সত্তরটি কবিরা গুনাহ 


যে সকল কাজ আল্লাহ ও তার রসুল (ﷺ) কতৃক হারাম হওয়ার অকাট্য দলীল পাওয়া যায় সে গুলিই কবিরা গুনাহ৷


অত্যন্ত গুরুতর কবিরা গুনাহ ৭ টি : 


তার দলীল হচ্ছে হুজুর (ﷺ) বলেছেন,

"তোমরা ৭ টি পাপ থেকে বেঁচে থাকঃ

১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করোনা। 

২) যাদু টোনা বা কুফুরী কালাম করোনা। 

৩) অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করোনা। 

৪) ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করোনা। 

৫) সুদ খেওনা। 

৬) যুদ্ধক্ষেএ থেকে পলায়ন করোনা। 

৭) সতী সাধ্বী সরলমতি মুমিন নারীর উপর যিনার অপবাদ দিয়োনা।" (বুখারী, মুসলিম)


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেছেন কবিরা গুনাহ ৭০ টি :

১) শিরক করা। 

২) মানুষ হত্যা করা। 

৩) যাদু টোনা করা বা কবিরাজ দিয়ে যাদু করে অন্য মানুষকে কষ্ট দেওয়া বা স্বার্থ উদ্ধার করা। 

৪) নামাজে অবহেলা করা। 

৫) যাকাত না দেওয়া। 

৬) সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্জ না করা। 

৭) বিনা ওযরে রমজানের রোজা ভঙ্গ করা। 

৮) পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া। 

৯) রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্ন করা। 

১০) যিনা-ব্যভিচার করা। 

১১) লাওয়াতাত বা সমকামিতা 

১২) সুদের আদান প্রদান 

১৩) ইয়াতিমের মাল আত্মসাৎ বা তার উপর জুলুম করা। 

১৪) আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি মিথ্যারোপ করা। 

১৫) জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা। 

১৬) শাসক কর্তৃক জনগনের উপর জুলুম করা। 

১৭) গর্ব অহংকার করা। 

১৮) মদ্যপান বা নেশাখুরী করা। 

১৯) মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। 

২০) জুয়া খেলা। 

২১) সতী সাধ্বী সরলমতি মুমিন নারীর উপর যিনার অপবাদ দেয়া। 

২২) সরকারী মাল বা সম্পদ আত্মসাৎ করা। 

২৩) চুরি করা। 

২৪) ডাকাতি করা।

২৫) মিথ্যা শপথ করা ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে

শপথ করা। 

২৬) যুলুম বা কারো উপর অত্যাচার করা।

২৭) জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা। 

২৮) হারাম খাওয়া ও যে কোন হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও ভোগ দখল করা।

২৯) আত্মহত্যা করা। 

৩০) কথায় কথায় মিথ্যা বলা। 

৩১) বিচার কার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া। 

৩২) ঘুষ খাওয়া। 

৩৩) পোষাক-পরিচ্ছেদ নারী পুরুষের সাদৃশ্যপূর্ন বেশভুষা গ্রহণ করা। 

৩৪) নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচার

প্রশ্রয় দান করা। 

৩৫) প্রস্রাব- পায়খানা থেকে সুন্নত তরিকায় পবিত্র না হওয়া। 

৩৬) তালাক প্রাপ্ত মহিলাকে চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করা। 

৩৭) রিয়া বা লোক দেখানোর জন্য সৎ কাজ করা। 

৩৮) দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করা বা ইলম গোপন করা। 

৩৯) আমানতের খেয়ানত করা। 

৪০) দান - খয়রাতের খোটা দেয়া। 

৪১) তকদিরকে অবিশ্বাস করা। 

৪২) কান পেতে অন্য লোকের গোপন কথা শোনা। 

৪৩) চোগলখুরি করা। 

৪৪) বিনা অপরাধে কোন মুসলমানকে অভিশাপ ও গালি দেয়া। 

৪৫) ওয়াদা খেলাপ করা। 

৪৬) গনকের কথা বিশ্বাস করা। 

৪৭) স্বামীর অবাধ্য হওয়া। 

৪৮) প্রাণীর প্রতিকৃতি বা ছবি আঁকা 

৪৯) বিপদে উচ্চস্বরে বিলাপ করা। 

৫০) বিদ্রোহ , দম্ভ ও অহংকার প্রকাশ করা। 

৫১) দাস-দাসী, দুর্বল শ্রেণীর মানষ এবং জীবজন্তুর সাথে নিষ্ঠুর আচরন করা। 

৫২) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া। 

৫৩) মুসলমানদের কষ্ট দেয়া। বা গালি দেয়া। 

৫৪) আল্লাহর বান্দদের কষ্ট দেয়া। 

৫৫) অহংকার ও গৌরব প্রকাশের জন্য পায়ের টাখনুর নীচে পোষাক পরা। 

৫৬) পুরুষের স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় পড়া। 

৫৭) মুনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন। 

৫৮) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু পাখি যবেহ করা। 

৫৯) যে পিতা নয়, তাকে জেনে শুনে পিতা বলে পরিচয় দেয়া। 

৬০) বাদানুবাদ বা ঝগড়া করা। 

৬১) প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে না দেয়া। 

৬২) মাপে ও ওজনে কম দেয়া। 

৬৩) আল্লাহর আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন থাকা ৬৪) আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া। 

৬৫) বিনা ওযরে নামাজের জামা'য়াত ত্যাগ করা এবং একাকী নামাজ পড়া। 

৬৬) ওযর ছাড়া জুম'আ এবং জা'মাআত ত্যাগ করার

উপর অটল থাকা। 

৬৭) উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা। 

৬৮) ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরী, প্রতারণা করে মানুষ ঠকানো 

৬৯) মুসলমানদের উপর গোয়েন্দাগিরী করা এবং তাদের গোপন বিষয় প্রকাশ করে দেয়া। 

৭০) সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া।


তথ্যসুত্রঃ

[কিতাবুল কাবায়ের - ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী (رحمة الله)]


Top