৯৫.সূরা আত-ত্বীন (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৫.সূরা আত-ত্বীন (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;"><br /></span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالتّينِ وَالزَّيتونِ<br />95:1 ডুমুরের শপথ ও যায়তূনের, <br />وَطورِ سينينَ<br />95:2 এবং সিনাই পর্বতের, <br />وَهٰذَا البَلَدِ الأَمينِ<br />95:3 এবং এ নিরাপদ শহরের- <br />لَقَد خَلَقنَا الإِنسٰنَ فى أَحسَنِ تَقويمٍ<br />95:4 নিশ্চয় আমি মানুষকে উৎকৃষ্ট আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি। <br />ثُمَّ رَدَدنٰهُ أَسفَلَ سٰفِلينَ<br />95:5 তারপর তাকে নিম্ন থেকে নিম্নতর অবস্থার দিকে ফিরিয়ে দিয়েছি- <br />إِلَّا الَّذينَ ءامَنوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَلَهُم أَجرٌ غَيرُ مَمنونٍ<br />95:6     কিন্তু   যারা  ঈমান  এনেছে  এবং  সৎকাজ    করেছে,  তাদের  জন্য   অফুরন্ত   প্রতিদান রয়েছে। <br />فَما يُكَذِّبُكَ بَعدُ بِالدّينِ<br />95:7  অতঃপর  এখন  কোন  জিনিস  তোমার  জন্য  ন্যায়  বিচারকে  অস্বীকার  করার  কারণ  হয়েছে? <br />أَلَيسَ اللَّهُ بِأَحكَمِ الحٰكِمينَ<br />95:8 আল্লাহ্‌ কি সকল বিচারকের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন? </span></b></div></div>

৯৫.সূরা আত-ত্বীন (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৫.সূরা আত-ত্বীন (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالتّينِ وَالزَّيتونِ 95:1 ডুমুরের শপথ ও যায়তূনের...

Read more »

৯৪.সূরা আশ-শারহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৪.সূরা আশ-শারহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">أَلَم نَشرَح لَكَ صَدرَكَ<br />94:1 আমি কি আপনার বক্ষ প্রশস্ত করি নি? <br />وَوَضَعنا عَنكَ وِزرَكَ<br />94:2 এবং আপনার উপর থেকে আপনার ওই বোঝা নামিয়ে নিয়েছি, <br />الَّذى أَنقَضَ ظَهرَكَ<br />94:3 যা আপনার পৃষ্ঠ ভেঙ্গেছিলো, <br />وَرَفَعنا لَكَ ذِكرَكَ<br />94:4 এবং আমি আপনার জন্য আপনার স্মরণকে সম্মুনত করেছি। <br />فَإِنَّ مَعَ العُسرِ يُسرًا<br />94:5 সুতরাং নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে, <br />إِنَّ مَعَ العُسرِ يُسرًا<br />94:6 নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। <br />فَإِذا فَرَغتَ فَانصَب<br />94:7    অতএব,  যখন   আপনি  নামায  থেকে  অবসর  হবেন  তখন  দো’আর  মধ্যে  পরিশ্রম করুন, <br />وَإِلىٰ رَبِّكَ فَارغَب<br />94:8 এবং আপন রবের প্রতি মনোনিবেশ করুন। </span></b></div></div>

৯৪.সূরা আশ-শারহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৪.সূরা আশ-শারহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ أَلَم نَشرَح لَكَ صَدرَكَ 94:1 আমি কি আপনার বক্ষ প্...

Read more »

৯৩.সূরা আদ-দ্বোহা (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৩.সূরা আদ-দ্বোহা (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">وَالضُّحىٰ<br />93:1 চাশ্‌ত (পূর্বাহ্ন) এর শপথ, <br />وَالَّيلِ إِذا سَجىٰ<br />93:2 এবং রাতের, যখন পর্দা-আবৃত করে, <br />ما وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَما قَلىٰ<br />93:3 আপনার রব আপনাকে পরিত্যাগ করেন নি এবং না অপছন্দ করেছেন। <br />وَلَلءاخِرَةُ خَيرٌ لَكَ مِنَ الأولىٰ<br />93:4 এবং নিশ্চয় পরবর্তী জীবন আপনার জন্য পূর্ববর্তী জীবন অপেক্ষা উত্তম। <br />وَلَسَوفَ يُعطيكَ رَبُّكَ فَتَرضىٰ<br />93:5 এবং নিশ্চয় অচিরে   আপনার   রব আপনাকে  এ পরিমাণ  দেবেন   যে,  আপনি  সন্তুষ্ট  হয়ে যাবেন। <br />أَلَم يَجِدكَ يَتيمًا فَـٔاوىٰ<br />93:6 তিনি কি আপনাকে এতিম পাননি? অতঃপর আশ্রয় দিয়েছেন! <br />وَوَجَدَكَ ضالًّا فَهَدىٰ<br />93:7     এবং      আপনাকে    স্বীয়    প্রেমে    আত্নহারা    পেয়েছেন,    তখন      নিজের    দিকে     পথ দেখিয়েছেন। <br />وَوَجَدَكَ عائِلًا فَأَغنىٰ<br />93:8 এবং আপনাকে অভাবগ্রস্ত পেয়েছেন, অতঃপর ধনী করে দিয়েছেন; <br />فَأَمَّا اليَتيمَ فَلا تَقهَر<br />93:9 সুতরাং এতিমের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না; <br />وَأَمَّا السّائِلَ فَلا تَنهَر<br />93:10 এবং ভিক্ষুককে ধমকাবেন না। <br />وَأَمّا بِنِعمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّث<br />93:11 এবং আপন রবের নি’মাতের খুব চর্চা করুন। </span></b></div></div>

৯৩.সূরা আদ-দ্বোহা (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৩.সূরা আদ-দ্বোহা (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالضُّحىٰ 93:1 চাশ্‌ত (পূর্বাহ্ন) এর শপথ, وَالَّ...

Read more »

৯২.সূরা আল-লাইল (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">৯২.সূরা আল-লাইল (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالَّيلِ إِذا يَغشىٰ<br />92:1 রাতের শপথ যখন ছেয়ে যায়, <br />وَالنَّهارِ إِذا تَجَلّىٰ<br />92:2 এবং দিনের যখন আলোকোজ্জ্বল হয়, <br />وَما خَلَقَ الذَّكَرَ وَالأُنثىٰ<br />92:3 এবং তারই, যিনি নর-নারী সৃষ্টি করেছেন- <br />إِنَّ سَعيَكُم لَشَتّىٰ<br />92:4 নিশ্চয় তোমাদের চেষ্টা ভিন্ন ভিন্ন। <br />فَأَمّا مَن أَعطىٰ وَاتَّقىٰ<br />92:5 সুতরাং ওই ব্যক্তি, যে দান করেছে এবং পরহেয্‌গারী অবলম্বন করেছে, <br />وَصَدَّقَ بِالحُسنىٰ<br />92:6 এবং সবচেয়ে উত্তমকে সত্য মেনেছে, <br />فَسَنُيَسِّرُهُ لِليُسرىٰ<br />92:7 অতঃপর অতিসত্বর আমি তাকে সহজের পথ সুগম করে দেবো। <br />وَأَمّا مَن بَخِلَ وَاستَغنىٰ<br />92:8 আর ওই ব্যক্তি যে কার্পণ্য করেছে ও বেপরোয়া হয়েছে, <br />وَكَذَّبَ بِالحُسنىٰ<br />92:9 এবং সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্টকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, <br />فَسَنُيَسِّرُهُ لِلعُسرىٰ<br />92:10 অতঃপর অচিরেই আমি তাকে কষ্টের পথ তার জন্য সহজ করে দেবো। <br />وَما يُغنى عَنهُ مالُهُ إِذا تَرَدّىٰ<br />92:11 এবং তার সম্পদ তার কাজে আসবে না যখন ধ্বংসে পতিত হবে। <br />إِنَّ عَلَينا لَلهُدىٰ<br />92:12 নিশ্চয় পথ প্রদর্শন করা আমার দায়িত্ব, <br />وَإِنَّ لَنا لَلءاخِرَةَ وَالأولىٰ<br />92:13 এবং নিশ্চয় পরকাল ও ইহকাল উভয়ই আমার মালিকানায়। <br />فَأَنذَرتُكُم نارًا تَلَظّىٰ<br />92:14   সুতরাং  আমি  তোমাদেরকে  ভয়  প্রদর্শন   করছি  ওই  আগুন   থেকে,  যা  প্রজ্জ্বলিত হচ্ছে; <br />لا يَصلىٰها إِلَّا الأَشقَى<br />92:15 এতে প্রবেশ করবে না, কিন্ত বড় হতভাগাই, <br />الَّذى كَذَّبَ وَتَوَلّىٰ<br />92:16 যে অস্বীকার করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে; <br />وَسَيُجَنَّبُهَا الأَتقَى<br />92:17 এবং তা থেকে অনেক দূরে রাখা হবে যে সর্বাধিক পরহেয্‌গার, <br />الَّذى يُؤتى مالَهُ يَتَزَكّىٰ<br />92:18 যে নিজ সম্পদ প্রদান করে, যাতে পবিত্র হয়, <br />وَما لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِعمَةٍ تُجزىٰ<br />92:19 এবং তার উপর কারো (এমন) কোন অনুগ্রহ নেই, যার প্রতিদান দিতে হবে, <br />إِلَّا ابتِغاءَ وَجهِ رَبِّهِ الأَعلىٰ<br />92:20 শুধু আপন রবের সন্তুষ্টি কামনা করে, যিনি সবচেয়ে মহান; <br />وَلَسَوفَ يَرضىٰ<br />92:21 এবং নিশ্চয় অচিরেই সে সন্তুষ্ট হবে। </span></b></div></div>

৯২.সূরা আল-লাইল (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯২.সূরা আল-লাইল (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالَّيلِ إِذا يَغشىٰ 92:1 রাতের শপথ যখন ছেয়ে যায়, ...

Read more »

৯০.সূরা আল-বালাদ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯০.সূরা আল-বালাদ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">لا أُقسِمُ بِهٰذَا البَلَدِ<br />90:1 আমায় এ শহরের শপথ, <br />وَأَنتَ حِلٌّ بِهٰذَا البَلَدِ<br />90:2 যেহেতু হে মাহবূব! আপনি এ শহরে তাশরীফ রাখছেন, <br />وَوالِدٍ وَما وَلَدَ<br />90:3   এবং   আপনার  পিতা  (পিতৃ-পুরুষ)  ইব্রাহীমের  শপথ  এবং  তার   বংশধরের,  অর্থাৎ আপনিই। <br />لَقَد خَلَقنَا الإِنسٰنَ فى كَبَدٍ<br />90:4 নিশ্চয় আমি মানুষকে কষ্টের মধ্যে থাকাবস্থায় সৃষ্টি করেছি। <br />أَيَحسَبُ أَن لَن يَقدِرَ عَلَيهِ أَحَدٌ<br />90:5 মানুষ কি এ কথা মনে করে যে কখনো তার উপর কেউ ক্ষমতা পাবে না? <br />يَقولُ أَهلَكتُ مالًا لُبَدًا<br />90:6 সে বলে, ‘আমি যথেষ্ট সম্পদ উজাড় করে দিয়েছি। <br />أَيَحسَبُ أَن لَم يَرَهُ أَحَدٌ<br />90:7 মানুষ কি একথা মনে করে যে, তাকে কেউ দেখে নি? <br />أَلَم نَجعَل لَهُ عَينَينِ<br />90:8 আমি কি তার দু’টি চক্ষু সৃষ্টি করি নি? <br />وَلِسانًا وَشَفَتَينِ<br />90:9 এবং জিহ্বা ও দু’ট ওষ্ঠ? <br />وَهَدَينٰهُ النَّجدَينِ<br />90:10 এবং তাকে দু’টি উত্থিত বস্তুর পথ বাত্‌লিয়েছি। <br />فَلَا اقتَحَمَ العَقَبَةَ<br />90:11 অতঃপর নিদ্বির্ধায় গিরিপথে লম্ফ দেয় নি। <br />وَما أَدرىٰكَ مَا العَقَبَةُ<br />90:12 এবং তুমি কি জেনেছো ওই গিরিপথ কি? <br />فَكُّ رَقَبَةٍ<br />90:13 কোন বান্দার গর্দান ছাড়ানো। <br />أَو إِطعٰمٌ فى يَومٍ ذى مَسغَبَةٍ<br />90:14 কিংবা ক্ষুধার দিনে খাবার দেওয়া- <br />يَتيمًا ذا مَقرَبَةٍ<br />90:15 আত্নীয় এতিমকে, <br />أَو مِسكينًا ذا مَترَبَةٍ<br />90:16 অথবা মাটিতে উপবিষ্ট মিসকীনকে। <br />ثُمَّ كانَ مِنَ الَّذينَ ءامَنوا وَتَواصَوا بِالصَّبرِ وَتَواصَوا بِالمَرحَمَةِ<br />90:17  অতঃপর  হয়  তাদের    থেকে,  যারা  ঈমান  এনেছে;   এবং   তারা  পরস্পরের  মধ্যে ধৈর্যধারণের উপদেশ প্রদান করেছে; এবং পরস্পরের মধ্যে সদয় হবার উপদেশ দিয়েছে। <br />أُولٰئِكَ أَصحٰبُ المَيمَنَةِ<br />90:18 এরা হচ্ছে ডান দিকের। <br />وَالَّذينَ كَفَروا بِـٔايٰتِنا هُم أَصحٰبُ المَشـَٔمَةِ<br />90:19 আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, তারা হচ্ছে বাম দিকের। <br />عَلَيهِم نارٌ مُؤصَدَةٌ<br />90:20 তাদের উপর এমন আগুন রয়েছে যে, তাতে নিক্ষেপ করে উপরের দিক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। </span></b></div></div>

৯০.সূরা আল-বালাদ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯০.সূরা আল-বালাদ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ لا أُقسِمُ بِهٰذَا البَلَدِ 90:1 আমায় এ শহরের শপথ,...

Read more »

৯১.সূরা আশ-শামস্ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯১.সূরা আশ-শামস্ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">وَالشَّمسِ وَضُحىٰها<br />91:1 সূর্য ও সেটার আলোক-রশ্মির শপথ, <br />وَالقَمَرِ إِذا تَلىٰها<br />91:2 এবং চাঁদের (শপথ), যখন সেটার পশ্চাদানুসরণ করে, <br />وَالنَّهارِ إِذا جَلّىٰها<br />91:3 এবং দিনের (শপথ), যখন সেটাকে উজ্জ্বল করে, <br />وَالَّيلِ إِذا يَغشىٰها<br />91:4 এবং রাতের, যখন সেটাকে গোপন করে, <br />وَالسَّماءِ وَما بَنىٰها<br />91:5 এবং আস্‌মান ও সেটার সৃষ্টিকর্তার শপথ, <br />وَالأَرضِ وَما طَحىٰها<br />91:6 এবং পৃথিবী ও সেটার সম্প্রসারণকারীর শপথ, <br />وَنَفسٍ وَما سَوّىٰها<br />91:7 এবং আত্নার এবং তাঁরই, যিনি তাকে সুঠাম করেছেন, <br />فَأَلهَمَها فُجورَها وَتَقوىٰها<br />91:8 অতঃপর তার অসৎকর্ম ও তার খোদাভীরুতা অন্তরে জাগিয়ে দিয়েছেন, <br />قَد أَفلَحَ مَن زَكّىٰها<br />91:9 নিশ্চয় লক্ষ্যস্থলে পৌঁছেছে, যে সেটাকে পবিত্র করেছে। <br />وَقَد خابَ مَن دَسّىٰها<br />91:10 এবং নিরাশ হয়েছে যে সেটাকে পাপের মধ্যে আচ্ছন্ন করেছে। <br />كَذَّبَت ثَمودُ بِطَغوىٰها<br />91:11 সামূদ (গোত্র) আপন অবাধ্যতার দরুন অস্বীকার করেছে। <br />إِذِ انبَعَثَ أَشقىٰها<br />91:12 যখন তার সর্বাধিক হতভাগা উঠে দাড়িয়েছে, <br />فَقالَ لَهُم رَسولُ اللَّهِ ناقَةَ اللَّهِ وَسُقيٰها<br />91:13  তখন   তাকে  আল্লাহ্‌র  রসূল  বললেন,  ‘আল্লাহর   উষ্ট্রী   এবং  সেটার  (পান  করার) পালার ব্যাপারে সাবধান হও’। <br />فَكَذَّبوهُ فَعَقَروها فَدَمدَمَ عَلَيهِم رَبُّهُم بِذَنبِهِم فَسَوّىٰها<br />91:14   তখন  তারা   তাকে   অস্বীকার   করলো,   অতঃপর  উষ্ট্রীর  গোছগুলো  কেটে   দিলো। তখন  তাদের  উপর তাদের  রব   তাদের  পাপের দরুন  ধ্বংস  অবতীর্ণ  করে  ওই জনপদকে একাকার করে দিলেন। <br />وَلا يَخافُ عُقبٰها<br />91:15 এবং তাদের পশ্চাব্ধাবনের ভয় তার নেই। </span></b></div></div>

৯১.সূরা আশ-শামস্ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯১.সূরা আশ-শামস্ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالشَّمسِ وَضُحىٰها 91:1 সূর্য ও সেটার আলোক-রশ্মি...

Read more »

৮৮.সূরা আল-গাশিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;"><u>Al-Quran</u>: Kanzul Imaan<br />৮৮.সূরা আল-গাশিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">هَل أَتىٰكَ حَديثُ الغٰشِيَةِ<br />88:1 নিশ্চয় আপনার নিকট ওই বিপদের সংবাদ এসেছে, যা ছেয়ে যাবে। <br />وُجوهٌ يَومَئِذٍ خٰشِعَةٌ<br />88:2 সেদিন কত মুখ অপমানিত হবে, <br />عامِلَةٌ ناصِبَةٌ<br />88:3 কাজ করবে, কষ্ট ভোগ করবে, <br />تَصلىٰ نارًا حامِيَةً<br />88:4 যাবে জ্বলন্ত আগুনে; <br />تُسقىٰ مِن عَينٍ ءانِيَةٍ<br />88:5 অত্যন্ত উত্তপ্ত ঝরণার পানিপান করানো হবে। <br />لَيسَ لَهُم طَعامٌ إِلّا مِن ضَريعٍ<br />88:6 তাদের জন্য কোন খাদ্য নেই, কিন্তু আগুনের কাঁটা; <br />لا يُسمِنُ وَلا يُغنى مِن جوعٍ<br />88:7 যা না হৃষ্টপুষ্টতা আনয়ন করবে এবং না ক্ষুধা নিবারণ করবে। <br />وُجوهٌ يَومَئِذٍ ناعِمَةٌ<br />88:8 কত মুখই সেদিন শান্তিতে থাকবে, <br />لِسَعيِها راضِيَةٌ<br />88:9 আপন চেষ্টার উপর সন্তুষ্ট, <br />فى جَنَّةٍ عالِيَةٍ<br />88:10 সমুন্নত বাগানের মধ্যে- <br />لا تَسمَعُ فيها لٰغِيَةً<br />88:11 যে, তাতে কোন অযথা কথাবার্তা শুনবে না, <br />فيها عَينٌ جارِيَةٌ<br />88:12 তাতে প্রবাহিত প্রস্রবণ রয়েছে, <br />فيها سُرُرٌ مَرفوعَةٌ<br />88:13 সেটার মধ্যে উচ্চ আসন রয়েছে, <br />وَأَكوابٌ مَوضوعَةٌ<br />88:14 এবং সুবিন্যস্থরূপে সাজানো পান-পাত্রসমূহ রয়েছে, <br />وَنَمارِقُ مَصفوفَةٌ<br />88:15 এবং সুসমঞ্জসভাবে গালিচা বিছানো রয়েছে, <br />وَزَرابِىُّ مَبثوثَةٌ<br />88:16 এবং বিস্তৃত সাদা চাদর (রয়েছে); <br />أَفَلا يَنظُرونَ إِلَى الإِبِلِ كَيفَ خُلِقَت<br />88:17 তবে কি তার উট দেখে না যে, কীভাবে (তা) সৃষ্টি করা হয়েছে? <br />وَإِلَى السَّماءِ كَيفَ رُفِعَت<br />88:18 এবং আস্‌মানকে, কীভাবে উচু করা হয়েছে? <br />وَإِلَى الجِبالِ كَيفَ نُصِبَت<br />88:19 এবং পাহাড়গুলোকে কীভাবে দণ্ডায়মান করা হয়েছে? <br />وَإِلَى الأَرضِ كَيفَ سُطِحَت<br />88:20 আর যমীনকে, কীরূপে বিছানো হয়েছে? <br />فَذَكِّر إِنَّما أَنتَ مُذَكِّرٌ<br />88:21 সুতরাং আপনি উপদেশ শুনান; বস্তুতঃ আপনিই তো এ উপদেশদাতা; <br />لَستَ عَلَيهِم بِمُصَيطِرٍ<br />88:22 আপনি তো তাদের কোন দারোগা নন। <br />إِلّا مَن تَوَلّىٰ وَكَفَرَ<br />88:23 হাঁ, যে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং কুফর করে, <br />فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ العَذابَ الأَكبَرَ<br />88:24 তা হলে আল্লাহ্‌ তাকে বড় শাস্তি দেবেন। <br />إِنَّ إِلَينا إِيابَهُم<br />88:25 নিশ্চয় আমার প্রতিই তাদের প্রত্যাবর্তন হবে; <br />ثُمَّ إِنَّ عَلَينا حِسابَهُم<br />88:26 অতঃপর নিশ্চয় আমারই দিকে তাদের হিসাব রয়েছে। </span></b></div></div>

৮৮.সূরা আল-গাশিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran : Kanzul Imaan ৮৮.সূরা আল-গাশিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ هَل أَتىٰكَ حَديثُ الغٰشِيَةِ 88:1 নিশ্চয় আপনার...

Read more »

৮৯.সূরা আল-ফজর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮৯.সূরা আল-ফজর (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالْفَجْرِ<br />89:1 ওই ভোর বেলার শপথ, <br />وَلَيالٍ عَشرٍ<br />89:2 এবং দশ রাতের, <br />وَالشَّفعِ وَالوَترِ<br />89:3 এবং জোড় ও বিজোড়ের, <br />وَالَّيلِ إِذا يَسرِ<br />89:4 এবং রাতের, যখন অতিক্রম করে যায়- <br />هَل فى ذٰلِكَ قَسَمٌ لِذى حِجرٍ<br />89:5 কেনই বা এতে জ্ঞানীদের জন্য শপথ হয়েছে! <br />أَلَم تَرَ كَيفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعادٍ<br />89:6   আপনি   কি   দেখেন   নি    আপনার   রব   ‘আদ    গোত্রের    সাথে   কি   ধরণের   ব্যবহার করেছেন? <br />إِرَمَ ذاتِ العِمادِ<br />89:7 ওই ‘ইরম’ সীমাতীত লম্বা ছিলো। <br />الَّتى لَم يُخلَق مِثلُها فِى البِلٰدِ<br />89:8 এমনকি, তাদের মতো (কাউকে) শহরগুলোতে সৃষ্টি করা হয় নি; <br />وَثَمودَ الَّذينَ جابُوا الصَّخرَ بِالوادِ<br />89:9 এবং ‘সামূদ’ (গোত্রীয়রা), যারা মরুদ্যানে বড় বশড় প্রস্তরখণ্ড কেটেছিলো; <br />وَفِرعَونَ ذِى الأَوتادِ<br />89:10 এবং ফির’আঊন, যে চৌকীলকের ফলকে আটকিয়ে শাস্তি দিতো; <br />الَّذينَ طَغَوا فِى البِلٰدِ<br />89:11 যারা শহরগুলোতে ঐদ্ধত্য প্রকাশ করলো, <br />فَأَكثَروا فيهَا الفَسادَ<br />89:12 অতঃপর সেগুলোতে অনেক ফ্যাসাদ ছড়ালো। <br />فَصَبَّ عَلَيهِم رَبُّكَ سَوطَ عَذابٍ<br />89:13 সুতরাং তাদেরকে তোমাদের রব আযাবের চাবুক অতি জোরে মারলেন। <br />إِنَّ رَبَّكَ لَبِالمِرصادِ<br />89:14 নিশ্চয় তোমাদের রবের সৃষ্টি থেকে কিছুই অদৃশ্য নয়। <br />فَأَمَّا الإِنسٰنُ إِذا مَا ابتَلىٰهُ رَبُّهُ فَأَكرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقولُ رَبّى أَكرَمَنِ<br />89:15 কিন্তু মানুষ তো যখন তাকে তার রবে এভাবে পরীক্ষা করেন যে, তাকে উচ্চপদ ও নি’মাত দান করেন, তখন বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মান দিয়েছেন।’ <br />وَأَمّا إِذا مَا ابتَلىٰهُ فَقَدَرَ عَلَيهِ رِزقَهُ فَيَقولُ رَبّى أَهٰنَنِ<br />89:16  আর যদি  পরীক্ষা    করেন  এবং  তার  রিযক্ব   তার উপর সংকুচিত করে দেন, তবে বলে, ‘আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেন’। <br />كَلّا بَل لا تُكرِمونَ اليَتيمَ<br />89:17 এমন নয়, বরং তোমরা এতিমের সম্মান করছো না, <br />وَلا تَحٰضّونَ عَلىٰ طَعامِ المِسكينِ<br />89:18   এবং   পরস্পরের   মধ্যে   একে   অপরকে   উৎসাহ   দিচ্ছো   না   মিসকীনকে   আহার  করানোর প্রতি, <br />وَتَأكُلونَ التُّراثَ أَكلًا لَمًّا<br />89:19 এবং উত্তরাধিকারের মাল একত্রিত করে সম্পূর্ণরূপে খেয়ে থাকো, <br />وَتُحِبّونَ المالَ حُبًّا جَمًّا<br />89:20 এবং মাল-দৌলতকে অত্যন্ত ভালোবাসছো। <br />كَلّا إِذا دُكَّتِ الأَرضُ دَكًّا دَكًّا<br />89:21 হাঁ, হাঁ, যখন যমীনকে টুকরো টুকরো করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া হবে, <br />وَجاءَ رَبُّكَ وَالمَلَكُ صَفًّا صَفًّا<br />89:22  এবং   আপনার  রব এর  নির্দেশ  আসবে আর ফিরিশ্‌তাগণ আসবে  কাতার কাতার হয়ে, <br />وَجِا۟يءَ يَومَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَومَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الإِنسٰنُ وَأَنّىٰ لَهُ الذِّكرىٰ<br />89:23 এবং  সেদিন  জাহান্নামকে উপস্থাপন   করা হবে; সেদিন   মানুষ  ভাববে এবং এখন তার ভাববার সময় কোথায়? <br />يَقولُ يٰلَيتَنى قَدَّمتُ لِحَياتى<br />89:24   বলবে,     ‘হায়,    কোন    রকমে     আমি   যদি   জীবদ্দশায়ই    সৎকর্ম   অগ্রিম    পাঠাতে পারতাম। <br />فَيَومَئِذٍ لا يُعَذِّبُ عَذابَهُ أَحَدٌ<br />89:25 তবে, সেদিন তাঁর মত শাস্তি কেউ দিতে পারে না, <br />وَلا يوثِقُ وَثاقَهُ أَحَدٌ<br />89:26 এবং তাঁর মতো বাধনও কেউ বাধতে পারে না। <br />يٰأَيَّتُهَا النَّفسُ المُطمَئِنَّةُ<br />89:27 হে শান্তিময় প্রাণ! <br />ارجِعى إِلىٰ رَبِّكِ راضِيَةً مَرضِيَّةً<br />89:28   স্বীয়  রবের   দিকে   ফিরে   যাও,  এভাবে  যে,   তুমি   তার   উপর  সন্তুষ্ট    এবং   তিনি তোমার উপর সন্তুষ্ট, <br />فَادخُلى فى عِبٰدى<br />89:29 অতঃপর আমার খাস বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ করো, <br />وَادخُلى جَنَّتى<br />89:30 এবং আমার জান্নাতে এসো! </span></b></div></div>

৮৯.সূরা আল-ফজর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৯.সূরা আল-ফজর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالْفَجْرِ 89:1 ওই ভোর বেলার শপথ, وَلَيالٍ عَشرٍ 89...

Read more »

৮৭.সূরা আল-আ'লা (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮৭.সূরা আল-আ'লা (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">سَبِّحِ اسمَ رَبِّكَ الأَعلَى<br />87:1 আপন রবের নামের পবিত্রতা বর্ণনা করো, যিনি সবার ঊর্ধ্বে, <br />الَّذى خَلَقَ فَسَوّىٰ<br />87:2 যিনি সৃষ্টি করে সুঠাম করেছেন; <br />وَالَّذى قَدَّرَ فَهَدىٰ<br />87:3 এবং যিনি নির্দিষ্ট পরিমাপের উপর রেখে পথ প্রদর্শন করেছেন, <br />وَالَّذى أَخرَجَ المَرعىٰ<br />87:4 এবং যিনি চারা বের করেছেন, <br />فَجَعَلَهُ غُثاءً أَحوىٰ<br />87:5 তারপর সেটাকে শুষ্ক কালো করেছেন। <br />سَنُقرِئُكَ فَلا تَنسىٰ<br />87:6 এখন আমি আপনাকে পড়াবো; ফলে আপনি ভুলবেন না, <br />إِلّا ما شاءَ اللَّهُ إِنَّهُ يَعلَمُ الجَهرَ وَما يَخفىٰ<br />87:7 কিন্তু আল্লাহ্‌ যা চান। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রত্যেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যকে। <br />وَنُيَسِّرُكَ لِليُسرىٰ<br />87:8 এবং আমি আপনার জন্য সহজের সামগ্রীসমূহ যোগাড় করে দেবো। <br />فَذَكِّر إِن نَفَعَتِ الذِّكرىٰ<br />87:9 অতএব, আপনি উপদেশ দান করুন, যদি উপদেশ ফলপ্রসূ হয়; <br />سَيَذَّكَّرُ مَن يَخشىٰ<br />87:10 অতিসত্ত্বর উপদেশ গ্রহণ করবে যে ভয় করে। <br />وَيَتَجَنَّبُهَا الأَشقَى<br />87:11  এবং তা থেকে দূরে থাকবে ওই বড় হতভাগা, <br />الَّذى يَصلَى النّارَ الكُبرىٰ<br />87:12 যে সবচেয়ে বড় আগুনে প্রবেশ করবে; <br />ثُمَّ لا يَموتُ فيها وَلا يَحيىٰ<br />87:13 অতঃপর না তাতে মৃত্যুবরণ করবে এবং না জীবিত থাকবে। <br />قَد أَفلَحَ مَن تَزَكّىٰ<br />87:14 নিশ্চয় লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত পৌঁছেছে, যে পবিত্র হয়েছে, <br />وَذَكَرَ اسمَ رَبِّهِ فَصَلّىٰ<br />87:15  এবং আপন রবের নাম নিয়ে নামায পড়েছে। <br />بَل تُؤثِرونَ الحَيوٰةَ الدُّنيا<br />87:16 বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো, <br />وَالءاخِرَةُ خَيرٌ وَأَبقىٰ<br />87:17 এবং পরকাল উত্তম ও চিরস্থায়ী। <br />إِنَّ هٰذا لَفِى الصُّحُفِ الأولىٰ<br />87:18 নিশ্চয় এটা পূর্ববর্তী সহীফাগুলোতে রয়েছে; <br />صُحُفِ إِبرٰهيمَ وَموسىٰ<br />87:19 ইব্রাহীম ও মূসার সহীফাগুলোতে। </span></b></div></div>

৮৭.সূরা আল-আ'লা (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৭.সূরা আল-আ'লা (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ سَبِّحِ اسمَ رَبِّكَ الأَعلَى 87:1 আপন রবের নাম...

Read more »

৮৫.সূরা আল-বুরুজ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">৮৫.সূরা আল-বুরুজ (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالسَّماءِ ذاتِ البُروجِ<br />85:1 শপথ আস্‌মানের যার মধ্যে কক্ষপথ রয়েছে, <br />وَاليَومِ المَوعودِ<br />85:2 এবং ওই দিনের যার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, <br />وَشاهِدٍ وَمَشهودٍ<br />85:3 এবং ওই দিনের, যে (দিন) টি সাক্ষী, এবং ওই দিনের, যাতে উপস্থিত হয়- <br />قُتِلَ أَصحٰبُ الأُخدودِ<br />85:4 কুণ্ড-অধিপতিদের উপর অভিশাপ হোক! <br />النّارِ ذاتِ الوَقودِ<br />85:5 ওই প্রজ্জ্বলিত আগুনের অধিপতিগণ, <br />إِذ هُم عَلَيها قُعودٌ<br />85:6 যখন তারা সেটার কিনারায় উপবিষ্ট ছিলো; <br />وَهُم عَلىٰ ما يَفعَلونَ بِالمُؤمِنينَ شُهودٌ<br />85:7 এবং   তারা নিজেরাই সাক্ষী রয়েছে  (সে সম্পর্কে) যা কিছু তারা মুসলমানদের সাথে করছিলো। <br />وَما نَقَموا مِنهُم إِلّا أَن يُؤمِنوا بِاللَّهِ العَزيزِ الحَميدِ<br />85:8  এবং  তাদের    নিকট  মুসলমানদের  খারাপ  লেগেছে  এটা  নয়  কি   যে,  তারা  ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌ মহা সম্মানিত, সমস্ত প্রশংসায় প্রশংসিতের উপর? <br />الَّذى لَهُ مُلكُ السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ وَاللَّهُ عَلىٰ كُلِّ شَيءٍ شَهيدٌ<br />85:9  যারই   আস্‌মানসমূহ  ও    যমীনের    রাজত্ব   এবং  আল্লাহ্‌   প্রত্যেক  বস্তুর  উপর  সাক্ষী আছেন। <br />إِنَّ الَّذينَ فَتَنُوا المُؤمِنينَ وَالمُؤمِنٰتِ ثُمَّ لَم يَتوبوا فَلَهُم عَذابُ جَهَنَّمَ وَلَهُم عَذابُ الحَريقِ<br />85:10  নিশ্চয় যারা কষ্ট  দিয়েছে মুসলমান  পুরুষদের ও   মুসলমান নারীদেরকে  অতঃপর  তাওবা  করে  নি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং তাদের জন্য রয়েছে আগুনের শাস্তি। <br />إِنَّ الَّذينَ ءامَنوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُم جَنّٰتٌ تَجرى مِن تَحتِهَا الأَنهٰرُ ذٰلِكَ الفَوزُ الكَبيرُ<br />85:11 নিশ্চয় যারা ঈমান  এনেছে এবং  সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য  এমন সব ‘বাগান’  রয়েছে, যেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। এটাই হলো বড় সফলতা। <br />إِنَّ بَطشَ رَبِّكَ لَشَديدٌ<br />85:12 অবশ্যই আপনার রবের পাকড়াও নিতান্ত কঠিন। <br />إِنَّهُ هُوَ يُبدِئُ وَيُعيدُ<br />85:13 নিশ্চয় তিনি প্রথমে সৃষ্টি করেন এবং পুনরায় সৃষ্টি করেন, <br />وَهُوَ الغَفورُ الوَدودُ<br />85:14 এবং তিনিই মার্জনাকারী, আপন নেককার বান্দাদের জন্য প্রেমময়, <br />ذُو العَرشِ المَجيدُ<br />85:15 সম্মানিত আরশের অধিপতি; <br />فَعّالٌ لِما يُريدُ<br />85:16 সর্বদা তিনি যা ইচ্ছা করেন, তা-ই সম্পন্নকারী। <br />هَل أَتىٰكَ حَديثُ الجُنودِ<br />85:17 আপনার নিকট কি ‘সৈন্যদের’ কথা এসেছে? <br />فِرعَونَ وَثَمودَ<br />85:18 ওই সৈন্যদল কারা? ‘ফির’আঊন ও সামূদ। <br />بَلِ الَّذينَ كَفَروا فى تَكذيبٍ<br />85:19 বরং কাফিরগণ অস্বীকারের মধ্যে রয়েছে; <br />وَاللَّهُ مِن وَرائِهِم مُحيطٌ<br />85:20 এবং আল্লাহ্‌ তাদের পেছনের দিক থেকে তাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন। <br />بَل هُوَ قُرءانٌ مَجيدٌ<br />85:21 বরং তা পূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন ক্বোরআন, <br />فى لَوحٍ مَحفوظٍ<br />85:22 লওহ-ই মাহফূযের মধ্যে। </span></b></div></div>

৮৫.সূরা আল-বুরুজ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৫.সূরা আল-বুরুজ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالسَّماءِ ذاتِ البُروجِ 85:1 শপথ আস্‌মানের যার ম...

Read more »

৮৬.সূরা আত-তারিক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮৬.সূরা আত-তারিক্ব (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالسَّماءِ وَالطّارِقِ<br />86:1 আস্‌মানের শপথ, এবং রাতে আগমনকারীর; <br />وَما أَدرىٰكَ مَا الطّارِقُ<br />86:2 এবং আপনি কি কিছু জেনেছেন, সে-ই রাতে আগমনকারী কি? <br />النَّجمُ الثّاقِبُ<br />86:3 (তা হচ্ছে) অত্যন্ত উজ্জ্বল তারকা। <br />إِن كُلُّ نَفسٍ لَمّا عَلَيها حافِظٌ<br />86:4 এমন কোন আত্না নেই, যার উপর হিফাযতকারী নেই। <br />فَليَنظُرِ الإِنسٰنُ مِمَّ خُلِقَ<br />86:5 সুতরাং উচিত যেন মানুষ গভীর চিন্তা করে যে, কোন্‌ জিনিস দ্বারা (তাকে) সৃষ্টি করা হয়েছে! <br />خُلِقَ مِن ماءٍ دافِقٍ<br />86:6 লাফিয়ে পড়া পানি দ্বারা, <br />يَخرُجُ مِن بَينِ الصُّلبِ وَالتَّرائِبِ<br />86:7 যা নির্গত হয় পিঠ ও বুকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে। <br />إِنَّهُ عَلىٰ رَجعِهِ لَقادِرٌ<br />86:8 নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার উপর ক্ষমতাবান। <br />يَومَ تُبلَى السَّرائِرُ<br />86:9 যেদিন গোপন কথাগুলোর যাচাই হবে। <br />فَما لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلا ناصِرٍ<br />86:10 তখন মানুষের নিকট না কোন ক্ষমতা থাকবে, না কোন সাহায্যকারী। <br />وَالسَّماءِ ذاتِ الرَّجعِ<br />86:11 আস্‌মানের শপথ, যা থেকে বৃষ্টি নামে, <br />وَالأَرضِ ذاتِ الصَّدعِ<br />86:12 এবং যমীনের শপথ, যা বিদীর্ণ হয়, <br />إِنَّهُ لَقَولٌ فَصلٌ<br />86:13 নিশ্চয় ক্বোরআন একটা মীমাংসাকারী বাণী; <br />وَما هُوَ بِالهَزلِ<br />86:14 এবং কোন হাসি-ঠাট্টার কথা নয়। <br />إِنَّهُم يَكيدونَ كَيدًا<br />86:15 নিশ্চয় কাফিরগণ নিজেদের সাধ্যমত ষড়যন্ত্র চালিয়ে থাকে, <br />وَأَكيدُ كَيدًا<br />86:16 এবং আমি স্বীয় গোপন তদবীর করি। <br />فَمَهِّلِ الكٰفِرينَ أَمهِلهُم رُوَيدًا<br />86:17 সুতরাং তোমরা কাফিরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে সামান্য সুযোগ দাও। </span></b></div></div>

৮৬.সূরা আত-তারিক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৬.সূরা আত-তারিক্ব (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالسَّماءِ وَالطّارِقِ 86:1 আস্‌মানের শপথ, এবং ...

Read more »

৮৪.সূরা আল-ইনশিকাক (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮৪.সূরা আল-ইনশিকাক (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِذَا السَّماءُ انشَقَّت<br />84:1 যখন আস্‌মান বিদীর্ণ হবে, <br />وَأَذِنَت لِرَبِّها وَحُقَّت<br />84:2 এবং স্বীয় রবের আদেশ শুনবে এবং তার জন্য উচিতও হচ্ছে এটাই। <br />وَإِذَا الأَرضُ مُدَّت<br />84:3 এবং যখন যমীনকে প্রসারিত করা হবে, <br />وَأَلقَت ما فيها وَتَخَلَّت<br />84:4 আর যা কিছু এর মধ্যে রয়েছে ঢেলে দেবে এবং শূন্য হয়ে যাবে, <br />وَأَذِنَت لِرَبِّها وَحُقَّت<br />84:5 এবং স্বীয় রবের নির্দেশ শুনবে এবং তার জন্য উচিতও হচ্ছে এটাই। <br />يٰأَيُّهَا الإِنسٰنُ إِنَّكَ كادِحٌ إِلىٰ رَبِّكَ كَدحًا فَمُلٰقيهِ<br />84:6  হে মানব! নিশ্চয়  তোমাকে আপন রবের প্রতি অবশ্য দৌঁড়াতে হবে। অতঃপর তার সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে। <br />فَأَمّا مَن أوتِىَ كِتٰبَهُ بِيَمينِهِ<br />84:7 অতঃপর ওই ব্যক্তি, যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে। <br />فَسَوفَ يُحاسَبُ حِسابًا يَسيرًا<br />84:8 অতিসত্বর তার থেকে সহজ হিসাব গ্রহণ করা হবে। <br />وَيَنقَلِبُ إِلىٰ أَهلِهِ مَسرورًا<br />84:9 এবং আপন পরিবার-পরিজনের প্রতি আনন্দিত অবস্থায় ফিরবে। <br />وَأَمّا مَن أوتِىَ كِتٰبَهُ وَراءَ ظَهرِهِ<br />84:10 এবং ওই ব্যক্তি, যার কর্মলিপি তার পিঠের পেছন দিকে দেওয়া হবে। <br />فَسَوفَ يَدعوا ثُبورًا<br />84:11 ওই ব্যক্তি অচিরেই মৃত্যু প্রার্থনা করবে; <br />وَيَصلىٰ سَعيرًا<br />84:12 এবং প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে; <br />إِنَّهُ كانَ فى أَهلِهِ مَسرورًا<br />84:13 নিশ্চয় সে আপন ঘরে আনন্দিত ছিলো; <br />إِنَّهُ ظَنَّ أَن لَن يَحورَ<br />84:14 সে মনে করলো যে, তাকে ফিরতে হবে না; <br />بَلىٰ إِنَّ رَبَّهُ كانَ بِهِ بَصيرًا<br />84:15 হাঁ, কেন নয়? নিশ্চয় তার রব তাকে দেখছেন। <br />فَلا أُقسِمُ بِالشَّفَقِ<br />84:16 অতঃপর শপথ আমায়, সন্ধ্যালোকের ঔজ্জ্বল্যের <br />وَالَّيلِ وَما وَسَقَ<br />84:17 ও রাতের এবং ওই সমস্ত বস্তুর (শপথ) যেগুলো তন্মধ্যে একত্রিত হয়, <br />وَالقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ<br />84:18 এবং চাদের, যখন পূর্ণাঙ্গ হয়- <br />لَتَركَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ<br />84:19 অবশ্য তোমরা স্তরের পর স্তর উত্তীর্ণ হবে। <br />فَما لَهُم لا يُؤمِنونَ<br />84:20 সুতরাং তাদের কী হয়েছে তারা ঈমান আনছে না <br />وَإِذا قُرِئَ عَلَيهِمُ القُرءانُ لا يَسجُدونَ<br />84:21 আর যখন ক্বোরআন পড়া হয় সাজদা করে না? <br />بَلِ الَّذينَ كَفَروا يُكَذِّبونَ<br />84:22 বরং কাফির অস্বীকার করছে। <br />وَاللَّهُ أَعلَمُ بِما يوعونَ<br />84:23 এবং আল্লাহ্‌ ভালোভাবে জানেন, যা তারা তাদের মনে পোষণ করছে। <br />فَبَشِّرهُم بِعَذابٍ أَليمٍ<br />84:24 সুতরাং আপনি তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন; <br />إِلَّا الَّذينَ ءامَنوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُم أَجرٌ غَيرُ مَمنونٍ<br />84:25 কিন্তু, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের জন্য ওই সাওয়াব রয়েছে, যা কখনো শেষ হবে না। </span></b></div></div>

৮৪.সূরা আল-ইনশিকাক (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৪.সূরা আল-ইনশিকাক (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِذَا السَّماءُ انشَقَّت 84:1 যখন আস্‌মান বিদীর্...

Read more »

৮৩.সূরা আল-মুত্বাফফিফীন (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮৩.সূরা আল-মুত্বাফফিফীন (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَيلٌ لِلمُطَفِّفينَ<br />83:1 পরিমাপে কারচুপিকারীদের ধ্বংস অবধারিত, <br />الَّذينَ إِذَا اكتالوا عَلَى النّاسِ يَستَوفونَ<br />83:2 তারা যখন অপর লোকদের থেকে মেপে নেয়, তখন পুরোপুরিই নিয়ে থাকে, <br />وَإِذا كالوهُم أَو وَزَنوهُم يُخسِرونَ<br />83:3 আর যখন তাদেরকে মেপে ও ওজন করে দেয়, তখন কম দিয়ে থাকে। <br />أَلا يَظُنُّ أُولٰئِكَ أَنَّهُم مَبعوثونَ<br />83:4 ওই লোকদের কি এ বিশ্বাস নেই যে, তাদেরকে উঠতে হবে- <br />لِيَومٍ عَظيمٍ<br />83:5 এক মহান দিবসের জন্য? <br />يَومَ يَقومُ النّاسُ لِرَبِّ العٰلَمينَ<br />83:6 যেদিন সকল মানুষ রব্বুল আলামীনের দরবারে দণ্ডায়মান হবে! <br />كَلّا إِنَّ كِتٰبَ الفُجّارِ لَفى سِجّينٍ<br />83:7 নিশ্চয়, কাফিরদের লিপি সবচেয়ে নিম্নস্থান ‘সিজ্জীন’-এ রয়েছে। <br />وَما أَدرىٰكَ ما سِجّينٌ<br />83:8 এবং তুমি কি জানো ‘সিজ্জীন’ কেমন? <br />كِتٰبٌ مَرقومٌ<br />83:9 ওই লিপিখানা একটা মোহরকৃত লিপি। <br />وَيلٌ يَومَئِذٍ لِلمُكَذِّبينَ<br />83:10 ওই দিন অস্বীকারকারীদের জন্য ধ্বংস রয়েছে, <br />الَّذينَ يُكَذِّبونَ بِيَومِ الدّينِ<br />83:11 যারা বিচার দিবসকে অস্বীকার করে। <br />وَما يُكَذِّبُ بِهِ إِلّا كُلُّ مُعتَدٍ أَثيمٍ<br />83:12 এবং ওটা অস্বীকার করবে কেবল প্রত্যেক অবাধ্য; <br />إِذا تُتلىٰ عَلَيهِ ءايٰتُنا قالَ أَسٰطيرُ الأَوَّلينَ<br />83:13 যখন তার  উপর আমার আয়াতগুলো পাঠ করা   হয়,  তখন বলে,  ‘(এগুলো হচ্ছে) পূর্ববর্তীদের কাহিনী। <br />كَلّا بَل رانَ عَلىٰ قُلوبِهِم ما كانوا يَكسِبونَ<br />83:14  কিছুই  নয়,  বরং  তাদের   অন্তরগুলোর  উপর  মরিচা   লেপন  করে  দিয়েছে  তাদের কৃতকর্মগুলো। <br />كَلّا إِنَّهُم عَن رَبِّهِم يَومَئِذٍ لَمَحجوبونَ<br />83:15 হাঁ, হাঁ, নিশ্চয় ওই দিন তারা স্বীয় রবের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত; <br />ثُمَّ إِنَّهُم لَصالُوا الجَحيمِ<br />83:16 অতঃপর নিশ্চয় তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করতে হবে; <br />ثُمَّ يُقالُ هٰذَا الَّذى كُنتُم بِهِ تُكَذِّبونَ<br />83:17 তারপর (তাদেরকে) বলা হবে, ‘এ হচ্ছে তা-ই, যাকে তোমরা অস্বীকার করতে’। <br />كَلّا إِنَّ كِتٰبَ الأَبرارِ لَفى عِلِّيّينَ<br />83:18 হাঁ, হাঁ, নিশ্চয়, পুণ্যবানদের লিপি সবচেয়ে উচ্চস্থান ‘ইল্লিয়্যীন’এ- রয়েছে;। <br />وَما أَدرىٰكَ ما عِلِّيّونَ<br />83:19 এবং তুমি কি জানো ‘ইল্লিয়্যীন’ কেমন? <br />كِتٰبٌ مَرقومٌ<br />83:20 ওই লিপিটা হচ্ছে একটা মোহরকৃত লিপি; <br />يَشهَدُهُ المُقَرَّبونَ<br />83:21 নৈকট্যপ্রাপ্তরা যার যিয়ারত করে। <br />إِنَّ الأَبرارَ لَفى نَعيمٍ<br />83:22 নিশ্চয় পুণ্যবান অবশ্য শান্তিতে থাকে, <br />عَلَى الأَرائِكِ يَنظُرونَ<br />83:23 তখ্‌তসমূহের উপর (বসে) দেখে। <br />تَعرِفُ فى وُجوهِهِم نَضرَةَ النَّعيمِ<br />83:24 তুমি তাদের চেহারাগুলোর উপর স্বস্তির সজীবতা বুঝতে পারবে, <br />يُسقَونَ مِن رَحيقٍ مَختومٍ<br />83:25 বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে, যা মোহরকৃত অবস্থায় রাখা হয়েছে; <br />خِتٰمُهُ مِسكٌ وَفى ذٰلِكَ فَليَتَنافَسِ المُتَنٰفِسونَ<br />83:26 এর  মোহর হচ্ছে কস্তুরীর উপর  এবং এরই উপর চাই আকাঙ্ক্ষাকারীদের আকাঙ্ক্ষা করা। <br />وَمِزاجُهُ مِن تَسنيمٍ<br />83:27 এবং তার মিশ্রণ হচ্ছে ‘তাসনীম’-এর সাথে, <br />عَينًا يَشرَبُ بِهَا المُقَرَّبونَ<br />83:28 সেই ঝরণা, যা থেকে (আল্লাহ্‌র) নৈকট্যপ্রাপ্তরা পান করেন। <br />إِنَّ الَّذينَ أَجرَموا كانوا مِنَ الَّذينَ ءامَنوا يَضحَكونَ<br />83:29 নিশ্চয় দোষী ব্যক্তিরা ঈমানদারদের নিয়ে হাস্য করতো, <br />وَإِذا مَرّوا بِهِم يَتَغامَزونَ<br />83:30 আর যহন তারা (মু’মিনগণ) তাদের (কাফিরগণ) পার্শ্ব দিয়ে অতিক্রম করতো তখন তারা (কাফিরগণ) একে অপরকে তাদের (ঈমানদারগণ) প্রতি চোখ দিয়ে ইশারা করতো। <br />وَإِذَا انقَلَبوا إِلىٰ أَهلِهِمُ انقَلَبوا فَكِهينَ<br />83:31 এবং যখন   আপন  ঘরের  দিকে  প্রত্যাবর্তন করতো, (তখন) তারা     আনন্দ করতে করতে ফিরতো, <br />وَإِذا رَأَوهُم قالوا إِنَّ هٰؤُلاءِ لَضالّونَ<br />83:32 আর যখন মুসলমানদেরকে দেখতো, তখন বলতো, ‘নিশ্চয় এসব লোক পথভ্রষ্ট’। <br />وَما أُرسِلوا عَلَيهِم حٰفِظينَ<br />83:33 এবং এরা এদের (মুমিনগণ) জন্য কোন হিফাযতকারী হিসেবে প্রেরিত হয় নি। <br />فَاليَومَ الَّذينَ ءامَنوا مِنَ الكُفّارِ يَضحَكونَ<br />83:34 সুতরাং আজ ঈমানদারগণ কাফিরদের প্রতি হাসছে, <br />عَلَى الأَرائِكِ يَنظُرونَ<br />83:35 তখ্‌তগুলোর উপর উপবিষ্ট হয়ে দেখছে। <br />هَل ثُوِّبَ الكُفّارُ ما كانوا يَفعَلونَ<br />83:36 কেন? কাফিরদের নিজ কৃতকর্মের কিছু প্রতিদান মিলেছে তো! </span></b></div></div>

৮৩.সূরা আল-মুত্বাফফিফীন (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮৩.সূরা আল-মুত্বাফফিফীন (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَيلٌ لِلمُطَفِّفينَ 83:1 পরিমাপে কারচুপিকা...

Read more »

৮২.সূরা আল-ইনফিতার (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮২.সূরা আল-ইনফিতার (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِذَا السَّماءُ انفَطَرَت<br />82:1 যখন আস্‌মান ফেটে পড়বে, <br />وَإِذَا الكَواكِبُ انتَثَرَت<br />82:2 আর যখন তারকাপুঞ্জ ঝরে পড়বে, <br />وَإِذَا البِحارُ فُجِّرَت<br />82:3 আর যখন সমুদ্র প্রবাহিত করা হবে, <br />وَإِذَا القُبورُ بُعثِرَت<br />82:4 এবং যখন কবরগুলো উন্মোচিত করা হবে, <br />عَلِمَت نَفسٌ ما قَدَّمَت وَأَخَّرَت<br />82:5  তখন  প্রত্যেক   আত্না  অবগত  হবে  সে  সম্পর্কে,  যা  সে  পূর্বে   প্রেরণ   করেছে  এবং পশ্চাতে (রেখে এসেছে)। <br />يٰأَيُّهَا الإِنسٰنُ ما غَرَّكَ بِرَبِّكَ الكَريمِ<br />82:6 হে মানুষ! তোমাকে কোন জিনিস ধোঁকা দিয়েছে (ভুলিয়ে রেখেছে) আপন করুণাময় রব থেকে? <br />الَّذى خَلَقَكَ فَسَوّىٰكَ فَعَدَلَكَ<br />82:7 যিনি তোমাকে  সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তোমাকে সুঠাম  করেছেন অতঃপর  সুসমঞ্জস করেছেন, <br />فى أَىِّ صورَةٍ ما شاءَ رَكَّبَكَ<br />82:8 যে আকৃতিতেই চেয়েছেন, তোমাকে গঠন করেছেন। <br />كَلّا بَل تُكَذِّبونَ بِالدّينِ<br />82:9 কিছুই নয়, বরং তোমরা বিচার হওয়াকে অস্বীকার করছো; <br />وَإِنَّ عَلَيكُم لَحٰفِظينَ<br />82:10 এবং নিশ্চয় তোমাদের উপর কিছু সংখ্যক রক্ষনাবেক্ষণকারী রয়েছে; <br />كِرامًا كٰتِبينَ<br />82:11 সম্মানিত লিখকগণ; <br />يَعلَمونَ ما تَفعَلونَ<br />82:12 তারা জানে যা কিছু তোমরা করো। <br />إِنَّ الأَبرارَ لَفى نَعيمٍ<br />82:13 নিশ্চয় পূণ্যবান তো অবশ্য শান্তিতে থাকবে; <br />وَإِنَّ الفُجّارَ لَفى جَحيمٍ<br />82:14 এবং নিশ্চয় পাপীরা অবশ্য জাহান্নামে যাবে; <br />يَصلَونَها يَومَ الدّينِ<br />82:15 ইনসাফের দিন তাতে গমন করবে; <br />وَما هُم عَنها بِغائِبينَ<br />82:16 এবং তা থেকে কোথাও লুকাতে পারবে না। <br />وَما أَدرىٰكَ ما يَومُ الدّينِ<br />82:17 আর তুমি কি জানো ইনসাফের দিন কেমন? <br />ثُمَّ ما أَدرىٰكَ ما يَومُ الدّينِ<br />82:18 অতঃপর তুমি কি জানো বিচারের দিন কেমন? <br />يَومَ لا تَملِكُ نَفسٌ لِنَفسٍ شَيـًٔا وَالأَمرُ يَومَئِذٍ لِلَّهِ<br />82:19  যেদিন   কোন আত্না  অপর কোন আত্নার উপর    কোন অধিকারই রাখবে   না   এবং সেদিন সমস্ত হুকুম আল্লাহ্‌রই হবে। </span></b></div></div>

৮২.সূরা আল-ইনফিতার (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮২.সূরা আল-ইনফিতার (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِذَا السَّماءُ انفَطَرَت 82:1 যখন আস্‌মান ফেটে ...

Read more »

৮০.সূরা আল-আবাসা (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">৮০.সূরা আল-আবাসা (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">عَبَسَ وَتَوَلّىٰ<br />80:1 (তিনি) ভ্রূ কুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন, <br />أَن جاءَهُ الأَعمىٰ<br />80:2 এ কারনে যে, তার নিকট সেই অন্ধ ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছে। <br />وَما يُدريكَ لَعَلَّهُ يَزَّكّىٰ<br />80:3 এবং আপনি কি জানেন? হয় তো সে পবিত্র হতো, <br />أَو يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكرىٰ<br />80:4 কিংবা সে উপদেশ গ্রহণ করতো, অতঃপর তাকে উপদেশ উপকৃত করতো। <br />أَمّا مَنِ استَغنىٰ<br />80:5 ওই ব্যক্তি, যে বে-পরোয়া হয়ে যায়, <br />فَأَنتَ لَهُ تَصَدّىٰ<br />80:6 আপনি তারই পেছনে লেগে আছেন। <br />وَما عَلَيكَ أَلّا يَزَّكّىٰ<br />80:7 এবং সে পবিত্র না হলে তাতে আপনার কোন ক্ষতি নেই। <br />وَأَمّا مَن جاءَكَ يَسعىٰ<br />80:8 এবং ওই ব্যক্তি যে আপনার দরবারে দৌঁড়ে এসেছে। <br />وَهُوَ يَخشىٰ<br />80:9 এবং সে ভয়ও করেছে, <br />فَأَنتَ عَنهُ تَلَهّىٰ<br />80:10 অতঃপর আপনি তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য দিকে মনোনিবেশ করছেন; <br />كَلّا إِنَّها تَذكِرَةٌ<br />80:11 এরূপ হতে পারে না। এটা তো বুঝানো (বা উপদেশ দেওয়া) মাত্র; <br />فَمَن شاءَ ذَكَرَهُ<br />80:12 অতঃপর যার ইচ্ছা হয় সে এটা স্মরণ করবে। <br />فى صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ<br />80:13 ওই সমস্ত পুস্তকের (সহীফা) মধ্যে, যেগুলো সম্মানিত, <br />مَرفوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ<br />80:14 উচ্চস্থানীয়,পবিত্রতাময়, <br />بِأَيدى سَفَرَةٍ<br />80:15 এমনসব লেখকের হাতে লিখিত, <br />كِرامٍ بَرَرَةٍ<br />80:16 যারা মর্যাদাসম্পন্ন, পূণ্যবান। <br />قُتِلَ الإِنسٰنُ ما أَكفَرَهُ<br />80:17 মানুষ নিহত হোক! সে কেমন অকৃতজ্ঞ! <br />مِن أَىِّ شَيءٍ خَلَقَهُ<br />80:18 তাকে কি উপাদান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন? <br />مِن نُطفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ<br />80:19 পানি-বিন্দু (বীর্য) থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তাকে বিভিন্ন অঙ্গ-সৌষ্ঠবের মধ্যে রেখেছেন, <br />ثُمَّ السَّبيلَ يَسَّرَهُ<br />80:20 অতঃপর তার জন্য পথ সোজা করে দিয়েছেন; <br />ثُمَّ أَماتَهُ فَأَقبَرَهُ<br />80:21 অতঃপর তাকে মৃত্যু প্রদান করেছেন, তারপর কবরে রাখিয়েছেন; <br />ثُمَّ إِذا شاءَ أَنشَرَهُ<br />80:22 অতঃপর যখন ইচ্ছা করবেন, তখন তাকে বের করবেন। <br />كَلّا لَمّا يَقضِ ما أَمَرَهُ<br />80:23 কিছুই নয়, যে এখনো পর্যন্ত তা পূর্ণ করে নি, যা তার প্রতি হুকুম হয়েছিলো। <br />فَليَنظُرِ الإِنسٰنُ إِلىٰ طَعامِهِ<br />80:24 সুতরাং মানুষের উচিত যেন তার খাদ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করে <br />أَنّا صَبَبنَا الماءَ صَبًّا<br />80:25 যে, আমি ভালোভাবে পানি বর্ষণ করেছি; <br />ثُمَّ شَقَقنَا الأَرضَ شَقًّا<br />80:26 অতঃপর ভূমিকে খুব বিদীর্ণ করেছি; <br />فَأَنبَتنا فيها حَبًّا<br />80:27 অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য; <br />وَعِنَبًا وَقَضبًا<br />80:28 এবং আঙ্গুর ও চারা, <br />وَزَيتونًا وَنَخلًا<br />80:29 আর যায়তূন ও খেজুর, <br />وَحَدائِقَ غُلبًا<br />80:30 এবং ঘন সন্নিবিষ্ট বাগানসমূহ, <br />وَفٰكِهَةً وَأَبًّا<br />80:31 এবং ফলমূল ও গবাদি খাদ্য; <br />مَتٰعًا لَكُم وَلِأَنعٰمِكُم<br />80:32 তোমাদের উপকারার্থে এবং তোমাদের পশুগুলোর। <br />فَإِذا جاءَتِ الصّاخَّةُ<br />80:33 অতঃপর যখন আসবে ওই কর্ণবিদারক ধ্বনি, <br />يَومَ يَفِرُّ المَرءُ مِن أَخيهِ<br />80:34 সেদিন মানুষ পলায়ন করবে নিজ ভাই, <br />وَأُمِّهِ وَأَبيهِ<br />80:35 মাতা ও পিতা <br />وَصٰحِبَتِهِ وَبَنيهِ<br />80:36 এবং স্ত্রী ও সন্তানদের থেকে। <br />لِكُلِّ امرِئٍ مِنهُم يَومَئِذٍ شَأنٌ يُغنيهِ<br />80:37 তাদের মধ্যে  প্রত্যেকের সেদিন একটা   মাত্র ভাবনা থাকবে, যা-ই তাকে (অন্যের ভাবনা থেকে) বিরত রাখবে। <br />وُجوهٌ يَومَئِذٍ مُسفِرَةٌ<br />80:38 কতগুলো চেহারা সেদিন উজ্জ্বল হবে, <br />ضاحِكَةٌ مُستَبشِرَةٌ<br />80:39 হাসবে খুশী উদযাপন করবে। <br />وَوُجوهٌ يَومَئِذٍ عَلَيها غَبَرَةٌ<br />80:40 এবং সেদিন কতগুলো চেহারার উপর ধূলিবালি পড়েছে- এমন হবে; <br />تَرهَقُها قَتَرَةٌ<br />80:41 সেগুলোর উপর কালিমা ছেয়ে থাকবে। <br />أُولٰئِكَ هُمُ الكَفَرَةُ الفَجَرَةُ<br />80:42 এরা হচ্ছে তারাই, (যারা) কাফির, পাপী। </span></b></div></div>

৮০.সূরা আল-আবাসা (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮০.সূরা আল-আবাসা (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ عَبَسَ وَتَوَلّىٰ 80:1 (তিনি) ভ্রূ কুঞ্চিত করলেন এ...

