কোন কোন নবী (عليه السلام)-এর স্মরণে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সূচনা হলো ?
回 আম্বিয়া (عليه السلام)-এর স্মরণে (যিকরে): পাঁচ ওয়াক্ত নামায
ইমাম আল-তাহাবী (হিজরী ২২৯-৩৩১ সাল) পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ব্যাপারে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আয়েশা (رحمة الله)-এর একটি বক্তব্য বর্ণনা করেন তাঁরই রচিত ‘শারহ মা’আনী আল-আসা’র’ গ্রন্থে, যা’তে তিনি উল্লেখ করেন:
回 [১] ফজরের নামায: পয়গম্বর আদম (عليه السلام)-এর স্মরণে
ভোরে (ফজরের ওয়াক্তে) পয়গম্বর আদম আলাইহিস্ সালামের তওবা যখন কবূল করা হয়, তখন তিনি দুই রাক’আত নামায (কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে) আদায় করেন; ফলে এটা ফজর ওয়াক্তের নামায হিসেবে পরিণত হয়।
回 [২] যোহরের নামায: পয়গম্বর ইবরাহীম (عليه السلام)-এর স্মরণে
পয়গম্বর ইবরাহীম আলাইহিস্ সালাম দুপুরে তাঁর পুত্র পয়গম্বর এসহাক্ব আলাইহিস্ সালামের জন্ম দ্বারা আশীর্বাদধন্য হলে চার রাক’আত নামায আদায় করেন; ফলে এটা যোহর ওয়াক্তের নামায হিসেবে পরিণত হয়।
回 [৩] আসরের নামায: পয়গম্বর উযায়র (عليه السلام)-এর স্মরণে
পয়গম্বর উযায়র আলাইহিস্ সালামকে এক ’শ বছর পরে পুনরুত্থিত করে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘কতোকাল তুমি এই অবস্থায় ছিলে?’ তিনি আরয করেন, ‘একদিন বা তার কিয়দংশ।’ অতঃপর তিনি চার রাক’আত নামায (শোকরানা) নামায আদায় করেন। এটাই ’আসর ওয়াক্তের নামায হিসেবে পরিণত হয়।
回 [৪] মাগরেবের নামায: পয়গম্বর দাউদ (عليه السلام)-এর স্মরণে
বর্ণিত আছে যে সর্ব-পয়গম্বর উযায়র (আলাইহিস্ সালাম) ও দাউদ (আলাইহিস্ সালাম)-কে সূর্যাস্তের সময় ঐশী ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়। তাঁরা চার রাক’আত নামায আদায় করার নিয়্যত করেছিলেন, কিন্তু (শারীরিক) দুর্বলতা বা ক্লান্তির কারণে তৃতীয় রাক’আত-শেষে বসে থাকেন (নামায পুরোপুরি সম্পন্ন করতে অক্ষম হয়ে)। ফলে এটা মাগরেব ওয়াক্তের নামায হিসেবে পরিণত হয়, যা তিন রাক’আতবিশিষ্ট।
回 [৫] ’এশার নামায: মহানবী (ﷺ)-এর স্মরণে
’এশা’র নামায, যেটা দিনের সর্বশেষ প্রার্থনা, সেটা যিনি সর্বপ্রথম আদায় করেন তিনি হলেন আমাদের মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম।
[মূল কিতাবঃ– ইমাম আল-তাহাবী কৃত ‘শারহ মা’আনী আল-আসা’র’: কিতাব আস্ সালাহ (নামাযের বই), অধ্যায়: ‘মধ্য প্রার্থনা তথা নামায’, ১:২২৬ #১০১৪]