ইঞ্জীল কিতাব থেকে প্রাপ্ত সুসংবাদ


হুজুর আকরম (ﷺ) এর সুসংবাদ সম্পর্কে ইঞ্জিল কিতাবে বর্ণনা এসেছে। এই বর্ণনা দিয়েছেন ইবন যফর। তিনি বলেন, হজরত ঈসা (عليه السلام) এর হাওয়ারী ছিলেন ইউহান্না। তিনি ইঞ্জিল কিতাব থেকে হজরত মসীহ ঈসা (عليه السلام) এর উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন হজরত ঈসা (عليه السلام) বললেন, “আমি পিতার কাছে দরখাস্ত করছি তিনি যেনাে তােমাদের জন্য অপর একজন ফারে ফালীত (রসূল) দান করেন। যিনি চিরকাল তােমাদের সঙ্গে থাকবেন। তিনি রুহে হক। তিনি সবকিছুই তোমাদের শিক্ষা দেবেন। তখন পিতা বললেন, বৎস! তুমি প্রস্থানকারী। কেননা, তােমার পরে সেই ফারে ফালীত আগমন করবেন। যিনি তােমাদের যাবতীয় ভেদ উজ্জীবিত করে সমস্ত বস্তুকে পরিবর্তন করবেন। তিনি আমার সাক্ষ্য প্রদান করবেন, যেমন আমি তার সাক্ষ্য প্রদান করছি। আমি তােমাদের জন্য আমছাল (উপদেশ বাণী) প্রদান করেছি, আর তিনি তার ব্যাখ্যা নিয়ে আগমন করবেন (ব্যাখ্যার অর্থ কুরআন মজিদ)। আর ফারে ফালীত এমন হবেন, সারা জাহানের মধ্যে কেউ তাকে দমন করতে পারবে না। তুমি যদি আমার আহ্বান মানে আর আমার প্রতি মহব্বত রাখে, তাহলে আমার এ ওসীয়ত স্মরণ রাখবে। আমি খোদার কাছে দরখাস্ত করছি তিনি তােমাদের জন্য ফারে ফালীত দান করবেন, যিনি আখেরী যামানা পর্যন্ত তোমাদের সাথে থাকবেন।”


উপরােক্ত উদ্ধৃতির ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ এই যে, হকতায়ালা হজরত ঈসা (عليه السلام) এর উম্মতের প্রতি এমন একজন পয়গম্বর প্রেরণ করবেন, যিনি আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত রেসালতের প্রচারে এবং জনশাসনের ব্যাপারে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। সেই পয়গম্বর এর শরীয়ত শেষ যমানা পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন, হুজুর পাক (ﷺ) ছাড়া এমন কোন রসূল কি জগতে আবির্ভূত হয়েছেন?


ফারে ফালীত কি? এর ব্যাখ্যা নিয়ে অবশ্য নাসারারা মতানৈক্য করেছে। কেউ কেউ এর ব্যাখ্যা করেছে, ফারে ফালীত মানে হামেদ অর্থাৎ প্রশংসাকারী। আবার কেউ কেউ এর ব্যাখ্যা করেছে, ফারে ফালীত মানে মুখলেস। ফারে ফালীতের অর্থ বিশুদ্ধচিত্ত ধরে নিয়ে শেষােক্তদের সত্যকে যদি প্রাধান্য দেয়া হয়, তাহলে বিশুদ্ধ চিত্ত তাই এমন রাসূল কে হতে হবে যিনি সমস্ত জাহানের মুক্তির জন্য তশরিফ আনবেন। আর এই ব্যাখ্যা যদি গ্রহণ করা হয়, তবে তা আমাদের উদ্দেশ্য অনুকূলে হলে। কেননা প্রত্যেক নবীই আপন আপন উম্মতকে কুফুরী থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। হজরত ঈসা (عليه السلام) এর উক্তিও এই অর্থের সহায়ক। তিনি বলেছেন “আমি মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য এসেছি।” যখন হজরত ঈসা (عليه السلام) এর উক্তি থেকে প্রমাণিত হলো যে, তিনি মানুষের নাজাত দানকারী । অতঃপর তিনি যখন আপন পিতার কাছে অপর ফারে ফালীতের জন্য প্রার্থনা করলেন তখন সাব্যস্ত হলাে যে, এক ফারে ফালীত (অর্থাৎ তিনি নিজে) বিদায় হবেন এবং অপর ফারে ফালীত আগমন করবেন।)