Read more »

৮১.সূরা আত-তাকভীর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৮১.সূরা আত-তাকভীর (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">إِذَا الشَّمسُ كُوِّرَت<br />81:1 যখন সূর্যরশ্মিকে মুড়িয়ে ফেলা হবে, <br />وَإِذَا النُّجومُ انكَدَرَت<br />81:2 এবং যখন তারকাপুঞ্জ ঝরে পড়বে, <br />وَإِذَا الجِبالُ سُيِّرَت<br />81:3 আর যখন পাহাড় পর্বতকে চলমান করা হবে, <br />وَإِذَا العِشارُ عُطِّلَت<br />81:4 আর যখন পূর্ণগর্ভা উষ্ট্রীগুলো বাধাহীন অবস্থায় ফিরবে, <br />وَإِذَا الوُحوشُ حُشِرَت<br />81:5 এবং যখন বন্য পশুগুলোকে একত্রিত করা হবে, <br />وَإِذَا البِحارُ سُجِّرَت<br />81:6 আর যখন সমুদ্রকে উত্তপ্ত করা হবে, <br />وَإِذَا النُّفوسُ زُوِّجَت<br />81:7 আর যখন আত্নাগুলোকে জুড়ে দেয়া হবে, <br />وَإِذَا المَوءۥدَةُ سُئِلَت<br />81:8 এবং যখন জীবন্ত প্রোথিতা (কন্যা-সন্তান) কে জিজ্ঞাসা করা হবে, <br />بِأَىِّ ذَنبٍ قُتِلَت<br />81:9 কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে? <br />وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَت<br />81:10 যখন আমলনামা খোলা হবে, <br />وَإِذَا السَّماءُ كُشِطَت<br />81:11 আর যখন আস্‌মানকে সেটার আপন স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে, <br />وَإِذَا الجَحيمُ سُعِّرَت<br />81:12 আর যখন জাহান্নামকে অগ্নি প্রজ্ব্বলিত করা হবে, <br />وَإِذَا الجَنَّةُ أُزلِفَت<br />81:13 এবং যখন বেহেশ্‌তকে নিকটে আনা হবে, <br />عَلِمَت نَفسٌ ما أَحضَرَت<br />81:14 তখন প্রত্যেক আত্না অবগত হবে সে সম্পর্কে, যা সে উপস্থিত করেছে।<br />فَلا أُقسِمُ بِالخُنَّسِ<br />81:15 সুতরাং তারই শপথ, যা প্রত্যাবর্তন করে, <br />الجَوارِ الكُنَّسِ<br />81:16 সোজা চলে, স্থিত থাকে, <br />وَالَّيلِ إِذا عَسعَسَ<br />81:17 এবং রাতের (শপথ), যখন পৃষ্ঠ প্রদান করে, <br />وَالصُّبحِ إِذا تَنَفَّسَ<br />81:18 আর প্রভাতের (শপথ), যখন শ্বাস গ্রহণ করে, <br />إِنَّهُ لَقَولُ رَسولٍ كَريمٍ<br />81:19 নিশ্চয় এটা সম্মানিত প্রেরিতের বাণী, <br />ذى قُوَّةٍ عِندَ ذِى العَرشِ مَكينٍ<br />81:20 যে শক্তিশালী, আরশাধিপতির দরবারে সম্মানিত, <br />مُطاعٍ ثَمَّ أَمينٍ<br />81:21 সেখানে তার আদেশ পালন করা হয়, (যে) আমানতদার। <br />وَما صاحِبُكُم بِمَجنونٍ<br />81:22 এবং তোমাদের মুনিব, (যিনি তোমাদের সাথে আছেন), পাগল নন, <br />وَلَقَد رَءاهُ بِالأُفُقِ المُبينِ<br />81:23 এবং নিশ্চয় তিনি তাকে আলোকিত প্রান্তে দেখলেন, <br />وَما هُوَ عَلَى الغَيبِ بِضَنينٍ<br />81:24 এবং এ নবী অদৃশ্য বিষয় বর্ণনা করার ব্যাপারে কৃপণ নন। <br />وَما هُوَ بِقَولِ شَيطٰنٍ رَجيمٍ<br />81:25 এবং ক্বোরআন বিতাড়িত শয়তানের বাণী নয়। <br />فَأَينَ تَذهَبونَ<br />81:26 সুতরাং তোমরা কোন দিকে যাচ্ছো? <br />إِن هُوَ إِلّا ذِكرٌ لِلعٰلَمينَ<br />81:27 এটা তো উপদেশই সারা বিশ্বের জন্য; <br />لِمَن شاءَ مِنكُم أَن يَستَقيمَ<br />81:28 তারই জন্য, যে তোমাদের মধ্যে সোজা-সরল হতে চায়। <br />وَما تَشاءونَ إِلّا أَن يَشاءَ اللَّهُ رَبُّ العٰلَمينَ<br />81:29 আর তোমরা কি চাইবে, কিন্তু এটাই যা চান আল্লাহ্‌, সারা বিশ্বের রব। </span></b></div></div>

৮১.সূরা আত-তাকভীর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৮১.সূরা আত-তাকভীর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِذَا الشَّمسُ كُوِّرَت 81:1 যখন সূর্যরশ্মিকে মুড়...

Read more »

১.সূরা আল-ফাতিহা (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১.সূরা আল-ফাতিহা (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ<br />1:1 আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় <br />الحَمدُ لِلَّهِ رَبِّ العٰلَمينَ<br />1:2 সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর প্রতি, যিনি মালিক সমস্ত জগদ্বাসীর; <br />الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ<br />1:3 পরম দয়ালু, করুণাময়; <br />مٰلِكِ يَومِ الدّينِ<br />1:4 প্রতিদান দিবসের মালিক। <br />إِيّاكَ نَعبُدُ وَإِيّاكَ نَستَعينُ<br />1:5 আমরা (যেন) তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি! <br />اهدِنَا الصِّرٰطَ المُستَقيمَ<br />1:6 আমাদেরকে সোজা পথে পরিচালিত করো! <br />صِرٰطَ الَّذينَ أَنعَمتَ عَلَيهِم غَيرِ المَغضوبِ عَلَيهِم وَلَا الضّالّينَ<br />1:7    তাঁদেরই পথে, যাঁদের উপর    তুমি অনুগ্রহ করেছো;  তাদের পথে নয়, যাদের উপর গযব নিপতিত হয়েছে এবং পথভ্রষ্টদের পথেও নয়। </span></b></div></div>

১.সূরা আল-ফাতিহা (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১.সূরা আল-ফাতিহা (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ 1:1 আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় ...

Read more »

১১১.সূরা আল-লাহাব (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১১১.সূরা আল-লাহাব (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">تَبَّت يَدا أَبى لَهَبٍ وَتَبَّ<br />111:1 ধ্বংস হয়ে যাক আবূ লাহাবের দু’হাত এবং সে ধ্বংস হয়েই গেছে। <br />ما أَغنىٰ عَنهُ مالُهُ وَما كَسَبَ<br />111:2 তার কোন কাজে আসে নি তার সম্পদ এবং না যা সে উপার্জন করেছে। <br />سَيَصلىٰ نارًا ذاتَ لَهَبٍ<br />111:3 এখন ধ্বসে যাচ্ছে লেলিহান আগুনে-সে <br />وَامرَأَتُهُ حَمّالَةَ الحَطَبِ<br />111:4 এবং তার স্ত্রী, লাকড়ির বোঝা মাথায় বহনকারিনী, <br />فى جيدِها حَبلٌ مِن مَسَدٍ<br />111:5 তার গলায় খেজুরের বাকলের রশি। </span></b></div></div>

১১১.সূরা আল-লাহাব (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১১১.সূরা আল-লাহাব (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ تَبَّت يَدا أَبى لَهَبٍ وَتَبَّ 111:1 ধ্বংস হয়ে য...

Read more »

১১৪.সূরা আন-নাস (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১১৪.সূরা আন-নাস (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ<br />114:1 আপনি বলুন, ‘আমি তারই আশ্রয়ে এসেছি, যিনি সকল মানুষের রব, <br />مَلِكِ النّاسِ<br />114:2 সকল মানুষের বাদশাহ্‌, <br />إِلٰهِ النّاسِ<br />114:3 সকল লোকের মা’বূদ- <br />مِن شَرِّ الوَسواسِ الخَنّاسِ<br />114:4 তারই অনিষ্ট থেকে, যে অন্তরে কু-মন্ত্রণা দেয় এবং আত্নগোপন করে, <br />الَّذى يُوَسوِسُ فى صُدورِ النّاسِ<br />114:5 যে মানুষের অন্তরসমূহে কু-প্ররোচনা ঢালে, <br />مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ<br />114:6 জ্বিন ও মানুষ। </span></b></div></div>

১১৪.সূরা আন-নাস (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১১৪.সূরা আন-নাস (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ 114:1 আপনি বলুন, ‘আমি তা...

Read more »

১১২.সূরা আল-ইখলাস (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;"><u>Al-Quran</u>: Kanzul Imaan<br />১১২.সূরা আল-ইখলাস (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: red;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ<br />112:1 আপনি বলুন, ‘তিনি আল্লাহ্‌ তিনি এক, <br />اللَّهُ الصَّمَدُ<br />112:2 আল্লাহ্‌ পরমুখাপেক্ষী নন; <br />لَم يَلِد وَلَم يولَد<br />112:3 না তাঁর কোন সন্তান আছে এবং না তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেছেন, <br />وَلَم يَكُن لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ<br />112:4 এবং না আছে কেউ তাঁর সমকক্ষ হবার’। </span></b></div></div>

১১২.সূরা আল-ইখলাস (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran : Kanzul Imaan ১১২.সূরা আল-ইখলাস (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ 112:1 আপনি বলুন, ‘তিনি আ...

Read more »

১১৩.সূরা আল-ফালাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">১১৩.সূরা আল-ফালাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #6aa84f;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #6aa84f;">قُل أَعوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ<br />113:1 আপনি বলুন, ‘আমি তারঁই আশ্রয় নিচ্ছি, যিনি প্রভাতের সৃষ্টিকর্তা। <br />مِن شَرِّ ما خَلَقَ<br />113:2 তাঁর সৃষ্টিকুলের অনিষ্ট থেকে, <br />وَمِن شَرِّ غاسِقٍ إِذا وَقَبَ<br />113:3 এবং অন্ধকারাচ্ছন্নকারীর অনিষ্ট থেকে, যখন সেটা অস্তমিত হয়, <br />وَمِن شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى العُقَدِ<br />113:4 এবং ওই সব নারীর অনিষ্ট থেকে, যারা গ্রন্থিসমূহে ফুঁৎকার দেয়, <br />وَمِن شَرِّ حاسِدٍ إِذا حَسَدَ<br />113:5 এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে আমার প্রতি হিংসা করে’। </span></b></div></div>

১১৩.সূরা আল-ফালাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১১৩.সূরা আল-ফালাক্ব (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ قُل أَعوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ 113:1 আপনি বলুন, ‘আ...

Read more »

১১০.সূরা আন-নাছর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">১১০.সূরা আন-নাছর (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;"><span style="color: #274e13;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ </span><span style="color: #274e13;">الرَّحيمِ </span></span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِذا جاءَ نَصرُ اللَّهِ وَالفَتحُ<br />110:1 যখন আল্লাহ্‌র সাহায্য ও বিজয় আসবে, <br />وَرَأَيتَ النّاسَ يَدخُلونَ فى دينِ اللَّهِ أَفواجًا<br />110:2 এবং আপনি লোকদেরকে দেখবেন যে, আল্লাহ্‌র দ্বীনে দলে দলে প্রবেশ করছে; <br />فَسَبِّح بِحَمدِ رَبِّكَ وَاستَغفِرهُ إِنَّهُ كانَ تَوّابًا<br />110:3  তখন  আপন  রবের  প্রশংসাকারী  অবস্থায়   তার  পবিত্রতা  বর্ণনা  করুন  এবং   তার থেকে ক্ষমা চান। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত তাওবা কবূলকারী। </span></b></div></div>

১১০.সূরা আন-নাছর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১১০.সূরা আন-নাছর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِذا جاءَ نَصرُ اللَّهِ وَالفَتحُ 110:1 যখন আল্লাহ...

Read more »

১০৯.সূরা আল-ক্বাফিরুন (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">১০৯.সূরা আল-ক্বাফিরুন (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">قُل يٰأَيُّهَا الكٰفِرونَ<br />109:1 আপনি বলুন, ‘হে কাফিরগণ! <br />لا أَعبُدُ ما تَعبُدونَ<br />109:2 আমি ইবাদত করি না যার তোমরা ইবাদত করো, <br />وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ<br />109:3 এবং না তোমরা ইবাদত করো যাঁর ইবাদত আমি করি, <br />وَلا أَنا۠ عابِدٌ ما عَبَدتُم<br />109:4 এবং না আমি ইবাদত করবো যাঁর ইবাদত তোমরা করছো। <br />وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ<br />109:5 এবং না তোমরা ইবাদত করবে যাঁর ইবাদত আমি করি। <br />لَكُم دينُكُم وَلِىَ دينِ<br />109:6 তোমাদের দ্বীন তোমাদের এবং আমার দ্বীন আমার। </span></b></div></div>

১০৯.সূরা আল-ক্বাফিরুন (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৯.সূরা আল-ক্বাফিরুন (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ قُل يٰأَيُّهَا الكٰفِرونَ 109:1 আপনি বলুন, ‘হ...

Read more »

১০৮.সূরা আল-কাউছার (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০৮.সূরা আল-কাউছার (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِنّا أَعطَينٰكَ الكَوثَرَ<br />108:1 হে মাহবূব! নিশ্চয় আমি আপনাকে অসংখ্য গুণাবলী দান করেছি; <br />فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانحَر<br />108:2 সুতরাং আপনি আপনার রবের জন্য নামায পড়ুন এবং ক্বোরবানী করুন । <br />إِنَّ شانِئَكَ هُوَ الأَبتَرُ<br />108:3 নিশ্চয় যে আপনার শত্রু, সে-ই সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। </span></b></div></div>

১০৮.সূরা আল-কাউছার (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৮.সূরা আল-কাউছার (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِنّا أَعطَينٰكَ الكَوثَرَ 108:1 হে মাহবূব! নিশ্...

Read more »

১০৭.সূরা আল-মা'উন (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">১০৭.সূরা আল-মা'উন (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">أَرَءَيتَ الَّذى يُكَذِّبُ بِالدّينِ<br />107:1 আচ্ছা, দেখুন তো! যে দ্বীনকে অস্বীকার করে, <br />فَذٰلِكَ الَّذى يَدُعُّ اليَتيمَ<br />107:2 সুতরাং সে হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যে এতিমকে ধাক্কা দেয়। <br />وَلا يَحُضُّ عَلىٰ طَعامِ المِسكينِ<br />107:3 এবং মিসকীনকে আহার দেওয়ার প্রেরণা প্রদান করে না। <br />فَوَيلٌ لِلمُصَلّينَ<br />107:4 সুতরাং ওই নামাযীদের জন্য দুর্ভোগ রয়েছে; <br />الَّذينَ هُم عَن صَلاتِهِم ساهونَ<br />107:5 যারা আপন নামাযকে ভুলে বসেছে, <br />الَّذينَ هُم يُراءونَ<br />107:6 ওই সব ব্যক্তি, যারা লোক দেখানো (ইবাদত) করে, <br />وَيَمنَعونَ الماعونَ<br />107:7 এবং ব্যবহারের ছোটখাট সামগ্রী চাইলে দেয় না। </span></b></div></div>

১০৭.সূরা আল-মা'উন (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৭.সূরা আল-মা'উন (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ أَرَءَيتَ الَّذى يُكَذِّبُ بِالدّينِ 107:1 আচ...

Read more »

১০৬.সূরা আল-ক্বোরাইশ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan</span><br /><span style="color: red;">১০৬.সূরা আল-ক্বোরাইশ (কাঞ্জুল ইমান)</span><br /><span style="color: #38761d;">আয়াত সংখ্যাঃ ৪<br />بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">لِإيلٰفِ قُرَيشٍ<br />106:1 এ জন্য যে, ক্বোরাঈশকে আকর্ষণ প্রদান করেছেন, <br />إۦلٰفِهِم رِحلَةَ الشِّتاءِ وَالصَّيفِ<br />106:2 তাদের শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল উভয়ের সফরের মধ্যে আকর্ষণ প্রদান করেছেন। <br />فَليَعبُدوا رَبَّ هٰذَا البَيتِ<br />106:3 তাই তাদের উচিত যেন তারা এ ঘরের ইবাদত করে, <br />الَّذى أَطعَمَهُم مِن جوعٍ وَءامَنَهُم مِن خَوفٍ<br />106:4  যিনি  তাদেরকে  ক্ষুধার্ত  অবস্থায়  আহার  দিয়েছেন  এবং  তাদেরকে  এক  বড়  ভয়  থেকে নিরাপত্তা দান করেছেন। </span></b></div></div>

১০৬.সূরা আল-ক্বোরাইশ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৬.সূরা আল-ক্বোরাইশ (কাঞ্জুল ইমান) আয়াত সংখ্যাঃ ৪ بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ لِإيلٰفِ قُرَيشٍ 106:1 এ জন্য য...

Read more »

১০৫.সূরা আল-ফিল (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০৫.সূরা আল-ফিল (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">أَلَم تَرَ كَيفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصحٰبِ الفيلِ<br />105:1  হে   মাহবূব! আপনি কি  দেখেন নি  আপনার   রব ওই   হস্তী আরোহী    বাহিনীর কি অবস্থা করেছেন? <br />أَلَم يَجعَل كَيدَهُم فى تَضليلٍ<br />105:2 তাদের চক্রান্তগুলোকে কি ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেন নি? <br />وَأَرسَلَ عَلَيهِم طَيرًا أَبابيلَ<br />105:3 এবং তাদের উপর পাখির ঝাঁকসমূহ প্রেরণ করেছেন; <br />تَرميهِم بِحِجارَةٍ مِن سِجّيلٍ<br />105:4 যেগুলো তাদেরকে কঙ্কর-পাথর দিয়ে মারছিলো। <br />فَجَعَلَهُم كَعَصفٍ مَأكولٍ<br />105:5 অতঃপর তাদেরকে চর্বিত ক্ষেতের পল্লবের মতো করেছেন। </span></b></div></div>

১০৫.সূরা আল-ফিল (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৫.সূরা আল-ফিল (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ أَلَم تَرَ كَيفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصحٰبِ الفيلِ 10...

Read more »

১০৪.সূরা আল-হুমাযাহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০৪.সূরা আল-হুমাযাহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَيلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ<br />104:1 ধ্বংস ওই ব্যক্তির জন্য, যে লোক-সম্মুখে বদনামী করে এবং পশ্চাতে নিন্দা করে; <br />الَّذى جَمَعَ مالًا وَعَدَّدَهُ<br />104:2 যে ব্যক্তি সম্পদ সঞ্চয় করেছে এবং গুনে গুনে রেখেছে; <br />يَحسَبُ أَنَّ مالَهُ أَخلَدَهُ<br />104:3 সে কি একথা মনে করে যে, তার সম্পদ তাকে পৃথিবীতে চিরকাল রাখবে? <br />كَلّا لَيُنبَذَنَّ فِى الحُطَمَةِ<br />104:4 কখনো না, অবশ্য সে পদদলিতকারীর মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে; <br />وَما أَدرىٰكَ مَا الحُطَمَةُ<br />104:5 তুমি কি জানো পদদলিতকারী কি? <br />نارُ اللَّهِ الموقَدَةُ<br />104:6 আল্লাহর আগুন, যা প্রজ্বলিত হচ্ছে; <br />الَّتى تَطَّلِعُ عَلَى الأَفـِٔدَةِ<br />104:7 ওটা, যা অন্তরসমূহের উপর সমুদিত হবে। <br />إِنَّها عَلَيهِم مُؤصَدَةٌ<br />104:8 নিশ্চয় ওটা তাদের উপর বন্ধ করে দেওয়া হবে, <br />فى عَمَدٍ مُمَدَّدَةٍ<br />104:9 দীর্ঘ দীর্ঘ স্তম্ভসমূহে। </span></b></div></div>

১০৪.সূরা আল-হুমাযাহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৪.সূরা আল-হুমাযাহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَيلٌ لِكُلِّ هُمَزَةٍ لُمَزَةٍ 104:1 ধ্বংস ওই ...

Read more »

১০৩.সূরা আল-আসর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০৩.সূরা আল-আসর (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالعَصرِ<br />103:1 ওই মাহবূবের যুগের শপথ, <br />إِنَّ الإِنسٰنَ لَفى خُسرٍ<br />103:2 নিশ্চয় মানুষ অবশ্য ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, <br />إِلَّا الَّذينَ ءامَنوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَتَواصَوا بِالحَقِّ وَتَواصَوا بِالصَّبرِ<br />103:3  কিন্তু  (তারা  নয়)  যারা   ঈমান   এনেছে  ও  সৎকাজ   করেছে  এবং  একে   অপরকে সত্যের জন্য জোর দিয়েছে আর একে অপরকে ধৈর্যধারণের উপদেশ দিয়েছে। </span></b></div></div>

১০৩.সূরা আল-আসর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০৩.সূরা আল-আসর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالعَصرِ 103:1 ওই মাহবূবের যুগের শপথ, إِنَّ الإِنس...

Read more »

১০২.সূরা আত-তাকাসুর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০২.সূরা আত-তাকাসুর (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">أَلهىٰكُمُ التَّكاثُرُ<br />102:1 তোমাদেরকে উদাসীন করে রেখেছে সম্পদের অধিক কামনা। <br />حَتّىٰ زُرتُمُ المَقابِرَ<br />102:2 যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কবরসমূহের মুখ দেখেছো। <br />كَلّا سَوفَ تَعلَمونَ<br />102:3 হাঁ, হাঁ, শিগ্‌গির জেনে যাবে; <br />ثُمَّ كَلّا سَوفَ تَعلَمونَ<br />102:4 অতঃপর হাঁ, হাঁ, শিগ্‌গির জেনে যাবে। <br />كَلّا لَو تَعلَمونَ عِلمَ اليَقينِ<br />102:5 হাঁ, হাঁ, যদি ‘ইয়াক্বীন এর জানা’ জানতে, তবে সম্পদের মোহ রাখতে না। <br />لَتَرَوُنَّ الجَحيمَ<br />102:6 নিশ্চয় নিশ্চয় জাহান্নামকে দেখবে; <br />ثُمَّ لَتَرَوُنَّها عَينَ اليَقينِ<br />102:7 অতঃপর নিশ্চয় নিশ্চয় সেটাকে ‘ইয়াক্বীন-এর দেখা’ দেখবে, <br />ثُمَّ لَتُسـَٔلُنَّ يَومَئِذٍ عَنِ النَّعيمِ<br />102:8  অতঃপর  নিশ্চয়  নিশ্চয়  সেদিন  তোমাদেরকে  নি’মাতসমূহ  সম্পর্কে  জিজ্ঞাসা  করা  হবে। </span></b></div></div>

১০২.সূরা আত-তাকাসুর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০২.সূরা আত-তাকাসুর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ أَلهىٰكُمُ التَّكاثُرُ 102:1 তোমাদেরকে উদাসীন ক...

Read more »

১০১.সুরা আল-ক্বারিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০১.সুরা আল-ক্বারিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">القارِعَةُ<br />101:1 অন্তর প্রকম্পিতকারী, <br />مَا القارِعَةُ<br />101:2 ওই প্রকম্পিতকারী কি? <br />وَما أَدرىٰكَ مَا القارِعَةُ<br />101:3 তুমি কি জেনেছো প্রকম্পিতকারী কি? <br />يَومَ يَكونُ النّاسُ كَالفَراشِ المَبثوثِ<br />101:4 যেদিন মানুষ এমন হবে যেন বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো পতঙ্গসমূহ, <br />وَتَكونُ الجِبالُ كَالعِهنِ المَنفوشِ<br />101:5 এবং পর্বতসমূহ এমন হবে যেন বিধুনিত রুই। <br />فَأَمّا مَن ثَقُلَت مَوٰزينُهُ<br />101:6 অতএব, যার পাল্লা ভারী হয়, <br />فَهُوَ فى عيشَةٍ راضِيَةٍ<br />101:7 সে তো মনের মতো খুশীর জীবনে থাকে। <br />وَأَمّا مَن خَفَّت مَوٰزينُهُ<br />101:8 এবং যার পাল্লা হাল্কা হয়, <br />فَأُمُّهُ هاوِيَةٌ<br />101:9 সে লাঞ্ছিতকারী কোলে রয়েছে। <br />وَما أَدرىٰكَ ما هِيَه<br />101:10 আর তুমি কি জানো লাঞ্ছিতকারী কি? <br />نارٌ حامِيَةٌ<br />101:11 এক প্রজ্বলিত আগুন। </span></b></div></div>

১০১.সুরা আল-ক্বারিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০১.সুরা আল-ক্বারিয়াহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ القارِعَةُ 101:1 অন্তর প্রকম্পিতকারী, مَا ال...

Read more »

১০০.সূরা আল-আদিয়াত (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />১০০.সূরা আল-আদিয়াত (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">وَالعٰدِيٰتِ ضَبحًا<br />100:1 শপথ ওইগুলোর, যেগুলো  দৌঁড়ে এমতাবস্থায়  যে, সেগুলোর বুক থেকে আওয়াজ বের হয়, <br />فَالمورِيٰتِ قَدحًا<br />100:2 অতঃপর পাথরসমূহ থেকে আগুন বের করে খুর মেরে, <br />فَالمُغيرٰتِ صُبحًا<br />100:3 অতঃপর প্রভাত হতেই বিধ্বস্ত করে, <br />فَأَثَرنَ بِهِ نَقعًا<br />100:4 অতঃপর ওই সময় ধূলি উড়ায়; <br />فَوَسَطنَ بِهِ جَمعًا<br />100:5 অতঃপর শত্রুর সৈন্যদলের মধ্যে প্রবেশ করে- <br />إِنَّ الإِنسٰنَ لِرَبِّهِ لَكَنودٌ<br />100:6 নিশ্চয় মানুষ স্বীয় রবের প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ, <br />وَإِنَّهُ عَلىٰ ذٰلِكَ لَشَهيدٌ<br />100:7 এবং নিশ্চয় সে এর উপর নিজেই সাক্ষী, <br />وَإِنَّهُ لِحُبِّ الخَيرِ لَشَديدٌ<br />100:8 এবং নিশ্চয় সে সম্পদের মোহে অত্যন্ত প্রবল। <br />أَفَلا يَعلَمُ إِذا بُعثِرَ ما فِى القُبورِ<br />100:9 তুমি কি জানো না যখন উত্থিত হবে যারা কবরসমূহে রয়েছে, <br />وَحُصِّلَ ما فِى الصُّدورِ<br />100:10 এবং প্রকাশ করে দেওয়া হবে যা অন্তরসমূহে রয়েছে? <br />إِنَّ رَبَّهُم بِهِم يَومَئِذٍ لَخَبيرٌ<br />100:11 নিশ্চয় ওই দিন তাদের রব তাদের সব খবর সম্পর্কে অবহিত। </span></b></div></div>

১০০.সূরা আল-আদিয়াত (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ১০০.সূরা আল-আদিয়াত (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ وَالعٰدِيٰتِ ضَبحًا 100:1 শপথ ওইগুলোর, যেগুলো  দ...

Read more »

৯৯.সূরা আয-যালযালাহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul <u>Imaan</u><br />৯৯.সূরা আয-যালযালাহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِذا زُلزِلَتِ الأَرضُ زِلزالَها<br />99:1 যখন যমীনকে থরথর করে কাপানো হবে, যেভাবে সেটার কাপানো সাব্যস্ত হয়েছে, <br />وَأَخرَجَتِ الأَرضُ أَثقالَها<br />99:2 এবং যমীন স্বীয় বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করবে, <br />وَقالَ الإِنسٰنُ ما لَها<br />99:3 এবং মানুষ বলবে, ‘সেটার কি হয়েছে? <br />يَومَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخبارَها<br />99:4 ওই দিন সেটা তার সংবাদসমূহ বলে দেবে, <br />بِأَنَّ رَبَّكَ أَوحىٰ لَها<br />99:5 এ জন্য যে, আপনার রব সেটার প্রতি আদেশ পাঠিয়েছেন; <br />يَومَئِذٍ يَصدُرُ النّاسُ أَشتاتًا لِيُرَوا أَعمٰلَهُم<br />99:6   ওই   দিন    মানুষ     স্বীয়    রবের   প্রতি   প্রত্যাবর্তন   করবে   বিভিন্ন   রাস্তা    ধরে,    যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ দেখানো হয়। <br />فَمَن يَعمَل مِثقالَ ذَرَّةٍ خَيرًا يَرَهُ<br />99:7 সুতরাং যে এক অণু পরিমাণ সৎকাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। <br />وَمَن يَعمَل مِثقالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ<br />99:8 এবং যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। </span></b></div></div>

৯৯.সূরা আয-যালযালাহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৯.সূরা আয-যালযালাহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِذا زُلزِلَتِ الأَرضُ زِلزالَها 99:1 যখন যমীনক...

