সৌদি পরিবারের আরবে ইতিহাসঃ-

<div align="left"><p dir="ltr">সৌদি পরিবারের আরবে ইতিহাসঃ-<br></p></div><p dir="ltr"></p><div align="left"><p dir="ltr">সৌদি আরব হলো কোন ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ।অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।রিয়াদের নিকটস্থ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে আরবের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব [ওয়াহাবী<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা]-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে “দিরিয়া আমিরাত” গঠন করেন। তুরস্কের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে শিরক-বিদাত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">পালনের অভিযোগে এই দুজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">যুদ্ধ শুরু করেন। ওই “দিরিয়া আমিরাত”-ই<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিশ্বের প্রথম সৌদি রাজ্য/আমিরাত।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মুহাম্মদ বিন সৌদ তার পুত্র আবদুল আজিজের সাথে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মেয়ের বিয়ে দেন। এভাবেই সৌদ পরিবার ও ওয়াহাবী মতবাদের মিলনযাত্রা শুরু হয়। ১৭৬৫ সালে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হয়।এই আবদুল আজিজ তত্কালীন বিশ্বের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সাম্রাজ্যবাদী মোড়ল ব্রিটেনের সাথে হাত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মিলিয়ে তুরস্কের খলিফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে থাকে।শ্বশুর ইবনে ওয়াহাবের ধর্মীয়<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মতবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">তথাকথিত শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ব্রিটিশদের সাথে তুর্কি খিলাফত ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয় আবদুল আজিজ।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৭৯২ সালে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মৃত্যু হয়। ১৮০১/২ সালে আবদুল আজিজ তুর্কি খিলাফতের কাছ থেকে ইরাক দখল করে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হজরত আলী (রা.) ও হজরত হোসেন (রা.)-এর মাজার শরিফ ভেঙে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৮০৩ সালে একজন শিয়া মুসলিম আজিজকে দিরিয়ায় আসরের নামাজরত অবস্থায় হত্যা করে।এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মদিনা দখল করে নেয়।দুই পবিত্র নগরী দখল<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">উচ্ছেদের নামে!<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে।এমনকি খোদ মহানবী(সাসল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পবিত্র রওযা মুবারকে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।খলিফা ২য় মাহমুদ ইরাক-মক্কা-মদিনায় সৌদিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে তত্কালীন তুর্কি খলিফাগণ ভীষণ রুষ্ট হন। ১৮০৮ সালে খলিফা ২য় মাহমুদ ক্ষমতাসীন<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হয়ে সৌদিদের দমনে শক্তিশালী সেনাদল পাঠান। ষড়যন্ত্রে সৌদি ব্রিটিশরা এবার আর সৌদিদের বাঁচাতে পারেনি। ১৮১৮ সালে সৌদের ছেলে, তত্কালীন সৌদি শাসক আবদুল্লাহ বিন সৌদ তুর্কিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।আবদুল্লাহ বিন সৌদকে বন্দী করে ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পবিত্র নগরী ও বহু মসজিদ ধ্বংসের শাস্তি হিসেবে খলিফা ২য় মাহমুদ-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ বিন সৌদ ও তার দুই ছেলেকে ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয়।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">এভাবেই প্রথম সৌদি আমিরাত (১৭৪৪-১৮১৮)<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">-এর পতন হয় ও পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আরবে উসমানিয়া খিলাফতের শাসনকর্তৃত্ব ফিরে আসে।সৌদ পরিবারের দিরিয়ার আখড়া ১৮১৮সালে ধ্বংস হয়ে গেলে প্রথম সৌদি<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আমিরাতের শেষ আমীর আবদুল্লাহর তুর্কি নামের এক পুত্র মরুভূমিতে পালিয়ে যায়। এই তুর্কি বিন আবদুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেয়। পরে ১৮২১ সালে সে আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে উসমানিয়া খিলাফতের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আবদুল্লাহ উসমানিয়াদের নিয়োজিত মিশরীয়দের হটিয়ে দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেয়। রিয়াদকে রাজধানী করে গঠিত এই “নজদ আমিরাত”ইতিহাসে দ্বিতীয় সৌদি রাজ্য নামে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">পরিচিত। দ্বিতীয় সৌদি রাজ্যটি অবশ্য খুব কম এলাকাই দখলে নিতে পেরেছিল। এটি বেশিদিন টিকেওনি।এই নজদ আমিরাতের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">প্রধানকে “ইমাম” বলা হত এবং ওয়াহাবী<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মতাবলম্বীরাই ধর্মীয় বিষয়ে কর্তৃত্বশীল ছিল।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">তবে এবার সৌদ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথিত ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহকে তাঁর<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">এক জ্ঞাতি ভাই মুশারি বিন আবদুর রহমান বিদ্রোহ করে ১৮৩৪ সালে হত্যা করে। তবে ক্ষমতা পায়নি মুশারি। তুর্কির ছেলে ফয়সাল এরপর নজদ আমিরাতের ইমাম হয়।আবদুর রহমান বিন ফয়সাল সৌদ পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। অবশেষে ১৮৯১সালে মুলায়দার যুদ্ধে উসমানিয়াদের অনুগত রাশিদী বাহিনীর<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হাতে দ্বিতীয় সৌদি আমিরাতের পতন ঘটে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সৌদিদের শেষ ইমাম আবদুর রহমান বিন<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ফয়সাল তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায়।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিশাল বালুকাময় রুব আল খালি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে আবদুর রহমান তার পুত্র আবদুল আজিজকে নিয়ে দক্ষিণপূর্বে মুররা বেদুইন গোত্রে গিয়ে পালায়। সেখান থেকে তারা বাহরাইনের রাজপরিবারের কাছে গিয়ে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। তার পর ১৮৯৩ সালে আবদুর রহমান ও তার পুত্র শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দালাল কুয়েতি আল-সাবাহ রাজপরিবারের আশ্রয় পায়।কুয়েতি রাজপরিবারের সহায়তায় সৌদিরা উসমানিয়া খিলাফতের কর্তৃত্বাধীন নজদে একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ওয়াহাবী মতবাদের আলোকে পরিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">এসব হামলা চলতে থাকে। কিন্তু এসব হামলায় সৌদিরা তেমন কোনো বড় সাফল্য পায়নি। ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আবদুর রহমান তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধারের সব উদ্যম হারায়।১৮৯৯ সালের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">জানুয়ারিতে কুয়েতের আমির মুবারক আল<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সাবাহ ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কুয়েতকে ব্রিটেনের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের প্রভাবের বিরুদ্ধেই কুয়েত এই চুক্তি করে ব্রিটেনের সাথে।আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ – বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা সৌদ পরিবারের লড়াইটিও ছিল উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধেই। তাই ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে পিতা আবদুর রহমান হতোদ্যম হলেও পুত্র আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ আবারও আশার আলো দেখে। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯০১ সালের শেষের দিকে কুয়েতের আমির মুবারকের কাছে উসমানিয়াদের নিয়ন্ত্রিত রিয়াদ আক্রমণের জন্য সাহায্য চায়। ব্রিটিশ মদদপুষ্ট কুয়েত সানন্দে ইবনে সৌদকে ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৯০২ সালের ১৩জানুয়ারি ইবনে সৌদ সৈন্যসহ রিয়াদের মাসমাক দুর্গ আক্রমণ করে। মাসমাকের উসমানিয়া অনুগত রাশিদী প্রশাসক ইবনে আজলানকে হত্যা করে সৌদিরা।ইবনে সৌদ যুদ্ধজয় শেষে ইবনে আজলানের ছিন্নমস্তকটি নিয়ে দুর্গশীর্ষে আসে এবং নিচে সমবেত উদ্বিগ্ন রিয়াদবাসীর দিকে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ছুঁড়ে মারে ।[1]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের রিয়াদ আমিরাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইতিহাসে তৃতীয় সৌদি রাজ্যের সূচনা হয়।এর পর সৌদিরা একে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">একে রাশিদীদের নজদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হটিয়ে দিতে থাকে। ১৯০৭সালের মধ্যে সৌদিরা<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">নজদের বিরাট এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">নেয়।William Henry Irvine Shakespear<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৯০৯ সালে ব্রিটিশরাসামরিক অফিসার<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">William Henry IrvineShakespear-কে কুয়েতে নিয়োগ দিলে সৌদ পরিবার আরো<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">শক্তিশালী হয়ে উঠে।শেক্সপিয়ারকে ইবনে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সৌদ সামরিক উপদেষ্টা বানিয়ে নেয়।[2]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৯১৩ সালে সৌদিরা উসমানিয়া সৈন্যদের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">কাছ থেকে পূর্ব আরবের গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান হাসা শহর দখল করে নেয়। এর পর পার্শ্ববর্তী কাতিফ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">শহরও সৌদিরা দখলে নেয়।পরের বছর ১৯১৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তি জার্মানি-উসমানিয়া<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।রিয়াদে ব্রিটিশরা শেক্সপিয়ারের মাধ্যমে সৌদিদের সাথে উসমানিয়া অনুগতরাশিদীদের যুদ্ধ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">লাগায়।[3]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত এই যুদ্ধে রাশিদীরা জয়ী হয় ও শেক্সপিয়ারকে হত্যা<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">করে। রাশিদীরা শেক্সপিয়ারের শিরশ্ছেদ করে ও তার হেলমেট উসমানিয়াদের কাছে হস্তান্তর করে।