হুজুর পাক (ﷺ) এর শ্রুতিগত প্রখরতা
হুজুর আকরাম (ﷺ) এর শ্রবণ শক্তি সম্পর্কে এক হাদীসে বর্ণনা এসেছে আমি ঐ সমস্ত জিনিস দেখতে পাই, যা তােমরা দেখতে পাওনা। আর আমি ঐ সমস্ত ধ্বনি শুনতে পাই যা তােমরা শুনতে পাওনা। আমি আকাশের আতিয়াত (ঊর্ধ্বজগতে এক বিশেষ প্রকার ধ্বনি) ও শুনতে পাচ্ছি। উটের পালানের (গদির কাঠ) আওয়া, খালি পাকস্থলীর আওয়ায। (দুঃখ কষ্টে পড়ে উট যে আওয়ায করে বা এজাতীয় অন্যান্য আওয়াজ অতীত বলা হয়)। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, আকাশও আওয়াজ করার উপযোগী। কেননা নভোমন্ডলে অর্ধ হাত (বা এক বর্ণনায় আছে চার আঙ্গুল) জায়গাও এরূপ নেই যেখানে ফেরেশতাগণ সেজদা করেনা। এক বর্ণনায় আছে, আকাশের অগনিত ফেরেশতা কেউ সেজদারত আবার কেউ কিয়াম রত অবস্থায় রয়েছে। সীরাতের কিতাব সমূহে নবী করীম (ﷺ) এর শ্রবণ-শক্তি সম্পর্কে পুরোপুরি বর্ণনা এবং তার যথাযথ অবস্থা আলােচনা করা হয় নি। তবে হাঁ জামে সগীর' কিতাবে এতটুকু বর্ণনা আছে যে, হুজুর আকরাম (ﷺ) এর শ্রবণ ক্ষমতা অত্যন্ত পরিপূর্ণ ছিলাে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী]
© | সেনানী এপ্স |