ইয়া ইলাহী হার জাগাহ্ তেরী আত্বা কা সাথ হাে

[ইমাম আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله)]


উচ্চারণ  


ইয়া ইলাহী হার জাগাহ্ তেরী আত্বা কা সাথ হাে, 

জব পড়ে মুশকিল শাহে মুশকিল কোশা কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী ভূল জা-ওঁ নযএ কী তকলীফ কো, 

শাদীয়ে দীদার হুসনে মুস্তফা কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী গােরে তীরাহ্ কী জব আয়ে সখত রাত, 

উনকে পেয়ারে মুহঁ কী সুবহে জাঁফকা সাথ হে ॥ 


ইয়া ইলাহী জব পড়ে মাহশর মে শােরে দারওগীর, 

আমন দেনে ওয়ালে পিয়ারে পেশওয়া কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী জব যােবানেঁ বাহের আয়ে পিয়াস সে, 

সাহেবে কাওসার শাহে জুদ ও আত্বা কা সাথ হাে। 


ইয়া ইলাহী সরদ মেহরী পর হাে জব খােরশীদে হাশর, 

সাইয়েদে বে-সায়া কে যিল্লে লিওয়া কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী গরমিয়ে মাহশার সে জব ভড়কে বদন, 

দামানে মাহবুব কী ঠান্ডী হাওয়া কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী নামায়ে আমাল জব খুলনে লাগে, 

আইব পােশে খাল্ক, সাত্তারে খাত্বা কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী জব বহে আখে হেসাবে জুরম মেঁ,

উন তাবাসসুম রে-যে হোঁটো কী দু’আ কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী জব হেসাবে খান্দাহ বে জা রােলায়ে, 

চশমে গিরইয়ানে শফীয়ে মুরতাজা কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী রঙ্গ লায়ে জব মেরী বে বাকীয়াঁ, 

উনকী নীচী নীচী নযরোঁ কী হায়া কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী জব চলোঁ তারীক রাহে পুল সিরাত, 

আফতাবে হাশেমী নুরুল হুদা কা সাথ হাে৷ 


ইয়া ইলাহী জব্ সরে শমশীর পর চলনা পড়ে, 

'রাব্বি সাল্লিম’ কেহনে ওয়ালে গমযদা কা সাথ হাে ॥ 


ইয়া ইলাহী জু দুআয়ে নেক ম্যাঁয় তুঝ সে কারোঁ,

কুদসীয়োঁ কে লব সে ‘আমীন রাব্বানা' কা সাথ হাে । 


ইয়া ইলাহী জব রেযা খাবে গিরাঁসে সর উঠায়ে, 

দওলতে বে দার ইশকে মুস্তফা কা সাথ হাে ॥ 




কাব্যানুবাদ  


প্রভু হে আমার, সবখানে যেন তােমার করুণা সঙ্গেঁ রয়, 

সংকটে যদি পড়ি তবে যেন উদ্ধারকারী সঙ্গে রয়। 


প্রভু শুনে রাখাে, ভুলে যাব আমি মরণ যাতনা বেদনাময়, 

নবীজির চির মমতার রূপ, যদি এ মুগ্ধ নয়নে রয়। 


প্রভু হে যখন আধাঁর কবরে কঠিন রাত্রি শংকাময়।। 

সেই প্রিয় মুখে নুরানী প্রভাত জুটে যায় দি, 


হাশরে যখন পাকড়াও কালে গর্জন শাের কানে না সয়, 

নিরাপত্তার বিধায়ক নবী সাথী হােক প্রভু হে দয়াময়। 


প্রভু হে আমার, সকল জিহ্বা যখন তৃষিত শুষ্ক হয়, 

কাওসার সুধা বন্টনকারী মাের পরে যেন হােন সদয়। 


হে প্রভু, যখন পাপীর উপরে হাশর সূর্য হবে উদয়, 

ছায়াহীন সেই নবীর নিশান ছায়াতে যেন গাে পাই আশ্রয়। 


পুড়বে যখন অঙ্গ হাশরে ভীষণ সেতাপ অগ্নিময়, 

নবীর আচঁলছােয়া সে ঠান্ডা হাওয়ায় যেন তা শীতল হয়। 


ওগাে দয়াময় আমলনামার হিসাব যখন সূচনা হয়, ত্রুটিবিচ্যুতি গােপনকারী সে প্রিয়নবী যেন সঙ্গে রয়।। 


হে খােদা যখন পাপের গ্লানিতে ছেপে দু নয়ন অশ্রু বয়, 

মৃদু হাসিময় পাক সে আঁধারে আশীষ যেন গাে সঙ্গে রয়। 


অযথা হাসির অনুশােচনায় কাঁদব যবে হে মহিমাময়, 

ক্রন্দসী চোখে সুপারিশকারী সাথে হােন চির নিঃসংশয়। 


হাশরে যখন দেখব আমার লাগামহীনতা যত বিষয়, 

তাঁর সে আনত দৃষ্টি লাজের সােহবত যেন নসীব হয়। 


খােদা হে, যখন পার হতে চাই তীক্ষ্ণ সে পুল তমসাময়, 

চাইগাে সঙ্গ হাশেমী রবির আলাের দিশারী জ্যোর্তিময়। 


শুনগাে দয়াল শমসের ধারে চলবে যখন চরণদ্বয়, 

'রক্ষা করাে হে প্রভু' বলে সেই সমব্যথী যেন আশীষ কয়। 


তােমার সকাশে প্রভু হে আমার যতনা ভিক্ষা পূণ্যময়, 

সে দোয়ায় যেন পবিত্র মুখ ফেরেশতারাও ‘আমীন’ কয়। 


ঘুমঘাের কেটে যখন রেযার এই শির উত্তোলিত হয়, 

চেতনার ধন ইশকে রাসুল সাথী হােক থাকি যত সময়। 


________________________________

    ©  ইসলামী বিশ্বকোষ | সুন্নি-বিশ্বকোষ 


Top