উসমানিয়ারা সৌদিদের সাথে ব্রিটিশদের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ শেক্সপিয়ারের হেলমেট মদিনার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেখায়।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">শেক্সপিয়ারকে হারিয়ে বিপর্যস্ত ইবনে সৌদ ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশদের সাথে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">দারিন চুক্তি স্বাক্ষর করে।ব্রিটিশদের পক্ষে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য প্রধান মেজর জেনারেল স্যার পার্সি কক্স ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">চুক্তি মোতাবেক সৌদি রাজত্ব ব্রিটিশদের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত হয়।[4]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মান-উসমানিয়া খিলাফতের দুর্বল অবস্থা ও আল-সৌদ পরিবারের সাথে ব্রিটিশদের সখ্য দেখে চিন্তিত হয়ে ওঠেন মক্কার উসমানিয়া সমর্থিত শাসক<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হুসাইন বিন আলী। ১৯১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে হুসাইন মিশরের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">স্যার হেনরি ম্যাকম্যাহনের গোপনে পত্র যোগাযোগ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ১৯১৬ পর্যন্ত এই পত্র আদান-প্রদান চলতে থাকে। উসমানিয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত বিশাল<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আরব ভূ-খণ্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা মতবিনিময় করে।[5]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মদদে মক্কার শাসক সেই হুসাইন বিন আলী উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আরব বিদ্রোহ তৈরি করে। ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্সের প্রত্যক্ষ পরিচালনায়<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিশ্বাসঘাতক হুসাইন মিডল-ইস্টার্ন ফ্রন্টে উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু করলে বহু উসমানিয়া সৈন্য বন্দী হয় ও অবশেষে উসমানিয়ারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্স<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">– আরববিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা – হলিউডের বিখ্যাত “Lawrence of Arabia” (১৯৬২) মুভিটি একে নিয়েই নির্মিত ১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।পুরস্কার হিসেবে ব্রিটিশরা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর হুসাইন বিন আলীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহকে জর্ডানের রাজত্ব ও তৃতীয় ছেলে ফয়সালকে ইরাকের রাজত্ব দেয়।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হুসাইনকে রাখা হয় হেজাজ (পবিত্র মক্কা-মদিনা ও তাবুকঅঞ্চল)-এর শাসক হিসেবে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হুসাইন বিন আলী এভাবে ১ম বিশ্বযুদ্ধ আল-সৌদ পরিবারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে। কেননা ব্রিটিশদের লেজুরবৃত্তির ক্ষেত্রে তাদের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">প্রতিপক্ষ হুসাইন পরিবার এগিয়ে যায় এবং যুদ্ধ শেষে হুসাইন ও তার দুই ছেলে মিলে তিন দেশের রাজত্ব পায়। তবে নজদ (রিয়াদ ও তদসংলগ্ন অঞ্চল)-এর শাসক সৌদিরাই<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">থেকে যায়।দারিন চুক্তির আওতায় আবদুল<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আজিজ ইবনে সৌদ ব্রিটিশদের কাছ থেকে বহু অস্ত্র ও মাসে ৫,০০০ পাউন্ড ভাতা (দালালির<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">পুরস্কার) পেতে থাকে।[6]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ইবনে সৌদকে ১ম বিশ্বযুদ্ধের উদ্বৃত্ত বিপুল গোলাবারুদ দিয়ে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">দেয়। ওই ব্রিটিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সম্ভার নিয়ে সৌদিরা ক্রমধ্বংসমান উসমানিয়া খিলাফতের অনুগত রাশিদীদের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম আরব অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১৯২০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত লড়ে রাশিদীরা শেষ পর্যন্ত সৌদিদের হাতে পুরোপুরি পরাজিত হয়।ফলে আরবে আল-সৌদপরিবার নিয়ন্ত্রিত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ভূ-খণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। ইরাকে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত Percy Cox-এর মধ্যস্থতায় ১৯২২ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত Uqair Protocol-এর আওতায় ওই বিশাল অঞ্চলে সৌদি রাজত্ব স্বীকৃতি লাভ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">করে।[7]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">এ-সময় পর্যন্ত আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কখনোই ব্রিটিশ অনুগত হেজাজের শাসক হুসাইনের সাথে সংঘাতে জড়ায়নি।১৯২৪ সালের ৩ মার্চ আরেক ব্রিটিশ দালাল মুস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কে অফিসিয়ালি খিলাফত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বিলুপ্ত করে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে মক্কার হুসাইন বিন আলীও মহানবী<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর আমল থেকে ১৩০০ বছর পর্যন্ত চলমান মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতের পতনে ব্যথিত হন। পৃথিবী<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">থেকে খিলাফত মুছে গেছে, এটা হুসাইনের<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">চেতনায় আঘাত করে।ব্রিটিশদের ক্ষিপ্ত<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও ৫ মার্চ হুসাইন নিজেকে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মুসলিমদের খলিফা ঘোষণা করেন।ব্যস, এ-সুযোগটিই কাজে লাগায় খিলাফতের দীর্ঘদিনের শত্রু আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ব্রিটিশরা স্বাভাবিকভাবেই হুসাইনের নিজেকে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">খলিফা ঘোষণা করা মেনে নেয়নি এবং<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">হেজাজের শাসক হিসেবে হুসাইনের ওপর<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কালবিলম্ব না করে হেজাজ আক্রমণ করে এবং ১৯২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো হেজাজ দখলে নিয়ে নেয়। ১৯২৬<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল আজিজ ইবনে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সৌদ মক্কা-মদিনা-জেদ্দার গোত্রীয় নেতাদের সমর্থনে নিজেকে হেজাজের “সুলতান” ঘোষণা করে। ১৯২৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ইবনে সৌদ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">আগের নজদ ও বর্তমান হেজাজ মিলিয়ে Kingdom of Nejd and Hejaz ঘোষণা করে। ৪ মাস পর সেই বছরের ২৭ মে জেদ্দা চুক্তির<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">মাধ্যমে ব্রিটিশরা Kingdom of Nejd and Hejaz- কে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।[8]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">নতুন জেদ্দা চুক্তি, ১৯২৭-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ-সৌদের “Protectorate” স্ট্যাটাসের দারিন<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">চুক্তি, ১৯১৫-এরসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তী ৫ বছর<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr"> আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তার দুই<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">রাজত্বকে আলাদা রেখেই শাসন করে।অবশেষে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে একত্রিত করে তার নিজের ও<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">বংশের পদবি অনুসারে দেশের নাম “Kingdom of Saudi Arabia"ঘোষণা করে।।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">উসমানিয়া খিলাফতবিরোধী নীতির প্রকাশ্য<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">সমর্থক হিসেবে, পদে পদে ব্রিটিশদের মদদ<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">নিয়ে, দালাল আল-সৌদ পরিবার ১৯৩২ সাল<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">থেকে Kingdom of Saudi Arabia নামে মুসলিমদের পবিত্র ভূমি দখলে রেখে শাসন করে যাচ্ছে।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">১. মিশরের মুরসি সরকারের পতনের পর সৌদি সরকারের ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই দালাল রাজপরিবারের ইতিহাস তাই মুসলিম<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">উম্মাহর জেনে রাখাপ্রয়োজন।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">২. সৌদ পরিবার মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক উসমানিয়া খিলাফত ভাঙতে<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ওয়াহাবী মতবাদকে ব্যবহার করেছিল।আর সৌদ পরিবার জেনে-বুঝে দালালি করেছে তত্কালীন বিশ্বমোড়ল ও খিলাফতের শত্রু<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">ব্রিটেনের।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">৩. মাজারকেন্দ্রিক শিরকের চর্চা আর কবর জিয়ারত এক কথা নয়।মাজারকেন্দ্রিক<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">শিরক পরিত্যাজ্য,কিন্তু কবর জিয়ারত একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">৪. এই নোটে বহু বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে – তবে তথ্যগুলো এতই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, কম-বেশি সব তথ্যই Wikipedia-তে আছে। এমন কি, সৌদি দূতাবাসের ওয়েব সাইটেও আছে[অবশ্যই ব্রিটিশদের দালালির বিষয়টি বাদ দিয়ে][9]<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">৫. যারা সৌদি আরবের ইতিহাস সামগ্রিকভাবে একটি বই থেকেই জানতে চান, তারা Cambridge University Press থেকে ২০০২ সালে প্রকাশিত Madawi al-Rasheed-এর<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">লেখা A History of Saudi Arabia বইটি পড়তে পারেন।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">৬. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত ২২ পৃষ্ঠার নিবন্ধ/ বুকলেট “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House<br></p></div><p dir="ltr"><br></p><div align="left"><p dir="ltr">of Saud” এ-বিষয়ে একটি অনবদ্য রচনা।<br></p></div><p dir="ltr"><br></p>

সৌদি পরিবারের আরবে ইতিহাসঃ-

সৌদি পরিবারের আরবে ইতিহাসঃ- সৌদি আরব হলো কোন ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ।অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের কোনো ব্যক্...

Read more »

শেষ জামানায় দাজ্জাল ও মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবে

<p dir="ltr">৪০তম     হাদিসঃ      শেষ     জামানায়      দাজ্জাল     ও  মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবে <br>عَنْ   أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ  اللَّهِ   صَلَّى اللَّهُ  عَلَيْهِ    وَسَلَّمَ يَكُونُ        فِي      آخِرِ      الزَّمَانِ       دَجَّالُونَ      كَذَّابُونَ        يَأْتُونَكُمْ مِنْالْأَحَادِيثِ  بِمَا   لَمْ   تَسْمَعُوا   أَنْتُمْ   وَلَا  آبَاؤُكُمْ  فَإِيَّاكُمْ  وَإِيَّاهُمْ لَا يُضِلُّونَكُمْ وَلَا يَفْتِنُونَكُمْ <br>উচ্চারণঃ    ‘আন  আবী  হুরায়রাতা,    ক্বালা   ক্বালা   রাসুলুল্লাহি ছাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়া    ছাল্লামা     ইয়াকুনু    ফী     আখিরিয যামানি দাজ্জালুনা কাজ্জাবুনা ইয়া’তুনাকুম মিনাল আহাদীছি বিমা        লাম         তাছমা’উ          ‘আনতুম         ওয়ালা         আবাউকুম ফা-ইয়্যাকুম      ওয়া      ইয়্যাহুম       লা       ইউদ্বিলুনাকুম      ওয়ালা  ইয়াফতিনুনাকুম। <br> <br>অনুবাদঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন  নবীজী   ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এরশাদ করেন, শেষ যামানায় এমন কিছু দাজ্জাল ও মিথ্যাবাদী  আত্মপ্রকাশ করবে  যারা  তোমাদের নিকট এমন সব (মিথ্যা) হাদিস বলবে যা, না তোমরা কোনদিন  শুনেছ, না তোমাদের বাপ দাদারা শুনেছে। সুতরাং তোমরা তাদের নিকট  থেকে দূরে     থাক  এবং তাদেরকেও তোমাদের কাছ  থেকে দূরে রাখ। এতে করে তারা তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে পারবে    না    এবং    তোমাদেরকে    ফেতনায়    পতিত    করতে  পারবে না। <br> <br>[সহীহ    মুসলিমঃ    ১/২৪,    হাদীস   নং-৮;   আল্লামা   তাহাবী, মুশকিলুল আসার, ৬/৪৪৮, হাঃ ২৮৮৪; শাইখ ওলীউদ্দীন, মেশকাতুল     মসাবীহ,     ১/৩৩     হাঃ     ১৫৪;     আল     মানাবী,  ফয়জুল  ক্বাদীর  ফি শরহে   জামে ‘উস্‌সাগীর, ৬/২৫৮,  হাঃ  ৮৯৩০] </p>

    শেষ     জামানায়      দাজ্জাল     ও  মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবে

৪০তম     হাদিসঃ      শেষ     জামানায়      দাজ্জাল     ও  মিথ্যাবাদীদের আবির্ভাব হবে عَنْ   أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ  اللَّهِ   ...

Read more »

সাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়া কুফরী

<p dir="ltr">৩৭তম হাদিসঃ সাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়া কুফরী <br>عَنِ   ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ    اللَّهُ   عَنْهُمَا،  قَالَ : قَالَ   رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى  اللَّهُ  عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ  مَنْ  سَبَّ  اَصْحَابِي  فَعَلَيْهِ  لَعْنَةُاللهِ  و  المَلائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعينَ <br>উচ্চারণঃ ‘আন ইবনে  আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, ক্বালাঃ ক্বালা    রাসুলুল্লাহি      ছাল্লাল্লাহু   আলাইহি    ওয়া    ছাল্লামা   মান ছাব্বা        আছহাবিহী        ফা-‘আলাইহি       লা’নাতুল্লাহি         ওয়াল মালা-ইকাতি ওয়ান্নাছি আজমাঈন। <br> <br>অনুবাদঃ     হযরত     ইবনে     আব্বাস     (রাদ্বিয়াল্লাহু     তা’আলা  আনহু) থেকে  বর্নিত। তিনি বলেন, নবীজি  এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার সাহাবীদের গালি দেয় তার উপর আল্লাহর, ফেরেস্তাদের এবং সকল মানব জাতির অভিসম্পাদ। <br> <br>[তাবরানী   কৃত   মুজামুল   কাবির   ১২/১৪২,   হাঃ   ১২৭০৯;  মুজামুল আউছাতে আবু  সাঈদ খুদরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)  সুত্রে,  ৫/৯৪  হাঃ    ৪৭৭১;   মুসান্নাফে    ইবনে   আবি শাইবা ৬/৪০৫, হাঃ ৩২৪১৯] </p>

সাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়া কুফরী

৩৭তম হাদিসঃ সাহাবায়ে কেরামকে গালি দেয়া কুফরী عَنِ   ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ    اللَّهُ   عَنْهُمَا،  قَالَ : قَالَ   رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى  ...

Read more »

আহলে বায়েত উম্মতের নাজাতের উছিলা

<p dir="ltr">৩৮তম       হাদিসঃ        আহলে        বায়েত       উম্মতের  নাজাতের উছিলা <br>عَنْ   أَبِي سَعِيدٍ  الْخُدْرِيِّ، قَالَ    :  سَمِعْتُ رَسُولَ  اللَّهِ  صَلَّى اللَّهُ  عَلَيْهِ   وَآلِهِ   وَسَلَّمَ   :        إِنَّمَا    مَثَلُ   أَهْلِ   بَيْتِي   فِيكُمْكَمَثَلِ  سَفِينَةِ نُوحٍ، مَنْ رَكِبَهَا نَجَا وَمَنْ تَخَلَّفَ عَنْهَا غَرِقَ <br>উচ্চারণঃ     ‘আন     আবী    সা’ইদিল      খুদরী,    ক্বালাঃ     ছামি’তু রাসুলুল্লাহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামা, “ইন্নামা মাছালু আহলি    বায়তী    ফীকুম     কামাছালি    ছাফিনাতি      নূহি,    মান  রাকিবাহা নাজা ওয়ামান তাখাল্লাফা ‘আনহা গারিকা।“ <br> <br>অনুবাদঃ  হযরত  আবু  সাঈদ   খুদরী  (রাদ্বিয়াল্লাহু   তা’আলা  আনহু) থেকে  বর্নিত। তিনি বলেন, আমি  নবীজিকে বলতে  শুনেছি,  ”তোমাদের  মধ্যে  আমার  আহলে  বায়াতের  দৃষ্টান্ত  হযরত নুহ (আলাইহিস  সালাম) এর কিস্তির  মত।  এতে যে  আরোহণ করেছে সে মুক্তি পেয়েছে, আর যে এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে।” <br> <br>[তাবরানী    কৃত     মুজামুল    কাবির      ১২/৩৪,     হাঃ     ২৩৭৭, ২৬৩৭,   ২৬৩৮,    ২৬৩২;    মুজামুল    আউছাত    ৪/১০    হাঃ ৩৪৭৮;  মুজামুল  ছাগির  ১/২৪০  হাঃ  ৩৯১;  মুসতাগরেকে  হাকেম ৩/১৬৩ হাঃ ৪৭২০] </p>

   আহলে        বায়েত       উম্মতের  নাজাতের উছিলা

৩৮তম       হাদিসঃ        আহলে        বায়েত       উম্মতের  নাজাতের উছিলা عَنْ   أَبِي سَعِيدٍ  الْخُدْرِيِّ، قَالَ    :  سَمِعْتُ رَسُولَ  ال...

Read more »

উম্মতে মুহাম্মদি কখনও শিরক করবে না

<p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;">৩৯তম হাদিসঃ উম্মতে  মুহাম্মদি   কখনও  শিরক করবে না</div><div style="text-align: justify;">عَنْ  عُقْبَةَ  بْنِ   عَامِرٍ:  قَالَ  قَال   رَسُولَ  اللَّهِ   صَلَّى  اللَّهُ  عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:  إِنِّي فَرَطُ لَكُمْ، وَأَنَا شَهِيدٌ عَلَيْكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ لَأَنْظُرُ إِلَى   حَوْضِي   الْآنَ،  وَإِنِّي   أُعْطِيتُ   مَفَاتِيحَ  خَزَائِنِ  الْأَرْضِ  أَوْ مَفَاتِيحَ  الْأَرْضِ،    وَإِنِّي  وَاللَّهِ     مَا  أَخَافُ  عَلَيْكُمْ  أَنْ    تُشْرِكُوا بَعْدِي، وَلَكِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنَافَسُوا فِيهَا</div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণঃ      ’আন      উক্ববাতা      বিন      আমিরঃ      ক্বালা,      ক্বালা  রাছুলুল্লাহি   ছাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াছাল্লামা,    ”ইন্নি  ফারাত্বু  লাকুম, ওয়া আনা শাহীদান ’আলাইকুম, ওয়া ইন্নি ওয়াল্লাহি লা-আনযুরু      ইলা      হাউদ্বীল      আন।      ওয়া      ইন্নি      আ’ত্বিতু  মাফাতীহা খাজাইনিল আরদ্বি আও মাফাতীহাল আরদ্বি, ওয়া ইন্নি ওয়াল্লাহি  মা আখাফা ’আলাইকুম আন  তুশরিকু বা’দী,  ওয়ালাকিনি আখাফা ’আলাইকুমু আন তানাফাছু ফীহা।”</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অনুবাদঃ হযরত উক্ববা     বিন আমের   (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)  থেকে   বর্নিত। তিনি  বলেন, নবীজি এরশাদ  করেন আমি   তোমাদের  অগ্রবর্তী  ও  তোমাদের  উপর  সাক্ষদাতা।  আল্লাহর    কসম!   অবশ্যই  এই  মূহুর্তে  আমি   আমার  হাউজ (কাউছার) দেখতে পাচ্ছি। এবং অবশ্যই আমাকে জমিনের খাজানার     সমূহের     চাবি     অথবা     জমিনের     চাবি     দেওয়া  হয়েছে।  খোদার কসম! আমি এ নিয়ে ভীত নই যে  তোমরা আমার পরে শিরিকে লিপ্ত হবে বরং আমি এ নিয়ে ভীত যে, তোমরা দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[সহীহ    বুখারী,    অনুচ্ছেদঃ      মানাকিব,     অধ্যায়:    ইসলামে  নবুয়্যতের  আলামত,  ৩/১৩১   হাঃ  ৩৪০১;  সহীহ   মুসলিম, অনুচ্ছেদঃফাযায়েল   অধ্যায়ঃ   নবী  এর  হাউজের   প্রমান  ও  বৈশিষ্ট, ৪/১৭৯৫ হাঃ ২২৯৬]</div><p></p>

উম্মতে  মুহাম্মদি   কখনও  শিরক করবে না

৩৯তম হাদিসঃ উম্মতে  মুহাম্মদি   কখনও  শিরক করবে না عَنْ  عُقْبَةَ  بْنِ   عَامِرٍ:  قَالَ  قَال   رَسُولَ  اللَّهِ   صَلَّى  اللَّهُ  عَلَيْ...

Read more »

নবীজি ﷺ এর উছিলায় দোয়া

<p dir="ltr"></p><div style="text-align: justify;">৩৪তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ এর উছিলায় দোয়া</div><div style="text-align: justify;">عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ رَجُلًا  ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى  النَّبِيَّ   صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ   وَسَلَّمَ فَقَالَ : ادْعُ  اللَّهَ   أَنْ  يُعَافِيَنِي  قَالَ إِنْ  شِئْتَ دَعَوْتُ   وَإِنْ  شِئْتَ  صَبَرْتَ  فَهُوَ  خَيْرٌ  لَكَ    قَالَ   فَادْعُهْ  قَالَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَوَضَّأَ فَيُحْسِنَ وُضُوءَهُ وَيَدْعُوَ بِهَذَا الدُّعَاءِ {اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ يَا مُحّمَّدَ ! إِنِّي   تَوَجَّهْتُ   بِكَ   إِلَى  رَبِّي   فِي  حَاجَتِي  هَذِهِ   لِتُقْضَى  لِيَ  اللَّهُمَّ  فَشَفِّعْهُ فِيَّ}</div><div style="text-align: justify;">উচ্চারণঃ    ‘আন    উছমান    বিন    হুনাইফিন    আন্না   রাজুলান,  দ্বারিরাল বাছারি আতান্নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামা ফাক্বালাঃ উদ’উল্লাহা ‘আন   ইউ’আফিয়ানী   ক্বালা ইন  শি’তা দা’আওতু    ওয়া  ইন  শি’তা  ছাবারতা    ফাহুয়া   খায়রুল্লাকা।  ক্বালা    ফাদ’উহু    ক্বালা   ফাআমরাহু    ‘আন    ইয়াতাওয়াদ্দ্বাআ ফাইউহছিনা       ওদ্বুয়াহু        ওয়া        ইয়াদ’ঊ         বিহাজাদ্দ্বো’আই “আল্লাহুম্মা  ইন্নী  আছআলুকা ওয়া    আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা          মুহাম্মাদিন         নাবিয়্যির          রাহমাতি,         ইন্নী  তাওয়াজ্জাহতু     বিকা      ইলা     রাব্বী      ফী     হা-জাতী     হাজিহি লিতুক্বদ্বা, লিয়া আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা”।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অনুবাদঃ হযরত ওসমান বিন হুনাইফ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্নিত। তিনি  বলেন, এক   অন্ধ   ব্যক্তি  রাসূল ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি   ওয়া   সাল্লামার   দরবারে   হাজির   হয়ে  আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার চোখের জ্যোতি ফিরে পাবার জন্য দোয়া করুন। নবীজি ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া   সাল্লাম  বললেন,    তুমি  যদি    চাও   এখনি  দোয়া  করি, তাহলে সেটাই করা হবে। আর চাইলে তুমি সবুর কর, সেটা তোমার    জন্য    উত্তম     হবে।     তিনি    আরজ   করলেন   আক্বা এখনই   দোয়া     করুন।       নবীজি   ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি   ওয়া সাল্লাম     তাকে    ভালোভাবে    অজু    করার     এবং     দু'রাকাত  নামাজ পড়ার  নির্দেশ  করলেন।   এবং   বললেন- এই  ভাবে দোয়া   কর,  ”হে আল্লাহ!   আমি   আপনার দিকে মনোনিবেশ করছি  এবং   আপনার   নিকট   প্রার্থনা  করছি   রহমতের   নবী মুহাম্মাদ  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর  উছিলায়। হে মুহাম্মাদ! আপনার উছিলায় আমি আমার প্রভুর কাছে হাজ্বত পেশ   করছি,   আমার     আবেদন   যেন   মঞ্জুর    করা   হয়।   হে  আল্লাহ    আমার     হক্বের     উপর    আমার      আক্বা     ও    মাওলা   ছাল্লাল্লাহু     ‘আলাইহি     ওয়া     সাল্লাম     এর     সুপারিশ     কবুল  করুন।”    এইরূপ    দু‘আর    ফলে    লোকটি    দৃষ্টিশক্তি    ফিরে  পেয়েছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">[সুনানে   তিরমিজি    ৫/৫৬৯    হাঃ    ৩৫৭৮;   সুনানে    নাসাঈ  ৬/১৬৮     হাঃ     ১০৪৯৪-১০৪৯৫;     সুনানে     ইবনে     মাজাহ  ১/৪৪১    হাঃ   ১৩৮৫;    সহীহ   ইবনে   খুযাইমা   ২/২২৫   হাঃ ১২১৯;      মুসনাদে       আহমদ      বিন        হাম্বল         ৪/১৩৮      হাঃ ১৭২৪০-১৭২৪২; মুস্তাদরাকে হাকেম ১/৪৫৮/৭০০/৭০৭; হাঃ ১১৮০, ১৯০৯, ১৯২৯]</div><p></p>

নবীজি ﷺ এর উছিলায় দোয়া

৩৪তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ এর উছিলায় দোয়া عَنْ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ رَجُلًا  ضَرِيرَ الْبَصَرِ أَتَى  النَّبِيَّ   صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ...

Read more »

নবীজি ﷺ মাক্বামে মাহমুদে অধিষ্ঠিত হবেন

<p dir="ltr">৩৫তম   হাদিসঃ   নবীজি   ﷺ   মাক্বামে   মাহমুদে  অধিষ্ঠিত হবেন <br>عَنْ   آدَمَ  بْنِ  عَلِيٍّ،  قَالَ:  سَمِعْتُ   ابْنَ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّهُ  عَنْهُمَا، يَقُولُ:  إِنَّ النَّاسَ يَصِيرُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ جُثًا، كُلُّأُمَّةٍ تَتْبَعُ نَبِيَّهَا  يَقُولُونَ: يَا  فُلاَنُ  اشْفَعْ، يَا  فُلاَنُ اشْفَعْ، حَتَّى  تَنْتَهِيَ الشَّفَاعَةُ    إِلَى   النَّبِيِّ  صَلَّى  اللهُ  عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ،   فَذَلِكَيَوْمَ  يَبْعَثُهُ اللَّهُ المَقَامَ المَحْمُودَ <br>উচ্চারণঃ   ‘আন  আদাম  বিন  আলী,   ক্বালাঃ   ছামি’তু   ইবনে   উমারা      রাদ্বিয়াল্লাহু    ‘আনহুমা,    ইয়াক্বুলুঃ     “ইন্নান্নাছা     ইয়া  ফুলানু-শ্ ফা’ইয়াছিরুনা ইয়াওমাল    ক্বিয়ামাতি  জুছান,  কুল্লু উম্মাতিন  তাতবা’উ     নাবিয়্যাহা  ইয়াক্বুলুনাঃ   ইয়া  ফুলানু-শ্  ফা’, হাত্তা তানতাহীয়া-শ শাফা’আতু ইলা-ন্নাবিয়্যি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি             ওয়া              ছাল্লামা,             ফা-জালিকা             ইয়াওমা  ইয়াব’আছুহুল্লাহুল মাক্বামাল মাহমুদা। <br> <br>অনুবাদঃ  হযরত  আদম    বিন     আলী   (রাদ্বিয়াল্লাহু  তা’আলা আনহু)   থেকে     বর্নিত।   তিনি   বলেন,   আমি   আব্দুল্লাহ   বিন ওমর   (রাদ্বিয়াল্লাহু      তা’আলা    আনহু)    কে    বলতে   শুনেছি, কেয়ামতের  দিন মানুষেরা   দলে  দলে  বিভক্ত হয়ে  পড়বে। প্রত্যেক উম্মত তাদের নিজ নিজ নবীর পিছনে থাকবে এবং আরজ     করবে,     হে     অমুক!     আমাকে     শাফায়াত     করুন।  এমনিভাবে   শাফায়াতের  কথা  নবীজির  কাছে  এসে   সমাপ্ত হবে। তাই ঐদিনে আল্লাহ পাক নবীজিকে মাক্বামে মাহমুদে অধিষ্ঠিত করবেন। <br> <br>[সহীহ  বোখারীঃ  কোরআনের  তাফসির  অধ্যায়,    ৪/১৭৪৭ হাঃ ৪৪৪১; সুনানে কুবরা নাসাঈ ৬/৩৮১ হাঃ ২৯৫] </p>

  নবীজি   ﷺ   মাক্বামে   মাহমুদে  অধিষ্ঠিত হবেন

৩৫তম   হাদিসঃ   নবীজি   ﷺ   মাক্বামে   মাহমুদে  অধিষ্ঠিত হবেন عَنْ   آدَمَ  بْنِ  عَلِيٍّ،  قَالَ:  سَمِعْتُ   ابْنَ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّه...

Read more »

নবীজী ﷺ ইলমে গায়েবের অধিকারী

<p dir="ltr">৩৬তম      হাদিসঃ   নবীজী    ﷺ   ইলমে   গায়েবের অধিকারী <br>عَنِ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّهُ  عَنْهُ  يَقُولُ  قَامَ  فِينَا   النَّبِيُّ    صَلَّى  اللَّهُ عَلَيْهِ  وَسَلَّمَ مَقَامًا  فَأَخْبَرَنَا عَنْ  بَدْءِ الْخَلْقِحَتَّى دَخَلَ   أَهْلُ الْجَنَّةِ    مَنَازِلَهُمْ   وَأَهْلُ    النَّارِ     مَنَازِلَهُمْ   حَفِظَ   ذَلِكَ    مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ <br>উচ্চারণঃ   ‘আন   উমারা    রাদ্বিয়াল্লাহু   ‘আনহু    ইয়াক্বুলু   ক্বামা ফীনা-ন্নাবিয়্যি   ছাল্লাল্লাহু   আলাইহি   ওয়া   ছাল্লামা   মাক্বামান  ফা-আখবারনা ‘আন বাদ-ইল খালক্বি হাত্তা দাখালা আহলুল জান্নাতি    মানাযি   লাহুম    ওয়া    আহলু    ন্নারি     মানাযি   লাহুম হাফিযা জালিকা মান হাফিযাহু ওয়া নাছিয়াহু মান নাছিয়াহু। <br> <br>অনুবাদঃ হযরত ওমর  (রাদ্বিয়াল্লাহু  তা’আলা আনহু)  থেকে  বর্নিত।     তিনি     বলেন,     একদা      নবীজি      আমাদের     মাঝে দন্ডায়মান  ছিলেন।  নবীজি  সৃষ্টির  শুরু  থেকে  জান্নাতিদের  জান্নাতে প্রবেশ করা এবং দোযখীদের দোযখে প্রবেশ করা পর্যন্ত সব কিছু বলে দিলেন। যে সেটা মনে রাখতে পেরেছে সে রেখেছে, যে ভুলে যাওয়ার সে ভুলে গেছে। <br> <br>[সহীহ বোখারীঃ সৃষ্টির শুরু অধ্যায়, ৩/১১৬৬ হাঃ ৩০২০] </p>

  নবীজী    ﷺ   ইলমে   গায়েবের অধিকারী

৩৬তম      হাদিসঃ   নবীজী    ﷺ   ইলমে   গায়েবের অধিকারী عَنِ  عُمَرَ  رَضِيَ  اللَّهُ  عَنْهُ  يَقُولُ  قَامَ  فِينَا   النَّبِيُّ    صَلَّى ...

Read more »

নবীজি ﷺ এর পাঁচটি নাম

<p dir="ltr">৩৩তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ এর পাঁচটি নাম <br>مُحمّدِ  بنِ  جُبَيْرِ   بنِ   مُطْعِمٍ  عن  أَبِيهِ  قال,  قال   رَسُولُ  الله صلى   الله عليه  وسلم:   إِنّ لِي  خمسة أَسْمَاءَ: أَنَا  مُحمّدُ، وَأَنا  أَحْمَدُ،  وَأَنَا  الْمَاحِي  الّذِي  يَمْحُو الله   بِي الْكُفْرَ، وَأَنَا الْحَاشِرُ الّذِي يُحْشَرُالنّاسُ عَلَى قَدَمَيّ، وَأَنَا الْعَاقِبُ <br>উচ্চারণঃ  ‘আন   মুহাম্মাদ   বিন  জুবায়ের    বিন  মুত্বইম  ‘আন আবীহি   ক্বালা,  ক্বালাঃ রাসুলুল্লাহি   ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামাঃ “ইন্না লী খামছাতি  আছমাআ আনা মুহাম্মাদু, ওয়া  আনা  আহমাদু,  ওয়া আনাল   মাহী ইয়ামহুল্লাহু  বিল কুফরা, ওয়া     আনাল     হাশিরু     আল্লাজী     ইউহশারুন     নাছু       ‘আলা কাদামি, ওয়া আনাল আক্বিব। <br> <br>অনুবাদঃ  হযরত  মুহাম্মাদ  বিন  যুবাইর  বিন  মুতঈম  থেকে  বর্নিত।     তিনি    তার    বাবা     থেকে     বর্ণনা      করেন।    নবীজি ছাল্লাল্লাহু  ‘আলাইহি  ওয়া   সাল্লামা  এরশাদ   করেন,   আমার পাঁচটি  নাম আছে। আমি 'মুহাম্মাদ' (প্রশংসিত) ও 'আহমদ' (অধিক    প্রশংসাকারী)।    আর    আমি    'মুহঈ'    (মোচনকারী)  কেননা    আল্লাহ      তায়ালা     আমার     দ্বারা     কুফরকে    মিটিয়ে দিবেন।    আমি    'হাশের'    (সমবেতকারী)।    সকল   লোককে আমার  কদমে  সমবেত  করা  হবে  (কিয়ামতের  ময়দানে)।  এবং আমি 'আক্বিব' সর্বশেষ আগমন কারী (শেষ নবী)। <br> <br>[সহীহ বুখারী, ৩/১২৯৯ হাঃ ৩৩৩৯, ৪/১৮৫৮ হাঃ ৪৬১৪; সহীহ   মুসলিম,   অধ্যায়:   ফাযায়েল     ৪/৮২৭   হাঃ   ২৩৫৪; সুনানে তিরমিজি ৫/১৩৫ হাঃ ২৮৪; সুনানে নাসাঈ ৬/৪৮৯ হাঃ   ১১৫৯০;   মুয়াত্তা   ইমাম   মালেক   ২/১০০৪;   মসনাদে  আহমদ     বিন     হাম্বল    ৪/৮০,    ৮৪;    সহীহ    ইবনে     হিব্বান ১৪/২১৯ হাঃ ৬৩১৩] </p>

নবীজি ﷺ এর পাঁচটি নাম

৩৩তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ এর পাঁচটি নাম مُحمّدِ  بنِ  جُبَيْرِ   بنِ   مُطْعِمٍ  عن  أَبِيهِ  قال,  قال   رَسُولُ  الله صلى   الله عليه  وسلم:   إ...

Read more »

নবীজি ﷺ এর উপর দরূদ ও সালাম পাঠের ফযিলত

<p dir="ltr">৩০তম হাদিসঃ  নবীজি  ﷺ  এর  উপর  দরূদ  ও সালাম পাঠের ফযিলত <br>عَنِ  ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله   عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اَللَّهِ ﷺ إِنَّ أَوْلَى اَلنَّاسِ  بِي   يَوْمَ اَلْقِيَامَةِ,  أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاةً.    (رواه الترمذي و ابن حبان) <br>উচ্চারণঃ  ‘আন   ইবনে    মাস’ঊদ  রাদ্বিয়াল্লাহু   ‘আনহু  ক্বালা, ক্বালা    রাসুলুল্লাহি   ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি   ওয়া   সাল্লামা     ইন্না আওলা        আন্নাছি       বী       ইয়াওমাল         ক্বিয়ামাতি,       ইকছারু ‘আলাইয়্যা    ছালাতান।   রাওয়াহুত    তিরমিজি,     ওয়া   ইবনে হিব্বান। </p><p dir="ltr">অনুবাদ:     হযরত     আব্দুল্লাহ     ইবনে     মাসউদ     (রাদ্বিয়াল্লাহু  তা’আলা   আনহু)  হতে  বর্ণিত।  তিনি  বলেন,  নবীজী   (ﷺ) এরশাদ  করেছেন,  কিয়ামতের  ময়দানে  সে   ব্যক্তি    আমার সবচেয়ে  নিকটবর্তী  থাকবে  যে  ব্যাক্তি  (দুনিয়াতে)  আমার  উপর সবচেয়ে বেশি দুরূদ ও সালাম পেশ করেছে।</p><p dir="ltr">[তিরমিজি-    ২/৩৫৪     হাঃ     ৪৮৪;     সহীহ    ইবনে      হিব্বান- ৩/১৯২  হাঃ ৯১১;  বায়হাকীর   সুনানে কুবরা-  ৩/২৪৯  হাঃ  ৫৭৯১] </p>

নবীজি  ﷺ  এর  উপর  দরূদ  ও সালাম পাঠের ফযিলত

৩০তম হাদিসঃ  নবীজি  ﷺ  এর  উপর  দরূদ  ও সালাম পাঠের ফযিলত عَنِ  ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله   عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اَللَّهِ ﷺ إِنَّ أَو...

Read more »

৩১তম হাদিসঃ সৃষ্টিকুলে নবীজি ﷺ এর মত কেউ নেই

<p dir="ltr">৩১তম   হাদিসঃ  সৃষ্টিকুলে  নবীজি    ﷺ   এর  মত কেউ নেই <br>عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ  ،  قَالَ :  نَهَى رَسُولُ اللهِ  صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  عَنِ الوِصَالِ،  قَالُوا   : فِإِنَّكَ تُوَاصِلُ ،  قَالَ :  أيُّكُمْ مِثْلِي  ؟   إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ. (متفق عليه) <br>উচ্চারণঃ    ‘আন  আবি   হুরায়রাতা,   ক্বালাঃ   নাহা  রাসুলুল্লাহি ছাল্লাল্লাহু   ‘আলাইহি  ওয়া  সাল্লামা  ‘আনিল   বিসালে,  ক্বালুঃ  ফা-ইন্নাকা    তুওয়াসসিলু,   ক্বালাঃ   আইয়্যুকুম   মিছলী?  ইন্নি আবিতু   ইউত্ব-‘ইমনী   রাব্বী  ওয়া   ইয়াসক্বীনি।   (মুত্তাফাক্বুন আলাইহি) <br> <br>অনুবাদঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া    সাল্লাম)   সওমে    ওয়েসাল   (এমন   রোজা   যার   কোন সেহরিও  নেই,  ইফতারও   নেই)  রাখতে  নিষেধ   করেছেন। তখন     কিছু     সাহাবী     নবীজি     (ছাল্লাল্লাহু     ‘আলাইহি     ওয়া  সাল্লামা)   এর  নিকট  আরজ  করলেন,   হে   আল্লাহর   রাসুল! আপনি  নিজেওতো  সওমে ওয়েসাল পালন করেন। নবীজি  এরশাদ  করলেন,  তোমাদের  মধ্যে  কে  আছ  আমার  মত?  আমিতো    এমন    ভাবে    রাত্রিযাপন   করি     যেন    আমার   রব আমাকে খাওয়ান এবং পান করান। <br> <br>[সহীহ    বুখারী,  রোজা  অধ্যায়   ২/৬৯৩  হাঃ  ১৮৬১;    সহীহ মুসলিম  ২/৭৭৪   হাঃ   ১১০২;  সুনানে  আবু  দাউদ  ২/৩০২ হাঃ   ২৩৬০;   সুনানে   কুবরা    নাসাঈ   ২/২৪১    হাঃ   ২৩৬৩; মুয়াত্তা ইমাম  মালেক ১/৩০০  হাঃ ৬৬৭; মুসনাদে   আহমদ বিন    হাম্বল    ২/১০২    হাঃ    ৫৭৯৫;    সহীহ    ইবনে    হিব্বান,  ৮/৩৪১ হাঃ ৩৫৭৫] </p>

৩১তম   হাদিসঃ  সৃষ্টিকুলে  নবীজি    ﷺ   এর  মত কেউ নেই

৩১তম   হাদিসঃ  সৃষ্টিকুলে  নবীজি    ﷺ   এর  মত কেউ নেই عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ  ،  قَالَ :  نَهَى رَسُولُ اللهِ  صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّ...

Read more »

৩২তম হাদিসঃ নবীজি ﷺ কখন নবুয়্যত লাভ করেছেন?