ফারে ফালীতের অর্থ যদি হামেদ বা প্রশংসাকারী গ্রহণ করি, তাহলে তাে দেখা যায়, এ শব্দটি আহমদ শব্দের অধিকতর নিকটবর্তী। 

এ পরিপ্রেক্ষিতে ইবন যফর বলেন, ইঞ্জীল কিতাবে যে বিষয়ের তরজমা করা হয়েছে, তা এটাই প্রমাণ করে যে, ফারে ফালীত হচ্ছেন রসূল। এ জন্যই হজরত ঈসা (عليه السلام) বলেছেন, “যে কথা তোমরা আমার কাছ থেকে শুনেছো, তা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমার কথা নয়। বরং তা হচ্ছে পিতার কালাম যা তোমাদের জন্য আমার উপর অবর্তীণ করা হয়েছে। আর সেই ফারে ফালীতকে পবিত্র আত্মার রব আমার নামে প্রেরণ করবেন যাতে করে তিনি তোমাদেরকে প্রত্যেক বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। তিনি তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেবেন, উপদেশ প্রদান করবেন যেমন আমি তোমাদেরকে উপদেশ প্রদান করে থাকি।”


সুতরাং এর চেয়ে স্পষ্ট কোনো বর্ণনা কি হতে পারে যে, ফারে ফালীত হবেন ঐ রসূল, যাঁকে আলাহ্তায়ালা প্রেরণ করবেন এবং তিনি আলাহ্র মাখলুককে সর্ববিষয়ে শিক্ষা প্রদান করবেন। তিনি তাদেরকে বক্তৃতা ও উপদেশ শোনাবেন। উপরোক্ত বর্ণনায় যে ‘পিতা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা কিন্তু পরিবর্তিত শব্দ। আর নাসারারা যে ‘রব’ শব্দের স্থলে পরিবর্তিত শব্দ ‘পিতা’ ব্যবহার করেছে, এটাও তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত নয়। তারা মনে করেছে পিতা শব্দটি সম্মানজনক শব্দ। এ শব্দ দ্বারা শাগরেদরা উস্তাদকে সম্বোধন করে নিজের এলেমের নির্ভরশীলতা নিশ্চিত করে উস্তাদের উপর। এটাও প্রসিদ্ধ কথা যে, নাসারারা তাদের দ্বীনের আলেমগণকে রূহানী পিতা বলে সম্বোধন করতো। বনী ইসরাইল ও বনী আ’য়াসরাও নিজেদেরকে ‘আমরা আলাহ্র সন্তান’ বলে দাবী করতো। এসমস্ত কারণের পরিপ্রেক্ষিতে নাসারারা বদগোমানীতে নিপতিত হয়েছিলো। 


হজরত ঈসা (عليه السلام) এর ভাষ্য (পরিবর্তিত), পিতা সেই ফারে ফালীতকে আমার নামেই প্রেরণ করবেন। এদ্বারা সাইয়্যেদ আলম মোহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এর রেসালতের সত্যতা ও সাক্ষ্য প্রমাণিত হয়। তদুপরি উক্ত ভাষ্য ইঙ্গিত প্রদান করছে যে, কুরআনে কারীমের ঐ সমস্তআয়াতে কারীমার দিকে যা হজরত ঈসা (عليه السلام) এর প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে অবর্তীণ হয়েছে। 


 ইঞ্জীল শরীফের অপর এক অনুবাদে হজরত ঈসা (عليه السلام) বলেন “ফারে ফালীত আগমন করবেন না, যতক্ষণ না আমি দুনিয়া থেকে চলে যাবো। আর সেই ফারে ফালীত যখন আগমন করবেন, তখন দুনিয়াকে ভুলভ্রান্তির জন্য তিরস্কার ও হুঁশিয়ারী প্রদান করবেন। তিনি তাঁর নিজের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলবেন না। তিনি আলাহ্তায়ালার নিকট থেকে যা শ্রবণ করবেন, তাই ব্যক্ত করবেন। ন্যায় ও সত্যতার পথে তিনি মানুষদেরকে পরিচালিত করবেন এবং জগতবাসীকে গযবের সংবাদ প্রদান করবেন।” অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি নিজের পক্ষ থেকে কোনোকিছুই বলবেন না, বরং ঐ সমস্ত কথাই বলবেন, যা আলাহ্তায়ালার কাছ থেকে শুনবেন। কেননা হকতায়ালা তাকে প্রেরণ করবেন। আর এরকম তো আলাহ্তায়ালা কুরআনে কারীমে হুজুর পাক (ﷺ) সম্পর্কে এরশাদ করেছেন, ‘তিনি স্বীয় প্রবৃি ত্ত থেকে কোনো কথাই বলেন না, তিনি তাই বলেন যা তাঁর কাছে ওহী করা হয়।’


