রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার হাদিসের আলােচনা। ( ১)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> হাদীসের নামে জালিয়াতি বইয়ের ৩৬৬ পৃষ্ঠায় এবং প্রচলিত জাল হাদিস যা জুনায়েদ বাবু নগরী লিখেছেন তার বইয়ের ১১৭ পৃষ্ঠায় হযরত আবু বকর (রা.) রাসূল (দ.)'র নাম শুনে চুমু খাওয়ার হাদিসকে জাল প্রমাণ করার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বিভ্রান্তিকর আরেক পুস্তক প্রচলিত জাল হাদিস (যা মাওলানা মতিউর রহমান এর লিখিত) ১২২ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটিকে জাল বলে প্রমাণ করার অপ্রচেষ্টা করেছেন। এ হাদিসটিকে ড.আহমদ আলী তার 'বিদআত' পুস্তুকের প্রথম খন্ডেও জাল প্রমান করতে অনেক অপচেষ্টা করেছেন। এ হাদিসটির বিরােদ্ধে অপপ্রচারের জন্য বাংলা ভাষায় অনেক পুস্তক রচিত হয়েছে তাদের সকলের নাম উল্লেখ করার প্রয়ােজন মনে করি না।<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">আমি এ ব্যাপারে লিখার আগে দায়লামীর হযরত আবু বকর (রা)-এর হাদিস ছাড়াও অন্য হাদিস দ্বারা শুরু করতে চাই। কারণ ভ্রান্তবাদীদের দায়লামীর হাদিসের ব্যাপারে তাদের সকল মাথা ব্যথা এবং কীভাবে সেটাকে জাল বানানাে যায় তাদের চিন্তাধারা।</span></div> হাদীস ১<br /> <br /> <div dir="rtl" style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 13pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline;">حدثنا عبد الله بن محمد بن جعفر، ثنا أبو بكر الدينوري المفسر، ثنا محمد بن ایوب العطار، ثنا عبد المنعم بن إدريس، عن أبيه، عن جده وهب قال: " كان في بني إسرائيل رجل عصي الله مائتي سنة ثم مات، فأخذوا برجليه فألقوه على مزبلة، فأوحى الله إلى موسى عليه السلام ان اخرج فصل عليه قال: يا رب، بنو إسرائيل شهدوا أنه عصاك مائتي سنة، فأوحى الله إليه: هكذا كان، إلا أنه كان كلما نشر التوراة ونظر إلى اسم محمد صلى الله عليه وسلم قبله ووضعه على عينيه، وصلى عليه، فشكرت ذلك له، وغفرت ذنوبه، وزوجته سبعين حوراء "</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">-“হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী করেছে। যখন সে মৃত্যুবরণ করে মানুষেরা তাকে এমন স্থানে নিক্ষেপ করল, যেখানে আবর্জনা ফেলা হতাে। তখন হযরত মুসা (আঃ) এর প্রতি ওহী এলাে যে, লােকটিকে ওখান থেকে তুলে যেন তারা ভালভাবে জানাযার নামায পড়ে তাকে দাফন করা হয়। হযরত মুসা (আঃ) আরজ করলেন, হে আল্লাহ! বনী ইসরাঈল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, লােকটি ২০০ বছর পর্যন্ত তােমার নাফরমানী করেছিল। ইরশাদ হলাে, হ্যা, তবে তার একটি ভাল অভ্যাস ছিল। যখন সে তাওরাত শরীফ তেলাওয়াত করতাে, যতবার আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ (দ) এর নাম মােবারক দেখতো তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং তার প্রতি দুরূদ পাঠ করত। এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরূপ তাকে দান করেছি।”</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> ক,<span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline;"> ইমাম আবু নঈম : হুলিয়াতুল আউলিয়া ঃ ৩/১৪২ পৃ.খ, আল্লামা বুরহানুদ্দীন আলভী : সিরাতে হালবিয়্যাহ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-৮৩।</span></div> গ, আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ৫৪ পৃষ্ঠা।