শহরে হারামের কসম
উলামায়ে কেরাম বলেন, নবী করীম (ﷺ) ব্যতীত আল্লাহ তায়ালা অন্য কোনাে নবী সম্পর্কে আসমানী কিতাবে শপথবাণী উচ্চারণ করেননি। পবিত্র কুরআনে আছে কাফেররা যে রকম ধারণা করেছে ও রম নয়, আমি কসম করছি এ শহরের, আর আপনি এ শহরের বৈধ নাগরিক। এই আয়াতে রসূলে কারীম (ﷺ) এর সম্মান ও মর্যাদার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। হকতায়ালা এমন এক শহরের কসম করে বলছেন, যাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে শহরে হারাম বা শহরে আমীন বলে। উক্ত শহর অর্থাৎ মদীনা মুনাওয়ারার ভাগ্যে এহেন মর্যাদা ইতিপূর্বে ছিলােনা। নবী করিম (ﷺ) যখন এই শহরে তাশরীফ আনয়ন করলেন, তারপর থেকেই এ শহরের ভাগ্যে এই পবিত্র নাম সংযোজিত হলে। সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার নিকট এই শহর সম্মানিত হয়ে গেলাে। উল্লেখিত প্রেক্ষাপট থেকেই এই প্রবাদটির প্রসিদ্ধি জায়গার মর্যাদা সূচিত হয় তার অধিবাসীদের মাধ্যমে।
পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে কসম জন্মদাতা ও তার সন্তানের। এই আয়াতেও যে কসম করা হয়েছে তাতে হুজুর পাক (ﷺ) এর প্রতি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কেননা ওয়ালিদ (জন্ম দাতা) শব্দ দ্বারা যদি হযরত আদম (عليه السلام) কে বুঝানাে হয়ে থাকে, তাহলে মা ওয়ালাদ (সন্তান) দ্বারা আদম (عليه السلام) এর বংশে নবী করীম (ﷺ) কে বুঝানাে হয়েছে। যেহেতু তিনি সাধারণভাবে আদম (عليه السلام) এর বংশের একজন। আর যদি ওয়ালাদ দ্বারা হজরত ইব্রাহীম (عليه السلام) কে বুঝানাে হয়ে থাকে, তাহলে মা ওয়ালাদ দ্বারা তাঁর বংশধর হুজুর আকরম (ﷺ) কে বুঝানাে হয়েছে। মােটকথা, এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা তার হাবিব (ﷺ) এর কসম দু'বার ব্যক্ত করেছেন।
মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাব উলামায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন, হজরত ওমর ইবন খাত্তাব (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত আছে, একদা আমি হুজুর আকরম (ﷺ) এর কাছে আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমার পিতামাতা আপনার উদ্দেশ্যে কুরবান হােক! আপনার শান, মর্যাদা আল্লাহ তায়ালার নিকট এরকম যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার জিন্দেগীর কসম পর্যন্ত করেছেন। অথচ আর কোনো নবীর জীবন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কসম করেননি। হকতায়ালার নিকট আপনার মর্যাদা এতদূর যে, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি কসম করছি এই শহরের। অর্থাৎ এটি এমন শহর যার মৃত্তিকা আপনার পদস্পর্শে ধন্য, তাই তো এ শহরের কসম। এই শহরের কসম এ কথার অর্থ এমন দাঁড়ায় হুজুর পাক (ﷺ) এর পবিত্র পদযুগলের যে মাটি লেগেছে আল্লাহপাক সেই মাটির কসম করেছেন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখলে কথাটি আল্লাহপাকের শানে ব্যবহার করাটা কেমন বেমানান মনে হয়। কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে তার সমাধান সহজেই করা সম্ভব। কেননা, প্রকৃতপ্রস্তাবে প্রতিটি ধূলিকণা যার হাকীকত হচ্ছে পাকপবিত্র হওয়া। আর আল্লাহ তায়ালা সেই পবিত্র জিনিসের কসম করেছেন, যা পবিত্র কদমের সংস্পর্শ পেয়েছে। ব্যাপার এর সূক্ষ্মতা হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তায়ালা তার স্বীয় জাত ও সিফাত ব্যতীত অন্য যতাে বস্তুর নামে কসম করেছেন, সেগুলির উদ্দেশ্য হলাে অন্যান্য বস্তু থেকে উক্ত বস্তুর আভিজাত্য ও মর্যাদাকে স্বতন্ত্ররূপে প্রতিভাত করা। এর অর্থ এই নয় যে, উক্ত বস্তু আল্লাহতায়ালার চাইতে শ্রেষ্ঠ যে কারণে আল্লাহতায়ালা তার কসম করেছেন। এসব ক্ষেত্রে বস্তুটির স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করাই কসমের উদ্দেশ্য, যাতে মানুষ বস্তুর মহিমা ও সম্মান সম্পর্কে হুঁশিয়ার হয়ে যায়। যেমন আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বস্তুর নামে কসম করেছেন। কখনও তিনি স্বীয় জাত ও সিফাতের কসম করেছেন। কখনও আবার কোনাে কোনাে সৃষ্ট বস্তুর কসম করেছেন, যে গুলো আল্লাহ তায়ালার জাত ও সিফাতের মহত্ব প্রকাশক। যেমন, আকাশ, পৃথিবী, দিন, রাত ইত্যাদি। এগুলি হচ্ছে আল্লাহপাকের মহান নিদর্শন ও তার অসীম কুদরতের প্রমাণ।
এছাড়া আল্লাহপাক তারকা, নক্ষত্র, সূর্য, চন্দ্র ইত্যাদির শপথও করেছেন। এগুলি হচ্ছে আল্লাহপাকের নূরের বিকাশস্থল। তাদের বহিঃপ্রকাশের উদ্দেশ্য জগতকে উজ্জ্বল করা এবং মানবীয় বংশধারার কল্যাণকে সুদৃঢ় করা ও প্রকৃত পথ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার অবলম্বন ও কারণ। তাছাড়া আকাশ জগতে শয়তানকে বিতাড়িত করারও ও মাধ্যম আবার কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তায়ালা এমন কিছুর কসম করেছেন, যে সম্পর্কে অবহিত হতে মানুষের দৃষ্টি ও চিন্তা চেতনা বিমূঢ়। এজাতীয় বস্তুর কসমও আল্লাহ তায়ালা পেশ করেছেন যেমন তীন, জয়তুন। কে জানে, আল্লাহতায়ালা এ সমস্ত বস্তুর শপথের মধ্যে কি বিশাল রহস্য রেখে দিয়েছেন? তবে এটা নিশ্চিত যে, এ সমস্ত শপথের মাধ্যমে শপথকৃত বস্তুর স্বতন্ত্র মর্যাদা চিহ্নিত করাই উদ্দেশ্য। মানুষের ক্ষেত্রেও অর্থাৎ মহানবী (ﷺ) এর শানে যে শপথ বাক্য উচ্চারণ করা হয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে এরকমই মূলনীতি প্রযােজ্য হবে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |
🔴🔴🔴🔴
সময়ের কসম
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, কালের কসম, মানুষ নিঃসন্দেহে ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।' (সূরা আছর)। 'আছর' শব্দটির তাফসীর সম্পর্কে মুফাসফিরগণের ভিতর মতানৈক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেন আছরের অর্থ যমানা বা কাল। তবে সাররাহ নামক কিতাবে বলা হয়েছে দিবারাত্রির আবর্তন বিবর্তনের নাম হচ্ছে আছর। আর এরকম আবর্তন বিবর্তনকেই এককথায় দাহর বা যুগ বলা হয়। সুক্ষ্ ও আশ্চর্যজনক ঘটনাকেও আবার দাহর বলা হয়, যার বর্ণনা প্রদান ও সংখ্যা নিরূপণ করতে রসনা অক্ষম। আল্লাহ পাক বলেন, 'যমানাকে গালি দিওনা। কেননা যমানা আমি। এই হাদীসে কুদসীর আলােকে সূচিত হয় যে যমানা বা কালেরও মর্যাদা আছে। সময় ও প্রকৃতি রয়েছে লাভ-লােকসান, সুস্থতা-অসুস্থতা, বিপদাপদ শাস্তি ইত্যাদি। যেমন আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে বিদ্যমান। কিন্তু যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারা নয়।
আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে সময়ের কসম করেছেন। যেমন 'লা উকসিমু বিহা যাল বালাদ' দ্বারা শহরের কসম করেছেন এবং লাভজনক দ্বারা হুজুর পাক (ﷺ) এর জীবনের কসম করেছেন। আলিফ লাম মীম' এর ভাবার্থ উদ্ধারের ক্ষেত্রে কয়েকটি মত আছে। তম্মধ্যে একটি হচ্ছে আলিফ এর অর্থ আল্লাহ, নামের অর্থ জিব্রাইল (عليه السلام) এবং মীমের অর্থ মুহাম্মদ (ﷺ)। এমনিভাবে এর ভাবার্থ হচ্ছে (আরবি) অর্থাৎ মুহাম্মদ (ﷺ) এর কলবের শক্তি। (আরবি) এর তাবীলও এরকমই। 'নজম' এর অর্থ মুহাম্মদ (ﷺ) এর পবিত্র কলব। (আরব) এর অর্থ অর্থাৎ নূরের মাধ্যমে সীনা সম্প্রসারিত হওয়া এবং আরেক অর্থ (আরবি) অর্থাৎ গায়রুল্লাহ থেকে কলব বিচ্ছিন্ন হওয়া। আবার 'হাওয়া' এর আরেক অর্থ উদিত হওয়া।
সূরা ওয়াল ফাজরিতে ওয়াল ফাজার দ্বারা কসম করা হয়েছে প্রত্যুষের আলোকরশ্মির। এ তাবীল সম্পর্কে মুফাসসিরে কেরাম বলেন, ফজরের অর্থ মােহাম্মদ (ﷺ) যার কাছ থেকে নূরের হট বিচ্ছুরিত হতে থাকে। আল্লাহতায়ালার বাণী, আপনি কি জানেন? রাতের আগন্তুক কে? তা হচ্ছে উজ্জ্বল তারকা। এই আয়াতে রাতের অতিথি বা উজ্জ্বল তারকা দ্বারা হুজুর পাক (ﷺ) কে বুঝানাে হয়েছে। রাত দ্বারা আরবের পথভ্রষ্টতা ও মুর্খতার অন্ধকারকে বুঝানাে হয়েছে। সে অন্ধকার সরিয়ে দিয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতাে হুজুর পাক (ﷺ) আরবের আকাশে উদিত হলেন। কসম কলমের এবং সে যা লিখে তার কসম' এই আয়াত দ্বারা হকতায়ালা শানুহু শপথ করে বলছেন, হুজুর পাক (ﷺ) তার প্রভু থেকে প্রাপ্ত নেয়ামতের (ইসলাম/কুরআন) ব্যাপারে উদাসীন নন। এরপর আল্লাহ হুজুর পাক (ﷺ) এর সীমাহীন পুরস্কারপ্রাপ্তির সুসংবাদ দিচ্ছি, '(নিশ্চয়ই আপনার জন্য রয়েছে সীমাহীন অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার। 'নূন' আরবী বর্ণমালার একটি বর্ণ। যেমন বর্ণমালার মাঝে রয়েছে আলিফ লাম মীম অথবা এও হতে পারে যে নূন' এটি সূরার নাম। অথবা আল্লাহ তায়ালার নাম হতে পারে। হরফে মুকাত্তাআত এর তাবীল ও তাফসীরের ক্ষেত্রে এর মত গ্রহণ করা হয়েছে। আবার কারও কারও মতে নূন একটি মাছের নাম। আল্লাহতায়ালা সে মাছের কসম করেছেন। উক্ত মাছটির পৃষ্ঠদেশে রয়েছে দুনিয়া। সে মাছটির নাম হচ্ছে বাহমুত'। সাইয়্যেদুনা হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, নূন' এর অর্থ দোয়াত। কেননা, দোয়াত কলম আর তাদের সাহায্যে যা লিখা হয় তার উপকারিতা অপরিসীম। এসম্পর্কে আরেক মত এরকমও আছে যে, নূন অর্থ নূরের একটি ফলক। যে ফলকে ফেরেশতাবৃন্দ আল্লাহতায়ালার তরফ থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় হুকুম লিপিবদ্ধ করে রাখে। হাদীছ শরীফে এসেছে কলম হচ্ছে আল্লাহতায়ালার কুদরতের নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন। সমস্ত মাখলুক সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহতায়ালা কলম সৃষ্টি করেছেন এবং এর মাধ্যমে মাখলুকাতের তাকদির লিপিবদ্ধ করেছেন।
যে কলমের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার দেয়া শরীয়ত ও ওহী লিপিবদ্ধ করা হয়, তার নমুনা হচ্ছে এজগতের সৃষ্ট কলম। এ কলমের মাধ্যমে দ্বীন ও মিল্লাতকে সীমাবদ্ধ করা হয়ে থাকে। এর সাহায্যেই এলেম সমূহকে হস্তগত ও আয়ত্ব করা হয়ে থাকে। অতীতের ইতিহাস এবং বক্তব্য কলমের সাহায্যে গ্রন্থ বন্ধ করা হয়ে থাকে। অবতারিত কিতাব সমূহ ও সহীফা সমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়। কলমের সৃষ্টি না হলে দ্বীনী ও দুনিয়াবী বিষয়াদি স্থিতিশীলতা লাভ করতােনা।
তাফসীরে কাশশাফ এর গ্রন্থকার সূরা ইকরা এর আয়াত আল্লামা বিল কালাম এর তাফসীর সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা যদি তার সূক্ষ্ম হেকমত ও সূক্ষ্ম সৃষ্টিকৌশলের দলীল হিসাবে কলম ও লেখা এর বর্ণনা ছাড়া অন্য কোনােকিছুর বর্ণনা নাও দিতেন তবুও যথেষ্ট হতাে। কলমের বিশেষত্ব ও মর্যাদার কারণ এটাই যে, তার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা ও রসূল কারীম (ﷺ) এর প্রশস্তি, কিতাবুল্লাহর তাফসীর ও হাদীস নব্বী (ﷺ) এর ব্যাখ্যা, আওলিয়ায়ে কেরাম (رحمة الله) এর অমূল্য বাণী এবং নসীহতসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া কোনাে বিষয়ে অর্থাৎ দ্বীন বহির্ভূত কোন লেখার কাজে যদি কলম ব্যবহৃত হয় তাতে তার কোনাে সার্থকতা নেই। যেমন আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন, অর্থাৎ ধ্বংস ও আক্ষেপ তাদের জন্য যারা স্বহস্তে কিতাব লিখে বলে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে। এর মাধ্যমে তারা দুনিয়ার স্বার্থ অর্জন করে থাকে। তারা স্বহস্তে যা লিখে ও অর্জন করে, তার জন্য ধ্বংস ও অনুশােচনা। এগুলি লিখে তারা বলে এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে, অথচ তা আদৌ আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা জেনে বুঝে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে।
মক্কার কাফের সম্প্রদায় চুড়ান্ত মৃধতা, নির্বুদ্ধিতা ও অহংকারের কারণে হুজুর আকরম (ﷺ) কে পাগল বলে মন্তব্য করতাে। অথচ প্রকৃত অবস্থা ছিলাে এই যে, মক্কার সমস্ত বুদ্ধিজীবী ও ভাষাবিদ পণ্ডিতেরা হুজুর আকরম (ﷺ) এর মুকাবেলা করতে অক্ষম ছিলাে। হাবীবে খােদা (ﷺ) তাে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এমন কিছু শিখেছিলেন এবং বুঝেছিলেন সমস্ত বিজ্ঞানীদের পক্ষে যা আয়ত্ত করা সম্ভব ছিলাে না। তিনি এমন কিতাব নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন, সমস্ত জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীরা যার মােকাবেলা করতে অক্ষম। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তার হাবীব (ﷺ) কে যে সমস্ত পুরস্কার দান করেছিলেন তার মধ্যে সর্ববৃহৎ পুরস্কারটির প্রশংসা করে বলছেন, নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের উপর রয়েছেন। আর হুজুর পাক (ﷺ) এর মহান চারিত্রিক গুণাবলী তার নবুওয়াতের সর্ববৃহৎ নিদর্শন। সাইয়্যেদা হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضي الله عنه) 'খুলুকুন' আযীম এর তাফসীর সম্পর্কে বলেন, হুজুর আকরম (ﷺ) এর চরিত্র হচ্ছে পবিত্র কুরআন।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]
© | সেনানী এপ্স |