ইসলামী বিশ্বকোষ

ভালোবাসা দিবস

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjhVemHNgbUjrO5kOst-LXyo-LpRFSG9TFPsbRLc7ytahz78tKKmHtLGSVsE8PTqKt-tRjZzCXI7CvKekwJK9XtJXusqQyzyLTYKiA2B9m3ZKphVncxqTw-nv1htOOsrJyKCtsWzYX3IFVI/s1600/FB_IMG_1545821344321.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="576" data-original-width="480" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjhVemHNgbUjrO5kOst-LXyo-LpRFSG9TFPsbRLc7ytahz78tKKmHtLGSVsE8PTqKt-tRjZzCXI7CvKekwJK9XtJXusqQyzyLTYKiA2B9m3ZKphVncxqTw-nv1htOOsrJyKCtsWzYX3IFVI/s400-rw/FB_IMG_1545821344321.jpg" width="332" /></a></div>
<b><i><span style="color: #4c1130;"><br /></span></i></b>
<b><i><span style="color: #4c1130;"><br /></span></i></b>
<b><i><span style="color: #4c1130;"><br /></span></i></b>
<b><i><span style="color: #4c1130;">সর্বনাশা ভালোবাসা দিবস</span></i></b><br />
--------------------<span style="text-align: center;">-----------------------------</span><br />
কৃত: আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক<br />
উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়বিয়া কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা।<br />
<br />
রাত পোহালেই ১৪ ফেব্রুয়ারী। জানেন তো কি বলতে চাই? আকাশে সুর্য উঠার আগেই আজ ফুলের দাম আকাশে উঠে যাবে। অনেকেই আজ রাত ‘বিশেষ বিশেষ জরুরী প্রাণালাপ’ শেষ করে রাত ২ টায় শুয়েও আবার ঠিক ‘সুবহে সাদিকের’ সময় উঠে যাবে। দরজা বন্ধ করে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে ‘দশবার’ দেখে নেবে নিজেকে। পুরো ‘বার্ণিশ’ করে নেবে নিজের চেহারাটাকে। নাস্তার প্লেট সামনে আসার আগেই ‘রমনা পার্ক’ অথবা ‘বোটানিকাল গার্ডেন’ কিংবা অন্য কোন রঙিন জায়গার ছবি ভেসে আসবে চোখের সামনে। ‘ফুল’ কিনতে আজ মোটেই ‘ভুল’ করা যাবে না। ‘আমি আর ও’ – দু’জন নিবিড়ভাবে আলাপ-সালাপ করার জন্য নির্জন একটা জায়গার ‘টেনশন’ নাস্তার পর পানি পান করার কথাই ভুলিয়ে দেবে বহুজনকে। চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কালো কভারের প্যাডের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ‘হলুদ রঙের বিল’টা আজ কারো কারো পকেট খালি করে দেবে। কন্ঠনালীর পিপাসা নয়- প্রচন্ড রোদেও আজ অনেকের চোখের পিপাসাই জাগবে বেশী। আজ বাবা-মায়ের পবিত্র ভালোবাসাকে ‘তালাক’ (!) দেবে কত অকৃতজ্ঞ সন্তান। আজকের প্রতিটা হাসিই অনাগত ভবিষ্যতে বড় বড় ‘বিল’ নিয়ে হাজির হবে, চির অন্ধকারের ভয়ংকর দুনিয়ায় নিয়ে যাবে কতজনকে।অনুগতদের দিয়ে হাজারো ঘৃনিত কাজ আদায় করে নিতে শয়তান আজ মহাব্যস্ত থাকবে। আল্লাহ! শয়তানী হরকত থেকে তুমি মুসলমানদের হেফাজত করো!

ভালোবাসা দিবস

সর্বনাশা ভালোবাসা দিবস -------------------- ----------------------------- কৃত: আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক উপাধ্যক্ষ, কাদেরিয়া তৈয়ব...

ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৯

মিথ্যার প্রচলিত আকার-প্রকৃতি

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-6G1JC5DrkMlfud3CHJbRdkyr-0vQNs-ldMbhUnEzsTDOQK-tz9r8_pb0Vx-BFQj-_xSNI0EOT3ZyxWRsHj-r0ihUAgMlHXwF8EaYPD_Z2pU7yZCIwrXGkCxRHD2hD2DGgTbqzq40uqvl/s1600/860_main_lying_1.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="242" data-original-width="442" height="218" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-6G1JC5DrkMlfud3CHJbRdkyr-0vQNs-ldMbhUnEzsTDOQK-tz9r8_pb0Vx-BFQj-_xSNI0EOT3ZyxWRsHj-r0ihUAgMlHXwF8EaYPD_Z2pU7yZCIwrXGkCxRHD2hD2DGgTbqzq40uqvl/s400-rw/860_main_lying_1.png" width="400" /></a></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<br /></h3>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<blockquote class="tr_bq">
<blockquote class="tr_bq">
<ul>
<li><i>আলহামদুলিল্লাহ ওয়াশ শুকরু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ'লা ইমামুস সাক্বালাইনি।।আম্মা বা'দঃ-  </i>       </li>
</ul>
</blockquote>
</blockquote>
</h3>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<br /></h3>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মিথ্যার প্রচলিত আকার-প্রকৃতিঃ-</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁরই উপর বিশ্বাস স্থাপন করি এবং  তাঁরই উপর ভরসা করি। আল্লাহর নিকট পানাহ চাই নফসের সমস্ত অনিষ্টতা ও খারাপ কাজ থেকে। আর আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি এক। তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর ও তাঁর পরিজন, সাহাবা-ই-কেরাম -রাদিয়াল্লাহু আনহুম- সকলের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আবু হুরায়রা -রাদিয়াল্লাহু আনহু- হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">মুনাফেকের নিদর্শন তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন সে অঙ্গীকার করে ভঙ্গ  করে, এবং তার নিকট কোন আমানত রাখা হলে  খেয়ানত করে।</span> </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
(সহীহ বুখারী;অধ্যায়ঃ ঈমান; হাদীস নংঃ ৩৩; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃঈমান, হাদীস নংঃ ৫৯) </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
মুসলিমের একটি অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, যদিও সে রোজা রাখে, যদিও সে নামাজ পড়ে এবং মনে করে সে একজন মুসলমান।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মুনাফেক এর তিন নিদর্শন</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, তিনটি চরিত্র এমন  যা মুনাফেক হওয়ার নিদর্শনস্বরূপ। অর্থাৎ এ চরিত্রগুলো মুসলমানের মধ্যে থাকতে পারে না।  যদি থাকে তহলে বুঝতে হবে সে সত্যিকার মুসলমান নয়, মুনাফেক।  নিদর্শন তিনটি হলো</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br style="box-sizing: border-box;" /><span class="amp-wp-inline-f146f9bb819d875bbe5cf83e36368b44" style="box-sizing: border-box; color: red;"><strong style="box-sizing: border-box;">(১)</strong></span> যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে<br style="box-sizing: border-box;" /><span class="amp-wp-inline-f146f9bb819d875bbe5cf83e36368b44" style="box-sizing: border-box; color: red;"><strong style="box-sizing: border-box;">(২)</strong></span> যখন কোনো অঙ্গীকার করে, খেলাপ করে ও<br style="box-sizing: border-box;" /><span class="amp-wp-inline-f146f9bb819d875bbe5cf83e36368b44" style="box-sizing: border-box; color: red;"><strong style="box-sizing: border-box;">(৩)</strong></span> তার নিকট কোনো জিনিস আমনত হিসেবে রাখা হলে খেয়ানত করে।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br style="box-sizing: border-box;" />এধরনের ব্যক্তি নামেই কেবল মুসলমান। প্রকৃত অর্থে মুসলামিনিত্বের ধারে কাছেও না। হোক সে নামাজী, অথবা রোজাদার ; কেননা মুসলমান হওয়ার জন্য যেসকল গুণাবলি দরকার, সে তা অর্জন করেনি বরং বর্জন করে চলেছে।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br /></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">ইসলাম একটি ব্যাপক ধর্ম</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আল্লাহই ভাল জানেন, কোত্থেকে আমাদের চিন্তায় এ ধারণা উপস্থিত  হলো যে, দ্বীন শুধু নামাজ-রোজার নাম; কেউ যদি নামাজ আদায় করে যায়, রোজা রেখে যায় তাহলেই সে মুসলমান হয়ে গেল, এর অতিরিক্ত আমাদের কোনো দায়-দায়িত্ব  নেই, এজাতীয় বিশ্বাস যেন সবার মধ্যে ঠাঁই করে  বসেছে। সুতরাং এ ধরনের লেবাসদারি মুসলমানরা যখন  বাজারে যাচ্ছে, মিথ্যা ও প্রতারণার ছলে অন্যের সম্পদ হস্তগত করছে। হারাম-হলাল একাকার করে ভক্ষণ করছে। কোনো টেনশন বা তোয়াক্কা  করছে না।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আমানত (গচ্ছিত সম্পদ) দ্ধিধাহীনভাবে ভক্ষণ করা হচ্ছে। অধিকার পুরণের কোনো বালাই নেই। মানুষের ধারণা এমন  হয়ে গিয়েছে যে, ইসলাম শুধু নামাজ রোজার নাম। এটা খুবই  ভুল ধারণা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঐ ব্যক্তি ‌‌(যদিও  নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, এবং নিজেকে মুসলমান হিসেবে ভাবে।) অর্থাৎ তার মধ্যে মুসলমান হওয়ার কোনো যোগ্যতাই বাকি থাকে না। তবে হ্যাঁ, তার উপর কুফর এর ফতোয়া প্রদান করা যাবে না।) এ পুস্তিকায় উপরে উল্লিখিত  তিনটি বিষয়ের উপর স্বল্প পরিসরে গঠনমূলক আলোচনার প্রয়াস পাব বলে আশা রাখি। মানুষের জীবনে ব্যাপক  পরিসরে এ বিষয়গুলো হাজির থাকা সত্ত্বেও যেহেতু এ বিষয়ে তাদের ধারণা সীমিত তাই কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br /></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">জাহেলি যুগে মিথ্যা</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হাদীসে উল্লিখিত তিনটি বিষয়ের মধ্যে প্রথমটি হলো মিথ্যা বলা। মিথ্যা বলা হারাম। শুধু কেবল আমাদের ক্ষেত্রে  হারাম এমন নয়, বরং অতীতের সকল জাতির জন্যেই তা হারাম ছিল। একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল; নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রোম সম্রাটের প্রতি ইসলামের দাওয়াতপত্র প্রেরণ করলেন, পত্র পাঠান্তে সম্রাট তার সভাসদদের উদ্দেশ্যে বললেন, </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">এমন কেউ কি আছে যিনি ঐ ব্যক্তি (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে অবগত?ঘটনাক্রমে কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান ব্যবসায়িক কাজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাকে বাদশার দরবারে উপস্থিত করা হলো। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর। এক পর্যায়ে বাদশা জিজ্ঞাসা করলেন, তার বংশ মর্যাদা কেমন? আবু সুফিয়ান উত্তরে বললেন: তিনি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন বংশের। তিনি কুরাইশ বংশের এবং সমগ্র আরববাসীর  কুরাইশ বংশের মর্যাদা স্বীকৃত| পুণরায় প্রশ্ন কর হলো, তাঁর অনুসারীগণ কি বড় বড় ধনাঢ্য ও প্রভাবশলী ব্যক্তি না সাধারণ মানুষ? উত্তরে তিনি বললেন, তার অধিকাংশ অনুসারী সাধারণ ও দুর্বল মানুষ। বাদশা সম্মতি জ্ঞাপন করে বললেন, নবীগণের অনুসারীগণ দুর্বল ও সামর্থ্যহীন লোকেরাই হয়ে থাকেন। পুনরায় প্রশ্ন করে বললেন, তোমাদের মধ্যে যখন যুদ্ধ হয় তখন কে জয়লাভ করে? উত্তরে তিনি বললেন, কখনো আমরা, আবার কখনো তারা জয়ী হয়। (তখনও যেহেতু মাত্র দুটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং উহুদ যুদ্ধে মুসলমানরা কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত হয়েছিলেন)।</span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
(সহীহ বুখারী, খন্ডঃ১, অধ্যায়ঃ১, হাদীস নংঃ ৬)</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আবু সুফিয়ান রা. মুসলমান হওয়ার পর বলেন, আমি তখন কাফের ছিলাম, তাই আমার একবার মনে হল যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এমন কোনো শব্দ উচ্চারণ করব, যাতে তাঁর সম্পর্কে বাদশার বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়। কিন্তু বাদশা যে ধরনের  প্রশ্নাবলি উত্থাপন করলেন, প্রত্যুত্তরে সে মুহূর্তে এমন  কিছু বলার সুযোগ ছিল না; কেননা তিনি যা জিজ্ঞেস করছিলেন তার উত্তর আমাকে দিতে হচ্ছিল এবং মিথ্যা বলার কোন সুযোগই ছিল না। আমি যে সকল উত্তর দিয়েছিলাম সবগুলোই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে গুণকীর্তন স্বরূপ হচ্ছিল। অতঃপর বুঝা যাচ্ছে  জাহেলি যুগেও  মিথ্যা বলার কালচার চালু ছিল না, এমতাবস্থায় একজন মুসলমান, মুসলমান  হওয়ার দাবি করা সত্ত্বেও কি করে মিথ্যা বলতে পারে তা ভাববার বিষয়।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br /></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">অসত্য মেডিকেল সার্টিফিকেট</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