Read more »

৯৮.সূরা আল-বায়্যিনাহ (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৮.সূরা আল-বায়্যিনাহ (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">لَم يَكُنِ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتٰبِ وَالمُشرِكينَ مُنفَكّينَ حَتّىٰ تَأتِيَهُمُ البَيِّنَةُ<br />98:1 কিতাবী কাফির এবং মুশরিক নিজ নিজ ধর্মে ত্যাগকারী ছিলো না, যে পর্যন্ত তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসে নি। <br />رَسولٌ مِنَ اللَّهِ يَتلوا صُحُفًا مُطَهَّرَةً<br />98:2 (তিনি কে?) তিনি আল্লাহ্‌র রসূল, যিনি পবিত্র সহীফাসমূহ পাঠ করেন; <br />فيها كُتُبٌ قَيِّمَةٌ<br />98:3 ওইগুলোর মধ্যে সরল বাণীসমূহ লিপিবদ্ধ আছে। <br />وَما تَفَرَّقَ الَّذينَ أوتُوا الكِتٰبَ إِلّا مِن بَعدِ ما جاءَتهُمُ البَيِّنَةُ<br />98:4  এবং   মতভেদ সৃষ্টি হয়  নি  কিতাবীদের  মধ্যে;  কিন্তু   এরপর যে, ওই সুস্পষ্ট প্রমাণ তাদের নিকট শুভাগমন করেছে। <br />وَما أُمِروا إِلّا لِيَعبُدُوا اللَّهَ مُخلِصينَ لَهُ الدّينَ حُنَفاءَ وَيُقيمُوا الصَّلوٰةَ وَيُؤتُوا الزَّكوٰةَ وَذٰلِكَ دينُ القَيِّمَةِ<br />98:5 এবং ওই সব লোককে তো এ আদেশই দেওয়া হয়েছে যেন তারা আল্লাহর  ইবাদত করে শুধু  তাঁরই উপর   বিশ্বাস রেখে এক তরফা হয়ে এবং নামায  প্রতিষ্ঠা  করে   ও  যাকাত  দেয়। আর এটা হচ্ছে সরল দ্বীন। <br />إِنَّ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتٰبِ وَالمُشرِكينَ فى نارِ جَهَنَّمَ خٰلِدينَ فيها أُولٰئِكَ هُم شَرُّ البَرِيَّةِ<br />98:6  নিশ্চয় যত  কাফির  রয়েছে  কিতাবী ও   মুশরিক, সবাই জাহান্নামের  আগুনে রয়েছে, সর্বদা তাতে থাকবে। তারাই সৃষ্টিকূলের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। <br />إِنَّ الَّذينَ ءامَنوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ أُولٰئِكَ هُم خَيرُ البَرِيَّةِ<br />98:7 নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারাই সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ; <br />جَزاؤُهُم عِندَ رَبِّهِم جَنّٰتُ عَدنٍ تَجرى مِن تَحتِهَا الأَنهٰرُ خٰلِدينَ فيها أَبَدًا رَضِىَ اللَّهُ عَنهُم وَرَضوا عَنهُ ذٰلِكَ لِمَن خَشِىَ رَبَّهُ<br />98:8 তাদের    প্রতিদান তাদের     রবের নিকট-  বসবাস করার বাগান, যার নিচে নহরসমূহ প্রবাহিত   সেগুলোর মধ্যে  সদা-সর্বদা  থাকবে।  আল্লাহ্‌ তাদের  উপর সন্তুষ্ট এবং   তারা তার উপর সন্তুষ্ট । এটা তারই জন্য, যে আপন রবকে ভয় করে। </span></b></div></div>

৯৮.সূরা আল-বায়্যিনাহ (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৮.সূরা আল-বায়্যিনাহ (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ لَم يَكُنِ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتٰبِ...

Read more »

৯৭.সূরা আল-ক্বদর (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৭.সূরা আল-ক্বদর (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">إِنّا أَنزَلنٰهُ فى لَيلَةِ القَدرِ<br />97:1 নিশ্চয় আমি সেটা ক্বদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি; <br />وَما أَدرىٰكَ ما لَيلَةُ القَدرِ<br />97:2 এবং আপনি কি জানেন ক্বদর রাত্রি কি? <br />لَيلَةُ القَدرِ خَيرٌ مِن أَلفِ شَهرٍ<br />97:3 ক্বদরের রাত হাজার মাস থেকে উত্তম। <br />تَنَزَّلُ المَلٰئِكَةُ وَالرّوحُ فيها بِإِذنِ رَبِّهِم مِن كُلِّ أَمرٍ<br />97:4  এতে  ফিরিশ্‌তাগণ ও  জিবরাঈল  অবতীর্ণ  হয়ে  থাকে  স্বীয় রবের   আদেশে প্রত্যেক কাজের জন্য। <br />سَلٰمٌ هِىَ حَتّىٰ مَطلَعِ الفَجرِ<br />97:5 ওটা- শান্তি- ভোর উদয় হওয়া পর্যন্ত। </span></b></div></div>

৯৭.সূরা আল-ক্বদর (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৭.সূরা আল-ক্বদর (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ إِنّا أَنزَلنٰهُ فى لَيلَةِ القَدرِ 97:1 নিশ্চয় আম...

Read more »

৯৬.সূরা আল-আলাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">Al-Quran: Kanzul Imaan<br />৯৬.সূরা আল-আলাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)</span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ </span></b></div><div dir="ltr"><b><span style="color: #38761d;">اقرَأ بِاسمِ رَبِّكَ الَّذى خَلَقَ<br />96:1 পড়ুন! আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন- <br />خَلَقَ الإِنسٰنَ مِن عَلَقٍ<br />96:2 মানুষকে রক্তপিণ্ড থেকে সৃষ্টি করেছেন। <br />اقرَأ وَرَبُّكَ الأَكرَمُ<br />96:3 পড়ুন! এবং আপনার রবই সর্বাপেক্ষা বড় দাতা, <br />الَّذى عَلَّمَ بِالقَلَمِ<br />96:4 যিনি কলম দ্বারা লিখন শিক্ষা দিয়েছেন- <br />عَلَّمَ الإِنسٰنَ ما لَم يَعلَم<br />96:5 মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানতো না। <br />كَلّا إِنَّ الإِنسٰنَ لَيَطغىٰ<br />96:6 হাঁ, হাঁ, নিশ্চয় মানুষ ঔদ্ধত্য করে, <br />أَن رَءاهُ استَغنىٰ<br />96:7 এজন্য যে, সে নিজেকে নিজে অভাবমুক্ত মনে করেছে। <br />إِنَّ إِلىٰ رَبِّكَ الرُّجعىٰ<br />96:8 নিশ্চয় তোমার রবেরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে। <br />أَرَءَيتَ الَّذى يَنهىٰ<br />96:9 আচ্ছা, দেখোতো, যে বাধা প্রদান করে <br />عَبدًا إِذا صَلّىٰ<br />96:10 বান্দাকে- যখন সে নামায পড়ে! <br />أَرَءَيتَ إِن كانَ عَلَى الهُدىٰ<br />96:11 আচ্ছা, দেখোতো, যদি সে হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিত হতো, <br />أَو أَمَرَ بِالتَّقوىٰ<br />96:12 অথবা খোদাভীরুতার কথা বলতো, তবে কত ভালোই ছিলো! <br />أَرَءَيتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلّىٰ<br />96:13  আচ্ছা,  দেখোতো,  যদি  সে  অস্বীকার   করে  এবং   মুখ  ফিরিয়ে  নেয়,  তাহলে  কি  অবস্থা হবে! <br />أَلَم يَعلَم بِأَنَّ اللَّهَ يَرىٰ<br />96:14 সে কি জানে নি যে, আল্লাহ্‌ দেখছেন? <br />كَلّا لَئِن لَم يَنتَهِ لَنَسفَعًا بِالنّاصِيَةِ<br />96:15  হাঁ, হাঁ, যদি সে বিরত  না হয়, তবে নিশ্চয় আমি  (তার) কপালের চুল  ধরে টেনে আনবো। <br />ناصِيَةٍ كٰذِبَةٍ خاطِئَةٍ<br />96:16 কেমন কপাল? মিথ্যুক, গুনাহ্‌গার। <br />فَليَدعُ نادِيَهُ<br />96:17 এখন আহ্বান করুক আপন মজলিসকে! <br />سَنَدعُ الزَّبانِيَةَ<br />96:18 এখনই আমি সৈন্যদেরকে আহ্বান করছি। <br />كَلّا لا تُطِعهُ وَاسجُد وَاقتَرِب<br />96:19   হাঁ,  হাঁ, তার   কথা শুনবেন  না  এবং সাজদা করুন  আর  আমার   নিকটবর্তী  হয়ে  যান। </span></b></div></div>

৯৬.সূরা আল-আলাক্ব (কাঞ্জুল ইমান)

Al-Quran: Kanzul Imaan ৯৬.সূরা আল-আলাক্ব (কাঞ্জুল ইমান) بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ اقرَأ بِاسمِ رَبِّكَ الَّذى خَلَقَ 96:1 পড়ুন! আপন...

Read more »

