শবে বরাতে ইবাদাতের গুরুত্ব ও লা-মাযহাবীদের মিথাচার খন্ডন ।
回 বর্তমান সময়ে কিছু নাকধারী মিথ্যুক আলিম বাহির হইয়াছে যাহারা হাদীস শরীফ কে দুর্বল বা জাল বলা শুরু করেছে এদের থেকে সবাই দূরে থাকবেন । শবে বরাত সম্পর্কে নিম্নের হাদীসটি সহীহ। কোন গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিস এটাকে দুর্বল বা জাল বলেন নি। এরকম সহীহ সরীহ হাদীসকে কেবল হাদীস অস্বিকারী দলই বলতে পারে দুর্বল বা জাল !!! নবী প্রেমিক কোন মুসলমান বলতে পারে না।
হাদীসটি হলঃ
عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن )
回 হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে] আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।
回 রেফারেন্সঃ
-
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫,
-
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪,
-
মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২,
-
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬,
-
আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫,
-
সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০,
-
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩,
-
মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯,
-
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪।
回 শবে বরাত সম্পর্কে উপরোল্লিখিত হাদীসটি যে গ্রহণযোগ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই, দেখুন মুহাদ্দিসীনে কেরাম উক্ত হাদীসের ব্যাপারে কী বলেছেন,,,
الراوي: معاذ بن جبل المحدث: الهيثمي – المصدر: مجمع الزوائد – الصفحة أو الرقم: 8/68
خلاصة حكم المحدث: رجاله ثقات
الراوي: معاذ بن جبل المحدث: المنذري – المصدر: الترغيب والترهيب – الصفحة أو الرقم: 2/132
خلاصة حكم المحدث: [إسناده صحيح أو حسن أو ما قاربهما]
لراوي: معاذ بن جبل المحدث: الألباني – المصدر: صحيح الترغيب – الصفحة أو الرقم: 1026
خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح
الراوي: معاذ بن جبل و أبو ثعلبة الخشني و عبدالله بن عمرو بن العاص و أبو موسى الأشعري و أبو هريرة و أبو بكر الصديق و عوف بن مالك و عائشة المحدث: الألباني – المصدر: السلسلة الصحيحة – الصفحة أو الرقم: 1144
خلاصة حكم المحدث: صحيح بمجموع طرقه
الراوي: أبو موسى الأشعري المحدث: الألباني – المصدر: السلسلة الصحيحة – الصفحة أو الرقم: 1563
خلاصة حكم المحدث: ذكر له شواهد
الراوي: أبو موسى الأشعري المحدث: الألباني – المصدر: تخريج مشكاة المصابيح – الصفحة أو الرقم: 1258
خلاصة حكم المحدث: قوي بغيره
الراوي: كثير بن مرة المحدث: البوصيري – المصدر: إتحاف الخيرة المهرة – الصفحة أو الرقم: 3/84
خلاصة حكم المحدث: مرسل، وله شاهد
لراوي: عبدالله بن عمر المحدث: المنذري – المصدر: الترغيب والترهيب – الصفحة أو الرقم: 3/392
خلاصة حكم المحدث: إسناده لين
الراوي: عبدالله بن عمرو بن العاص المحدث: الهيثمي – المصدر: مجمع الزوائد – الصفحة أو الرقم: 8/68
خلاصة حكم المحدث: فيه ابن لهيعة وهو لين الحديث وبقية رجاله وثقوا