<p dir="ltr">৩২তম হাদিসঃ  নবীজি  ﷺ  কখন নবুয়্যত লাভ   করেছেন? <br>عَنْ  أَبِي    هُرَيْرَةَ،   قَالَ:  قَالُوا  يَا  رَسُولَ   اللَّهِ  مَتَى  وَجَبَتْ  لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالجَسَدِ <br>উচ্চারণঃ       ‘আন       আবি      হুরায়রাতা,      ক্বালাঃ       ক্বালু      ইয়া রাসুলাল্লাহ!   মাতা   ওয়াজাবাত    লাকান্নুবুয়্যাতু?  ক্বালা  ওয়া  আদামা বাইনার রূহী ওয়াল জাসাদ। <br> <br>অনুবাদঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) থেকে   বর্নিত।   তিনি   বলেন,   সাহাবায়ে   কেরামগণ   আরজ  করলেন,     হে    আল্লাহর     রাসুল    !     আপনার     উপর      কখন  নবুয়্যতের      দায়িত্বারোপ    করা     হয়েছে?    নবীজি    এরশাদ করলেন, যখন আদম (আলাইহিস  সালাম)  শরীর ও রুহের মধ্যবর্তী  স্তরে ছিলেন।  (অর্থাৎ যখন  আদম (আঃ) এর  রুহ ও  শরীরের মধ্যে কোন  সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি, আমি তখনও নবী ছিলাম)। <br> <br>[সুনানে   তিরমিজি,  ৫/৫৮৫ হাঃ  ৩২০৯;  মুসনাদে  আহমদ বিন       হাম্বল       হাঃ       ২৩৬২০;       মুস্তাদরাকে       হাকেম       হাঃ  ৪২০৯-৪২১০;     মুসান্নেফে     ইবনে     শাইবা     ৩৬৯/৭     হাঃ  ৩৬৫৫৩] </p>

৩২তম হাদিসঃ  নবীজি  ﷺ  কখন নবুয়্যত লাভ   করেছেন?

৩২তম হাদিসঃ  নবীজি  ﷺ  কখন নবুয়্যত লাভ   করেছেন? عَنْ  أَبِي    هُرَيْرَةَ،   قَالَ:  قَالُوا  يَا  رَسُولَ   اللَّهِ  مَتَى  وَجَبَتْ  لَكَ...

Read more »

নবীজি ﷺ এর পিতা-মাতা মু’মিন ছিলেন

<p dir="ltr">২৭তম    হাদিসঃ    নবীজি    ﷺ    এর    পিতা-মাতা  মু’মিন ছিলেন <br>عَنِ ابْنِ  عَبَّاسٍ، رَضِيَ  اللَّهُ   عَنْهُمَا ،   قَالَ   : قَالَ   رَسُولُ اللَّهِ ﷺ  مَا   وَلَدَنِي مِنْ سِفَاحٍ أَهْلُ  الْجَاهِلِيَّةِ  شَيْءٌ،  مَا  وَلَدَنِي إِلا نِكَاحٌ   كَنِكَاحِ    الإِسْلامِ.   رواه    الطبرني    و   البيهقي    و   ابن عساكر <br>উচ্চারণঃ ’আন ইবনে ‘আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা  ক্বালাঃ  ক্বালা    রাসুলুল্লাহি    ছাল্লাল্লাহু    ‘আলাইহি    ওয়াসাল্লামাঃ    “মা  ওলাদানী  মিন   সিফাহী  আহলুলজাহিলিয়্যাতি  শাই-উন,   মা ওলাদানী   ইল্লা   নিকাহুনকা-নিহাহিল   ইসলামি।   রাওয়াহুত   ত্বাবরানী, ওয়ালবায়হাক্বী, ওয়া ইবনে আসাকির। <br> <br>অনুবাদ:      হযরত      ইবনে     আব্বাস     (রাদ্বিয়াল্লাহু     তা’আলা আনহু)  থেকে  বর্ণিত।  তিনি  বলেন, নবীজী   (ﷺ)  এরশাদ করেছেন,    আমার    সম্মানিত   পিতা-মাতার    মধ্যে     জাহেলী যুগের বিন্দু পরিমান খারাপ কিছু ছিলনা। এবং  আমার জন্ম ইসলাম সম্মত বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে হয়েছে। <br> <br>[তাবরানী মুজামুল কাবির ১০/৩২৯, হা: ১০৮১২; বাযহাকী সুনানে    কুবরা-     ৭/১৯০   হা:    ১৩৮৫৪;   ইবনে     আসাকির তারিখে দামেস্ক- ৩/৪০০] </p>

   নবীজি    ﷺ    এর    পিতা-মাতা  মু’মিন ছিলেন

২৭তম    হাদিসঃ    নবীজি    ﷺ    এর    পিতা-মাতা  মু’মিন ছিলেন عَنِ ابْنِ  عَبَّاسٍ، رَضِيَ  اللَّهُ   عَنْهُمَا ،   قَالَ   : قَالَ   رَسُول...

Read more »

নবীজি ﷺ নিজের জন্মদিনে রোযা রাখতেন

<p dir="ltr">২৮তম   হাদিসঃ   নবীজি   ﷺ    নিজের   জন্মদিনে  রোযা রাখতেন <br>عن   أبى    قتادة   حينما   سُئِلَ   النبي     ﷺ   عَنْ   صَوْمِ   يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالَ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ  فِيهِ  وَيَوْمٌ  بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ   عَلَيَّ  فِيهِ. رواه مسلم <br>উচ্চারণঃ  ‘আন   আবি    ক্বাতাদাতা   হাইনামা  সু-ইলান্নাবিয়্যি  ছাল্লাল্লাহু  ‘আলাইহি  ওয়া  সাল্লামা   ‘আন  সাওমি   ইয়াওমিল ইসনাইনি      ক্বালা     যা'কা     ইয়াওমুন     উলিদতু      ফীহি     ওয়া ইয়াওমুন    বু’ইছতু আও উনযিলা‘আলাইয়্যা ফীহি। রাওয়াহু মুসলিম। <br> <br>অনুবাদ:    হযরত    কাতাদাহ   (রাদ্বিয়াল্লাহু    তা’আলা   আনহু) থেকে    বর্ণিত।   একদা    নবীজী   (ﷺ)   কে   প্রতি   সোমবারে রোযা   রাখা   সম্পর্কে   জিজ্ঞাসা   করা   হলো।   নবীজী   (ﷺ)  ইরশাদ  করলেন, এই   দিনে আমি জন্ম  গ্রহণ  করেছি  এবং  এই দিনে  আমাকে  নবী হিসেবে প্রেরণ  করা  হয়েছে অথবা আমার উপর কোর’আন অবতীর্ন করা হয়েছে। <br> <br>[সহীহ মুসলিম, কিতাবঃসিয়াম, ২/৮১৯ হাঃ ১১৬২; নাসাঈ কৃত  সুনানে  কুবরা  ২/১৪৬  হাঃ  ২৭৭৭;  মুসনাদে  আহমদ  বিন হাম্বল ৫/২৯৭ হাঃ ২২৫৯৪] </p>

  নবীজি   ﷺ    নিজের   জন্মদিনে  রোযা রাখতেন

২৮তম   হাদিসঃ   নবীজি   ﷺ    নিজের   জন্মদিনে  রোযা রাখতেন عن   أبى    قتادة   حينما   سُئِلَ   النبي     ﷺ   عَنْ   صَوْمِ   يَوْمِ الِاثْن...

Read more »