পরিতাপের বিষয়, বর্তমানযুগে মিথ্যার ব্যাপকতা এতোই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, যারা হারাম-হালাল, জায়েয-নাজায়েয এবং শরীয়তের ওপর চলতে চেষ্টা করেন তারাও এ নিকৃষ্ট ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের অবস্থা দেখে মনে হয়,  মিথ্যার বহু আকার-ধরনকে তারা  মিথ্যার আওতা-বহির্ভূত করে রেখেছেন। অথচ সে মিথ্যাকাজ করে দ্বিগুণ গোনাহ উপার্জন করছে। প্রথমত, মিথ্যা বলার গোনাহ, দ্বিতীয়ত, গোনাহকে গোনাহ মনে না করার গোনাহ। একদা এক ব্যক্তি, যিনি অত্যন্ত নেককার, নামাজ রোজার পাবন্দ ছিলেন, যিকির-আযকারেও লিপ্ত থাকতেন, বুযুর্গদের সহবতেও থাকতেন।  তিনি দেশের বাইরে থাকতেন। তিনি একবার দেশে এলেন এবং  আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কখন কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন? উত্তরে তিনি বললেন ০৮/১০ দিন পর ফিরে যাওয়ার এরাদা রাখি। আমার ছুটিও শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমি গতকালই অতিরিক্ত ছুটির জন্য একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দিয়েছি।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br /></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">দ্বীন কি শুধু নামাজ রোজার নাম </strong><strong style="box-sizing: border-box;">?</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রেরণের কথাটি এমনভাবে তিনি বললেন যেন এটা কোনো  ব্যাপারই নয়। এটা বরং খুবই সাধারণ বিষয়। তার মধ্যে চিন্তিত হওয়ার নুন্যতম লক্ষণটিও প্রকাশ পেতে দেখলাম না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কীভাবে মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠালেন। উত্তরে বললেন, অতিরিক্ত ছুটি আদায়ের জন্য প্রেরণ করেছি। যদি এমনিই ছুটি চাইতাম তাহলে ছুটি মিলত না। এ সার্টিফিকটের কল্যাণে  আমি ছুটি পেয়ে যাব। আমি পুনরায় প্রশ্ন করলাম, আপনি মেডিকেল সার্টিফিকেটে কি লিখেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, তাতে লেখা আছে, আমি এতটুকু অসুস্থ যে এ অবস্থায় আমার পক্ষে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। আমি বললাম, জনাব! দ্বীন কি শুধু নামাজ রোজার নাম? যিকিরে মশগুল থাকার নাম? আপনার তো বুযুর্গদের সাথে সুসম্পর্কও রয়েছে। এতদসত্ত্বেও কি করে এ মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠালেন? অথচ আপনি তো সুস্থ ব্যক্তি। তিনি তাৎক্ষণাৎ পরিস্কারভাবে বলে দিলেন, আজই প্রথম আমি আপনার মুখ থেকে এ ধরনের  কথা শুনলাম, এও একটি মিথ্যা কাজ? আমি বললাম, জনাব! তাহলে আর মিথ্যা কাকে বলে? উনি জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে অতিরিক্ত ছুটি কিভাবে নেব? আমি বললাম আপনার যতদিন ছুটি একান্ত প্রয়োজন ততদিন ছুটি নেবেন। অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে বিনা বেতনে ছুটি গ্রহণ করুন, তাহলে তো আপনাকে এ মিথ্যা সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজন পড়ে না। আজকাল মানুষ মনে করে, মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠানো মিথ্যার অন্তর্ভূক্ত নয়, আর দ্বীন তো শুধু নামাজ রোজা, যিকির-আযকারের নাম। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে অহরহ মিথ্যা বলার দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মিথ্যা সুপারিশ</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
একজন বিজ্ঞ, জ্ঞানী ও বুযুর্গ ব্যক্তির একটি সুপারিশ-নামা আমার নিকট আসল। আমি তখন জেদ্দায় অবস্থান করছিলাম। পত্রে তিনি লিখেছেন, পত্রবাহক অমুখ দেশের নাগরিক। তবে  তিনি আপনার দেশে যেতে চান।  অতএব আপনি দূতাবাসে একটি সুপারিশ লিখে দেন, তাকে যেন আপনার দেশের একটি পাসপোর্ট প্রদান করা হয়, এ সূত্রে যে তিনি আপনার দেশেরই নাগরিক এবং তার  পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে। এ মর্মে আপনার দেশের দূতাবাসে একটি দরখাস্তও জমা দেয়া আছে। অতএব, আপনি তার সুপারিশটি করে দেবেন। পাঠকবৃন্দ! আপনারাই বলুন : ওখানে উমরা পালন হচ্ছে, হজ্জ আদায় হচ্ছে, তাওয়াফ ও সায়ী হচ্ছে, সে দেশে অবস্থান করা সত্ত্বেও এধরনের মিথ্যা ও ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। মনে হয় যেন এসব ব্যাপার তাদের কাছে  দ্বীনের কোনো অংশই না। আসল ব্যাপার হল দ্বীনের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। মানুষ এটা ধারণা করে নিয়েছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাকে মিথ্যা মনে করে বললেই কেবল মিথ্যা  হবে। আর ডাক্তারের কাছ থেকে মিথ্যা মেডিকেল সার্টিফিকেট বানিয়ে নেওয়া, মিথ্যা সুপারিশনামা লিখিয়ে নেয়া অথবা মিথ্যা মামলা দায়ের করা, এগুলো যেন  কোনো মিথ্যাই নয়।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
 অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন: </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
“<span class="amp-wp-inline-fc48bf9413b3fd7ba777ef5713dcaa93" style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তার কাছে  সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।</span>” </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
[<span class="amp-wp-inline-6958ba8c880d53a1ec508eb764481a8c" style="box-sizing: border-box; color: green;">সূরা কাফ : ১৮</span>] </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
অর্থাৎ তোমাদের মুখ থেকে যা কিছু উচ্চারিত  হয় তা তোমাদের আমলনামায় রেকর্ড করা হচ্ছে।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা না বলা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আবু হুরায়রা (রা) রাসূল (সা) থেকে বর্ণনা করেন, “<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">যে কেউ কোন শিশুকে বলবে, ‘এই দিকে এসো তোমাকে এই জিনিসটি দেবো’ এবং শিশুটিকে সেই জিনিষটি না দেয় তবে সেটি তার পক্ষ থেকে মিথ্যে কথা বলে গণ্য হবে।”</span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
 (সুনানে আবু দাঊদঃ ৪৯৯১) । </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
এ হাদীস দ্বারা আমরা এ শিক্ষা পাই যে, বাচ্চাদের সাথেও মিথ্যা বলা যাবে না। তাদের সাথে কৃত অঙ্কীকার ভঙ্গ করা যাবে না। নতুবা জীবনের শুরুতেই, মিথ্যা বলা অন্যায় নয়, এমন  মনোভাব তাদের  অন্তরে প্রোথিত হবে।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">ঠাট্টাবশত মিথ্যা না বলা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আমরা অনেক সময় হাসি-ঠাট্টাবশত মিথ্যা বলে থাকি। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এধরনের মিথ্যা বলতে নিষেধ করেছেন। একটি  হাদীসে এসেছে  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আফসোস করে বলেছেন,<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;"> </span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">“ঐ ব্যক্তির জন্য কঠিন শাস্তি, কঠিন শাস্তি, অতঃপর কঠিন শাস্তি যে মিথ্যা বলে মানুষকে হাসানোর উদ্দেশ্যে।”</span> </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
(তিরমিজীঃ ২৩৫, সুনানে আবু দাঊদঃ ৪৯৯০) </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হাসির গল্প, আনন্দদায়ক কথা বা ঠাট্টা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও করেছেন। কিন্তু কখনো তিনি  এমন করেন নি যে, যা অসত্য বা বাস্তবতা-বিরোধী সে ধরনের কোনো কথার আশ্রয়  নিয়েছেন।  </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হাদীসে এসেছে, </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">একবার এক বৃদ্ধ মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এলেন। তিনি আবেদন পেশ করে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমার জন্য জান্নাত লাভের দোআ করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হে ওমুকের মা! বৃদ্ধারা বেহেশতে যাবে না। একথা শুনে বৃদ্ধা খুবই উৎকন্ঠিত হলেন, এমনকী ক্রন্দন শুরু করে দিলেন। তিনি ভাবলেন যে কক্ষনোই তার বেহেশতে যাওয়া হবে না। বৃদ্ধার অবস্থা দেখে  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাখ্যা করে বললেন যে, কোনো বৃদ্ধমহিলা বৃদ্ধাবস্থায় বেহেশতে প্রবেশ করবে না। বরং আল্লাহ তাদেরকে নতুন সৃষ্টিতে রূপান্তরিত করবেন। অতঃপর পূর্ণযৌবনা-কুমারী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এরপর তিনি কুরআনের এ আয়াতটি পড়ে শোনালেন</span>, </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-fc48bf9413b3fd7ba777ef5713dcaa93" style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">নিশ্চয় আমি তাদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করব, অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়সী</span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-fc48bf9413b3fd7ba777ef5713dcaa93" style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;"><span class="amp-wp-inline-6958ba8c880d53a1ec508eb764481a8c" style="box-sizing: border-box; color: green;">(কুরআন ৫৬ঃ৩৫-৩৬) </span></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-fc48bf9413b3fd7ba777ef5713dcaa93" style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;"><span class="amp-wp-inline-6958ba8c880d53a1ec508eb764481a8c" style="box-sizing: border-box; color: green;"><span class="amp-wp-inline-67be225e6a65c56b5bf5028142235c8c" style="box-sizing: border-box; color: black;">(সুনানে তিরমিজী, আহমাদ; হাদীসটি হাসান) </span></span></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
এখানে দেখা যাচ্ছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত সুন্দর কৌতুক করলেন। অথচ তা বাস্তবতাবিরোধী বা কোনো অর্থেই  অসত্য নয়।</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<br /></div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">অসত্য চারিত্রিক সার্টিফিকেট</strong></span></h3>
<div>
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;"><br /></strong></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
