পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা সুনাতে জায়েঙ্গে

[ইমাম আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله)]


উচ্চারণ   


পেশে হক মুঝদা শাফাআত কা সুনাতে জায়েঙ্গে, 

আপ রােতে জায়েঙ্গে হামকো হাঁসাতে জায়েঙ্গে ।। 


দিল নিকল জানে কী জা হ্যায় আ-হ কিন আখোঁ সে উঅহ, 

হামসে পেয়াসোঁ কে লিয়ে দরইয়া বাহাতে জায়েঙ্গে ॥ 


কুশতগানে গরমিয়ে মাহশার কো উঅহ জানে মসীহ্, 

আজ দামান কী হাওয়া দে কর জিলাতে জায়েঙ্গে ॥ 


গুল খিলে গা আজ ইয়ে উনকী নসীমে ফয়য সে,

খােন রােতে আ-য়েঙ্গে হাম মুসকুরাতে জায়েঙ্গে ॥ 


হাঁ চলাে হাসরাতযাদো সুনতে হ্যাঁয় উঅহ্ দিন আজ হ্যায়,

থী খবর জিস কী কেহ্ উঅহ জলওয়া দেখাতে জায়েঙ্গে ॥ 


আজ ঈদে আশেকাঁ হ্যায় গর খােদা চাহে কেহ্ উঅহ,

আবরােয়ে পাইওয়াস্তাহ্ কা আলাম দিখাতে জায়েঙ্গে, 


কুচ খবর ভী হ্যায় ফকীরাে আজ উঅই দিন হ্যায় কেহ্ উহ,

নে'মাতে খুলদ আপনে সদকে মে লুটাতে জায়েঙ্গে ॥ 


খাকে উফতাদো বস ঊনকে আ-নে হী কী দের হ্যায়,

সাজাদাহ্ মে উঅহ্ খােদগির কর তুম কো উঠাতে জায়েঙ্গে ॥ 


ওয়াসআতেঁ দী হ্যায়ঁ খােদা নে দামানে মাহবুব কো,

জুর্ম খুলতে জায়েঙ্গে আওর উঅহ্ ছুপাতে জায়েঙ্গে ॥ 


লাে উঅহ আ-য়ে মুসকুরাতে হাম আসীরোঁ কী তরফ, 

খিরমানে ইসইয়াঁ পর আব বিজলী গিরাতে জায়েঙ্গে ॥ 



কাব্যানুবাদ 


আল্লাহ তায়ালর সামনে সেদিন করতে রইবে শাফাআত,

কাঁদবে নিজে চাইবে উম্মত পায় যেন হাসি,নাজাত ।। 


কান্না এমন দীর্ণ হৃদয়,অশ্রুধারা প্রাণ যে না সয়, 

উম্মতের তৃষ্ণা মেটাতেই নবীজির এ অশ্রুপাত ॥ 


মাহশরে প্রাণ ওষ্টাগত,তাঁর ছোঁয়াতে ফের জীবন্ত,

দামানের ঠান্ডা হাওয়াতে সে দিন দেবে আবে-হায়াত ।।


আনবে রােদন রহমতের জোশ,খুলবে কপাল, ফুল হবে দোষ,

রক্ত-অশ্রু বর্ষে নবী আনবে মােদের খােশবরাত ॥ 


হ্যাঁ,চলাে হে দুঃখে হতাশ,আজ হাশর যে দুঃখ-বিনাশ,

দেখব নবীর শান কারিশমা, রূপ দেখাবে নূরী -যাত ॥ 


আজ খুশীর ঈদ আশেকানের,চাইলে প্রভূ দো'জাহানের, 

মর্যাদার হবে সে মিছিল, পড়বাে নবীর পিছে না’ত ॥ 


খবর আছে কী,সম্বল হীন, আজ কেমন সে দিন,হাশরের,