কিতাবঃ নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত [ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহ.]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-b86e104e-7fff-0a88-68e1-982c19cd02e2" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><b>নবীগণ [আলায়হিমুস্ সালাম] স্বশরীরে জীবিত</b></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اِنْباَهُ الْاذَْكِیاَءِ فىِْ حَیاَةِ الْانَْبِیآَءِ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[علَیَھْمِ الس َُُّلامَُ]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit;"><b><span style="background-color: #f3f3f3; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মূল  : ইমাম  জালাল উদ্দীন সুয়ূত্বী </span><span style="background-color: #f3f3f3; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;">[রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি]</span></b></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="background-color: #f3f3f3; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বঙ্গানুবাদ  : অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ </span><span style="background-color: #f3f3f3; font-size: 11pt; white-space: pre-wrap;">মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী</span></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: #f3f3f3; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সম্পাদনা : মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান মহাপরিচালক, আনজুমান রিসার্চ সেন্টার</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রকাশনায় : আন্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট [প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ] ৩২১ , দিদর মার্কেট ( ৩য় তলা দেওয়ান বজার, চট্টগ্রাম - ৪০০০ , বাংলাদেশ, ফোন : ০৩১ - ২৮৫৫৯৭৬, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: #f3f3f3; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">E - mal : anjumantrust@gmail.com, anjumantrust@yahoo.com" www.anjumantrust .org</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Text by [Masum Billah Sunny, Sirajum Munir Tanvir]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রকাশকালঃ </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০১ যিলহজ্ব , ১৪৩৬ হিজরী </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">০১ আশ্বিন , ১৪২২ বাংলা </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১৬ সেপ্টেম্বর , ২০১৫ খ্রিস্টাব্দয় </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সর্বস্বত্ত্ব প্রকাশকের </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিয়া : ৪০ / - ( চল্লিশ ) টাকা ' </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Nabigan [Alaihimus Salam Sasharire Jibito] [Inbahul Azkia fee Hayatil Anbia , Alaihimus Salam] by Imam Jalal Uddin Suyuthy Rahmatullahi Alaihi , Translated into Bangali by Prof . Maulana Sayed Mohammad Jalal Uddin Al - Azhari , Edited by Moulana Muhammad Abdul Mannan , Published By Anjuman - E Rahmania Ahmadia Sunnia Trust , Chittagong , Bangladesh . Hadiah Tk . 40 / - Only .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="background-color: black; color: cyan; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুখবন্ধ</span><span style="background-color: white; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম নাহমাদুহু ওয়াসাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু আলা হাবীবিল করীম </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওয়া 'আলা-আ-লিহী ওয়া সাহবিহী আজমাঈন। নবীকুল সরদার রসূলগণের ইমাম আমাদের আক্কা ও মাওলা হযরত মুহাম্মদ মােস্তফা সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এবং অন্যান্য সকল নবী ও রসূলগণ আলায়হিমুস সালাম-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ওফাত বরণের পরও সশরীরে জীবিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, নবীগণের শরীরকে গ্রাস করা যমীনের উপর আল্লাহ্ তা'আলা হারাম করে দিয়েছেন। তিনি আরাে এরশাদ করেছেন, আমার উপর দুরূদ ও সালাম প্রেরণকারীদের দুরূদ ও সালাম আমি শুনতে পাই । হাদীস শরীফ দ্বারা একথাও প্রমাণিত যে, পূর্ণভক্তি ও ভালবাসা সহকারে দুরূদ-সালাম প্রেরণকারীদের দুরূদ ও সালাম তিনি নিজে শুনেন ও গ্রহণ করেন, আর অন্যান্যদের দুরূদ ও সালাম তাঁর নিকট ফিরিশতাগণ পৌছিয়ে দেন। তখন তিনি ইচ্ছা করলে গ্রহণ করেন, নতুবা তা তাঁর পবিত্র দরবারে গ্রহণযােগ্য হয় না। এ দুরূদ ও সালাম পাঠকগণ বিভিন্নভাবে এর বদৌলতে উপকৃত হন। একটি বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, জুমার দিনে কিংবা জুমার রাতে নবী করীমের উপর একশ' বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে একটা চাহিদা পূরণ হয়, সত্তরটা আখিরাতের এবং ত্রিশটা দুনিয়ার আর একজন ফেরেশতা নিয়ােজিত হন, যিনি হুযূর-ই আরামের রওযা শরীফে তা এমনভাবে পৌছিয়ে থাকেন, যেভাবে পৃথিবীবাসীদের নিকট তাদের প্রতি প্রেরিত হাদিয়া পৌছানাে হয়, ইত্যাদি। আর অন্যান্য নবীগণ আলায়হিমুস সালাম-এর হায়াতও বিশুদ্ধ হাদীসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়। যেমন- হুযূর-ই আরাম মি'রাজ শরীফে যাবার সময় হযরত মূসা আলায়হিস সালামকে প্রথমে তাঁর কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে দেখেছেন । তারপর তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে সমস্ত নবীর সাথে হুযূর ই আকরামের ইমামতিতে নামায পড়েছেন। তারপর প্রতিটি আসমানে কতিপয় নবী আলায়হিমুস সালাম হুযূর-ই আকরাম (ﷺ)কে সম্বর্ধনা জানানাের জন্য উপস্থিত ছিলেন ইত্যাদি। একটি হাদীস শরীফে আছে, হুযূর-ই আকরাম (ﷺ) এরশাদ করেন, যখন কেউ তাঁর উপর দুরূদ-সালাম প্রেরণ করে, তখন তাঁর রূহ মুবারককে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে ফিরিয়ে দেন, যেন তিনি ওই দুরূদ পাঠকের সালাত ও সালামের জবাব দেন। উল্লেখ্য, প্রথমােক্ত সব বিষয়ে বর্ণিত অনেক বিশুদ্ধ হাদীস তাে বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম সুয়ুত্বী তার ইম্মাহুল আযকিয়া ফী হায়াতিল আম্বিয়া [নবীগণ (আলায়হিমুস সালাম) সশরীরে জীবিত]-তে লিপিবদ্ধ করেছেন। আরাে সুখের বিষয় যে, শেষােক্ত হাদীস, যাতে দুরূদ ও সালাম প্রেরণকারীদের দুরূদ ও সালামের জবাব দানের জন্য হুযূর আকরামের রূহ তাঁকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা এরশাদ হয়েছে, এ মহান বাণীর সর্বমােট ষােলটি হৃদয়গ্রাহী সপ্রমাণ ব্যাখ্যা দু'টি বিশেষ পরিচ্ছেদে দিয়েছেন; যেগুলাে প্রতিটি উম্মতের ঈমানকে আরাে সজীব করে দেয়-নিঃসন্দেহে। তাই, ইমাম সুয়ূতীর এ মহা মূল্যবান কিতাবের বঙ্গানুবাদ করে প্রকাশ করা যুগের এক বিশেষ চাহিদা ছিলাে। এ চাহিদা পূরণের জন্য এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী এবং আনজুমান রিসার্চ সেন্টার ও আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ। বলাবাহুল্য, অধ্যাপক মাওলানা আযহারী সাহেব কিতাবটার বঙ্গানুবাদ করেছেন আর রিসার্চ সেন্টার সেটার সম্পাদনা ও কম্পােজ ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে। সর্বোপরি, আনজুমান প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ সেটা সুন্দর অবয়বে প্রকাশ করে অতি সুলভ মূল্যে সম্মানিত পাঠক সমাজের সমীপে উপস্থাপন করছে। কিতাবখানা পাঠক সমাজে বহুলভাবে সংগৃহীত ও সমাদৃত হােক- এটাই একান্তভাবে কামনা করছি। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইতি </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সালামান্তে </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মহাপরিচালক, আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, আলমগীর খানকাহ শরীফ, ষােলশহর, চট্টগ্রাম </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরতুল আল্লামা ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুত্বী </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আলায়হির রাহমাহর </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সংক্ষিপ্ত জীবনী ইমাম হাফেয সুয়ুত্বী রাহিমাহুল্লাহর পূর্ণনাম-‘জালাল উদ্দীন আবদুর রহমান ইবনুল কামাল, আবু বকর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সা-বিকুদ্দীন ইবনুল ফখর ওসমান ইবনে নাযিরুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে শায়খ হুমাম উদ্দীন। তাঁর জন্ম ১ রজব, ৮৪৯হিজরী রবিবার রাতে হয়েছিলাে। খুদ্বায়রী’ ও ‘আস্ সুয়ুত্বী, সুয়ুত্বী’ সংক্ষেপে এ দু’টি সম্পর্কজনিত শব্দও তাঁর নামের সাথে সংযােজন করা হয়। তাঁর বংশীয় পরম্পরা এক অনারবীয় খান্দান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তিনি তাঁরই লিখিত কিতাব হুসনুল মুহা-দ্বারাহ্ ফী- আখবা-রি মিসর ওয়াল ক্বাহেরাহ্’য় আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “আমাকে এক নির্ভরযােগ্য ব্যক্তি বলেছেন, আমার পিতা রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলায়হি বর্ণনা করতেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষ (বংশের মূল পুরুষ) একজন ‘আজমী’ (অনারবীয়) ছিলেন এবং পূর্বাঞ্চলীয় লােক ছিলেন। ইমাম সুয়ূত্বীর খান্দান মিশরে আসার পূর্বে বাগদাদের মহল্লা ‘খুদ্বায়রিয়্যাহ্’য় বসবাস করতেন। এ মহল্লা বাগদাদের পূর্ব প্রান্তে ইমাম-ই আ'যম রাহিমাহুল্লাহু তা'আলার মাযার শরীফের নিকটে অবস্থিত। "খুদ্বায়রী" সম্পর্কবাচক উপাধির কারণ এটাই । ইমাম সুয়ূতীর জন্মের কয়েক পুরুষ পূর্বে এ খান্দান ইরাক থেকে মিশর এসেছেন এবং মিশরের ‘আসয়ুত্ব’ শহরে বসবাস করতেন। সেটার নামও ‘খুদ্বায়রিয়্যাহ’ রেখে দেন । </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম সুয়ুত্বীর পিতা আসয়ুত্ব থেকে কায়রাে চলে যান। সেখানে তিনি ইবনে তুলুন জামে মসজিদ’-এ খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। সাথে সাথে শায়খুনী জামে মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসায় ‘ফিক্বহ’র ওস্তাদ হিসেবে নিয়ােজিত ছিলেন । ৮৫৫ হিজরীতে তার ইনতিক্বাল হয়। তখন ইমাম সুয়ুত্বীর বয়স পাঁচ কিংবা ছয় বছর ছিলাে। তখন তাঁর অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তাঁর পিতার এক সূফী বন্ধু নিয়েছিলেন। ইমাম সুয়ুত্বী ৮ বছর বয়সে কোরআন করীম হেফয করে নিয়েছিলেন। তারপর তিনি নাহভ ও ফিক্‌হর মতন মুখস্থ করতে মশগুল হন । ইমাম সুয়ুত্বী তার যুগের বহু ওস্তাদ ও মাশাইখ থেকে জ্ঞানার্জন করেন। তাদের অধিকাংশের উল্লেখ (আলােচনা) তিনি তাঁর হুসনুল মুহা-দ্বারাহ্’য় করেছেন। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম সুয়ূত্বী রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলায়হি তাঁর যুগে প্রচলিত সমস্ত আরবী ও ইসলামী বিষয়াদির জ্ঞান অর্জন করেন এবং সেগুলােতে পূর্ণ দক্ষতা লাভ করেন । ওইসব বিষয়ে তাঁর লেখনী (গ্রন্থ-পুস্তক)ও রয়েছে। তাঁর প্রণীত গ্রন্থ পুস্তকাদির আধিক্য ও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী অনুসারে তারপর তার মত আর কাউকে দেখা যায়না; এমনকি পূর্ববর্তীদের মধ্যেও হয়তাে তাঁর মতাে দু/একজন পাওয়া যায় কিনা সংশয় রয়েছে। তিনি হাদীস ও হাদীস শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়, তাফসীর ও আল্লাহর কিতাব (কোরআন মজীদ) সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়, ফিক্হ ও এর উসূল, কালাম, জদল, ইতিহাস, অনুবাদ, তাসাওফ, সাহিত্য, অলংকার (মাআনী, বয়ান ও বদী') নাহভ, সরফ, অভিধান ও মানত্বিক বিষয়ে শত-সহস্র কিতাব প্রণয়ন করেন। তিনি তার হুসনুল মুহাদ্বারা’য় লিখেছেন, </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وَبَلَعَت مُوَلَفَاتِي الان تلاثمائة كِتَاب سوى مَا عَسلَتُه أَو رَجَعْتُ عَنْهُ </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ এ পর্যন্ত আমার লিখিত কিতাবগুলাের সংখ্যা তিনশ’ হয়ে গেছে । এগুলাের মধ্যে ওইসব কিতাব নেই, যেগুলাে আমি বিনষ্ট করে ফেলেছি কিংবা যেগুলাে আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কিতাবগুলাের এ সংখ্যা হুসনুল মুহা-দ্বারাহ্’ লিখার সময়কার ছিলাে। আর সম্ভবত এত সংখ্যক কিতাব তিনি পরবর্তীতেও লিখেছেন। মুস্তারি ফিলােগুল’ তার লিখিত সমস্ত কিতাব গণনা করেছেন। তাঁর পরিসংখ্যান অনুসারে ইমাম সুয়ূত্বীর লিখিত কিতাবগুলাের সংখ্যা ৫৬১। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর কিতাবগুলাের মধ্যে এমন বহু কিতাব রয়েছে, যেগুলাে কয়েক খণ্ডে বিন্যস্থ। তন্মধ্যে কিছু কিতাব এমনও রয়েছে, যেগুলাে ‘দাওয়া-ইরে মা’আরিফ' (জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্ভার)-এর মর্যাদা রাখে। পুস্তক প্রণয়ন ও রচনার ময়দানে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে যেই সুবর্ণ সামর্থ্য দান করেছেন, তা খুব কম সংখ্যক লােকই পেয়েছেন। আরবী ও ইসলামী জ্ঞানের এমন কোন রাজপথ নেই, যাতে তাঁর পদচারণা পাওয়া যায় না। তাঁকে ‘হাত্বিবুল লায়ল’ (যাচাই বিহীন লােক) বলে যারা সমালােচনা করেন তারাও জ্ঞান, গবেষণা ও বিশ্লেষণের উপত্যকায় তাঁর সাহায্য ছাড়া এক কদমও চলতে পারে না। বাস্তবাবস্থা হচ্ছে বেশীর ভাগ পূর্ববর্তী ইমামগণের মতাে ইমাম সুয়ুতীরও দুটি যােগ্যতাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। একটি হচ্ছে জ্ঞান-ভাণ্ডার ও লেখকের আর অপরটি হচ্ছে গভীর গবেষক ও বিশ্লষক এবং সুক্ষ্মদর্শী (মুহাক্বক্বিক্ব ও মুদাক্বক্বিক্ব)-এর। ইমাম সুয়ূতীর জন্য সাধারণভাবে ‘হাত্বিবুল লায়ল’ (নির্বিচারে উদ্ধৃতকারী লেখক) উপাধি ব্যবহারকারীগণ তাঁর এ দু'টি মর্যাদাপূর্ণ স্তরের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম এবং পূর্ববর্তী ইমামগণের উন্নত রুচি ও পদ্ধতি সম্পর্কেও কম অবগত। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুত্বী দীর্ঘদিন যাবৎ প্রসিদ্ধ ‘খানক্বাহ-ই বীবার্সিয়া’র ‘ওয়াক়্ফ এস্টেট'-এর মহাব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তদানীন্তনকালে এটা মিশরের সর্বাপেক্ষা বড় খানক্বাহ্ ছিলাে; কিন্তু যখন সুলতান মুহাম্মদ ক্বাতবাঈ মিশরের শাসন-ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন ভণ্ড সূফীদের একটি দল সুলতানের নিকট ইমাম সুয়ুত্বীর বিপক্ষে কিছু অমূলক অভিযােগ করেছিলাে। এতভিত্তিতে সুলতান তাঁকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। এ অপসারণের পর থেকে তিনি দুনিয়া ও এর সমস্ত সম্পর্ক থেকে নিজে নিজে অবসর গ্রহণ করেন এবং লেখালেখিতে আত্মনিয়ােগ করেন। এমন একাকীত্বের মধ্যে ইমাম সুয়ূতী তাঁর বেশীরভাগ কিতাব রচনা করেন। তাঁর এ একাকীত্ব ও জ্ঞানগত ই'তিকাফ তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত ছিলাে। এ বিশ বছর ব্যাপী সময়সীমায় তিনি লােকজনের সাথে মেলামেশা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনকি তার ঘরের নীল নদের দিকে খােলা হয় এমন জানালাগুলােও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আর নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ইসলামী ও আরবী জ্ঞানচর্চা, এগুলাে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা এবং গ্রন্থ-পুস্তক রচনা ও প্রণয়নের মধ্যে অতিবাহিত করেন । ৯১১ হিজরীতে এ যুগশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ও গুণী ইমামের ইনতিক্বাল হয়েছে। আল্লাহ তাঁর উপর রহমতের বারি বর্ষণ করুন। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: white; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আ-মীন। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">بسم الله الرحمن الرجيم</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবীগণ [আলায়হিমুস্ সালাম] স্বশরীরে জীবিত</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اِنبّاهُ الأنْبِيَاء في حَيَاةِ الأنبياء عَلَيْهم السلام</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">للإمام جلال الدين السيوطيّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالى</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى . وقع السؤال : قد اشتهر أن النبي صلى الله عليه وسلم حي في قبره وورد أنه صلى الله عليه وسلم قال بعن أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أن رسول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال ما من أحد يُسلم غلي إلا رد الله علي روحي حتى أردَّ عَلَيْهِ السلام   (١) </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١. رواه أحمد ( 4۷۷ / ۱۹ ) ط الرسالة ، وأبو داود ( ۲۰41 ) وصححه النووي في " الأذكا :۱۵٤ }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> فظاهره مفارقة الروح [ له ] في بعض الأوقات فكيف الجمع ؟ وهو سؤال حسن يحتاج إلى النظر والتأمل.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার নিমিত্তে। সালাম ও তাঁর ওই সমস্ত বান্দার উপর, যাদেরকে তিনি চয়ন করে নিয়েছেন। সকলের নিকট একথা প্রসিদ্ধ যে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম নিজ রওযা শরীফে জীবিত; কিন্তু অন্য একটি বর্ণনায় দেখা যায-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 1 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন: “যখন কোন ব্যক্তি আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করে তখন আল্লাহ তা‘আলা আমার প্রতি আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন যাতে আমি তার সালামের উত্তর দিই।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, প্রিয়নবীর রূহ মুবারক তাঁর দেহ মুবারক থেকে কখনও কখনও পৃথক ও বিচ্ছিন্ন হয়। সুতরাং এ উভয় হাদিসের মধ্যকার সমন্বয় সাধন কিভাবে হবে? ইমাম সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি এ প্রশ্নের উত্তরে বলছেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘‘এটি খুব সুন্দর একটি প্রশ্ন, যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করা জরুরী।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فأقول : حیاة النبي صلى ﷲ علیھ وسلم في قبره ھو وسائر الأنبیاء معلومة عندنا علما قطعیا لما قام عندنا من الأدلة في ذلك وتواترت [بھ] الأخبار، وقد ألف البیھقي جزءا في حیاة الأنبیاء في قبورھم ، فمن الأخبار الدالة على ذلك</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং আমি বলছি প্রিয়নবী (ﷺ) এবং অন্যান্য নবীরাসূলগণের নিজ নিজ রওযা শরীফে জীবিত থাকার বিষয়টি আমাদের সকলের নিকট সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত ও সর্বজন স্বীকৃত। কেননা এ বিষয়ে আমাদের নিকট অনেক দলীল ও প্রমাণ বিদ্যমান এবং এ ক্ষেত্রে প্রমাণিত দলীলগুলো ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের। অর্থাৎ যেগুলো এত অধিক সংখ্যক রাভী (বর্ণনাকারী) বর্ণনা করেছেন, যাতে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ থাকে না।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর ইমাম বাইহাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিও নবীগণ আলায়হিস্ সালাম নিজেদের রওযা শরীফে জীবিত থাকার প্রমাণ স্বরূপ একটি স্বতন্ত্র পুস্তিকা রচনা করেছেন। পুস্তিকাটির নাম হল:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">حَیاَة الْانَْبِیآءِ َُعَلیْھِمُ َّ السلامَُفِىِْ قبُُوُْرِھِمْ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(হায়াতুল আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালামু ফী ক্বূবূরিহিম।)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ বিষয়ের প্রমাণ স্বরূপ বর্ণিত হাদিসগুলোর মধ্যে থেকে নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা গেলঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 2 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ما أخرجھ مسلم عن أنس  عن النبي صلى ﷲ علیھ وسلم قال : أَتَیْتُ — وفي روایة : مررت -  عَلىَ مُوسَى لیَْلَةً أسُرْيِ بيِ ْعندَ الْكَثِیبِ ََالْأَحْمَرِ وَھُوَ قَاَئمٌِ یصَلي فيِ قَبْرِهِ. (٢)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢.رواه مسلم ( ۲۳۷۵ )}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহতে সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণনা করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #38761d; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে রাত্রিতে আমাকে  ইসরা ও মি’রাজ করানো হলো, ওই রাত্রিতে আমি এলাম, অন্য এক বর্ণনায় আছে আমি, হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর কবর শরীফের পাশ দিয়ে গেলাম। তখন আমি দেখতে পেলাম যে, হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম লাল বর্ণের টিলার পাশে স্বীয় কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 3 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أبو نعیم في الحلیة عن ابن عباس . َّ انَ َّ النبىَّ ﷺ ََّ مَرَّ  بقِبَْرِ مُوْسى عَلیَْھِ السَّلامَُ وَھوَُ قآَئمٌ یُصَُلىِّْ فیِْھِ (٣)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣.أخرجه وأبو نعيم في الحلية ۲۰۳ / 6 ، و ۳۳۳ وقال عقبة : غريب من حديث عمرو عن ابن جريج ، تفرد به مروان ، أهـ . وللحديث متابعات فقد رواه مسلم في صحيحه : كتاب الفضائل : باب من فضائل موسى ، والنسائي في سننه : كتاب قيام الليل وتطوع النهار : باب ذكر صلاة نبي الله موسى عليه السلام ، والبيهقي في جزء حياة الأنبياء بعد وفاتهم ص / ۳۱ كلهم عن أنس بن مالك ، ورواه مسلم في صحيحه : كتاب الإيمان باب ذكر المسيح ابن مريم والمسيح الدجال ، والبيهقي في جزء حياة الأنبياء بعد وفاتهم ص / ۳۲ ، وفي كتاب دلائل النبوة ۳۵۸ / ۲ - ۳۵۹ كلاهما عن أبي هريرة أنس بن مالك رضي الله عنه ، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( أتيت - وفي رواية : مررت على موسى ليلة أسري بي عند الكثيب الأحمر وهو قائم يصلي في قبره ) رواه مسلم : ۲۳۷۵}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবূ নু‘আয়ম ইস্পাহানী তাঁর রচিত ‘হুলিয়াতুল আওলিয়া’ নামক প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নবী করীম (ﷺ) গমন করেছেন হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর কবর শরীফের পাশ দিয়ে। আর তিনি নিজ কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 4 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج  أبو یعلى في مسنده، والبیھقي في كتاب حیاة الأنبیاء عن أنس أن النبي ﷺ قال:   الْأَنَْبِْیآَءُ احَْیَآَءٌ فِىِْ قُبُُوْرِھِمُّْ یُصَلوْنَ (٤)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٤.أخرجھ أبو یعلى في مسنده ٦/١٤٧، والبیھقي في " حیاة الانبیاء " ص/٣ من طریق أبي یعلى والبزار في مسنده انظر كشف الاستار ٣/١٠٠ وأورده الحافظ الھیثمي في مجمع الزوائد ٨/٢١١ وقال : " رواه أبو یعلى والبزار ورجال أبي یعلى ثقات " ، وذكره الحافظ العسقلاني في المطالبالعالیة برقم /٣٤٥٢ وعزاه لأبي یعلى والبزار.}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবু ইয়ালা তার মুসনাদ'-এ এবং ইমাম বায়হাক্কী রাহমাতুল্লাহি তাআলা আলায়হি তার “হায়াতুল আম্বিয়া” নামক কিতাবে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, প্রিয় নবী (ﷺ) এরশাদ করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নবীগণ আলায়হিমুস সালাম নিজেদের কবর শরীফে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন ।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 5 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أبو نعیم في الحلیة قَالَی : وس فیُوسُفُ بنْبنُ عَطِیَّةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ ثَابِتًا ،یقَوُل یقولُ لحُِمَیْدٍ َّ الطوِیلِ " : ھَلْ بَلَغَكَ -یَا أبَاَ عُبَیْدٍ -أنََّ  أَحَدًا ی ِّ ُصَلي فيِ قَبْرِهِ إلِا الأنَْبِیَِاءَ؟ " قَالَ : لا. (٥)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٥.حلیة الأولیاء لأبي نعیم  ثابَتِ ٌ البُناَنيُِّ . رقم الحدیث: ٢٦٤١}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবু নু'আইম তার হুলিয়াতুল আউলিয়াতে ইউসুফ ইবনে আতিয়্যাহ থেকে বর্ণনা করেন,</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি বলেন, “আমি হযরত সাবেত আল-বুনানী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হুমাইদ আতত্বাভীলকে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি: আপনার নিকট কি এমন কোন তথ্য আছে যা প্রমাণ করে যে,</span></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবীগণ আলায়হিমুস সালাম ব্যতীত অন্য কেউ নিজ কবরে নামায পড়েন?” তিনি বললেন, “না”।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 6 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أبو داود والبيهقي عَنْ أوس بن أوس ، قال : قال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلخ من أفضل أيّامكم يوم الجمعة ، فيه خلق آدمُ ، وفية النفخة ، وفية الصعقة ، فأكثروا على من الصلاة فيه ، فإن لاتكم معروضة " علي ، فقال رجل : يا رسُول الله ، كيف تعرض صلاتُنَا عَلَيْكَ وَقَد أرمت ؟ - يَعْنِي بَلِينَ - فَقال : إن الله حرمَ عَلَى الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء ( 6 )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{6. أخرجھ أحمد ٤/٨(١٦٢٦٢.  َّ والدارِمِي (١٥٧٢) و॥"أبو داود॥" ١٠٤٧ و॥"ابن ماجة॥" ١٠٨٥</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرجھ ابن ماجة (١٦٣٧مرقاة المفاتیح شرح مشكاة المصابیح  كتاب الصلاة باب الجمعة.১৩৬১ وقال: رواه أبو داود ، والنسائي ، وابن ماجھ ،والدارمي ،حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي, رقم الحدیث-١٠  والبیھقي في " الدعوات الكبیر . "}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ দাঊদ এবং ইমাম বাইহাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি হযরত আওস ইবনে আওস আস্ সাক্বাফী থেকে বর্ণনা করেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“প্রিয় নবী (ﷺ) এরশাদ করেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিশ্চয় তোমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো- জুমার দিন। সুতরাং এদিনে তোমরা আমার প্রতি অধিক পরিমাণে দুরূদ শরীফ প্রেরণ কর। কেননা, তোমাদের দুরূদ শরীফগুলো আমার নিকট পেশ করা হয়। সাহাবীগণ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম বললেন, ‘‘এয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার নিকট আমাদের সালাত কিভাবে পেশ করা সম্ভব? কেননা আপনি তো ইন্তিকাল করবেন এবং আপনার দেহ মাটি খেয়ে ফেলবে?’’ তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাদের এ ভুল ধারণাকে সংশোধন করে দিয়ে বললেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন মাটির উপর নবীগণের দেহ মুবারককে গ্রাস করা।’’</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 7 :</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                    </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج البیھقي في شعب الإیمان ، والأصبھاني في الترغیب</span><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">عَنِ الأعْمَشِ  ,عَنْ أبَِي صَالِحٍ  ,عَنْ أبَيِ ھُرَیْرَةَ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنْھْ  -أنَ َّ النبَّيِ ِّ ﷺ ، قَالَ " : منَ صْلىََّ  عليََ َّ عندَ قبَرِْي سَمعِْتھُُ، ومَنَ َّ صلىَ عليََ َّ  ناَئیِاً منِھْ ُأبلغتھُ " (٧)</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٧. حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي  من صلى علي عند قبري سمعتھ ، ومن صلى علي نائیا منھ ... رقم الحدیث: ١٨. أخرجھ البیھقي في شعب الإیمان (٢/ ٢١٨/ ١٥٨٣) والخطیب البغدادي في تاریخھ (٣/ ٢٩١ - ٢٩٢) وابن الجوزي في الموضوعات (٢/ ٣٨/ ٥٦٢) والعقیلي في الضعفاء (٤/ ١٣٦ - ١٣٧/ ١٦٩٦) وأبو الشیخ في الصلاة على النبي صلى ﷲ علیھ وسلم كما في جلاء الأفھام ص ١٠٩. وھو حدیث ضعیف جدا. قال الحافظ ابن القیم: ھذا الحدیث غریب جدا. وقال العقیلي: لا أصل لھ من حدیث الأعمش، ولیس بمحفوظ. وانظر تفسیر القرآن العظیم للحافظ ابن كثیر (٣/ ٦٧٥) و میزان الاعتدال (٣/ ٣٢ - ٣٣/ ٨١٥٤) و الفوائد المجموعة (ص ٢٣٥) و السلسلة الضعیفة (٢٠٣.)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী ‘শু‘আবুল ঈমান’ গ্রন্থে এবং ইস্পাহানী “আত্ তারগীব” নামক কিতাবে হযরত আবূ হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের নিকট উপস্থিত থেকে আমার উপর সালাত  পাঠ করে, আমি তার সালাত শুনতে পাই (ও জবাব দিই)। আর যে অনুপস্থিত থেকে আমার প্রতি সালাত (সালাম) প্রেরণ করে তা আমার নিকট পৌঁছানো হয়।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 8 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">يَقُول : سَمِعْتُ وأخرج البخاري في تاريخه عن عمّار بن ياسر رسول الله صلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : إن اللَّهُ أَعْطانِي مَلَكَا مِنَ الملائكة يقوم على قبري إذا أنا مت فلاً يُصلي عَبَ علي صلاة إلا قال : يا مُحَمَّدُ فلان بن فلأن يُصلى عليك يُسمّيه باسمِهِ وَاشم أبيه ، فَيُصلَّى اللهُ مَكَانَهَا عَشرا صلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " (٨)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٨. إتحاف الخیرة المھرة بزوائد المسانید العشرة  كتِاَب كتابُ الْأدَْعِیَةِ بابَ ٌ فيِ الصَّلاَةِِ علَىَ َّ النبيِ ِّصَلىّ َّ ﷲُ...  رقم الحدیث: ٥٨٢١}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বোখারী তার ‘তারিখ-এ কাবীর' গ্রন্থে হযরত আম্মার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নিশ্চয় আমাকে আল্লাহ তা'আলা এমন একজন ফেরেশতা দিয়েছেন, যে আমার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবে যখন আমি ইনতিকাল করবো তখন থেকে, অতঃপর যে কোন বান্দা আমার উপর সালাত পাঠ করবে, সাথে সাথে সে আমাকে তা বলে দেবে, 'হে আল্লাহর মহা প্রশংসিত মাহবুব! অমুকের পুত্র অমুক, আপনার প্রতি দুরূদ প্রেরণ করছে । ওই ফিরিশতা দুরূদ প্রেরণকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ উল্লেখ করবে, অতঃপর আল্লাহ তা’আলা সেটার বিনিময়ে দশটি রহমত নাযিল করবেন । আল্লাহ তার প্রতি সালাম নাযিল করুন।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 9 :</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج  البیھقي في حیاة الأنبیاء، والأصبھاني في الترغیب عن أنس بن مالك رضي ﷲ عنھ أن النبي صلى ﷲ علیھ وسلم قال:  إن أقربكم مني یوم القیامة في كل موطن أكثركم علي َصلاة في الدنیا ، من صلىعلي َّ في یوم الجمعة ولیلة الجمعة مائة مرة قضى ﷲ لھ مائة حاجة ،سبعین من حوائج الآخرة ، وثلاثین من حوائج الدنیا ، ثم یوكل ﷲ بذلك ملكا یدخلھ في قبري كما یدخل علیكم الھدایا. (٩)</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٩. رواه ابن منده في " الفوائد " (ص/٨٢)، والبیھقي في " شعب الإیمان " (٣/١١١) ، و"حیاة الأنبیاء" (٢٩) ، ومن طریق البیقھي : ابن عساكر في " تاریخ دمشق " (٥٤/٣٠١) ، وعزاه السیوطي في " الحاوي " (٢/١٤٠) للأصبھاني في " الترغیب." )}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী ‘হায়াতুল আন্বিয়া’তে এবং ইমাম ইস্পাহানী ‘আত্ তারগীব’-এ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিনে ও রাতে একশ’ বার দুরূদ পাঠ করবে এর বিনিময়ে তার একশ’টি চাহিদা পূরণ করা হবে- সত্তরটি তার আখিরাতের চাহিদা ও প্রয়োজন এবং ত্রিশটি তার দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য একজন ফেরেশতা নিয়োগ করবেন, যে আমার নিকট দুরূদসমূহ ওইভাবে পেশ করবে, যেভাবে দুনিয়াতে তোমাদের নিকট উপহার-উপঢৌকন পেশ করা হয়। নিশ্চয় আমার জ্ঞান আমার ইন্তিকালের পরও ওইরূপ সচল বিদ্যমান ও অক্ষুন্ন থাকবে যেভাবে আমার যাহেরী হায়াতে আছে।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 10 :</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولفظ البیھقي  :یخبرني من صلى علي باسمھ ونسبھ ، فأثبتھ عندي في (١٠) .صحیفة  بیضاء</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٠. رقم الحدیث: ١٣}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর ইমাম বায়হাক্বীর বর্ণনা মতে- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমার নিকট ওই ব্যক্তির নাম এবং পিতার নামও উল্লেখ করা হবে, যে আমার উপর দুরূদ পাঠ করবে। অত:পর তা আমি আমার নিকট রক্ষিত শ্বেত সহীফায় (খাতায়) লিপিবদ্ধ করে রাখি।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 11 :</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج البيهقي عَنْ ثابِتِ , عَنْ أنس رضي الله عَنْهُ , عَن النّبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " إن الأنبياء لا يُتركون في قبورهم بَعَدَ</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أَرْبَعِينَ ليلة , ولكنهم يُصلون بيّنْ يدّي اللهُ عز وَجل حَتَّى يُنفخ في  الصور " ( ۱۱ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{11 - حياة الأنبياء في قبورهم للبيهقي « الأنبياء لا يتركون في قبورهم بعد أربعين ليلة , ولكنهم . . . رقم الحديث : 4 }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ِইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলাইহি হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নবী করীম (ﷺ) এরশাদ করেন: নবীগণ আলায়হিমুস্ সালামকে তাঁদের ইন্তিকালের পর কবরে চল্লিশ রাতের বেশী রাখা হয়না, বরং তাঁরা আল্লাহ তা‘আলার কুদরতের সামনে নামায আদায় করতে থাকেন- ক্বিয়ামতের পূর্বে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার আগ পর্যন্ত।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 12 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فَقَد رَوَ فيان الثوري , في الجامع ، قال : قال شيحَ لَنَا , عَنْ سَعِيدِ بن المُسيّب ، قال " : ما مكث نبي في قبره أكُثرَ مِنْ أرْبَعِينَ لَيْلَةً حَتَى يُرْفَعَ . ( ۱۲ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٢. حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي « ما مكث نبي في قبره أكثر من أربعین رقم الحدیث: ٥}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত সুফিয়ান সাওরী তাঁর ‘আল্ জা’মে’তে লিখেন: একজন শায়খ আমার নিকট হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করে বলেন: </span><span style="color: #7f6000; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোন নবী তাঁর কবরে চল্লিশ দিনের বেশী অবস্থান করেননি; বরং তাঁরা তাঁদের কবর থেকে উত্তোলন পর্যন্ত জীবিতই থাকবেন।”