হাঁটার প্রকারভেদ
হাঁটার প্রকার দশটি,
(১) তাহাদাত – নির্জীব ও শীর্ণ শুকনো কাঠি সদৃশ লােকের শ্লথগতি সম্পন্ন হাঁটা।
(২) এযআজ - রাগের বশবর্তী হয়ে দ্রুতগতিতে বিরক্তিকর ও পেরেশানীর হাঁটা। এ দু'ধরনের হাঁটাই নিন্দনীয়, যা মৃত অন্তরবিশিষ্ট হওয়ার আলামত।
(৩) হাউন - এটা হচ্ছে পূর্ণ পদচারণা এবং গতিময় পদক্ষেপ। এটাই ছিল হুজুর আকরাম (সাঃ) এর স্বভাবজাত হাঁটা - যা প্রশান্তিময়, মর্যাদা সম্পন্ন ও নিরহংকারী হওয়ার পরিচয়।
(৪) সায়ী - দৌড়ের ন্যায় দ্রুত গতি সম্পন্ন হাঁটা। (৫) রমল - তাড়াতাড়ি পা উঠিয়ে স্কন্ধ দুলিয়ে পালোয়ানদের ন্যায় দৌড়ে চলা
(৬) নাসলান - দৌড় দেওয়া। এটা সায়ীর চেয়েও বেশী গতিসম্পন্ন।
(৭) খাওরইয়া - হাতের পাঞ্জায় ভর করে চলা।
(৮) কাহহারী - পিছনের দিকে উলটোভাবে হাঁটা।
(৯) জামরী - লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা। লাফিয়ে লাফিয়ে চলে বলে উটকে জাম্মারা বলা হয়।
(১০) তাবাখতার - ধীরে ধীরে মনােহর ভঙ্গিতে টলায়মান অবস্থায় আত্মম্ভরিতার সঙ্গে হাঁটা। উক্ত দশ প্রকারের মধ্যে সবচেয়ে পূর্ণ ও উত্তম হাঁটা ‘হাউন'। কুরআনে কারীমে উক্ত হাঁটা সম্পর্কে প্রশংসা করা হয়েছে। যেমন আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা ঐ সমস্ত বান্দার যারা জমিনের উপরে হাঁটে তারা হাউন (বিনয়) এর সাথে হাঁটে।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী]
© | সেনানী এপ্স |