উম্মতে নেয়ামত বেহেশতী বিলাবে নূরানী হাত ॥ 


ভেবােনা হে দুঃখী উম্মত,আসার দেরী শুধুই হযরত, 

পড়বে সেজদায় নূর নবীজি, আনবে উম্মতের নাজাত ॥ 


করল প্রভূ কী প্রশস্ত,তাঁর হাবীবের দামান-দস্ত, 

উম্মতের পাপ হােক না যত, লুকাবে সে আখেরাত ॥ 


ওই আসে হাসি হাসিমুখ,কয়েদী পাবে মুক্তিরই সুখ,

পাপেরই স্তুপ নাশে তাঁর রহমতেরই রশ্মি পাত ॥ 


আঁখ খােললা গমযদো দেখাে উঅহ গিরইয়াঁ আয়ে হ্যায়ঁ,

লওহে দিল সে নকশে গম কো আব মিটাতে জায়েঙ্গে ॥ 


সােখতাহ্ জানোঁ পেহ্ উঅহ পুর জোশে রহমত আয়ে হ্যাঁ,

আবে কাউসার সে লাগী দিল কী বুঝাতে জায়েঙ্গে ॥ 


আফতাব উনকা হী চমকে গা জব আওরোঁ কে চেরাগ, 

সরসরে জোশে বালা সে ঝিলমিলাতে জায়েঙ্গে ॥ 


পায়ে কোবাঁ পুল সে গুরেংগে তেরী আওয়ায পর, 

রাব্বি সাল্লিম কী সদা পর ওয়াজদ লাতে জায়েঙ্গে ॥ 


সরওয়ারে দী লীজে আপনে না-তাওয়ানোঁ কী খবর, 

নফস্ ও শয়তাঁ সাইয়েদা কব তক দবাতে জায়েঙ্গে॥ 


হাশর তক ডালেংগে হাম পয়দাইশে মাওলা কী ধূ-ম, 

মিসলে ফারেস নজদ কী ক্বিল-এ গিরাতে জায়েঙ্গে ॥ 


খাক হাে জায়ে আদুভ জল কর মগর হাম তাে রেযা, 

দম মে জব তক দম হ্যায় যিকির উনকা সুনাতে জায়েঙ্গে॥ 


খােললা আঁখি,হে গােনাগার,ক্রন্দসী চোখ দেখাে হে তাঁরে,

মানসপটে ব্যথার এই দাগ তুলবে তাঁরই মুনাজাত ॥ 


আসবে নবী দগ্ধ হিয়ায়, প্লাবন তাঁর রহমত-দরিয়ায়, 

‘আবে-কাওসার’ দেয় নিভিয়ে দুঃখীপ্রাণের অগ্নিপাত ॥ 


তাঁরই রােশনী রইবে সেদিন, অন্য প্রদীপকুল সে অচিন, 

ঝড় তুফানে, সংকটে ‘নিভূ নিভূ' যায়, যায় হায়াত ॥ 


সেদিন শুনলে শব্দ তােমার, নির্ভাবনায় হবাে যে পার,

'রাব্বি সাল্লিম’দোয়ায় তুমি, আমরা পার হই পুলসিরাত ॥ 


বাদশাহ্ ওগাে দো জাহানের, নাও খবর এই অসহায়ের,

কদিন রইব মন্দ সত্তায়, শয়তানে করবে আঁতাত ॥ 


হাশর তক করবাে যে পালন, মীলাদে মােস্তফার পার্বন, 

সেই পারস্যের মতই নজদের কেল্লা ভাঙব, করব মাত ॥ 


জ্বলে দুশমন হােক না অঙ্গার; কিন্তু এ প্রতিজ্ঞা রেযা’র,

রয় যতক্ষণ এ বুকে দম থাকবে মুখে যিকর ও না’ত ॥ 


________________________________

    ©  ইসলামী বিশ্বকোষ | সুন্নি-বিশ্বকোষ 


Top