পবিত্র ১০ই মহরমের দিনের ফযিলত সমূহ ।
[] কুরআন মজীদে ও হাদীস শরীফে এ মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হল, এটা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ মহান বরকতময় মাস। হিজরি সনের প্রথম মাস । এটি ‘আশহুরে হুরুম’ তথা হারামকৃত মাস চতুষ্টয়ের অন্যতম। আশহুরে হুরুম সম্বদ্ধে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ হচ্চে,,,
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ﴿ 36 ﴾[التوبة].
নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে, (সেদিন থেকে) যেদিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্য থেকে চারটি সম্মানিত, এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহে নিজদের উপর কোন জুলুম করো না। – সূরা তাওবা: ৩৬
[] ১০ই মহরমে বিভিন্ন কারণে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। অবাক হবার ব্যাপার হলো নিচে বর্ণিত যতগুলো ঘটনা মহরমের দশ তারিখে সংগঠিত হয়েছে, এবং সবগুলো ঘটনাই ঘটেছে শুক্রবারে। এটি আল্লাহ পাকের একটি মহানিদর্শন।
এই দিনেঃ-
(১) আল্লাহ পাক পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
(২) আকাশ থেকে সর্বপ্রথম বৃষ্টি হয়েছে।
(৩) হযরত আদম (عليه السلام) এর তাওবা আল্লাহ পাক কবুল করেছেন।
(৪) আল্লাহ পাক হযরত ইদ্রীস (عليه السلام) কে আকাশে উত্থিত করেছেন।
(৫) তিনি হযরত নুহ (عليه السلام) ও তার সাথীদের নাজাত দান করেছেন।
(৬) হযরত ইব্রাহীম (عليه السلام) কে আল্লাহ পাক আগুন থেকে মুক্তি দান করেছেন।
(৭) হযরত মুসা (عليه السلام) এর সাথে আল্লাহ পাক কথা বলেছেন এবং তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন।
(৮) বনি ইসরাঈলের জন্য আল্লাহ পাক সমুদ্রকে দুভাগ করে দিয়েছেন যার মাধ্যমে তারা নীলনদ পারি দিয়ে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছে। আর এ দিনেই ফেরাউন ও তার দলবল পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে।
(৯) আল্লাহ পাক হযরত আয়ুব (عليه السلام) কে রোগ মুক্ত করেছেন।
(১০) তিনি হযরত ইউসুফ (عليه السلام) কে ফিরিয়ে এনেছেন হযরত ইয়াকুব (عليه السلام) এর কাছে।
(১১) আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস (عليه السلام) কে মাছের পেট থেকে উদ্বার করেছেন।
(১২) হযরত সুলাইমান (عليه السلام) কে সম্রাজ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
(১৩) হযরত ঈসা (عليه السلام) কে আকাশে উত্থিত করেছেন মহান রব।
(১৪) এই দিনেই রাসুলে পাক (ﷺ) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) কে কারবালায় নির্মম্ভাবে শহীদ করা হয়েছে। তাই এই দিনে মুনাফিকরা আনন্দিত হয়, আর মুমিনরা হয় বিষাদিত।
(১৫) এবং এই দিনেই কিয়ামত সংগঠিত হবে।
(১৫) এই দিনে রোজা রাখা খুব সওয়াবের কাজ।
(সহীহ মুসলিম শরীফঃ-২৫২৪, খন্ডঃ-০৪)