানের মাধ্যমে। শেষ পর্য্যন্ত এমন অবস্তার সৃষ্টি হবে যে সমাজের মধ্যে কোন আলেম থাকবেনা। মানুষ মুর্খদের আলেম মনে করে তাদের প্রশ্নগুলো করবে। আর ঐ মুর্খ নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী জবাব দেবে। নিজেও পথভ্রস্ট হবে এবং মানুষকেও পথভ্রস্ট করবে।</div> <div style="text-align: justify;"> অত্র হাদীছ শরীফের উপর গভীরভাবে চিন্তা করলে আমাদের না বলা এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাওয়ার কথা। (ওয়াল্লাহু আ'লামু বিস্সাওয়াব)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;">২|প্রশ্ন: </span></i></b><i><b><span style="color: #073763;">দিন বলেন, রাত বলেন, সময় বলেন সবকিছুই আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টি। কোন বিশেষ সময় বা রাতকে উদযাপন বা গুরুত্ব দেওয়া কতটুকু শরিয়ত সম্মত?</span></b></i></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #073763; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <i><div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #990000;">উত্তর</span></b></i>: হ্যাঁ, সবকিছুই আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টি। এই ক্ষেত্রে সকল সৃষ্টি সমান হলেও ফজিলত বা মরতবার দিক থেকে সকল সৃষ্টি সমমানের নয়। ব্যক্তিকে ব্যক্তির উপর, কোন এক বিশেষ ভূখন্ডকে অন্য ভূখন্ডের উপর, বিশেষ দিনকে অন্যান্য দিনের উপর, কোন এক বিশেষ রাতকে অন্যান্য রাতের উপর, দিনের কিছু বিশেষ মুহূর্তকে অন্য অংশের উপর ফজিলত দান করা হয়েছে। যেমন: মানুষের মধ্যে আম্বিয়ায়ে কেরাম, সিদ্দিকীন, শোহাদাহ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম বিশেষভাবে ফজিলতপূর্ণ। ভূপৃষ্ঠের সকল ভূখণ্ডের মধ্যে পবিত্র মক্কা শরিফ,</div> </i><br /> <div style="text-align: justify;"> মদীনা শরীফ এবং বাইতুল মুকাদ্দাসের নগরী বিশেষ মর্য্যাদায় অধিস্টিত। সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে সোমবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বিশেষ মর্তবার অধিকারী। দিবসের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে রাতের এবং রাতের শেষভাগ বিশেষভাবে ফজিলতপূর্ণ। এই বিষয়গুলি কোরান ও হাদীছ দ্বারা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। সুতরাং সৃষ্টির দিক থেকে সবকিছু সমমানের হলেও ফজিলত ও মর্তবার দিক থেকে সবকিছু সমমানের না।</div> <div style="text-align: justify;"> মুসলিম শরীফে হযরত আবু হুরাইরা (রঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীছে রাসুলে করীম (দঃ) এরশাদ করেন: "সোমবার এবং বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজা সমুহ খুলে দেওয়া হয় এবং মুসরিক বৈ সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"</div> <div style="text-align: justify;"> (<b><i><span style="color: #274e13;">মুসলিম শরীফ, বির ও ছিলা অধ্যায়)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;">৩|প্রশ্ন:</span><span style="color: #073763;"> বলা হয়ে থাকে যে, শবে বারাত কোরান বা হাদীছের কোথাও নেয়। কী বলবেন?</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তর: </span></i></b>যদি শব্দদ্বয়ের দিক থেকে বলি তাহলে না থাকারি কথা। কারণ এটি আরবী ও ফারসি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিভাষা যা দিয়ে আমাদের এশিয়াতে শাবানের পনের তারিখের রাতকে বুঝানো হয়। যাকে আরবী ভাষাবাসীরা "লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান" বলে থাকে। "শবে বারাত" এই পরিভাষাটি পবিত্র হাদীছের আলোকেই নির্ধারণ হয়েছে বলে মনে করি। যেমন হাদীছ শরিফে বর্ণিত হয়েছে:</div> <div style="text-align: justify;">  "এই রাতে আল্লাহ্ তায়ালার রহমতে মানুষ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পাই"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(ইমাম বাইহাকি, শোয়াবুল ইমান. হাদীছটি বর্ণনা করেছেন হযরত আয়েশা (রাঃ))</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাত্ এইরাত হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত আর শবে বরাত মানেও হচ্ছে মুক্তির রাত</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এই ধরনের আরো অনেক ফারসি শব্দ আমরা নিত্যদিন ব্যবহার করি। যেমন: নামাজ, রোজা, খোদা ইত্যাদি। এগুলো কোরান-হাদীছে পাওয়া যাওয়ার কথা না। কারণ শব্দ গুলো ফার্সী। এই ধরনের প্রায় ৬০০০ শব্দ বাংলাতে আমরা ব্যবহার করি।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> "শবে বারাত" কোরান-হাদীছের কোথাও নেই যারা বলে তাদের অধিকাংশই কোরান-হাদীছ এবং ক্লাসিক্যাল ইসলামিক সায়েন্সেসের ব্যপারে একেবারে অজ্ঞ। আর যারা এই কথাগুলো প্রচার করে সমাজে ফিতনার সৃষ্টি করছে তারা কতিপয় মুসলিম রাস্ট্র কতৃক নিয়োজিত। এই জন্য তারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিভিন্ন সূযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। একটি মুসলিম দেশের সরকার গত ৬০/৭০ বছরে ৬৭ হাজার কৌটি টাকা খরচ করেছেন অন্যান্য মুসলিম দেশ গুলোতে। এই টাকা কোথায়, কাকে কী কারণে দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে না রিসার্চ সেন্টার। গঠনমূলক কোনকিছুই না। শুধু শিরক্-বেদাতের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য সেইলস্ ম্যন আর সেন্টার বানানো হয়েছে। আর এই ছোট ছোট বিষয়গুলো দিয়ে মুসলিম সমাজে, মসজিদে ফিতনার সৃস্টি করা হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তাই দেখবেন এই ধরনের কথা বলার লোকগুলো সবাই উগ্রবাদী না হলেও সমস্ত উগ্রপন্থী সন্ত্রাসিরা এই ধরনের আকিদারই লোক।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #b45f06;"> ৪| প্রশ্ন:</span></b></i> <i><b><span style="color: #073763;">কোরান ও হাদীছের আলোকে শবে বারাত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিন্তু কম্প্রিহেন্সিভ আলোচনা করবেন যাতে সম্পুর্ন বিষয়টা সন্দেহাতীত ভাবে বুঝে আসে। </span></b></i></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তর</span></i></b>:</div> <div style="text-align: justify;"> ইসলামি শরিয়তের প্রাইমারি সোর্স হচ্ছে- কোরান ও হাদীছ। এর পরে রয়েছে ইজমা ও কিয়াছ। হাদীছ কোরানি আয়াতের ব্যখ্যাও করে এবং আয়াতের অর্থকে খোলাসাও করে। অনেক সময় কোরান করীম কোন একটি বিষয়কে পরোক্ষভাবে বা ভাসা ভাসা ভাবে ইংগিত করে কিন্তু হাদীছ শরীফের কল্যাণে সেই ধোয়াশে ভাবটা আয়াতের মধ্যে আর থাকেনা।</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বারাতের ব্যপারে পবিত্র কোরানে পাকের সুরা দোখ্খানে আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন: "হা মীম। এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ। নিশ্চয়ই আমি কোরান অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। উক্ত রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয়ের ফায়সালা করা হয়" <b><i><span style="color: #274e13;">(আয়াত ১-৪)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> অত্র আয়াতে বর্ণিত "লাইলাতুম মুবারাকাহ্"র ব্যখ্যায় তাবেয়ীনদের মধ্যে তাফসীরের অন্যতম ইমাম হযরত ইকরামা (রাঃ) সহ অনেক মুফাস্সিরগণ শবে বারাতকে বুঝানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> তবে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) সহ অনেকে বলেছেন এখানে শবে কদর উদ্দেশ্য।</div> <div style="text-align: justify;"> আয়াতের এই শব্দ দিয়ে বহুসংখ্যক তাফসিরের ইমামদের রায় সত্তেও শবে বারাত নিরংকুশভাবে প্রমাণিত না হলেও হাদীছ শরীফে অসংখ্য সাহাবায়ে কিরাম থেকে বর্ণিত অনেক হাদীছ রয়েছে যা শবে বারাতকে সন্দেহাতীত পন্থায় প্রমান করে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতের ফজিলতের উপর আয়িম্মায়ে  হাদীছ অসংখ্য হদীছ বর্ণনা করেছেন। শুধু যে হাদীছ বর্ণনা করেছেন তা নই, বরং স্ব-স্ব হাদীছের কিতাবে এই বিষয়ে আলাদা 'অধ্যায়' করেছেন। এই জিনিসটা একাডেমিক ক্ষেত্রে মেটার করে। কারণ 'অধ্যায়' করা মানে বিষয়টা ঐ যুগেই বহুল প্রচলিত এবং গুরুত্ববহ।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যেই সমস্ত আঈম্মায়ে হাদীছ শবে বরাত সংক্রান্ত হাদীছ স্ব-স্ব কিতাবে বর্ণনা করেছেন:</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম ইবনে মাজাহ্</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম তিরমিঝি</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম আহমদ বিন হাম্বল</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম আব্দুর রাজ্জাক</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম বাইহাকি</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম বাঝ্ঝার</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম ইবনে হিব্বান</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম তাবরানি</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম মুহাম্মদ</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আমি শুধু দুয়েকটি হাদীছ আপনাদের সাথে শেয়ার করব:</div> <div style="text-align: justify;"> - "হুজুর (দঃ) এরশাদ করেন: শবে বরাতের রাতে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান এবং মুশরিক ও অন্যের প্রতি হিংসা পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।"</div> <div style="text-align: justify;"> এই হাদীছটি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা সুত্রে আটজন জলিলুল কদর সাহাবি বর্ণনা করেছেন। তাঁরা হচ্ছেন:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আবু বলে ছিদ্দীক (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আলী (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আবু মুছা আশয়ারী (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> - হযরত আবু ছা'লাবা (রাঃ)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুহাদ্দেসীন এই হাদীছকে সহিহ্ বলেছেন। এমনকি বর্তমান যুগের সলফীদের হাদীছে পাকের ক্ষেত্রে একমাত্র মুরব্বি শায়খ আলবানিও এই হাদীছকে নিঃসন্দেহে সহিহ্ বলেছেন <i><b><span style="color: #274e13;">(দেখুন: শায়খ আলাবানি কৃত "সিলসিলাতুল আহাদিসিস সাহিহা" খন্ড:৩, পৃ:১৩৫, হাদীছ নং:১১১৪)</span></b></i></div> <div style="text-align: justify;"> স্বাভাবিক ভাবেই বর্ণনা সুত্র বেশি হওয়ার কারণে কোন একটা সুত্রে সমস্যা থাকলেও অন্য বর্ণনা সুত্রের সাপোর্টের কারণে তা দুরিভূত হয়ে যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> "হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসুল (দঃ) বলেছেন: যখন শাবানের মধ্যবর্তী রাত তথা শবে বরাত আসবে তখন তোমরা ঐ রাত জেগে ইবাদত কর এবং এর পরদিন রোজা রাখ। কেননা আল্লাহ্ তায়ালা ঐদিন সুর্যাস্তের পর (নীজ শান অনুযায়ী) দুনিয়ার আসমানে আবিভূত হয়ে আহবান করেন:তোমাদের মধ্যে কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি মাফ করে দেব। রিজিকের প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্ত আছে কি? আমি বিপদ থেকে মুক্তি দিব। এভাবে ফজর পর্য্যন্ত আরো বান্দাদের সম্বোধন করতে থাকেন।"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(ইবনে মাজা, শাবানের মধ্যবর্তী রাত তথা শবে বরাত অধ্যায়, হাদীছ নং:১৩৮৮)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এমনকি ইমাম মুহাম্মদের মত জলিলুল কদর ইমামও স্বীয় কিতাব "কিতাবুস সুন্নাহ্"-ই শবে বরাতের উপর অধ্যায় রচনা করে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -প্রখ্যাত সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ্ বিন উমার (রাঃ) বলেন:</div> <div style="text-align: justify;"> "পাঁচটি রাতের দোয়া ফেরত দেওয়া হয়না।(অর্থাত্ এই রাত গুলোর দোয়া কবুল হয়)। রাতগুলো হলো জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাত তথা শবে বরাত এবং দুই ঈদের রাত"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(ইমাম তাবরানি, মু'জামুল আওছাত, হদীছ নং ৬৭৭৬, হযরত মুয়ায বিন জাবাল</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফ, নং ৭৯২৭, হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আমর (রঃ))</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এছাড়াও দুনিয়া ব্যাপি বহুল পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য হাদীছের কিতাব "মিশকাতুল মাসাবীহ্"-এ "বাবু কিয়ামে শাহরে রামাদান" অধ্যায়ে শবে বারাতের উপর চারটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীছ গুলোর মাধ্যমে হুযুর (দঃ) এর রাত্রিকালীন ইবাদতেরও বর্ণনা পাওয়া যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> এর পরেওকি বলবেন শবে বরাত কোথাও নেই???</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;">৫|প্রশ্ন: </span><span style="color: #073763;">এই বিষয়ে আয়িম্মায়ে উম্নতের অভিমত উল্লেখ করে এও দয়া করে জানাবেন যে, তাঁদের অভিমত জানা কতটুকু জরুরী?</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #660000;">উত্তরঃ</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> মুসলিম শরীফের একটি হাদীছে রাসুল (দঃ) এরশাদ করেন: "আমার আনীত হিদায়াত হচ্ছে বৃস্টির পানির মত........ এই দীর্ঘ হাদীছের শেষ পর্যায়ে রাসুল (দঃ) বলেন: আর এই হিদায়তের পানির প্রকৃত ধারক, বাহক এবং প্রচারক হচ্ছে তারা যাদেরকে আল্লাহ্ তায়ালা দ্বীনের ফিকহ্ বা গভীর জ্ঞান দান করেছেন।" অন্য হাদীছে রাসুল (দঃ) উলামায়ে উম্মতকে নীজের ওয়ারিছ বলেছেন। তাই দ্বীনের</div> <div style="text-align: justify;"> যেকোন বিষয়ে তাদের রায় জানতে চাওয়া সুপথ প্রাপ্তির পরিচায়ক।</div> <div style="text-align: justify;"> এই ক্ষেত্রে আমি শুধু কয়েকজন ইমামের রায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব:</div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) (মৃত্যুকাল: ২০৪ হিজরী)</div> <div style="text-align: justify;"> "পাঁচটি রাতের দোয়া কবুল হয়: জুমার রাত, দুই ঈদের রাত, রজব মাসের প্রথম রাত এবং শবে বরাত।"</div> <div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #274e13;">(কিরাবুল উম্, খন্ড ১, পৃ:২৬৪)</span></b></i></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -হুজুর গাউছুল আজম আবদুল কাদের জিলানি (র:) উনার বিখ্যাত কিতাব "গুনিয়াতুত তালেবীন"-এ শবে বরাতের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -ইমাম ফাকেহী (মৃত্যুকাল ২৭২ হি:)</div> <div style="text-align: justify;"> "মক্কাবাসি নারী-পুরুষ সেকাল থেকে আজকের দিন পর্য্যন্ত শবে বরাতের রাত্রিতে মসজিদে হারামে এসে নামাজ আদায় করে, কাবার তাওয়াফ করে এবং রাত জেগে কোরান শরিফ খতম করে।"</div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #274e13; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(আখবারে মক্কা: শাবানের মধ্য রাত তথা শবে বরাতে মক্কাবাসীর আমল)</span></i></b></div> </b><br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -ইমাম মৌল্লা খসরু হানাফি (মৃত্যুকাল ৮৮৫ হি:)</div> <div style="text-align: justify;"> "রমজানের শেষ দশ রাত, দুই ঈদের রাত, জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশরাত এবং শাবানের পনের তারিখের রাতে রাত জেগে ইবাদত করা মোস্তাহাব।"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(দুরারুল হিকাম শরহে গুরারুল আহকাম)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - ইমাম ইবনে নাজীম আল-মিছরি আল- হানাফি (মৃত্যুকাল ৯৭০ হি:)</div> <div style="text-align: justify;"> উনি উনার বিখ্যাত কিতাব 'বাহরুর রায়েকে'  উপরোল্লিখত মৌল্লা খসরুর ন্যয় একি অভিমত ব্যক্ত করেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীছ বিশারদ ইমামুল মুহাদ্দিছীন শাইখ আবদুল হক্ব মুহাদ্দেছে দেহলভী উনার বিখ্যাত কিতাব 'মা ছাবাতা বিছ্ছুন্নাহ্ ফি আইয়্যামিছ ছানাহ্' -তে একটা অধ্যায় করেছেন শবে বরাতের উপর এবং এই রাতের ফজিলত ও ইবাদত বন্দেগি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হদীছ উল্লেখ করে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> -ইমাম যুহাইলী</div> <div style="text-align: justify;"> সিরিয়ার বিশ্বখ্যাত এই হানাফি ইমাম অধ্যাপক ডঃ যুহাইলি উনার অনবদ্য সৃষ্টি বিশালাকৃতির ইসলামি ফিকাহর কিতাবে উল্লেখ করেন:</div> <div style="text-align: justify;"> "দুই ঈদের রাত, লাইলাতুল কদর পেতে রমজানের শেষ দশ রাত এবং শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদত করা মুস্তাহাব। এই বিষয়ে সহিহ্ হাদীছ রয়েছে। ভোর পর্য্যন্ত অধিক হারে ইসতিগফার করা উত্তম।"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(আল-ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এভাবে সলফে সালেহীন ও সকল মাজহাবের মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরাম এমন কি মাজহাব অমান্যকারী ওলামারাও বেশিরভাগ শবে বরাতের ফজিলত এবং রাত্রি জেগে ইবাদত করাকে ফজিলতপূর্ণ বলেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;"> ৬|প্রশ্ন</span></i></b>: <i><b><span style="color: #073763;">এই বিষয়ে বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামীক ক্লাসিক্যাল সায়েন্সের কিবলা হিসেবে গণ্য আল-আজহারের ফতওয়া জানাবেন কি?</span></b></i></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #990000; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তর:</span></i></b></div> </b><br /> <div style="text-align: justify;"> আল- আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামি আইনবিধ মুফতি আতিয়া ছকরকে এই রাতের ফজিলতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি ফতোয়া দেন:</div> <div style="text-align: justify;"> "এই রাতের ফজিলতের উপর যেই সমস্ত হাদীছ শরিফ বর্ণিত হয়েছে তা কোন কোন মুহাদ্দিসগণ সহিহ্ বলেছেন আবার কেউ কেউ 'দায়ীফ' বলেছেন। তবে কথা হচ্ছে 'দায়ীফ' হলেও তা ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।" <b><i><span style="color: #274e13;">(আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতোয়া নং ১৩১১১০)</span></i></b></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #783f04; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #783f04;"> ৭|প্রশ্ন: </span></i></b><i><b><span style="color: #073763;">কতিপয় লোক যারা হাজার বছরের সেটেল্ড এই বিষয় নিয়ে শুধু শুধু বিভ্রান্তি ছড়ান এবং মুসলিম যুব সমাজকে কনফিউজ্ড করেন তারা সাধারণত ইবনে তাইমিয়ার আইডওলজিকে আক্ষরিক অর্থেই লালন করেন। দয়া করে এই বিষয়ে ইবনে তাইমিয়ার অভিমত জানাবেন কি?</span></b></i></div> </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #990000; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <b><div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তর:</span></i></b></div> </b><br /> <div style="text-align: justify;"> আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইবনে তাইমিয়া থেকে না শুনা পর্য্যন্ত কোনকিছু মানতে চাননা। তাদেরকে বলছি- ইবনে তাইমিয়া বলেছেন:</div> <div style="text-align: justify;"> "শাবানের চৌদ্দ তারিখের রাতের ফজিলত সম্পর্কিত অনেক হাদীছ ও আছার রয়েছে। ছলফে ছালেহীনের কেউ কেউ এই রাতে রাত জেগে নফল নামাজ আদায় করতেন।"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #274e13;">(আল ফাতওয়া আল-কুবরা, নং ৫৩৪৪)</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে তাইমিয়া তার "ইকতিদাউ ছিরাতিল মুছতাকিম" কিতাবে শবে বরাত সম্পর্কে নিম্মোক্ত মতামত দিয়েছেন:</div> <div style="text-align: justify;"> "শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছে মারফু ও আছার (সাহাবা ও তাবেঈনের অভিমত) বর্ণিত হয়েছে যেগুলো প্রমাণ করে যে, এটি একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। সলফে সালেহীনের কেউ কেউ এই রাতে এবাদত বন্দেগি করতেন। পবিত্র মদিনা নগর সহ অনেক জায়গার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী অনেক ওলামা এটাকে অস্বীকার করেছেন এবং এই সংক্রান্ত বর্ণিত হাদীছের সমালোচনা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> যেমন: হাদীছ শরিফে এসেছে:</div> <div style="text-align: justify;"> এই রাতে আল্লাহ্ বনি কালব গোত্রের মেষপালের পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশি সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন।</div> <div style="text-align: justify;"> তবে আমাদের অধিকাংশ আহলে ইলম্ ওলামায়ে কেরামের মতে এই রাত ফজিলতপূর্ণ। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:) এর বর্ণিত হাদীছ এর উৎকৃস্ট প্রমাণ। তাছাড়া এই বিষয়ে আরো অসংখ্য হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, সাথে রয়েছে সলফে সালেহীন ও আকাবিরীনে উম্মতের রায়।"</div> <div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #274e13;">( ইকতিদাউ ছিরাতিল মুছতাকিম" পৃস্টা: ২৭৩)</span></b></i></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;"> ৮|প্রশ্ন:</span></i></b> <i><b><span style="color: #073763;">বলা হয়ে থাকে শবে বারাতের উপর বর্ণিত সকল হাদীছ "দায়ীফ" বা দূর্বল বর্ণনা সুত্রের। দয়া করে এই বর্ণনা সুত্রের হাদীছ কতটুকু গ্রহণযোগ্য জানাবেন এবং এই বর্ণনা সুত্রের হাদীছ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে উম্মতের অভিমত জানাবেন। </span></b></i></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #990000;">উত্তরঃ</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> "দায়ীফ" উলুমে হাদীছের একটা পরিভাষা। পরিভাষা শাব্দিক অনুবাদে নই বরং সংজ্ঞা দিয়ে বুঝতে হয়। আমরা যদিও বাংলায় অনুবাদ করে "দূর্বল" বলি। কিন্তু এমনটি করা আনএকাডেমিক। হাদীছে দায়ীফ বলা হয়:</div> <div style="text-align: justify;"> "কুল্লু হাদীছিন লাম তাজতামি' ফীহি ছিফাতুল হাদীছিল হাছান"</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাত্: যেই বর্ণনা সুত্রে "হাদীছে হাছানের" শর্তগুলো পূর্ণ হয়নি তাকে দায়ীফ বলে।</div> <div style="text-align: justify;"> (<b><i><span style="color: #274e13;">ইমাম নববীর তাকরীব, ইমাম ইরাকীর "নুকাত", ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতির "তাদরীব") </span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> এই বর্ণনা সুত্রের হাদীছের বিষয়ে আয়িম্মায়ে হাদীছ তথা হাদীছ বিশারদদের অভিমত হচ্ছে:</div> <div style="text-align: justify;"> "মুহাদ্দিসীন এবং ফোকাহায়ে কেরামের মতে- ফাজায়েল, তারগীব ও তারহীবের ক্ষেত্রে হাদীছে দায়ীফ দ্বারা আমল করা জায়েজ ও মুস্তাহাব"</div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #0c343d;">(ইমাম নববীর আঝকার, পৃ:২২, অধ্যায়: হাদীছে দায়ীফের উপর আমল প্রসংগ) </span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> এটার উপরি মুহাদ্দিসীনদের ইজমা বা ঐক্যমত্য। তাই এই বিষয়ে আর কথা বাড়াচ্ছিনা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #b45f06;"> ৯|প্রশ্ন:</span><span style="color: #073763;"> </span></b></i><b><i><span style="color: #073763;">কোন্ কোন্ প্রকারের লোক এই রাতের ফজিলত থেকে বন্চিত?</span></i></b></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #073763; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <span style="color: #990000;"><div style="text-align: justify;"> <b><i>উত্তর:</i></b></div> </span><br /> <div style="text-align: justify;"> এই অতিব বরকতপূর্ণ রাতেও কতিপয় লোক আল্লাহ্ তায়ালার দয়া-অনুগ্রহ থেকে বন্চিত হবে বলে বিভিন্ন হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে:</div> <div style="text-align: justify;"> ১- যারা শির্ক করে</div> <div style="text-align: justify;"> ২- যাদের অন্তর হিংসা আর ক্রোধের আগুনে ভর্তি</div> <div style="text-align: justify;"> ৩- অহংকারী</div> <div style="text-align: justify;"> ৪- মানুষ হত্যাকারী</div> <div style="text-align: justify;"> ৫- আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী</div> <div style="text-align: justify;"> ৬- পিতামাতার অবাধ্য সন্তান</div> <div style="text-align: justify;"> ৭- মদ্যপানে নেশাগ্রস্ত</div> <div style="text-align: justify;"> ৮- গিবত বা পরচর্চাকারী অর্থাত্ যারা সারাদিন বসে বসে অন্য মানুষের দোষত্রুটি বর্ণনা করে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তবে কেউ যদি এই রাতে তাওবা করেন তাহলে আল্লাহ্ তায়ালা অবশ্যই তাওবা কবুল করেন এবং ক্ষমা করেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #783f04;">১০|প্রশ্ন:</span></b></i> <i><b><span style="color: #073763;">এই রাতের আমল এবং পরিহারযোগ্য কাজগুলি দয়া করে জানাবেন কি? </span></b></i></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #073763; font-style: italic; font-weight: 700;"><br /></span></div> <i><div style="text-align: justify;"> <i><b><span style="color: #990000;">উত্তরঃ</span></b></i> মনে রাখবেন প্রত্যেক জিনিসের একটা হাকিকত বা মৌলিকত্ব থাকে। এই রাতের মৌলিকত্ব হচ্ছে- তাওবা-ইসতিগফার এবং ইবাদত-রিয়াঝতের মাধ্যমে মহান প্রভুকে সন্তুষ্ট করা। কাজেই আমাদের উচিত হবে বন্ধুদের নিয়ে হাসি-তামাশা, আড্ডাবাজি, আতশবাজি বা ঘুরাঘুরি না করে রাতটির প্রতি যতাযত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিম্নলিখিত আমলগুলো করার চেষ্টা করা:</div> </i><br /> <div style="text-align: justify;"> -নিকট আত্মিয়, পাড়া প্রতিবেশির কবর জিয়ারত করা</div> <div style="text-align: justify;"> - বেশি বেশি তাওবা-ইসতিগফার করা</div> <div style="text-align: justify;"> -কোরান তিলাওয়াত করা।