বর্তমানে এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। এমনকি  দ্বীনদার শিক্ষিত লোকেরাও  এক্ষেত্রে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। মানুষ হয়ত নিজের নামে মিথ্যা চারিত্রিক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করছে, অথবা অন্যদের লিখে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কারো একটি চারিত্রিক সনদ প্রয়োজন। সে কারো নিকট এসে উপস্থিত হলো এবং একটি চারিত্রিক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে ফেলল। লেখক হয়ত লিখে দিলেন, আমি তাকে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ দেখেছি। সে খুব ভাল লোক। তার চরিত্র খুবই সুন্দর। আফসোসের বিষয় একবারের জন্যেও ভেবে দেখলেন না যে তিনি  একটি নাজায়েয কাজ করলেন, বরং এর উল্টো হয়ত তিনি ভেবে নিয়েছেন যে  তিনি একটি ভাল  কাজ করলেন। কেননা প্রার্থীর জন্য তা খুবই প্রয়োজন ছিল। সে অভাব তিনি পূরণ করে দিলেন। কারো অভাব দূর করে দেয়া  পুণ্যের কাজ। এধরণের ভাবনা নিয়ে মিথ্যে একটি সনদ দিয়ে দিলেন, অথচ ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। অথবা কোনো পরিচয়-ই নেই। এহেন অবস্থায় সার্টিফিকেট দাতা যেমন গোনাহগার হবে তদ্রূপ  গ্রহীতাও গোনাহগার হবে সমানভাবে।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">চরিত্র সম্পর্কে অবগতির দু</strong><strong style="box-sizing: border-box;">‘</strong><strong style="box-sizing: border-box;">টি পন্থা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
উমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সামনে এক ব্যক্তি এসে তৃতীয় একজন সম্পর্কে বলতে লাগল যে, অমুক ব্যক্তি খুব ভাল মানুষ। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা বলুন তো আপনার কি ঐ ব্যক্তির সাথে কোনো লেনদেন হয়েছে? লোকটি বলল, না। পুনরায় প্রশ্ন করলেন, আপনার কি তার সাথে কোনো ভ্রমন হয়েছে? লোকটি বলল, না। অতঃপর উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তাহলে আপনি কিভাবে অবগত হলেন যে, তার চাল-চলন ও চরিত্র খুব ভাল। একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে তখনই অবগতি লাভ করা যায় যখন তার সাথে কোনো লেন-দেন করা হয়। দ্বিতীয় পথ হলো তার সাথে ভ্রমন করা। আর ভ্রমনের সময় একজন মানুষ সম্পর্কে একটি চরিত্র-চিত্র ফুটে উঠে। </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-a5d0b3d3aa62c8a125e6a003f0f23178" style="box-sizing: border-box; color: maroon;">(শারহে যা’দ আল-মুসতাকনিঃ খন্ড ৬৫, পৃষ্ঠা ৩)</span>  </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
তার চরিত্র, তার কাজ-কর্ম, তার সঠিক অবস্থান, তার আগ্রহ, তার চিন্তা-চেতনা সবকিছুই ভেসে উঠে। আপনি যদি তার সাথে কোন লেন-দেন করতেন বা ভ্রমন করতেন কেবল তখনই তার সম্পর্কে আপনার এ ভাল মন্তব্য যথাযথ বলে মনে করা হত। কিন্তু যখন আপনার সাথে এ দু’টির একটিও সংগঠিত হয়নি তাই তার সম্পর্কে চুপ থাকাই শ্রেয়। ভাল-মন্দ কোনোটাই বলার দরকার নেই। তাই কারো সম্পর্কে  কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, সে কেমন? তখন উত্তরে কেবল ততটুকুই বলুন যতটুকু তার সম্পর্কে জানেন। আপনি যদি তাকে নামাজ পড়তে দেখেন তাহলে কেবল এতটুকু বলুন যে  নামাজ পড়ার সময় তো মসজিদে তাকে দেখেছি, তবে এতদভিন্ন  অন্যান্য অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত নই।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">সার্টিফিকেট একটি সাক্ষীস্বরূপ</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে – </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
“<span class="amp-wp-inline-fc48bf9413b3fd7ba777ef5713dcaa93" style="box-sizing: border-box; color: #ff6600;">তবে তারা ছাড়া যারা জেনে বুঝে সত্য সাক্ষী দেয়</span>” [<span class="amp-wp-inline-6958ba8c880d53a1ec508eb764481a8c" style="box-sizing: border-box; color: green;">সূরা যুখরুফ : ৮৬</span>]</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
স্বরণ রাখা চাই, যিনি সার্টিফিকেট এর উপর স্বাক্ষর করছেন তিনি প্রকৃতপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করছেন। উপরে বর্ণিত আয়াতের আলোকে সাক্ষী দেয়া তখনই জায়েয হবে যখন সে ঐ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকেফহাল হবে। অন্যথায় সাক্ষী দেয়া বৈধ নয়। বর্তমানে অহরহ এমন হচ্ছে যে, কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার আদৌ কোনো ধারণা  নেই অথচ তাকে একটি চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছেন। এটা তো প্রকাশ্য মিথ্যা, গোনাহ। আর মিথ্যা সাক্ষী তো এমন ভয়ঙ্কর পাপ যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শিরক এর সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মিথ্যা সাক্ষী শিরক সমতুল্য</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হাদীসে এসেছে, </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসে ছিলেন এ অবস্থায় তিনি সাহাবাদের বললেন, বড় গোনাহ সম্পর্কে কি আমি তোমাদের বলব? সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বড় গোনাহের অন্তর্ভুক্ত হল কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা তথা শিরক করা, মাতা-পিতার নাফরমানী করা। অতঃপর সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া। (একথা তিনবার বললেন)</span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
(সহীহ বুখারীঃ ২৬৫৪) </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, প্রথমত মিথ্যা সাক্ষীকে  তিনি শিরক এর সমপর্যায়ভুক্ত করেছেন, দ্বিতীয়ত, কথাটি তিনবার উল্লেখ করেছেন এবং হেলান দেয়া থেকে সোজা হয়ে বসে বলেছেন। কুরআন মাজীদেও  একে শিরক এর সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">সার্টিফিকেট প্রদানকারীও গোনাহগার হবে</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
মিথ্যা সাক্ষী প্রদান করা, মিথ্যা বলার চেয়েও গুরুতর এবং ভয়ঙ্কর। কেননা এতে কয়েক প্রকার গোনাহ হয়ে থাকে। প্রথমত, মিথ্যা বলার গোনাহ। দ্বিতীয়ত, অন্যকে পথভ্রষ্ট করার গোনাহ। মিথ্যা সার্টিফিকেট যখন অন্যের নিকট পৌঁছবে তখন ঐ ব্যক্তি মনে করবে সে তো খুব ভাল লোক এবং সে কারণে তার সাথে হয়ত কোনো ভালো লেন-দেনও করে বসবে। ফলে তার  ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আর সে ক্ষতিগ্রস্থতার দায়ভার ঐ মিথ্যা সার্টিফিকেটপ্রদানকারীর ওপরই বর্তাবে। সুতরাং মিথ্যা সাক্ষীর ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। এটা কঠিন ও শক্ত গোনাহ।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">আদালতে মিথ্যা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
আজকাল সমাজে এটি প্রচলিত হয়ে গেছে যে, কেউ অন্য কোথাও মিথ্যা কথা না বললেও আদালত ভবনে মিথ্যা বলবেন-ই। সাধারণ মানুষকে তো এ পর্যন্ত বলতে শোনা যায় যে, মিয়া! সত্য সত্য বলে দাও। মিথ্যা বলতে হয় তাহলে কিছুক্ষণ আদালতে দাঁড়াও। উদ্দেশ্য হলো মিথ্যা বলার স্থান হলো আদালত ভবন। ওখানে গিয়ে মিথ্যা বল। এখানে পারস্পরিক আলোচনা হচ্ছে, এখানে সত্য সত্য বলে দাও। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা সাক্ষীকে শিরক সমতুল্য  অপরাধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মাদরাসাসমূহের প্রত্যায়নপত্র</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
কারো সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে  অথবা সত্য জানা থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা বক্তব্যযুক্ত  সার্টিফিকেট প্রদান করা, উদাহরণত সুস্থ্য থাকা সত্ত্বেও  কাউকে অসুস্থ্য হওয়ার সার্টিফিকেট প্রদান করা অথবা পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও পাশ হওয়ার সার্টিফিকেট প্রদান করা, এসবই হল মিথ্যার অন্তর্ভূক্ত। আমার নিকট অনেক লোক তাদের মাদরাসার জন্য প্রত্যায়ন পত্রের জন্য আসেন।  সেখানে এ কথা উল্লেখ করতে হয় যে ওমুক মাদ্রাসাটি বাস্তবকি অর্থেই  প্রতিষ্ঠিত আছে। ওখানে অমুক জামাআত পর্যন্ত লেখা-পড়া হচ্ছে। এ ধরনের প্রত্যায়ন পত্রের উদ্দেশ্য দাতাদেরকে মাদ্রাসাটির অস্তিত্ব সম্পর্কে আশ্বস্ত করা, তাদের কাছে মাদ্রাসাটিকে গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য  মনও চায় যে, একটি প্রত্যায়ন পত্র লিখে দিই। কিন্তু এটা তো একটি সাক্ষী, আর যখন মাদরাসা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই তখন আমি কী করে একটি প্রত্যায়ন পত্র লিখতে পারি। এটা তো প্রকাশ্য মিথ্যা সাক্ষী। তবে হ্যাঁ যদি মাদরাসা সম্পর্কে অবগত থাকতাম  তাহলে আমার অবগতির মাত্রানুযায়ী আমি লিখে দিতাম।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<strong style="box-sizing: border-box;"><span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;">কিতাবের ভূমিকা লেখা একটি সাক্ষী</span></strong></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
অনেকই কিতাবের ভূমিকা লিখে নেওয়ার জন্য আসেন, তারা বলেন যে, আপনি লিখে দিন, এ কিতাবটি ভাল ও সঠিক। অথচ কেউ যখন  সম্পূর্ণরূপে কোনো কিতাব না পড়বে অথবা তাতে আলোচিত  বিষয়ের উপর পূর্ণভাবে  অবগত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিভাবে তা লিখে দেয়া সম্ভব যে, এটা সঠিক কিতাব। এর মধ্যে কোন ভুল নেই? অনেক লোক এ ধারণাবশত ভূমিকা লিখে দেন যে, এ ভূমিকার ফলে পুস্তক লেখকের ফায়দা হবে, তার মঙ্গল হবে। অথচ ভূমিকা একটি সাক্ষীস্বরূপ এবং তার সাক্ষীতে ভুল থাকাটাকে মানুষ ভুল হিসেবে মনেই করবে না। অনেকেই বলেন,  জনাব! আপনার কাছে তো সামান্য কাজের জন্যই এসেছি। একটু কষ্ট করে যদি দুই কলম লিখে দিতেন,  অথবা একটি সার্টিফিকেট দিতেন তাহলে খুব উপকার হতো, আপনারও কোনো ক্ষতি হতো না? লোকটি অথবা বইটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে যদি না লিখে দেই তবেই সে মনে মনে বলতে শুরু করে, এই মানুষটি তো খুব খারাপ, কাউকে একটি সার্টিফিকেট পর্যন্ত লিখে দিতে চান না। অথচ কথা তো তা নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর নিকট জবান থেকে বের হয়ে-আসা  প্রতিটি কথারই হিসেব দিতে হবে। যা কলম দ্বারা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে তা তো আল্লাহর নিকট রেকর্ড হচ্ছেই। জিজ্ঞাসিত হতে হবে যে, তুমি অমুক সুন্দর শব্দসমূহ যা মুখ থেকে বের করেছ তা কোন ভিত্তির উপর করেছ? তা স্বেচ্ছায় প্রনোদিত হয়ে করেছ ; না অনিচ্ছাকৃতভাবে করেছ।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