হজরত ঈসা (عليه السلام) আরও বলেছেন, “তিনি অর্থাৎ ফারে ফালীত আমার বুযুর্গী ও সম্মান বর্ণনা করবেন এবং আমার নবুওয়াতের আলামত (মোজেজা) সমূহকে মহান জানবেন।” বাস্তব অবস্থাও ছিলো এরকম। হুজুর আকরম (ﷺ) হজরত ঈসা (عليه السلام) এর বুযুর্গী ও সম্মান যেরকম বর্ণনা করেছেন অন্য কেউ এরকম বর্ণনা করেননি। হুজুর পাক (ﷺ) র্তার রেসালতের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন। তাঁর উম্মতেরা তাঁকে যে সমস্ত ভ্রান্ত অভিধায় ভূষিত করেছিলো, তিনি তাঁকে তা থেকে পবিত্র বলে ষোষণা দিয়েছিলেন। 


যা কিছু বলা হলো, এর সমস্ত গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য হুজুর পাক (ﷺ) এর মধ্যে বিদ্যমান ছিলো। হুজুর পাক (ﷺ) ছাড়া আর এমন কে ছিলেন যিনি বনী ইসরাইল আলেমদের মাধ্যমে সত্য গোপন করা, কলেমাতে রব্বানীর পরিবর্তন সাধন করা ও স্বল্প মূল্যে দ্বীন বিক্রি করে দেয়ার মতো জঘন্য কাজের জন্য সকর্তবাণী উচ্চারণ করেছেন? এমন কে ছিলেন যিনি গযব ও গায়েবী অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ প্রদান করেছেন?


হকতায়ালা ইঞ্জীল কিতাবে হজরত ঈসা (عليه السلام) এর কাছে এমর্মে ওহী প্রেরণ করেছিলেন যে, তুমি সাইয়্যেদে আলম মোহাম্মদ (ﷺ) কে স্বীকার করো ও তাঁর উপর বিশ্বাস রাখো এবং তোমার উম্মতের কাছে একথা বলে দাও যে, প্রত্যেক অই ব্যক্তি যে মোহাম্মদ (ﷺ) এর যামানা পাবে সে যেনো তাঁর উপর ইমান আনে। হে আমার সাহসী সন্তান! তুমি জেনে রাখো যে, মোহাম্মদ (ﷺ) যদি না হতেন, তাহলে আমি আদম, জান্নাত, জাহান্নাম কোনো কিছুই সৃি ষ্ট করতাম না। আমি যখন আরশ সৃষ্টি করলাম, তখন সে কম্পমান ছিলো। স্থির হতে পারছিলো না। অতঃপর আমি আরশের উপর লিখে দিলাম, ‘লা ইলাহা ইলালাহু মোহাম্মাদুর রসূলুলাহ্’। তখন সে শান্ত হয়ে গেলো।


মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ায় বায়হাকী থেকে হজরত ইবন আব্বাস (رضي الله عنه) এর বর্ণনা জার ও নাসারারা হুজুর আকরম (ﷺ) এর কাছে হাযির হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো। ঐ সময় তারা বললো যে, ঐ আলাহ্র কসম যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। নিঃসন্দেহে আমি ইঞ্জীল কিতাবে আপনার গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য পাঠ করেছি। আলাহ্র সাহসী সন্তান হজরত ঈসা (عليه السلام), আপনার সম্পর্কে সুসংবাদ প্রদান করেছেন। 


ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) দালায়েলুন্নবুওয়াত কিতাবে আবু উমামা বাহেলী থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, হিশাম ইবনুল আস উসুববী থেকে। তিনি বলেন যে, আমাকে আরও কতিপয় লোকের সাথে রুমের কায়সার হেরকালের নিকট প্রেরণ করা হলো তার কাছে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করার উদ্দেশ্য। এরপর তিনি হাদীছখানা সম্পূর্ণ বর্ণনা করলেন। বর্ণনার এক পর্যায়ে তিনি বলেলেন, একরাত্রে হেরকাল আমাদেরকে তার কাছে ডেকে নিয়ে গেলেন। আমরা তার কাছে যাওয়ার পর তিনি একটি বৃহদাকারের সিন্দুক আনলেন, যার ভিতরে ছোট ছোট কুঠুরী ছিলো। প্রত্যেকটি কুঠুরীর মুখ ছিলো ছোট ছোট। তিনি সেই সিন্দুকখানা খুললেন এবং একটি কালো রঙের রেশমের কাপড়ের টুকরা বের করে মেলে ধরলেন। তার মধ্যে একখানা ছবি দেখা গেলো, যার চোখ দু’টি ছিলো বড় বড়। নিতম্ব ছিলো বেশ পুরু। গর্দান ছিলো লম্বা, কেশ ছিলো বিন্যস্ত। এটা ছিলো আলাহ্তায়ালার উত্তম সৃষ্টির প্রতিচ্ছবি। 


তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি এ ছবিটি চিনতে পেরেছো?” আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, এটা হচ্ছে হজরত আদম (عليه السلام) এর চিত্র। এরপর তিনি আরেকটি কুঠুরী খুলে কালো রঙের একটি রেশমের কাপড়ের টুকরা বের করে মেলে ধরলেন। তাতে এমন এক সাদাবর্ণের চিত্র দেখা গেলো যার চোখ দু’টি বড় বড় লাল রঙের। মাথার চুল ও দাড়ি সুদর্শনীয়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি একে চিনো?” আমরা বললাম, ‘নন'। তিনি বললেন, এটি হজরত নূহ (عليه السلام) এর প্রতিচ্ছবি। এরপর তিনি আরেকটি কুঠুরী খুললেন এবং রেশমের কাপড়ের আরেকটি টুকরা বের করে প্রসারিত করলেন। তাতে দেখাগেলো এক সুন্দর চিত্র, যার চেহারা শুভ্র। মনে হলো যেনো স্বয়ং হুজুর পাক (ﷺ) তশরীফ এনেছেন। তিনি বললেন, “এঁকে কি তোমরা চিনতে পারছো”? আমারা বললাম, “হাঁ’। ইনি হচ্ছেন মোহাম্মাদুর রসূলুলাহ্ (ﷺ)। এরপর আমরা ক্রন্দন করতে লাগলাম।


হেরকাল দাঁড়িয়ে গেলেন এবং পুনরায় বসে পড়লেন। পুনরায় আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “ইনিই কি তিনি?” আমরা বললাম, “হাঁ, ইনিই তিনি।” এ ছবিখানা দেখা মানে তাঁকেই দেখা। এরপর হেরকাল ছবিখানার প্রতি দীর্ঘক্ষণ গভীরভাবে তাকিয়ে থাকলেন। অতঃপর মন্তব্য করলেন, আলাহ্র কসম! ইনিই আখেরী নবী। সিন্দুকের মধ্যে আরও অনেক পয়গম্বরের ছবি ছিলো। কিন্তু সমস্ত ছবি প্রদর্শন না করে তাড়াতাড়ি করে তাঁর ছবিখানা বের করে আনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে যেনো সত্বর তোমাদের বক্তব্য সম্পর্কে আমি নিশ্চিত হতে পারি। নতুবা এই সিন্দুকে হজরত ইব্রাহিম (عليه السلام), হজরত মুসা (عليه السلام), হজরত ঈসা (عليه السلام) ও হজরত সুলায়মান (عليه السلام) প্রমুখ পয়গম্বরগণের ছবিও আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এ সমস্ত ছবি কোথেকে সংগ্রহ করেছেন? তিনি বললেন, হজরত আদম (عليه السلام) আলাহ্তায়ালার কাছে আবেদন করেছিলেন, সমস্ত আম্বিয়া ও আদম সন্তানদেরকে আলাহ্পাক যেনো তাঁকে দেখিয়ে দেন। তখন আলাহ্তায়ালা এ সমস্ত ছবি তাঁর কাছে প্রেরণ করেছিলেন। এগুলি সূর্য অস্ত যাওয়ার স্থানে আদম (عليه السلام) এর সুরক্ষিত সংগ্রহে ছিলো। হজরত যুলকারনাইন (عليه السلام) অস্তাচলস্থান থেকে ছবিগুলো বের করে এনেছিলেন এবং হজরত দানিয়েল (عليه السلام) এর কাছে সমর্পণ করে গিয়েছিলেন। 


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 



© | সেনানী এপ্স |

Top