</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) বক্তব্য - ১</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال البيهقي فعلى هذا يصيرونَ كَسَائرِ الْحَيَاء , يَكُونُونَ حَيّث يُنْزِلُهُمْ اللَّهُ عَزَ وَجل . "</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী বলেন, “উপরোক্ত বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা ইন্তিক্বালের পরও অন্যান্য জীবিতদের ন্যায় জীবিত, আল্লাহ্ তাদেরকে যেখানে অবস্থান করাবেন, তাঁরা সেখানে অবস্থান করতে থাকবেন।” </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم قال البيهقي ولحيَاة الأنبياء بعدَ مَوتِهم صَلَوَاتُ اللهِ عَليهم شوّاهِدُ مِنَ الأحاديث الصةً حِيحَةٍ مِنْهَا ، فذكر قصة الإسراء في لقيه جماعة من الأنبياء وكلمهم وكلموه . ( ۱۳ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{13 - حياة الأنبياء في قبورهم للبيهقي « ما مكث نبي في قبره أكثر من أربعين رقم الحديث : ه . . .}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন, “নিশ্চয় নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম-এর ইন্তিক্বালের পরও জীবিত থাকার স্বপক্ষে অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়।”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রমাণ স্বরূপ তিনি ইসরা ও মি’রাজের ঘটনা এবং এ রাতে নবীগণের সাথে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা এবং নবী করীম (ﷺ)-এর সাথে তাঁদের আলায়হিস্ সালাম কথা বলার বিশুদ্ধ ঘটনা ও রেওয়ায়াতগুলো বর্ণনা করেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 13 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج حِديث أبي هريرة في الإسراء وفيه : عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم : ( . . . وَقد رأيتني في جَمَاعَة مِنَ الأنبياء فإذاً مُوسى قائم يُصلى فإذا رجل ضرب جَعَ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ نَوَوَإِذا عيسى ابن مريم عليه السلام قائم يصلي أقرّب النَّاسَ به تشبها عُروهُ بَنْ مسعود الثقفي وإذاً إبراهيم عليه السلآمُ فَايْمُ يُصلّي أشبَهُ النّاس به صاحبُكُمْ - يَعْنِي : نَفسَهُ ـ فَانت الصدَ لَهُ فَأَمَمَتُهُمْ .( 14)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{14. رواه مسلم ( ١٧٢)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি প্রিয় নবীর ইসরা ও মি’রাজের ঘটনা বর্ণনার ক্ষেত্রে হযরত আবূ হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু-এর রেওয়ায়তটি উল্লেখ করেন। তাতে রয়েছে </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমি আমাকে দেখতে পেলাম একদল সম্মানিত নবীর দলে। আর হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে দেখলাম তিনি দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন। দেখলাম তিনি উপমাযোগ্য ব্যক্তি। তাঁর চুল কোঁকড়ানো দেখে মনে হচ্ছিল- তিনি ‘শানুয়া’ সম্প্রদায়ের লোক। আবার দেখলাম হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন। ওদিকে হযরত ইবরাহীম আলায়হিস্ সালামও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন। তিনি আলায়হিস্ সালাম দেখতে প্রায় আমার মতই। অত:পর নামাযের সময় এল। আর আমি তাঁদের সকলের ইমাম হিসেবে নামায আদায় করলাম।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 14 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج حديث " : عَنْ أَبِي سَعِيدِ ، قال : قال رسول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إن الناسَ يُصعقون يوم القيالِمَة فأكون أولَ مَنْ يُقِيلَ : " (١٥ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٥. صحیح البخاري  كتاب أحادیث الأنبیاء  باب قول ﷲ تعالى وواعدنا موسى ثلاثین لیلة وأتممناھا بعشر. رقم الحدیث- ৩২১৭}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আনহু নিম্নের হাদীসের আলোকে বলেছেন: প্রিয় নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন</span><span style="color: #7f6000; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> “ক্বিয়ামতের দিনে মানুষ সংজ্ঞাহীন হয়ে যাবে। তখন আমিই সর্বপ্রথম সজাগ হবো।”</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال : هذا إنما يصح على أن الله رد على الأنبياء أرواحهم وهم أحياء عند ربهم كالشهداء ، فإذا نفخ في الصور النفخة الأولى صعقوا فيمن صعق ثم لا يكون ذلك موتا في جميع معانيه إلا في ذهاب الاستشعار ، انتهى .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এ হাদীস শরীফ একথাও প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা নবীগণের প্রতি তাঁদের রূহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই তাঁরা মহান আল্লাহর দরবারে জীবিত, শহীদগণের ন্যায়। অত:পর যখন শিঙ্গায় প্রথম ফুঁক দেয়া হবে তখন তাঁরাও অন্যান্যদের ন্যায় সংজ্ঞাহীন হয়ে যাবেন। এটি কোন দিক থেকেই মৃত্যু নয়; বরং শুধু অনুভূতি শক্তি লোপ পাওয়া মাত্র।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 15 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أبو يعلى عن أبي هريرة سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول " والذي نفسي بيَدِلينزلن عيسى بن مَرْيَمَ تُمْ أَيْنَ قامَ عَلى قبري فَقال : يا مُحَمّد إلأجيبَتَهُ ( 16 )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٦. وقد انفرد بروایتھ على ھذا الوجھ سعید المقبري من تلامیذ أبي ھریرة رضي ﷲ عنھ ، واختلف رواة الحدیث عن سعید المقبري: فرواه بھذا اللفظ أبو صخر ( حمید بن زیاد ، ویقال اسمھ : حمید بن صخر ) ، عن سعید المقبري ، عن أبي ھریرة رضي ﷲ عنھ . رواه أبو یعلى في " المسند " (١١/٤٦٢. (ورواه محمد بن إسحاق ، عن سعید المقبري ، عن عطاء (مولى أم صبیة) ، عن أبي ھریرة رضي ﷲ عنھ . رواه الحاكم في " المستدرك " (٢/٦٥١) ، لكن بلفظ: ( ولیأتین قبري حتى ِّ یسلم َ عليََّ  ، ولأَرََ َّ ُدن َّ علیھ( وبھذا اللفظ رواه محمد بن إسحاق أیضاً عن سعید المقبري عن أبیھ عن أبي ھریرة رضي ﷲ عنھ . رواه ابن عساكر في تاریخ دمشق (٤٧/٤٩٣)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবূ ইয়া’লা তাঁর মুসনাদে হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যে মহান রবের ক্বুদরতের হাতে আমার জীবন, তাঁর শপথ করে বলছি- নিশ্চয় হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম অবতরণ করবেন। অত:পর তিনি যদি আমার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে “হে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা!’’ বলে আহ্বান করেন, তাহলে আমি নিশ্চয় তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। "</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 16 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أبو نعيم في دلائل النبوة عن سعيد بن المُسيّب يَقول : لقد رأيتني ليالي الحرة وما في مسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم أحدّ غيري ، ما يأتي وقت صلاة إلا سمعت الأذان من القبر.(١٧)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٧. الراوي: سعید بن عبد العزیز المحدث: محمد المناوي - المصدر: تخریج أحادیث المصابیح - الصفحة أو الرقم: ٥/٢٣٦ . كرامات أولیاء ﷲ عز وجل للالكائي  ذكر فضائل الصحابة وغیرھم ما كان سیاق ما روي من كرامات سعید بن المسیب رحمة ﷲ... رقم الحدیث: ٩٨. شرح أصول اعتقاد أھل السنة والجماعة بو القاسم ھبة ﷲ ابن الحسن بن منصور الطبري كرامات أولیاء ﷲ  سیاق ما روي من كرامات سعید بن المسیب رحمة ﷲ علیھ, ما روي من كرامات سعید بن المسیب - رحمة ﷲ علیھ ১২০, تاریخ ابن أبي خیثمة ٤/ ١١٩) </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবূ নু‘আয়ম ইস্পাহানী তাঁর “দালায়েলুন্ নুবূয়্যাত”-এ হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="color: #7f6000; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি বলেন ‘হাররা’-এর রাতগুলোতে আমি মসজিদে নবভী শরীফে আশ্রয় নিলাম। তখন মসজিদে নবভী শরীফে আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না। কিন্তু যখনই নামাযের সময় হতো, তখন আমি প্রিয়নবীর (ﷺ) কবর শরীফ থেকে আযান শুনতে পেতাম।</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                     </span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 17 :</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><br /></span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> وأخرج زبير بن بكار في " أخبار المدينة " عن سعيد بن المسيب ، قال : الم أزل أسمع الأذان والإقامة من قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم أيام الحرة حتى عاد الناس . ( ۱۸ )</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٨. انظر: وفاء الوفا ٤/١٣٥٦.}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত যুবাইর ইবনে বাক্কার তাঁর ‘আখ্বারুল মাদিনা’তে হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব থেকে বর্ণনা করেন : তিনি বলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি ‘হাররা’-এর রাতগুলোতে রাসূলে করীম (ﷺ) এর কবর শরীফে প্রতিটি নামাযের সময় আযান ও ইক্বামত শুনতে পেতাম। যতদিন পর্যন্ত মানুষ মদিনায় ফিরে আসেনি ততদিন পর্যন্ত তা শুনতে পেয়েছি। "</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 18 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج ابن سعد في الطبقات عن سعيد بن المسيب أنه كان لازم المسجد أيام الحرة والناس يقتتلون قال : فكنت إذاً حانت الصلاة أسمَعَ أذانا يُخرج مِنَ القبر الشريف " ( ۱۹ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{١٩. سبل الھدى والرشاد، في سیرة خیر العباد، وذكر فضائلھ وأعلام نبوتھ وأفعالھ وأحوالھ فيالمبدأ والمعاد. المؤلف : محمد بن یوسف الصالحي الشامي}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম ইবনে সা’দ তাঁর ‘আত্ ত্বাবাক্বাত’ নামক কিতাবে হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব থেকে বর্ণনা করেন: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“তিনি হাররা-এর দিনগুলোতে যখন অকাতরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছিল তখন মসজিদে নববী শরীফে আত্মগোপন করেন। তিনি বলেন- যখনি নামাযের সময় উপস্থিত হতো তখন আমি কবর শরীফ থেকে আযানের শব্দ বের হতে শুনতাম।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 19 :</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                     </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج الدارمي في مسنده : عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزيز ، قال : " لمّا كان أيّام الحرة لم يُؤذَنَ في مسجد النبي ثلاثاً ، ولم يُقم وَلَم يُبَرَح سعيد بن المُسيّ المسّجد وكان لا يعرف وقت الصلاة إلا بهمهمّة يَسمَعُهَا مِنْ قبر النبي صلى الله عليه وسلم " ، فَذَكَرَ مَعَنَاهُ . ( 20 )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٠. رواه الدارمي ج ١ : ص ٢٢٨ }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম দারেমী তাঁর ‘মুসনাদে দারেমী’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাদের নিকট মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদ সা‘ঈদ ইবনে আবদুল আযীয r এর সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আইয়্যামুল হাররা-এর ঘটনার সময় মসজিদে নবভী শরীফে আযান, ইক্বামত দেয়া হয়নি। হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব এদিন-রাতগুলোতে মসজিদে নবভী শরীফের অভ্যন্তরেই অবস্থান করছিলেন। তিনি নামাযের সময় সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছেন না (অন্ধকার ও দরজাগুলো বন্ধ থাকার কারণে); কিন্তু যখনি নামাযের সময় হতো তখন প্রিয় নবীর রাওযা শরীফ থেকে একটি অস্পষ্ট শব্দ শুনতে পেতেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فهذه الأخبار دالة على حياة النبي صلى الله عليه وسلم وسائر الأنبا</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোল্লেখিত হাদীস ও বর্ণনাগুলো প্রমাণ করে যে, নবী করীম (ﷺ) এবং অপরাপর নবী-রাসূলগণ আলায়হিস্ সালাম তাঁদের নিজ নিজ কবর শরীফে স্বশরীরে জীবিত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد قال تعالى في الشھداء:وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُون٠(آل عمران. الایة ١٦٩) والأنبیاء أولى بذلك ، فھم أجل وأعظم ، وما نبي إلا وقد جمع مع النبوة وصف الشھادة ، فیدخلون في عموم لفظ الآیة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ আল্লাহ তা‘আলা শহীদগণ সম্পর্কে পবিত্র ক্বোরআনে এরশাদ করেছেন: “যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত মনে কর না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা জীবিকা প্রাপ্ত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা আলে ইমরান, আয়াত-১৬৯]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর নবীগণ আলায়হিস্ সালাম এ ক্ষেত্রে আরও অধিক যোগ্য ও হক্বদার। কেননা তাঁরা আলায়হিমুস্ সালাম শহীদদের থেকে অনেক বেশি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। অন্যদিকে প্রায় সব নবীর মাঝে নুবূয়তের পাশাপাশি শাহাদাতের মর্যাদা এবং গুণাবলীও বিদ্যমান। (খুব কম নবীই আছেন, যাঁরা শাহাদাত বরণ করেন নি,) সুতরাং তাঁরা এ আয়াতের ব্যাপকতার অন্তর্ভুক্ত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 20 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج أحمد ، وأبويعلى ، والطبراني ، والحاكم في المستدرك ، والبيهقي في دلائل النبوة عن ابن مسعود قال لأن أحلف بالله يسعاً إن رسول اللَّهِ صَلَّى الله عليه وسلم قَتل قتلا " أحب إلي من أن أحل واحدة ، وذلك بأن اللهُ عَرَ وَمَنْ أَحَدَهُ تَيَا ، وَجَعَلَهُ شهيداً . ( ۲۱ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢١. مسند أحمد بن حنبل مسمُسْندْندَُ العَْشرَة المُْبَشرِینَ َّ  َّ ِِبِاِلْجَنةِ م سمُسْندْندَ ُ المُكثْرِیِن منِ الص َََََّحَابَةِ  مسمُسْندْنَدُ عبد ﷲ بن مسعود رَضِيَ َّ ﷲُ تَعَالَى... رقم الحدیث: ٣٤٨٥ رواه أحمد (٣٦١٧) . وقال المحقون : إسناده صحیح على شرط مسلم اھـ, قال السندي : قولھ : ( قتل قتلا ) بس ِّ ُم ما تناول من الذراع بأن ظھرت آثاره عند الوفاة اھـ . نقلا من حاشیة المسند ٦/١١٦.)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইমাম আহমদ, আবূ ইয়া’লা ও ত্বাবরানী (রহঃ) তাঁদের নিজ নিজ গ্রন্থে এবং হাকেম তাঁর ‘মুসতাদরাক’-এ ও বায়হাক্বী তাঁর ‘দালায়েলুন্ নুবূয়্যাত’এ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ r থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“প্রিয় নবী (ﷺ) কে শহীদ করা হয়েছে এ মর্মে নয়বার শপথ করা আমার নিকট অধিক প্রিয় হবে, ‘তাঁকে শহীদ করা হয়নি’ মর্মে একবার শপথ করা থেকেও। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে যেমন নবী হিসেবে গ্রহণ করেছেন ঠিক তেমনি শহীদ হিসেবেও গ্রহণ করেছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> <br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 21 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج البخاري ، والبيهقي قال عُرْوَةً كَانَتْ عَالِتَهُ ، تقول : كَانَ النبي صلى الله عليه وسلم يقول في مرضه الدّي تو فَي فيه : " يَا عَالِتَهُ ، لم أزل أجدِ ألم الطعام الدّي أكل بحَبَرَ ، فهذا أوان أنقطاع أَبْهَرِي من ذلك السدّ " ( ۲۲ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{22 - رواه البخاري ( 4165 . ( دلائل النبوة للبيهقي المدخل إلى دلائل النبوة ومعرفة . . . داغ أبواب مَرَض رسولِ اللهِ صلَّى اللَّهُ . . . « باب : ما جاء في إشارَتِهِ إلَى عَايُشة . . . رقم الحديث : ( ۳۱۰۱}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বুখারী ও ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বর্ণনা করেন, হযরত ওরওয়াহ্ r বলেছেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বলতেন, নবী করীম (ﷺ) তাঁর ওই অসুস্থতার অবস্থায় বলছিলেন, [যে অসুস্থতায় তিনি ইন্তিক্বাল করেছেন], </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হে আয়েশা, আমি এখনও ওই বিষমাখা খাদ্যের ব্যাথা অনুভব করছি, যা আমি খায়বারে খেয়েছিলাম। আর এটা হলো ওই বিষের কারণে আমার ঘাড়ের রগগুলোর বিচ্ছিন্ন হবার সময়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فثبت كونه صلى الله عليه وسلم حيا في قبره بنص القرآن ، إما من عموم اللفظ ، وإما من مفهوم الموافقة </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, প্রিয়নবী (ﷺ) নিজ কবর শরীফে জীবিত পবিত্র ক্বোরআনের সরাসরি ‘নাস্’ বা আয়াত দ্বারা অথবা শব্দের ব্যাপকতা দ্বারা অথবা অর্থের আনুকূল্য দ্বারা।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) এর বক্তব্য - ২</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال البيهقي في كتاب الاعتقاد : الأنبياء بعدما قبضوا ردت إليهم أرواحهم فهم أحياء عند ربهم كالشهداء </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী ‘কিতাবুল ই’তিক্বাদ’-এ লিখেছেন, </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবীগণ আলায়হিমুস্ সালামকে তাঁদের রূহগুলো কবজ করার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই তাঁরা শহীদগণের মতো আল্লাহর নিকট জীবিত।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال القرطبي في التذكرة في حديث الصعقة نقلا عن شيخه : الموت ليس بعدم محض ، وإنما هو انتقال من حال إلى حال (۲۳ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٣. بدائع التفسیر - ج ٢ - التوبة – الفتح.  أحكام القرآن لابن العربي سورة الأنفال فیھا خمس وعشرون آیة  الآیة الثانیة قولھ تعالى وإذ یعدكم ﷲ إحدى الطائفتین مسألة الموت لیس بعدم محض ولا فناء صرف) }                   </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম কুরত্বুবী তাঁর “আত্ তায্কিরাহ্” কিতাবে ‘অজ্ঞান হওয়া’ (সা’ক্বাহ্) সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসের আলোকে তাঁর শায়খ থেকে বর্ণনা করেন: “মৃত্যু মানে একেবারে নি:শেষ, নিশ্চিহ্ণ বা অস্তিত্বহীন হয়ে যাওয়া নয়, বরং মৃত্যু হলো এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় স্থানান্তরিত হওয়া।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ويدل على ذلك أن الشهداء بعد قتلهم وموتهم أحياء يرزقون فرحين مستبشرين وهذه صفة الأحياء في الدنيا ، وإذا كان هذا في الشهداء فالأنبياء أحق بذلك وأولى .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই প্রমাণ হলো- শহীদগণ তাঁদের কতল ও মৃত্যু হবার পরও তাঁরা নিজেদের রবের নিকট জীবিত, রিযিকপ্রাপ্ত, আনন্দিত ও প্রফুল্ল, যা মূলত: পৃথিবীতে যারা বেঁচে আছে তাদেরই বৈশিষ্ট্য। আর যদি শহীদগণের এ সম্মান ও অবস্থা হয়, তাহলে নবীগণ এর আরও অধিক হক্বদার ও যোগ্য।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 22 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد صح أن الله عز وجل قد حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء عليهم السلام . ( ۲۶ )</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٤. أخرجھ أحمد ٤/٨(١٦٢٦٢.  َّ والدارِمِي (١٥٧٢) و॥"أبو داود॥" ١٠٤٧ و॥"ابن ماجة॥" ١٠٨٥وأخرجھ ابن ماجة (١٦٣٧مرقاة المفاتیح شرح مشكاة المصابیح  كتاب الصلاة باب الجمعة.১৩৬১ وقال: رواه أبو داود ، والنسائي ، وابن ماجھ ،والدارمي ،حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي, رقم الحدیث-١٠  والبیھقي في " الدعوات الكبیر . " )}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, </span><span style="color: red; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"মাটি নবীগণের দেহ মুবারককে স্পর্শ করে না।"</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأنه صلى الله عليه وسلم اجتمع بالأنبياء ليلة الإسراء في بيت المقدس وفي السماء ، ورأى موسى قائما يصلي في قبره وأخبر صلى الله عليه وسلم بأنه يرد السلام على كل من يسلم عليه.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ) মি’রাজ রজনীতে নবীগণের সাথে বাইতুল মুকাদ্দাস ও আসমানে সমবেত হয়েছেন। আবার তিনি হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে দেখেছেন, তিনি স্বীয় কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 23 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আরও বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"প্রিয় নবী (ﷺ) এর ইন্তিকালের পর কেউ যদি তাঁকে সালাম প্রদান করেন তিনি তার সালামের জবাব দেন।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إلى غير ذلك مما يحصل من جملته القطع بأن موت الأنبياء إنما هو راجع إلى أن غيبوا عنا بحيث لا ندركهم وإن كانوا موجودين أحياء ، وذلك كالحال في الملائكة فإنهم موجودون أحياء ولا يراهم أحد من نوعنا إلا من خصه الله بكرامته من أوليائه ، انتهى .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ছাড়াও আরও অনেক হাদীস ও বর্ণনা পাওয়া যায়, যেগুলো দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, নবীগণের ওফাত হলো মূলত: আমাদের চক্ষু থেকে গোপন ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। যার ফলে আমরা তাঁদেরকে দেখিনা, যদিওবা তাঁরা বিদ্যমান, জীবিত। যে অবস্থাটি ফেরেশতাদের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যণীয়। তাঁরা মওজুদ আছেন ও জীবিত আছেন; কিন্তু তাঁদেরকে আমাদের শ্রেণীর কোন সাধারণ লোক দেখতে পায়না, একমাত্র যাঁদেরকে আল্লাহ তা‘আলা  স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা বিশেষিত করেছেন এমন আউলিয়ায়ে কেরামই একমাত্র ফেরেশতাদের দেখতে পান।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বারেযী (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وسئل البارزي عن النبي صلى الله علیھ وسلم ھل ھو حي بعد وفاتھ ؟</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: right;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فأجاب : إنھ صلى الله علیھ وسلم حي </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ইমাম বারেযীকে জিজ্ঞেস করা হলো: নবী করীম (ﷺ) কি তাঁর ওফাতের পরও জীবিত? তিনি জবাবে বললেন, নিশ্চয় তিনি জীবিত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ মনসুর আবদুল ক্বাহের ইবনে তাহের আল-বাগদাদী (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال الأستاذ أبو منصور عبد القاهر بن طاهر البغدادي الفقيه الأصولي شيخ الشافعية في أجوبة مسائل " الجاجر ميين " قال : المتكلمون المحققون من أصحابنا أن نبينا صلى الله عليه وسلم حي بعد وفاته ، وأنه يسر بطاعات أمته ويحزن بمعاصي العصاة منهم ، وأنه تبلغه صلاة من يصلي عليه من أمته ،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আবূ মনসুর আবদুল ক্বাহের ইবনে তাহের আল্ বাগদাদী, যিনি একজন ফক্বীহ ও উছুল শাস্ত্রবিদ এবং শাফে‘ঈ মাজহাবের প্রসিদ্ধ শেখ ছিলেন, তিনি তাঁর “ইনজানুম্ মুবীন” নামক কিতাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে বলেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“আমাদের সাথীদের মধ্যে যাঁরা কালাম শাস্ত্রবিদ ও মুহাক্কিক, তাঁরা সকলে একথা বলেন যে, আমাদের নবী করীম (ﷺ) ওফাতের পরও জীবিত। তিনি উম্মতদের ভাল কাজে খুশী হন এবং তাদের থেকে অবাধ্যদের অপকর্মে দু:খ পান। তাঁর নিকট তাঁর উম্মতদের দেয়া সালাম পৌঁছে যায়।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال : إن الأنبیاء لا یبلون ولا تأكل الأرض منھم شیئا، وقد مات موسى في زمانھ وأخبر نبینا صلى الله علیھ وسلم أنھ رآه في قبره مصلیا ، وذكر في حدیث المعراج أنھ رآه في السماء الرابعة وأنھ رأى آدم في السماء الدنیا ، ورأى إبراھیم وقال لھ : مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح ، وإذا صح لنا ھذا الأصل قلنا : نبینا صلى الله علیھ وسلم قد صار حیا بعد وفاتھ وھو على نبوتھ ، ھذا آخر كلام الأستاذ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি বলেন, নিশ্চয় নবীগণের দেহ মুবারক ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না এবং তাঁদের দেহের কোন অংশকেই মাটি স্পর্শ করে না। হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম ইন্তিকাল করেছেন অনেক সহস্রাব্দি পূর্বে, কিন্তু নবী করীম (ﷺ) বলছেন। তিনি হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে নিজ কবর শরীফে নামায পড়তে দেখেছেন।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবার মি’রাজের হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁকে চতুর্থ আসমানে দেখেছেন এবং হযরত আদম আলায়হিস্ সালামকে পৃথিবীর (প্রথম) আসমানে। হযরত ইবরাহীম আলায়হিস্ সালামকে দেখার পর তিনি নবী করীম (ﷺ) কে সম্বোধন করে বলেছেন, অর্থাৎ মারহাবা, হে প্রিয় সৎকর্মপরায়ন সন্তান এবং সৎ যোগ্য নবী ও রাসুল! যেহেতু উপরোক্ত হাদীসগুলো বিশুদ্ধ ও সহীহ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে সেহেতু বলা যায়, আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ) ওফাতের পর পুনর্জীবিত হয়ে গেছেন এবং তিনি স্বীয় নুবূয়তী দায়-দায়িত্বও পালন করছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[এটি ছিল ইমাম আবদুল কাহের বাগদাদীর সর্বশেষ ভাষ্য।]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) এর বক্তব্য - ৩</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الحافظ شیخ السنة أبو بكر البهقي في كتاب الاعتقاد : الانبياءعلیھم السلام بعدما قبضوا ردت إلیھم أرواحھم فھم أحيااء عند ربھم كالشھداء ، وقد رأى نبینا صلى الله علیھ وسلم جماعة منھم وأمھم في الصلاة وأخبر - وخبره صدق – أن صلاتنا معروضة عليھ ، وأن سلامنا یبلغھ ، وأن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبیاء.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত হাফেয শাইখুস্ সুন্নাহ আবূ বকর বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি তাঁর ‘কিতাবুল ই’তিক্বাদ’ এ লিখেছেন:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“নবীগণ আলাইহিমুস্সালাম-এর রূহ মুবারক কব্জ করার পর তাঁদের নিকট আবার তাদের রূহকে ফেরত দেয়া হয়। ফলে তাঁরা আল্লাহ তা‘আলার নিকট জীবিত, শহীদগণের ন্যায়। আর নবী করীম (ﷺ) মি’রাজে সকল নবীর সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং তিনি তাঁদের ইমামত করেছেন, তিনি (ﷺ) আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন (তাঁর সংবাদ নি:সন্দেহে সত্য ও বাস্তব) যে, আমাদের দুরূদ তাঁর নিকট প্রেরণ করা হয়। আমাদের সালাম তাঁর নিকট পেশ করা হয়। আল্লাহ তা‘আলা মাটির উপর হারাম করে দিয়েছেন নবীগণের দেহ মুবারককে গ্রাস করাকে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال : وقد أفردنا لإثبات حیاتھم كتابا</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন- আমি হায়াতুল আন্বিয়া বা নবীগণের হায়াত সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র কিতাব রচনা করেছি।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال : وھو بعد ما قبض نبي الله ورسولھ وصفیھ وخیرتھ من خلقھ </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">صلى الله علیھ وسلم.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি বলেন, কেননা নবী করীম (ﷺ) ইন্তিকালের পরও আল্লাহ তা‘আলার নবী, রাসূল, চয়নকৃত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اللھم أحینا على سننھ وأمتنا على ملتھ واجمع بیننا وبینھ في الدنیا </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والآخرة ، إنك على كل شيء قدیر ، انتھى جواب البارزي.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হে আল্লাহ! আমাদেরকে জীবিত রাখ তাঁর সুন্নাতের উপর এবং মৃত্যু দান কর তাঁর মিল্লাতের উপর। আর আমাদেরকে মিলিত কর তাঁর সাথে দুনিয়া ও আখিরাতে। কেননা, তুমি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম আফীফুদ্দীন ইয়াফে‘ঈ (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الشیخ عفیف الدین الیافعي : الأولياء ترد علیھم احوال يشاهدون فيها ملكوت السماوات والأرض وینظرون الأنبیاء أحیاء غير اموات كما نظر النبي صلى الله علیھ وسلم إلى موسى علیھ السلام في قبره،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শেখ আফীফুদ্দীন ইয়াফে‘ঈ রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বলেন: “আউলিয়ায়ে কেরামের উপর এমন কিছু অবস্থা ও হালের অবতারণা ঘটে যে অবস্থায় তাঁরা সচক্ষে অবলোকন করতে পারেন আসমান ও যমীনের মালাকুত বা ফেরেশতাদের জগতকে এবং তাঁরা নবীগণকে দেখতে পান জীবিতাবস্থায়, মৃত নয়। যেমনিভাবে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম দেখেছেন হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে স্বীয় কবর শরীফে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال : وقد تقرر أن ما جاز للأنبیاء معجزة جاز للأولياء  كرامة بشرط عدم التحدي ، قال: ولا ینكر ذلك إلا جاھل ، ونصوص العلماء في حیاة الأنبیاء كثیرة فلنكتف بهذا القدر. (٢٥)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٥. الھدى والرشاد، في سیرة خیر العباد، وذكر فضائلھ وأعلام نبوتھ وأفعالھ وأحوالھ في المبدأ والمعاد: محمد بن یوسف الصالحي الشامي, الباب الحادي عشر في حیاتھ في قبره وكذلك سائر الأنبیاء - علیھ وعلیھم أفضل الصلاة والسلام)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি আরও বলেন, একথা প্রমাণিত যে, যা নবীগণের জন্য ‘মুজিযা’ হিসেবে প্রযোজ্য, তা আউলিয়ায়ে কেরামের জন্য ‘কারামত’ হিসেবেও প্রযোজ্য। শর্ত হলো: ওলীগণের কারামতের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকতে পারবে না।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সেটাকে একমাত্র জাহেল ছাড়া অন্য কেউ অস্বীকার করতে পারে না। আর নবীগণের হায়াত বা জীবিত থাকার বিষয়ে আলিমদের নিকট অসংখ্য নাস্ বা ক্বোরআন হাদীসের দলীলাদি রয়েছে। তাই এখানে এতটুকুই যথেষ্ট মনে করি।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছেদ (فصل)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 24 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأما الحدیث الآخر فأخرجھ أحمد في مسنده ، وأبو داود في سننھ </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">، والبیھقي في شعب الإیمان من طریق أبي عبد الرحمن المقري عن حیوة بن شریح عن أبي صخر عن یزید بن عبد الله بن قسیط عن أبي ھریرة أن رسول الله صلى الله علیھ وسلم قال : ما من أحد یسلم علي إلا رد الله إلي روحي حتى أرد علیھ السلام.(٢٦)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٦. رواه أحمد (١٦/٤٧٧) ط الرسالة ، وأبو داود (٢٠٤١) وصححھ النووي في " الأذكار "   .١٥٤)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্য হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ তার মুসনাদে, আবূ দাঊদ তাঁর সুনানে এবং বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমানে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবদুর রহমান আল মুক্বরী বর্ণনা করেছেন</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হায়ওয়াত ইবনে শুরাইহ্ থেকে, তিনি</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবূ সাখর থেকে, তিনি</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইয়াযীদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বাসীত্ব থেকে, তিনি,</span><span style="color: red; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">➡</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত আবূ হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, যে কেউ আমার প্রতি সালাম পেশ করলো আল্লাহ তা‘আলা আমার প্রতি আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولا شك أن ظاھر ھذا الحدیث مفارقة الروح لبدنھ الشریف في بعض الأوقات وھو مخالف للأحادیث السابقة، وقد تأملتھ ففتح علي في الجواب عنھ بأوجھ :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নিশ্চয় এ হাদীসটির যাহেরী দিক প্রমাণ করে যে, কিছু সময়ের জন্য হলেও প্রিয়নবীর দেহ মুবারক থেকে তাঁর রূহ মুবারক পৃথক বা বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে; যা পূর্ববর্তী হাদীসগুলোর সাথে বিরোধপূর্ণ। তাই আমি এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করলাম, ফলে আমার নিকট কয়েকটি জবাব উন্মোচিত হলোঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الأول - </span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وھو أضعفھا - أن یدعي أن الراوي وھم في لفظة من الحدیث حصل بسببھا الإشكال ، وقد ادعى ذلك العلماء في أحادیث كثیرة ولكن الأصل خلاف ذلك فلا یعول على ھذه الدعوى.