<br /> ঘ, জালালুদ্দীন সুয়ুতি ঃ খাসায়েসুল কোবরা :১/৩০,হাদিস : ৬৮, মাকতুত-তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত। <br /> ঙ. আল্লামা আবদুর রহমান ছাফুরী ঃ নুযহাতুল মালিস : ২/১৪২ পৃ. <br /> চ, আল্লামা দিয়ার বকরী : আল খামীস ফি আহওয়ালে আনফাসে নাফীস : ১/২৮২ পূ.<br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">খ, আল্লামা বুরহানুদ্দীন আলভী : সিরাতে হালবিয়্যাহ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-৮৩।</span><br /> গ, আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ৫৪ পৃষ্ঠা।<br /> ঘ, জালালুদ্দীন সুয়ুতি ঃ খাসায়েসুল কোবরা :১/৩০,হাদিস : ৬৮, মাকতুত-তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত। <br /> ঙ. আল্লামা আবদুর রহমান ছাফুরী ঃ নুযহাতুল মালিস : ২/১৪২ পৃ. <br /> চ, আল্লামা দিয়ার বকরী : আল খামীস ফি আহওয়ালে আনফাসে নাফীস : ১/২৮২ পূ.<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">উক্ত হাদীসের ব্যাপারে কোনাে মুহাদ্দিস মন্তব্য করেননি। তাদের নীরবতা পালন দ্বারা বুঝা গেল হাদিসটি সহিহ বা বিশুদ্ধ কারণ তার ব্যাপারে কোন মুহাদ্দিসের বিরােধীতা পাওয়া যায়নি।হাদীস ২</span></div> এ ব্যাপারে হযরত আদম (আলাইহি স্সাল্লাম) এর আমলঃ<br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">হাদীস ২</span><br /> এ ব্যাপারে হযরত আদম (আলাইহি স্সাল্লাম) এর আমলঃ<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #202100; font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">বিখ্যাত মুফাসির আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (র) তার উল্লেখযােগ্য তাফ তাফসীরে রুহুল বায়ানে’ লিখেন,</span></div> <div dir="rtl" style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #242100; font-size: 12pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline;">وفي قصص الأنبياء وغيرها أن آدم عليه السلام اشتاق الى لقاء محمد صلی الله عليه وسلم حين كان في الجنة فاوحى الله تعالي اليه هو من صلبك ويظهر في اخر الزمان فسال لقاء محمد صلى الله عليه وسلم حين كان في الجنة فاوحى الله تعالي اليه فجعل الله النور المحمدي في إصبعه المسبحة من يده اليمنى فسبح ذلك النور فلذلك سميت تلك الإصبع مسبحة كما في الروض الفائق. او اظهر الله تعالی اعمال حبيبه في صفاء ظفری ابهامية مثل المراة فقبل آدم ظفری ابهاميه ومسح  على عينيه فصار اصلا لذريته فلما أخبر جبرائيل النبي صلى الله عليه وسلم بهذه القصة قال عليه السلام (من سمع اسمي في الأذان فقبل ظفری ابهاميه ومسح على عينيه لم يعم ابدا</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #282900; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">-“কাসাসুল আম্বিয়া কিতাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (আঃ) জান্নাতে অবস্থানকালে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (দ)'র সাথে সাক্ষাতের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা'য়ালা তার নিকট ওহী প্রেরণ করেন যে, হে আদম, তিনি তােমার পৃষ্ঠ হতে শেষ যামানায় প্রকাশ হবেন। তা শুনার পর তিনি জান্নাতে অবস্থানকালে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানালেন। বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা ওহী প্রেরণ করলেন যে, নূরে মুহাম্মদী (দ) তােমার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলীর মধ্যে স্থানান্তরিত করেছি, তখন সে অঙ্গ হতে তাসবীহ পাঠ আরম্ভ হলাে। এজন্যই এই আঙ্গুলকে তাসবীহ পাঠকারী আঙ্গুল বলা হয়। যেমন রওযাতুল ফায়েক' কিতাবেও বর্ণিত আছে, অথবা আরেক বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ তায়ালা আপন হাবীব (দ) এর সৌন্দর্য প্রকাশ করলেন দুই বৃদ্ধাঙ্গুলীর উপর যেভাবে আয়নাতে দেখা যায়। তখন আদম (আঃ) দুই বৃদ্ধাঙ্গুলে চুম্বন করে স্বীয় চোখের উপর মালিশ করলেন। এটি দলীল হিসেবে প্রমাণিত হলাে যে, তাঁর সন্তানাদীর জন্য। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) এই ঘটনা হুযুর (দ) কে জানালেন। হুযুর (দ) বললেন, যেই ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার নাম মােবারক শুনে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করবে আর চোখে মালিশ করবে, সে কখনাে অন্ধ হবে না।”</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 10pt; vertical-align: baseline;">ক.আল্লামা ইসমাঈল হাকীঃ তাফসীরে রুহুল বয়ান : ৭/২২৯; সূরা মায়েদা আয়াতঃ ৫৭ নং এর ব্যা"খ.আবদুর রহমান হাফুরী, নুযহাতুল মাযালিস,খ৭৪পৃ</span></div> <span style="font-family: "arial"; font-size: 10pt; vertical-align: baseline;">খ.আবদুর রহমান হাফুরী, নুযহাতুল মাযালিস,খ৭৪পৃ</span><br /> হাদীস ৩<br /> <span style="color: #282900; font-family: "arial"; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">হযরত খিযির (আঃ) কর্তৃক রাসূল (দ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার</span> আমল<span style="color: #393a00; font-family: "arial"; font-size: 13pt; vertical-align: baseline;"> বর্ণিত ঃ</span><br /> <br /> <div dir="rtl" style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #282900; font-size: 12pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline;">ما أورده ابو العباس احمد ابن أبي بكر الرداد اليماني المتصوف في كتابه "موجبات الرحمة وعزائم المغفرة" بسند فيه مجاهيل مع انقطاعه عن الخضر عليه السلام أنه من قال حين يسمع المؤذن يقول أشهد أن محمد رسول الله: مرحبا بحبيبي وقرة عيني محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم، ثم يقبل إبهاميه يجعلهما على عينيه لم يرمد ابدا، -</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #616300; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">-“ইমাম আবু আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর ইয়ামানী (স) তার লিখি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ এর মধ্যে হযরত খিযির (আঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে 'আশহাদু আন্না মুহাম্মদার রাসূলুল্লাহ' </span>শুনার পর <span style="color: #282900; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">(মারহাবা বি হাবিবি ওয়া কুররাতাে আইনী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ) বলবে অতঃপর স্বীয় বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগাবে, তাহলে তার চোখে কখনও ব্যর্থ হবে না এবং সে কোন দিন অন্ধ হবে না।”</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 9pt; vertical-align: baseline;">ক. আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১/৩৮৩ : হাদিস : ১০২১ খ, আল্লামা আলুনী : কাশফুল খাফা : ২২৭০ : হাদিস : ২২৯৬ </span></div> গ. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : মওদুআতুল কবীর : ১০৮ পু <br /> গ. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী ঃ জামাল হক। ২৪৬ প<br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 9pt; vertical-align: baseline;">খ, আল্লামা আলুনী : কাশফুল খাফা : ২২৭০ : হাদিস : ২২৯৬ </span><br /> গ. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : মওদুআতুল কবীর : ১০৮ পু <br /> গ. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী ঃ জামাল হক। ২৪৬ প<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #393a00; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">এখন আলােচ্য বিষয় হলাে হযরত আবু বকর (রা) হাদিস পর্যালােচনা এবং এ হাদিসের ব্যাপারে ইমাম মুহাদ্দিসগণের অভিমত আলােচনা করা।</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 16pt; vertical-align: baseline;">হযরত আবু বকর (রা) এর আমল এবং সনদ তাত্ত্বিক বিশ্লেষন</span></div> <div dir="rtl" style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 15pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline;">حديث أبي بكر الصديق أنه لما سمع قول المؤذن أشهد أن محمد رسول الله</span></div> <div dir="rtl" style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 14pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline;">هذا، وقبل باطن الأنملتين السابتين ومسح عينيه، فقال صلى الله عليه وسلم: من فعل مثل مافعل خليلي فقد حلت عليه شفاعتي، " رواه الديلمي المسند ردوس</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">-“হযরত আবু বকর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি মুয়াযিনকে ‘আশহাদু আ মুহাম্মাদার' রাসূলুল্লাহ বলতে শােনলেন, তখন তিনিও তা বললেন এবং বৃদ্ধাঙ্গুলী চুমু খেয়ে তা চোখে বুলিয়ে নিলেন। তা দেখে রাসূল (দঃ) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর ন্যায় আমল করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ বৈধ হয়ে গেল।”</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 9pt; vertical-align: baseline;"> ক, ইমাম আবদুর রহমান সাখাভী : মাকাসিদুল হাসান ঃ ৩৮৩ : হাদিস : ১০২১ খ, আল্লামা ইমাম আযলুনী : কাশফুল খাফাঃ ২২৫৯ : হাদিস : ২২৯৬ </span></div> গ, আল্লামা মােল্লা আলী কারী । আসরারুল মার: ৩১২ পৃষ্ঠাঃ হাদিস : ৪৫৩<br /> গ, আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ ঃ ১৬ পৃ. : কিতাবুল আযান।<br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 9pt; vertical-align: baseline;">খ, আল্লামা ইমাম আযলুনী : কাশফুল খাফাঃ ২২৫৯ : হাদিস : ২২৯৬ </span><br /> গ, আল্লামা মােল্লা আলী কারী । আসরারুল মার: ৩১২ পৃষ্ঠাঃ হাদিস : ৪৫৩<br /> গ, আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ ঃ ১৬ পৃ. : কিতাবুল আযান।<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> ঙ<span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">. আল্লামা শাওকানী : ফাওয়াহিদুল মওদুআত : ১/৩৯ পৃ. চ, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৭/২২৯ পু। </span></div> ছ, আল্লামা তাহের পাটনী : তাযকিরাতুল মওদুআত : ৩৪ পৃ <br /> জ, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তী : লাআলীল মাস আ : ১৬৮-১৭০ পৃ <br /> ঝ, আল্লামা আব্দুল হাই লাখনৌভী : আসারুল মার আঃ ১৮২।<br /> ঞ, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সিল..