الراوي: – المحدث: الهيتمي المكي – المصدر: الزواجر – الصفحة أو الرقم: 2/43
خلاصة حكم المحدث: إسناده لين
الراوي: عبدالله بن عمرو بن العاص المحدث: أحمد شاكر – المصدر: مسند أحمد – الصفحة أو الرقم: 10/127
خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح
الراوي: أبو ثعلبة الخشني المحدث: الألباني – المصدر: تخريج كتاب السنة – الصفحة أو الرقم: 511
خلاصة حكم المحدث: صحيح
回 ▬▬▬▬▬ ওহাবী ও সালাফীদের ইমাম ইবনে তাইয়িমাহ তাঁর স্বীয় ফতোয়া ▬▬▬▬▬▬
কথিত বেদাতী দল লা-মাযহাবী গায়ের মুকাল্লীদদের গুরু ইবেন তাইমিয়ার আরেকটা ফতুয়া শবে বরাত / লাইলাতুল মোবারাকার পক্ষে দলিল ,,
ওহাবী ও সালাফীদের ইমাম ইবনে তাইয়িমাহ তাঁর স্বীয় ফতোয়া গ্রন্থে লিখেছেন-
ﺇﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟْﺈِﻧْﺴَﺎﻥُ ﻟَﻴْﻠَﺔَ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﺃَﻭْ ﻓِﻲ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺧَﺎﺻَّﺔٍ ﻛَﻤَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻔْﻌَﻞُ ﻃَﻮَﺍﺋِﻒُ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻠَﻒِ ﻓَﻬُﻮَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ
যদি কোন ব্যক্তি একাকী অথবা নির্দিষ্ট জামাতের সাথে শা’বানের মধ্য রাতে ইবাদত করে যেমনটা সালফে সালেহীনগণ করতেন অবশ্যই তা অধিক উত্তম হবে। –
মাজমাউ’ল ফতওয়া ফতোয়ায়ে তাইয়িমাহ,২৩তম খণ্ড,১৩১ পৃষ্ঠা
তিনি আরো বলেন,,,
ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﻟَﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻓَﻘَﺪْ ﺭُﻭِﻱَ ﻓِﻲ ﻓَﻀْﻠِﻬَﺎ ﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚُ ﻭَﺁﺛَﺎﺭٌ ﻭَﻧُﻘِﻞَ ﻋَﻦْ ﻃَﺎﺋِﻔَﺔٍ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻠَﻒِ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻓَﺼَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻗَﺪْ ﺗَﻘَﺪَّﻣَﻪُ ﻓِﻴﻪِ ﺳَﻠَﻒٌ ﻭَﻟَﻪُ ﻓِﻴﻪِ ﺣُﺠَّﺔٌ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻨْﻜَﺮُ ﻣِﺜْﻞُ ﻫَﺬَﺍ
শাবানের মধ্য রাতের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদীস এসেছে,আছার তথা সাহাবায়ে কেরামগণের বর্ণনা, তাবে তাবেঈগন সালফে সালহীগনের বক্তব্য রয়েছে আর তারা এই রাতে ইবাদত করতেন। সালফে সালেহীনদের মধ্যে এ রাতে ইবাদতের ব্যাপারে আন্তরিকতা ও একাগ্রতা পাওয়া যায় এবং এ ব্যাপারে (শবে বরাত) কোন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় নি।
– মাজমাউ’ল ফতওয়া ফতোয়ায়ে তাইয়িমাহ,২৩তম খণ্ড,১৩২ পৃষ্ঠা
এমনিভাবে ফিক্বহে হানাফীর প্রসিদ্ধ কিতাব আদ্দুররুল মুখতারে শবে বরাতের সম্পর্কে বলা হয়েছে। – ১ম খণ্ড,২৪-২৫ পৃষ্ঠা
回 শবে’ বরাতে কিছু করনীয় আমল
▬▬▬ শবে’ বরাতে করনীয়ঃ- দিনে রোযা ও নাতে নামায আদায় করা । ▬▬▬