</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথম জবাব:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যা সবচেয়ে দুর্বল) তা হলো, হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে রাভীগণের শব্দের মধ্যে ভিন্নতার কারণেই মূলত এ সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে; যা অনেক ওলামা দাবী করেছেন; যদিও বা তা আসলের সাথে বিরোধপূর্ণ। তাই তাঁদের এ দাবীর প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الثاني : وھو أقواھا ولا یدركھ إلا ذو باع في العربیة أن قولھ : " َرَّد اللهُ جملة حالیة ، وقاعدة العربیة أن جملة الحال إذا وقعت فعلا ماضیا قدرت فیھا قد كقولھ تعالى : اَوۡ جَآءُوۡکُمۡ حَصِرَتۡ صُدُوۡرُہُمۡ اَنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ اَوۡ یُقَاتِلُوۡا قَوۡمَہُمۡ ؕ (سورة النساء-٩٠) والآیة بكاملھا: اِلَّا الَّذِیۡنَ یَصِلُوۡنَ اِلٰی قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَہُمۡ مِّیۡثَاقٌ اَوۡ جَآءُوۡکُمۡ حَصِرَتۡ صُدُوۡرُہُمۡ اَنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ اَوۡ یُقَاتِلُوۡا قَوۡمَہُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَسَلَّطَہُمۡ عَلَیۡکُمۡ فَلَقٰتَلُوۡکُمۡ ۚ فَاِنِ اعۡتَزَلُوۡکُمۡ فَلَمۡ یُقَاتِلُوۡکُمۡ  وَ اَلۡقَوۡا اِلَیۡکُمُ السَّلَمَ ۙ فَمَا جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ عَلَیۡہِمۡ سَبِیۡلًا ﴿۹۰) أي : قد حصرت</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয় জবাব:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(যা সর্বাধিক শক্তিশালী), যা আরবী ভাষার পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতিরেকে অন্যরা অনুধাবন করতে পারে না। আর তা হলোঃ এখানে প্রিয় নবীর কথা رَد ﷲ َّ (আল্লাহ তা‘আলা ফিরিয়ে দেন) বাক্যটি ‘জুমলায়ে হালিয়া’ (অবস্থার বর্ণনাসূচক বাক্য)। আর আরবী কায়েদা হলো- যদি জুমলায়ে হালিয়া فعل ماضى (অতীতকাল সূচক ক্রিয়া) হয়,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাহলে এতে একটি قدَْ উহ্য থাকে; যেমন আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">جآء وكم حصرت صُدورُھم</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তরজমা: যারা তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আগমন করে যখন তাদের মন তোমাদের সাথে অথবা তাদের সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করতে সংকুচিত হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[নিসা: ৯০]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وكذا تقدر ھنا والجملة ماضیة سابقة على السلام الواقع من كل أحد.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনুরূপ, উপরোক্ত হাদীসেও قدْ উহ্য রয়েছে। এ বাক্যটিও (ر َّ ُدتْ)  অতীতকাল বাচক। এরূহ্ ফিরিয়ে দেওয়া কারো সালাম দেওয়ার পূর্বে সংঘঠিত হয়েছে। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وحتى لیست للتعلیل ، بل مجرد حرف عطف بمعنى الواو،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আর حتى এখানে تعلیل বা কারণ বুঝানোর জন্য নয়; বরং তা ‘হরফে আত্ফ’, যা واو বা ‘এবং’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فصار تقدیر الحدیث : ما من أحد یسلم علي إلا قد رد الله علي روحي قبل ذلك فأرد علیھ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং এ হাদীসের প্রকৃত অর্থ দাঁড়াল: ‘যে কেউ আমার প্রতি সালাম পেশ করবে অথচ তার পূর্বেই আল্লাহ তা‘আলা আমার রূহকে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং আমি তার সালামের উত্তর দিই।’’</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তখন সন্দেহের সৃষ্টি হবে, যখন কেউ মনে করে থাকে যে,  رَد ﷲُ َّ عَلى َّ (আল্লাহ আমাকে রূহ ফিরিয়ে দেন) বাক্যটি ‘হাল’ (বর্তমানকাল বাচক) অথবা ‘ইস্তিক্ববাল (ভবিষ্যৎকাল বাচক)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হয় আর মনে করে থাকে যে, এখানে حتى (হাত্তা) শব্দটি تعلیلیة বা কারণের বর্ণনাসূচক; অথচ এ রূপ নয়। বস্তুত, আমি যা বর্ণনা করেছি, তা দ্বারা সকল সন্দেহ দূরীভূত হয়ে যায়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأیده من حیث المعنى أن الرد ولو أخذ بمعى الحال والاستقبال لزم </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">تكرره عند تكرر المسلمین ، وتكرر الرد یتلزم تكرار المفارقة ، وتكرار المفارقة یلزم علیھ محذوران</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর অর্থ - َّ رَد ﷲَ আর অর্থের দিক দিয়ে এর সমর্থনে বলা যায় যে, যদি বর্তমান বা ভবিষ্যৎকাল ধরে নেয়া হয়, তাহলে একথা অনিবার্য হয়ে যাবে যে, যত বারই মুসলমানগণ সালাম দেবে ততবারই রূহ ফিরিয়ে দেয়া হবে। আবার ফিরিয়ে নেয়া হবে। রূহের এ নেওয়া-দেওয়ার ফলে হুযূর-ই আক্রামের রূহ্ মুবারক তাঁর নূরানী দেহ্ মুবারক থেকে বারংবার বের হওয়াও অনিবার্য হয়ে যায়। এটাও কখনও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কারণ এতে কয়েক ধরনের বিপদ ও ভয়াবহতা আরোপিত হবেঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أحدھما تألیم الجسد الشریف بتكرار خروج الروح منھ أو نوع ما من مخالفة التكریم إن لم یكن تألیم ،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(এক)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর দেহ মুবারকে বারবার ব্যাথা অনুভূত হওয়া, রূহ মুবারককে বার বার দেওয়া ও নওয়ার কারণে। অথবা এ ধরণের কাজ প্রিয় নবীর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সম্মানের বিপরীত, যদিও বা ব্যাথা অনুভূত না হয়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والآخر مخالفة سائر الناس الشھداء وغیѧرھم ، فإنھ لم یثبت لأحد منھم أن یتكرر لھ مفارقة الروح وعودھا في البرزخ ، والنبي صلى الله علیھ وسلم أولى بالاستمرار الذي ھو أعلى رتبة.</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(দুই)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তা শহীদগণ ও অন্যান্য নেক বান্দাদের শানের বিপরীত। কেননা তাঁদের কারও ক্ষেত্রে এ কথা প্রমাণিত নয় যে, বরযখে (কবরে) তাঁদের রূহ্ তাদের দেহ থেকে  বারংবার পৃথক করা হয়, আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়। আর তাঁদের রূহ তাঁদের দেহে সর্বদা বিদ্যমান থাকে। বস্তুত: নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর রূহ্ মুবারক সর্বদা বিদ্যমান থাকার বেশী উপযোগী, যিনি তাঁদের চেয়ে মর্যাদায় অনেক ঊর্ধ্বে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ومحذور ثالث وھو مخالفة القرآن فإنھ دل على أنھ لیس إلا موتتان </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وحیاتان ، وھذا التكرار یستلزم موتات كثیرة وھو باطل.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তিন)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তা পবিত্র ক্বোরআনেরও বিপরীত। কেননা ক্বোরআনুল করীম প্রমাণ করে যে, দুইটি মৃত্যু এবং দুইটি হায়াত। আর এখানে বারংবার রূহ মুবারকের আসা-যাওয়া অসংখ্য-অগণিত মৃত্যু ও হায়াতকে আবশ্যক করবে। এটা অগ্রহণযোগ্য।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ومحذور رابع وھو مخالفة الأحادیث المتواترة السابقة وما خالف </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">القرآن والمتواتر من السنة وجب تأویلھ ، وإن لم یقبل التأویل كان </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">باطلا ; فلھذا وجب حمل الحدیث على ما ذكرناه.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(চার)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা পূর্ববর্তী হাদীসে মুতাওয়াতিরের বিপরীত। আর যা ক্বোরআন ও হাদীসে মুতাওয়াতিরের সাথে বিরোধপূর্ণ হয়, তা অবশ্য পূর্ণ তাবীল বা ভিন্ন ব্যাখ্যার উপযোগী। আর যদি তা’ভীল বা ভিন্ন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে তা বাতিল বা অগ্রহণযোগ্য।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাই উপরোক্ত হাদীসকে পূর্বোল্লেখিত নিয়মে বাখ্যা করতে হবে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الوجھ الثالث : أن یقال أن لفظ الرد قد لا یدل على المفارقة ، بل كنى بھ عن مطلق الصیرورة كما قیل في قولھ تعالى حكایة عن شعیب علیھ السلام  قَدِ افۡتَرَیۡنَا عَلَی اللّٰہِ کَذِبًا اِنۡ عُدۡنَا فِیۡ مِلَّتِکُمۡ بَعۡدَ اِذۡ نَجّٰنَا اللّٰہُ مِنۡہَا ؕ (العراف - ٨٩).</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তৃতীয় জবাব:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে رَد َّ (রাদ্দা) শব্দটি পৃথক বা বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থ বুঝায় না বরং তা দ্বারা শুধু ‘হয়ে যাওয়া’ বুঝায়; যে ভাবে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হযরত শোয়াইব আলায়হিস্ সালাম এর ঘটনার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَدِ افۡتَرَیۡنَا عَلَی اللّٰہِ  کَذِبًا اِنۡ عُدۡنَا فِیۡ مِلَّتِکُمۡ  بَعۡدَ اِذۡ نَجّٰنَا اللّٰہُ مِنۡہَا ؕ وَ مَا یَکُوۡنُ  لَنَاۤ اَنۡ نَّعُوۡدَ فِیۡہَاۤ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ رَبُّنَا ؕ وَسِعَ رَبُّنَا کُلَّ شَیۡءٍ عِلۡمًا ؕ عَلَی اللّٰہِ تَوَکَّلۡنَا ؕ رَبَّنَا افۡتَحۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ قَوۡمِنَا بِالۡحَقِّ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ  الۡفٰتِحِیۡنَ .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ “অবশ্যই      আমরা     তো     আল্লাহ্‌র      প্রতি      মিথ্যা আরোপ করবো যদি তোমাদের দ্বীনে এসে যাই এরপর যে, আল্লাহ্‌  আমাদেরকে তা  থেকে রক্ষা করেছেন  এবং আমাদের  মধ্যে   কারো    কাজ   নয়  যে,  তোমাদের   ধর্মে আসবো,     কিন্তু    আল্লাহ্‌    চাইলে,    যিনি    আমাদের   রব। আমাদের রবের জ্ঞান   সব   কিছুকে আয়ত্ব  করে  আছে। আমরা  আল্লাহ্‌রই   উপর   নির্ভর    করেছি।  হে  আমাদের রব!  আমাদের   এবং আমাদের  সম্প্রদায়ের  মধ্যে ন্যায্য ফয়সালা করে দাও এবং তোমার ফয়সালাই সর্বাপেক্ষা উত্তম। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আ’রাফ: ৮৯]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إن لفظ العود أرید بھ مطلق الصیرورة لا العود بعد انتقال ; لأن شعیبا علیھ السلام لم یكن في ملتھم قط.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে عُدْناَ শব্দটি عاد یعود থেকে। যার অর্থ হলো ফিরে যাওয়া, কিন্তু এখানে সে অর্থে ব্যবহৃত হয়নি; বরং ‘রূপান্তরিত হওয়া বা হয়ে যাওয়া’ ইত্যাদি বুঝায়, ফিরে যাওয়া নয়। কেননা হযরত শোয়াইব আলায়হিস্ সালাম কখনও তাদের ধর্মে ছিলেন না।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وحسن استعمال ھذا اللفظ في ھذا الحدیث مراعاة المناسبة اللفظیة بینه وبین قوله " : حتي أرد علیه السلام " ، فجاء لفظ الرد في صدر الحدیث لمناسبة ذكره في آخر الحدیث.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানেও এ رَد َّ শব্দটি ব্যবহার করার নান্দনিকতা হলো- এ শব্দ এবং পরবর্তী শব্দ أرَُدّ َ উভয়ের মধ্যকার শব্দগত মিল রয়েছে। তাই অর্থের দিক থেকে একই না হবার পরও উল্লেখের সৌন্দর্য্যরে জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। তাই رد শব্দটি হাদীসের শুরুতে এসেছে হাদীসের শেষের দিকেও এসেছে এ শব্দটি ইতোপূর্বে ব্যবহৃত হবার কারণেই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الوجھ الرابع : وھو قوي جدا ، أنھ لیس المراد برد الروح عودها بعد المفارقة للبدن.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="background-color: black; color: cyan; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">চতুর্থ জবাব:</span><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (এটি অত্যন্ত শক্তিশালী)</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে নয় যে, রূহটি দেহ থেকে পৃথক হবার পরে আবার তা ফিরিয়ে দেয়া হয়;  বরং তার মূল অর্থ বা উদ্দেশ্য হলো,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وإنما النبي صلى الله علیھ وسلم في البرزخ مشغول بأحوال الملكوت مستغرق في مشاھدة ربھ كما كان في الدنیا في حالة الوحي وفي أوقات أخر ، فعبر عن إفاقتھ من تلك المشاھدة وذلك الاستغراق برد الروح،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেননা নবী করীম (ﷺ) তাঁর বরযখী জীবনে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি মালাকুতী (উর্ধ্ব) জগতের নানা অবস্থাদি নিয়ে ব্যস্ত। তিনি স্বীয় রবের দিদার ও মোশাহাদায় সর্বদা নিমজ্জিত আছেন; যেমনি ভাবে তিনি ব্যস্ত ও মশগুল থাকতেন দুনিয়াতেও, যখন তাঁর প্রতি ওহী নাযিল হচ্ছিলো, তখন এবং বিশেষ বিশেষ অবস্থায়। তাই এখানে তাঁর ওই খোদায়ী দর্শন (মোশাহাদা) ও মালাকুতী জগতে মশগুল ও নিমজ্জিত থাকার অবস্থা থেকে, এদিকে (অর্থাৎ সালামের জবাবের দিকে) মনোনিবেশ করাকে رد الروح বা রূহ ফিরে আসা হিসেবে ব্যক্ত করা হয়েছে। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ونظیر ھذا قول العلماء في اللفظة التي وقعت في بعض أحادیث الإسراء وھي قولھ " : فاستیقظت وأنا بالمسجد الحرام.(٢٧)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٧. البخاري-٧٥١٧}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তার প্রমাণ স্বরূপ মি’রাজ সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসগুলো উপস্থাপন করা যায়। যেখানে রাসূলে করীম (ﷺ) বলেছেন,</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فاستیقظت وأنا بالمسجد الحرام</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আমি জাগ্রত হয়ে দেখলাম আমি মসজিদে হারামে উপস্থিত)।  </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"لیس المراد الاستیقاظ من نوم فإن الإسراء لم یكن مناما ، وإنما </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">المراد الإفاقة مما خامره من عجائب الملكوت."</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামের ভাষ্য হলো, এখানে استیقاظ বা জাগ্রত হওয়া মানে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া নয়; কেননা মি’রাজ নিদ্রাবস্থায় সংঘটিত হয়নি বরং জাগ্রতাবস্থায় হয়েছে। তাই হাদীসে বর্ণিত শব্দটির অর্থ হবে মি’রাজ রজনীতে সৃষ্টির নানা আজব ও চিত্তাকর্ষক দৃশ্যাবলীতে বিভোর হওয়া থেকে জাগ্রত হওয়া বা এদিকে মনোনিবেশ করা।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وھذا الجواب الآن عندي أقوى ما یجاب بھ عن لفظة الرد ، وقد كنت رجحت الثاني ثم قوي عندي ھذا.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখন এ উত্তরটি আমার নিকট অত্যন্ত শক্তিশালী হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ردّ শব্দ নিয়ে যে উত্তরগুলো পেশ করা হয়েছে, তার চেয়েও এ উত্তর আমার নিকট অধিক মজবুত। আমি ইতোপূর্বে দ্বিতীয় উত্তরটিকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম, কিন্তু আমার নিকট এখন এটিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও মজবুত মনে হচ্ছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الوجھ الخامس : أن یقال إن الرد یستلزم الاستمرار ; لأن الزمان لا </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">یخلو من مصل علیھ في أقطار الأرض فلا یخلو من كون الروح في بدنھ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পঞ্চম জবাব:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ক্ষেত্রে বলা যায়, ‘রূহ ফিরিয়ে দেওয়া’ বাক্যটি নবী করীম (ﷺ) এর রূহ মুবারক সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর দেহ মুবারকে বিদ্যমান ও অব্যাহত থাকাকে অনিবার্য করে। কেননা, এমন কোন সময় নেই যখন, বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে, কোননা কোন ব্যক্তি প্রিয় নবীর প্রতি দুরূদ-সালাম পেশ করছেনা। অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তে, প্রতিক্ষণে প্রিয়নবীর প্রতি সদা-সর্বদা দুরূদ ও সালাম অব্যহত রয়েছে। কোন ধরনের বিরতি নেই। তাই সদা-সর্বদা তাঁর রূহ মুবারকও তাঁর দেহ মুবারকে বিদ্যমান। কোন অবস্থাতেই তা পৃথক বা বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">السادس : قد یقال : إنھ أوحي إلیھ بھذا الأمر أولا قبل أن يوحى إلیھ بأنھ لا یزال حیا في قبره ، فأخبر بھ ثم أوحي إلیھ بعد بذلك ، فلا منافاة لتأخیر الخبر الثاني عن الخبر الأول.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ষষ্ঠ জবাব:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">বলা যেতে পারে, এ বিষয়ে প্রিয় নবীকে প্রথমে বলা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তিনি সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর কবর শরীফে জীবিত থাকবেন। সুতরাং এতে কোন বিরোধ থাকছেনা; বরং প্রথমটি হবে মানসুখ এবং শেষোক্ত হবে নাসিখ।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ھذا ما أفتح الله بھ من الأجوبة ولم أر شیئا منھا منقولا لأحد ، ثم بعد كتابتي لذلك راجعت كتاب "الفجر المنیر فیما فضل بھ البشیر النذیر" للشیخ تاج الدین بن الفاكھاني المالكي فوجدتھ قال فیھ ما نصھ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোক্ত জবাবগুলো আল্লাহ তা‘আলা আমার জন্য উন্মোচিত করে দিয়েছেন। যে বিষয়ে কারও নিকট থেকে কোন ধরনের বর্ণনা আমি  পায়নি।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম শেখ তাজুদ্দিন ইবনে ফাকেহানী আল মালেকী (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমার এ উত্তর লিখার পর আমি যখন শেখ তাজুদ্দিন ইবনে ফাকেহানী আল মালেকী রচিত “আল্ ফাজরুল মুনীর ফীমা ফুদ্ব্দ্বিলা বিহিল বাশীরুল নাযীর” কিতাবটি অধ্যয়ন করলাম, তখন দেখলাম তিনি সেখানে লিখেছেন, যা হুবহু নিম্নরূপ,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 25 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">روینا في الترمذي قال : قال رسول الله صلى الله علیھ وسلم : ما من أحد یسلم علي إلا رد الله علي روحي حتى أرد علیھ السلام.(٦٨)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٨. رواه أحمد (١٦/٤٧٧) ط الرسالة ، وأبو داود (٢٠٤١) وصححھ النووي في " الأذكار " (١٥٤. }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমরা তিরমিযীতে বর্ণনা পেয়েছি যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, “যখন কোন ব্যক্তি আমার প্রতি সালাম পেশ করে তখন আল্লাহ তা‘আলা আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি তার সালামের জবাব দিই।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">یؤخذ من ھذا الحدیث أن النبي صلى الله علیھ وسلم حي على الدوام ، وذلك أنھ محال عادة أن یخلو الوجود كلھ من واحد مسلم على النبي صلى الله علیھ وسلم في لیل أو نھار.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ হাদীস শরীফ থেকে এ কথা প্রমাণিত হয় যে, নবী করীম (ﷺ) সার্বক্ষনিক ভাবে জীবিত। কেননা স্বাভাবিক ভাবে এটা অসম্ভব যে, রাত-দিনের এমন কোন মুহূর্ত খালি থাকা যে মুহূর্তে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর উপর সালাত সালাম পাঠ করা হচ্ছে না।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فإن قلت : قولھ علیھ السلام " : إلا رد الله إلي روحي "لا یلتئم مع </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كونھ حیا على الدوام بل یلزم منھ أن تتعدد حیاتھ ووفاتھ في أقل من </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ساعة ، إذ الوجود لا یخلو من مسلم یسلم علیھ كما تقدم ، بل یتعدد </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">السلام علیھ في الساعة الواحدة كثیرا.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যদি প্রশ্ন কর যে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণী “আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন” একথাটি নবী করীম (ﷺ) এর সার্বক্ষণিকভাবে জীবিত থাকার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; বরং তা দ্বারা ক্ষণিক সময়ের মধ্যে তাঁর অনেক বার হায়াত ও ইন্তিকাল করা প্রমাণ করে। কেননা কোন একটি মুহূর্তও খালি যাচ্ছে না তাঁর উপর দুরূদ-সালাম প্রেরণ করা থেকে। এমনকি একটি মাত্র মুহূর্তে তাঁর উপর অসংখ্যবার সালাত-সালাম প্রেরণ করা হচ্ছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فالجواب والله أعلم أن یقال : المراد بالروح ھنا النطق مجازا ، فكأنھ قال علیھ السلام : إلا رد الله إلѧي نطقي وھو حي على الدوام ،لكن لا یلزم من حیاتھ نطقھ ، فاͿ سبحانھ یرد علیھ النطق عند سلام كل مسلم،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উত্তরে বলা যায়, (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন) এখানে রূহ থেকে রূপকভাবে النطق (কথা বলা) বুঝানো উদ্দেশ্য।  সুতরাং এর অর্থ দাঁড়ায়, আল্লাহ তা‘আলা আমার নিকট আমার কথা বলার শক্তিকে ফিরিয়ে দেন। তিনি সদা-সর্বদা জীবিত। কিন্তু তাঁর জীবিত থাকা তাঁর কথা বলাকে আবশ্যক করে না। অতএব, আল্লাহ তা‘আলা  তাঁর উপর কথা বলার শক্তিকে ফিরিয়ে দেন যখন কেউ তাঁর উপর সালাম পাঠ করে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর এখানে রূপক অর্থ নেয়ার কারণ হলো, কথা বলার শক্তি রূহ থাকাকে আবশ্যক করে; যেমনিভাবে রূহের আবশ্যকতাগুলোর মধ্যে একটি হলো, কথা বলার শক্তি। বাস্তবে হোক কিংবা শক্তির দিক থেকে হোক। তাই নবী করীম (ﷺ) এখানে দুইটি পরস্পর আবশ্যিক (রহূ ও কথা) থেকে একটির উল্লেখ করেছেন। কখনও এটিও প্রমাণিত হয় যে, রূহ ফিরিয়ে দেয়াটা মাত্র দুইবার হয়ে থাকে তার চেয়ে বেশী নয়। যা পবিত্র কোরআন দ্বারা প্রমাণিত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা‘আলা বলেন,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قَالُوۡا رَبَّنَاۤ  اَمَتَّنَا اثۡنَتَیۡنِ وَ اَحۡیَیۡتَنَا اثۡنَتَیۡنِ فَاعۡتَرَفۡنَا بِذُنُوۡبِنَا فَہَلۡ  اِلٰی خُرُوۡجٍ مِّنۡ سَبِیۡلٍ ﴿سورة -غافر:- ١١﴾ ھذا لفظ كلام الشیخ تاج الدین.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদেরকে মৃত্যু দিয়েছ দু’বার এবং জীবিত করেছ দু’বার। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(গাফির: ১১)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[এটুকু ছিল শেখ তাজুদ্দিনের বক্তব্য]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وھذا الذي ذكره من الجواب لیس واحدا من الستة التي ذكرتھا. فھѧو إن سلم - جواب سابع.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম সুয়ূতী বলেন, শেখ তাজুদ্দিন যে উত্তরটি দিয়েছেন সেটি উপরোক্ত ছয়টি উত্তরের কোন একটি নয়, যদি এ উত্তরটি যথাযথ হয় তাহলে এটাকে সপ্তম জবাব হিসেবে ধরে নেয়া যায়, যেগুলো আমি দিয়েছি। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তবে শেখ তাজুদ্দিনের জবাবের ক্ষেত্রে আমার কিছু বক্তব্য রয়েছে। কেননা তাঁর বক্তব্য বাহ্যিকভাবে প্রমাণ করে যে, নবী করীম (ﷺ) বরযখে জীবিত থাকলেও কিছু কিছু সময়ে তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। শুধুমাত্র কেউ তাঁর উপর সালাম পেশ করলে তখনই তিনি সালামের জবাব দিতে পারেন ও কথা বলতে পারেন। অন্য সময় নয়। এ বক্তব্যটি বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, বরং বর্জনীয় ও পরিত্যাজ্য। কেননা আক্বল ও নক্বল কোনটাই এ বক্তব্য সমর্থন করে না। কারণ:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أما النقل فالأخبار الواردة عن حالھ صلى الله علیھ وسلم وحال الأنبیاء علیھم السلام في البرزخ مصرحة بأنھم ینطقون كیف شاءوا لا یمنعون من شيء ، بل وسائر المؤمنین كذلك الشھداء وغیرھم ینطقون في البرزخ بما شاءوا غیر ممنوعین من شيء ، ولم یرد أن أحدا یمنع من النطق في البرزخ إلا من مات عن غیر وصیة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমত:</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> নক্বল (উদ্ধৃতি) হলো: রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এবং অন্যান্য নবী ও রাসূলগণ আলায়হিস্ সালাম এর বরযখী অবস্থা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্ট এবং প্রমাণিত যে, তাঁরা যেভাবে চান সেভাবে কথা বলতে পারেন। তাঁদেরকে কোন কিছু তা থেকে বিরত করতে পারে না; বরং সকল মু’মিন, সকল শহীদ এবং অন্যান্যরাও তাদের বরযখী জীবনে যেভাবে চান সেভাবে কথা বলতে পারেন। এতে কোন বাধা নেই। একমাত্র যে ওসীয়ত করা ব্যতিরেকে মারা গেছে সেই কবরে কথা বলতে পারবে না।</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 26 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أخرج أبو الشیخ بن حیان في كتاب الوصایا عن قیس بن قبیصة قال : قال رسول الله صلى الله علیھ وسلم من لم یوص لم یؤذن لھ في الكلام مع الموتى ، قیل : یا رسول الله وھل یتكلم الموتى ؟ قال : نعم ویتزاورون .(٦٩)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٢٩. أخرجھ أبو الشیخ في الوصایا كما في الكنز (٤٦٠٨٠)، والدیلمي في الفردوس (٥٩٤٥) وذكره الحافظ في الإصابة (٣/ ٢٤٧). وتصدیقھ ما رواه ابن أبي الدنیا عن بعض من یحفر القبور أنھ حفر قبرًا ونام عنده فأتاه امرأتان فقالت إحداھما: أنشدك ﷲ إلا صرفت عنا ھذه المرأة، فاستیقظ فإذا بامرأة جيء بھا فدفنھا في قبر آخر فرأى تلك اللیلة المرأتین تقول، إحداھما: جزاك ﷲ خیرًا ،فقال: ما لصاحبتك لا تتكلم، فقالت: ماتت بغیر وصیة ومن لم یوص لم یتكلم إلى یوم القیامة)}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যা আবুশ শাইখ তাঁর ‘‘আল ওসায়া’’ নামক কিতাবে হযরত ক্বায়স ইবনে ক্বাবীসাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু  থেকে বর্ণনা করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যে ব্যক্তি ওসীয়ত করেনি (মৃত্যুর পূর্বে ওসীয়ত না করে মারা যায়) তাকে মৃত ব্যক্তিদের ন্যায় কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে না। জিজ্ঞেস করা হলো- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মৃত ব্যক্তিরা কি কথা বলতে পারে? বললেন, ‘‘হাঁ’’। তারা কথাও বলতে পারে এবং পরস্পর সাক্ষাতও করতে পারে।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম তক্বী উদ্দিন আস-সুবকী (রহঃ) এর বক্তব্য</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الشیخ تقي الدین السبكي : حیاة الأنبیاء والشھداء في القبر كحیاتھم في الدنیا، ویشھد لھ صلاة موسى في قبره ، فإن الصلاة تستدعي جسدا حیا ، وكذلك ااصفات المذكورة في الأنبیاء لیلة الإسراء كلها صفات الأجسام ، ولا یلزم من كونھا حیاة حقیقة أن تكون الأبدان معھا كما كانت في الدنیا من الاحتیاج إلى الطعام والشراب ، وأما الإدراكات كالعلم والسماع فلا شك أن ذلك ثابت لھم ولسائر الموتى، انتھى.(٣٠)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{30. السیرة الحلبیة = إنسان العیون في سیرة الأمین المأمون}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শেখ তক্বী উদ্দিন আস-সুবকী বলেন: “নবীগণ ও শহীদগণের কবরের জীবন ঠিক তাঁদের দুনিয়ার জীবনের মতই, যার প্রমাণ হলো-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম এর নিজ কবরে নামায আদায়। কেননা নামাযের জন্য দেহ জীবিত থাকা আবশ্যক।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ অনুরূপভাবে, মি’রাজ রজনীতে নবীগণের  অবস্থাও ছিল ঠিক তাই। অর্থাৎ দেহসহ তাঁদের উপস্থিতি ও নামায আদায় করা।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ আবার তাঁদের বরযখের জীবন ‘হাক্বীক্বী হায়াত’ হওয়াটা একথাও আবশ্যক করে না যে, দুনিয়াতে দেহ যেভাবে খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি মুখাপেক্ষী।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">▪ অনুরূপভাবে বরযখেও,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর অনুভূতি শক্তি তথা কথা বলা, জানা, শোনা ইত্যাদি বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, এ বিষয়টি তাঁদের জন্যও প্রমাণিত এবং অন্যান্য সাধারণ মৃতদের ক্ষেত্রেও প্রমাণিত সত্য।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[এখানে ইমাম সুবকীর বক্তব্য শেষ]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأما العقل فلأن الحبس عن النطق في بعض الأوقات نوع حصر وتعذیب ، ولھذا عذب بھ تارك الوصیة ، والنبي صلى الله علیھ وسلم منزه عن ذلك ، ولا یلحقھ بعد وفاتھ حصر أصلا بوجھ من الوجوه كما قال لفاطمة رضي الله عنها في مرض وفاته : ثابت البناني قال : لَمَّا ثقل رسول الله صلى الله عليه وسلم ، ضمَتُهُ فَاطِمَهُ إلى صدرها ، وجعل يتغشاه الكرب ، وَجَعَلَ فَاطِمَة تقول : يَا قَرُبَاهُ لِعَرَب أَبَتَاهُ ، فقال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم " : لا كرب على أبيك بعد اليوم ".(٣١)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{31. صحیح البخاري  كتاب المغازي باب مرض النبي صلى ﷲ علیھ وسلم ووفاتھ. رقم الحدیث-٤١٩٣.}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><span style="font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয়ত:</span><span style="font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> আক্বল, আর তা হলো- কেননা কিছু সময়ের জন্য হলেও কথা বলার শক্তি কেড়ে নেয়া বা বাকরুদ্ধতা এক প্রকার সীমাবদ্ধকরণ ও কষ্ট দেওয়া। এ কারণে, এ ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে একমাত্র ওসীয়াত ত্যাগকারীকে। আর নবী করীম (ﷺ) সর্বাবস্থায় পুত:পবিত্র। সুতরাং তাঁর ওফাতের পর তাঁর উপর কোন ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপিত হবে না। যেমনি ভাবে প্রিয় নবী (ﷺ) তাঁর ওফাতের সময় হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাকে বলেছিলেন, “আজকের পর তোমার পিতার উপর আর কোন ধরনের মুসীবত বা বিপদ নেই।”</span></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وإذا كان الشهداء وسائر المؤمنين من أمته إلا من استثنى من المعذبين لا يحصرون بالمنع من النطق فكيف به صلى الله عليه وسلم.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর উম্মতের মধ্যে এক শ্রেণীর শাস্তি প্রাপ্ত ব্যতিরেকে যদি সকল শহীদগণ ও ঈমানদারগণকে বাকরুদ্ধ করার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করা না হয়, তাহলে নবী করীম (ﷺ) কে কিভাবে তা করা হতে পারে?</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">، نعم يمكن أن ينتزع من كلام الشيخ تاج الدين جواب آخر ويقرر بطريق أخر ، وهو أن يراد بالروح النطق وبالرد الاستمرار من غير مفارقة على حد ما قررته في الوجه الثالث.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাঁ, তবে শেখ তাজুদ্দীনের বক্তব্য থেকে অন্য একটি জবাব খুঁজে বের করা যায় এবং অন্যভাবে এ বক্তব্যটি ব্যক্ত করা যায়। আর তা হলো,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘রূহ’ দ্বারা কথা বলা এবং ‘ফিরিয়ে দেয়া’ দ্বারা পৃথক হওয়া ব্যতিরেকে সার্বক্ষণিকভাবে অব্যাহত থাকার অর্থ নেয়া যায়; যা আমি আমার তৃতীয় জবাবে উল্লেখ করেছি।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ویكون في الحدیث على ھذا مجازان : مجاز في لفظ الرد ، ومجاز في لفظ الروح ، فالأول استعارة تبعیة ، والثاني مجاز مرسل ، وعلى ما قررتھ في الوجھ الثالث یكون فیھ مجاز واحد في الرد فقط.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ হিসেবে অত্র হাদিসে দুইটি মজায বা রূপক রয়েছে। একটি হলো الرد শব্দে, অপরটি হলো الروح শব্দে। তাই প্রথমটি استعارة تبعیھ ; অপরটিمجاز مرسل; আর আমি যা তৃতীয় জবাবে প্রমাণ করেছি এতে মাজায مجاز হলো মাত্র একটি; তা হলো الردّ শব্দে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ویتولد من ھذا الجواب جواب آخر وھو أن یكون الروح كنایة عن </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">السمع ، ویكون المراد أن الله یرد علیھ سمعھ الخارق للعادة بحیث یسمع المسلم وإن بعد قطره ویرد علیھ من غیر احتیاج إلى واسطة مبلغ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ উত্তর থেকে আরও একটি উত্তরের সূত্রপাত হয়, আর তা হলো: এখানে الروح (রূহ) শব্দ দ্বারা السمع (শ্রবণশক্তি) বুঝানো হয়েছে। সুতরাং অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহ তা‘আলা  তাঁকে এমন এক শ্রবণশক্তি দান করেন, যা সম্পূর্ণরূপে অস্বাভাবিক, যার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে সালাম প্রদানকারীর সালাম শুনতে পান, কোন ধরনের মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই।                                     </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولیس المراد سمعھ المعتاد ، وقد كان لھ صلى الله علیھ وسلم في الدنیا حالة یسمع فیھا سمعا خارقا للعادة بحیث كان یسمع أطیط السماء كما بینت ذلك في كتاب المعجزات.(٣٢)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٢. من طریق عبد الوھاب بن عطاء حدثنا سعید بن أبي عروبة عن قتادة عن صفوان بن محرز عن حكیم بن حزام قال: " بینما رسول الله صلى الله علیھ وسلم في أصحابھ إذ قال لھم" ....أتسمعون ما أسمع؟ قالوا: ما نسمع من شيء، قال: إني لأسمع أطیط السماء وما تلام أن تئط وما فیھا موضع شبر إلا وعلیھ ملك ساجد أو قائم" (أخرجھ الطحاوي في " مشكل الآثار " (٢٤٣ (والطبراني في " المعجم الكبیر" 1 / 153 / 1 (فذكره. قلت: وھذا إسناد صحیح على شرط مسلم وفي ابن عطاء كلام لا یضر. ولھ شاھد من حدیث أنس بن مالك مرفوعا بلفظ " :أطت السماء وحق لھا أن تئط " ... الحدیث مثلھ. أخرجھ أبو نعیم فى " الحلیة " (٦/ ٢٦٩ (من طریق زائدة بن أبي الرقاد حدثنا زیاد النمیري عنھ. وھذا إسناد ضعیف.) }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা দ্বারা তাঁর স্বাভাবিক শ্রবণ শক্তিকে বুঝায় না। কেননা রাসূলে করীম (ﷺ) এর দুনিয়াতেও এমন কিছু অবস্থার অবতারণতা হতো, যে অবস্থায় তিনি এমনভাবে শুনতেন, যা ছিল সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সাধারণ নিয়মের বিপরীত। এমনকি তিনি আসমানে বিরজমান শব্দগুলোও শুনতে পেতেন। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وھذا قد ینفك في بعض الأوقات ویعود لا مانع منھ،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যে শ্রবণশক্তি কখনও পৃথক হলেও আবার তা ফিরে আসে, যাতে কোন প্রকার বাধা নেই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وحالتھ صلى الله علیھ وسلم في البرزخ كحالتھ في الدنیا سواء.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর প্রিয় নবীর বরযখের অবস্থা তাঁর দুনিয়ার অবস্থার মতে কোন ধরণের পার্থক্য নেই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد یخرج من ھذا جواب آخر وھو أن المراد سمعھ المعتاد ، ویكون المراد برده إفاقتھ من الاستغراق الملكوتي ، وما ھو فیھ من المشاھدة فیرده الله تلك الساعة إلى خطاب من سلم علیھ في الدنیا ، فإذا فرغ من الرد علیھ عاد إلى ما كان فیھ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ থেকে আরও একটি জবাবের সূত্রপাত হয়। আর তা’হল: এখানে তাঁর শ্রবণ থেকে স্বাভাবিক শ্রবণ শক্তি বুঝানো হয়েছে। আর এখানে  رد (রদ) থেকে বুঝানো হয়েছে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর ঊর্ধ্বজাগতিক ধ্যানে মগ্ন থাকা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা। যে অবস্থায় তিনি মালাকুতী দর্শন মুশাহাদায় ব্যস্ত ও বিভোর ছিলেন। অত:পর যখন কোন ব্যক্তি তাঁর প্রতি সালাম পেশ করে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে ওই ব্যক্তির সালামের জবাব দেয়ার জন্য এ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। আর যখন ওই ব্যক্তির সালামের জবাব থেকে অবসর হন তখন আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ویخرج من ھذا جواب آخر وھو أن المراد برد الروح : التفرغ من الشغل وفراغ البال مما ھو بصدده في البرزخ من النظر في أعمال أمتھ والاستغفار لھم من السیئات ، والدعاء بكشف البلاء عنھم ، والتردد في أقطار الأرض لحلول البركة فیھا ، وحضور جنازة من مات من صالح أمتھ.</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                                                         </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ থেকে আরও একটি জবাবের সূত্রপাত হয়, আর তা হল: এখানে ردّ الروح বা রূহ ফিরিয়ে দেয়া মানে,</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ব্যস্ততা থেকে অবসর নেয়া। মনযোগ নিবদ্ধ করা ও মুক্তমনা হওয়া। কেননা প্রিয়নবী তাঁর বরযখী জীবনেও সর্বদা ব্যস্ত থাকেন উম্মতদের নিয়ে। তাঁর উম্মতদের আমলগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করেন এবং তাদেরকে গুনাহ থেকে মুক্ত করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা র দরবারে এস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাদের থেকে বালা-মুসীবত দূর করার জন্য দো‘আ করেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তকে বরকত দ্বারা ধন্য করার উদ্দেশ্যে তিনি বিশ্বের নানা স্থানে ভ্রমণ করেন ও তাঁর নেককার-পূণ্যবান উম্মতদের কেউ মারা গেলে তার জানাযায় উপস্থিত হন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فإن ھذه الأمور من جملة أشغالھ في البرزخ كما وردت بذلك الأحادیث والآثار.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কাজ-কর্মগুলোই হলো তাঁর বরযখী জীবনের ব্যস্ততার মূল কারণ, যার সমর্থনে অসংখ্য বিশুদ্ধ হাদিস ও বর্ণনা বিদ্যমান।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فلما كان السلام علیھ من أفضل الأعمال وأجل القربات اختص المسلم علیھ بأن یفرغ لھ من أشغالھ المھمة لحظة یرد علیھ فیھا تشریفا لھ ومجازاة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যেহেতু তাঁর প্রতি সালাম পেশ করা একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত ও তাঁর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায়, সেহেতু তাঁর প্রতি সালাম পেশকারীকে এমন এক মহান নি’মাত দ্বারা ধন্য করা হয় যে, তার সালামের প্রতিদান স্বরূপ ও তাঁর সম্মানার্থে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয়নবীকে কিছু সময়ের জন্য তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কর্মব্যস্ততা থেকে অবসর দেন, যাতে তিনি তাঁর প্রতি সালাম প্রদানকারীর সালামের জবাব দিতে পারেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فھذه عشرة أجوبة كلھا من استنباطي ، وقد قال الجاحظ :إذا نكح الفكر الحفظ ولد العجائب.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোক্ত দশটি উত্তর পেশ করা হলো, যার সবই ছিল আমার ব্যক্তিগত চিন্তা-গবেষণা দ্বারা উদ্ভাবিত। জাহেয বলেছেন: “যখন স্মরণ শক্তির সাথে চিন্তাশক্তির সমন্বয় ঘটে, তখন জন্ম নেয় নানা আশ্চর্য।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم ظھر لي جواب حادي عشر وھو أنھ لیس المراد بالروح روح الحیاة ، بل الارتیاح كما في قولھ تعالى: فَرَوۡحٌ  وَّ رَیۡحَانٌ ۬ۙ وَّ جَنَّتُ نَعِیۡمٍ (الواقعة:- ٨٩) فإنھ قرئ فروح - بضم الراء-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর আমার নিকট উদ্ভাবিত হলো একাদশ উত্তর। আর তা হলো: এখানে রূহ মানে জীবন বা হায়াত নয়; বরং রূহ মানে ইরতিয়াহ্ বা আনন্দ ও প্রফুল্লতা। যেমন পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা‘আলার বাণী </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فَرَوۡحٌ  وَّ رَیۡحَانٌ ۬ۙ وَّ جَنَّتُ نَعِیۡمٍ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(অত:পর রয়েছে আনন্দ ও সুবাশ) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা: ওয়াক্বিয়া আয়াত-৮৯]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে শব্দটি رَوحْوحٌ পেশ সহকারেও পাঠ করা হয়ে থাকে। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والمراد أنھ صلى الله علیھ وسلم یحصل لھ بسلام المسلم علیھ ارتیاح وفرح وھشاشة لحبھ ذلك ، فیحملھ ذلك على أن یرد علیھ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং তার অর্থ দাঁড়ায়- তাঁর প্রতি যখন কোন ব্যক্তি সালাম দেয় তখন তিনি তাতে আনন্দিত, সন্তুষ্ট, প্রফুল্ল, খুশি ও পুলকিত হন, সালামের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও আগ্রহের কারণে; যার ফলে তিনি ওই ব্যক্তির সালামের জবাব দিতে উৎসাহী হন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم ظھر لي جواب ثاني عشر وھو : أن المراد بالروح الرحمة الحادثة من ثواب الصلاة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর আমার নিকট দ্বাদশ জবাব উন্মোচিত হলো, আর তা হলো: এখানে ‘রূহ’ দ্বারা ওই ‘রহমত’ বুঝানো হয়েছে, যা অর্জিত হয়ে থাকে তাঁর উপর সালাত ও সালাম পাঠ করার ফলে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال ابن الأثیر في النھایة : تكرر ذكر الروح في الحدیث كما تكرر في القرآن ووردت فیھ على معان ، والغالب منھا أن المراد بالروح الذي یقوم بھ الجسد ، وقد أطلق على القرآن والوحي والرحمة وعلى جبریل ، انتھى.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনুল আসীর তাঁর ‘আন্ নিহায়া’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেন যে, الروح (রূহ) শব্দটি হাদীস শরীফে অনেক স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমনিভাবে অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে পবিত্র ক্বোুরআনেও। এসব স্থানগুলোতে  الروح শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে সর্বাধিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ওই ‘রূহ্’-এর অর্থে, যা প্রতিটি জীবের মধ্যে বিদ্যমান। আবার কখনও রূহ শব্দটি দ্বারা ক্বোরআন, ওহী, রহমত এবং জিবরাঈল বুঝানো হয়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وأخرج ابن المنذر في تفسیره عن الحسن البصري أنھ قرأ قولھ تعالى : فروح وریحان بالضم ، وقال : الروح الرحمة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনুল মুনযির তাঁর তাফসীর গ্রন্থে ইমাম হাসান বসরী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর নিকট যখন روح وریحان (রূহুন ওয়া রায়হান) পেশ সহকারে পাঠ করা হল, তখন তিনি বলেছেন: এখানে ‘রূহুন’ শব্দটির অর্থ হল- রহমত।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد تقدم في حدیث أنس أن الصلاة تدخل علیھ صلى الله علیھ وسلم في قبره كما یدخل علیكم بالهدايا.(٣٣)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٣. حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي. رقم الحدیث: ١٣ُ. رواه البیھقي في شعب الإیمان وابن عساكر في تاریخ دمشق بلفظ : " ْإن أقربكم مني یوم القیامة في كل موطن أكثركم علي صلاة في الدنیا . من صلى علي في یوم الجمعة ولیلة الجمعة قضى الله لھ مائة حاجة سبعین من حوائج  الآخرة وثلاثین من حوائج الدنیا ، ثم یوكل الله بذلك ملكا یدخلھ في قبره كما یدخل علیكم الھدایا یخبرني من صلى عليّ باسمھ ونسبھ إلى عشیرتھ فأثبتھ عندي في صحیفة بیضاء..}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইতিপূর্বে, হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু  কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটি উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেখানে </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন যে, তাঁর প্রতি প্রেরিত সালাত-সালামসমূহ তাঁর কবর শরীফে ওইভাবে পৌঁছে, যেভাবে তোমাদের নিকট তোমাদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত উপহার-উপঢৌকন ও পুণ্য বা সাওয়াবসমূহ পৌঁছে থাকে।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والمراد ثواب الصلاة ، وذلك رحمة الله وإنعاماتھ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে সাওয়াব হলো যা সালাত-সালামের বিনিময়ে পৌঁছে থাকে। আর এটি হলো আল্লাহ তা‘আলার রহমত ও নি’মতরাজিই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم ظھر لي جواب ثالث عشر وھو : أن المراد بالروح الملك الذي وكل بقبره صلى الله علیھ وسلم یبلغھ السلام.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর আমার নিকট আরও একটি জবাব প্রকাশ পেল, ত্রয়োদশ জবাব হিসেবে। আর তা হলো: এখানে ‘রূহ’ দ্বারা ঐ ফেরেশতা বুঝানো হয়েছে, যাকে তাঁর (ﷺ) কবর শরীফে সালাত-সালাম পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, যিনি তাঁর কবর শরীফের নিকট সদা উপস্থিত থাকেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والروح یطلق على غیر جبریل أیضا من الملائكة، قال الراغب :أشراف الملائكة تسمى أرواحا ، انتھى.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর ‘রূহ’ শব্দটি যেভাবে হযরত জিবরাঈল আলায়হিস্ সালাম-এর জন্য ব্যবহৃত হয়, সেভাবে অন্যান্য ফেরেশতাদের জন্যও ব্যবহৃত হয়। রাগেব ইস্পাহানী বলেন: ফেরেশতাদের মধ্যে যাঁরা সর্বাধিক অভিজাত ও সম্মানিত, তাঁদের প্রত্যেককে ‘রূহ’ বলা হয়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ومعنى " رد الله إلي روحي "أي : بعث إلي الملك الموكل بتبلیغي السلام ، ھذا غایة ما ظھر والله أعلم.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং ‘‘আল্লাহ তা‘আলা  আমার নিকট আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন।” এ বাক্যটির অর্থ হলো: আমার নিকট সালাত-সালাম পাঠানোর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাকে আমার নিকট প্রেরণ করেন, যাতে তিনি আমার নিকট পঠিত সালাত-সালাম পৌঁছে দিতে পারে। এতটুকুই আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মনযোগ আকর্ষণ:</span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقع في كلام الشیخ تاج الدین أمران یحتاجان إلى التنبیھ علیھما ،</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">শেখ তাজুদ্দিনের বক্তব্যে এমন দু’টি বিষয় আলোচিত হয়েছে, যে ব্যাপারে  বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিতঃ</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">أحدھما : أنھ عزا الحدیث إلى الترمذي ، وھو غلط ، فلم یخرجھ من أصحاب الكتب الستة إلا أبو داود فقط كما ذكره الحافظ جمال الدین المزي في الأطراف.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমত : তিনি এ হাদীস শরীফের সূত্র বর্ণনায় তিরমিযী শরীফের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, আসলে তা ভুল। কেননা এ হাদীস সেহাহ্ সিত্তার কিতাবগুলোর মধ্যে একমাত্র আবূ দাউদ শরীফ ছাড়া অন্য কোন কিতাবে উল্লেখ করা হয়নি। যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাফেয মিয্যী তাঁর রচিত ‘আল্ আত্বরাফ’ কিতাবে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">الثاني : أنھ أورد الحدیث بلفظ " رد الله علي " وھو كذلك في سنن أبي داود ، ولفظ روایة البیھقي رد الله إلي [ روحي ] وھي ألطف وأنسب ، فإن بین التعدیتین فرقا لطیفا ، فإن " رد " یتعدى بعلى في الإھانة ، وبإلى في الإكرام ، قال في الصحاح : رد علیھ الشيء إذا لم یقبلھ ، وكذلك إذا خطأه ، ویقول رده إلى منزلھ ورد إلیھ جوابا أي : رجع.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দ্বিতীয়ত : তিনি হাদীসটি رَد ﷲُ َّ عَلى َّ তথা عَلى শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন, যা আবূ দাউদ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি হাদীসটি إلى َّ শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন। আর মূলত: এটাই সর্বাধিক শোভনীয় ও মার্জিত। কেননা উভয় সেলাহ বা যোজন-এর মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে, কারণ ردّ শব্দটি যখন على দ্বারা মুতা‘আদ্দী হয়, তখন এহানত বা</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অপমানের অর্থ বুঝায়। আর إلى দ্বারা ইকরাম বা সম্মানসূচক অর্থ বুঝায়।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘সিহাহ’ নামক কিতাবে বলেছেন: رد علیھ الشئَ َّ তখন ব্যবহার হয়, যখন কোন কিছু গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। অনুরূপ, رد علیھ َّ বলা হয় যখন তা ভুল প্রমাণিত হয়। অন্যদিকে ردّ الى منزلھ এবং ردّ الیھ جوابا</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তখন বলা হয় যখন শব্দটি গ্রহণ করা হয় এবং যখন চিঠির উত্তর দেয়া হয়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রথমটির উদাহরণ স্বরূপ রাগেব ইস্পাহানী বলেন:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقال الراغب :من الأول قولھ سبحانھ وتعالى : یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تُطِیۡعُوا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَرُدُّوۡکُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ.(آل عمران / ١٤٩.) رُدُّوۡہَا عَلَیَّ ؕ فَطَفِقَ مَسۡحًۢا بِالسُّوۡقِ وَ الۡاَعۡنَاقِ.( سورة ص- ٣٣) قُلۡ  اَنَدۡعُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَنۡفَعُنَا وَ لَا یَضُرُّنَا وَ نُرَدُّ عَلٰۤی اَعۡقَابِنَا بَعۡدَ اِذۡ ہَدٰىنَا اللّٰہُ.(الانعام- ٧١)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ تُطِیۡعُوا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَرُدُّوۡکُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তাহলে তারা তোমাদেরকে বিপরীত দিকে ফিরিয়ে দেবে।  </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আলে ইমরান: ১৪৯]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">رُدُّوۡہَا عَلَیَّ ؕ فَطَفِقَ مَسۡحًۢا بِالسُّوۡقِ وَ الۡاَعۡنَاقِ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ এগুলোকে পুনরায় আমার সম্মুখে আনায়ন কর। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা সোয়াদ, আয়াত-৩৩]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قُلۡ  اَنَدۡعُوۡا  مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَنۡفَعُنَا وَ لَا یَضُرُّنَا وَ نُرَدُّ عَلٰۤی اَعۡقَابِنَا بَعۡدَ اِذۡ ہَدٰىنَا اللّٰہُ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমাদের কি আমাদেরকে উল্টো পদে ফিরিয়ে দেয়া হবে? </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা আন্‘আম, আয়াত ৭১]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ومن الثاني:-فَرَدَدۡنٰہُ  اِلٰۤی اُمِّہٖ کَیۡ تَقَرَّ عَیۡنُہَا وَ لَا تَحۡزَنَ وَ لِتَعۡلَمَ  اَنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ.(القصص-١٣). السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّ لَئِنۡ رُّدِدۡتُّ اِلٰی رَبِّیۡ  لَاَجِدَنَّ خَیۡرًا مِّنۡہَا مُنۡقَلَبًا. (الكهف - ٣٦). یَعۡتَذِرُوۡنَ اِلَیۡکُمۡ اِذَا رَجَعۡتُمۡ اِلَیۡہِمۡ ؕ قُلۡ لَّا تَعۡتَذِرُوۡا لَنۡ نُّؤۡمِنَ  لَکُمۡ قَدۡ نَبَّاَنَا اللّٰہُ مِنۡ اَخۡبَارِکُمۡ ؕ وَ سَیَرَی اللّٰہُ عَمَلَکُمۡ وَ رَسُوۡلُہٗ ثُمَّ تُرَدُّوۡنَ اِلٰی عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ.(التوبة -٩٤). ثُمَّ  رُدُّوۡۤا اِلَی اللّٰہِ مَوۡلٰىہُمُ الۡحَقِّ ؕ اَلَا لَہُ الۡحُکۡمُ ۟ وَ ہُوَ اَسۡرَعُ الۡحٰسِبِیۡنَ. (الانعام- ٦٢).</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর দ্বিতীয়টির উদাহরণ হলো:-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فَرَدَدۡنٰہُ  اِلٰۤی اُمِّہٖ کَیۡ تَقَرَّ عَیۡنُہَا وَ لَا تَحۡزَنَ وَ لِتَعۡلَمَ  اَنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আমি তাকে তার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছি।  </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা ক্বাসাস, আয়াত-১৩]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">السَّاعَۃَ قَآئِمَۃً ۙ وَّ لَئِنۡ رُّدِدۡتُّ اِلٰی رَبِّیۡ  لَاَجِدَنَّ خَیۡرًا مِّنۡہَا مُنۡقَلَبًا.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ আর যদি আমি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হই, তবে আমি তো নিশ্চয় তা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান পাব।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা কাহাফ, আয়াত-৩৬]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">یَعۡتَذِرُوۡنَ  اِلَیۡکُمۡ اِذَا رَجَعۡتُمۡ  اِلَیۡہِمۡ ؕ قُلۡ لَّا تَعۡتَذِرُوۡا لَنۡ  نُّؤۡمِنَ لَکُمۡ قَدۡ نَبَّاَنَا اللّٰہُ مِنۡ  اَخۡبَارِکُمۡ ؕ وَ سَیَرَی اللّٰہُ عَمَلَکُمۡ وَ رَسُوۡلُہٗ  ثُمَّ تُرَدُّوۡنَ اِلٰی عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّہَادَۃِ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ তোমাদের  নিকট  অজুহাত  বানিয়ে  পেশ   করবে   যখন তোমরা তাদের  দিকে  ফিরে যাবে।  আপনি বলুন, ‘অজুহাত বানিয়ে পেশ  করো  না,  আমরা  তোমাদেরকে কখনো       বিশ্বাস      করবো       না।      আল্লাহ্‌        আমাদেরকে তোমাদের খবর জানিয়ে দিয়েছেন এবং এখন আল্লাহ্‌ ও রসূল  তোমাদের   কার্যকলাপ   লক্ষ্য   করবেন।   অতঃপর তোমরা     তারই    দিকে      প্রত্যাবর্তন      করে    যাবে,    যিনি  গোপন ও প্রকাশ্য  সবকিছু জানেন। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন যা কিছু তোমরা করছিলে’।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা তাওবাহ, আয়াত-৯৪]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثُمَّ  رُدُّوۡۤا  اِلَی اللّٰہِ مَوۡلٰىہُمُ  الۡحَقِّ ؕ اَلَا لَہُ الۡحُکۡمُ ۟ وَ ہُوَ  اَسۡرَعُ الۡحٰسِبِیۡنَ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থাৎ অত:পর তাদের প্রকৃত প্রতিপালক আল্লাহর দিকে তারা প্রত্যানীত হয়। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আন‘আম, আয়াত-৬২]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <span style="font-family: inherit;"><br /> </span><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: center;"> <span style="color: red; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিচ্ছেদ: (فصل)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال الراغب :من معاني الرد التفویض ، یقال : رددت الحكم في كذا إلى فلان أي : فوضتھ إلیھ ، قال تعالى: یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ اُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ فَرُدُّوۡہُ اِلَی اللّٰہِ وَ الرَّسُوۡلِ  اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا. (النساء- ٥٩).</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাগেব ইস্পাহানী বলেন: الرد -এর অন্য একটি অর্থ হলো- التفویض (ন্যস্ত করা, সমর্পণ করা, সোপর্দ করা)। যেমন বলা হয়ে থাকে  رددت الحكم فى كذا الى فلان অর্থাৎ আমি এ বিষয়ের ফয়সালা অমুকের নিকট ন্যস্ত করলাম।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ اُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ فَرُدُّوۡہُ اِلَی اللّٰہِ وَ الرَّسُوۡلِ  اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ وَّ اَحۡسَنُ تَاۡوِیۡلًا.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“ ঈমানদারগণ,   নির্দেশ    মান্য  করো  আল্লাহ্‌র এবং   নির্দেশ মান্য  করো   রসূলের আর  তাদেরই, যারা  তোমাদের     মধ্যে    ক্ষমতায়    অধিষ্ঠিত।      অতঃপর      যদি তোমাদের     মধ্যে      কোন    বিষয়ে    মতভেদ     ঘটে,    তবে সেটাকে   আল্লাহ্‌   ও   রসূলের   সম্মুখে   রুজু   করো,   যদি  আল্লাহ্‌  ও   ক্বিয়ামতের উপর  ঈমান  রাখো।  এটা উত্তম  এবং এর পরিণাম সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা নিসা, আয়াত- ৫৯]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র এরশাদ করেন:</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ولوردوه  الى الرسول والى اولىالامر منھم</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যদি তারা তা রাসূল কিংবা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূরা নিসা, আয়াত- ৮৩]</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">                                      </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উপরোক্ত আলোচনা থেকে আলোচ্য হাদীসের চতুর্দশ আরও জবাবের উৎপত্তি হয়, আর তা হলো: এখানে رد শব্দটি تفویض অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ “আল্লাহ তা‘আলা আমার প্রতি সালাম প্রেরণকারীর সালামের জবাব প্রদানের বিষয়টি আমার নিকট ন্যস্ত ও সমর্পণ করেন। আর এখানে روح (রূহ) মানে رحمة (রহমত)। আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে صلاة (সালাত)-এর অর্থ হল রহমত।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং অর্থ দাঁড়াল- সালাম প্রদানকারী তার সালামের বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে রহমত তলবের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। প্রিয় নবীর এ বাণীর বাস্তবায়ন স্বরূপ,</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 27 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ویخرج من ھذا جواب رابع عشر عن الحدیث وھو : أن المراد فوض الله إلي رد السلام علیھ ، على أن المراد بالروح الرحمة ، والصلاة من الله الرحمة ، فكان المسلم بسلامھ تعرض لطلب صلاة من الله تحقیقا لقولھ صلى الله علیھ وسلم : عن أنس بن مالك : قال ، قال رسُولُ الله صلى الله علیھ وسلم " : ُ من صلى علي واحدة صلي الله  علیھ عشر صلوات ، وحط عنھُ عشر خطیئات " . (٣٤)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٤. رواه الإمام أحمد (١١٥٨٧ (والنسائي (١٢٩٧ - (واللفظ لھ - بإسناد حسن .و صحح الحدیث ابن حبان (٩٠٣ ) والحاكم (١/٥٥) وضیاء الدین المقدسي في المختارة (١٥٦٦).}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসুলুল্লাহ  (ﷺ) এরশাদ করেন: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার সালাত প্রেরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা  তার বিনিময়ে ঐ ব্যক্তির উপর দশবার রহমত প্রেরণ করবেন ও তার দশটি পাপ মোছন করে দেবেন।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والصلاة من الله الرحمة ، ففوض الله أمر ھذه الرحمة إلى النبي صلى الله علیھ وسلم لیدعو بھا للمسلم فتحصل إجابتھ قطعا ، فتكون الرحمة الحاصلة للمسلم إنما ھي ببركة دعاء النبي صلى الله علیھ وسلم لھ وسلامھ علیھ ، وینزل ذلك منزلة الشفاعة في قبول سلام المسلم والإثابة علیھ ، وتكون الإضافة في روحي لمجرد الملابسة ، ونظیره قولھ في حدیث الشفاعة : فیرده ھذا إلى ھذا، وھذا إلى ھذا، حتى یرجع إلى الأول.(٣٥)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٥. أخرجھ ابن عبد البر في جامع بیان العلم [٢١٩٩ ، ٢٢٠١ ، ٢٢٠٢] من كلام عبد الرحمن بنأبي لیلى ولیس من كلام البراء.}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে صلوة-এর অর্থ হলো- রহমত। এটি আল্লাহ তা‘আলা এ রহমতের দায়িত্বভার প্রিয়নবীর নিকট অর্পণ করেন, যাতে তিনি ওই সালাম প্রেরণকারীর জন্য দো‘আ করেন। ফলে তাঁর দো‘আ ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে কবূল হয়ে যাবে নিসন্দেহে। সুতরাং সালাম প্রদানকারীর ভাগ্যে যে রহমতসমূহ জুটল তা মূলত প্রিয়নবীর দো‘আর বরকতেই এবং তা সালাম প্রদানকারীর সালাম কবুল হওয়া ও তার বিনিময়ে তাকে সাওয়াব প্রদান করার জন্য প্রিয়নবীর পক্ষ থেকে শাফা‘আত বা সুপারিশের ন্যায়।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর এখানে فى روحى-এর মধ্যে যে ইযাফতটি (সম্বন্ধ) রয়েছে তা শুধুমাত্র ‘মুলাবাসাহ্’ বা বাক্যের পরস্পর ঘনিষ্ঠতার কারণে। যেমনটি শাফা‘আত সংক্রান্ত হাদীসে বিদ্যমান।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“শাফা‘আতের বিষয়টি ইনি ওনার নিকট ন্যস্ত করবেন। ইনি ওনি হতে হতে সর্বশেষ হযরত মুহাম্মদ মোস্তফার নিকট বিষয়টি সমর্পণ করা হবে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 28 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وفي حدیث الإسراء: عن ابن مسعُود عن النبيِّ صلى الله علیھ وسلم ": لقیت لیلة أسري بي إبراھیم ، ومُوس ، موسى ، و عیسى، قال فتذاكرُوا أمر السَّاعة ، فردوا أمرھُم إلى إبراھیم ، فقال : لا علم لي بھا ، فردوا الأمر إلى مُوسى ، فقال : لا علم لي بھا ، فردوا الأمر الي عیسى. (٣٦)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٦. ابن ماجھ, الفتن٤٠٨١ ومسند أحمد- ١/٣٧٥.}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মি’রাজ সংক্রান্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে: </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“মি’রাজের রাত্রিতে হযরত ইবরাহীম, হযরত মূসা ও হযরত ঈসা আলায়হিমুস্ সালাম-এর সাথে আমার সাক্ষাত হলো, তাঁরা সকলে ক্বিয়ামতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তাঁরা বিষয়টি হযরত ইবরাহীম আলায়হিস্ সালাম-এর নিকট সোপর্দ করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, এ বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই। অত:পর বিষয়টি হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামএর নিকট সোপর্দ করা হলে তিনিও উত্তরে বললেন: এ বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নেই। অত:পর সবশেষে বিষয়টি হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম-এর নিকট ন্যস্ত  করা হলো।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والحاصل أن معنى الحدیث على ھذا الوجھ : إلا فوض الله إلي أمر الرحمة التي تحصل للمسلم بسببي ، فأتولى الدعاء بھا بنفسي بأن أنطق بلفظ السلام على وجھ الرد علیھ في مقابلة سلامھ والدعاء لھ.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মোদ্দকথা হলো, এদিক থেকে হাদীস শরীফটির অর্থ দাঁড়ায়- আল্লাহ্ তা‘আলা আমার নিকট ঐ রহমতের বিষয়টি ন্যস্ত করবেন, যা সালাম প্রদানকারীর নিকট আমার কারণে ও বরকতে অর্জিত হয়। অত:পর আমি নিজেই এর বিনিময়ে দো‘আ করার দায়িত্ব গ্রহণ করব। ফলে আমি তার সালামের বিনিময়ে তার জবাব দেবার জন্য وَعَلیَْكُمُ َّ السلامَُ বলে মুখ খুলব এবং তার জন্য দো‘আ করব।  </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ثم ظھر لي جواب خامس عشر وھو : أن المراد بالروح الرحمة التي في قلب النبي صلى الله علیھ وسلم على أمتھ والرأفة التي جبل علیھا ، وقد یغضب في بعض الأحیان على من عظمت ذنوبھ أو انتھك محارم الله ، والصلاة على النبي صلى الله علیھ وسلم سبب لمغفرة الذنوب كما في حدیث : إذن تكفى ھمك ویغفر ذنبك. (٣٧)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٧. قال أبو عیسى: ھذا حدیث حسن صحیح, الراوي: أبي بن كعب - خلاصة الدرجة: حسن - المحدث: ابن حجر العسقلاني - المصدر: موافقة الخبر الخبر - الصفحة أو الرقم: ٢/٣٤٠ وحدیث </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">٧١٤٧٥ ,- الراوي: حبان بن منقذ بن عمرو الأنصاري - خلاصة الدرجة: حسن لغیره - المصدر: صحیح الترغیب - الصفحة أو الرقم: ١٦٧١}</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অত:পর আমার নিকট পঞ্চদশ জবাব উন্মোচিত হলো, আর তা হলো-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এখানে روح (রূহ) থেকে উদ্দেশ্য হল ওই রহমত, যা প্রিয়নবীর হৃদয় মুবারকে স্বীয় উম্মতদের জন্য বিদ্যমান এবং ঐ স্বভাবজাত দয়া ও স্নেহ, যার উপর তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি কখনও কখনও রাগান্বিতও হয়ে থাকেন তার উপর, যার অপরাধ অত্যন্ত জঘন্য এবং যে আল্লাহ তা‘আলা  নির্ধারিত সীমানা ও নিষেধকে লংঘন করে।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 29 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর উপর সালাত-সালাম পাপ মার্জনার অন্যতম কারণ। যেভাবে হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে- </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"এ অধিক হারে দুরূদ পাঠের ফলে তোমার সকল চিন্তা-পেরেশানী দূর হয়ে যাবে এবং তোমার গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যাবে।”</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">فأخبر صلى الله علیھ وسلم أنھ ما من أحد یسلم علیھ وإن بلغت ذنوبھ ما بلغت إلا رجعت إلیھ الرحمة التي جبل علیھا حتى یرد علیھ السلام بنفسھ ، ولا یمنعھ من الرد علیھ ما كان منھ قبل ذلك من ذنب ، وھذه فائدة نفیسة وبشرى عظیمة ، وتكون ھذه فائدة زیادة من الاستغراقیة في أحد المنفي الذي ھو ظاھر في الاستغراق قبل زیادتھا ، نص فیھ بعد زیادتھا بحیث انتفى بسببھا أن یكون من العام المراد بھ الخصوص .</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিস 30 :</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্যত্র প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেছেন:</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">“কেউ যদি তাঁর উপর সালাম পাঠ করে, আর তার গুনাহ যতই হোক না কেন, তার প্রতি ওই রহমতটুকু তাঁর (ﷺ) নুরানী হৃদয়ে জাগ্রত হবে, যা তাঁর স্বভাবজাত; ফলে তিনি ওই ব্যক্তির সালামের জবাব নিজেই দেবেন। পূর্বে তার অনেক গুনাহ থাকলেও তার সালামের জবাবে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না।"</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা নি:সন্দেহে একটি খুবই উন্নত উপকার এবং মহান সুসংবাদ।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ھذا آخر ما فتح الله بھ الآن من الأجوبة وإن فتح بعد ذلك بزیادة ألحقناھا ، والله الموفق بمنھ وكرمھ ، ثم بعد ذلك رأیت الحدیث المسئول عنھ مخرجا في كتاب حیاة الأنبیاء للبیھقي بلفظ : إلا وقد رد الله علي روحي فصرح فیھ بلفظ : " وقد " ، فحمدت الله كثیرا وقوي أن روایة إسقاطھا محمولة على إضمارھا ، وأن حذفھا من تصرف الرواة وھو الأمر الذي جنحت إلیھ في الوجھ الثاني من الأجوبة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা সর্বশেষ জবাব, যা আল্লাহ তা‘আলা আমার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এর চেয়ে আরও অধিক কোন জবাব যদি আমার নিকট উন্মোচিত হয় তাহলে তাও এখানে সংযোজন করব। সকল তাওফীক্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা । অত:পর আমি উপরোক্ত হাদীস ইমাম বায়হাক্বী রচিত حیاة الانبیاء (হায়াতুল আন্বিয়া) নামক কিতাবে إلا وقد ردّﷲ علىّ روحى এভাবে দেখতে পেলাম। তিনি সেখানে وَقدَْ শব্দটি দ্বারা সরাসরি বর্ণনা করেছেন। তা দেখে আমি আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করলাম এবং আমার নিকট খুব দৃঢ়ভাবে সাব্যস্ত হলো যে, অন্যান্য রেওয়ায়তে وَقدَْ শব্দটা বাদ দেয়া হয়েছে; কারণ এটা উহ্য আছে। অথবা তা বাদ দেয়াটা বর্ণনাকরীর পক্ষ থেকে সংঘটিত হয়েছে। যে সম্পর্কে আমার দ্বিতীয় জবাবে আলোচনা</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">করেছি।  </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد عدت الآن إلى ترجیحھ لوجود ھذه الروایة فھو أقوى الأجوبة ، ومراد الحدیث علیھ الإخبار بأن الله یرد إلیھ روحھ بعد الموت فیصیر حیا على الدوام ، حتى لو سلم علیھ أحد رد علیھ سلامھ لوجود الحیاة فیھ ، فصار الحدیث موافقا للأحادیث الواردة في حیاتھ في قبره ، وواحدا من جملتھا لا منافیا لھا البتة بوجھ من الوجوه ، ولله الحمد والمنة.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কিন্তু বর্তমানে আমার নিকট এ জবাবটি খুবই শক্তিশালী জবাব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এর সমর্থনে প্রমাণিত হয়েছে সরাসরি রেওয়ায়াত। তাই এটাকে আমি অন্যান্য উত্তরের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অতএব, উপরোক্ত বর্ণনার ভিত্তিতে এ হাদীসের উদ্দেশ্য (মর্মার্থ) হলো- মহান আল্লাহ প্রিয়নবীর ইন্তিকালের পর তাঁর রূহ মুবারককে স্থায়ীভাবে তাঁর দেহ মুবারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি সদা-সর্বদা স্বীয় কবর শরীফে জীবিত। এমনকি কেউ তাঁর প্রতি সালাম পেশ করলে তিনি তার উত্তর দিয়ে থাকেন। কারণ তিনি তো জীবিত।  সুতরাং এ হাদীস তাঁর কবর শরীফে জীবিত থাকার বিষয়ে বর্ণিত অন্যান্য হাদিসগুলোর সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ওই হাদিসগুলোরই একটি। এগুলোর সাথে এ হাদীসের কোন বিরোধ নেই।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وقد قال بعض الحفاظ : لو لم نكتب الحدیث من ستین وجھا ما عقلناه. (٣٨)</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">{٣٨. ( وقال الإمام یحیى بن معین: " لو لم نكتب الحدیث من ثلاثین وجھا ما عقلناه ." -  فتح المغيث: ٢/٣٧٠) }</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কতেক হাফেযে হাদীস বলেছেন: আমরা যদি কোন একটি হাদীসকে ৬০ (ষাট)টি সূত্র থেকে বর্ণনা না করি, তবে তা আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারিনা।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وذلك لأن الطرق یزید بعضھا على بعض تارة في ألفاظ المتن ، وتارة في الإسناد ، فیستبین بالطریق المزید ما خفي في الطریق الناقصة والله تعالى أعلم.</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেননা বিভিন্ন ধারার বর্ণনা পরস্পর পরস্পরকে মজবুত করে এবং এতে নতুন কতগুলো বিষয় সংযোজিত হয়। কখনও ‘মতন’-এর শব্দগুলোর দিক থেকে, আবার কখনও ‘সনদসমূহের’ দিক থেকে। ফলে অধিক সংখ্যক সূত্র ও ধারায় বর্ণিত হাদীস দ্বারা এমন কিছু দিক উন্মোচিত ও প্রকাশিত হয়, যা কম সংখ্যক বা অসম্পূর্ণ সনদে লুক্কায়িত বা অস্পষ্ট ছিল। আল্লাহ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তা‘আলাই ভাল জানেন।</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والحمد لله وحده والصلاة والسلام على من لانبي بعده سیدنا ومولانا محمد وعلى الھ وأصحابھ واولاده وازواجھ وذریتھ واھل بیتھ رضوان الله تعالى علیھم اجمعین- </span></div> <div dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والحمد لله رب العالمین-</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[কিতাবটি সমাপ্ত হলো এখানেই]</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-family: inherit;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: inherit; font-size: 11pt; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সমাপ্ত</span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> </div>

কিতাবঃ নবীগণ (আঃ) স্বশরীরে জীবিত [ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহ.]

নবীগণ [আলায়হিমুস্ সালাম] স্বশরীরে জীবিত اِنْباَهُ الْاذَْكِیاَءِ فىِْ حَیاَةِ الْانَْبِیآَءِ [علَیَھْمِ الس َُُّلامَُ] মূল  : ইমাম  ...

Read more »