প্রিয় পাঠক! আমাদের পরিবেশ মিথ্যার এক ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত। আর এ ব্যাধিটি দ্বীনদার ব্যক্তি, শিক্ষিত ব্যক্তি, নামাজী, বুযুর্গদের সাথে সম্পর্ক রাখেন, জিকির-আযকারে লিপ্ত এমন ব্যক্তিরাও  মিথ্যাকে  না জায়েয বা খারাপ মনে করেন না। একটি অসত্য সার্টিফিকেট দেয়াকেও তারা পাপ বলে ভাবছেন  না। হাদীসে যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফেকদের নিদর্শন বলতে গিয়ে বলেছেন, যখন কথা বলে মিথ্যা বলে। এ সবই দ্বীনে ইসলামের অংশ। এগুলো দ্বীনের আওতাভুক্ত মনে না করা পথভ্রষ্টতার লক্ষণ। এ জন্য আমাদের এ সব থেকে পরিত্রাণ আবশ্যক।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">অসত্য বলার অনুমতি</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হ্যাঁ। এমন কিছু বাস্তবতা আছে, যেখানে অসত্য বলার অনুমতি রয়েছে। যেমন যেসকল ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার ব্যাপারে কেউ অপারগ হয়ে পড়ে। মিথ্যা বলা  ছাড়া তার অন্য কোনো বিকল্প থাকে না। মিথ্যা না বললে নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হবে  যা সহ্য করা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় শরিয়ত অসত্যের আশ্রয় গ্রহণকে অনুমতি দিয়েছে। এখানে কথা হচ্ছে প্রথমত, সরাসরি অসত্য বলা থেকে বাঁচার  চেষ্টা করতে হবে, বরং এমন ঘোর-প্যাচমূলক শব্দ বলতে হবে  যাতে এ মুসিবত দূর হয়ে যায়। যাকে শরিয়তের পরিভাষায় তা’রীজ এবং তাওরিয়া বলা হয়। যার উদ্দেশ্য হল এমন শব্দ প্রয়োগ  যাতে বাহ্যত শব্দটি অন্য অর্থ প্রকাশ করে। অর্থাৎ প্রশ্নকারীর দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরে যায়। আর বাস্তবে মনে মনে শব্দের মূল অর্থকেই চিত্রিত করে রাখতে হবে।  ঠিক এভাবেই বহুমূখী অর্থ প্রকাশ করে এমন শব্দ বলে নিজেকে সরাসরি অসত্য বলা থেকে রক্ষা করবে।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর আত্মরক্ষা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হিজরতের সময় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মদীনার পানে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। মক্কাবাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ধরে নিয়ে আসার  জন্য সর্বত্র গোয়েন্দা নিয়োগ করেছিল এবং এ ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল যে, যে ব্যক্তি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ধরে এনে দিতে পারবে তাকে একশত উট পুরস্কার দেয়া হবে। ফলে মক্কার প্রায় সকল মানুষই, এ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এমতাবস্থায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে চেনে এমন এক লোকের সাথে দেখা হয়ে যায়। কিন্তু ঐ ব্যক্তিটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিনত না। আগত ব্যক্তিটি আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলো, আপনার সাথী লোকটি কে? আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু চাচ্ছিলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচয় কেউ না পাক, শত্রুরা তার অবস্থান সম্পর্কে অবগত না হোক। এমতাবস্থায় তিনি যদি সরাসরি  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিচয় দিয়ে দেন তবে  মারাত্মক হুমকির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।  আর যদি পরিচয় না দেয়া হয় তাহলে অসত্য বলা ভিন্ন অন্য কোনো উপায় থাকে না।তাই আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু অত্যন্ত কৌশলে বললেন, “তিনি আমার পথ প্রদর্শক, যিনি আমাকে পথ দেখান ।”</div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
এখানে প্রশ্নকারী উত্তর শুনে ভাবল, সাধারণত ভ্রমনের সময় যেমন পথপ্রদর্শক থাকে ঐ লোকটিও তাই। কিন্তু আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু মনে মনে অর্থ করলেন যে তিনি আমায় দ্বীনের পথ দেখান, জান্নাতের এবং মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য অর্জনের পথ দেখান। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, সরাসরি মিথ্যা বলা থেকে কিভাবে নিজেকে হিফাজত করা হয়েছে। এখানে এমন শব্দ বলা হয়েছে যাতে উপস্থিত সমস্যাও দূর হয়ে গেল  এবং অসত্যও বলা হলো না। সার কথা এই যে, কেউ যদি ইচ্ছা করে যে সে অসত্য বলবে না তাহলে আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">মিথ্যা বলা পাপ এ বিষয়ে বাচ্চাদের মানসিকতা গড়ে তোলা।</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
বাচ্চাদেরকে সত্যবাদী করে গড়ে তুলতে হবে, মিথ্যাকে যেন  তারা ঘৃণা করে সেধরণের মানসিকতা গঠন করতে হবে।  বাচ্চাদের সাথে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন তারা  মিথ্যা বলার ইচ্ছাপোষণ থেকে বিরত হয়ে যায়। সত্যের প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়। এ জন্য বাচ্চাদের সামনে কেউ যেন কখনো মিথ্যার আশ্রয় না নেয়। কেননা বাচ্চারা মাতা পিতার অনুসরণ করে। মাতা পিতা মিথ্যা বললে বাচ্চারাও মিথ্যাকে স্বাভাবিক ভাববে। তারা মনে করবে মিথ্যা বলা কোনো অন্যায় নয়, কোনো পাপ নয়। বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই মিথ্যা থেকে দূরে রাখতে হবে। কেননা বাচ্চাদের হৃদয়ে যা অঙ্কিত হয় তা যেন পাথরে অনেপনীয়ভাবে অঙ্কিত হয়, তা কখনো মুছে যায় না। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় নবুয়্যতের মর্যাদার পরে উচুস্থান হলো “সিদ্দীক” এর স্থান। সিদ্দীক শব্দের অর্থ হলো নিরেট সত্যবাদী। যার কথা ও কাজে বাস্তবতার বিরোধী কিছু থাকে না, থাকার সম্ভাবনা  নেই।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">কাজের মাধ্যমেও মিথ্যা প্রকাশ পায়</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
মিথ্যা যেমন মুখের কথায় প্রকাশ পায়, তেমনি অনেক সময় কাজের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়। অনেক সময় মানুষ এমন আচরণ করে, যা বাস্তবে প্রকাশ্য মিথ্যা। </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
হাদীস শরীফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
<span class="amp-wp-inline-ee63555fecb0a9178aef1b51aec2ef18" style="box-sizing: border-box; color: #3366ff;">“যা তাকে দেয়া হয়নি এমন বিষয় সম্পর্কে যদি কেউ ( দেওয়া হয়েছে বলে) পরিতৃপ্তি প্রকাশ করে তাহলে সে যেন মিথ্যার পোশাক পরিধান করল।”</span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
(তিরমিজীঃ ২০৩৫; আবু দাঊদঃ৪৮১৩) </div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
কোনো ব্যক্তি নিজের কাজের মাধ্যমে এমন ভাব প্রকাশ করে যা বাস্তবে সত্য নয়। তার উদ্দেশ্য, বাস্তবে সে যা নয় তা কাজের মাধ্যমে বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করা। এটি গোনাহ। যেমন কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে  ধনী নয়। কিন্তু তার উঠা-বসা, চলা-ফেরায়, আচার-আচরণে এমন অবস্থা প্রদর্শন করে যে, সে অর্থশালী, সম্পদশালী  বলে প্রতিভাত হয়। একে বলে কাজের মাধ্যমে মিথ্যা প্রকাশ। এর বিপরীতে এমন ব্যক্তিও পাওয়া যায় যে  বাস্তবে খাওয়া দাওয়ায় খুব ভাল, অন্যান্য ক্ষেত্রেও খারাপ নয়। কিন্তু এমন ভাব প্রকাশ করে যে, তার নিকট কোন কিছুই নেই। সে অত্যন্ত মুখাপেক্ষী ও দরিদ্র ব্যক্তি। অথচ সে ধনী। একে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাজের মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন। সুতরাং কাজের ক্ষেত্রেও এমন কোনো আচরণ করা অনুচিত না যা অন্যের কাছে বাস্তবতাবিরোধী ধারণা  সৃষ্টি করে, যা মিথ্যার অন্তর্ভূক্ত।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">নামের পূর্বে বিভিন্ন উপাধির ব্যবহার</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
অনেককে দেখা যায়, নিজের নামের পূর্বে এমনসব উপাধি লেখে যা বাস্তবসম্মত নয়। যেহেতু প্রচলন হয়ে আসছে এ জন্য কোন যাচাই ছাড়া লেখা শুরু করে দেয়। যেমন কেউ কারো নামের পূর্বে সৈয়দ লেখা আরম্ভ করে দিল। আসলে সে সৈয়দ নয়। সৈয়দ তো বলা হয়, পিতার বংশনামার দিক থেকে  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধর হওয়া। অনেক মানুষ মায়ের দিক দিয়েও সৈয়দ লেখা আরম্ভ করে। এটি ভুল। যতক্ষণ পর্যন্ত সৈয়দ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ তা লিখা উচিৎ নয়। আর নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি খুবই কঠিন।</div>
<h3 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #111111; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 22px; line-height: 29px; margin: 27px 0px 17px;">
<span class="amp-wp-inline-b4d53580e328b11ad8ddd5d9935c613a" style="box-sizing: border-box; color: #993300;"><strong style="box-sizing: border-box;">নামের পূর্বে প্রফেসর বা মাওলানা লেখা</strong></span></h3>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #222222; font-family: -apple-system, ".SFNSText-Regular", "San Francisco", Roboto, "Segoe UI", "Helvetica Neue", "Lucida Grande", sans-serif; font-size: 15px; line-height: 26px; margin-bottom: 26px;">
অনেককে দেখা যায় বাস্তবে সে প্রফেসর নয়, কিন্তু নামের সাথে প্রফেসর লেখা আরম্ভ করে দেয়। মূলত, প্রফেসর একটি নির্দিষ্ট পরিভাষা যা বিশেষ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই  প্রযোজ্য। অথবা কেউ তার নামের পূর্বে শায়খ বা মাওলানা লিখা আরম্ভ করল। উদ্দেশ্য, সে  মাদরাসায় পড়ায় বা দ্বীনি কাজের সাথে জড়িত এ কথা প্রকাশ করা।  অথচ সে কোনো দ্বীনি  মাদারাসায় পড়া-লেখা করে নি। বর্তমানে অনেকেই আছে যারা নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা অর্জন করে নি, অথচ নামের পূর্বে মাওলানা লিখে, শায়খ লিখে। এটা বাস্তবতার  বিরোধী হওয়ায় মিথ্যা বলে গণ্য হবে। সমাজে একে মিথ্যা মনে করা হয় না। এবং গোনাহের কাজও মনে করা হয় না। এজন্য আমাদের এ সমস্ত অসত্য শব্দ প্রয়োগ থেকে দূরে থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে এ সমস্ত গোনাহ হতে হেফাজত করুন। আ-মী-ন।</div>