ණ: হাসান ইবন আলী খাল্লাল (رحمة الله)…… আলী ইবন আবূ তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ- যখন ১৫ শা’বনের রাত আসবে তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে এবং এ দিন সিয়াম পালন করবে। কেননা সূর্য অন্তিম হওয়ার পর আল্লাহ প্রিথিবীর নিকটস্থ আকাশে অবতরণ করেন। তারপর তিনি বলেনঃ- আমার কাছে কেউ ক্ষমাপ্রাথী আছে কি ? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব । কোন জীবিকার প্রাথী আছে কি ? আমি তাকে রিযিক দিব । কোন রোগগ্রস্ত আছে কি ? আমি তাকে শিফা দান করব। এভাবে তিনি বলতে থাকেন, অবশেষে ফজরের সময় হয়ে যায়।
- ১.সুনান ইবনে মাজাহঃ- ১৩৮৮,খণ্ডঃ- ০১,
- ২.তাবরানী,
- ৩.সহীহ মুসলিম শরীফঃ- ২৬১৮, খণ্ডঃ- ০৪)
- ৪.আশরাফ আলী থানভী-দেওবন্দী, বেহেশতী জেওর, খণ্ডঃ- ৬ষ্ঠ, পৃষ্ঠা নং:- ২৩৬।
- ৫.মাওলানা মোহঃ আবদুল হামিদ কাসেমী-দেওবন্দী, মাসলা মাসায়েল শিক্ষা, পৃষ্ঠা নং:- ২১৯।
回▬▬▬ শবে’ বরাতে বেশি বেশি করব যিয়ারত করুন । ▬▬▬▬
ණ: আবদা ইবন আবদুল্লাহ খুযায়ী ও মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক আবূ বকর (رحمة الله)…… ‘আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ- এক রাতে নবী (ﷺ)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তার খোঁজে বের হলাম। আমি দেখতে পেলাম তিনি জান্নাতুল বাকীতে (কবরস্থানে) , তার মাথা আকাশের দিকে উত্তোলন করে আছেন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ- হে আয়েশা। তুমি কি এই আশংকা করছ যে, আল্লাহ্ এবং তার রাসূল তোমার উপর অবিচার করবেন ? আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, আমি বললামঃ- এতো আমার জন্য আদৌ সমীচীন নয়। বরং আমি মনে করছি, আপনি আপনারা অপর বিবির কাছে গেলেন। তখন তিনি (ﷺ) বললেনঃ-
মহান আল্লাহ্ ১৫ ই শা’বানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরন করেন এবং কালব গোত্রের বকরীর পশমের চাইতেও অধিক লোককে ক্ষমা করেন। (সুন্নান ইবনে মাজাহঃ- ১৩৮৯, খণ্ডঃ- ০১) (রিয়াদুস সালেহীনঃ-৫৮২ )
回 ණ:★ আবু বকর ইবন আবু শায়বা (رحمة الله)…… আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেনঃ- তোমরা কবর যিয়ারত কর। কেননা, তা তোমাদের আখিরাতের কথা (মৃত্যুকে) স্মরণ করিয়ে দেয়।
( সুনানু ইবনে মাজাহঃ- ১৫৬৯/ আবূ দাউদ শরীফঃ- ৩২২০ / রিয়াদুস সালেহীনঃ- ৫৮১)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
回 আমাদের উচিত শবে বরাতে দিনে রোযা রাখা এবং রাতে নামায আদায় করা, কোরান ও হাদীস পড়া আর বেশি বেশি জিক্কর করা । কিতাবঃ- গুনিয়াতুত ত্বালেবীনঃ- ১৬৫ পৃষ্ঠা ।
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪,
মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২,
আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬,
আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫,
সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০,
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩,
মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯,
শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪।
- ১.সুনান ইবনে মাজাহঃ- ১৩৮৮,খণ্ডঃ- ০১,
- ২.তাবরানী,
- ৩.সহীহ মুসলিম শরীফঃ- ২৬১৮, খণ্ডঃ- ০৪)
- ৪.আশরাফ আলী থানভী-দেওবন্দী, বেহেশতী জেওর, খণ্ডঃ- ৬ষ্ঠ, পৃষ্ঠা নং:- ২৩৬।
- ৫.মাওলানা মোহঃ আবদুল হামিদ কাসেমী-দেওবন্দী, মাসলা মাসায়েল শিক্ষা, পৃষ্ঠা নং:- ২১৯।