</div> <div style="text-align: justify;"> - সুরা ইয়াছিন, রহমান, মুলক্ পাঠ করা</div> <div style="text-align: justify;"> - দোয়া ইউনুছ পাঠ করা</div> <div style="text-align: justify;"> - বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা</div> <div style="text-align: justify;"> - জিকির করা</div> <div style="text-align: justify;"> -তাওবার নামাজ, সালাতুত তাসবীহ্</div> <div style="text-align: justify;"> - তাহাজ্জুদ এবং ইবাদত বান্দেগীর মাধ্যমে রাত অতিবাহিত করা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b><i><span style="color: #b45f06;">১১- প্রশ্ন:</span></i></b> <b><i><span style="color: #073763;">শবে বারাত উপলক্ষে আমাদের দেশে হালুয়া-রুটি তৈরি করা হয়। এটাকেও আজকাল কেউ কেউ নাজায়েয, বিদাআত বলে থাকে। কি বলবেন?</span></i></b></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="color: #990000;"><b><i> উত্তর</i></b></span>:</div> <div style="text-align: justify;"> এগুলো অজ্ঞতাপ্রসুত হাস্যকর কথাবার্তা। এই ধরনের কথাবার্তা ইসলামি শরিয়তের সাথে কৌতুক করার শামিল। এই জিনিসগুলো কৃস্টি-কালচারের অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম এগুলোকে স্বাচ্ছন্দে একোমোডেইট করে যদি শরিয়ত বিরোধী কোন ফেকটর্ না থাকে। কোন জিনিসকে হালাল এবং হারাম করার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তের নিজস্ব একটা স্টাইল আছে। এই জন্য হুযুর (দঃ) ইসলামি শরিয়তের ফরমেশন পিরিয়ডে তৎকালীন সময়ের সকল রীতিনীতি তুলে আস্হাকুড়ে নিক্ষেপ করেননি। বরং যা যা নেওয়ার মত ছিল নিয়েছেন, বাকিটা বাদ দিয়েছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> যাকিছু হারাম তার একটা লিস্ট আমাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হালালের লিস্ট দেওয়া হয়নি। কারণ সবকিছুই হালাল যতক্ষণ না হারাম হওয়ার ব্যপারে কোন স্পষ্ট দলিল পাওয়া যায়। রাসুল (দঃ) এরশাদ করেন: যা আল্লাহ্ ও তদীয় রাসুল (দঃ) হারাম করেছেন শুধু তাকেই হারাম জানো, বাকি যেগুলোর ব্যাপারে চুপ থেকেছেন তা বৈধ।</div> <div style="text-align: justify;"> মনে রাখবেন প্রত্যেক জাতির কিছ স্বকীয়তা ও বিশেষত্ব থাকে। মুসলিম জাতির অনেক বিশেষত্বের একটি হচ্ছে আপ্যায়ন। আর আপ্যায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ দিনে বিশেষ ক্ষনে হালুয়া-রুটির প্রচলন অনেক আগ্ থেকেই। ঠিক যেভাবে রমজানের ইফতারিতে ছুলা, পেয়াজু আর বেগুনির প্রচলন। তাছাড়া একটা ক্ষনকে মিনিংফুল করতে এই ধরনের আয়োজনের একটা প্রভাব থাকে। তাই এগুলো নিয়ে এই ধরনের কথা বলা মুর্খতার নামান্তর।</div> </div>

প্রশ্নোত্তরে শবে বরাত

♥ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ♥ শবে বরাত নিয়ে প্রশ্নোত্তরঃ- -------------মুহাম্মদ সাইফুল আযম আযহারি ১| প্রশ্ন: শবে বারাত নিয়ে...

Read more »

রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না'

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-cd91a6a3-7fff-f0cb-46e5-a6bc9bc1677d" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না'</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সূত্রঃ প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রচলিত জাল হাদিস বইয়ের (মতিউর রহমান লিখিত) ১৮৬ পৃষ্ঠায় লিখছে এটি লােক মুখে হাদীসে কুদসী হিসেবে যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। অপরদিকে প্রচলিত জাল হাদিস ৫৬ পৃষ্ঠায় (জুনাইদ বাবুনগরী লিখিত) উক্ত হাদিসটিকে জাল প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।সে আরও লিখেছে, “অথচ হাদিস বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে একমত যে, এটি একটি ভিত্তিহীন রেওয়ায়েত, মিথ্যুকদের বানানাে কথা, “রাসূল (ﷺ) এর হাদীসের সাথে এর সামান্যতম সম্পর্ক নেই।”উক্ত প্রচলিত জাল হাদিস বইয়ের ১৮৭ পৃষ্ঠায় আরও উল্লেখ করেছে- “একমাত্র তার খাতিরেই সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই আকীদা রাখার সুযােগ নেই যতক্ষণ পর্যন্ত দলীল প্রমাণ না পাওয়া যাবে। অথচ উক্ত বইয়ে সে কোন মুহাদ্দিসের রায় ইবারত সহ উপস্থাপন করতে পারে নি।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তথাকথিত আরেক লেখক ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার লিখিত ঈমান বিধ্বংসী বই হাদীসের নামে জালিয়াতি"এর ২৪৭ পৃষ্ঠায় কোন মুহাদ্দিসের মতামত ছাড়া মনগড়া কটি লাইন লিখে দাবী করেছেন হাদিসটি বানােয়াট ও ভিত্তিহীন। তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে الافلاك শব্দে বা বাক্যে কোনাে হাদীসের গ্রন্থে কোনাে প্রকার সনদ বর্ণিত হয়নি। এ হাদিসটিকে অনেক বাতিল পন্থীদের গ্রন্থে জাল বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। তাদের সকলের নামের তালিকা দিয়ে আমি আমার কিতাব দীর্ঘায়িত করতে চাই না। আমি প্রথমে এই বিষয় বস্তুর সমর্থনে কিছু হাদিস উল্লেখ করব,তার পরে সরাসরি الافلاك শব্দসহ রেওয়ায়েত বর্ণনা ও তার ব্যাপারে গ্রহনযােগ্য মুহাদ্দিসদের বক্তব্য উল্লেখ করব এবং এমনকি বাতিল পন্থীদের বক্তবও দলিল হিসেবে উল্লেখ করব।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দলীল নং-১-২৪</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমে যে হাদিস খানা আমি উল্লেখ করছি সে হাদিস সম্পর্কে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইয়ের ২৪৮ পৃষ্ঠায় মওদু প্রমানের অনেক অপ্রচষ্টা চালিয়ে সর্বশেষে দ্বঈফ বলেছেন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অথচ সে নিজেই ২৪৮ পৃষ্ঠায় লিখেন, “ইমাম হাকিম নিশাপুরী হাদিসখানা সংকলন করে বলেছেন হাদিস খানা সহিহ।' এখন আমার প্রশ্ন হলাে তিনি কী তাহলে ইমাম হাকেমের চেয়েও বড় মুহাদ্দিস হয়ে গেলাে? যে হাদিস বর্ণনা করে বলেন সহিহ আর সে কোন গ্রহণযােগ্য মুহাদ্দীসের মতামত ইবারত উল্লেখ না করে কিভাবে জাল বলার মত দুঃসাহস পেল! উক্ত হাদিস সম্পর্কে আমি সামনে দীর্ঘ আলােচনা করব ইনশাআল্লাহ। হাদিসটি নিম্নরূপঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حدثنا أبو سعيد عمرو بن محمد بن منصور العدل، ثنا أبو الحسن محمد بن إسحاق بن إبراهيم الحنظلي، ثنا أبو الحارث عبد الله بن مسلم الفهري، ثنا إسماعيل بن مسلمة، أبا عبد الرحمن بن زيد بن أسلم، عن أبيه، عن جده، عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لما اقترف آدم الخطيئة قال: يا رب أسألك بحق محمد لما غفرت لي، فقال الله: يا آدم كيف</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عرفت محمدا ولم أخلقه؟ قال: يا رب، لأنك لما خلقتني بيدك ونفخت في من روحك رفعت راسيي فرايت على قوام العرش مكتوبا لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضيف إلى اسمك إنا أحب الخلق إليك، فقال الله: صدقت يا آدم، إنه لأحب الخلق إلي اذعني بحقه فقد غفرت لك ولولا محمد ما خلقتك «هذا حديث صحيح الإسناد وهو اول حدیث ذكرته لعبد الرحمن بن زيد بن أستلم في هذا الكتاب.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হযরত উমর ইবনে খাত্তাব  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান হযরত আদম (عليه السلام) যখন অপ্রত্যাশিতভাবে (ইজতেহাদি) ভুল করলেন। তখন,হযরত আদম (عليه السلام) আল্লাহর দরবারে আবেদন করলেন, হে পরওয়ারদিগার, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উসিলায় আমাকে মার্জনা করুন। আল্লাহ রব্বল আলামীন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) কে কিভাবে চিনেছ? জবাৰে আদম আরজ করলেন, হে আল্লাহ! আপনি স্বীয় কুদরতি হাত দ্বারা আমাকে সৃষ্টি করে আমার দেহের অভ্যন্তরে যখন আত্না প্রবেশ করিয়ে ছিলেন, তখন আমি মাথা উঠিয়ে আরশের পায়ায় লেখা দেখেছিলাম, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" আমি বুঝতে পারলাম, আপনি আপন নামের সাথে এমন একটি নাম মিলিয়ে রেখেছেন যােট সমগ্র সৃষ্টি জগতে আপনার নিকট সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে আদম! তুমি সত্য বলেছ। নিশ্চয় ঐ নাম সমগ্র জাহানে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। যেহেতু তুমি সেই নাম নিয়েই আমার কাছে প্রার্থনা করেছ, সেহেতু আমি তােমাকে ক্ষমা করে দিলাম। </span><span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন,আমি তােমাকেও সৃষ্টি করতাম না।”</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইমাম হাকেম নিশাপুরী-আল মুস্তাদরাক : ২/৪৮৬ পৃ. হাদিসঃ ৪২২৮ ইমাম হাকেম বলেন হাদিসটির সনদ সহিহ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.ইমাম তাবরানী-মু'জামুল আওসাত : ৬/৩১৩ হাদিসঃ ৬৫০২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.তাবরানী-মু'জামুস সগীর : ২১৮২ হাদিসঃ ৯৯২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.ইবনে হাজার হায়সামী-মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২৫৩ : পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.ইমাম ইবনে আসাকির_তারিখে দামেস্ক : ৭/৪৩৭</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.আল্লামা ইবনে কাসীর_বেদায়া ওয়ান নেহায়া ১/১৮ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী_খাসায়েসুল কোবরা, ১১২ হাদিস : ১২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.ইমাম বুরহান উদ্দিন হালবী-সিরাতে হালবিয়্যাহ ১৫৫</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯.ইমাম কুস্তালানী-মাওয়াহেবে লাদুনীয়া ১৮২ পূ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০.ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি-তাফসীরে দুররে মানসুর ১১৪২ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১.ইমাম বায়হাকী-দালায়েলুল নবুয়ত ৫/৪৮৯</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২.ইমাম হাকেম নিশাপুরী-আল মাদখাল : ১১৫৪</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩.ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানী-হলিয়াতুল আউলিয়া</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৪.আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী-শাওয়াহিদুল হক :১৩৭</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৫,আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী-আনােয়ার-ই-মুহাম্মদিয়া:১-১০</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬.আল্লামা শাহ আঃ আজীজ মুহাদ্দিস দেহলভী : তাফসীর-ই-আজীজী :১৩</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৭,আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী : আফযালস্ সালাত:১১৭</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৮.আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী-তাফসীরে রুহুল বায়ানঃ ১৩৭০ . সূরা মায়েদা আয়াত-১৫</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৯.আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১১১৫ পৃ:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২০.আল্লামা শায়খ ইউসফ নাৰহানী : যওয়াহিরুল বিহার : ১১৪ পৃ:</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২১.ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১১৭২ -</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২২.ইউসুফ নাৰহানী : হজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৭৯৫ . এবং ৩১ . আৰু অফিকহিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৩.আল্লামা শফী উকাড়বী-যিকরে হাসীন, ৩৭ পৃষ্ঠা।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২৪.মাওলানা আশরাফ আলী থানবী : নশরুত্তীব পৃষ্ঠা নং- ২৮</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রমাণিত, হলাে রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি কে করা না হলে আদম (عليه السلام) কে সৃষ্টি করা হত না, সুতরাং আদম (عليه السلام) না হলে হয়ত আমরা কোন মানবের উৎপত্তিও হত না। এই হাদিসটিকে যেহেতু গ্রহনযােগ্য প্রখ্যাত মুহাদ্দিসগন সহিহ বলেছেন। ইমাম হাকিম সনদের দিক দিয়ে সহিহ বলেছেন,তার এ অভিমতকে বহু ইমামগণ করেছেন। তার মধ্যে ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি , শায়খ ইউসুফ নাবহানী, শা আযিয মুহাদ্দিস দেহলভী, কুস্তালানী, যুরকানী, ইসমাঈল হাক্কী, ইবনে হাযার হা ইবনে কাসীর, বুরহানউদ্দীন আলভী, এমনকি দেওবন্দের অন্যতম আলেম আল আলী থানবীরও উক্ত হাদিসটির ব্যাপারে হাকেমের সহিহ হওয়ার মতকে মেনে নিয়েছেন তাদের স্বস্ব গ্রন্থে। উল্লেখ্য যে, এই হাদিস দ্বারা উসিলার বৈধতা পা পাওয়া গেল।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দলীল নং- ২৫-৩৩</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম দীর্ঘ হাদিস থেকে কিছু শব্দ বাদ পড়ে কিছুটা সংক্ষেপে অন্য সনদে উক্ত </span><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাহাবী হতে ইমাম জাওযী ও ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) ইমাম দায়লামীর সূত্রে উত্ত হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেন,</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وآله مسلم: لما اذنب أدم صلی الله عليه وسلم الذنب الذي أذنبه رفع راسه إلى العرش و قال: أسألك بحق محمد إلا غفرت لي , فأوحى الله إليه , «وما محمد ومن محمد؟» قال: تبارك اسمك، لما خلقتني رفعت راسي إلى عرشك، فإذا فيه مكتوب: لا إله إلا الله محمد رسول الله، فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك , فأوحى الله عز وجل إليه: «يا آدم , إنه أخر النبيين من ذريتك , وإن أمه آخر الأمم من ذريتك , ولولاه يا آدم ما خلقتك»۔