পরাক্রম প্রকাশ ও রবুবিয়াতের প্রাধান্য
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান, যদি আমার সম্পর্কে কোন বানানো কথা বলতেন, তবে আমি ডান হাত দিয়ে ধরে ফেলতাম এবং ঘাড়ের রগ কেটে ফেলতাম। -এ আয়াতখানার অর্থ এরকম দাঁড়ায়, যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, রাসূল (ﷺ) যদি নিজের তরফ থেকে কোন বাক্য তৈয়ার করে আল্লাহ তায়ালার বাণী বলে চালিয়ে দিতেন, তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে দক্ষিণ হাত দিয়ে ধরে ফেললেন অর্থাৎ অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে পাকড়াও করতেন এবং তাঁর শাহরগ কেটে ফেলতেন— তাকে হত্যা করে ফেলতেন। এদ্বারা হুজুর পাক (ﷺ) এর প্রতি আল্লাহতায়ালার আযাব আরােপিত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। রাজা বাদশাগণের বেলায় এরকম হয়ে থাকে। তারা কারও উপর রাগান্বিত হলে তখন এরকম শাস্তির কথা বলে থাকেন। কিন্তু এটা হচ্ছে বাহ্যিক অর্থ। কিন্তু আল্লাহতায়ালা এখানে এরপর অর্থে আয়াত নাযিল করেননি। হুজুর পাক (ﷺ) এর চূড়ান্ত সত্যবাদিতা এবং আল্লাহতায়ালা সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে এরকম মুবালাগার সাহায্যে বাণী পেশ করা হয়েছে। তবে এই আয়াতেও অন্যান্য আয়াতের মতাে হুজুর পাক (ﷺ) এর বুযুগী ও শান মর্যাদা বুঝানাের সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার পরাক্রম ও রবুবিয়াতের প্রাধান্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই আয়াত হুজুর পাক (ﷺ) এর চরিত্রের প্রতি যে অপবাদ দেয়া হয়েছে, তার অবান্তর ও তার প্রতি আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ মহব্বত এর দিকে ইঙ্গিত প্রদান করে। প্রকৃত প্রস্তাবে অপবাদ দানকারী ও মিথ্যা প্রতিপন্নকারী দের প্রতি এদ্বারা তারীয় (হুশিয়ার) করা হয়েছে যাতে করে তারা সাবধান হয়ে যায়। যে কোনো অবস্থাতেই আমাদের উচিত যেনাে আদবের অঞ্চল হস্তচ্যুত না হয়, সাথে সাথে যেনা রসনাও নিয়ন্ত্রণে থাকে, কারণ এটি প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ এর মধ্যস্থিত বিষয়।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |