শাবান মাসের ফজিলত এবং গুরুত্ব পর্বঃ২

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJly8XYdevl5wJK6abPX4tLyUxOnhnlkjduVKCS36lKUF-RsfXKABpJbkSi0qkomT-Hqc5baIw4FKp_ojp9g_uKbRnV4qG6jH9AnbGA_dfFHEm-v6N8D4ELeugoJ3FbTC3Nfflm0AaJPiA/s1600/%25D9%2584%25D9%2585%25D8%25A7%25D8%25B0%25D8%25A7_%25D8%25B3%25D9%2585%25D9%258A_%25D8%25B4%25D9%2587%25D8%25B1_%25D8%25B4%25D8%25B9%25D8%25A8%25D8%25A7%25D9%2586_%25D8%25A8%25D9%2587%25D8%25B0%25D8%25A7_%25D8%25A7%25D9%2584%25D8%25A7%25D8%25B3%25D9%2585.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="300" data-original-width="630" height="190" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJly8XYdevl5wJK6abPX4tLyUxOnhnlkjduVKCS36lKUF-RsfXKABpJbkSi0qkomT-Hqc5baIw4FKp_ojp9g_uKbRnV4qG6jH9AnbGA_dfFHEm-v6N8D4ELeugoJ3FbTC3Nfflm0AaJPiA/s400-rw/%25D9%2584%25D9%2585%25D8%25A7%25D8%25B0%25D8%25A7_%25D8%25B3%25D9%2585%25D9%258A_%25D8%25B4%25D9%2587%25D8%25B1_%25D8%25B4%25D8%25B9%25D8%25A8%25D8%25A7%25D9%2586_%25D8%25A8%25D9%2587%25D8%25B0%25D8%25A7_%25D8%25A7%25D9%2584%25D8%25A7%25D8%25B3%25D9%2585.jpg" width="400" /></a></div> <br /> <br /> <b><i><span style="color: #274e13;">শাবান মাস এর গুরুত্বঃঃ- </span></i></b><br /> <br /> ফজিলত ও বরকতের দিক দিয়ে শাবান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাকে অধিক মর্যাদাপূর্ণ মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন এবং অন্য মাসের তুলনায় এ মাসটিকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছেন।<br /> <br /> হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, রজব অন্য মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব রাখে। যেমন পবিত্র কোরআন অন্য কিতাবের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব রাখে। অনুরূপভাবে শাবান অন্য মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব রাখে, যেমন অন্য নবী ও রাসূলদের মধ্যে আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে। রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্ব অন্য মাসের মধ্যে এমন, সারা সৃষ্টিকুলের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব। প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এ মাসের গুরুত্ব বর্ণনায় হজরত ওসামা বিন জায়েদ (রা.) এর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী এ মাস সম্পর্কে লোকরা উদাসীন থাকে অথচ এ মাসে মানুষের আমল আল্লাহ তায়ালার মহান দরবারে পেশ করা হয়। আমার আমল যখন পেশ করা হয়, তখন রোজা অবস্থায় থাকা আমি পছন্দ করি।<br /> <b><i><span style="color: #134f5c;">(আহমদ ও নাসাঈ)।</span></i></b><br /> <br /> হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, শাবান আমার মাস, রজব আল্লাহর মাস ও রমজান আমার উম্মতের মাস। শাবান মাস অন্যায়-অপরাধ থেকে রক্ষা করে। আর রমজান মাস মানুষকে পূত-পবিত্র করে। শাবান শব্দটি আরবি। অভিধানে এর অর্থ হচ্ছে শাখা-প্রশাখা বের হওয়া। যেহেতু এ মাস প্রচুর কল্যাণ ও নেকির মাস, সেহেতু এর নামকরণ হয়েছে শাবান। হজরত আবু ওমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন শাবান মাস হাজির হতো, তখন প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন, এ মাসে তোমরা তোমাদের অন্তরকে পবিত্র করে নাও এবং নিয়তকে সঠিক করে নাও।<br /> <b><i><span style="color: #0b5394;">(মুসলিম)। </span></i></b><br /> <br /> <b><i><span style="color: #990000;">শাবান মাস রমযানের পূর্ব প্রস্তুতিঃঃ-</span></i></b><br /> <br /> এ মাসে আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে বান্দার প্রতি অশেষ রহমত ও বরকত নাজিল হয়। অনেক অনুগ্রহ ও অনুকম্পা দান করা হয়। প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা) এ মাসে অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগি করতেন। উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া)  কে কখনও রমজান ছাড়া পুুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি, আর শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে তাকে অধিকহারে রোজা রাখতে দেখিনি।<br /> <b><i><span style="color: purple;">(বুখারি ও মুসলিম )।</span></i></b><br /> <br /> রজব মাস হলো চাষাবাদের মাস, অর্থাৎ বীজ বপনের মাস, আর শাবান হলো পরিচর্যার মাস, আর রমজান হলো ফসল কাটার মাস। কাজেই শাবান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। কারণ বীজ বপন করলেই হয় না। তাতে ভালোভাবে পরিচর্যা করতে হয়, সার দিতে হয়, আগাছা পরিষ্কার করতে হয়, প্রয়োজনমাফিক পানি দিতে হয়, তবেই না ভালো ফসল হবে। আর মাহে রমজানে ভালো ও বেশি ফসল কাটা যাবে।<br /> <br /> এ মাস থেকেই ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কেননা আগেভাগে নেক আমলের অভ্যাস গড়ে না তুললে পরে বড় ধরনের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায় না। প্রিয় নবী (সাাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে বেশি বেশি রোজা রাখতেন এবং ইবাদতে রাত অতিবাহিত করতেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা)এর কাছে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন রোজা উত্তম? জবাবে তিনি বললেন, শাবানের মাসের রোজা, কারণ এ রোজা রমজানের রোজার সম্মানের জন্য। <b><i><span style="color: magenta;">(তিরমিজি)। </span></i></b><br /> <br /> এছাড়া এ মাসে প্রিয় নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শানে অধিক পরিমাণে দরুদ শরিফ পাঠ করা উম্মতের জন্য অতীব জরুরি। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা) আল্লাহ তায়ালা আরশের নিচে নূরের একটি সমুদ্র সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন, যার এক হাত পূর্বে অপরটি পশ্চিমে। তার মাথা আরশের নিচে এবং পদযুগল সপ্ত জমিনের নিচে। বান্দা শাবান মাসে আমার প্রতি দরুদ পড়লে আল্লাহ তায়ালা সেই ফেরেশতাকে 'আবে হায়াতে' ডুব দেয়ার জন্য আদেশ দেন। সেই ফেরেশতা পানিতে ডুব দিয়ে বের হয়ে ডানাদ্বয় ঝাড়া দিলে প্রত্যেক ফোঁটা দ্বারা এক একজন ফেরেশতা সৃষ্টি হয়। যারা কেয়ামত পর্যন্ত তার জন্য ইস্তেগফার করতে থাকে।<br /> <b><i><span style="color: #0b5394;">(দুররাতুন নাসিহিন ও জুবতাদুল ওয়ায়েজিন)।</span></i></b><br /> <br />  হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা) এর প্রিয় সাহাবিরা শাবানের চাঁদ দেখে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতেন, মুসলমানরা তাদের মালের জাকাত বের করে দিতেন। যাতে করে গরিব-মিসকিনরা এর দ্বারা রোজা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিচারকরা জেলখানা থেকে কয়েদিদের বের করে এনে তাদের মধ্যে যারা দোষী তাদের সাজা দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দিতেন। ব্যবসায়ীরা এ মাসে তাদের ঋণ পরিশোধ করে দিতেন এবং অন্যদের কাছে যা পাওনা তা আদায় করে নিতেন। রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে মানুষ গোসল করে এতেকাফে বসে যেতেন। মোট কথা, এ মাস থেকেই প্রতিটি মোমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য হচ্ছে রমজানের প্রস্তুতি নেয়া। কেননা, শাবানই আগত রমজানের প্রস্তুতির সর্বোত্তম মাস।।

শাবান মাসের ফজিলত এবং গুরুত্ব পর্বঃ২

শাবান মাস এর গুরুত্বঃঃ-  ফজিলত ও বরকতের দিক দিয়ে শাবান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাকে অধিক...

Read more »

শাবান মাসের ফজিলত এবং গুরুত্ব পর্বঃ১

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggLmR5YkRCsukwIIdSYRnQThd79W9sXhy6OudbQGOy62GCbmkyXkUfrQTysEdCoBlwlMOs-In8dJMwn6LNxeC4Up2FmBIy4B399VU-vPmECPzpy9RGGlrgQp-iX7bE89tG0X9cRIiEUswf/s1600/unnamed.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="268" data-original-width="548" height="156" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggLmR5YkRCsukwIIdSYRnQThd79W9sXhy6OudbQGOy62GCbmkyXkUfrQTysEdCoBlwlMOs-In8dJMwn6LNxeC4Up2FmBIy4B399VU-vPmECPzpy9RGGlrgQp-iX7bE89tG0X9cRIiEUswf/s320-rw/unnamed.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> <ul> <li><b><i><span style="color: #4c1130;">নাহমাদুহু নুসাল্লি ওয়া নুসাল্লিম আ'লা রাসুলিহিল কারিম।।আম্মা বা'দঃ-  </span></i></b></li> </ul> <br /> <br /> <b><i><span style="color: #660000;">শাবান মাসের নামকরণের যর্থাথতাঃ-</span></i></b><br /> <br />  হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এই মাসটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ। এর পরের মাসই পবিত্র ‘মাহে রমজান’। শাবান এলেই চারদিকে ইবাদতের সুবাতাস বইতে শুরু করে। মুমিন হৃদয় জেগে ওঠে। নিজেদেরকে প্রভুপ্রেমে বিলিয়ে দেন বিনীদ্র রজনীতে। ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান দিনের বেশিরভাগ সময়।<br /> <br /> <b><i><span style="color: #660000;">শাবান</span></i></b>  শব্দের অর্থ হলোঃ<br /> <span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"> </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;"> </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">الجَمْعُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والتَّفْريقُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والإِصْلاحُ ،</span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والإِفْسادُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والصَّدْعُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والتَّفَرُّقُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والقَبيلَةُ العَظِيمَةُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والجَبَلُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">ومَوْصِلُ قَبائِلِ الرَّأسِ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والبُعْدُ ،</span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">والبَعيدُ ، </span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"></span><span style="background-color: #f8f8f8; color: #1a1a1a; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; text-align: -webkit-right;">وبَطْنٌ مِنْ هَمْدانَ ، </span><br /> <span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"> (মুজামুল ওয়াসীত,আর-রাঈদ,লিসানুল আরব,কামুসুল মুহিত,মুজামুল আরবি)</span><br /> <span style="background-color: #f8f8f8; color: #26709c; font-family: amiriweb, Tahoma, Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; font-weight: 700; text-align: -webkit-right;"><br /></span> এই মাসটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মাসটির নামকরণের প্রতি লক্ষ করলেই এর গুরুত্বের বিষয়টি বোঝা যায়। ‘শাবান’ আরবি শব্দটির অর্থ ছড়িয়ে পড়া। বস্তুত শাবান মাসের আগের মাস, অর্থাৎ রজব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ বা হারাম হওয়ার কারণে আরবদের ওই সময়ে ঘরে বসে সময় কাটাতে হতো। আর শাবান মাসের পরের মাস রমজান ছিল প্রচণ্ড গরমের মৌসুম। বিধায় প্রকৃতির রুক্ষতার কারণে রমজানেও তারা ঘর থেকে বের হতে পারত না। মাঝখানের এই মাসটিই ছিল তাদের জন্য জীবিকা উপার্জনের মোক্ষম সময়। তাই তারা এই সময়ে জীবিকার সন্ধানে এই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ত।<br /> সুতরাং মাসটির নামকরণ করা হয়েছে শাবান।<br /> <b><i><span style="color: #073763;"><br /></span></i></b> <b><i><span style="color: #073763;">শাবান মাসের গুরুত্বঃ- </span></i></b><br /> জীবন ও জীবিকার জন্য আরবদের কাছে শাবান মাসটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ধর্মীয় দিক দিয়ে মুসলিম সমাজের কাছে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর অতীব গুরুত্বের কারণেই রাসুলুল্লাহ (সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শাবানকে নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন।<br /> <br /> হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছে। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, রজব হলো আল্লাহর মাস। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করল, সে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন। আর শাবান হলো আমার মাস। আর যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল সে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, কিয়ামতের দিন আমি হব তার অগ্রবর্তী এবং নেকির ভাণ্ডর। আর রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস। <br /> (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৫৩২)<br /> <br /> হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর এই মাসেই কিবলা পরিবর্তন হয়; অর্থাৎ পূর্ব কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে কাবা শরিফ কিবলা হিসেবে ঘোষিত ও নির্ধারিত হয় এই মাসে।<br /> <br />  ‘বারবার আপনার আকাশের দিকে মুখমণ্ডল আবর্তন আমি অবশ্যই লক্ষ করি। সুতরাং কিবলার দিকে আপনাকে প্রত্যাবর্তন করে দেব, যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন। অতএব আপনি মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) দিকে চেহারা ঘোরান। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন ওই (কাবা) দিকেই মুখ ফেরাও।’ <br /> (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৪৪)। <br /> <br /> তাই শাবান মাস একদিকে ইসলামি ঐক্যের মাস, অন্যদিকে কাবাকেন্দ্রিক মুসলিম জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হওয়ার মাস।

শাবান মাসের ফজিলত এবং গুরুত্ব পর্বঃ১

নাহমাদুহু নুসাল্লি ওয়া নুসাল্লিম আ'লা রাসুলিহিল কারিম।।আম্মা বা'দঃ-   শাবান মাসের নামকরণের যর্থাথতাঃ-  হিজরি চান্দ্রবর্ষে...

Read more »