</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হযরত উমর ইবনে খাত্তাব  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যখন হযরত আদম (عليه السلام) এর ইজতেহাদী ভুল হয়ে যায় তখন তিনি স্বীয় মাথা মুবারক আসমানের দিকে উত্তোলন করলেন এবং নিবেদন করলেন, হে প্রভু, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর ওসীলায় আমাকে ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ তা'য়ালা তার প্রতি ওহী প্রেরণের মাধ্যমে বললেন, হে আদম (عليه السلام)! মুহাম্মদ এবং মুহাম্মদ কে? হযরত আদম (عليه السلام) বললেন, হে সম্মানিত নামের অধিকারী। যখন তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছিলে, তখন আমি মাথা উঠিয়ে তােমার আরশে দেখাে আরশের (পায়াতে) লেখা ছিল</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لا إله إلا الله محمد رسول الله</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই আমি বুঝে নিলাম, তুমি যার নামকে তােমার নামের সাথে সংযুক্ত করে লিখে রেখেছ, আমার মনে হয়েছে তিনি তােমার নিকট সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে অধিক প্রিয়ভাজন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করলেন, হে আদম (عليه السلام)! তুমি সত্য বলেছ। সৃষ্টি জগতে তিনি আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তিনি তােমার সন্তানদের মধ্যে সমস্ত নবীদের মধ্যে আখের এবং সর্বশেষ নবী হবেন। তাঁর উম্মত তােমার সন্তানাদিদের মধ্যে সর্বশেষ উম্মত। </span><span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি তিনি (মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন, তাহলে আমি তােমাকেও সৃষ্টি করতাম না।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইমাম তাবরানী : মু'জামুল আওসাত : ৬/৩১৩ পৃ. হাদিস নং- ৬৫০২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.ইমাম সুয়ূতি : আদ দুররুল মনসুর : ১৫৮</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.ইমাম সুয়ূতি : আর রিয়াদুল আনিকা, পৃ-৪৮</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪.ইমাম জওজী । আল-ওয়াফা বি আহওয়া লিল মুস্তাফা- ৩৩ পদারুল কুতুৰ ইলমিয়্যাহ, বয়ৱত।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫.ইমাম জওজী : বয়ানুল মিলাদুন্নবীঃ ১৫৮ পৃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬.ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফিরদাউস : ৫/২২৭</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭.আল্লামা আজলুনী : কাশফুল খাফা : ১/৪৬ এবং ২১৪</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮.শায়খ ইউসুফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন। ৭৯৫</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯.তাবরানী,মুজামু-সগীর,ফ১৮২পৃ. হাদিস:৯১২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদিসের দুটি সূত্রের সনদের গ্রহণযােগ্যতা দেখতে হলে কিতাবের শেষে দেখুন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দলীল নং- ৩৪-৪৬</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثنا جندل بن والق، ثنا عمرو بن اوس الانصاري، ثنا سعيد بن أبي عروبة، عن قتادة، عن سعيد بن المسيب، عن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: «اوحى الله إلى عيسى عليه السلام يا عيسى آمن بمحمد وامر من أدركه من أمتك أن يؤمنوا به فلولا محمد ما خلفت أدم ولولا محمد ما خلقت الجنة ولا النار ولقد خلقت العرش على الماء فاضطرب فكتبت عليه لا إله إلا الله محمد رسول الله فسكن» هذا حديث صحيح الإسناد ولم يخرجاه "</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'য়ালা হযরত ঈসা (عليه السلام) এর নিকট ওহী নাযিল করলেন, হে ঈসা! তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ঈমান আন এবং তােমার উম্মতের মধ্যে যারা তার যুগ পাবে। তাদেরকে ঈমান আনতে বলাে। </span><span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কারণ যদি মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন, তাহলে আমি না আদমকে সৃষ্টি করতাম, না বেহেশত, না দোযখ সৃষ্টি করতাম।</span><span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> আমি (আল্লাহ) যখন পানির উপর আরশ তৈরী করেছিলাম, তখন তা এদিক সেদিক কম্পন করতে লাগল। তখন আমি তার উপর কালেমা শরীফ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' লিখে দিলাম অতঃপর আরশ স্থির হয়ে গেল।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইমাম হাকেম নিশাপুরীঃ আল মুস্তাদরাক ২/৬৭১, পৃষ্ঠা হাদিসঃ ৪২২৭</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. আল্লামা ইমাম তকিউদ্দিন সুবকী শিফাউস সিকাম ৪৫ পৃষ্ঠা</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. আল্লামা ইবনে হাজর মক্কী: আফজালুল কুরাঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪. আল্লামা সিরাজুদ্দীন বলকী: ফতােয়ায়ে সিরাজিয়া : ১/১৪০ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী মাওজুআতুল কবীর ১০১ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৬. ইমাম ইবনে সা'দ। আত্-তবকাতুল কোবরা !</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৭. ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানীঃ হুলিয়াতুল আউলিয়া</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৮,আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতিঃ খাসায়েসুল কোবরাঃ ১/১৪ হাদিসঃ ২১</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৯,আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : শরহে শামায়েলঃ ১/১৪২ পূ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১০.আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানীঃ যাওয়াহিরুল বিহারঃ ২১১৪ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১১. ইমাম যাহাৰীঃ মিনুল ইতিদাল : ৫/২৯৯ পূ. রাবী নং- ৬৩৩৬</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১২, আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী লিসানুল মিযানঃ ৪/৩৫৪ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৩. ইমাম ইবনে হাইয়্যানঃ তবকাতে মুহাদ্দিসিনে ইস্পাহানীঃ ৩/২৮৭ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৪.