হজরত নূহ (عليه السلام) ও রসুলে পাক (ﷺ)
আল্লাহ্তায়ালা হজরত নূহ (عليه السلام)কে এই মর্যাদা দান করেছিলেন যে, তাঁর মাধ্যমে ইমানদারেরা পানিতে নিমজ্জিত হওয়া থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিলেন। আর আমাদের নবী সাইয়্যেদে আলম (ﷺ)কে এই মর্যাদা দান করা হয়েছে যে, তাঁর উম্মতকে আসমানী আযাবের মাধ্যমে সাধারণভাবে ধ্বংস করা হবে না। হকতায়ালা এইমর্মে এরশাদ করেন ‘আল্লাহ্তায়ালার শান এরূপ নয় যে, আপনি উম্মতের মধ্যে উপস্থিত, অথচ আল্লাহ্ আপনার উম্মতকে আযাব দিবেন।’
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (رحمة الله) তাঁর তাফসীরে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ্তায়ালা হজরত নূহ্ (عليه السلام)কে মর্যাদামণ্ডিত করেছেন তাঁর কিশতীকে পানির উপর নিরাপদে রাখার মাধ্যমে। আর আমাদের পয়গম্বর সাইয়্যেদে আলম (ﷺ)কে সম্মান প্রদান করেছেন এভাবে- একদিন রসুলে আকরম (ﷺ) দেখলেন, ইকরামা ইবনে আবু জাহেল নদীর কিনারে বসে আছেন। ইকরামা রসুলেপাক (ﷺ)কে লক্ষ্য করে বললেন, আপনি যদি সত্য নবী হয়ে থাকেন, তাহলে নদীর অপর কিনারে যে পাথরটি দেখা যাচ্ছে তাকে হুকুম করুন, সে যেনো সাঁতার কেটে এপারে চলে আসে এবং যেনো ডুবে না যায়। রসুলেপাক (ﷺ) পাথরকে ইশারা করলেন, আর অমনি পাথরটি পানির উপর ভাসতে ভাসতেরসুলেপাক (ﷺ) এর সামনে এলো এবং তাঁর নবুওয়াতের সাক্ষ্য দিলো। রসুলেপাক (ﷺ) তখন ইকরামাকে বললেন, ইকরামা, খুশী হয়েছো? এটুকুইতো যথেষ্ট। ইকরামা বললেন, এখন আপনি আবার তাকে হুকুম করুন, সে যেনো তার আপনজায়গায় ফিরে যায়। রসুলেপাক (ﷺ) পাথরকে আবার ইশারা করলে, সে পানিতে ভেসে সাঁতার কাটতে কাটতে অপর পারে চলে গেলো এবং আগের স্থানে স্থির হলো। কাষ্ঠনির্মিত নৌকা পানিতে ভাসার চেয়ে প্রস্তরখণ্ডের পানিতে ভাসা ও আপনাআপনি সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়া অধিকতর বিস্ময়কর। এর দ্বারা অলৌকিকত্বের অধিকারী এই পয়গম্বরের প্রাধান্য সুস্পষ্ট হয়ে পড়ে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |