আনা শরীফ
আনা বা নাভির নিম্নাঙ্গের পশম পরিষ্কার করার ব্যাপারে কোন কোন হাদীসে এসেছে, হুজুর পাক (ﷺ) যা কামিয়ে ফেলতেন। অপর কোন কোন হাদিসে এসেছে, তাতে তিনি চিমটা ব্যবহার করতেন। উভয়পক্ষের হাদীস দুর্বল। কেননা হুজুর আকরাম (ﷺ) কখনো হাম্মাম খানায় যাননি, বা কখনো তা দেখুন। হাম্মামখানার আবিষ্কার তার তার ওফাতের পর অনারব দেশসমূহ বিজিত হওয়ার সময়ে হয়েছিল। তবে হুজুর (ﷺ) খবর দিয়ে গিয়েছিলেন, এককালে মানুষ হাম্মামখানা ব্যবহার করবেন এবং সাথে সাথে মেয়েদের হাম্মাম খানায় যেতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন। তবে হা কোনাে প্রয়ােজন সাপেক্ষে ঋতুস্রাব বা চিকিৎসা জনিত বা এ জাতীয় কোন অপরিহার্য কারণে যেতে পারবে। হুজুর (ﷺ) শুক্রবার অথবা কোনো কোনো বর্ণনা অনুসারে বৃহস্পতিবার মাছ এবং নখ মুবারক কর্তন করতেন। নখ কাটার নিয়ম সম্পর্কে তেমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এন্তেখাবে কিতাবে এতটুকু পাওয়া যায়, ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল থেকে শুরু করে ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে সমাপ্ত করেন। মেসওয়াক ও চিরুনি কখনও হুজুর পাক (ﷺ) থেকে পৃথক হতাে না। যখন তেল ব্যবহার করতেন, তখন দাড়ি মুবারকে চিরুনি করেন এবং স্বীয় চেহারা মোবারকের কমনীয়তা আয়নাতে অবলােকন করতেন। প্রকৃতপক্ষে আয়নায় চেহারা দেখা তাে তার জন্যই মানায়। কেননা তাদের রূপলাবণ্য তার নূরের অলংকার, নূরে এলাহী উদয়স্থল ও সীমাহীন রহস্যের প্রকাশস্থল। যেমন কবির ভাষায়।
زائنه حسن پور جدائی نیست
عرض تجلی حسن است درد ضانی نیست
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী]
© | সেনানী এপ্স |