আবু সা'দ ইবরাহিম নিশাপুরী,শরহে মুস্তফাঃ১/১৬৫পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৫.যুরকানী,শরহুল মাওয়াহেব:১২/২২০পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬.ইবনে কাসীর,কাসাসুল আম্বিয়া,১/২৯পৃ.দারুল তা'লিফ,কাহেরা,মিশর।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৭.ইবনে কাসীর,সিরাতে নববিয়্যাহঃ১/৩২০পৃ.দারুল মা'রিফ,বয়রুত লেবানন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৮.ইবনে কাসীর,মু'জিজাতুন্নাবী:১/৪৪১পৃ.মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ,কাহেরা,মিশর।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৯.ইবনে সালেহ শামী,সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ:১২/৪০৩পৃ.দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ বয়রুত,লেবানন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উক্ত হাদিসটিকে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইয়ের ২৫০ পৃষ্ঠায় জাল প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন অথচ ইমাম হাকিম, সুয়ূতি, ইমাম সুবকী, ইবনে হাজর মক্কী,মােল্লা আলী কারী হাদিসটির সনদ সহিহ বলেছেন। ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেন, হাদিসটির সনদ সহিহ। উক্ত হাদিসটির ব্যাপারে আমি বিস্তারিত এই কিতাবের শেষে আলােচনা করেছি।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দলীল নং- ৪৭-৪৯</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান :-</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عن ابن عباس رضي الله عنهما مرفوعا أتاني جبريل فقال يا محمد لولاك ما خلفت الجنة ولولاك ما خلقت النار</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-“একদা আমার কাছে হযরত জিব্রাঈল (عليه السلام) এসে বললেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, </span><span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আপনাকে সৃষ্টি না করা হলে সৃজন না হতাে বেহেশত আর না দোযখ।”</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ক, ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফিরদাউস : ২/২৪২ তিনি বর্ণনা করে বলেন হাদিসটি সনদের দিক। দিয়ে “হাসান"।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">খ, আল্লামা মােল্লা আলী কারী : মওদুআতুল কবীরঃ ১/২৯৫ পূহাদিস ৩৮৫.পু,মুয়াসাতুর রিসালা, মরুত, লেবানন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">গ, আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানীঃ যাওয়াহিরুল বিহারঃ ৪/১৬০ পৃ.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দলীল নং- ৫০-৫৪</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত সালমান ফারসী  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, একদা জিব্রাঈল (عليه السلام) আমার নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আল্লাহ রাব্বল আলামীন । ইরশাদ করেছেন</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ان كنت اتخذت ابراهيم خليلا. فقد اتخذتك حبيبا و ان كنت كلمت موسى في ا الأرض تكليما. فقد كلمتك في السماء و ان كنت خلقت عیسی من روح القدس فقد خلقت اسمك من قبل ان اخلق الخلق بالفي سنة و لقد وطات في السماء ماء موطا لم يطاه أحد قبلك. و لا يطاه احد بعدك و ان كنت اصطفيت ادم فقد ختمت بك الأنبياء - وما خلقت خلقا اكرم على منك (وساق الحديث إلى أن قال) ظل عرشى في القيامة عليك ممدود- تاج الحمد على راسك معقود و قرنت اسمك مع اسمى فلا اذكر في موضع حتى تذكر معي - ولقد خلقت الدنيا و اهلها لاعرفهم كرامتك و منزلتك عندی۔ ولولاك ما خلقت الدنيا۔</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমি যদিও ইব্রাহীম (عليه السلام) কে খলিল বানিয়েছি কিন্তু আপনাকে বানিয়েছি হাবীব। আমি যদিও মুসা (عليه السلام) এর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে। আমি ঈসা (عليه السلام) কে রুহুল কুদ্স থেকে সৃজন করলেও আপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টির দু'হাজার বছর পূর্বে। আপনার কদম আসমানের এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আপনার পূর্বে কারাে কদম পৌঁছেনি এবং ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না। আমি আদম (عليه السلام) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও আপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তি । আপনার চেয়ে অধিক সম্মানী কাউকে আমি সৃষ্টি করেনি। কিয়ামত দিবসে আমার আরশের ছায়া আপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আপনার নূরানী মস্তকে শােভা পাবে। আমি আপনার নাম আমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।যেখানে আমার যিকির চর্চা হবে সেখানে আপনার যিকিরও চর্চা হবে। আমি পৃথিবী এবং পৃথিবীবাসীকে সৃষ্টি করেছি,আমার নিকট আপনার মর্যাদা ও সম্মান কতটুকু তা দেখানাের জন্য জেনে রাখুন,</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولولاك ما خلقت الدنيا</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি দুনিয়া সৃষ্টি করতাম না।”</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১.ইমাম ইবনে আসাকীর: তারীখে দামেস্ক ৩/৫১৭ পৃষ্ঠা।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২.আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী হানাফীঃ মওদুআতুল কবীরঃ ১০১ পৃষ্ঠা</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩.আল্লামা ইমাম যুরকানীঃ শরহে মাওয়াহেবঃ ১১৮২</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৪ শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ১/২৮৯ পৃষ্ঠা</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; font-style: italic; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৫ ইমাম কাজী আয়াজঃ শিফা শরীফঃ২১০৫ পূ.</span></div> <br /> <br /> <br /> <br /> <br /></div> </div>

রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না'

‘রাসূল (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না' সূত্রঃ প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন। মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহ...

Read more »