মিথ্যার প্রচলিত আকার-প্রকৃতি

আলহামদুলিল্লাহ ওয়াশ শুকরু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ'লা ইমামুস সাক্বালাইনি।।আম্মা বা'দঃ- মিথ্যার প্র...

ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৯

ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) (আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) </h2>
<div>
কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি</div>
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
<br /></h2>
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
শব্দ পরিচিতি</h2>
<h2>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) এর অর্থ :</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<blockquote new="" roman="" style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal; margin: 0px; padding: 0.5em 10px;" times="">
- "ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা।<br />
- "মিলাদ অর্থ জন্মবৃত্তান্ত"<br />
- "আন-নবী মানে আমাদের নবী (ﷺ)"</blockquote>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
"মীলাদের" তিনটি সাদৃশ্যপূর্ণ আরবি শব্দ রয়েছে:</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<blockquote new="" roman="" style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal; margin: 0px; padding: 0.5em 10px;" times="">
১) ميلاد মীলাদ, ২) مولد মাওলিদ, ৩) مولود মাওলূদ |<br />
আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ মীলাদুন্নবী (ﷺ) বলতে রাসূল পাক (ﷺ) উনার বিলাদত শরীফকেই বুঝায় আর পারিভাষিক বা ব্যাবহারিক অর্থে,<br />
মিলাদুন্নবী (ﷺ) বলতে, হুজুর পাক (ﷺ) উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা-সিফাত আলোচনা করা, উনার প্রতি দুরুদ-সালাত-সালাম পাঠ করা, এবং উনার পবিত্রতম জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনা বুঝানো হয় !</blockquote>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা নিয়ে আহলুল বিদাহ এর মধ্য মতভেদ রয়েছে। তবে আহলুস-সুন্নাহর অনুসারী তথা ৮০% মুসলিম উম্মাহর এই ব্যাপারে কোন ইখতেলাফ নেই।</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
</h2>
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
বিষয়ভিত্তিক আয়াত</h2>
<h2>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
এক নজরে, মিলাদুন্নবী (ﷺ) সম্পর্কিত বিষয়ভিত্তিক কিছু আয়াত :</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<ul font-size:="" medium="" new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-ইমরান ৮১, ১৬৪</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-আম্বিয়া ১০৭</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা আহযাব ৫৬ (দুরুদ পড়ার হুকুম)</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-মায়েদা ১৫, ২০ (মূসা আ. এর মিলাদ)</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা তওবা ৩৩, ১২৮</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা সাফ ৬,৮</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">জুমুয়া ২</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">বালাদ ১-২</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-ইব্রাহীম ৫ (মূসা আ. এর মিলাদ), ২৮ (বুখারী শরীফে শানে নুযুল), ৩৪</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা নাহল ৮৩</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-ইনশিরাহ ১-৪</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">ক্বাফ ২</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আনফাল ৩৩</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আদ-দ্বোহা ১১</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আল-আরাফ ১৫৭</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা হিজর ১৭২</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">সূরা ফাতহ ৮,৯, ২৮</span></li>
<li><span style="font-weight: bolder;">আন-নিসা ৫৯, ১৬৪, ১৭৫</span></li>
</ul>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
</h2>
<h2 id="আল-কুরআন_ও_তফসীরের_আলোকে_প্রমাণিত" style="font-family: sans-serif;">
আল-কুরআন ও তফসীরে মিলাদুন্নবী (ﷺ) <a class="external text" data-ve-attributes="{" href="https://sunnipedia.blogspot.com/2018/09/blog-post_635.html?m=1" id="mwOQ" mwextlink="rel:mwextlink" rel="mw:ExtLink">[Read]</a></h2>
<h2>
<div id="mwOg" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
সর্বজন সমাদৃত <span id="mwOw" style="font-weight: bolder;">বিখ্যাত</span><span id="mwOw" style="font-weight: bolder;"> </span><span id="mwOw" style="font-weight: bolder;"><a class="external text" data-ve-attributes="{" href="https://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2018/03/blog-post_11.html?m=1" id="mwPA" mwextlink="rel:mwextlink" rel="mw:ExtLink">(→) তফসীরগ্রন্থ</a></span> থেকে আয়াতের ব্যাখ্যা সংযুক্ত করা হল।</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwPQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwPg"><span id="mwPw" style="font-weight: bolder;">আয়াত ১</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwQA" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,<br />
اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا<br />
অর্থ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwQw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশতী) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন | খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !"<br />
(সূরা মায়িদা ১১৪)</blockquote>
</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwRQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwRg"><span id="mwRw" style="font-weight: bolder;">ব্যখ্যা</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwSA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwRg"><span id="mwRw" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwRg"><span id="mwRw" style="font-weight: bolder;">:</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwSQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ?</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwSg" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন | এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয়, তাহলে <span id="mwSw" style="font-weight: bolder;">যার উসীলায় জগৎ সৃষ্টি</span>, যিনি সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি'মাতুল কুবরা হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন কি আনন্দ বা ঈদ হতে পারে না? খুশি করা যাবে না ?</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwTA" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
অবশ্যই হুজুর পাক (ﷺ) উনার আগমনের দিন ইমানদারদের জন্য খুশির দিন আর <span id="mwTQ" style="font-weight: bolder;">শয়তানের কান্নার দিন।</span><span id="mwTQ" style="font-weight: bolder;"><a class="external autonumber" data-ve-attributes="{" href="http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2017/11/blog-post_29.html?m=0" id="mwTg" rel="ve:NumberedLink" venumberedlink="rel:venumberedlink">[1]</a></span></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwTw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwUA"><span id="mwUQ" style="font-weight: bolder;">আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ করার হুকুম</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwUg" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwUA"><span id="mwUQ" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwUA"><span id="mwUQ" style="font-weight: bolder;">:</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwUw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
<i id="mwVA"><span id="mwVQ" style="font-weight: bolder;">আয়াত ২</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwVg" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwVA"><span id="mwVQ" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwVA"><span id="mwVQ" style="font-weight: bolder;">:</span></i><br />
আল্লাহ পাক বলেন, اذكروا نعمة الله عليكم<br />
অর্থ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwWQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !" (সূরা আল ইমরান ১০৩)<br />
<br />
<span style="font-weight: bolder;">আয়াত ৩</span><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwWw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" style="font-weight: bold;" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span><span style="font-weight: bolder;">:</span><br />
<span id="mwXQ">وأما بنعمة ربك فحدت</span><br />
<span id="mwXw">অর্থ</span><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwYA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><span id="mwXw"> </span></span><span id="mwXw">: আপনার রবের নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। (সূরা আদ-দ্বোহা ১১)</span><br />
<span id="mwYg"><br />দুনিয়ার আল্লাহর নিয়ামতের শেষ নেই কিন্তু রাসূল (ﷺ) শ্রেষ্ঠ নিয়ামত।</span><br />
<span id="mwZA">হাদিসে আছে, হযরত মুহম্মদ (ﷺ) হলেন, আল্লাহ পাকের নিয়ামত!" (বুখারী শরীফ ১/২২১)</span></blockquote>
</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwZQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<span id="mwZg" style="font-weight: bolder;">আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ এবং ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়।</span></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwZw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
সকল ফিক্বাহের কিতাবে আছে-<br />
الامر للوجوب<br />
অর্থাৎ, আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় ! (বাদায়েউস সানায়ে)<br />
<br />
দেখুন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন- اقيموا الصلوة<br />
অর্থ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwbA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তোমরা নামাজ আদায় করো।"<br />
কুরআন শরীফের এই নির্দেশ সূচক বাক্য দ্বারা নামাজ ফরজ হয়েছে |</blockquote>
</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwbg" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
তদ্রুপ সূরা ইউনূছের ৫৮ আয়াতের فليفرحوا বা খুশি প্রকাশ করো এটা আদেশ সূচক বাক্য।</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwbw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
তাহলে এই দিকে খেয়াল করলে, এ আদেশের দ্বারা রাসুলের আগমনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনস্বরূপ আনন্দিত হওয়া উত্তম কাজ এটা বিশ্বাস করা অত্যাবশ্যক। আর পালন করা সুন্নত কিংবা নফল।</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwcA" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwcQ"><span id="mwcg" style="font-weight: bolder;">সুতরাং প্রশ্ন হল, সবচাইতে বড় নিয়ামত কি ? নির্ধিদ্বায় জবাব হবে "হুজুর পাক (ﷺ) !</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwcw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
<span id="mwdA" style="font-weight: bolder;">রসূলুল্লাহ (ﷺ) মাহাত্ম্য বর্ণনার নির্দেশ</span><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwdQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><span id="mwdA" style="font-weight: bolder;"> </span></span><span id="mwdA" style="font-weight: bolder;">:</span><br />
<br />
إنا أرسلناك شاهدا ومبشر ونذير لتؤمنوا بالله و رسوله و تعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة وأصيلا<br />
৪৮:৮ - নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি হাযির (উপস্থিত) নাযির (প্রত্যক্ষ সাক্ষীস্বরূপ), সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী করে;<br />
<br />
৪৮:৯ - যাতে হে লোকেরা! তোমরা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের উপর ঈমান আনো এবং রসূলের মহত্ব বর্ণনা ও (তাঁর প্রতি) সম্মান প্রদর্শন করো আর সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সূরা ফাতাহ ৮,৯)</blockquote>
</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mweQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<span id="mweg" style="font-weight: bolder;">নবীগণের মজলিশে পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবীর [ﷺ] আলোচনা (শানে নুযুল দেখতে পারেন)</span><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwew" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><span id="mweg" style="font-weight: bolder;"> </span></span><span id="mweg" style="font-weight: bolder;">:</span></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwfA" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
وإذ أخذ الله ميثاق النبيين لما اتيتكم من كتاب و حكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال أأقررتم وأخذتم علي ذلكك إصري قالوا أقررنا قال فاشهدوا وأنا معكم من الشاهدين</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwfQ" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
অর্থ: স্মরণ করুণ! যখন আল্লাহ পাক নবীগণের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, আমি আপনাদেরকে যে কিতাব ও হিকমত প্রদান করবো।  অতঃপর তশরীফ আনবেন একজন রসূল [মুহাম্মদ (ﷺ)] ! তিনি আপনাদের প্রদত্ত কিতাবগুলোর সত্যায়ন করবেন। তখন আপনারা নিশ্চই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনাকে (পেলে) সহযোগিতা করবেন ! মহান আল্লাহ বললেন, আপনারা কি এ অঙ্গীকার স্বীকার ও গ্রহণ করলেন? উনারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করে নিলাম। তখন আল্লাহ পাক বললেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম !" (সূরা আল ইমরান ৮১)<br />
<br /></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<i id="mwfw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium;"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;">আয়াত</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwgg" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" style="font-family: sans-serif; font-size: small;" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwfw"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwfw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium;"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;">: </span></i><i id="mwfw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium;"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;">সূরা ছাফ ৬</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwgQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" style="font-family: sans-serif; font-size: small;" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwfw"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwfw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium;"><span id="mwgA" style="font-weight: bolder;">: </span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwgw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
