হজরত দাউদ (عليه السلام) ও রসুলেপাক (ﷺ)


হজরত দাউদ (عليه السلام) লোহার উপর হাত রাখলে লোহা নরম হয়ে যেতো। তাঁর আরেকটি মোজেজা ছিলো, তিনি শুষ্ক কাষ্ঠখ-ের উপর হাত রাখলে কাষ্ঠখ-টি সজীব হয়ে যেতো এবং তা থেকে সবুজপাতা গজিয়ে উঠতো। আর উম্মে মা’বাদ (رضي الله عنه) এর কৃষকায়, দুর্বল ও হাড্ডিসার বকরিটির স্তন রসুলেপাক (ﷺ) এর পবিত্র হাতের সংস্পর্শে তরতাজা হয়ে গিয়েছিলো এবং সাথে সাথে তা থেকে দুধ নির্গত হয়েছিলো। বকরিটি এতো বেশী দুধ দিতো, যা অন্যান্য বকরী দিতে পারতো না। দাউদ (عليه السلام) এর হাতের স্পর্শে যদি লোহা নরম হয়ে থাকে, তবে আমাদের পয়গম্বর সাইয়েদে আলম (ﷺ) এর খাতিরেও তো কঠিন প্রস্তরখ- কোমল হয়ে গিয়েছিলো। হাফেজ আবু নাঈম বর্ণনা করেন, রসুলেপাক (ﷺ) যখন হেরা গুহায় আশ্রয়স্থান নির্বাচন করে প্রথমে পবিত্র মস্তক প্রবেশ করালেন, তখন কঠিন প্রস্তরগুলো প্রশস্তহয়ে যেতে লাগলো। এতে বুঝা যায়, পাথর তাঁর জন্যই নরম হয়ে গিয়েছিলো। তাঁর বাহুর প্রভাবে পাথরগুলো আটার ন্যায় নরম হয়ে গিয়েছিলো। এরপর সে পাথরে তিনি বাহনের জানোয়ার বেঁধেছিলেন। হজরত দাউদ (عليه السلام) এর সঙ্গে পাহাড়ও তসবীহ পড়েছিলো। আর রসুলেপাক (ﷺ) এর পবিত্র হাতের ভিতর থেকে পাথর তসবীহ পড়েছিলো। 


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 




© | সেনানী এপ্স |

Top