ঘঈফাহ : ১১০২ পূ, হাদিস : ৭৩ <br /> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">চ, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৭/২২৯ পু। </span><br /> ছ, আল্লামা তাহের পাটনী : তাযকিরাতুল মওদুআত : ৩৪ পৃ <br /> জ, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তী : লাআলীল মাস আ : ১৬৮-১৭০ পৃ <br /> ঝ, আল্লামা আব্দুল হাই লাখনৌভী : আসারুল মার আঃ ১৮২।<br /> ঞ, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সিল..ঘঈফাহ : ১১০২ পূ, হাদিস : ৭৩ <br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #242100; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে গ্রহণযােগ্য মুহাদ্দিসগণের মতামত আমি তুলে।যারা হাদিসটি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #181900; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">১. ইমাম সাখাভীর অভিমত :</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #656300; font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">আল্লামা ইমাম সাখাভী (র) হযরত আবু বকর (রা) এর বর্ণিত হাদীস সংকলন করে বলেন, "لا يصح"এ হাদিসটি সহিহ নয়।”</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> * <span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১/৩৮৪ : হাদিস : ১০২১</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #313100; font-size: 13pt; vertical-align: baseline;">সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, দেখুন ইমাম সাখাভী (র) কী বললেন, আর প্রচলিত জাল হাদিস (মাওলানা মতিউর রহমান এর লিখিত) ১২২ পৃষ্ঠায় চরম মিথ্যা  লিখেছেন যে, ইমাম সাখাভী (র) নাকি বলেছেন, “এটি প্রমাণিত নয়"। দেখুন ইমাম সাখাভীর নামে বাংলা ভাষায় কী ধরনের মিথ্যাচার করেছে। আর আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তার বইয়ের ৩৬৬ পৃষ্ঠায় বাংলায় কিছু ইমামদের নাম দিয়ে হাদিসটিকে জাল বলে চালিয়ে দেবার অহেতুক অপচেষ্টা চালিয়েছেন।</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="color: #313100; font-size: 15pt; vertical-align: baseline;">আমি কিতাবের ভূমিকায় আলােচনা করেছি যে, হাদিসটি সহিহ নয় বললে, “হাসান হাদিস বুঝায়। এমনকি মােল্লা আলী ক্বারী (র) বলেন,</span></div> لا يصح لا ينافى الحسن<br /> <br /> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> <span style="font-size: 12pt; vertical-align: baseline;">-“কোন মুহাদ্দিসের বক্তব্য হাদিসটি সহিহ নয়-তা দ্বারা হাদিসটি হাসান" হওয়াতে কোন অসুবিধা বা নিষেধ করে না।"</span></div> <div style="font-family: Arial; font-size: 11pt; line-height: 1.15;"> * <span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline;">আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী : আসারুল মারফুআ-২৩৬ পৃ</span></div> ইতিপূর্বে আমি ইমাম সাখাভীর বক্তব্যও পেশ করেছি।<br /> বুঝা গেল, হাদিসটি কমপক্ষে "হাসান" হাদিস যা দলীল হিসেবে দাড় করানাের গ্রহণযােগ্যতা রাখে। <br /> <br /> সূত্র, প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন<br /> মুফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর<br /> <br /> হাদিসটি সহিহ নয়' বলতে কী বুঝায় এ' সম্পর্কে হাদীসের নীতিমালায় কিতাবের ভূমিকায় আমি বিস্তারিত আলােচনা করে এসেছি দেখে নেয়ার অনুরােধ রইল।</div>

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার হাদিসের আলােচনা। ( ১)

হাদীসের নামে জালিয়াতি বইয়ের ৩৬৬ পৃষ্ঠায় এবং প্রচলিত জাল হাদিস যা জুনায়েদ বাবু নগরী লিখেছেন তার বইয়ের ১১৭ পৃষ্ঠায় হযরত আবু বকর (রা.) ...

Read more »

শবে মিরাজ পর্বঃ২

*পবিত্র কোরআনে মি'রাজ*<br /> <br /> <span style="background-color: white; color: #222222; font-family: "helvetica neue" , "helvetica" , "nimbus sans l" , "arial" , "liberation sans" , sans-serif; font-size: 22.4px;">وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى (7) ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى (8) فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى (9) فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى (10) مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى (11) أَفَتُمَارُونَهُ عَلَى مَا يَرَى (12) وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى (13) عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى (14) عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَأْوَى (15) إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى (16) مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَى (17) لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى </span><br /> <br /> অতঃপর তিনি নিকটবর্তী হলেন, এর পর ঝুঁকে এলেন, তারপর রয়ে গেল (উভয়ের মধ্য) দু' ধুনক পরিমান বরং তার চেয়েও কম ব্যবধান। অতঃপর আল্লাহ তার বান্দার উপর অহী  নাযিল করেন- যে অহী প্রেরণ করলেন। সে বান্দা যা কিছু দেখেছেন তার অন্তর মিথ্য বলেনি। তবে কি তোমরা এ বিষয়ে তাঁর সাথে ঝগড়া করছ? যা সত্যই ঘটেছে। নিশ্চয় সে তাকে আর একবার দর্শন করেছে, সিদারতুল মুনতাহার নিকটে উপস্থিত ছিলেন।<br /> (সুরা আন নজমঃ৭-১৮)<br /> <span style="background-color: white; color: #222222; font-family: "helvetica neue" , "helvetica" , "nimbus sans l" , "arial" , "liberation sans" , sans-serif; font-size: 22.4px;"><br /></span> <br /> হযরত আনাস ও ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাফসীর মতে এখানে মি'রাজের ঘটানা বর্ণনা করা হয়েছে এবং আল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষা লাভ, আল্লাহর দর্শন এবং তাঁর নৈকট্য লাভের কথা আলোচিত হয়েছে।<br /> <br /> *মি'রাজের ঘটনা প্রকৃতি* وَمَا جَعَلۡنَا الرُّءۡيَا الَّتِىۡۤ اَرَيۡنٰكَ اِلَّا فِتۡنَةً لِّلنَّاس আর যে দর্শনই না আমি আপনাকে দেখিয়েছি তা কেবল মাত্র মানুষের পরীক্ষার জন্য দেখেয়েছি<br /> ( সূরা বনি ইসরাইল-৬০)<br /> <br /> এ সফরের রূপটা কি ছিল? এটা কি স্বপ্নে সংঘটিত হয়েছিল, নাকি জাগ্রত অবস্থায়, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং গমন করেছিলেন, না তিনি নিজ স্থান থেকে কেবল আত্মিকভাবে এসব পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ' মাওলানা হেফজুর রহমান" এ ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এটা জড় দেহের সাথে জাগ্রত অবস্থায় ঘটেছিল তার একটি তালিকা তিনি পেশ করেছেন। এখানে তার কিছুটা সার সংক্ষেপ উল্লেখ করছি।<br /> <br /> ১* গত পর্বের আলোচ্য আয়াতে প্রথমে "সুবহানা"  (মহান পবিত্র) শব্দটি আশ্চর্যজনক ও বিরাট বিষয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। মি'রাজ যদি শুধু আত্মিক অর্থাৎ স্বপ্ন জগতে সংঘটিত হত, তাহলে এতে আশ্চর্যের বিষয় কি আছে?  