আল্লাহ পাক বলেন,<br />
قال عيسي ابن مريم يبني اسراءيا اني رسول الله اليكم مصدقا لما بين يدي من التورة و مبشرا برسول ياتي من بعدي اسمه احمد<br />
অর্থ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwhg" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>:হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে বনী ইসরাঈল ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ! আমার পূর্ববর্তী তাওরাত শরীফের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদ দানকারী। যিনি আমার পরে আগমন করবেন, উনার নাম মুবারক হচ্ছে আহমদ (ﷺ) !" (সূরা ছফ ৬)</blockquote>
</div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwhw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwiA"><span id="mwiQ" style="font-weight: bolder;">সূরা ছাফ ৬</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwig" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwiA"><span id="mwiQ" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwiA"><span id="mwiQ" style="font-weight: bolder;">: তফসীর</span></i><span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwiw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"><i id="mwiA"><span id="mwiQ" style="font-weight: bolder;"> </span></i></span><i id="mwiA"><span id="mwiQ" style="font-weight: bolder;">:</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwjA" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<span id="mwjQ" style="font-weight: bolder;">উক্ত আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  নিজেই নিজের মীলদ শরীফ বর্ননা করেন,</span><br />
<span style="font-weight: bolder;"><br /></span></div>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal; margin: 0px; padding: 0.5em 10px;">
<span style="font-weight: bolder;">"আমি তোমাদেরকে আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো ! তা হলো<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwjw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>:<br />- আমি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর দোয়া,<br />- আমি হযরত ঈসা (আঃ) তার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ এবং<br />- "আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বের হয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল।"</span></blockquote>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mwkw" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
<i id="mwlA"><span id="mwlQ" style="font-weight: bolder;">তথ্যসূত্রঃ</span></i></div>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div id="mw5w" style="font-family: sans-serif; font-size: medium; font-weight: normal;">
</div>
<ul style="font-family: arial, helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;">
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম তাবারী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwlw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তফসীরে তাবারী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwmA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwmQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৫৫৬</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম তাবারী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwmw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তারিখুল উমাম ওয়াল মুলুক<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwnA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwnQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৪৫৮</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম কুরতুবী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwnw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তফসীরে কুরতুবী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwoA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ২<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwoQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১৩১</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে কাসীর<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwow" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তফসীরে ইবনে কাসীর<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwpA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ৪<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwpQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৩৬০</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম আবু লাইস সমরকানী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwpw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তফসীরে সমরকানী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwqA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ৩<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwqQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৪২১</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম সূয়ূতী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwqw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তফসীরে দুররে মনসূর<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwrA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwrQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৩৩৪</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম আহমদ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwrw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: মুসনাদে আহমদ খ ৪<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwsA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১২৭<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwsQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: হাদিস ১৬৭০১</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম বায়হাকী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwsw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: দালায়েলুন নবুওয়াত<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwtA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খন্ড ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwtQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: পৃ ৮৩, প ১১০</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;"> ইমাম ইবনে ইসহাক<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwtw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: সিরাতুন নবী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwuA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwuQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ২৮</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে হিশাম<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwuw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: সিরাতুন নবী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwvA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwvQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১৫৬</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে সা'দ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwvw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: তাবাকাত আল কুবরা<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwwA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwwQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১৫০</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে হিব্বান<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwww" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: সহীহ ইবনে হিব্বান<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwxA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ৯<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwxQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১০৬</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম বাগবী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwxw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: মিশকাতুল মাসাবিহ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwyA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৫১৩</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম হাকিম<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwyg" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: মুস্তাদরেক আল হাকিম<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwyw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খন্ড ২<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwzA" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: পৃ ৬০০<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwzQ" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: হাদিস ৪১৭৫</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে জাওজী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mwzw" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: আল ওয়াফা<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw0A" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৯১</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw0g" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: মাজমাউল যাওয়াইদ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw0w" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: (৮:২২১/৪০৯)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম ইমাম হিন্দি<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw1Q" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: কাঞ্জুল উম্মাল<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw1g" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw1w" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ১৭৩</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">ইমাম হালাভী<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw2Q" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: সিরাতে হালাভিয়্যাহ<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw2g" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: খ ১<span class="ve-pasteProtect" data-ve-attributes="{" id="mw2w" mwdisplayspace="typeof:mwdisplayspace" placeholder="mw:placeholder" typeof="mw:DisplaySpace mw:Placeholder"> </span>: প ৭৭</span></li>
</ul>
</h2>
<h2 id="মিলাদুন্নবী_(ﷺ)_সম্পর্কিত_কিতাব[7]" style="font-family: sans-serif;">
</h2>
<h2>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
<div style="font-family: arial, helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;">
<span style="font-family: sans-serif; font-size: small;"><span style="font-weight: bolder;"><i>এই হাদিসটির বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত সুত্রঃ</i></span></span></div>
<div style="font-family: arial, helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;">
<span style="font-family: sans-serif; font-size: small;"><span style="font-weight: bolder;"><i><br /></i></span></span></div>
<ul style="font-family: arial, helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;">
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">১. হযরত কা'ব আল আহবার (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">২. হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) এর মাতা শিফা বিনতে আমর ইবনে আউফ (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৩. হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৪. হযরত মু'য়াজ বিন জাবাল (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৫. হযরত আবু উমামা (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৬. হযরত উসমান ইবনে আবিল আস (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৭. হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৮. হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)</span></li>
<li><span style="font-family: sans-serif; font-size: small; font-weight: bolder;">৯. হযরত ইকরামা (রাঃ)</span></li>
</ul>
<div new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; font-weight: normal;" times="">
<br /></div>
</h2>
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
হাদিসের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ)</h2>
<div>
<br /></div>
<div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<br /></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<br /></div>
 <span style="font-family: "arial" , "helvetica" , sans-serif; font-size: 17.6px;">এখানে জেনে রাখা ভাল যেঃ</span><br />
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
(I) <span style="font-size: 1.1em;">শরীয়তের হুকুম এই যে,</span><span style="background-color: transparent;"> </span>ইমানহীন ব্যক্তির কঠোর সাধনার ইবাদতও জাহান্নামে দগ্ধ হবে অর্থাৎ ইমান ছাড়া আমলের কোন মূল্য হয় না।<span style="background-color: transparent;"> </span></blockquote>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
(II) <span style="font-size: 1.1em;">এই স্বপ্নের সত্যতা নিয়ে সমস্ত ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন।</span></blockquote>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
(III) <span style="font-size: 1.1em;">ইমামগণের বক্তব্যের সারাংশ এই যেঃ</span>মীলাদুন্নবী (<span style="font-size: 19.36px;">ﷺ</span>) উপলক্ষে খুশি হওয়ায় কাফির লাহাবও যদি ১টা দিন (সোমবার) আজাব লাঘব হয়ে থাকে, যার বিরোদ্ধে কিনা স্বয়ং আল্লাহ সুরা লাহাব নাজিল করেছেন, যে কাফিরদের কোন আমলই গ্রহণযোগ্য হয়না। তাহলে চিন্তার বিষয় ইমানদারদের জন্য মিলাদুন্নবী (<span style="font-size: 19.36px;">ﷺ) পালন করলে</span> বড় পুরষ্কার থাকতে পারে তা আল্লাহই ভাল জানেন । </blockquote>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;"><span style="font-weight: bolder;"><i><u><br /></u></i></span></span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;"><span style="font-weight: bolder;"><i><u>হাদিসটি হলঃ</u></i></span></span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;"><span style="font-weight: bolder;"><i><u><br /></u></i></span></span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;"><span style="font-weight: bolder;"><i><u>হযরত উরওয়া ইবনে জুবায়ের (রাঃ) থেকে বর্ণিত,</u></i></span></span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﻗﺎﻝ ﻋﺮﻭﺓ ﻭﺛﻮﻳﺒﺔ ﻣﻮﻻﺓ ﻻﺑﻰ ﻟﻬﺐ ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﻋﺘﻘﻬﺎ ﻓﺎﺭﺿﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻠﻤﺎ ﻣﺎﺕﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﺍﺭﻳﻪ ﺑﻌﺾ ﺍﻫﻠﻪ ﺑﺸﺮ ﺣﻴﺒﺔ ﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﻣﺎﺫﺍ ﻟﻘﻴﺖ ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻟﻢ ﺍﻟﻖ ﺑﻌﺪﻛﻢ ﻏﻴﺮ ﺍﻧﻰ ﺳﻘﻴﺖ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺑﻌﺘﺎﻗﺘﻰ ﺛﻮﻳﺒﺔ ০</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;">হযরত সুহাইবাহ (রাঃ) আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে [রাসুল<span class="Apple-converted-space"> </span></span><span style="font-size: 19.36px;">ﷺ]</span><span style="font-size: 1.1em;"> এর বেলাদাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে কৃতদাসী সুহাইবাহ (রাঃ) কে আযাদ করে দিয়েছিল।</span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ [হযরত আব্বাস রা.] তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন, </div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
“তোমার অবস্থা কেমন?” </div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
- আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল যে দিন [রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বেলাদতের খুশিতে] দাসী সুহাইবাকে আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে প্রতি সোমবার আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি পান করে থাকি ঐদিন (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।”</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
সূত্রঃ</div>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
★ সহিহ বুখারী : ২৬৪৪, ২৬৪৫, ২৬৪৬, ৩১০৫, ৪৭৯৬, ৫০৯৯, ৫১০০, ৫১০১, ৫১০৩, ৫১০৬, ৫১০৭, ৫১২৪, ৫১৩৩, ৫২৩৯, ৫৩৭২, ৬১৫৬<br />
★ইমাম আহমদ : মুসনাদে আহমদ : হাদিস ২৫৯৫৩ উক্ত শিরোনামে لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن পুনরায় হাদিস ২৬৮৬৫, মতন :<br />
ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة  ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن<br />
★ইমাম নাসাঈ : আস সুনানুল কুবরা : হাদিস ৫৩৯৪, ৫৩৯৫<br />
★ইমাম নাসাঈ : আস সুনান আস-সুগরা : হাদিস ৩২৮৪, ৩২৮৫, ৩২৮৬, ৩২৮৭<br />
★ইবনে মাজাহ : হাদিস ১৯৩৯ শিরোনাম ( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)<br />
★ মুসলিম : হাদিস ২৬৩৪, ২৬৩৫<br />
★ সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪১১০, ৪১১১ হাদিসের মতন :<br />
  إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن<br />
اطراف الحدیث<br />
★ইমাম বায়হাকী : সুনান আল কুবরা : বিবাহ অধ্যায়<br />
★জামেউল হাদিস : মাসানিদুস সাহাবা : হাদিস ৪৩৫৪৫<br />
★ইমাম বাগবি : শরহুস সুন্নাহ : ৯ম খন্ড : ৭৫ পৃ<br />
★ইমাম হিন্দি : কাঞ্জুল উম্মাল : ৬ খন্ড, হাদিস ১৫৭২৫<br />
★মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, ৭ম খন্ড, হাদিস ১৩৫৪৬<br />
★ইমাম আঈনী : উমদাতুল কারী শরহে বুখারী : ১৪ খন্ড, পৃ ৪৫<br />
★ইমাম ইবনে কাসীর : সিরাত আন নববিয়্যাহ : ১ম খন্ড , পৃ ২২৪<br />
★শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ<br />
★সুবলুল হুয়া ওয়ার রশদ : ১ম খন্ড, ৩৬৭ পৃ<br />
★ইবনে হাজর আসকালানী : ফতহুল বারী : ৭ম জিলদের ১২৫<br />
★ইবনুল কাইয়্যুম : তোহফাতুল মাওদুদ বি আহকাম আল মাওলুদ, ১৯ পৃ<br />
★ইবনে আব্দুল ওহাব, মুখতাসার সিরাতুর রাসূল, মাওলিদুন্নবী।</blockquote>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<br /></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-weight: bolder;"><i><u>উক্ত হাদিস শরীফের আলোকে :</u></i></span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<br /></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
👉<span class="Apple-converted-space"> </span><span style="font-weight: bolder;"><i><u>ইমাম ইবনুজ জাওযী (রহঃ)</u></i></span><span class="Apple-converted-space"> </span>বলেন-</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﺰﺭﻯ ﻓﺎﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﺑﻮﺍﻟﻬﺐ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ ﺍﻟﺬﻯ ﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺑﺬﻣﻪ ﺟﻮﺯﻯ ﻓﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺑﻔﺮﺣﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻮﻟﺪ</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﻪ ﻓﻤﺎ ﺣﺎﻝ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺍﻟﻤﺆﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻣﺘﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻟﺬﻯ ﻳﺴﺮ ﺑﻤﻮﻟﺪﻩﻭﻳﺒﺬﻝﻣﺎﺗﺼﻞ ﺍﻟﻴﻪ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻓﻰ ﻣﺤﺒﺘﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻌﻤﺮﻯ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﻜﻮﻥ ﺟﺰﺍﺅﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻥ ﻳﺪﺧﻠﻪﺑﻔﻀﻠﻪ ﺍﻟﻌﻤﻴﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ ০ ( ﻣﻮﺍﻫﺐ ﺍﻟﻠﺪﻧﻴﻪ ﺝ ১ ০ ﺹ২৭ ﺯﺭﻗﺎﻧﻰ ﺝ ০১ ﺹ১৩৯ )</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
"যে কাফের আবু লাহাবের বিরোদ্ধে আল-কুরআন নাজিল হয়েছে এবং যার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত, সে আবু লাহাবও যদি হুজুর (ﷺ) এর মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশি হওয়াতে সুফল পায়, তাহলে তাঁর উম্মতের মধ্যে যে একত্ববাদী মুসলমান এবং তাঁর মিলাদুন্নবীতে (ﷺ) আনন্দিত হয় তাঁর মহব্বতে যথাসাধ্য দান করে,</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
তার অবস্থা কী হবে? আমি কসম করে বলছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ হতে তার বিনিময় এ হবে যে, তিনি সর্বব্যাপী অনুগ্রহ দ্বারা তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন।’</div>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
<span style="font-size: 1.1em;">★ ইমাম কুস্তালানীঃ মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ম জিল্দ ২৭ পৃঃ,  </span><span style="font-size: 1.1em;">★ ইমাম জুরকানীঃ জুরকানী ১ম জিল্দ ১৩৭ পৃঃ</span></blockquote>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
👉 বিশ্ব বরণ্য ফকিহ্ ও শারিহে বােখারী,<span class="Apple-converted-space"> </span><span style="font-weight: bolder;"><i><u>ইমাম কাস্তাল্লানী (রহঃ) </u></i></span>তদীয় কিতাবে বলেন :</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
<span style="font-size: 1.1em;">“মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহমত দান করুক যিনি রাসূল (ﷺ) মিলাদের মােবারক রজনীকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।” </span></div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
[ইমাম কাস্তাল্লানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃঃ]</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
👉<span class="Apple-converted-space"> </span><span style="font-weight: bolder;"><i><u>ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ)</u></i></span><span class="Apple-converted-space"> </span>বলেন,</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﺟﻨﺎﻧﺠﻪ ﺩﺭ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻣﺪﻩ ﺍﺳﺖ ﻭﺩﺭﻳﻨﺠﺎ ﺳﻨﺪﺍﺳﺖ ﻣﺮﺍﻫﻞ ﻣﻮﺍﻟﻴﺪ ﺭﺍﻛﻪ ﺩﺭﺷﺐ ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮﻭﺭ ﻛﻨﻨﺪ ﻭﺑﺬﻝ ﺍﻣﻮﺍﻝ ﻧﻤﺎﻳﻨﺪ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﺑﻮﻟﻬﺐ ﻛﻪ ﻛﺎﻓﺮ ﺑﻮﺩ ﻭﻗﺮﺍﻥ ﺑﻤﺬﻣﺖ ﻭﻯ ﻧﺎﺯﻝ ﺷﺪﻩ ﺟﻮﻥﺑﺴﺮﻭﺭ ﺑﻤﻴﻼﺩ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﻭ ﺑﺬﻝ ﺷﻴﺮ ﺟﺎﺭﻳﻪ</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﻭﻯ ﺑﺠﻬﺔ ﺍﻧﺤﻀﺮﺕ ﺟﺰﺍ ﺩﺍﺩﻩ ﺷﺪ ﺗﺎﺣﺎﻝ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﻛﻪ ﻣﻤﻠﻮﺳﺖ ﺑﻤﺤﺒﺖ ﻭﺳﺮﻭﺭ ﻭﺑﺬﻝ ﻣﺎﻝ ﺩﺭ ﻃﺮﻳﻖﻭﻯﺟﻪ ﺑﺎﺷﺪ ﻭﻟﻴﻜﻦ ﺑﺎﻳﺪﻛﻪ ﺍﺯ ﺑﺪﻋﺘﻬﺎ ﻛﻪ ﻋﻮﺍﻡ ﺍﺣﺪﺍﺙ ﻛﺮﺩﻩ ﺍﻧﺪﺍﺯ ﺗﻐﻨﻰ ﻭﺍﻻﺕ ﻣﺤﺮﻣﻪ ﻭ ﻣﻨﻜﺮﺍﺕ ﺧﺎﻟﻰﺑﺎﺷﺪ ০ ( ﻣﺪﺍﺭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻮﺕ ﺝ ২ ০ ﺹ২৬ )</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
"উক্ত ঘটনা মিলাদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য একটি বৃহত্তম দলিল, যারা মিলাদুন্নবীর রাতে আনন্দ উৎসব ও দান খয়ারাত করে থাকেন। আবু লাহাব কাফের এবং তার বিরোদ্ধে কোরআন নাজিল হওয়া সত্বেও নবী পাক (ﷺ) জন্মের সুসংবাদে আনন্দিত হয়ে নূরবীকে দুধপান করানোর নিমিত্তে বাদী [হযরত সুয়াইবাহ (রাঃ) কে] আজাদ করে দেয়, সে কারণে তাকে পুরস্কার স্বরূপ প্রতি সোমবারে তার আজাব নিরসন করা হল। এখন যারা ঈমানদার নবীপ্রেমিক আনন্দ উৎসব ও দান খয়রাত করেন তাঁদের পুরস্কার কীরূপ হবে? অবশ্য সে মিলাদকে শরীফে গান ও হারাম বাদ্যযন্ত্র হতে পবিত্র রাখতে হবে। </div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
[ইমাম আব্দুল হক দেহলভী (রহ) : মাদারিজুন নবুয়ত ২য় খণ্ড ২৬ পৃঃ]</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
👉<span class="Apple-converted-space"> </span><span style="font-weight: bolder;"><i><u>ইমাম ইবনে হজর আসকালানী (রহঃ) </u></i></span>ফতহুল বারী শরহে বুখারী শরীফের মধ্যে এ মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনা করে বলেনঃ</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
ﻓﻴﺤﺘﻤﻞ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﺎﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺨﺼﻮﺻﺎ ﻣﻦ ﺫﺍﻟﻚ ﺑﺪﻟﻴﻞ ﻗﺼﺔ ﺍﺑﻰ ﻃﺎﻟﺐ ﻛﻤﺎﺗﻘﺪﻡ ﺍﻧﻪ ﺧﻔﻒ ﻋﻨﻪ ০</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
"যদিও কোন স্বপ্ন শরিয়তের দলিলরূপে গণ্য হয় না, কিন্তু এখানে হযরত আব্বাস (রাঃ) এর স্বপ্ন আবু লাহাবের আজাব লাঘব হওয়ার ব্যাপারে কেবলমাত্র নবী করিম (ﷺ) সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার দরুণ দলিলরূপে গণ্য হতে পারে। অন্য কারো স্বপ্ন শরিয়তের দলিলরূপে গণ্য হবে না। তারপর আবু তালেবের আজাব কম হওয়ার প্রসঙ্গ দলিলরূপে উল্লেখ করেছেন।"</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
[ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৯ম খন্ড, ১৫৪ পৃ:]</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
👉 যেমন উল্লেখ আছে"আবু তালিব কাফের, আজীবন নূরনবী (ﷺ) লালন-পালন ও সাহায্য করার দরুণ স্বয়ং আল্লাহর হাবিব (ﷺ) তার আজাব খুব কম হচ্ছে এবং হবে এ বলে সুসংবাদ প্রদান করেছেন।"</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
[মুসলিম শরীফের ১ম জিল্দের ১১৫ পৃষ্ঠায়]</div>
<div style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px;">
যদিও আবু তালেবের এই ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহর কতিপয় আলেমদের মত বিরোধ আছে। কেউ কেউ দলিল দিয়ে বলেছেন যে,</div>
<blockquote style="background: rgb(249, 249, 249); border-left: 10px solid rgb(204, 204, 204); font-family: Arial, Helvetica, sans-serif; font-size: 17.6px; margin: 1.5em 10px; padding: 0.5em 10px;">
[ওনাকে মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করা হয়েছে এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর বিদায় হজ্জ্বের সময় দোয়া করলে রাসুল (ﷺ) এর পিতা, মাতা, আবু তালেব, আব্দুল মোত্তালেব ওনারা সবাই জীবিত হয়ে ইমান আনিয়া পুনরায় মৃত্যুবরণ করেন]<br />
এমন বিশাল বিশাল বর্ননা রয়েছে। এতকিছু লিখা সম্ভব হল না বিধায় সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। [নবী করিম (ﷺ) এর চাচা আবু তালেবের নাযাত সম্পর্কে বর্ণনা : লেখক - মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (মা.জি.আ) ওনার লিখিত নিচের সবগুলো  রেফারেন্স এ আছে এগুলো। যেমনঃ<br />
<br />
★ তফসীরে সাবী : ৩য় খন্ড ১৩৮ পৃ<br />
★ ইমাম কুরতুবী : তফসিরে মাওয়াহিবুর রহমান : ১১ পারা : সূরা তওবার তফসীর : ৪১ পৃ<br />
★ তফসীরুল খাতের<br />
★ মুফতি আমীমুল ইহসান বারাকাতী (রহ) : সিরাতে হাবিবে ইলার হাশিয়ায় : ৩৭ পৃ তে-<br />
এ বিষয়ে অর্থাৎ কুফর ও ইমানের বিষয়ে মতবিরোধ আছে জানিয়েছেন।<br />
★ ইবনে ইসহাক (রহ) এর বর্ননা অনুযায়ী সিরাতে ইবনে হিশাম : ১৪৬ পৃ : ইমানের সহিত মৃত্যুবরণ করেছেন বলে মত দিয়েছেন।<br />
★ তফসীরে রুহুল বয়ান : ২য় খন্ড : ৯৪২ পৃ<br />
★ তফসীরে রুহুল বয়ান : ১ম খন্ড : ১৪৭ পৃ<br />
★ তফসীরে রুহুল বয়ান : ১ম খন্ড : ৯৭১ পৃ (সূরা তওবার তফসীরে)<br />
★ তফসীরে রুহুল বয়ান : ১ম খন্ড : ৯৬২ পৃ<br />
★ হযরত সৈয়দ গীসুদারাজ [রহ] (কেল্লা শাহ রহ.) "আখবারুল আখয়ার বা আনুয়ারে ছুফিয়া" গ্রন্থে ২৮৭ পৃ :<br />
★ মাহবুবে ইলাহী হযরত খাজা নিজামুদ্দীন আউলিয়া (রহঃ) : রাহাতুল মুহিব্বীন : ১১৬ পৃ<br />
★ আশরাফ আলী থানভী : তফসীরে বয়ানুল কুরআন : ৮ম খন্ড, ১১৪ পৃ (ইন্নাকা লা তাহদি আল-আখের) আয়াতে।<br />
<br />
★ আব্দুল ওহাব শারানী (রহ) এর "কাশফুল গুম্মাহ" ২য় খন্ডের ২৫৬ পৃষ্টায় লিখেছেন,<br />
হুজুর (ﷺ) যখন শেষকালে হেদায়াত করিলেন তখন আবু তালেব তাহার উষ্ঠদ্বয় আন্দোলিত করিলেন। সে সময় হযরত আব্বাস (রাঃ) তাহার মুখের নিকটে কর্ণ লাগাইলেন। অতঃপর বলিলেন, হে আমার ভাইপো হুজুর (ﷺ)! আমি খোদার শপথ করিয়া বলিতেসি যে, আপনি আমার ভাই আবু তালেবের পক্ষ হইতে যেই কালিমা ছাহিয়াছিলেন সে তাহা বলিয়াছে। হুজুর (ﷺ) ফরমালেন, হে চাচা যে খোদা আপনাকে পথ প্রদর্শন করিয়াছেন আমি সেই খোদার প্রশংসা করিতেসি। এতদ্যতীত অধিকাংশ জ্ঞানীগণ তাহার মুখ থেকে কালিমা বাহির হওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন।"</blockquote>
</div>
<div>
<br /></div>
<h2 new="" roman="" style="font-family: Arial, Helvetica, sans-serif;" times="">
<br /></h2>
</div>

ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) (আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে)

ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) কৃতঃ মাসুম বিল্লাহ সানি শব্দ পরিচিতি ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) এর অর্থ : -...

ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৯

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

ভালোবাসা দিবস

মিথ্যার প্রচলিত আকার-প্রকৃতি

ঈদে মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী (ﷺ) (আল-কুরআন ও তফসীরের আলোকে)

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার