মুনাফেকদের প্রতি মনের টান


আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, আমি যদি আপনাকে সুদৃঢ় না রাখতাম তাহলে আপনি তাদের প্রতি সামান্য ঝুঁকে পড়তেন। আর এজন্য আপনাকে আমি জীবনের ও মৃত্যুর দ্বিগুণ স্বাদ গ্রহণ করতাম। এই আয়াতখানার প্রকাশ্য অর্থ এই যে, মুনাফেকদের প্রতি হুজুর আকরম (ﷺ) এর মনের টান হয়ে গিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কঠিন আযাবের উপযােগী হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু আল্লাহ তায়ালা তাকে হেফাযত করেছেন এজন্য তিনি তাদের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রয়েছেন। এটা খারাপ একটা ধারণা। এরকম ধারণা সর্বদা পরিত্যাজ্য। আয়াতখানা প্রকৃত অর্থ হবে এরকম, আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে যদি হুজুর পাক (ﷺ) এর ছবিতে কওমী ও ইসমত না থাকতো, তাহলে তাদের নিকটত্বের দিকে, তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ প্রতি তিনি ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু যেহেতু আল্লাহ পাকের ইসমত হুজুর পাক (ﷺ) এর সঙ্গে ছিল। এজন্য ইসমত তাকে মুনাফিকদের প্রতি ঝুকে পড়া থেকে বিরত রেখেছে।


এখানে একথা স্পষ্ট হওয়া দরকার যে,হুজুর পাক (ﷺ) তাদের সে প্রবৃত্তিপরায়ণতা গ্রহণ করার ইচ্ছাও করেন নি। আম্বিয়া কেরামগণ থেকে গােনাহ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে আলােচনা পূর্বেও করা হয়েছে। শরয়ী ভাবেই হোক বা আকলের দিকে থেকেই হােক, কোনোক্রমেই গুনাহ সংঘটিত হওয়ার সম্পর্ক আম্বিয়া কেরামের দিকে সংযুক্ত করা জায়েয নয়।কেননা ইসমত হচ্ছে আল্লাহ পাকের হেফাজত আর ইসমত এখতিয়ারকে বাতিল করুন। নবীগণ দ্বারা গোনাহ সংঘটিত হওয়ার প্রতিবন্ধক হয় ইসমতে এলাহী। কাজেই সাব্যস্ত হয়ে গেলাে যে, সমস্ত নবীগণ মাসুম এবং হুজুর পাক (ﷺ) কে ও আল্লাহপাক এর উপর প্রতিষ্ঠিত রেখেছিলেন। বরং আয়াত দ্বারা হুজুর পাক (ﷺ) পরিপূর্ণ পবিত্রতার গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। এবং এটা বোঝানো হয়েছে যে, তার সাথে হেফাজতে ইলাহী, ইসমত ও মহব্বত ছিলাম। এই আয়াত দ্বারা কোন রূপ ধমক, কঠোরতা, তিরস্কার করা বোঝানো হয়নি।


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 


© | সেনানী এপ্স |

Top