ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  
২২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ    
📌পরিচ্ছদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন

৯৮
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ الْبَغْدَادِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، عَنِ إِسْرَائِيلَ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ عَلَى يَسَارِهِ " .

জাবির ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বাম কাধে (হেলান দেয়া অবস্থায়) দেখেছি। [৯৯]

[৯৯] আবু দাউদ, হা/৪১৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০১৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৮৯; মুসনাদে বাযযার, হা/৪২৭২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১২৬; মিশকাত, হা/৪৭১২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
 
📌পরিচ্ছদঃ
হাদীস বর্ণনার সময়ও বালিশে হেলান দিতেন

৯৯
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَلا أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ؟ " قَالُوا : بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ : " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ " . قَالَ : وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَكَانَ مُتَّكِئًا ، قَالَ : " وَشَهَادَةُ الزُّورِ ، " أَوْ " قَوْلُ الزُّورِ " ، قَالَ : فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا : لَيْتَهُ سَكَتَ .

আবু বাকরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে বলব না? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ- হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা ও পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীস বর্ণনার সময় তিনি বালিশে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, আর মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা অথবা মিথ্যা বলা (-ও কবীরা গুনাহ)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বারবার বলতে থাকেন। এমনকি আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম যে, আহ! যদি তিনি চুপ করতেন। [১০০]

🔴ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ তিনটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর তালিকা এ তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিভিন্ন হাদীসে আরো কতিপয় কাজকে 'কবীরা গুনাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- খাবারে শরীক হওয়ার ভয়ে বা ভরণ পোষণের ভয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করা, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা প্রভৃতি। 
কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা : 
গুনাহ দু'প্রকার। ১. কবীরা, ২. সগীরা। শরীয়তে যে পাপ কাজের জন্য কোন শাস্তির বিধান রয়েছে, তা করা কবীরা বা বড় গুনাহ। কেউ কেউ বলেন, কুরআন হাদীসে যে গুনাহ সম্পর্কে কঠোর ধমকি দেয়া হয়েছে যদিও শাস্তির কথা বলা হয়নি, সেটি কবীরা।

[১০০] সহীহ বুখারী, হা/২৬৫৪; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৪১০; আদাবুল মুফরাদ, হা/১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৯৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
 
📌পরিচ্ছদঃ
তিনি কখনো ঠেস দেয়া অবস্থায় খেতেন না

১০০
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكٌ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَمَّا أَنَا , فَلا آكُلُ مُتَّكِئًا " .

আবু জুহায়ফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে আহার করি না। [১০১] 

ব্যাখ্যা : ‘আমি হেলান দিয়ে আহার করি না’ এ উক্তিটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ জন্য বলেছেন, মানুষ যেন তার অনুসরণ করে।

[১০১]মুসনাদুল বাযযার, হা/৪২১৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৭০৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৭০৬; মুজামুল কাবীর, হা/১৭৮০২; ইবনে হিব্বান, হা/৫২৪০
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
 
১০১
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ "

জাবির ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)জ-কে বালিশের উপর হেলান দেয়া অবস্থায় দেখেছি. [১০২]

🔴 ব্যাখ্যাঃ - এ হাদীস থেকে বুঝা যায়, আহার ছাড়া অন্য সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেলান দিয়ে বসতেন।

[১০২]আবু দাউদ, হা/৪১৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০১৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১২৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৮৯
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
Top