স্বপ্নে তো প্রত্যেক মুসলমানই বরং সকল মানুষ অনেক কিছু দেখতে পায় যে, সে আকাশে উঠছে,  অবিশ্বাস্য বহু কাজ করেছে।<br /> <br /> ২* অতঃপর সে আয়াতে "আব্দুহু" (তার বান্দা) বলা হয়েছে। শুধু আত্মাকে "আবদু"  বান্দা বলা হয় না, দেহ বিহীন আত্মার নাম 'রূহ' আর আত্মাবিহীন দেহের নাম "মাইয়াত" বা মৃত।  বরং আত্মা ও দেহ উভয়ের সমষ্টিকেই বলা হয় " আবদ্" বা বান্দা।<br /> <br /> ৩* তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মি'রাজের ঘটনা তাঁর ফুফু  উম্মে হানির (রাঃ)কাছে বর্ণনা করেন, তখন তিনি পরামর্শ দিলেন যে, আপনি কারও কাছে এ কথা প্রকাশ করবেন না, প্রকাশ করলে কাফেররা আপনার উপর আরো বেশি মিথ্যারোপ করবে। অতএব, ব্যাপারটি  যদি নিছক স্বপ্ন হতো তবে মিথ্যারোপ করার কি কারণ ছিল?<br /> <br /> ৪* এ ঘটনা প্রকাশের পর কাফেররা মিথ্যারোপ ও ঠাট্টা বিদ্রোপ করল। এমন কি  নও মুসলিমও এ সংবাদে ধর্মত্যাগী হবার চিন্তা ভাবানা করল। ব্যপারটি স্বপ্নের হলে এত কিছু  তুলকান্ড ঘটার সসম্ভাবনা ছিল কি?<br /> <br /> ৫* হযরত মুসা (আঃ) ও হযরত লূত (আঃ) কে রাতে রাতে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। যথাঃ<br /> "আমি মুসার উপর অহী প্রেরণ করলাম যে, আমার বান্দাদের নিয়ে রাতের মধ্যে বের হয়ে যাও।"<br /> ( সূরা তো'হা, শুয়ারা)।<br /> <br /> ফিরেশতারা লূত (আঃ) কে  বললঃ "আপনি নিজের পরিজনদেরকে নিয়ে রাতের কিছু অংশ অতীত হলেই বের হয়ে যাবেন।" (সূরা হুদ, সূরা দোখান)। অতএব, সূরা বনি ইসরাইলের "আছরা বি'আবদিহী" আয়াতের সহজবোধ্য তাই হবে যা হযরত মুসা ও লূত (আঃ) সম্মন্ধীয় আয়াতগুলোতে রয়েছে। অর্থাৎ জাগ্রতঅবস্থায় সশরীরে রাতের কালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা।ِ<br /> <br /> ৬*  اِلَّا فِتۡنَةً لِّلنَّ  আয়াতাংশে ঘটনাটিকে বিশ্বাস ও অবিশ্বাস এর আকারে ঈমান ও কুফরের জন্য মাপকাঠি সাব্যস্ত করেছেন। যদিও কাফেররা স্বপ্ন দর্শনকেও অবিশ্বাস করা সম্ভব। কিন্তু এ স্থানে ঘটানাটির মহত্ত্ব এবং গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য করেই اِلَّا فِتۡنَةً لِّلنَّاس বলা হয়েছে যার কারণ হল এ ঘটনাটি  নবী  করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাক্ষুষ দর্শনের ন্যায় বর্ণনা করেছেন।<br /> <br /> ৭* সহীহ হাদীসে উল্লেখ আছে  যে, মুশরিকরা এ ঘটনাটি অবিশ্বাস করার পক্ষে এ প্রমাণ দাঁড় করাল যে, যদি তা সত্য হয়, তবে নবী  করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল মোকাদ্দাসের অংশগুলোর বিস্তারিত বিবরণ বর্ণনা করেন। কারণ, তিনি এমনিতো তা দেখেননি। তখন নবী  করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখ হতে মধ্যেকার সমস্ত আবরণ আল্লাহ তা'আলার তরফ হতে দূর করে দেওয়া হয়। তখন তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের এক একটি বস্তু স্বচক্ষে দর্শন করে মুশরিকদের প্রশ্নসমূহের সঠিক উত্তর প্রদান করলেন।  এটা এ কথারই প্রমাণ যে, ঘটনাটি জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে ছিল বলে এ সব এবং এরূপ পদ্ধতি গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, নতুবা স্বপ্ন যোগে হলে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত না।<br /> <br /> চলবে........

শবে মিরাজ পর্বঃ২

*পবিত্র কোরআনে মি'রাজ* وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى (7) ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى (8) فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى (9) فَأَوْحَ...

Read more »

শবে মিরাজ পর্বঃ১

♥বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম♥<br /> <br /> ইসরা বা পবিত্র মি'রাজের ঘটনা (৬২১ খৃঃ/ ২৭ রজব/ ১১ নববী / বয়স ৫১ বছর):-<br /> <b><i><span style="color: #ea9999;"><br /></span></i></b> <b><i><span style="color: #ea9999;">سُبْحَٰنَ ٱلَّذِىٓ أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِۦ لَيْلًا مِّنَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ إِلَى ٱلْمَسْجِدِ ٱلْأَقْصَا ٱلَّذِى بَٰرَكْنَا حَوْلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنْ ءَايَٰتِنَآ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ</span></i></b><br /> <br /> অর্থঃ<b><i><span style="color: #660000;"> পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। </span></i></b><br /> (সূরা বনি ইসরাঈলঃ ১)<br /> <br /> ইসরা অর্থ রাতারে ভ্রমণ, আর মিরাজ অর্থ আরোহণের সিঁড়ি। ইসরা বা মি'রাজ নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্মান ও বিস্ময়কর ঘটনা, যাতে মহান আল্লাহ তাঁর হাবীবকে মক্কার মসজিদে হারাম হতে মসজিদে আকসা পর্যন্ত এবং তথা হতে উর্ধ্ব জগত পর্যন্ত সশরীরে নিজের কুদরতের নিদর্শনাদি দেখবার জন্য ভ্রমন করিয়ে ছিলেন। এ বিস্ময়কর ঘটনাটি পবিত্র কোরআনের দু'টি সূরা তথা সূরা বনি ঈসরাইল ও সূরা আন-নজম উল্লেখ রয়েছে এবং বহু সংখ্যক (হাদীস দ্বারা) সাহাবীর মাধ্যমে প্রিয় নবজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মোবারক বাণী বর্ণিত হয়েছে।<br /> <br /> এ ভ্রমণটি রাতের এক অংশে ঘটেছিল বলে 'ইসরা' বলা হয়। আর এ ঘটানাগুলো বর্ণনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'আমাকে উর্ধ্ব জগতে নিয়ে যাওয়া হয়' বাক্য ব্যবহার করেছেন বলে 'মি'রাজ ' বলা হয়। পারিভাষিক পার্থক্য প্রকাশের জন্য কোন কোন আলেম এ ঘটনার যে অংশটুকু সূরা বনি ইসরাঈলে সুস্পষ্ট রূপে উল্লেখ রয়েছে তাকে 'ইসরা' আর যে অংশটুকু সূরা নজম এবং সহীহ হাদীসসমূহে রয়েছে তাকে 'মি'রাজ' নামে অবিহিত করেছেন। মূলতঃ উভয় নামে একই ঘটানার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে।<br /> <br /> ঘটনার সময় কালঃ অধিকাংশ নির্ভর‍যোগ্য বর্ণনা মতে এ ঘটনাটি হিজরতের এক  বা দেড় বছর পূর্বে সংঘটিত হয়। আর মাস ও তারিখের ক্ষেত্রে তা রজব মাসের ২৭ তারিখ ছিল বলে প্রবল মত পাওয়া যায়। হাদীস ও জীবন চরিত গ্রন্থাবলীতে এ ঘটানার বিস্তারিত বিবরণ বিপুল সংখ্যক সাহাবী হতে বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ফরকানী (রহঃ) বলেন মি'রাজের ঘটনাটি ৪৫ জন সাহাবায়ে কেরাম হতে নকল করা হয়েছে এবং তাদের নামও গণনা করা হয়েছে।<b><i><span style="color: #783f04;"> (কাসাসুল কোরআন)</span></i></b><br /> <br /> তম্মধ্যে হযরত আনাস বিন মালেক, মালেক বিন সাইআ, আবুযর গিফারী ও হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) প্রমুখ হতে সর্বাধিক বিস্তারিত বিবরণ বর্ণিত আছে। এতদ্ব্যতীত হযরত ওমর, হযরত আলী,  আবদুল্লাহ বিন মাসউদ, আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস, আবু সাঈদ খুদরী, হোযাইফা বিন ইয়ামান, হযরত মা- আয়েশা (রাঃ) ও কতিপয় সাহাবী (রাঃ) ও কতিপয় সাহাবী (রাঃ) উহার কোন কোন অংশ বর্ণনা করেছেন।<br /> (চলবে)

শবে মিরাজ পর্বঃ১

♥বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম♥ ইসরা বা পবিত্র মি'রাজের ঘটনা (৬২১ খৃঃ/ ২৭ রজব/ ১১ নববী / বয়স ৫১ বছর):- سُبْحَٰنَ ٱلَّذِىٓ أَسْرَىٰ بِعَب...

Read more »